#3Parts
Explore tagged Tumblr posts
Text
নিজের অজান্তেই নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের হচ্ছি
youtube
youtube
youtube
কুফর কি
কুফর অর্থ ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অকৃতজ্ঞ হওয়া ' , ' অবিশ্বাসী হওয়া ' , বা ' অকৃতজ্ঞতা '। কুফর ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল ঈমান ( ' ঈমান ' ), এবং কাফির ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল মুমিন ( ' বিশ্বাসী ' )।
আরবী ‘কুফর’ (الكُفْرُ) শব্দটি অবিশ্বাস, অস্বীকার, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দটির মূল অর্থ ‘আবৃত করা’। ৪র্থ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ ও অভিধান প্রণেতা আবুল ��ুসাইন আহমদ ইবনু ফারিস (৩৯৫হি) বলেন: ‘‘(কাফ, রা ও ফা) তিন অক্ষরের ক্রিয়ামূলটি একটি বিশুদ্ধ অর্থ প্রকাশ করে, তা হলো: ‘আবৃত করা বা গোপন করা’। কোনো ব্যক্তি যদি তার পরিহিত বর্মকে তার কাপড় দিয়ে আবৃত করেন তবে বলা হয় তিনি তার বর্ম ‘কুফর’ করেছেন। চাষীকে ‘কাফির’ (আবৃতকারী) বলা হয়, কারণ তিনি শষ্যদানাকে মাটি দ্বারা আবৃত করেন। ঈমান বা বিশ্বাসের বিপরীত অবিশ্বাসকে ‘কুফর’ বলা হয়; কারণ অবিশ্বাস অর্থ সত্যকে অবৃত করা। অকৃতজ্ঞতা বা নিয়ামত অস্বীকার করাকে কুফর বলা হয়; কারণ এতে নিয়ামত লুকানো হয় এবং আবৃত করা হয়।’’
ইসলামী পরিভাষায় বিশ্বাসের অবিদ্যমানতাই কুফর বা অবিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং ঈমানের রুকনগুলিতে বিশ্বাস না থাকাকেই ইসলামের পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য। অস্বীকার, সন্দেহ, দ্বিধা, হিংসা, অহঙ্কার, ইত্যাদি যে কোনো কারণে যদি কারো মধ্যে ‘ঈমান’ বা দৃঢ় প্রত্যয়ের বিশ্বাস অনুপস্থিত থাকে তবে তাকে ইসলামী পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য করা হয়। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে কোনো বিষয়ে তাঁর সমতুল্য বা সমকক্ষ বা তাঁর সা��ে তুলনীয় বলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব ও অতুলনীয়ত্ব অস্বীকার করাও কুফর। তবে এ পর্যায়ের কুফরকে ইসলামী পরিভাষায় শির্ক বলা হয়।
তাগূত শব্দের অর্থ কি?
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা ঈশ্বর ছাড়া অন্য দেবতার উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুত থেকে সাবধান
‘তাগুত’ আরবি ভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। এ শব্দটি সীমালংঘনকারী বা নির্ধারিত সীমা অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম ‘ইলামুল মুয়াক্কেয়ীন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ‘তাগুত বলা হয় এমন প্রত্যেক ইবাদতকৃত সত্তাকে কিংবা অনুসৃত সত্তাকে অথবা আনুগত্যকৃত সত্তাকে, যার সম্বন্ধে ইবাদতকারী বা অনুসরণকারী অথবা আনুগত্যকারী তার বৈধসীমা অতিক্রম করেছে এবং ইবাদাতকৃতসত্তা বা অনুসৃত সত্তা অথবা আনুগত্যকৃত সত্তা তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নিয়েছে বা সেদিকে আহ্বান বা অনুপ্রাণিত করেছে।
সুতরাং এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তাগুত এমন ব্যক্তিকে বলা হয়, যে বন্দেগী ও দাসত্বের সীমা অতিক্রম করে নিজেই প্রভু ও উপাস্য হবার দাবিদার সাজে এবং ��ল্লাহর বান্দাহগণকে নিজের বন্দেগী ও দাসত্বে নিযুক্ত করে। আল কুরআনে ‘তাগুত’ শব্দটি আটবার ব্যবহৃত হয়েছে।
যথা : (১) ইরশাদ হয়েছে অতএব যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর উপর ঈমান আনবে সে এমন এক শক্ত ও দৃঢ়তার রজ্জু ধারণ করল যা কখনো ছিড়বে না, ভাঙ্গবে না। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। (সূরা বাকারাহ : ২৫৬)।
(২) ইরশাদ হয়েছে আর যারা কুফরী করে তাগুত তাদের অভিভাবক, এরা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়, তারাই অনলকু-ের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা বাকারাহ : ২৫৭)। (৩) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল, তারা ‘জ্বিবত’ ও ‘তাগুতে’ বিশ্বাস করে? (সূরা নিসা : ৫১)।
(৪) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে তারা ঈমান এনেছে, অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থী হতে চায়, যদিও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সূরা নিসা : ৬০)।
(৫) ইরশাদ হয়েছে যারা মুমিন তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, আর যারা কাফের তারা তাগুতের পথে যুদ্ধ করে। (সূরা নিসা : ৭৬)।
(৬) ইরশাদ হয়েছে এবং তাদের কেউ তাগুতের এবাদত করেছে। তারাই অবস্থানের দিক থেকে নিকৃষ্ট এবং সরল পথ থেকে সবচেয়ে বেশি বিচ্যুত। (সূরা মায়েদাহ : ৬০)।
উপরোক্ত আয়াতসমূহের আলোকে দুটি বিষয়ের সন্ধ্যান লাভ করা যায়। এর একটি হলো ‘জ্বিবত’ এবং দ্বিতীয়টি হলো ‘তাগুত’। এই শব্দ দুটির মর্ম সম্পর্কে তাফসীরকার মনীষী বৃন্দের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। যথা : (১)ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : অবিসিনীয় ভাষায় ‘জ্বিবত’ বলা হয় যাদুকরকে। আর ‘তাগুত’ বলা হয় গনক বা জ্যোতিষীকে। (২) হযরত উমর (রা.) বলেন : ‘জ্বিবত’ অর্থ যাদু এবং ‘তাগুত’ অর্থ শয়তান। (৩) মালেক ইবনে আনাস (রা.) বলেন : আল্লাহ ব্যতীত যে সমস্ত জিনিসের উপাসনা করা হয়, সে সবই তাগুত বলে অভিহিত হয়।
(৪) ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন : মালেক ইবনে আনাস (রা.)-এর উক্তিটির অধিক পছন্দনীয়। তার কারণ, আল কুরআন থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায়। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বলেন : তোমরা আল্লাহর এবাদত করো এবং তাগুত থেকে বেঁচে থাক। (সূরা নাহল : ৩৬)। কিন্তু উল্লেখিত বিভিন্ন মতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কাজেই এর যে কোন একটিই গ্রহণ করা যায়। মূলত, জ্বিবত বলতে প্রতিমা ও মূর্তিকেই বোঝানো হতো। পরে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য পুজ্য বস্তুতে এর প্রয়োগ হতে আরম্ভ করে। (রুহুল মায়ানী)।
মোট কথা, আল্লাহর মোকাবেলায় বান্দাহর প্রভুত্বের দ��বিদার সাজার এবং বিদ্রোহ করার তিনটি পর্যায় রয়েছে। (১) প্রথম পর্যায়ে বান্দাহ নীতিগতভাবে আল্লাহর শাসন কর্তৃত্বকে সত্য বলে মেনে নেয়। কিন্তু জীবনযাত্রার সর্বত্র আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করে। একে বলা হয় ‘ফাসেকী’।
(২) দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে বান্দাহ আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের শাসন কর্তৃত্বকে নীতিগতভাবে মেনে না নিয়ে নিজের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় অথবা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো বন্দেগী ও দাসত্ব করতে থাকে। একে বলা হয় কুফরী ও শিরক।
(৩) তৃতীয় পর্যায়ে বান্দাহ মূল মালিক ও সর্ব শক্তিমান আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং স্বীয় রাজ্যে এবং তার প্রজাদের মধ্যে নিজের হুকুম চালাতে থাকে। এই শেষ পর্যায়ে যে ব্যক্তি পৌঁছে যায়, তাকেই বলা হয় ‘তাগুত’। সুতরাং তার মাঝে ফাসেকী, কুফরী ও শিরক এবং আল্লাহ দ্রোহীতার সকল দোষই বিদ্যমান থাকে।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বা তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের
Infidels Through New Gods
#রাজনীতি#লাইলাহাইল্লাল্লাহ#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Touhid#'LailahaIllAllah'#highestpolitics#highest#politics#key#paradise#Jannah#threeparts#3parts#monotheism#তাগুত#ṭāġūt#ṭaġoot#কাফের#infidel#God#Deity#Ilah#ইলাহ#উপাস্য#Youtube
0 notes
Text
নিজের অজান্তেই নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের হচ্ছি
youtube
youtube
youtube
কুফর কি
কুফর অর্থ ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অকৃতজ্ঞ হওয়া ' , ' অবিশ্বাসী হওয়া ' , বা ' অকৃতজ্ঞতা '। কুফর ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল ঈমান ( ' ঈমান ' ), এবং কাফির ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল মুমিন ( ' বিশ্বাসী ' )।
আরবী ‘কুফর’ (الكُفْرُ) শব্দটি অবিশ্বাস, অস্বীকার, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দটির মূল অর্থ ‘আবৃত করা’। ৪র্থ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ ও অভিধান প্রণেতা আবুল হুসাইন আহমদ ইবনু ফারিস (৩৯৫হি) বলেন: ‘‘(কাফ, রা ও ফা) তিন অক্ষরের ক্রিয়ামূলটি একটি বিশুদ্ধ অর্থ প্রকাশ করে, তা হলো: ‘আবৃত করা বা গোপন করা’। কোনো ব্যক্তি যদি তার পরিহিত বর্মকে তার কাপড় দিয়ে আবৃত করেন তবে বলা হয় তিনি তার বর্ম ‘কুফর’ করেছেন। চাষীকে ‘কাফির’ (আবৃতকারী) বলা হয়, কারণ তিনি শষ্যদানাকে মাটি দ্বারা আবৃত করেন। ঈমান বা বিশ্বাসের বিপরীত অবিশ্বাসকে ‘কুফর’ বলা হয়; কারণ অবিশ্বাস অর্থ সত্যকে অবৃত করা। অকৃতজ্ঞতা বা নিয়ামত অস্বীকার করাকে কুফর বলা হয়; কারণ এতে নিয়ামত লুকানো হয় এবং আবৃত করা হয়।’’
ইসলামী পরিভাষায় বিশ্বাসের অবিদ্যমানতাই কুফর বা অবিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং ঈমানের রুকনগুলিতে বিশ্বাস না থাকাকেই ইসলামের পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য। অস্বীকার, সন্দেহ, দ্বিধা, হিংসা, অহঙ্কার, ইত্যাদি যে কোনো কারণে যদি কারো মধ্যে ‘ঈমান’ বা দৃঢ় প্রত্যয়ের বিশ্বাস অনুপস্থিত থাকে তবে তাকে ইসলামী পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য করা হয়। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে কোনো বিষয়ে তাঁর সমতুল্য বা সমকক্ষ বা তাঁর সাথে তুলনীয় বলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব ও অতুলনীয়ত্ব অস্বীকার করাও কুফর। তবে এ পর্যায়ের কুফরকে ইসলামী পরিভাষায় শির্ক বলা হয়।
তাগূত শব্দের অর্থ কি?
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা ঈশ্বর ছাড়া অন্য দেবতার উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুত থেকে সাবধান
‘তাগুত’ আরবি ভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। এ শব্দটি সীমালংঘনকারী বা নির্ধারিত সীমা অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম ‘ইলামুল মুয়াক্কেয়ীন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ‘তাগুত বলা হয় এমন প্রত্যেক ইবাদতকৃত সত্তাকে কিংবা অনুসৃত সত্তাকে অথবা আনুগত্যকৃত সত্তাকে, যার সম্বন্ধে ইবাদতকারী বা অনুসরণকারী অথবা আনুগত্যকারী তার বৈধসীমা অতিক্রম করেছে এবং ইবাদাতকৃতসত্তা বা অনুসৃত সত্তা অথবা আনুগত্যকৃত সত্তা তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নিয়েছে বা সেদিকে আহ্বান বা অনুপ্রাণিত করেছে।
সুতরাং এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তাগুত এমন ব্যক্তিকে বলা হয়, যে বন্দেগী ও দাসত্বের সীমা অতিক্রম করে নিজেই প্রভু ও উপাস্য হবার দাবিদার সাজে এবং আল্লাহর বান্দাহগণকে নিজের বন্দেগী ও দাসত্বে নিযুক্ত করে। আল কুরআনে ‘তাগুত’ শব্দটি আটবার ব্যবহৃত হয়েছে।
যথা : (১) ইরশাদ হয়েছে অতএব যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর উপর ঈমান আনবে সে এমন এক শক্ত ও দৃঢ়তার রজ্জু ধারণ করল যা কখনো ছিড়বে না, ভাঙ্গবে না। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। (সূরা বাকারাহ : ২৫৬)।
(২) ইরশাদ হয়েছে আর যারা কুফরী করে তাগুত তাদের অভিভাবক, এরা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়, তারাই অনলকু-ের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা বাকারাহ : ২৫৭)। (৩) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল, তারা ‘জ্বিবত’ ও ‘তাগুতে’ বিশ্বাস করে? (সূরা নিসা : ৫১)।
(৪) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে তারা ঈমান এনেছে, অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থী হতে চায়, যদিও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সূরা নিসা : ৬০)।
(৫) ইরশাদ হয়েছে যারা মুমিন তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, আর যারা কাফের তারা তাগুতের পথে যুদ্ধ করে। (সূরা নিসা : ৭৬)।
(৬) ইরশাদ হয়েছে এবং তাদের কেউ তাগুতের এবাদত করেছে। তারাই অবস্থানের দিক থেকে নিকৃষ্ট এবং সরল পথ থেকে সবচেয়ে বেশি বিচ্যুত। (সূরা মায়েদাহ : ৬০)।
উপরোক্ত আয়াতসমূহের আলোকে দুটি বিষয়ের সন্ধ্যান লাভ করা যায়। এর একটি হলো ‘জ্বিবত’ এবং দ্বিতীয়টি হলো ‘তাগুত’। এই শব্দ দুটির মর্ম সম্পর্কে তাফসীরকার মনীষী বৃন্দের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। যথা : (১)ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : অবিসিনীয় ভাষায় ‘জ্বিবত’ ব��া হয় যাদুকরকে। আর ‘তাগুত’ বলা হয় গনক বা জ্যোতিষীকে। (২) হযরত উমর (রা.) বলেন : ‘জ্বিবত’ অর্থ যাদু এবং ‘তাগুত’ অর্থ শয়তান। (৩) মালেক ইবনে আনাস (রা.) বলেন : আল্লাহ ব্যতীত যে সমস্ত জিনিসের উপাসনা করা হয়, সে সবই তাগুত বলে অভিহিত হয়।
(৪) ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন : মালেক ইবনে আনাস (রা.)-এর উক্তিটির অধিক পছন্দনীয়। তার কারণ, আল কুরআন থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায়। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বলেন : তোমরা আল্লাহর এবাদত করো এবং তাগুত থেকে বেঁচে থাক। (সূরা নাহল : ৩৬)। কিন্তু উল্লেখিত বিভিন্ন মতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কাজেই এর যে কোন একটিই গ্রহণ করা যায়। মূলত, জ্বিবত বলতে প্রতিমা ও মূর্তিকেই বোঝানো হতো। পরে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য পুজ্য বস্তুতে এর প্রয়োগ হতে আরম্ভ করে। (রুহুল মায়ানী)।
মোট কথা, আল্লাহর মোকাবেলায় বান্দাহর প্রভুত্বের দাবিদার সাজার এবং বিদ্রোহ করার তিনটি পর্যায় রয়েছে। (১) প্রথম পর্যায়ে বান্দাহ নীতিগতভাবে আল্লাহর শাসন কর্তৃত্বকে সত্য বলে মেনে নেয়। কিন্তু জীবনযাত্রার সর্বত্র আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করে। একে বলা হয় ‘ফাসেকী’।
(২) দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে বান্দাহ আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের শাসন কর্তৃত্বকে নীতিগতভাবে মেনে না নিয়ে নিজের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় অথবা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো বন্দেগী ও দাসত্ব করতে থাকে। একে বলা হয় কুফরী ও শিরক।
(৩) তৃতীয় পর্যায়ে বান্দাহ মূল মালিক ও সর্ব শক্তিমান আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং স্বীয় রাজ্যে এবং তার প্রজাদের মধ্যে নিজের হুকুম চালাতে থাকে। এই শেষ পর্যায়ে যে ব্যক্তি পৌঁছে যায়, তাকেই বলা হয় ‘তাগুত’। সুতরাং তার মাঝে ফাসেকী, কুফরী ও শিরক এবং আল্লাহ দ্রোহীতার সকল দোষই বিদ্যমান থাকে।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বা তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের
Infidels Through New Gods
#রাজনীতি#লাইলাহাইল্লাল্লাহ#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Touhid#'LailahaIllAllah'#highestpolitics#highest#politics#key#paradise#Jannah#threeparts#3parts#monotheism#তাগুত#ṭāġūt#ṭaġoot#কাফের#infidel#God#Deity#Ilah#ইলাহ#উপাস্য#Youtube
0 notes
Text
নিজের অজান্তেই নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের হচ্ছি
youtube
youtube
youtube
কুফর কি
কুফর অর্থ ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অকৃতজ্ঞ হওয়া ' , ' অবিশ্বাসী হওয়া ' , বা ' অকৃতজ্ঞতা '। কুফর ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল ঈমান ( ' ঈমান ' ), এবং কাফির ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল মুমিন ( ' বিশ্বাসী ' )।
আরবী ‘কুফর’ (الكُفْرُ) শব্দটি অবিশ্বাস, অস্বীকার, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দটির মূল অর্থ ‘আবৃত করা’। ৪র্থ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ ও অভিধান প্রণেতা আবুল হুসাইন আহমদ ইবনু ফারিস (৩৯৫হি) বলেন: ‘‘(কাফ, রা ও ফা) তিন অক্ষরের ক্রিয়ামূলটি একটি বিশুদ্ধ অর্থ প্রকাশ করে, তা হলো: ‘আবৃত করা বা গোপন করা’। কোনো ব্যক্তি যদি তার পরিহিত বর্মকে তার কাপড় দিয়ে আবৃত করেন তবে বলা হয় তিনি তার বর্ম ‘কুফর’ করেছেন। চাষীকে ‘কাফির’ (আবৃতকারী) বলা হয়, কারণ তিনি শষ্যদানাকে মাটি দ্বারা আবৃত করেন। ঈমান বা বিশ্বাসের বিপরীত অবিশ্বাসকে ‘কুফর’ বলা হয়; কারণ অবিশ্বাস অর্থ সত্যকে অবৃত করা। অকৃতজ্ঞতা বা নিয়ামত অস্বীকার করাকে কুফর বলা হয়; কারণ এতে নিয়ামত লুকানো হয় এবং আবৃত করা হয়।’’
ইসলামী পরিভাষায় বিশ্বাসের অবিদ্যমানতাই কুফর বা অবিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং ঈমানের রুকনগুলিতে বিশ্বাস না থাকাকেই ইসলামের পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য। অস্বীকার, সন্দেহ, দ্বিধা, হিংসা, অহঙ্কার, ইত্যাদি যে কোনো কারণে যদি কারো মধ্যে ‘ঈমান’ বা দৃঢ় প্রত্যয়ের বিশ্বাস অনুপস্থিত থাকে তবে তাকে ইসলামী পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য করা হয়। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে কোনো বিষয়ে তাঁর সমতুল্য বা সমকক্ষ বা তাঁর সাথে তুলনীয় বলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব ও অতুলনীয়ত্ব অস্বীকার করাও কুফর। তবে এ পর্যায়ের কুফরকে ইসলামী পরিভাষায় শির্ক বলা হয়।
তাগূত শব্দের অর্থ কি?
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা ঈশ্বর ছাড়া অন্য দেবতার উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুত থেকে সাবধান
‘তাগুত’ আরবি ভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। এ শব্দটি সীমালংঘনকারী বা নির্ধারিত সীমা অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম ‘ইলামুল মুয়াক্কেয়ীন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ‘তাগুত বলা হয় এমন প্রত্যেক ইবাদতকৃত সত্তাকে কিংবা অনুসৃত সত্তাকে অথবা আনুগত্যকৃত সত্তাকে, যার সম্বন্ধে ইবাদতকারী বা অনুসরণকারী অথবা আনুগত্যকারী তার বৈধসীমা অতিক্রম করেছে এবং ইবাদাতকৃতসত্তা বা অনুসৃত সত্তা অথবা আনুগত্যকৃত সত্তা তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নিয়েছে বা সেদিকে আহ্বান বা অনুপ্রাণিত করেছে।
সুতরাং এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তাগুত এমন ব্যক্তিকে বলা হয়, যে বন্দেগী ও দাসত্বের সীমা অতিক্রম করে নিজেই প্রভু ও উপাস্য হবার দাবিদার সাজে এবং আল্লাহর বান্দাহগণকে নিজের বন্দেগী ও দাসত্বে নিযুক্ত করে। আল কুরআনে ‘তাগুত’ শব্দটি আটবার ব্যবহৃত হয়েছে।
যথা : (১) ইরশাদ হয়েছে অতএব যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর উপর ঈমান আনবে সে এমন এক শক্ত ও দৃঢ়তার রজ্জু ধারণ করল যা কখনো ছিড়বে না, ভাঙ্গবে না। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। (সূরা বাকারাহ : ২৫৬)।
(২) ইরশাদ হয়েছে আর যারা কুফরী করে তাগুত তাদের অভিভাবক, এরা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়, তারাই অনলকু-ের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা বাকারাহ : ২৫৭)। (৩) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল, তারা ‘জ্বিবত’ ও ‘তাগুতে’ বিশ্বাস করে? (সূরা নিসা : ৫১)।
(৪) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে তারা ঈমান এনেছে, অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থী হতে চায়, যদিও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সূরা নিসা : ৬০)।
(৫) ইরশাদ হয়েছে যারা মুমিন তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, আর যারা কাফের তারা তাগুতের পথে যুদ্ধ করে। (সূরা নিসা : ৭৬)।
(৬) ইরশাদ হয়েছে এবং তাদের কেউ তাগুতের এবাদত করেছে। তারাই অবস্থানের দিক থেকে নিকৃষ্ট এবং সরল পথ থেকে সবচেয়ে বেশি বিচ্যুত। (সূরা মায়েদাহ : ৬০)।
উপরোক্ত আয়াতসমূহের আলোকে দুটি বিষয়ের সন্ধ্যান লাভ করা যায়। এর একটি হলো ‘জ্বিবত’ এবং দ্বিতীয়টি হলো ‘তাগুত’। এই শব্দ দুটির মর্ম সম্পর্কে তাফসীরকার মনীষী বৃন্দের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। যথা : (১)ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : অবিসিনীয় ভাষায় ‘জ্বিবত’ বলা হয় যাদুকরকে। আর ‘তাগুত’ বলা হয় গনক বা জ্যোতিষীকে। (২) হযরত উমর (রা.) বলেন : ‘জ্বিবত’ অর্থ যাদু এবং ‘তাগুত’ অর্থ শয়তান। (৩) মালেক ইবনে আনাস (রা.) বলেন : আল্লাহ ব্যতীত যে সমস্ত জিনিসের উপাসনা করা হয়, সে সবই তাগুত বলে অভিহিত হয়।
(৪) ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন : মালেক ইবনে আনাস (রা.)-এর উক্তিটির অধিক পছন্দনীয়। তার কারণ, আল কুরআন থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায়। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বলেন : তোমরা আল্লাহর এবাদত করো এবং তাগুত থেকে বেঁচে থাক। (সূরা নাহল : ৩৬)। কিন্তু উল্লেখিত বিভিন্ন মতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কাজেই এর যে কোন একটিই গ্রহণ করা যায়। মূলত, জ্বিবত বলতে প্রতিমা ও মূর্তিকেই বোঝানো হতো। পরে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য পুজ্য বস্তুতে এর প্রয়োগ হতে আরম্ভ করে। (রুহুল মায়ানী)।
মোট কথা, আল্লাহর মোকাবেলায় বান্দাহর প্রভুত্বের দাবিদার সাজার এবং বিদ্রোহ করার তিনটি পর্যায় রয়েছে। (১) প্রথম পর্যায়ে বান্দাহ নীতিগতভাবে আল্লাহর শাসন কর্তৃত্বকে সত্য বলে মেনে নেয়। কিন্তু জীবনযাত্রার সর্বত্র আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করে। একে বলা হয় ‘ফাসেকী’।
(২) দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে বান্দাহ আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের শাসন কর্তৃত্বকে নীতিগতভাবে মেনে না নিয়ে নিজের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় অথবা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো বন্দেগী ও দাসত্ব করতে থাকে। একে বলা হয় কুফরী ও শিরক।
(৩) তৃতীয় পর্যায়ে বান্দাহ মূল মালিক ও সর্ব শক্তিমান আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং স্বীয় রাজ্যে এবং তার প্রজাদের মধ্যে নিজের হুকুম চালাতে থাকে। এই শেষ পর্যায়ে যে ব্যক্তি পৌঁছে যায়, তাকেই বলা হয় ‘তাগুত’। সুতরাং তার মাঝে ফাসেকী, কুফরী ও শিরক এবং আল্লাহ দ্রোহীতার সকল দোষই বিদ্যমান থাকে।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বা তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের
Infidels Through New Gods
#রাজনীতি#লাইলাহাইল্লাল্লাহ#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Touhid#'LailahaIllAllah'#highestpolitics#highest#politics#key#paradise#Jannah#threeparts#3parts#monotheism#তাগুত#ṭāġūt#ṭaġoot#কাফের#infidel#God#Deity#Ilah#ইলাহ#উপাস্য#Youtube
0 notes
Text
নিজের অজান্তেই নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের হচ্ছি
youtube
youtube
youtube
কুফর কি
কুফর অর্থ ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অকৃতজ্ঞ হওয়া ' , ' অবিশ্বাসী হওয়া ' , বা ' অকৃতজ্ঞতা '। কুফর ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল ঈমান ( ' ঈমান ' ), এবং কাফির ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল মুমিন ( ' বিশ্বাসী ' )।
আরবী ‘কুফর’ (الكُفْرُ) শব্দটি অবিশ্বাস, অস্বীকার, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দটির মূল অর্থ ‘আবৃত করা’। ৪র্থ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ ও অভিধান প্রণেতা আবুল হুসাইন আহমদ ইবনু ফারিস (৩৯৫হি) বলেন: ‘‘(কাফ, রা ও ফা) তিন অক্ষরের ক্রিয়ামূলটি একটি বিশুদ্ধ অর্থ প্রকাশ করে, তা হলো: ‘আবৃত করা বা গোপন করা’। কোনো ব্যক্তি যদি তার পরিহিত বর্মকে তার কাপড় দিয়ে আবৃত করেন তবে বলা হয় তিনি তার বর্ম ‘কুফর’ করেছেন। চাষীকে ‘কাফির’ (আবৃতকারী) বলা হয়, কারণ তিনি শষ্যদানাকে মাটি দ্বারা আবৃত করেন। ঈমান বা বিশ্বাসের বিপরীত অবিশ্বাসকে ‘কুফর’ বলা হয়; কারণ অবিশ্বাস অর্থ সত্যকে অবৃত করা। অকৃতজ্ঞতা বা নিয়ামত অস্বীকার করাকে কুফর বলা হয়; কারণ এতে নিয়ামত লুকানো হয় এবং আবৃত করা হয়।’’
ইসলামী পরিভাষায় বিশ্বাসের অবিদ্যমানতাই কুফর বা অবিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং ঈমানের রুকনগুলিতে বিশ্বাস না থাকাকেই ইসলামের পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য। অস্বীকার, সন্দেহ, দ্বিধা, হিংসা, অহঙ্কার, ইত্যাদি যে কোনো কারণে যদি কারো মধ্যে ‘ঈমান’ বা দৃঢ় প্রত্যয়ের বিশ্বাস অনুপস্থিত থাকে তবে তাকে ইসলামী পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য করা হয়। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে কোনো বিষয়ে তাঁর সমতুল্য বা সমকক্ষ বা তাঁর সাথে তুলনীয় বলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব ও অতুলনীয়ত্ব অস্বীকার করাও কুফর। তবে এ পর্যায়ের কুফরকে ইসলামী পরিভাষায় শির্ক বলা হয়।
তাগূত শব্দের অর্থ কি?
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা ঈশ্বর ছাড়া অন্য দেবতার উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুত থেকে সাবধান
‘তাগুত’ আরবি ভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। এ শব্দটি সীমালংঘনকারী বা নির্ধারিত সীমা অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম ‘ইলামুল মুয়াক্কেয়ীন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ‘তাগুত বলা হয় এমন প্রত্যেক ইবাদতকৃত সত্তাকে কিংবা অনুসৃত সত্তাকে অথবা আনুগত্যকৃত সত্তাকে, যার সম্বন্ধে ইবাদতকারী বা অনুসরণকারী অথবা আনুগত্যকারী তার বৈধসীমা অতিক্রম করেছে এবং ইবাদাতকৃতসত্তা বা অনুসৃত সত্তা অথবা আনুগত্যকৃত সত্তা তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নিয়েছে বা সেদিকে আহ্বান বা অনুপ্রাণিত করেছে।
সুতরাং এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তাগুত এমন ব্যক্তিকে বলা হয়, যে বন্দেগী ও দাসত্বের সীমা অতিক্রম করে নিজেই প্রভু ও উপাস্য হবার দাবিদার সাজে এবং আল্লাহর বান্দাহগণকে নিজের বন্দেগী ও দাসত্বে নিযুক্ত করে। আল কুরআনে ‘তাগুত’ শব্দটি আটবার ব্যবহৃত হয়েছে।
যথা : (১) ইরশাদ হয়েছে অতএব যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর উপর ঈমান আনবে সে এমন এক শক্ত ও দৃঢ়তার রজ্জু ধারণ করল যা কখনো ছিড়বে না, ভাঙ্গবে না। আর আল্লাহ সর���বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। (সূরা বাকারাহ : ২৫৬)।
(২) ইরশাদ হয়েছে আর যারা কুফরী করে তাগুত তাদের অভিভাবক, এরা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়, তারাই অনলকু-ের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা বাকারাহ : ২৫৭)। (৩) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল, তারা ‘জ্বিবত’ ও ‘তাগুতে’ বিশ্বাস করে? (সূরা নিসা : ৫১)।
(৪) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে তারা ঈমান এনেছে, অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থী হতে চায়, যদিও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সূরা নিসা : ৬০)।
(৫) ইরশাদ হয়েছে যারা মুমিন তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, আর যারা কাফের তারা তাগুতের পথে যুদ্ধ করে। (সূরা নিসা : ৭৬)।
(৬) ইরশাদ হয়েছে এবং তাদের কেউ তাগুতের এবাদত করেছে। তারাই অবস্থানের দিক থেকে নিকৃষ্ট এবং সরল পথ থেকে সবচেয়ে বেশি বিচ্যুত। (সূরা মায়েদাহ : ৬০)।
উপরোক্ত আয়াতসমূহের আলোকে দুটি বিষয়ের সন্ধ্যান লাভ করা যায়। এর একটি হলো ‘জ্বিবত’ এবং দ্বিতীয়টি হলো ‘তাগুত’। এই শব্দ দুটির মর্ম সম্পর্কে তাফসীরকার মনীষী বৃন্দের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। যথা : (১)ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : অবিসিনীয় ভাষায় ‘জ্বিবত’ বলা হয় যাদুকরকে। আর ‘তাগুত’ বলা হয় গনক বা জ্যোতিষীকে। (২) হযরত উমর (রা.) বলেন : ‘জ্বিবত’ অর্থ যাদু এবং ‘তাগুত’ অর্থ শয়তান। (৩) মালেক ইবনে আনাস (রা.) বলেন : আল্লাহ ব্যতীত যে সমস্ত জিনিসের উপাসনা করা হয়, সে সবই তাগুত বলে অভিহিত হয়।
(৪) ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন : মালেক ইবনে আনাস (রা.)-এর উক্তিটির অধিক পছন্দনীয়। তার কারণ, আল কুরআন থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায়। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বলেন : তোমরা আল্লাহর এবাদত করো এবং তাগুত থেকে বেঁচে থাক। (সূরা নাহল : ৩৬)। কিন্তু উল্লেখিত বিভিন্ন মতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কাজেই এর যে কোন একটিই গ্রহণ করা যায়। মূলত, জ্বিবত বলতে প্রতিমা ও মূর্তিকেই বোঝানো হতো। পরে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য পুজ্য বস্তুতে এর প্রয়োগ হতে আরম্ভ করে। (রুহুল মায়ানী)।
মোট কথা, আল্লাহর মোকাবেলায় বান্দাহর প্রভুত্বের দাবিদার সাজার এবং বিদ্রোহ করার তিনটি পর্যায় রয়েছে। (১) প্রথম পর্যায়ে বান্দাহ নীতিগতভাবে আল্লাহর শাসন কর্তৃত্বকে সত্য বলে মেনে নেয়। কিন্তু জীবনযাত্রার সর্বত্র আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করে। একে বলা হয় ‘ফাসেকী’।
(২) দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে বান্দাহ আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের শাসন কর্তৃত্বকে নীতিগতভাবে মেনে না নিয়ে নিজের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় অথবা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো বন্দেগী ও দাসত্ব করতে থাকে। একে বলা হয় কুফরী ও শিরক।
(৩) তৃতীয় পর্যায়ে বান্দাহ মূল মালিক ও সর্ব শক্তিমান আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং স্বীয় রাজ্যে এবং তার প্রজাদের মধ্যে নিজের হুকুম চালাতে থাকে। এই শেষ পর্যায়ে যে ব্যক্তি পৌঁছে যায়, তাকেই বলা হয় ‘তাগুত’। সুতরাং তার মাঝে ফাসেকী, কুফরী ও শিরক এবং আল্লাহ দ্রোহীতার সকল দোষই বিদ্যমান থাকে।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বা তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের
Infidels Through New Gods
#রাজনীতি#লাইলাহাইল্লাল্লাহ#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Touhid#'LailahaIllAllah'#highestpolitics#highest#politics#key#paradise#Jannah#threeparts#3parts#monotheism#তাগুত#ṭāġūt#ṭaġoot#কাফের#infidel#God#Deity#Ilah#ইলাহ#উপাস্য#Youtube
0 notes
Text
নিজের অজান্তেই নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের হচ্ছি
youtube
youtube
youtube
কুফর কি
কুফর অর্থ ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অকৃতজ্ঞ হওয়া ' , ' অবিশ্বাসী হওয়া ' , বা ' অকৃতজ্ঞতা '। কুফর ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল ঈমান ( ' ঈমান ' ), এবং কাফির ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল মুমিন ( ' বিশ্বাসী ' )।
আরবী ‘কুফর’ (الكُفْرُ) শব্দটি অবিশ্বাস, অস্বীকার, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দটির মূল অর্থ ‘আবৃত করা’। ৪র্থ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ ও অভিধান প্রণেতা আবুল হুসাইন আহমদ ইবনু ফারিস (৩৯৫হি) বলেন: ‘‘(কাফ, রা ও ফা) তিন অক্ষরের ক্রিয়ামূলটি একটি বিশুদ্ধ অর্থ প্রকাশ করে, তা হলো: ‘আবৃত করা বা গোপন করা’। কোনো ব্যক্তি যদি তার পরিহিত বর্মকে তার কাপড় দিয়ে আবৃত করেন তবে বলা হয় তিনি তার বর্ম ‘কুফর’ করেছেন। চাষীকে ‘কাফির’ (আবৃতকারী) বলা হয়, কারণ তিনি শষ্যদানাকে মাটি দ্বারা আবৃত করেন। ঈমান বা বিশ্বাসের বিপরীত অবিশ্বাসকে ‘কুফর’ বলা হয়; কারণ অবিশ্বাস অর্থ সত্যকে অবৃত করা। অকৃতজ্ঞতা বা নিয়ামত অস্বীকার করাকে কুফর বলা হয়; কারণ এতে নিয়ামত লুকানো হয় এবং আবৃত করা হয়।’’
ইসলামী পরিভাষায় বিশ্বাসের অবিদ্যমানতাই কুফর বা অবিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং ঈমানের রুকনগুলিতে বিশ্বাস না থাকাকেই ইসলামের পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য। অস্বীকার, সন্দেহ, দ্বিধা, হিংসা, অহঙ্কার, ইত্যাদি যে কোনো কারণে যদি কারো মধ্যে ‘ঈমান’ বা দৃঢ় প্রত্যয়ের বিশ্বাস অনুপস্থিত থাকে তবে তাকে ইসলামী পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য করা হয়। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে কোনো বিষয়ে তাঁর সমতুল্য বা সমকক্ষ বা তাঁর সাথে তুলনীয় বলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব ও অতুলনীয়ত্ব অস্বীকার করাও কুফর। তবে এ পর্যায়ের কুফরকে ইসলামী পরিভাষায় শির্ক বলা হয়।
তাগূত শব্দের অর্থ কি?
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা ঈশ্বর ছাড়া অন্য দেবতার উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুত থেকে সাবধান
‘তাগুত’ আরবি ভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। এ শব্দটি সীমালংঘনকারী বা নির্ধারিত সীমা অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম ‘ইলামুল মুয়াক্কেয়ীন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ‘তাগুত বলা হয় এমন প্রত্যেক ইবাদতকৃত সত্তাকে কিংবা অনুসৃত সত্তাকে অথবা আনুগত্যকৃত সত্তাকে, যার সম্বন্ধে ইবাদতকারী বা অনুসরণকারী অথবা আনুগত্যকারী তার বৈধসীমা অতিক্রম করেছে এবং ইবাদাতকৃতসত্তা বা অনুসৃত সত্তা অথবা আনুগত্যকৃত সত্তা তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নিয়েছে বা সেদিকে আহ্বান বা অনুপ্রাণিত করেছে।
সুতরাং এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তাগুত এমন ব্যক্তিকে বলা হয়, যে বন্দেগী ও দাসত্বের সীমা অতিক্রম করে নিজেই প্রভু ও উপাস্য হবার দাবিদার সাজে এবং আল্লাহর বান্দাহগণকে নিজের বন্দেগী ও দাসত্বে নিযুক্ত করে। আল কুরআনে ‘তাগুত’ শব্দটি আটবার ব্যবহৃত হয়েছে।
যথা : (১) ইরশাদ হয়েছে অতএব যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর উপর ঈমান আনবে সে এমন এক শক্ত ও দৃঢ়তার রজ্জু ধারণ করল যা কখনো ছিড়বে না, ভাঙ্গবে না। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। (সূরা বাকারাহ : ২৫৬)।
(২) ইরশাদ হয়েছে আর যারা কুফরী করে তাগুত তাদের অভিভাবক, এরা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়, তারাই অনলকু-ের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা বাকারাহ : ২৫৭)। (৩) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল, তারা ‘জ্বিবত’ ও ‘তাগুতে’ বিশ্বাস করে? (সূরা নিসা : ৫১)।
(৪) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে তারা ঈমান এনেছে, অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থী হতে চায়, যদিও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সূরা নিসা : ৬০)।
(৫) ইরশাদ হয়েছে যারা মুমিন তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, আর যারা কাফের তারা তাগুতের পথে যুদ্ধ করে। (সূরা নিসা : ৭৬)।
(৬) ইরশাদ হয়েছে এবং তাদের কেউ তাগুতের এবাদত করেছে। তারাই অবস্থানের দিক থেকে নিকৃষ্ট এবং সরল পথ থেকে সবচেয়ে বেশি বিচ্যুত। (সূরা মায়েদাহ : ৬০)।
উপরোক্ত আয়াতসমূহের আলোকে দুটি বিষয়ের সন্ধ্যান লাভ করা যায়। এর একটি হলো ‘জ্বিবত’ এবং দ্বিতীয়টি হলো ‘তাগুত’। এই শব্দ দুটির মর্ম সম্পর্কে তাফসীরকার মনীষী বৃন্দের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। যথা : (১)ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : অবিসিনীয় ভাষায় ‘জ্বিবত’ বলা হয় যাদুকরকে। আর ‘তাগুত’ বলা হয় গনক বা জ্যোতিষীকে। (২) হযরত উমর (রা.) বলেন : ‘জ্বিবত’ অর্থ যাদু এবং ‘তাগুত’ অর্থ শয়তান। (৩) মালেক ইবনে আনাস (রা.) বলেন : আল্লাহ ব্যতীত যে সমস্ত জিনিসের উপাসনা করা হয়, সে সবই তাগুত বলে অভিহিত হয়।
(৪) ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন : মালেক ইবনে আনাস (রা.)-এর উক্তিটির অধিক পছন্দনীয়। তার কারণ, আল কুরআন থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায়। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বলেন : তোমরা আল্লাহর এবাদত করো এবং তাগুত থেকে বেঁচে থাক। (সূরা নাহল : ৩৬)। কিন্তু উল্লেখিত বিভিন্ন মতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কাজেই এর যে কোন একটিই গ্রহণ করা যায়। মূলত, জ্বিবত বলতে প্রতিমা ও মূর্তিকেই বোঝানো হতো। পরে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য পুজ্য বস্তুতে এর প্রয়োগ হতে আরম্ভ করে। (রুহুল মায়ানী)।
মোট কথা, আল্লাহর মোকাবেলায় বান্দাহর প্রভুত্বের দাবিদার সাজার এবং বিদ্রোহ করার তিনটি পর্যায় রয়েছে। (১) প্রথম পর্যায়ে বান্দাহ নীতিগতভাবে আল্লাহর শাসন কর্তৃত্বকে সত্য বলে মেনে নেয়। কিন্তু জীবনযাত্রার সর্বত্র আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করে। একে বলা হয় ‘ফাসেকী’।
(২) দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে বান্দাহ আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের শাসন কর্তৃত্বকে নীতিগতভাবে মেনে না নিয়ে নিজের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় অথবা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো বন্দেগী ও দাসত্ব করতে থাকে। একে বলা হয় কুফরী ও শিরক।
(৩) তৃতীয় পর্যায়ে বান্দাহ মূল মালিক ও সর্ব শক্তিমান আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং স্বীয় রাজ্যে এবং তার প্রজাদের মধ্যে নিজের হুকুম চালাতে থাকে। এই শেষ পর্যায়ে যে ব্যক্তি পৌঁছে যায়, তাকেই বলা হয��� ‘তাগুত’। সুতরাং তার মাঝে ফাসেকী, কুফরী ও শিরক এবং আল্লাহ দ্রোহীতার সকল দোষই বিদ্যমান থাকে।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বা তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের
Infidels Through New Gods
#রাজনীতি#লাইলাহাইল্লাল্লাহ#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Touhid#'LailahaIllAllah'#highestpolitics#highest#politics#key#paradise#Jannah#threeparts#3parts#monotheism#তাগুত#ṭāġūt#ṭaġoot#কাফের#infidel#God#Deity#Ilah#ইলাহ#উপাস্য#Youtube
0 notes
Text
নিজের অজান্তেই নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের হচ্ছি
youtube
youtube
youtube
কুফর কি
কুফর অর্থ ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অবিশ্বাস ' , ' অকৃতজ্ঞ হওয়া ' , ' অবিশ্বাসী হওয়া ' , বা ' অকৃতজ্ঞতা '। কুফর ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল ঈমান ( ' ঈমান ' ), এবং কাফির ( ' অবিশ্বাস ' ) এর বিপরীত শব্দ হল মুমিন ( ' বিশ্বাসী ' )।
আরবী ‘কুফর’ (الكُفْرُ) শব্দটি অবিশ্বাস, অস্বীকার, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দটির মূল অর্থ ‘আবৃত করা’। ৪র্থ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ ও অভিধান প্রণেতা আবুল হুসাইন আহমদ ইবনু ফারিস (৩৯৫হি) বলেন: ‘‘(কাফ, রা ও ফা) তিন অক্ষরের ক্রিয়ামূলটি একটি বিশুদ্ধ অর্থ প্রকাশ করে, তা হলো: ‘আবৃত করা বা গোপন করা’। কোনো ব্যক্তি যদি তার পরিহিত বর্মকে তার কাপড় দিয়ে আবৃত করেন তবে বলা হয় তিনি তার বর্ম ‘কুফর’ করেছেন। চাষীকে ‘কাফির’ (আবৃতকারী) বলা হয়, কারণ তিনি শষ্যদানাকে মাটি দ্বারা আবৃত করেন। ঈমান বা বিশ্বাসের বিপরীত অবিশ্বাসকে ‘কুফর’ বলা হয়; কারণ অবিশ্বাস অর্থ সত্যকে অবৃত করা। অকৃতজ্ঞতা বা নিয়ামত অস্বীকার করাকে কুফর বলা হয়; কারণ এতে নিয়ামত লুকানো হয় এবং আবৃত করা হয়।’’
ইসলামী পরিভাষায় বিশ্বাসের অবিদ্যমানতাই কুফর বা অবিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং ঈমানের রুকনগুলিতে বিশ্বাস না থাকাকেই ইসলামের পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য। অস্বীকার, সন্দেহ, দ্বিধা, হিংসা, অহঙ্কার, ইত্যাদি যে কোনো কারণে যদি কারো মধ্যে ‘ঈমান’ বা দৃঢ় প্রত্যয়ের বিশ্বাস অনুপস্থিত থাকে তবে তাকে ইসলামী পরিভাষায় ‘কুফর’ বলে গণ্য করা হয়। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে কোনো বিষয়ে তাঁর সমতুল্য বা সমকক্ষ বা তাঁর সাথে তুলনীয় বলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব ও অতুলনীয়ত্ব অস্বীকার করাও কুফর। তবে এ পর্যায়ের কুফরকে ইসলামী পরিভাষায় শির্ক বলা হয়।
তাগূত শব্দের অর্থ কি?
তাগুত ( আরবি : طاغوت , ṭāġūt; pl. ṭawāġīt ( طواغيت ); ব্যাপকভাবে: "পরিমাপের বাইরে যাওয়া") হল ইসলামী পরিভাষা যা ঈশ্বর ছাড়া অন্য দেবতার উপাসনাকে নির্দেশ করে।
তাগুত থেকে সাবধান
‘তাগুত’ আরবি ভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। এ শব্দটি সীমালংঘনকারী বা নির্ধারিত সীমা অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম ‘ইলামুল মুয়াক্কেয়ীন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ‘তাগুত বলা হয় এমন প্রত্যেক ইবাদতকৃত সত্তাকে কিংবা অনুসৃত সত্তাকে অথবা আনুগত্যকৃত সত্তাকে, যার সম্বন্ধে ইবাদতকারী বা অনুসরণকারী অথবা আনুগত্যকারী তার বৈধসীমা অতিক্রম করেছে এবং ইবাদাতকৃতসত্তা বা অনুসৃত সত্তা অথবা আনুগত্যকৃত সত্তা তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নিয়েছে বা সেদিকে আহ্বান বা অনুপ্রাণিত করেছে।
সুতরাং এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তাগুত এমন ব্যক্তিকে বলা হয়, যে বন্দেগী ও দাসত্বের সীমা অতিক্রম করে নিজেই প্রভু ও উপাস্য হবার দাবিদার সাজে এবং আল্লাহর বান্দাহগণকে নিজের বন্দেগী ও দাসত্বে নিযুক্ত করে। আল কুরআনে ‘তাগুত’ শব্দটি আটবার ব্যবহৃত হয়েছে।
যথা : (১) ইরশাদ হয়েছে অতএব যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর উপর ঈমান আনবে সে এমন এক শক্ত ও দৃঢ়তার রজ্জু ধারণ করল যা কখনো ছিড়বে না, ভাঙ্গবে না। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। (সূরা বাকারাহ : ২৫৬)।
(২) ইরশাদ হয়েছে আর যারা কুফরী করে তাগুত তাদের অভিভাবক, এরা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়, তারাই অনলকু-ের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা বাকারাহ : ২৫৭)। (৩) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল, তারা ‘জ্বিবত’ ও ‘তাগুতে’ বিশ্বাস করে? (সূরা নিসা : ৫১)।
(৪) ইরশাদ হয়েছে তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে তারা ঈমান এনেছে, অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থী হতে চায়, যদিও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সূরা নিসা : ৬০)।
(৫) ইরশাদ হয়েছে যারা মুমিন তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, আর যারা কাফের তারা তাগুতের পথে যুদ্ধ করে। (সূরা নিসা : ৭৬)।
(৬) ইরশাদ হয়েছে এবং তাদের কেউ তাগুতের এবাদত করেছে। তারাই অবস্থানের দিক থেকে নিকৃষ্ট এবং সরল পথ থেকে সবচেয়ে বেশি বিচ্যুত। (সূরা মায়েদাহ : ৬০)।
উপরোক্ত আয়াতসমূহের আলোকে দুটি বিষয়ের সন্ধ্যান লাভ করা যায়। এর একটি হলো ‘জ্বিবত’ এবং দ্বিতীয়টি হলো ‘তাগুত’। এই শব্দ দুটির মর্ম সম্পর্কে তাফসীরকার মনীষী বৃন্দের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। যথা : (১)ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : অবিসিনীয় ভাষায় ‘জ্বিবত’ বলা হয় যাদুকরকে। আর ‘তাগুত’ বলা হয় গনক বা জ্যোতিষীকে। (২) হযরত উমর (রা.) বলেন : ‘জ্বিবত’ অর্থ যাদু এবং ‘তাগুত’ অর্থ শয়তান। (৩) মালেক ইবনে আনাস (রা.) বলেন : আল্লাহ ব্যতীত যে সমস্ত জিনিসের উপাসনা করা হয়, সে সবই তাগুত বলে অভিহিত হয়।
(৪) ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন : মালেক ইবনে আনাস (রা.)-এর উক্তিটির অধিক পছন্দনীয়। তার কারণ, আল কুরআন থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায়। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বলেন : তোমরা আল্লাহর এবাদত করো এবং তাগুত থেকে বেঁচে থাক। (সূরা নাহল : ৩৬)। কিন্তু উল্লেখিত বিভিন্ন মতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কাজেই এর যে কোন একটিই গ্রহণ করা যায়। মূলত, জ্বিবত বলতে প্রতিমা ও মূর্তিকেই বোঝানো হতো। পরে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য পুজ্য বস্তুতে এর প্রয়োগ হতে আরম্ভ করে। (রুহুল মায়ানী)।
মোট কথা, আল্লাহর মোকাবেলায় বান্দাহর প্রভুত্বের দাবিদার সাজার এবং বিদ্রোহ করার তিনটি পর্যায় রয়েছে। (১) প্রথম পর্যায়ে বান্দাহ নীতিগতভাবে আল্লাহর শাসন কর্তৃত্বকে সত্য বলে মেনে নেয়। কিন্তু জীবনযাত্রার সর্বত্র আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করে। একে বলা হয় ‘ফাসেকী’।
(২) দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে বান্দাহ আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের শাসন কর্তৃত্বকে নীতিগতভাবে মেনে না নিয়ে নিজের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় অথবা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো বন্দেগী ও দাসত্ব করতে থাকে। একে বলা হয় কুফরী ও শিরক।
(৩) তৃতীয় পর্যায়ে বান্দাহ মূল মালিক ও সর্ব শক্তিমান আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং স্বীয় রাজ্যে এবং তার প্রজাদের মধ্যে নিজের হুকুম চালাতে থাকে। এই শেষ পর্যায়ে যে ব্যক্তি পৌঁছে যায়, তাকেই বলা হয় ‘তাগুত’। সুতরাং তার মাঝে ফাসেকী, কুফরী ও শিরক এবং আল্লাহ দ্রোহীতার সকল দোষই বিদ্যমান থাকে।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বা তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
নতুন ইলাহর মাধ্যমে কাফের
Infidels Through New Gods
#রাজনীতি#লাইলাহাইল্লাল্লাহ#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Touhid#'LailahaIllAllah'#highestpolitics#highest#politics#key#paradise#Jannah#threeparts#3parts#monotheism#তাগুত#ṭāġūt#ṭaġoot#কাফের#infidel#God#Deity#Ilah#ইলাহ#উপাস্য#Youtube
0 notes
Note
yess please do the oil under impala drawing please!
Well I got some news for you…
Its a WIP now!
#anon ask#request answered#kinda#wip#destiel fanart#on the way#stay tuned anon#destiel#spn memes#spn#my art#work in progress#there will be drawings i think cas explain this one and then third with reveal but all in one post!#so take it like little comic#3parts to make it sense
42 notes
·
View notes
Text
Overwatch | “Honor and Glory” Overwatch | «Честь и слава» Please, let’s reblog my gifs, and send on the people. ^^
13 notes
·
View notes
Text
I guess I really was too tired to watch The Whisperer yesterday because I MISSED THE WHOLE ASS PART 2/4
I have no clue how that happened, I'm as confused as you are
So here it goes *facepalms my hand through my skull*
#i only just realized#no words#how the actual fuck have i not noticed that yesterday is beyond me#it took me 4h to watch just 3parts im impressed (derogatoriest)#the whisperer the series#episode 8#twts lb#blmpff
5 notes
·
View notes
Photo
En un manual de marca pueden existir diferentes áreas y partes que se deben incluir, sin embargo hay tres áreas principales que nunca debemos olvidar colocar dentro de nuestra estructura. Ver el video: https://youtu.be/JVAzfXpO39E 01. Introducción. 02. Identidades. 03. Aplicaciones. 1. Introducción. Presenta el manual y su contenido, en la introducción podemos incluir la carta de bienvenida y estructura. Se pueden considerar aspectos importantes: como su historia, concepto, cultura y filosofía. (También pueden incluirse en la identidad corporativa). 2. Identidades. Existen 5 principales tipos de identidades de una marca, sin embargo aunque no siempre todas se aplican para la marca que estamos gestionando, es imprescindible que tomemos en cuenta las dos fundamentales: Identidad visual Identidad corporativa. 3. Aplicaciones. Los detalles e instrucciones técnicas de un manual deben también visualizarse con su implementación. Así tendremos una guía de como funcionan todos los parámetros establecidos y dejar claro el uso de la marca en diferentes productos y piezas impresas/digitales. _____ Para ver tutoriales paso a paso…no olvide visitar ✅ https://youtube.com/titocampos No olvide visitar mi blog para mas tips, lecturas y recursos gratuitos ➡️ https://blog.titocampos.com Más contenido en los enlaces de la biografía ➡️ https://links.titocampos.com _____ Marca Manual
#diseño#marca#brandin#manual#gestionMarca#tips#3partesimportantes#3partes#aplicaciones#identidades#identidadMarca#partesDeUnManual#introduccion#tiposIdentidades
0 notes
Text
Allah Is The One & Only True Deity
Allah is the only true God
There Is Nothing Worthy Of Worship Except Allah
youtube
youtube
youtube
There Is Nothing Worthy Of Worship Except Allah
Allah is the only true Deity.
Tawheed basically means the Oneness of Allah. There is only 1 true God, and that is Allah. Tawhid is the indivisible oneness concept of monotheism in Islam. Tawhid is the religion's central and single most important concept, upon which a Muslim's entire religious adherence rests. It unequivocally holds that God in Islam is One and Sing Tawheed is made up of three parts:.Tawhid means believing in Allah Alone as God and Lord & attributing to Him Alone all the attributes of Lordship and divinity. Tawhid is made up of 3 parts; Tawhid al-Rububiyyah (Oneness of Divine Lordship), Tawhid al-Uluhiyyah (Oneness of Divinity) &Tawheed al-Asma wa’l-Sifat (Oneness of Names and Attributes.
Allah is the only true God
Tawheed basically means the Oneness of Allah. There is only 1 true God, and that is Allah. Tawhid is the indivisible oneness concept of monotheism in Islam. Tawhid is the religion's central and single most important concept, upon which a Muslim's entire religious adherence rests. It unequivocally holds that God in Islam is One and Sing #Tawheed is made up of three parts: Tawhid means believing in Allah Alone as God and Lord & attributing to Him Alone all the attributes of Lordship and divinity. Tawhid is made up of 3 parts; Tawhid al-Rububiyyah (Oneness of Divine Lordship), Tawhid al-Uluhiyyah (Oneness of Divinity) &Tawheed al-Asma wa’l-Sifat (Oneness of Names and Attributes.
Allah is the only true God
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawheed basically means the Oneness of Allah. There is only 1 true God, and that is Allah. Tawhid is the indivisible oneness concept of monotheism in Islam. Tawhid is the religion's central and single most important concept, upon which a Muslim's entire religious adherence rests. It unequivocally holds that God in Islam is One and Sing #Tawheed is made up of three parts: Tawhid means believing in Allah Alone as God and Lord & attributing to Him Alone all the attributes of Lordship and divinity. Tawhid is made up of 3 parts; Tawhid al-Rububiyyah (Oneness of Divine Lordship), Tawhid al-Uluhiyyah (Oneness of Divinity) &Tawheed al-Asma wa’l-Sifat (Oneness of Names and Attributes.
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawhid: At the centre of all Islamic belief is the belief in one God-Allah. There is no other God but Allah and there is no one comparable to Him. We will never understand Allah as His nature supersedes our limited minds. We are created by Allah but He is not Himself created. Allah is the Unique,Omnipotent and Only Deity and Creator of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Deity' except Allah. Allah is Exalted Above His ‘Arsh (Mighty Throne’). Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Allah's Word. Qur'an is final revelation & guidance for mankind.
youtube
youtube
youtube
Tawheed - The first call of the Messengers
Tawheed is to knowing, believing, declaring, obeying the oneness and uniqueness of Allah. The Oneness of Allah i.e. Tawheed consists of three parts. (i) Tawheed ar-Rububiyyah (Maintaining the Oneness of Allah's Lordship). (ii) Tawheed al-Asma-Was-Sifat (Maintaining the Oneness of Allah's Names and Attributes). (iii) Tawheed al-Ibadah (maintaining unity of worship). Allah is the only 'true Lord'. In all matters related to Allah, Allah is One, Sole, Final, Perfect and without partners. He has no peer or equivalent. Allah is to be known by His most beautiful Names and Perfect Attributes. From the first man and the first Prophet Adam (a.s.) to the last Prophet Muhammad, may Allah bless him and grant him peace, the basic call of all prophets and messengers was 'La ilaha illAllah' (there is no 'true God' but Allah). Namely: 'La Ilaha IllAllah Adamu Shafiullah'', 'La Ilaha IllAllah Nuhun Naziullah'', 'La Ilaha IllAllah Ibrahim Khalilullah', 'La Ilaha IllAllah Muhammadur Rasulullah'. Rejecting Taghut is the root of Tawheed.
youtube
youtube
youtube
youtube
Allah is the only true Deity
There Is Nothing Worthy Of Worship Except Allah
Allah is the only true God
There is no 'true God' except Allah
#allah'snature#allahswt#ALLAH#GOD#DEITY#RABB#ILAH#LORD#TAWHEED#TAWHID#TAUHID#LAILAHAILLALLAH#MARIAM65#MONOTHEISM#ALLAH'SONENESS#ALLAH'SNATURE#ALAHAD#Tawheed#Shahada#Tauhid#LailahaillAllah#Allah'sNature#Allah'sOneness#Allah'sUniqueness#Monotheism#Allah'sUnicity#CompleteTawhid#3Parts#Puretawhid#Allah'sIdentity
1 note
·
View note
Text
Allah Is The One & Only True Deity
Allah is the only true God
There Is Nothing Worthy Of Worship Except Allah
youtube
youtube
youtube
There Is Nothing Worthy Of Worship Except Allah
Allah is the only true Deity.
Tawheed basically means the Oneness of Allah. There is only 1 true God, and that is Allah. Tawhid is the indivisible oneness concept of monotheism in Islam. Tawhid is the religion's central and single most important concept, upon which a Muslim's entire religious adherence rests. It unequivocally holds that God in Islam is One and Sing Tawheed is made up of three parts:.Tawhid means believing in Allah Alone as God and Lord & attributing to Him Alone all the attributes of Lordship and divinity. Tawhid is made up of 3 parts; Tawhid al-Rububiyyah (Oneness of Divine Lordship), Tawhid al-Uluhiyyah (Oneness of Divinity) &Tawheed al-Asma wa’l-Sifat (Oneness of Names and Attributes.
Allah is the only true God
Tawheed basically means the Oneness of Allah. There is only 1 true God, and that is Allah. Tawhid is the indivisible oneness concept of monotheism in Islam. Tawhid is the religion's central and single most important concept, upon which a Muslim's entire religious adherence rests. It unequivocally holds that God in Islam is One and Sing #Tawheed is made up of three parts: Tawhid means believing in Allah Alone as God and Lord & attributing to Him Alone all the attributes of Lordship and divinity. Tawhid is made up of 3 parts; Tawhid al-Rububiyyah (Oneness of Divine Lordship), Tawhid al-Uluhiyyah (Oneness of Divinity) &Tawheed al-Asma wa’l-Sifat (Oneness of Names and Attributes.
Allah is the only true God
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawheed basically means the Oneness of Allah. There is only 1 true God, and that is Allah. Tawhid is the indivisible oneness concept of monotheism in Islam. Tawhid is the religion's central and single most important concept, upon which a Muslim's entire religious adherence rests. It unequivocally holds that God in Islam is One and Sing #Tawheed is made up of three parts: Tawhid means believing in Allah Alone as God and Lord & attributing to Him Alone all the attributes of Lordship and divinity. Tawhid is made up of 3 parts; Tawhid al-Rububiyyah (Oneness of Divine Lordship), Tawhid al-Uluhiyyah (Oneness of Divinity) &Tawheed al-Asma wa’l-Sifat (Oneness of Names and Attributes.
Allah's indivisible unicity is Tawhid
Tawhid: At the centre of all Islamic belief is the belief in one God-Allah. There is no other God but Allah and there is no one comparable to Him. We will never understand Allah as His nature supersedes our limited minds. We are created by Allah but He is not Himself created. Allah is the Unique,Omnipotent and Only Deity and Creator of the universe. Our Lord is Allah SWT. There is no 'True God' / 'True Deity' except Allah. Allah is Exalted Above His ‘Arsh (Mighty Throne’). Know Allah by His Most Beautiful Names & Lofty Attributes (Asma Was Sifat). Holy Qur'an is Allah's Word. Qur'an is final revelation & guidance for mankind.
youtube
youtube
youtube
Tawheed - The first call of the Messengers
Tawheed is to knowing, believing, declaring, obeying the oneness and uniqueness of Allah. The Oneness of Allah i.e. Tawheed consists of three parts. (i) Tawheed ar-Rububiyyah (Maintaining the Oneness of Allah's Lordship). (ii) Tawheed al-Asma-Was-Sifat (Maintaining the Oneness of Allah's Names and Attributes). (iii) Tawheed al-Ibadah (maintaining unity of worship). Allah is the only 'true Lord'. In all matters related to Allah, Allah is One, Sole, Final, Perfect and without partners. He has no peer or equivalent. Allah is to be known by His most beautiful Names and Perfect Attributes. From the first man and the first Prophet Adam (a.s.) to the last Prophet Muhammad, may Allah bless him and grant him peace, the basic call of all prophets and messengers was 'La ilaha illAllah' (there is no 'true God' but Allah). Namely: 'La Ilaha IllAllah Adamu Shafiullah'', 'La Ilaha IllAllah Nuhun Naziullah'', 'La Ilaha IllAllah Ibrahim Khalilullah', 'La Ilaha IllAllah Muhammadur Rasulullah'. Rejecting Taghut is the root of Tawheed.
youtube
youtube
youtube
youtube
Allah is the only true Deity
There Is Nothing Worthy Of Worship Except Allah
Allah is the only true God
There is no 'true God' except Allah
#allahswt#allah'snature#whoisallah#trueGod#ALLAH#GOD#DEITY#RABB#ILAH#LORD#TAWHEED#TAWHID#TAUHID#LAILAHAILLALLAH#MARIAM65#MONOTHEISM#ALLAH'SONENESS#ALLAH'SNATURE#ALAHAD#Tawheed#Shahada#Tauhid#LailahaillAllah#Allah'sNature#Allah'sOneness#Allah'sUniqueness#Monotheism#Allah'sUnicity#CompleteTawhid#3Parts
1 note
·
View note
Text
Materpost
Hello! I’m Winte_ry! You can call me Winter, Ry or Leona if you prefer! I’m 21 years old, I’m a graphic designer and I’m currently studying at a university to get illustration degree!You can find my comic’s here and some basic questions with answers! Have an amazing day and welcome here!
Can we repost your artwork?
Definiatly not. Please respect my work.
Can we make fanart of your au’s and oc’s?
Yes if you tag me properly!
-Hair comic-
1part - 2part - 3part - 4part - 5part - 6part - 7part - 8part
-Healing comic-
1part - 2part - 3part - 4part - 5part - 6part - 7part - 8part - 9part
-I’m sorry-
1part - 2part - 3part (sensitive) - 4part - 5part - 6part
-Leopold-
Leopold -teachers -
C0mission informations
1K notes
·
View notes
Photo
Overwatch | «Recall» Overwatch | «Общий Сбор» Please, let’s reblog my gifs, and send on the people. ^^
15 notes
·
View notes
Text
on my knees for the 3part harmony in Throwing In The Towel
27 notes
·
View notes