tawhidrisalatakhirah
tawhidrisalatakhirah
Allah: The One And Only 'True God'
811 posts
Allah is the Unique, Omnipotent and Only True Deity' of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Lord except Allah. Allah is Exalted Above ‘Arsh, above the heaven. Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Words pf Allah. Qur'an is the final revelation and guidance for mankind. Once they know Him, they will worship Him. Allah says, 'So, know that there is no God worthy of worship except Allah'. Holy Qur'an (47:19). Thus the Muslims should know the Most Beautiful Names and Lofty Attributes of Allah SWT. So they can worship and Praise Him as He deserves to be venerated and praised. Knowing, Believing in, and obeying Allah SWT (true God) and believing in Allah's indivisible Oneness and Uniqueness is the first and foremost pillar of Islam. He who died knowing that "there is No 'true God' but Allah" will enter Paradise (Jannah).May this be my last word ,"Ashhadu Al La Ilaha IllAllah Wa Anna Muhammadar Rasulullah"
Don't wanna be here? Send us removal request.
tawhidrisalatakhirah · 2 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
চরিত্র ঠিক রাখার জন্য বিয়ে 
https://www.youtube.com/watch?v=AMjcSYREWGM
https://www.youtube.com/watch?v=kQ7536G2wcQ
https://www.youtube.com/watch?v=SI3ysd_f5_8
বিবাহ চরিত্র রক্ষার রক্ষাকবচ
বিবাহকে সহজ করা : সমাজের উচিত যৌতুক প্রথা এবং অতিরিক্ত শর্তারোপ থেকে মুক্ত হয়ে বিবাহকে সহজলভ্য করা। ২. অনৈতিক কাজ প্রতিরোধ করা : বিবাহ বিলম্বিত হলে সমাজে জিনা-ব্যভিচার এবং অনৈতিক কাজ বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, 'তোমরা জিনার কাছেও যেয়ো না।
বিবাহ চরিত্র রক্ষার রক্ষাকবচ
বিবাহ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যা শুধু একটি সামাজিক বন্ধন নয়, বরং ব্যক্তি ও সমাজকে নৈতিক ও শারীরিকভাবে সুরক্ষা দেয়। এটি মানবজীবনের এমন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, কর���ণা ও দায়িত্ববোধের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিয়ের গুরুত্ব
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাঁর (আল্লাহর) অন্যতম নিদর্শন হলো তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের মাধ্যমে শান্তি লাভ করো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও করুণা সৃষ্টি করেছেন।’
(সুরা : রুম, আয়াত : ২১)
বিবাহকে রাসুলুল্লাহ (সা.) দ্বিনের অর্ধেক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি বিবাহ করে, তখন সে তার দ্বিনের অর্ধেক পূর্ণ করে। বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’
(মুসতাদরাক হাকিম : ২৬৮০)
বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে বাঁচে এবং দৃষ্টি ও লজ্জাস্থান সংযত করতে সক্ষম হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে।
কারণ এটি তোমাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের পবিত্রতা রক্ষা করে।’
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০৫)
এমনকি রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই ব্যক্তিকে অপছন্দ করতেন, যে বিয়ে করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করত না। তিনি বলেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হয়, সে আমার উম্মত নয়।
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৬৩)
সমাজ ও মাতা-পিতার দায়িত্ব
বিবাহের গুরুত্বের পাশাপাশি মাতা-পিতা এবং সমাজের ওপর বিশেষ দায়িত্ব আরোপ করা হয়েছে। যদি তারা এই দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে তা সমাজে জিনা, ব্যভিচার ও নৈতিক অবক্ষয়ের জন্ম দেয়।
 ক. মাতা-পিতার দায়িত্ব
১. বিবাহের উপযুক্ত বয়সে বিয়ে
দেওয়া : মাতা-পিতার প্রধান দায়িত্ব হলো সন্তানদের উপযুক্ত সময়ে বিয়ের ব্যবস্থা করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারো সন্তান বিবাহযোগ্য বয়সে পৌঁছে, তখন তার বিয়ে দাও। যদি তা না করো, তবে সে কোনো গুনাহে লিপ্ত হলে তার পাপ ��োমাদের ওপর বর্তাবে।
’ (মুসতাদরাক হাকিম : ২৭২১)
২. বিবাহ সহজ করা : যৌতুক এবং ব্যয়বহুল আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ে জটিল করা ইসলামে নিষিদ্ধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সবচেয়ে বরকতময় বিবাহ হলো, যা সবচেয়ে কম খরচে সম্পন্ন হয়।’ (মুসনাদ আহমাদ : ২৪৫৯৫)
৩. সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব : সন্তান প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করা মাতা-পিতার কর্তব্য। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের ��রিবারকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো, যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৬)
৪. সঙ্গী নির্বাচনে সচেতনতা : ধর্মীয় গুণাবলি বিবেচনা করে সন্তানদের জন্য সঙ্গী নির্বাচন করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা নারীকে চারটি বিষয়ের জন্য বিবাহ করো : তার সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য ও ধর্মীয় গুণাবলি। আর তুমি ধার্মিক নারীকে বেছে নাও।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৯০)
খ. সমাজের দায়িত্ব
১. বিবাহকে সহজ করা : সমাজের উচিত যৌতুক প্রথা এবং অতিরিক্ত শর্তারোপ থেকে মুক্ত হয়ে বিবাহকে সহজলভ্য করা।
২. অনৈতিক কাজ প্রতিরোধ করা : বিবাহ বিলম্বিত হলে সমাজে জিনা-ব্যভিচার এবং অনৈতিক কাজ বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা জিনার কাছেও যেয়ো না। এটি অশ্লীল কাজ এবং খুবই মন্দ পথ।’
(সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩২)
৩. সচেতনতা বৃদ্ধি : সমাজে বিবাহের গুরুত্ব এবং এর পবিত্রতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
গ. বিবাহ না করার পরিণতি
১. জিনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি : বিবাহ বিলম্বিত করলে অনৈতিক কাজ সমাজে ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিবার ও সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে।
২. মানসিক অস্থিরতা : বিবাহহীন জীবন মানুষের মধ্যে হতাশা ও অস্থিরতার জন্ম দেয়।
৩. সমাজে বিশৃঙ্খলা : পরিবার প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় সমাজে অস্থিতিশীলতা বাড়ে।
সুপারিশ
১. মা-বাবার উচিত সন্তানদের উপযুক্ত বয়স হলে দেরি না করে বিবাহের ব্যবস্থা করা।
২. সমাজকে যৌতুক, অতিরিক্ত ব্যয় এবং কুসংস্কার মুক্ত করতে উদ্যোগী হতে হবে।
৩. বিবাহ বিলম্বিত করার কারণে যে পাপাচার সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে, তা প্রতিরোধে ইসলামের শিক্ষার প্রচার করতে হবে।
৪. যৌথ উদ্যোগে যুবসমাজকে নৈতিক পথে পরিচালিত করতে হবে এবং তাদের জন্য বিবাহকে সহজ করতে হবে।
বিবাহ ইসলামের একটি মহান বিধান, যা শুধু ব্যক্তি নয়, বরং সমাজকেও নৈতিকভাবে শক্তিশালী করে। মা-বাবা ও সমাজের উচিত কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা মেনে বিবাহকে সহজ করা এবং নৈতিক অবক্ষয় রোধে ভূমিকা পালন করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এই দায়িত্ব পালন করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
চরিত্র ঠিক রাখার জন্য বিয়ে
Marriage To Maintain Character
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 7 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
নিজের অজান্তেই নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের হচ্ছি 
youtube
youtube
youtube
কুফর কি
কুফর অর্থ ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অকৃতজ্ঞ হওয়া ' , ' অবিশ্বাসী হওয়া ' , বা ' অকৃতজ্ঞতা '। কুফর ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল ঈমান ( ' ঈমান ' ), এবং কাফির ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল মুমিন ( ' বিশ্বাসী ' )।
আরবী ‘কুফর’ (الكُفْرُ) শব্দটি অবিশ্বাস, অস্বীকার, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দটির মূল অর্থ ‘আবৃত করা’। ৪র্থ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ ও অভিধান প্রণেতা আবুল হুসাইন আহমদ ইবনু ফারিস (৩৯৫হি) বলেন: ‘‘(কাফ, রা ও ফা) তিন অক্ষরের ক্রিয়ামূলটি একটি বিশুদ্ধ অর্থ প্রকাশ করে, তা হলো: ‘আবৃত করা বা গোপন করা’। কোনো ব্যক্তি যদি তার পরিহিত বর্মকে তার কাপড় দিয়ে আবৃত করেন তবে বলা হয় তিনি তার বর্ম ‘কুফর’ করেছেন। চাষীকে ‘কাফির’ (আবৃতকারী) বলা হয়, কারণ তিনি শষ্যদানাকে মাটি দ্বারা আবৃত করেন। ঈমান বা বিশ্বাসের বিপরীত অবিশ্বাসকে ‘কুফর’ বলা হয়; কারণ অবিশ্বাস অর্থ সত্যকে অবৃত করা। অকৃতজ্ঞতা বা নিয়ামত অস্বীকার করাকে কুফর বলা হয়; কারণ এতে নিয়ামত লুকানো হয় এবং আবৃত করা হয়।’’
ইসলামী পরিভাষায় বিশ্বাসের অবিদ্যমানতাই কুফর বা অবিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং ঈমানের রুকনগুলিতে বিশ্বাস না থাকাকেই ইসলামের পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য। অস্বীকার, সন্দেহ, দ্বিধা, হিংসা, অহঙ্কার, ইত্যাদি যে কোনো কারণে যদি কারো মধ্যে ‘ঈমান’ বা দৃঢ় প্রত্যয়ের বিশ্বাস অনুপস্থিত থাকে তবে তাকে ইসলামী পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য করা হয়। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে কোনো বিষয়ে তাঁর সমতুল্য বা সমকক্ষ বা তাঁর সাথে তুলনীয় বলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব ও অতুলনীয়ত্ব অস্বীকার করাও কুফর। তবে এ পর্যায়ের কুফরকে ইসলামী পরিভাষায় শ��র্ক বলা হয়।
তাগূত শব্দের অর্থ কি?
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা ঈশ্বর ছাড়া অন্য দেবতার উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুত থেকে সাবধান
‘তাগুত’ আরবি ভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। এ শব্দটি সীমালংঘনকারী বা নির্ধারিত সীমা অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম ‘ইলামুল মুয়াক্কেয়ীন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ‘তাগুত বলা হয় এমন প্রত্যেক ইবাদতকৃত সত্তাকে কিংবা অনুসৃত সত্তাকে অথবা আনুগত্যকৃত সত্তাকে, যার সম্বন্ধে ইবাদতকারী বা অনুসরণকারী অথবা আনুগত্যকারী তার বৈধসীমা অতিক্রম করেছে এবং ইবাদাতকৃতসত্তা বা অনুসৃত সত্তা অথবা আনুগত্যকৃত সত্তা তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নিয়েছে বা সেদিকে আহ্বান বা অনুপ্রাণিত করেছে।
সুতরাং এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তাগুত এমন ব্যক্তিকে বলা হয়, যে বন্দেগী ও দাসত্বের সীমা অতিক্রম করে নিজেই প্রভু ও উপাস্য হবার দাবিদার সাজে এবং আল্লাহর বান্দাহগণকে নিজের বন্দেগী ও দাসত্বে নিযুক্ত করে। আল কুরআনে ‘তাগুত’ শব্দটি আটবার ব্যবহৃত হয়েছে।
যথা : (১) ইরশাদ হয়েছে অতএব যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর উপর ঈমান আনবে সে এমন এক শক্ত ও দৃঢ়তার রজ্জু ধারণ করল যা কখনো ছিড়বে না, ভাঙ্গবে না। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। (সূরা বাকারাহ : ২৫৬)।
(২) ইরশাদ হয়েছে আর যারা কুফরী করে তাগুত তাদের অভিভাবক, এরা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়, তারাই অনলকু-ের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা বাকারাহ : ২৫৭)। (৩) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল, তারা ‘জ্বিবত’ ও ‘তাগুতে’ বিশ্বাস করে? (সূরা নিসা : ৫১)।
(৪) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে তারা ঈমান এনেছে, অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থী হতে চায়, যদিও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সূরা নিসা : ৬০)।
(৫) ইরশাদ হয়েছে যারা মুমিন তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, আর যারা কাফের তারা তাগুতের পথে যুদ্ধ করে। (সূরা নিসা : ৭৬)।
(৬) ইরশাদ হয়েছে এবং তাদের কেউ তাগুতের এবাদত করেছে। তারাই অবস্থানের দিক থেকে নিকৃষ্ট এবং সরল পথ থেকে সবচেয়ে বেশি বিচ্যুত। (সূরা মায়েদাহ : ৬০)।
উপরোক্ত আয়াতসমূহের ��লোকে দুটি বিষয়ের সন্ধ্যান লাভ করা যায়। এর একটি হলো ‘জ্বিবত’ এবং দ্বিতীয়টি হলো ‘তাগুত’। এই শব্দ দুটির মর্ম সম্পর্কে তাফসীরকার মনীষী বৃন্দের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। যথা : (১)ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : অবিসিনীয় ভাষায় ‘জ্বিবত’ বলা হয় যাদুকরকে। আর ‘তাগুত’ বলা হয় গনক বা জ্যোতিষীকে। (২) হযরত উমর (রা.) বলেন : ‘জ্বিবত’ অর্থ যাদু এবং ‘তাগুত’ অর্থ শয়তান। (৩) মালেক ইবনে আনাস (রা.) বলেন : আল্লাহ ব্যতীত যে সমস্ত জিনিসের উপাসনা করা হয়, সে সবই তাগুত বলে অভিহিত হয়।
(৪) ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন : মালেক ইবনে আনাস (রা.)-এর উক্তিটির অধিক পছন্দনীয়। তার কারণ, আল কুরআন থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায়। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বলেন : তোমরা আল্লাহর এবাদত করো এবং তাগুত থেকে বেঁচে থাক। (সূরা নাহল : ৩৬)। কিন্তু উল্লেখিত বিভিন্ন মতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কাজেই এর যে কোন একটিই গ্রহণ করা যায়। মূলত, জ্বিবত বলতে প্রতিমা ও মূর্তিকেই বোঝানো হতো। পরে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য পুজ্য বস্তুতে এর প্রয়োগ হতে আরম্ভ করে। (রুহুল মায়ানী)।
মোট কথা, আল্লাহর মোকাবেলায় বান্দাহর প্রভুত্বের দাবিদার সাজার এবং বিদ্রোহ করার তিনটি পর্যায় রয়েছে। (১) প্রথম পর্যায়ে বান্দাহ নীতিগতভাবে আল্লাহর শাসন কর্তৃত্বকে সত্য বলে মেনে নেয়। কিন্তু জীবনযাত্রার সর্বত্র আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করে। একে বলা হয় ‘ফাসেকী’।
(২) দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে বান্দাহ আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের শাসন কর্তৃত্বকে নীতিগতভাবে মেনে না নিয়ে নিজের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় অথবা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো বন্দেগী ও দাসত্ব করতে থাকে। একে বলা হয় কুফরী ও শিরক।
(৩) তৃতীয় পর্যায়ে বান্দাহ মূল মালিক ও সর্ব শক্তিমান আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং স্বীয় রাজ্যে এবং তার প্রজাদের মধ্যে নিজের হুকুম চালাতে থাকে। এই শেষ পর্যায়ে যে ব্যক্তি পৌঁছে যায়, তাকেই বলা হয় ‘তাগুত’। সুতরাং তার মাঝে ফাসেকী, কুফরী ও শিরক এবং আল্লাহ দ্রোহীতার সকল দোষই বিদ্যমান থাকে।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বা তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রু��ুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র '���ত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের
Infidels Through New Gods
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 9 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সংবাদ প্রচারে ইসলামের সতর্কবার্তা
youtube
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে সংবাদ প্রচার একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ। সঠিক ও যাচাই করা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে সমাজে শান্তি, সুবিচার ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম লক্ষ্য। ইসলামে মিথ্যা, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্যকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা সংবাদ প্রচারে সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছেন।
সঠিক সংবাদ যাচাইয়ের নির্দেশনা
মহান আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন—‘হে ঈমানদাররা! যদি কোনো ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে তা যাচাই করে দেখো, যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত না করে বসো এবং পরে তোমাদের নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হতে না হয়।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ৬)
এই আয়াত সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট নীতিমালা প্রদান করে। সংবাদ পরিবেশনের আগে তার সত্যতা যাচাই করা অপরিহার্য। কারণ মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ সংবাদ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সতর্কতা
রাসুলুল্লাহ (সা.) মিথ্যা প্রচারের বিষয়ে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যা শোনে তা যাচাই না করে অন্যকে বলে দেয়।’ (সহিহ মুসলিম,
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কথা বলে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১০৫)
আয়েশা (রা )-এর ঘটনা একটি দৃষ্টান্ত
ইসলামের ইতিহাসে সংবাদ প্রচারে সতর্কতার গুরুত্ব বোঝাতে আয়েশা (রা)-কে নিয়ে মিথ্যাচারের ঘটনাটি একটি শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত।
মুনাফিকরা তাঁর বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে মদিনায় এ বিষয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে মহান আল্লাহ আয়েশা (রা.)-এর নির্দোষ হওয়ার বিষয়ে আয়াত নাজিল করেন :
‘যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই মধ্যে একটি দল। তোমরা এটিকে নিজেদের জন্য ক্ষতিকর মনে কোরো না, বরং এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। তাদের প্রত্যেকের জন্য আছে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি।
আর তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ বিষয়ে মূল ভূমিকা পালন করেছে, তার জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।’
(সুরা : নূর, আয়াত : ১১)
এই ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে মিথ্যা তথ্য প্রচার কেবল ব্যক্তিগত ক্ষতি করে না, বরং এটি পুরো সমাজে��� মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ইসলামের শিক্ষা
আজকের ডিজিটাল যুগে সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, নিউজ পোর্টাল এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়ানোর ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এর ফলে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইসলাম আমাদের শেখায় যে সংবাদ প্রচারের আগে অবশ্যই তার সত্যতা যাচাই করতে হবে। বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং সঠিক তথ্য প্রচারে ভূমিকা রাখা প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব।
দায়িত্বশীল সংবাদ প্রচারের গুরুত্ব
ইসলামে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংবাদকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘তোমরা ন্যায়বিচারের সাক্ষ্য দাও এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তা প্রতিষ্ঠা করো, যদিও তা তোমাদের নিজেদের, পিতা-মাতার বা আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে হয়।’
(সুরা : আন-নিসা, আয়াত : ১৩৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন থেকেও আমরা দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের শিক্ষা পাই। যখন তিনি সংবাদ প্রচার করতেন, তা সর্বদা যাচাই করে করতেন। একবার একটি ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার কারণে তিনি বলেন : ‘মুমিন কখনো মিথ্যা বলতে পারে না।’
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৩১৫৪)
সংবাদ প্রচারে আমাদের করণীয়
১. তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত করা।
২. বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে বিরত থাকা।
৩. নৈতিকতা ও সততার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করা।
৪. ব্যক্তিগত বা সামাজিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে সংবাদ প্রচার না করা।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা।
ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণ করে সঠিক যাচাই করা এবং দায়িত্বশীল সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে একটি ন্যায়নিষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আমাদের উচিত আল্লাহর নির্দেশনা ও রাসুল (সা.)-এর শিক্ষার আলোকে সংবাদ প্রচারকে একটি দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করা। কারণ সঠিক সংবাদ শুধু সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে না, এটি একটি উন্নত জাতি গঠনেরও অন্যতম মাধ্যম।
সংবাদ প্রচারে ইসলামের সতর্কবার্তা
Islamic Warnings In News Reporting
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 11 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ডিপ্রেশন বা অবসাদ থেকে বাঁচতে আমল
youtube
youtube
youtube
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম কি বলে?
ডিপ্রেশন বা অবসাদ থেকে বাঁচতে যেসব আমল করবেন
১.ধৈর্য ধারণ করা:
২. তাকদিরের ওপর ছেড়ে দেওয়া:
৩.বিপদে আল্লাহকে ডাকা:
৪.চিন্তায় পরিবর্তন আনা:
৫.ইস্তেগফার করা:
৬. সুধারণা পোষণ করা:
দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার দোয়া-
হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়া ও আমল
কোরআন তেলাওয়াত করা
দোয়া ও জিকির করা
নামাজে মনোযোগী হওয়া
তোমরা নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে আমার সাহায্য প্রার্থনা কর। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। ( সুরা বাকারা ৪৫) হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করা
আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা
বেশি বেশি তওবা করা
ইসলামে অতিরিক্ত চিন্তা বন্ধ করার দুআ
দুশ্চিন্তা দূর করার দুআ হাসবিয়া আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া-হুওয়া রাব্বু আল-আরশি আল-আঈম। এই দোয়াটি কোরানে এসেছে। মহান আল্লাহ বলেন, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই, আমি তাঁর উপরই ভরসা করি এবং তিনি মহান আরশের অধিপতি।
মানুষের হতাশায় আল্লাহ যেভাবে সাহায্য করেন
মহান আল্লাহ সর্বশক্তিমান। যে কোনো কিছু করার একচ্ছত্র ক্ষমতাও তার। কুরআনুল কারিমের অনেক আয়াতে এসব ক্ষমতা বর্ণনা ��িয়েছেন তিনি। মানুষ যেসব স্থানে নিজেকে অসহায় বা ব্যর্থ ভাবেন সেসব স্থানেও মহান আল্লাহ মানুষকে দেখিয়েছেন সমাধানের পথ। শুনিয়েছেন নেয়ামত ও কল্যাণের কথা।
মানুষকে ব্যর্থতামুক্ত করতে তিনি নিজেই নিয়েছেন সে ভার। এসব ব্যর্থতা ও অপারগতা থেকে বেরিয়ে আসতে শুধু প্রয়োজন তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। মানুষের কিছু ব্যর্থতা ও তার সমাধান তুলে ধরা হলো-
 মানুষ বলে, আমি ব্যর্থ!  আল্লাহ বলেন, 'অবশ্যই ঈমানদার সফল হয়' (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১)
- মানুষ বলে, আমার জীবনে অনেক কষ্ট! আল্লাহ বলেন, 'নিশ্চয় কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি।' (সুরা নাশরাহ : আয়াত ৬)
- মানুষ বলে, আমাকে কেউ সাহায্য করে না!  আল্লাহ বলেন, 'মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব' (সুরা রূম : আয়াত ৪৭)
- মানুষ বলে, আমি দেখতে খুবই কুৎসিত!  আল্লাহ বলেন, 'আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।' (সুরা ত্বীন : আয়াত ৪)
- মানুষ বলে, আমার সঙ্গে কেউ নেই! আল্লাহ বলেন, তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি এবং দেখি।' (সুরা ত্বহা : আয়াত ৪৬)
- মানুষ বলে, আমার গোনাহ অনেক বেশি! আল্লাহ বলেন, 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন।' (সুরা বাকারা : আয়াত ২২২)
- মানুষ বলে, আমি সব সময় অসুস্থ থাকি! আল্লাহ বলেন, 'আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করেছি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়।' (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ৮২)
 মানুষ বলে, এ দুনিয়া আমার ভালো লাগে না! আল্লাহ বলেন, 'আপনার জন্যে দুনিয়ার চেয়ে পরকালই উত্তম।' (সুরা দোহা : আয়াত ৪)
- মানুষ বলে, সফলতা অনেক দূর! আল্লাহ বলেন, 'আমার সাহায্যে একেবারেই কাছাকাছি।' (সুর�� বাকারা : আয়াত ২১৪)
- মানুষ বলে, আমার জীবনে আনন্দ নেই! আল্লাহ বলেন, আপনার পালনকর্তা শিগগিরই আপনাকে এতা দান করবেন, অতপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।' (সুরা দোহা : আয়াত ৫)
- মানুষ বলে, আমি সব সময় হতাশ! আল্লাহ বলেন, 'আর তোমরা হতাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।' (সুরা ইমরান : ১৩৯)
- মানুষ বলে, আমার কোনো পরিকল্পনাই সফল হচ্ছে না! আল্লাহ বলেন, আমিও কৌশল অবলম্বন করেন। মূলতঃ আল্লাহই হচ্ছেন সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী' (সুরা ইমরান : আয়াত ৫৪)
- মানুষ বলে, আমার কেউ নেই! আল্লাহ বলেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন।' (সুরা তালাক : আয়াত ৩)
আল্লাহর কাছে মানুষের এতো এতো হতাশার সুন্দর সুন্দর সমাধান ও নেয়ামত থাকার পরও মানুষ আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে না। আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা বা সমাধান চায় না। তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর বঞ্চিত হয় মহান আল্লাহ ঘোষিত এসব অপার নেয়ামত থেকে।
সুতরাং সব হাতাশা ও ব্যর্থতায় আর কারো কাছে নয়, শুধু মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা এবং সমাধান চাওয়াই মুমিনের জন্য উত্তম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মহান আল্লাহর ঘোষিত নেয়ামত ও রহমত লাভে তার দেখানো পথে সমাধান তালাশ করার তাওফিক দান করুন। হতাশা ও ব্যর্থতামুক্ত জীবন লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ডিপ্রেশন বা অবসাদ থেকে বাঁচতে আমল
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 13 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আর-রহিম আল্লাহর সেই সুন্দরতম নাম
আখেরাতে যাঁর রহমত পাবে মুমিন-মুসলমান
আর রাহিম
youtube
youtube
youtube
youtube
আর রাহিম অর্থ
অতিশয় মেহেরবান, অতি দয়ালু
আল্লাহ তায়ালা আর রহিম,
র্তার  দয়া করুণা অপরিসীম।
আর রাহিমের দয়া রাখে ঘিরে,
সব মুমিন, মুসলিম, বিশ্বাসীরে।
ইয়া আল্লাহ, আর রাহীম!
আমাদেরে বানাও মুত্তাকিন।
আর রাহীম অর্থ কি?
আর-রহীম — সর্বাপেক্ষা দয়ালু, সর্বাপেক্ষা দয়াময় 
আর রহিম কে?
আল্লাহ নিজেকে আর-রহীম বলেছেন - করুণার দাতা, পরম করুণাময় - কুরআনে 93 বার, বাসমালাতে 112 বার। আর-রহিম হলেন তিনি যিনি সমস্ত সৃষ্টির উপর তাঁর ক্রমাগত রহমত দান করেন এবং যিনি বিশ্বাসীদের ভাল কাজের জবাবে আরও বেশি অনুগ্রহ এবং বৃহত্তর পুরস্কার প্রদান করেন!
আর রাহিম
অতিশয় মেহেরবান, অতি দয়ালু
আল্লাহ তায়ালা আর রহিম,
র্তার  দয়া করুণা অপরিসীম।
আর রাহিমের দয়া রাখে ঘিরে,
সব মুমিন, মুসলিম, বিশ্বাসীরে।
ইয়া আল্লাহ, আর রাহীম!
আমাদেরে বানাও মুত্তাকিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আররহিম আল্লাহর সেই সুন্দরতম নাম
আখেরাতে যাঁর রহমত পাবে মুমিন-মুসলমান
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 13 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আর-রহিম আল্লাহর সেই সুন্দরতম নাম
আখেরাতে যাঁর রহমত পাবে মুমিন-মুসলমান
আর রাহিম
youtube
youtube
youtube
youtube
আর রাহিম অর্থ
অতিশয় মেহেরবান, অতি দয়ালু
আল্লাহ তায়ালা আর রহিম,
র্তার  দয়া করুণা অপরিসীম।
আর রাহিমের দয়া রাখে ঘিরে,
সব মুমিন, মুসলিম, বিশ্বাসীরে।
ইয়া আল্লাহ, আর রাহীম!
আমাদেরে বানাও মুত্তাকিন।
আর রাহীম অর্থ কি?
আর-রহীম — সর্বাপেক্ষা দয়ালু, সর্বাপেক্ষা দয়াময় 
আর রহিম কে?
আল্লাহ নিজেকে আর-রহীম বলেছেন - করুণার দাতা, পরম করুণাময় - কুরআনে 93 বার, বাসমালাতে 112 বার। আর-রহিম হলেন তিনি যিনি সমস্ত সৃষ্টির উপর তাঁর ক্রমাগত রহমত দান করেন এবং যিনি বিশ্বাসীদের ভাল কাজের জবাবে আরও বেশি অনুগ্রহ এবং বৃহত্তর পুরস্কার প্রদান করেন!
আর রাহিম
অতিশয় মেহেরবান, অতি দয়ালু
আল্লাহ তায়ালা আর রহিম,
র্তার  দয়া করুণা অপরিসীম।
আর রাহিমের দয়া রাখে ঘিরে,
সব মুমিন, মুসলিম, বিশ্বাসীরে।
ইয়া আল্লাহ, আর রাহীম!
আমাদেরে বানাও মুত্তাকিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আররহিম আল্লাহর সেই সুন্দরতম নাম
আখেরাতে যাঁর রহমত পাবে মুমিন-মুসলমান
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 13 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Allah Is The One & Only True Deity
Allah is the only true God
There Is Nothing Worthy Of Worship Except Allah
youtube
youtube
youtube
There Is Nothing Worthy Of Worship Except Allah
Allah is the only true Deity.                                    
Tawheed basically means  the Oneness of Allah. There is only 1 true God, and that is Allah. Tawhid is the indivisible oneness concept of monotheism in Islam. Tawhid is the religion's central and single most important concept, upon which a Muslim's entire religious adherence rests. It unequivocally holds that God in Islam is One and Sing Tawheed  is made up of three parts:.Tawhid means believing in Allah Alone as God and Lord & attributing to Him Alone all the attributes of Lordship and divinity. Tawhid is made up of 3 parts; Tawhid al-Rububiyyah (Oneness of Divine Lordship), Tawhid al-Uluhiyyah (Oneness of Divinity) &Tawheed al-Asma wa’l-Sifat (Oneness of Names and Attributes.
Allah is the only true God
Tawheed basically means  the Oneness of Allah. There is only 1 true God, and that is Allah. Tawhid is the indivisible oneness concept of monotheism in Islam. Tawhid is the religion's central and single most important concept, upon which a Muslim's entire religious adherence rests. It unequivocally holds that God in Islam is One and Sing #Tawheed  is made up of three parts: Tawhid means believing in Allah Alone as God and Lord & attributing to Him Alone all the attributes of Lordship and divinity. Tawhid is made up of 3 parts; Tawhid al-Rububiyyah (Oneness of Divine Lordship), Tawhid al-Uluhiyyah (Oneness of Divinity) &Tawheed al-Asma wa’l-Sifat (Oneness of Names and Attributes.
Allah is the only true God
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawheed basically means  the Oneness of Allah. There is only 1 true God, and that is Allah. Tawhid is the indivisible oneness concept of monotheism in Islam. Tawhid is the religion's central and single most important concept, upon which a Muslim's entire religious adherence rests. It unequivocally holds that God in Islam is One and Sing #Tawheed  is made up of three parts: Tawhid means believing in Allah Alone as God and Lord & attributing to Him Alone all the attributes of Lordship and divinity. Tawhid is made up of 3 parts; Tawhid al-Rububiyyah (Oneness of Divine Lordship), Tawhid al-Uluhiyyah (Oneness of Divinity) &Tawheed al-Asma wa’l-Sifat (Oneness of Names and Attributes.
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawhid: At the centre of all Islamic belief is the belief in one God-Allah. There is no other God but Allah and there is no one comparable to Him. We will never understand Allah as His nature supersedes our limited minds. We are created by Allah but He is not Himself created. Allah is the Unique,Omnipotent and Only Deity and Creator of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Deity' except Allah. Allah is Exalted Above His ‘Arsh (Mighty Throne’). Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Allah's Word. Qur'an is final revelation & guidance for mankind. 
youtube
youtube
youtube
Tawheed - The first call of the Messengers
Tawheed is to knowing, believing, declaring, obeying the oneness and uniqueness of Allah. The Oneness of Allah i.e. Tawheed consists of three parts. (i) Tawheed ar-Rububiyyah (Maintaining the Oneness of Allah's Lordship). (ii) Tawheed al-Asma-Was-Sifat (Maintaining the Oneness of Allah's Names and Attributes). (iii) Tawheed al-Ibadah (maintaining unity of worship). Allah is the only 'true Lord'. In all matters related to Allah, Allah is One, Sole, Final, Perfect and without partners. He has no peer or equivalent. Allah is to be known by His most beautiful Names and Perfect Attributes. From the first man and the first Prophet Adam (a.s.) to the last Prophet Muhammad, may Allah bless him and grant him peace, the basic call of all prophets and messengers was 'La ilaha illAllah' (there is no 'true God' but Allah). Namely: 'La Ilaha IllAllah Adamu Shafiullah'', 'La Ilaha IllAllah Nuhun Naziullah'', 'La Ilaha IllAllah Ibrahim Khalilullah', 'La Ilaha IllAllah Muhammadur Rasulullah'. Rejecting Taghut is the root of Tawheed.
youtube
youtube
youtube
youtube
Allah is the only true Deity
There Is Nothing Worthy Of Worship Except Allah
Allah is the only true God
There is no 'true God' except Allah
1 note · View note
tawhidrisalatakhirah · 14 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য
youtube
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
 
আল্লাহ্‌ কে?
আল্লাহ্‌ আমার রব্ব
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ্‌:
একমাত্র প্রশংসাযোগ্য, সর্বশক্তিমান উপাস্যের প্রকৃত নাম।
আকাশ ও জমিনের সবই সৃষ্টি,
স্রষ্টা আল্লাহ্‌ একমাত্র ইলাহ,
জগতসমুহের সকল নিদর্শনে
সত্য কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আছেন আসমানে,
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র,
সকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব,
সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্‌র ,
বিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
youtube
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা।  কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ এক এবং একমাত্র সত্য উপাস্য
আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কিছুই নেই
আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ বা উপাস্য নেই
এই পৃথিবীর অধিবাসী অধিকাংশ মানুষ বিশ্ব স্রষ্টা এক আল্লাহর এবাদত পরিহার করে নানা দেব-দেবী, মূর্তি-বিগ্রহ, কল্পিত ব্যক্তি ও বস্তু নানারকম প্রাণী, এবং জড় পদার্থের উপাসনা, আরাধনা করে চলেছে। মানব পিতা আদম (আ.) হতে শুরু করে সর্বশেষ নবী মোহাম্মাদ (সা.) পর্যন্ত সকল নবী-রাসূল পৃথিবীবাসীর হেদায়েতের জন্য আল্লাহ প্রেরণ করেছেন এবং তাদের কাছে একশত সহীফা বা ছোট কিতাব এবং চার খানা বড় কিতাব নাযিল করেছেন। এই একশত চারটি কিতাবের মধ্যে ‘আল কোরআন’ সর্বশেষ কিতাব। এই কিতাবে জীবন ও জগতের পরিপূর্ণ বিধানাবলি বিধৃত আছে। পৃথিবী প্রলয় হওয়া পর্যন্ত জীবনও জগতের যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ ও সকল সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থাপত্র হচ্ছে এই কোরআন। আল কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, সৃষ্টি জগতের কোনো কিছুরই ‘ইলাহ’ বা ‘উপাস্য’ হওয়ার অধিকার নেই। ইরশাদ হয়েছে (ক) আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ বা উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সকল কিছুর ধারক ও নিয়ন্ত্রক। (সূরা বাক্বারাহ : আয়াত ২৫৫)।
ইরশাদ হয়েছে : (খ) তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদেরকে জীবন দান করেছেন, অতঃপর মৃত্যুমুখে পতিত করবেন, তারপর পুনরায় জীবিত করবেন। (সূরা হাজ্জ : আয়াত ৬৬)। ইরশাদ হয়েছে : (গ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা শস্য দানা ও বৃক্ষবীজ হতে উদগমন করেন, তিনি মৃত থেকে জীবিত আর জীবিত থেকে মৃত সৃষ্টি করেন। সেই সত্ত্বাই আল্লাহ। সুতরাং তোমরা কোন দিকে ফিরে যাচ্ছ? (সূরা আনয়ান : আয়াত ৯৫)। ইরশাদ হয়েছে : (ঘ) তোমাদের ইলাহ একমাত্র ইলাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি দয়ালু ও ক্ষমাশীল। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৬৩)। ইরশাদ হয়েছে : (ঙ) নিশ্চয়ই আমিই আল্লাহ, আমি ছাড়া আর কেউ উপাস্য নেই। সুতরাং আমারই ইবাদত করো। (সূরা ত্বাহা : আয়াত ৩৪)।
সুতরাং উল্লেখিত আয়াতে কারীমার অর্থ ও মর্মের আলোকে স্পষ্টতঃই বলা যায় যে, একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইবাদত বন্দেগী ও আরাধনা ছাড়া আর অন্য কারো উপাসনা করা বৈধ নয়। কেননা আল্লাহ স্বীয় নাম,পরিচয় ও সত্তাগত এবং কর্মগত গুণাবলীতে সর্বদা ছিলেন এবং সর্বদা থাকবেন। (শরহে ফিকহে আকবর : পৃষ্ঠা ১৫-১৬)।
আল্লাহ তায়ালার একমাত্র উপাস্য হওয়ার বিষয়টি সপ্রমাণিত ও চিরসত্য। এই সত্যের মাঝে কোনো ব্যত্যয় নেই।এর  অজস্র প্রমাণ আছে।প্রথমত: আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়। সমগ্র বিশ্বে তাঁর কোনো তুলনা নেই, তাঁর কোনো সমকক্ষও নেই। সুতরাং একক উপাস্য বা ইলাহ হওয়ার অধিকার একমাত্র তাঁরই আছে। অন্য কারো নেই। দ্বিতীয়ত: এবাদত পাওয়ার যোগ্যতা তারই থাকতে পারে, যার লয় নেই, ক্ষয় নেই, যিনি চিরঞ্জীব ও অবিনশ্বর। এসকল গুণ আ���্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কারো নেই। এজন্য উপাস্য, হওয়ার অধিকারেও তিনি একক। অর্থাৎ তাঁকে ছাড়া আর কোনো কিছুই এবাদতের যোগ্য নয়।
তৃতীয়ত: সত্তার দিক দিয়েও তিনি একক। অর্থাৎ তিনি অংশী বিশিষ্ট নন। শুধু কেবল অংশীর দিক থেকেই নয় বরং তিনি অঙ্গ প্রত্যক্ষ থেকেও পবিত্র ও মুক্ত। তাঁর কোনো বিভক্তি বা ব্যবচ্ছেদ হতে পারে না। আর পারে না বলেই তিনিই একমাত্র উপাস্য হওয়ার যোগ্য। চতুর্থত: আল্লাহতায়ালা-তখনও বিদ্যমান ছিলেন, যখন অন্য কোনো কিছুই ছিল না এবং তখনও বিদ্যমান থাকবেন, যখন কোনো কিছুই থাকবে না। এজন্যই তিনি তাঁর আদি ও অনন্ত সত্তার দিক দিয়েও একক ও অদ্বিতীয়।
অতএব তিনিই একমাত্র সত্তা যিনি উপাস্য হতে পারেন। তিনি ছাড়া অন্য কোনো কিছুর উপাস্য হওয়ার ধারণা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বাতিল।
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 14 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন
ধৈর্যধারণ
youtube
youtube
youtube
সবর বা ধৈর্য সম্পর্কে আল্লাহ কি বলেন
সূরা আল-বাকারাহ (2:153) এর কুরআনের আয়াতটি ধৈর্যের গুরুত্ব শেখায়: “ হে ঈমানদারগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।" এই আয়াতটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে যখন আমরা পরীক্ষা এবং অসুবিধার মুখোমুখি হয়ে ধৈর্য ধরি, তখন আমরা আল্লাহর নিকটবর্তী হই।
ধৈর্যের গুরুত্বের কথা ���সলাম ধর্মে বারবার বলা হয়েছে
সবর বা ধৈর্যের গুরুত্বের কথা ইসলাম ধর্মে বারবার বলা হয়েছে। তাফসিরে বায়জাবি অনুসারে ধৈর্য তিন প্রকার: ১. ‘সবর আনিল মাসিয়াত’, অর্থাৎ অন্যায়-অপরাধ থেকে বিরত থাকা। ২. ‘সবর আলাত তআত’, অর্থাৎ ইবাদতে আল্লাহর আনুগত্য ও সৎ কর্মে কষ্ট স্বীকার করা। ৩. ‘সবর আলাল মুসিবাত’, অর্থাৎ বিপদে অধীর না হওয়া।
কোনো লোক যদি ওপরের পথ ধরে ধৈর্য অবলম্বন করে, তবে তার জীবনে পূর্ণতা ও সফলতা আসবে। এই সবরে বা ধৈর্যে কিছু মূল্যবান উপাদান আছে। প্রথমত, অন্যায়-অপরাধ ও পাপকাজ থেকে বিরত থাকা। সব রকমের অকল্যাণ ও গ্লানি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এটি অন্যতম উপায়। দ্বিতীয়ত, ইবাদত ও সৎ কাজ করা। ইবাদত ও সৎ কাজ পবিত্রতা এনে দেয়। তৃতীয়ত, প্রতিকূলতার সময় ধৈর্য ধরে থাকা। সবরে কামিল বা পরিপূর্ণ ধৈর্যই মানবজীবনকে পূর্ণতা দিতে পারে।
যেকোনো অযাচিত পরিবেশে ও অনাহূত পরিস্থিতিতে নিজেকে সংযত রেখে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ আছে যেমন মুসা (আ.)–এর জীবনীতে। তিনি নদীর পারে এসে নদী পারাপারের উপায় না দেখে প্রবল বিপদের মুখোমুখি হয়েও ধৈর্য হারাননি। বরং উম্মতকে সান্ত্বনা দিয়ে দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে দৃপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘কালা কাল্লা! ইন্না মায়িয়া রব্বি ছাইয়াহদিন।’ অর্থাৎ, ‘কিছুতেই না। আমার সঙ্গে আছেন আমার প্রতিপালক; তিনি আমাদের পথ দেখাবেন।’ (সুরা শোআরা, আয়াত: ৬২)
মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় যাওয়ার পথে সাওর পর্বতের গুহায় আত্মগোপন করে থাকার সময় তাঁর সঙ্গী হজরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.)–কে এভাবেই আশ্বস্ত করেছিলেন। কোরআন শরিফে তার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমরা তাকে (রাসুলকে) সাহায্য না কর, (তবে স্মরণ করো) আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন, যখন অবিশ্বাসীরা তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। সে ছিল দুজনের একজন। অপরজন আবু বকর (রা.), যখন তারা গুহার মধ্যে ছিল; সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, মন খারাপ কোরো না, আল্লাহ তো আমাদের সঙ্গে আছেন। তারপর আল্লাহ তার ওপর তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করলেন। আর এমন এক সৈন্যবাহিনী দিয়ে তিনি তাকে শক্তিশালী করলেন, যা তোমরা দেখনি আর তিনি অবিশ্বাসীদের কথা তুচ্ছ করলেন। আল্লাহর কথাই সবার ওপরে। আর আল্লাহ তো শক্তিমান তত্ত্বজ্ঞানী।’ (সুরা তওবা, আয়াত: ৪০)
আনাস ইবনে মালিক (রা.)–র কাছ থেকে একটি হাদিস জানা যায়। হজরত আবু তালহা (রা.)–এর এক ছেলে একবার অসুস্থ হয়ে পড়ল। আবু তালহা (রা.) বাইরে গেলেন। সে সময় ছেলেটি মারা যায়। তিনি ফিরে এসে জানতে চাইলেন, ছেলেটি কী করছে?
তাঁর স্ত্রী উম্মে সুলায়ম (রা.) বললেন, সে আগের চাইতে শান্ত। এর পর তাঁকে রাতের খাবার দিলেন। তিনি খাদ্য গ্রহণের পর উম্মে সুলায়মের সঙ্গ নিলেন। এর পর উম্মে সুলায়ম বললেন, ছেলেকে দাফন করে এসো।
সকাল হলে আবু তালহা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে এসে ঘটনাটি বললেন। রাসুল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, গত রাতে তুমি কি স্ত্রীর সঙ্গে ছিলে?
তিনি বললেন, হ্যাঁ!
নবী (সা.) বললেন, ‘ইয়া আল্লাহ! তাদের জন্য তুমি বরকত দান করো।’
এরপর উম্মে সুলায়ম (রা.) একটি সন্তান প্রসব করলেন।
আবু তালহা (রা.) সেই শিশুটিকে নিয়ে নবী করিম (সা.)–এর কাছে গেলেন। যাওয়ার সময় উম্মে সুলায়ম সঙ্গে কিছু খেজুর দিয়ে দিয়েছিলেন।
নবী (সা.) শিশুটিকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ওর সঙ্গে কি কিছু আছে?
তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। খেজুর আছে।
রাসুল (সা.) খেজুর চিবিয়ে চিবানো খেজুর শিশুটির মুখে দিলেন। এর পর শিশুটির নাম রাখলেন
আবদুল্লাহ। (বুখারি, হাদিস: ৫,৪৭০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 15 days ago
Text
Surah Ar Rahman
Surah Ar Rahman
youtube
youtube
youtube
আর রাহমান আল্লাহ আরশে ইস্তাওয়া,
সীমাহীন তাঁরই দয়া,দান,করুণা। 
আর রাহমান অর্থ  
সবচাইতে দয়ালু, পরম দয়াময় ,
অনন্ত করুণাময়।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আর রাহমান,
অপরিসীম তাঁর দয়ার পরিমাণ।
আল্লাহ্‌র দয়া ও করুণা রেখেছে ঘিরে,
সৃষ্টিকুলের সকল সৃষ্টিরে।
ইয়া আল্লাহ্‌! ইয়া রাহমান!
আমাদেরকে দাও পরম কল্যাণ।
আর রহমান শব্দে  ৩টি অর্থ নিহিত-
১। চরম পরিমাণ এবং ধারণার বাইরে।
২। এখনই
৩। এটা অস্থায়ী।
আর রাহমান  الرَّحْمنُ পরম করুণাময়
Ar-Rahman
 পরম করুণাময়। অর্থাৎ তিনি মানব,জিন ফিরিশতা,পশু-পাখি ইত্যাদি সকল সৃষ্টির প্রতি করুণা করেন।
মুসলিম,অমুসলিম,ভালো,মন্দ,নেককার,পরহেজগার নির্বিশেষে সকলকে খাদ্যপানীয়,আলোবাতাস সহ জীবন ধারণের নানা উপকরণ দান করে থাকেন।
আর রহমান শব্দে  ৩টি অর্থ নিহিত-
১। চরম পরিমাণ এবং ধারণার বাইরে।
২। এখনই
৩। এটা অস্থায়ী।
الرَّحْمنُ عَلَّمَ الْقُرْآنَ ,“পরম করুণাময় আল্লাহ। শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন।”
(সূরা আর রাহমান: ১২)
মা তার সন্তানের উপর যতটুকু দয়ালু, আল্লাহ তার বান্দার উপর তদাপেক্ষা অধিক দয়ালু।”সহীহ বুখারী, ৭/৭৫
আর রাহমান ৩টি জিনিস করেন।  আর রহমানের মধ্যে থাকা এই ৩টা মূলভাব যা এর বানানের কারণে প্রকাশিত হচ্ছে।
প্রথমটা হচ্ছে,  এটা চরম পরিমাণ। এটা ধারণার বাইরে।  চরম পরিমাণ এবং ধারণার বাইরে। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ শুধু প্রেমময়ই নন, তিনি চরম পরিমাণ স্নেহশীল, যা ধারণার বাইরে। তাই, আল্লাহর কাছে যাই আশা করবেন, তাঁর ভালোবাসা আর দয়া থেকে, মনে রাখবেন (তাঁর ভালোবাসা ও দয়া) আপনার ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। এটাই প্রথ��� অর্থ।
আর-রহমানের দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে এখনই, এমন কিছু যা সাথে খুব তাড়াতাড়ি ঘটে।  এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এটা সাথে সাথেই ঘটে।
আর রাহমান এর মাধ্যমে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহর ভালোবাসা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না। কিংবা তাঁর যত্ন, অথবা দয়া। এটা আসলে এখনই প্রকাশ পাচ্ছে এর চূড়ান্ত রুপে।
অর্থের তৃতীয় অংশ, এটা অস্থায়ী। আরবি ভাষায় এই ঘরানার প্রতিটি শব্দ অস্থায়ী। আল্লাহর ভালোবাসা প্রচণ্ড, এটা প্রত্যাশাতীত। আল্লাহর ভালোবাসা এবং দয়া ঠিক এই মুহূর্তেও আসছে, কিন্তু কোন কারণ ব্যক্তি যদি খুবই খারাপ একটা কিছু করেন, তবে  এই ভালোবাসা থেকে বিচ্যুতও হয়ে যেতে পারেন।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لَلَّهُ أَرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ الوالدة بِوَلَدِهَا».
“মা তার সন্তানের উপর যতটুকু দয়ালু, আল্লাহ তার বান্দার উপর তদাপেক্ষা অধিক দয়ালু।”সহীহ বুখারী, ৭/৭৫, কিতাবুল আদাব, বাব, রহমাতুল ওয়ালাদি ওয়াতাকবীলিহি ওয়া মু‘আনাকাতিহি, হাদীস নং ৫৯৯৯; হাদীসটি উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত।
«إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الخَلْقَ: إِنَّ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي».
“আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত সৃষ্টিজগতকে সৃষ্টি করার পূর্বে একটি লেখা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তা হলো “আমার ক্রোধের উপর আমার রহমত অগ্রগামী রয়েছে। সহীহ বুখারী, ৮/১৭৬, কিতাবুত তাওহীদ, বাব, ওয়াকানা ‘আরশুহু ‘আলাল মাই, হাদীস নং ৭৫৫৪; সহীহ মুসলিম, ৪/২১০৭,
الرَّحْمنُ عَلَّمَ الْقُرْآنَ ,“পরম করুণাময় আল্লাহ। শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন।” (সূরা আর রাহমান: ১২)
قَالَ عَذَابِيٓ أُصِيبُ بِهِۦ مَنۡ أَشَآءُۖ وَرَحۡمَتِي وَسِعَتۡ كُلَّ شَيۡءٖ١٥٦
“তিনি বললেন, ‘আমি যাকে চাই তাকে আমার আযাব দেই। আর আমার রহমত সব বস্তুকে পরিব্যাপ্ত করেছে।” [সূরা আল-আ‘রাফ: ১৫]
إِنَّ رَحۡمَتَ ٱللَّهِ قَرِيبٞ مِّنَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ٥٦﴾
“নিশ্চয় আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।” [সূরা আল-আ’রাফ: ৫৬]
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আর রাহমান আল্লাহ আরশে ইস্তাওয়া,
সীমাহীন তাঁরই দয়া,দান,করুণা। 
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 15 days ago
Text
Tumblr media
Surah Ar Rahman
youtube
youtube
youtube
আর রাহমান আল্লাহ আরশে ইস্তাওয়া,
সীমাহীন তাঁরই দয়া,দান,করুণা। 
আর রাহমান অর্থ  
সবচাইতে দয়ালু, পরম দয়াময় ,
অনন্ত করুণাময়।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আর রাহমান,
অপরিসীম তাঁর দয়ার পরিমাণ।
আল্লাহ্‌র দয়া ও করুণা রেখেছে ঘিরে,
সৃষ্টিকুলের সকল সৃষ্টিরে।
ইয়া আল্লাহ্‌! ইয়া রাহমান!
আমাদেরকে দাও পরম কল্যাণ।
আর রহমান শব্দে  ৩টি অর্থ নিহিত-
১। চরম পরিমাণ এবং ধারণার বাইরে।
২। এখনই
৩। এটা অস্থায়ী।
আর রাহমান  الرَّحْمنُ পরম করুণাময়
Ar-Rahman
 পরম করুণাময়। অর্থাৎ তিনি মানব,জিন ফিরিশতা,পশু-পাখি ইত্যাদি সকল সৃষ্টির প্রতি করুণা করেন।
মুসলিম,অমুসলিম,ভালো,মন্দ,নেককার,পরহেজগার নির্বিশেষে সকলকে খাদ্যপানীয়,আলোবাতাস সহ জীবন ধারণের নানা উপকরণ দান করে থাকেন।
আর রহমান শব্দে  ৩টি অর্থ নিহিত-
১। চরম পরিমাণ এবং ধারণার বাইরে।
২। এখনই
৩। এটা অস্থায়ী।
الرَّحْمنُ عَلَّمَ الْقُرْآنَ ,“পরম করুণাময় আল্লাহ। শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন।”
(সূরা আর রাহমান: ১২)
মা তার সন্তানের উপর যতটুকু দয়ালু, আল্লাহ তার বান্দার উপর তদাপেক্ষা অধিক দয়ালু।”সহীহ বুখারী, ৭/৭৫
আর রাহমান ৩টি জিনিস করেন।  আর রহমানের মধ্যে থাকা এই ৩টা মূলভাব যা এর বানানের কারণে প্রকাশিত হচ্ছে।
প্রথমটা হচ্ছে,  এটা চরম পরিমাণ। এটা ধারণার বাইরে।  চরম পরিমাণ এবং ধারণার বাইরে। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ শুধু প্রেমময়ই নন, তিনি চরম পরিমাণ স্নেহশীল, যা ধারণার বাইরে। তাই, আল্লাহর কাছে যাই আশা করবেন, তাঁর ভালোবাসা আর দয়া থেকে, মনে রাখবেন (তাঁর ভালোবাসা ও দয়া) আপনার ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। এটাই প্রথম অর্থ।
আর-রহমানের দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে এখনই, এমন কিছু যা সাথে খুব তাড়াতাড়ি ঘটে।  এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এটা সাথে সাথেই ঘটে।
আর রাহমান এর মাধ্যমে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহর ভালোবাসা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না। কিংবা তাঁর যত্ন, অথবা দয়া। এটা আসলে এখনই প্রকাশ পাচ্ছে এর চূড়ান্ত রুপে।
অর্থের তৃতীয় অংশ, এটা অস্থায়ী। আরবি ভাষায় এই ঘরানার প্রতিটি শব্দ অস্থায়ী। আল্লাহর ভালোবাসা প্রচণ্ড, এটা প্রত্যাশাতীত। আল্লাহর ভালোবাসা এবং দয়া ঠিক এই মুহূর্তেও আসছে, কিন্তু কোন কারণ ব্যক্তি যদি খুবই খারাপ একটা কিছু করেন, তবে  এই ভালোবাস�� থেকে বিচ্যুতও হয়ে যেতে পারেন।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لَلَّهُ أَرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ الوالدة بِوَلَدِهَا».
“মা তার সন্তানের উপর যতটুকু দয়ালু, আল্লাহ তার বান্দার উপর তদাপেক্ষা অধিক দয়ালু।”সহীহ বুখারী, ৭/৭৫, কিতাবুল আদাব, বাব, রহমাতুল ওয়ালাদি ওয়াতাকবীলিহি ওয়া মু‘আনাকাতিহি, হাদীস নং ৫৯৯৯; হাদীসটি উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত।
«إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الخَلْقَ: إِنَّ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي».
“আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত সৃষ্টিজগতকে সৃষ্টি করার পূর্বে একটি লেখা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তা হলো “আমার ক্রোধের উপর আমার রহমত অগ্রগামী রয়েছে। সহীহ বুখারী, ৮/১৭৬, কিতাবুত তাওহীদ, বাব, ওয়াকানা ‘আরশুহু ‘আলাল মাই, হাদীস নং ৭৫৫৪; সহীহ মুসলিম, ৪/২১০৭,
الرَّحْمنُ عَلَّمَ الْقُرْآنَ ,“পরম করুণাময় আল্লাহ। শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন।” (সূরা আর রাহমান: ১২)
قَالَ عَذَابِيٓ أُصِيبُ بِهِۦ مَنۡ أَشَآءُۖ وَرَحۡمَتِي وَسِعَتۡ كُلَّ شَيۡءٖ١٥٦
“তিনি বললেন, ‘আমি যাকে চাই তাকে আমার আযাব দেই। আর আমার রহমত সব বস্তুকে পরিব্যাপ্ত করেছে।” [সূরা আল-আ‘রাফ: ১৫]
إِنَّ رَحۡمَتَ ٱللَّهِ قَرِيبٞ مِّنَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ٥٦﴾
“নিশ্চয় আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।” [সূরা আল-আ’রাফ: ৫৬]
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আর রাহমান আল্লাহ আরশে ইস্তাওয়া,
সীমাহীন তাঁরই দয়া,দান,করুণা। 
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 15 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
Surah Ar Rahman
youtube
youtube
youtube
আর রাহমান আল্লাহ আরশে ইস্তাওয়া,
সীমাহীন তাঁরই দয়া,দান,করুণা। 
আর রাহমান অর্থ  
সবচাইতে দয়ালু, পরম দয়াময় ,
অনন্ত করুণাময়।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আর রাহমান,
অপরিসীম তাঁর দয়ার পরিমাণ।
আল্লাহ্‌র দয়া ও করুণা রেখেছে ঘিরে,
সৃষ্টিকুলের সকল সৃষ্টিরে।
ইয়া আল্লাহ্‌! ইয়া রাহমান!
আমাদেরকে দাও পরম কল্যাণ।
আর রহমান শব্দে  ৩টি অর্থ নিহিত-
১। চরম পরিমাণ এবং ধারণার বাইরে।
২। এখনই
৩। এটা অস্থায়ী।
আর রাহমান  الرَّحْمنُ পরম করুণাময়
Ar-Rahman
 পরম করুণাময়। অর্থাৎ তিনি মানব,জিন ফিরিশতা,পশু-পাখি ইত্যাদি সকল সৃষ্টির প্রতি করুণা করেন।
মুসলিম,অমুসলিম,ভালো,মন্দ,নেককার,পরহেজগার নির্বিশেষে সকলকে খাদ্যপানীয়,আলোবাতাস সহ জীবন ধারণের নানা উপকরণ দান করে থাকেন।
আর রহমান শব্দে  ৩টি অর্থ নিহিত-
১। চরম পরিমাণ এবং ধারণার বাইরে।
২। এখনই
৩। এটা অস্থায়ী।
الرَّحْمنُ عَلَّمَ الْقُرْآنَ ,“পরম করুণাময় আল্লাহ। শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন।”
(সূরা আর রাহমান: ১২)
মা তার সন্তানের উপর যতটুকু দয়ালু, আল্লাহ তার বান্দার উপর তদাপেক্ষা অধিক দয়ালু।”সহীহ বুখারী, ৭/৭৫
আর রাহমান ৩টি জিনিস করেন।  আর রহমানের মধ্যে থাকা এই ৩টা মূলভাব যা এর বানানের কারণে প্রকাশিত হচ্ছে।
প্রথমটা হচ্ছে,  এটা চরম পরিমাণ। এটা ধারণার বাইরে।  চরম পরিমাণ এবং ধারণার বাইরে। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ শুধু প্রেমময়ই নন, তিনি চরম পরিমাণ স্নেহশীল, যা ধারণার বাইরে। তাই, আল্লাহর কাছে যাই আশা করবেন, তাঁর ভালোবাসা আর দয়া থেকে, মনে রাখবেন (তাঁর ভালোবাসা ও দয়া) আপনার ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। এটাই প্রথম অর্থ।
আর-রহমানের দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে এখনই, এমন কিছু যা সাথে খুব তাড়াতাড়ি ঘটে।  এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এটা সাথে সাথেই ঘটে।
আর রাহমান এর মাধ্যমে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহর ভালোবাসা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না। কিংবা তাঁর যত্ন, অথবা দয়া। এটা আসলে এখনই প্রকাশ পাচ্ছে এর চূড়ান্ত রুপে।
অর্থের তৃতীয় অংশ, এটা অস্থায়ী। আরবি ভাষায় এই ঘরানার প্রতিটি শব্দ অস্থায়ী। আল্লাহর ভালোবাসা প্রচণ্ড, এটা প্রত্যাশাতীত। আল্লাহর ভালোবাসা এবং দয়া ঠিক এই মুহূর্তেও আসছে, কিন্তু কোন কারণ ব্যক্তি যদি খুবই খারাপ একটা কিছু করেন, তবে  এই ভালোবাসা থেকে বিচ্যুতও হয়ে যেতে পারেন।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لَلَّهُ أَرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ الوالدة بِوَلَدِهَا».
“মা তার সন্তানের উপর যতটুকু দয়ালু, আল্লাহ তার বান্দার উপর তদাপেক্ষা অধিক দয়ালু।”সহীহ বুখারী, ৭/৭৫, কিতাবুল আদাব, বাব, রহমাতুল ওয়ালাদি ওয়াতাকবীলিহি ওয়া মু‘আনাকাতিহি, হাদীস নং ৫৯৯৯; হাদীসটি উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত।
«إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الخَلْقَ: إِنَّ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي».
“আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত সৃষ্টিজগতকে সৃষ্টি করার পূর্বে একটি লেখা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তা হলো “আমার ক্রোধের উপর আমার রহমত অগ্রগামী রয়েছে। সহীহ বুখারী, ৮/১৭৬, কিতাবুত তাওহীদ, বাব, ওয়াকানা ‘আরশুহু ‘আলাল মাই, হাদীস নং ৭৫৫৪; সহীহ মুসলিম, ৪/২১০৭,
الرَّحْمنُ عَلَّمَ الْقُرْآنَ ,“পরম করুণাময় আল্লাহ। শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন।” (সূরা আর রাহমান: ১২)
قَالَ عَذَابِيٓ أُصِيبُ بِهِۦ مَنۡ أَشَآءُۖ وَرَحۡمَتِي وَسِعَتۡ كُلَّ شَيۡءٖ١٥٦
“তিনি বললেন, ‘আমি যাকে চাই তাকে আমার আযাব দেই। আর আমার রহমত সব বস্তুকে পরিব্যাপ্ত করেছে।” [সূরা আল-আ‘রাফ: ১৫]
إِنَّ رَحۡمَتَ ٱللَّهِ قَرِيبٞ مِّنَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ٥٦﴾
“নিশ্চয় আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।” [সূরা আল-আ’রাফ: ৫৬]
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আর রাহমান আল্লাহ আরশে ইস্তাওয়া,
সীমাহীন তাঁরই দয়া,দান,করুণা। 
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 15 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
উত্তম চরিত্র গঠনের উপায় 
youtube
youtube
চরিত্র গঠনে ইসলাম
ইসলামের আলোকে চরিত্র গঠনের মূলকথা হলো মানুষের জীবসত্তার ওপর মানবসত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া এবং মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো। আর তা হবে বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, কামশক্তি ও ক্রোধশক্তির সমতা এবং এগুলোকে শরিয়তের অনুগত করার মাধ্যমে। শরিয়তের আনুগত্য আবার দুইভাবে হতে পারে—ক. আল্লাহর দান হিসেবে জন্মগতভাবে জ্ঞানী ও চরিত্রবান হওয়া।
চরিত্র গঠনে ইসলামের নির্দেশনা
মানবজাতির জন্য প্রকৃতিতে আল্লাহ বিস্ময়কর বৈচিত্র্য রেখেছেন। এই বৈচিত্র্যের কারণেই পৃথিবীতে মানুষের আচার-আচরণ ও কাজকর্মে এত ভিন্নতা পাওয়া যায়। কোরআন ও হাদিসের বর্ণনায়ও মানব প্রকৃতির বৈচিত্র্য ফুটে উঠেছে। নিম্নে মানব প্রকৃতির বৈচিত্র্য নিয়ে ইসলামের ভাষ্য তুলে ধরা হলো।
মানুষের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যে যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, তা প্রধানত সৃষ্টিগত। আল্লাহ মানুষকে নির্ধারিত বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশ থেকেও মানুষ কিছু বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভি (রহ.) বলেন, ‘জেনে রেখো, মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য এমন যে তা মানুষ হিসেবে সৃষ্টিগতভাবেই পেয়ে থাকে।
তেমনি কিছু বৈশিষ্ট্য তার বৈষয়িক, যা তার পারিপার্শ্বিকতা ও দূরবর্তী কোনো প্রভাব থেকে অর্জিত হয়।’ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ : ১/১৬২)
মানবজাতির স্বভাব-চরিত্রকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক. সত্তার বিবেচনায়, দুই. অর্জন ও পরিবর্তনের বিচেনায়।
সত্তার বিবেচনা : মানুষের ভেতর দুটি সত্তা সক্রিয়।
মানবজাতির জন্য প্রকৃতিতে আল্লাহ বিস্ময়কর বৈচিত্র্য রেখেছেন। এই বৈচিত্র্যের কারণেই পৃথিবীতে মানুষের আচার-আচরণ ও কাজকর্মে এত ভিন্নতা পাওয়া যায়। কোরআন ও হাদিসের বর্ণনায়ও মানব প্রকৃতির বৈচিত্র্য ফুটে উঠেছে। নিম্নে মানব প্রকৃতির বৈচিত্র্য নিয়ে ইসলামের ভাষ্য তুলে ধরা হলো।
মানুষের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যে যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, তা প্রধানত সৃষ্টিগত। আল্লাহ মানুষকে নির্ধারিত বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশ থেকেও মানুষ কিছু বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভি (রহ.) বলেন, ‘জেনে রেখো, মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য এমন যে তা মানুষ হিসেবে সৃষ্টিগতভাবেই পেয়ে থাকে।
তেমনি কিছু বৈশিষ্ট্য তার বৈষয়িক, যা তার পারিপার্শ্বিকতা ও দূরবর্তী কোনো প্রভাব থেকে অর্জিত হয়।’ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ : ১/১৬২)
মানবজাতির স্বভাব-চরিত্রকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক. সত্তার বিবেচনায়, দুই. অর্জন ও পরিবর্তনের বিচেনায়।
সত্তার বিবেচনা : মানুষের ভেতর দুটি সত্তা সক্রিয়।
ক. জীবসত্তা : যা মানুষকে জড় পদার্থ থেকে পৃথক করে। যেমন—সপ্রাণ দেহের অধিকারী হওয়া, দেহের প্রয়োজন পূরণে আহার করা ইত্যাদি।
খ. মানবসত্তা : যা মানুষকে অন্য প্রাণী থেকে পৃথক করে। যেমন—মানুষের বুদ্ধি-বিবেক।
জীবসত্তার বিবেচনায় মানুষ যেসব বৈশিষ্ট্যের অধিকারী তা ইসলামের কাছে মুখ্য নয়।
যেমন—আহার, নিন্দ্রা, শক্তি ও সুস্থতা ইত্যাদি। তবে ইসলাম এর কোনো কোনো বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছে এবং কিছু বিষয়ে নিরুৎসাহ করেছে। যেমন—শক্তিমান হতে উৎসাহিত করেছে। আবার অধিক আহার ও অধিক নিন্দ্রা থেকে নিষেধ করেছে। (মাউসুয়াতুল আখলাক, পৃষ্ঠা-২২)
���র্জন ও পরিবর্তন : মানবজাতির কিছু বৈশিষ্ট্য এমন, যা অপরিবর্তনীয় এবং এসব বৈশিষ্ট্যের কারণে ব্যক্তি আরো অনেক বৈশিষ্ট্য অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়। এই বৈশিষ্ট্যের প্রতি ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরবে না।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮)
আর কিছু বৈশিষ্ট্য এমন, যা আসমানি হিদায়াত ও সত্সঙ্গের প্রভাবে পরিবর্তন হয়ে যায়। এমন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘আগুন তাকে স্পর্শ না করলেও যেন তার তেল উজ্জ্বল আলো দিচ্ছে; জ্যোতির ওপর জ্যোতি! আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করেন তাঁর জ্যোতির দিকে।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩৫)
বেশির ভাগ এই বিষয়ে একমত যে মানুষের ইহকালীন সাফল্য ও পরকালীন মুক্তি যেসব বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভরশীল, তা পরিবর্তনযোগ্য। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজালি (রহ.) লেখেন, চরিত্র পরিবর্তনশীল। যদি চরিত্রে পরিবর্তন না হতো, তবে ওয়াজ, নসিহত, শাসন ইত্যাদি পণ্ডশ্রম হতো এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) কেন বলতেন যে ‘তোমরা তোমাদের চরিত্র সুন্দর করো।’ মানুষ তো দূরের কথা, এই পরিবর্তন পশুপাখির মধ্যেও সম্ভব। যেমন—বাজপাখির পলায়নপর স্বভাব মানুষের সঙ্গে মেশার কারণে পরিবর্তন হয়ে যায়। প্রশিক্ষণের কারণে শিকারি কুকুর কেমন সুশিক্ষিত হয়ে যায়। সে শিকার ধরে, কিন্তু লোভের বশবর্তী হয়ে তা আহার করে না।...যখন চেষ্টা-সাধনায় পশুপাখির ভেতর পরিবর্তন আসে, তখন মানুষের স্বভাব-চরিত্রে পরিবর্তন আসা অসম্ভব নয়। মানব প্রকৃতি ও স্বভাবের মূলোৎপাটন করা আমাদের সাধ্যাতীত। কিন্তু এগুলোকে দমন করা এবং অধ্যবসায় ও সাধনা দ্বারা বশে রাখা সম্ভব। আমাদের প্রতি আদেশও তাই এবং এটাই আমাদের মুক্তি ও আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার উপায়। (ইহয়াউ উলুমিদ্দিন : ৩/২৪৭)
ইসলামের আলোকে চরিত্র গঠনের মূলকথা হলো মানুষের জীবসত্তার ওপর মানবসত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া এবং মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো। আর তা হবে বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, কামশক্তি ও ক্রোধশক্তির সমতা এবং এগুলোকে শরিয়তের অনুগত করার মাধ্যমে। শরিয়তের আনুগত্য আবার দুইভাবে হতে পারে—ক. আল্লাহর দান হিসেবে জন্মগতভাবে জ্ঞানী ও চরিত্রবান হওয়া। যেমন—আল্লাহ নবী-রাসুলদের করেছিলেন।
খ. চেষ্টা ও সাধনার মাধ্যমে চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করা। যার যে বিষয়ে অপূর্ণতা আছে, সে সেই বিষয়ে চেষ্টা ও সাধনা করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ইবাদত সন্তুষ্টির অবস্থায় করো। যদি সক্ষম না হও, তবে অসহনীয় বিষয়ে ধৈর্য ধারণের মধ্যে অনেক বরকত আছে।’
(ইহয়াউ উলুমিদ্দিন : ৩/২৫০)
আল্লাহ সবাইকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
চরিত্র গঠনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Character Building
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 16 days ago
Text
Tumblr media
Concept of Allah in Islam 
youtube
youtube
youtube
Allah described in the Quran:
"He is Allah, the one and only God," means that He is "the Eternal and the Absolute," and that, "He begot none nor was He begotten," and that "there is none comparable to Him." But the Qur'an states it all in detail for more emphasis and clarification.
Allah's Identity,Names and Attributes
 
Allah: The Only Praiseworthy Supreme Being,
Real Name of Almighty True God.
  Everything in the sky and the earth is created Only the Creator is Allah, In all Signs of the Universe Shows Pure Kalima 'La Ilaha IllAllah'.
Allah Almighty Exalted Above The sky' Above His 'Arsh The Greatest Throne, Everything is Under His Power
Knowledge Control and Vision.
All Praise Belongs to Allah Alone All Power and All Dominion, The beautiful Name, the Perfect Quality
Belongs to Allah Alone He is the Pure and indivisible One.
 
Allah's Identity,Names and Attributes
 
Allah is the only true GOD. 
Our Lord is Allah Subhanahu wa Ta'ala.. Allah is unique, almighty, the only God. Allah is the only true Lord. There is no 'True Ilah'/ 'True Deity' except Allah. Allah is One, Unique in His Actions, Lordship, Authority, and Righteousness. Allah Ta'ala is Exalted above the throne in the sky (above all creation). Allah should be known by His beautiful name 'Asmaul Husna' and perfect attributes. Allah's name is more than 99. The Qur'an is the word of Allah. ultimate guidance for mankind. Knowledge about Allah is the pillar on which Islam is completely bound.
youtube
youtube
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawhid: At the centre of all Islamic belief is the belief in one God-Allah. There is no other God but Allah and there is no one comparable to Him. We will never understand Allah as His nature supersedes our limited minds. We are created by Allah but He is not Himself created. Allah is the Unique,Omnipotent and Only Deity and Creator of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Deity' except Allah. Allah is Exalted Above His ‘Arsh (Mighty Throne’). Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Allah's Word. Qur'an is final revelation & guidance for mankind. 
youtube
youtube
youtube
Tawheed - The first call of the Messengers
Tawheed is to knowing, believing, declaring, obeying the oneness and uniqueness of Allah. The Oneness of Allah i.e. Tawheed consists of three parts. (i) Tawheed ar-Rububiyyah (Maintaining the Oneness of Allah's Lordship). (ii) Tawheed al-Asma-Was-Sifat (Maintaining the Oneness of Allah's Names and Attributes). (iii) Tawheed al-Ibadah (maintaining unity of worship). Allah is the only 'true Lord'. In all matters related to Allah, Allah is One, Sole, Final, Perfect and without partners. He has no peer or equivalent. Allah is to be known by His most beautiful Names and Perfect Attributes. From the first man and the first Prophet Adam (a.s.) to the last Prophet Muhammad, may Allah bless him and grant him peace, the basic call of all prophets and messengers was 'La ilaha illAllah' (there is no 'true God' but Allah). Namely: 'La Ilaha IllAllah Adamu Shafiullah'', 'La Ilaha IllAllah Nuhun Naziullah'', 'La Ilaha IllAllah Ibrahim Khalilullah', 'La Ilaha IllAllah Muhammadur Rasulullah'. Rejecting Taghut is the root of Tawheed.
youtube
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawhid: At the centre of all Islamic belief is the belief in one God-Allah. There is no other God but Allah and there is no one comparable to Him. We will never understand Allah as His nature supersedes our limited minds. We are created by Allah but He is not Himself created. Allah is the Unique,Omnipotent and Only Deity and Creator of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Deity' except Allah. Allah is Exalted Above His ‘Arsh (Mighty Throne’). Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Allah's Word. Qur'an is final revelation & guidance for mankind.  
youtube
Allah's Identity,Names and Attributes
Allah is the only true GOD
Allah's Identity,Names and Attributes
There is no other God but Allah
There is no 'true God' except Allah.
Allah is the only true GOD. 
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 16 days ago
Text
Allah's Identity,Names and Attributes
Concept of Allah in Islam 
youtube
youtube
youtube
Allah described in the Quran:
"He is Allah, the one and only God," means that He is "the Eternal and the Absolute," and that, "He begot none nor was He begotten," and that "there is none comparable to Him." But the Qur'an states it all in detail for more emphasis and clarification.
Allah's Identity,Names and Attributes
 
Allah: The Only Praiseworthy Supreme Being,
Real Name of Almighty True God.
  Everything in the sky and the earth is created Only the Creator is Allah, In all Signs of the Universe Shows Pure Kalima 'La Ilaha IllAllah'.
Allah Almighty Exalted Above The sky' Above His 'Arsh The Greatest Throne, Everything is Under His Power
Knowledge Control and Vision.
All Praise Belongs to Allah Alone All Power and All Dominion, The beautiful Name, the Perfect Quality
Belongs to Allah Alone He is the Pure and indivisible One.
 
Allah's Identity,Names and Attributes
 
Allah is the only true GOD. 
Our Lord is Allah Subhanahu wa Ta'ala.. Allah is unique, almighty, the only God. Allah is the only true Lord. There is no 'True Ilah'/ 'True Deity' except Allah. Allah is One, Unique in His Actions, Lordship, Authority, and Righteousness. Allah Ta'ala is Exalted above the throne in the sky (above all creation). Allah should be known by His beautiful name 'Asmaul Husna' and perfect attributes. Allah's name is more than 99. The Qur'an is the word of Allah. ultimate guidance for mankind. Knowledge about Allah is the pillar on which Islam is completely bound.
youtube
youtube
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawhid: At the centre of all Islamic belief is the belief in one God-Allah. There is no other God but Allah and there is no one comparable to Him. We will never understand Allah as His nature supersedes our limited minds. We are created by Allah but He is not Himself created. Allah is the Unique,Omnipotent and Only Deity and Creator of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Deity' except Allah. Allah is Exalted Above His ‘Arsh (Mighty Throne’). Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Allah's Word. Qur'an is final revelation & guidance for mankind. 
youtube
youtube
youtube
Tawheed - The first call of the Messengers
Tawheed is to knowing, believing, declaring, obeying the oneness and uniqueness of Allah. The Oneness of Allah i.e. Tawheed consists of three parts. (i) Tawheed ar-Rububiyyah (Maintaining the Oneness of Allah's Lordship). (ii) Tawheed al-Asma-Was-Sifat (Maintaining the Oneness of Allah's Names and Attributes). (iii) Tawheed al-Ibadah (maintaining unity of worship). Allah is the only 'true Lord'. In all matters related to Allah, Allah is One, Sole, Final, Perfect and without partners. He has no peer or equivalent. Allah is to be known by His most beautiful Names and Perfect Attributes. From the first man and the first Prophet Adam (a.s.) to the last Prophet Muhammad, may Allah bless him and grant him peace, the basic call of all prophets and messengers was 'La ilaha illAllah' (there is no 'true God' but Allah). Namely: 'La Ilaha IllAllah Adamu Shafiullah'', 'La Ilaha IllAllah Nuhun Naziullah'', 'La Ilaha IllAllah Ibrahim Khalilullah', 'La Ilaha IllAllah Muhammadur Rasulullah'. Rejecting Taghut is the root of Tawheed.
youtube
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawhid: At the centre of all Islamic belief is the belief in one God-Allah. There is no other God but Allah and there is no one comparable to Him. We will never understand Allah as His nature supersedes our limited minds. We are created by Allah but He is not Himself created. Allah is the Unique,Omnipotent and Only Deity and Creator of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Deity' except Allah. Allah is Exalted Above His ‘Arsh (Mighty Throne’). Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Allah's Word. Qur'an is final revelation & guidance for mankind.  
youtube
Allah's Identity,Names and Attributes
Allah is the only true GOD
Allah's Identity,Names and Attributes
There is no other God but Allah
There is no 'true God' except Allah.
Allah is the only true GOD. 
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 16 days ago
Text
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
Allah's Identity, Names and Attributes
আল্লাহর পরিচয় সূরা আল-ইখলাসে
আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
Attributes of Allah
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;
তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;
তাঁর কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহ্‌:
একমাত্র প্রশংসাযোগ্য
সর্বশক্তিমান উপাস্যের প্রকৃত নাম।
আকাশ ও জমিনের সবই সৃষ্টি
স্রস্টা আল্লাহ্‌ একমাত্র ইলাহ,
জগতসমুহের সকল নিদর্শনে
সত্য কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র
সকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব,
সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্‌র
বিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর
কত সুন্দর এই পৃথিবী, কত রঙিন এই আসমান ও জমিন। ফজরের সময় যখন ঘুম থেকে উঠি, স্নিগ্ধ ‎হাওয়ায় আমাদের মন জুড়িয়ে যায়। 
একটু বাদে যখন সূর্য উঁকি মারে, মিহি আলোয় সব রঙিন হয়ে ‎পড়ে। মোরগ ডাকে, মৌমাছি ফুলে ফুলে খুঁজে বেড়ায় মধু, আর মানুষ বেরিয়ে যায় রোজগারের তালাশে। ‎তারপর সূর্যের যখন তেজ বেড়ে যায়, গাছে গাছে ফুঠে ওঠে শ্যামলিমা—পৃথিবীকে মনে হয় এক সবুজ ‎সাগর, আর আমরা যেন মাছ!‎
এত সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয় একক—তিনি আল্লাহ। বড়ো পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের ‎যতদূরে চোখ যায়, কিংবা রাতের আকাশে যতটা তারা গুণতে পারি—এসবের বাইরেও আমাদের অদেখা ‎যতকিছু আছে, তার সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তার কুদরতি হাতের ছোঁয়ায় জগৎ পেয়েছে রঙ, মানুষ ‎পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা। 
তিনিই আকাশের চোখে লাগিয়েছেন নুরের কাজলকালো সুরমা আর জমিনকে ‎বানিয়েছেন রিজিকের দস্তরখান। এই সৌন্দর্যে যখনই চোখ বুলাই, আপনাআপনিই মুখ থেকে বেরিয়ে ‎আসে—‘সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনিই কেবল শক্তিমান, আপনি ছাড়া নেই কোনো মাবুদ—উপাসনার ‎উপযোগী।’‎
তিনি আমাদের রব, তিনিই বিচার দিবসের মালিক। আমরা কেবল তাঁরই এবাদত করি, তাঁর কাছেই ‎সাহায্য প্রার্থনা করি। ‎তার জন্য নামাজ পড়ি, হালাল-হারাম মেনে চলি, আর তাঁরই গুণগান গাই। ‎আসমান-জমিনে এমন অনেক ফেরেশতা আছেন—যারা দিনরাত কেবল আল্লাহর প্রশংসা গায়। 
আমরা যদি ‎সব ছেড়েছুড়ে সারাদিন সারারাত শুধু আল্লাহর প্রশংসা করি, তবু তাঁর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করত ‎পারব না। তিনি রহমানুর রহিম—পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। আমরা সবাই তার নেয়ামতের চাদরে ‎আচ্ছাদিত, তিনিই আমাদের খাবার খাওয়ান, ঘুম পাড়ান। 
তার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বে কোনো ঘটনাই ‎ঘটে না, তাঁর অবগতি ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমরা যা কিছুর প্রশংসাই করি না কেন, সকল ‎প্রকার প্রশংসার একমাত্র প্রাপ্য তিনি আল্লাহ। ‎
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কিত বাক্যঃ-
« আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বের অধিপতি ও মালিক। « তিনি এক ও অদ্বিতীয় সত্তা। « তাঁর কোনো শরিক নেই। « তিনি অনন্য ও অতুলনীয়। আল্লাহ শব্দের মধ্যেই তাঁর তুলনাহীন বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ পায়। « আল্লাহ আরবি শব্দ। পৃথিবীর কোনো ভাষায় এ শব্দের কোনো প্রতিশব্দ নেই। « এর কোনো একবচন, বহুবচন নেই। « এ শব্দের কোনো স্ত্রীলিঙ্গ বা পুংলিঙ্গ নেই। « এ শব্দটি একক ও অতুলনীয়। « তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে একক ও অদ্বিতীয়।
আল্লাহ কু��আনে বর্ণনা করেছেনঃ
"তিনিই আল্লাহ, এক ও একমাত্র ঈশ্বর," এর অর্থ হল তিনি "অনন্ত ও পরম" এবং "তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তিনি জন্মগ্রহণ করেননি" এবং "তাঁর সাথে তুলনা করার মতো কেউ নেই।" কিন্তু কুরআন আরো জোর এবং স্পষ্ট করার জন্য সব বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছে।
আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নিজের জন্য এসব আসমাউল হুসনা (সুন্দর গুণবাচক নামসমূহ), সুউচ্চ সিফাতসমূহ ও সেসব সিফাত থেকে উৎসারিত আহকামসমূহ সাব্যস্ত করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি এগুলোর কোন একটি সাব্যস্ত করল; কিন্তু অন্যটি নেতিবাচক করল তাহলে সে কুরআন ও সুন্নাহের বিরোধিতা করল এবং তার কাজটি বিরোধপূর্ণ হলো ও তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
Allah's Identity,Names and Attributes
আল্লাহ্‌:একমাত্র প্রশংসাযোগ্য,
সর্বশক্তিমান উপাস্যের প্রকৃত নাম।
আকাশ ও জমিনের সবই সৃষ্টি
স্রস্টা আল্লাহ্‌ একমাত্র ইলাহ, জগতসমুহের সকল নিদর্শনে
সত্য কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত, সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র
সকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্‌র
বিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা।  কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
মহান আল্লাহ তাআলা এই মানুষ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, তাঁর কোন শরীক নেই।
মহান আল্লাহ তা’আলা অনন্য এবং অতুলনীয়।, তাঁর আল্লাহ নামটির মাঝেই সেটি প্রকাশ পায়।
তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর ।
তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্ৰাও নয়। 
সমগ্র মানবজাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি ভালোবাসেন।
আল্লাহর দয়ালু দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
আল্লাহ দেখতে কিরূপ?
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহ কেমন দেখতে? আল্লাহর রূপ বা আকৃতি মানুষের চিন্তার বা ধারণার বাহিরে। আল্লাহ শারীরিক বৈশিষ্ট্য বা সীমাবদ্ধতা দ্বারা আবদ্ধ নন  এবং তিনি মানুষের বোধগম্যতার বাইরে । অতএব, আল্লাহর এমন কোনো শারীরিক রূপ বা অবয়ব নেই যা মানুষের দ্বারা উপলব্ধি করা সম্ভব । ইসলাম শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ একক  অসীম, সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান সত্তা যিনি সমস্ত সৃষ্টির উৎস এবং মানবতার চূড়ান্ত বিচারক। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ কুরআন এবং নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উদাহরণের মাধ্যমে মানবজাতির জন্য নির্দেশনা ও প্রজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। যাই হোক, আল্লাহ অবিভাজ্য একক সত্তা। আল্লাহর গুণাবলী মানুষের বোধগম্যতার বাইরে এবং তাঁকে  মানুষের মন দ্বারা সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করা যায় না। আল্লাহ্‌র রূপ অস্তিত্ব রয়েছে বটে কিন্তু এই রক্ত মাংসের চোখে তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। কোন মানুষ, জ্বিন কিংবা ফিরিশতার চক্ষু দ্বারা আল্লাহ্‌কে দেখা সম্ভব নয় । আর ইহকালে তো মোটেও সম্ভব নয় । তবে আল্লাহ্‌ তায়ালা ওয়াদা করেছেন, যারা উৎকৃষ্ট জান্নাতের অধিকারী হবেন, একমাত্র তাঁরাই পরকালে আল্লাহ্‌র দিদার লাভ করার সৌভাগ্য লাভ করবেন । অর্থাৎ আল্লাহ্‌ কে তারাই দেখতে পাবেন ।  আল্লাহ্‌ যেন আমাদের সবাইকেই সেই সুযোগ দান করেন। আমীন ।
আল্লাহ দেখতে কেমন?
What does Allah look like?
মহাবিশ্বের মহান স্রষ্টা আল্লাহ্‌ তাঁর সৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আল্লাহ্‌  তাঁর সৃষ্টিকে পরিবেস্টন করে আছেন। তিনি তাঁর সৃষ্টির কোনটির মতন নন। তাঁকে দুনিয়ার কোন চোখ দেখেনি এবং দেখার ক্ষমতাও রাখেনা। এজন্য মূসা (আলায়হি আস-সালাম) দেখতে চেয়েও পারেননি। মিরাজে গিয়ে মুহাম্মদ (সল্লা আল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁকে দেখতে পাননি। রসূলুল্লাহ্‌কে (সঃ) আবূ যর (রাদি'আল্লাহু আনহু) জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি তাঁর রব্বকে দেখেছেন কিনা। রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ) জবাবে বলেছেন, "আমি কিভাবে তাঁকে দেখতে পারি? আমিতো একটি নূর দেখেছি।" (মুসলিম ও বুখারী)। মূলতঃ "কোন দৃষ্টি তাঁকে আয়ত্ত্ব করতে পারেনা। তিনিই বরং সব দৃষ্টিগুলোকে আয়ত্ত্বাধীন রাখেন। বস্তুতঃ তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্মদর্শী ও সব বিষয়ে ওয়াকিবহাল।" [আন'আম, ৬/১০৩]
তিনি আমাদের সব ধারণা-কল্পনার উর্ধ্বে। তিনিই সৃষ্টিকর্তা। "আল্লাহ্‌ কাউকে তাঁর সন্তান বানাননি আর  তাঁর কোনো শরীক নেই। যদি তা-ই হতো তবে এরা প্রত্যেকেই নিজের সৃষ্টি নিয়ে আলাদা হয়ে যেত এবং তারপর একে অন্যের উপর চড়াও হতো।
আল্লাহ্‌ মানুষের পরিচিত কোনো কিছুর মতো নন। তাঁর সত্ত্বা তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে আলাদা। আমরা তাঁর সত্ত্বা সম্পর্কে কো্নো ধারণা করতে পারিনা। [তিনি] আকাশমন্ডল ও জ়মীন সৃষ্টিকারী; তিনি তোমাদের নিজস্ব প্রজাতির মধ্য থেকে তোমাদের জন্য জুড়ি (স্ত্রী-পুরুষ) বানিয়েছেন এবং জন্তু-জানোয়ারের মাঝেও (তাদেরই নিজস্ব প্রজাতির) জুড়ি বানিয়ে দিয়েছেন; আর এভাবেই তিনি তোমাদের বংশবৃদ্ধি ও বিস্তার ঘটান। বিশ্বলোকের কোন কিছুতেই তাঁর সাযুজ্য নেই; আর তিনি সব কিছু শুনেন এবং দেখেন।" [আস-শূরা, ৪২/১০-১১]
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’
 
Allah is the only true GOD. 
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 17 days ago
Text
Tumblr media
আল্লাহর পরিচয় সূরা আল-ইখলাসে
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
Allah's Identity,Names and Attributes
আল্লাহ্‌:একমাত্র প্রশংসাযোগ্য,
সর্বশক্তিমান উপাস্যের প্রকৃত নাম।
আকাশ ও জমিনের সবই সৃষ্টি
স্রস্টা আল্লাহ্‌ একমাত্র ইলাহ, জগতসমুহের সকল নিদর্শনে
সত্য কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'।
আল্লাহ্‌ তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত, সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র
সকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্‌র
বিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা।  কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
Allah's Identity, Names and Attributes
0 notes