#muslimummah
Explore tagged Tumblr posts
healinwithsabr · 11 months ago
Text
Tumblr media
44 notes · View notes
talhanoblemarriage · 5 months ago
Text
Tumblr media
Dua For Muslim Ummah: From Hadith and Other References
Discover powerful duas to enhance the well-being of the Muslim Ummah and seek protection from injustice. Learn supplications from Hadith that promote justice, mercy, and compassion in leadership and society. Make a difference through sincere prayers and proactive efforts.
3 notes · View notes
ayanshaikh496 · 2 years ago
Photo
Tumblr media
Follow @Deeni_nudge For More Reminders ________________________________ Tag Your Loved Ones ________________________________ _ _ _ #Allah #prophetmuhammad #Islam #deen #quranandsunnah #quranquotes #hadithofprophet #hadithoftheday #oneummah #blessed #easypath #iman #dawah #life #muslimummah (at Mumbai - मुंबई) https://www.instagram.com/p/CpfD-61Nktt/?igshid=NGJjMDIxMWI=
8 notes · View notes
quransunnahdawah · 26 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্‌তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের ��রধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক��যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩)  আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আম��কে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন কর���ো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
 
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
1 note · View note
tawhidrisalatakhirah · 26 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্‌তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩)  আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের ম��খ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
 
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
0 notes
ilyforallahswt · 26 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্‌তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩)  আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি ক���েছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
 
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
0 notes
myreligionislam · 26 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্‌তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩)  আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
 
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
1 note · View note
mylordisallah · 26 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্‌তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩)  আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্���। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
 
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
0 notes
allahisourrabb · 26 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্‌তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩)  আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
 
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
0 notes
quran-ruhani · 1 month ago
Text
The Consequences of Forgetting Allah’s Remembrance
3 notes · View notes
talhanoblemarriage · 7 months ago
Text
Tumblr media
20 Beautiful Islamic Praying Quotes According To Quran
0 notes
hamadavolc · 1 year ago
Text
‏من شدة التضليل الإعلامي الغربي، وتعمد البعض الآخر ، حوالي نصف المصوتين اختاروا أن الفلسطينيين هم من قصف المستشفى المعمداني!شاركوا بالضغط على علم الصهاينة لا على علم فلسطين.وانشروا مع هذا التنبيه يا كرام
Tumblr media
0 notes
quransunnahdawah · 26 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্‌তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্‌র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩)  আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
 
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিম উম্মাহর কি কি দায়িত্ব ও কর্ত্তব‍্য ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ইসলামী বিশ্বাস নিমোক্ত ৬টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে : আমরা মুসলমান হিসাবে:
সর্বশক্তিমান আল্লাহকে বিশ্বাস করা ,
তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা,
তাঁর আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস করা,
তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান ,
মৃত্যুর পরে পুনরুত্থানে বিশ্বাস ,
তাক্বদীর/নিয়তি এবং শেষ বিচার দিবসের প্রতি বিশ্বাস।
0:21 :59
·         মুসলিম উম্মার ঐক্য কিভাবে হতে পারে ? 
https://www.youtube.com/watch?v=iYcYcSKGP4g
 
মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য
https://www.youtube.com/watch?v=sqa9ajDD4ww&t=126s
 
মুসলিম উম্মাহর প্রধান ৭ বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শ্রেষ্ঠ উম্মাহ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাই এ উম্মাহর শ্রেষ্ঠত্বের অনেক বৈশিষ্ট্য পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ মুসলিম জাতির প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, মানুষের কল্যাণে তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে, তোমরা সত্কাজের আদেশ দেবে, অসত্কাজ থেকে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
১. আল্লাহর জন্য নিবেদিত : একজন মুসলিমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁর জীবনের সব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, ইবাদত ও আমার জীবন-মৃত্যু সব কিছু উভয় জগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১৬২)
২. সহজ পন্থা অবলম্বন : মহান আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর জন্য জীবনব্যবস্থাকে সহজ করেছেন। আর জীবনযাপনে তাদের সহজ পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে যা সহজ তাই চান, তিনি তোমাদের জন্য যা কঠিন তা চান না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) 
অপর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহ কারো ওপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করেন না, যা তার সাধ্যে নেই, তার ভালো কাজ তার জন্য হবে, তার মন্দ কাজের প্রতিফলও তার জন্য হবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৬)
৩. ইসলামের আহ্বান : ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করা মুসলিম জাতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য; বরং ভালো কাজের দিকে মানুষকে ডাকা এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করাও মুসলিমের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আ���নি বলুন, হে মানবসমাজ, আমি তোমাদের সবার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।
’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৫৮)
৪. একতাবোধ : একতাবোধ মুসলিম জাতির আরেক বৈশিষ্ট্য। জাতি, বর্ণ, শ্রেণি-স্তর সবাইকে নিয়ে মুসলিম সমাজ গড়ে উঠবে। তাদের মধ্যে কোনো শ্রেণিবৈষম্য বা বিরোধ-বিভক্তি থাকবে না। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘এবং তোমাদের এই যে জাতি তা তো একই জাতি, আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় করো।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ৫২)
৫. সহানুভূতিশীল : পরস্পরের প্রতি অনুকম্পা ও সহানুভূতি মুসলিমদের অনন্য বৈশিষ্ট্য।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল এবং তাঁর সঙ্গীরা কাফিরদের প্রতি কঠোর ও পরস্পরের প্রতি সহাভূতিশীল।’ (সুরা ফাতাহ, আয়াত : ২৯)
৬. যেকোনো স্থানে নামাজ আদায় : মুসলিম উম্মাহর জন্য জমিনকে পবিত্র ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়, যা আমার আগে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি। আমাকে ভীতির মাধ্যমে এক মাস ভ্রমণের সাহায্য করা হয়েছে। আমার জন্য পুরো জমিনকে মসজিদ ও পবিত্র ভূমি করা হয়েছে। অতএব আমা�� উম্মতের সবাই যেন নামাজের সময় হলে তা আদায় করে। আমার জন্য যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হালাল করা হয়েছে। আগেকার সময় একজনকে একটি গোত্রের কাছে পাঠানো হতো, আমাকে পুরো মানবজাতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আমাকে (কিয়ামতের দিন) সুপারিশের অধিকার দেওয়া হয়েছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৩৮)
৭. সর্বজনীনতা : ইসলাম সর্বজনীন জীবনবিধান। সমগ্র মানবজাতির জন্য ইসলামের আগমন হয়েছে। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়, যা আমার আগে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি।...আগেকার সময় একজনকে একটি গোত্রের কাছে পাঠানো হতো, আমাকে পুরো মানবজাতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আমাকে (কিয়ামতের দিন) সুপারিশের অধিকার দেওয়া হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫২১)
আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণাঙ্গ করেছি, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ পরিপূর্ণ করেছি এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বিন হিসেবে মনোনীত করেছি।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩)
উম্মাহর প্রতি চিন্তাশীল মুসলমানের দায়িত্ব
বর্তমানে মুসলিম জাতি যেসব সংকট ও বিপদের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তার বেশির ভাগই এমন, যা সাধারণ ও কম শিক্ষিত মুসলমানও বুঝতে পারে। এগুলো বোঝার জন্য অসামান্য মেধা-প্রতিভা ও বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টির প্রয়োজন হয় না। যেমন জীবন ও সম্পদ বিনষ্ট করা, বিবাদ-বিশৃঙ্খলা করা, অলসতা ও কর্মবিমুখতা ইত্যাদি। বিপরীতে এমন কিছু বিপদ ও সংকট আছে, যা কেবল বিশেষ শ্রেণির মানুষই অনুধাবন করতে পারে।
যাদের আল্লাহ বুদ্ধি-বিবেচনা ও দূরদৃষ্টি দান করেছেন। তাদের দৃষ্টি শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। কেননা তারা বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের ইতিহাস জানে এবং আল্লাহ তাদের দ্বিনের প্রতি ভালোবাসা ও ধর্মীয় আত্মমর্যাদাও দান করেছেন। তারা এসব বিপদ ও সংকটের পরিণতি বুঝতে পারে এবং ভবিষ্যতের দৃশ্যপটও তারা দেখতে পায়।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তায় তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। যেমন মানসিক ও সাংস্কৃতিক ধর্মবিমুখতা। এসব লোক যদিও আধুনিক ভাষাজ্ঞান ও সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত, তবে তারা ইসলামী জ্ঞান ও তার সত্তা-স্বভাবের ধারক-বাহক। যারা একই সঙ্গে পূর্বসূরি ও উত্তরসূরিদের সঙ্গে এবং অতীত ও বর্তমানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে।
আধুনিক শিক্ষাধারা যার প্রভাবে মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্ম ইসলামী শিক্ষা থেকে বিমুখ হচ্ছে এবং ইসলামবিরোধী চিন্তা-ভাবনা ও বিশ্বাসে প্রভাবিত হচ্ছে, জাতি হিসেবে মুসলমানের স্বাতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্য, ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, পশ্চিমা সভ্যতা-সংস্কৃতি, দর্শন ও জীবনধারার অনুগামী হচ্ছে—জাতি হিসেবে মুসলমানের এই সংকট দ্বিতীয় শ্রেণির সংকট যা যেমন দূরদর্শী ও চিন্তাশীল মানুষরাই অনুধাবন করতে পারবে। আল্লামা ইকবালের ভাষায় বিষয়টি অনেকটা এমন—‘চোখে অনেক কিছু দেখি মুখে উচ্চারণ করতে পারি না। ভেবে অস্থির হই পৃথিবীর সামনে কী পরিণতি অপেক্ষা করছে।’ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা ধৈর্য ধারণ কোরো, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কোরো এবং সদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো। আল্লাহকে ভয় কোরো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।
’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২০০)
উল্লিখিত আয়াতে ‘ইসবিরু’ শব্দের পর ‘সাবিরু’ শব্দের ব্যবহার চিন্তার দাবি রাখে। তা হলো, জাতি ও সম্প্রদায়ের জীবন, তাদের উত্থান-পতনের বিষয়টি ব্যক্তিগত ধৈর্য ও স্থিরতার ওপর নির্ভরশীল নয়; বরং সামষ্টিক ধৈর্য ও দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও স্বাতন্ত্র্যের প্রয়োজন। আরো প্রয়োজন প্রত্যেক ব্যক্তি যেন অপর ব্যক্তির জন্য উৎসাহ দানকারী হয়। প্রত্যেক ব্যক্তি এতটা ধৈর্যশীল ও দৃঢ়চিত্ত হবে যে অপর ব্যক্তি তা থেকে সাহস লাভ করবে। তার জীবন, তার ঈমান ও বিশ্বাস, তার ধৈর্য ও আল্লাহর ওপর আস্থা, তার প্রতিজ্ঞা ও সৎসাহস, তার কীর্তি ও অবদান অন্যের আস্থা তৈরির ভিত ও পথের প্রদীপ হিসেবে কাজ করবে। তাকে দেখে কম্পন পা স্থির হবে, ভীরু মন সাহস খুঁজে পাবে এবং দ্বিধাগ্রস্ত অন্তর প্রশান্ত হবে। তারা হবেন এমন যে তাদের সামনে অধৈর্য ও হীন্মন্যতার কথা বলা অসম্ভব; বরং বিষয়টি তারা নিজেদের জন্য দোষের মনে করে। এরপর মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘সদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো।’ 
এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যুদ্ধের প্রস্তুতি দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক. সামরিক প্রস্তুতি, দুই. মানসিক প্রস্তুতি। মানসিক প্রস্তুতি হলো জাতি হিসেবে নিজেদের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও শিক্ষার স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য রক্ষা করা। সামরিক প্রস্তুতির মতো মানসিক প্রস্তুতিও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রকৃতপক্ষে কোনো জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও শিক্ষার স্বতন্ত্র ধারা রক্ষা করা আবশ্যক। এটাই পৃথিবীতে জাতির অস্তিত্বের জানান দেয়। নিজের আত্মপরিচয় রক্ষা করা গেলে করুণ পরাজয় ও ভয়াবহ বিপর্যয়ের পরও কোনো জাতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু শিক্ষা-সংস্কৃতির বিপর্যয় জাতির হাজার বছরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলে। এমনকি কখনো কখনো জাতির ভাগ্যে মোহর এঁটে দেয়। বর্তমান মুসলিম বিশ্ব শিক্ষা-সংস্কৃতির বিপর্যয়ের মুখোমুখি। তাদের সামনে ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি, ব্যক্তি জীবনে ইসলাম পরিপালন, মুসলিম উম্মাহর নিজস্ব ভাষা ও ভাষারীতি রক্ষার চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হয়েছে। সাধারণ মুসলমান এই চ্যালেঞ্জ ও মুসলিম উম্মাহর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদাসীন।
0:21 / 8:59
মুসলিম উম্মার ঐক্য কিভাবে হতে পারে ? 
youtube
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ���ক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
প্রকৃত মুসলিম কারা 
 
মোহাম্মদ সাঃ কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন।
youtube
ফিকহি ইখতেলাফি বিষয়ে উদার হোন
youtube
youtube
youtube
youtube
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব
মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব
0 notes
ilyforallahswt · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিম উম্মাহর কি কি দায়িত্ব ও কর্ত্তব‍্য ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ইসলামী বিশ্বাস নিমোক্ত ৬টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে : আমরা মুসলমান হিসাবে:
সর্বশক্তিমান আল্লাহকে বিশ্বাস করা ,
তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা,
তাঁর আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস করা,
তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান ,
মৃত্যুর পরে পুনরুত্থানে বিশ্বাস ,
তাক্বদীর/নিয়তি এবং শেষ বিচার দিবসের প্রতি বিশ্বাস।
0:21 :59
·         মুসলিম উম্মার ঐক্য কিভাবে হতে পারে ? 
https://www.youtube.com/watch?v=iYcYcSKGP4g
 
মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য
https://www.youtube.com/watch?v=sqa9ajDD4ww&t=126s
 
মুসলিম উম্মাহর প্রধান ৭ বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শ্রেষ্ঠ উম্মাহ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাই এ উম্মাহর শ্রেষ্ঠত্বের অনেক বৈশিষ্ট্য পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ মুসলিম জাতির প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, মানুষের কল্যাণে তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে, তোমরা সত্কাজের আদেশ দেবে, অসত্কাজ থেকে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
১. আল্লাহর জন্য নিবেদিত : একজন মুসলিমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁর জীবনের সব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, ইবাদত ও আমার জীবন-মৃত্যু সব কিছু উভয় জগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১৬২)
২. সহজ পন্থা অবলম্বন : মহান আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর জন্য জীবনব্যবস্থাকে সহজ করেছেন। আর জীবনযাপনে তাদের সহজ পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে যা সহজ তাই চান, তিনি তোমাদের জন্য যা কঠিন তা চান না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) 
অপর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহ কারো ওপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করেন না, যা তার সাধ্যে নেই, তার ভালো কাজ তার জন্য হবে, তার মন্দ কাজের প্রতিফলও তার জন্য হবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৬)
৩. ইসলামের আহ্বান : ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করা মুসলিম জাতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য; বরং ভালো কাজের দিকে মানুষকে ডাকা এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করাও মুসলিমের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আপনি বলুন, হে মানবসমাজ, আমি তোমাদের সবার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।
’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৫৮)
৪. একতাবোধ : একতাবোধ মুসলিম জাতির আরেক বৈশিষ্ট্য। জাতি, বর্ণ, শ্রেণি-স্তর সবাইকে নিয়ে মুসলিম সমাজ গড়ে উঠবে। তাদের মধ্যে কোনো শ্রেণিবৈষম্য বা বিরোধ-বিভক্তি থাকবে না। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘এবং তোম���দের এই যে জাতি তা তো একই জাতি, আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় করো।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ৫২)
৫. সহানুভূতিশীল : পরস্পরের প্রতি অনুকম্পা ও সহানুভূতি মুসলিমদের অনন্য বৈশিষ্ট্য।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল এবং তাঁর সঙ্গীরা কাফিরদের প্রতি কঠোর ও পরস্পরের প্রতি সহাভূতিশীল।’ (সুরা ফাতাহ, আয়াত : ২৯)
৬. যেকোনো স্থানে নামাজ আদায় : মুসলিম উম্মাহর জন্য জমিনকে পবিত্র ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়, যা আমার আগে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি। আমাকে ভীতির মাধ্যমে এক মাস ভ্রমণের সাহায্য করা হয়েছে। আমার জন্য পুরো জমিনকে মসজিদ ও পবিত্র ভূমি করা হয়েছে। অতএব আমার উম্মতের সবাই যেন নামাজের সময় হলে তা আদায় করে। আমার জন্য যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হালাল করা হয়েছে। আগেকার সময় একজনকে একটি গোত্রের কাছে পাঠানো হতো, আমাকে পুরো মানবজাতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আমাকে (কিয়ামতের দিন) সুপারিশের অধিকার দেওয়া হয়েছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৩৮)
৭. সর্বজনীনতা : ইসলাম সর্বজনীন জীবনবিধান। সমগ্র মানবজাতির জন্য ইসলামের আগমন হয়েছে। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়, যা আমার আগে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি।...আগেকার সময় একজনকে একটি গোত্রের কাছে পাঠানো হতো, আমাকে পুরো মানবজাতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আমাকে (কিয়ামতের দিন) সুপারিশের অধিকার দেওয়া হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫২১)
আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণাঙ্গ করেছি, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ পরিপূর্ণ করেছি এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বিন হিসেবে মনোনীত করেছি।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩)
উম্মাহর প্রতি চিন্তাশীল মুসলমানের দায়িত্ব
বর্তমানে মুসলিম জাতি যেসব সংকট ও বিপদের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তার বেশির ভাগই এমন, যা সাধারণ ও কম শিক্ষিত মুসলমানও বুঝতে পারে। এগুলো বোঝার জন্য অসামান্য মেধা-প্রতিভা ও বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টির প্রয়োজন হয় না। যেমন জীবন ও সম্পদ বিনষ্ট করা, বিবাদ-বিশৃঙ্খলা করা, অলসতা ও কর্মবিমুখতা ইত্যাদি। বিপরীতে এমন কিছু বিপদ ও সংকট আছে, যা কেবল বিশেষ শ্রেণির মানুষই অনুধাবন করতে পারে।
যাদের আল্লাহ বুদ্ধি-বিবেচনা ও দূরদৃষ্টি দান করেছেন। তাদের দৃষ্টি শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। কেননা তারা বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের ইতিহাস জানে এবং আল্লাহ তাদের দ্বিনের প্রতি ভালোবাসা ও ধর্মীয় আত্মমর্যাদাও দান করেছেন। তারা এসব বিপদ ও সংকটের পরিণতি বুঝতে পারে এবং ভবিষ্যতের দৃশ্যপটও তারা দেখতে পায়।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তায় তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। যেমন মানসিক ও সাংস্কৃতিক ধর্মবিমুখতা। এসব লোক যদিও আধুনিক ভাষাজ্ঞান ও সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত, তবে তারা ইসলামী জ্ঞান ও তার সত্তা-স্বভাবের ধারক-বাহক। যারা একই সঙ্গে পূর্বসূরি ও উত্তরসূরিদের সঙ্গে এবং অতীত ও বর্তমানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে।
আধুনিক শিক্ষাধারা যার প্রভাবে মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্ম ইসলামী শিক্ষা থেকে বিমুখ হচ্ছে এবং ইসলামবিরোধী চিন্তা-ভাবনা ও বিশ্বাসে প্রভাবিত হচ্ছে, জাতি হিসেবে মুসলমানের স্বাতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্য, ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, পশ্চিমা সভ্যতা-সংস্কৃতি, দর্শন ও জীবনধারার অনুগামী হচ্ছে—জাতি হিসেবে মুসলমানের এই সংকট দ্বিতীয় শ্রেণির সংকট যা যেমন দূরদর্শী ও চিন্তাশীল মানুষরাই অনুধাবন করতে পারবে। আল্লামা ইকবালের ভাষায় বিষয়টি অনেকটা এমন—‘চোখে অনেক কিছু দেখি মুখে উচ্চারণ করতে পারি না। ভেবে অস্থির হই পৃথিবীর সামনে কী পরিণতি অপেক্ষা করছে।’ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা ধৈর্য ধারণ কোরো, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কোরো এবং সদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো। আল্লাহকে ভয় কোরো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।
’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২০০)
উল্লিখিত আয়াতে ‘ইসবিরু’ শব্দের পর ‘সাবিরু’ শব্দের ব্যবহার চিন্তার দাবি রাখে। তা হলো, জাতি ও সম্প্রদায়ের জীবন, তাদের উত্থান-পতনের বিষয়টি ব্যক্তিগত ধৈর্য ও স্থিরতার ওপর নির্ভরশীল নয়; বরং সামষ্টিক ধৈর্য ও দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও স্বাতন্ত্র্যের প্রয়োজন। আরো প্রয়োজন প্রত্যেক ব্যক্তি যেন অপর ব্যক্তির জন্য উৎসাহ দানকারী হয়। প্রত্যেক ব্যক্তি এতটা ধৈর্যশীল ও দৃঢ়চিত্ত হবে যে অপর ব্যক্তি তা থেকে সাহস লাভ করবে। তার জীবন, তার ঈমান ও বিশ্বাস, তার ধৈর্য ও আল্লাহর ওপর আস্থা, তার প্রতিজ্ঞা ও সৎসাহস, তার কীর্তি ও অবদান অন্যের আস্থা তৈরির ভিত ও পথের প্রদীপ হিসেবে কাজ করবে। তাকে দেখে কম্পন পা স্থির হবে, ভীরু মন সাহস খুঁজে পাবে এবং দ্বিধাগ্রস্ত অন্তর প্রশান্ত হবে। তারা হবেন এমন যে তাদের সামনে অধৈর্য ও হীন্মন্যতার কথা বলা অসম্ভব; বরং বিষয়টি তারা নিজেদের জন্য দোষের মনে করে। এরপর মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘সদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো।’ 
এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যুদ্ধের প্রস্তুতি দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক. সামরিক প্রস্তুতি, দুই. মানসিক প্রস্তুতি। মানসিক প্রস্তুতি হলো জাতি হিসেবে নিজেদের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও শিক্ষার স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য রক্ষা করা। সামরিক প্রস্তুতির মতো মানসিক প্রস্তুতিও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রকৃতপক্ষে কোনো জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও শিক্ষার স্বতন্ত্র ধারা রক্ষা করা আবশ্যক। এটাই পৃথিবীতে জাতির অস্তিত্বের জানান দেয়। নিজের আত্মপরিচয় রক্ষা করা গেলে করুণ পরাজয় ও ভয়াবহ বিপর্যয়ের পরও কোনো জাতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু শিক্ষা-সংস্কৃতির বিপর্যয় জাতির হাজার বছরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলে। এমনকি কখনো কখনো জাতির ভাগ্যে মোহর এঁটে দেয়। বর্তমান মুসলিম বিশ্ব শিক্ষা-সংস্কৃতির বিপর্যয়ের মুখোমুখি। তাদের সামনে ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি, ব্যক্তি জীবনে ইসলাম পরিপালন, মুসলিম উম্মাহর নিজস্ব ভাষা ও ভাষারীতি রক্ষার চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হয়েছে। সাধারণ মুসলমান এই চ্যালেঞ্জ ও মুসলিম উম্মাহর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদাসীন।
0:21 / 8:59
মুসলিম উম্মার ঐক্য কিভাবে হতে পারে ? 
youtube
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
প্রক���ত মুসলিম কারা 
 
মোহাম্মদ সাঃ কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন।
youtube
ফিকহি ইখতেলাফি বিষয়ে উদার হোন
youtube
youtube
youtube
youtube
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব
0 notes
myreligionislam · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিম উম্মাহর কি কি দায়িত্ব ও কর্ত্তব‍্য ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ইসলামী বিশ্বাস নিমোক্ত ৬টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে : আমরা মুসলমান হিসাবে:
সর্বশক্তিমান আল্লাহকে বিশ্বাস করা ,
তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা,
তাঁর আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস করা,
তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান ,
মৃত্যুর পরে পুনরুত্থানে বিশ্বাস ,
তাক্বদীর/নিয়তি এবং শেষ বিচার দিবসের প্রতি বিশ্বাস।
0:21 :59
·         মুসলিম উম্মার ঐক্য কিভাবে হতে পারে ? 
https://www.youtube.com/watch?v=iYcYcSKGP4g
 
মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য
https://www.youtube.com/watch?v=sqa9ajDD4ww&t=126s
 
মুসলিম উম্মাহর প্রধান ৭ বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শ্রেষ্ঠ উম্মাহ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাই এ উম্মাহর শ্রেষ্ঠত্বের অনেক বৈশিষ্ট্য পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ মুসলিম জাতির প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, মানুষের কল্যাণে তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে, তোমরা সত্কাজের আদেশ দেবে, অসত্কাজ থেকে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
১. আল্লাহর জন্য নিবেদিত : একজন মুসলিমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁর জীবনের সব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, ইবাদত ও আমার জীবন-মৃত্যু সব কিছু উভয় জগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১৬২)
২. সহজ পন্থা অবলম্বন : মহান আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর জন্য জীবনব্যবস্থাকে সহজ করেছেন। আর জীবনযাপনে তাদের সহজ পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে যা সহজ তাই চান, তিনি তোমাদের জন্য যা কঠিন তা চান না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) 
অপর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহ কারো ওপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করেন না, যা তার সাধ্যে নেই, তার ভালো কাজ তার জন্য হবে, তার মন্দ কাজের প্রতিফলও তার জন্য হবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৬)
৩. ইসলামের আহ্বান : ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করা মুসলিম জাতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য; বরং ভালো কাজের দিকে মানুষকে ডাকা এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করাও মুসলিমের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, আপনি বলুন, হে মানবসমাজ, আমি তোমাদের সবার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।
’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৫৮)
৪. একতাবোধ : একতাবোধ মুসলিম জাতির আরেক বৈশিষ্ট্য। জাতি, বর্ণ, শ্রেণি-স্তর সবাইকে নিয়ে মুসলিম সমাজ গড়ে উঠবে। তাদের মধ্যে কোনো শ্রেণিবৈষম্য বা বিরোধ-বিভক্তি থাকবে না। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘এবং তোমাদের এই যে জাতি তা তো একই জাতি, আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় করো।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ৫২)
৫. সহানুভূতিশীল : পরস্পরের প্রতি অনুকম্পা ও সহানুভূতি মুসলিমদের অনন্য বৈশিষ্ট্য।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল এবং তাঁর সঙ্গীরা কাফিরদের প্রতি কঠোর ও পরস্পরের প্রতি সহাভূতিশীল।’ (সুরা ফাতাহ, আয়াত : ২৯)
৬. যেকোনো স্থানে নামাজ আদায় : মুসলিম উম্মাহর জন্য জমিনকে পবিত্র ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়, যা আমার আগে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি। আমাকে ভীতির মাধ্যমে এক মাস ভ্রমণের সাহায্য করা হয়েছে। আমার জন্য পুরো জমিনকে মসজিদ ও পবিত্র ভূমি করা হয়েছে। অতএব আমার উম্মতের সবাই যেন নামাজের সময় হলে তা আদায় করে। আমার জন্য যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হালাল করা হয়েছে। আগেকার সময় একজনকে একটি গোত্রের কাছে পাঠানো হতো, আমাকে পুরো মানবজাতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আমাকে (কিয়ামতের দিন) সুপারিশের অধিকার দেওয়া হয়েছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৩৮)
৭. সর্বজনীনতা : ইসলাম সর্বজনীন জীবনবিধান। সমগ্র মানবজাতির জন্য ইসলামের আগমন হয়েছে। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়, যা আমার আগে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি।...আগেকার সময় একজনকে একটি গোত্রের কাছে পাঠানো হতো, আমাকে পুরো মানবজাতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আমাকে (কিয়ামতের দিন) সুপারিশের অধিকার দেওয়া হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫২১)
আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিনকে পূর্ণাঙ্গ করেছি, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ পরিপূর্ণ করেছি এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বিন হিসেবে মনোনীত করেছি।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩)
উম্মাহর প্রতি চিন্তাশীল মুসলমানের দায়িত্ব
বর্তমানে মুসলিম জাতি যেসব সংকট ও বিপদের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তার বেশির ভাগই এমন, যা সাধারণ ও কম শিক্ষিত মুসলমানও বুঝতে পারে। এগুলো বোঝার জন্য অসামান্য মেধা-প্রতিভা ও বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টির প্রয়োজন হয় না। যেমন জীবন ও সম্পদ বিনষ্ট করা, বিবাদ-বিশৃঙ্খলা করা, অলসতা ও কর্মবিমুখতা ইত্যাদি। বিপরীতে এমন কিছু বিপদ ও সংকট আছে, যা কেবল বিশেষ শ্রেণির মানুষই অনুধাবন করতে পারে।
যাদের আল্লাহ বুদ্ধি-বিবেচনা ও দূরদৃষ্টি দান করেছেন। তাদের দৃষ্টি শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। কেননা তারা বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের ইতিহাস জানে এবং আল্লাহ তাদের দ্বিনের প্রতি ভালোবাসা ও ধর্মীয় আত্মমর্যাদাও দান করেছেন। তারা এসব বিপদ ও সংকটের পরিণতি বুঝতে পারে এবং ভবিষ্যতের দৃশ্যপটও তারা দেখতে পায়।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তায় তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। যেমন মানসিক ও সাংস্কৃতিক ধর্মবিমুখতা। এসব লোক যদিও আধুনিক ভাষাজ্ঞান ও সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত, তবে তারা ইসলামী জ্ঞান ও তার সত্তা-স্বভাবের ধারক-বাহক। যারা একই সঙ্গে পূর্বসূরি ও উত্তরসূরিদের সঙ্গে এবং অতীত ও বর্তমানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে।
আধুনিক শিক্ষাধারা যার প্রভাবে মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্ম ইসলামী শিক্ষা থেকে বিমুখ হচ্ছে এবং ইসলামবিরোধী চিন্তা-ভাবনা ও বিশ্বাসে প্রভাবিত হচ্ছে, জাতি হিসেবে মুসলমানের স্বাতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্য, ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, পশ্চিমা সভ্যতা-সংস্কৃতি, দর্শন ও জীবনধারার অনুগামী হচ্ছে—জাতি হিসেবে মুসলমানের এই সংকট দ্বিতীয় শ্রেণির সংকট যা যেমন দূরদর্শী ও চিন্তাশীল মানুষরাই অনুধাবন করতে পারবে। আল্লামা ইকবালের ভাষায় বিষয়টি অনেকটা এমন—‘চোখে অনেক কিছু দেখি মুখে উচ্চারণ করতে পারি না। ভেবে অস্থির হই পৃথিবীর সামনে কী পরিণতি অপেক্ষা করছে।’ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা ধৈর্য ধারণ কোরো, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কোরো এবং সদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো। আল্লাহকে ভয় কোরো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।
’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২০০)
উল্লিখিত আয়াতে ‘ইসবিরু’ শব্দের পর ‘সাবিরু’ শব্দের ব্যবহার চিন্তার দাবি রাখে। তা হলো, জাতি ও সম্প্রদায়ের জীবন, তাদের উত্থান-পতনের বিষয়টি ব্যক্তিগত ধৈর্য ও স্থিরতার ওপর নির্ভরশীল নয়; বরং সামষ্টিক ধৈর্য ও দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও স্বাতন্ত্র্যের প্রয়োজন। আরো প্রয়োজন প্রত্যেক ব্যক্তি যেন অপর ব্যক্তির জন্য উৎসাহ দানকারী হয়। প্রত্যেক ব্যক্তি এতটা ধৈর্যশীল ও দৃঢ়চিত্ত হবে যে অপর ব্যক্তি তা থেকে সাহস লাভ করবে। তার জীবন, তার ঈমান ও বিশ্বাস, তার ধৈর্য ও আল্লাহর ওপর আস্থা, তার প্রতিজ্ঞা ও সৎসাহস, তার কীর্তি ও অবদান অন্যের আস্থা তৈরির ভিত ও পথের প্রদীপ হিসেবে কাজ করবে। তাকে দেখে কম্পন পা স্থির হবে, ভীরু মন সাহস খুঁজে পাবে এবং দ্বিধাগ্রস্ত অন্তর প্রশান্ত হবে। তারা হবেন এমন যে তাদের সামনে অধৈর্য ও হীন্মন্যতার কথা বলা অসম্ভব; বরং বিষয়টি তারা নিজেদের জন্য দোষের মনে করে। এরপর মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘সদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো।’ 
এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যুদ্ধের প্রস্তুতি দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক. সামরিক প্রস্তুতি, দুই. মানসিক প্রস্তুতি। মানসিক প্রস্তুতি হলো জাতি হিসেবে নিজেদের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও শিক্ষার স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য রক্ষা করা। সামরিক প্রস্তুতির মতো মানসিক প্রস্তুতিও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রকৃতপক্ষে কোনো জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও শিক্ষার স্বতন্ত্র ধারা রক্ষা করা আবশ্যক। এটাই পৃথিবীতে জাতির অস্তিত্বের জানান দেয়। নিজের আত্মপরিচয় রক্ষা করা গেলে করুণ পরাজয় ও ভয়াবহ বিপর্যয়ের পরও কোনো জাতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু শিক্ষা-সংস্কৃতির বিপর্যয় জাতির হাজার বছরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলে। এমনকি কখনো কখনো জাতির ভাগ্যে মোহর এঁটে দেয়। বর্তমান মুসলিম বিশ্ব শিক্ষা-সংস্কৃতির বিপর্যয়ের মুখোমুখি। তাদের সামনে ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি, ব্যক্তি জীবনে ইসলাম পরিপালন, মুসলিম উম্মাহর নিজস্ব ভাষা ও ভাষারীতি রক্ষার চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হয়েছে। সাধারণ মুসলমান এই চ্যালেঞ্জ ও মুসলিম উম্মাহর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদাসীন।
0:21 / 8:59
মুসলিম উম্মার ঐক্য কিভাবে হতে পারে ? 
youtube
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
প্রকৃত মুসলিম কারা 
 
মোহাম্মদ সাঃ কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন।
youtube
ফিকহি ইখতেলাফি বিষয়ে উদার হোন
youtube
youtube
youtube
youtube
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব
0 notes