tawhidrisalatakhirah
Allah: The One And Only 'True God'
776 posts
Allah is the Unique, Omnipotent and Only True Deity' of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Lord except Allah. Allah is Exalted Above ‘Arsh, above the heaven. Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Words pf Allah. Qur'an is the final revelation and guidance for mankind. Once they know Him, they will worship Him. Allah says, 'So, know that there is no God worthy of worship except Allah'. Holy Qur'an (47:19). Thus the Muslims should know the Most Beautiful Names and Lofty Attributes of Allah SWT. So they can worship and Praise Him as He deserves to be venerated and praised. Knowing, Believing in, and obeying Allah SWT (true God) and believing in Allah's indivisible Oneness and Uniqueness is the first and foremost pillar of Islam. He who died knowing that "there is No 'true God' but Allah" will enter Paradise (Jannah).May this be my last word ,"Ashhadu Al La Ilaha IllAllah Wa Anna Muhammadar Rasulullah"
Last active 4 hours ago
Don't wanna be here? Send us removal request.
tawhidrisalatakhirah · 11 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশু��া এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি ���ৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্ব��াবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Al Bari Meaning
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=QzAllQjxYX8
Al Bari Meaning
আল বারী অর্থ
#Al-Bari (The Evolver, The Developer) – Allah’s Name
Al-Bari' or Bari' (Arabic: البارئ ) is one of the names of God (Arabic: Allah) in Islam, meaning "The Originator." Al-Bari' written in Arabic. In Islam, God is the originator who created life and innovated everything out of nothing.
আল বারী অর্থ
আল-বারী' বা বারী' (আরবি: البارئ) ইসলামে ঈশ্বরের (আরবি: আল্লাহ) নামগুলির মধ্যে একটি, যার অর্থ "প্রবর্তক।" আরবি ভাষায় লেখা আল-বারী। ইসলামে, ঈশ্বর হলেন প্রবর্তক যিনি জীবন সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছুকে শূন্য থেকে উদ্ভাবন করেছেন।
আল বারি অর্থ কি?
আল-বারী' বা বারী' (আরবি: البارئ ) হল ইসলামে ঈশ্বরের (আরবি: আল্লাহ ) একটি নাম, যার অর্থ "প্রবর্তক।" ইসলামে, ঈশ্বর হলেন প্রবর্তক যিনি জীবন সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছুকে শূন্য থেকে উদ্ভাবন করেছেন। আল-বারি' আরবি মূল শব্দ "BR-' থেকে উদ্ভূত, যা শূন্য থেকে কিছু অস্তিত্বে আনার ধারণা প্রকাশ করে।
আল বারি অর্থ কি?
আল-বারী' বা বারী' (আরবি: البارئ ) হল ইসলামে ঈশ্বরের (আরবি: আল্লাহ) একটি নাম, যার অর্থ " প্রবর্তক ।" আরবি ভাষায় লেখা আল-বারী। ইসলামে, ঈশ্বর হলেন প্রবর্তক যিনি জীবন সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছুকে শূন্য থেকে উদ্ভাবন করেছেন।
আল বারী অর্থ
সঠিকভাবে সৃষ্টিকারী, পরিকল্পনাকারী, নির্মাণকর্তা, বিবর্ধনকারী।
আল্লাহ তায়ালা আল বারী, সঠিকভাবে সৃষ্টিকারী,
সৃষ্টির নির্মাতা তিনি, আপন হেকমতে নির্মাণকারী।
সৃষ্টির বিবর্ধনকারী আল্লাহ, সৃষ্টি তাঁর অবারিত,
মহা উদ্ভাবনকারী তিনি, উদ্ভাবন করেন রুপায়িত।
ইয়া আল বারী! সকলই সুন্দর, যা তোমার উদ্ভাবিত,
আমার দেহের ভেতর যে প্রাণটি দিয়েছ, তাকেও রেখো উজ্জীবিত।
youtube
youtube
youtube
Al Bari Meaning
আল বারী অর্থ
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ভাল মৃত্যুর জন্য যে কাজ গুলো করবেন 
https://www.youtube.com/watch?v=znxfFRb25w4
youtube
ঈমানের সাথে  মৃত্যুর জন্য যে ১০ আমল করবেন
 
মানুষের মৃত্যু অবধারিত। এটা চির অম্লান-সত্য। ফলে জীবনের সময়টুকু পার্থিব এ জীবনের মূলধন। তাই আখিরাতের কল্যাণের কাজে যদি এ জীবন ব্যয় করা হয়, তাহলে অনিঃশেষ সফলতা।
আর যদি তা বিনষ্ট করা হয় গুনাহ ও পাপাচারে— আর এ অবস্থায় মৃত্যু হয়, তাহলে সে হবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘ঈমানদার ব্যক্তি গুনাহকে এমন মনে করে, যেন সে কোনো পাহাড়ের নিচে বসে আছে। আর যেকোনো মুহূর্তে পাহাড়টি তার ওপর ধসে পড়তে পারে।’ (বুখারি : ১১/৮৯)
অনেক মানুষ বেপরোয়াভাবে পাপাচারে লিপ্ত থাকে। একপর্যায়ে তার শেষ সময় এসে যায় এবং তার অপমৃত্যু ঘটে। যখন মৃত্যু নিকটবর্তী হয়, তখন বেশি পরিমাণে আল্লাহর রহমতের আশা করা উচিত। আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রবল হওয়া উচিত। কারণ যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতে আগ্রহী হয়, আল্লাহও তার সাক্ষাতে আগ্রহী হন। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকে যেন শুধু এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে যে সে আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করে। ’ (মুসল��ম, হাদিস : ২৮৭৭)
মৃত্যুর স্মরণ উত্তম মৃত্যুর জন্য সহায়ক
বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করলে দুনিয়ার মোহ কেটে যায় এবং আখিরাতের চিন্তা সৃষ্টি হয়। ফলে তা বান্দার মধ্যে বেশি বেশি নেক আমলের প্রেরণা সৃষ্টি করে এবং ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় অবৈধ ভোগবিলাস থেকে বিরত রাখে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘সব ভোগ-উপভোগ বিনাশকারী মৃত্যুকে তোমরা বেশি বেশি স্মরণ করো। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪০৯)
কবর মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় তার পরিণামের কথা। মৃত্যুর পর আপনজনই তো কবর খনন করে। মৃতকে অন্ধকার ঘরে শায়িত করে। মাটির নিচে রেখে ফিরে আসে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা কবর জিয়ারত করো। কারণ তা মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (মুসলিম, হাদিস : ৯৭৬)
সুন্দর মৃত্যুর জন্য করণীয় বিশেষ আমল
এক. ইবাদতের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। দুই. কোনো পাপকাজ সংঘটিত হলে দ্রুত তাওবা করা। তিন. আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম পন্থায় মৃত্যুর জন্য দোয়া করা। চার. জাহের ও বাতেন তথা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে আমলের সঙ্গে লেগে থাকা। পাঁচ. দ্বীনের ওপর অবিচল থাকা।
ছয়. আল্লাহ সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করা। সাত. তাকওয়া ও খোদাভীতি অর্জন করা। আট. বেশি বেশি তাওবা, ইস্তেগফার করা। নয়. বেশি বেশি মৃত্যুর চিন্তা করা এবং দীর্ঘ জীবনের আশা পরিত্যাগ করা। দশ. অপমৃত্যু থেকে আল্লাহর কাছে পরিত্রাণ চাওয়া।
এছাড়াও নেককার লোকদের সংস্পর্শ হৃদয়ে ঈমানি চেতনা জাগ্রত করে এবং হিম্মত ও প্রেরণা বৃদ্ধি করে। কারণ, নেককার ব্যক্তিদের ইবাদত-মগ্নতা, পুণ্যের কাজে উদ্যম ও প্রতিযোগিতা যখন অন্য মানুষ প্রত্যক্ষ করে, তখন তাদের মধ্যেও পুণ্যের পথে চলার সাহস ও প্রেরণা জাগে। একইভাবে মানুষ যখন তাদের আল্লাহমুখিতা ও দুনিয়াবিমুখতা প্রত্যক্ষ করে, তখন তাদের মনেও এই বৈশিষ্ট্য অর্জনের আগ্রহ জাগে। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের সাথে  মৃত্যুর জন্য যে ১০ আমল করবেন
ইসলামিক বিশ্বাসের সাথে মৃত্যুর জন্য 10টি কাজ
10 Deeds To Do For Death With IslamicFaith
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
যেসব আমলে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়
youtube
youtube
youtube
মানসিক বা রুহানি শক্তি বলতে সাধারণত মানুষের আত্মিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক শক্তিকে বোঝায়, যা একজন ব্যক্তিকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, আত্মা পবিত্র করা এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
মানবজীবনে রুহানি শক্তির গুরুত্ব অনেক বেশি। রুহানি শক্তি একজন মানুষকে সঠিক পথে চলতে, পাপ থেকে দূরে থাকতে এবং সৎ কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। রুহানি শক্তি বা আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে মানুষ অনেক অস্বাভাবিক কাজ করতে পারে. যা অন্য সাধারণ ১০ জন মানুষ পারে না।
নিচে কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানসিক শক্তি লাভের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি আলোচনা করা হলো—
পাক-পবিত্র থাকা
পবিত্রতা রুহানি উন্নতির মূল। নিয়মিত অজু ও গোসলের মাধ্যমে নিজেকে পবিত্র রাখা। তাহারাত ছাড়া ঈমানের আর যত শাখা-প্রশাখা আছে, যেমন—নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, জিকর, তিলাওয়াত, দান-খয়রাত ইত্যাদি, তা মানুষের আত্মাকে পবিত্র করে। আর তাহারাত দ্বারা পবিত্র হয় মানুষের দেহ।
দেহ ও আত্মার সমষ্টিই হলো মানুষ। তাহলে দেখা যাচ্ছে মানুষের অর্ধাংশ পবিত্র হয় তাহারাত দ্বারা, আর বাকি অর্ধেক অন্যান্য ইবাদত দ্বারা। এ জন্য নবীজি (সা.) বলেছেন ��ে ‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক অংশ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২৩)
আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও তাওয়াক্কুল রাখা
সৃষ্টিকর্তার প্রতি সর্বাবস্থায় পূর্ণ বিশ্বাস রাখা।
আল্লাহর ওপর ভরসা মানসিক অস্থিরতা দূর করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এ বিষয়টি সহজেই অর্জন হয় না। এর জন্য আল্লাহ তাআলার পরিচয় জানতে হয়। আল্লাহ কত মহান, তিনি কত শক্তিশালী, তাঁর সৃষ্টি কত বিস্তৃত—এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করা। আর তখনই আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসা জন্মাবে।
কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৩)
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর ওপর যথাযথভাবে তাওয়াক্কুল করো, তবে তিনি তোমাদের সেইভাবে রিজিক দান করবেন। যেমন—তিনি পাখিদের রিজিক দান করেন।’
(জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৩৪৪)
নির্জনে ইবাদত করা
নির্জনে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকা। নবীজি (সা.) হেরা গুহায় নির্জনে আল্লাহর জিকির করতেন। এবং ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। হাদিসে এসেছে, ‘এরপর নির্জনতা তাঁর কাছে প্রিয় হয়ে উঠল। তিনি হেরা গুহায় চলে যেতেন এবং পরিবার-পরিজনের কাছে আসার আগে সেখানে একনাগাড়ে কয়েক দিন পর্যন্ত বিশেষ নিয়মে ইবাদত করতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯৫৩)
ধৈর্য ধারণ করা
ধৈর্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ, যা মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি ধৈর্যশীলদের তাদের পুরস্কার পরিপূর্ণভাবে দেব, কোনো হিসাব ছাড়াই।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ১০)
ধৈর্য ধারণের সুফল উত্তম ও আলোময় হয়ে থাকে। ধৈর্যের মাধ্যমে সব রকম প্রলোভন সত্ত্বেও নিজেকে সংযত রাখা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ধৈর্য হলো আলো।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২৩)
আল্লাহর জিকির করা
আল্লাহর স্মরণ মানসিক প্রশান্তি ও শক্তি প্রদান করে। নীরবে-নিভৃতে আল্লাহ মানুষের মানসিক শক্তি জোগাতে সহায়তা করেন। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এরা সেই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের অন্তর আল্লাহর জিকিরে প্রশান্তি লাভ করে। স্মরণ রেখো, কেবল আল্লাহর জিকিরেই অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়।’
(সুরা : রাদ, আয়াত : ২৮)
আবু মুসা (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার রবের জিকির করে, আর যে ব্যক্তি জিকির করে না, তাদের দুজনের দৃষ্টান্ত হলো জীবিত ও মৃতের মতো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪০৭)
কোরআন পাঠ এবং তা নিয়ে ভাবা
কোরআন পড়া এবং তার অর্থ অনুধাবন মানসিক শক্তি বাড়ায়। আল্লাহ বলেন, ‘আমি এই কোরআনে মুমিনদের জন্য শেফা (আরোগ্য) এবং রহমত নাজিল করেছি।’
(সুরা : আল-ইসরা, আয়াত : ৮২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০২৭)
দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা
মানসিক শক্তি লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রায়ই এই দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি শক্তিশালী ঈমান, সত্যিকারের ধৈর্য ও মনের প্রশান্তি।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৮৫)
যথাসময়ে নামাজ আদায় করা
নামাজ মানসিক অস্থিরতা দূর করে এবং আত্মবিশ্বাস জোগায়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।’(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) কঠিন পরিস্থিতিতে নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চেয়েছেন। বিশেষত রাত জেগে নামাজ আদায় করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই রাত্রিকালের জাগরণ এমন, যা কঠিনভাবে প্রবৃত্তি দলন করে এবং যা কথা বলার পক্ষে উত্তম।’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ৬)
অর্থাৎ রাতে উঠে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের অভ্যাস নিজ প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণে সহজ হয়। রাতের শান্ত পরিবেশ, চারদিকে নীরবতার সময়ে তিলাওয়াত ও দোয়া সুন্দর ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায় এবং তাতে পূর্ণমাত্রায় মনোযোগও দেওয়া যায়।
দুনিয়ার চিন্তা কমিয়ে আখিরাতের প্রতি মনোযোগ দেওয়া
কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘এই দুনিয়ার জীবন তো কেবল খেলা ও মজা, কিন্তু আখিরাতের আবাসই হলো চিরস্থায়ী।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৬৪)
আখিরাতের প্রতি মনোযোগ দিলে দুনিয়ার পরীক্ষাগুলোকে সাময়িক মনে হয় এবং এই চিন্তা মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
পাপ থেকে দূরে থাকা
পাপ মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং আত্মাকে দুর্বল করে। আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার জন্য সংকীর্ণ জীবন নির্ধারিত।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সৎ লোকদের সাহচর্য
ভালো সঙ্গ মানসিক শক্তি বাড়ায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর ধর্মের ওপর চলে, তাই তুমি কাদের সঙ্গে মিশছো তা দেখে নাও।’
(জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৩৭৮)
রোজা রাখা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের চর্চা
রোজা ধৈর্য শেখায় এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ বাড়ায়। আল্লাহ বলেন, ‘রোজা তোমাদের জন্য ফরজ করা হয়েছে, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৩)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
যেসব আমলে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়
মানসিক শক্তি বৃদ্ধির আমল
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 3 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত
সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি
youtube
youtube
youtube
কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহর বাণী আল্লাহর গুণাবলির অংশ। সুতরাং আল্লাহর অন্যান্য গুণের মতো তাঁর কালাম ও বাণী চিরন্তন। কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ বা সংশয় নেই।  কোরআন আল্লাহর বাণী, তা সৃষ্ট নয়। আল্লাহর বাণী তার চিরন্তন সত্তায় ধারণকৃত গুণগুলোর একটি। ��আমি অন্তরে বিশ্বাস করি এবং মুখে সাক্ষ্য দিই যে, কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এবং তা মাখলুক নয়।’
কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আল্লাহ বলেন, ‘এই কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো রচনা নয়। পক্ষান্তরে এটার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তার সমর্থন এবং এটা বিধানগুলোর বিশদ ব্যাখ্যা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটা জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৭)
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=CrxA7EaPHUk
https://www.youtube.com/watch?v=Zp7rNZfJwmc
কোরআন তেলাওয়াতের ১০ ফজিলত
কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। কোরআন পাঠ করার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হযরত আবু উমামাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘তোমরা কুরআন মাজিদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারি হিসাবে আগমন করবে।’ (মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২)
 
মহাগ্ৰন্থ আল কোরআন এক মহান পরশপাথর। এর সংস্পর্শ সবাইকে ধন্য করে। চাই তা অধিক কোরআন তেলাওয়াত, হেফজ বা তাফসির জানার মাধ্যমে হোক। কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। এখানে ১০টি ফজিলত 
১. কোরআন তেলাওয়াতকারীদের আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্ৰহ বৃদ্ধি করবেন। 
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে ��িজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাঁরা এমন ব্যবসার আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। -(সূরা ফাত্বির, আয়াত: ২৯-৩০)
২. আল্লাহ তায়ালা কোরআন তেলাওয়াতকারীদের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি করে দেবেন। 
হাদিস শরিফে এরশাদ হচ্ছে , আমির ইবনে ওয়াসিলা আবূ তুফায়েল রা. থেকে বর্ণিত যে, নাফে' ইবন 'আবদুল হারিস রা. "উসফান" নামক স্থানে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. এর সঙ্গে মিলিত হন। ওমর রা. তাঁকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
ওমর রা. বললেন, গ্রামবাসী বেদুঈনদের জন্য তুমি কাকে স্থলাভিষিক্ত (খলিফা বানিয়েছ) করেছ? তিনি বলেন, আমি তাদের উপর ইবনে আবযা রা.-কে খলিফা বানিয়েছি।
ওমর রা. বললেন ইবনে আবযা কে? তিনি বললেন, সে আমাদের একজন আযাদকৃত গোলাম। ওমর রা. বললেন, তুমি লোকদের উপর গোলামকে খলিফা বানিয়েছ?
তিনি বললেন সে তো মহান আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াতকারী, ইলমে ফারায়েজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ 'আলিম এবং কাযী। ওমর রা. বললেন তুমি কি জান না যে, তোমাদের নবী সা. বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কিতাবের মাধ্যমে কতক গোত্রকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন আর কতককে এর দ্বারা অবনমিত করবেন? (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৮)
৩. যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তারা। 
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯)
৪. প্রতি হরফ তিলাওয়াত করলে ১০ নেকি। 
হাদিসে এরশাদ হচ্ছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
৫. কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মত। 
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু মূসা আশআরি রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত (মিষ্টি) কমলার ন্যায়, যার ঘ্রাণও উত্তম স্বাদও উত্তম। যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায়, যার কোন ঘ্রাণ নেই তবে এর স্বাদ আছে। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃটান্ত রায়হানা (ফুলের) ন্যায় যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানযালা (মাকাল) ফলের ন্যায়, যার সুঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪২৭)
৬. মৃত্যুর পরও কোরআন তেলাওয়াতকারীর লাশের মর্যাদা অনেক বেশি। 
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ‌ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদদের দুই’দুই’ জনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানতো? দু’জনের মধ্যে একজনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হবো। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাযার) নামাজও আদায় করা হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১৩৪৩)
৭. কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিবার ও কাছের মানুষ। 
হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিবার-পরিজন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তারা কারা? তিনি বললেন কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তার বিশেষ বান্দা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫)
৮. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) সম্মান করা আল্লাহ তায়ালাকে সম্মান করার সমান। 
হাদিসে এসেছে, আবু মূসা আশআরী রা.থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, (৩ব্যক্তি) ক. বয়স্ক মুসলমান, খ. কোরআনের হাফেজ যে এর অর্থের মধ্যে কোন রকম কমবেশী করে না এবং গ. ন্যায়-পরায়ণ বাদশার সম্মান করা, মহান আল্লাহকে সম্মান করার ন্যায়। (আবু দাউদ, হাদীস : ৪৮৪৩)
৯. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) কোরআনের আয়াতের সংখ্যার সমপরিমাণ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ দেওয়া হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন কিয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাক এবং উপরে চড়তে (উঠতে) থাক। তুমি তাকে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) সেখানেই হবে, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে। (আবু দাউদ, হাদীস : ১৪৬৪)
১০. কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। 
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে , জুবায়েদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ রা. বলেছেন, কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। এমন বিতর্ককারী যার বিতর্ক (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) গ্ৰহণ করা হবে। অতএব যে কোরআনকে সামনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে ও তদানুযায়ী আমল করবে)  কোরআন তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে পিছনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে না ও তদানুযায়ী আমল করবে না ) কোরআন তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। -(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১২৪)
youtube
youtube
youtube
যে সুরে মোনাজাতে মন ভরে যায়
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 5 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল ��বীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
ঈমান ও আকিদা
Faith and Creed
Aqeedah
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 5 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ। 
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে। 
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২) 
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ 
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আম��া তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ  ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি 
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি। 
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২) 
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ: 
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মহানবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কুরআনের যে সুরা দোয়া ও শেফা
কুরআনুল কারিম। যার প্রতিটি অক্ষর, শব্দ ও বাক্য ফজিলত ও বরকতে ভরপুর। এ আসমানি কিতাবের প্রথম সুরা এমনি এক ফজিলত ও বরকতময় সুরা। যা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরত্বপূর্ণ দোয়া ও রোগ থেকে মুক্তির শেফা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভের একেবারেই প্রথম দিকে পুরো সুরাটি একসঙ্গে নাজিল হয়। যে সুরা পড়া ছাড়া মুমিনের নামাজ হয় না। এ সুরাটি পবিত্র কুরআনের ভূমিকাও বটে।
মুমিন মুসলমানের জন্য এ সুরাটি হচ্ছে দোয়া। যে কোনো ব্যক্তিই কুরআন পড়া শুরু করলে আল্লাহ তাআলা তাকে প্রথমেই এ দোয়াটিই শিখিয়ে দেন। আর এ কারণে সুরাটিকে কুরআনুল কারিমের প্রথম সুরা হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে।
মানুষের যে জিনিসের আকাঙ্খা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে জিনিস লাভের প্রার্থনাই বেশি করে থাকে। দুনিয়াতে মানুষের সবচেয়ে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাহলো হেদায়েত ও সঠিক পথ পাওয়া। আর তা পেতে হলে প্রয়োজন কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়া। কুরআনের নেয়ামত লাভের দোয়াই হলো এ সুরা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা ফাতিহার তেলাওয়াত ও আমলের মাধ্যমে অসুস্থতা ও সমস্যা থেকে মুক্তির পাশাপাশি সুরাটি যাবতীয় ফজিলত ও বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। সুরার হক অনুযায়ী ইবাদত ও সাহায্য প্রার্থনার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কিয়ামতের দিন যে দোয়ার ওজন সবচেয়ে ভারী হবে
The Dua that will Weight the Heaviest on the Day of Judgment
রাসুল (সা.) উম্মতকে অসংখ্য দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি এমনকিছু আমলের কথা বলেছেন যা আকারে খুবই কম ও সংক্ষিপ্ত হলেও এর সওয়াব অনেক বেশি। নিম্নে এমন একটি উল্লেখ করা হলো- 
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি, ওয়ারিদা নাফসিহি, ওয়াজিনাতা আরশিহি, ওয়ামিদাদা কালিমাতিহি।
অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা সমপরিমাণ, মহান সত্ত্বার সন্তুষ্টির পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর বাক্যগুলোর কালির পরিমাণ।
হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) উম্মুল মুমিনিন জুয়াইরিয়া (রা.)-এর ঘর থেকে বের হন। তখন জুয়াইরিয়া (রা.) নিজের নামাজের স্থানে ছিলেন। অতঃপর রাসুল (সা.) ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন।
অতঃপর রাসুল (সা.) আবার বের হন এবং আবার ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন। তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি কি এখনো তোমার নামাজের স্থানে রয়েছ!’
জুয়াইরিয়া (রা.) বলেন, হ্যাঁ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমার স্থান থেকে গিয়ে চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি।
এ সময়ে তুমি যা পড়েছ তার সঙ্গে ওইসব বাক্যের ওজন করা হলে তাই ভারি হবে।’ অতঃপর তিনি দোয়াটি পড়েন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৩) 
নবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 8 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Al Khaliq Meaning
The Creator
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
Al-Khaliq or Khaliq (Arabic: الخالق) is one of the names of God (Arabic:Allah) in Islam, meaning "The Creator." This name shows that Allah is the one who, from nothing, created everything in existence. Al-Khaliq written in Arabic.
আল খালিক অর্থ
সৃষ্টিকর্তা
আল-খালিক বা খালিক (আরবি: الخالق) ইসলামে ঈশ্বরের (আরবি:আল্লাহ) একটি নাম, যার অর্থ "স্রষ্টা।" এই নামটি দেখায় যে আল্লাহই তিনি, যিনি কিছুই থেকে, অস্তিত্বের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। আরবি ভাষায় লেখা আল-খালিক।
Al Khaliq Meaning
আল খালিক অর্থ
অর্থঃ সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টিকারী
��ৃষ্টিকর্তা
আল-খালিক বা খালিক (আরবি: الخالق) ইসলামে ঈশ্বরের (আরবি:আল্লাহ) একটি নাম, যার অর্থ "স্রষ্টা।" এই নামটি দেখায় যে আল্লাহই তিনি, যিনি কিছুই থেকে, অস্তিত্বের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। আরবি ভাষায় লেখা আল-খালিক।
আল-খালিক, আল-বারী, আল-মুসাওয়ির হলেন যিনি সমস্ত সৃষ্টিজগত সৃজন করেছেন, তিনি পূর্ব আকৃতি ব্যতীত এগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর হিকমত অনুসারে তিনি সেগুলোকে সুবিন্যস্ত ও সুকাঠামো গঠন করেছেন, তিনি তাঁর প্রজ্ঞা অনুসারে সৃষ্টিজগতকে আকৃতি দান করেন যখন তারা অস্তিত্বে ছিল না। তিনি এ মহান গুণে সর্বদা ছিলেন ও থাকবেন।
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
youtube
youtube
youtube
youtube
Al Khaliq Meaning
আল খালিক অর্থ
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 8 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মানুষের দ্বিমুখী চরিত্র
youtube
youtube
youtube
মুনাফিক কাকে বলে
মুনাফিক (আরবিতে: منافق, বহুবচন মুনাফিকুন) একটি ইসলামি পরিভাষা যার অর্থ একজন প্রতারক বা "ভন্ড ধার্মিক" ব্যক্তি। যে প্রকাশ্যে ইসলাম চর্চা করে; কিন্তু গোপনে অন্তরে কুফরী বা ইসলামের প্রতি অবিশ্বাস লালন করে। আর এ ধরনের প্রতারণাকে বলা হয় নিফাক (আরবি: نفاق)।
মানুষের দ্বিমুখী চরিত্র নিয়ে কোরআনের ১০ আয়াত
বিপদে পড়লে মানুষ আল্লাহকে ডাকে। আর বিপদ চলে গেলে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়। দ্রুত সে অবস্থান বদল করে। অবস্থান বদল মানবচরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
যখন মানুষ বিপদে পড়ে এক রকম কথা বলে, আবার বিপদ মুক্ত হলে তার আসল চরিত্র প্রকাশ পায়। মানুষের এই দ্বিমুখী চরিত্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত আছে। এখানে ১০টি আয়াত
এক. আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে (মানুষ) যখন বিপদে পড়ে, তখন খুব হা-হুতাশ করে। আর যখন বিপদ কেটে যায়, তখন কৃপণ হয়ে যায়।
’ (সুরা : মাআরিজ, আয়াত : ২০-২১)
দুই. আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সাগরের মাঝখানে যখন তোমরা বিপদে পড়ো, তখন তোমরা (স্বাভাবিক অবস্থায়) আল্লাহ ছাড়া যাদের ডাকো তাদের ভুলে যাও। তারপর যখন আল্লাহ তোমাদের স্থলে (সৈকতে) এনে উদ্ধার করেন, তখন তোমরা (আল্লাহর দিক থেকে) মুখ ফিরিয়ে নাও।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ৬৭)
তিন. আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে, তখন সে শুয়ে-বসে-দাঁড়িয়ে আমাকে (আল্লাহকে) ডাকতে থাকে। তারপর আমি যখন তার দুঃখ-দৈন্য দূর করে দিই, তখন মানুষ এমন ভাব করে যেন সে আপতিত দুঃখ-কষ্টের জন্য কখনোই আমাকে ডাকেনি।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ১২)
চার. আল্লাহ তাআলা বলেন, “যদি দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর আমি তাকে সুখ ভোগ করাই, তখন সে বলতে থাকে, ‘আমার বিপদ দূর হয়ে গেছে।’ তখন সে উত্ফুল্ল ও অহংকারী হয়ে যায়।” (সুরা : হুদ, আয়াত : ১০)
পাঁচ. আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন সাগরের ঢেউ মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে ঢেকে ফেলে, তখন মানুষ আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। কিন্তু যখন (আল্লাহ) তাদের সৈকতে ফিরিয়ে এনে উদ্ধার করেন, তখন দেখা যায় (বেশির ভাগ মানুষ অকৃতজ্ঞ) কোনো কোনো মানুষ সরলপথে থাকে।’ (সুরা : লোকমান, আয়াত : ৩২)
ছয়. আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে, তখন সে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকতে থাকে।
এরপর আল্লাহ যখন তাকে দয়া করেন, তখন মানুষ ভুলে যায় যে বিপদে পড়ে সে এর আগে আল্লাহকে ডেকেছিল।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৮)
সাত. আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষকে বিপদ-আপদ স্পর্শ করলে সে আমাকে (আল্লাহকে) ডাকে। যখন আল্লাহর অনুগ্রহে কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করে, তখন (মানুষ) বলতে থাকে, সে নিজের চেষ্টায় এ থেকে মুক্তি পেয়েছে।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৪৯)
আট. আল্লাহ তাআলা বলেন, “দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যখন আমি তাকে দয়া করে সুখের স্বাদ দিই, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘এটা তো আমার প্রাপ্যই ছিল। আমি তো মনে করি না কিয়ামত বলে কিছু আছে।’...আবার যখন মানুষ বিপদে-আপদে অমঙ্গলে পড়ে যায়, তখন সে দীর্ঘ প্রার্থনায় বসে যায়।” (সুরা : হা-মিম-সাজদা, আয়াত : ৫০-৫১)
নয়. আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ওরা (মানুষ) যখন পানিপথে চলতে থাকে, তখন পবিত্র মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। আর আমি (আল্লাহ) যখন তাদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিই, তখন মানুষ শিরক করা শুরু করে।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৬৫)
দশ. আল্লাহ তাআলা বলেন, “আল্লাহ যখন মানুষকে দয়া ও সম্মানিত করেন, তখন মানুষ বলে, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে সম্মানিত করেছেন।’ আর যখন আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য উপকরণ কমিয়ে দেন, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘আল্লাহ আমাকে হেয় করেছেন।” (সুরা : ফাজর, আয়াত : ১৫-১৬)
এভাবেই মানুষ নিজের প্রয়োজন অনুসারে সুবিধাবাদী চরিত্র ধারণ করে।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
মানুষের দ্বিমুখী চরিত্র নিয়ে কোরআনের ১০ আয়াত
The Dual Nature of Human Character
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 9 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়
youtube
youtube
youtube
রাগ দমনে যেসব আমল খুবই কার্যকরী
আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা
অজু করা
চুপ থাকা
তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। ( মুসনাদে আহমাদ) মাটিতে শুয়ে পড়া
দোয়া করা
রাগ নিয়ন্ত্রণের ৭ উপায়
রাগ যদি খুব বেড়ে যায়, তবে রাগের পাগলা ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কয়েকটি বাস্তবসম্মত পরীক্ষিত পদ্ধতি আছে। এগুলো মেনে চললে ধীরে ধীড়ে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কিন্তু যে সব মানুষ খুব তাড়াতাড়ি রাগ করে অথবা যারা খুব রাগী তারা কিভাবে তার রাগ কমাবেন?
সব রাগ খারাপ নয়। কখনো কখনো রাগ প্রশংসনীয় আর কখনো নিন্দনীয়। যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে রাগ করা হয় এবং অন্যায় ও হারাম কাজ প্রতিরোধে রাগ ব্যবহার করা হয় তাহলে তা প্রশংসনীয়। বরং অন্যায় দেখে মনে রাগ সৃষ্টি হওয়া মজবুত ঈমানের আলামত। পক্ষান্তরে ব্যক্তিগত স্বার্থে বা দুনিয়াবী ছোট-খাটো বিষয়ে রাগ করা নিন্দনীয়। নিন্দনীয় রাগ দমনের কতিপয় উপায়
১. দোয়া করা
আল্লাহই সকল বিষয়ের তাওফিক দাতা, সঠিক পথে পরিচালনাকারী, দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ তাঁর হাতেই। আত্মা বিনষ্টকারী যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য তিনিই একমাত্র উত্তম সাহায্যকারী। তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফের : আয়াত ৬০)
তাই কঠিন রাগের সময় আল্লাহর সাহায্য চাইলে তিনি বান্দাকে সাহায্য করবেন।
২. অধিক হারে আল্লাহর জিকির করা
 যেমন কুরআন পাঠ, তাসবীহ, তাহলীল পাঠ, ইস্তিগফার ইত্যাদি করা। কেননা মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, একমাত্র তাঁর জিকিরই অন্তরে প্রশান্তি আনতে পারে। তিনি বলেন, “জেনে রাখ আল্লাহ্‌র জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে।” [সূরা রা’দঃ ২৮]
৩. শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
আউজুবিল্লাহিমিনাশ শায়ত্বনির রাজীম (اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرّجِيْم) বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, পাঠ করা। হজরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,একদিন দু’জন লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে পরষ্পরকে গালিগালাজ করছিল। তদের একজন রেগে উঠেছিল। তার ক্রোধ এত অধিক হয়েছিল যে,তার ঘাড়ের রগগুলো ফুলে উঠছিল এবং তার বর্ণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। তার এই অবস্থা দেখে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি এমন একটি বাক্য জানি, লোকটি তা বললে তার রাগ দুর হয়ে যাবে। এক ব্যক্তি তার কাছে এগিয়ে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা তাকে জানালো। বলল, তুমি শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। সে বলল, আমার মধ্যে কি অসুবিধা দেখেছ? আমি কি পাগল নাকি? তুমি যাও এখান থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. অবস্থান পরিবর্তন করা
যদি দাঁড়ানো অবস্থায় থাকে তবে বসে পড়বে বা শুয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রেগে যায় তবে সে যদি দণ্ডায়মান থাকে তাহলে বসে পড়বে। তাতেও যদি রাগ না থামে তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
৫. সঠিকভাবে দেহের হক আদায় করা
প্রয়োজনীয় ঘুম ও বিশ্রাম গ্রহণ করা, সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ না করা, অযথা উত্তেজিত না হওয়া। ক্রুদ্ধ ব্যক্তিদের ক্রোধের কারণ খুঁজতে গিয়ে অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যেই এ কারণগুলো পাওয়া গেছে -অধিক পরিশ্রমের কাজ করা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, ক্ষুধা ইত্যাদি।
আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামআব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামনেবে। কারণ-
 তোমার উপরে তোমার শরীরের হক রয়েছে,
তোমার চোখের হক রয়েছে,
 তোমার উপরে তোমার স্ত্রীর হক রয়েছে,
তোমার জন্য প্রতিমাসে তিন দিন রোযা রাখাই যথেষ্ট। এতে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব রয়েছে। কেননা প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব দশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমি আমার নিজের উপর কঠোরতা আরোপ করলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো একাধারে রোজা রাখতে এবং রাতের বেলা নামাজ পড়তে সক্ষম। আব্দুল্লাহ বিন আমর বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয়ে বললেন, হায় আফসোস! আমি যদি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ মেনে নিতাম, তাহলে কতইনা ভাল হতো। (মুসলিম)
৬. রাগের যাবতীয় কারণ থেকে দূরে থাকা।
৭. রাগের সময় চুপ থাকা
 হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা শিক্ষা প্রদান কর, মানুষের উপর সহজ কর, কঠোরতা আরোপ করোনা, তোমাদের কেউ রাগন্বিত হয়ে গেলে সে যেন চুপ থাকে।’ (মুসনাদ, জামে)
রাগ নিয়ন্ত্রণকারীর মর্যাদা অনেক বেশি। তাই যে সকল আয়াত ও হাদিস রাগ সংবরণ করার উৎসাহ দেয় সেগুলো এবং যেগুলো ক্রোধের ভয়বহতা সম্পর্কে সর্কত করে সেগুলো মনে করা এবং ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করা। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বীয় ক্রোধকে সংবরণ করে, অথচ সে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম ছিল, তাকে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের ময়দানে সকল মানুষের সামনে আহবান করবেন। এরপর ��ান্নাতের আনত নয়না হুর থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে স্বাধীনতা দেবেন এবং তার ইচ্ছানুযায়ী তাদের সাথে তার বিবাহ দিয়ে দেবেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
রাগ নিয়ন্ত্রন করা
Controlling Anger
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 10 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামই শান্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ
ইসলাম আল্লাহুর মনোনীত একমাত্র দ্বীন
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
মানসিক অশান্তি ও অবসাদ মানব জীবনের একটি বড়ো সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেক অমুসলিমও ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। কারণ ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম ও শান্তির আলয়। ইসলামে রয়েছে এমন কিছু বিশ্বাস ও আমল যা মানসিক প্রশান্তি লাভে অত্যন্ত কার্যকর। এমন পাঁচটি বিষয়
এক. একত্ববাদে বিশ্বাস: যুক্তরাষ্ট্রের সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে জার্মানির ম্যান হেইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিস্ট ড. লরা ম্যারি এডিনগার-স্কন্স কর্তৃক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেই গবেষণায় উঠে এসেছে যে, মুসলিমরাই এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী। কারণ মুসলিমরা একজন সৃষ্টিকর্তার ওপর পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে জীবন পরিচালনা করেন। মুসলিমরা তকদির বা ভাগ্যে বিশ্বাস করেন। ফলে অল্পতেই তারা সন্তুষ্টি ও পরিতৃপ্তি বোধ করেন।
মুসলিমদের মনে আল্লাহর ভয় থাকে বদ্ধমূল। ফলে তারা বহুবিধ পাপাচার থেকে বিরত থাকেন। আল্লাহর একত্ববাদ আর আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস মুসলিমদেরকে প্রভাবিত করায় হতাশা ও উদ্বেগ তাদেরকে খুব বেশি গ্রাস করতে পারে না। গবেষণার বিশ্লেষণে দেখা যায়, অতি মাত্রায় একত্ববাদে বিশ্বাস বিষণ্ণতা, মাদক���্রব্যের অপব্যবহার ও আত্মহত্যার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ধর্ম ও সুখের সঙ্গে একটি ইতিবাচক সংযোগ আছে।
দুই. কোরআন অধ্যয়ন: কোরআন তেলাওয়াত। অধ্যয়নের মাধ্যমেও হৃদয়ে প্রশান্তি আসে। কোরআন মাজিদ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি কোরআনে এমন বিষয় নাজিল করি যা সকল রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।’ (সূরা বানি ইসরাঈল, আয়াত ৮২)।
ইতালির বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ৩৮ বছর বয়স্ক রোকসানা ইলিনা নেগ্রা ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন করেছি। যতই পড়েছি ততই আমি মুগ্ধ হয়েছি। এই মুগ্ধতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি মনোবিজ্ঞানের ছাত্র। আমি সবসময় প্রশান্তির জন্য, অসুস্থতা থেকে নিরাময়ের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা ও গবেষণা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ! আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি—ইসলামেই রয়েছে সবকিছুর সঠিক সমাধান।’
তিন. নামাজ আদায়: নামাজ আদায়ের ব্যাপারে রোকসানা ইলিনা নেগ্রা বলেন, ‘ইসলামের প্রধান ইবাদত নামাজ অনুশীলন দুনিয়াতে প্রশান্তি লাভের অন্যতম সেরা মাধ্যম।’ (প্রাগুক্ত)। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মানুষের অন্তরে প্রশান্তি আসে। নামাজ আদায়কারীরা মানসিক অশান্তি থেকে নিরাপদ থাকে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে ভীরুরূপে। যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে হা-হুতাশ করে। আর যখন কল্যাণপ্রাপ্ত হয়, তখন কৃপণ হয়ে যায়। তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামাজ আদায়কারী। যারা তাদের নামাজে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।’ (সূরা মায়ারিজ, আয়াত ১৮-২৩)।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতেন বেলাল (রা) কে বলতেন, ‘নামাজের ইকামত দাও, এর মাধ্যমে আমাকে প্রশান্তি দাও।’ আবু দাউদ, হা/৪৯৮৫। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পেরেশান হতেন নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। আবু দাউদ, হা/১৩১৯।
চার. আল্লাহর স্মরণ: পরিপূর্ণ মানসিক প্রশান্তি লাভ ও সবরকম মানসিক উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করা। আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি এবং হৃদয়ের পরিতৃপ্তি অর্জিত হয়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ইমান আনে ও আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণেই শুধু হৃদয় প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ, আয়াত ২৮)
পাঁচ. আল্লাহর ওপর তাওয়াককুল বা নির্ভরতা: একজন ইমানদার আল্লাহ তায়ালার ওপর এই বিশ্বাস রাখে যে, সর্ববিষয়ে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।’(সূরা তালাক, আয়াত ৩) আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা ও পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস স্থাপনে তার মনোবল বেড়ে যায়। ফলে সে অন্তরে খুঁজে পায় এক অনাবিল সুখ ও পরিতৃপ্তি।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামই শান্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ
ইসলাম আল্লাহুর মনোনীত একমাত্র দ্বীন
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 10 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা কি জায়েজ? মজুদকারীদের পরিণতি এত ভয়ংকর?
youtube
youtube
youtube
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা
খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখা অথবা তা বাজার থেকে তুলে নিয়ে দাম বাড়ানো ইসলামে অবৈধ। হানাফি মাজহাব মতে মাকরূহে তাহরিমি (হারাম সমতুল্য) হলেও অন্যান্য মাজহাব মতে এটি হারাম। এ ধরনের কাজে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়।
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
অবৈধ মজুদদারের ওপর আল্লাহর অভিশাপ
মজুদদারি হলো গুটিকয়েক মজুদদারের হাতে নিত্যপ্রয়��জনীয় খাদ্যসামগ্রী গচ্ছিত থাকা এবং তাদের ইচ্ছামতো মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি করা। এটি অমানবিক, নৈতিকতাবিবর্জিত নিষিদ্ধ কাজ। ইসলাম মুনাফার উদ্দেশ্যে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করাকে হারাম করেছে। এটি ইসলাম কর্তৃক খাদ্যদ্রব্য সুষম বণ্টনের একটি উজ্জ্বল দিক।
মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রতি খেয়াল রাখা ইসলামের অন্যতম মৌলিক আদেশ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কল্যাণকামিতাই ধর্ম।’ সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, কার জন্য, হে আল্লাহর রাসুল! নবীজি বলেন, ‘আল্লাহ, রাসুল, মুসলিম নেতা এবং সর্বসাধারণের জন্য।’ (আবু দাউদ : ৪৯৪৪)
মজুদদারির বিধান
ইসলামে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা নিষিদ্ধ। বেশি মূল্যে খাদ্য বিক্রির মানসে খাদ্যদ্রব্যের বাজারমূল্য কম থাকা অবস্থায় ক্রয় করে গুদামজাত করা এবং অত্যধিক প্রয়োজনের সময় উচ্চমূল্যে তা বিক্রয় করা—সব ইসলামী আইনজ্ঞের কাছে তা হারাম। (আল-ফিকহুল মুয়াসসার ৬ : ৪৫)
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জনসাধারণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এমন হীন কর্মে যারা যুক্ত তারাই অবৈধ মজুদদারি। এমন মজুদদারি নিষিদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম সাধারণ জনগণকে সার্বিক ক্ষতি থেকে হেফাজত করেছে।
যেসব পণ্য মজুদ করা নিষিদ্ধ
সমাজের বণিক, ধনী, দুস্থ, অসহায় সব শ্রেণির মানুষের খাদ্যসামগ্রীর অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ইসলাম খাদ্যের অবৈধ মজুদ নিষিদ্ধ করেছে। মানুষের দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, খাদ্যসংশ্লিষ্ট গুরুত্বগূর্ণ উপাদান, উপকরণ, খাদ্যশস্য ইত্যাদি চড়াদামে বিক্রির ইচ্ছায় মজুদ করা হারাম। (আল-জামে লি-উলুমি ইমাম আহমাদ ৯ : ১৫৯) 
মজুদদাররা আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত
দুনিয়ার কেউই আল্লাহর বিরাগভাজন হতে চায় না। চায় না অভিশপ্ত হতে। কারণ যার প্রতি আল্লাহর অভিশম্পাত তার ধ্বংস অনস্বীকার্য।
তার পরও মানুষ এমন কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে, ধ্বংসই যার সুনিশ্চিত পরিণাম। অবৈধ খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা তেমনি একটি কাজ, যা মানুষকে লানতপ্রাপ্ত বানায়। মজুদদারের প্রতি নবীজি অভিসম্পাত করেছেন। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমদানিকারক রিজিকপ্রাপ্ত আর মজুদদাররা লানতপ্রাপ্ত, অভিশপ্ত।’ (মুসনাদে দারেমি : ২৫৮৬)
মজুদদার ব্যক্তির প্রতি দুনিয়াবি গজব
অধিক লাভের জন্য অসদুপায়ে পণ্য মজুদ রাখা ইসলামে ঘৃণিত ও নিষিদ্ধ কাজ। এর কারণে মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর হয়, বিশেষত গরিব, অসহায় লোকেরা নিগৃহের স্বীকার হয়। নবীজি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলমানদের খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে আল্লাহ তাকে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত করবেন অথবা দেউলিয়া বানাবেন।’ (আল মুন্তাখাবুল আদাবি : ১৭)
যারা মজুদদার তারা নবীজি কর্তৃক চিহ্নিত পাপিষ্ঠ। নবীজি বলেছেন, ‘পাপিষ্ঠ  ছাড়া কেউ মজুদদার হতে পারে না।’ (মুসলিম : ১২২৮)
লাভ-ক্ষতির সম্ভাবনায় পণ্য মজুদ রাখার বিধান
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের ছেলে আবুল ফজল সালেহ বলেন, আমি আমার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম। একজন ব্যক্তি বসরা থেকে খেজুর ক্রয় করে বাগদাদ অথবা আমাদের মক্কা-মদিনার কোনো একটি শহরে বিক্রির জন্য এলো। সেখানে এসে দেখল, খেজুরের দামে দরপতন হয়েছে। এ অবস্থায় সে ক্ষতি করে বিক্রি করতে চাচ্ছে না। এখন যদি সে এই খেজুরগুলো গুদামজাত করে তবে কি সে অবৈধ মজুদকারী হিসেবে গণ্য হবে? জবাবে ইমাম আহমাদ (রহ.) বলেন, আশা করি সে অবৈধ মজুদকারী হবে না। (মাসায়েলুল ইমাম আহমাদ ২ : ২৩৭)।
পরিবারের সদস্যদের জন্য মজুদ করা
যে ব্যক্তি নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য এবং গৃহপালিত পশুর জন্য এক কিংবা দুই বছরের খাদ্য মজুদ রাখে তাহলে সে অবৈধ মজুদদার বলে বিবেচিত হবে না। ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, নবীজি তাঁর পরিবারের জন্য এক বছরের খাবার সংরক্ষণ করেছিলেন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=KYYY92ZjR2I
https://www.youtube.com/watch?v=GqMrhbeALaQ
 
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
মজুতদারের উপর আল্লাহর লানত
Allah's Curse on the Hoarder
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 11 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শয়তান থেকে রক্ষার ১০টি উপায়
10 Ways to Protect Yourself From Satan
শয়তানের আক্রমণ থেকে যেভাবে সাবধান থাকবেন
youtube
youtube
youtube
শয়তানের যেকোনো মন্দ প্ররোচনা নিজেকে রক্ষা করতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। তিনিই আমাদের পরম রক্ষাকর্তা। এ কারণে পড়তে হবে, 'আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতুয়ানির রাজিম; মিনহামজিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফছিহি। ' অর্থাৎ, আমি আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা ও ফুৎকার থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচার ১০ উপায়
শয়তান মানুষের চির শত্রু। মানুষ সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই মানুষের প্রতি তার এ শত্রুতা ও অনিষ্টতা চলমান। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে নানাভাবে সে মানুষকে ক্ষতি করে। ঈমান-আমল নষ্ট করার পাশাপাশি মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনেও সমস্যা তৈরি করে।
আবার জাদু-টোনার মাধ্যমে কিছু বিভ্রান্ত মানুষ অন্যের শারীরিক, মানসিক ও সাংসারিক ক্ষতি সাধনেও এই শয়তানকে ব্যবহার করে থাকে। তাই শয়তানের সামগ্রিক কুপ্রভাব থেকে বেঁচে থাকা আমাদের সবার জন্যই জরুরি। এ লেখায় কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিকোণ থেকে শয়তানের অনিষ্টতা থেকে রক্ষার ১০টি পন্থা তুলে ধরা হলো
1. আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা
মানুষকে ক্ষতি করতে শয়তান সার্বক্ষণিক মুখিয়ে থাকে। তাই বৈধ যেকোনো কাজ ও ইবাদতের শুরুতে আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শয়তানের কুমন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’ (সুরা: আরাফ, আয়াত:২০০)
কোরআন ও হাদিসে বেশ কিছু জায়গার ক্ষেত্রে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে কোরআন তিলাওয়াতের শুরুতে, মসজিদে প্রবেশের আগে, স্ত্রী সহবাসের আগে, রাগ নিয়ন্ত্রণে, খারাপ স্বপ্ন দেখলে, পায়খানা-প্রস্রাবখানায় প্রবেশের সময়, ঘর থেকে বের হওয়ার সময়, কাউকে বিদায় দিতে ও বদ নজর থেকে মুক্তি পেতে।
2. কোরআন তিলাওয়াত করা
কোরআন তিলাওয়াত শুনলে শয়তান পালিয়ে যায়।
যে ঘরে কোরআন তিলাওয়াত হয়, ওই ঘরে শয়তান প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। বিশেষ করে সুরা বাকারা ও আয়াতুল কুরসি শয়তানের কুপ্রভাব থেকে ঘর ও ব্যক্তিকে রক্ষা করে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের ঘরবাড়িগুলো (আমলশূন্য রেখে) কবরে পরিণত কোরো না। অবশ্যই যে বাড়িতে সুরা বাকারা পাঠ করা হয়, সে বাড়ি থেকে শয়তান পলায়ন করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭৮০)
আয়াতুল কুরসির ব্যাপারে নবীজি বলেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)
3. ইবাদতে ইখলাস অবলম্বন করা
কেবল আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার আদেশ-নিষেধ যথাযথ পালন করার নাম ইখলাস। ইখলাস অবলম্বনকারীকে শয়তান প্ররোচিত করতে পারে না। পবিত্র কোরআনে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে শয়তানের প্রতিজ্ঞা এভাবে বিবৃত হয়েছে, ‘সে (শয়তান) বলল, হে আমার পালনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করব। তাদের মধ্যে আপনার ইখলাস অবলম্বনকারী বান্দারা এর ব্যতিক্রম।’ (সুরা: হিজর, আয়াত : ৩৯-৪০) সুতরাং দুনিয়া ও আখিরাতে শয়তানের চক্রান্ত থেকে রক্ষা পেতে হলে আমল ও ইবাদতে ইখলাস অবলম্বন করতে হবে।
4. ফজরের নামাজ আদায় করা
কষ্টসাধ্য ফজিলতপূর্ণ নামাজ হলো ফজর। রাত শেষে দিনের শুরুতে আল্লাহ তাআলার মহান এই হুকুম যে পালন করে সে শয়তানি প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকে। কারণ ফজরের নামাজের মাধ্যমে শয়তানকে দিনের শুরুতেই পরাজিত করে ফেলা হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন শয়তান তার ঘাড়ের পশ্চাদংশে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিঁটে সে এ বলে চাপড়ায়, তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি শুয়ে থাকো। অতঃপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে একটি গিঁট খুলে যায়, অজু করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়, অতঃপর সালাত আদায় করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার প্রভাত হয় উত্ফুল্ল মনে ও অনাবিলচিত্তে। অন্যথায় সে সকালে উঠে কলুষ কালিমা ও আলস্য নিয়ে।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৪২)
5. যথাসম্ভব একাকী না থাকা
একাকী থাকা ব্যক্তিকে শয়তান নানাভাবে প্ররোচিত করতে পারে। তাই ইসলামে জামাতে নামাজ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে গ্রামে বা প্রান্তরে তিনজন লোকও অবস্থান করে অথচ তারা জামাত কায়েম করে নামাজ আদায় করে না, তাদের ওপর শয়তান সওয়ার হয়ে যায়। কাজেই জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কারণ দলত্যাগী বকরিকে বাঘে ধরে খায়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৪৭)
সফর অবস্থায় কমপক্ষে তিনজনের সংঘবদ্ধ থাকার কথা উল্লেখ করে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজন আরোহী হচ্ছে একটি শয়তান (শয়তানের মতো), দুজন আরোহী দুটি শয়তান, আর তিনজন আরোহী হচ্ছে কাফেলা।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৬৭৪)
6 সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ করা
যারা আল্লাহকে স্মরণ করে শয়তান তাদের কাছে আসতে পারে না। মানুষ যখন আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন থাকে, তখন শয়তান তার সঙ্গী হয়ে যায়। তাই সর্বদা তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করার পাশাপাশি আল্লাহকে স্মরণ রাখার যেকোনো পন্থা অবলম্বন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্য এক শয়তান নিয়োজিত করে দিই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। শয়তানরাই মানুষকে সৎ পথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে তারা সৎ পথেই আছে।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩৬-৩৭)
7. যথাসম্ভব হাই রোধ করা
হাই তুললে শয়তান হাসতে থাকে এবং মুখ দিয়ে মানুষের ভেতরে প্রবেশ করে খুব সহজেই প্ররোচিত করে ফেলতে পারে। তাই শয়তানের প্ররোচনা ও কুপ্রভাব থেকে রক্ষা পেতে হলে যথাসম্ভব হাই রোধ করতে হবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হাই আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। সুতরাং কারো যখন হাই আসে, সে যেন তা প্রতিহত করতে চেষ্টা করে। কারণ কেউ যদি হাই তুলে ‘হা’ বলে, তবে শয়তান তা দেখে হাসতে থাকে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬২২৩)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘তোমাদের কারো যদি হাই আসে, তবে তার হাত দিয়ে যেন মুখ চেপে ধরে। কারণ শয়তান ভেতরে প্রবেশ করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৯৫)
8 ঘরে প্রবেশ ও প্রস্থানে আল্লাহর নাম নেওয়া
ঘরে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করা। এতে শয়তান থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশকালে আল্লাহর নাম স্মরণ করলে শয়তান তার সঙ্গীদের বলে, ‘তোমাদের রাত যাপন ও রাতের আহারের কোনো ব্যবস্থা হলো না।’ কিন্তু কোনো ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশকালে আল্লাহকে স্মরণ না করলে শয়তান বলে, ‘তোমরা রাত যাপনের জায়গা পেয়ে গেলে। সে আহারের সময় আল্লাহকে স্মরণ না করলে শয়তান বলে, তোমাদের রাতের আহারের ও শয্যা গ্রহণের ব্যবস্থা হয়ে গেল।’ (মুসলিম, হাদিস : ২০১৮)
 বিসমিল্লাহ বলে ডান হাতে খাবার খাওয়া
যে খাবারে বিসমিল্লাহ পড়া হয় না সে খাবারে শয়তান অংশ নেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শয়তান সেই খাদ্যকে নিজের জন্য হালাল করে নেয়, যাতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা হয় না।’ (মিশকাত, হাদিস : ৪১৬১)
শয়তান তার কাজকর্মে বাম হাতকে প্রাধান্য দেয় তাই পানাহারসহ যেকোনো বৈধ কাজে ডান হাত ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন নবীজি (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার ডান হাত দ্বারা পানাহার করে এবং ডান হাত দ্বারা আদান-প্রদান ��রে। কেননা শয়তান বাম হাত দ্বারা পানাহার করে এবং বাম হাত দ্বারাই আদান-প্রদান করে।’ (সিলসিলা সহিহাহ, হাদিস : ১২৩৬)
 রাত্রিকালীন করণীয় ও সচেতনতা
শয়তান রাতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। শয়তানের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা পেতে হলে রাত্রিকালীন কিছু করণীয় ও সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন রাতের আঁধার নেমে আসে অথবা যখন সন্ধ্যা হয়, তখন তোমাদের শিশুদের (বাইরে যাওয়া থেকে) আটকে রাখো। কারণ এ সময় শয়তান ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাতের কিছু সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তাদের ছেড়ে দাও এবং ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ঘরের দরজাসমূহ বন্ধ করো। কারণ শয়তান বদ্ধদ্বার খুলতে পারে না। আর ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে তোমাদের মশকগুলোর (চামড়ার তৈরি পানির পাত্রবিশেষ) মুখ বন্ধ করো এবং ‘বিসমিল্লাহ’ বলে তোমাদের পাত্রগুলোও ঢেকে রাখো। (ঢাকার কিছু না পেলে) কোনো কিছু আড়াআড়িভাবে হলেও পাত্রের ওপর রেখে দাও। (আর ঘুমানোর সময়) বাতিগুলো নিভিয়ে দাও।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬২৩)
আল্লাহ তায়ালা শয়তানের প্ররোচনা ও অনিষ্টতা থেকে আমাদের বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
শয়তানের আক্রমণ থেকে সাবধান
আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 12 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের একেকটি বাণী প্রচারের গুরুদায়িত্ব
youtube
youtube
ইসলামের বাণী প্রচারের গুরুদায়িত্ব
ইসলামের একেকটি বাণী অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়া সব মুসলমানের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব কোরআন ও সুন্নাহর পক্ষ থেকে প্রত্যেক মুসলমানের ওপর অর্পিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতএব যে আমার শাস্তিকে ভয় করে তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দাও।’ (সুরা কাফ, আয়াত : ৪৫)
হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) বলেন,  ‘আমার পক্ষ থেকে একটি কথা হলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও।
(বুখারি, হাদিস : ৩৪৬১)
যুগে যুগে ইসলাম প্রচারের মাধ্যমেই ইসলাম সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আসমানি ওহির আলোকে আসা বিধান রাসুল (সা.) পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ করে তার সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। এ ক্ষেত্রে সামান্য পরিবর্তন বা কমবেশি করার অধিকার ছিল না। কম-বেশি করলে আল্লাহ পাকড়াও করতেন।
আল্লাহ বলেন, ‘সে যদি আমার নামে কোনো বানোয়াট কথা রচনা করতে চেষ্টা করত, তাহলে আমি তার ডান হাত ধরে ফেলতাম এবং তার মূল রগ কর্তন করে দিতাম।’ (সুরা হাক্কাহ, আয়াত : ৪৪-৪৬)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে আমার নামে মিথ্যা কথা বর্ণনা করল, সে যেন জাহান্নামে তার স্থান বানিয়ে নিল।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৭)
হিদায়াতের মালিক আল্লাহ। রাসুল (সা.) ছিলেন সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রাসুলের দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্টরূপে পৌঁছে দেওয়া।’ (সুরা নুর, আয়াত : ৫৪)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমার দায়িত্ব তো পৌঁছে দেওয়া আর আমার দায়িত্ব হিসাব নেওয়া।’ (সুরা রাদ, আয়াত : ৪০)
একই দাওয়াতের মাধ্যমে আবু বকর, ওমর, উসমান ও আলী (রা.) হিদায়াত লাভ করে ধন্য হন। কিন্তু আবু জাহল, আবু লাহাব, আবু তালিব হিদায়াত পাননি।
রাসুল (সা.)-এর অবর্তমানে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন এবং মুসলিম উম্মাহর সত্যপন্থী জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিরা একই কাজ করে থাকেন।
তাঁরা ইসলামের পূর্ণ অনুসরণের চেষ্টা করেন এবং তা হুবহু আম জনতার কাছে প্রচার করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে যারা জানে না তারা জ্ঞানীদের থেকে জিজ্ঞাসা করে নেবে, এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যদি না জান, তাহলে জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো—স্পষ্ট দলিল-প্রমাণসহ।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৪৩-৪৪)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
 
 
ইসলামের বাণী প্রচারের গুরুদায়িত্ব
The Importance of Spreading the Message of Islam
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 13 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কিয়ামতের আলামত
https://www.youtube.com/watch?v=O_O7R372rGo
youtube
youtube
youtube
কেয়ামতের আগে যেসব আলামত প্রকাশ পাবে
ধীরে ধীরে প্রকাশ হচ্ছে কেয়ামতের যেসব আলামত
ফুরাত নদী শুকিয়ে যাওয়া
মূর্খতা, ব্যভিচার, মদ্যপান ও নারীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া
আরব ভূখণ্ড তৃণভূমি ও নদনদীতে ভরে যাওয়া
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=sRH2jknO2Ic
https://www.youtube.com/watch?v=7SUEjk5oJNk
https://www.youtube.com/watch?v=oOjZk4jFL7s
মহান আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ার দৃষ্টিনন্দন সব সৃষ্টি, সুন্দর বাড়ি. আসবাব-পত্র, প্রাণাধিক প্রিয় স্ত্রী-সন্তান কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। সবই ধ্বংসশীল। ছোট্ট একটি হুকুমে মুহূর্তেই সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে; এমনকি তার ভয়াবহতাও কল্পনাতীত। তবে তার আগে বেশ কিছু আলামত প্রকাশ পাবে। কী সেসব আলামত?
আল্লাহ তাআলা বান্দার সতর্কতা জন্য দেড় হাজার বছর আছে কুরআনুল কারিমে সব বলে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘একমাত্র আপনার মহিমায় এবং মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া পৃথিবীর সবকিছুই ধ্বংসশীল।’ (সুরা আর-রাহমান : আয়াত ২৬-২৭)
তাছাড়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া হাদিসে পাকে কেয়ামতের আগে সংঘটিত অনেকগুলো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। যার অনেক কিছুই সমাজে দেখা যাচ্ছে। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে যে, কেয়ামত খুবই সন্নিকটে। মানুষ চরম বাড়াবাড়িতে লিপ্ত। তাই কেয়ামত সম্পর্কে সজাগ থাকতে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষিত আলামতগুলো তুলে ধরা হলো।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
- মানুষ যখন অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জনে প্রতিযোগিতা করবে;
- গচ্ছিত সম্পদের তথা আমানতে খেয়ানত করবে;
জাকাত দেয়াকে জরিমানা মনে করবে;
- ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দিয়ে (জাগতিক) বিদ্যা অর্জন করবে;
- পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে;
 মায়ের সঙ্গে (সন্তান) খারাপ আচরণ করবে;
- বাবাকে বাদ দিয়ে (সন্তান তার) বন্ধুকে আপন করে নেবে;
- মসজিদে শোরগোল (বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি) করবে;
- জাতির দূর্বল ব্যক্তি সমাজের নেতৃত্ব দেবে;
- নিকৃষ্ট ব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধি হবে;
- খারাপ কাজে সুনাম-সুখ্যাতি অর্জন করবে এবং এ খারাপ কাজের ভয়ে ঐ ব্যক্তিকে সম্মান করা হবে;
- বাদ্যযন্ত্র ও নারী শিল্পীর অবাধ বিচরণ বেড়ে যাবে;
- মদ পান করা হবে এবং
- বংশের শেষ প্রজন্মের লোকজন আগের প্রজন্মকে অভিশাপ দেবে।
সে সময়ে তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে, যার ফলশ্রুতিতে একটি ভূমিকম্প ভূমিকে তলিয়ে দেবে। (তিরমিজি)
যখনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। সে সময় কী ঘটবে? কুরআনের কারিমে তাও ব��্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের আগে ভূমিকে এমনভাবে প্রকম্পিত করবেন যে, জমিন তার গর্ভে ধারণ করা সব বস্তুকে বের করে দেবেন। কুরআনুল কারিমে এ কথা এভাবে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন-
‌‘যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে। যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।' (সুরা যিলযাল : আয়াত ১-২)
তরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগে নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে জীবনের শেষ মুহূর্তভেবে উল্লেখিত কাজগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি।
কেয়ামতের আগে যেসব আলামত প্রকাশ পাবে
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 13 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Al Mutakabbir Meaning
The Tremendous, The Great, The Proud. Al-Mutakabbir (in Arabic: ٱلْمُتَكَبِّرُ) means the supremely great one. He is exalted far above all creation, The One who is clear from the attributes of the creatures and from resembling them.
youtube
youtube
youtube
Al-Mutakabbir means the “The Supreme, The Possessor of All Rights, The Perfect Greatness”. Allah calls Himself Al-Mutakabbir— The Supremely Great, The Perfection of Greatness— on one time in the Quran.
youtube
youtube
youtube
আল মুতাকাব্বির অর্থ
অর্থঃ নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত, অহংকারী
দারুন, মহান, গর্বিত. আল-মুতাকাব্বির (আরবি ভাষায়: ٱلْمُتَكَبِّرُ) অর্থ সর্বোচ্চ মহান। তিনি সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, যিনি জীবের গুণাবলী থেকে এবং তাদের সাদৃশ্য থেকে স্পষ্ট।
youtube
আল-মুতাকাব্বির মানে "সর্বোচ্চ, সর্বাধিকারের অধিকারী, নিখুঁত মহানতা"। আল্লাহ নিজেকে আল-মুতাকাব্বির বলেছেন- সর্বোচ্চ মহান, মহানতার পরিপূর্ণতা- কুরআনে একবার।
আল মুতাকাব্বির ব্যাখ্যা
আল-মুতাকাব্বির হলেন, যিনি তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠত্ব, গৌরব ও অহংকারের কারণে যাবতীয় দোষ-ত্রুটি, কমতি ও ভুল-ভ্রান্তি ইত্যাদি থেকে মুক্ত
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ২৩]
আল মুতাকাব্বির অর্থ
সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত, বড়ত্ব ও মহিমার অধিকারী,
নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী, অহংকারী।
আল্লাহ তায়ালা আল মুতাকাব্বির,বড়ত্ব ও মহিমার অধিকারী,
নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী আল্লাহ,সর্বশ্রেষ্ঠত্ব তাঁরই।
গৌরবান্বিত আল্লাহ তায়ালা অপূর্ণতা থেকে মুক্ত,
অবিভাজ্য একক আল্লাহ, তাঁরই নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্ব।
ইয়া আল মুতাকাব্বির!তোমারই সকল গরিমা অহংকার,
তোমার বড়ত্বের মমতা ছায়ায় আশ্রয় হোক আমার।
youtube
youtube
Al Mutakabbir Explanation
The AttributedNames of Allah-
আল মুতাকাব্বির ব্যাখ্যা
0 notes