#যাবে
Explore tagged Tumblr posts
Text
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের ম্যাচ দেখা যাবে ২০০ টাকায়
টপ নিউজ ডেক্স: ১ মার্চ শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)সোমবার টিকিটের মূল্যতালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে ২০০ টাকা টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে ক্রিকেটপ্রেমীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনে সুযোগ না থাকায় ক্রিকেট ভক্তদের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনতে হবে । সমর্থকরা মোট ৫…
View On WordPress
0 notes
Video
কোন ভুল করলে ৪০ বছরের ইবাদত নষ্ট হয়ে যাবে নারী বক্তার সকিনা বেগম✅mohila...
#youtube#কোন ভুল করলে ৪০ বছরের ইবাদত নষ্ট হয়ে যাবে নারী বক্তার সকিনা বেগম✅mohila waz mohila der waz
1 note
·
View note
Text
#“কিয়ামতের আগে কুরআনের অক্ষর মুছে যাবে#শুধু পাতাগুলো থাকবে – কীভাবে আমরা প্রস্তুত হবো?“কিয়ামত কুরআন ইসলামিক_উপদেশ
0 notes
Text
youtube
#তাসলিমা সরকারের নাচ গান দেখলে সবার মন শীতল হয়ে যাবে। একি অসাধারন গান গাইলো দেখুন। Projapoti Dj Song#https://www.youtube.com/watch?v=DZtBAZzwfMY#প্রজাপতি মিউজিক#projapoti music hd#bangla new song 2025#বাউল গান#বাংলা ফোক গান#baul song 2025#new song 2025#bangla baul song#bangla folk song#projapoti music#projapoti baul song#baul song#folk song#ফোক গান#ভান্ডারী গান#dj song#tiktok song#viral song#dance#অস্থির নাচ#bangla gaan#bangla dance#2025#ভাইরাল নাচ#তাসলিমা সরকার বাউল গান#প্রজাপতি মিউজিখ#তাসলিমা সরকারের নাচ গান দেখলে সবার মন শীতল হয়ে যাবে#একি অসাধারন গান গাইলো দেখুন
0 notes
Text
1 note
·
View note
Text
#জান্নাতীরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করে যাবে#তখন একজন ঘােষণাকারী ঘােষণা করবে যে#তোমাদের জন্য এখন অনন্ত জীবন; তোমরা আর কখনো মরবে না।
0 notes
Text
রিলে কি?রিলে কত প্রকার ? রিলের কাজ কি ? রিলে কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়?
রিলে একটি ইলেকট্রনিক বা ইলেকট্রোমেকানিক্যাল ডিভাইস যা একটি ছোট ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের মাধ্যমে একটি বৃহত্তর লোড বা সার্কিট চালাতে বা বন্ধ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত একটি সুইচ হিসেবে কাজ ক��ে, যা ইলেকট্রিক্যাল সংকেতের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। রিলে কি? রিলে কত প্রকার ? রিলের কাজ কি ? রিলে কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়? কিভাবে বোঝা যাবে রিলে নষ্ট হয়ে গেছে? রিলের প্রকারভেদ: ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল…
#ওভার লোড রিলের কাজ কি#কিভাবে বোঝা যাবে রিলে নষ্ট হয়ে গেছে?#টাইমার রিলে#ফ্রিজের রিলের কাজ কি#রিলে কত প্রকার ?#রিলে কত প্রকার ও কি কি#রিলে কাকে বলে#রিলে কি এবং এর কাজ কি?#রিলে কি?#রিলে কিসের ব্যবহার?#রিলে কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়?#রিলে প্রধানত কত প্রকার?#রিলে সুইচ#রিলের কাজ কি ?#রিলের দাম#রিলের ব্যবহার#লাইনের জন্য ডিরেকশনাল রিলে কেন প্রয়োজন?
0 notes
Text
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায়
বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহ��ায়ালার সাহায্যের মুখাপেক্ষি। এ বিশ্বাস অন্তরে স্থাপন ঈমানের অংশবিশেষ।
জীবন চলার পথে নানা সময়ে মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হয়। কষ্ট পায়, অসুস্থ হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ যেন আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে তার সাহায্য কামনা করে সমস্যামুক্ত হয়- সে পথ বলে দিয়েছেন। কোন পথে, কীভাবে মানুষ আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে, সেই উপায় ও পথও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ তোমরা নামাজ ও সবরের (ধৈর্য) মাধ্যমে আমার (আল্লাহর) সাহায্য কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহভীরু ছাড়া এটা অবশ্যই কঠিন কাজ। বর্ণিত আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণের জন্য সবর ও নামাজের মাধ্যমে তার কাছে সাহায্য প্রার্থনার নির্দেশ দিচ্ছেন। এই আয়াতাংশ আমাদের উত্তমরূপে অনুধাবন করা প্রয়োজন। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আবু বকর আল জাসসাস ‘আহকামুল কুরআন’ তাফসিরে লিখেছেন, এর অর্থ আল্লাহ যা ফরজ করেছেন, সেসব ফরজ কাজ অত্যন্ত ধৈর্য-সহকারে আদায় করতে থাকা। আর তার হুকুম অমান্য করা থেকে বিরত থাকা।
আয়াতে নামাজের পাশাপাশি এসেছে সবরের কথা। পবিত্র কোরআনে সবর শব্দটির অর্থ ব্যাপক। হাদিসে এর ব্যবহার এসেছে ব্যাপক অর্থে। যেমন কোথাও এসেছে ধৈর্যধারণ অর্থে; যেমন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান মানুষের সঙ্গে একাত্ম ও একত্র হয়ে বসবাস করে এবং তাদের সদ্ভাব ও যন্ত্রণায় ধৈর্যধারণ করে, সে ব্যক্তি ওই মানুষের চেয়ে উত্তম, যে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করে না....। ’ কোথাও সবর এসেছে দৃঢ়তা অর্থে; যেমন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা করো না, আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার প্রার্থনা করো। কিন্তু যখন শত্রুর সম্মুখীন হও, তখন ধৈর্য ও দৃঢ়তা প্রকাশ করো। আসলে সবর এমন একটি শব্দ যা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিশব্দে প্রকাশ করা বা বুঝানো কঠিন। এ শব্দটি যেসব ব্যঞ্জনাময় অর্থ প্রকাশ করে তার মধ্যে ��য়েছে-
১. পরিপূর্ণতা বিধানের জন্য সহিষ্ণুতা, অধীর না হওয়া। ২. সহিষ্ণুতা, অধ্যাবসায়, দৃঢ় সংকল্প, স্থিরতা- উদ্দেশ্য সাধনে কঠিন হওয়া। ৩. আকস্মিক বা দৈব কার্যকরণের বিপরীতে সুবিন্যস্ত বা প্রণালীবদ্ধভাবে কার্য সম্পাদন করা। ৪. দুঃখ, পরাজিত বা ভোগান্তি অবস্থায় বিরক্ত ও বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন না হয়ে এসব অবস্থা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণপূর্বক আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং অলস ও উদাসীন না হয়ে অবিরত দৃঢ়তার সঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। বস্তুত সৎ ও পুণ্যের পথে চলা যদি কারো পক্ষে কষ্টকর বলে মনে হয়, তবে এর একমাত্র প্রতিষেধক হচ্ছে ধৈর্য-সহিষ্ণুতা ও নামাজ। আর এ দুটি কাজ থেকে মুমিন-মুসলমানরা যে শক্তি লাভ করবে; সেটা তার পথচলাকে সহজতর করে দেবে। সবর এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত রাখা ও বাধা দেওয়া। আর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে- ইচ্ছার দৃঢ়তা, সংকল্পের পরিপক্কতা এবং লালসা-বাসনা নিয়ন্ত্রণ। যে ইচ্ছার মাধ্যমে কোনো মানুষ তার লালসা ও বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে নিজের মনোনীত পথে অব্যাহত গতিতে অগ্রসর হতে পারে। এখানেই সবরের তাৎপর্য নিহিত। কারণ, বর্ণিত গুণ নিজের মধ্যে জাগিয়ে অন্তরকে শক্তিশালী করার জন্য রীতিমত সাধনা আবশ্যক। আর ওই সাধনা হতে হবে নিরবচ্ছিন্ন, সংগ্রামমুখর ও কষ্টসাধ্য। তাই তো সবরের কথা বারবার বলা হয়েছে। অনেকে সবরের অর্থ বলেছেন, আল্লাহর মর্জির ওপর তাকে খুশি করার জন্য ধৈর্যধারণ। আর ধৈর্যশীলতাই তো আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের পথ। এ সম্পর্কে ইরশাদ হচ্ছে, ‘জ্ঞানপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বলল, তোমাদের জন্য আক্ষেপ! ঈমানদার লোকদের জন্য আল্লাহর পুরস্কার উত্তম, ধৈর্যশীল ছাড়া তার সাক্ষাৎ পাবে না। ’ আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হলো নামাজ আদায়। শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাস্তব জীবনই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। ইবনে জারির (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো কারণে অস্থির হয়ে পড়তেন, তখন তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। বনি ইসরাঈলদের নেককার লোকেরাও নিষ্ঠার সঙ্গে নামাজ আদায় করত। সাহাবিরা এ আমল করেছেন। আমাদের পূর্ববর্তী আলেম-উলামা ও অলি-আউলিয়াদেরও তেমন অভ্যাসই ছিল। পরবর্তী সময়ে মানুষ যখন নামাজের ব্যাপারে উদাসীনতা প্রদর্শন শুরু করল, তখন তাদের ওপর আজ��ব-গজব আসতে লাগল। তাই আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচতে ও আল্লাহর সাহায্য পেতে নামাজ ও সবরের ওপরে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ��াকতে হবে। আর তা হলেই কেবল মহান আল্লাহতায়ালার অবারিত সাহায্য নেমে আসবে। আল্লাহতায়ালা দুনিয়াবাসীর জন্য তার অসীম রহমতের দ্বার খুলে দিন। আমিন।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহর সাহায্য লাভের নির্ধারিত পথ আছে। সাহায্য পেতে হলে সে রাস্তাই অনুসরণ করতে হবে। কোনো ব্যক্তি আল্লাহর সাহায্য পেতে চাইলে তাকে ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভর হতে হবে। ফলে সে পৃথিবীর সব কিছু ত্যাগ করবে এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করে নেবে।
কেননা আল্লাহর সাহায্য তার ভাগ্যেই জোটে, তা লাভ করার জন্য যে জীবনের সব কিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহ মুমিনদের যেসব মূলনীতির আলোকে সাহায্য প্রদান করে থাকেন, তা হলো—
১. সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকেই : আল্লাহ যাকে সাহায্য করেন তাকে পরাজিত করার মতো কোনো শক্তি নেই। আর আল্লাহ যাকে অপদস্থ করেন তাকে সাহায্য করার কেউ নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করলে তোমাদের ওপর জয়ী হওয়ার কেউ থাকবে না।
আর তিনি তোমাদের সাহায্য না করলে, তিনি ছাড়া কে এমন আছে যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? মুমিনরা আল্লাহর ওপরই নির্ভর করুক।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬০)
২. যখন সাহায্য চাওয়া হয় : মুমিন যখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করে, তখন আল্লাহ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে, তখন তিনি তোমাদের জবাব দিয়েছিলেন—আমি তোমাদের সাহায্য করব এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা, যারা একের পর এক আসবে।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৯)
৩. দুর্বলকে সবলের বিপক্ষে সাহায্য করেন : মহান আল্লাহ সংখ্যায় অল্প এবং দুর্বলদেরকে সবলদের বিপক্ষে সাহায্য দান করেন।যেমন তিনি তালুতের অনুসারীদের জালুতের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, জালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো শক্তি আজ আমাদের নেই। কিন্তু যাদের প্রত্যয় ছিল আল্লাহর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘটবে তারা বলল, আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভূত করেছে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
৪. আল্লাহ শক্তিহীনকে রক্ষা করেন : আল্লাহ কখনো কখনো উপায়-উপকরণ ও শক্তিহীন মানুষকে তাঁর সাহায্যের মাধ্যমে রক্ষা করেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা তাকে সাহায্য না করো, তবে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন, যখন অবিশ্বাসীরা তাকে বহিষ্কার করেছিল এবং সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল, সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, বিষণ্ন হইও না, আল্লাহ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪০)
৫. যারা আল্লাহকে সাহায্য করে : আল্লাহ তাঁর সেসব বান্দাকে সাহায্য করেন, যারা বিশুদ্ধ ঈমান, নেক আমল ও দ্বিন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁকে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান দৃঢ় করবেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ৭)
৬. মুমিনদের সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদের সাহায্য করেন। সাহায্য লাভ করা মুমিনের অধিকার। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ৪৭)
৭. মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদেরকে মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা তোমাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মুমিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন। এবং তিনি তাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৬২-৬৩)
৮. ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমেও মুমিনদের সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু এবং এক বাহিনী, যা তোমরা দেখনি।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৯)
৯. শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টি করে : আল্লাহ শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে মুমিনদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কল্পনাও করোনি যে তারা নির্বাসিত হবে এবং তারা মনে করেছিল তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে রক্ষা করবে আল্লাহ থেকে। কিন্তু আল্লাহর শাস্তি এমন এক দিক থেকে এলো, যা ছিল তাদের ধারণাতীত এবং তাদের অন্তরে তা ত্রাসের সঞ্চার করল।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
১০. বিজয় দানের মাধ্যমে : আল্লাহ কখনো কখনো মুমিনদের বিজয় দানের মাধ্যমে তাদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা ধ্বংস করে ফেলল নিজেদের বাড়ি-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুমিনদের হাতেও; অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা! তোমরা উপদেশ গ্রহণ কোরো।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
বিপদের সময় আল্লাহর কাছে কিভাবে সাহায্য চাইবো?
https://www.youtube.com/watch?v=Axsa77Wqi8Q
ভেঙে পড়বেন না বিপদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহর সাহায্য আসে।
https://www.youtube.com/watch?v=zyzOqnn1I08
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। ��রবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু ��ারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ একমাত্�� সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
youtube
কঠিন মসিবতের সময় কিভাবে আল্লাহর সাহায্য পাবেন
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় জেনে নিন!
youtube
আল্লাহকে কাছে পাওয়ার ১০টি বিশেষ আমল
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।
youtube
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
#আল্লাহর সাহায্য চাইলে#সুরাদুহা#সুরাইনশিরাহ#SurahDuha#SurahInshirah#Allah'sHelp#আল্লাহরসাহায্য#আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না#If You Want Allah's Help#You Cannot Be Restless.#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .
0 notes
Text
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায়
বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহতায়ালার সাহায্যের মুখাপেক্ষি। এ বিশ্বাস অন্তরে স্থাপন ঈমানের অংশবিশেষ।
জীবন চলার পথে নানা সময়ে মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হয়। কষ্ট পায়, অসুস্থ হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ যেন আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে তার সাহায্য কামনা করে সমস্যামুক্ত হয়- সে পথ বলে দিয়েছেন। কোন পথে, কীভাবে মানুষ আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে, সেই উপায় ও পথও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ তোমরা নামাজ ও সবরের (ধৈর্য) মাধ্যমে আমার (আল্লাহর) সাহায্য কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহভীরু ছাড়া এটা অবশ্যই কঠিন কাজ। বর্ণিত আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণের জন্য সবর ও নামাজের মাধ্যমে তার কাছে সাহায্য প্রার্থনার নির্দেশ দিচ্ছেন। এই আয়াতাংশ আমাদের উত্তমরূপে অনুধাবন করা প্রয়োজন। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আবু বকর আল জাসসাস ‘আহকামুল কুরআন’ তাফসিরে লিখেছেন, এর অর্থ আল্লাহ যা ফরজ করেছেন, সেসব ফরজ কাজ অত্যন্ত ধৈর্য-সহকারে আদায় করতে থাকা। আর তার হুকুম অমান্য করা থেকে বিরত থাকা।
আয়াতে নামাজের পাশাপাশি এসেছে সবরের কথা। পবিত্র কোরআনে সবর শব্দটির অর্থ ব্যাপক। হাদিসে এর ব্যবহার এসেছে ব্যাপক অর্থে। যেমন কোথাও এসেছে ধৈর্যধারণ অর্থে; যেমন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান মানুষের সঙ্গে একাত্ম ও একত্র হয়ে বসবাস করে এবং তাদের সদ্ভাব ও যন্ত্রণায় ধৈর্যধারণ করে, সে ব্যক্তি ওই মানুষের চেয়ে উত্তম, যে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করে না....। ’ কোথাও সবর এসেছে দৃঢ়তা অর্থে; যেমন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা করো না, আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার প্রার্থনা করো। কিন্তু যখন শত্রুর সম্মুখীন হও, তখন ধৈর্য ও দৃঢ়তা প্রকাশ করো। আসলে সবর এমন একটি শব্দ যা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিশব্দে প্রকাশ করা বা বুঝানো কঠিন। এ শব্দটি যেসব ব্যঞ্জনাময় অর্থ প্রকাশ করে তার মধ্যে রয়েছে-
১. পরিপূর্ণতা বিধানের জন্য সহিষ্ণুতা, অধীর না হওয়া। ২. সহিষ্ণুতা, অধ্যাবসায়, দৃঢ় সংকল্প, স্থিরতা- উদ্দেশ্য সাধনে কঠিন হওয়া। ৩. আকস্মিক বা দৈব কার্যকরণের বিপরীতে সুবিন্যস্ত বা প্রণালীবদ্ধভাবে কার্য সম্পাদন করা। ৪. দুঃখ, পরাজিত বা ভোগান্তি অবস্থায় বিরক্ত ও বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন না হয়ে এসব অবস্থা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণপূর্বক আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং অলস ও উদাসীন না হয়ে অবিরত দৃঢ়তার সঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। বস্তুত সৎ ও পুণ্যের পথে চলা যদি কারো পক্ষে কষ্টকর বলে মনে হয়, তবে এর একমাত্র প্রতিষেধক হচ্ছে ধৈর্য-সহিষ্ণুতা ও নামাজ। আর এ দুটি কাজ থেকে মুমিন-মুসলমানরা যে শক্তি লাভ করবে; সেটা তার পথচলাকে সহজতর করে দেবে। সবর এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত রাখা ও বাধা দেওয়া। আর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে- ইচ্ছার দৃঢ়তা, সংকল্পের পরিপক্কতা এবং লালসা-বাসনা নিয়ন্ত্রণ। যে ইচ্ছার মাধ্যমে কোনো মানুষ তার লালসা ও বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে নিজের মনোনীত পথে অব্যাহত গতিতে অগ্রসর হতে পারে। এখানেই সবরের তাৎপর্য নিহিত। কারণ, বর্ণিত গুণ নিজের মধ্যে জাগিয়ে অন্তরকে শক্তিশালী করার জন্য রীতিমত সাধনা আবশ্যক। আর ওই সাধনা হতে হবে নিরবচ্ছিন্ন, সংগ্রামমুখর ও কষ্টসাধ্য। তাই তো সবরের কথা বারবার বলা হয়েছে। অনেকে সবরের অর্থ বলেছেন, আল্লাহর মর্জির ওপর তাকে খুশি করার জন্য ধৈর্যধারণ। আর ধৈর্যশীলতাই তো আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের পথ। এ সম্পর্কে ইরশাদ হচ্ছে, ‘জ্ঞানপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বলল, তোমাদের জন্য আক্ষেপ! ঈমানদার লোকদের জন্য আল্লাহর পুরস্কার উত্তম, ধৈর্যশীল ছাড়া তার সাক্ষাৎ পাবে না। ’ আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হলো নামাজ আদায়। শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাস্তব জীবনই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। ইবনে জারির (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো কারণে অস্থির হয়ে পড়তেন, তখন তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। বনি ইসরাঈলদের নেককার লোকেরাও নিষ্ঠার সঙ্গে নামাজ আদায় করত। সাহাবিরা এ আমল করেছেন। আমাদের পূর্ববর্তী আলেম-উলামা ও অলি-আউলিয়াদেরও তেমন অভ্যাসই ছিল। পরবর্তী সময়ে মানুষ যখন নামাজের ব্যাপারে উদাসীনতা প্রদর্শন শুরু করল, তখন তাদের ওপর আজাব-গজব আসতে লাগল। তাই আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচতে ও আল্লাহর সাহায্য পেতে নামাজ ও সবরের ওপরে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে। আর তা হলেই কেবল মহান আল্লাহতায়ালার অবারিত সাহায্য নেমে আসবে। আল্লাহতায়ালা দুনিয়াবাসীর জন্য তার অসীম রহমতের দ্বার খুলে দিন। আমিন।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহর সাহায্য লাভের নির্ধারিত পথ আছে। সাহায্য পেতে হলে সে রাস্তাই অনুসরণ করতে হবে। কোনো ব্যক্তি আল্লাহর সাহায্য পেতে চাইলে তাকে ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভর হতে হবে। ফলে সে পৃথিবীর সব কিছু ত্যাগ করবে এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করে নেবে।
কেননা আল্লাহর সাহায্য তার ভাগ্যেই জোটে, তা লাভ করার জন্য যে জীবনের সব কিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহ মুমিনদের যেসব মূলনীতির আলোকে সাহায্য প্রদান করে থাকেন, তা হলো—
১. সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকেই : আল্লাহ যাকে সাহায্য করেন তাকে পরাজিত করার মতো কোনো শক্তি নেই। আর আল্লাহ যাকে অপদস্থ করেন তাকে সাহায্য করার কেউ নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করলে তোমাদের ওপর জয়ী হওয়ার কেউ থাকবে না।
আর তিনি তোমাদের সাহায্য না করলে, তিনি ছাড়া কে এমন আছে যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? মুমিনরা আল্লাহর ওপরই নির্ভর করুক।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬০)
২. যখন সাহায্য চাওয়া হয় : মুমিন যখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করে, তখন আল্লাহ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে, তখন তিনি তোমাদের জবাব দিয়েছিলেন—আমি তোমাদের সাহায্য করব এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা, যারা একের পর এক আসবে।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৯)
৩. দুর্বলকে সবলের বিপক্ষে সাহায্য করেন : মহান আল্লাহ সংখ্যায় অল্প এবং দুর্বলদেরকে সবলদের বিপক্ষে সাহায্য দান করেন।যেমন তিনি তালুতের অনুসারীদের জালুতের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, জালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো শক্তি আজ আমাদের নেই। কিন্তু যাদের প্রত্যয় ছিল আল্লাহর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘটবে তারা বলল, আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভূত করেছে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
৪. আল্লাহ শক্তিহীনকে রক্ষা করেন : আল্লাহ কখনো কখনো উপায়-উপকরণ ও শক্তিহীন মানুষকে তাঁর সাহায্যের মাধ্যমে রক্ষা করেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা তাকে সাহায্য না করো, তবে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন, যখন অবিশ্বাসীরা তাকে বহিষ্কার করেছিল এবং সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল, সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, বিষণ্ন হইও না, আল্লাহ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪০)
৫. যারা আল্লাহকে সাহায্য করে : আল্লাহ তাঁর সেসব বান্দাকে সাহায্য করেন, যারা বিশুদ্ধ ঈমান, নেক আমল ও দ্বিন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁকে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান দৃঢ় করবেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ৭)
৬. মুমিনদের সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদের সাহায্য করেন। সাহায্য লাভ করা মুমিনের অধিকার। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ৪৭)
৭. মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদেরকে মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা তোমাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মুমিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন। এবং তিনি তাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৬২-৬৩)
৮. ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমেও মুমিনদের সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু এবং এক বাহিনী, যা তোমরা দেখনি।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৯)
৯. শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টি করে : আল্লাহ শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে মুমিনদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কল্পনাও করোনি যে তারা নির্বাসিত হবে এবং তারা মনে করেছিল তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে রক্ষা করবে আল্লাহ থেকে। কিন্তু আল্লাহর শাস্তি এমন এক দিক থেকে এলো, যা ছিল তাদের ধারণাতীত এবং তাদের অন্তরে তা ত্রাসের সঞ্চার করল।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
১০. বিজয় দানের মাধ্যমে : আল্লাহ কখনো কখনো মুমিনদের বিজয় দানের মাধ্যমে তাদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা ধ্বংস করে ফেলল নিজেদের বাড়ি-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুমিনদের হাতেও; অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা! তোমরা উপদেশ গ্রহণ কোরো।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
বিপদের সময় আল্লাহর কাছে কিভাবে সাহায্য চাইবো?
https://www.youtube.com/watch?v=Axsa77Wqi8Q
ভেঙে পড়বেন না বিপদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহর সাহায্য আসে।
https://www.youtube.com/watch?v=zyzOqnn1I08
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
youtube
কঠিন মসিবতের সময় কিভাবে আল্লাহর সাহায্য পাবেন
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় জেনে নিন!
youtube
আল্লাহকে কাছে পাওয়ার ১০টি বিশেষ আমল
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।
youtube
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
#আল্লাহর সাহায্য চাইলে#সুরাদুহা#সুরাইনশিরাহ#SurahDuha#SurahInshirah#Allah'sHelp#আল্লাহরসাহায্য#আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না#If You Want Allah's Help#You Cannot Be Restless.#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .
0 notes
Text
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায়
বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহতায়ালার সাহায্যের মুখাপেক্ষি। এ বিশ্বাস অন্তরে স্থাপন ঈমানের অংশবিশেষ।
জীবন চলার পথে নানা সময়ে মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হয়। কষ্ট পায়, অসুস্থ হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ যেন আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে তার সাহায্য কামনা করে সমস্যামুক্ত হয়- সে পথ বলে দিয়েছেন। কোন পথে, কীভাবে মানুষ আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে, সেই উপায় ও পথও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ তোমরা নামাজ ও সবরের (ধৈর্য) মাধ্যমে আমার (আল্লাহর) সাহায্য কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহভীরু ছাড়া এটা অবশ্যই কঠিন কাজ। বর্ণিত আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণের জন্য সবর ও নামাজের মাধ্যমে তার কাছে সাহায্য প্রার্থনার নির্দেশ দিচ্ছেন। এই আয়াতাংশ আমাদের উত্তমরূপে অনুধাবন করা প্রয়োজন। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আবু বকর আল জাসসাস ‘আহকামুল কুরআন’ তাফসিরে লিখেছেন, এর অর্থ আল্লাহ যা ফরজ করেছেন, সেসব ফরজ কাজ অত্যন্ত ধৈর্য-সহকারে আদায় করতে থাকা। আর তার হুকুম অমান্য করা থেকে বিরত থাকা।
আয়াতে নামাজের পাশাপাশি এসেছে সবরের কথা। পবিত্র কোরআনে সবর শব্দটির অর্থ ব্যাপক। হাদিসে এর ব্যবহার এসেছে ব্যাপক অর্থে। যেমন কোথাও এসেছে ধৈর্যধারণ অর্থে; যেমন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান মানুষের সঙ্গে একাত্ম ও একত্র হয়ে বসবাস করে এবং তাদের সদ্ভাব ও যন্ত্রণায় ধৈর্যধারণ করে, সে ব্যক্তি ওই মানুষের চেয়ে উত্তম, যে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করে না....। ’ কোথাও সবর এসেছে দৃঢ়তা অর্থে; যেমন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা করো না, আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার প্রার্থনা করো। কিন্তু যখন শত্রুর সম্মুখীন হও, তখন ধৈর্য ও দৃঢ়তা প্রকাশ করো। আসলে সবর এমন একটি শব্দ যা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিশব্দে প্রকাশ করা বা বুঝানো কঠিন। এ শব্দটি যেসব ব্যঞ্জনাময় অর্থ প্রকাশ করে তার মধ্যে রয়েছে-
১. পরিপূর্ণতা বিধানের জন্য সহিষ্ণুতা, অধীর না হওয়া। ২. সহিষ্ণুতা, অধ্যাবসায়, দৃঢ় সংকল্প, স্থিরতা- উদ্দেশ্য সাধনে কঠিন হওয়া। ৩. আকস্মিক বা দৈব কার্যকরণের বিপরীতে সুবিন্যস্ত বা প্রণালীবদ্ধভাবে কার্য সম্পাদন করা। ৪. দুঃখ, পরাজিত বা ভোগান্তি অবস্থায় বিরক্ত ও বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন না হয়ে এসব অবস্থা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণপূর্বক আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং অলস ও উদাসীন না হয়ে অবিরত দৃঢ়তার সঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। বস্তুত সৎ ও পুণ্যের পথে চলা যদি কারো পক্ষে কষ্টকর বলে মনে হয়, তবে এর একমাত্র প্রতিষেধক হচ্ছে ধৈর্য-সহিষ্ণুতা ও নামাজ। আর এ দুটি কাজ থেকে মুমিন-মুসলমানরা যে শক্তি লাভ করবে; সেটা তার পথচলাকে সহজতর করে দেবে। সবর এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত রাখা ও বাধা দেওয়া। আর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে- ইচ্ছার দৃঢ়তা, সংকল্পের পরিপক্কতা এবং লালসা-বাসনা নিয়ন্ত্রণ। যে ইচ্ছার মাধ্যমে কোনো মানুষ তার লালসা ও বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে নিজের মনোনীত পথে অব্যাহত গতিতে অগ্রসর হতে পারে। এখানেই সবরের তাৎপর্য নিহিত। কারণ, বর্ণিত গুণ নিজের মধ্যে জাগিয়ে অন্তরকে শক্তিশালী করার জন্য রীতিমত সাধনা আবশ্যক। আর ওই সাধনা হতে হবে নিরবচ্ছিন্ন, সংগ্রামমুখর ও কষ্টসাধ্য। তাই তো সবরের কথা বারবার বলা হয়েছে। অনেকে সবরের অর্থ বলেছেন, আল্লাহর মর্জির ওপর তাকে খুশি করার জন্য ধৈর্যধারণ। আর ধৈর্যশীলতাই তো আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের পথ। এ সম্পর্কে ইরশাদ হচ্ছে, ‘জ্ঞানপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বলল, তোমাদের জন্য আক্ষেপ! ঈমানদার লোকদের জন্য আল্লাহর পুরস্কার উত্তম, ধৈর্যশীল ছাড়া তার সাক্ষাৎ পাবে না। ’ আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হলো নামাজ আদায়। শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাস্তব জীবনই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। ইবনে জারির (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো কারণে অস্থির হয়ে পড়তেন, তখন তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। বনি ইসরাঈলদের নেককার লোকেরাও নিষ্ঠার সঙ্গে নামাজ আদায় করত। সাহাবিরা এ আমল করেছেন। আমাদের পূর্ববর্তী আলেম-উলামা ও অলি-আউলিয়াদেরও তেমন অভ্যাসই ছিল। পরবর্তী সময়ে মানুষ যখন নামাজের ব্যাপারে উদাসীনতা প্রদর্শন শুরু করল, তখন তাদের ওপর আজাব-গজব আসতে লাগল। তাই আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচতে ও আল্লাহর সাহায্য পেতে নামাজ ও সবরের ওপরে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে। আর তা হলেই কেবল মহান আল্লাহতায়ালার অবারিত সাহায্য নেমে আসবে। আল্লাহতায়ালা দুনিয়াবাসীর জন্য তার অসীম রহমতের দ্বার খুলে দিন। আমিন।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহর সাহায্য লাভের নির্ধারিত পথ আছে। সাহায্য পেতে হলে সে রাস্তাই অনুসরণ করতে হবে। কোনো ব্যক্তি আল্লাহর সাহায্য পেতে চাইলে তাকে ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভর হতে হবে। ফলে সে পৃথিবীর সব কিছু ত্যাগ করবে এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করে নেবে।
কেননা আল্লাহর সাহায্য তার ভাগ্যেই জোটে, তা লাভ করার জন্য যে জীবনের সব কিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহ মুমিনদের যেসব মূলনীতির আলোকে সাহায্য প্রদান করে থাকেন, তা হলো—
১. সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকেই : আল্লাহ যাকে সাহায্য করেন তাকে পরাজিত করার মতো কোনো শক্তি নেই। আর আল্লাহ যাকে অপদস্থ করেন তাকে সাহায্য করার কেউ নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করলে তোমাদের ওপর জয়ী হওয়ার কেউ থাকবে না।
আর তিনি তোমাদের সাহায্য না করলে, তিনি ছাড়া কে এমন আছে যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? মুমিনরা আল্লাহর ওপরই নির্ভর করুক।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬০)
২. যখন সাহায্য চাওয়া হয় : মুমিন যখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করে, তখন আল্লাহ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে, তখন তিনি তোমাদের জবাব দিয়েছিলেন—আমি তোমাদের সাহায্য করব এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা, যারা একের পর এক আসবে।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৯)
৩. দুর্বলকে সবলের বিপক্ষে সাহায্য করেন : মহান আল্লাহ সংখ্যায় অল্প এবং দুর্বলদেরকে সবলদের বিপক্ষে সাহায্য দান করেন।যেমন তিনি তালুতের অনুসারীদের জালুতের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, জালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো শক্তি আজ আমাদের নেই। কিন্তু যাদের প্রত্যয় ছিল আল্লাহর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘটবে তারা বলল, আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভূত করেছে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
৪. আল্লাহ শক্তিহীনকে রক্ষা করেন : আল্লাহ কখনো কখনো উপায়-উপকরণ ও শক্তিহীন মানুষকে তাঁর সাহায্যের মাধ্যমে রক্ষা করেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা তাকে সাহায্য না করো, তবে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন, যখন অবিশ্বাসীরা তাকে বহিষ্কার করেছিল এবং সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল, সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, বিষণ্ন হইও না, আল্লাহ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪০)
৫. যারা আল্লাহকে সাহায্য করে : আল্লাহ তাঁর সেসব বান্দাকে সাহায্য করেন, যারা বিশুদ্ধ ঈমান, নেক আমল ও দ্বিন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁকে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান দৃঢ় করবেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ৭)
৬. মুমিনদের সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদের সাহায্য করেন। সাহায্য লাভ করা মুমিনের অধিকার। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ৪৭)
৭. মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদেরকে মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা তোমাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মুমিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন। এবং তিনি তাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৬২-৬৩)
৮. ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমেও মুমিনদের সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু এবং এক বাহিনী, যা তোমরা দেখনি।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৯)
৯. শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টি করে : আল্লাহ শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে মুমিনদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কল্পনাও করোনি যে তারা নির্বাসিত হবে এবং তারা মনে করেছিল তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে রক্ষা করবে আল্লাহ থেকে। কিন্তু আল্লাহর শাস্তি এমন এক দিক থেকে এলো, যা ছিল তাদের ধারণাতীত এবং তাদের অন্তরে তা ত্রাসের সঞ্চার করল।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
১০. বিজয় দানের মাধ্যমে : আল্লাহ কখনো কখনো মুমিনদের বিজয় দানের মাধ্যমে তাদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা ধ্বংস করে ফেলল নিজেদের বাড়ি-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুমিনদের হাতেও; অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা! তোমরা উপদেশ গ্রহণ কোরো।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
বিপদের সময় আল্লাহর কাছে কিভাবে সাহায্য চাইবো?
https://www.youtube.com/watch?v=Axsa77Wqi8Q
ভেঙে পড়বেন না বিপদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহর সাহায্য আসে।
https://www.youtube.com/watch?v=zyzOqnn1I08
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর স���ীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
youtube
কঠিন মসিবতের সময় কিভাবে আল্লাহর সাহায্য পাবেন
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় জেনে নিন!
youtube
আল্লাহকে কাছে পাওয়ার ১০টি বিশেষ আমল
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।
youtube
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
#আল্লাহর সাহায্য চাইলে#সুরাদুহা#সুরাইনশিরাহ#SurahDuha#SurahInshirah#Allah'sHelp#আল্লাহরসাহায্য#আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না#If You Want Allah's Help#You Cannot Be Restless.#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .
0 notes
Text
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায়
বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহতায়ালার সাহায্যের মুখাপেক্ষি। এ বিশ্বাস অন্তরে স্থাপন ঈমানের অংশবিশেষ।
জীবন চলার পথে নানা সময়ে মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হয়। কষ্ট পায়, অসুস্থ হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ যেন আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে তার সাহায্য কামনা করে সমস্যামুক্ত হয়- সে পথ বলে দিয়েছেন। কোন পথে, কীভাবে মানুষ আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে, সেই উপায় ও পথও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ তোমরা নামাজ ও সবরের (ধৈর্য) মাধ্যমে আমার (আল্লাহর) সাহায্য কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহভীরু ছাড়া এটা অবশ্যই কঠিন কাজ। বর্ণিত আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণের জন্য সবর ও নামাজের মাধ্যমে তার কাছে সাহায্য প্রার্থনার নির্দেশ দিচ্ছেন। এই আয়াতাংশ আমাদের উত্তমরূপে অনুধাবন করা প্রয়োজন। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আবু বকর আল জাসসাস ‘আহকামুল কুরআন’ তাফসিরে লিখেছেন, এর অর্থ আল্লাহ যা ফরজ করেছেন, সেসব ফরজ কাজ অত্যন্ত ধৈর্য-সহকারে আদায় করতে থাকা। আর তার হুকুম অমান্য করা থেকে বিরত থাকা।
আয়াতে নামাজের পাশাপাশি এসেছে সবরের কথা। পবিত্র কোরআনে সবর শব্দটির অর্থ ব্যাপক। হাদিসে এর ব্যবহার এসেছে ব্যাপক অর্থে। যেমন কোথাও এসেছে ধৈর্যধারণ অর্থে; যেমন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান মানুষের সঙ্গে একাত্ম ও একত্র হয়ে বসবাস করে এবং তাদের সদ্ভাব ও যন্ত্রণায় ধৈর্যধারণ করে, সে ব্যক্তি ওই মানুষের চেয়ে উত্তম, যে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করে না....। ’ কোথাও সবর এসেছে দৃঢ়তা অর্থে; যেমন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা করো না, আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার প্রার্থনা করো। কিন্তু যখন শত্রুর সম্মুখীন হও, তখন ধৈর্য ও দৃঢ়তা প্রকাশ করো। আসলে সবর এমন একটি শব্দ যা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিশব্দে প্রকাশ করা বা বুঝানো কঠিন। এ শব্দটি যেসব ব্যঞ্জনাময় অর্থ প্রকাশ করে তার মধ্যে রয়েছে-
১. পরিপূর্ণতা বিধানের জন্য সহিষ্ণুতা, অধীর না হওয়া। ২. সহিষ্ণুতা, অধ্যাবসায়, দৃঢ় সংকল্প, স্থিরতা- উদ্দেশ্য সাধনে কঠিন হওয়া। ৩. আকস্মিক বা দৈব কার্যকরণের বিপরীতে সুবিন্যস্ত বা প্রণালীবদ্ধভাবে কার্য সম্পাদন করা। ৪. দুঃখ, পরাজিত বা ভোগান্তি অবস্থায় বিরক্ত ও বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন না হয়ে এসব অবস্থা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণপূর্বক আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং অলস ও উদাসীন না হয়ে অবিরত দৃঢ়তার সঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। বস্তুত সৎ ও পুণ্যের পথে চলা যদি কারো পক্ষে কষ্টকর বলে মনে হয়, তবে এর একমাত্র প্রতিষেধক হচ্ছে ধৈর্য-সহিষ্ণুতা ও নামাজ। আর এ দুটি কাজ থেকে মুমিন-মুসলমানরা যে শক্তি লাভ করবে; সেটা তার পথচলাকে সহজতর করে দেবে। সবর এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত রাখা ও বাধা দেওয়া। আর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে- ইচ্ছার দৃঢ়তা, সংকল্পের পরিপক্কতা এবং লালসা-বাসনা নিয়ন্ত্রণ। যে ইচ্ছার মাধ্যমে কোনো মানুষ তার লালসা ও বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে নিজের মনোনীত পথে অব্যাহত গতিতে অগ্রসর হতে পারে। এখানেই সবরের তাৎপর্য নিহিত। কারণ, বর্ণিত গুণ নিজের মধ্যে জাগিয়ে অন্তরকে শক্তিশালী করার জন্য রীতিমত সাধনা আবশ্যক। আর ওই সাধনা হতে হবে নিরবচ্ছিন্ন, সংগ্রামমুখর ও কষ্টসাধ্য। তাই তো সবরের কথা বারবার বলা হয়েছে। অনেকে সবরের অর্থ বলেছেন, আল্লাহর মর্জির ওপর তাকে খুশি করার জন্য ধৈর্যধারণ। আর ধৈর্যশীলতাই তো আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের পথ। এ সম্পর্কে ইরশাদ হচ্ছে, ‘জ্ঞানপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বলল, তোমাদের জন্য আক্ষেপ! ঈমানদার লোকদের জন্য আল্লাহর পুরস্কার উত্তম, ধৈর্যশীল ছাড়া তার সাক্ষাৎ পাবে না। ’ আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হলো নামাজ আদায়। শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাস্তব জীবনই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। ইবনে জারির (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো কারণে অস্থির হয়ে পড়তেন, তখন তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। বনি ইসরাঈলদের নেককার লোকেরাও নিষ্ঠার সঙ্গে নামাজ আদায় করত। সাহাবিরা এ আমল করেছেন। আমাদের পূর্ববর্তী আলেম-উলামা ও অলি-আউলিয়াদেরও তেমন অভ্যাসই ছিল। পরবর্তী সময়ে মানুষ যখন নামাজের ব্যাপারে উদাসীনতা প্রদর্শন শুরু করল, তখন তাদের ওপর আজাব-গজব আসতে লাগল। তাই আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচতে ও আল্লাহর সাহায্য পেতে নামাজ ও সবরের ওপরে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে। আর তা হলেই কেবল মহান আল্লাহতায়ালার অবারিত সাহায্য নেমে আসবে। আল্লাহতায়ালা দুনিয়াবাসীর জন্য তার অসীম রহমতের দ্বার খুলে দিন। আমিন।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহর সাহায্য লাভের নির্ধারিত পথ আছে। সাহায্য পেতে হলে সে রাস্তাই অনুসরণ করতে হবে। কোনো ব্যক্তি আল্লাহর সাহায্য পেতে চাইলে তাকে ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভর হতে হবে। ফলে সে পৃথিবীর সব কিছু ত্যাগ করবে এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করে নেবে।
কেননা আল্লাহর সাহায্য তার ভাগ্যেই জোটে, তা লাভ করার জন্য যে জীবনের সব কিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহ মুমিনদের যেসব মূলনীতির আলোকে সাহায্য প্রদান করে থাকেন, তা হলো—
১. সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকেই : আল্লাহ যাকে সাহায্য করেন তাকে পরাজিত করার মতো কোনো শক্তি নেই। আর আল্লাহ যাকে অপদস্থ করেন তাকে সাহায্য করার কেউ নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করলে তোমাদের ওপর জয়ী হওয়ার কেউ থাকবে না।
আর তিনি তোমাদের সাহায্য না করলে, তিনি ছাড়া কে এমন আছে যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? মুমিনরা আল্লাহর ওপরই নির্ভর করুক।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬০)
২. যখন সাহায্য চাওয়া হয় : মুমিন যখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করে, তখন আল্লাহ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে, তখন তিনি তোমাদের জবাব দিয়েছিলেন—আমি তোমাদের সাহায্য করব এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা, যারা একের পর এক আসবে।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৯)
৩. দুর্বলকে সবলের বিপক্ষে সাহায্য করেন : মহান আল্লাহ সংখ্যায় অল্প এবং দুর্বলদেরকে সবলদের বিপক্ষে সাহায্য দান করেন।যেমন তিনি তালুতের অনুসারীদের জালুতের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, জালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো শক্তি আজ আমাদের নেই। কিন্তু যাদের প্রত্যয় ছিল আল্লাহর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘটবে তারা বলল, আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভূত করেছে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
৪. আল্লাহ শক্তিহীনকে রক্ষা করেন : আল্লাহ কখনো কখনো উপায়-উপকরণ ও শক্তিহীন মানুষকে তাঁর সাহায্��ের মাধ্যমে রক্ষা করেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা তাকে সাহায্য না করো, তবে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন, যখন অবিশ্বাসীরা তাকে বহিষ্কার করেছিল এবং সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল, সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, বিষণ্ন হইও না, আল্লাহ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪০)
৫. যারা আল্লাহকে সাহায্য করে : আল্লাহ তাঁর সেসব বান্দাকে সাহায্য করেন, যারা বিশুদ্ধ ঈমান, নেক আমল ও দ্বিন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁকে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান দৃঢ় করবেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ৭)
৬. মুমিনদের সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদের সাহায্য করেন। সাহায্য লাভ করা মুমিনের অধিকার। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ৪৭)
৭. মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদেরকে মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা তোমাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মুমিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন। এবং তিনি তাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৬২-৬৩)
৮. ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমেও মুমিনদের সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু এবং এক বাহিনী, যা তোমরা দেখনি।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৯)
৯. শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টি করে : আল্লাহ শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে মুমিনদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কল্পনাও করোনি যে তারা নির্বাসিত হবে এবং তারা মনে করেছিল তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে রক্ষা করবে আল্লাহ থেকে। কিন্তু আল্লাহর শাস্তি এমন এক দিক থেকে এলো, যা ছিল তাদের ধারণাতীত এবং তাদের অন্তরে তা ত্রাসের সঞ্চার করল।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
১০. বিজয় দানের মাধ্যমে : আল্লাহ কখনো কখনো মুমিনদের বিজয় দানের মাধ্যমে তাদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা ধ্বংস করে ফেলল নিজেদের বাড়ি-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুমিনদের হাতেও; অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা! তোমরা উপদেশ গ্রহণ কোরো।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
বিপদের সময় আল্লাহর কাছে কিভাবে সাহায্য চাইবো?
https://www.youtube.com/watch?v=Axsa77Wqi8Q
ভেঙে পড়বেন না বিপদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহর সাহায্য আসে।
https://www.youtube.com/watch?v=zyzOqnn1I08
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
youtube
কঠিন মসিবতের সময় কিভাবে আল্লাহর সাহায্য পাবেন
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় জেনে নিন!
youtube
আল্লাহকে কাছে পাওয়ার ১০টি বিশেষ আমল
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।
youtube
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
#আল্লাহর সাহায্য চাইলে#সুরাদুহা#সুরাইনশিরাহ#SurahDuha#SurahInshirah#Allah'sHelp#আল্লাহরসাহায্য#আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না#If You Want Allah's Help#You Cannot Be Restless.#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .
0 notes
Video
youtube
ওয়াজটি একবার শুনো লাইফ পাল্টে যাবে✅নারী বক্তা সকিনা বেগম mohila der waz ...
#youtube#ওয়াজটি একবার শুনো লাইফ পাল্টে যাবে✅নারী বক্তা সকিনা বেগম mohila der waz mohila waz nari bokta waz
0 notes
Text
0 notes
Video
youtube
তাসলিমা সরকারের নাচ গান দেখলে সবার মন শীতল হয়ে যাবে। একি অসাধারন গান গাই...
#youtube#তাসলিমা সরকারের নাচ গান দেখলে সবার মন শীতল হয়ে যাবে। একি অসাধারন গান গাইলো দেখুন। Projapoti Dj Song https://www.yout
0 notes
Text
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায়
বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহতায়ালার সাহায্যের মুখাপেক্ষি। এ বিশ্বাস অন্তরে স্থাপন ঈমানের অংশবিশেষ।
জীবন চলার পথে নানা সময়ে মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হয়। কষ্ট পায়, অসুস্থ হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ যেন আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে তার সাহায্য কামনা করে সমস্যামুক্ত হয়- সে পথ বলে দিয়েছেন। কোন পথে, কীভাবে মানুষ আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে, সেই উপায় ও পথও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ তোমরা নামাজ ও সবরের (ধৈর্য) মাধ্যমে আমার (আল্লাহর) সাহায্য কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহভীরু ছাড়া এটা অবশ্যই কঠিন কাজ। বর্ণিত আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণের জন্য সবর ও নামাজের মাধ্যমে তার কাছে সাহায্য প্রার্থনার নির্দেশ দিচ্ছেন। এই আয়াতাংশ আমাদের উত্তমরূপে অনুধাবন করা প্রয়োজন। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আবু বকর আল জাসসাস ‘আহকামুল কুরআন’ তাফসিরে লিখেছেন, এর অর্থ আল্লাহ যা ফরজ করেছেন, সেসব ফরজ কাজ অত্যন্ত ধৈর্য-সহকারে আদায় করতে থাকা। আর তার হুকুম অমান্য করা থেকে বিরত থাকা।
আয়াতে নামাজের পাশাপাশি এসেছে সবরের কথা। পবিত্র কোরআনে সবর শব্দটির অর্থ ব্যাপক। হাদিসে এর ব্যবহার এসেছে ব্যাপক অর্থে। যেমন কোথাও এসেছে ধৈর্যধারণ অর্থে; যেমন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান মানুষের সঙ্গে একাত্ম ও একত্র হয়ে বসবাস করে এবং তাদের সদ্ভাব ও যন্ত্রণায় ধৈর্যধারণ করে, সে ব্যক্তি ওই মানুষের চেয়ে উত্তম, যে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করে না....। ’ কোথাও সবর এসেছে দৃঢ়তা অর্থে; যেমন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা করো না, আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার প্রার্থনা করো। কিন্তু যখন শত্রুর সম্মুখীন হও, তখন ধৈর্য ও দৃঢ়তা প্রকাশ করো। আসলে সবর এমন একটি শব্দ যা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিশব্দে প্রকাশ করা বা বুঝানো কঠিন। এ শব্দটি যেসব ব্যঞ্জনাময় অর্থ প্রকাশ করে তার মধ্যে রয়েছে-
১. পরিপূর্ণতা বিধানের জন্য সহিষ্ণুতা, অধীর না হওয়া। ২. সহিষ্ণুতা, অধ্যাবসায়, দৃঢ় সংকল্প, স্থিরতা- উদ্দেশ্য সাধনে কঠিন হওয়া। ৩. আকস্মিক বা দৈব কার্যকরণের বিপরীতে সুবিন্যস্ত বা প্রণালীবদ্ধভাবে কার্য সম্পাদন করা। ৪. দুঃখ, পরাজিত বা ভোগান্তি অবস্থায় বিরক্ত ও বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন না হয়ে এসব অবস্থা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণপূর্বক আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং অলস ও উদাসীন না হয়ে অবিরত দৃঢ়তার সঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। বস্তুত সৎ ও পুণ্যের পথে চলা যদি কারো পক্ষে কষ্টকর বলে মনে হয়, তবে এর একমাত্র প্রতিষেধক হচ্ছে ধৈর্য-সহিষ্ণুতা ও নামাজ। আর এ দুটি কাজ থেকে মুমিন-মুসলমানরা যে শক্তি লাভ করবে; সেটা তার পথচলাকে সহজতর করে দেবে। সবর এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত রাখা ও বাধা দেওয়া। আর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে- ইচ্ছার দৃঢ়তা, সংকল্পের পরিপক্কতা এবং লালসা-বাসনা নিয়ন্ত্রণ। যে ইচ্ছার মাধ্যমে কোনো মানুষ তার লালসা ও বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে নিজের মনোনীত পথে অব্যাহত গতিতে অগ্রসর হতে পারে। এখানেই সবরের তাৎপর্য নিহিত। কারণ, বর্ণিত গুণ নিজের মধ্যে জাগিয়ে অন্তরকে শক্তিশালী করার জন্য রীতিমত সাধনা আবশ্যক। আর ওই সাধনা হতে হবে নিরবচ্ছিন্ন, সংগ্রামমুখর ও কষ্টসাধ্য। তাই তো সবরের কথা বারবার বলা হয়েছে। অনেকে সবরের অর্থ বলেছেন, আল্লাহর মর্জির ওপর তাকে খুশি করার জন্য ধৈর্যধারণ। আর ধৈর্যশীলতাই তো আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের পথ। এ সম্পর্কে ইরশাদ হচ্ছে, ‘জ্ঞানপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বলল, তোমাদের জন্য আক্ষেপ! ঈমানদার লোকদের জন্য আল্লাহর পুরস্কার উত্তম, ধৈর্যশীল ছাড়া তার সাক্ষাৎ পাবে না। ’ আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হলো নামাজ আদায়। শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাস্তব জীবনই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। ইবনে জারির (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো কারণে অস্থির হয়ে পড়তেন, তখন তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। বনি ইসরাঈলদের নেককার লোকেরাও নিষ্ঠার সঙ্গে নামাজ আদায় করত। সাহাবিরা এ আমল করেছেন। আমাদের পূর্ববর্তী আলেম-উলামা ও অলি-আউলিয়াদেরও তে���ন অভ্যাসই ছিল। পরবর্তী সময়ে মানুষ যখন নামাজের ব্যাপারে উদাসীনতা প্রদর্শন শুরু করল, তখন তাদের ওপর আজাব-গজব আসতে লাগল। তাই আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচতে ও আল্লাহর সাহায্য পেতে নামাজ ও সবরের ওপরে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে। আর তা হলেই কেবল মহান আল্লাহতায়ালার অবারিত সাহায্য নেমে আসবে। আল্লাহতায়ালা দুনিয়াবাসীর জন্য তার অসীম রহমতের দ্বার খুলে দিন। আমিন।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহর সাহায্য লাভের নির্ধারিত পথ আছে। সাহায্য পেতে হলে সে রাস্তাই অনুসরণ করতে হবে। কোনো ব্যক্তি আল্লাহর সাহায্য পেতে চাইলে তাকে ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভর হতে হবে। ফলে সে পৃথিবীর সব কিছু ত্যাগ করবে এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করে নেবে।
কেননা আল্লাহর সাহায্য তার ভাগ্যেই জোটে, তা লাভ করার জন্য যে জীবনের সব কিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহ মুমিনদের যেসব মূলনীতির আলোকে সাহায্য প্রদান করে থাকেন, তা হলো—
১. সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকেই : আল্লাহ যাকে সাহায্য করেন তাকে পরাজিত করার মতো কোনো শক্তি নেই। আর আল্লাহ যাকে অপদস্থ করেন তাকে সাহায্য করার কেউ নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করলে তোমাদের ওপর জয়ী হওয়ার কেউ থাকবে না।
আর তিনি তোমাদের সাহায্য না করলে, তিনি ছাড়া কে এমন আছে যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? মুমিনরা আল্লাহর ওপরই নির্ভর করুক।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬০)
২. যখন সাহায্য চাওয়া হয় : মুমিন যখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করে, তখন আল্লাহ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে, তখন তিনি তোমাদের জবাব দিয়েছিলেন—আমি তোমাদের সাহায্য করব এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা, যারা একের পর এক আসবে।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৯)
৩. দুর্বলকে সবলের বিপক্ষে সাহায্য করেন : মহান আল্লাহ সংখ্যায় অল্প এবং দুর্বলদেরকে সবলদের বিপক্ষে সাহায্য দান করেন।যেমন তিনি তালুতের অনুসারীদের জালুতের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, জালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো শক্তি আজ আমাদের নেই। কিন্তু যাদের প্রত্যয় ছিল আল্লাহর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘটবে তারা বলল, আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভূত করেছে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
৪. আল্লাহ শক্তিহীনকে রক্ষা করেন : আল্লাহ কখনো কখনো উপায়-উপকরণ ও শক্তিহীন মানুষকে তাঁর সাহায্যের মাধ্যমে রক্ষা করেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা তাকে সাহায্য না করো, তবে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন, যখন অবিশ্বাসীরা তাকে বহিষ্কার করেছিল এবং সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল, সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, বিষণ্ন হইও না, আল্লাহ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪০)
৫. যারা আল্লাহকে সাহায্য করে : আল্লাহ তাঁর সেসব বান্দাকে সাহায্য করেন, যারা বিশুদ্ধ ঈমান, নেক আমল ও দ্বিন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁকে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান দৃঢ় করবেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ৭)
৬. মুমিনদের সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদের সাহায্য করেন। সাহায্য লাভ করা মুমিনের অধিকার। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ৪৭)
৭. মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদেরকে মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা তোমাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মুমিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন। এবং তিনি তাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৬২-৬৩)
৮. ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমেও মুমিনদের সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু এবং এক বাহিনী, যা তোমরা দেখনি।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৯)
৯. শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টি করে : আল্লাহ শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে মুমিনদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কল্পনাও করোনি যে তারা নির্বাসিত হবে এবং তারা মনে করেছিল তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে রক্ষা করবে আল্লাহ থেকে। কিন্তু আল্লাহর শাস্তি এমন এক দিক থেকে এলো, যা ছিল তাদের ধারণাতীত এবং তাদের অন্তরে তা ত্রাসের সঞ্চার করল।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
১০. বিজয় দানের মাধ্যমে : আল্লাহ কখনো কখনো মুমিনদের বিজয় দানের মাধ্যমে তাদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা ধ্বংস করে ফেলল নিজেদের বাড়ি-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুমিনদের হাতেও; অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা! তোমরা উপদেশ গ্রহণ কোরো।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
বিপদের সময় আল্লাহর কাছে কিভাবে সাহায্য চাইবো?
https://www.youtube.com/watch?v=Axsa77Wqi8Q
ভেঙে পড়বেন না বিপদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহর সাহায্য আসে।
https://www.youtube.com/watch?v=zyzOqnn1I08
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
youtube
কঠিন মসিবতের সময় কিভাবে আল্লাহর সাহায্য পাবেন
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় জেনে নিন!
youtube
আল্লাহকে কাছে পাওয়ার ১০টি বিশেষ আমল
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।
youtube
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
#আল্লাহর সাহায্য চাইলে#সুরাদুহা#সুরাইনশিরাহ#SurahDuha#SurahInshirah#Allah'sHelp#আল্লাহরসাহায্য#আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না#If You Want Allah's Help#You Cannot Be Restless.#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .
0 notes
Text
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায়
বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহতায়ালার সাহায্যের মুখাপেক্ষি। এ বিশ্বাস অন্তরে স্থাপন ঈমানের অংশবিশেষ।
জীবন চলার পথে নানা সময়ে মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হয়। কষ্ট পায়, অসুস্থ হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ যেন আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে তার সাহায্য কামনা করে সমস্যামুক্ত হয়- সে পথ বলে দিয়েছেন। কোন পথে, কীভাবে মানুষ আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে, সেই উপায় ও পথও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ তোমরা নামাজ ও সবরের (ধৈর্য) মাধ্যমে আমার (আল্লাহর) সাহায্য কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহভীরু ছাড়া এটা অবশ্যই কঠিন কাজ। বর্ণিত আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণের জন্য সবর ও নামাজের মাধ্যমে তার কাছে সাহায্য প্রার্থনার নির্দেশ দিচ্ছেন। এই আয়াতাংশ আমাদের উত্তমরূপে অনুধাবন করা প্রয়োজন। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আবু বকর আল জাসসাস ‘আহকামুল কুরআন’ তাফসিরে লিখেছেন, এর অর্থ আল্লাহ যা ফরজ করেছেন, সেসব ফরজ কাজ অত্যন্ত ধৈর্য-সহকারে আদায় করতে থাকা। আর তার হুকুম অমান্য করা থেকে বিরত থাকা।
আয়াতে নামাজের পাশাপাশি এসেছে সবরের কথা। পবিত্র কোরআনে সবর শব্দটির অর্থ ব্যাপক। হাদিসে এর ব্যবহার এসেছে ব্যাপক অর্থে। যেমন কোথাও এসেছে ধৈর্যধারণ অর্থে; যেমন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান মানুষের সঙ্গে একাত্ম ও একত্র হয়ে বসবাস করে এবং তাদের সদ্ভাব ও যন্ত্রণায় ধৈর্যধারণ করে, সে ব্যক্তি ওই মানুষের চেয়ে উত্তম, যে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করে না....। ’ কোথাও সবর এসেছে দৃঢ়তা অর্থে; যেমন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা করো না, আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার প্রার্থনা করো। কিন্তু যখন শত্রুর সম্মুখীন হও, তখন ধৈর্য ও দৃঢ়তা প্রকাশ করো। আসলে সবর এমন একটি শব্দ যা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিশব্দে প্রকাশ করা বা বুঝানো কঠিন। এ শব্দটি যেসব ব্যঞ্জনাময় অর্থ প্রকাশ করে তার মধ্যে রয়েছে-
১. পরিপূর্ণতা বিধানের জন্য সহিষ্ণুতা, অধীর না হওয়া। ২. সহিষ্ণুতা, অধ্যাবসায়, দৃঢ় সংকল্প, স্থিরতা- উদ্দেশ্য সাধনে কঠিন হওয়া। ৩. আকস্মিক বা দৈব কার্যকরণের বিপরীতে সুবিন্যস্ত বা প্রণালীবদ্ধভাবে কার্য সম্পাদন করা। ৪. দুঃখ, পরাজিত বা ভোগান্তি অবস্থায় বিরক্ত ও বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন না হয়ে এসব অবস্থা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণপূর্বক আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং অলস ও উদাসীন না হয়ে অবিরত দৃঢ়তার সঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। বস্তুত সৎ ও পুণ্যের পথে চলা যদি কারো পক্ষে কষ্টকর বলে মনে হয়, তবে এর একমাত্র প্রতিষেধক হচ্ছে ধৈর্য-সহিষ্ণুতা ও নামাজ। আর এ দুটি কাজ থেকে মুমিন-মুসলমানরা যে শক্তি লাভ করবে; সেটা তার পথচলাকে সহজতর করে দেবে। সবর এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিরত রাখা ও বাধা দেওয়া। আর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে- ইচ্ছার দৃঢ়তা, সংকল্পের পরিপক্কতা এবং লালসা-বাসনা নিয়ন্ত্রণ। যে ইচ্ছার মাধ্যমে কোনো মানুষ তার লালসা ও বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে নিজের মনোনীত পথে অব্যাহত গতিতে অগ্রসর হতে পারে। এখানেই সবরের তাৎপর্য নিহিত। কারণ, বর্ণিত গুণ নিজের মধ্যে জাগিয়ে অন্তরকে শক্তিশালী করার জন্য রীতিমত সাধনা আবশ্যক। আর ওই সাধনা হতে হবে নিরবচ্ছিন্ন, সংগ্রামমুখর ও কষ্টসাধ্য। তাই তো সবরের কথা বারবার বলা হয়েছে। অনেকে সবরের অর্থ বলেছেন, আল্লাহর মর্জির ওপর তাকে খুশি করার জন্য ধৈর্যধারণ। আর ধৈর্যশীলতাই তো আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের পথ। এ সম্পর্কে ইরশাদ হচ্ছে, ‘জ্ঞানপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বলল, তোমাদের জন্য আক্ষেপ! ঈমানদার লোকদের জন্য আল্লাহর পুরস্কার উত্তম, ধৈর্যশীল ছাড়া তার সাক্ষাৎ পাবে না। ’ আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হলো নামাজ আদায়। শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাস্তব জীবনই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। ইবনে জারির (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো কারণে অস্থির হয়ে পড়তেন, তখন তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। বনি ইসরাঈলদের নেককার লোকেরাও নিষ্ঠার সঙ্গে নামাজ আদায় করত। সাহাবিরা এ আমল করেছেন। আমাদের পূর্ববর্তী আলেম-উলামা ও অলি-আউলিয়াদেরও তেমন অভ্যাসই ছিল। পরবর্তী সময়ে মানুষ যখন নামাজের ব্যাপারে উদাসীনতা প্রদর্শন শুরু করল, তখন তাদের ওপর আজাব-গজব আসতে লাগল। তাই আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচতে ও আল্লাহর সাহায্য পেতে নামাজ ও সবরের ওপরে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে। আর তা হলেই কেবল মহান আল্লাহতায়ালার অবারিত সাহায্য নেমে আসবে। আল্লাহতায়ালা দুনিয়াবাসীর জন্য তার অসীম রহমতের দ্বার খুলে দিন। আমিন।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহর সাহায্য লাভের নির্ধারিত পথ আছে। সাহায্য পেতে হলে সে রাস্তাই অনুসরণ করতে হবে। কোনো ব্যক্তি আল্লাহর সাহায্য পেতে চাইলে তাকে ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভর হতে হবে। ফলে সে পৃথিবীর সব কিছু ত্যাগ করবে এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করে নেবে।
কেননা আল্লাহর সাহায্য তার ভাগ্যেই জোটে, তা লাভ করার জন্য যে জীবনের সব কিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে।
আল্লাহর সাহায্য যারা পায়, যেভাবে পায়
আল্লাহ মুমিনদের যেসব মূলনীতির আলোকে সাহায্য প্রদান করে থাকেন, তা হলো—
১. সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকেই : আল্লাহ যাকে সাহায্য করেন তাকে পরাজিত করার মতো কোনো শক্তি নেই। আর আল্লাহ যাকে অপদস্থ করেন তাকে সাহায্য করার কেউ নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করলে তোমাদের ওপর জয়ী হওয়ার কেউ থাকবে না।
আর তিনি তোমাদের সাহায্য না করলে, তিনি ছাড়া কে এমন আছে যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? মুমিনরা আল্লাহর ওপরই নির্ভর করুক।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬০)
২. যখন সাহায্য চাওয়া হয় : মুমিন যখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করে, তখন আল্লাহ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে, তখন তিনি তোমাদের জবাব দিয়েছিলেন—আমি তোমাদের সাহায্য করব এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা, যারা একের পর এক আসবে।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৯)
৩. দুর্বলকে সবলের বিপক্ষে সাহায্য করেন : মহান আল্লাহ সংখ্যায় অল্প এবং দুর্বলদেরকে সবলদের বিপক্ষে সাহায্য দান করেন।যেমন তিনি তালুতের অনুসারীদের জালুতের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, জালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো শক্তি আজ আমাদের নেই। কিন্তু যাদের প্রত্যয় ছিল আল্লাহর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘটবে তারা বলল, আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভূত করেছে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৯)
৪. আল্লাহ শক্তিহীনকে রক্ষা করেন : আল্লাহ কখনো কখনো উপায়-উপকরণ ও শক্তিহীন মানুষকে তাঁর সাহায্যের মাধ্যমে রক্ষা করেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা তাকে সাহায্য না করো, তবে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন, যখন অবিশ্বাসীরা তাকে বহিষ্কার করেছিল এবং সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল, সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, বিষণ্ন হইও না, আল্লাহ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪০)
৫. যারা আল্লাহকে সাহায্য করে : আল্লাহ তাঁর সেসব বান্দাকে সাহায্য করেন, যারা বিশুদ্ধ ঈমান, নেক আমল ও দ্বিন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁকে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান দৃঢ় করবেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ৭)
৬. মুমিনদের সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদের সাহায্য করেন। সাহায্য লাভ করা মুমিনের অধিকার। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ৪৭)
৭. মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ মুমিনদেরকে মুমিনদের মাধ্যমে সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা তোমাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মুমিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন। এবং তিনি তাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৬২-৬৩)
৮. ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে সাহায্য করা হয় : আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা ও প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমেও মুমিনদের সাহায্য করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু এবং এক বাহিনী, যা তোমরা দেখনি।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৯)
৯. শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টি করে : আল্লাহ শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে মুমিনদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কল্পনাও করোনি যে তারা নির্বাসিত হবে এবং তারা মনে করেছিল তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে রক্ষা করবে আল্লাহ থেকে। কিন্তু আল্লাহর শাস্তি এমন এক দিক থেকে এলো, যা ছিল তাদের ধারণাতীত এবং তাদের অন্তরে তা ত্রাসের সঞ্চার করল।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
১০. বিজয় দানের মাধ্যমে : আল্লাহ কখনো কখনো মুমিনদের বিজয় দানের মাধ্যমে তাদের সাহায্য করেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা ধ্বংস করে ফেলল নিজেদের বাড়ি-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুমিনদের হাতেও; অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা! তোমরা উপদেশ গ্রহণ কোরো।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ২)
বিপদের সময় আল্লাহর কাছে কিভাবে সাহায্য চাইবো?
https://www.youtube.com/watch?v=Axsa77Wqi8Q
ভেঙে পড়বেন না বিপদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহর সাহায্য আসে।
https://www.youtube.com/watch?v=zyzOqnn1I08
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
youtube
কঠিন মসিবতের সময় কিভাবে আল্লাহর সাহায্য পাবেন
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় জেনে নিন!
youtube
আল্লাহকে কাছে পাওয়ার ১০টি বিশেষ আমল
youtube
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।
youtube
আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না
If You Want Allah's Help, You Cannot Be Restless.
#আল্লাহর সাহায্য চাইলে#সুরাদুহা#সুরাইনশিরাহ#SurahDuha#SurahInshirah#Allah'sHelp#আল্লাহরসাহায্য#আল্লাহর সাহায্য চাইলে অস্থির হওয়া যাবে না#If You Want Allah's Help#You Cannot Be Restless.#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .
0 notes