#LailahaillAllah
Explore tagged Tumblr posts
frommydiary · 1 year ago
Text
Tumblr media
Ibn Shawdab reported that he heard Yunus bin Ubayd -may Allah have mercy on him- saying:
“If a person rectifies these two qualities, all the rest of them with be upright as well: his prayer and his tongue.”
Ibn al-Jawzi, Sifat us-Safwah 2/182
271 notes · View notes
islamic-reminders · 1 year ago
Text
Masha Allah.
Brother Danny accepted Islam today at Jummah.
Welcome brother 😍🤝
4 notes · View notes
susanhorak · 2 years ago
Text
#نور_ذكر_الله سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ مكررة 5000 مرة بصوت رائع ادعو الله ان تكون في ميزان حسنات كل من اشترك في انشاء هذا الفيديو وكل من سمعة او ساعد علي انتشارة ايات ابطال السحر علاج السحر و فك السحر بسرعة شديدة بإذن الله اخر سورة البقرة مكررة | قران كريم | صوت شديد الجمال https://youtu.be/-mvIgTIfjx4 فك السحر | اقوى رقية شرعية للعين والحسد والسحر والمس https://youtu.be/9NXR6PJIwH4 المعوذتين لعلاج الحسد مكررة | سورتا الفلق و الناس https://youtu.be/KQ3SFPe_bhs مسلسل ضحايا شمس المعارف الحلقة الاولي https://youtu.be/7U3CsNGB2Xk
اشترك معنا قساعدنا علي الإستمرار في العطاء من خلال عمل مشاركة وكتابة تعليق و الاشتراك في قناة نور ذكر الله http://www.youtube.com/c/Noorone.
2 notes · View notes
akbey1913 · 5 months ago
Photo
#Hash
Tumblr media
Weed: A Connoisseur’s Guide
311 notes · View notes
quransunnahdawah · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 
youtube
youtube
youtube
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তাঁরই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করে���? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহীন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়ালা বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালার কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহর হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
সৃষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই ��লতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তাঁর সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাঁকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে বসে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি ��কক, তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড়ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার মাবুদ।
পবিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়ালা এক ও একক। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তাঁরই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তাঁরই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তাঁর পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন ��ীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=uOoSK9LEMbg
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
The importance and Significance of Tawhid
1 note · View note
tawhidrisalatakhirah · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 
youtube
youtube
youtube
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তাঁরই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহীন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়ালা বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালার কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহর হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
সৃষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তাঁর সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাঁকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে বসে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি একক, তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড়ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার মাবুদ।
পবিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়ালা এক ও একক। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তাঁরই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তাঁরই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তাঁর পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=uOoSK9LEMbg
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
The importance and Significance of Tawhid
1 note · View note
ilyforallahswt · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 
youtube
youtube
youtube
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তাঁরই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহীন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়ালা বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালার কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহর হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
সৃষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তাঁর সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাঁকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে বসে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি একক, তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড়ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার মাবুদ।
পবিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়���লা এক ও একক। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তাঁরই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তাঁরই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তাঁর পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=uOoSK9LEMbg
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
The importance and Significance of Tawhid
1 note · View note
myreligionislam · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 
youtube
youtube
youtube
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তাঁরই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহীন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়া��া বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালার কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহর হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
সৃষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তাঁর সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাঁকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে বসে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি একক, তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড়ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার মাবুদ।
পবিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়ালা এক ও একক। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তাঁরই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তাঁরই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তাঁর পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=uOoSK9LEMbg
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
The importance and Significance of Tawhid
0 notes
mylordisallah · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 
youtube
youtube
youtube
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তাঁরই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহীন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়ালা বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালার কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহর হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
সৃষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্ল��হতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তাঁর সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাঁকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে বসে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি একক, তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড়ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার মাবুদ।
পবিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়ালা এক ও একক। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তাঁরই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তাঁরই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তাঁর পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=uOoSK9LEMbg
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
The importance and Significance of Tawhid
0 notes
allahisourrabb · 27 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 
youtube
youtube
youtube
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তাঁরই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ���বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহীন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়ালা বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালার কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহর হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
সৃষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তাঁর সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাঁকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে বসে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি একক, তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড়ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার মাবুদ।
পবিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়ালা এক ও একক। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তাঁরই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তাঁরই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তাঁর পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=uOoSK9LEMbg
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
The importance and Significance of Tawhid
0 notes
frommydiary · 1 year ago
Text
Tumblr media
Ibn al-Qayyim رحمه الله:
"The whole world from its beginning until its end is not worth an hour of sadness, so what about the sadness of a whole life...
What we love today will catch up with what we hate tomorrow, and what we hate today will catch up with what we love tomorrow."
[al-Fawāʾid: p.71]
308 notes · View notes
adamyoussefmprahime6 · 1 year ago
Text
Subhanallah Alhamdulillah Allahu Akbar | subhanallah alhamdulillah lailahaillallah allahu akbar
0 notes
susanhorak · 1 year ago
Text
سبحان الله والحمد لله ذكر الله مكرر بصوت جميل وخاشع لله | الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله #نور_ذكر_الله سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر مكررة 5000 مرة بصوت رائع ادعو الله ان تكون في ميزان حسنات كل من اشترك في انشاء هذا الفيديو وكل من سمعة او ساعد علي انتشارة ايات ابطال السحر علاج السحر و فك السحر بسرعة شديدة بإذن الله اخر سورة البقرة مكررة | قران كريم | صوت شديد الجمال https://youtu.be/-mvIgTIfjx4 فك السحر | اقوى رقية شرعية للعين والحسد والسحر والمس https://youtu.be/9NXR6PJIwH4 المعوذتين لعلاج الحسد مكررة | سورتا الفلق و الناس https://youtu.be/KQ3SFPe_bhs مسلسل ضحايا شمس المعارف الحلقة الاولي https://youtu.be/7U3CsNGB2Xk فك السحر | اقوى رقية شرعية للعين والحسد والسحر والمس https://youtu.be/9NXR6PJIwH4
اشترك معنا قساعدنا علي الإستمرار في العطاء من خلال عمل مشاركة وكتابة تعليق و الاشتراك في قناة نور ذكر الله http://www.youtube.com/c/Noorone.
0 notes
quransunnahdawah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ইবাদত তাওহীদ জানা ও মানা
youtube
তাওহীদ কাকে বলে
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তারই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তার একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
পবিত্র এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহীন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়ালা বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালা কুদরতি হাতের কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহতায়ালার হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
ষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী করিম (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তার সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে বসে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি একক, তার সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড���ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার আল্লাহ, তিনিই আমার মাবুদ।
বিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়ালা এক ও একক। তার কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তারই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তারই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহতায়ালার একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তার পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ইবাদত তাওহীদ জানা ও মানা
তাওহীদ জানুন এবং মান্য করুন
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ইবাদত তাওহীদ জানা ও মানা
youtube
তাওহীদ কাকে বলে
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্��� হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তারই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তার একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
পবিত্র এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহীন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়ালা বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালা কুদরতি হাতের কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহতায়ালার হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
ষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী করিম (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তার সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে বসে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি একক, তার সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড়ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার আল্লাহ, তিনিই আমার মাবুদ।
বিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়ালা এক ও একক। তার কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তারই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তারই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহ��ায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহতায়ালার একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তার পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ইবাদত তাওহীদ জানা ও মানা
তাওহীদ জানুন এবং মান্য করুন
0 notes
ilyforallahswt · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ইবাদত তাওহীদ জানা ও মানা
youtube
তাওহীদ কাকে বলে
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তারই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তার একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
পবিত্র এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহ��ন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়ালা বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালা কুদরতি হাতের কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহতায়ালার হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
ষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী করিম (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তার সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে বসে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি একক, তার সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড়ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার আল্লাহ, তিনিই আমার মাবুদ।
বিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়ালা এক ও একক। তার কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তারই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তারই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহতায়ালার একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তার পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ইবাদত তাওহীদ জানা ও মানা
তাওহীদ জানুন এবং মান্য করুন
1 note · View note