#moulinath sharma
Explore tagged Tumblr posts
Text
Monday, 14 October, 2024 । সোমবার, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১।
অভ্যাস
একটা খুব স্টেবল সম্পর্কে সারাদিনে কতটা কথা হয় কেউ বলতে পারবেন? ধরুন খুব বেশি হলে 15-20 টা হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজ...এক দু বার কল...সেটাও হয়ত ২-৩ মিনিটের জন্যে।৩-৪ বছর ধরে বেশ পেকে ওঠা সম্পর্কে একটা আলাদা নির্ভরতা থাকে,একটা বিশ্বস্ততা থাকে।তুমুল ঝগড়া হলেও জানি,দিনের শেষে মানুষটা আমারই।দুদিন কথা বন্ধ আছে বলে,সে দুম করে অন্য কারো হাত ধরে কোথাও চলে যাচ্ছেনা।আমি কষ্ট পেলে...সেও পাচ্ছে, এটা নিজের মন থেকে বিশ্বাস করা।কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঝগড়াঝাটি সম্পর্কটাকে আরোও দৃঢ় করে।কটু কথা শোনার বা বলার পরও...সবটা ভুলে মানুষটাকে আপন করা,সম্পর্কটাকে পোক্ত করে।
একটা পেকে ওঠা সম্পর্কে আগুনটা থাকেনা...ধুকপুকানি কমে আসে।থাকে একটা নিরাপদ আশ্রয়, মায়ের মতো একটা কমফোর্ট জোন...আজ দেখা করবো বলার পর প্লিজ বলার প্রয়োজন থাকেনা আর যখন না শুনলেন, মনে হয়না যে আমায় এড়িয়ে যাচ্ছেনাতো! বরং মনে হয়,নিশ্চয়ই কোনও কাজে ব্যস্ত..যেখানে আমি "আমি" হয়েই থাকতে পারি।অপর জনকে মুগ্ধ করার তাগিদ থাকেনা...থাকেনা নিজেকে মেকি ভাবে সাজানোর...ভান থাকেনা কোনও।
দাত মাজেনি জেনেও চুমু খেতে যখন ঘেন্না লাগেনা,ঘামের গন্ধ নিয়ে দেখা করতে যেতে কুন্ঠা থাকেনা।মেকআপ ছাড়াও দিব্বি একে অপরের সামনে আসা যায়...দুদিন রাগ করে কথা না হলেও...নিজের মনে মনে জানতে পারা সে আমার সাথেই আছে।আমরা একা থাকলেও নিজের মন ও মস্তিষ্কে তাকে বহন করে বেড়াই,তাই নিজেকে একা মনে হয়না।
এরকম একটা শক্তপোক্ত সম্পর্ক ভাঙ্গলে...তখন ফাঁকা ফাঁকা লাগে কেনো জানেন!নাহ্ হোয়াটসঅ্যাপ এর নিয়ম মাফিক ১২-১৫ টা মে��েজের জন্যে নয়,দু তিনটে কল বন্ধের জন্যেও নয়....শূন্যতাটা মনের,মস্তিষ্কের।
আপনি জেনে যান,আপনার জন্যে কেউ আর অপেক্ষায় নেই।আপনিও আর কারও অপেক্ষায় থাকেননা।আপনি জেনে যান হাত বাড়ালে আগেও যেমন হাত পাওয়া যেতোনা...কিন্তু কল্পনায় একটা হাত থাকতো..সেই হাতটাকে কল্পনা করতেও এখন থেকে আর পারবেননা।সেই কল্পনার অধিকারটা আপনি হারিয়েছেন।মানুষটাকে হারানো আপনাকে যতটা কষ্ট দেয়...তাকে ভাবার অধিকার হারানোটা আরোও বেশি জ্বালাতন করে।যাকে মন ও মস্তিষ্কে নিয়ে ঘুরছিলাম...সেই মানুষটাকে এখন ভাবারও উপায় নেই!
একটা মানুষকে একতরফা ভালোবাসাটা একটা নেশা...কিন্তু একটা মানুষের অভ্যেস বেশি ভয়ঙ্কর। নেশা কাটানো যায়...অভ্যেস কাটানোটা কষ্টকর প্রমানিত হয়।
তবু একটা সময় পর,এই বিরহ বা শূন্যতাতেও অভ্যস্থ হয়ে পরেন।বিচ্ছেদ আর কষ্ট দেয়না সেভাবে।শুধু কিছু স্মৃতি ছাড়া।কিছু বিশেষ মুহূর্ত ছাড়া সেভাবে মানুষটা আর মন মস্তিষ্কে জুড়ে থাকেনা।মাঝে মাঝে আসে...উঁকি মেরে চলে যায়..ধীরে ধীরে সেটুকুও হয়না।সময়ের হাত ধরে নতুন কেউ আসে, পুরনো ফিকে হয়।
আর যদি না হয়, আপনার সর্বনাশ হয়ে গেছে মশাই, ভুগুন সারা জীবন।
সে আমাকে ভালোবাসে নিজের মন ও মস্তিষ্কে এই তুমুল বিশ্বাসটার নামই প্রেম। সে আর আমার নয়...আমাকে সে ভালোবাসেনা, নিজের মন ও মস্তিষ্কে এই তীব্র বিশ্বাসটার নাম বিরহ।
সবটাই আপনার বিশ্বাস। অপর জনের প্রেম বা অপ্রেম কিস্সু না।অপর জনের মানসিক অবস্থান জানাটা সম্ভব নয়, ছিলোও না কোনওদিন।।
0 notes
Text
Sunday, June 16, 2024 । রবিবার, ০১ আষাঢ়, ১৪৩১
কিছু কিছু মানুষ এতটাই স্বার্থপর হয় যে তারা তাদের মা বাবা স্বামী-স্ত্রী ভাই-বোনের বাইরেও কেউ যে থাকে, তা মনে করে না। তাদের জগৎটা নিতান্তই ছোট্ট। তারা শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, ভাশুর-দেওর, ননদ-জা কাউকেই দেখতে পায় না, বা পেলেও না দেখার ভান করে। আত্মীয়-পরিজনদের তো দেখতেই পারে না। তাদের ব্যাপারে পরনিন্দা-পরচর্চা করেই তাদের জীবন কেটে যায়।
ভালো বক্তা অনেকেই হয়। কিন্তু ভালো শ্রোতা সবাই হতে পারে না। এর জন্য দরকার অনেক ধৈর্য ও শোনার আগ্রহের। কেউ কিছু বলার মাঝপথে থামিয়ে দেওয়ার শিক্ষা বা ঔদ্ধত্য কোনো শিক্ষাই আমি উত্তরাধিকার সূত্রে পাই নি।
আমার জীবনে বন্ধুর খুবই অভাব। প্রকৃত বন্ধু বলে আজীবন কাউকে কখনই পাই নি। পেয়েছিলাম যাদের, তারা সবাই হয় ক্ষণিকের অতিথি, অথবা সুসময়ের বন্ধু। দুঃসময় আমি সম্��ূর্ণই একাকী কাটিয়েছি। ভেবেছিলাম বিয়ে করে যাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাবো, সে আমার বন্ধু হবে। তাকে আমি আমার সমস্ত কথা বলতে পারবো। পারিনি। কারণ, পাই নি। সমবয়সী স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এবং অনেকদিনের মেলামেশার ফলে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়ে ওঠে। এটা আমার নিজের দেখা। এবং, বিশ্বাসও। অসমবয়সীদের মধ্যে যেমন একটা জেনারেশন গ্যাপ থাকে, সেরকম একটা মানসিক পার্থক্যও থাকে। যেটা হাজার চেষ্টাতেও পূরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
আগেও অনেক নিজেকে বুঝিয়েছি, সবশেষে আবার বলছি, মৌন হতে শেখো মৌলীনাথ। মনে রাখবে, বোবার শত্রু নেই।
খারাপ কথা বোলো না, খারাপ কথা শুনো না। যা তোমাকে মানুষিক অবসাদে ফেলে, যা তোমাকে কষ্ট দেয়, যা দেখে তোমার রাগ হয়, সেসব দেখা থেকে দূরে থাকো। যাকে ভালোবাসো, সে তোমার ব্যাপারে খারাপ ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করছে? এড়িয়ে চলো। ফেসবুকে খারাপ কথা লিখছে? এড়িয়ে চলো। খারাপ পোস্ট করছে? এড়িয়ে চলো। হোআটসঅ্যাপে খারাপ স্ট্যাটাস দিচ্ছে? দেখো না। সব জায়গায় আনফলো করে দাও। চোখে পড়বে না তোমার। এড়িয়ে চলো। Just ignore. এটাই সুখে থাকার মন্ত্র। এটাই মানসিক শান্তির চাবিকাঠি।
0 notes
Text
ভারতীয় মেগা নির্বাচন মেলা
Saturday, May 25, 2024 1:53 AM | শনিবার, ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ১:৫৩ এএম
আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় লোকসভা নির্বাচনের দিন। আমার ডিউটি পড়েছে পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আষাড়িয়াবাঁধ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এটি পটাশপুর থেকে বাজকুল যাওয়ার রাস্তায় মকরমপুরের পর মঙ্গলমারোর আগে সিংদামোড় থেকে ২.৫ কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত।
অতিশয় প্রত্যন্ত গ্রাম। মাটির মেঝের স্কুলবাড়ি। টিনের চালের দুইটি ছোট্ট ঘর। বৃষ্টি এলে জল পড়ে। শৌচাগার নেই বললেই চলে। এখন রাত দুটো। কারেন্ট যাচ্ছে আসছে। তাও ভাগ্য ভালো যে বিকেলে ভালোরকম ঝড়বৃষ্টি হয়ে গেছে। আবহাওয়া ঠান্ডা। জোরে ফ্যান চললে এই গভীররাতে শীতশীত করছে। কোনওরকমে রাতটুকু কাটিয়ে দিয়ে ভোরের অপেক্ষায় আছি।
রাত পোহালেই ভোট। সারা দেশের সঙ্গে এই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও ভোটের দামামা বেজে গেছে। আমার সাথে চারজন ভোটকর্মী। আমি মাইক্রো অবসার্ভার। আমার সাথে একজন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কর্মী। আমাদের ভোটকেন্দ্রের পাহারার দ্বায়িত্বে চারজন এসএসবি জওয়ান। সিকিম চীন সীমান্ত থেকে এসেছেন। একজন সেক্টর অফিসার, একজন অ্যাসিস্টেন্ট সেক্টর অফিসার ও একজন ব্লক লেভেল অফিসার এই ভোটকেন্দ্রের দ্বায়িত্বে আছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিসূত্রে এটি আমার জীবনের প্রথম ভোটের ডিউটি। আমি মাইক্রো অবসার্ভারের দ্বায়িত্বে আছি। আমি রিপোর্ট করবো জেনারেল অবসার্ভারকে, যিনি পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্র সহ আরও কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষকের দ্বায়িত্ব সামলাবেন। তিনি একজন আইএস। ভারত সরকারের পঞ্চায়েতি রাজ ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর পোস্টে আসীন। এসডিও এগরা ও ডিএম পূর্ব মেদিনীপুরের সাথে তাঁরা এই সমস্ত ভোট পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণের দ্বায়িত্ব সামলাবেন।
এই ভোটকেন্দ্রে ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বিরোধীশক্তি নেই বললেই চলে, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে যা বুঝলাম। কম্পিটিশন কম, তাই উন্নয়নের হারও কম।
ভোট কেমন হলো, সেটা সন্ধের পর জানা যাবে। আপাতত একটু চোখ বুজে শুই।
0 notes
Text
Sunday, May 05, 2024 । রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১
বেশ কিছুদিন ধরেই মনে মনে ভেবে রেখেছি, ও ওদের বাড়ি গেলেও ওর যাবতীয় খরচ কিন্তু আমিই করবো। তাইই ��চিত। সেগুলো আমার কর্তব্য। আজ সে আমার জন্যেই গর্ভবতী। আজ সে আমার জন্যেই অসুস্থ। আমাদের আসন্ন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সে আজ কতটা ত্যাগ স্বীকার করে চলেছে ২ মাসের উপর, আমি দেখছি। আমি জানি।
এখন সে আমাদের বাড়িতে। তার যাবতীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের খেয়াল রাখা আমার দায়িত্ব। আমার কর্তব্য। কিছুদিন পর সে তাদের বাড়ি যাবে। কিন্তু গেলেও আমার দায়িত্ব বিন্দুমাত্র কমে যায় না। আমার তো মন পড়ে থাকবে সেখানেই। আমি সুযোগ পেলেই সেখানে যেতে উদগ্রীব হয়ে থাকবো। যখনই তাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতে হবে, যখনই সে অসুস্থ হবে, তার সাথে সাথে আমি যেন থাকতে পারি, আমি সেই প্রার্থনাই করে চলেছি।
সে কিছুদিন পর চলে যাবে। তার মা ওকে নিয়ে যেতে আসবেন। কিন্তু সেটা আমাকে সে জানায়ও নি। আমি তার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দেখে বুঝতে পারলাম তারিখটা।
আমার ভালো লাগে নি জানতে পেরে। সে আমাকে জানায় নি। আমি তাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আর সে আমাকে বললো না পর্যন্ত। একজন মা তার গর্ভবতী মেয়েকে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়ি নিয়ে আসছেন - এই দৃশ্যটা মনে মনে ভাবলে নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে। আমি কি আমার কর্তব্যচ্যুত হয়ে পড়বো না এই পরিস্থিতিতে? এটা একজন স্বামীর দায়িত্ব। আমি সেটা কি পালন করতে পারবো না?
দেখা যাক।
যায় হোক, কিছুদিন আগে সে আমাকে মনে করালো যে ও ওদের বাড়ি গেলে ওকে ওরা আবার সেই জল কিনে খাওয়াবেন। শুনে আমার খারাপ লাগে। বাড়ির জল হাওয়া পরিবেশ - এইগুলোই তো একজন মানুষ চায়। এইগুলোই তো একজন মানুষের বাড়ির প্রতি টান তৈরি করে। সেখানে বাকিরা যা খাবেন ও সেটা খেতে পারবে না, এবং উল্টোটা (vice-versa)।
আমি তো আগেই ঠিক করেছিলাম, ওর সব খরচ আমি দেবো। মাঝে মাঝেই ভাবছি, এই গরম। এখানে এসিতে থাকার অভ্যেস। ওখানে গুমোট গরমে এই শরীরে তো আরও গরম লাগবে। ও পারবে? নাকি একটা এসির ব্যবস্থা করে দেবো? আবার ভাবি, যদি ওরা খারাপ মনে করেন? ওকে বলতেও পারি না। বললেই ঝগড়া শুরু হয়ে যাবে। যেমন হলো আজ।
জলের কথাও আমি ভেবেছিলাম। ফিল্টারের ব্যবস্থা করে দেব কিনা ভাবছিলাম এক সপ্তাহ ধরে। আজ পেপার দেখতে গিয়ে ফিল্টারের বিজ্ঞাপন দেখলাম। ভাবলাম বলি যে কিছু ব্যবস্থা করা যায় কিনা। ওকে বললাম যে ওদের বলো একটা ফিল্টার কিনতে। সে ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ৩ বার বললাম। শুনলোই না। বা শুনলেও এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দিলো। ভেবেছিলাম যদি বলে যে ওরা রাজি হবে না, তখন আমি বলবো যে আমি যদি কিছু ব্যবস্থা করতে পারি আমার ভালো লাগবে। সেসব বলার সুযোগই পেলাম না।
একটু ভাবুন। একজন মানুষের দিনে কমপক্ষে ৩ লিটার জল খাওয়া উচিত। একটা ৫ লিটার বিসলেরির জারের দাম ৬৫ টাকা। ৩লিটার দিনে হলে মাসে ৯০ লিটার। ১৮টা জার। মাসে ১১৭০ টাকা। ধরে নিলাম ও ৯ মাস থাকবে। ১০৫৩০ টাকা লাগবে একজনের জলের জন্য। এটা সবচেয়ে কম হিসাব দিলাম। আরও কত জল লাগবে। জল কিছু নষ্ট হবে। আমাদের সন্তানের জল লাগবে অনেক। ওরা এই খরচাটা করলে ওদের কষ্ট হবে না? ওরাও তো বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন না। শুধু ওদের মেয়েই ব্যতিক্রম।
বাড়ির একটা মানুষ এই জল খাবে। আর বাকিরা অন্য। এই বৈষম্যটা আমার ভালো লাগে না। ওর বাবা পেটের গন্ডগোলে ভুগছেন। জলের জন্য কত কিছু হয়। পেটের গন্ডগোল। ওর বাবারও কি ভালো জল খাওয়া উচিত না? আর বাকিরা? বাকিরা কি ভালো জল খাওয়া থেকে বঞ্চিত থেকে যাবেন?
ওকে বললাম। শুনলো না বিন্দুমাত্র। রাগ হলো। বোতলের জল কেনার এই টাকাটা আমিই দিতাম। ও না চাইলেও। রাগের কথা ও ঠিক শুনবে। ভালো কথা যদি নাও শোনে। তাই বলেছিলাম তোমার জন্য বোতল বোতল জলের টাকা আমি দিতে পারবো না। এটা ঠিক গায়ে লাগলো। অনেক কথা শুনলাম। শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে খোটা বরাবর দিয়ে আসছে। আজও সেটা দিয়েই শুরু করলো। এই অবধি ওকে ক' টাকা দিয়েছি, কি কিনে দিয়েছি এসব প্রশ্ন তো বললোই। (মেয়েদের মন, শুনেছি ও পড়েছি, স্বামীর কাছ থেকে গয়না, বাড়ি ও গাড়ি উপহার পেয়েও এসব প্রশ্ন করেই থাকে অনেকে, আর ও তো তার আগের স্বামীর থেকে বাড়ি পেয়েছিল। তাহলে সেই তুলনায় আমি কীই বা দিতে পেরেছি। আমি কোন চুনোপুঁটি!) থামলো 'বেঁচে আছি কেন, গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়া উচিত' এসব দিয়ে।
'আমাদের বাচ্চা' কথাটা কোনোদিন বলে নি আজ অবধি। যখনই কিছু বলে, বলে 'আমার বাচ্চা'। আজও বললো। এই বাচ্চা সে রাখবে না। আমার সাথে থাকবে না। ইত্যাদি।
ওর সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দেখা আমার কর্তব্য। আমার দ্বায়িত্ব। এসব দেখতে গিয়ে একটু রাগ করে বলে ফেলেছিলাম। ভগবান ক্ষমা করবেন ।
0 notes
Text
DAY 1103 - Post 61
Sunday, January 06, 2019 । রবিবার, ২১ শে পৌষ, ১৪২৫
অন্ধকার পৃথিবী
আকাশের বুকে মায়াবী চাঁদ একটু একটু করে লুকিয়ে যাচ্ছে , নির্ঘুম রাত জেগে বসে আছি আমি একা। স্বপ্ন দেখা হয়না এখন , শুধু অপেক্ষা তোমারই , সোনালি ভোর আসবে বলে।।
প্রতিটি রাত জেগে থাকা ছেলেটি , হয়তো একদিন আর রাত জাগবে না , তার পৃথিবীটাই হয়ে যাবে অন্ধকার রূপ ।।
আর দেখা হবে না , সোনালি সকাল দেখা হবে না তোমার হাসি ভরা মুখ , আলতা পায়ে নদীর ঘাটে , হবেনা আর কোনদিন দেখা হবেনা ।।
একদিন চলে যাবে ছেলেটি , সব মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে , ঘুমিয়ে যাবে অন্ধকার পৃথিবীতে , আর জাগা হবে না নির্ঘুম রাত ।।
স্বপ্ন গুলো রয়ে যাবে একা , তাদের চোখের পর্দার সামনে আর রাখা হবে না কোনদিন ।।
হবে না আর ছোঁয়া তোমার হাত দুটি , রাখা হবে না চোখে চোখ , হবে না আর দেখা - লম্বা কেশ এলিয়ে দিয়ে , পা ঝুলিয়ে বসে থাকা নদীর পাড়ে , হবে না , আর কোনওদিন দেখা হবে না ।।
6 notes
·
View notes
Text
DAY 1131 - Post 63
Sunday, February 03, 2019 । রবিবার, ১৯শে মাঘ, ১৪২৫
ব্রেকআপের ভয়টাই আমরা পাই, বিবাহ-বিচ্ছেদের ভয়টা নয়।
বিছানার আদরটাই আমাদের জানা, একদিন কিং সাইজ বেডের পাশের ফাঁকা জায়গাটা আমাদের মাথাতেও আসে না।
প্রেমের পর শুধু বিয়ে না হওয়ার ভয়টাই আমরা পাই, বিয়ের পর শেষদিন জীবনের শেষ বিয়ের সাজটার আশঙ্কা আমাদের কল্পনাতেও আসে না। সেদিনের বিয়েতেও চন্দনে সাজবে।
একে অপরকে জড়িয়ে থাকার তৃপ্তিটাই আমরা চাই, কিন্তু একে অপরকে ছেড়ে থাকার স্বাদটা আমরা পাইনা, চাইও না।
বর্তমানে একে অপরের অভিমান আর ইগোয় পোড়ার যন্ত্রণাটুকুই আমরা পাই, কিন্তু একে অপরকে ছেড়ে ভবিষ্যতে চিতার আগুনে পোড়ার যন্ত্রণাটা আমাদের মনেও থাকে না। ভুলে যাই এটাই যে আজ দুজন পুড়ছি অন্তরে অন্তরে, সে��িন একজন পুড়বে বাহিরে অপরজন অন্তরে।
আজ পার্কে একে অপরকে জড়িয়ে থাকাকালীন রাত ���টটা বাজলেই যেমন দারোয়ান পার্ক খালি করার সিটি বাজিয়ে দুজনকে আলাদা করে দেয়, সেদিন শ্মশানে নিয়ে যাবার জন্যও প্রিয়জনেরা তাড়া দেবে, দুজনকে আলাদা করে দেবে। সেদিন শেষবারের মতন জড়িয়েও থাকতে দেবেনা একটু বেশিক্ষণ।
সেদিন হয়তো আমার অদৃশ্য আত্মা তাকে কাঁদতে দেখেও তার চোখের জল মুছিয়ে দিতে পারবে না, বুকে জড়িয়ে ধরতে পারবে না, সে কোনো বিপদে পড়েছে দেখেও তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবে না। সেদিন নিজেই নিজের কাছে পরাধীন হয়ে যাবো। দেখতে পাবো সব, দেখাতে পারবো না কিছুই।
আসল ব্রেকআপ সেটা নয় যেখানে একে অপরকে ছেড়ে থাকলেও একদিন ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে, আসল বিচ্ছেদ সেটাই যেখানে ফেরার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না। একা থাকতে ভয় লাগে না, ভয় এটাই যে কে আগে চলে যাবো এবং কে একা হয়ে যাবো বাকি জীবনটা।
আজ ঝগড়া হয়েছে ওর সাথে? কাল ও আগে ক্ষমা চাইলে তারপর কথা বলবেন ভাবছেন? ভেবে দেখেছেন কাল যদি আপনি মারা যান? কিংবা তার ভাগ্যে যদি কোনো অ্যাকসিডেন্ট লেখা থাকে? আমরা কেউ জানিনা কতদিন বাঁচবো? তাই জীবনের প্রত্যেকটা সেকেন্ড একে অপরের সাথে বাঁচতে শিখুন ভালো ভাবে। সামান্য অভিমানে স্বেচ্ছায় দূরে থাকে বোকারা, কারণ এক না একদিন দূরে হয়ে যেতেই হবে সারাজীবনের জন্য।
যতদিন বেঁচে আছি একে অপরের সাথে বাঁচুন, কারণ সাথছাড়া হয়ে বাঁচার সুযোগ সবার একদিন আসবেই, কেউ আটকাতে পারবে না। তাই একা থাকতে ভয় লাগে না, ভয় এটাই যে কে আগে চলে যাবো এবং কে একা হয়ে যাবো বাকি জীবনটা। ছেড়ে থাকার আসল কষ্টটা কেউ পাননি বলেই বারবার ঝগড়া করে অভিমান আর ইগো নিয়ে আলাদা থাকেন।
বিচ্ছেদ সাময়িক সমাধান হতে পারে, কিন্তু বাকি জীবনটা কিভাবে কাটাবেন ভেবে দেখবেন একবার হলেও। তাই বলি কী --- যান, ঝগড়া মিটিয়ে ফেলুন প্লিজ, কথা বলুন তার সাথে। জীবনটা একটাই। তাকে নিয়ে এভাবে হেলাফেলা করবেন না, খেলা করবেন না। আসুন না, হিংসা দ্বেষ দ্বন্দ্ব শেষ করে, পৃথিবীটাকে একটু ভালো করে তোলার শপথ নি আমরা সবাই মিলে ?
#রচনা#বাংলা রচনা#Article#Essay#Bengali Article#Bengali Essay#Moulinath#Moulinath Sharma#মৌলীনাথ#মৌলীনাথ শর্মা
1 note
·
View note
Text
DAY 1061 - Post 59
Sunday, November 25, 2018 । রবিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৫
যদি ভুলেই যাও
যদি ভুলে যাবার হয়, ভুলে যাও । দূরে বসে বসে মোবাইলে, ইমেইলে হঠাৎ হঠাৎ জ্বালিয়ো না, দূরে বসে বসে নীরবতার বরফ ছুড়ে ছুড়ে এভাবে বিরক্তও করো না ।
ভুলে গেলে এইটুকু অন্তত বুঝবো ভুলে গেছো, ভুলে গেলে পা কামড়ে রাখা জুতোগুলো খুলে একটু খালি পায়ে হাঁটবো, ভুলে গেলে অপেক্ষার কাপড়চোপড় খুলে একটু স্নান করবো, ভুলে গেলে পুরোনো গানগুলো আবার বাজাবো, ভুলে গেলে সবগুলো জানালা খুলে একটু এলোমেলো শোবো । রোদ বা জোৎস্না এসে শরীরময় লুকোচুরি খেলে খেলুক, আমি না হয় চিরনিদ্রায় ঘুমোবো ।
#bangla poem#poem#বাংলা কবিতা#bengali poem#bangla kobita#bangla poems#bengali poems#moulinath#poems#moulinath sharma
4 notes
·
View notes
Text
DAY 1081 - Post 60
Saturday, December 15, 2018 । শনিবার, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৫
মুক্তি দিলাম
আমি সহস্র রজনী জেগেছি তোমার ভালবাসার জন্য , অসংখ্য তারা গুনেছি এক একটি করে জোছনা আলোতে ; দু'চোখ জুড়ে ঘুমের পশরা নেমে এলেও তোমায় নিয়ে স্বপ্নে মেতেছি ।
কিন্তু, তুমি ক'টি রাত জেগেছো , ক'টি ফুলের মালা গেঁথেছো আমার জন্য , বলতে পারবে কি ? শুধু মুখ লুকিয়ে চলে যাও দূরে কোনখানে ।
আমি হিমালয় থেকে নুড়ি-পাথর এনেছি , পাহাড়ের বুক চিরে সুড়ঙ্গ কেটেছি , সমুদ্র থেকে ঝিনুক-মুক্তো কুড়িয়ে দিয়েছি - যার কোনটাতে তোমায় কেউ দেখেনি । সব ভাল একা আমিই বেসে গেলাম - অবশিষ্টটুকুও তুমি বাসনি আমায় ।
তাই আজকে তোমায় মুক্তি দিলাম দু'চোখের অশ্রুজলে । আজ থেকে তুমি মুক্ত আর আমি অজানায় নিরুদ্��েশ...!
2 notes
·
View notes
Text
DAY 1117 - Post 62
Sunday, January 20, 2019 । রবিবার , ৬ই মাঘ, ১৪২৫
জীবন-মৃত্যু ও সময়ের মূল্য
কখনো নিজের চোখে শ্মশানে কোনো বডি পুড়তে দেখেছেন?
যে আপনি হালকা ধূপ বা সিগারেটের ছ্যাঁকায় পড়া একটি ছোট্ট ফোসকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার জন্য ওষুধ লাগিয়েছেন সেই শেষদিন আপনার অবচেতনে আগুনের তাপে আপনার শরীরে শত শত ফোসকা ফুলে উঠবে আর সশব্দে ফাটবে রক্ত ছিটিয়ে।
একটু মাথার ব্যাথায় যেদিন শত কাজ ফেলে রেখে ল্যাদ খেয়েছিলেন ঘন্টার পর ঘন্টা, শেষদিন মাথাটাও শেষে পুড়বে না; ডোম বাঁশ দিয়ে মেরে ফাটাবে নৃশংস শাস্ত্রমতে।
এতদিন এত সাজ পোশাক মেকআপের যত্ন। শেষদিন সবাই আপনার অলক্ষেই আপনার গা থেকে সবটুকু সাজসজ্জা টেনে খুলে নগ্ন করে চিতায় চাপাবে।
একদিন গরম খাবার খেতে পারতেন না বলে মা বা বাবা ফুঁ দিয়ে জুড়িয়ে দিতেন, শেষদিন সেই মাকেই বাবাকেই তার ছেলে জ্বলন্ত অগ্নি মুখে ঢুকিয়ে মুখাগ্নি করবে।
কখনো সচক্ষে কবরে কাউকে মাটির ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে দেখেছেন?
লেপের মধ্যে পাঁচ মিনিট থাকলে যেখানে আপনার একদিন দম বন্ধ হয়ে যেতো, সেখানে শেষদিন চিরজীবনের জন্য আপনাকে মাটির ভিতরে চলে যেতে হবে। যেখানে একবিন্দু হাওয়া প্রবেশ করবে না। পোকায় ছিঁড়ে খাবে কুঁড়ে কুঁড়ে পচাগলা দেহটাকে।
ভাবলেই যখন গা শিউড়ে উঠবে, তখন এই পোস্টটিকে হয় লাইক নয় রিপোর্ট মারতে ইচ্ছে করবে।
কারণ আপনি আর কোনোদিন পারবেন না ফিরে আসতে, পারবেন না হেদুয়া বা মানিকতলার মোড়ে দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে, পারবেন না বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখতে, পারবেন না বয়ফ্রেন্ডের সাথে মন খুলে ঝগড়া করতে, পারবেন না দুর্গা পুজোর পাঁচটা দিন হৈ হৈ করে বাঁচতে। পারবেন না বরের বুকের উষ্ণ স্পর্শ পেতে, পারবেন না বউয়ের আদুরে ডাক শুনতে, পারবেন না ছেলেমেয়ের মা-বাবা বলে ডাকতে শুনতে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, মায়ের হাতের শাঁখা পলার আওয়াজ, মাছ-ভাত খাওয়া, বাবার চশমা লুকিয়ে মজা করা, বউয়ের লাজুক চাউনি - এসব আর আপনি উপভোগ করতে পারবেন না।
আজও মনে হয় সিগারেটটা ছেড়ে দিই, মদটা ছেড়ে দিই, যদি দুটো দিন বেশি বাঁচি।
আজও মনে হয় রাস্তার ফুটপাতটাই বেস্ট, হোক না ভীড়, কিংবা গাড়িটা পেরিয়ে যাক তারপরেই পার হবো, হোক না পাঁচ মিনিট লেট। আরো তো কটা বছর এক্সট্রা পাবো।
আজও মনে হয় বাইকের স্পিডটা কমাই, কি হবে মেয়েদের কেদ্দানি দেখিয়ে? আরো তো কটা মাস এক্সট্রা পাবো।
আজও ভয় হয় হাসপাতালে ভর্তি হলে যদি আর ফিরে না আসি?
রোজ রাতে ঘুমাতেও ভয় পাই, যদি সকালে না উঠি?
আজও মনে হয় মানুষ নয় কচ্ছপ হয়ে জন্মালে পৃথিবীটা ৩০০ বছর এক্সট্রা দেখতে পেতাম।
প্রত্যেকটা দিনের সূর্যাস্ত মানে কি জানেন? আপনার জীবনের মোট দিন সংখ্যা থেকে একটি দিন শেষ হয়ে গেল। ঘড়ির টিক টিক মানে কি জানেন? আপনার মৃত্যুর সেই টাইমার যা ক্রমশ এগোচ্ছে। এবার আপনার ভাগ্যে বেঁচে থাকার কতটা সম��় বেঁধে দেওয়া আছে সেটা আপনি জানেন না, হয়তো একশো বছর অথবা আগামী একমাস, একদিন অথবা মাত্র এক ঘন্টা! এর থেকে বড় সাসপেন্স আর কিছুই হয় না।
মৃত্যু আসছেই, তবে কতটা স্পীডে সেটাই কৌতুহল। আসল কথা হল আমরা সবাই স্বর্গ সুখ চাই, কিন্তু কেউ স্বর্গে যেতে চাই না। তাই বেঁচে থাকার লড়াই।
সুইসাইড যে করে সে কাপুরুষ নয় বাবুমশাই, অন্তত আমি মনে করি। মরতেও সাহসের প্রয়োজন। দম না থাকলে মৃত্যুভয়কে আয়ত্তে আনা যায় না। আপনি করে দেখান তো দেখি, পারবেন না বাবুমশাই, পারবেন না। "সুইসাইড যারা করে তারা কাপুরুষ", বা "নরকে জায়গা হয়", কিংবা "এটা পাপ" এই প্রবাদগুলো সৃষ্ট শুধুমাত্র একটি মানুষকে সুইসাইড থেকে বিরত রাখার জন্য আর কিছুই না। কারণ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ার পর সেই অন্তিম দুমিনিটে আপনি বুঝে যাবেন জীবন আসলে কি, কতটা কষ্ট হয় প্রাণ বেরোতে। সেই দু মিনিট আমি হলফ করে বলতে পারি আপনার গার্লফ্রেন্ড, আপনার বউ, আপনার মা-বাবা, আপনার ছেলেমেয়ে, আপনার ফেল করা মার্কশিট কিংবা যার জন্যই সুইসাইড করতে যাচ্ছিলেন কোনওকিছুই আপনার মাথায় আসবে না। পা ছুঁড়তে থাকবেন শুধু নিজেকে বাঁচাতে।
তাই যতটুকু সময় আমরা বেঁচে আছি একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারি না? মা-বাবার সাথে তর্কবিতর্ক ঝগড়াটা একটু বন্ধ করতে পারি না? বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ করব কি না, আর একবার ভেবে দেখতে পারি না? স্বামীর সাথে মানিয়ে চলবার সামান্য সমস্যা হলেই তাকে ডিভোর্স দেওয়ার আগে, আর একবার ভেবে দেখতে পারি না? জীবনটা তো একটু, তাই না বলুন? হাতে সময় খুব কম, একটু মিলেমিশে থাকতে পারি না সবাই? পারি না পৃথিবীটাকে একটু সুন্দর করে গুছিয়ে তুলতে?
লেখাটা লিখতে লিখতে লোমহর্ষক অনুভূতি হচ্ছে। যদি এই লেখার মর্ম কেউ বুঝতে পারেন, জানাবেন, ভালো লাগবে। আপনার এই পোস্টটির ব্যাপারে সচেতন আলোচনা হয়তো কিছু মানুষকে জীবন সম্পর্কে সচেতনতা দিতে পারে, রাজনৈতিক হিংসা খুনোখুনি কিছুটা হলেও বন্ধ করতে পারে, হয়তো কিছু বিয়ে ভেঙে যাওয়া আটকাতে পারে, চিকিৎসার উন্নতি কিছু হলেও ঘটাতে পারে।
জীবনের মূল্য তো সবার বোঝা উচিৎ। তাই নয় কি?
***************************************
ফেসবুকে প্রথম প্রকাশ - 12 August 2018
ছবির প্রাপ্তিস্বীকার: Firstpost, মণিকর্ণিকা ঘাট, বারাণসী।
#রচনা#বাংলা রচনা#Article#Essay#Bengali Article#Bengali Essay#Moulinath#Moulinath Sharma#মৌলীনাথ#মৌলীনাথ শর্মা
1 note
·
View note
Text
DAY 1028 - Post 54
Tuesday, October 23, 2018 । মঙ্গলবার , ৫ই অগ্রহায়ণ , ১৪২৫
দণ্ড প্রাপ্ত আসামী
তোমার কান্নাগুলো রত্নখচিত আমার কান্না তো উনুনের ছাই ।। তোমার অশ্রুধারায় হিরে-মুক্তো-মাণিক্য ঝরে আমার ধারায় নোনতা স্বাদ ছাড়া কিছু নাই ।।
দণ্ড প্রাপ্ত আসামী আমি মুক্তির অভিপ্রায় তোমার ইচ্ছামত হাঁটি-চলি , খুঁজতে দৌড়াই ।। তোমাকে কাছে চেয়ে জীবন গেছে রসাতলে তবু প্রতিনিয়ত, অতীত সুখস্মৃতি হাতড়াই ।।
আমার আবদার তোমার কাছে বিরক্তিকর আমি যে বেদনায়-চোখের জলে সাঁতরাই ।। কতোদিন দেখিনি তোমায় একথা ভাবলে বেদনাহত আমি ছটফট করি, কাতরাই ।।
3 notes
·
View notes
Text
DAY 1048 - Post 58
Monday, November 12, 2018 । মঙ্গলবার, ২৬শে কার্তিক, ১৪২৫
পাগলের জগৎ
সিলিং এর সাদা বিদঘুটে রং আমার আকাশ, ঘূর্ণায়মান পাখার উত্তপ্ত হাওয়া আমার পৃথিবীতে উত্তাল কালবৈশাখী, চার দেয়ালের মাঝে আমার এই ছোট্ট পৃথিবী ।
এক কোণে ক্ষুদ্র জানালা তার ওপরে বিবর্ণ পর্দা আমার ক্যানভাস, বইয়ের তাকের সাজানো এক একটা বই যেন আমার ছোট বেলার হারানো সই ।
এই যে আমার গল্প লেখার খাতা, নির্ঘুম রাতে আমার সাথে তারই জেগে থাকা, একাকীত্বকে চাই ভুলতে তাইতো এই লেখা ।
হারানো দিন ফিরিয়ে দিতে হবে না, চাইবো না কোন উপহার; এই সব কেবল মস্তিষ্কবিকৃত যুবকের শব্দের সমাহার ।।
#bengali poems#bangla poems#bangla kobita#bengali poem#বাংলা কবিতা#poem#bangla poem#moulinath sharma
2 notes
·
View notes
Text
DAY 1027 - Post 53
Monday, October 22, 2018 । সোমবার , ৪ঠা অগ্রহায়ণ , ১৪২৫
ধার চাওয়া ভালোবাসা
প্রচণ্ড শীতে জমে যা���য়া স্থবির ঠোঁটে তোমার একটা চুমু ধার চেয়েছিলাম । এরপর বসন্ত গিয়ে গ্রীষ্মের খরা এসে গেলো কোনও এক শুভক্ষণে তুমি ধার দেবে বলে আমি এখনো সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে ।
একবার তুমি চুমু দিলেই বুঝতে কেমন করে আমি অ, আ, এ, ঐ -- সহ সমস্ত স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ ও শব্দে শব্দে ভরে দিতাম তোমার তৃষ্ণার্ত ওষ্ঠদ্বয়... মুহূর্তে তুমি শিখে যেতে আজন্ম না শেখা যত বাক্যমালা ।
একবার চুমু ধার দিলেই জানতে পারতে আমি কেমন ঋণ শোধ করতে পারি ! একবার চুমু দিলেই দেখতে পেতে আমি কেমন করে সংসার ভাঙতে ভাঙতে গড়তে পারি ।
1 note
·
View note
Text
DAY 1025 - Post 51
Saturday, October 20, 2018 । শনিবার , ২রা অগ্রহায়ণ , ১৪২৫
শরীর খুব ক্লান্ত আজ , হতাশা , বিষণ্ণতা এবং ক্লান্তি আমাকে গ্রাস করছে ধীরে ধীরে। প্রতীক্ষার প্রহরগুলি বড়ই লম্বা , যেন কাটতেই চায় না । এতদিন বা বলা ভালো এতো মাস কাটিয়ে এসেও মনে হচ্ছে আর পারবো তো আরো আট-আটটি মাস অপেক্ষা করতে ? জানি না কি হবে...পারবো কিনা। পাগল হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছি - কাজে মন বসে না আর। শীঘ্রই মনোস্তত্ববিদের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। দেখা যাক কি হয়। আজ আর কিছু লিখতে পারবো কিনা জানি না। না পারলে ক্ষমা করবেন। কাল আবার চেষ্টা করবো।
শুভরাত্রি।
1 note
·
View note
Text
DAY 1019 - Post 45
Sunday, October 14, 2018 । রবিবার , ২৭শে আশ্বিন , ১৪২৫ --- শুক্লপঞ্চমী - দুর্গাপূজা
আমি ভালো আছি
অনেকেই আমাকে মাঝে মাঝেই জিজ্ঞাসা করেন সবসময় আমি এতো ভালো কিভাবে থাকি ? শুনে আমি আরেকটা হাসি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করি --- আমি ভালো আছি , অনেক ভালো ...!
অনেক সময় কষ্টের পাহাড় মাথায় রেখেও দাঁতে দাঁত চেপে বলতে হয় ভালো আছি ! বুক ফাটা কান্না চেপে টলমল করা চোখ জোড়া নিয়ে বলতে হয় , চোখে কিছু একটা পড়েছে হয়তো......!! এক পা এক পা করে এগিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো স্বপ্নচূড়ায় এসে বাতাসে মিলিয়ে যেতে দেখেও বলতে হয় আমি স্বপ্ন দেখি...বেঁচে থাকার স্বপ্ন....সুখে থাকার স্বপ্ন.....!!
কেউ জানে না মন খারাপের সাথেই আমার সখ্য , ওদের নিয়েই আমার নিত্যদিনের সংসার । মন খারাপগুলো প্রায়ই আমার উপর চড়ে বসে , আমাকে নিয়ে ঝাঁকাতে থাকে , আর আমি ওদের সাথে লড়তে থাকি প্রাণপণে । আমাকে হারলে চলবে না , আমাকে জিততেই হবে । মাঝে মাঝে আর শক্তি পাইনা , তখন অসহায় আত্মসমর্পণ । যা ইচ্ছা করুক আমাকে নিয়ে , যা ইচ্ছা হোক , আমার কিছুই যায় আসে না ।
অনেক সময়েই মন খুব , খুব খারাপ হয়ে যায় । তখন না পারি কাজে মন বসাতে , না পারি একা একা একটু শান্তিমতো থাকতে । মনে হয় দুনিয়ার সব ঝামেলা যেন শুধু আমাকেই চেনে । একটা থেকে বেরোলে আরেকটা , এমন সব ঝামেলা যেখানে আমার কিচ্ছু করার নেই ।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমার একটা আত্মজীবনী ল��খলে সিনেমা তৈরির ভালো রসদ পাওয়া যেত । কিন্তু সিনেমায় সব কিছুর একটা শেষ থাকে । আমার জীবনে সমস্যার শেষ কবে হবে জানা নেই । হয়তো মৃত্যুতেই সেই গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটবে ।
অনেক সময় মনে হয় এভাবে বেঁচে থাকার কোনো মানে হয় না, কোনও মানে হয় না নিজের সাথে আপোষ করার । আমি তো আসলে আমাকেই ঠকাচ্ছি , নিজেকেই নিজের কাছে ছোট করছি । যাক , ছোট হতে হতে একেবারে মিশে যাব সেটাও ভালো ।
আমি আসলেই কিচ্ছু না --- শুধু অভিনয় করে যাই ভালো থাকার... আমি ভালো আছি...আমি ভালো আছি...আমি ভালো আছি...!
আছি আমি অনেক ভালো , অনেক সুখে আছি , জমাট বাঁধা দুঃখ চেপে , সুখের হাসা হাসি.... দেখবে না কেউ কান্নাগুলো , জানবেনা কেউ কিছু , বাঁচছি আমি...হাঁটছি শুধু সুখের পিছু পিছু... যদিও সবই মরীচিকা জানি , জানি সবই মিছে , চলতে হবেই , স্বপ্নগুলো পায়ের তলায় পিষে । এইতো আমার চলছে জীবন, সকাল দুপুর রাত্রী… সুখের ট্রেনে -- শুচ্ছি আমি , এক স্বপ্নযাত্রী...
1 note
·
View note
Text
DAY 994 - Post 34
Wednesday, September 19, 2018 | বুধবার, ২রা আশ্বিন , ১৪২৫
বদলায় না , কিছুই বদলায় না ।
আমার অবহেলা, অপেক্ষা আমার চিৎকার , কান্না তোমার জন্যে আমার অস্থিরতা বদলায় না , কিছুই বদলায় না । মনে আছে , তুমি বলেছিলে " আলো জ্বেলে দাও, অন্ধকার পছন্দ নয় " অলস এই আমিই জীবনযুদ্ধে পা রেখে তোমার জন্য জ্বালিয়ে ছিলাম সহস্র জোনাকি । সেই জোনাকি , সেই দিনের সে আলো ! বদলায় না , কিছুই বদলায় না । মনে আছে , সকালবেলা আমার ঘুমকাতুরে মুখে বুলিয়ে যাওয়া ভেজা চুলের সুবাস পরিপাটি করে গুছিয়ে দেওয়া রুমাল আর রাজকন্যার মাথার মুকুট । বদলায় না , কিছুই বদলায় না । মুঠো ফোনে , সেভ করা নম্বর উপরে তাকিয়ে থাকা আকাশ আকাশে বৃষ্টি , বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে মিষ্টি মেয়ের দেখা - কথা বলা ; কিছু কি বদলেছে ? বদলায় না, কিছুই বদলায় না । না বাড়িটা, না বাড়িতে আসার রাস্তাটা । না ভালোবাসা , না আমি । কেমন আছ তুমি ? এই নাও আমার হৃদয় নামে অবশিষ্ট পোড়া কিছু ছাই তোমার পায়ের কাছে রাখলাম যাবার সময় মাড়িয়ে যেও। জেনো , আমি না , খোলা দরজার ওপাশে পায়ের নিচের মাটিই বদলে গেছে তোমার !
1 note
·
View note
Text
DAY 10105 - Post 12
Saturday / Sunday, March 23 / 24, 2019 । শনিবার / রবিবার, ৮ই / ৯ই চৈত্র, ১৪২৫
I have Made it through another day. Don't even feel the pain, it's fading. I've been cleaning out my brain. I quit you like cocaine, life’s changing.
No you're never gonna see me cry, I already got a brand new life. Don't you know I'm moving on? Everyday I'm stronger I don't even know you're gone.
But I start to panic when the sun goes down I stay this jacked until the lights go out... I don't want to go back home Don't want to be alone right now...
I am Only lonely for you at night Only lonely for you and the sun doesn't shine; And I try to forget why... Why you're not here by my side? Only lonely for you at night.
অনেকদিন কিছু লেখা হয়ে ওঠে নি। সময় পাই নি তাও ঠিক নয়, আসলে লেখা নিয়ে বসা হয়ে উঠছিলো না। দিন আজকাল গতানুগতিক হয়ে গেছে। ঘটনাবলী এগোচ্ছে সময়ের সাথে সাথেই। আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
সারা দেশ এখন সরগরম। ভোটের গরম হাওয়া চারদিকে। উপেক্ষা করে চলার উপায় নেই একজন ভোটার হিসাবে।
গরমটা কিন্তু এমনিতেও অনেক বাড়ার ��ূর্বাভাস আছে এই বছর। সুতরাং সবাই সাবধানে থাকবেন।
0 notes