tawhidrisalatakhirah
Allah: The One And Only 'True God'
737 posts
Allah is the Unique, Omnipotent and Only True Deity' of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Lord except Allah. Allah is Exalted Above ‘Arsh, above the heaven. Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Words pf Allah. Qur'an is the final revelation and guidance for mankind. Once they know Him, they will worship Him. Allah says, 'So, know that there is no God worthy of worship except Allah'. Holy Qur'an (47:19). Thus the Muslims should know the Most Beautiful Names and Lofty Attributes of Allah SWT. So they can worship and Praise Him as He deserves to be venerated and praised. Knowing, Believing in, and obeying Allah SWT (true God) and believing in Allah's indivisible Oneness and Uniqueness is the first and foremost pillar of Islam. He who died knowing that "there is No 'true God' but Allah" will enter Paradise (Jannah).May this be my last word ,"Ashhadu Al La Ilaha IllAllah Wa Anna Muhammadar Rasulullah"
Don't wanna be here? Send us removal request.
tawhidrisalatakhirah · 23 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ডিজিটাল কোরআন শিক্ষা
https://www.youtube.com/watch?v=1QvBWoTLtU8&t=76s
https://www.youtube.com/watch?v=h0lVT3lxIN0&t=414s
https://www.youtube.com/watch?v=8jGalaSh3oI
youtube
কুরআন শিক্ষা টিপস
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । ❤️❤️❤️
আল কুরআন শেখার সহজ উপায়?
জ্ঞান এবং বোঝার জন্য একটি আন্তরিক অভিপ্রায় সঙ্গে শুরু করুন. কার্যকর শেখার অগ্রগতির জন্য প্রতিদিন ধারাবাহিক, সংক্ষিপ্ত সময় দিন। ছোট আয়াত দিয়ে শুরু করুন, ধীরে ধীরে আরও জটিল আয়াতে অগ্রসর হন। কুরআন তেলাওয়াত, শ্রবণ এবং বোঝার কার্যকলাপে নিজেকে নিমজ্জিত করুন।
কুরআন মাজিদ শিখতে হলে প্রথমে কি করতে হবে?
আরবি বর্ণ পরিচয় প্রথম কাজ হবে আরবি ভাষার সকল বর্ণ চিনতে পারা এবং উচ্চারণ করা। বাংলাভাষায় আমরা বামদিকে থেকে পড়া শুরু করি কিন্তু আরবি ভাষা বা কোরআন পাঠের সময় ডানদিক থেকে শুরু করতে হয়। আরবি বর্ণ ডানদিক থেকে বামে লিখা হয়ে থাকে।
কুরআন কিভাবে পড়তে হবে?
নতুনদের কুরআনের ছোট সূরা (অধ্যায়) পড়ার মাধ্যমে শুরু করা উচিত। আল-ফাতিহা, আল-ইখলাস, আল-ফালাক এবং আন-নাসের মতো সূরাগুলি চমৎকার শুরুর পয়েন্ট। এই সূরাগুলো দৈর্ঘ্যে ছোট এবং ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও ধারণা প্রদান করে।
কিভাবে সহজে কুরআন শিখবেন?
কুরআন আয়াতের বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষকরা দ্রুত কুরআন শেখার জন্য 5 টি টিপস নিয়ে এসেছেন।
আপনার মন পরিষ্কার করুন. ...
শেখার পরিবেশ প্রস্তুত করুন। ...
কলম এবং কাগজ দিয়ে নোট নিন। ...
আপনার শিক্ষকের সাথে জড়িত থাকুন এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। .
কুরআন মুখস্থ করার সর্বোত্তম কৌশল কি?
ইখলাস - (আন্তরিকতা)
উচ্চারণ ও আবৃত্তি।
স্মৃতিচারণের জন্য একটি দৈনিক সীমা।
আপনার সীমা অতিক্রম না.
কুরআনের একই কপি ব্যবহার করা।
বোঝাই মুখস্থ করার উপায়।
আবৃত্তি প্রবাহ হলেই এগিয়ে যান।
অন্যদের আবৃত্তি করা.
কিভাবে সঠিকভাবে কুরআন অধ্যয়ন করবেন?
নতুনদের জন্য অনলাইনে কুরআন শেখার সহজ উপায়
ভাষা আয়ত্ত করা:...
পরিশোধন উচ্চারণ:...
আলিঙ্গন শ্রবণ শিক্ষা: ...
সামঞ্জস্যপূর্ণ অনুশীলন: ...
পরিষ্কার শিক্ষার উদ্দেশ্য স্থাপন করুন:...
বিভিন্ন সম্পদ ব্যবহার করুন:...
একটি স্ট্রাকচার্ড স্টাডি রুটিন তৈরি করুন:...
জ্ঞানী পরামর্শদাতাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নিন:
পবিত্র কুরআন শেখার কিছু সহজ পদ্ধতি
সর্বপ্রথম আপনি যদি সহিহ শুদ্ধভাবে কুরআন শিখতে চা�� তাহলে অবশ্যই আপনাকে আরবি ভাষা শিখতে হবে যেহেতু পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনের ভাষা আরবি। মনে রাখবেন শুদ্ধভাবে কুরআন পড়া প্রতিটি মুমিনের জন্য দায়িত্ব এবং আবশ্যিক করণীয় গুলোর মধ্যে একটি। এক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতি বলতে আপনি বেশ কিছু উপায় কুরআন শিখতে পারেন। নিচে কিছু সহজ উপায় তুলে ধরা হলো:
 বর্তমান সময়ে সকলের কাছেই স্মার্টফোন রয়েছে একই সাথে ইন্টারনেট সংযোগ ও প্রায় সকলের রয়েছে। সুতরাং আপনি চাইলে ঘরে বসে ইউটিউব থেকে বিভিন্ন কুরআন শিক্ষা লেসন দেখার মাধ্যমেও কোরআন শিক্ষা সহজে অর্জন করতে পারেন। ইউটিউবে অসংখ্য প্লে-লিস্ট এবং ভিডিও রয়েছে কুরআন শেখার বিষয়ে। সুতরাং আপনি চাইলে এই লেসন গুলোর ও সঠিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে আপনি সহিহ শুদ্ধ কুরআন শেখার নিয়ম গুলি দেখছেন। ইউটিউব এর মাধ্যমে কুরআন শিক্ষা বর্তমান সময়ের জন্য একটি অত্যন্ত সহজ পদ্ধতি।  
দ্বিতীয়তঃ যদি আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে সরাসরি কোনো অভিজ্ঞ হুজুরের কাছ থেকে কুরআন শেখার তালিম নিতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি সবচেয়ে দুর্দান্তভাবে কুরআন শিখতে পারবেন এবং অল্প সময় আয়ত্ত করতে পারবেন। 
তৃতীয়তঃ আপনি যদি মনে করেন যে আপনি বিভিন্ন ধরনের কুরআন শিক্ষা বই এর মাধ্যমে কুরআন শিখতে চান তাহলে আপনি সেটি করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে একটি ছোট সমস্যা হবে সেটি হচ্ছে আপনার উচ্চারণ সহি শুদ্ধ হচ্ছে কিনা সেটি আপনি সহজে বুঝতে পারবেন না। তাই আপনি যদি এভাবে কুরআন শিখতে চান তাহলে চেষ্টা করবেন যে ব্যক্তি সহি শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারে তার কাছে মাঝে মাঝে গিয়ে আপনার কুরআন পাঠ শোনান যাতে আপনি আপনার ভুল ত্রুটিগুলো বুঝতে পারেন এবং শুধরে নিতে পারেন।  
চতুর্থ একটি সহজ উপায় হচ্ছে আপনি আপনার তেলাওয়াত সহি শুদ্ধ করতে প্রতিনিয়ত হাফেজ এবং ক্বারীদের কুরআন তিলাওয়াত শুনতে পারেন। আপনি যখন প্রতিনিয়ত তাদের তেলওয়াত শুনতে থাকবেন তখন আপনার মাঝে থাকা জড়তা কেটে যাবে এবং আপনি যদি অনেক পূর্বে কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত শিখে থাকেন এবং সেটাতে যদি ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে আশা করা যায় প্রতিনিয়ত সহি শুদ্ধ কুরআন তেলাওয়াত শোনার দ্বারা আপনার ভুল ত্রুটি গুলি ধীরে ধীরে কেটে যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ইন্সটল করে ও আপনি কুরআন শেখার পথযাত্রা সহজ করতে পারেন। 
কুরআন শেখার সহজ উপায় গুলির মাঝে একটি অত্যন্ত সহজ উপায় রয়েছে! বর্তমান সময়ে পবিত্র কুরআন শেখার প্রেক্ষাপটে সর্ব��েষ এবং সবচেয়ে সহজ উপায় হল অনলাইন কোর্স করা। আপনি যদি স্বল্প সময়ে দৃঢ়তার সহিত ঘরে বসেই কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত শিখতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে সেরা হবে অনলাইন কোর্স করা। অনলাইন করছে আপনি উপযুক্ত মেন্টরের গাইডলাইন পাবেন একই সাথে নিজেকে যাচাই-বাছাই করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কুইজে অংশ নিতে পারবেন সব মিলিয়ে আপনি খুব সহজে কুরআন মাজীদ শিখতে পারবেন। 
এর মাধ্যমে আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করে কুরআন শিখতে হবে না আপনি নিশ্চিন্তে কুরআন শিখতে পারবেন শুধুমাত্র হাতে থাকা স্মার্টফোনটির সাহায্যে যা অবশ্যই আপনার জন্য অনেক বেশি সহজ এবং উপভোগ্য হবে।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে,অনলাইন কোর্স এর মাধ্যমে কুরআন শিক্ষা যেহেতু সবচেয়ে সহজ, তবে এক্ষেত্রে কোন কোর্স আমার জন্য উপযুক্ত হবে? এক্ষেত্রে আপনাদের জন্য সবচেয়ে সেরা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ঘুড়ি লার্নিং থেকে অনলাইন কুরআন শিক্ষা কোর্স বেছে নেয়া। 
youtube
youtube
youtube
কুরআন মাজিদ শিখতে হলে
ডিজিটাল কোরআন শিক্ষা
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Holy Qur'an is Allah's Word
Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Ilah except Allah. Allah is Exalted Above ‘Arsh, above the heaven. Holy Qur'an is Allah's Word and final revelation for mankind. Allah is the One and Unique True Deity'. None is worthy of worship except Allah. Muhammad PBUH is Allah's servant and messenger ❤️❤️❤️
How to learn the Quran easily?
Arabic Alphabet Pronunciation
https://www.youtube.com/watch?v=35xP0j0Toz8
https://www.youtube.com/watch?v=r8ZEVvhiLQM
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
How To Learn Quran Fast & Easy
Quran Ayat's experts & teachers came up with 5 tips to learn Quran faster.
Clear Your Mind. ...
Prepare The Learning Environment. ...
Take Notes With Pen & Paper. ...
Engage With Your Teacher & Ask Questions. .
What is the best technique to memorize the Quran?
Memorizing the Quran
Ikhlaas - (Sincerity)
Pronunciation and Recitation.
A Daily Limit for Memorisation.
Not Surpassing your Limit.
Using the Same Copy of the Quran.
Understanding is the Way to Memorising.
Only move on when recitation flow's.
Reciting to Others.
How to study the Quran properly?
How To Learn Quran For Beginners With Best Tips And Courses ...
Easy Way to Learn Quran Online for For Beginners
Mastering the Language: ...
Refining Pronunciation: ...
Embrace Auditory Learning: ...
Consistent Practice: ...
Establish Clear Learning Objectives: ...
Utilize Different Resources: ...
Create a Structured Study Routine: ...
Seek Guidance from Knowledgeable Mentors:
youtube
youtube
Quran Learning Tips
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 3 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি য��ি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
ইসলামে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। পার্থিব এই জীবনে মূলত সে-ই বেশি সুখী, যার ভালো বন্ধুর সংখ্যা বেশি। বন্ধুত্ব আমাদের একাকিত্বকে যেমন ভুলিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি জীবনটাকেও আনন্দে পরিপূর্ণ করে।
যেকোনো মানুষকে ��েনা যায় তার বন্ধু কেমন তার মাধ্যমেই, বিপদে যে এগিয়ে আসে, দেখা হলে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, ভুলত্রুটি যে সংশোধন করে, সে-ই তো প্রকৃত বন্ধু। তাই আমাদের জীবনে যেমন চরিত্রবান বন্ধু প্রয়োজন, ঠিক তেমনি আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিকাশের জন্যও প্রয়োজন সৎ ও চরিত্রবান বন্ধু নির্বাচন। বন্ধুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমাদের সব সময় প্রভাবিত করে। আমাদের যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে এবং যাদের বর্জন করতে হবে, সে ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক এবং রাসুল (সা.) আমাদের পথ দেখিয়েছেন।
এমনকি নিজের বাবা ও ভাই যদি অবিশ্বাসী হয়, তাহলে তাদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব না রাখার আদেশ এসেছে। এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজ পিতা ও ভাইদের অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালোবাসে।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ২৩)
কোরআনের অন্যত্র এসেছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুসলমানদের বাদ দিয়ে কাফিরদের বন্ধু বানিয়ো না। তোমরা কি এমনটা করে নিজের ওপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলিল কায়েম করে দেবে।
’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৪) আবার অন্য ধর্মের লোকদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গ্রহণে ইসলাম সম্পূর্ণ নিষেধ করেছে, মূলত তারা একে অপরের বন্ধু। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কোরো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আর আল্লাহ জালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫১) একজন ঈমানদার যদি ঈমানদার ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, তাহলে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘মুমিনগণ যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোনো কাফিরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ২৮)
আমরা যদি মহান আল্লাহকে আমাদের জীবনে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারি, তাহলে কোনো ভয় বা চিন্তা আমাদের জীবনে আসবে না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাঁর কালামে পাকে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘মনে রেখো, যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের কোনো ভয়ভীতি নেই, তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬২)
আর বন্ধুত্ব তার সঙ্গেই করতে হবে, যার আছে আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস। এ ব্যাপারে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কথা শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই ওপর আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭১)
বন্ধুত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনীষীদেরও দিকনির্দেশনা রয়েছে, ইমাম গাজ্জালি (রহ.) কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে তিনটি গুণের দিকে লক্ষ রাখার কথা বলেছেন—১. নেককার ও পুণ্যবান, ২. চরিত্রবান, ৩. জ্ঞানী ও বিচক্ষণ।
হজরত ইমাম জয়নুল আবেদিন তাঁর ছেলে ইমাম মুহাম্মদ আল-বাকিকে উপদেশ দিতে গিয়ে পাঁচ ধরনের মানুষের সঙ্গে বন্ধু নির্বাচন করতে নিষেধ করেছেন—
১. মিথ্যাবাদী, ২. পাপী, ৩. কৃপণ, ৪. বোকা ও আর ৫. যারা স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা করে।
আমাদের প্রত্যেকেরই বন্ধুত্ব করতে হবে পরকালের কল্যাণে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তেই। তাই পরকালের কল্যাণের জন্য এই দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বন্ধু নির্বাচন করতে হবে পরিপূর্ণ ঈমানদার দেখে। এ ব্যাপারে কোরআনের নির্দেশ এসেছে, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং মুমিনগণ—যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং বিনম্র।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫৫)
আপনি যার সঙ্গে চলছেন সেই বন্ধুটি ভালো না খারাপ তা নির্ণয় করার কষ্টিপাথর আপনার কাছেই আছে। আসলে কারো সঙ্গে চলার পর যদি ভালো গুণ আপনার ভেতরে আসতে থাকে, তাহলে মনে করতে হবে সে আপনার ভালো বন্ধু। অন্যদিকে যদি খারাপ কিছু আসতে থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেই বন্ধু ত্যাগ করে একাকী জীবন কাটানো এবং ভালো বন্ধু খুঁজে বের করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তাই বন্ধু নির্বাচনে আমাদের বেশ সতর্ক হতে হবে। আমাদের বন্ধুত্ব করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এ জগতে যারা চরিত্রবান, দয়াবান, দেখা হলেই যারা আমাদের মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যারা সব সময় আমাদের দোষ না খুঁজে বরং সংশোধন করে দেয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকুক সারাটা জীবন। আমরা আমাদের জীবনে রাসুলে পাক (সা.)-এর হাদিসটি অনুসরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে ঈমান পরিপূর্ণ করতে পারি— ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঘৃণা করে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে দান করে কিংবা না করে, সে তার ঈমান পূর্ণ করে নিল।’ (আবু দাউদ)
The Influence Of Good Company
সৎ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আল্লাহর রাসুল (সা.) সৎসঙ্গকে আতর বিক্রেতার সঙ্গে তুলনা দিয়ে বলেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ মিশক বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের মতো। আতর বিক্রেতাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয়তো তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে কিংবা তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে। (বুখারি, হাদিস : ২১০১)
উপমার বিশ্লেষণে হাদিসবিশারদরা বলেন, সৎসঙ্গের তুলনা হলো সুগন্ধি বিক্রেতার মতো। সৎসঙ্গে খারাপ অভ্যাস দূর করে, ভুল ক্ষমা করে, দোষ ঢেকে রেখে ক��্যাণের কাজে আগ্রহ ও উৎসাহ জোগায়। গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বাধা দেয়। এটাই হলো ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস।’
অন্যদিকে অসৎ সঙ্গ হলো কামারের হাপরের মতো। যার পাশে থাকবে হয়তো কাপড় জ্বালিয়ে  দেবে আর না হয় দুর্গন্ধ ছড়াবে। এই উপমা ওই হতভাগ্য ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিয়ামতের দিন কপাল চাপড়ে হা-হুতাশ করবে।
কারণ সে এমন কতক পাপিষ্ঠকে বন্ধু বানিয়েছিল, যারা তাকে ইসলামের আদর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে এবং পাপের পথে টেনে নিয়ে গোমরাহির অতলগহ্বরে ডুবিয়েই ক্ষান্ত হয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জালেম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে—হায় আফসোস! আমি যদি রাসুলের সঙ্গে পথ অবলম্বন করতাম। হায়, আমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছিল। শয়তান মানুষকে বিপদকালে ধোঁকা দেয়।’ (সুরা : আল ফুরকান, আয়াত : ২৭-২৯)
সৎসঙ্গ প্রসঙ্গে জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি কতই না সুন্দর বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রথমে তার সঙ্গীর ব্যাপারে খবর নাও। কারণ প্রত্যেক মানুষ তার সাথির অনুসরণ করে থাকে। যখন তুমি একদল লোকের সঙ্গে থাকবে তখন ভালো লোকদের সঙ্গ গ্রহণ করো; মন্দ সঙ্গ নয়। অন্যথায় খারাপদের সঙ্গে মিশে তুমিও খারাপ হয়ে যাবে।’ (মুখতাসারু তারিখে দিমাশক : ২০/৩৫)
আর বন্ধু গ্রহণ ও বন্ধুত্বের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নবীজি (সা.)-এর চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর সময়কার প্রসিদ্ধ ঘটনা তে আজও ইতিহাস হয়ে আছে। সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু তালিবের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট আসলেন। তিনি সেখানে আবু জাহল ইবনে হিশাম ও আবদুল্লাহ‌ ইবনে আবু উমায়্যা ইবনে মুগিরাকে উপস্থিত দেখতে পেলেন। (রাবি বলেন) তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আবু তালিবকে লক্ষ্য করে বলেন, চাচাজান, ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ কলেমা পাঠ করুন, তাহলে এর অসিলায় আমি আল্লাহর সমীপে আপনার জন্য সাক্ষ্য দিতে পারব। 
আবু জাহল ও ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবু উমায়্যা বলে উঠল, ওহে আবু তালিব! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম হতে বিমুখ হবে? অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট কলেমা পেশ করতে থাকেন। আর তারা দুজনও তাদের উক্তি পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। অবশেষে আবু তালিব তাদের সামনে শেষ কথাটি যা বলল, তা এই যে, সে আবদুল মুত্তালিবের ধর্মের ওপর অবিচল রয়েছে। ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ বলতে অস্বীকার করল। এ অবস্থা দেখে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহর কসম! তবু আমি আপনার জন্য মা��ফিরাত কামনা করতে থাকব, যতক্ষণ না আমাকে তা হতে নিষেধ করা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নাজিল করেন, (নবীর জন্য সংগত নয়......)  [সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১৩]। (বুখারি, হাদিস : ১৩৬০)
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রহ.) বন্ধুত্বকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। ১. গিজা তথা খাবারের মতো, যা সব সময় জরুরি। তা হলো সৎসঙ্গী। ২. দাওয়া ও ওষুধ। যেকোনো সময় কাজে লাগতে পারে। ভালো-মন্দের মিশেল। ৩. দা বা অসুখ। যা না থাকাই ভালো। অসৎ সঙ্গী। ইমাম মালিক ইবনে দিনার (রহ.) বলেন, সৎ লোকের সঙ্গে পাথর বহন, অসৎ লোকের সঙ্গে বসে খবিস (খেজুর ও ঘি মিশ্রিত এক প্রকার মিষ্টান্ন) আহার করা থেকে উত্তম। (আল্লাহ আমাদের সবাইকে সৎসঙ্গ গ্রহণের তাওফিক দান করুন।)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 3 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Islam Dawah Jihad
Daw'ah Means Invitation
https://www.youtube.com/watch?v=JWm1jpNE8dE
https://www.youtube.com/watch?v=70-HJ1WiUvM
https://www.youtube.com/watch?v=gPAgH0NTNX4
What is Islam teaching on jihad?
Within Islam, there are two basic theological understandings of the word: The “Greater Jihad” is the struggle against the lower self – the struggle to purify one's heart, do good, avoid evil and make oneself a better person. The “Lesser Jihad” is an outward struggle.
Dawah in The Way Of Allah Meaning
Definition. Da'wah (also transliterated da'wa) literally means “issuing a summons,” “invitation,” or “call” in Arabic and refers to the preaching of Islam and the exhortation to submit to Allah. It can also refer to proselytizing and preaching to non-Muslims in particular
In The Way of Allah
It includes all the activities of a believer that are in accordance with the laws of Allah (The True God). When a Muslim performs all the activities of his life in the way of Allah, and for the pleasure of Allah, then all his deeds become 'ibadah or worship.
Dawah in the way of allah meaning
Definition. Da'wah (also transliterated da'wa) literally means “issuing a summons,” “invitation,” or “call” in Arabic and refers to the preaching of Islam and the exhortation to submit to Allah. It can also refer to proselytizing and preaching to non-Muslims in particular
Jihad in Qur’an
The importance of jihad is rooted in the Quran's command to “struggle or exert” (the literal meaning of the word jihad) oneself in the path of God. The Quranic teachings have been of essential significance to Muslim self- understanding, piety, mobilization, expansion and defense.
Is jihad mentioned in the Quran?
Quran. Jihad is mentioned in four places in the Qur'an as a noun, while its derived verb is used in twenty-four places. Mujahid, the active participle meaning "jihadist", is mentioned in two verses.
What are the Hadith related to jihad?
Narrated 'Urwa Al-Bariqi: The Prophet said, "Good will remain (as a permanent quality) in the foreheads of horses (for Jihad) till the Day of Resurrection, for they bring about either a reward (in the Hereafter) or booty (in this world."
Concept of Jihad in Islam 
What is the exact meaning of jihad?
jihad, (Arabic: “struggle” or “effort”) also spelled jehad, in Islam, a meritorious struggle or effort.
What are the 3 types of jihad in Islam?
Jihad is classified into inner ("greater") jihad, which involves a struggle against one's own base impulses, and external ("lesser") jihad, which is further subdivided into jihad of the pen/tongue (debate or persuasion) and jihad of the sword.
What Quran says about jihad?
The Qur'an on Jihad.
Fight in the way of Allah against those who fight against you, but begin not hostilities.Allah loveth not aggressors. To those against whom war is made, permission is given (to fight), because they are wronged;- and verily, Allah is most powerful for their aid.
What was Muhammad's (PBUH)  jihad?
During Islam's earliest 'Meccan' period, the Prophet Muhammad's message of jihad focused on propagating Islam against a prevailing order more or less characterized by idolatry, paganism, and polytheism.
Invitation to the path of ALLAH
youtube
Invitation To The Path Of Allah
youtube
youtube
Invitation to ISLAM the only true path to Allah
youtube
Surah Asr shows the way to Paradise (Jannah)
Surah al-Asr: Message of Iman, Sabr and Haqq
English Translation
And the English translation of Surah al-Asr by Sahih International:
By Time,
Indeed, mankind is in loss,
Except for those who have believed and done righteous deeds and advised each other to truth and advised each other to patience.
When man believed in God, and did righteous deeds, he perfected himself. He led himself towards profit, success and welfare. But his duty as a believer is not over. He will also call others to a prosperous, successful life. The emergence of Muslims has been for the benefit of world humanity. His duty is to call others to the truth along with himself.
youtube
youtube
Brief Explanation of Surah Al-Asr
https://www.youtube.com/watch?v=-qT923kDJzY
 
Invitation To The Path Of Allah
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর পথে দাওয়াতের গুরুত্ব
The Importance Of Calling to The Path of Allah
youtube
youtube
youtube
সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ, প্রচার, নসিহত, ওয়াজ বা আল্লাহর দ্বিন পালনের পথে আহ্বান করাই ছিল সব নবী ও রাসুলের দায়িত্ব। সব নবী তাঁর উম্মতকে তাওহিদ ও ইবাদতের আদেশ করেছেন। শিরক, কুফর ও পাপকাজ থেকে নিষেধ করেছেন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মি নবীর, যার উল্লেখ তারা তাদের কাছে রক্ষিত তাওরাত ও ইনজিলে লিপিবদ্ধ পায়, যিনি তাদের সৎ কাজের নির্দেশ দেন এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
এই দাওয়াতি কার্যক্রমের কর্মপন্থা কী হবে—এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি আপনার রবের দিকে আহ্বান করুন হিকমত বা প্রজ্ঞা দ্বারা, সুন্দর ওয়াজ-উপদেশ দ্বারা এবং তাদের সঙ্গে উত্কৃষ্টতর পদ্ধতিতে আলোচনা-বিতর্ক করুন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)
কোরআনুল কারিমে বারবার বলা হয়েছে যে প্রচার বা পৌঁছানোই নবী-রাসুলদের একমাত্র দায়িত্ব। ইরশাদ হয়েছে : ‘রাসুলদের দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্টভাবে প্রচার করা।’
সুরা : নাহল, আয়াত : ৩৫)
যুগে যুগে নবীরা মানুষের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন।
নুহ (আ.)-এর জবানিতে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আমি আমার রবের ���িসালাতের দায়িত্ব তোমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি এবং আমি তোমাদের ��সিহত করছি।’(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৬২)
দাওয়াত, আদেশ-নিষেধ, দ্বিন প্রতিষ্ঠা বা নসিহতের এই দায়িত্ব উম্মতে মুহাম্মদির অন্যতম দায়িত্ব ও বৈশিষ্ট্য। ইরশাদ হয়েছে : ‘আর যেন তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহ্বান করবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফল।
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১০৪)
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানবজাতির (কল্যাণের) জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে। তোমরা ন্যায়সংগত কাজের আদেশ দাও এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহর ওপর ঈমান আনো...।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
প্রকৃত মুমিন শুধু নিজেই ইবাদত করেই ক্ষ্যান্ত হয় না, সে মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করতে থাকে। প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন, ‘আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু, তারা ভালো কাজের আদেশ দেয় এবং অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে। আর তারা সালাত কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে।
সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ, প্রচার, নসিহত, ওয়াজ বা আল্লাহর দ্বিন পালনের পথে আহ্বান করাই ছিল সব নবী ও রাসুলের দায়িত্ব। সব নবী তাঁর উম্মতকে তাওহিদ ও ইবাদতের আদেশ করেছেন। শিরক, কুফর ও পাপকাজ থেকে নিষেধ করেছেন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মি নবীর, যার উল্লেখ তারা তাদের কাছে রক্ষিত তাওরাত ও ইনজিলে লিপিবদ্ধ পায়, যিনি তাদের সৎ কাজের নির্দেশ দেন এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করেন।
’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
এই দাওয়াতি কার্যক্রমের কর্মপন্থা কী হবে—এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি আপনার রবের দিকে আহ্বান করুন হিকমত বা প্রজ্ঞা দ্বারা, সুন্দর ওয়াজ-উপদেশ দ্বারা এবং তাদের সঙ্গে উত্কৃষ্টতর পদ্ধতিতে আলোচনা-বিতর্ক করুন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)
কোরআনুল কারিমে বারবার বলা হয়েছে যে প্রচার বা পৌঁছানোই নবী-রাসুলদের একমাত্র দায়িত্ব। ইরশাদ হয়েছে : ‘রাসুলদের দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্টভাবে প্রচার করা।’
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৩৫)
যুগে যুগে নবীরা মানুষের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন।
নুহ (আ.)-এর জবানিতে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আমি আমার রবের রিসালাতের দায়িত্ব তোমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি এবং আমি তোমাদের নসিহত করছি।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৬২)
দাওয়াত, আদেশ-নিষেধ, দ্বিন প্রতিষ্ঠা বা নসিহতের এই দায়িত্ব উম্মতে মুহাম্মদির অন্যতম দায়িত্ব ও বৈশিষ্ট্য। ইরশাদ হয়েছে : ‘আর যেন তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহ্বান করবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফল।
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১০৪)
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানবজাতির (কল্যাণের) জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে। তোমরা ন্যায়সংগত কাজের আদেশ দাও এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহর ওপর ঈমান আনো...।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
প্রকৃত মুমিন শুধু নিজেই ইবাদত করেই ক্ষ্যান্ত হয় না, সে মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করতে থাকে। প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন, ‘আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু, তারা ভালো কাজের আদেশ দেয় এবং অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে। আর তারা সালাত কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে।
শিগগির আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’
(সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭১)
দ্বিন প্রচারের দায়িত্ব পালনকারী মুমিনদের সর্বোত্তম মানুষ বলে ঘোষণা করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘ওই ব্যক্তির চেয়ে কথায় কে উত্তম—যে আল্লাহর প্রতি মানুষকে আহ্বান করে, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি তো মুসলমানদের একজন।’
(সুরা : ফুসসিলাত, আয়াত : ৩৩)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পথে দাওয়াতের গুরুত্ব
The Importance Of Calling to The Path of Allah
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ
Jihad In The Way of Allah
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা ফরজ:
জিহাদকে তোমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে, আর তা তোমাদের অসহ্য মনে হচ্ছে, কোন জিনিস তোমাদের অসহ্য মনে হল, অথচ সেটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আবার হতে পারে কোন জিনিস তোমাদের ভাল মনে হল, অথচ সেটাই তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। প্রকৃত ব্যাপার আল্লাহ জানেন, তোমরা তা জান না। (০২. বাকারা ২১৬)
জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার নির্দেশ:
হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসায়ের সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে? তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। (৬১. সফ ১০-১১)
তোমরা হালকা ও ভারী উভয় অবস্থায় যুদ্ধে বের হও এবং তোমাদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে। (০৯. তওবা ৪১)
আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ অসহায় পুরুষ, নারী ও শিশুরা ফরিয়াদ করছে, ‘হে আমাদের রব, জালিমদের এ জনপদ থেকে আমাদেরকে বের এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী। (০৪. নিসা ৭৫)
ফিতনার অবসান না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা:
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। তবে যদি তারা বিরত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তারা যা কওে সে বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা। (০৮. আনফাল ৩৯)
আল্লাহর নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার নির্দেশ:
জিহাদ কর আল্লাহর পথে যেভাবে জিহাদ করা উচিত; তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন। তিনি দীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাত; তিনি পূর্বে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম এবং এই কিতাবেও, যাতে রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী স্বরূপ হয় এবং তোমরা স্বাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। (২২. হজ্জ্ব ৭৮)
আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (০২. বাকারা ১৯০)
তাদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে বের করে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদেরকে বের করে দিয়েছে। বস্তুত ফিতনা হত্যার চেয়েও গুরুতর। তোমরা মাসজিদে হারামের নিকট তাদের সাথে যুদ্ধ করো না, যে পর্যন্ত তারা তোমাদের সাথে সেখানে যুদ্ধ না করে, কিন্তু যদি তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে, তবে তোমরাও তাদের হত্যা কর, এটাই কাফিরদের প্রতিদান। (০২. বাকারা ১৯১)
অতএব যখন তোমরা কাফিরদের সাথে যুদ্ধে মুকাবিলা কর তখন তাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা তাদেরকে সম্পূর্ণ রূপে পরাভূত করবে তখন তাদেরকে কষে বাঁধবে; অতঃপর হয় অনুকম্পা, না হয় মুক্তিপণ। তোমরা জিহাদ চালাবে যতক্ষণ না ওরা অস্ত্র নামিয়ে ফেলে। এটাই বিধান। এটা এ জন্য যে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি চান তোমাদেরকে অপরদের দ্বারা পরীক্ষা করতে। যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তিনি কখনও তাদের আমল বিনষ্ট করে দেননা। (৪৭. মুহাম্মদ ৪)
তোমরা সেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কেন লড়াই করবে না যারা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে, যারা রসূলকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল? প্রথমে তারাই তোমাদেরকে আক্রমণ করেছিল। তোমরা কি তাদেরকে ভয় কর? তোমরা মুমিন হলে আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। (তওবা ১৩)
যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে, আর আল্লাহর পথে নিজদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে, আল্লাহর কাছে তারা বড়ই মর্যাদাবান আর তারাই সফলকাম। (০৯. তওবা ২০)
নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন জান্নাতের। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। অতএব তারা মারে ও মরে। (০৯. তাওবা ১১১)
আল্লাহ তো ভালবাসেন সেই লোকদেরকে যারা তাঁর পথে সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় সারিবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে। (৬১. সফ ৪)
তোমরা কি মনে করেছ যে তোমরা এমনিতেই জান্নাতে চলে যাবে? অথচ আল্লাহ এখনো দেখেননি যে, তাদেরকে যারা তোমাদের মধ্য থেকে জিহাদ করেছে এবং ধৈর্য্য ধারন করেছে। (০৩. আলে ইমরান ১৪২)
ঈমানদাররা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে:
যারা ঈমান এনেছে তারা লড়াই করে আল্লাহর রাস্তায়, আর যারা কুফরী করেছে তারা লড়াই করে তাগূতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই কর শয়তানের সঙ্গী-সাথীদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল। (০৪. নিসা ৭৬)
হে নবী! মু’মিনদেরকে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। (০৮. আনফাল ৬৫)
যারা আল্লাহর পথে সংগ্রামে অংশগ্রহন করেছে এবং যারা করেননি মর্যাদার দিক থেকে তারা সমান নয়:
মু’মিনদের মধ্যে যারা কোন দুঃখ পীড়া ব্যতীতই গৃহে বসে থাকে, আর যারা স্বীয় ধন ও প্রাণ দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে তারা সমান নয়; যারা ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে আল্লাহ তাদেরকে গৃহে অবস্থানকারীদের উপর উচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন; এবং সকলকেই আল্লাহ কল্যাণের প্রতিশ্রæতি দান করেছেন। কিন্তু তার কাছে মুজাহিদদের কল্যাণকর কাজের ফল বসে থাকা লোকদের থেকে অনেক বেশী। তাদের জন্য আল্লাহর নিকট বড় সম্মান,ক্ষমা ও অনুগ্রহ রয়েছে। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহকারী। (০৪. নিসা ৯৫-৯৬)
আল্লাহর পথে সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র প্রস্তুত রাখা:
তোমরা কাফিরদের মুকাবিলা করার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও সদাসজ্জিত অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে যাতে আল্লাহ ও তোমাদের শক্রদেরকে সংকিত ও ভীত সন্ত্রস্ত রাখতে পারো। এছাড়া অন্যান্যদেরকেও যাদেরকে তোমরা জাননা, কিন্তু আল্লাহ জানেন। (০৮. আনফাল ৬০)
আল্লাহর পথে সংগ্রামকারীরা কোন নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করে না:
তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাকে তারা ভয় করবে না। (০৫. মায়েদা ৫৪)
জিহাদের সঠিক অর্থ কি?
জিহাদ, (আরবি: "সংগ্রাম" বা "প্রচেষ্টা") ইসলামে জেহাদের অর্থ  একটি প্রশংসনীয় সংগ্রাম বা প্রচেষ্টা।
ইসলামে জিহাদের ৩ প্রকার কি কি?
জিহাদকে অভ্যন্তরীণ ("বৃহত্তর") জিহাদে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে নিজের ভিত্তি প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং বাহ্যিক ("কম") জিহাদ, যা আবার কলম/জিহাদের (বিতর্ক বা প্ররোচনা) জিহাদে বিভক্ত। তরবারি.
জিহাদ সম্পর্কে কুরআন কি বলে?
জিহাদ সম্পর্কে কুরআন কি বলে.
যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর, কিন্তু শত্রুতা শুরু করো না। আল্লাহ আগ্রাসনকারীদের পছন্দ করেন না। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়, তাদের (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হয়, কারণ তাদের প্রতি জুলুম করা হয়; এবং নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের সাহায্যের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী।
মুহাম্মদ (সাঃ) এর জিহাদ কিরূপ ছিল?
ইসলামের প্রথম দিকের 'মক্কান' সময়কালে, নবী মুহাম্মদের (সঃ ) জিহাদের বার্তাটি মূর্তিপূজা, পৌত্তলিকতা এবং বহুদেবতার দ্বারা কমবেশি বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি প্রচলিত আদেশের বিরুদ্ধে ইসলামপ্রচারের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন ।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ
Jihad In The Way of Allah
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 6 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ
Jihad In The Way of Allah
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা ফরজ:
জিহাদকে তোমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে, আর তা তোমাদের অসহ্য মনে হচ্ছে, কোন জিনিস তোমাদের অসহ্য মনে হল, অথচ সেটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আবার হতে পারে কোন জিনিস তোমাদের ভাল মনে হল, অথচ সেটাই তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। প্রকৃত ব্যাপার আল্লাহ জানেন, তোমরা তা জান না। (০২. বাকারা ২১৬)
জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার নির্দেশ:
হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসায়ের সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে? তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। (৬১. সফ ১০-১১)
তোমরা হালকা ও ভারী উভয় অবস্থায় যুদ্ধে বের হও এবং তোমাদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে। (০৯. তওবা ৪১)
আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ অসহায় পুরুষ, নারী ও শিশুরা ফরিয়াদ করছে, ‘হে আমাদের রব, জালিমদের এ জনপদ থেকে আমাদেরকে বের এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী। (০৪. নিসা ৭৫)
ফিতনার অবসান না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা:
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। তবে যদি তারা বিরত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তারা যা কওে সে বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা। (০৮. আনফাল ৩৯)
আল্লাহর নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার নির্দেশ:
জিহাদ কর আল্লাহর পথে যেভাবে জিহাদ করা উচিত; তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন। তিনি দীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাত; তিনি পূর্বে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম এবং এই কিতাবেও, যাতে রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী স্বরূপ হয় এবং তোমরা স্বাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। (২২. হজ্জ্ব ৭৮)
আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (০২. বাকারা ১৯০)
তাদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে বের করে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদেরকে বের করে দিয়েছে। বস্তুত ফিতনা হত্যার চেয়েও গুরুতর। তোমরা মাসজিদে হারামের নিকট তাদের সাথে যুদ্ধ করো না, যে পর্যন্ত তারা তোমাদের সাথে সেখানে যুদ্ধ না করে, কিন্তু যদি তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে, তবে তোমরাও তাদের হত্যা কর, এটাই কাফিরদের প্রতিদান। (০২. বাকারা ১৯১)
অতএব যখন তোমরা কাফিরদের সাথে যুদ্ধে মুকাবিলা কর তখন তাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা তাদেরকে সম্পূর্ণ রূপে পরাভূত করবে তখন তাদেরকে কষে বাঁধবে; অতঃপর হয় অনুকম্পা, না হয় মুক্তিপণ। তোমরা জিহাদ চালাবে যতক্ষণ না ওরা অস্ত্র নামিয়ে ফেলে। এটাই বিধান। এটা এ জন্য যে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি চান তোমাদেরকে অপরদের দ্বারা পরীক্ষা করতে। যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তিনি কখনও তাদের আমল বিনষ্ট করে দেননা। (৪৭. মুহাম্মদ ৪)
তোমরা সেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কেন লড়াই করবে না যারা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে, যারা রসূলকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল? প্রথমে তারাই তোমাদেরকে আক্রমণ করেছিল। তোমরা কি তাদেরকে ভয় কর? তোমরা মুমিন হলে আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। (তওবা ১৩)
যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে, আর আল্লাহর পথে নিজদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে, আল্লাহর কাছে তারা বড়ই মর্যাদাবান আর তারাই সফলকাম। (০৯. তওবা ২০)
নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন জান্নাতের। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। অতএব তারা মারে ও মরে। (০৯. তাওবা ১১১)
আল্লাহ তো ভালবাসেন সেই লোকদেরকে যারা তাঁর পথে সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় সারিবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে। (৬১. সফ ৪)
তোমরা কি মনে করেছ যে তোমরা এমনিতেই জান্নাতে চলে যাবে? অথচ আল্লাহ এখনো দেখেননি যে, তাদেরকে যারা তোমাদের মধ্য থেকে জিহাদ করেছে এবং ধৈর্য্য ধারন করেছে। (০৩. আলে ইমরান ১৪২)
ঈমানদাররা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে:
যারা ঈমান এনেছে তারা লড়াই করে আল্লাহর রাস্তায়, আর যারা কুফরী করেছে তারা লড়াই করে তাগূতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই কর শয়তানের সঙ্গী-সাথীদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল। (০৪. নিসা ৭৬)
হে নবী! মু’মিনদেরকে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। (০৮. আনফাল ৬৫)
যারা আল্লাহর পথে সংগ্রামে অংশগ্রহন করেছে এবং যারা করেননি মর্যাদার দিক থেকে তারা সমান নয়:
মু’মিনদের মধ্যে যারা কোন দুঃখ পীড়া ব্যতীতই গৃহে বসে থাকে, আর যারা স্বীয় ধন ও প্রাণ দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে তারা সমান নয়; যারা ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে আল্লাহ তাদেরকে গৃহে অবস্থানকারীদের উপর উচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন; এবং সকলকেই আল্লাহ কল্যাণের প্রতিশ্রæতি দান করেছেন। কিন্তু তার কাছে মুজাহিদদের কল্যাণকর কাজের ফল বসে থাকা লোকদের থেকে অনেক বেশী। তাদের জন্য আল্লাহর নিকট বড় সম্মান,ক্ষমা ও অনুগ্রহ রয়েছে। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহকারী। (০৪. নিসা ৯৫-৯৬)
আল্লাহর পথে সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র প্রস্তুত রাখা:
তোমরা কাফিরদের মুকাবিলা করার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও সদাসজ্জিত অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে যাতে আল্লাহ ও তোমাদের শক্রদেরকে সংকিত ও ভীত সন্ত্রস্ত রাখতে পারো। এছাড়া অন্যান্যদেরকেও যাদেরকে তোমরা জাননা, কিন্তু আল্লাহ জানেন। (০৮. আনফাল ৬০)
আল্লাহর পথে সংগ্রামকারীরা কোন নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করে না:
তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাকে তারা ভয় করবে না। (০৫. মায়েদা ৫৪)
জিহাদের সঠিক অর্থ কি?
জিহাদ, (আরবি: "সংগ্রাম" বা "প্রচেষ্টা") ইসলামে জেহাদের অর্থ  একটি প্রশংসনীয় সংগ্রাম বা প্রচেষ্টা।
ইসলামে জিহাদের ৩ প্রকার কি কি?
জিহাদকে অভ্যন্তরীণ ("বৃহত্তর") জিহাদে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে নিজের ভিত্তি প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং বাহ্যিক ("কম") জিহাদ, যা আবার কলম/জিহাদের (বিতর্ক বা প্ররোচনা) জিহাদে বিভক্ত। তরবারি.
জিহাদ সম্পর্কে কুরআন কি বলে?
জিহাদ সম্পর্কে কুরআন কি বলে.
যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর, কিন্তু শত্রুতা শুরু করো না। আল্লাহ আগ্রাসনকারীদের পছন্দ করেন না। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়, তাদের (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হয়, কারণ তাদের প্রতি জুলুম করা হয়; এবং নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের সাহায্যের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী।
মুহাম্মদ (সাঃ) এর জিহাদ কিরূপ ছিল?
ইসলামের প্রথম দিকের 'মক্কান' সময়কালে, নবী মুহাম্মদের (সঃ ) জিহাদের বার্তাটি মূর্তিপূজা, পৌত্তলিকতা এবং বহুদেবতার দ্বারা কমবেশি বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি প্রচলিত আদেশের বিরুদ্ধে ইসলামপ্রচারের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন ।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ
Jihad In The Way of Allah
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 6 days ago
Text
Tumblr media
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ
Jihad In The Way of Allah
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা ফরজ:
জিহাদকে তোমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে, আর তা তোমাদের অসহ্য মনে হচ্ছে, কোন জিনিস তোমাদের অসহ্য মনে হল, অথচ সেটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আবার হতে পারে কোন জিনিস তোমাদের ভাল মনে হল, অথচ সেটাই তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। প্রকৃত ব্যাপার আল্লাহ জানেন, তোমরা তা জান না। (০২. বাকারা ২১৬)
জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার নির্দেশ:
হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসায়ের সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে? তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। (৬১. সফ ১০-১১)
তোমরা হালকা ও ভারী উভয় অবস্থায় যুদ্ধে বের হও এবং তোমাদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে। (০৯. তওবা ৪১)
আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ অসহায় পুরুষ, নারী ও শিশুরা ফরিয়াদ করছে, ‘হে আমাদের রব, জালিমদের এ জনপদ থেকে আমাদেরকে বের এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী। (০৪. নিসা ৭৫)
ফিতনার অবসান না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা:
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। তবে যদি তারা বিরত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ তারা যা কওে সে বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা। (০৮. আনফাল ৩৯)
আল্লাহর নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার নির্দেশ:
জিহাদ কর আল্লাহর পথে যেভাবে জিহাদ করা উচিত; তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন। তিনি দীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাত; তিনি পূর্বে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম এবং এই কিতাবেও, যাতে রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী স্বরূপ হয় এবং তোমরা স্বাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। (২২. হজ্জ্ব ৭৮)
আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (০২. বাকারা ১৯০)
তাদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে বের করে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদেরকে বের করে দিয়েছে। বস্তুত ফিতনা হত্যার চেয়েও গুরুতর। তোমরা মাসজিদে হারামের নিকট তাদের সাথে যুদ্ধ করো না, যে পর্যন্ত তারা তোমাদের সাথে সেখানে যুদ্ধ না করে, কিন্তু যদি তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে, তবে তোমরাও তাদের হত্যা কর, এটাই কাফিরদের প্রতিদান। (০২. বাকারা ১৯১)
অতএব যখন তোমরা কাফিরদের সাথে যুদ্ধে মুকাবিলা কর তখন তাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা তাদেরকে সম্পূর্ণ রূপে পরাভূত করবে তখন তাদেরকে কষে বাঁধবে; অতঃপর হয় অনুকম্পা, না হয় মুক্তিপণ। তোমরা জিহাদ চালাবে যতক্ষণ না ওরা অস্ত্র নামিয়ে ফেলে। এটাই বিধান। এটা এ জন্য যে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি চান তোমাদেরকে অপরদের দ্বারা পরীক্ষা করতে। যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তিনি কখনও তাদের আমল বিনষ্ট করে দেননা। (৪৭. মুহাম্মদ ৪)
তোমরা সেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কেন লড়াই করবে না যারা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে, যারা রসূলকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল? প্রথমে তারাই তোমাদেরকে আক্রমণ করেছিল। তোমরা কি তাদেরকে ভয় কর? তোমরা মুমিন হলে আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। (তওবা ১৩)
যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে, আর আল্লাহর পথে নিজদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে, আল্লাহর কাছে তারা বড়ই মর্যাদাবান আর তারাই সফলকাম। (০৯. তওবা ২০)
নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন জান্নাতের। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। অতএব তারা মারে ও মরে। (০৯. তাওবা ১১১)
আল্লাহ তো ভালবাসেন সেই লোকদেরকে যারা তাঁর পথে সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় সারিবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে। (৬১. সফ ৪)
তোমরা কি মনে করেছ যে তোমরা এমনিতেই জান্নাতে চলে যাবে? অথচ আল্লাহ এখনো দেখেননি যে, তাদেরকে যারা তোমাদের মধ্য থেকে জিহাদ করেছে এবং ধৈর্য্য ধারন করেছে। (০৩. আলে ইমরান ১৪২)
ঈমানদাররা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে:
যারা ঈমান এনেছে তারা লড়াই করে আল্লাহর রাস্তায়, আর যারা কুফরী করেছে তারা লড়াই করে তাগূতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই কর শয়তানের সঙ্গী-সাথীদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল। (০৪. নিসা ৭৬)
হে নবী! মু’মিনদেরকে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। (০৮. আনফাল ৬৫)
যারা আল্লাহর পথে সংগ্রামে অংশগ্রহন করেছে এবং যারা করেননি মর্যাদার দিক থেকে তারা সমান নয়:
মু’মিনদের মধ্যে যারা কোন দুঃখ পীড়া ব্যতীতই গৃহে বসে থাকে, আর যারা স্বীয় ধন ও প্রাণ দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে তারা সমান নয়; যারা ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে আল্লাহ তাদেরকে গৃহে অবস্থানকারীদের উপর উচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন; এবং সকলকেই আল্লাহ কল্যাণের প্রতিশ্রæতি দান করেছেন। কিন্তু তার কাছে মুজাহিদদের কল্যাণকর কাজের ফল বসে থাকা লোকদের থেকে অনেক বেশী। তাদের জন্য আল্লাহর নিকট বড় সম্মান,ক্ষমা ও অনুগ্রহ রয়েছে। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহকারী। (০৪. নিসা ৯৫-৯৬)
আল্লাহর পথে সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র প্রস্তুত রাখা:
তোমরা কাফিরদের মুকাবিলা করার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও সদাসজ্জিত অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে যাতে আ��্লাহ ও তোমাদের শক্রদেরকে সংকিত ও ভীত সন্ত্রস্ত রাখতে পারো। এছাড়া অন্যান্যদেরকেও যাদেরকে তোমরা জাননা, কিন্তু আল্লাহ জানেন। (০৮. আনফাল ৬০)
আল্লাহর পথে সংগ্রামকারীরা কোন নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করে না:
তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাকে তারা ভয় করবে না। (০৫. মায়েদা ৫৪)
জিহাদের সঠিক অর্থ কি?
জিহাদ, (আরবি: "সংগ্রাম" বা "প্রচেষ্টা") ইসলামে জেহাদের অর্থ  একটি প্রশংসনীয় সংগ্রাম বা প্রচেষ্টা।
ইসলামে জিহাদের ৩ প্রকার কি কি?
জিহাদকে অভ্যন্তরীণ ("বৃহত্তর") জিহাদে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে নিজের ভিত্তি প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং বাহ্যিক ("কম") জিহাদ, যা আবার কলম/জিহাদের (বিতর্ক বা প্ররোচনা) জিহাদে বিভক্ত। তরবারি.
জিহাদ সম্পর্কে কুরআন কি বলে?
জিহাদ সম্পর্কে কুরআন কি বলে.
যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর, কিন্তু শত্রুতা শুরু করো না। আল্লাহ আগ্রাসনকারীদের পছন্দ করেন না। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়, তাদের (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হয়, কারণ তাদের প্রতি জুলুম করা হয়; এবং নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের সাহায্যের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী।
মুহাম্মদ (সাঃ) এর জিহাদ কিরূপ ছিল?
ইসলামের প্রথম দিকের 'মক্কান' সময়কালে, নবী মুহাম্মদের (সঃ ) জিহাদের বার্তাটি মূর্তিপূজা, পৌত্তলিকতা এবং বহুদেবতার দ্বারা কমবেশি বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি প্রচলিত আদেশের বিরুদ্ধে ইসলামপ্রচারের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন ।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ
Jihad In The Way of Allah
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 7 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Allah is al jabbar
youtube
youtube
youtube
youtube
As a name of Allah سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ Al-Jabbar is only mentioned once in the Qur'an. A second meaning: There is a second meaning to Al-Jabbar: the one who restores, resets, or fixes our brokenness. He fixes by force and changes the state of something that is disordered and sets it right.
Arabic Root: From the root jim-ba-ra (ج ب ر), which has the following classical Arabic connotations: to restore something to sound, right or good state to bring back to normal, reform to benefit, to confer a benefit to be supreme, high, above all of creation to be compelling, irresistible.
As a name of Allah سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ Al-Jabbar is only mentioned once in the Qur'an.
Is Jabbar a name of Allah?
Jabbar (Arabic: جبار) is an Arabic word meaning "great" or "mighty". With the definite article as al-Jabbar (Arabic: الجبار) it is one of the names of God in Islam, and is so used in the given name Abd al-Jabbar (Arabic: عبد الجبار).
জব্বার কি আল্লাহর নাম?
youtube
youtube
youtube
youtube
আল-জাব্বার নামের তিনটি অর্থ রয়েছে। সব অর্থই তাঁর আল-জাব্বার নামের অন্তর্ভুক্ত। তিনি দুর্বল ও তাঁর জন্য নিবেদিত ভঙ্গ হৃদয়কে আশ্রয় দান করেন। ফলে তিনি দুর্বল ভঙ্গ হৃদয়ের অধিকারীকে স্নেহ ও মায়া-মমতা করেন, গরিবকে ধনী করেন, বিপদাপদে পতিত সমস্ত কঠোরতাকে তিনি সহজ করেন, তাঁর তাওফিকে বিপদে আপতিত ব্যক্তিকে স্নেহ করে সাহায্য করেন, তাকে অটল ও ধৈর্যধারণে সহযোগিতা করেন, বিপদে আপতিত ব্যক্তি যথাযথ ভাবে বিপদে ধৈর্যধারণ করলে তাকে এর চেয়েও বেশি পুরষ্কার দান করেন, তাঁর বড়ত্ব ও মহত্বের সামনে অনুগত ব্যক্তিকে তিনি মহা পুরষ্কার প্রদান করেন, তাঁকে ভালোবাসাকারী অন্তরকে তিনি নানা সম্মান, মর্যাদা ও ঈমানের বিভিন্ন অবস্থাভেদে পুরষ্কার প্রদান করে পুষিয়ে দেন। সুতরাং তাঁকে ভালোবাসা বিনীত হৃদয়ের পুরষ্কার হলো তিনি তাদের কাছেই থাকেন, তারা তাঁকে ডাকলে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন। কেউ তাঁকে এভাবে ডাকলে, ‘হে আল্লাহ আপনি আমাকে স্নেহ ও মায়া প্রদান করুন।’ তিনি এ স্নেহ দ্বারা প্রকৃতপক্ষে বান্দার সংশোধন ও যাবতীয় অপছন্দনীয় কাজ থেকে তাকে রক্ষা করা উদ্দেশ্য বুঝায়।
আল-জাব্বারের দ্বিতীয় অর্থ হলো আল-কাহহার তথা মহাপ্রতাবশালী, দমনকারী। সৃষ্টিজগতের যা কিছু তাঁর নৈকট্য অর্জন করে, যা কিছু তাঁর কাছে বিনীত, নিবেদিত এবং অন্য যা কিছু যেভাবেই থাকুক তিনি সবার জন্য আল-জাব্বার তথা মহাপ্রতাবশালী, দমনকারী।
আল-জাব্বার শব্দের আরে�� অর্থ সমুচ্চ, মহিমান্বিত। তিনি সব কিছুর ঊর্ধ্বে, তিনি মহিমান্বিত। অত:এব, আল-জাব্বার শব্দের অর্থ আর-রাঊফ তথা প্রতি স্নেহশীল, সদয় ও সমবেদনা প্রকাশকারী; আল-কাহহার তথা মহাপ্রতাবশালী, দমনকারী; সমুচ্চ, মহিমান্বিত। আবার কখনো আল-জাব্বারের আরেক অর্থ আল-মুতাকাব্বির তথা সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত, অহংকারী। তিনি যাবতীয় দোষ-ত্রুটি মুক্ত এবং কারো অনুরূপ হওয়া, কেউ তাঁর সমকক্ষ, বিপরীত, উচুঁ, অংশীদার ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য থেকে তিনি মুক্ত।
জব্বার নামটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে এবং এর অর্থ শক্তিশালী । এর উত্স আরব উপদ্বীপে খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে এটি একটি জনপ্রিয় প্রদত্ত নাম হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। আরবি সংস্কৃতিতে, নামগুলি প্রায়শই তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ বহন করে এবং বিভিন্ন গুণ বা আকাঙ্খা প্রকাশ করে।
জব্বার (আরবি: جبار) একটি আরবি শব্দ যার অর্থ "মহান" বা "পরাক্রমশালী"। আল-জব্বার (আরবি: الجبار) হিসাবে নির্দিষ্ট নিবন্ধের সাথে এটি ইসলামে আল্লাহর নামগুলির মধ্যে একটি , এবং তাই প্রদত্ত নামে আবদ আল-জবার (আরবি: عبد الجبار) ব্যবহৃত হয়।
আল জাব্বার'কে- জব্বার শব্দের অর্থ কি।
আল্লাহ্ বিস্ময়কর ভাবে বান্দার ভাঙ্গা হৃদয়ে জোড়া লাগিয়ে দেন।
আপনার অন্তরটা যদি ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায় তাহলে 'আল জাব্বারের' কাছে বলুন। তিনি আপনার ভাঙ্গা হৃদয়ে জোড়া লাগিয়ে দিবেন।
আল্লাহ্ হচ্ছেন 'আল জব্বার'। জাব্বার শব্দের একটি অর্থ হচ্ছে ভাঙ্গা জিনিসে জোড়া লাগানো।
আপনার ব্যাথা যত পীড়াদায়কই হোক না কেন 'আল জাব্বারের' কাছে বলুন তিনি সেটাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিতে সক্ষম।
আপনি জীবনের সমস্যা গুলো নিয়ে আপনি শত দ্বিধা আর দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত হয়ে থাকতে পারেন বাট আল্লাহ্, 'আল জাব্বার' আপনার অগোছালো জীবনকে এক নিমিষেই গুছিয়ে দিতে পারেন আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনকে সুশৃঙ্খল করে দিতে পারেন।
সমস্যার আবর্তে দিশেহারা, যার সামনে কোন পথই খোলা নেই, পরিস্থিতির উপর যার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই- এমন মানুষের পাশে যে সত্ত্বা দাঁড়ান তিনি হচ্ছেন- আল জাব্বার।
তাই আপনি ও যে কোন পরিস্থিতিতে 'আল জাব্বারের' উপর ভরসা করুন, তিনি আপনার জীবনে সব অসাধ্যকে সাধন করবেন আর অসম্ভবকে করে দিবেন সম্ভব।
"যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সব কিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।"- সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব, আয়াত ৩
দুআতে আল জাব্বার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?
আমরা নিম্নোক্ত দোয়াটি শেখার মাধ্যমে আল-জব্বার আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি, যেটি প্রার্থনায় দুই সিজদার মাঝখানে বসার সময় বলা বাঞ্ছনীয়। " হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে হেদায়েত করুন, আমাকে সান্ত্বনা দিন, আমাকে স্বাস্থ্য দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদাকে উন্নীত করুন।"
আল জাব্বার কখন পড়তে হয়?
নিয়মিতভাবে আল-জব্বার তেলাওয়াত করা তিলাওয়াতকারীকে কঠোরতা, সহিংসতা, নিষ্ঠুরতা এবং কষ্ট থেকে দূরে রাখে। অধিকন্তু, প্রতিদিন 21 বার আল-জব্বার পাঠ করলে তিলাওয়াতকারীকে সমস্ত অত্যাচার থেকে নিরাপদ রাখবে এবং তাকে কিছু করতে বাধ্য করা হবে না।
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 8 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Surah Ad-Duha & Struggling with Low Mood & Depression
youtube
youtube
youtube
Surah Ad Duha
Thy Guardian-Lord hath not forsaken thee, nor is He displeased. And verily the Hereafter will be better for thee than the present. And soon will thy Guardian-Lord give thee (that wherewith) thou shalt be well-pleased. Did He not find thee an orphan and give thee shelter (and care)?
Surah Ad-Duha & Struggling with Low Mood & Depression
https://www.youtube.com/watch?v=MaV5VwI4XM4
youtube
youtube
youtube
youtube
Tafsir of Surah Ad-Duha
Surat Al-Duha is one of the short surahs in the Holy Qur’an, and carries with it important messages and lessons for humans. This surah glides in the hearts of believers with tenderness and mercy, giving them hope and optimism in life, and reminding them that God Almighty is sufficient and the One who takes care of their affairs and rewards them for His blessings with goodness.
The date and reasons for the revelation of Surah Ad-Duha
Surah Ad-Duha is one of the Meccan surahs, and it was revealed after Surat Al-Fajr and before Surat Al-Sharh, and the number of its verses is eleven verses, and its order is the ninety-third surah,
and it is contained in this surah the personality of the Prophet Muhammad – may God’s peace and blessings be upon him – and what Allah has bestowed upon him from the credit in the worldly and the hereafter, and several reasons have been given for the descent of Surat Al-Duha, including:
1- The reason for its revelation is that the polytheists said to the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him): Your Lord has bid you farewell, so Allaah revealed this surah to reassure him that Allaah is with him, and that He has not left him, and will not abandon him.
2- The reason for its revelation is that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) complained of a disease, and a woman from the polytheists came to him and said to him: I do not see your devil except he has left you, so Allah Almighty revealed this surah to reassure him that he did not abandon him, and that Allah Almighty will heal him.
But the most likely reason is the first reason, which is that the polytheists said to the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him):
Your Lord has bid you farewell, so this surah was revealed to reassure him that he did not leave him, and will not abandon him. The revelation of the Prophet (may Allah’s peace and blessings be upon him) was delayed and the polytheists spread in that lie and slander, that Allah (may He be pleased with him) had bid farewell to the Prophet and left him, so these verses were revealed to silence these tongues, and to announce to the Prophet that his Lord is with him and that he is pleased with him, and it was stated in the hadith:
Jibreel slowed down the Messenger of Allah (may Allah’s peace and blessings be upon him), and the idolaters said: “I have bid farewell to Muhammad” [Narrated by Muslim in his Saheeh] So Allah, the Almighty, revealed: (And the duha and the night if what your Lord bids you farewell and what is said)
Significance of Surat Al-Duha
Surat Al-Duha has many connotations, including:
It is an indication of Allah’s care for the Prophet Muhammad, and his reassurance that he will not abandon him.
An indication that the reward in the Hereafter is better than in this world.
An indication that Allah Almighty guides whomever He wants, and provides him from where it is not counted.
An indication of the importance of social solidarity, and helping the needy, especially orphans and the needy.
An indication of the importance of thanking Allah Almighty for His blessings, and His gratitude for them.
These indications are explained below:
1- An indication of Allah’s care for the Prophet Muhammad (peace and blessings of Allaah be upon him)
The first verses of Surat Al-Duha emphasize Allah’s care for the Prophet Muhammad (peace and blessings of Allaah be upon him) and his assurance that He will not abandon him.
{And the sacrifice and the night, if it is satisfied, your Lord will not say goodbye to you and what is said} That is, Allah Almighty did not leave you, did not hate you, but cared for you and cared for you.
This indication is very important for the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) and for the believers after him, as it confirms that Allah Almighty is with us, and that He will not abandon us, no matter how difficult and difficult we may be.
2- An indication that the reward in the Hereafter is better than this world
The third verse of Surat Al-Duha confirms that the reward in the Hereafter is better than the world, in the words of the Almighty:
And to the end there is a good for you from the first 1
That is, the reward in the Hereafter is better for you than in this world, and that Allah Almighty will give you what you love and please, so that you will be satisfied with it. This sign is very important for believers, as it urges them to endure adversity in this world and to prepare for the hereafter, which is the real abode of retribution.
3- An indication that Allah Almighty guides whomever He wants, and provides him from where it is not calculated
The fifth verse of Surat Al-Duha confirms that Allah Almighty guides whomever He wants, and provides him from where it is not counted, in His saying:
And your Lord will give you a period
That is, Allah Almighty will give you what you love and please, so that you will be satisfied with Him. This sign is very important for believers, as it urges them to be patient in the face of adversity, and to rely on Allah Almighty in all their affairs.
4- An indication of the importance of social solidarity, and helping the needy, especially orphans and the needy
The last verses of Surat Al-Duha urge social solidarity and help the needy, especially orphans and the needy, in the words of the Almighty:
But the orphan shall not be revived, but the one who asks shall not be rejected.1
But by the grace of your Lord, it happened.
That is, as for the orphan, do not oppress him, do not take advantage of his weakness, do not despise him, but have mercy on him, respect him, and treat him well. As for the questioner, do not rebuke him, do not disdain him, but feed him, give him whatever money you can, or return him with a favor.
But by the grace of your Lord, speak it, thank Allah for it, be grateful for it, and spread it among men. This sign is very important for the Islamic community, as it encourages good morals, helping the needy, and spreading goodness among people.
5- An indication of the importance of thanking Allah Almighty for His blessings, and His gratitude for them
The last verse of Surat Al-Duha emphasizes the importance of thanksgiving to Allah Almighty.
Tafsir of Surah Ad-Duha
وَٱلضُّحَىٰ (1) وَٱلَّيۡلِ إِذَا سَجَىٰ (2) مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَىٰ (3) وَلَلۡأٓخِرَةُ خَيۡرٞ لَّكَ مِنَ ٱلۡأُولَىٰ (4) وَلَسَوۡفَ يُعۡطِيكَ رَبُّكَ فَتَرۡضَىٰٓ (5) أَلَمۡ يَجِدۡكَ يَتِيمٗا فَـَٔاوَىٰ (6) وَوَجَدَكَ ضَآلّٗا فَهَدَىٰ (7) وَوَجَدَكَ عَآئِلٗا فَأَغۡنَىٰ (8) فَأَمَّا ٱلۡيَتِيمَ فَلَا تَقۡهَرۡ (9) وَأَمَّا ٱلسَّآئِلَ فَلَا تَنۡهَرۡ (10) وَأَمَّا بِنِعۡمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثۡ (11)
By the forenoon (after sun-rise); And by the night when it is still (or darkens); Your Lord (O Muhammad (Peace be upon him)) has neither forsaken you nor hated you. And indeed the Hereafter is better for you than the present (life of this world). And verily, your Lord will give you (all i.e. good) so that you shall be well-pleased.
Did He not find you (O Muhammad (Peace be upon him)) an orphan and gave you a refuge? And He found you unaware (of the Quran, its legal laws, and Prophethood, etc.) and guided you? And He found you poor, and made you rich (selfsufficient with selfcontentment, etc.)? Therefore, treat not the orphan with oppression, And repulse not the beggar; And proclaim the Grace of your Lord (i.e. the Prophethood and all other Graces).
“And by the morning brightness,”
Ad-Duha (the morning brightness) is the time when the sun rises, it is a blessed time that signifies goodness and hope.
“And [by] the night when it covers,”
As-Sajja (the night when it covers) refers to the darkness and the covering of the earth with its darkness.
“Your Lord has not taken leave of you, [O Muhammad], nor has He detested [you].”
This means that Allah has not abandoned or disliked you, rather He takes care of you and is concerned about you.
“And the Hereafter is better for you than the first [life].”
This means that the reward in the Hereafter is better for you than the worldly life, and Allah will give you what satisfies you.
“And your Lord is going to give you, and you will be satisfied.”
This means that Allah will give you what you love and are pleased with, so you will be content with Him.
“Did He not find you an orphan and give [you] refuge?”
Allah found you as an orphan and provided you with refuge, protection, and care.
“And He found you lost and guided [you].”
Allah found you astray and guided you to the straight path of truth.
“And He found you poor and made [you] self-sufficient.”
Allah found you in need and enriched you, making you self-sufficient and among the leaders and reformers.
“So as for the orphan, do not oppress [him].”
Regarding the orphan, do not oppress him, do not exploit his vulnerability, and treat him with kindness and respect.
“And as for the petitioner, do not repel [him].”
Regarding the one who asks, do not repel him or scold him. Instead, feed him or give him what you can of your wealth or respond to him with kindness.
“And as for the favor of your Lord, report [it].”
Regarding the blessings and favors of your Lord, speak about them, express gratitude to Allah, benefit from them, and share them with others.
At the end of our words, Surat Al-Duha contains with it great messages and through value that we can extract and apply in our daily lives, it invites us to patience and calculation, and reminds us that Allah Almighty is the merciful and generous, and that He will reward us with good and success if we remain believers and adhere to the truth and righteousness,
so let’s be inspired by Surat Al-Duha its vibrant spirit of hope and optimism, and let’s work hard and diligently to achieve good and success in our lives, and let us be assured that Allah Almighty watches us and rewards us for every good we do.
In this regard, you can join the Quran Memorization Academy online, to start your educational stages, and contemplate the verses of the Holy Quran, as Wahion Youha Academy provides many courses by a group of teachers and specialists in the sciences of the Qur’an and Islamic studies, contact us now, and book your first trial class.
 Sources and references
islamciv – islam
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 9 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা দোহা - সব হতাশার সমাধান। 
সূরা দোহা আপনার হতাশাময় জীবন পাল্টে দিতে পারে...
youtube
 
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আদ দোহার শানে নুযুল
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার অসুস্থ হলেন। এ কারণে তিনি একরাত বা দু’রাত সালাত আদায়ের জন্য বের হলেন না। তখন এক মহিলা এসে বলল, মুহাম্মাদ আমি তো দেখছি তোমার শয়তান তোমাকে ত্যাগ করেছে, এক রাত বা দু রাত তো তোমার কাছেও আসেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সূরা নাজিল হয়। (বুখারি, হাদিস, ৪৯৫০, ৪৯৫১, ৪৯৮৩)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহী আসতে বিলম্ব হয়, এতে করে মুশরিকরা বলতে শুরু করে যে, মুহাম্মদকে তার আল্লাহ্ পরিত্যাগ করেছেন ও তার প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সূরা আদ-দুহা অবতীর্ণ হয়।  (মুসলিম, হাদিস, ১৭৯৭)
সূরা আদ দুহা
وَالضُّحٰی ۙ ١ وَالَّیۡلِ اِذَا سَجٰی ۙ ٢ مَا وَدَّعَکَ رَبُّکَ وَمَا قَلٰی ؕ ٣ وَلَلۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لَّکَ مِنَ الۡاُوۡلٰی ؕ ٤ وَلَسَوۡفَ یُعۡطِیۡکَ رَبُّکَ فَتَرۡضٰی ؕ ٥ اَلَمۡ یَجِدۡکَ یَتِیۡمًا فَاٰوٰی ۪ ٦ وَوَجَدَکَ ضَآلًّا فَہَدٰی ۪ ٧ وَوَجَدَکَ عَآئِلًا فَاَغۡنٰی ؕ ٨ فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡہَرۡ ؕ ٩ وَاَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡہَرۡ ؕ ١۰ وَاَمَّا بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ فَحَدِّثۡ ٪ ١١
সূরা আদ-দুহা বাংলা অনুবাদ
সকালের উজ্জ্বল আলোর শপথ, এবং রাতের, যখন তার অন্ধকার গভীর হয়। তোমার প্রতিপালক ��োমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি নারাজও হননি। নিশ্চয়ই পরবর্তী সময় তোমার পক্ষে পূর্বের সময় অপেক্ষা শ্রেয়। অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে এত দেবেন যে, তুমি খুশী হয়ে যাবে। 
তিনি কি তোমাকে ইয়াতীম পাননি, অতঃপর তোমাকে আশ্রয় দিয়েছেন? এবং তোমাকে পেয়েছিলেন, পথ সম্পর্কে অনবহিত; অতঃপর তোমাকে পথ দেখিয়েছেন। এবং তোমাকে নিঃস্ব পেয়েছিলেন, অতঃপর (তোমাকে) ঐশ্বর্যশালী বানিয়ে দিলেন। 
সুতরাং যে ইয়াতীম, তুমি তার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করো না। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না। আর আপনি আপনার রবের অনুগ্র��ের কথা জানিয়ে দিন।
সূরা দুহায় যে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে
এই সূরার শুরুতে দিনের আলো ও রাতের নীরবতা বা অন্ধকারের শপথ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হয়েছে, আপনার রব আপনাকে ভুলে যাননি এবং আপনার প্রতি শক্রতাও পোষণ করেননি। আয়াতে দিন ও রাতের শপথ করার কারণ সম্ভবত এই যে, রাতের নিঝুমতা ও অন্ধকারাচ্ছন্নতার পর দিনের আলোকমালায় উদ্ভাসিত হওয়ার মতই যেন বিরতির অন্ধকারের পর ওহী আগমনের আলো উদ্ভাসিত হয়েছে।
এরপর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত দিন দিন বেড়েই যাবে এবং প্রত্যেক প্রথম অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা উত্তম ও শ্রেয় হবে। এতে জ্ঞানগরিমা ও আল্লাহর নৈকট্যে উন্নতি লাভসহ জীবিকা এবং পার্থিব প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি সব অবস্থাই অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর রাসূলের জন্য আখেরাত তো দুনিয়া থেকে অনেক, অনেক বেশি উত্তম হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ছাটাইতে শোয়ার কারণে তার পার্শ্বদেশে দাগ পড়ে গেল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, আমাদেরকে অনুমতি দিলে আমরা আপনার জন্য একটি কিছু তৈরী করে দিতাম যা আপনাকে এমন কষ্ট দেওয়া থেকে হেফাজত করত। 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার আর এ দুনিয়ার ব্যাপারটি কি? আমি ও দুনিয়ার উদাহরণ তো এমন যেমন কোন সওয়ারী কোন গাছের নীচে বিশ্রামের জন্য আশ্রয় নিল তারপর সেটা ছেড়ে চলে গেল। (ইবনে মাজাহ, ৪১০৯, মুসনাদে আহমাদ, ১/৩৯১)
এরপর বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এতো প্রাচুর্য দেবেন যে, তিনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। এতে কি দিবেন, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, প্রত্যেক কাম্যবস্তুই প্রচুর পরিমাণে দেবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাম্যবস্তুসমূহের মধ্যে ছিল ইসলাম ও কোরআনের উন্নতি, সারা বিশ্বে হিদায়াতের প্রসার, শত্রুর বিরুদ্ধে তার বিজয়লাভ, শত্রুদেশে ইসলামের কালেমা সমুন্নত করা ইত্যাদি। আর তার মৃত্যুর পর হাশরের ময়দানে ও জান্নাতেও তাকে আল্লাহ তায়ালা অনেক অনুগ্রহ দান করবেন।
সুরা দুহা: ৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা দুহা কোরআনের ৯৩তম সুরা, এটি মক্কায় অবতীর্ণ, এর আয়াত সংখ্যা ১১টি, রুকু সংখ্যা ১টি। এ সুরাটি নাজিল হওয়ার আগে বেশ কিছুদিন কুরআন নাজিল হওয়া ও ওহী আসা বন্ধ ছিল। নবিজি এ কারণে খুবই অস্থির ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন তার কোনো ভুলের কারণে আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সুরা দুহা নাজিল করে আল্লাহ নিশ্চিত করেন, তিনি নবিজির ওপর অসন্তুষ্ট হননি বা তাকে ত্যাগও করেননি।
সুরা দুহা
(১) শপথ পূর্বাহ্নের, (২) শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়, (৩) তোমার রব আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরুপও হননি। (৪) অবশ্যই তোমার পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে উত্তম। (৫) অচিরেই তোমার রব তোমাকে দান করবেন, ফলে তুমি সন্তুষ্ট হবে। (৬) তিনি কি তোমাকে এতিম অবস্থায় পাননি? তারপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। (৭) তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, তারপর পথ দেখিয়েছেন। (৮) তিনি তোমাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, তারপর অভাবমুক্ত করেছেন. (৯) সুতরাং তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না; (১০) ভিক্ষুককে ধমক দিও না, (১১) এবং তোমার রবের নেয়ামতের কথা বর্ণনা করো।
৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন বিপদাপদ, বালা মসিবত আসবেই, বিপদের সময় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। দুনিয়ার কষ্টের প্রতিদান দুনিয়াতেই বা আখেরাতে আপনি পাবেন এই বিশ্বাস রাখুন।
২. আপনার ওপর আল্লাহর যে বহু অনুগ্রহ ও নেয়ামত আছে, অতীতে আল্লাহ যে বিভিন্নভাবে আপনাকে সম্মানিত ও সমৃদ্ধ করেছেন, বিপদের সময় সেগুলোর কথা বেশি বেশি স্মরণ করুন এবং আল্লাহর শোকর আদায় করুন, ধৈর্যধারণ করুন।
৩. আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও অগণিত নেয়ামতের কথা স্মরণ করে আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্যে নিজেকে সমর্পন করুন; তার নির্দেশগুলো পালন করুন, নিষেধগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৪. অসহায়, এতিম, ভিক্ষুক ও দরিদ্র মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করুন। তাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। সাহায্য করতে না পারলেও সুন্দরভাবে বিদায় দিন। ধমক দিয়ে কথা বলবেন না. খারাপ ব্যবহার করবেন না।
৫. আল্লাহ নেয়ামত দান করলে কথা, কাজ ও বেশভূষায় তা প্রকাশ করুন। আল্লাহ সমৃদ্ধি ও সচ্ছলতা দান করার পরও দরিদ্রের বেশ ধারণ করবেন না, দরিদ্রের মতো আচরণ করবেন না, কৃপণতা করবেন না।
অনাথ ও দরিদ্রের প্রতি কোমলতা সুরা দোহার শিক্ষা
সুরা দোহা অর্থ মধ্যস্থ রশ্মি। এটি পবিত্র কোরআনের ৯৩তম সুরা এবং মক্কায় অবতীর্ণ। এর ১ রুকু, ১১ আয়াত। একবার কিছুদিন ঐশী বাণী বন্ধ থাকায় মুহাম্মদ (সা.) বিমর্ষ হয়ে পড়লে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলা হয় তাঁকে পরিত্যাগ করা হয়নি।
যে অনাথ ছিল তাকে আশ্রয়, যে ভুল পথে ছিল তাকে পথের হদিস এবং যে অভাবী ছিল তাকে অভাবমুক্ত করা হয়। পিতৃহীন ও সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি কঠোর না হয়ে সুরাটিতে আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ণনা করতে বলা হয়েছে।
মুহাম্মদ (সা.)–এর ওপর কিছুদিন আল কোরআন নাজিল হওয়া বন্ধ ছিল। তখন অবিশ্বাসীরা ঠাট্টা- বিদ্রূপ করতে শুরু করে বলতে লাগল, আজ কিছু নাজিল হয়নি? আসলে আল্লাহ তোমাকে পরিত্যাগ করেছেন, তোমার ওপর অখুশি হয়েছেন। এতে মুহাম্মদ (সা.) কিছুটা বিচলিত ও মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন। মনের কোণে হয়তো এমন চিন্তাও উঁকি দিয়েছিল যে, তাঁর কোনো ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো? সেই সময়েই সুরা আদ দোহা নাজিল হয় মুহাম্মদ (সা.)–কে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এবং কঠিন সময়ে আশার বাণী এবং শক্তি জোগানোর জন্য।
সুরা দোহার সারকথা
এ সুরার শুরুতে প্রথম আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘শপথ দিনের প্রথম প্রহরের!’ দোহা বলতে এমন একটা সময় বোঝায় যখন দিনের কর্মব্যস্ততা শুরু হয় এবং সূর্যের আলোও প্রখর নয়। দ্বিতীয় আয়াতে ‘আর শপথ রাত্রির যখন তা আচ্ছন্ন করে!’ ‘লাইল’ বলতে রাত বোঝায়। যখন তা গভীর ও নিঝুম হয়। তখন শান্তি ও বিশ্রাম নেয় মানুষ। সূর্যের আলোর উপস্থিতি দোহা ও অনুপস্থিতি লাইল এর মাধ্যমে ওহির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
তৃতীয় আয়াতে ‘তোমার প্রতিপালক তোমাকে ছেড়ে যাননি ও তোমার ওপর তিনি অসন্তুষ্ট নন।’ আল্লাহ সরাসরি নবীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি তাঁকে পরিত্যাগ করেননি বা তার কাজে অখুশি হয়ে বিরূপ হননি।
চতুর্থ ও পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমার জন্য পরকাল ইহকালের চেয়ে ভালো। তোমার প্রতিপালক তো তোমাকে অনুগ্রহ করবেনই, আর তুমিও সন্তুষ্ট হবে।’ উত্তম ভবিষ্যৎ ও সন্তোষজনক প্রতিদান এর আগাম সুসংবাদ জানিয়ে আরও প্রফুল্ল ও উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন
সব হতাশার সমাধান - সূরা দোহা
সূরা দোহা -সব হতাশার সমাধান
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 10 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Allah is Al ahad
আহাদুন আহাদ Ahadun Ahad
Ahadun Ahad
আহাদুন আহাদ
youtube
youtube
youtube
What is the meaning of “Ahadun Ahad”?
"Ahadun Ahad" is an Arabic phrase which means The One  or "Unique". It is often used to describe something that is singular, exceptional, or unmatched. The word "Ahad" is an Arabic word that refers to the absolute unity and singularity of God and is often used to emphasize the oneness of God in Islam.
al-Aḥad or Aḥad (Arabic: الأحد) is one of the names of God (Arabic: Allah) according to Islam, meaning "The One". This name means that God, in Islam, is the one who is singled out in all aspects of perfection and that nothing else shares perfectness with Him.
Allah calls Himself Al-Ahad— The Only One, the Unique—in the Quran. Al-Ahad is the One who was, is, and will ever remain alone. He is indivisible and the essence of unity, and nothing or no one can ever be equal to Him in essence in all His beautiful attributes!
The Sole One, The Unity
Ahad comes from the root hamza-haa-daal, which points to two main meanings. The first meaning is to be the only one and sole. The second main meaning is to unite or unify.
This root appears 85 times in the Quran in 2 derived forms. Examples of these forms are ahadun (“anyone”), ahadukum (“one of you”) and ihdaa (“any, one”).
Linguistically what is ahad cannot be divided into parts, whereas that which is waahid appears to be divisable into separate parts. Some (scholars) differentiated between al-Waahid and al-Ahad by saying that al-Waahid refers to His being one in His essence only, whilst al-Ahad means that He is one in both His essence and His attributes [Tafseer Asmaa’ Allaah by al-Zajjaaj, p. 58]
And it was said that al-Waahid means He is unique in His essence and does not have any peer or rival, and al-Ahad is unique in His attributes. So al-Waahid is one in and of Himself, and al-Ahad means being one in His attributes. Al-Ahad is one of the attributes of Allah which belong uniquely to Him, and in which nothing else has a share. (Lisaan al-‘Arab –Ahad – 1/35; wahida 8/4779 – 4783).
Allah is Al- Ahad and Al-Waahid, He is unique in being one in both His essence and His attributes!
Al-Ahad Himself says: . . . Say: He is Allah [who is] One. [Quran, 112:1]
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আহাদুন আহাদ
"আহাদুন আহাদ" এর অর্থ কি?
"আহাদুন আহাদ" একটি আরবি শব্দগুচ্ছ যার অর্থ এক বা "অদ্বিতীয়"। এটি প্রায়শই এমন কিছু বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয় যা একবচন, ব্যতিক্রমী বা অতুলনীয়। "আহাদ" শব্দটি একটি আরবি শব্দ যা ঈশ্বরের পরম একতা এবং এককতাকে বোঝায় এবং প্রায়শই ইসলামে ঈশ্বরের একত্বের ��পর জোর দিতে ব্যবহৃত হয়।
আল-আহদ বা আহাদ (আরবি: الأحد) ইসলাম অনুসারে ঈশ্বরের (আরবি: আল্লাহ) একটি নাম, যার অর্থ "একজন"। এই নামের অর্থ হল, ইসলামে ঈশ্বর হলেন সে-ই  যিনি পরিপূর্ণতার সমস্ত দিক থেকে আলাদা এবং অন্য কিছুই তাঁর সাথে পূর্ণতা ভাগ করে না।
আল্লাহ নিজেকে আল-আহাদ বলেছেন—একমাত্র, অদ্বিতীয়—কুরআনে। আল-আহাদ হলেন তিনি যিনি ছিলেন, আছেন এবং চিরকাল একা থাকবেন। তিনি অবিভাজ্য এবং ঐক্যের সারমর্ম, এবং তাঁর সমস্ত সুন্দর গুণাবলীতে সারমর্মে কিছুই বা কেউ কখনও তাঁর সমান হতে পারে না!
একমাত্র, একতা
আহাদ মূল হামজা-হা-দাল থেকে এসেছে, যা দুটি প্রধান অর্থ নির্দেশ করে। প্রথম অর্থ হল একমাত্র ও একমাত্র হওয়া। দ্বিতীয় প্রধান অর্থ হল একত্রিত হওয়া বা ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
এই মূলটি কুরআনে 85 বার 2টি উদ্ভূত আকারে উপস্থিত হয়েছে। এই ফর্মগুলির উদাহরণ হল আহাদুন ("যে কেউ"), আহাদুকুম ("তোমাদের একজন") এবং ইহদা ("যেকোনো, এক")।
ভাষাগতভাবে আহাদকে ভাগে ভাগ করা যায় না, যেখানে ওয়াহিদকে আলাদা ভাগে ভাগ করা যায় বলে মনে হয়। কিছু (পণ্ডিত) আল-ওয়াহিদ এবং আল-আহাদের মধ্যে এই বলে পার্থক্য করেছেন যে আল-ওয়াহিদ কেবল তাঁর সারাংশের মধ্যে এক হওয়াকে বোঝায়, যখন আল-আহাদের অর্থ হল তিনি তাঁর সারাংশ এবং তাঁর গুণাবলী উভয়ের মধ্যেই এক [তাফসীরে আসমা'আল্লাহ আল-জাজ্জাজ দ্বারা, পৃ. 58]
youtube
Allah is Al Ahad
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 10 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Allah is Al ahad
আহাদুন আহাদ Ahadun Ahad
Ahadun Ahad
আহাদুন আহাদ
youtube
youtube
youtube
What is the meaning of “Ahadun Ahad”?
"Ahadun Ahad" is an Arabic phrase which means The One  or "Unique". It is often used to describe something that is singular, exceptional, or unmatched. The word "Ahad" is an Arabic word that refers to the absolute unity and singularity of God and is often used to emphasize the oneness of God in Islam.
al-Aḥad or Aḥad (Arabic: الأحد) is one of the names of God (Arabic: Allah) according to Islam, meaning "The One". This name means that God, in Islam, is the one who is singled out in all aspects of perfection and that nothing else shares perfectness with Him.
Allah calls Himself Al-Ahad— The Only One, the Unique—in the Quran. Al-Ahad is the One who was, is, and will ever remain alone. He is indivisible and the essence of unity, and nothing or no one can ever be equal to Him in essence in all His beautiful attributes!
The Sole One, The Unity
Ahad comes from the root hamza-haa-daal, which points to two main meanings. The first meaning is to be the only one and sole. The second main meaning is to unite or unify.
This root appears 85 times in the Quran in 2 derived forms. Examples of these forms are ahadun (“anyone”), ahadukum (“one of you”) and ihdaa (“any, one”).
Linguistically what is ahad cannot be divided into parts, whereas that which is waahid appears to be divisable into separate parts. Some (scholars) differentiated between al-Waahid and al-Ahad by saying that al-Waahid refers to His being one in His essence only, whilst al-Ahad means that He is one in both His essence and His attributes [Tafseer Asmaa’ Allaah by al-Zajjaaj, p. 58]
And it was said that al-Waahid means He is unique in His essence and does not have any peer or rival, and al-Ahad is unique in His attributes. So al-Waahid is one in and of Himself, and al-Ahad means being one in His attributes. Al-Ahad is one of the attributes of Allah which belong uniquely to Him, and in which nothing else has a share. (Lisaan al-‘Arab –Ahad – 1/35; wahida 8/4779 – 4783).
Allah is Al- Ahad and Al-Waahid, He is unique in being one in both His essence and His attributes!
Al-Ahad Himself says: . . . Say: He is Allah [who is] One. [Quran, 112:1]
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আহাদুন আহাদ
"আহাদুন আহাদ" এর অর্থ কি?
"আহাদুন আহাদ" একটি আরবি শব্দগুচ্ছ যার অর্থ এক বা "অদ্বিতীয়"। এটি প্রায়শই এমন কিছু বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয় যা একবচন, ব্যতিক্রমী বা অতুলনীয়। "আহাদ" শব্দটি একটি আরবি শব্দ যা ঈশ্বরের পরম একতা এবং এককতাকে বোঝায় এবং প্রায়শই ইসলামে ঈশ্বরের একত্বের উপর জোর দিতে ব্যবহৃত হয়।
আল-আহদ বা আহাদ (আরবি: الأحد) ইসলাম অনুসারে ঈশ্বরের (আরবি: আল্লাহ) একটি নাম, যার অর্থ "একজন"। এই নামের অর্থ হল, ইসলামে ঈশ্বর হলেন সে-ই  যিনি পরিপূর্ণতার সমস্ত দিক থেকে আলাদা এবং অন্য কিছুই তাঁর সাথে পূর্ণতা ভাগ করে না।
আল্লাহ নিজেকে আল-আহাদ বলেছেন—একমাত্র, অদ্বিতীয়—কুরআনে। আল-আহাদ হলেন তিনি যিনি ছিলেন, আছেন এবং চিরকাল একা থাকবেন। তিনি অবিভাজ্য এবং ঐক্যের সারমর্ম, এবং তাঁর সমস্ত সুন্দর গুণাবলীতে সারমর্মে কিছুই বা কেউ কখনও তাঁর সমান হতে পারে না!
একমাত্র, একতা
আহাদ মূল হামজা-হা-দাল থেকে এসেছে, যা দুটি প্রধান অর্থ নির্দেশ করে। প্রথম অর্থ হল একমাত্র ও একমাত্র হওয়া। দ্বিতীয় প্রধান অর্থ হল একত্রিত হওয়া বা ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
এই মূলটি কুরআনে 85 বার 2টি উদ্ভূত আকারে উপস্থিত হয়েছে। এই ফর্মগুলির উদাহরণ হল আহাদুন ("যে কেউ"), আহাদুকুম ("তোমাদের একজন") এবং ইহদা ("যেকোনো, এক")।
ভাষাগতভাবে আহাদকে ভাগে ভাগ করা যায় না, যেখানে ওয়াহিদকে আলাদা ভাগে ভাগ করা যায় বলে মনে হয়। কিছু (পণ্ডিত) আল-ওয়াহিদ এবং আল-আহাদের মধ্যে এই বলে পার্থক্য করেছেন যে আল-ওয়াহিদ কেবল তাঁর সারাংশের মধ্যে এক হওয়াকে বোঝায়, যখন আল-আহাদের অর্থ হল তিনি তাঁর সারাংশ এবং তাঁর গুণাবলী উভয়ের মধ্যেই এক [তাফসীরে আসমা'আল্লাহ আল-জাজ্জাজ দ্বারা, পৃ. 58]
youtube
Allah is Al Ahad
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 11 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কোরআন তিলাওয়াতের আদব ও শিষ্টাচার
Etiquette and Etiquette of Quran Recitation
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা।  কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
কোরআন পাঠ করতে হয় যথাযথ ভক্তি, শ্রদ্ধা ও আদব সহকারে। এর আদবগুলো হলো—
প্রথম আদব : নিয়ত শুদ্ধ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণির মানুষের ওপর আগুনের শাস্তি কঠোর করা হবে বলে জানিয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজন ওই কারি, যিনি ইখলাসের সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াত করতেন না। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৮২; সহিহ ইবন হিব্বান, হাদিস : ৪০৮)
দ্বিতীয় আদব : পবিত্র হয়ে অজু অবস্থায় কোরআন তিলাওয়াত করা। অজু ছাড়াও কোরআন পড়া যাবে, তবে তা অজু অবস্থায় পড়ার সমান হতে  পারে না।
তৃতীয় আদব : কোরআন তিলাওয়াতের আগে মিসওয়াক করা।
আলী (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, ‘তোমাদের মুখগুলো কোরআনের পথ। তাই সেগুলোকে মিসওয়াক দ্বারা সুরভিত করো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯১)
চতুর্থ আদব : তিলাওয়াতের শুরুতে আউজুবিল্লাহ পড়া। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘সুতরাং যখন তুমি কোরআন পড়বে, তখন আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাও।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৮)
পঞ্চম আদব : বিসমিল্লাহ পড়া। তিলাওয়াতকারীর উচিত সুরা তাওবা ছাড়া সব সুরার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে প্রমাণিত যে তিনি এক সুরা শেষ করে বিসমিল্লাহ বলে আরেক সুরা শুরু করতেন। শুধু সুরা আনফাল শেষ করে সুরা তাওবা শুরু করার সময় বিসমিল্লাহ    পড়তেন না।
ষষ্ঠ আদব : তারতিলের সঙ্গে (ধীরস্থিরভাবে) কোরআন পড়া।
কারণ আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তারতিলের সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াত করো।’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ৪)
সপ্তম আদব : সুন্দর করে মনের মাধুরী মিশিয়ে কোরআন পড়া। বারা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এশার নামা��ে সুরা ত্বিন পড়তে শুনেছি। আমি তাঁর চেয়ে সুন্দর কণ্ঠে আর কাউকে তিলাওয়াত করতে শুনিনি।’ (বুখারি, হাদিস : ৭৫৪৬; মুসলিম, হাদিস : ১০৬৭)
অষ্টম আদব : সুরসহকারে কোরআন তিলাওয়াত করা। এটি সুন্দর করে কোরআন তিলাওয়াতের অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সে আমার উম্মত নয়, যে সুরসহযোগে কোরআন পড়ে না।’ (বুখারি, হাদিস : ৭৫২৭; আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৭১)
নবম আদব : রাতে ঘুম পেলে বা ঝিমুনি এলে তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ রাতে নামাজ পড়ে, ফলে তার জিহ্বায় কোরআন এমনভাবে জড়িয়ে আসে যে সে কী পড়ছে তা টের পায় না, তাহলে সে যেন শুয়ে পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৭২; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮২১৪)
অর্থাৎ তার উচিত এমতাবস্থায় নামাজ না পড়ে বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়া, যাতে তার মুখে কোরআন ও অন্য কোনো শব্দের মিশ্রণ না ঘটে এবং কোরআনের আয়াত এলোমেলো হয়ে না যায়।
দশম আদব : ফজিলতপূর্ণ সুরাগুলো ভালোভাবে শিক্ষা করা এবং সেগুলো বেশি বেশি তিলাওয়াত করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ কি রাত্রিকালে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াতে অক্ষম? তারা বলল, কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ কিভাবে পড়া যাবে! তিনি বলেন, ‘সুরা ইখলাস কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমতুল্য।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯২২; বুখারি, হাদিস : ৫০১৫)
একাদশ আদব : ধৈর্য নিয়ে কোরআন তিলাওয়াত করা। যিনি অনায়াসে কোরআন পড়তে পারেন না, তিনি আটকে আটকে ধৈর্যসহ পড়বেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোরআন পাঠে যে অভিজ্ঞ ব্যক্তি কোরআন তিলাওয়াত করে, সে সম্মানিত রাসুল ও পুণ্যাত্মা ব্যক্তিদের সঙ্গে থাকবে। আর যে ব্যক্তি তোতলাতে তোতলাতে সক্লেশে কোরআন তিলাওয়াত করবে, তার জন্য দ্বিগুণ নেকি লেখা হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৯৩৭; মুসলিম, হাদিস : ১৮৯৮)
দ্বাদশ আদব : কোরআন তিলাওয়াতের আরেকটি আদব হলো তিলাওয়াতের সময় ক্রন্দন করা। আল্লাহ তাআলা তিলাওয়াতের সময় ক্রন্দনরতদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে লুটিয়ে পড়ে এবং এটা তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১০৯)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (���া.) আমাকে বলেছেন, আমাকে তুমি তিলাওয়াত করে শোনাও। বললাম, আমি আপনাকে তিলাওয়াত শোনাব, অথচ আপনার ওপরই এটি অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বলেন, আমি অন্যের তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি। অতঃপর আমি তাঁকে সুরা নিসা পড়ে শোনাতে লাগলাম। যখন আমি সুরা নিসার ৪১ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করলাম, তিনি বললেন, ব্যস, যথেষ্ট হয়েছে। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তাঁর চোখ থেকে অঝোর ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৫০; মুসলিম, হাদিস : ১৯০৩)
আয়াতটি হলো, ‘যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকে উপস্থিত করব তাদের ওপর সাক্ষীরূপে, তখন কী অবস্থা হবে?’
কাসিম (রহ.) একবার আয়েশা (রা.)-এর কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তিনি দেখেন, আয়েশা (রা.) একটি আয়াত বারবার আবৃত্তি করছেন আর কেঁদে কেঁদে দোয়া করছেন। আয়াতটি হলো, ‘অতঃপর আল্লাহ আমাদের প্রতি দয়া করেছেন এবং আগুনের আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন।’ (সুরা : তুর, আয়াত : ২৭)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) যখন এ আয়াত তিলাওয়াত করেন, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করেন। আয়াতটি হলো, ‘আর মৃত্যুর যন্ত্রণা অবশ্যই আসবে, যা থেকে তুমি পলায়ন করতে চাইতে।’ (সুরা : ক্বফ, আয়াত : ১৯)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) যখন এ আয়াতটি পড়তেন, তখনই তিনি কান্নাকাটি করতেন। আয়াতটি হলো, ‘...আর তোমাদের মনে যা আছে, তা যদি তোমরা প্রকাশ করো অথবা গোপন করো, আল্লাহ সে বিষয়ে তোমাদের হিসাব নেবেন...।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৪)
মূল কথা হলো, কোরআন তিলাওয়াতের সময় কান্নাকাটি করা এবং চোখে পানি আসা ঈমানের আলামত। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোরআনের পাঠকদের মধ্যে ওই ব্যক্তির কণ্ঠ সর্বোত্তম, যার তিলাওয়াত কেউ শুনলে মনে হয় যে সে কাঁদছে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৯)
ত্রয়োদশ আদব : কোরআন তিলাওয়াতের আরেকটি আদব হলো এর মর্ম নিয়ে চিন্তা করা। এটিই তিলাওয়াতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদব। তিলাওয়াতের সময় চিন্তা-গবেষণা করাই এর প্রকৃত সুফল বয়ে আনে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমার প্রতি নাজিল করেছি এক বরকতময় কিতাব, যাতে তারা এর আয়াতগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে এবং যাতে বুদ্ধিমানরা উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা : সদ, আয়াত : ২৯)
ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞরা লিখেছেন, তিন দিনের কম সময়ে কোরআন খতম করা অনুচিত। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘তিন দিনের কম সময়ে যে কোরআন খতম করবে, সে কোরআন বুঝবে না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৯৬)
জায়েদ বিন সাবেত (রা.)-কে একজন জিজ্ঞেস করলেন, সাত দিনে কোরআন খতম করাকে আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখেন? তিনি বলেন, এটা ভালো। অবশ্য আমি এটাকে ১৫ দিনে বা ১০ দিনে খতম করাই পছন্দ করি। আমাকে জিজ্ঞেস করো, তা কেন? তিনি বলেন, আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করছি। জায়েদ বলেন, যাতে আমি তার স্থানে স্থানে চিন্তা করতে পারি এবং থামতে পারি।’ (মুয়াত্তা মালেক, হাদিস : ৪৭২)
চতুর্দশ আদব : তিলাওয়াতের সময় সিজদার আয়াত এলে সিজদা দেওয়া। সিজদার নিয়ম হলো, তাকবির দিয়ে সিজদায় চলে যাওয়া।
পঞ্চদশ আদব : যথাসম্ভব আদবসহ বসা। আর বসা, দাঁড়ানো, চলমান ও হেলান দেওয়া—সর্বাবস্থায় তিলাওয়াত করার অনুমতি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘যারা আল্লাহকে স্মরণ করে দাঁড়িয়ে, বসে ও কাত হয়ে এবং আসমান ও জমিনের সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে...।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯১)
কোরআন তিলাওয়াতের আদব ও শিষ্টাচার
Etiquette and Etiquette of Quran Recitation
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা।  কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
কোরআন পাঠ করতে হয় যথাযথ ভক্তি, শ্রদ্ধা ও আদব সহকারে।
পৃথিবীর বুকে মানুষের জন্য আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে কোরআনে কারিম। কোরআন তেলাওয়াত শোনার মানে হলো শ্রেষ্ঠ বাণী শোনা।
কোরআনে কারিমের তেলাওয়াত স্বতন্ত্র ইবাদত হিসেবে গণ্য। এর ফজিলত অনেক বেশি।
কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার আদেশ-নিষেধগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং সে অনুযায়ী আমল করা। কোরঅান তেলাওয়াত করে ক্বারি হিসেবে খ্যাতি লাভ করার উদ্দেশ্যে কোরআন তেলাওয়াত করা ঠিক নয়। অনেকে আবার দুনিয়ার স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে কোরআন তেলাওয়াত করে। এ ধরনের তেলাওয়াতে কোনো কল্যাণ নেই। তবে, নিজ জীবনে কোরআন বাস্তবায়নের পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার জন্য তেলাওয়াত করাটা একটা ধারা।
কোরআনে কারিম তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে শিষ্টতাপূর্ণ কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। এগুলোর কোনোটা বাহ্যিক আবার কোনো কোনোটা অভ্যন্তরীণ। কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো অনুসরণ করা জরুরি।  
বাহ্যিক সৌন্দর্যের মাঝে রয়েছে তেলাওয়াতের জন্য অবস্থান নির্ণয় করা। কোরআন সর্বাবস্থায় তেলাওয়াত করা যায়। দাঁড়িয়ে, বসে কিংবা শুয়েও কোরআন পড়া যায়।
এই যে আমরা কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে নিয়ম-শৃঙ্খলার কথা বললাম- কোরআনের আলোকে সেদিকে একটু দৃষ্টি দেওয়া যাক। সূরা ওয়াকিয়ার ৭৯ নম্বর আয়াতে কোরআনের পবিত্রতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ইরশাদ করা হয়েছে, ‘পবিত্র সত্তা ছাড়া কেউ এ কোরআন স্পর্শ করতে পারে না। ’
এ আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে কোনো কোনো মুফাসসির বলেছেন, ‘পাক-পবিত্র নয় এমন কোনো ব্যক্তি যেন তা স্পর্শ না করে। ’ তার মানে অজু গোসল ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা ঠিক নয়।
কোরআন তেলাওয়াত করার সময় পবিত্র থাকা শরিয়তের বিধান মতে মোস্তাহাব। অনেক আলেম তো এটাও বলেছেন যে, কোরআন তেলাওয়াতের আগে মুখটাকে পরিষ্কার করো। কেননা মানুষের মুখ হলো কোরআনের পথ। তার মানে কোরআনের আধ্যাত্মিক গুণে যিনি সমৃদ্ধ হতে চান তার উচিত আত্মিক পবিত্রতা এবং আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপন করা।
কোরআন তেলাওয়াতের শুরুতে এস্তেআজা বাক্যটি পড়ে নিতে হবে। এস্তেআজা বলা হয়, আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম বলাকে। এর উদ্দেশ্য হলো, কোরআন তেলাওয়াতের শুরুতে আল্লাহতায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। এ প্রসঙ্গে সূরা নামলের ৯৮ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কোরআন পাঠ করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে। ’
এরপর ‘তাসমিয়া’ মানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে কোরআন তেলাওয়াত শুরু করবে। কোরআন তেলাওয়াতের শুরুতে এস্তেআজার মাধ্যমে গুনাহের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখে তাসমিয়ার মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্যের দ্বার উন্মোচন করা হয়।
কোরআনে কারিম নীরবে শোনাও তেলাওয়াতের একটি শিষ্টাচার। সূরা আরাফের ২০৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যখন কোরআন তোমাদের সামনে পড়া হয়, তা মনোযোগ সহকারে শোনো এবং নীরব থাকো, হয়তো তোমাদের প্রতিও রহমত বর্ষিত হবে। ’
এ আয়াতের দাবি অনুযায়ী কোরআন তেলাওয়াতের সময় নীরবে আল্লাহর ওহির মর্যাদাময় বাণী মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। কোরআন তেলাওয়াত করার সময় আল্লাহতায়ালা তেলাওয়াতকারীর সঙ্গে কথা বল���ন। সেজন্য খুব ভালোভাবে শোনা উচিত এবং শুনে মনোযোগের সঙ্গে আয়াতের বক্তব্য নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। যাতে করে ম���ান আল্লাহতায়ালা ঐশী বাণী থেকে বেশি করে উপকৃত হওয়া যায়।
তেলাওয়াত হলো- আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ গ্রন্থ বিশেষ করে পবিত্র কোরআন পড়া। এই কোরআন পড়ার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন যাকে ব্যাকরণ বলা হয়, সেগুলো মেনে চলতে হবে। কোরআনের পরিভাষায় এই নিয়ম-কানুনকে বলা হয় তারতিল।
‘তারতিল’ মানে কোরআন থেমে থেমে পাঠ করাকে বোঝায়। তাই কোরআন তাড়াতাড়ি বা দ্রুতগতিতে না পড়াই শ্রেয়। ধীরে ধীরে প্রতিটি শব্দ সুন্দরভাবে মুখে উচ্চারণ করে কোরআন তেলাওয়াতের বিশেষ মাহাত্ম রয়েছে। তা হলো, এক একটি আয়াত পড়ে থামলে বা বিরতি নিলে মন আল্লাহর বাণীর অর্থ ও তার দাবীকে পুরোপুরি উপলদ্ধি করতে পারবে এবং তার বিষয়বস্তু দ্বারা প্রভাবিত হবে।  
তারতিলের ভেতর কোরআনের প্রতিটি শব্দের বিশুদ্ধ উচ্চারণ করার বিষয়টিও রয়েছে। উচ্চারণের ক্ষেত্রে দু’টি বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখতে হবে। একটি হলো মাখরাজ বা উচ্চারণ স্থান। প্রতিটি ধ্বনি বাক প্রত্যঙ্গের ঠিক কোন স্থান থেকে উচ্চারিত হবে সেটি জানতে হবে।
আরেকটি হলো- সিফাত বা শব্দের অবস্থা ও গুণাবলি অনুযায়ী উচ্চারণ করা। কোরআন তেলাওয়াতের এই ব্যাকরণকে তাজবিদ বলা হয়। তাজবিদ জানার কোনো বিকল্প নেই।
কোরআনকে সুন্দর করে সুরেলা কণ্ঠে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোরআন দেখে দেখে পড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার কোরআন তেলাওয়াতের বাতেনি বা অদৃশ্য শিষ্টাচারের কথা আলোচনা করা যাক।
একজন ক্বারি কতটুকু তেলাওয়াত করবেন সেটা বিবেচ্য বিষয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ... তাই কোরআনের যতটা পরিমাণ সহজেই পড়া যায়- ততটাই পড়তে থাকো! নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও।
ইসলামি স্কলারদের অভিমত হচ্ছে,কোরআন নিয়মিত তেলাওয়াত করা। ধীরে ধীরে তেলাওয়াতের পরিমাণ বাড়াতে থাকা। নিজে নির্ধারণ করে নেওয়া, প্রতিদিন কতটুকু করে তেলাওয়াত করবে সে বিষয়ে। আল্লাহ সবাইকে নিয়ম করে, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করার তওফিক দান করুন। আমিন।
অসাধারণ কিছু তেলাওয়াত
অসাধারণ কিছু আবৃত্তি
Some Wonderful Recitations
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কোরআন তিলাওয়াতের আদব ও শিষ্টাচার
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 11 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কোরআন তিলাওয়াতের আদব ও শিষ্টাচার
Etiquette and Etiquette of Quran Recitation
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা।  কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
কোরআন পাঠ করতে হয় যথাযথ ভক্তি, শ্রদ্ধা ও আদব সহকারে।
পৃথিবীর বুকে মানুষের জন্য আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে কোরআনে কারিম। কোরআন তেলাওয়াত শোনার মানে হলো শ্রেষ্ঠ বাণী শোনা।
কোরআনে কারিমের তেলাওয়াত স্বতন্ত্র ইবাদত হিসেবে গণ্য। এর ফজিলত অনেক বেশি।
কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার আদেশ-নিষেধগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং সে অনুযায়ী আমল করা। কোরঅান তেলাওয়াত করে ক্বারি হিসেবে খ্যাতি লাভ করার উদ্দেশ্যে কোরআন তেলাওয়াত করা ঠিক নয়। অনেকে আবার দুনিয়ার স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে কোরআন তেলাওয়াত করে। এ ধরনের তেলাওয়াতে কোনো কল্যাণ নেই। তবে, নিজ জীবনে কোরআন বাস্তবায়নের পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার জন্য তেলাওয়াত করাটা একটা ধারা।
কোরআনে কারিম তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে শিষ্টতাপূর্ণ কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। এগুলোর কোনোটা বাহ্যিক আবার কোনো কোনোটা অভ্যন্তরীণ। কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো অনুসরণ করা জরুরি।  
বাহ্যিক সৌন্দর্যের মাঝে রয়েছে তেলাওয়াতের জন্য অবস্থান নির্ণয় করা। কোরআন সর্বাবস্থায় তেলাওয়াত করা যায়। দাঁড়িয়ে, বসে কিংবা শুয়েও কোরআন পড়া যায়।
এই যে আমরা কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে নিয়ম-শৃঙ্খলার কথা বললাম- কোরআনের আলোকে সেদিকে একটু দৃষ্টি দেওয়া যাক। সূরা ওয়াকিয়ার ৭৯ নম্বর আয়াতে কোরআনের পবিত্রতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ইরশাদ করা হয়েছে, ‘পবিত্র সত্তা ছাড়া কেউ এ কোরআন স্পর্শ করতে পারে না। ’
এ আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে কোনো কোনো মুফাসসির বলেছেন, ‘পাক-পবিত্র নয় এমন কোনো ব্যক্তি যেন তা স্পর্শ না করে। ’ তার মানে অজু গোসল ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা ঠিক নয়।
কোরআন তেলাওয়াত করার সময় পবিত্র থাকা শরিয়তের বিধান মতে মোস্তাহাব। অনেক আলেম তো এটাও বলেছেন যে, কোরআন তেলাওয়াতের আগে মুখটাকে পরিষ্কার করো। কেননা মানুষের মুখ হলো কোরআনের পথ। তার মানে কোরআনের আধ্যাত্মিক গুণে যিনি সমৃদ্ধ হতে চান তার উচিত আত্মিক পবিত্রতা এবং আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপন করা।
কোরআন তেলাওয়াতের শুরুতে এস্তেআজা বাক্যটি পড়ে নিতে হবে। এস্তেআজা বলা হয়, আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম বলাকে। এর উদ্দেশ্য হলো, কোরআন তেলাওয়াতের শুরুতে আল্লাহতায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। এ প্রসঙ্গে সূরা নামলের ৯৮ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কোরআন পাঠ করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে। ’
এরপর ‘তাসমিয়া’ মানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে কোরআন তেলাওয়াত শুরু করবে। কোরআন তেলাওয়াতের শুরুতে এস্তেআজার মাধ্যমে গুনাহের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখে তাসমিয়ার মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্যের দ্বার উন্মোচন করা হয়।
কোরআনে কারিম নীরবে শোনাও তেলাওয়াতের একটি শিষ্টাচার। সূরা আরাফের ২০৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যখন কোরআন তোমাদের সামনে পড়া হয়, তা মনোযোগ সহকারে শোনো এবং নীরব থাকো, হয়তো তোমাদের প্রতিও রহমত বর্ষিত হবে। ’
এ আয়াতের দাবি অনুযায়ী কোরআন তেলাওয়াতের সময় নীরবে আল্লাহর ওহির মর্যাদাময় বাণী মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। কোরআন তেলাওয়াত করার সময় আল্লাহতায়ালা তেলাওয়াতকারীর সঙ্গে কথা বলেন। সেজন্য খুব ভালোভাবে শোনা উচিত এবং শুনে মনোযোগের সঙ্গে আয়াতের বক্তব্য নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। যাতে করে মহান আল্লাহতায়ালা ঐশী বাণী থেকে বেশি করে উপকৃত হওয়া যায়।
তেলাওয়াত হলো- আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ গ্রন্থ বিশেষ করে পবিত্র কোরআন পড়া। এই কোরআন পড়ার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন যাকে ব্যাকরণ বলা হয়, সেগুলো মেনে চলতে হবে। কোরআনের পরিভাষায় এই নিয়ম-কানুনকে বলা হয় তারতিল।
‘তারতিল’ মানে কোরআন থেমে থেমে পাঠ করাকে বোঝায়। তাই কোরআন তাড়াতাড়ি বা দ্রুতগতিতে না পড়াই শ্রেয়। ধীরে ধীরে প্রতিটি শব্দ সুন্দরভাবে মুখে উচ্চারণ করে কোরআন তেলাওয়াতের বিশেষ মাহাত্ম রয়েছে। তা হলো, এক একটি আয়াত পড়ে থামলে বা বিরতি নিলে মন আল্লাহর বাণীর অর্থ ও তার দাবীকে পুরোপুরি উপলদ্ধি করতে পারবে এবং তার বিষয়বস্তু দ্বারা প্রভাবিত হবে।  
তারতিলের ভেতর কোরআনের প্রতিটি শব্দের বিশুদ্ধ উচ্চারণ করার বিষয়টিও রয়েছে। উচ্চারণের ক্ষেত্রে দু’টি বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখতে হবে। একটি হলো মাখরাজ বা উচ্চারণ স্থান। প্রতিটি ধ্বনি বাক প্রত্যঙ্গের ঠিক কোন স্থান থেকে উচ্চারিত হবে সেটি জানতে হবে।
আরেকটি হলো- সিফাত বা শব্দের অবস্থা ও গুণাবলি অনুযায়ী উচ্চারণ করা। কোরআন তেলাওয়াতের এই ব্যাকরণকে তাজবিদ বলা হয়। তাজবিদ জানার কোনো বিকল্প নেই।
কোরআনকে সুন্দর করে সুরেলা কণ্ঠে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোরআন দেখে দেখে পড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার কোরআন তেলাওয়াতের বাতেনি বা অদৃশ্য শিষ্টাচারের কথা আলোচনা করা যাক।
একজন ক্বারি কতটুকু তেলাওয়াত করবেন সেটা বিবেচ্য বিষয়। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ... তাই কোরআনের যতটা পরিমাণ সহজেই পড়া যায়- ততটাই পড়তে থাকো! নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও।
ইসলামি স্কলারদের অভিমত হচ্ছে,কোরআন নিয়মিত তেলাওয়াত করা। ধীরে ধীরে তেলাওয়াতের পরিমাণ বাড়াতে থাকা। নিজে নির্ধারণ করে নেওয়া, প্রতিদিন কতটুকু করে তেলাওয়াত করবে সে বিষয়ে। আল্লাহ সবাইকে নিয়ম করে, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করার তওফিক দান করুন। আমিন।
অসাধারণ কিছু তেলাওয়াত
অসাধারণ কিছু আবৃত্তি
Some Wonderful Recitations
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কোরআন তিলাওয়াতের আদব ও শিষ্টাচার
Etiquette and Etiquette of Quran Recitation
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 12 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহ দেখতে কেমন?
What does Allah look like?
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ দেখতে কেমন?
ইসলামে, আল্লাহকে (সত্য ইলাহ) কখনোই কোনো প্রতিকৃতিতে চিত্রিত করা হয় না। কুরআন বিশেষভাবে তাঁর একক সার্বভৌমত্ব ভাগাভাগি করতে নিষেধ করেছে, কারণ তিনি অংশীদারমুক্ত, অবিভাজ্য, এবং অতুলনীয় সত্তা।  যিনি কোন কিছুর মতো নন, এবং কিছুই তাঁর সাথে তুলনীয় নয়।
মহাবিশ্বের মহান স্রষ্টা আল্লাহ্‌ তাঁর ��ৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আল্লাহ্‌  তাঁর সৃষ্টিকে পরিবেস্টন করে আছেন। তিনি তাঁর সৃষ্টির কোনটির মতন নন। তাঁকে দুনিয়ার কোন চোখ দেখেনি এবং দেখার ক্ষমতাও রাখেনা। এজন্য মূসা (আলায়হি আস-সালাম) দেখতে চেয়েও পারেননি। মিরাজে গিয়ে মুহাম্মদ (সল্লা আল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁকে দেখতে পাননি। রসূলুল্লাহ্‌কে (সঃ) আবূ যর (রাদি'আল্লাহু আনহু) জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি তাঁর রব্বকে দেখেছেন কিনা। রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) জবাবে বলেছেন, "আমি কিভাবে তাঁকে দেখতে পারি? আমিতো একটি নূর দেখেছি।" (মুসলিম ও বুখারী)। মূলতঃ "কোন দৃষ্টি তাঁকে আয়ত্ত্ব করতে পারেনা। তিনিই বরং সব দৃষ্টিগুলোকে আয়ত্ত্বাধীন রাখেন। বস্তুতঃ তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্মদর্শী ও সব বিষয়ে ওয়াকিবহাল।" [আন'আম, ৬/১০৩]
তিনি আমাদের সব ধারণা-কল্পনার উর্ধ্বে। তিনিই সৃষ্টিকর্তা। "আল্লাহ্‌ কাউকে তাঁর সন্তান বানাননি আর  তাঁর কোনো শরীক নেই। যদি তা-ই হতো তবে এরা প্রত্যেকেই নিজের সৃষ্টি নিয়ে আলাদা হয়ে যেত এবং তারপর একে অন্যের উপর চড়াও হতো।
আল্লাহ্‌ মানুষের পরিচিত কোনো কিছুর মতো নন। তাঁর সত্ত্বা তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে আলাদা। আমরা তাঁর সত্ত্বা সম্পর্কে কো্নো ধারণা করতে পারিনা। [তিনি] আকাশমন্ডল ও জ়মীন সৃষ্টিকারী; তিনি তোমাদের নিজস্ব প্রজাতির মধ্য থেকে তোমাদের জন্য জুড়ি (স্ত্রী-পুরুষ) বানিয়েছেন এবং জন্তু-জানোয়ারের মাঝেও (তাদেরই নিজস্ব প্রজাতির) জুড়ি বানিয়ে দিয়েছেন; আর এভাবেই তিনি তোমাদের বংশবৃদ্ধি ও বিস্তার ঘটান। বিশ্বলোকের কোন কিছুতেই তাঁর সাযুজ্য নেই; আর তিনি সব কিছু শুনেন এবং দেখেন।" [আস-শূরা, ৪২/১০-১১]
আল্লাহ (সত্য ঈশ্বর) কখনোই কোনো ছবিতে চিত্রিত হন না। কুরআনে কঠোরভাবে নিষেধ করা আছে আল্লাহ্‌র সাথে অংশী স্থাপন করতে তাঁর একক সার্বভৌমত্ব ভাগাভাগি করতে। কারণ আল্লাহ্‌ একক ও অবিভাজ্য । তাঁর কোনো দ্বিতীয় এবং তুলনা উপমা নেই। আল্লাহ্‌ পরম একক একমাত্র সত্ত্বা; যিনি কোনো কিছুর মতো নন এবং কোনো কিছুই তাঁর সাথে তুলনীয় নয়।
কেমন দেখতে আল্লাহ?
মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ায় থাকা কোনো বস্তু কিংবা প্রানীর মতো দেখতে নন !
আমরা সর্বদা কোনো না দেখা বস্তু কিংবা প্রানীর রূপ বা আকৃতি ধারণা করে থাকি যা আমরা ইতোপূর্বে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও দেখেছি।আর যা দেখিনি তা আমাদের ধারণায় আসেনা। আমরা এরকম কিছু কল্পানাই করতে পারিনা যা আমরা পূর্বে কোথাও দেখিনি।যদি পারি ও তবে তা আগে যা দেখেছি তার সাথে রিলেটিভ হবে।
তাই আল্লাহর রূপ বা আকৃতি মানুষের চিন্তার বা ধারণার বাহিরে।
আল্লাহকে কি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে?
আল্লাহ, একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ একেশ্বরবাদী অর্থে ঈশ্বর। আল্লাহ কোরআন ও ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু, যেমনটি প্রতিফলিত হয়েছে ইসলামের বিশ্বাসের নিয়মে, "আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ঈশ্বর নেই।" তিনি হলেন রাব্বুল আলামিন, সমস্ত জগতের প্রভু - মানুষ, প্রাণী, পৃথিবী, মহাবিশ্ব, ফেরেশতা, এই জগত এবং পরকাল।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ দেখতে কেমন?
What Does Allah Look Like?
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 13 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
What does Allah look like in real life?
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
In Islam,Allah (True God) is never portrayed in any image. The Quran specifically forbids ascribing partners to share his singular sovereignty, as He is the Absolute One without Indivisible, and Incomparable Being, Who is similar to nothing, and nothing is comparable to Him.
What does Allah look like?
"Allah is our Lord. Allah is the One and Only ‘True God’/ 'True Deity'.We will never understand Allah as His nature supersedes our limited minds. Allah is the Greatest, no one is like Him, He cannot be compared to any of His creatures. Allah Says:
“Say, (O Prophet) “He is Allah” * One Allah—the Sustainer.  * He has never had offspring, nor was He born. * And there is none comparable to Him”.
Allah (The True God ) is omniscient. He has known all things from before the creation of the worlds. His knowledge of things before their coming into existence and afterwards is exactly the same. No one knows how Allah looks like.
What does Allah look like?
Almighty Allah does not look like any thing or animal in the world!
We always imagine the form or shape of an unseen object or animal that we have seen somewhere in the world before. And what we have not seen does not come to our mind. We cannot imagine anything that we have not seen anywhere before. If we can, it will be relative to what we have seen before.
So God's form or shape is beyond human thought or concept.
What is Allah described as?
Description. Allah, an Arabic word, means God, in the monotheistic sense. Allah is the center of the Qur'an and Islam, as is reflected in the Islamic testament of faith, “There is no True God but Allah.” He is Rabb al-Alamin, Lord of all Worlds – human, animals, the earth, the universe, angels, this world, and the next.
What does Allah look like?
What does Allah look like? Allah's form or shape is beyond human thought or concept. Allah is not bound by physical attributes or limitations and He is beyond human comprehension. Therefore, Allah does not have any physical form that can be perceived by humans. Islam teaches that Allah is the One Infinite, All-Knowing, All-Powerful Being Who is the source of all creation and the ultimate judge of humanity. Muslims believe that Allah has revealed guidance and wisdom to mankind through the Qur'an and the example of Prophet Muhammad (PBUH). However, Allah is an indivisible single entity. Allah's attributes are beyond human comprehension and He cannot be fully understood by the human mind. Allah's form exists but it is not possible to observe it with the eyes of this flesh and blood. It is not possible to see God through the eyes of any human, jinn or angel. And nowadays it is not possible at all. However, Allah Ta'ala has promised that those who will have the best Paradise, only they will be fortunate enough to see Allah in the Hereafter. That is, they will see Allah. May Allah grant us all that opportunity. Amen
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
What Does Allah Look Like?
How Does Allah Look Like?
0 notes