Tumgik
tawhidrisalatakhirah · 20 hours
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষ নিজ জীবনে আল্লাহর আনুগত্য ও পৃথিবীর বুকে তাঁর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে। আর এটা মানব সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্যও বটে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি।
’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩০)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অর্থ
পবিত্র কোরআনে প্রতিনিধি বোঝাতে ব্যবহৃত ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ নির্ণয়ে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, মানুষ আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, বিধান বাস্তবায়ন ও একত্ববাদের আহ্বানের ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতিনিধি। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মানুষকে আল্লাহ প্রতিনিধি বলেছেন। কেননা সে আল্লাহর মুকাল্লাফ (ইসলামী আইনের অধীন ব্যক্তি) ব্যক্তিদের ভেতর তার বিধান প্রয়োগ করে।
(তাফসিরে ইবনুল জাওজি, পৃষ্ঠা-২৬)
প্রতিনিধিত্ব আল্লাহর অনুগ্রহ
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভ করা মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন। সুতরাং কেউ কুফরি করলে তার কুফরির জন্য সে নিজেই দায়ী হবে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৯)
ব্যক্তি হিসেবে নবীরাই আল্লাহর প্রতিনিধি
পৃথিবীতে ব্যক্তি হিসেবে নবী-রাসুলরাই ছিলেন সরাসরি আল্লাহর প্রতিনিধি। এ জন্য যেকোনো নবীকে আল্লাহর খলিফা বলার সুযোগ আছে।
পবিত্র কোরআনে দাউদ (আ.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কোরো এবং খেয়ালখুশির অনুসরণ কোরো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খলিফাতুল্লাহ বলা যাবে?
কিন্তু তাঁদের পরে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ‘খলিফাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর প্রতিনিধি সম্বোধন করা অনুচিত। এক ব্যক্তি ওমর (রা.)-কে খলিফাতুল্লাহ বলে সম্বোধন করলে তিনি তাকে ভর্ত্সনা করে বলেন, ‘তোমার অমঙ্গল হোক! তুমি কতই না দূরবর্তী সম্বোধন করলে। আমার মা আমার নাম রেখেছেন ওমর। তুমি যদি এই নামে আমাকে সম্বোধন করো আমি তা মেনে নেব।
অতঃপর বড় হলে আমার উপনাম হয়েছে আবু হাফস। তুমি আমাকে এই নামে সম্বোধন করলে আমি তা মেনে নেব। অতঃপর তোমরা আমার ওপর তোমাদের বিষয়গুলো তথা খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করেছ এবং নাম রেখেছ আমিরুল মুমিনিন। তুমি যদি এই নামে সম্বোধন করো, সেটাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (আল ফুতুহাতুর রব্বানিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-৫৬)
মুমিনরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ মানবজাতিকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করলেও পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করেন কেবল মুমিনরা। কেননা অবিশ্বাসীরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বিনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন। আর তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার কোনো শরিক করবে না। অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা সত্যত্যাগী।’
(সুরা : নুর, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব লাভের শর্ত
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব লাভের দুটি শর্ত আরোপ করেছেন : ঈমান আনা ও নেক কাজ করা। উভয় শর্তের অধীনে আছে আরো একাধিক শর্ত। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—
১. আসমান তথা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
২. দ্বিনি লক্ষ্য অর্জনে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার
৩. অন্তরে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
৪. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসাকে সব কিছুর ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৫. পরকালকে ইহকালের ওপর প্রাধান্য দেওয়া
৬. বিশুদ্ধ ঈমান ও আমলের মাধ্যমে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ
৭. সমাজ ও রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন; যেমন—অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, কূটনীতি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন
৮. জগত্বাসীকে মহান স্রষ্টার সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাঁর পথে আহবান। (সুন্নাতুল্লাহ, পৃষ্ঠা-১৭১)
প্রতিনিধিত্ব পরিবর্তনশীল
পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও বৈশ্বিক নেতৃত্ব পরিবর্তনশীল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে বলল, শিগগিরই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শত্রু ধ্বংস করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিব���তে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তোমরা কী করো তা তিনি লক্ষ করবেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১২৯)
আল্লাহ অযোগ্যকে প্রতিনিধিত্ব দেন না
আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং যারা অন্তরের বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাজ, বুদ্ধিবৃত্তি, শারীরিক সক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলীয়ান হবে তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তারাই বৈশ্বিক নেতৃত্বের মুকুট লাভ করবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথিবীর নেতৃত্ব মানুষের হাতবদল হতে থাকে। নিম্নোক্ত আয়াতগুলো থেকে যা অনুধাবন করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনি ইসরাঈলকে জানিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারে স্ফীত হবে। অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হলো, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; তারা ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সব ধ্বংস করেছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং সংখ্যায় গরিষ্ঠ করলাম।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪-৬)
ধৈর্যই মুমিনের করণীয়
প্রায় শতাব্দীকাল যাবৎ মুসলিম জাতি পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে তারা কোণঠাসা। ফলে মুমিনের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আল্লাহর প্রতিনিধি। তাহলে কেন আমরা বৈশ্বিক নেতৃত্বে নেই। এমন পরিস্থিতিতে মুমিনের করণীয় হলো ধৈর্য ও প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজেদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের যোগ্য করে তোলা। অবিশ্বাসীদের মন্তব্য ও তাচ্ছিল্যের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা। আর অন্তরে এই বিশ্বাস রাখা যে আমরা যোগ্য হলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে নেতৃত্বে সমাসীন করবেন। কেননা আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘অতএব, তুমি ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ়বিশ্বাসী নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে।’
(সুরা : রোম, আয়াত : ৬০)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সৃষ্টি যার বিধান তাঁর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কার বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন?
https://www.youtube.com/watch?v=N5MrgvihY78
 
পৃথিবীতে যাঁরা আল্লাহর প্রতিনিধি
Those Who Are Representatives of Allah On Earth
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে। ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১) জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য। দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে। পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০) তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে। কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০) অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০) ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১) রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭) তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪) সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়। জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s https://www.youtube.com/watch?v=WR0tCQ_UmcU https://www.youtube.com/watch?v=Chqy8tp5e0w https://www.youtube.com/watch?v=gUZf5zu7Fic https://www.youtube.com/watch?v=s4O-oPPUPDc https://www.youtube.com/watch?v=ahL41l4R_i0&t=126s https://www.youtube.com/watch?v=ayK3KMCWDfo&t=34s https://www.youtube.com/watch?v=biYiQw1-lP4 https://www.youtube.com/watch?v=xYDj6RoDIbA https://www.youtube.com/watch?v=xYDj6RoDIbA https://www.youtube.com/watch?v=2R3E25VFj3Q
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের আলোকে জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ উপায়
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ারা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন,
‘যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।’
 (সূরা: নাহল, আয়াত: ৯৭)
জীবনের পথচলায় কখনো কখনো এমন কিছু দুঃখবোধ সামনে চলে আসে, এমন কিছু হতাশার মুহুর্ত আসে, যা একজন মানুষের স্বচ্ছ মনটাকে বিষিয়ে তোলে। অবসাদে ভরে যায় স্রষ্টা প্রদত্ত এই টুকরো জীবন!
কষ্টবোধের করাল গ্রাসে নিপতিত হয় মুসলিম অমুসলিম সবাই! অথচ প্রতিটি মানুষের, বিশেষত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দুনিয়ার সময়গুলো খুব দামী। কোনো বিষয় আসলে আমাদের অসুখী করতে পারে না, অশান্তির দাবানলে কত মূল্যবান সময় হারিয়ে যায়, অথচ সুখী হওয়াটা সম্পূর্ণ নিজের হাতে! যে বিষয় বা মানুষটি আপনার সুখী হওয়ার পথে অন্তরায়, তার ভার আপনার প্রভুর হাতে ছেড়ে দিন।
পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিসই ফিরে ফিরে আসে। যে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, ঠকিয়েছে প্রতিনিয়ত, ব্যথায় জর্জরিত করে আপনাকে সুখী হতে বাঁধা প্রদান করেছে, দেখবেন দুনিয়া ও আখিরাতে সে তার প্রতিদান পাবেই। তো! আপনি কেন শুধু শুধু পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে বা বৈশ্বিক ব্যর্থতায় সুখ বিকিয়ে দিচ্ছেন? মানুষ চাইলেই সুখ নামের পরশ পাথরটাকে নিজের করে নিতে পারে সহজেই। আসুন জেনে নেই সুখী জীবনের পথে পাঁচটি কার্যকরী টিপস!
(১) হতাশা নয়, কৃতজ্ঞ থাকুন
কৃতজ্ঞতার অভাববোধ থেকেই হতাশার জন্ম। জীবন, জগতের দুর্বিষহ কিছু সময় মাঝে মাঝে আমাদের হতাশার পথে ঠেলে দেয় এবং শয়তানও এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করতে ভালোবাসে। পৃথিবীতে কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো অনেক কিছু আছে আসলে! এই যে এখনও আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, এই লেখাটা পড়তে পারছেন, এর জন্য কতখানি কৃতজ্ঞ হয়েছেন? আপনার বিনামূল্যে প্রাপ্ত নিঃশ্বাসের মূল্য জানেন কী? যে নিউরণে আপনি মন খারাপের বসতি গড়ছেন, সে মস্তিষ্কের ক্ষমতা নিয়ে ভেবেছেন কখনো? অনেক গবেষণা করেও মানুষের ব্রেইনের ক্ষমতা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়নি বিজ্ঞানীরা। তবে বিজ্ঞানীরা মানুষের মস্তিষ্কের মেমোরি ক্যাপাসিটির যে হিসাব দিয়েছেন তা জানলে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি সম্পর্কেও আপনার ধারণা বদলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সারা জীবনেও আমাদের মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডটি পরিপূর্ণ করতে পারিনা আমরা। আমরা যদি ৩০ লক্ষ্য ঘণ্টা বা ৩৪২ বছর এক নাগাড়ে মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডে সারাক্ষণ ভিডিও ধারণ করি তবুও আমাদের মস্তিষ্ক নামের সুপার কম্পিউটারের মেমোরির স্পেস পূরণ হবে না। আর অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মূল্য হিসেব নাই বা দিলাম। আসলে বুদ্ধিমানদের জন্য পুরো পৃথিবীতেই কৃতজ্ঞতার উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভালো কাজ করুন, কৃতজ্ঞতা আদায় করুন আর খুব ভালো থাকুন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার রবের বাণীটি স্মরণ করুন-
‘যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সূরা: ইব্রাহিম; ১৪, আয়াত: ৭)
এছাড়া — শাইখ হামজা ইউসুফের কথাটিও মনে রাখতে পারেন-
‘ভালো কাজের মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে। যখন সময় হয় কেবল তখনই তার বর্ষণ হয়। আল্লাহ বৃষ্টি বর্ষণ করেন শুকনো মৃত মাটির ওপরে; একদম সঠিক সময়েই। যখন পথ অবারিত হবার সময় হবে, তখনই সেই পথটি প্রশস্ত হবে। আল্লাহ তার সময় অনুযায়ীই সেই কাজটি করেন, আমাদের সময়ের হিসেবে নয়। আর এটা আমাদের ক্বাদরের ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকার একটি অংশ; যা হয়েছে তা আপনার জন্য নির্ধারিত ছিলো বলেই হয়েছে।’ (সংক্ষেপিত, ২০১১ রিহলা)
(২) অলসতা নয় কাজ করুন:
‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’ প্রবাদটির গূঢ় মর্ম হলো- আপনি যদি কোনোভাবে আপনার ব্রেইনকে খানিক ফাঁকা রাখতে চান, তবে সেই ফাঁকা স্থান কখনো ফাঁকা থাকবে না, বরং সে জায়গা দখল করবে স্বয়ং শয়তান। সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকাতেই প্রশান্তি! এছাড়া আপনাকে আমাকে এমনি এমনি এই গ্রহে পাঠানো হয়নি। মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন। নিজের অক্সিজেনের মূল্য পরিশোধ করতে হলেও কাজ করুন! পৃথিবীর কাছে ঋণী হওয়াতে কোনো কৃতিত্ব নেই! এছাড়া কর্ম মুখী জীবনের জন্য আপনার প্রভু আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ বলেনَ
‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমআ, আয়াত: ১০)
(৩) অপচয় নয় সাদাকাহ করুন:
পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা আমাদের ভোগবাদীতা আর অপচয় করতে প্রলুব্ধ করে। সম্পদ আহরণের অসুস্থ প্রতি্যোগিতা মৃত্য পর্যন্ত আমাদের মাতিয়ে রাখে। অথচ নশ্বর এ পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মধ্যে, অর্থের দিক থেকে নয়। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক যৌথ গবেষণায় প্রকাশিত হয়, যারা দান করেছেন, অন্যদের উপহার দেবার জন্যে ব্যয় করেছেন, তারা অনেক বেশি সুখী মনে করছেন নিজেকে! অন্যদিকে নিজের জন্য সঞ্চয়কারী মানুষগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুঃখবোধ আর অশান্তিসহ পৃথিবী ছেড়েছেন। গোপন দাতা হন, সুখী হতে চাইলে দান করুন প্রতিদিন। তাছাড়া দান মানে শুধু অর্থের কোরবানী নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাও সাদাকাহ! ইহকাল ও পরকাল দুটোই সুন্দর করতে চাইলে সাদাকাহ এর বিকল্প নেই!
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘যখন আল্লাহর ছায়া ব্যতিত কোনো ছায়া থাকবে না, তখন আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেণির লোককে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন। (তাদের মধ্যে একজন হলো) যে ব্যক্তি এতো গোপনে সাদকাহ বা দান করে যে, ডান হাত যা দান করে, বাম হাত তা টের পায় না।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
(৪) রাগ নয় ক্ষমা করুন:
জীবনে তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যাওয়াই কল্যাণ। পৃথিবীতে যা কিছু হয় বা আসে ভালোর জন্যই আসে। ভালো মানুষগুলো আমাদের জীবনে আসে কল্যাণ শেখাতে, আর খারাপ মানুষগুলো দিয়ে যায় অভিজ্ঞতা! বৈশ্বিক কোনো কিছুর জন্য রেগে যাওয়া বোকামী। ভেবে দেখুন, আমাদের নিজেদের প্রত্যেকটা অনুশোচনার জন্য নিজেরই ব���খেয়ালী রাগটাই দায়ী। ক্ষমা মহৎ গুণ, সবাই ক্ষমা করতে পারেনা, তাই সুখীও হতে পারেনা! আসুন না! সুখী হওয়ার পথে হজরত আলী (রা.) এর মতো আমরাও শুধু আল্লাহর জন্যই ক্ষমা করে দেই।
(৫) নেতিবাচকতা নয় ইতিবাচক হোন:
গ্লাস শূন্য-পূর্ণ নিয়ে অনেক গল্পই আমরা শুনেছি। তবে আমি মনে করি, যে���েতু পূর্ণ গ্লাস দেখলেই আপনার কল্যাণ, সে ক্ষেত্রে পূর্ণ গ্লাসই দেখুন না! মানুষের কদর্যতা নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে শুধু দুর্গন্ধই ছড়াবে, আর তার খানিক গন্ধ কিন্তু আপনার শরীরেও লেগে যেতে পারে। ভালো কিছুর চর্চা করুন, কল্যাণকামী হন। আপনি যখন কোনো নেতিবাচক বিষয় নিয়ে ভাবছেন, তখন আপনার নিউরণই কিন্তু সর্বপ্রথম অবচেতন ভাবে নেতিবাচকতাকেই গ্রহণ করছে। ইতিবাচক হন, কল্যাণে ভরে যাবে আপনার জীবন।
পবিত্র কোরআন মুমিনদেরকে ইতিবাচকতা ও প্রফুল্লতার দিকে আহ্বান জানিয়েছে। সূরা ইউনুসের ৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: َ
‘হে নবী! বলুন এ জিনিসটি যে, তিনি পাঠিয়েছেন এটি আল্লাহর অনুগ্রহ এবং তার মেহেরবানী। এ জন্য লোকেরা যেন আনন্দিত হয়, কেননা তারা যা কিছু জমা করছে সে সবের চেয়ে এটি অনেক ভালো।’
সুতরাং, সুযোগ পেলেই পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করুন, প্রাণ খুলে হাসুন, আর সৃষ্টির সেবায় নিমগ্ন হোন। সুখী হওয়ার পথে আপনাকে অভিনন্দন!
সুখ আসলেই কি?
https://www.youtube.com/watch?v=IuhAnc1ghR0
 
সুখী জীবনের জন্য যে চারটি জিনিসের প্রয়োজন হবে 
youtube
জীবনে সুখী হওয়ার উপায় |
সুখী হওয়ার সহজ উপায়
সুখী হতে কী প্রয়োজন
youtube
হাদীস থেকে সুখী হওয়ার চারটি উপায়।
youtube
দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার ১০টি গোপন টিপস্ 
জীবনে সুখী হওয়ার উপায়
Ways To Be Happy In Life
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড���ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী ‍দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?" -- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।"  [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন।  "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না।  "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯] 
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
youtube
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
youtube
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
youtube
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
youtube
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 
youtube
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শিরক ও বিদআত থেকে মুক্ত থাকতে হবে
শিরক (আরবি: شرك) বলতে ইসলাম ধর্মে, পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায়। অর্থাৎ শিরক হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে নির্ধারিত করা বা তার উপাসনা করা। শাব্দিকভাবে এর দ্বারা এক বা একাধিক কোন কিছুকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও কর্তৃত্বের অংশীদার সাব্যস্ত করাকে বুঝায়। এটি তাওহিদের পরিপন্থী একটি বিষয়।
বিদআত বলা হয় দ্বীন ও ইবাদতে নব আবিষ্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদআত বলা হবে, যে কাজের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলীল নেই। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, “তোমরা (দ্বীন) নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদআত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।” ৮১ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী) “যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কিছু উদ্ভাবন করল--- যা তাঁর মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।” ৮২ (বুখারী ও মুসলিম) মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, “যে ব্যাক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যপারে আমাদের নির্দেশ নেই, তা বর্জনীয়।” বলা বাহুল্য, নব আবিষ্কৃত পার্থিব কোন বিষয়কে বিদআত বলা যাবে না। যেমন শরীয়াতে নিষিদ্ধ কোন কাজকে বিদআত বলা হয় না। বরং তাকে অবৈধ, হারাম বা মাকরূহ বলা হয়।
আক্কীদা হতে হবে শিরক মুক্ত আমল হতে হবে বিদআত মুক্ত
youtube
আমলনামায় শিরক আছে কিনা বুঝার উপায় কি? শিরক থেকে বাঁচার দোয়া |
youtube
মনের অজান্তে শির্ক হলে জীবনের সমস্ত আমল ধ্বংস হবে? 
youtube
শিরক ও বিদআত মুক্ত ঈমান
https://www.youtube.com/watch?v=mSJz5zhkELc
 
শিরক ও বিদআত থেকে মুক্ত থাকতে হবে
Must be free from shirk and Bidat
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মহানবী সা:-এর ব্যতিক্রম ১০ গুণ
আমাদের প্রিয়নবী সা: সব নবীর সেরা। আকাইদে নসফিতে বলা হয়েছে- নবীদের মধ্যে সেরা মুহাম্মদ সা:। কেননা, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত। মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। (সূরা আলে ইমরান-১১০।
সর্বোত্তম উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জিত হয়েছে দ্বীনের ক্ষেত্রে পূর্ণতার কারণে। আর দ্বীনের ক্ষেত্রে পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে মুসলিমদের নবীর পূর্ণতা তথা শ্রেষ্ঠত্বের কারণে। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা সব নবীর ওপর আমাকে মর্যাদা দিয়েছেন এবং সব উম্মতের ওপর আমার উম্মতকে মর্যাদা দিয়েছেন। (তিরমিজি)।
এ মর্যাদার কারণেই মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিজ্ঞ যারা রয়েছেন তাদের ইজমা ও কিয়াস শরিয়তের উৎস হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সা: আরো বলেছেন- আমি হবো বিচার দিবসে সব মানুষের নেতা (মুসলিম)। তিনি উল্লেখ করেছেন- আমি আদম সন্তানদের নেতা, এতে আমার কোনো অহঙ্কার নেই (মুসলিম, হাদিস নং ৫৯৪০)। এখানে আদম সন্তান বলতে সব মানুষ বোঝানো হয়েছে।
নবীজির ব্যতিক্রমী ১০ গুণ : আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিবকে নবী-রাসুলদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করার পর ব্যতিক্রমী ১০টি গুণ দান করেছেন। দুটি হাদিসে এ ১০ গুণের বর্ণনা রয়েছে। আমিরুল মুমিনিন আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, আমাকে এমন কতিপয় বৈশিষ্ট্য প্রদান করা হয়েছে, যা অন্য কোনো নবী-রাসুলকে প্রদান করা হয়নি। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! এ বৈশিষ্ট্য কী কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন—
১. ‘ভয়-ভীতি দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে।
’ মহানবী (সা.)-এর চেহারায় আল্লাহ তাআলা এমন আকর্ষণীয় রূপ দান করেছিলেন, যা দেখে শত্রুরা ভীত-শঙ্কিত হয়ে পড়ত। তাঁর ক্ষতি করার সাহস পেত না।
২. ‘আমাকে গোটা দুনিয়ার চাবি দেওয়া হয়েছে।’ অর্থাৎ দুনিয়া নবী (সা.)-এর করতলগত এবং অধীন হবে।
এ ক্ষমতা অন্য কোনো নবী-রাসুলকে দেওয়া হয়নি।
৩. ‘আমার নাম রাখা হয়েছে আহমদ, তথা অতি প্রশংসাকারী।’ এমন নাম কোনো নবী-রাসুলের রাখা হয়নি।
৪. ‘আমার জন্য মাটি পবিত্র বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’ ফলে পানির বিকল্প হিসেবে এই উম্মতের জন্য মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা বৈধ।যেমন—তায়াম্মুম দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যায়।
৫. ‘আমার উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতকে এমন তিন বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে, যা অন্য কোনো উম্মতকে দান করা হয়নি। এক. সালাম, তা জান্নাতিদের অভিবাদন। দুই. সারিবদ্ধ হয়ে ইবাদত করা। এটি ফেরেশতাদের বৈশিষ্ট্য। তিন. আমিন বলা। এটি মুসা ও হারুন (আ.) ছাড়া কোনো নবীর সময় ছিল না। (ইবনে খুজাইমা)
মুসলিম শরিফের অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমাকে ছয় জিনিস দ্বারা অন্য নবীদের ওপর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তন্মধ্যে একটি আগের মতো। ব্যতিক্রমগুলো হলো—
৬. ‘আমাকে অল্প বাক্যে অধিক অর্থবহ কথা বলার যোগ্যতা দান করা হয়েছে।’
৭. ‘আমার জন্য গনিমত তথা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে, যা অন্য নবী-রাসুলদের সময় হালাল ছিল না।’
৮. ‘গোটা জমিনকে আমার জন্য মসজিদ ও পবিত্র স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।’ ফলে এই উম্মতের জন্য যেকোনো স্থানে নামাজ পড়া জায়েজ। অন্য নবীদের সময় এ সুযোগ ছিল না, তাদের উপাসনাগৃহে নামাজ আদায় করতে হতো।
৯. ‘আমি সমগ্র সৃষ্টির প্রতি প্রেরিত হয়েছি।’ নবী (সা.) হলেন বিশ্বনবী। আর কেউ বিশ্বনবী নন। সবাই ছিলেন আঞ্চলিক ও নির্দিষ্ট এলাকার নবী। এবং একই সময়ে কয়েকজন নবী ছিলেন।
১০. ‘আমার দ্বারা নবুয়ত সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি শেষ নবী, আমার পরে আর কেউ নবী হবে না।’ (মুসলিম)
নবীজি স এর ব্যতিক্রম ১০ গুণ
youtube
নবীজির ব্যতিক্রমী ১০ টি গুণ |
youtube
বিশ্বনবীর উত্তম গুণ | নবীর আদর্শ | 
youtube
মুহাম্মাদ সাঃ-এর ২০টি গুণাবলি জেনে নিন! নবিজির আদর্শে আদর্শবান হওয়ার চেষ্টা
youtube
মহানবী (সাঃ)-এর কিছু বিশেষ গুণাবলী
youtube
 মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী এবং আমাদের শিক্ষা 
youtube
রাসূলুল্লাহ সা: এর পছন্দ অপছন্দের তালিকা
youtube
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পৃথিবীর শ্রেষ্ট মানুষ বলা হয় কেনো?
***আচ্ছা! একটি বার ভেবে দেখুন তো, কাল কিয়ামতের ময়দানে যখন হাজারো মানুষ স্বার্থপরের মত আপনাকে চিনেও না চিনার ভান করবে! সাহায্য করার মতো একটা মানুষও আপনার পাশে দাঁড়াবে না! তখন যদি আমার আপনার প্রিয় রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পাশে দাঁড়াই আর আমাদের জন্য নাজাতের শুপারিশ করে তখন আপনি কাকে শ্রেষ্ট মানুষ বলবেন? নিশ্চই রসূল (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথায় বলবেন!
** আরে,যে মানুষটি সারাটা জীবন নিজের উম্মতের ফিকির করেছেন,তাঁকে শ্রেষ্ট বলবো না তো আর কাকে বলবো?
** যে মানুষটি, সকল মানুষের সাথে সদ আচারণ করেছে,কখনই মিথ্যা বলেন নি,আমানতের খিয়ানত করেন নি,কাওকে কষ্ট দেননি,কখনও গালিগালাজ করেন নি! তাঁর মতো মানুষ যদি শ্রেষ্ট না হয় তাহলে কি আমার আপনার মত মানুষ শ্রষ্ট হবে!
** রসূল (সাঃ)কাছে আছে, হাজারো যোগ্যতা! আর আপনার আমার কাছে কি আছে? কি সার্টিফিকেট…! আরে তাঁর (সাঃ)কাছে এমন সার্টিফিকেট আছে যেটা দিয়ে দোনো জাহানের বাদশা হওয়া জাবে! তাহলে সমস্ত মানব জাতীর মধ্যে তিঁনি শ্রেষ্ট হবেন না তো কে শ্রেষ্ট হবে?
মহানবী সঃ এর  ব্যতিক্রমী ১০ গুণ
10 exceptional virtues of Prophet PBUH
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
সালাফি মানহাজ কি?
সালাফি মানহাজ হল কোরান, সুন্নাহ এবং সালাফদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সঠিক ধর্মীয় ব্যাখ্যা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ইসলাম সম্পর্কে কিছু স্বীকৃত "সত্যের" উপর সংজ্ঞায়িত হয়েছে, যেগুলি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা সমর্থিত এবং খাঁটি (সহীহ) হাদিসে লিপিবদ্ধ।
সালাফিয়্যাহ কী? সালাফী মানহাজের উপর চলা এবং তা আঁকড়ে ধরা কী সকল মুসলিমের উপর ওয়াজিব?
 সালাফিয়্যাহ হলো আকীদা-বিশ্বাস বোধ ও জীবন চলার পথে সালাফে সালেহীনের তথা ছাহাবা, তাবিঈন ও ফয��লত প্রাপ্ত যুগের মানহাজের উপর চলা। সকল মুসলিমের জন্য সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর জীবন পরিচালনা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা, তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১০০)।
যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না (সূরা হাশর ৫৯:১০)।
 রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো আমার সুন্নাত এবং আমার মৃত্যুর পর আমার ছাহাবায়ে কিরামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। আর তোমরা ধর্মের নামে নব আবিষ্কৃত বিষয়াবলি থেকে সতর্ক থাকবে কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। ’’সকল সূত্রে সহীহ, মুসনাদ-ই-আহমাদ ৪/১২৬
বর্তমানে কিছু লোক যেমন মনে করে যে প্রচলিত অন্যান্য দল বা সংগঠনের মত সালাফিয়্যাহ ও একটি দল বা সংগঠন। বাস্তবায় সালাফিয়্যাহ তেমন কোন দল দবা সংগঠনে নয়। বরং মানহাজে সালাফিয়্যাহ হলো সালাফে সালেহীনের প্রতি সম্বন্ধ করা ও তাদের মানহাজ অনুসরণ করা। যেমনটি আমাদের শায়খ বর্ণনা করেছেন। সালাফে সালেহীন হলেন ছাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন,
তোমাদের কেউ যদি অন্য কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাহলে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ছাহাবীগণ মৃত্যু বরণ করেছেন তাদেরকে আদর্শ হিসবে গ্রহণ করে। তারা অন্তরের দিক থেকে সবচেয়ে সৎব্যক্তি। ইলম/জ্ঞানের দিক থেকে সবচেয়ে বিদগ্ধ। এবং আমলের দিক থেকে অকৃত্রিম। (জামি’উ বায়ানিল ইলমি ও ফাদ্বলিহী, পৃ.৪১৯, মিশকাতুল মাসবীহ খ.০১, পৃ.২৭ হা.১৯৩)
সালাফি আকিদা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা ❤️❤️❤️
youtube
সালাফি আকিদা সম্পর্কে
youtube
সালাফি আকীদা কি? 
youtube
সালাফী কারা এবং সালাফী মানহাজ বলতে কি বুঝায়
youtube
সালাফী কারা 
youtube
আকিদা ও মানহাজ
youtube
সালাফি আক্বীদা সম্পর্কে জানুন
আকিদা ও সালাফী সালেহীনদের মানহাজ 
সালাফি মানহাজ কি নতুন কিছু? 
youtube
The Salafi Aqeedah is Pure & Simple 
youtube
আকিদা ও মানহাজ
Aqeedah and Manhaj
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Benefits of Memorizing 99 Names of Allah
In the beautiful journey of Islamic spirituality, memorizing the 99 Names of Allah is like finding a special key that connects believers with the Creator. Memorizing the 99 Names of Allah has unique qualities representing divine attributes, that foster a deep spiritual connection with Allah.  
The benefits of reciting Allah’s names include empowering you to face life’s challenges, build personal transformation, and cultivate inner peace.
10 Benefits of Learning 99 Names of Allah
10 Benefits of Learning 99 Names of Allah
1. Create a Spiritual Connection and Bonding with Allah
2. Memorizing Asma Ul Husna builds Personal Transformation 
3. Learning Asmaul Husna Create Inner Peace
4. Empower you to Face Life’s Challenges
5. Increased Gratitude and Increased Compassion
6. Reciting Allah’s Names Provides Healing from Diseases 
7. Asma Ul Husna Improved Decision-Making
8. Stress Relief and Resolve Psychological Issues
9. Boost your Self-esteem and Self-worth
10. Acceptance in Duas and Paradise’s Reward 
1. Create a Spiritual Connection and Bonding with Allah
Learn how to pray with 99 names of Allah to enhance your spiritual connection and deepen your prayer experience. Memorizing the 99 Names of Allah is a powerful practice that creates a deep spiritual connection and bonding with the Almighty. 
“And (all) the Most Beautiful Names belong to Allah, so call on Him by them.”
When you memorize Allah names, you engage in a profound dialogue with Allah, addressing Him with specific attributes that resonate with your spiritual journey. So, this practice enhances the quality of your prayers, making them more personal and heartfelt.
2. Memorizing Asma Ul Husna builds Personal Transformation 
Memorizing and learning the meaning of Allah’s names plays an essential role in personal transformation. Therefore, these names help shape favourable character traits. The following are some personal changes related to memorizing these names:
Mercy and Compassion: Ar-Rahman (the Most Merciful) and Ar-Rahim (the Most Compassionate) inspire compassion. Memorizing these names promotes daily mercy and compassion.
Patient and Perseverance: As-Sabur (the Patient) and Al-Aziz (the Mighty) inspire patience and perseverance. Besides, this strengthens people via adversity.
Justice and Fairness: Al-Adl (the Just) and Al-Hakam (the Judge) promote justice and fairness in relationships. Also, this encourages morality and responsibility.
Wisdom and Knowledge: Al-Hakim (the Wise) and Al-Alim (the All-Knowing) inspire wisdom and knowledge. Furthermore, memorizing these names helps comprehension and informed decision-making.
Humility and Graciousness: Al-Mutakabbir (the Majestic) and Al-Karim (the Generous) encourage humility and graciousness. People with these traits improve their communities and relationships.
3. Learning Asmaul Husna Create Inner Peace
Memorizing Allah’s 99 Names brings inner tranquility during life’s turmoil. Remembering Asma’u Allah Alhusna relaxes, according to Surah Taha (20:8): “Allah—there is no god ˹worthy of worship˺ except Him. He has the Most Beautiful Names.”
Source of Comfort and Stress Relief
Ar-Rahman (the Most Merciful) and As-Salam (the Source of tranquillity) symbolize Allah’s infinite kindness and ultimate tranquillity. Moreover, this insight comforts you during difficult times.
Reciting these names relieves tension. In addition, it helps people cope with stress by focusing on Allah’s peace. Further, names like Al-Latif (the Subtle) and Al-Basir (the All-Seeing) let you understand Allah’s watchful presence. 
4. Empower you to Face Life’s Challenges
Memorizing Allah’s 99 Names gives people courage and resilience to overcome life’s hardships. Recognition of Allah’s counsel and support underpins this empowerment.
Al-Qawi (the Strong) and Al-Matin (the Firm) inspire inner strength to overcome adversity. So, this awareness of supernatural strength boosts confidence in facing life’s obstacles. Moreover, Al-Hadi and Al-Hakim provide guidance. 
In addition, memorizing names like Al-Wakil (the Trustee) builds faith in Allah’s plan. Furthermore, recognizing Allah as Al-Mujib (the Responsive) gives strength since prayers are heard and answered. Knowing Allah is responsive empowers people to persevere.
5. Increased Gratitude and Increased Compassion
Memorizing the 99 Names of Allah increases thankfulness and compassion, improving self- and other-image. 
Ar-Razzaq (the Provider) evokes thanks for life’s plentiful benefits, inspiring thankfulness. Which name of Allah to recite for wealth? One of the names of Allah associated with wealth and sustenance is “Ar-Razzaq.
Which name of Allah to recite for help? One of the names of Allah that are often recited for seeking help is “Ya Mujeeb,” which translates to “O Responsive One”.
Furthermore, honouring the Most Merciful and Most Compassionate promotes self-compassion and healthy relationships. The name Al-Karim (the Generous) inspires people to help others.
6. Reciting Allah’s Names Provides Healing from Diseases 
Reciting Allah’s Names might bring comfort and relief.
Spirit Healing: Reciting Allah’s names is said to calm and console those suffering physically or emotionally.
Emotional Well-being: Allah’s name may improve mental health and inner tranquillity.
Reciting the name Al-Shafi (the Healer) is believed to bring healing and protection.
7. Asma Ul Husna Improved Decision-Making
Memorizing the Asma Ul Husna helps people make divinely guided decisions. Get guidance from Al-Hakim. Al-Hakim (the Wise) encourages wise decision-making.
Recognition of Allah as Al-Alim (the All-Knowing) allows people to make informed decisions. Besides, it is because they rely on Allah’s wisdom that transcends human limitations.
8. Stress Relief and Resolve Psychological Issues
Memorizing the 99 Names of Allah reduces stress and resolves psychological disorders. Therefore, reciting these names relaxes the mind and heart during life’s trials. According to Surah Ar-Ra’d (13:28),
“those who believe and whose hearts find comfort in the remembrance of Allah. Surely in the remembrance of Allah do hearts find comfort.”
Reciting the Names of Allah may reduce tension, anxiety, and depression. Moreover, meditation on these celestial names shifts focus from negative emotions to calm and connection with the celestial.
9. Boost your Self-esteem and Self-worth
Memorizing the Asma Ul Husna boosts self-esteem and self-worth.
Recognition of Allah’s Creation
Knowing that Allah, as Al-Khaliq, created people with care and purpose boosts self-esteem. Recognizing that everyone is unique boosts self-esteem.
10. Acceptance in Duas and Paradise’s Reward 
Remembering Allah’s 99 Names helps accept duas and promises of reward in heaven. Memorize 99 names of Allah hadith in Sahih al-Bukhari 7392, and Sahih Muslim 2677. Abu Huraira reported: The Prophet, PBUH, said, 
“Allah has ninety-nine Names, one-hundred less one; and he who memorized them all by heart will enter Paradise.” 
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
Allah is unique, almighty, the only Deity.
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার।
ঈমানই জীবন, কুফর মৃত্যুতুল্য। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার পথ।
ঈমানের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কালেমার জন্য সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি।
এ কালেমার জন্য মানুষ কাফির ও মুমিন—দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ সৌভাগ্যবান—তারা জান্নাতি। আর কেউ হতভাগা—তারা জাহান্নামি।
এ কালেমার বাণী প্রচারের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আগে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের সবার ওপর আমার এই মর্মে নির্দেশ ছিল যে আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৫)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মাবুদ (উপাস্য) নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো বস্তু বা সত্তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতা নেই। ইবাদতের একমাত্র উপযুক্ত মহান আল্লাহ।
মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রকৃত মালিক। আকাশ ও পৃথিবী তিনি নিজ ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির ওপর তাঁর একচ্ছত্র মালিকানা, কর্তৃত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। আর তা অবিভাজ্য ও অংশীদারহীন। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর ইলাহ (উপাস্য)।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৪)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দুই রুকন বা স্তম্ভ। অর্থাৎ এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই ধরনের অর্থ আছে :
১.  ‘না’ সূচক : আর তা হলো, ‘লা-ইলাহা’। ‘লা’ মানে না বা নেই। ‘ইলাহ’ মানে মাবুদ (উপাস্য/ইবাদতের উপযুক্ত)। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।
প্রত্যেক পূজনীয় বস্তুকে ‘ইলাহ’ বলা হয়। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) লিখেছেন, কারো কারো মতে, আল্লাহ শব্দের মূল হলো ‘ইলাহ’। আর আরবের লোকেরা ‘ইলাহ’ শব্দ মাবুদ (যার ইবাদত করা হয়) অর্থে ব্যবহার করে। (আল-মুফরাতাদ ফি গারিবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১, ইলাহ)
সুতরাং ‘লা-ইলাহা’ মানে ইবাদত ও উপাসনায় আল্লাহর কোনো শরিক নেই। ‘লা-ইলাহা’ অংশীদারত্বের সব প্রকারকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়। আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, সবগুলো বর্জন করা অপরিহার্য করে দেয় ‘লা-ইলাহা’। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এটা এ জন্য যে নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্য এবং তার পরিবর্তে তারা যা ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৬২)
২. ‘হ্যাঁ’ সূচক :  আর তা হলো ‘ইল্লাল্লাহ’। ‘ইল্লা’ মানে ছাড়া, ব্যতীত। ‘ইল্লাল্লাহ’ মানে আল্লাহ ছাড়া (আর কোনো ইলাহ নেই)।
সুতরাং এই কালেমার ‘না’ সূচক ‘লা-ইলাহা’ এবং ‘হ্যাঁ’ সূচক ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয়—একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ।
তাই ‘ইল্লাল্লাহ’ বান্দার ইবাদতকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে। ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ—তা অপরিহার্য করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
এই পবিত্র কালেমায় যথাযথ বিশ্বাসী হতে হলে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত কোরআন-হাদিস থেকে গৃহীত।
শর্তগুলো হলো : ১. ‘ইলম’ অর্থাৎ (কালেমার অর্থ ও দাবি) জানা। ২. ‘ইয়াকিন’ তথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। ৩. ‘ইখলাস’ অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধ হওয়া। ৪. ‘সিদক’ তথা সত্যায়ন করা। ৫. ‘মাহাব্বাহ’ তথা ভালোবাসা। ৬. ‘ইনকিয়াদ’ তথা নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করা। ৭. ‘কবুল’ তথা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করা।
শর্তগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
প্রথম শর্ত : এ কালেমার ‘না’ বাচক এবং ‘হ্যাঁ’ বাচক দুটি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি।
দ্বিতীয় শর্ত : ইয়াকিন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকতে পারবে না।
তৃতীয় শর্ত : ইখলাস বা নিষ্ঠা। অর্থাৎ অংশীদারত্বমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধচিত্তে কালেমার দাবি মেনে নেওয়া। এই শর্ত ব্যক্তিকে শিরক ও রিয়া থেকে মুক্ত রাখবে।
চতুর্থ শর্ত : এই কালেমা পাঠকারীকে সত্যের পরাকাষ্ঠা হতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুখে ও অন্তরে এই কালেমায় বিশ্বাসী হতে হবে। এই শর্ত তাকে মুনাফিকি আচরণ থেকে বিরত রাখবে।
পঞ্চম শর্ত : ভালোবাসা। এই কালেমাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ, ধারণ ও লালন করতে হবে এবং মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে।
ষষ্ঠ শর্ত : আনুগত্য করা। এই কালেমার শর্ত ও দাবি হলো, পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।
সপ্তম শর্ত : আন্তরিকভাবে এ কালেমা কবুল করা। দ্বিনের কোনো কাজ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। (ফাতহুল মাজিদ, শায়খ আবদুর রহমান বিন হাসান, পৃষ্ঠা ৯১)
কোনো কোনো আলেম উল্লিখিত সাতটি শর্তের সঙ্গে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতের সঙ্গে কুফরি করা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাগুতের প্রতি কুফরি।
তাগুত হলো, ওই সব বাতিল উপাস্য, আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয়।
তাগুত শব্দের অর্থ সীমা লঙ্ঘনকারী, দুষ্কৃতির মূল বস্তু, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। শয়তান, কল্পিত উপাস্য, যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায়-উপকরণ তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। [আল-কোরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টীকা নম্বর : ১৭৭ (অবলম্বনে)]
সুতরাং কালেমা পাঠকারী এগুলো বর্জন করবে—এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘...সুতরাং যে ব্যক্তি তাগুত অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সঠিক অর্থ এবং ব্যাখ্যা 
youtube
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র অর্থ ও শর্তসমূহ
youtube
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র শর্ত গুলো কি কি? 
youtube
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ৭টি শর্ত 
youtube
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এই কালেমার শর্ত সমূহ
youtube
তাওহীদ - তাওহীদের ৯টি মূলনীতি 
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর প্রতি ঈমান
Iman Billah
আমাদের মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করতে হবে কিভাবে
তাওহিদের মর্মকথা : তাওহিদ অর্থ আল্লাহর একত্ব।
আল্লাহ তায়ালা নিজ সত্তায়, গুণাবলিতে ও কর্মে একক ও অদ্বিতীয়। সত্তাগতভাবে তিনি অদ্বিতীয়। দুনিয়ার কোনো বস্তু তাঁর সদৃশ্য নয়। গুণাবলির ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর গুণাবলি দুনিয়ার মানুষের গুণাবলির মতো নয়। কর্মেও আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। একজন ঈমানদারের জন্য এসব বিষয়ের প্রতি ঈমান রাখা জরুরি।
আল্লাহ তাআলার প্রতি ঈমান চারটি বিষয়কে অর্ন্তভুক্ত করে:
প্রথমত. আল্লাহ তাআলার অস্তিত্বে বিশ্বাস:আল্লাহ আছেন, ছিলেন, থাকবেন। হৃদয়ের গভীরে কঠিনভাবে এ-বিশ্বাস পোষণ করার নামই আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস।
দ্বিতীয়ত. রুবুবিয়্যাতের প্রতি ঈমান:অর্থাৎ সৃষ্টি, সৃষ্টির মালিকানা একমাত্র আল্লাহ তাআলার। তিনিই পরিচালক-প্রতিপালক। তিনি একাই আদেশ-নির্দেশের অধিপতি।
তৃতীয়ত: আল্লাহ তাআলার উলুহিয়্যাতের প্রতি বিশ্বাস
অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহ তাআলাই সত্যিকারার্থে প্রভু। বিনয় ও মহব্বত সমন্বিত ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র তিনিই।
চর্তুথত:আল্লাহ তায়ালার নাম ও সিফাতের প্রতি বিশ্বাস
আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও এককতায় বিশ্বাসের পাশাপাশি তার সমস্ত নাম ও সিফাত (গুণমঞ্জরি) এর প্রতি বিশ্বাস সমান গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কুরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লামের বিশুদ্ধ সুন্নায় আল্লাহ তাআলার যেসব নাম ও সিফাতের কথা এসেছে সে সবের প্রতি বিশ্বাস ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই মর্মে নিজেদের পক্ষ থেকে কোনো অপব্যাখ্যা, নিষ্ক্রিয়করণ, আকৃতি ও উপমা প্রদান ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে কঠিনভাবে ।
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়
আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনার অর্থ হলো- “তাঁর অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোন সন্দেহ সংশয় ছাড়া এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে- তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব্ব), তিনি একমাত্র উপাস্য (মাবুদ) এবং তাঁর অনেকগুলো নাম ও গুণ রয়েছে।” সুতরাং আল্লাহ্‌র উপর ঈমান চারটি বিষয়কে শামিল করে। যে ব্যক্তি এই চারটি বিষয়কে বাস্তবায়ন করবে, তিনি প্রকৃত মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রথমত: আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রতি ঈমান আনা: ইসলামী শরিয়তের অসংখ্য দলীল যেমন আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে তেমনি মানুষের বিবেক-বুদ্ধি ও সাধারণ প্রবৃত্তি দ্বিধাহীনভাবে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রমাণ সাব্যস্ত করে।
১. আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের ব্যাপারে মানব ফিতরতের বা প্রবৃত্তির প্রমাণ: 
২. আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের ব্যাপারে মানুষের বিবেক-বুদ্ধির প্রমাণ: 
তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র উপাস্যত্বে বিশ্বাস স্থাপন:
অর্থাৎ মনেপ্রাণে একথা বিশ্বাস করতে হবে যে- আল্লাহ্‌ই একমাত্র ইলাহ্‌ তথা সত্য উপাস্য। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তাঁর অংশীদার নয়। ইলাহ্‌ (الاله) অর্থ হলোঃ সম্মান ও বড়ত্বের কারণে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় যার উপাসনা করা হয়। আর এটাই মূলতঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ) এর তাৎপর্য। অর্থাৎ আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই। আল্লাহ্‌ বলেন, “আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহ্‌। সেই দয়াময় ও পরম দয়ালু ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই।”[সূরা বাকারা ২:১৬৩] আরো বলেন, “আল্লাহ্‌ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানবানগণও এ সাক্ষ্য প্রদান করে। তিনি (আল্লাহ্‌) ন্যায় ও ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্য উপাস্য নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।[সূরা আলে ইমরান ৩:১৮]
আল্লাহর প্রতি ঈমান
ঈমানের প্রথম রোকন হলো ‘আমানতু বিল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ মহানের প্রতি ঈমান আনা বা বিশ্বাস স্থাপন করা। মুমিন হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো আল্লাহর প্রতি ঈমান। আল্লাহর প্রতি ঈমান না থাকলে মুসলমানের কোনো আমল-ইবাদত কবুল হবে না। আল্লাহর প্রতি ঈমান কথাটি মোট চারটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রথম বিষয়টি হলো— আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা। মহান আল্লাহ ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন— হূদয়ের মণিকোঠায় এই বিশ্বাস দৃঢ় রাখা। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো— রুবুবিয়াত, অর্থাৎ রব হিসেবে আল্লাহকে বিশ্বাস ও স্বীকার করা এবং মান্য করা। পবিত্র কোরআনের সুরা নাজিয়াতের ২৪নং আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আমিই তোমাদের সর্বোচ্চ পালনকর্তা।’ আল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই সৃষ্টির মালিক। তিনিই একমাত্র প্রতিপালক। সব আদেশ-নির্দেশের অধিপতি— এমন বিশ্বাস রাখতে হবে। তৃতীয় বিষয়টি হলো- উলুহিয়াত, অর্থাৎ ইলাহ বা উপাস্য হিসেবে আল্লাহকে বিশ্বাস ও স্বীকার করা এবং মান্য করা। পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৬৩নং আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আর তোমাদের ইলা�� এক ও অদ্বিতীয়। তিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি করুণাময় ও দয়ালু।’ চতুর্থ বিষয়টি হলো— আল্লাহ মহানের মহিমান্বিত নাম ও গুণাবলিকে বিশ্বাস ও স্বীকার করা। পবিত্র কোরআনের সুরা আরাফের ১৮০নং আয়াতে এ মর্মে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহর আছে সব উত্তম নাম। সুতরাং সেসব নামেই তাকে ডাক। আর তাদের বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে।’ তাঁর গুণাবলির ব্যাপারে সুরা আশ শুরার ১১নং আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ উল্লিখিত চারটি বিষয়ে সমন্বিতভাবে বিশ্বাস স্থাপন ও স্বীকার করার নামই হলো আল্লাহর প্রতি ঈমান। কোনো মানুষ এভাবে আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না। রসুল (সা.) একদা আবু কাসেম গোত্রের প্রতিনিধি দলকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা জান! আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ কী? তারা বলল, আল্লাহ ও তার রসুলই ভালো জানেন। রসুল (সা.) বললেন, এর অর্থ হলো— আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রসুল— এই মর্মে সাক্ষ্য দেওয়া এবং নামাজ আদায় করা, জাকাত দেওয়া ও রমজানের রোজা রাখা (মেশকাত)।  
আমাদের মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করতে হবে।
youtube
আল্লাহর প্রতি ইমান 
youtube
আল্লাহ তায়ালার উপর ঈমান।(Iman)(Allah)
youtube
আল্লাহর উপর কিভাবে ঈমান আনবো ।
youtube
 কিভাবে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হবে?
youtube
'ঈমান বিল্লাহ' আল্লাহ্‌ তায়ালার প্রতি ঈমান
youtube
আল্লাহর প্রতি ঈমানের গুরুত্ব 
youtube
আল্লাহর প্রতি ঈমান 
youtube
অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত 
youtube
আল্লাহর প্রতি ঈমানের এ কেমন বৈপরিত্ব
youtube
আল্লাহর প্রতি ঈমান
Faith in Allah
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
দ্বীনের উপর অটল থাকার পদ্ধতি
Method of persevering on Deen
দ্বিনের ওপর অটল ও অবিচল থাকা একজন মুমিনের আবশ্যকীয় বিষয়। দুনিয়ায় বিভিন্ন ধরনের অবস্থার সম্মুখীন হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু শত বাধাবিপত্তির মধ্যেও নিজেকে দ্বিনের ওপর অবিচল রাখা কর্তব্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং আপনি আহ্বান করুন এবং দৃঢ় থাকুন, যেভাবে আপনি আদিষ্ট হয়েছেন।আর আপনি তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করবেন না।’ (সুরা : আশ শুরা, আয়াত : ৪২)
যারা দ্বিনের ওপর অবিচল থাকবে, তাদের ব্যাপারে আছে সুসংবাদ। আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেন, ‘নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের রব আল্লাহ, তারপর অবিচল থাকে, তাদের কাছে নাজিল হয় ফেরেশতা (এ বলে) যে তোমরা ভীত হয়ো না, চিন্তিত হয়ো না এবং তোমাদের যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার জন্য আনন্দিত হও।’ (সুরা : ফুসসিলাত, আয়াত : ৩০)
এক. আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা এবং তাঁর কাছে অধিক হারে দোয়া করা, যেন তিনি মৃত্যু পর্যন্ত দ্বিনের ওপর অবিচল রাখেন।
রাসুল (সা.) আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। কারণ মানুষের মন সর্বদা আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে থাকে। তিনি যেভাবে ইচ্ছা তা পরিবর্তন করেন। আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) এই দোয়া বেশি পাঠ করতেন, হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বিনের ওপর প্রতিষ্ঠিত (দৃঢ়) রাখো।(তিরমিজি, হাদিস : ২১৪০)
দুই. অধিক হারে ক্ষমা প্রার্থনা করা। ইস্তিগফার পড়া। কারণ ক্ষমা প্রার্থনার কারণে তার জন্য দ্বিনের ওপর অটল থাকা সহজ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা নিজেদের পালনকর্তা সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা করো। অন্তর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ করো। তাহলে তিনি তোমাদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উত্কৃষ্ট জীবনোপকরণ দান করবেন।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ৩)
তিন. ইলমে নাফে তথা উপকারী ইলম অর্জনের চেষ্টা করা। কারণ উপকারী ইলম অর্জনকারীর জন্য তা আলো ও পথ প্রদর্শক। কোনো বান্দা ইলম ছাড়া সঠিক রাস্তায় চলতে পারবে না। ইলম তাকে সত্য-মিথ্যার পথ বলে দেবে। ভালো-মন্দের পথ দেখাবে। রাসুল (সা.) আল্লাহর কাছে এই দোয়া করতেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) এই দোয়া করতেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অনুপকারী বিদ্যা থেকে; এমন অন্তর থেকে, যে অন্তর (আল্লাহকে) ভয় করে না এবং এমন থেকে, যা কবুল হয় না আর ওই প্রবৃত্তি থেকে, যা তৃপ্ত হয় না। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! আমি এই চার বস্তু থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (নাসায়ি, হাদিস : ৫৪৭০)
চার. ভালো লোকদের সাহচর্য গ্রহণ করা। এই সাহচর্য আপনাকে ভালো-মন্দের পথ দেখাবে। যদি ভালো লোকের সাহচর্য গ্রহণ করেন, তাহলে দ্বিনের ওপর অবিচল থাকা সহজ হবে। হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, মানুষ তার বন্ধুর ধ্যান-ধারণার অনুসারী হয়ে থাকে। সুতরাং তোমাদের সবার খেয়াল রাখা উচিত, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করছে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৭৮)
পাঁচ. অশ্লীল গান-বাদ্য শোনা থেকে নিজেকে বিরত রাখা। এটি একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি। কারণ গান-বাদ্য মানুষের দিলকে নষ্ট করে দেয় আর তখন সে ভালো জিনিস বা ভালো পথে চলতে পারে না। যদি কারো মধ্যে এই মন্দ অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে এক সপ্তাহের জন্য পরীক্ষা করে দেখুন আপনার মধ্যে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের মধ্যে থেকে কেউ কেউ আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য কিনে নেয়।’ (সুরা : লুকমান, আয়াত : ৬)
বেশির ভাগ সাহাবি, তাবেয়ি ও তফসিরবিদের মতে, ‘লাহওয়াল হাদিস’ মানে গান।
ছয়. নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করা। কারণ কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার অন্তরকে পরিশুদ্ধ করেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যার হৃদয়ে কোরআনের কিছুই নেই, সে বর্জিত ঘরের মতো। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯১৩)
সাত. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ গুরুত্বসহ আদায় করা। কারণ নামাজ মানুষকে সব অনিষ্টতা থেকে দূরে রাখে এবং দ্বিনের ওপর অটল থাকা সহজ হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামাজ কায়েম করুন। নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা করো।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দ্বিনের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
From Surah Fussilat 
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=2pQ0hAysKro
https://www.youtube.com/watch?v=tSwRFDT27Sw
 
দ্বীনের উপর অটল থাকা
youtube
দ্বীনের উপর অটল থাকার গুরুত্ব ও উপায়সমূহ
youtube
দ্বীনের উপর অটল থাকার সহজ উপায়! 
youtube
দ্বীনের পথে অটল থাকার দোয়া | কী কী করনীয় | 
youtube
দ্বীনের উপর অটল থাকার ফজিলত
 
Surah Fussilat 
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ,    আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
 
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
 কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
 পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই 
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ? 
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কুরআনের সূরা ইখলাস কি?
এই সূরাটি বিভিন্ন উপাধি লাভকারীদের মধ্যে ছিল। এটি তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, ঈশ্বরের পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত । আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
কোন সূরায় আল্লাহ নিজের বর্ণনা দিয়েছেন?
সূরা ইখলাসে (তোহীদ) আল্লাহ নিজেকে বর্ণনা করেছেন। পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে। বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক।
সুরা আল ইখলাসে আছে আল্লাহর পরিচয়
কোনো কিছুই আল্লাহর মতো নয়
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
সুরা ইখলাস কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। এই সুরাতে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এই সুরা কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।
সুরা ইখলাস অবতীর্ণ হওয়ার কারণ
অবিশ্বাসীরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জবাবে এই সুরা নাজিল হয়। কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে যে তারা আরও প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহ তাআলা কিসের তৈরি—স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জবাবে সুরাটি অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরা ইখলাসের আমলে জান্নাত লাভ
সুরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। সুরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাসের ফজিলত
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ: হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
বিপদে-আপদে উপকারী: হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার কথা বলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন, তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করতেন, তারপর সেখানে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)
সুরা ইখলাসের অর্থ
বলো, তিনি আল্লাহ যিনি অদ্বিতীয়
আল্লাহ সবার নির্ভর স্থল
তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাকেঁ কেউ জন্ম দেয়নি
আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
সুরা ইখলাস তওহিদের ভিত্তি
ইসলামের মূল জিনিসটাই হচ্ছে তওহিদ। এ সুরায় শেখানো হয়, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তিনি কারও থেকে জন্ম নেননি, কোনো কিছুর সমতুল্য নন তিনি। কোরআন শরিফ আমাদের তিনটি মৌলিক জিনিস শেখায়—তওহিদ, আখিরাত ও রিসালাত। অর্থাৎ আল্লাহ, পরকাল ও অহি। অন্য যেকোনো বিশ্বাস এই তিনটার মধ্যে পড়ে যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের বিশ্বাস, আল্লাহর প্রেরিত অহির প্রতি বিশ্বাস। যখন আমরা বলি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, এর মধ্যে আল্লাহর সব নাম, সব গুণ, কাজকে বোঝায়। যখন বলি, আখিরাতে বিশ্বাস, তার মধ্যে কবরের জীবন, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম—সব এসে যায়। তো এভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বোঝা যায়, বিশ্বাসের এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের কথাই বর্ণিত হয়েছে এই সুরাতে। আপনি যদি শুধু বোঝেন যে এই সুরাতে কী বলা হয়েছে, তাহলে দ্বীনের পথচলা শুরু করার মূলটা আপনি ধরতে পেরেছেন। সহিহ্ হাদিসে আছে, সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তিলওয়াতের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা ইখলাসে আল্লাহর ভালোবাসা লাভ
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, এক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে আমির বা নেতা নিযুক্ত করে দেন, তিনি নামাজে ইমামতিকালে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা শেষে প্রতি রাকাতেই সুরা ইখলাস পাঠ করতেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে লোকেরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, নেতা উত্তর দেন যে এই সুরায় আল্লাহর পরিচয় পাই, তাই এই সুরাকে ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসেন।
হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কাজ ইমানের সঙ্গে করতে পারবে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে সে প্রবেশ করতে পারবে। (১) যে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেবে। (২) যে ব্যক্তি গোপন ঋণ পরিশোধ করবে। (৩) এবং যে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে (তাফসিরে কাসির)।
আল আহাদ একমাত্র আল্লাহর পরিচয়
আল্লাহর সদৃশ আর কোনো কিছুই নয়।
ইখলাস(একনিষ্ঠতা, আন্তরিকতা)ইবাদতের প্ৰাণ
আল-ইখলাস মানে "শুদ্ধতা" বা "আন্তরিকতা"। #ইখলাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা ত্যাগ করা মহা বিপদের কারণ। কেননা আল্লাহ তায়ালা একমাত্র তাঁর জন্য নিবেদিত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো আমল গ্রহণ করেন না। সঠিক নিয়ত, যা আন্তরিকতা, ইসলামে আমরা যা কিছু করি তার ভিত্তি। প্রতিটি ইবাদত, দান বা যে কোন নেক আমল এর পেছনের নিয়ত দ্বারা বিচার করা হবে। আল্লাহ আমাদের সকল কাজের আসল ও গোপন অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য জানেন এবং এই উদ্দেশ্যগুলো কেয়ামতের দিন প্রকাশ করা হবে। ইসলাম শান্তি ও আশীর্বাদের ধর্ম, এটি আমাদের আললাহর পরম একত্ব প্রচার করার পরামর্শ দেয়। আন্তরিকতা(ইখলাস হল মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করার, বলা এবং কাজ করার জন্য আন্তরিক হওয়া। ইখলাস আমাদের ইসলামী শিক্ষারও মৌলিক দিক।
ইখলাস - আরবি ভাষায় একনিষ্ঠতা - প্রচলিতভাবে কুরআনের 112 তম সূরার নাম। এর আয়াতগুলি আললাহর অ বিভাজ্য একত্ব (তাওহিদ) ঘোষণা করে, যার ফলে ইসলামের ধর্মীয় চিন্তাধারা যে অক্ষের উপর চলে আসে তা প্রতিষ্ঠা করে।
সূরা ইখলাস তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, আললাহর পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত। আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
সূরা ইখলাস অনুবাদ
বলুন, সত্য হল আল্লাহ এক। আল্লাহর কাউকে প্রয়োজন নেই। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, জন্মও দেননি। আর কখনোই তাঁর সাথে সমকক্ষ কেউ হয়নি।
youtube
youtube
youtube
youtube
 সূরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সূরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সূরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাস পাঠের ফজিলত গুলি কি কি ? ♥♥♥♥♥♥ (১) তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার ক্বুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।
(২) সুরা ইখলাস দশবার পড়লে জান্নাতে প্রাসাদ পাবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।” দারিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।
(৩) বিশেষ করে রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়লে এটি মুস্তাহাব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।) রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)। সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
(৪) সুরা ইখলাসকে ভালোবাসলে, এই ভালোবাসা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি”। তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।” বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪
আল্লাহ আমাদের অন্তর আর আমলগুলোতে ইখলাস এনে দিন। আমিন।
youtube
ইসলামে আল্লাহর পরিচয়।
youtube
সূরা ইখলাসের কথা। ভগবত গীতা থেকে বের করে দিলেন ডক্টর জাকির নায়েক
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়।
youtube
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Al Ahad is the identity of Allah
There is nothing like Allah.
Surah Ikhlaas is the Touch Stone of Theology – the Study of God - Dr Zakir Naik https://www.youtube.com/watch?v=b_H0Nokuftk&t=6s
Ikhlas (sincerity) is the soul of worship.
In which Surah does Allah describes Himself?
In surah Ikhlaas ( Toheed) Allah describes Himself. Allah in the name of The Most Affectionate, the Merciful. Say you, He is Allah, the one.
Surah ikhlas
Say: He is Allah, the One and Only; Allah, the Eternal, Absolute; He begetteth not, nor is He begotten; And there is none like unto Him.
Al Ahad is the identity of Allah
There is nothing like Allah.
Al-Ikhlas means "purity" or "sincerity". Ikhlas is a very important thing. Abandoning it is a cause of great danger. Because Allah does not accept any deed other than being devoted to Him alone. Right intention, which is sincerity, is the foundation of everything we do in Islam. Every act of worship, donation or any good deed will be judged by the intention behind it. Allah knows the true and secret underlying motives of all our actions and these motives will be revealed on the Day of Resurrection. Islam is a religion of peace and blessings, it advises us to preach sincerity. Sincerity (Ikhlas) is being sincere in doing, saying and acting for the pleasure of Allah Almighty. Sincerity is also a fundamental aspect of our Islamic education.
Ikhlas - devotion in Arabic - is traditionally the name of the 112th surah of the Quran. Its verses declare the indivisible unity of Allah (Tawhid), thereby establishing the axis on which Islamic religious thought moves.
Surah Ikhlas is a brief declaration of Tawheed, the Absolute Oneness of Allah, consisting of four verses. Al-Ikhlas means "purity" or "purification".
English translation of Surah Ikhlas
Say, the truth is Allah is One. Allah does not need anyone. He gave birth to no one, nor gave birth to anyone. He was never equaled.
Ikhlas (sincerity) is the soul of worship.
Al-Ikhlas means "purity" or "sincerity". #Ikhlas is a matter of great importance. Leaving it is a cause of great danger. Because Allah Ta'ala does not accept any deed other than being dedicated to Him alone. Right intention, which is sincerity, is the foundation of everything else we do in Islam. Every act of worship, charity, or any good deed will be judged by the intention behind it. Allah knows the true and secret inner-motives of all deeds that we do, and these motives will be made known on the Day of Resurrection. Islam is the religion of peace & blessings, it advised us to promote sincerity. Sincerity (Ikhlas) is the state of being wholehearted to do, say, and commit deeds for the sake of Allah Almighty. Ikhlas is also the fundamental aspect of our Islamic teachings
Allah's Identity, Names and Attributes
Our Lord is Allah Subhanahu wa Ta'ala. Allah is unique, almighty, the only God. Allah is the only true Lord. There is no 'True God'/ 'True Deity' except Allah. Allah is One, Unique in His Actions, Lordship, Authority, and Righteousness. Allah SWT is Exalted above the throne in the sky (above all creation). Know Allah by His most beautiful names 'Asmaul Husna' and perfect attributes. Allah's name is more than 99. The Qur'an is the word of Allah. The ultimate guidance for mankind. The virtues of the 99 names of Allah are immense. Just by uttering the word "Allah" one feels a kind of calmness in the mind. According to the Holy Quran and Hadith, Allah has 99 attributes. Allah Ta'ala has ordered us to pray to Him through these names. One of the pillars of faith is believing in the 99 names and attributes of Allah.
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawhid: At the centre of all Islamic belief is the belief in one God-Allah. There is no other God but Allah and there is no one comparable to Him. We will never understand Allah as His nature supersedes our limited minds. We are created by Allah but He is not Himself created. Allah is the Unique,Omnipotent and Only Deity and Creator of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Deity' except Allah. Allah is Exalted Above His ‘Arsh (Mighty Throne’). Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Allah's Word. Qur'an is final revelation & guidance for mankind.  
Tawheed - The first call of the Messengers
Tawheed is to knowing, believing, declaring, obeying the oneness and uniqueness of Allah. The Oneness of Allah i.e. Tawheed consists of three parts. (i) Tawheed ar-Rububiyyah (Maintaining the Oneness of Allah's Lordship). (ii) Tawheed al-Asma-Was-Sifat (Maintaining the Oneness of Allah's Names and Attributes). (iii) Tawheed al-Ibadah (maintaining unity of worship). Allah is the only 'true Lord'. In all matters related to Allah, Allah is One, Sole, Final, Perfect and without partners. He has no peer or equivalent. Allah is to be known by His most beautiful Names and Perfect Attributes. From the first man and the first Prophet Adam (a.s.) to the last Prophet Muhammad, may Allah bless him and grant him peace, the basic call of all prophets and messengers was 'La ilaha illAllah' (there is no 'true God' but Allah). Namely: 'La Ilaha IllAllah Adamu Shafiullah'', 'La Ilaha IllAllah Nuhun Naziullah'', 'La Ilaha IllAllah Ibrahim Khalilullah', 'La Ilaha IllAllah Muhammadur Rasulullah'. Rejecting Taghut is the root of Tawheed.
The Call To Tawheed Was The Call of The Prophet 
Love for Surah Ikhlas
Surah Al-Ikhlaas: Incomparable Love
Reciting Surah Al Ikhlas is believed to be the means of earning Allah's love and attaining paradise. It also banishes poverty and increases sustenance. In addition, the constant recitation of this Surah makes a person worthy of having the archangel Jibreel participate in his/her funeral prayer.
✍️Rewards and Benefits of Reciting Surah Ikhlas 🦋There are many benefits of reciting Surah Ikhlas some of them are given below that we all should know about: 1️⃣Reciting Surah Ikhlas will give protection against every kind of affliction and calamity If surah Ikhlas is recited on regular basis it will break magic and completely destroys witchcraft, psychic attacks, and malicious magic spells. 2️⃣Surah al Ikhlas is a means of forgiveness of sins. Make all Halal wishes come true while reciting Surah Ikhlas. House in Jannah. ProphetMohammed (SAW) said: “Whoever recites Qul Huwa Allaahu Ahad ten times; Allah will build for him a house in Paradise.” (Saheeh al-Jaami) 3️⃣Success in business. Increase in the recitation of Surah Ikhlas is a means of attaining the love of Allah. 4️⃣Surah Ikhlas is a means of eliminating poverty. 5️⃣The recitation of Surah Ikhlas in combination with Surah Fatiha before going to bed is a source of protection from all kinds of harms. Prophet Muhammad (SAW) said: “When you recite Surah Fatiha and Surah Ikhlas upon lying on your bed, you will be safeguarded and should become fearless of everything except death.” 6️⃣Recitation of Surah Ikhlas brings the benefit of reward equal to the recitation of one-third of Quran. Our beloved Prophet Muhammad (SAW) said: “Say: He is Allah, Absolute Oneness…, By Him in Whose hand my soul is, it is equal to one-third of the Quran!” (Bukhari) 7️⃣The constant recitation of Surah Ikhlas increases the presence of the angels at the time of death. 8️⃣Whoever recites Surah Ikhlas in his obligatory prayers Allah grants him good in this world as well as in the next life and forgives him, his parents and children. ➡️In short, it is essential that every Muslim realizes the importance of Surah Ikhlas, memorize it and recite it on daily basis to receive numerous rewards and benefits. May Allah (سبحانه وتعالى) make us read this Surah in excess so that we can earn blessings from our Rabb! Aameen 🤲✨
Allah's Identity
In Surah Al Ikhlas
Al Ahad is the identity of Allah
There is nothing like Allah
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Allah's Identity, Names and Attributes
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
As Salam Meaning:
As-Salam (The Source of Peace and Security, The Saviour), Al-Quddus (The Holy, The Perfect), As-Salam (The Blameless) As-Salaam – The Source of Peace
Al-Salam (The Peace, The Source of Peace and Safety) – Allah’s Name
As-Salam. (The Giver of Peace) The Most Perfect, The Source of Peace, The Giver of Blessings. Allah is As-Salam (in Arabic: ٱلْسَّلَامُ); He is the One who grants peace and security to all His creation.
Allah is As-Salam (in Arabic: ٱلْسَّلَامُ); He is the One who grants peace and security to all His creation. Allah is above and beyond all weaknesses and inflictions. The source of peace and security for mankind. Breaking away from As-Salam brings disturbance and destruction to oneself. It is because He is free of any defect that the one who is with Him experiences tranquility.
Allah's Names - As -Salaam 
youtube
Beautiful Names of Allah As-Salam 
youtube
7 Salam || Seven Salam By Quran For Beginners
youtube
Al Salam | Names of Allah 
youtube
আস সালাম অর্থঃ
আস-সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তার উৎস, ত্রাণকর্তা), আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (দোষমুক্ত)
আস-সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তার উৎস, ত্রাণকর্তা), আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (দোষমুক্ত)
আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (ত্রুটিমুক্ত) অর্থাৎ সর্ব প্রকারের কমতি, দোষ-ত্রুটি ও সৃষ্টিকুলের সাদৃশ্য থেকে তিনি মহান, পুত:পবিত্র। তিনি যাবতীয় দোষমুক্ত, তাঁর পূর্ণতার সমকক্ষ হওয়ার সাদৃশ্য হওয়া থেকে তিনি পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তাঁর মতো কিছুই নেই।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,
“আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ৪]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান?” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৬৫]
“সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করো না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২] অত:এব, কুদ্দূস সালামের মতোই, উভয় নামই সর্বদিক থেকে আল্লাহকে দোষ-ত্রুটিমুক্ত করে এবং সর্ব দিক থেকে সর্বময় পরিপূর্ণতা শামিল করে। কেননা যখন ত্রুটিমুক্ত হয় তখন তাতে পরিপূর্ণ পূর্ণতা সাব্যস্ত হয়। তিনি মহাপবিত্র, মহান, সমস্ত দোষ-ত্রুটি মুক্ত, সৃষ্টির কারো সাথে সাদৃশ্য হওয়া থেকে মুক্ত, দোষ-ত্রুটি ও পূর্ণতার পরিপন্থী যাবতীয় অপূর্ণতা থেকে তিনি মুক্ত। এ মূলনীতি তাঁকে পবিত্র রাখে এবং সর্বদিক বিবেচনায় যত প্রকারের অপূর্ণতা ও ত্রুটি রয়েছে তা থেকে তিনি মুক্ত। তাঁর মতো বা সাদৃশ বা অনুরূপ বা সমকক্ষ বা সমতুল্য বা অংশীদার বা প্রতিপক্ষ ইত্যাদি থেকে তিনি মুক্ত, পুত:পবিত্র। যা কিছু তাঁর মহান ও প্রশস্ত গুণাবলীর কোন একটি গুণকে অপূর্ণ করে বা ত্রুটিযুক্ত করে তা থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত, পুত:পবিত্র।
তাঁকে পূর্ণ পুত:পবিত্র ও দোষ-ত্রুটি মুক্ত রাখার আরেকটি উপায় হলো তাঁর জন্য বড়ত্ব, অহংকার ও মহত্বের গুণ সাব্যস্ত করা। কেননা আল্লাহকে দোষ-ত্রুটি মুক্ত রাখার উদ্দেশ্য হলো যাবতীয় খারাপ ধারণা থেকে যেমনটি ধারণা করা হতো জাহেলী যুগে- তাঁকে মুক্ত রাখা। যেমন, বান্দা আল্লাহর গুণ সাব্যস্ত করে বলে, সুবহানাল্লাহ (আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি) অথবা, আল্লাহর পুত:পবিত্রতা বর্ণনা করছি অথবা আল্লাহ মহান ইত্যাদি বলে তখন এসব গুণাবলী তাঁকে যাবতীয় দোষ-ত্রুটি মুক্ত করে সব ধরণের পূর্ণতা সাব্যস্ত করে
আস-সালাম ও তার অর্থ || মহান আল্লাহর গুণবাচক নাম-
youtube
আস-সালামু (السلام) নামের অর্থ সহ ফজিলত ও আমল
youtube
"ইয়া সালামু"নামের ৩টি শক্তিশালী আমল |
youtube
সালাম l السلام l Salam l
youtube
সালাম l السلام l Salam 
youtube
৪মিনিটে সালামের ৯টি ভুল সম্পর্কে জানুন
youtube
As Salam Meaning
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী।
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী।
বাজারে নবীজি (সা.)–এর জীবনী তো কম নেই। কোন জীবনীটা পড়ব? নবীজি (সা.)–র কোন জীবনীটা উত্তম, এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়। একেক সময় একেকজনকে একেক বইয়ের কথা বলতে হয়। প্রশ্নকর্তার অবস্থা বুঝে উত্তর দেওয়া হয়।
তবে কোন জীবনীটা পড়ব—এই প্রশ্নের আগে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমি নবীজীবনী কেন পড়তে চাই? কীভাবে পড়তে চাই? তাঁর ধারাবাহিক জীবনী জানতে? তিনি কেমন ছিলেন সেটা জানতে? তাঁর মোজেযা বা অলৌকিক ঘটনাবলি জানতে? নাকি আরও গভীর কিছু?
নবীজি (সা.)–কে জানার জন্য মোটা দাগে পাঁচ ধরনের বই আছে।
 ১. ধারাবাহিক জীবনী
এ ধরনের জীবনীকে বলে সিরাত। একসময় বলা হতো ‘মাগাজি’ বা ‘সিয়ার’। নবীজি (সা.)–এর জন্মপূর্ব সময়, জন্ম ও বংশ পরিচয়, বেড়ে ওঠা, বিয়ে, নবুয়ত, মক্কাত্যাগ, মদিনা, সন্ধি, যুদ্ধ, মক্কা বিজয়—এই ধারাক্রমে যেসব বই লেখা তাকে ‘সিরাত’ গ্রন্থ বলে। যদি এভাবে জানা আপনার উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আপনি পড়তে পারেন নীচের যে-কোনওটি:
ক. সফিউর রহমান মোবারকপুরির লেখা আর রাহিকুল মাখতুম। দারুল হুদা কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত মীযান হারুনের অনুবাদ অথবা আয-যিহান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত কাজী আবুল কালাম সিদ্দিকের অনুবাদ পড়তে পারেন।
খ. আবুল হাসান আলি নদভির লেখা নবীয়ে রহমত। বাংলায় এর একটা অনুবাদই আছে আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলীর করা। মাকতাবাতুল হেরা থেকে প্রকাশিত।
গ. মওলানা আবুল কালাম আজাদের লেখা রসুলের রহমত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ।
৪. মাজিদ আলী খানের লেখা মুহাম্মাদ: দ্য ফাইনাল মেসেঞ্জার। গার্ডিয়ান প্রকাশনীর এ নামে একটা অনুবাদ নতুন প্রকাশ পেয়েছে। শেষ নবী নামে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদও আছে।
উপরের সবগুলো বিদেশি লেখকদের লেখা বই। আপনি যদি বাংলাভাষায় লেখা বাংলাদেশি কারও নবিজীবনী খোঁজেন, তাহলে একটা গ্রন্থের কথা বলা যায়—শাইখুল হাদিস মাওলানা মুহম্মদ তোফাজ্জল হোসাইনের লেখা হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স.) সমকালীন পরিবেশ ও জীবন। ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত।
২. ব্যক্তি নবী সম্পর্কিত
নবীজি ব্যক্তি হিসেবে কেমন ছিলেন, এটি সে ধরনের বই। একে বলে শামায়েল। এ ধরনের দুই রকমের হয়।
প্রথমত, নবীজি (সা.) দেখতে কেমন ছিলেন, তাঁর হাঁটাচলা–হাসি কেমন, তাঁর আকার ও শারীরিক গড়ন কেমন, তাঁর জীবনাচরণ ইত্যাদি কেমন—সে বিষয়ে। এসব বইয়ে তাঁর আত্মীয় ও পরিবারবর্গের স্মৃতিও অনেক লেখক নিয়ে আসেন।
তিরমিজি শরিফের লেখক ইমাম তিরমিজির লেখা শামায়েলে তিরমিজি এ বিষয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। বাংলায় পড়তে চাইলে আশরাফিয়া বুক হাউস থেকে প্রকাশিত মুফতী তাওহীদুল ইসলামের অনুবাদটা নিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, শামায়েল গ্রন্থকারেরা প্রথম দিকে কেবল নবীজির (সা.) দৈহিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে তাঁর প্রকৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করতেন। পরে আরও বিস্তৃতভাবে তাঁর ইবাদত-বন্দেগি, বিনয়, কোমলতা ইত্যাদি অন্যান্য দিক তুলে ধরা হতে থাকে। তাঁর নামাজ, তাকওয়া, আখলাক থেকে নিয়ে মানুষের সঙ্গে কিংবা স্রষ্টার সঙ্গে তাঁর আচরণ সঙ্কলন করতে থাকেন।
দুটি দিককেই অন্তর্ভুক্ত করে বইয়ের তালিকা দেওয়া যাক।
ক. সালেহ আহমদ শামীর লেখা মিন মায়িনিশ শামায়িল। ব্যক্তি ও নবী নামে আকিক পাবলিকেশন্স থেকে অনুবাদ বেরিয়েছে।
খ. আদিল সালাহির লেখা মুহাম্মাদ: ম্যান অ্যান্ড প্রফেট। আবু জাফরের অনুবাদে মানুষ ও রসুল মুহাম্মাদ নামে খোশরোজ কিতাব মহল এনেছে।
যারা কেবল শুধু দ্বিতীয় প্রকারে আগ্রহী, তাদের জন্য দুটি বইয়ের নাম বলা যাক।
ক. রাগিব সারজানির লেখা উসওয়াতুল লিল আলামিন। একই নামে শামীম আহমাদ অনুবাদ
করেছেন। মাকতাবাতুল হাসান থেকে প্রকাশিত। নবীজি: যার আদর্শে বিমোহিত পৃথিবী নামে একই বইয়ের আরেকটি অনুবাদ প্রকাশ করেছে মুহাম্মদ পাবলিকেশন।
খ. সালেহ আল মুনাজ্জিদের লেখা কাইফা আমালাহুম। বাংলায় যেমন ছিলেন তিনি নামে রুহামা পাবলিকেশন এটি ২ খণ্ডে প্রকাশ করেছে।
৩. মুজিজা সম্পর্কিত
মুজিজা মানে অলৌকিক ঘটনাবলি। নবীজীবনের এই ধরনটি একসময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। একে ‘দালায়িলুন নবি’ নামে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে দুটো বইয়ের নাম বলা যায়।
ক. জালালুদ্দিন সুয়ুতির লেখা খাসায়েসুল কুবরা। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান এর বাংলা অনুবাদ করেছেন। মদিনা পাবলিকেশান্স থেকে প্রকাশিত।
খ. মাওলানা হাবীবুর রহমানের লেখা লামিয়াতুল মুজিজাত। লেখক দেওবন্দের অধ্যক্ষ ছিলেন। কওমি মাদরাসায় এই বইটি পাঠ্য। কাব্যাকারে লেখা নবীজি (সা.)–র একশ মুজিজা এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে। মাকতাবাতুল ফাতাহ, ইসলামিয়া কুতুবখানা, আল কাউসার প্রকাশনী এর বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছে।
৪. বিষয়ভিত্তিক জীবনালেখ্য
নবীজীবনের বিভিন্ন অংশ নিয়ে রচিত গ্রন্থ। অজস্র বই আছে এই ধরনে। উদাহরণ হিসেবে কয়েকটা বইয়ের নাম তুলে দেওয়া হলো।
ক. আলী সাল্লাবির লেখা গাযওয়াতুর রসুল। নবীজির যুদ্ধ জীবন: পাঠ ও পর্যালোচনা শিরোনামে অনুবাদ করেছেন কাজী আবুল কালাম সিদ্দিক। আকিক পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত।
খ. ফয়সাল বিন আলী বাদানীর লেখা হাকা��া কানা-ন্নাবী (স.) ফি রমাদান। রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন শিরোনামে অনুবাদ করেছেন কাউসার বিন খালেদ। ইসলাম হাউস থেকে প্রকাশিত।
গ. সালেহ আল মুনাজ্জিদের লেখা নবীজির সংসার। প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল আসলাফ।
ঘ. ইবনুল কায়্যিম জাওযির লেখা আল্লাহর রসুল কিভাবে নামাজ পড়তেন। আবদুস শহিদ নাসিমের
অনুবাদে বই প্রকাশ করেছে বর্ণালী বুক সেন্টার।
ঙ. মাওলানা মুস্তফা খন্দকার সঙ্কলিত নবীজি (সা.) বয়ান’। প্রকাশক মাকতাবাতুল ইসলাম।
চ. বুলবুল সরোয়ার লিখিত নবিজীবনের শত বিষয়। প্রকাশক চমনপ্রকাশ।
৫. নবীজীবনের বিশ্লেষণ
নবীজি (সা.) বিভিন্ন কর্মতৎপরতা আধুনিক সময়ের ভাষায় বিশ্লেষণ করা হয় এই বিভাগে। যেমন হিশাম আওয়াদির বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ, অনুবাদক মাসুদ শরীফ। রামাজান আল বুতির ফিকহুস সিরাহ, তারিক রামাদানের ফুটস্টেপ অব প্রোফেট, মির্জা ইওয়ার বেগের লিডারশিপ লেসনস ইত্যাদি। সবগুলো বইয়েরই একই নামে অনুবাদ আছে।
বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কারপ্রাপ্ত একমাত্র বাংলাদেশি লেখক মোহর আলী রচিত একটি অসামান্য গ্রন্থ সিরাতুন্নবি অ্যান্ড দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত সীরাত বিশ্বকোষ অষ্টম ও নবম খণ্ড এই বইটিরই অনুবাদ।
 আরও কিছু ভালো বই
এ ছাড়াও নবীজীবন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিরীক্ষামূলক বইপুস্তক আছে। যেমন, মওলুদুন্নবি ধরনের কিছু বই আছে। এটি নবীজি (সা.)–এর জন্মবৃত্তান্তের বিবরণ। নবীজিকে নিয়ে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থও আছে—যেমন কাজী নজরুল ইসলামের মরুভাস্কর বা ফররুখ আহমদের সিরাজাম মুনীরা—যার কোনো কোনোটা ধারাবাহিক জীবনীর মতো, কোনোটা পুঁথির মতো।
শিশু-কিশোরদের নবীজীবনী
নবীজীবন নিয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কয়েটি ভালো বই এখন বাজারে আছে। যেমন:
ক. আবু তাহের মিসবাহের লেখা শিশু সীরাত সিরিজ। দারুল কলম থেকে প্রকাশিত।
খ. ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভির লেখা প্রিয় নবী। মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে প্রকাশিত।
গ. আবদুল আযীয আমানের লেখা একগুচ্ছ কিশোর-সীরাত সাহিত্য: নবীজীবনের নিউক্লিয়াস। বইকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত।
 শুরু থেকে জানতে হলে
কেউ যদি নবীজিকে প্রথম থেকে জানতে চান, তাহলে ওপরের ধরনগুলো সামনে রেখে একের পর এক ধারবাহিক পড়তে পারেন। অর্থাৎ, প্রথমে এক নম্বর বইগুলো, তারপর দ্বিতীয়—এভাবে।
একেবারে নতুন হলে প্রথমে সংক্ষিপ্ত সিরাত গ্রন্থ থেকে পড়লে ভালো। দুটি সংক্ষিপ্ত সিরাত বইয়ের নাম বলছি, যা এক বসায় আনন্দ নিয়ে পড়ে শেষ করা যায়।
ক. জুবাইর আহমদ আশরাফের লেখা সংক্ষিপ্ত সিরাত। দারুত তিবয়ান থেকে প্রকাশিত।
খ. মুসা আল হাফিজের মহানবীর জীবনপঞ্জি। মুহাম্মদ পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত।
এরপর পূর্ণাঙ্গ সিরাতগ্রন্থ পড়ুন। এরপর শামায়েল ধরুন। ব্যক্তি ও নবী পড়ুন। এরপর ফিকহুস সিরাহ পড়ুন। এই পর্যায়ে এসে একটা বইয়ের কথা বলি, যার কথা আগে বলা হয়নি। সেটি হলো ড. ইয়াসির কাজির সিরাত লেকচারের অনুবাদ মহানবি মুহাম্মদের (স) জীবন ও সময় (মাওলা ব্রাদার্স)। তিন খণ্ডে লেখা এই বইটা পড়ুন। সবশেষে পড়ুন অন্যান্য বিশ্লেষণধর্মী বই।
পরের উল্লেখ করা বইগুলোর চেয়েও ভালো, দরকারি ও উন্নত বই থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের জানাশোনা মতে প্রকাশনার মান, সহজপাঠ্য, সহজবোধ ও সহজলভ্য যে-বাংলা বইগুলো প্রথম পর্যায়ে পাঠকদের বলা যায় বলে মনে হয়েছে, সেগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে।
আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন। আমীন।.
মহানবী (সাঃ) এর জীবনী বিষয়ক শ্রেষ্ঠ বই কোনটি?
youtube
রাসূল সঃ এর শ্রেষ্ঠ জীবনী বই কোনটি?
youtube
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী এবং আমাদের শিক্ষা 
youtube
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সহজ করো, কঠিন করো না
 সুসংবাদ দাও,সৃষ্টি করো না বিদ্বেষ, ঘৃণা
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সহজ কর, কঠিন করো না এবং মানুষকে সুসংবাদ দাও, তাদের মধ্যে ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টি করো না বা দূরে সরিয়ে দিও না। (সহিহ বুখারী ৬৯, সহিহ মুসলিম ৪৬২৬)
বুখারীর আরেকটি বর্ণনায় ‘বাশশিরু বা সুসংবাদ দাও’ এর জায়গায় এসেছে ‘সাককিনু’ অর্থাৎ মানুষের মনে প্রশান্তি-স্থিরতা সৃষ্টি করো, অশান্তি-বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করো না। (সহিহ বুখারী, ৬১২৫)
মুমিন ও দায়ীর কাজ হলো মানুষের জন্য দীনকে যথাসম্ভব সহজ ও জীবনে বাস্তবায়ন যোগ্য করে উপস্থাপন করা, মানুষের মনে দীনের ব্যাপারে প্রশান্তি ও স্থীরতা সৃষ্টি করা। দীনের ব্যাপারে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করে দীন থেকে মানুষ দূরে সরিয়ে দেওয়া রসূল সা. কতৃক নিষিদ্ধ ও অন্যায় কাজ।
অনেক সময় আমাদের ফেসবুক একটিভিটি; কিছু কিছু পড়ে কিছু কিছু বলা ইত্যাদি মানুষের মধ্যে দীনের ব্যাপারে অশান্তি ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি করে। আমাদের প্রত্যেকের ভেবে দেখা উচিত আমি কোনোভাবে দীনের ব্যাপারে বিভ্রান্তি বা অশান্তি সৃষ্টির কারণ হচ্ছি কি না, মানুষের দীন থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণ হচ্ছি কি না, একজন হেদায়াত প্রতাশী মানুষও যদি আমার কারণে আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরে যায়, সেজন্য আমাকে জবাবদিহি করতে হবে।
সময় ও কাল অনুযায়ী ফিকহের সংস্কার, ইসলামী ফিকহ নিয়ে নতুন গবেষণা কখনও বন্ধ ছিলো না, এখনও থেমে নাই। এই সময়ে সালাফীরা যেমন অতি-কট্টর একটা বয়ান হাজির করছে, এর বিপরীতে আরেকটা শক্তিশালী বয়ান কি দাঁড়াচ্ছে না? যাদের মতামত আপনার পছন্দ হয়, তাদের মতামত অনুসরণ করেন। সম্ভব হলে নিজে ফকীহ হয়ে যান এবং ফিকহি গবেষণা শুরু করেন। ফিকহ নবায়নের কাজ তো ফেসবুক পোস্টের না।
আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রসূল সা. বলেন, নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ। কেউ দ্বীনের ক্ষেত্রে কঠোরতা অবলম্বন করলে সে অবশ্যই পরাভূত হবে। (অর্থাৎ এক সময় সে ক্লান্ত হয়ে দীনই ছেড়ে দেবে) কাজেই তোমরা সহজতা অবলম্বন কর, নিকটবর্তী থাকো, আশান্বিত থাকো এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর। (সহিহ বুখারী, ৩৯)
সহজ করে কথা বল, কঠিন করো না।
youtube
সহজ করো, কঠিন করো না । সুসংবাদ দাও, দূরে ঠেলে দিও না । 
youtube
youtube
youtube
ইসলামিক শরীয়াহর গুরুত্ব প্রয়োজনীয়তা | সহজ সমাধান 
https://www.youtube.com/watch?v=TLTy22wIPdc&t=12s
জেনে নেই ইসলাম সহজ না কঠিন
https://www.youtube.com/watch?v=6u00JAclbow
সহজ কর কঠিন কর না এর সঠিক ব্যাখ্যা কি ?
https://www.youtube.com/watch?v=c-GPt9a_e8k
দ্বীন খুব সহজ কঠিন করবেন না তাহলে আপনি নিজেই দ্বীনের কাছে হেরে যাবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=Fl1RCPgQaVg
 
 
 
 
সহজ করো, কঠিন করো না
সুসংবাদ দাও,সৃষ্টি করো না বিদ্বেষ,ঘৃণা
Make it Easy, Don't Make Difficult
Give Good News, Don't Create Hatred
0 notes