#২০০
Explore tagged Tumblr posts
Text
0 notes
Text
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের ম্যাচ দেখা যাবে ২০০ টাকায়
টপ নিউজ ডেক্স: ১ মার্চ শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)সোমবার টিকিটের মূল্যতালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে ২০০ টাকা টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে ক্রিকেটপ্রেমীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনে সুযোগ না থাকায় ক্রিকেট ভক্তদের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনতে হবে । সমর্থকরা মোট ৫…
View On WordPress
0 notes
Text
ষষ্ঠ শ্রেণি গণিত - Class 6 Math অনুশীলনী ২.২ সমাধান
Class 6 Math অনুশীলনী ২.২ সমাধান
শতকরা বের করার সহজ উপায়, শতকরা অংক Class 6, শতকরা বের করার সূত্র, শতকরা নির্ণয়ের সূত্র pdf, শতকরা বের করার নিয়ম, শতকরা অংক চাকরির জন্য pdf, ২০ টাকা ৮০ টাকার শতকরা কত? শতকরা শব্দের অর্থ কি? অনুপাত ও শতকরার সম্পর্ক প্রশ্ন ১। শতকরায় প্রকাশ কর: (ক) সমাধান : = = = ৭৫% (খ) সমাধান : = = = = % = % (গ) সমাধান : = = = ৮০% (ঘ) সমাধান : = = = ২২৪% (ঙ) ০.২৫ সমাধান : ০.২৫ = = 25% (চ) ০.৬৫ সমাধান : ০.৬৫ = = ৬5% (ছ) ২.৫০ সমাধান : ২.৫০ = = ২৫০% (জ) ৩ : ১০ সমাধান : ৩ : ১০ = = = = 30% (ঝ) ১২ : ২৫ সমাধান : ১২ : ২৫ = = = = ৪৮% প্রশ্ন ২। সামান্য ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশে প্রকাশ কর : (ক) ৪৫% সমাধান : ৪৫% = = = ০.৪৫ ⸫ সামান্য ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশ যথাক্রমে ও ০.৪৫ (খ) = % সমাধান : = % = % = % = = = ০.১২৫ ⸫ সামান্য ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশ যথাক্রমে ও ০.১২৫ (গ) সমাধান : = = = ০.৩৭৫ সামান্য ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশ যথাক্রমে ৩৮ ও ০.৩৭৫ (ঘ) সমাধান : = = = ০.১১২৫ Class 6 Math অনুশীলনী ২. ১সমাধান প্রশ্ন ৩। (ক) ১২৫ এর ৫% কত? সমাধান : ১২৫ এর ৫% = ১২৫ এর = = উত্তর : (খ) ২২৫ এর ৯% কত? সমাধান : ২২৫ এর ৯% = ২২৫ এর ৯ ১০০ = = উত্তর : (গ) ৬ কেজি চালের ৬% কত? সমাধান : ৬ কেজি চালের ৬% = ৬ কেজি চালের = ৬ কেজি চালের = ৬ × কেজি চাল = কেজি চাল উত্তর : কেজি চাল (ঘ) ২০০ সেন্টিমিটারের ৪০% কত? সমাধান : ২০০ সেন্টিমিটারের ৪০% = ২০০ সেন্টিমিটারের = ২০০ সেন্টিমিটারের = ২০০ × সেন্টিমিটার = ৮০ সেন্টিমিটার উত্তর : ৮০ সেন্টিমিটার প্রশ্ন ৪। (ক) ২০ টাকা ৮০ টাকার শতকরা কত? সমাধান : ২০ টাকা ৮০ টাকার অংশ এখন, = = = ২৫% উত্তর : ২৫% (খ) ৭৫ টাকা ১২০ টাকার শতকরা কত? সমাধান : ৭৫ টাকা ১২০ টাকার অংশ এখন, = × = % = % উত্তর : % প্রশ্ন ৫। একটি স্কুলে শিক্ষার্থীর স��খ্যা ৫০০ জন। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৪০% হলে, ঐ স্কুলের ছাত্রসংখ্যা নির্ণয় কর। সমাধান : শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০০ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৪০% ⸫ ছাত্রীসংখ্যা = ৫০০ জন এর ৪০% = (৫০০ × ) জন = ২০০ জন ⸫ ছাত্রসংখ্যা (৫০০ - ২০০) জন = ৩০০ জন উত্তর : ছাত্রসংখ্যা ৩০০ জন। প্রশ্ন ৬। ডেভিড সাময়িক পরীক্ষায় ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৬০০ নম্বর পেয়েছে। সে শতকরা কত নম্বর পেয়েছে? মোট নম্বর এবং প্রাপ্ত নম্বরের অনুপাত নির্ণয় কর। সমাধান : সাময়িক পরীক্ষায় মোট নম্বর ৯০০ ডেভিড পেয়েছে ৬০০ নম্বর ডেভিডের প্রাপ্ত নম্বর মোট নম্বরের অংশ এখন, = = × = % = % মোট নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বরের অনুপাত = ৯০০ : ৬০০ = ৯ : ৬ = ৩ : ২ উত্তর : ডেভিড % নম্বর পেয়েছে এবং তার মোট নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বরের অনুপাত ৩ : ২। প্রশ্ন ৭। মুসান্না বইয়ের দোকান থেকে একটি বাংলা রচনা বই ৮৪ টাকায় ক্রয় করল। কিন্তু বইটির কভারে মূল্য লেখা ছিল ১২০ টাকা। সে শতকরা কত টাকা কমিশন পেল? সমাধান : বইটির কভারে মূল্য ছিল ১২০ টাকা বই কিনল ৮৪ টাকা ∴ কমিশন পেল (১২০ - ৮৪) টাকা = ৩৬ টাকা ∴ তার কমিশন কভারে লিখিত মূল্যের অংশ এখন, = = = ৩০% উত্তর : মুসান্না শতকরা ৩০ টাকা কমিশন পেল। প্রশ্ন ৮। একজন চাকুরিজীবীর মাসিক আয় ১৫০০০ টাকা। তাঁর মাসিক ব্যয় ৯০০০ টাকা। তাঁর ব্যয়, আয়ের শতকরা কত? সমাধান : একজন চাকুরিজীবীর মাসিক আয় ১৫০০০ টাকা এবং মাসিক ব্যয় ৯০০০ টাকা। ∴ তাঁর ব্যয় আয়ের অংশ এখন, = = = ৬০% উত্তর : ব্যয়, আয়ের ৬০%। প্রশ্ন ৯। শোয়েবের স্কুলের মাসিক বেতন ২০০ টাকা। তার মা তাকে প্রতিদিনের টিফিন বাবদ ২০ টাকা দেন। তার প্রতিদিনের টিফিন বাবদ খরচ, মাসিক বেতনের শতকরা কত? সমাধান : শোয়েবের স্কুলের মাসিক বেতন ২০০ টাকা এবং প্রতিদিনের টিফিন বাবদ খরচ ২০ টাকা × টিফিন বাবদ খরচ মাসিক মূল বেতনের অংশ এখন, = = = ১০% উত্তর : প্রতিদিনের টিফিন বাবদ খরচ মাসিক বেতনের ১০%। প্রশ্ন ১০। একটি স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০০ জন। বছরের শুরুতে ৫% শিক্ষার্থী নতুন ভর্তি করা হলে, বর্তমানে ঐ স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত? সমাধান : শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০০ জন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হলো = ৮০০ জন এর ৫% = ৮০০ জন এর = ৮০০ × জন = ৪০ জন ∴ বর্তমানে স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা (৮০০ + ৪০) জন = ৮৪০ জন উত্তর : বর্তমানে ঐ স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৪০ জন। প্রশ্ন ১১। একটি শ্রেণিতে ২০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫% অনুপস্থিত ছিল। কতজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল? সমাধান : শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৫% ∴ অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা = ২০০ জন এর ৫% = ২০০ জন এর = ২০০ × জন = ১০ জন ∴ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল (২০০ - ১০) জন = ১৯০ জন উত্তর : ১৯০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল । প্রশ্ন ১২। যাহেদ ১০% কমিশনে একটি বই ক্রয় করে দোকানীকে ১৮০ টাকা দিল, বইটির প্রকৃত মূল্য কত? সমাধান : ১০% কমিশনে বইটির প্রকৃত মূল্য ১০০ টাকা হলে ক্রয়মূল্য (১০০ - ১০) = ৯০ টাকা ∴ প্রকৃত মূল্য : ক্রয়মূল্য = ১০০ : ৯০ বা, = বা, প্রকৃত মূল্য = × ক্রয়মূল্য বা, প্রকৃত মূল্য = × ১৮০ = ২০০ টাকা। উত্তর : বইটির প্রকৃত মূল্য ২০০ টাকা। প্রশ্ন ১৩। কলার দাম % কমে যাওয়ায় ৪২০ টাকায় পূর্বাপেক্ষা ১০টি কলা বেশি পাওয়া যায়। (ক) একটি সংখ্যার % হলে, সংখ্যাটি নির্ণয় কর। (খ) প্রতি ডজন কলার বর্তমান দাম কত? (গ) প্রতি ডজন কলা কত দামে বিক্রয় করলে, % লাভ হতো? সমাধান : (ক) এখানে, % = % = দেওয়া আছে, সংখ্যাটির % = ১০ অর্থাৎ, সংখ্যাটির গুণ = ১০ নির্ণেয় সংখ্যা = ১০ ÷ % = ১০ × ৭ = ৭০ উত্তর : ৭০ (খ) দেওয়া আছে, কলার দাম % কমে যা���। অর্থাৎ, ১০০ টাকায় কমে টাকা বা টাকা ∴ ১ ” ” টাকা ∴ ৪২০ ” ” টাকা = ৬০ টাকা আমরা জানি, ১ ডজন = ১২টি ∴ কলার দাম ৬০ টাকা কমে যাওয়ায় ১০টি কলা বেশি পাওয়া যায়। সুতরাং, ১০টি কলার দাম ৬০ টাকা ∴ ১টি ” ” টাকা ∴ ১২টি ” ” টাকা = ৭২ টাকা ∴ ১ ডজন কলার বর্তমান মূল্য ৭২ টাকা। উত্তর : ৭২ টাকা। (গ) ‘খ’ হতে পাই, ১ ডজন কলার বর্তমান মূল্য ৭২ টাকা। এখন, ৭২ টাকার % = ৭২ টাকার % = ৭২ × টাকা = ২৪ টাকা ∴ ৩৩ ১৩ % লাভে বিক্রয়মূল্য = (৭২ + ২৪) টাকা = ৯৬ টাকা উত্তর : ৯৬ টাকা। Read the full article
#২০টাকা৮০টাকারশতকরাকত?শতকরাশব্দেরঅর্থকি?#6Classmathsolutionpdf#৬ষ্টশ্রেণিরগণিতসমাধান#chapter2.2solutionClass6Mathbook#Class6Math#Class6mathschapter2.2solution#অনুপাতওশতকরারসম্পর্ক#শতকরাঅংকClass6#শতকরাঅংকচাকরিরজন্যpdf#শতকরানির্ণয়েরসূত্রpdf#শতকরাবেরকরারনিয়ম#শতকরাবেরকরারসহজউপায়#শতকরাবেরকরারসূত্র#শতকরাসমাধান#ষষ্টশ্রেণিরগণিতসমাধান
0 notes
Link
নভেম্বরের প্রথম ১৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স বা প্র
0 notes
Text
এইচএসসির ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ, ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেলেন ২০০ শিক্ষার্থী
এইচএসসি পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০০ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে একজন ছাত্রের ফল প্রথমে অনুত্তীর্ণ এলেও পুনর্নিরীক্ষণে জিপিএ-৫ এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট মনজুরুল কবীর প্রথম আলোকে জানান, এবার ৫৯…
View On WordPress
0 notes
Text
ফেল থেকে পাস করলেন ১৩৭, নতুন জিপিএ-৫ পেলেন ২০০
এসএসসি ও সমমানের পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এই ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ১৩৭ জন শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০০ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন একজন পরীক্ষার্থী। ঢাকা বোর্ডের প্রায় ৫৯ হাজার ৩৮২ জন শিক্ষার্থী এক লাখ ৮০ হাজার ৬০টি বিষয়ের খাতা পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে বিভিন্ন গ্রেডে মোট…
0 notes
Text
cricketaffiliate501
cricket affiliate │BouncingBall8
🔥Free200BDT + 300%Welcome Bonus🔥
Here are the Exciting Bonuses that You can Enjoy:
Bonus 1. 🔥Free 200 BDT Bonus🔥
Bonus 2. 300%Welcome Bonus
Bonus 3. Daily 100% Bonus
Try Out Our Most Played and Popular Games - Baccarat, Liveshow, Fishing, and Slots!
1 note
·
View note
Text
ইসলাম কাকে বলে
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান।
ইসলাম একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা এই: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন 'সত্য মাবুদ' নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫)‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২)‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
ইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইসলাম মূলত কী? এটা কি কোনো ধর্ম, নাকি জীবনবিধান? নাকি কোনো দর্শন বা সংস্কৃতি? ইসলাম আরবি শব্দ। মূল ধাতু ‘সিলমুন’ থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়েছ��। কোনো কোনো অভিধানকারের মতে, ইসলামের শাব্দিক অর্থ ‘শান্তি’ ও ‘আত্মসমর্পণ’। (হোয়াট ইসলাম ইজ অল অ্যাবাউট, ইয়াসির ক্বাদি, অনুবাদ: আলী আহমদ মাবরুর, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ১১৭) কোনো কোনো অভিধানকার বলেছেন, ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘অনুগত হওয়া’ বা ‘আনুগত্য করা’, ‘মেনে নেওয়া’, ‘বিনম্র হওয়া’, ‘নিরাপত্তা’ এবং ‘সমর্পণ’ ইত্যাদি।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম হলো, ‘তাওহিদের স���বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ–তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং একমাত্র তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করা। বিনাদ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসারে জীবন যাপন করা।’
আভিধানিকভাবে ইমানের সম্পর্ক বিশ্বাসের দিকে বা সঙ্গে আর ইসলামের সম্পর্ক কর্মের দিকে বা সঙ্গে। (
আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে আদর্শ ও বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন, তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও অনুসরণ করার নাম ইসলাম
আল্লাহ–পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মরণ জগৎসমূহের মালিকের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং ��মি প্রথম মুসলিম।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
ইসলামের সংজ্ঞা বা পরিচয়
জিব্রাইল (আ.) একবার মানুষের বেশে উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ–তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান মানে রোজা রাখা এবং সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা, এটাই হলো ইসলাম।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তর শুনে জিব্রাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি সত্য বলেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। স্তম্ভগুলো হলো—১. আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ৫. সামর্থ্য হলে হজ পালন করা। (মুসলিম, হাদিস: ১৬)
ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হওয়া একমাত্র মনোনীত ও চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা কবুল বা গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম আল্লাহ–তাআলা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা ধর্ম।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৩)
প্রসিদ্ধ তাফসির–বিশারদ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এই আয়াত পবিত্র কোরআন নাজিলের শেষ দিককার আয়াত। এরপর বিধিবিধান–সম্পর্কিত আর কোনো আয়াত নাজিল হয়নি। আদম (আ.)-এর যুগ থেকে যে সত্য ধর্ম ও আল্লাহর নিয়ামতের অবতরণ ও প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক ভূখণ্ডের অবস্থা অনুযায়ী আদম সন্তানের মধ্যে নিয়ামত বণ্টনের যে ধারা অব্যাহত ছিল, আজ সে নিয়ামত ও ধর্ম পরিপূর্ণ আকারে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর উম্মতকে প্রদান করা হলো।’ (তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফী, অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ৩০৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল হবে না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫)
বস্তুত ইসলাম সব নবী-রাসুলের অভিন্ন ধর্ম। প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সবাই এ ধর্ম বা জীবনবিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোট কথা, আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রচারিত ধর্মে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য ছিল না। তবে প্রত্যেক নবী-রাসুলকে আলাদা বা ভিন্ন শরিয়ত দান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮)
ইব্রাহিম (আ.) সর্বপ্রথম নিজ ধর্মকে ‘ইসলাম’ নামে এবং তাঁর অনুসারীদের ‘উম্মতে মুসলিমা’ নামকরণে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি আগে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
ইসলামই মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। দ্বীনে ফিতরাত বা সহজাত জীবনবিধান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবসুলভ সহজাত প্রকৃতির (ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা আগুনপূজারি বানায়। (বুখারি, হাদিস: ১৩৫৮)
আদম (আ.) থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নবী-রাসুলের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের যে ধারা যুগে যুগে অনুসৃত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে সে ধারার পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনিই সর্বশেষ নবী। আখেরি রাসুল। তারপরে আর কোনো নবী বা রাসুলের আগমন এ ধরাতে ঘটবে না এবং তাঁর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুলের শরিয়ত বা জীবনবিধান রহিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে—কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আনীত দ্বীন তথা জীবনবিধানকে বোঝা হবে।
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
0 notes
Text
ইসলাম কাকে বলে
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান।
ইসলাম একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা এই: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন 'সত্য মাবুদ' নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫)‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২)‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
ইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইসলাম মূলত কী? এটা কি কোনো ধর্ম, নাকি জীবনবিধান? নাকি কোনো দর্শন বা সংস্কৃতি? ইসলাম আরবি শব্দ। মূল ধাতু ‘সিলমুন’ থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। কোনো কোনো অভিধানকারের মতে, ইসলামের শাব্দিক অর্থ ‘শান্তি’ ও ‘আত্মসমর্পণ’। (হোয়াট ইসলাম ইজ অল অ্যাবাউট, ইয়াসির ক্বাদি, অনুবাদ: আলী আহমদ মাবরুর, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ১১৭) কোনো কোনো অভিধানকার বলেছেন, ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘অনুগত হওয়া’ বা ‘আনুগত্য করা’, ‘মেনে নেওয়া’, ‘বিনম্র হওয়া’, ‘নিরাপত্তা’ এবং ‘সমর্পণ’ ইত্যাদি।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম হলো, ‘তাওহিদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ–তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং একমাত্র তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করা। বিনাদ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসারে জীবন যাপন করা।’
আভিধানিকভাবে ইমানের সম্পর্ক বিশ্বাসের দিকে বা সঙ্গে আর ইসলামের সম্পর্ক কর্মের দিকে বা সঙ্গে। (
আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে আদর্শ ও বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন, তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও অনুসরণ করার নাম ইসলাম
আল্লাহ–পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মরণ জগৎসমূহের মালিকের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম মুসলিম।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
ইসলামের সংজ্ঞা বা পরিচয়
জিব্রাইল (আ.) একবার মানুষের বেশে উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ��াছে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ–তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান মানে রোজা রাখা এবং সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা, এটাই হলো ইসলাম।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তর শুনে জিব্রাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি সত্য বলেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। স্তম্ভগুলো হলো—১. আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ৫. সামর্থ্য হলে হজ পালন করা। (মুসলিম, হাদিস: ১৬)
ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হওয়া একমাত্র মনোনীত ও চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা কবুল বা গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম আল্লাহ–তাআলা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা ধর্ম।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৩)
প্রসিদ্ধ তাফসির–বিশারদ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এই আয়াত পবিত্র কোরআন নাজিলের শেষ দিককার আয়াত। এরপর বিধিবিধান–সম্পর্কিত আর কোনো আয়াত নাজিল হয়নি। আদম (আ.)-এর যুগ থেকে যে সত্য ধর্ম ও আল্লাহর নিয়ামতের অবতরণ ও প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক ভূখণ্ডের অবস্থা অনুযায়ী আদম সন্তানের মধ্যে নিয়ামত বণ্টনের যে ধারা অব্যাহত ছিল, আজ সে নিয়ামত ও ধর্ম পরিপূর্ণ আকারে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর উম্মতকে প্রদান করা হলো।’ (তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফী, অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ৩০৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল হবে না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫)
বস্তুত ইসলাম সব নবী-রাসুলের অভিন্ন ধর্ম। প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সবাই এ ধর্ম বা জীবনবিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোট কথা, আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রচারিত ধর্মে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য ছিল না। তবে প্রত্যেক নবী-রাসুলকে আলাদা বা ভিন্ন শরিয়ত দান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮)
ইব্রাহিম (আ.) সর্বপ্রথম নিজ ধর্মকে ‘ইসলাম’ নামে এবং তাঁর অনুসারীদের ‘উম্মতে মুসলিমা’ নামকরণে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি আগে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
ইসলামই মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। দ্বীনে ফিতরাত বা সহজাত জীবনবিধান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবসুলভ সহজাত প্রকৃতির (ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা আগুনপূজারি বানায়। (বুখারি, হাদিস: ১৩৫৮)
আদম (আ.) থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নবী-রাসুলের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের যে ধারা যুগে যুগে অনুসৃত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে সে ধারার পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনিই সর্বশেষ নবী। আখেরি রাসুল। তারপরে আর কোনো নবী বা রাসুলের আগমন এ ধরাতে ঘটবে না এবং তাঁর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুলের শরিয়ত বা জীবনবিধান রহিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে—কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আনীত দ্বীন তথা জীবনবিধানকে বোঝা হবে।
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
0 notes
Text
ইসলাম কাকে বলে
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান।
ইসলাম একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা এই: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন 'সত্য মাবুদ' নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫)‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২)‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
ইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইসলাম মূলত কী? এটা কি কোনো ধর্ম, নাকি জীবনবিধান? নাকি কোনো দর্শন বা সংস্কৃতি? ইসলাম আরবি শব্দ। মূল ধাতু ‘সিলমুন’ থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। কোনো কোনো অভিধানকারের মতে, ইসলামের শাব্দিক অর্থ ‘শান্তি’ ও ‘আত্মসমর্পণ’। (হোয়াট ইসলাম ইজ অল অ্যাবাউট, ইয়াসির ক্বাদি, অনুবাদ: আলী আহমদ মাবরুর, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ১১৭) কোনো কোনো অভিধানকার বলেছেন, ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘অনুগত হওয়া’ বা ‘আনুগত্য করা’, ‘মেনে নেওয়া’, ‘বিনম্র হওয়া’, ‘নিরাপত্তা’ এবং ‘সমর্পণ’ ইত্যাদি।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম হলো, ‘তাওহিদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ–তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং একমাত্র তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করা। বিনাদ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসারে জীবন যাপন করা।’
আভিধানিকভাবে ইমানের সম্পর্ক বিশ্বাসের দিকে বা সঙ্গে আর ইসলামের সম্পর্ক কর্মের দিকে বা সঙ্গে। (
আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে আদর্শ ও বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন, তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও অনুসরণ করার নাম ইসলাম
আল্লাহ–পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মরণ জগৎসমূহের মালিকের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম মুসলিম।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
ইসলামের সংজ্ঞা বা পরিচয়
জিব্রাইল (আ.) একবার মানুষের বেশে উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ–তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান মানে রোজা রাখা এবং সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা, এটাই হলো ইসলাম।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তর শুনে জিব্রাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি সত্য বলেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। স্তম্ভগুলো হলো—১. আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ৫. সামর্থ্য হলে হজ পালন করা। (মুসলিম, হাদিস: ১৬)
ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হওয়া একমাত্র মনোনীত ও চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা কবুল বা গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম আল্লাহ–তাআলা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা ধর্ম।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ���)
প্রসিদ্ধ তাফসির–বিশারদ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এই আয়াত পবিত্র কোরআন নাজিলের শেষ দিককার আয়াত। এরপর বিধিবিধান–সম্পর্কিত আর কোনো আয়াত নাজিল হয়নি। আদম (আ.)-এর যুগ থেকে যে সত্য ধর্ম ও আল্লাহর নিয়ামতের অবতরণ ও প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক ভূখণ্ডের অবস্থা অনুযায়ী আদম সন্তানের মধ্যে নিয়ামত বণ্টনের যে ধারা অব্যাহত ছিল, আজ সে নিয়ামত ও ধর্ম পরিপূর্ণ আকারে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর উম্মতকে প্রদান করা হলো।’ (তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফী, অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ৩০৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল হবে না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫)
বস্তুত ইসলাম সব নবী-রাসুলের অভিন্ন ধর্ম। প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সবাই এ ধর্ম বা জীবনবিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোট কথা, আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রচারিত ধর্মে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য ছিল না। তবে প্রত্যেক নবী-রাসুলকে আলাদা বা ভিন্ন শরিয়ত দান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮)
ইব্রাহিম (আ.) সর্বপ্রথম নিজ ধর্মকে ‘ইসলাম’ নামে এবং তাঁর অনুসারীদের ‘উম্মতে মুসলিমা’ নামকরণে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি আগে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
ইসলামই মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। দ্বীনে ফিতরাত বা সহজাত জীবনবিধান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবসুলভ সহজাত প্রকৃতির (ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা আগুনপূজারি বানায়। (বুখারি, হাদিস: ১৩৫৮)
আদম (আ.) থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নবী-রাসুলের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের যে ধারা যুগে যুগে অনুসৃত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে সে ধারার পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনিই সর্বশেষ নবী। আখেরি রাসুল। তারপরে আর কোনো নবী বা রাসুলের আগমন এ ধরাতে ঘটবে না এবং তাঁর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুলের শরিয়ত বা জীবনবিধান রহিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে—কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আনীত দ্বীন তথা জীবনবিধানকে বোঝা হবে।
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
0 notes
Text
ইসলাম কাকে বলে
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান।
ইসলাম একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা এই: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন 'সত্য মাবুদ' নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫)‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২)‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
ইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইসলাম মূলত কী? এটা কি কোনো ধর্ম, নাকি জীবনবিধান? নাকি কোনো দর্শন বা সংস্কৃতি? ইসলাম আরবি শব্দ। মূল ধাতু ‘সিলমুন’ থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। কোনো কোনো অভিধানকারের মতে, ইসলামের শাব্দিক অর্থ ‘শান্তি’ ও ‘আত্মসমর্পণ’। (হোয়াট ইসলাম ইজ অল অ্যাবাউট, ইয়াসির ক্বাদি, অনুবাদ: আলী আহমদ মাবরুর, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ১১৭) কোনো কোনো অভিধানকার বলেছেন, ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘অনুগত হওয়া’ বা ‘আনুগত্য করা’, ‘মেনে নেওয়া’, ‘বিনম্র হওয়া’, ‘নিরাপত্তা’ এবং ‘সমর্পণ’ ইত্যাদি।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম হলো, ‘তাওহিদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ–তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং একমাত্র তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করা। বিনাদ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসারে জীবন যাপন করা।’
আভিধানিকভাবে ইমানের সম্পর্ক বিশ্বাসের দিকে বা সঙ্গে আর ইসলামের সম্পর্ক কর্মের দিকে বা সঙ্গে। (
আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে আদর্শ ও বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন, তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও অনুসরণ করার নাম ইসলাম
আল্লাহ–পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মরণ জগৎসমূহের মালিকের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম মুসলিম।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
ইসলামের সংজ্ঞা বা পরিচয়
জিব্রাইল (আ.) একবার মানুষের বেশে উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ–তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান মানে রোজা রাখা এবং সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা, এটাই হলো ইসলাম।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তর শুনে জিব্রাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি সত্য বলেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। স্তম্ভগুলো হলো—১. আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ৫. সামর্থ্য হলে হজ পালন করা। (মুসলিম, হাদিস: ১৬)
ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হওয়া একমাত্র মনোনীত ও চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা কবুল বা গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম আল্লাহ–তাআলা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা ধর্ম।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৩)
প্রসিদ্ধ তাফসির–বিশারদ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এই আয়াত পবিত্র কোরআন নাজিলের শেষ দিককার আয়াত। এরপর বিধিবিধান–সম্পর্কিত আর কোনো আয়াত নাজিল হয়নি। আদম (আ.)-এর যুগ থেকে যে সত্য ধর্ম ও আল্লাহর নিয়ামতের অবতরণ ও প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক ভূখণ্ডের অবস্থা অনুযায়ী আদম সন্তানের মধ্যে নিয়ামত বণ্টনের যে ধারা অব্যাহত ছিল, আজ সে নিয়ামত ও ধর্ম পরিপূর্ণ আকারে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর উম্মতকে প্রদান করা হলো।’ (তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফী, অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ৩০৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল হবে না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫)
বস্তুত ইসলাম সব নবী-রাসুলের অভিন্ন ধর্ম। প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সবাই এ ধর্ম বা জীবনবিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোট কথা, আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রচারিত ধর্মে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য ছিল না। তবে প্রত্যেক নবী-রাসুলকে আলাদা বা ভিন্ন শরিয়ত দান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮)
ইব্রাহিম (আ.) সর্ব���্রথম নিজ ধর্মকে ‘ইসলাম’ নামে এবং তাঁর অনুসারীদের ‘উম্মতে মুসলিমা’ নামকরণে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি আগে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
ইসলামই মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। দ্বীনে ফিতরাত বা সহজাত জীবনবিধান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবসুলভ সহজাত প্রকৃতির (ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা আগুনপূজারি বানায়। (বুখারি, হাদিস: ১৩৫৮)
আদম (আ.) থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নবী-রাসুলের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের যে ধারা যুগে যুগে অনুসৃত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে সে ধারার পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনিই সর্বশেষ নবী। আখেরি রাসুল। তারপরে আর কোনো নবী বা রাসুলের আগমন এ ধরাতে ঘটবে না এবং তাঁর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুলের শরিয়ত বা জীবনবিধান রহিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে—কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আনীত দ্বীন তথা জীবনবিধানকে বোঝা হবে।
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
0 notes
Text
ইসলাম কাকে বলে
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান।
ইসলাম একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা এই: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন 'সত্য মাবুদ' নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫)‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২)‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
ইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইসলাম মূলত কী? এটা কি কোনো ধর্ম, নাকি জীবনবিধান? নাকি কোনো দর্শন বা সংস্কৃতি? ইসলাম আরবি শব্দ। মূল ধাতু ‘সিলমুন’ থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। কোনো কোনো অভিধানকারের মতে, ইসলামের শাব্দিক অর্থ ‘শান্তি’ ও ‘আত্মসমর্পণ’। (হোয়াট ইসলাম ইজ অল অ্যাবাউট, ইয়াসির ক্বাদি, অনুবাদ: আলী আহমদ মাবরুর, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ১১৭) কোনো কোনো অভিধানকার বলেছেন, ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘অনুগত হওয়া’ বা ‘আনুগত্য করা’, ‘মেনে নেওয়া’, ‘বিনম্র হওয়া’, ‘নিরাপত্তা’ এবং ‘সমর্পণ’ ইত্যাদি।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম হলো, ‘তাওহিদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ–তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং একমাত্র তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করা। বিনাদ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসারে জীবন যাপন করা।’
আভিধানিকভাবে ইমানের সম্পর্ক বিশ্বাসের দিকে বা সঙ্গে আর ইসলামের সম্পর্ক কর্মের দিকে বা সঙ্গে। (
আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে আদর্শ ও বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন, তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও অনুসরণ করার নাম ইসলাম
আল্লাহ–পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মরণ জগৎসমূহের মালিকের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম মুসলিম।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
ইসলামের সংজ্ঞা বা পরিচয়
জিব্রাইল (আ.) একবার মানুষের বেশে উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ–তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান মানে রোজা রাখা এবং সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা, এটাই হলো ইসলাম।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তর শুনে জিব্রাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি সত্য বলেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। স্তম্ভগুলো হলো—১. আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ৫. সামর্থ্য হলে হজ পালন করা। (মুসলিম, হাদিস: ১৬)
ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হওয়া একমাত্র মনোনীত ও চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা কবুল বা গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম আল্লাহ–তাআলা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা ধর্ম।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৩)
প্রসিদ্ধ তাফসির–বিশারদ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এই আয়াত পবিত্র কোরআন নাজিলের শেষ দিককার আয়াত। এরপর বিধিবিধান–সম্পর্কিত আর কোনো আয়াত নাজিল হয়নি। আদম (আ.)-এর যুগ থেকে যে সত্য ধর্ম ও আল্লাহর নিয়ামতের অবতরণ ও প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক ভূখণ্ডের অবস্থা অনুযায়ী আদম সন্তানের মধ্যে নিয়ামত বণ্টনের যে ধারা অব্যাহত ছিল, আজ সে নিয়ামত ও ধর্ম পরিপূর্ণ আকারে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর উম্মতকে প্রদান করা হলো।’ (তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফী, অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ৩০৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল হবে না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫)
বস্তুত ইসলাম সব নবী-রাসুলের অভিন্ন ধর্ম। প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সবাই এ ধর্ম বা জীবনবিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোট কথা, আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রচারিত ধর্মে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য ছিল না। তবে প্রত্যেক নবী-রাসুলকে আলাদা বা ভিন্ন শরিয়ত দান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮)
ইব্রাহিম (আ.) সর্বপ্রথম নিজ ধর্মকে ‘ইসলাম’ নামে এবং তাঁর অনুসারীদের ‘উম্মতে মুসলিমা’ নামকরণে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি আগে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
ইসলামই মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। দ্বীনে ফিতরাত বা সহজাত জীবনবিধান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবসুলভ সহজাত প্রকৃতির (ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা আগুনপূজারি বানায়। (বুখারি, হাদিস: ১৩৫৮)
আদম (আ.) থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নবী-রাসুলের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের যে ধারা যুগে যুগে অনুসৃত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে সে ধারার পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনিই সর্বশেষ নবী। আখেরি রাসুল। তারপরে আর কোনো নবী বা রাসুলের আগমন এ ধরাতে ঘটবে না এবং তাঁর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুলের শরিয়ত বা জীবনবিধান রহিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে—কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আনীত দ্বীন তথা জীবনবিধানকে বোঝা হবে।
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
0 notes
Text
শতকরা (percentage) অংক করার সহজ উপায়
শতকরা (percentage) অংক করার সহজ উপায়
১. শতকরা কী? শতকরা (Percentage) হলো গণিতের এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি পরিমাণকে ১০০-এর ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয়। এটি একটি ভগ্নাংশ বা অনুপাতের সহজ রূপ। ২. শতকরা নির্ণয়ের সূত্র শতকরা বের করার জন্য সূত্রটি হলো: শতকরা (%) = উদাহরণ: একটি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের মধ্যে এক��ন শিক্ষার্থী ১৫০ পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হলো: = ৭৫% ৩. শতকরা রূপান্তরের সহজ পদ্ধতি (১) শতকরা থেকে ভগ্নাংশ (২) শতকরা থেকে দশমিক (৩) ভগ্নাংশ থেকে শতকরা (৪) দশমিক থেকে শতকরা ৪. শতকরা নির্ণয়ে ধাপে ধাপে উদাহরণ উদাহরণ ১: একটি দোকানে ৩০টি পণ্য রয়েছে। তার মধ্যে ১২টি বিক্রি হয়ে গেছে। বিক্রিত পণ্যের শতকরা নির্ণয় করো। = ৪০% ৬ষ্ঠ শ্রেণি শতকরা অনুশীলনী ২.২ উদাহরণ ২: একটি পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী ৬৪ নম্বর পেয়েছে। তার প্রাপ্ত শতকরা হলো: = ৮০% উদাহরণ ৩: একটি ব্যাগে ২০টি বল রয়েছে, যার মধ্যে ৮টি লাল। লাল বলের শতকরা কত? = ৪০% ৫. বিভিন্ন ক্ষেত্রে শতকরা গণনার ব্যবহার (১) মুনাফা ও ক্ষতি নির্ণয়: মুনাফা বের করার সূত্র: উদাহরণ: কোনো পণ্য ৫০০ টাকায় কিনে ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হলো। মুনাফার শতকরা হলো: = ২০% (২) সুদের হিসাব সরল সুদ: উদাহরণ: ১০০০ টাকা ২ বছরের জন্য ৫% সরল সুদে বিনিয়োগ করা হলে সুদ কত? = ১০০ চক্রবৃদ্ধি সুদ: ৬. শতকরা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ১: ১২৫%-এর মানে কী? উত্তর: প্রশ্ন ২: ০% মানে কী? উত্তর: নিচে ২০টি শতকরা সম্পর্কিত সমস্যা দেওয়া হলো সমস্যা ১: কোনো পণ্যের দাম ৫০০ টাকা। যদি ১০% ছাড় দেওয়া হয়, তবে দাম কত হবে? সমস্যা ২: একটি ক্লাসে ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে ২৫ জন মেয়ে। মেয়েদের শতকরা কত? সমস্যা ৩: ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থী ৭৫ নম্বর পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা নির্ণয় করো। সমস্যা ৪: একটি স্কুলে ২০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে ১৬০ জন প্রতিদিন উপস্থিত থাকে। উপস্থিতির শতকরা কত? সমস্যা ৫: ২০টি পণ্যের মধ্যে ৮টি পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট পণ্যের শতকরা কত? মাঝারি সমস্যা: সমস্যা ৬: কোনো পণ্যের ক্রয়মূল্য ১০০০ টাকা এবং বিক্রয়মূল্য ১২০০ টাকা। মুনাফার শতকরা কত? সমস্যা ৭: কোনো কাজ ৪০ জন কর্মী একত্রে করলে ১০ দিনে শেষ হয়। যদি কর্মীদের সংখ্যা ২০%-এর মতো বাড়ানো হয়, তবে কাজটি কত দিনে শেষ হবে? সমস্যা ৮: কোনো স্কুলের ছাত্রসংখ্যা ৩০০। যদি প্রতি বছর ৫% হারে বৃদ্ধি পায়, তবে ২ বছরের পর ছাত্রসংখ্যা কত হবে? সমস্যা ৯: ৪০টি বলের মধ্যে ১০টি লাল, ১৫টি নীল, এবং বাকিগুলো সবুজ। সবুজ বলের শতকরা কত? সমস্যা ১০: কোনো ব্যাংকে ২ বছরের জন্য ১০০০০ টাকা জমা রাখা হলে, প্রতি বছর ৬% সরল সুদে কত টাকা সুদ পাওয়া যাবে? উন্নত সমস্যা: সমস্যা ১১: একটি কোম্পানির আয় গত বছর ২০ লাখ টাকা ছিল। এ বছর ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের আয় কত? সমস্যা ১২: একটি পরীক্ষায় ২০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তার মধ্যে ৭৫% পাশ করেছে। কতজন শিক্ষার্থী পাশ করেনি? সমস্যা ১৩: একটি পণ্যের দাম ১০০০ টাকা। ২০% ছাড়ের পর যদি ৫% ভ্যাট যোগ করা হয়, তবে ক্রেতাকে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে? সমস্যা ১৪: একটি দোকানদার পণ্য ২৫% মুনাফায় বিক্রি করেন। যদি তার ক্রয়মূল্য ৮০০ টাকা হয়, তবে বিক্রয়মূল্য কত হবে? সমস্যা ১৫: একটি বস্তায় ৪০ কেজি চাল রয়েছে। তার ১০% নষ্ট হয়ে গেছে। বস্তায় এখন কত কেজি চাল আছে? কঠিন সমস্যা: সমস্যা ১৬: একটি জমির মূল্য প্রতি বছর ১০% হারে বৃদ্ধি পায়। ৩ বছরে জমির মূল্য ২০ লাখ টাকা থেকে কত হবে? সমস্যা ১৭: একটি দোকানদার ১০০০ টাকায় একটি পণ্য কিনে সেটি ২০% লাভে বিক্রি করল। পরবর্তীতে পণ্যের উপর ১০% ছাড় দিলে ক্রেতা কত টাকা পরিশোধ করবে? সমস্যা ১৮: কোনো পণ্যের দাম প্রথমে ২০% কমানো হলো এবং পরে ১৫% বাড়ানো হলো। যদি পণ্যের আসল দাম ৫০০ টাকা হয়, তবে বর্তমান দাম কত? সমস্যা ১৯: একটি কোম্পানি বছরে ৮% হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ দেয়। ৩ বছরে ১০,০০০ টাকার উপর মোট সুদ কত হবে? সমস্যা ২০: কোনো একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের গড় নম্বর ৭০। যদি ৬০% শিক্ষার্থীর নম্বর ৭৫ হয় এবং বাকিদের নম্বর ৬৫ হয়, তবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কত? বিসিএসে শতকরা থেকে আসা প্রশ্ন ১)৩৫০ টাকা দরে ৩ কেজি মিষ্টি কিনে ৪ টাকা হারে ভ্যাট দিলে মোট কত ভ্যাট দিতে হবে? ক. ১৪ টাকা খ. ৪২ টাকা গ. ১২ টাকা ঘ. ১০৫ টাকা উত্তর: খ ব্যাখ্যা: মুখে মুখে এভাবে ১০০ টাকায় ৪ টাকা ভ্যাট হলে ৩০০ টাকায় ভ্যাট ১২ এবং ৫০ টাকায় ২ তাহলে ১ কেজি তে মোট ভ্যাট ১৪টাকা এবং ৩ কেজিতে মোট ভ্যাট ১৪ × ৩ = ৪২টাকা) ২)যদি তেলের মূল্য ২৫% বৃদ্ধি পায় তবে তেলের ব্যবহার শতকরা কত কমালে তেল বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পাবে না? ক.১৬% খ.২০% গ.২৫% ঘ.২৪% উত্তর: খ ব্যাখ্যা: ২৫% বেড়ে ১০০ থেকে হবে ১২৫ এখন খরচ বৃদ্ধি না করার জন্য ১০০ টাকার খরচ করতে হবে। অর্থাৎ নতুন খরচ কমাতে হবে ২৫ টাকা। এই ১২৫ টাকায় কমাতে হবে ২৫টাকা বা ৫ ভাগের ১ ভাগ অর্থাৎ ১০০ তে ২০ বা ২০%। ৩)২ এর কত শতাংশ ৮ হবে? ক. ২০০ খ. ৪০০ গ. ৩৪৫ ঘ. ৩০০ উত্তর: খ ব্যাখ্যা: ৮ হলো ২ এর থেকে ৪ গুণ বড় তাই শতকরা হার হবে ৪০০% । ৪) ১২ এর কত শতাংশ ১৮ হবে? ক. ১১০ খ. ১২৫ গ. ১৫০ ঘ. ১৬০ উত্তর:খ ব্যাখ্যা: ১২ তে ১৮ হলে, ১ এ বা দেড়গুণ তাহলে , ১০০ তে =১৫০। ৫) কলার দাম ২০% কমে যাওয়ায় ১২ টাকায় পূর্ব অপেক্ষা ২টি কলা বেশি পাওয়া গেলে বর্তমানে একটি কলার দাম কত টাকা? ক) ১.৫০ খ) ৩.০০ গ) ২.৫০ ঘ) ৪.০০ নোট: প্রশ্নে ভুল আছে। উত্তর :১.২ হবে। ব্যাখ্যা: ১২ টাকা কলার দাম ২০% কমে যাওয়ায় টাকা সেভ হচ্ছে ১২ এর ২০% বা ১২ = ২.৪টাকা। তাহলে এই সেভ হওয়া টাকা দিয়েই অতিরিক্ত ২টি কলা পাওয়া যায়, সুতরাং দুটি কলার দাম হল ২.৪, তাহলে একটি কলার বর্তমান দাম হবে = ১.২ টাকা। ক) ৪কেজি এর ৭৫% কত কেজি? = ৩ খ) ৬০টি কলমের ২০% কতটি? = ১২ গ)০.২ এর ২০%= কত?(একই ভাবে)= .০৪ ঘ) ১৫ টাকা��� শতকরা ৭ অংশ কত? (শ্রম অধিদপ্তর -৯৫) = ১.০৫ ঙ) ১০০ টাকার % = কত? (আবহাওয়াবিদ-৯৫) = .৫০ ১) একটি কলম ৫০ টাকায় ক্রয় করে ৫৬ টাকায় বিক্রয় করা হলো। এতে শতকরা কত লাভ হলো? (সহকারী জজ-১১) সমাধান: ৫০টাকায় ৬ টাকা লাভ হলে ১০০ টাকায় ১২ টাকা বা ১২% ২) ৬০জন ছাত্রের মধ্যে ৪২ জন ফেল করলে পাশের হার কত? সহকারী জজ-১১) (বাতিলকৃত ২৪তম বিসিএস) সমাধান: ৬০ জনে ফেল ৬০-৪২ = ১৮ তাহলে শতকরা ফেল হবে = ৩০% ৩) এক ব্যক্তির বেতন ২০% হারে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৬০০০ টাকা হয়েছে। বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বে তার বেতন কত ছিল? (সহকারী জজ -১০) ব্যাখ্যা: (এখানে ১২০% এর মান ৬০০০) ( ২০% বাড়ায় ১২০% হয়েছে তা���লে ১২০% = ৬০০০ সুতরাং ১০০% = ৫০০০টা) ৪) ১জন পাইকারী ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতা উভয়ে ২০% লাভে পণ্য বিক্রি করে। একটি শার্ট যার প্রাথমিক মূল্য ছিল ৪০০ টাকা, একজন ক্রেতা তা কত টাকায় কিনতে পারবে? উত্তর:৫৭৬ টাকা খুব সহজে: (৪০০ এর ১২০% এর ১২০% = ৫৭৬, কারণ ২০% লাভ হওয়াতে ১০০ এর সাথে ২০% যোগ হয়েছে এবং দুবার লাভ করায় দুবার ১২০% লিখতে হয়) ৫) গমের মূল্য ১৫% কমে যাওয়ায় ৬০০০ টাকায় পূর্বাপেক্ষা ১ কুইন্টাল গম বেশি পাওয়া যায়। ১ কেজি গমের বর্তমান মূল্য কত? (পল্লী উন্ন:ও সম:বিভা:উপ আঞ্চলিক ব্যব:-১৩) উত্তর: ৯ টাকা হ্রাস-বৃদ্ধির শতকরা: ৬) একজন ব্যাবসায়ী তার পণ্যের দাম ২০% বাড়িয়ে দিলেন, এতে তার বিক্রি কমে যাওয়ায় তিনি পুনরায় ২০% দাম কমিয়ে দিলেন। এতে তার প্রথম মূল্যের তুলনায় দাম কতটুকু কমলো বা বাড়লো? ব্যাখ্যা সহ সমাধান: ২০% দাম বাড়ালে ১০০ থেকে ১২০ হয়, দ্বিতীয়বার ২০% কমালে ১২০ এর ২০% অর্থাৎ ২৪ কমে যায়। তাহলে থাকে ১২০-২৪ = ৯৬। মোটের উপর কমে ১০০-৯৬ = ৪% ৭) একটি আয়তাকার ক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ২০% বৃদ্ধি ও প্রস্থ ১০% হ্রাস করা হলে, ক্ষেত্রফলের শতকরা কত পরিবর্তন হবে?(পল্লী উন্ন:ও সম:বিভা:উপ আঞ্চলিক ব্যব:-১৩) ব্যাখ্যা: প্রথমে ১০০ থেকে ১২০ তার পর ১২০ এর ১০% অর্থাৎ ১২ কমে ১০৮ হলে ৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। ৮) একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্র্ঘ্য ১০% বাড়লো এবং প্রস্থ ১০% কমলো ক্ষেত্রফলের কি পরিবর্তন হলো? ব্যাখ্যা: (১০০+১০ = ১১০-১১ = ৯৯ তাই উত্তর ১) ৯) একটি বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ১০০ বর্গমিটার। এই ক্ষেত্রের প্রতিটি বাহু ১০% বৃদ্ধি করা হলে ক্ষেত্রফল শতকরা কত ভাগ বৃদ্ধি পাবে?(স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণা:কারা তত্ত্বা:-১০) ২১% ব্যাখ্যা: দুবার ১০% করে বাড়লে মোটের উপর ১০+১১ = ২১% বাড়ে। উত্তর: ২১%) ১০) এক ব্যাবসায়ী একটি পণ্যের মূল্য ২৫% বাড়ালে, অতঃপর বর্ধিত মূল্য থেকে ২৫% কমালে, সর্বশেষ মূল্য সর্বপ্রথম মূল্যের তুলনায় কত বাড়লো বা কমলো? (২৭তম বিসিএস) ব্যাখ্যা: ১১) একটি গণিতের বই কিনতে ১৫% কমিশন দেয়। বইটির প্রকৃত (কভারে লিখিত দাম) ১২০ টাকা । বইটি কিনতে কত টাকা লাগবে? ব্যাখ্যা: কভারের দাম থেকে ১��% কমিশন দিলে নিবে ৮৫% তাহলে এক লাইনে উত্তর: ১২০ এর ৮৫% বা ১০২ টাকা। নিজেকে যাচাই করার করার জন্য কিছু সমস্যা 1: ৪৫০ এর ২২% = কত? (৬ষ্ঠ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা ২০১০) ক.৬৬ খ.৭৭ গ.৮৮ ঘ.৯৯ 2: ৭৫ যে সংখ্যার ২৫% – ক. ১০০ খ. ২৫০ গ. ৩০০ ঘ. ৭৫০ 3: ১১০ জন ছাত্রের মধ্যে ১১ জন ফেল করলে পাশের হার কত? (ইসলামী ব্যাংক ম্যসেঞ্জার কাম গার্ড ২০০৯) ক. ৮০% খ. ৭৫% গ. ৯৫% ঘ. ৯০% 4: কোনো সংখ্যার ১৪%, ৬ হলে, সে সংখ্যার ৪০% কত হবে? (ইসলামী ব্যাংক ফিল্ড অফিসার, আরডিএস ২০১০) ক.৮ খ. ১০ গ. ১৫ ঘ. কোনটিই নয়। 5: ৬০ জন ছাত্রের মধ্যে ৪২ জন ফেল করলে পাশের হার কত? ক.২৫% খ.২৮% গ.৩০% ঘ.৩২% 6: এক ব্যক্তি ৫০০ টাকায় একটি শাড়ি ক্রয় করে ৬ মাস পরে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করল। তার বাৎসরিক শতকরা কত টাকা লাভ হলো? (ইসলামী ব্যাংক সহকারী অফিসার ২০০৮) ক. ১০% খ.১৫% গ. ২০% ঘ.৩০% 7: কংকা টিভির মূল্য ২০% হ্রাস করার ফলে যদি উহার বিক্রয়ের পরিমাণ ৫০% বৃদ্ধি পায়, তাহলে কোম্পানীর বিক্রয় খাতে অর্জিত রাজস্ব আয়ে পরিবর্তনের হার কিরূপ হবে? ক.২৫% বৃদ্ধি খ.২২% বৃদ্ধি গ.২০% বৃদ্ধি ঘ.১৯% বৃদ্ধি 8: একজন বিক্রেতা তার পণ্যের দাম ২০% বাড়ানোর পর দেখলেন যে তার পণ্যের বিক্রি কমে গেছে তাই সে পুণরায় তার পণ্যের দাম ১০% কমিয়ে দিল এতে মোটের উপর তার পণ্যের দাম কত % কমলো বা বাড়লো? (ক) ৪%বাড়লো (খ) ৮%বাড়লো (গ) ৪%কমলো (ঘ) ৮%কমলো 9: একটি বইয়ের লিখিত মূলের উপর ১৫% ছাড় দেয়া হলো। যদি বইটির গায়ে ২৪০টাকা লিখা থাকে তাহলে বইটি কিনতে কত টাকা লাগবে? (ক) ২০২ টাকা (খ) ২০৪ টাকা (গ) ২৩৬ টাকা (ঘ) ২৭৮ টাকা 10: ২ এর কত শতাংশ ২.৫ হবে? ক.৮ খ.৮০ গ.১২৫ ঘ.১৫০ উপসংহার: শতকরা গণিতের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা দৈনন্দিন জীবনে হিসাব-নিকাশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ব্যবসা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে শতকরা আমাদের কাজকে সহজ ও প্রাসঙ্গিক করে তোলে। Read the full article
0 notes
Link
টি-টোয়েন্টিতে এক বছরে সবচেয়ে বেশিবার ২০০ বা
0 notes
Text
ইসলাম কাকে বলে
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান।
ইসলাম একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা এই: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন 'সত্য মাবুদ' নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫)‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২)‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
ইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইসলাম মূলত কী? এটা কি কোনো ধর্ম, নাকি জীবনবিধান? নাকি কোনো দর্শন বা সংস্কৃতি? ইসলাম আরবি শব্দ। মূল ধাতু ‘সিলমুন’ থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। কোনো কোনো অভিধানকারের মতে, ইসলামের শাব্দিক অর্থ ‘শান্তি’ ও ‘আত্মসমর্পণ’। (হোয়াট ইসলাম ইজ অল অ্যাবাউট, ইয়াসির ক্বাদি, অনুবাদ: আলী আহমদ মাবরুর, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ১১৭) কোনো কোনো অভিধানকার বলেছেন, ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘অনুগত হওয়া’ বা ‘আনুগত্য করা’, ‘মেনে নেওয়া’, ‘বিনম্র হওয়া’, ‘নিরাপত্তা’ এবং ‘সমর্পণ’ ইত্যাদি।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম হলো, ‘তাওহিদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ–তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং একমাত্র তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করা। বিনাদ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসারে জীবন যাপন করা।’
আভিধানিকভাবে ইমানের সম্পর্ক বিশ্বাসের দিকে বা সঙ্গে আর ইসলামের সম্পর্ক কর্মের দিকে বা সঙ্গে। (
আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে আদর্শ ও বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন, তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও অনুসরণ করার নাম ইসলাম
আল্লা��–পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মরণ জগৎসমূহের মালিকের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম মুসলিম।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
ইসলামের সংজ্ঞা বা পরিচয়
জিব্রাইল (আ.) একবার মানুষের বেশে উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ–তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান মানে রোজা রাখা এবং সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা, এটাই হলো ইসলাম।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তর শুনে জিব্রাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি সত্য বলেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। স্তম্ভগুলো হলো—১. আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ৫. সামর্থ্য হলে হজ পালন করা। (মুসলিম, হাদিস: ১৬)
ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হওয়া একমাত্র মনোনীত ও চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা কবুল বা গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম আল্লাহ–তাআলা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা ধর্ম।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৩)
প্রসিদ্ধ তাফসির–বিশারদ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এই আয়াত পবিত্র কোরআন নাজিলের শেষ দিককার আয়াত। এরপর বিধিবিধান–সম্পর্কিত আর কোনো আয়াত নাজিল হয়নি। আদম (আ.)-এর যুগ থেকে যে সত্য ধর্ম ও আল্লাহর নিয়ামতের অবতরণ ও প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক ভূখণ্ডের অবস্থা অনুযায়ী আদম সন্তানের মধ্যে নিয়ামত বণ্টনের যে ধারা অব্যাহত ছিল, আজ সে নিয়ামত ও ধর্ম পরিপূর্ণ আকারে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর উম্মতকে প্রদান করা হলো।’ (তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফী, অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ৩০৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল হবে না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫)
বস্তুত ইসলাম সব নবী-রাসুলের অভিন্ন ধর্ম। প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সবাই এ ধর্ম বা জীবনবিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোট কথা, আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রচারিত ধর্মে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য ছিল না। তবে প্রত্যেক নবী-রাসুলকে আলাদা বা ভিন্ন শরিয়ত দান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮)
ইব্রাহিম (আ.) সর্বপ্রথম নিজ ধর্মকে ‘ইসলাম’ নামে এবং তাঁর অনুসারীদের ‘উম্মতে মুসলিমা’ নামকরণে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি আগে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
ইসলামই মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। দ্বীনে ফিতরাত বা সহজাত জীবনবিধান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবসুলভ সহজাত প্রকৃতির (ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা আগুনপূজারি বানায়। (বুখারি, হাদিস: ১৩৫৮)
আদম (আ.) থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নবী-রাসুলের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের যে ধারা যুগে যুগে অনুসৃত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে সে ধারার পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনিই সর্বশেষ নবী। আখেরি রাসুল। তারপরে আর কোনো নবী বা রাসুলের আগমন এ ধরাতে ঘটবে না এবং তাঁর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুলের শরিয়ত বা জীবনবিধান রহিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে—কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আনীত দ্বীন তথা জীবনবিধানকে বোঝা হবে।
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
0 notes
Text
‘আপা চলে গেছে, বর্জ্য রেখে গেছে’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ শেষ। আগামী ১০০-২০০ বছরেও আর দাঁড়াতে পারবে না। আপা চলে গেছে, বর্জ্য রেখে গেছে। টাকা-পয়সা লুট করে, আলেম-ওলামাদের জেল-ফাঁসি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ৮-১০টি ব্যাংক এখন পুরো বন্ধ, টাকা নাই। লুটপাট করেছে সব। দেশ থেকে লুট করে দেশের বাইরে বাড়ি করেছে। গোটা দেশ লুটপাট করে ভারতে গিয়ে বসে আছে…
0 notes