#ইসলাম
Explore tagged Tumblr posts
Text

১৫ই মে, ২০২৫।
আজ একটি নতুন কিতাব পড়া শুরু করলাম।
সালেহ আহমাদ শামি রচিত 'আসহাবে সুফফাহ: ইতিহাস ও প্রচলিত ভ্রান্তি'। অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন আব্দুর রহমান আদ-দাখিল।
বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা আছে:
যেকোনো ঘটনার সামগ্রিক চিত্র এড়িয়ে তার একটি খন্ডাংশের ওপর নির্ভর করে ফলাফল বের করা হলে, খুব স্বাভাবিকভাবেই ফলাফলটা সঠিক হয় না। আসহাবে সুফফাহ আমাদের মধ্যে খুব পরিচিত একটি নাম।
প্রচলিত ধারণামতে, সাহাবিদের মধ্যকার একটি স্বতন্ত্র ফজিলতপূর্ণ দল এটি। ফলে নানা কায়দায় ও আয়োজনে সুফফাহর অনুসরণ ও অনুকরণের মধ্য দিয়ে আমরা গৌরব অনুভব করি। তবে বিষ্ময়কর হলেও সত্য যে, আসহাবে সুফফাহ বিষয়ে আমাদের চিন্তা ও ধারণাগুলো বহুলাংশেই ভুল। আর এসব ভুল তৈরি হয়েছে মূলত ঘটনার সামগ্রিক চিত্রের পরিবর্তে খন্ডাংশের ওপর নির্ভরতার কারণে।
0 notes
Text










ইসলামে নারী অধিকার
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
ইসলাম নারীকে সর্বোচ্�� সম্মান দিয়েছে। কখনো মা হিসেবে, কখনো স্ত্রী হিসেবে, কখনো মেয়ে হিসেবে, আবার কখনো বোন হিসেবে।
ইসলাম আগমনের আগে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগে নারীরা ছিল চরম অবহেলিত, ঘৃণিত। তখন তাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পর্যন্ত হরণ করা হতো।
কন্যাসন্তানকে জীবিত মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্মম ঘটনাও ঘটেছিল সে সময়। ইসলাম এসে এই বর্বরতা রুখে দিয়েছে। ইসলাম সম্মান নিয়ে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করেছে। একসময় নারীদের উত্তরাধিকার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হতো, ইসলাম তা কঠোরভাবে বন্ধ করেছে।
নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় ইসলাম প্রয়োজনীয় সব বিধান দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে সুরা ‘নিসা’ (অর্থ : নারী) নামে একটি সুরাও আছে।
ইসলামে নারীর সম্মান বিষয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য
নারী যখন মা : মহান আল্লাহ নারীকে মায়ের মর্যাদা দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআন-হাদিসে মাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ জারি করেছেন যে তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৩)
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), মানুষের মধ্যে আমার সদ্ব্যবহারের সর্বাপেক্ষা অধিকারী ব্যক্তি কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এর পরও তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তার পরও তোমার মা।সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এরপর তোমার পিতা। (মুসলিম, হাদিস : ৬৩৯৪)
সুবহানাল্লাহ! এতে করে স্পষ্ট হয়ে যায়, ইসলাম সর্বোচ্চ নারীকে সম্মান দেয় বলেই আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের সম্মানের ব্যাপারে এতটা গুরুত্বারোপ করেছেন।
নারী যখন স্ত্রী : নারী যখন স্ত্রী, তখনো তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ নারীদের তাঁর বিশেষ নিদর্শন বলে আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ২১)
ইসলাম নারীকে রানির মর্যাদা দিয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে। একজন শাসক সে তার অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার পরিবারের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন স্ত্রী তার স্বামীর গৃহের রক্ষক, সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন গোলাম তার মনিবের সম্পদের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব সাবধান, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫১৮৮)
নারী যখন মেয়ে : ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, সন্তানরা আল্লাহর নিয়ামত। আর মেয়েসন্তানরা পুণ্য। মহান আল্লাহ নিয়ামতের হিসাব নেন, আর পুণ্যের প্রতিদান দেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তিকে কন্যাসন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে, সেই কন্যাসন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড় (প্রতিবন্ধক) হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১৩)
নারী যখন বোন : ইসলাম মেয়ে এবং বোনের সঙ্গেও সদাচরণ করার তাগিদ দিয়েছে। আবু সাঈদ আল-খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারই তিনটি মেয়ে অথবা তিনটি বোন আছে, সে তাদের সঙ্গে স্নেহপূর্ণ ব্যবহার করলে জান্নাতে যাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১২)
নারী যখন অনাত্মীয় : নারী অনাত্মীয় হলেও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের সৌন্দর্য। তার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকা সবার দায়িত্ব। ইসলামের ইতিহাসে নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় বনু কাইনুকা গোত্রের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এক সাহাবি তার মুসলিম বোনের সম্ভ্রম রক্ষায় জীবন দিয়ে দিয়েছেন।
আবু আওন থেকে ইবনে হিশাম বর্ণনা করেছেন, একদিন জনৈকা মুসলিম নারী বনুু কাইনুকা গোত্রের বাজারে দুধ বিক্রি করে বিশেষ কোনো প্রয়োজনে এক ইহুদি স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। কয়েকজন দুর্বৃত্ত ইহুদি তাঁর মুখের নেকাব খোলানোর অপচেষ্টা করে, তাতে ওই নারী অস্বীকৃতি জানান। ওই স্বর্ণকার গোপনে মুসলিম নারীটির (অগোচরে) পরিহিত বস্ত্রের এক প্রান্ত তার পিঠের ওপরে গিঁট দিয়ে দেয়, তিনি তা বুঝতেই পারলেন না। ফলে তিনি উঠতে গিয়ে বিবস্ত্র হয়ে পড়েন। এ ভদ্র মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রত্যক্ষ করে নরপিশাচের দল হো হো করে হাততালি দিতে থাকল। মহিলাটি ক্ষোভে ও লজ্জায় মৃতপ্রায় হয়ে আর্তনাদ করতে লাগলেন। তা শুনে জনৈক (প্রতিবাদী)
মুসলিম ওই স্বর্ণকারকে আক্রমণ করে হত্যা করেন। প্রত্যুত্তরে ইহুদিরা মুসলিম লোকটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে হত্যা করে।
এরপর নিহত মুসলিমটির পরিবারবর্গ চিৎকার করে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের কাছে ফরিয়াদ করেন। এর ফলে মুসলিম ও বনু কাইনুকার ইহুদিদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত বাধে। প্রায় ১৫ দিন সে গোত্রের দুর্গ অবরোধ করে রাখার পর তাদের সবাইকে বন্দি করা হয়। (ইবনে হিশাম : ২/৪৭, আর রাহিকুল মাখতুম [বাংলা] : ২৪০/২৪২)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে অনুধাবন করা যায় যে ইসলাম নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার প্রতি কতটা গুরুত্ব দিয়েছে।
যে ১০ কারণে নারী গর্ববোধ করতে পারেন ১. সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারিণী একজন নারী। ২. ইসলামের জন্য সর্বপ্রথম জীবন দিয়েছে একজন নারী। ৩.মেয়েদের সাথে সদাচারণের জন্য আল্লাহ এবং রাসুলের ওসিয়ত। ৪. পরিবারের কাছে ভালো হতে পারলে তবেই ভালো। ৫. কুরআনে নারীদের জন্য একটি সূরা নির্ধারিত আছে। ৬. তাদের জন্য জান্নাত সহজ। ৭. মায়েদেরকে বাবাদের উপড়ে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ৮. নারীদের জন্য জেহাদ এবং শাহাদাতের সওয়াব । ৯. কন্যা সন্তানের মা/বাবা হওয়া জান্নাতে গ্যারান্টি । ১০ মেয়ে বা বোন সাথে সদাচারণ নবীর সাথে…
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
The dignity and rights of women in Islam
#ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার#The dignity and rights of women in Islam#women#rights#dignity#Islam#নারী#অধিকার#মর্যাদা#ইসলাম#Youtube
0 notes
Text










ইসলামে নারী অধিকার
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। কখনো মা হিসেবে, কখনো স্ত্রী হিসেবে, কখনো মেয়ে হিসেবে, আবার কখনো বোন হিসেবে।
ইসলাম আগমনের আগে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগে নারীরা ছিল চরম অবহেলিত, ঘৃণিত। তখন তাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পর্যন্ত হরণ করা হতো।
কন্যাসন্তানকে জীবিত মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্মম ঘটনাও ঘটেছিল সে সময়। ইসলাম এসে এই বর্বরতা রুখে দিয়েছে। ইসলাম সম্মান নিয়ে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করেছে। একসময় নারীদের উত্তরাধিকার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হতো, ইসলাম তা কঠোরভাবে বন্ধ করেছে।
নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় ইসলাম প্রয়োজনীয় সব বিধান দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে সুরা ‘নিসা’ (অর্থ : নারী) নামে একটি সুরাও আছে।
ইসলামে নারীর সম্মান বিষয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য
নারী যখন মা : মহান আল্লাহ নারীকে মায়ের মর্যাদা দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআন-হাদিসে মাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ জারি করেছেন যে তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৩)
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), মানুষের মধ্যে আমার সদ্ব্যবহারের সর্বাপেক্ষা অধিকারী ব্যক্তি কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এর পরও তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তার পরও তোমার মা।সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এরপর তোমার পিতা। (মুসলিম, হাদিস : ৬৩৯৪)
সুবহানাল্লাহ! এতে করে স্পষ্ট হয়ে যায়, ইসলাম সর্বোচ্চ নারীকে সম্মান দেয় বলেই আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের সম্মানের ব্যাপারে এতটা গুরুত্বারোপ করেছেন।
নারী যখন স্ত্রী : নারী যখন স্ত্রী, তখনো তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ নারীদের তাঁর বিশেষ নিদর্শন বলে আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ২১)
ইসলাম নারীকে রানির মর্যাদা দিয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে। একজন শাসক সে তার অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার পরিবারের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন স্ত্রী তার স্বামীর গৃহের রক্ষক, সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন গোলাম তার মনিবের সম্পদের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব সাবধান, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫১৮৮)
নারী যখন মেয়ে : ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, সন্তানরা আল্লাহর নিয়ামত। আর মেয়েসন্তানরা পুণ্য। মহান আল্লাহ নিয়ামতের হিসাব নেন, আর পুণ্যের প্রতিদান দেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তিকে কন্যাসন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে, সেই কন্যাসন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড় (প্রতিবন্ধক) হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১৩)
নারী যখন বোন : ইসলাম মেয়ে এবং বোনের সঙ্গেও সদাচরণ করার তাগিদ দিয়েছে। আবু সাঈদ আল-খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারই তিনটি মেয়ে অথবা তিনটি বোন আছে, সে তাদের সঙ্গে স্নেহপূর্ণ ব্যবহার করলে জান্নাতে যাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১২)
নারী যখন অনাত্মীয় : নারী অনাত্মীয় হলেও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের সৌন্দর্য। তার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকা সবার দায়িত্ব। ইসলামের ইতিহাসে নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় বনু কাইনুকা গোত্রের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এক সাহাবি তার মুসলিম বোনের সম্ভ্রম রক্ষায় জীবন দিয়ে দিয়েছেন।
আবু আওন থেকে ইবনে হিশাম বর্ণনা করেছেন, একদিন জনৈকা মুসলিম নারী বনুু কাইনুকা গোত্রের বাজারে দুধ বিক্রি করে বিশেষ কোনো প্রয়োজনে এক ইহুদি স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। কয়েকজন দুর্বৃত্ত ইহুদি তাঁর মুখের নেকাব খোলানোর অপচেষ্টা করে, তাতে ওই নারী অস্বীকৃতি জানান। ওই স্বর্ণকার গোপনে মুসলিম নারীটির (অগোচরে) পরিহিত বস্ত্রের এক প্রান্ত তার পিঠের ওপরে গিঁট দিয়ে দেয়, তিনি তা বুঝতেই পারলেন না। ফলে তিনি উঠতে গিয়ে বিবস্ত্র হয়ে পড়েন। এ ভদ্র মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রত্যক্ষ করে নরপিশাচের দল হো হো করে হাততালি দিতে থাকল। মহিলাটি ক্ষোভে ও লজ্জায় মৃতপ্রায় হয়ে আর্তনাদ করতে লাগলেন। তা শুনে জনৈক (প্রতিবাদী)
মুসলিম ওই স্বর্ণকারকে আক্রমণ করে হত্যা করেন। প্রত্যুত্তরে ইহুদিরা মুসলিম লোকটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে হত্যা করে।
এরপর নিহত মুসলিমটির পরিবারবর্গ চিৎকার করে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের কাছে ফরিয়াদ করেন। এর ফলে মুসলিম ও বনু কাইনুকার ইহুদিদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত বাধে। প্রায় ১৫ দিন সে গোত্রের দুর্গ অবরোধ করে রাখার পর তাদের সবাইকে বন্দি করা হয়। (ইবনে হিশাম : ২/৪৭, আর রাহিকুল মাখতুম [বাংলা] : ২৪০/২৪২)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে অনুধাবন করা যায় যে ইসলাম নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার প্রতি কতটা গুরুত্ব দিয়েছে।
যে ১০ কারণে নারী গর্ববোধ করতে পারেন ১. সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারিণী একজন নারী। ২. ইসলামের জন্য সর্বপ্রথম জীবন দিয়েছে একজন নারী। ৩.মেয়েদের সাথে সদাচারণের জন্য আল্লাহ এবং রাসুলের ওসিয়ত। ৪. পরিবারের কাছে ভালো হতে পারলে তবেই ভালো। ৫. কুরআনে নারীদের জন্য একটি সূরা নির্ধারিত আছে। ৬. তাদের জন্য জান্নাত সহজ। ৭. মায়েদেরকে বাবাদের উপড়ে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ৮. নারীদের জন্য জেহাদ এবং শাহাদাতের সওয়াব । ৯. কন্যা সন্তানের মা/বাবা হওয়া জান্নাতে গ্যারান্টি । ১০ মেয়ে বা বোন সাথে সদাচারণ নবীর সাথে…
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
The dignity and rights of women in Islam
#ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার#The dignity and rights of women in Islam#women#rights#dignity#Islam#নারী#অধিকার#মর্যাদা#ইসলাম#Youtube
0 notes
Text










ইসলামে নারী অধিকার
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। কখনো মা হিসেবে, কখনো স্ত্রী হিসেবে, কখনো মেয়ে হিসেবে, আবার কখনো বোন হিসেবে।
ইসলাম আগমনের আগে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগে নারীরা ছিল চরম অবহেলিত, ঘৃণিত। তখন তাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পর্যন্ত হরণ করা হতো।
কন্যাসন্তানকে জীবিত মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্মম ঘটনাও ঘটেছিল সে সময়। ইসলাম এসে এই বর্বরতা রুখে দিয়েছে। ইসলাম সম্মান নিয়ে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করেছে। একসময় নারীদের উত্তরাধিকার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হতো, ইসলাম তা কঠোরভাবে বন্ধ করেছে।
নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় ইসলাম প্রয়োজনীয় সব বিধান দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে সুরা ‘নিসা’ (অর্থ : নারী) নামে একটি সুরাও আছে।
ইসলামে নারীর সম্মান বিষয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য
নারী যখন মা : মহান আল্লাহ নারীকে মায়ের মর্যাদা দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআন-হাদিসে মাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ জারি করেছেন যে তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৩)
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), মানুষের মধ্যে আমার সদ্ব্যবহারের সর্বাপেক্ষা অধিকারী ব্যক্তি কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এর পরও তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তার পরও তোমার মা।সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এরপর তোমার পিতা। (মুসলিম, হাদিস : ৬৩৯৪)
সুবহানাল্লাহ! এতে করে স্পষ্ট হয়ে যায়, ইসলাম সর্বোচ্চ নারীকে সম্মান দেয় বলেই আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের সম্মানের ব্যাপারে এতটা গুরুত্বারোপ করেছেন।
নারী যখন স্ত্রী : নারী যখন স্ত্রী, তখনো তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ নারীদের তাঁর বিশেষ নিদর্শন বলে আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ২১)
ইসলাম নারীকে রানির মর্যাদা দিয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে। একজন শাসক সে তার অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার পরিবারের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন স্ত্রী তার স্বামীর গৃহের রক্ষক, সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন গোলাম তার মনিবের সম্পদের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব সাবধান, তোমরা প্���ত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫১৮৮)
নারী যখন মেয়ে : ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, সন্তানরা আল্লাহর নিয়ামত। আর মেয়েসন্তানরা পুণ্য। মহান আল্লাহ নিয়ামতের হিসাব নেন, আর পুণ্যের প্রতিদান দেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তিকে কন্যাসন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে, সেই কন্যাসন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড় (প্রতিবন্ধক) হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১৩)
নারী যখন বোন : ইসলাম মেয়ে এবং বোনের সঙ্গেও সদাচরণ করার তাগিদ দিয়েছে। আবু সাঈদ আল-খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারই তিনটি মেয়ে অথবা তিনটি বোন আছে, সে তাদের সঙ্গে স্নেহপূর্ণ ব্যবহার করলে জান্নাতে যাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১২)
নারী যখন অনাত্মীয় : নারী অনাত্মীয় হলেও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের সৌন্দর্য। তার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকা সবার দায়িত্ব। ইসলামের ইতিহাসে নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় বনু কাইনুকা গোত্রের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এক সাহাবি তার মুসলিম বোনের সম্ভ্রম রক্ষায় জীবন দিয়ে দিয়েছেন।
আবু আওন থেকে ইবনে হিশাম বর্ণনা করেছেন, একদিন জনৈকা মুসলিম নারী বনুু কাইনুকা গোত্রের বাজারে দুধ বিক্রি করে বিশেষ কোনো প্রয়োজনে এক ইহুদি স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। কয়েকজন দুর্বৃত্ত ইহুদি তাঁর মুখের নেকাব খোলানোর অপচেষ্টা করে, তাতে ওই নারী অস্বীকৃতি জানান। ওই স্বর্ণকার গোপনে মুসলিম নারীটির (অগোচরে) পরিহিত বস্ত্রের এক প্রান্ত তার পিঠের ওপরে গিঁট দিয়ে দেয়, তিনি তা বুঝতেই পারলেন না। ফলে তিনি উঠতে গিয়ে বিবস্ত্র হয়ে পড়েন। এ ভদ্র মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রত্যক্ষ করে নরপিশাচের দল হো হো করে হাততালি দিতে থাকল। মহিলাটি ক্ষোভে ও লজ্জায় মৃতপ্রায় হয়ে আর্তনাদ করতে লাগলেন। তা শুনে জনৈক (প্রতিবাদী)
মুসলিম ওই স্বর্ণকারকে আক্রমণ করে হত্যা করেন। প্রত্যুত্তরে ইহুদিরা মুসলিম লোকটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে হত্যা করে।
এরপর নিহত মুসলিমটির পরিবারবর্গ চিৎকার করে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের কাছে ফরিয়াদ করেন। এর ফলে মুসলিম ও বনু কাইনুকার ইহুদিদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত বাধে। প্রায় ১৫ দিন সে গোত্রের দুর্গ অবরোধ করে রাখার পর তাদের সবাইকে বন্দি করা হয়। (ইবনে হিশাম : ২/৪৭, আর রাহিকুল মাখতুম [বাংলা] : ২৪০/২৪২)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে অনুধাবন করা যায় যে ইসলাম নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার প্রতি কতটা গুরুত্ব দিয়েছে।
যে ১০ কারণে নারী গর্ববোধ করতে পারেন ১. সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারিণী একজন নারী। ২. ইসলামের জন্য সর্বপ্রথম জীবন দিয়েছে একজন নারী। ৩.মেয়েদের সাথে সদাচারণের জন্য আল্লাহ এবং রাসুলের ওসিয়ত। ৪. পরিবারের কাছে ভালো হতে পারলে তবেই ভালো। ৫. কুরআনে নারীদের জন্য একটি সূরা নির্ধারিত আছে। ৬. তাদের জন্য জান্নাত সহজ। ৭. মায়েদেরকে বাবাদের উপড়ে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ৮. নারীদের জন্য জেহাদ এবং শাহাদাতের সওয়াব । ৯. কন্যা সন্তানের মা/বাবা হওয়া জান্নাতে গ্যারান্টি । ১০ মেয়ে বা বোন সাথে সদাচারণ নবীর সাথে…
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
The dignity and rights of women in Islam
#ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার#The dignity and rights of women in Islam#women#rights#dignity#Islam#নারী#অধিকার#মর্যাদা#ইসলাম#Youtube
0 notes
Text










ইসলামে নারী অধিকার
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। কখনো মা হিসেবে, কখনো স্ত্রী হিসেবে, কখনো মেয়ে হিসেবে, আবার কখনো বোন হিসেবে।
ইসলাম আগমনের আগে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগে নারীরা ছিল চরম অবহেলিত, ঘৃণিত। তখন তাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পর্যন্ত হরণ করা হতো।
কন্যাসন্তানকে জীবিত মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্মম ঘটনাও ঘটেছিল সে সময়। ইসলাম এসে এই বর্বরতা রুখে দিয়েছে। ইসলাম সম্মান নিয়ে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করেছে। একসময় নারীদের উত্তরাধিকার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হতো, ইসলাম তা কঠোরভাবে বন্ধ করেছে।
নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় ইসলাম প্রয়োজনীয় সব বিধান দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে সুরা ‘নিসা’ (অর্থ : নারী) নামে একটি সুরাও আছে।
ইসলামে নারীর সম্মান বিষয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য
নারী যখন মা : মহান আল্লাহ নারীকে মায়ের মর্যাদা দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআন-হাদিসে মাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ জারি করেছেন যে তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৩)
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), মানুষের মধ্যে আমার সদ্ব্যবহারের সর্বাপেক্ষা অধিকারী ব্যক্তি কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এর পরও তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তার পরও তোমার মা।সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এরপর তোমার পিতা। (মুসলিম, হাদিস : ৬৩৯৪)
সুবহানাল্লাহ! এতে করে স্পষ্ট হয়ে যায়, ইসলাম সর্বোচ্চ নারীকে সম্মান দেয় বলেই আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের সম্মানের ব্যাপারে এতটা গুরুত্বারোপ করেছেন।
নারী যখন স্ত্রী : নারী যখন স্ত্রী, তখনো তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ নারীদের তাঁর বিশেষ নিদর্শন বলে আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ২১)
ইসলাম নারীকে রানির মর্যাদা দিয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে। একজন শাসক সে তার অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার পরিবারের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন স্ত্রী তার স্বামীর গৃহের রক্ষক, সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন গোলাম তার মনিবের সম্পদের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব সাবধান, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫১৮৮)
নারী যখন মেয়ে : ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, সন্তানরা আল্লাহর নিয়ামত। আর মেয়েসন্তানরা পুণ্য। মহান আল্লাহ নিয়ামতের হিসাব নেন, আর পুণ্যের প্রতিদান দেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তিকে কন্যাসন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে, সেই কন্যাসন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড় (প্রতিবন্ধক) হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১৩)
নারী যখন বোন : ইসলাম মেয়ে এবং বোনের সঙ্গেও সদাচরণ করার তাগিদ দিয়েছে। আবু সাঈদ আল-খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারই তিনটি মেয়ে অথবা তিনটি বোন আছে, সে তাদের সঙ্গে স্নেহপূর্ণ ব্যবহার করলে জান্নাতে যাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১২)
নারী যখন অনাত্মীয় : নারী অনাত্মীয় হলেও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের সৌন্দর্য। তার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকা সবার দায়িত্ব। ইসলামের ইতিহাসে নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় বনু কাইনুকা গোত্রের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এক সাহাবি তার মুসলিম বোনের সম্ভ্রম রক্ষায় জীবন দিয়ে দিয়েছেন।
আবু আওন থেকে ইবনে হিশাম বর্ণনা করেছেন, একদিন জনৈকা মুসলিম নারী বনুু কাইনুকা গোত্রের বাজারে দুধ বিক্রি করে বিশেষ কোনো প্রয়োজনে এক ইহুদি স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। কয়েকজন দুর্বৃত্ত ইহুদি তাঁর মুখের নেকাব খোলানোর অপচেষ্টা করে, তাতে ওই নারী অস্বীকৃতি জানান। ওই স্বর্ণকার গোপনে মুসলিম নারীটির (অগোচরে) পরিহিত বস্ত্রের এক প্রান্ত তার পিঠের ওপরে গিঁট দিয়ে দেয়, তিনি তা বুঝতেই পারলেন না। ফলে তিনি উঠতে গিয়ে বিবস্ত্র হয়ে পড়েন। এ ভদ্র মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রত্যক্ষ করে নরপিশাচের দল হো হো করে হাততালি দিতে থাকল। মহিলাটি ক্ষোভে ও লজ্জায় মৃতপ্রায় হয়ে আর্তনাদ করতে লাগলেন। তা শুনে জনৈক (প্রতিবাদী)
মুসলিম ওই স্বর্ণকারকে আক্রমণ করে হত্যা করেন। প্রত্যুত্তরে ইহুদিরা মুসলিম লোকটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে হত্যা করে।
এরপর নিহত মুসলিমটির পরিবারবর্গ চিৎকার করে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের কাছে ফরিয়াদ করেন। এর ফলে মুসলিম ও বনু কাইনুকার ইহুদিদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত বাধে। প্রায় ১৫ দিন সে গোত্রের দুর্গ অবরোধ করে রাখার পর তাদের সবাইকে বন্দি করা হয়। (ইবনে হিশাম : ২/৪৭, আর রাহিকুল মাখতুম [বাংলা] : ২৪০/২৪২)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে অনুধাবন করা যায় যে ইসলাম নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার প্রতি কতটা গুরুত্ব দিয়েছে।
যে ১০ কারণে নারী গর্ববোধ করতে পারেন ১. সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারিণী একজন নারী। ২. ইসলামের জন্য সর্বপ্রথম জীবন দিয়েছে একজন নারী। ৩.মেয়েদের সাথে সদাচারণের জন্য আল্লাহ এবং রাসুলের ওসিয়ত। ৪. পরিবারের কাছে ভালো হতে পারলে তবেই ভালো। ৫. কুরআনে নারীদের জন্য একটি সূরা নির্ধারিত আছে। ৬. তাদের জন্য জান্নাত সহজ। ৭. মায়েদেরকে বাবাদের উপড়ে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ৮. নারীদের জন্য জেহাদ এবং শাহাদাতের সওয়াব । ৯. কন্যা সন্তানের মা/বাবা হওয়া জান্নাতে গ্যারান্টি । ১০ মেয়ে বা বোন সাথে সদাচারণ নবীর সাথে…
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
The dignity and rights of women in Islam
#ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার#The dignity and rights of women in Islam#women#rights#dignity#Islam#নারী#অধিকার#মর্যাদা#ইসলাম#Youtube
0 notes
Text










ইসলামে নারী অধিকার
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। কখনো মা হিসেবে, কখনো স্ত্রী হিসেবে, কখনো মেয়ে হিসেবে, আবার কখনো বোন হিসেবে।
ইসলাম আগমনের আগে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগে নারীরা ছিল চরম অবহেলিত, ঘৃণিত। তখন তাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পর্যন্ত হরণ করা হতো।
কন্যাসন্তানকে জীবিত মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্মম ঘটনাও ঘটেছিল সে সময়। ইসলাম এসে এই বর্বরতা রুখে দিয়েছে। ইসলাম সম্মান নিয়ে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করেছে। একসময় নারীদের উত্তরাধিকার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হতো, ইসলাম তা কঠোরভাবে বন্ধ করেছে।
নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় ইসলাম প্রয়োজনীয় সব বিধান দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে সুরা ‘নিসা’ (অর্থ : নারী) নামে একটি সুরাও আছে।
ইসলামে নারীর সম্মান বিষয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য
নারী যখন মা : মহান আল্লাহ নারীকে মায়ের মর্যাদা দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআন-হাদিসে মাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ জারি করেছেন যে তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৩)
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), মানুষের মধ্যে আমার সদ্ব্যবহারের সর্বাপেক্ষা অধিকারী ব্যক্তি কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এর পরও তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তার পরও তোমার মা।সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এরপর তোমার পিতা। (মুসলিম, হাদিস : ৬৩৯৪)
সুবহানাল্লাহ! এতে করে স্পষ্ট হয়ে যায়, ইসলাম সর্বোচ্চ নারীকে সম্মান দেয় বলেই আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের সম্মানের ব্যাপারে এতটা গুরুত্বারোপ করেছেন।
নারী যখন স্ত্রী : নারী যখন স্ত্রী, তখনো তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ নারীদের তাঁর বিশেষ নিদর্শন বলে আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ২১)
ইসলাম নারীকে রানির মর্যাদা দিয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে। একজন শাসক সে তার অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার পরিবারের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন স্ত্রী তার স্বামীর গৃহের রক্ষক, সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন গোলাম তার মনিবের সম্পদের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব সাবধান, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫১৮৮)
নারী যখন মেয়ে : ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, সন্তানরা আল্লাহর নিয়ামত। আর মেয়েসন্তানরা পুণ্য। মহান আল্লাহ নিয়ামতের হিসাব নেন, আর পুণ্যের প্রতিদান দেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তিকে কন্যাসন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে, সেই কন্যাসন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড় (প্রতিবন্ধক) হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১৩)
নারী যখন বোন : ইসলাম মেয়ে এবং বোনের সঙ্গেও সদাচরণ করার তাগিদ দিয়েছে। আবু সাঈদ আল-খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারই তিনটি মেয়ে অথবা তিনটি বোন আছে, সে তাদের সঙ্গে স্নেহপূর্ণ ব্যবহার করলে জান্নাতে যাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১২)
নারী যখন অনাত্মীয় : নারী অনাত্মীয় হলেও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের সৌন্দর্য। তার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকা সবার দায়িত্ব। ইসলামের ইতিহাসে নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় বনু কাইনুকা গোত্রের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এক সাহাবি তার মুসলিম বোনের সম্ভ্রম রক্ষায় জীবন দিয়ে দিয়েছেন।
আবু আওন থেকে ইবনে হিশাম বর্ণনা করেছেন, একদিন জনৈকা মুসলিম নারী বনুু কাইনুকা গোত্রের বাজারে দুধ বিক্রি করে বিশেষ কোনো প্রয়োজনে এক ইহুদি স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। কয়েকজন দুর্বৃত্ত ইহুদি তাঁর মুখের নেকাব খোলানোর অপচেষ্টা করে, তাতে ওই নারী অস্বীকৃতি জানান। ওই স্বর্ণকার গোপনে মুসলিম নারীটির (অগোচরে) পরিহিত বস্ত্রের এক প্রান্ত তার পিঠের ওপরে গিঁট দিয়ে দেয়, তিনি তা বুঝতেই পারলেন না। ফলে তিনি উঠতে গিয়ে বিবস্ত্র হয়ে পড়েন। এ ভদ্র মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রত্যক্ষ করে নরপিশাচের দল হো হো করে হাততালি দিতে থাকল। মহিলাটি ক্ষোভে ও লজ্জায় মৃতপ্রায় হয়ে আর্তনাদ করতে লাগলেন। তা শুনে জনৈক (প্রতিবাদী)
মুসলিম ওই স্বর্ণকারকে আক্রমণ করে হত্যা করেন। প্রত্যুত্তরে ইহুদিরা মুসলিম লোকটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে হত্যা করে।
এরপর নিহত মুসলিমটির পরিবারবর্গ চিৎকার করে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের কাছে ফরিয়াদ করেন। এর ফলে মুসলিম ও বনু কাইনুকার ইহুদিদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত বাধে। প্রায় ১৫ দিন সে গোত্রের দুর্গ অবরোধ করে রাখার পর তাদের সবাইকে বন্দি করা হয়। (ইবনে হিশাম : ২/৪৭, আর রাহিকুল মাখতুম [বাংলা] : ২৪০/২৪২)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে অনুধাবন করা যায় যে ইসলাম নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার প্রতি কতটা গুরুত্ব দিয়েছে।
যে ১০ কারণে নারী গর্ববোধ করতে পারেন ১. সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারিণী একজন নারী। ২. ইসলামের জন্য সর্বপ্রথম জীবন দিয়েছে একজন নারী। ৩.মেয়েদের সাথে সদাচারণের জন্য আল্লাহ এবং রাসুলের ওসিয়ত। ৪. পরিবারের কাছে ভালো হতে পারলে তবেই ভালো। ৫. কুরআনে নারীদের জন্য একটি সূরা নির্ধারিত আছে। ৬. তাদের জন্য জান্নাত সহজ। ৭. মায়েদেরকে বাবাদের উপড়ে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ৮. নারীদের জন্য জেহাদ এবং শাহাদাতের সওয়াব । ৯. কন্যা সন্তানের মা/বাবা হওয়া জান্নাতে গ্যারান্টি । ১০ মেয়ে বা বোন সাথে সদাচারণ নবীর সাথে…
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
The dignity and rights of women in Islam
#ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার#The dignity and rights of women in Islam#women#rights#dignity#Islam#নারী#অধিকার#মর্যাদা#ইসলাম#Youtube
0 notes
Text










ইসলামে নারী অধিকার
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। কখনো মা হিসেবে, কখনো স্ত্রী হিসেবে, কখনো মেয়ে হিসেবে, আবার কখনো বোন হিসেবে।
ইসলাম আগমনের আগে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগে নারীরা ছিল চরম অবহেলিত, ঘৃণিত। তখন তাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পর্যন্ত হরণ করা হতো।
কন্যাসন্তানকে জীবিত মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্মম ঘটনাও ঘটেছিল সে সময়। ইসলাম এসে এই বর্বরতা রুখে দিয়েছে। ইসলাম সম্মান নিয়ে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করেছে। একসময় নারীদের উত্তরাধিকার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হতো, ইসলাম তা কঠোরভাবে বন্ধ করেছে।
নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় ইসলাম প্রয়োজনীয় সব বিধান দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে সুরা ‘নিসা’ (অর্থ : নারী) নামে একটি সুরাও আছে।
ইসলামে নারীর সম্মান বিষয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য
নারী যখন মা : মহান আল্লাহ নারীকে মায়ের মর্যাদা দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআন-হাদিসে মাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ জারি করেছেন যে তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৩)
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), মানুষের মধ্যে আমার সদ্ব্যবহারের সর্বাপেক্ষা অধিকারী ব্যক্তি কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এর পরও তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তার পরও তোমার মা।সে বলল, এরপর কে? তিনি বলেন, এরপর তোমার পিতা। (মুসলিম, হাদিস : ৬৩৯৪)
সুবহানাল্লাহ! এতে করে স্পষ্ট হয়ে যায়, ইসলাম সর্বোচ্চ নারীকে সম্মান দেয় বলেই আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের সম্মানের ব্যাপারে এতটা গুরুত্বারোপ করেছেন।
নারী যখন স্ত্রী : নারী যখন স্ত্রী, তখনো তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ নারীদের তাঁর বিশেষ নিদর্শন বলে আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ২১)
ইসলাম নারীকে রানির মর্যাদা দিয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে। একজন শাসক সে তার অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার পরিবারের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন স্ত্রী তার স্বামীর গৃহের রক্ষক, সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন গোলাম তার মনিবের সম্পদের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব সাবধান, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫১৮৮)
নারী যখন মেয়ে : ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, সন্তানরা আল্লাহর নিয়ামত। আর মেয়েসন্তানরা পুণ্য। মহান আল্লাহ নিয়ামতের হিসাব নেন, আর পুণ্যের প্রতিদান দেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তিকে কন্যাসন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে, সেই কন্যাসন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড় (প্রতিবন্ধক) হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১৩)
নারী যখন বোন : ইসলাম মেয়ে এবং বোনের সঙ্গেও সদাচরণ করার তাগিদ দিয়েছে। আবু সাঈদ আল-খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারই তিনটি মেয়ে অথবা তিনটি বোন আছে, সে তাদের সঙ্গে স্নেহপূর্ণ ব্যবহার করলে জান্নাতে যাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১২)
নারী যখন অনাত্মীয় : নারী অনাত্মীয় হলেও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের সৌন্দর্য। তার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকা সবার দায়িত্ব। ইসলামের ইতিহাসে নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় বনু কাইনুকা গোত্রের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এক সাহাবি তার মুসলিম বোনের সম্ভ্রম রক্ষায় জীবন দিয়ে দিয়েছেন।
আবু আওন থেকে ইবনে হিশাম বর্ণনা করেছেন, একদিন জনৈকা মুসলিম নারী বনুু কাইনুকা গোত্রের বাজারে দুধ বিক্রি করে বিশেষ কোনো প্রয়োজনে এক ইহুদি স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। কয়েকজন দুর্বৃত্ত ইহুদি তাঁর মুখের নেকাব খোলানোর অপচেষ্টা করে, তাতে ওই নারী অস্বীকৃতি জানান। ওই স্বর্ণকার গোপনে মুসলিম নারীটির (অগোচরে) পরিহিত বস্ত্রের এক প্রান্ত তার পিঠের ওপরে গিঁট দিয়ে দেয়, তিনি তা বুঝতেই পারলেন না। ফলে তিনি উঠতে গিয়ে বিবস্ত্র হয়ে পড়েন। এ ভদ্র মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রত্যক্ষ করে নরপিশাচের দল হো হো করে হাততালি দিতে থাকল। মহিলাটি ক্ষোভে ও লজ্জায় মৃতপ্রায় হয়ে আর্তনাদ করতে লাগলেন। তা শুনে জনৈক (প্রতিবাদী)
মুসলিম ওই স্বর্ণকারকে আক্রমণ করে হত্যা করেন। প্রত্যুত্তরে ইহুদিরা মুসলিম লোকটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে হত্যা করে।
এরপর নিহত মুসলিমটির পরিবারবর্গ চিৎকার করে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের কাছে ফরিয়াদ করেন। এর ফলে মুসলিম ও বনু কাইনুকার ইহুদিদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত বাধে। প্রায় ১৫ দিন সে গোত্রের দুর্গ অবরোধ করে রাখার পর তাদের সবাইকে বন্দি করা হয়। (ইবনে হিশাম : ২/৪৭, আর রাহিকুল মাখতুম [বাংলা] : ২৪০/���৪২)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে অনুধাবন করা যায় যে ইসলাম নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার প্রতি কতটা গুরুত্ব দিয়েছে।
যে ১০ কারণে নারী গর্ববোধ করতে পারেন ১. সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারিণী একজন নারী। ২. ইসলামের জন্য সর্বপ্রথম জীবন দিয়েছে একজন নারী। ৩.মেয়েদের সাথে সদাচারণের জন্য আল্লাহ এবং রাসুলের ওসিয়ত। ৪. পরিবারের কাছে ভালো হতে পারলে তবেই ভালো। ৫. কুরআনে নারীদের জন্য একটি সূরা নির্ধারিত আছে। ৬. তাদের জন্য জান্নাত সহজ। ৭. মায়েদেরকে বাবাদের উপড়ে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ৮. নারীদের জন্য জেহাদ এবং শাহাদাতের সওয়াব । ৯. কন্যা সন্তানের মা/বাবা হওয়া জান্নাতে গ্যারান্টি । ১০ মেয়ে বা বোন সাথে সদাচারণ নবীর সাথে…
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার
The dignity and rights of women in Islam
#ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার#The dignity and rights of women in Islam#women#rights#dignity#Islam#নারী#অধিকার#মর্যাদা#ইসলাম#Youtube
0 notes
Text
#ইসলাম নারী পুরুষ সব মানুষের জন্য পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান।ইসলামকে অনুসরণ করুন।নারীদের জন্য আলাদা #আইন প্রয়োজন হবে না।
0 notes
Text
youtube
সকল কাজের সমাধান ও সফলতা আর যে কাউকে বাধ্য বশ ও আনুগত্য করার আমল || Sokol kajer somadhan paowar amol
Watch Now
#সকলকাজেরসমাধানওসফলতাআরযেকাউকেবাধ্যবশওআনুগত্যকরারআমলSokolkajersomadhanpaowaramol#সকলকাজেরসমাধানওসফলতাআরযেকাউকেবাধ্যবশওআনুগত্যকরারআমল#Sokolkajersomadhanpaowaramol#দোয়া#dua#আমল#amol#ইসলাম#islam#বাধ্যবশওআনুগত্যকরারআমল#আনুগত্যকরারআমল#Youtube
0 notes
Text
youtube
#artists on tumblr#alex hirsch#alien romulus#acne#academia#amazingphil#100 days of productivity#baking#assad zaman#alien 1979#আস্ সুন্নাহ ফাউন্ডেশণ#ইসলামিক শিক্ষা#ইসলাম#ই#Youtube
0 notes
Text
#কুরআন#ইসলাম#online quran academy#quran reading#al quran#quranandsunnah#quran ayah#quran kareem#দোয়া
0 notes
Text











ঈমান, ইসলাম ও এহসান — পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তিন স্তর:
youtube
youtube
youtube
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
মহান রাব্বুল আল আমিন সৃষ্টি করেছেন কুল কায়েনাত। সৃষ্টি করেছেন মানবকুল। প্রেরণ করেছেন নবী-রাসুল। শেষ জামানার মানুষের পথপ্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন স্বীয় প্রিয় হাবিব মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে।
দান করেছেন শ্রেষ্ঠ জীবন বিধান আল কোরআন। ঘোষণা করেছেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বিন একমাত্র ইসলাম।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
১. ঈমান : ঈমান অর্থ—শরিয়তের যাবতীয় হুকুম-আহকাম অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা এবং এগুলোকে নিজের দ্বিন হিসেবে বরণ করে নেওয়া। পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যিনি শরিয়তের বিষয়গুলোকে গভীরভাবে বিশ্বাস করেন এবং এগুলোর মৌলিক স্বীকৃতিসহ বাস্তব জীবনে পূর্ণাঙ্গভাবে আমল করে চলেন।
ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। আমান্তু বিল্লাহি, ওয়া মালা-ইকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রুসুলিহি, ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল কাদরি খাইরিহি ওয়া শাররিহি মিনাল্লাহি তাআলা, অর্থাৎ—আমি ঈমান আনলাম মহান আল্লাহর ওপর, তাঁর ফেরেশতাদের ওপর, তাঁর কিতাবগুলোর ওপর, তাঁর রাসুলদের ওপর, আখিরাতের ওপর, তাকদিরের ভালো-মন্দ সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—এর ওপর ।
উল্লিখিত মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস ছাড়া ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। যিনি এগুলোতে আন্তরিক বিশ্বাস রাখবেন তাঁকেই মুমিন বলা হবে।
২. আমল : আমল বিভিন্ন প্রকার রয়েছে : যথা—ইবাদত, মুআমালাত (লেনদেন), মুআশারাত (আচার-আচরণ), সিয়াসাত (রাষ্ট্রনীতি), ইকতিসাদিয়্যাত (অর্থনীতি), দাওয়াত ও জিহাদ ইত্যাদি।
ক. ইবাদত : ইবাদত চার প্রকার—নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ। পৃথিবীতে লোভ-লালসার মধ্যেও মানুষ যেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনকে ভুল�� না যায় তাই দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায় করার হুকুম দেওয়া হয়েছে।
নিজের মধ্যে তাকওয়া ও সংযম অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বছরে এক মাস রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামর্থ্যবান ব্যক্তি প্রতিবছর নিজ অর্থ-সম্পদ থেকে ৪০ ভাগের এক ভাগ এবং উৎপন্ন শস্যের ১০ ভাগের এক ভাগ অথবা ক্ষেত্রভেদে ২০ ভাগের এক ভাগ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রদান করার বিধান রয়েছে। এমনিভাবে সামর্থ্যবান হলে আল্লাহর মহব্বতে মাতোয়ারা হয়ে জীবনে একবার হজ আদায় করার হুকুম রয়েছে।
খ. মুআমালাত বা লেনদেন : মুআলামাত তথা লেনদেনের ক্ষেত্রে আমানতদারি ও সততা ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষাগুলোর অন্যতম। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, যে ব্যক্তি নিজের লেনদেন ও কাজ-কারবারে সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত, অঙ্গীকারপূর্ণ করে, মানুষকে ধোঁকা দেয় না, আমানতের খেয়ানত করে না, মানুষের হক নষ্ট করে না, ওজনে কম দেয় না, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং সুদ-ঘুষসহ যাবতীয় অবৈধ রোজগার থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলে, সেই প্রকৃত মুসলিম।
গ. মুআশারাত বা আচার-আচরণ : মুআশারাত তথা সামাজিক জীবনের আচার-আচরণে যাতে শিষ্টাচারের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং মানুষ পরস্পর ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করতে পারে, সে জন্য ইসলাম এ বিষয়ের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। পরিবারে, সমাজে ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, আপন-পর, নর-নারী সবার প্রতি কিরূপ ব্যবহার করতে হবে এ ক্ষেত্রেও ইসলামের বিধি-বিধান রয়েছে। একজন মুসলমানের জন্য তাও মেনে চলা আবশ্যক।
ঘ. সিয়াসাত বা রাষ্ট্রনীতি : ইসলাম যেহেতু পূর্ণাঙ্গ দ্বিন, তাই রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও ইসলাম নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ইসলামে রাষ্ট্রনীতি ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার ও ইসলামী বিধি-বিধান প্রত্যাখ্যানকারীর শাস্তি প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। দেশ-জাতির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে সামরিক শক্তি অর্জনও প্রয়োজন।
ঙ. ইকতিসাদিয়্যাত বা অর্থনীতি : অর্থ উপার্জন ও ব্যয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি কিভাবে পরিচালনা করতে হবে এ ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর বিধান মেন��� চলা একান্ত জরুরি। অর্থনৈতিক জীবনে যাতে ভারসাম্য ক্ষুণ্ন না হয় সে জন্য শরিয়তের সীমা লঙ্ঘন করে আপন প্রবৃত্তি ও খেয়ালখুশি মোতাবেক উপার্জন ও ব্যয় করাকে ইসলামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হালাল-হারামের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। গরিব যেন অনাহারে-অর্ধাহারে মারা না যায় সে জন্য জাকাত, উশর, খারাজ ইত্যাদির বিধান চালু করা হয়েছে। কেউ যেন অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়ে তুলতে না পারে সে জন্য কঠোর নির্দেশ রয়েছে। আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টিকারী শোষণমূলক সুদ প্রথাকে রহিত করা হয়েছে। আরো রহিত করা হয়েছে জুয়া, লটারি, কালোবাজারিসহ অবৈধ অর্থ উপার্জনের যাবতীয় পন্থা-পদ্ধতি।
চ. দাওয়াত ও জিহাদ : ইসলাম শাশ্বত জীবনব্যবস্থা। এ দ্বিনকে টিকিয়ে রাখতে হলে দাওয়াতের বিকল্প নেই। দাওয়াত মানে পথহারা মানুষকে আল্লাহর দিকে; সিরাতে মুস্তাকিমের দিকে আহ্বান করা। সব নবী-রাসুল দাওয়াতের আমল করেছেন। কোরআন ও হাদিসে এর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যারা অসৎ কাজে বাধা দেয় না, তাদের অভিশপ্ত বলা হয়েছে।
দাওয়াতের পাশাপাশি জিহাদও ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। জীবনের সর্বক্ষেত্রে দ্বিনের নির্দেশগুলো জিন্দা করা এবং ইসলামের অনুশাসন মেনে চলা যেমন একজন মুমিনের দায়িত্ব, তেমনি দ্বিনের হেফাজতের জন্য প্রয়োজনে জান-মাল উৎসর্গ করাও কর্তব্য।
৩. ইহসান ও আধ্যাত্মিকতা : ইহসানের মূল বক্তব্য হলো—ক্রোধ, লোভ, মোহ, হিংসা-বিদ্বেষ, গিবত, অপবাদ, মিথ্যা অহংকার ইত্যাদি মন্দ স্বভাব থেকে পাক-পবিত্র থাকা এবং ইখলাস, আমানতদারী, বিনয় ও নম্রতা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের দ্বারা নিজেকে শোভিত করা।
আত্মাই দেহ পরিচালনা করে, দেহ আত্মাকে নয়। নবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে একটি গোশতের টুকরা আছে। তা ঠিক থাকলে গোটা শরীর সুস্থ থাকে। আর তা বিনষ্ট হলে গোটা শরীরই ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে যায়। জেনে রাখো, ওই গোশতের টুকরাটি হলো মানুষের কলব বা আত্মা।’ (বুখারি, ৫২)
মানুষের নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার উন্নতি সাধন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যার পূর্ণতা বিধানের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘সচ্চরিত্রের পূর্ণতা বিধানের জন্য আমি প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমাদ, ৮৯৫২)। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমান, ইসলাম ও এহসান — পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তিন স্তর
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
1 note
·
View note
Text











ঈমান, ইসলাম ও এহসান — পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তিন স্তর:
youtube
youtube
youtube
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
মহান রাব্বুল আল আমিন সৃষ্টি করেছেন কুল কায়েনাত। সৃষ্টি করেছেন মানবকুল। প্রেরণ করেছেন নবী-রাসুল। শেষ জামানার মানুষের পথপ্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন স্বীয় প্রিয় হাবিব মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে।
দান করেছেন শ্রেষ্ঠ জীবন বিধান আল কোরআন। ঘোষণা করেছেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বিন একমাত্র ইসলাম।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
১. ঈমান : ঈমান অর্থ—শরিয়তের যাবতীয় হুকুম-আহকাম অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা এবং এগুলোকে নিজের দ্বিন হিসেবে বরণ করে নেওয়া। পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যিনি শরিয়তের বিষয়গুলোকে গভীরভাবে বিশ্বাস করেন এবং এগুলোর মৌলিক স্বীকৃতিসহ বাস্তব জীবনে পূর্ণাঙ্গভাবে আমল করে চলেন।
ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। আমান্তু বিল্লাহি, ওয়া মালা-ইকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রুসুলিহি, ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল কাদরি খাইরিহি ওয়া শাররিহি মিনাল্লাহি তাআলা, অর্থাৎ—আমি ঈমান আনলাম মহান আল্লাহর ওপর, তাঁর ফেরেশতাদের ওপর, তাঁর কিতাবগুলোর ওপর, তাঁর রাসুলদের ওপর, আখিরাতের ওপর, তাকদিরের ভালো-মন্দ সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—এর ওপর ।
উল্লিখিত মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস ছাড়া ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। যিনি এগুলোতে আন্তরিক বিশ্বাস রাখবেন তাঁকেই মুমিন বলা হবে।
২. আমল : আমল বিভিন্ন প্রকার রয়েছে : যথা—ইবাদত, মুআমালাত (লেনদেন), মুআশারাত (আচার-আচরণ), সিয়াসাত (রাষ্ট্রনীতি), ইকতিসাদিয়্যাত (অর্থনীতি), দাওয়াত ও জিহাদ ইত্যাদি।
ক. ইবাদত : ইবাদত চার প্রকার—নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ। পৃথিবীতে লোভ-লালসার মধ্যেও মানুষ যেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনকে ভুলে না যায় তাই দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায় করার হুকুম দেওয়া হয়েছে।
নিজের মধ্যে তাকওয়া ও সংযম অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বছরে এক মাস রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামর্থ্যবান ব্যক্তি প্রতিবছর নিজ অর্থ-সম্পদ থেকে ৪০ ভাগের এক ভাগ এবং উৎপন্ন শস্যের ১০ ভাগের এক ভাগ অথবা ক্ষেত্রভেদে ২০ ভাগের এক ভাগ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রদান করার বিধান রয়েছে। এমনিভাবে সামর্থ্যবান হলে আল্লাহর মহব্বতে মাতোয়ারা হয়ে জীবনে একবার হজ আদায় করার হুকুম রয়েছে।
খ. মুআমালাত বা লেনদেন : মুআলামাত তথা লেনদেনের ক্ষেত্রে আমানতদারি ও সততা ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষাগুলোর অন্যতম। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, যে ব্যক্তি নিজের লেনদেন ও কাজ-কারবারে সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত, অঙ্গীকারপূর্ণ করে, মানুষকে ধোঁকা দেয় না, আমানতের খেয়ানত করে না, মানুষের হক নষ্ট করে না, ওজনে কম দেয় না, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং সুদ-ঘুষসহ যাবতীয় অবৈধ রোজগার থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলে, সেই প্রকৃত মুসলিম।
গ. মুআশারাত বা আচার-আচরণ : মুআশারাত তথা সামাজিক জীবনের আচার-আচরণে যাতে শিষ্টাচারের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং মানুষ পরস্পর ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করতে পারে, সে জন্য ইসলাম এ বিষয়ের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। পরিবারে, সমাজে ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, আপন-পর, নর-নারী সবার প্রতি কিরূপ ব্যবহার করতে হবে এ ক্ষেত্রেও ইসলামের বিধি-বিধান রয়েছে। একজন মুসলমানের জন্য তাও মেনে চলা আবশ্যক।
ঘ. সিয়াসাত বা রাষ্ট্রনীতি : ইসলাম যেহেতু পূর্ণাঙ্গ দ্বিন, তাই রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও ইসলাম নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ইসলামে রাষ্ট্রনীতি ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার ও ইসলামী বিধি-বিধান প্রত্যাখ্যানকারীর শাস্তি প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। দেশ-জাতির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে সামরিক শক্তি অর্জনও প্রয়োজন।
ঙ. ইকতিসাদিয়্যাত বা অর্থনীতি : অর্থ উপার্জন ও ব্যয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি কিভাবে পরিচালনা করতে হবে এ ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলা একান্ত জরুরি। অর্থনৈতিক জীবনে যাতে ভারসাম্য ক্ষুণ্ন না হয় সে জন্য শরিয়তের সীমা লঙ্ঘন করে আপন প্রবৃত্তি ও খেয়ালখুশি মোতাবেক উপার্জন ও ব্যয় করাকে ইসলামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হালাল-হারামের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। গরিব যেন অনাহারে-অর্ধাহারে মারা না যায় সে জন্য জাকাত, উশর, খারাজ ইত্যাদির বিধান চালু করা হয়েছে। কেউ যেন অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়ে তুলতে না পারে সে জন্য কঠোর নির্দেশ রয়েছে। আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টিকারী শোষণমূলক সুদ প্রথাকে রহিত করা হয়েছে। আরো রহিত করা হয়েছে জুয়া, লটারি, কালোবাজারিসহ অবৈধ অর্থ উপার্জনের যাবতীয় পন্থা-পদ্ধতি।
চ. দাওয়াত ও জিহাদ : ইসলাম শাশ্বত জীবনব্যবস্থা। এ দ্বিনকে টিকিয়ে রাখতে হলে দাওয়াতের বিকল্প নেই। দাওয়াত মানে পথহারা মানুষকে আল্লাহর দিকে; সিরাতে মুস্তাকিমের দিকে আহ্বান করা। সব নবী-রাসুল দাওয়াতের আমল করেছেন। কোরআন ও হাদিসে এর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যারা অসৎ কাজে বাধা দেয় না, তাদের অভিশপ্ত বলা হয়েছে।
দাওয়াতের পাশাপাশি জিহাদও ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। জীবনের সর্বক্ষেত্রে দ্বিনের নির্দেশগুলো জিন্দা করা এবং ইসলামের অনুশাসন মেনে চলা যেমন একজন মুমিনের দায়িত্ব, তেমনি দ্বিনের হেফাজতের জন্য প্রয়োজনে জান-মাল উৎসর্গ করাও কর্তব্য।
৩. ইহসান ও আধ্যাত্মিকতা : ইহসানের মূল বক্তব্য হলো—ক্রোধ, লোভ, মোহ, হিংসা-বিদ্বেষ, গিবত, অপবাদ, মিথ্যা অহংকার ইত্যাদি মন্দ স্বভাব থেকে পাক-পবিত্র থাকা এবং ইখলাস, আমানতদারী, বিনয় ও নম্রতা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের দ্বারা নিজেকে শোভিত করা।
আত্মাই দেহ পরিচালনা করে, দেহ আত্মাকে নয়। নবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে একটি গোশতের টুকরা আছে। তা ঠিক থাকলে গোটা শরীর সুস্থ থাকে। আর তা বিনষ্ট হলে গোটা শরীরই ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে যায়। জেনে রাখো, ওই গোশতের টুকরাটি হলো মানুষের কলব বা আত্মা।’ (বুখারি, ৫২)
মানুষের নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার উন্নতি সাধন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যার পূর্ণতা বিধানের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘সচ্চরিত্রের পূর্ণতা বিধানের জন্য আমি প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমাদ, ৮৯৫২)। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমান, ইসলাম ও এহসান — পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তিন স্তর
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
1 note
·
View note
Text











ঈমান, ইসলাম ও এহসান — পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তিন স্তর:
youtube
youtube
youtube
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
মহান রাব্বুল আল আমিন সৃষ্টি করেছেন কুল কায়েনাত। সৃষ্টি করেছেন মানবকু���। প্রেরণ করেছেন নবী-রাসুল। শেষ জামানার মানুষের পথপ্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন স্বীয় প্রিয় হাবিব মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে।
দান করেছেন শ্রেষ্ঠ জীবন বিধান আল কোরআন। ঘোষণা করেছেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বিন একমাত্র ইসলাম।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
১. ঈমান : ঈমান অর্থ—শরিয়তের যাবতীয় হুকুম-আহকাম অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা এবং এগুলোকে নিজের দ্বিন হিসেবে বরণ করে নেওয়া। পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যিনি শরিয়তের বিষয়গুলোকে গভীরভাবে বিশ্বাস করেন এবং এগুলোর মৌলিক স্বীকৃতিসহ বাস্তব জীবনে পূর্ণাঙ্গভাবে আমল করে চলেন।
ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। আমান্তু বিল্লাহি, ওয়া মালা-ইকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রুসুলিহি, ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল কাদরি খাইরিহি ওয়া শাররিহি মিনাল্লাহি তাআলা, অর্থাৎ—আমি ঈমান আনলাম মহান আল্লাহর ওপর, তাঁর ফেরেশতাদের ওপর, তাঁর কিতাবগুলোর ওপর, তাঁর রাসুলদের ওপর, আখিরাতের ওপর, তাকদিরের ভালো-মন্দ সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—এর ওপর ।
উল্লিখিত মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস ছাড়া ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। যিনি এগুলোতে আন্তরিক বিশ্বাস রাখবেন তাঁকেই মুমিন বলা হবে।
২. আমল : আমল বিভিন্ন প্রকার রয়েছে : যথা—ইবাদত, মুআমালাত (লেনদেন), মুআশারাত (আচার-আচরণ), সিয়াসাত (রাষ্ট্রনীতি), ইকতিসাদিয়্যাত (অর্থনীতি), দাওয়াত ও জিহাদ ইত্যাদি।
ক. ইবাদত : ইবাদত চার প্রকার—নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ। পৃথিবীতে লোভ-লালসার মধ্যেও মানুষ যেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনকে ভুলে না যায় তাই দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায় করার হুকুম দেওয়া হয়েছে।
নিজের মধ্যে তাকওয়া ও সংযম অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বছরে এক মাস রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামর্থ্যবান ব্যক্তি প্রতিবছর নিজ অর্থ-সম্পদ থেকে ৪০ ভাগের এক ভাগ এবং উৎপন্ন শস্যের ১০ ভাগের এক ভাগ অথবা ক্ষেত্রভেদে ২০ ভাগের এক ভাগ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রদান করার বিধান রয়েছে। এমনিভাবে সামর্থ্যবান হলে আল্লাহর মহব্বতে মাতোয়ারা হয়ে জীবনে একবার হজ আদায় করার হুকুম রয়েছে।
খ. মুআমালাত বা লেনদেন : মুআলামাত তথা লেনদেনের ক্ষেত্রে আমানতদারি ও সততা ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষাগুলোর অন্যতম। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, যে ব্যক্তি নিজের লেনদেন ও কাজ-কারবারে সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত, অঙ্গীকারপূর্ণ করে, মানুষকে ধোঁকা দেয় না, আমানতের খেয়ানত করে না, মানুষের হক নষ্ট করে না, ওজনে কম দেয় না, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং সুদ-ঘুষসহ যাবতীয় অবৈধ রোজগার থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলে, সেই প্রকৃত মুসলিম।
গ. মুআশারাত বা আচার-আচরণ : মুআশারাত তথা সামাজিক জীবনের আচার-আচরণে যাতে শিষ্টাচারের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং মানুষ পরস্পর ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করতে পারে, সে জন্য ইসলাম এ বিষয়ের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। পরিবারে, সমাজে ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, আপন-পর, নর-নারী সবার প্রতি কিরূপ ব্যবহার করতে হবে এ ক্ষেত্রেও ইসলামের বিধি-বিধান রয়েছে। একজন মুসলমানের জন্য তাও মেনে চলা আবশ্যক।
ঘ. সিয়াসাত বা রাষ্ট্রনীতি : ইসলাম যেহেতু পূর্ণাঙ্গ দ্বিন, তাই রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও ইসলাম নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ইসলামে রাষ্ট্রনীতি ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার ও ইসলামী বিধি-বিধান প্রত্যাখ্যানকারীর শাস্তি প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। দেশ-জাতির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে সামরিক শক্তি অর্জনও প্রয়োজন।
ঙ. ইকতিসাদিয়্যাত বা অর্থনীতি : অর্থ উপার্জন ও ব্যয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি কিভাবে পরিচালনা করতে হবে এ ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলা একান্ত জরুরি। অর্থনৈতিক জীবনে যাতে ভারসাম্য ক্ষুণ্ন না হয় সে জন্য শরিয়তের সীমা লঙ্ঘন করে আপন প্রবৃত্তি ও খেয়ালখুশি মোতাবেক উপার্জন ও ব্যয় করাকে ইসলামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হালাল-হারামের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। গরিব যেন অনাহারে-অর্ধাহারে মারা না যায় সে জন্য জাকাত, উশর, খারাজ ইত্যাদির বিধান চালু করা হয়েছে। কেউ যেন অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়ে তুলতে না পারে সে জন্য কঠোর নির্দেশ রয়েছে। আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টিকারী শোষণমূলক সুদ প্রথাকে রহিত করা হয়েছে। আরো রহিত করা হয়েছে জুয়া, লটারি, কালোবাজারিসহ অবৈধ অর্থ উপার্জনের যাবতীয় পন্থা-পদ্ধতি।
চ. দাওয়াত ও জিহাদ : ইসলাম শাশ্বত জীবনব্যবস্থা। এ দ্বিনকে টিকিয়ে রাখতে হলে দাওয়াতের বিকল্প নেই। দাওয়াত মানে পথহারা মানুষকে আল্লাহর দিকে; সিরাতে মুস্তাকিমের দিকে আহ্বান করা। সব নবী-রাসুল দাওয়াতের আমল করেছেন। কোরআন ও হাদিসে এর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যারা অসৎ কাজে বাধা দেয় না, তাদের অভিশপ্ত বলা হয়েছে।
দাওয়াতের পাশাপাশি জিহাদও ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। জীবনের সর্বক্ষেত্রে দ্বিনের নির্দেশগুলো জিন্দা করা এবং ইসলামের অনুশাসন মেনে চলা যেমন একজন মুমিনের দায়িত্ব, তেমনি দ্বিনের হেফাজতের জন্য প্রয়োজনে জান-মাল উৎসর্গ করাও কর্তব্য।
৩. ইহসান ও আধ্যাত্মিকতা : ইহসানের মূল বক্তব্য হলো—ক্রোধ, লোভ, মোহ, হিংসা-বিদ্বেষ, গিবত, অপবাদ, মিথ্যা অহংকার ইত্যাদি মন্দ স্বভাব থেকে পাক-পবিত্র থাকা এবং ইখলাস, আমানতদারী, বিনয় ও নম্রতা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের দ্বারা নিজেকে শোভিত করা।
আত্মাই দেহ পরিচালনা করে, দেহ আত্মাকে নয়। নবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে একটি গোশতের টুকরা আছে। তা ঠিক থাকলে গোটা শরীর সুস্থ থাকে। আর তা বিনষ্ট হলে গোটা শরীরই ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে যায়। জেনে রাখো, ওই গোশতের টুকরাটি হলো মানুষের কলব বা আত্মা।’ (বুখারি, ৫২)
মানুষের নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার উন্নতি সাধন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যার পূর্ণতা বিধানের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘সচ্চরিত্রের পূর্ণতা বিধানের জন্য আমি প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমাদ, ৮৯৫২)। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমান, ইসলাম ও এহসান — পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তিন স্তর
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
1 note
·
View note
Text











ঈমান, ইসলাম ও এহসান — পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তিন স্তর:
youtube
youtube
youtube
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টিকুল। সৃষ্টি করেছেন মানবকুল। প্রেরণ করেছেন নবী-রাসুল। শেষ জামানার মানুষের পথপ্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে।
দান করেছেন শ্রেষ্ঠ জীবন বিধান আল কোরআন। ঘোষণা করেছেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বিন একমাত্র ইসলাম।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
১. ঈমান : ঈমান অর্থ—শরিয়তের যাবতীয় হুকুম-আহকাম অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা এবং এগুলোকে নিজের দ্বিন হিসেবে বরণ করে নেওয়া। পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যিনি শরিয়তের বিষয়গুলোকে গভীরভাবে বিশ্বাস করেন এবং এগুলোর মৌখিক স্বীকৃতিসহ বাস্তব জীবনে পূর্ণাঙ্গভাবে আমল করে চলেন।
ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। আমান্তু বিল্লাহি, ওয়া মালা-ইকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রুসুলিহি, ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল কাদরি খাইরিহি ওয়া শাররিহি মিনাল্লাহি তাআলা, অর্থাৎ—আমি ঈমান আনলাম মহান আল্লাহর ওপর, তাঁর ফেরেশতাদের ওপর, তাঁর কিতাবগুলোর ওপর, তাঁর রাসুলদের ওপর, আখিরাতের ওপর, তাকদিরের ভালো-মন্দ সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—এর ওপর ।
উল্লিখিত মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস ছাড়া ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। যিনি এগুলোতে আন্তরিক বিশ্বাস রাখবেন তাঁকেই মুমিন বলা হবে।
২. আমল : আমল বিভিন্ন প্রকার রয়েছে : যথা—ইবাদত, মুআমালাত (লেনদেন), মুআশারাত (আচার-আচরণ), সিয়াসাত (রাষ্ট্রনীতি), ইকতিসাদিয়্যাত (অর্থনীতি), দাওয়াত ও জিহাদ ইত্যাদি।
ক. ইবাদত : ইবাদত চার প্রকার—নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ। পৃথিবীতে লোভ-লালসার মধ্যেও মানুষ যেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনকে ভুলে না যায় তাই দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায় করার হুকুম দেওয়া হয়েছে।
নিজের মধ্যে তাকওয়া ও সংযম অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বছরে এক মাস রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামর্থ্যবান ব্যক্তি প্রতিবছর নিজ অর্থ-সম্পদ থেকে ৪০ ভাগের এক ভাগ এবং উৎপন্ন শস্যের ১০ ভাগের এক ভাগ অথবা ক্ষেত্রভেদে ২০ ভাগের এক ভাগ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রদান করার বিধান রয়েছে। এমনিভাবে সামর্থ্যবান হলে আল্লাহর মহব্বতে মাতোয়ারা হয়ে জীবনে একবার হজ আদায় করার হুকুম রয়েছে।
খ. মুআমালাত বা লেনদেন : মুআলামাত তথা লেনদেনের ক্ষেত্রে আমানতদারি ও সততা ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষাগুলোর অন্যতম। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, যে ব্যক্তি নিজের লেনদেন ও কাজ-কারবারে সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত, অঙ্গীকারপূর্ণ করে, মানুষকে ধোঁকা দেয় না, আমানতের খেয়ানত করে না, মানুষের হক নষ্ট করে না, ওজনে কম দেয় না, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং সুদ-ঘুষসহ যাবতীয় অবৈধ রোজগার থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলে, সেই প্রকৃত মুসলিম।
গ. মুআশারাত বা আচার-আচরণ : মুআশারাত তথা সামাজিক জীবনের আচার-আচরণে যাতে শিষ্টাচারের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং মানুষ পরস্পর ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করতে পারে, সে জন্য ইসলাম এ বিষয়ের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। পরিবারে, সমাজে ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, আপন-পর, নর-নারী সবার প্রতি কিরূপ ব্যবহার করতে হবে এ ক্ষেত্রেও ইসলামের বিধি-বিধান রয়েছে। একজন মুসলমানের জন্য তাও মেনে চলা আবশ্যক।
ঘ. সিয়াসাত বা রাষ্ট্রনীতি : ইসলাম যেহেতু পূর্ণাঙ্গ দ্বিন, তাই রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও ইসলাম নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ইসলামে রাষ্ট্রনীতি ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার ও ইসলামী বিধি-বিধান প্রত্যাখ্যানকারীর শাস্তি প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। দেশ-জাতির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে সামরিক শক্তি অর্জনও প্রয়োজন।
ঙ. ইকতিসাদিয়্যাত বা অর্থনীতি : অর্থ উপার্জন ও ব্যয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি কিভাবে পরিচালনা করতে হবে এ ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলা একান্ত জরুরি। অর্থনৈতিক জীবনে যাতে ভারসাম্য ক্ষুণ্ন না হয় সে জন্য শরিয়তের সীমা লঙ্ঘন করে আপন প্রবৃত্তি ও খেয়ালখুশি মোতাবেক উপার্জন ও ব্যয় করাকে ইসলামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হালাল-হারামের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। গরিব যেন অনাহারে-অর্ধাহারে মারা না যায় সে জন্য জাকাত, উশর, খারাজ ইত্যাদির বিধান চালু করা হয়েছে। কেউ যেন অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়ে তুলতে না পারে সে জন্য কঠোর নির্দেশ রয়েছে। আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টিকারী শোষণমূলক সুদ প্রথাকে রহিত করা হয়েছে। আরো রহিত করা হয়েছে জুয়া, লটারি, কালোবাজারিসহ অবৈধ অর্থ উপার্জনের যাবতীয় পন্থা-পদ্ধতি।
চ. দাওয়াত ও জিহাদ : ইসলাম শাশ্বত জীবনব্যবস্থা। এ দ্বিনকে টিকিয়ে রাখতে হলে দাওয়াতের বিকল্প নেই। দাওয়াত মানে পথহারা মানুষকে আল্লাহর দিকে; সিরাতে মুস্তাকিমের দিকে আহ্বান করা। সব নবী-রাসুল দাওয়াতের আমল করেছেন। কোরআন ও হাদিসে এর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যারা অসৎ কাজে বাধা দেয় না, তাদের অভিশপ্ত বলা হয়েছে।
দাওয়াতের পাশাপাশি জিহাদও ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। জীবনের সর্বক্ষেত্রে দ্বিনের নির্দেশগুলো জিন্দা করা এবং ইসলামের অনুশাসন মেনে চলা যেমন একজন মুমিনের দায়িত্ব, তেমনি দ্বিনের হেফাজতের জন্য প্রয়োজনে জান-মাল উৎসর্গ করাও কর্তব্য।
৩. ইহসান ও আধ্যাত্মিকতা : ইহসানের মূল বক্তব্য হলো—ক্রোধ, লোভ, মোহ, হিংসা-বিদ্বেষ, গিবত, অপবাদ, মিথ্যা অহংকার ইত্যাদি মন্দ স্বভাব থেকে পাক-পবিত্র থাকা এবং ইখলাস, আমানতদারী, বিনয় ও নম্রতা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের দ্বারা নিজেকে শোভিত করা।
আত্মাই দেহ পরিচালনা করে, দেহ আত্মাকে নয়। নবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে একটি গোশতের টুকরা আছে। তা ঠিক থাকলে গোটা শরীর সুস্থ থাকে। আর তা বিনষ্ট হলে গোটা শরীরই ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে যায়। জেনে রাখো, ওই গোশতের টুকরাটি হলো মানুষের কলব বা আত্মা।’ (বুখারি, ৫২)
মানুষের নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার উন্নতি সাধন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যার পূর্ণতা বিধানের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘সচ্চরিত্রের পূর্ণতা বিধানের জন্য আমি প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমাদ, ৮৯৫২)। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমান, ইসলাম ও এহসান — পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তিন স্তর
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
#দ্বীন#দ্বিন#ঈমান#ইসলাম#ইহসান#হাদীসেজিবরীল#Faith#Islam#Ihsan#Deen#Iman#HadithEGibreel#IslamicAqidah#Youtube
0 notes
Text











ঈমান, ইসলাম ও এহসান — পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তিন স্তর:
youtube
youtube
youtube
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টিকুল। সৃষ্টি করেছেন মানবকুল। প্রেরণ করেছেন নবী-রাসুল। শেষ জামানার মানুষের পথপ্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে।
দান করেছেন শ্রেষ্ঠ জীবন বিধান আল কোরআন। ঘোষণা করেছেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বিন একমাত্র ইসলাম।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
১. ঈমান : ঈমান অর্থ—শরিয়তের যাবতীয় হুকুম-আহকাম অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা এবং এগুলোকে নিজের দ্বিন হিসেবে বরণ করে নেওয়া। পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যিনি শরিয়তের বিষয়গুলোকে গভীরভাবে বিশ্বাস করেন এবং এগুলোর মৌখিক স্বীকৃতিসহ বাস্তব জীবনে পূর্ণাঙ্গভাবে আমল করে চলেন।
ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। আমান্তু বিল্লাহি, ওয়া মালা-ইকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রুসুলিহি, ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল কাদরি খাইরিহি ওয়া শাররিহি মিনাল্লাহি তাআলা, অর্থাৎ—আমি ঈমান আনলাম মহান আল্লাহর ওপর, তাঁর ফেরেশতাদের ওপর, তাঁর কিতাবগুলোর ওপর, তাঁর রাসুলদের ওপর, আখিরাতের ওপর, তাকদিরের ভালো-মন্দ সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—এর ওপর ।
উল্লিখিত মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস ছাড়া ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। যিনি এগুলোতে আন্তরিক বিশ্বাস রাখবেন তাঁকেই মুমিন বলা হবে।
২. আমল : আমল বিভিন্ন প্রকার রয়েছে : যথা—ইবাদত, মুআমালাত (লেনদেন), মুআশারাত (আচার-আচরণ), সিয়াসাত (রাষ্ট্রনীতি), ইকতিসাদিয়্যাত (অর্থনীতি), দাওয়াত ও জিহাদ ইত্যাদি।
ক. ইবাদত : ইবাদত চার প্রকার—নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ। পৃথিবীতে লোভ-লালসার মধ্যেও মানুষ যেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনকে ভুলে না যায় তাই দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায় করার হুকুম দেওয়া হয়েছে।
নিজের মধ্যে তাকওয়া ও সংযম অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বছরে এক মাস রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামর্থ্যবান ব্যক্তি প্রতিবছর নিজ অর্থ-সম্পদ থেকে ৪০ ভাগের এক ভাগ এবং উৎপন্ন শস্যের ১০ ভাগের এক ভাগ অথবা ক্ষেত্রভেদে ২০ ভাগের এক ভাগ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রদান করার বিধান রয়েছে। এমনিভাবে সামর্থ্যবান হলে আল্লাহর মহব্বতে মাতোয়ারা হয়ে জীবনে একবার হজ আদায় করার হুকুম রয়েছে।
খ. মুআমালাত বা লেনদেন : মুআলামাত তথা লেনদেনের ক্ষেত্রে আমানতদারি ও সততা ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষাগুলোর অন্যতম। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, যে ব্যক্তি নিজের লেনদেন ও কাজ-কারবারে সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত, অঙ্গীকারপূর্ণ করে, মানুষকে ধোঁকা দেয় না, আমানতের খেয়ানত করে না, মানুষের হক নষ্ট করে না, ওজনে কম দেয় না, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং সুদ-ঘুষসহ যাবতীয় অবৈধ রোজগার থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলে, সেই প্রকৃত মুসলিম।
গ. মুআশারাত বা আচার-আচরণ : মুআশারাত তথা সামাজিক জীবনের আচার-আচরণে যাতে শিষ্টাচারের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং মানুষ পরস্পর ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করতে পারে, সে জন্য ইসলাম এ বিষয়ের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। পরিবারে, সমাজে ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, আপন-পর, নর-নারী সবার প্রতি কিরূপ ব্যবহার করতে হবে এ ক্ষেত্রেও ইসলামের বিধি-বিধান রয়েছে। একজন মুসলমানের জন্য তাও মেনে চলা আবশ্যক।
ঘ. সিয়াসাত বা রাষ্ট্রনীতি : ইসলাম যেহেতু পূর্ণাঙ্গ দ্বিন, তাই রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও ইসলাম নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ইসলামে রাষ্ট্রনীতি ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার ও ইসলামী বিধি-বিধান প্রত্যাখ্যানকারীর শাস্তি প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। দেশ-জাতির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে সামরিক শক্তি অর্জনও প্রয়োজন।
ঙ. ইকতিসাদিয়্যাত বা অর্থনীতি : অর্থ উপার্জন ও ব্যয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি কিভাবে পরিচালনা করতে হবে এ ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলা একান্ত জরুরি। অর্থনৈতিক জীবনে যাতে ভারসাম্য ক্ষুণ্ন না হয় সে জন্য শরিয়তের সীমা লঙ্ঘন করে আপন প্রবৃত্তি ও খেয়ালখুশি মোতাবেক উপার্জন ও ব্যয় করাকে ইসলামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হালাল-হারামের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। গরিব যেন অনাহারে-অর্ধাহারে মারা না যায় সে জন্য জাকাত, উশর, খারাজ ইত্যাদির বিধান চালু করা হয়েছে। কেউ যেন অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়ে তুলতে না পারে সে জন্য কঠোর নির্দেশ রয়েছে। আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টিকারী শোষণমূলক সুদ প্রথাকে রহিত করা হয়েছে। আরো রহিত করা হয়েছে জুয়া, লটারি, কালোবাজারিসহ অবৈধ অর্থ উপার্জনের যাবতীয় পন্থা-পদ্ধতি।
চ. দাওয়াত ও জিহাদ : ইসলাম শাশ্বত জীবনব্যবস্থা। এ দ্বিনকে টিকিয়ে রাখতে হলে দাওয়াতের বিকল্প নেই। দাওয়াত মানে পথহারা মানুষকে আল্লাহর দিকে; সিরাতে মুস্তাকিমের দিকে আহ্বান করা। সব নবী-রাসুল দাওয়াতের আমল করেছেন। কোরআন ও হাদিসে এর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যারা অসৎ কাজে বাধা দেয় না, তাদের অভিশপ্ত বলা হয়েছে।
দাওয়াতের পাশাপাশি জিহাদও ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। জীবনের সর্বক্ষেত্রে দ্বিনের নির্দেশগুলো জিন্দা করা এবং ইসলামের অনুশাসন মেনে চলা যেমন একজন মুমিনের দায়িত্ব, তেমনি দ্বিনের হেফাজতের জন্য প্রয়োজনে জান-মাল উৎসর্গ করাও কর্তব্য।
৩. ইহসান ও আধ্যাত্মিকতা : ইহসানের মূল বক্তব্য হলো—ক্রোধ, লোভ, মোহ, হিংসা-বিদ্বেষ, গিবত, অপবাদ, মিথ্যা অহংকার ইত্যাদি মন্দ স্বভাব থেকে পাক-পবিত্র থাকা এবং ইখলাস, আমানতদারী, বিনয় ও নম্রতা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি উত্তম চরিত্রের দ্বারা নিজেকে শোভিত করা।
আত্মাই দেহ পরিচালনা করে, দেহ আত্মাকে নয়। নবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে একটি গোশতের টুকরা আছে। তা ঠিক থাকলে গোটা শরীর সুস্থ থাকে। আর তা বিনষ্ট হলে গোটা শরীরই ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে যায়। জেনে রাখো, ওই গোশতের টুকরাটি হলো মানুষের কলব বা আত্মা।’ (বুখারি, ৫২)
মানুষের নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার উন্নতি সাধন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যার পূর্ণতা বিধানের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘সচ্চরিত্রের পূর্ণতা বিধানের জন্য আমি প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমাদ, ৮৯৫২)। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমান, ইসলাম ও এহসান — পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তিন স্তর
ঈমান, আমল ও ইহসানের নাম দ্বিন
#দ্বীন#দ্বিন#ঈমান#ইসলাম#ইহসান#হাদীসেজিবরীল#Faith#Islam#Ihsan#Deen#Iman#HadithEGibreel#IslamicAqidah#Youtube
0 notes