#SpiritualBath
Explore tagged Tumblr posts
karmazain · 2 years ago
Photo
Tumblr media
Some of the most effective rootwork you can work is deceptively simple (and generally doesn't produce drool-worthy photos for your IG posts that anybody is gonna aim a sexy hashtag at). But some of y'all keep asking for spells and getting upset when I tell you to set a light or take a bath. Y'all wanting some shit to chant and something witchy-looking i guess. Thing is, most of this can really be boiled down to a couple of simple principles that apply in a majority of situations: Wash your house. Wash your ass. Pray. The most powerful hoodoo back in the day was performed by folks who spent more time scrubbing their floors than they did curating a crystal collection or worrying about whether the moon was void of course. Thank you for coming to my TED talk. #rootworkersofinstagram #rootwork #seraphinstation #haphazardstation #vanvan #floorwash #hoodoo #spiritualcleansing #spiritualbath #swampconjure #witchy https://www.instagram.com/p/CnQU1Agrey-/?igshid=NGJjMDIxMWI=
168 notes · View notes
sappy-witch · 2 years ago
Text
Mindful Bath Rituals 💆‍♀️ ✨
Hello darlings 🥰
Taking a soothing bath is not only a way to cleanse your body but also an opportunity to nourish your mind, uplift your spirit, and promote overall well-being. Here is how you can create a sacred and enchanting bath experience:
🛁 Prepare your sacred space by clearing any clutter and setting up a calm and peaceful atmosphere in your bathroom. Dim the lights, light some candles, and play soft, soothing music to create a tranquil ambiance.
🌿 Infuse your bathwater with the magic of nature. Add dried herbs like lavender, rosemary, or chamomile to a muslin bag and immerse it in the warm water. These herbs have calming properties and can promote relaxation and stress relief.
🔮 Enhance the energy of your bath with the power of crystals. Place a few crystals known for their soothing and healing energies around the edge of your bathtub. Amethyst, rose quartz, and clear quartz are excellent choices for promoting peace, self-love, and clarity.
📖 Set intentions for your bath ritual. Before stepping into the water, take a moment to connect with your inner self and state your intentions for this sacred self-care time. You can affirm words of self-love, healing, or gratitude, allowing the water to carry your intentions throughout your body.
🌹 Incorporate essential oils into your bath for a sensory experience. Choose oils like lavender, ylang-ylang, or bergamot, known for their relaxing and uplifting properties. Add a few drops to your bathwater or use a diffuser to fill the air with their delightful aroma.
🕯️ Engage in mindful reflection while you soak in the bath. Allow yourself to be fully present in the moment, focusing on the sensations, scents, and sounds surrounding you. Use this time to release any tension or worries and embrace a sense of peace and serenity.
💫 When you're ready to leave the bath, take a moment to express gratitude for this rejuvenating experience. Embrace the feeling of renewal and carry it with you as you step out into the world, ready to embrace the magic that lies ahead.
Tumblr media
____
🌞 If you enjoy my posts, please consider donating to my energies 🌞
✨🔮 Request a Tarot Reading Here 🔮✨
____
With love, from a Sappy Witch 🔮💕 
Blessed be. 🕊✨
59 notes · View notes
quransunnahdawah · 3 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
youtube
youtube
অজুর অঙ্গ ও ফরজ গোসলের সময় পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক, অন্যথায় পবিত্রতা অর্জিত হবে না। অজুর কোনো অঙ্গ সামান্যও শুকনা থেকে গেলে তার জন্য হাদিসে জাহান্নামের শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন।
এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু  করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনো মতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)।
আমরা অনেক সময় তাড়াহুড়া করে অজু করার কারণে পায়ের গোড়ালি শুকনা থেকে যায়, বিশেষ করে শীতকালে এ ধরনের কাজ বেশি হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত অজু করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা, যাতে কোনো অঙ্গ শুকনা না থেকে যায়। পবিত্রতা অর্জনে এমন উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ ফরজ গোসল ও অজুর সময় কোনো অঙ্গের সামান্য থেকে সামান্য পরিমাণ শুকনা থেকে গেলে পবিত্র অর্জিত হবে না।
এ বিষয়ে আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে তাহলে দেখতে হবে, যদি ওই তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাধা ও আবরণবিশিষ্ট হয় তাহলে পবিত্রতা অর্জনের আগে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাধা অবস্থায় থেকে যায় তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না। কিন্তু যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এ অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত ফিরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাধারণত তৈলাক্ত বস্তু থেকে পানি আলাদা থাকে। সুতরাং হতে পারে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে পুরো অঙ্গে পানি পৌঁছবে না।’ (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা-১৭৪)।
যেসব জিনিস অজু-গোসলের সময় শরীরে পানি পৌঁছতে বাধা দেয় না, সেগুলো হলো- শরীরে সরিষা, তিল, কালিজিরা ইত্যাদির তেল, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, ক্রিম, লিকুইড ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন ইত্যাদি। কারণ এগুলো দ্বারা চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে না বা আবরণ তৈরি হয় না। তবে এ অবস্থায় অজু বা গোসলের সময় যথাসম্ভব হাত দিয়ে অজুর স্থানগুলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে ঘষে দেওয়া উচিত, যেন যথাস্থানে পানি পৌঁছতে সন্দেহ না থাকে। যেমন ঠাণ্ডার সময় অজু বা গোসল করলে অজুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ভালোভাবে ঘষে নিতে হয়।
অনুরূপ নারীদের মেহেদির রং, সাধারণ পাউডার, চোখের সুরমা, আতর-সেন্ট ইত্যাদি চামড়ায় পানি পৌঁছতে কোনো বাধা দেয় না। তবে বর্তমানে বাজারে কিছু কেমিক্যালযুক্ত কৃত্রিম টিউব মেহেদি পাওয়া যায়, যেগুলো চামড়ায় পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে। তা ছাড়া নেইল পলিশ, কিছু লিপস্টিক ব্যবহার করলেও চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে যায়। যার কারণে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে অজু-গোসলের আগে এগুলোকে ভালোভাবে তুলে নিতে হবে। দেয়ালে লাগানোর রং, মবিল, আঠাজাতীয় বস্তু ইত্যাদি শরীরে লাগলে তা জমাটবদ্ধ হয়ে আবরণ সৃষ্টি করে। সুতরাং অজু-গোসলের আগে এগুলো তুলে ফেলতে হবে। যেসব ক্রিম, চর্বিজাতীয় ও তৈলাক্ত বস্তু শরীরে লাগানোর ফলে চামড়ার ওপর প্রলেপ বা আবরণ পড়ে সেগুলো ব্যবহার করলে অবশ্যই অজু-গোসলের সময় সেই আবরণ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অযু করার নিয়ম জেনে নিন
ওযুর চার ফরয :
১. সমস্ত মুখম��্ডল কপালের উপরিভাগের চুলের গোড়া হইতে থুতনী পর্যন্ত, এক কর্নের লতি থেকে অন্য কর্নের লতি পর্যন্ত ধৌত করা।
২.উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করা।
৩.চারভাগের একভাগ মাথা মাসেহ করা ( ঘন দাঁড়ি থাকিলে আঙ্গুলী দ্বারা খেলাল করা ফরয )।
৪.উভয় পা টাখনু গিরা সহকারে ধৌত করা ।
ওযুর ১৪টি সুন্নাত
১.নিয়ত করা।২.বিসমিল্লাহ্‌ বলে ওযু শুরু করা।।৩.হাতের আঙ্গুল খিলাল করা।।৪.উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা।।৫.মিসওয়াক করা।।৬.তিনবার কুলি করা।।৭.তিনবার নাকে পানি দেয়া।।৮.সম্পূর্ন মুখ মন্ডল তিনবার ধৌত করা।।৯.উভয় হাতের কনুইসহ তিনবার ধৌত করা।।১০.সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।।১১.টাখনু সহ উভয় পা তিবার ধৌত করা।।১২.পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা।।১৩.এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।।১৪.ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর কাজ গুলো সম্পূর্ন করা।
অজু করার নিয়ম
বিসমিল্লাহ্‌ বলে শুরু করা।
দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
কুলি করা।
পানি দিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করা।
সমস্ত মাথা মসেহ্‌ এবং কানের সংলগ্ন স্থান মসেহ্‌ করা।
হাত ও পায়ের আংগুলের মধ্যে ফাকা স্থান হাতের আংগুল দিয়ে ধোয়া।
দাঁত পরিষ্কার করা। ...
অযুর কাজগুলো তিনবার করে করা।
‘আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌নু আম্‌র (রাঃ) তিনি বলেন, কোন এক সফরে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পিছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের নিকট পৌঁছলেন, এদিকে আমরা (আসরের) সালাত আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম এবং আমরা উযূ করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তিনি উচ্চৈঃস্বরে বললেনঃ পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুকনো থাকার) জন্য জাহান্নামের ‘আযাব রয়েছে। তিনি দু’বার বা তিনবার এ কথা বললেন।
(৯৬, ১৬৩; মুসলিম ২/৯ হাঃ ২৪১, আহমাদ ৬৮২৩) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
youtube
youtube
youtube
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
Special precautions during ablution and ghusl in winter
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 3 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
youtube
youtube
অজুর অঙ্গ ও ফরজ গোসলের সময় পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক, অন্যথায় পবিত্রতা অর্জিত হবে না। অজুর কোনো অঙ্গ সামান্যও শুকনা থেকে গেলে তার জন্য হাদিসে জাহান্নামের শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন।
এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু  করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনো মতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)।
আমরা অনেক সময় তাড়াহুড়া করে অজু করার কারণে পায়ের গোড়ালি শুকনা থেকে যায়, বিশেষ করে শীতকালে এ ধরনের কাজ বেশি হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত অজু করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা, যাতে কোনো অঙ্গ শুকনা না থেকে যায়। পবিত্রতা অর্জনে এমন উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ ফরজ গোসল ও অজুর সময় কোনো অঙ্গের সামান্য থেকে সামান্য পরিমাণ শুকনা থেকে গেলে পবিত্র অর্জিত হবে না।
এ বিষয়ে আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে তাহলে দেখতে হবে, যদি ওই তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাধা ও আবরণবিশিষ্ট হয় তাহলে পবিত্রতা অর্জনের আগে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাধা অবস্থায় থেকে যায় তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না। কিন্তু যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এ অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত ফিরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাধারণত তৈলাক্ত বস্তু থেকে পানি আলাদা থাকে। সুতরাং হতে পারে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে পুরো অঙ্গে পানি পৌঁছবে না।’ (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা-১৭৪)।
যেসব জিনিস অজু-গোসলের সময় শরীরে পানি পৌঁছতে বাধা দেয় না, সেগুলো হলো- শরীরে সরিষা, তিল, কালিজিরা ইত্যাদির তেল, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, ক্রিম, লিকুইড ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন ইত্যাদি। কারণ এগুলো দ্বারা চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে না বা আবরণ তৈরি হয় না। তবে এ অবস্থায় অজু বা গোসলের সময় যথাসম্ভব হাত দিয়ে অজুর স্থানগুলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে ঘষে দেওয়া উচিত, যেন যথাস্থানে পানি পৌঁছতে সন্দেহ না থাকে। যেমন ঠাণ্ডার সময় অজু বা গোসল করলে অজুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ভালোভাবে ঘষে নিতে হয়।
অনুরূপ নারীদের মেহেদির রং, সাধারণ পাউডার, চোখের সুরমা, আতর-সেন্ট ইত্যাদি চামড়ায় পানি পৌঁছতে কোনো বাধা দেয় না। তবে বর্তমানে বাজারে কিছু কেমিক্যালযুক্ত কৃত্রিম টিউব মেহেদি পাওয়া যায়, যেগুলো চামড়ায় পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে। তা ছাড়া নেইল পলিশ, কিছু লিপস্টিক ব্যবহার করলেও চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে যায়। যার কারণে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে অজু-গোসলের আগে এগুলোকে ভালোভাবে তুলে নিতে হবে। দেয়ালে লাগানোর রং, মবিল, আঠাজাতীয় বস্তু ইত্যাদি শরীরে লাগলে তা জমাটবদ্ধ হয়ে আবরণ সৃষ্টি করে। সুতরাং অজু-গোসলের আগে এগুলো তুলে ফেলতে হবে। যেসব ক্রিম, চর্বিজাতীয় ও তৈলাক্ত বস্তু শরীরে লাগানোর ফলে চামড়ার ওপর প্রলেপ বা আবরণ পড়ে সেগুলো ব্যবহার করলে অবশ্যই অজু-গোসলের সময় সেই আবরণ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অযু করার নিয়ম জেনে নিন
ওযুর চার ফরয :
১. সমস্ত মুখমন্ডল কপালের উপরিভাগের চুলের গোড়া হইতে থুতনী পর্যন্ত, এক কর্নের লতি থেকে অন্য কর্নের লতি ��র্যন্ত ধৌত করা।
২.উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করা।
৩.চারভাগের একভাগ মাথা মাসেহ করা ( ঘন দাঁড়ি থাকিলে আঙ্গুলী দ্বারা খেলাল করা ফরয )।
৪.উভয় পা টাখনু গিরা সহকারে ধৌত করা ।
ওযুর ১৪টি সুন্নাত
১.নিয়ত করা।২.বিসমিল্লাহ্‌ বলে ওযু শুরু করা।।৩.হাতের আঙ্গুল খিলাল করা।।৪.উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা।।৫.মিসওয়াক করা।।৬.তিনবার কুলি করা।।৭.তিনবার নাকে পানি দেয়া।।৮.সম্পূর্ন মুখ মন্ডল তিনবার ধৌত করা।।৯.উভয় হাতের কনুইসহ তিনবার ধৌত করা।।১০.সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।।১১.টাখনু সহ উভয় পা তিবার ধৌত করা।।১২.পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা।।১৩.এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।।১৪.ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর কাজ গুলো সম্পূর্ন করা।
অজু করার নিয়ম
বিসমিল্লাহ্‌ বলে শুরু করা।
দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
কুলি করা।
পানি দিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করা।
সমস্ত মাথা মসেহ্‌ এবং কানের সংলগ্ন স্থান মসেহ্‌ করা।
হাত ও পায়ের আংগুলের মধ্যে ফাকা স্থান হাতের আংগুল দিয়ে ধোয়া।
দাঁত পরিষ্কার করা। ...
অযুর কাজগুলো তিনবার করে করা।
‘আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌নু আম্‌র (রাঃ) তিনি বলেন, কোন এক সফরে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পিছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের নিকট পৌঁছলেন, এদিকে আমরা (আসরের) সালাত আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম এবং আমরা উযূ করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তিনি উচ্চৈঃস্বরে বললেনঃ পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুকনো থাকার) জন্য জাহান্নামের ‘আযাব রয়েছে। তিনি দু’বার বা তিনবার এ কথা বললেন।
(৯৬, ১৬৩; মুসলিম ২/৯ হাঃ ২৪১, আহমাদ ৬৮২৩) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
youtube
youtube
youtube
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
Special precautions during ablution and ghusl in winter
0 notes
ilyforallahswt · 3 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
youtube
youtube
অজুর অঙ্গ ও ফরজ গোসলের সময় পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক, অন্যথায় পবিত্রতা অর্জিত হবে না। অজুর কোনো অঙ্গ সামান্যও শুকনা থেকে গেলে তার জন্য হাদিসে জাহান্নামের শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন।
এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু  করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনো মতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)।
আমরা অনেক সময় তাড়াহুড়া করে অজু করার কারণে পায়ের গোড়ালি শুকনা থেকে যায়, বিশেষ করে শীতকালে এ ধরনের কাজ বেশি হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত অজু করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা, যাতে কোনো অঙ্গ শুকনা না থেকে যায়। পবিত্রতা অর্জনে এমন উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ ফরজ গোসল ও অজুর সময় কোনো অঙ্গের সামান্য থেকে সামান্য পরিমাণ শুকনা থেকে গেলে পবিত্র অর্জিত হবে না।
এ বিষয়ে আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে তাহলে দেখতে হবে, যদি ওই তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাধা ও আবরণবিশিষ্ট হয় তাহলে পবিত্রতা অর্জনের আগে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাধা অবস্থায় থেকে যায় তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না। কিন্তু যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এ অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত ফিরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাধারণত তৈলাক্ত বস্তু থেকে পানি আলাদা থাকে। সুতরাং হতে পারে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে পুরো অঙ্গে পানি পৌঁছবে না।’ (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা-১৭৪)।
যেসব জিনিস অজু-গোসলের সময় শরীরে পানি পৌঁছতে বাধা দেয় না, সেগুলো হলো- শরীরে সরিষা, তিল, কালিজিরা ইত্যাদির তেল, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, ক্রিম, লিকুইড ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন ইত্যাদি। কারণ এগুলো দ্বারা চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে না বা আবরণ তৈরি হয় না। তবে এ অবস্থায় অজু বা গোসলের সময় যথাসম্ভব হাত দিয়ে অজুর স্থানগুলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে ঘষে দেওয়া উচিত, যেন যথাস্থানে পানি পৌঁছতে সন্দেহ না থাকে। যেমন ঠাণ্ডার সময় অজু বা গোসল করলে অজুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ভালোভাবে ঘষে নিতে হয়।
অনুরূপ নারীদের মেহেদির রং, সাধারণ পাউডার, চোখের সুরমা, আতর-সেন্ট ইত্যাদি চামড়ায় পানি পৌঁছতে কোনো বাধা দেয় না। তবে বর্তমানে বাজারে কিছু কেমিক্যালযুক্ত কৃত্রিম টিউব মেহেদি পাওয়া যায়, যেগুলো চামড়ায় পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে। তা ছাড়া নেইল পলিশ, কিছু লিপস্টিক ব্যবহার করলেও চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে যায়। যার কারণে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে অজু-গোসলের আগে এগুলোকে ভালোভাবে তুলে নিতে হবে। দেয়ালে লাগানোর রং, মবিল, আঠাজাতীয় বস্তু ইত্যাদি শরীরে লাগলে তা জমাটবদ্ধ হয়ে আবরণ সৃষ্টি করে। সুতরাং অজু-গোসলের আগে এগুলো তুলে ফেলতে হবে। যেসব ক্রিম, চর্বিজাতীয় ও তৈলাক্ত বস্তু শরীরে লাগানোর ফলে চামড়ার ওপর প্রলেপ বা আবরণ পড়ে সেগুলো ব্যবহার করলে অবশ্যই অজু-গোসলের সময় সেই আবরণ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অযু করার নিয়ম জেনে নিন
ওযুর চার ফরয :
১. সমস্ত মুখমন্ডল কপালের উপরিভাগের চুলের গোড়া হইতে থুতনী পর্যন্ত, এক কর্নের লতি থেকে অন্য কর্নের লতি পর্যন্ত ধৌত করা।
২.উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করা।
৩.চারভাগের একভাগ মাথা মাসেহ করা ( ঘন দাঁড়ি থাকিলে আঙ্গুলী দ্বারা খেলাল করা ফরয )।
৪.উভয় পা টাখনু গিরা সহকারে ধৌত করা ।
ওযুর ১৪টি সুন্নাত
১.নিয়ত করা।২.বিসমিল্লাহ্‌ বলে ওযু শুরু করা।।৩.হাতের আঙ্গুল খিলাল করা।।৪.উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা।।৫.মিসওয়াক করা।।৬.তিনবার কুলি করা।।৭.তিনবার নাকে পানি দেয়া।।৮.সম্পূর্ন মুখ মন্ডল তিনবার ধৌত করা।।৯.উভয় হাতের কনুইসহ তিনবার ধৌত করা।।১০.সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।।১১.টাখনু সহ উভয় পা তিবার ধৌত করা।।১২.পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা।।১৩.এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।।১৪.ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর কাজ গুলো সম্পূর্ন করা।
অজু করার নিয়ম
বিসমিল্লাহ্‌ বলে শুরু করা।
দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
কুলি করা।
পানি দিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করা।
সমস্ত মাথা মসেহ্‌ এবং কানের সংলগ্ন স্থান মসেহ্‌ করা।
হাত ও পায়ের আংগুলের মধ্যে ফাকা স্থান হাতের আংগুল দিয়ে ধোয়া।
দাঁত পরিষ্কার করা। ...
অযুর কাজগুলো তিনবার করে করা।
‘আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌নু আম্‌র (রাঃ) তিনি বলেন, কোন এক সফরে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পিছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের নিকট পৌঁছলেন, এদিকে আমরা (আসরের) সালাত আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম এবং আমরা উযূ করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তিনি উচ্চৈঃস্বরে বললেনঃ পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুকনো থাকার) জন্য জাহান্নামের ‘আযাব রয়েছে। তিনি দু’বার বা তিনবার এ কথা বললেন।
(৯৬, ১৬৩; মুসলিম ২/৯ হাঃ ২৪১, আহমাদ ৬৮২৩) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
youtube
youtube
youtube
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
Special precautions during ablution and ghusl in winter
0 notes
myreligionislam · 3 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
youtube
youtube
অজুর অঙ্গ ও ফরজ গোসলের সময় পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক, অন্যথায় পবিত্রতা অর্জিত হবে না। অজুর কোনো অঙ্গ সামান্যও শুকনা থেকে গেলে তার জন্য হাদিসে জাহান্নামের শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন।
এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু  করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনো মতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)।
আমরা অনেক সময় তাড়াহুড়া করে অজু করার কারণে পায়ের গোড়ালি শুকনা থেকে যায়, বিশেষ করে শীতকালে এ ধরনের কাজ বেশি হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত অজু করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা, যাতে কোনো অঙ্গ শুকনা না থেকে যায়। পবিত্রতা অর্জনে এমন উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ ফরজ গোসল ও অজুর সময় কোনো অঙ্গের সামান্য থেকে সামান্য পরিমাণ শুকনা থেকে গেলে পবিত্র অর্জিত হবে না।
এ বিষয়ে আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে তাহলে দেখতে হবে, যদি ওই তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাধা ও আবরণবিশিষ্ট হয় তাহলে পবিত্রতা অর্জনের আগে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাধা অবস্থায় থেকে যায় তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না। কিন্তু যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এ অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত ফিরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাধারণত তৈলাক্ত বস্তু থেকে পানি আলাদা থাকে। সুতরাং হতে পারে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে পুরো অঙ্গে পানি পৌঁছবে না।’ (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা-১৭৪)।
যেসব জিনিস অজু-গোসলের সময় শরীরে পানি পৌঁছতে বাধা দেয় না, সেগুলো হলো- শরীরে সরিষা, তিল, কালিজিরা ইত্যাদির তেল, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, ক্রিম, লিকুইড ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন ইত্যাদি। কারণ এগুলো দ্বারা চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে না বা আবরণ তৈরি হয় না। তবে এ অবস্থায় অজু বা গোসলের সময় যথাসম্ভব হাত দিয়ে অজুর স্থানগুলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে ঘষে দেওয়া উচিত, যেন যথাস্থানে পানি পৌঁছতে সন্দেহ না থাকে। যেমন ঠাণ্ডার সময় অজু বা গোসল করলে অজুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ভালোভাবে ঘষে নিতে হয়।
অনুরূপ নারীদের মেহেদির রং, সাধারণ পাউডার, চোখের সুরমা, আতর-সেন্ট ইত্যাদি চামড়ায় পানি পৌঁছতে কোনো বাধা দেয় না। তবে বর্তমানে বাজারে কিছু কেমিক্যালযুক্ত কৃত্রিম টিউব মেহেদি পাওয়া যায়, যেগুলো চামড়ায় পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে। তা ছাড়া নেইল পলিশ, কিছু লিপস্টিক ব্যবহার করলেও চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে যায়। যার কারণে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে অজু-গোসলের আগে এগুলোকে ভালোভাবে তুলে নিতে হবে। দেয়ালে লাগানোর রং, মবিল, আঠাজাতীয় বস্তু ইত্যাদি শরীরে লাগলে তা জমাটবদ্ধ হয়ে আবরণ সৃষ্টি করে। সুতরাং অজু-গোসলের আগে এগুলো তুলে ফেলতে হবে। যেসব ক্রিম, চর্বিজাতীয় ও তৈলাক্ত বস্তু শরীরে লাগানোর ফলে চামড়ার ওপর প্রলেপ বা আবরণ পড়ে সেগুলো ব্যবহার করলে অবশ্যই অজু-গোসলের সময় সেই আবরণ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অযু করার নিয়ম জেনে নিন
ওযুর চার ফরয :
১. সমস্ত মুখমন্ডল কপালের উপরিভাগের চুলের গোড়া হইতে থুতনী পর্যন্ত, এক কর্নের লতি থেকে অন্য কর্নের লতি পর্যন্ত ধৌত করা।
২.উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করা।
৩.চারভাগের একভাগ মাথা মাসেহ করা ( ঘন দাঁড়ি থাকিলে আঙ্গুলী দ্বারা খেলাল করা ফরয )।
৪.উভয় পা টাখনু গিরা সহকারে ধৌত করা ।
ওযুর ১৪টি সুন্নাত
১.নিয়ত করা।২.বিসমিল্লাহ্‌ বলে ওযু শুরু করা।।৩.হাতের আঙ্গুল খিলাল করা।।৪.উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা।।৫.মিসওয়াক করা।।৬.তিনবার কুলি করা।।৭.তিনবার নাকে পানি দেয়া।।৮.সম্পূর্ন মুখ মন্ডল তিনবার ধৌত করা।।৯.উভয় হাতের কনুইসহ তিনবার ধৌত করা।।১০.সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।।১১.টাখনু সহ উভয় পা তিবার ধৌত করা।।১২.পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা।।১৩.এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।।১৪.ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর কাজ গুলো সম্পূর্ন করা।
অজু করার নিয়ম
বিসমিল্লাহ্‌ বলে শুরু করা।
দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
কুলি করা।
পানি দিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করা।
সমস্ত মাথা মসেহ্‌ এবং কানের সংলগ্ন স্থান মসেহ্‌ করা।
হাত ও পায়ের আংগুলের মধ্যে ফাকা স্থান হাতের আংগুল দিয়ে ধোয়া।
দাঁত পরিষ্কার করা। ...
অযুর কাজগুলো তিনবার করে করা।
‘আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌নু আম্‌র (রাঃ) তিনি বলেন, কোন এক সফরে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পিছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের নিকট পৌঁছলেন, এদিকে আমরা (আসরের) সালাত আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম এবং আমরা উযূ করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তিনি উচ্চৈঃস্বরে বললেনঃ পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুকনো থাকার) জন্য জাহান্নামের ‘আযাব রয়েছে। তিনি দু’বার বা তিনবার এ কথা বললেন।
(৯৬, ১৬৩; মুসলিম ২/৯ হাঃ ২৪১, আহমাদ ৬৮২৩) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
youtube
youtube
youtube
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
Special precautions during ablution and ghusl in winter
0 notes
mylordisallah · 3 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
youtube
youtube
অজুর অঙ্গ ও ফরজ গোসলের সময় পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক, অন্যথায় পবিত্রতা অর্জিত হবে না। অজুর কোনো অঙ্গ সামান্যও শুকনা থেকে গেলে তার জন্য হাদিসে জাহান্নামের শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন।
এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু  করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনো মতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)।
আমরা অনেক সময় তাড়াহুড়া করে অজু করার কারণে পায়ের গোড়ালি শুকনা থেকে যায়, বিশেষ করে শীতকালে এ ধরনের কাজ বেশি হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত অজু করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা, যাতে কোনো অঙ্গ শুকনা না থেকে যায়। পবিত্রতা অর্জনে এমন উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ ফরজ গোসল ও অজুর সময় কোনো অঙ্গের সামান্য থেকে সামান্য পরিমাণ শুকনা থেকে গেলে পবিত্র অর্জিত হবে না।
এ বিষয়ে আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে তাহলে দেখতে হবে, যদি ওই তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাধা ও আবরণবিশিষ্ট হয় তাহলে পবিত্রতা অর্জনের আগে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাধা অবস্থায় থেকে যায় তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না। কিন্তু যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এ অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত ফিরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাধারণত তৈলাক্ত বস্তু থেকে পানি আলাদা থাকে। সুতরাং হতে পারে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে পুরো অঙ্গে পানি পৌঁছবে না।’ (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা-১৭৪)।
যেসব জিনিস অজু-গোসলের সময় শরীরে পানি পৌঁছতে বাধা দেয় না, সেগুলো হলো- শরীরে সরিষা, তিল, কালিজিরা ইত্যাদির তেল, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, ক্রিম, লিকুইড ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন ইত্যাদি। কারণ এগুলো দ্বারা চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে না বা আবরণ তৈরি হয় না। তবে এ অবস্থায় অজু বা গোসলের সময় যথাসম্ভব হাত দিয়ে অজুর স্থানগুলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে ঘষে দেওয়া উচিত, যেন যথাস্থানে পানি পৌঁছতে সন্দেহ না থাকে। যেমন ঠাণ্ডার সময় অজু বা গোসল করলে অজুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ভালোভাবে ঘষে নিতে হয়।
অনুরূপ নারীদের মেহেদির রং, সাধারণ পাউডার, চোখের সুরমা, আতর-সেন্ট ইত্যাদি চামড়ায় পানি পৌঁছতে কোনো বাধা দেয় না। তবে বর্তমানে বাজারে কিছু কেমিক্যালযুক্ত কৃত্রিম টিউব মেহেদি পাওয়া যায়, যেগুলো চামড়ায় পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে। তা ছাড়া নেইল পলিশ, কিছু লিপস্টিক ব্যবহার করলেও চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে যায়। যার কারণে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে অজু-গোসলের আগে এগুলোকে ভালোভাবে তুলে নিতে হবে। দেয়ালে লাগানোর রং, মবিল, আঠাজাতীয় বস্তু ইত্যাদি শরীরে লাগলে তা জমাটবদ্ধ হয়ে আবরণ সৃষ্টি করে। সুতরাং অজু-গোসলের আগে এগুলো তুলে ফেলতে হবে। যেসব ক্রিম, চর্বিজাতীয় ও তৈলাক্ত বস্তু শরীরে লাগানোর ফলে চামড়ার ওপর প্রলেপ বা আবরণ পড়ে সেগুলো ব্যবহার করলে অবশ্যই অজু-গোসলের সময় সেই আবরণ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অযু করার নিয়ম জেনে নিন
ওযুর চার ফরয :
১. সমস্ত মুখমন্ডল কপালের উপরিভাগের চুলের গোড়া হইতে থুতনী পর্যন্ত, এক কর্নের লতি থেকে অন্য কর্নের লতি পর্যন্ত ধৌত করা।
২.উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করা।
৩.চারভাগের একভাগ মাথা মাসেহ করা ( ঘন দাঁড়ি থাকিলে আঙ্গুলী দ্বারা খেলাল করা ফরয )।
৪.উভয় পা টাখনু গিরা সহকারে ধৌত করা ।
ওযুর ১৪টি সুন্নাত
১.নিয়ত করা।২.বিসমিল্লাহ্‌ বলে ওযু শুরু করা।।৩.হাতের আঙ্গুল খিলাল করা।।৪.উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা।।৫.মিসওয়াক করা।।৬.তিনবার কুলি করা।।৭.তিনবার নাকে পানি দেয়া।।৮.সম্পূর্ন মুখ মন্ডল তিনবার ধৌত করা।।৯.উভয় হাতের কনুইসহ তিনবার ধৌত করা।।১০.সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।।১১.টাখনু সহ উভয় পা তিবার ধৌত করা।।১২.পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা।।১৩.এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।।১৪.ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর কাজ গুলো সম্পূর্ন করা।
অজু করার নিয়ম
বিসমিল্লাহ্‌ বলে শুরু করা।
দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
কুলি করা।
পানি দিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করা।
সমস্ত মাথা মসেহ্‌ এবং কানের সংলগ্ন স্থান মসেহ্‌ করা।
হাত ও পায়ের আংগুলের মধ্যে ফাকা স্থান হাতের আংগুল দিয়ে ধোয়া।
দাঁত পরিষ্কার করা। ...
অযুর কাজগুলো তিনবার করে করা।
‘আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌নু আম্‌র (রাঃ) তিনি বলেন, কোন এক সফরে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পিছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের নিকট পৌঁছলেন, এদিকে আমরা (আসরের) সালাত আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম এবং আমরা উযূ করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তিনি উচ্চৈঃস্বরে বললেনঃ পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুকনো থাকার) জন্য জাহান্নামের ‘আযাব রয়েছে। তিনি দু’বার বা তিনবার এ কথা বললেন।
(৯৬, ১৬৩; মুসলিম ২/৯ হাঃ ২৪১, আহমাদ ৬৮২৩) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
youtube
youtube
youtube
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
Special precautions during ablution and ghusl in winter
0 notes
allahisourrabb · 3 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
youtube
youtube
অজুর অঙ্গ ও ফরজ গোসলের সময় পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক, অন্যথায় পবিত্রতা অর্জিত হবে না। অজুর কোনো অঙ্গ সামান্যও শুকনা থেকে গেলে তার জন্য হাদিসে জাহান্নামের শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন।
এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু  করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনো মতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)।
আমরা অনেক সময় তাড়াহুড়া করে অজু করার কারণে পায়ের গোড়ালি শুকনা থেকে যায়, বিশেষ করে শীতকালে এ ধরনের কাজ বেশি হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত অজু করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা, যাতে কোনো অঙ্গ শুকনা না থেকে যায়। পবিত্রতা অর্জনে এমন উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কা��ণ ফরজ গোসল ও অজুর সময় কোনো অঙ্গের সামান্য থেকে সামান্য পরিমাণ শুকনা থেকে গেলে পবিত্র অর্জিত হবে না।
এ বিষয়ে আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে তাহলে দেখতে হবে, যদি ওই তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাধা ও আবরণবিশিষ্ট হয় তাহলে পবিত্রতা অর্জনের আগে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাধা অবস্থায় থেকে যায় তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না। কিন্তু যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এ অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত ফিরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাধারণত তৈলাক্ত বস্তু থেকে পানি আলাদা থাকে। সুতরাং হতে পারে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে পুরো অঙ্গে পানি পৌঁছবে না।’ (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা-১৭৪)।
যেসব জিনিস অজু-গোসলের সময় শরীরে পানি পৌঁছতে বাধা দেয় না, সেগুলো হলো- শরীরে সরিষা, তিল, কালিজিরা ইত্যাদির তেল, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, ক্রিম, লিকুইড ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন ইত্যাদি। কারণ এগুলো দ্বারা চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে না বা আবরণ তৈরি হয় না। তবে এ অবস্থায় অজু বা গোসলের সময় যথাসম্ভব হাত দিয়ে অজুর স্থানগুলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে ঘষে দেওয়া উচিত, যেন যথাস্থানে পানি পৌঁছতে সন্দেহ না থাকে। যেমন ঠাণ্ডার সময় অজু বা গোসল করলে অজুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ভালোভাবে ঘষে নিতে হয়।
অনুরূপ নারীদের মেহেদির রং, সাধারণ পাউডার, চোখের সুরমা, আতর-সেন্ট ইত্যাদি চামড়ায় পানি পৌঁছতে কোনো বাধা দেয় না। তবে বর্তমানে বাজারে কিছু কেমিক্যালযুক্ত কৃত্রিম টিউব মেহেদি পাওয়া যায়, যেগুলো চামড়ায় পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে। তা ছাড়া নেইল পলিশ, কিছু লিপস্টিক ব্যবহার করলেও চামড়ার ওপর প্রলেপ পড়ে যায়। যার কারণে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে অজু-গোসলের আগে এগুলোকে ভালোভাবে তুলে নিতে হবে। দেয়ালে লাগানোর রং, মবিল, আঠাজাতীয় বস্তু ইত্যাদি শরীরে লাগলে তা জমাটবদ্ধ হয়ে আবরণ সৃষ্টি করে। সুতরাং অজু-গোসলের আগে এগুলো তুলে ফেলতে হবে। যেসব ক্রিম, চর্বিজাতীয় ও তৈলাক্ত বস্তু শরীরে লাগানোর ফলে চামড়ার ওপর প্রলেপ বা আবরণ পড়ে সেগুলো ব্যবহার করলে অবশ্যই অজু-গোসলের সময় সেই আবরণ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অযু করার নিয়ম জেনে নিন
ওযুর চার ফরয :
১. সমস্ত মুখমন্ডল কপালের উপরিভাগের চুলের গোড়া হইতে থুতনী পর্যন্ত, এক কর্নের লতি থেকে অন্য কর্নের লতি পর্যন্ত ধৌত করা।
২.উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করা।
৩.চারভাগের একভাগ মাথা মাসেহ করা ( ঘন দাঁড়ি থাকিলে আঙ্গুলী দ্বারা খেলাল করা ফরয )।
৪.উভয় পা টাখনু গিরা সহকারে ধৌত করা ।
ওযুর ১৪টি সুন্নাত
১.নিয়ত করা।২.বিসমিল্লাহ্‌ বলে ওযু শুরু করা।।৩.হাতের আঙ্গুল খিলাল করা।।৪.উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা।।৫.মিসওয়াক করা।।৬.তিনবার কুলি করা।।৭.তিনবার নাকে পানি দেয়া।।৮.সম্পূর্ন মুখ মন্ডল তিনবার ধৌত করা।।৯.উভয় হাতের কনুইসহ তিনবার ধৌত করা।।১০.সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।।১১.টাখনু সহ উভয় পা তিবার ধৌত করা।।১২.পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা।।১৩.এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।।১৪.ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর কাজ গুলো সম্পূর্ন করা।
অজু করার নিয়ম
বিসমিল্লাহ্‌ বলে শুরু করা।
দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
কুলি করা।
পানি দিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করা।
সমস্ত মাথা মসেহ্‌ এবং কানের সংলগ্ন স্থান মসেহ্‌ করা।
হাত ও পায়ের আংগুলের মধ্যে ফাকা স্থান হাতের আংগুল দিয়ে ধোয়া।
দাঁত পরিষ্কার করা। ...
অযুর কাজগুলো তিনবার করে করা।
‘আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌নু আম্‌র (রাঃ) তিনি বলেন, কোন এক সফরে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পিছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের নিকট পৌঁছলেন, এদিকে আমরা (আসরের) সালাত আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম এবং আমরা উযূ করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তিনি উচ্চৈঃস্বরে বললেনঃ পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুকনো থাকার) জন্য জাহান্নামের ‘আযাব রয়েছে। তিনি দু’বার বা তিনবার এ কথা বললেন।
(৯৬, ১৬৩; মুসলিম ২/৯ হাঃ ২৪১, আহমাদ ৬৮২৩) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
youtube
youtube
youtube
শীতকালীন অজু-গোসলে বিশেষ সতর্কতা
Special precautions during ablution and ghusl in winter
0 notes
spiritualmagic777 · 2 years ago
Photo
Tumblr media
Follow 👉@avoid_ofdarkness Share anyone who need this . @avoid_ofdarkness @avoid_ofdarkness . . . . . 💥Daily Spiritual Quotes . . . . . . #enlightenment #chakras #chakrahealing #soulaligned #spiritualpurposeoflife #reikihealing #projectloveyourself #spirituality #divinationtools #meditation #spiritualityquotes #chakrastone #occult #chakrameditation #twinflamerunner #spiritualbath #spiritualpsychology #spirituallyawakened #intuitivereader #spiritualalchemy #5thdimension #oraclereader (at Los Angeles, California) https://www.instagram.com/p/CopJAkYMu1j/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
mxdmagic · 2 years ago
Photo
Tumblr media
Happy Venus Day! 💌💞🌹💐 #mxdmagick #spiritualbath #venusday #venus #aphrodite #herbmagic #Apothecary #mxdmagick #witchtips #ritualwork (at mxdmagic) https://www.instagram.com/p/CofWayyOru0/?igshid=NGJjMDIxMWI=
1 note · View note
rueanddagger · 2 years ago
Text
Relax and unwind with a cup of tea and a bath soak!
2 notes · View notes
karmazain · 2 years ago
Photo
Tumblr media
Attempt number one at making candied spiderwort flowers was a total fail. That's what I get for being lazy. (I know what I did wrong.) On the plus side, it's pretty obvious they will work as an ink or dye (though how fugitive that blue will be I can't yet tell you). Don't let my unsightly kitchen disaster turn you off of spiderwort, though. Both Tradescantia ohiensis and T. virginiana are native and fairly common in the Eastern U.S. They are also edible. Around here, they are used to draw love and blessings to the home, and while the cut flowers don't last long at all, you can float the ephemeral blossoms in a bowl of water, to which they'll gradually impart their gorgeous blue hue. Keep the bowl of blossoms by your front entrance or where guests are gathered to ward off jealousy and the evil eye, or use the water in a spiritual bath to cool, calm, and draw blessings. #spiderwort #bluejacket #tradescantia #tradescantiaohiensis #tradescantiavirginiana #bayouhoodoo #bayouhoodooherbal #seraphinstation #karmazain #bigluckyhoodoo #foraging #rootworkersofinstagram #spiritualbaths #craftingfail https://www.instagram.com/p/CprYfHkuKuT/?igshid=NGJjMDIxMWI=
0 notes
gilbertkingelisa · 2 years ago
Photo
Tumblr media
Offerings⁣: Give It Time .⁣ .⁣ .⁣ .⁣ .⁣ #blackandwhitephotography #bnw #bnwmood #bnwphotography #bw #cuba #cubancigars #cubanstyle #ig #landscapephotography #miami #monochrome #puertorico #republicadominicana #santeria #shango #spiritualbaths #street #streetphotography #streetphotographyinternational #streetphotographyworldwide #tarotreading #tarotreadings #traveller #travelphotography #travelphotographyguide #travelphotography📷 #travelpics #traveltheworld #yemaya (at Cuba) https://www.instagram.com/p/CncsYanJl7E/?igshid=NGJjMDIxMWI=
1 note · View note
schoolofholywitchery · 11 months ago
Text
Tumblr media
Beneath the luminous gaze of the moon, there lies a sacred practice as ancient as time itself - the ritual bath. This is not merely a bath; it's a ceremony, a sacred communion with the elements, and a deep dive into the moon's mystical energies.
As the moon sails across the night sky, her phases remind us of the eternal cycle of rebirth and renewal. In harmony with her rhythm, a ritual bath under her light becomes a powerful act of self-care, purification, and intention-setting.
Imagine this: a bath infused with salts mined from the heart of the earth, essential oils that whisper the ancient secrets of the forest, and crystals that pulse with the earth's heartbeat. The water, warmed to just the right temperature, embraces you, becoming a womb of creation and transformation.
As you sink into this sacred pool, let the moon's silver light filter through the window, casting a spell of serenity and clarity. This is your space to release what no longer serves you, to soak in the moon's energy, and to emerge reborn, aligned with your deepest truths and intentions.
Incorporate herbs like lavender for relaxation, rose for love, and sage for purification, each adding their essence to this magical elixir. Light candles to symbolize the fire within you, and let their glow be a beacon for your dreams and desires. 
This ritual is a dance with the divine, a moment to connect with the cosmic rhythms that pulse through all of life. It's a time to honor your sacred self, to listen to the whispers of the moon, and to remember that you, too, are made of stardust and magic.
So tonight, under the moon's watchful eye, draw yourself a bath. Let it be a vessel for your transformation, a sanctuary of water and light. Here, in this sacred space, let the magic of the moon wash over you, filling you with peace, clarity, and a deep, resonant joy.
Remember, in the art of ritual bathing, you are not just cleansing your body, but you are also clearing your soul, setting your intentions, and aligning yourself with the celestial tides. 
Are you part of our Moon Ritual Coven yet? Join us!
#MoonRitual #SacredBath #SpiritualBathing #MoonMagic #SelfCare #HolyWitchery #MysticalPractices #theholywitch #witch #witchcraft #magic #magick #fullmoon #moonmagick #moonspells #moonrituals #newmoonritual #newmoonmagic #newmoonrituals #fullmoonmagic #fullmoonritual #fullmoonrituals
0 notes
kumargian · 1 year ago
Text
Tumblr media
#spiritualityquotes #spirituality #spiritualityawake #spiritualitymatters #spiritualitycoach #spiritualityoverreligion #spiritual #spiritualawakening #meditation #spiritualityandhealth #love #reikihealing #enlightenment #spiritualityawakening #spiritualalchemy #spirituallyawakened #spiritualit #chakras #lawofattraction #spiritualityisthekey #chakrameditation #spiritualbath #spiritualpurposeoflife #divinationtools #soulaligned #intuitivereader #chakrastone #spiritualpsychology #projectloveyourself #twinflamerunner
0 notes
ancienttheblackangel · 2 years ago
Text
MOTHERS NEED ME TIME spiritualbaths grounding.
0 notes