#ইসলাম
Explore tagged Tumblr posts
Text
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা ��ূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে : ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ : যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯)
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
#ইসলাম#দ্বীন#জীবনেরপথ#Islam#Deen#WayOfLife#ইসলামকি#CodeofLife#Religion#Wayoflife#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে : ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একন���ষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ : যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯)
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
#ইসলাম#দ্বীন#জীবনেরপথ#Islam#Deen#WayOfLife#ইসলামকি#CodeofLife#Religion#Wayoflife#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে : ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ : যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯)
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
#ইসলাম#দ্বীন#জীবনেরপথ#Islam#Deen#WayOfLife#ইসলামকি#CodeofLife#Religion#Wayoflife#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরয��গ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে : ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ : যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯)
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
#ইসলাম#দ্বীন#জীবনেরপথ#Islam#Deen#WayOfLife#ইসলামকি#CodeofLife#Religion#Wayoflife#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে : ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ : যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯)
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
#ইসলাম#দ্বীন#জীবনেরপথ#Islam#Deen#WayOfLife#ইসলামকি#CodeofLife#Religion#Wayoflife#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে : ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ : যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯)
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
#ইসলাম#দ্বীন#জীবনেরপথ#Islam#Deen#WayOfLife#ইসলামকি#CodeofLife#Religion#Wayoflife#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
youtube
সকল কাজের সমাধান ও সফলতা আর যে কাউকে বাধ্য বশ ও আনুগত্য করার আমল || Sokol kajer somadhan paowar amol
Watch Now
#সকলকাজেরসমাধানওসফলতাআরযেকাউকেবাধ্যবশওআনুগত্যকরারআমলSokolkajersomadhanpaowaramol#সকলকাজেরসমাধানওসফলতাআরযেকাউকেবাধ্যবশওআনুগত্যকরারআমল#Sokolkajersomadhanpaowaramol#দোয়া#dua#আমল#amol#ইসলাম#islam#বাধ্যবশওআনুগত্যকরারআমল#আনুগত্যকরারআমল#Youtube
0 notes
Text
নূতন ধরনের ইসলামী গজল শুনতে পাচ্ছি। শেখ হাসিনাকে নিয়ে ইসলামী ব্যাঙ্গাত্মক গজল। এগুলো কি ইসলাম?
0 notes
Text
youtube
#artists on tumblr#alex hirsch#alien romulus#acne#academia#amazingphil#100 days of productivity#baking#assad zaman#alien 1979#আস্ সুন্নাহ ফাউন্ডেশণ#ইসলামিক শিক্ষা#ইসলাম#ই#Youtube
0 notes
Text
#কুরআন#ইসলাম#online quran academy#quran reading#al quran#quranandsunnah#quran ayah#quran kareem#দোয়া
0 notes
Text
গুরুত্বপূর্ণ হাদিস পর্ব ৯
আল্লাহ্ তা'আলার নিকট প্রিয় ঐ আমল যা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়। (সহীহ বুখারীঃ ৪১,৬০২০)
#বাংলাহাদিস#ইসলাম#হাদিস#ধর্ম#ইসলামিকশিক্ষা#কুরআনওহাদিস#ইসলামিকউপদেশ#ইসলামিকপোস্ট#দুয়া#তাফসির#ইসলামধর্ম#ইসলামিকজ্ঞান
0 notes
Text
1 note
·
View note
Text
ইসলামে গুনাহে জারিয়া: এর পরিণাম ও বাঁচার উপায় | Gunahe Jariya in Islam: Consequences, How to Avoid
ইসলামে গুনাহে জারিয়ার কথা আপনি কতটা জানেন? এই শর্ট ভিডিওতে, এর ভয়াবহ পরিণাম এবং কীভাবে আমরা এটি থেকে বাঁচতে পারি, সে সম্পর্কে জানুন। কুরআন-হাদিসের আলোকে ইসলামী শিক্ষা নিন এবং নিজেকে ও আপনার প্রিয়জনদের রক্ষা করুন। এখনই দেখুন এবং শেয়ার করুন!
এমন আরও হাদিস জানতে ঘুরে আস্তে পারেন, আল হাদিসঃ https://ihadis.com/ এই ওয়েবসাইটিতে।
এছাড়াও ভিজিট করেতে পারেনঃ
কোরআন মাজিদঃ https://quranmazid.com/
দোয়া ও রুকাইয়াঃ https://duaruqyah.com/
IRD Foundation: https://irdfoundation.com/
#islam#islamic#GunaheJariya#Ahmadullah#Ahmadullah_Waz#Al_hadith#IRD_Foundation#ContinuousSins#Sins#Consequences#Afterlife#Quran#Hadith#Muslim#IslamicTeachings#Avoidance#Protection#ইসলাম#গুণাহেজারিয়া#সাওয়াব#আখেরাত#কুরআন#হাদিস#মুসলিম#ইসলামিকভাষণ#ইসলামিকশিক্ষা#বাংলা
0 notes
Video
youtube
জীবনে প্রশান্তি ও সৌভাগ্য লাভের সহজ আমল | waz | Rafiqul Islam Al Madani ...
0 notes
Text
0 notes