#ইসলাম
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 1 month ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহা���়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্র��ৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 1 month ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
ilyforallahswt · 1 month ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্���াৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
myreligionislam · 1 month ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তা��পর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
mylordisallah · 1 month ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্র��্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
allahisourrabb · 1 month ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
arifulislam3020 · 2 months ago
Text
youtube
সকল কাজের সমাধান ও সফলতা আর যে কাউকে বাধ্য বশ ও আনুগত্য করার আমল || Sokol kajer somadhan paowar amol
Watch Now
0 notes
steponglobe · 4 months ago
Text
নূতন ধরনের ইসলামী গজল শুনতে পাচ্ছি। শেখ হাসিনাকে নিয়ে ইসলামী ব্যাঙ্গাত্মক গজল। এগুলো কি ইসলাম?
0 notes
popislamic · 5 months ago
Text
youtube
0 notes
mohammadhelaluddin · 6 months ago
Text
0 notes
quransunnahdawah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে :  ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ :  যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯) 
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী  ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
 ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই  পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে :  ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ :  যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯) 
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী  ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
 ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই  পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
0 notes
ilyforallahswt · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে :  ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ :  যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯) 
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী  ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
 ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই  পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
0 notes
myreligionislam · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে :  ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ :  যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯) 
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী  ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
 ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই  পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
0 notes
mylordisallah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে :  ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মত���, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ :  যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯) 
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী  ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
 ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই  পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
0 notes
allahisourrabb · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমার দ্বীন ইসলাম
youtube
youtube
youtube
দ্বিন শব্দটি আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ কি?
~~~~~
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ হলোঃ
1. জীবনের সকল স্তরে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের বাস্তবায়ন।
2. পরিপূর্ণ ইসলামে দাখেল হওয়া বা ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা।
3. ইসলামী শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম পালন করা ।
4. ইসলামী শরীয়তের রোকন, ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করা।
5. ইসলামের হালাল -হারাম সমূহ মেনে চলা।
6. একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং ইবাদতে আর কাউকে শরীক না করা।
7. ইসলাম বা দ্বীনের উপর সকলে একতাবদ্ধ থাকা এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
8. ইসলাম বা দ্বীনের উসুল বা মূলনীতিসমূহ প্রতিষ্ঠা করা।
9. দ্বীন অনুযায়ী আমল করা।
10. ইসলাম বা দ্বীনের যেসব বিষয়ের প্রতি একিন ওয়াজিব সে সবের উপর ঈমান আনা এবং সকল হুকুম আহকামের আনুগত্য করা।
11. দ্বীনের সকল মূল ও শাখা সমূহ নিজেরা আমল কর এবং অন্যদেরকেও সে দিকে আহ্বান কর।
ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের অর্থ ক্ষমতা দখল বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পৃথিবীর কোন নির্ভরযোগ্য মুফাস্সির করেনি। সুতরাং জেনে বুঝে এই অর্থ করা বা এ অর্থের দিকে মানুষকে আহ্বান করা সম্পূর্ণ কুরআন অপব্যখ্যার শামিল। এজন্য তাকে তাওবা করা ওয়াজিব এবং তা থেকে ফিরে আসাও ওয়াজিব।
আল-কোরআনে ‘দ্বিন’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন—
এক. প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা হলেন বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪)
অন্য আয়াতে এসেছে :  ‘তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : আল-ইনফিতার, আয়াত : ১৭-১৯)
দুই. আনুগত্য, অনুসরণ, অনুগামী, আত্মসমর্পণ : যেমন আল্লাহর বাণী : ‘তারা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বিন অনুসন্ধান করছে? অথচ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সমুদয় বস্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর কাছে সমর্পিত।
তাঁর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’
(সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৩)
আলোচ্য আয়তে দ্বিন শব্দটি আনুগত্য স্বীকার ও অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
তিন. শরিয়ত বা ব্যাবহারিক নিয়ম-পদ্ধতি : যেমন ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বিন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহকে, আর যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে তোমরা দ্বিনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ কোরো না।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৩)
মুফাসসিরগণের মতে, আলোচ্য আয়াতে ‘দ্বিন’ মানে বিধিবদ্ধ শরিয়ত।
চার. আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার : যেমন ‘তাঁকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নামগুলো তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রেখেছ। এগুলোর কোনো প্রমাণ আল্লাহ পাঠাননি। বিধান দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ দিয়েছেন কেবল তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে; এটাই শাশ্বত ও সরল দ্বিন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৪০)
পাঁচ. আল্লাহর আদেশ পালন ও উপাসনা : যেমন
‘অমি (আল্লাহ) তোমার প্রতি সত্যের সঙ্গে গ্রন্থ নাজিল করেছি।
সুতরাং আল্লাহর জন্য দ্বিনকে একনিষ্ঠ করে কেবল তারই ইবাদত করো। সাবধান! দ্বিন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত...।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২-৩)
ছয়. আত্মসমর্পণ :  যেমন ‘বলো, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমণ্ডল সোজা রাখো এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তোমরা পুনর্বার সৃজিত হবে।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৯) 
সাত. আইনকানুন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা : যেমন ‘ফেরাউন বলল, ছাড়ো তো আমাকে, আমি মুসাকে হত্যা করব। এখন সে তার রবকে ডাকুক। আমার আশঙ্কা, সে যেন তোমাদের দ্বিনকে বদলে না ফেলে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে না বসে।’
(সুরা : গাফির, আয়াত : ২৬)
উপরিউক্ত আয়াতে দ্বিন শব্দ রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আট. মানব রচিত মতবাদ :‘তাদের কী এমন শরিক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, আল্লাহ যার অনুমতি দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহলে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ২১)
নয়. মনোনীত জীবনবিধান : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনবিধান হলো ইসলাম...।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দান করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩)
আয়াতগুলোতে ‘দ্বিন’ শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমার দ্বীন ইসলাম
দ্বীন (دين), একটি আরবি শব্দ, যা প্রধাণত ইসলাম ধর্মের সাথে অধিক সম্পৃক্ত, কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে
ইসলামের অপরিহার্য বিষয়সমূহ
ইসলাম: শ্রেষ্ঠ 'জীবন ব্যবস্থা'
ধর্ম হিসাবে ইসলাম আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্যের জন্য দাঁড়িয়েছে - তাই এটিকে ইসলাম বলা হয়। "ইসলাম" শব্দের অন্য আভিধানিক অর্থ হল "শান্তি"। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের মাধ্যমেই দেহ ও মনের প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে পারে।
কুরআন অনুযায়ী  ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানব কোডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং অন্যদের ভালো করার নির্দেশনা দেয়।
 ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ - ঈমানের ঘোষণা (শাহাদা), নামাজ (সালাত), যাকাত প্রদান (যাকাত), রোজা (সাওম) এবং হজ্জ (হজ) -এই  পাঁচ স্তম্ভ ইসলাম অনুশীলনের মৌলিক নিয়ম।
ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কি
0 notes