#LAILAHAILLALLAH
Explore tagged Tumblr posts
frommydiary · 8 months ago
Text
Tumblr media
Ibn al-Qayyim رحمه الله:
"The whole world from its beginning until its end is not worth an hour of sadness, so what about the sadness of a whole life...
What we love today will catch up with what we hate tomorrow, and what we hate today will catch up with what we love tomorrow."
[al-Fawāʾid: p.71]
272 notes · View notes
islamic-reminders · 8 months ago
Text
Masha Allah.
Brother Danny accepted Islam today at Jummah.
Welcome brother 😍🤝
4 notes · View notes
susanhorak · 1 year ago
Text
#نور_ذكر_الله سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ مكررة 5000 مرة بصوت رائع ادعو الله ان تكون في ميزان حسنات كل من اشترك في انشاء هذا الفيديو وكل من سمعة او ساعد علي انتشارة ايات ابطال السحر علاج السحر و فك السحر بسرعة شديدة بإذن الله اخر سورة البقرة مكررة | قران كريم | صوت شديد الجمال https://youtu.be/-mvIgTIfjx4 فك السحر | اقوى رقية شرعية للعين والحسد والسحر والمس https://youtu.be/9NXR6PJIwH4 المعوذتين لعلاج الحسد مكررة | سورتا الفلق و الناس https://youtu.be/KQ3SFPe_bhs مسلسل ضحايا شمس المعارف الحلقة الاولي https://youtu.be/7U3CsNGB2Xk
اشترك معنا قساعدنا علي الإستمرار في العطاء من خلال عمل مشاركة وكتابة تعليق و الاشتراك في قناة نور ذكر الله http://www.youtube.com/c/Noorone.
2 notes · View notes
quransunnahdawah · 18 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদ এর গুরুত্ব
youtube
আল্লাহ্‌একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ��� সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার ��্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 18 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদ এর গুরুত্ব
youtube
আল্লাহ্‌একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন ন���জিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
0 notes
ilyforallahswt · 18 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদ এর গুরুত্ব
youtube
আল্লাহ্‌একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
0 notes
myreligionislam · 18 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদ এর গুরুত্ব
youtube
আল্লাহ্‌একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
1 note · View note
allahisourrabb · 18 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদ এর গুরুত্ব
youtube
আল্লাহ্‌একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর��যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
0 notes
mylordisallah · 18 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
তাওহীদ এর গুরুত্ব https://www.youtube.com/watch?v=bUTEZlhz6cQ https://www.youtube.com/watch?v=sPVTzp69e7k
আল্লাহ্‌একমাত্র সত্য উপাস্য তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা। https://www.youtube.com/watch?v=ztHmS6xs8PM https://www.youtube.com/watch?v=jPr9Jv0VmZQ&t=103s https://www.youtube.com/watch?v=uAiDa4pu-8o https://www.youtube.com/watch?v=p9ikaQvrPAo তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা। তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী। আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি। তাওহিদ ও শিরক তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)। তাওহিদ ফিয্যাত আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)। তাওহিদ ফিছিছফাত মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’। তাওহিদ ফিল ইবাদত ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা। https://www.youtube.com/watch?v=bTNN06w3Xco https://www.youtube.com/watch?v=fV6UzjyQgGc https://www.youtube.com/watch?v=ItNHIJj5bkA https://www.youtube.com/watch?v=T2kP-Ykl9QA&t=130s
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
আল্লাহ্‌ একমাত্র সত্য উপাস্য
Allah is the only true God
0 notes
adamyoussefmprahime6 · 7 months ago
Text
Subhanallah Alhamdulillah Allahu Akbar | subhanallah alhamdulillah lailahaillallah allahu akbar
0 notes
frommydiary · 7 months ago
Text
Tumblr media
Ibn Shawdab reported that he heard Yunus bin Ubayd -may Allah have mercy on him- saying:
“If a person rectifies these two qualities, all the rest of them with be upright as well: his prayer and his tongue.”
Ibn al-Jawzi, Sifat us-Safwah 2/182
252 notes · View notes
islamic-reminders · 8 months ago
Text
Tumblr media
8. SURAH AL-ANFAL
73. And those who disbelieve are allies to one another, (and) if you (Muslims of the whole world collectively) do not do so (i.e. become allies, as one united block with one Khalifah - chief Muslim ruler for the whole Muslim world to make victorious Allah's Religion of Islamic Monotheism), there will be Fitnah (wars, battles, polytheism, etc.) and oppression on earth, and a great mischief and corruption (appearance of polytheism).
Allah (SwT) spoke the truth.
This is what’s been happening in the world right now. The Muslim Ummah aren’t United under one ruler, so the whole world is corrupted with injustice. To have peace in the world, Muslims have to be under One Khalifah and follow all Allah’s Orders to have peace in the land.
The war in Palestine 🇵🇸 are part of Muslims not uniting.
We (Muslims) have to be united as one. That’s the reason Allah (SwT) is sending “Al-Mahdi” to fixed the problems of the Ummah and the world.
A reminder to myself first and foremost.
0 notes
susanhorak · 8 months ago
Text
سبحان الله والحمد لله ذكر الله مكرر بصوت جميل وخاشع لله | الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله #نور_ذكر_الله سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر مكررة 5000 مرة بصوت رائع ادعو الله ان تكون في ميزان حسنات كل من اشترك في انشاء هذا الفيديو وكل من سمعة او ساعد علي انتشارة ايات ابطال السحر علاج السحر و فك السحر بسرعة شديدة بإذن الله اخر سورة البقرة مكررة | قران كريم | صوت شديد الجمال https://youtu.be/-mvIgTIfjx4 فك السحر | اقوى رقية شرعية للعين والحسد والسحر والمس https://youtu.be/9NXR6PJIwH4 المعوذتين لعلاج الحسد مكررة | سورتا الفلق و الناس https://youtu.be/KQ3SFPe_bhs مسلسل ضحايا شمس المعارف الحلقة الاولي https://youtu.be/7U3CsNGB2Xk فك السحر | اقوى رقية شرعية للعين والحسد والسحر والمس https://youtu.be/9NXR6PJIwH4
اشترك معنا قساعدنا علي الإستمرار في العطاء من خلال عمل مشاركة وكتابة تعليق و الاشتراك في قناة نور ذكر الله http://www.youtube.com/c/Noorone.
0 notes
quransunnahdawah · 21 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, ��ার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 21 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
ilyforallahswt · 21 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes