#বাংলা লেখা
Explore tagged Tumblr posts
choppedphilosopherharmony · 10 months ago
Text
Tumblr media
দোল
বসন্তের সোহাগী সূর্যটা মায়ের আটপৌরে শাড়ির রঙটা চুরি করে রোজ বিকেলের শেষে । একরাশ ধুলো, রোদ্দুর মেখে অশ্লীল মশকরা করতে করতে ভেসে যায় বড় রাস্তা ধরে, তারপর ঘাটের দিক থেকে আসা একটা ঠান্ডা হাওয়ার সাথে ভাব করে লাল সাদা কাগজফুল ঝরায় তোমাদের দেউড়ির সামনে। পীরমাজারের উপর ঢোলকলমির ঝোপ মৃত্যুশোকের মত ছায়া ঘনিয়ে রাখে। মনসুর আলি ছেঁড়া মাফলার গলায় পেঁচিয়ে শ্বেতী ঢাকার চেষ্টা করতে করতে বড় রাস্তা পার হয়। হঠাৎ দমকা হাওয়ায় বুড়োবটতলায় মানতের ঢিলগুলোয় ঠোকাঠুকি লেগে যায়। আমি দেখতে পাই শনিমন্দিরের সামনে হাতটা তিনবার মাথায় ঠেকিয়ে পার হচ্ছো তুমি। হাঁপানির টান নিয়েই মা  তিনবার শাঁখে ফুঁ দেয়। শুকিয়ে যাওয়া তুলসীটা একঘটি জলের সোহাগ নিয়ে হাওয়ায় দোল খায়। ছাদের বুক জুড়ে প্রাচীন ব্যাধির মত শ্যাওলার দল। বিস্তীর্ণ ফাটলে উপহাস করে অশ্বত্থের চারারা। তুমি তখন আমার বাড়ির আরো কাছে। মা কে দেখে থমকে দাঁড়াও,বলো " এবার একটা ভালো ডাক্তার দেখান কাকিমা, অনেক তো হল "। মা শুধু হাসে। আমি দেখি মায়ের হাসিটা ভেজা শিমুলের মত স্নিগ্ধ। পাশের বাড়ির গুলমোহরের কোঠরে কাঠবেড়ালির খুনসুটি। আমার কথা তোলো তুমি " পলাশ কেমন আছে?"। ইছেমতীর বুক থেকে বড়দার গুলিখাওয়া লাশের মত একটা চাঁদ হটাৎ ভেসে ওঠে সবার চোখের আড়ালে। কাদের বাড়িতে যেন খুব হৈহৈ.. "আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের..." । উড়ন্ত আগুনের ফুলকিরা ঘরছাড়া হয় শুকতারাকে ছুঁয়ে ফেলার চেষ্টায় । আমি হুইলচেয়ার টা সরিয়ে নিয়ে আসি ছাদের ধার থেকে.... শুনতে পাই মায়ের চোখমোছা স্বর " মেডিকায় বলেছে আর ব��ধহয় মাস দুই, তবু যদ্দিন থাকে চোখের সামনে, মা ডাকটুকু শুনতে পাই"। আঁচল চাপা অস্ফুট কান্না বাকি কথা দের ঢেকে দেয়। সেই দস্যি হাওয়াটা ফের ফিরে আসে কোত্থেকে, ভাসিয়ে নিয়ে যায় মায়ের দীর্ঘশ্বাস.. ঢোলকলমির বন ঠেলে, ইছেমতীর বুক ঘেঁষে, কার বাড়ির সন্ধেপ্রদীপ কাঁপিয়ে.. বহুদূর.. বহুদূর..।
(আগের বছরের দোলের লেখা)
ছবি : Ranadeep Naskar
24 notes · View notes
myladytara · 10 months ago
Text
কখনও কি ছুয়ে দেখেছো
স্বপ্নের কেমন মৃত্যু হয়?
অবহেলা আর অনাদরে কেন
জীবনটা এত বিষাদময়?
জীবন খাতার সব লেনাদেনা
বে-হিসাবে কেন পরে রয়?
তবে কি সবই নাটকীয়তা
মিথ্যে সুখের অভিনয়?
ভেবেছে কি কেহ প্রানহীন দেহ
কতটা যাতনায় বেঁচে রয়?
প্রকৃত মৃত্যু হৃদয়েরই ঘটে
দেহের মৃত্যুই মৃত্যু নয়।।
আজও তোমায় প্রচন্ড অস্থির অসম্ভব রকমের ভালোবাসি খালি তোমায় আর বলা হয় না। আজও তোমার অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকি কিন্তু তোমার জানা নেই।
আজও আমি সেই আগের মতই আছি খালি তোমার চোখে তুমি পর্দা দিয়ে রেখেছো।আমার চেষ্টা আমার পালিয়ে যাওয়া আমার লুকিয়ে থাকা কে আর আগের মত বুঝতে শিখো নি।
কাছের মানুষ ও হয়ত এইভাবেই একসময় আপন জনের কাছে নিজের মর্ম হারিয়ে ফেলে। কাছের মানুষ গুলোই হয়ত কাছে আসে একটা সময় পরে দূরে চলে যেতে।
11 notes · View notes
muslim-shoilee · 10 months ago
Text
0 notes
unbanglatv · 1 year ago
Video
��ৃদয়ের পাতায় লেখা তোমার নাম / সজীর বাউল / Hridoyer Patay Lekha tomer Nam...
0 notes
bdcaption24 · 6 months ago
Text
Tumblr media
আপনারা অনেকেই মনের মত এবং চাহিদা সম্পন্ন শর্ট ক্যাপশন খুঁজে পান না। আপনাদের জন্য আমরা বাংলা শর্ট ক্যাপশন রোমান্টিক, ভালোবাসার শর্ট ক্যাপশন, নিজেকে নিয়ে শর্ট ক্যাপশন, বাংলা শর্ট ক্যাপশন বন্ধু সহ মজার মজার ক্যাপশন নিয়ে হাজির হয়েছি। তাহলে চলুন বাংলা শর্ট ক্যাপশনগুলো বিস্তারিত জেনে নিই।
বাংলা শর্ট ক্যাপশন বাস্তবতা :
🦋✺শরীরটা খুব🤍 খারাপ🦋✺🤒 Doctor n'বলেছে রক্তে🤍 একদম🦋✺ 🦋✺ভালোবাসা নেই🦋✺🙂
࿐❥🦋🍀জীবন নিয়ে🤍 গল্প লেখা সহজ࿐❥🦋🍀 ࿐❥🦋🍀কিন্তুু࿐❥🦋🍀গল্পের মতো করে জীবন ࿐❥🦋🍀সাজানো খুব কঠিন࿐❥🦋🍀
🌺📱🌻দূরত্ব”কিছুই🤍”না”যদি🌺📱🌻 🌺📱🌻তোমার”n'অনূভুতি”🌺📱🌻 🌺📱🌻আমার”জন্য”সত্যি”হয়🌺📱🌻
🐰🐰সারাদিন 𝗙𝗮𝗰𝗲𝗯𝗼𝗼𝗸🐰🤍🐰 চালানোর পর🐰😌 🐰🐰𝗠𝗼𝗯𝗶𝗹𝗲🐰চালানোর সময় এ পাই না 🐰📱🐸
🐰পৃথিবীর সবচেয়ে n'দামী দুটি জিনিস হলো༉💜 🐰বিশ্বাস আর ༉💜 অপেক্ষা🐰🌸༉_💜
বাংলা শর্ট ক্যাপশন :
😥🥀পরিবারেরn'🤍দিকে তাকালে নিজে শেষ😥🥀 🤍🤍আর নিজের দিকে তাকালে পরিবার শেষ.😥🥀😥
😥🥀নিজেকে অনেক ধৈর্যশীল হতে হবে😥🥀 😥🥀সব কিছুতে মন খারাপ করা যাবে না😥🥀
😘✨বাস্তবতা যতই🤍 কঠিন হক না কেনো😘✨ 🤍মানিয়ে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর. 💙
😘✨পৃথিবীরn'🤍 সবচেয়ে দামী দুটি জিনিস হলো 😘✨বিশ্বাস আর অপেক্ষা 🌸🖤
✨𝐃𝐨 𝐍𝐨𝐭 𝐇𝐢𝐝���� 𝐘𝐨𝐮𝐫 𝐄𝐲𝐞𝐬 𝐅𝐫𝐨𝐦 𝐓𝐡𝐞 𝐎𝐧𝐞 𝐘𝐨𝐮 𝐋𝐨𝐯𝐞 !🦋😥🥀 🐻😘যাকে ভালোবাসো তাকে চোখের আড়াল করো না 3💜☺😘✨🍀
🙄চায়া থাকোসn'🤍 কেন কি কবি ক �🥴 🤍তুই কইলেই তো আমি কমূ হ 😐🤍😂🥱
বাংলা শর্ট ক্যাপশন নতুন :
📱🌻কাশফুল তুমি🤍 ছুঁয়ে দিও তাকে🐰🌾🥀🥀 🐰🌾প্রতিটা মুহূর্তে আমি ভালোবাসি যাকে📱🌻💘💘
🐰🌾সব পরিস্থিতিরn'🤍সাথে নিজেকে🐰🌾 🐰🌾মানিয়ে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর🐰🌾✨
🌸💫যে নারী শূন্য 🤍পকে��ে পাশে থাকে🌸💫 🌸💫সে নারী সাফল্য🤍 শেষে🌸💫 🌸💫স্ত্রী হওয়ারও যোগ্যতা রাখে!’💜🌸
আরো পড়ুন
4 notes · View notes
pandora15 · 1 year ago
Note
চারিদিকে এত English এর মাঝে একটুখানি বাংলা লেখা বা পড়ার আনন্দই আলাদা। তাই না?
At least, I think so.
Much to my own shame, my Bangla knowledge is extremely limited, even more so by the fact that I learned the alphabet a long time ago and barely remember how to write simple sentences.
I tried my best, but ultimately had to put this in Google Translate, which I feel like partially defeats the purpose of your ask, so I'm sorry! Not just for having to do that, but for answering in English because, again, I can barely formulate sentences in Bangla. I can understand it well when people speak it to me, but speaking it and reading/writing it is really tough for me.
Anyways,
Yes, I absolutely agree. Even though I know so little of the language, I think it's absolutely beautiful. I'm very proud to be Bengali. And reading or writing what little I know does feel really nice :)
I hope to get back in touch with the Bengali/Indian part of me once I have a bit more time — I used to take Hindustani Classical Music lessons when I was a child and I learned a lot of Bangla songs, especially Rabindra Sangeet from my old teacher. I have a lot of memories that I cherish from that time, like learning to pronounce Bangla words and understanding what these songs actually mean while expanding my knowledge of music. My voice isn't what it used to be (thanks, puberty), but I think I still have it in me, and my love of music always reigns eternal.
Anyways, this probably isn't the answer you were hoping for, but I hope this gets across what it means to me to be Bengali, even though my language skills are horrendous 😅
9 notes · View notes
biswajitauthor · 9 months ago
Text
বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন বাঙালি লেখক। তাঁর লেখা বেশ কিছু অণুপত্রিকা ও বানিজ্যিক সংবাদপত্রে প্রকাশ��ত হয়েছে। আপনি যদি বাংলা সাহিত্যের অনুরাগী হন, তবে বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্লগ ফলো করুন।
2 notes · View notes
anjumbai · 1 year ago
Text
অপেক্ষা - হুমায়ূন আহমেদ
Tumblr media
"বিলাই আর পুরুষ মানুষ এই দুই জাতের কোনো বিশ্বাস নাই। দুইটাই ছোকছুকানি জাত।"
অনেক দিন পর একটি বই শেষ করার আনন্দ পেলাম। বাংলা বই পড়ার আনন্দটাই মনে হয় সেরা। নিজের ভাষায় একটা বই; মনে মনে অনবরত অন্য ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করার প্রয়োজন থাকে না। এক পলকে আস্তা একটা পেইজ পড়ে ফেলার মজা থেকে অনেকদিন বঞ্চিত থাকলেও আবার সেই আনন্দটা ফিরে পেয়েছি। বাংলায় পড়ার মতো যদি টাইপ করাটাও সহজ হতো তাহলে হয়তো আরো আগে এইটা লেখতে বসতাম।
হুমায়ূন আহমেদ এর বইগুলোর একটা আজব, অনেকটা নাটকীয় একটা প্রবাহ দেখা যায়। ২২০ পেইজ এ নিমিষে কিছু চরিত্রের ২০ বছর কীভাবে কেটে গেল, সেটা বুঝার আগেই বই শেষ। দুঃসহ পরিস্থিতির ভারাক্রান্ত একটি পরিবার, যাদের বাবা নিখোঁজ- তাদের বড় হয়ে ওঠার সুন্দর এবং মানবিক একটি গল্প উপস্থিত হয়ে উঠে এই উপন্যাসে। বই এর নাম এর মতো পাঠক হিসেবে আমিও অপেক্ষা করতে লাগলাম, আর বই এর অন্যান্য সব চরিত্রের মতো আমার অপেক্ষাও ভিন্ন কিছু নিয়ে। দুঃখ কষ্ট আলাদা হলে মানুষ যে একে অপর থেকে কতটা কাছে থেকেও দূরে অবস্থান করে, তা সুরাইয়া ও তার ছেলে ইমন এর সম্পর্কে স্পষ্ট দেখা যায়। স্বামী হারিয়ে যাওয়ার বেদনায় আর অপেক্ষায় থাকা সুরাইয়াকে দেখতে থাকা ইমন যেন তার বাবা-মা দুজনকে একসাথে হারিয়ে ফেলেছে। আবার নিত্য সাধারণ ঘটনা গুলোর মধ্য দিয়ে বই-এর কঠিন কঠিন অমানবিক চরিত্রগুলোকে আস্তে আস্তে মানবিক করে তোলার সৌন্দর্য উপভোগ করার আলাদা একটা মজা আছে। slice of life এর সাথে এইটাকে তুলনা করা ভুল হবে বলে মনে হয় না।
বই এর নাম অপেক্ষা অথচ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কত চরিত্র হারিয়ে গেল। একটি মুহূর্তে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আবার পরেই জীবনের আবহমান প্রকৃতিতে তারা হারিয়ে যায়। বইটি তাদের জন্য আর অপেক্ষা করে না, অপেক্ষা করে শুধু তারাই যারা তাদেরকে ভুলতে চায় না। যেন মানুষকে ভুলে যাওয়াটা একটা অপরাধ। কেউ মনে রাখতে চায় সারাজীবন, আর কেউ ভুলে যেতে চায় সাথে সাথে। আমাদের সাধারণ জীবনের এত কাছে থাকা বলেই হয়তো এই বইটি আমার এত ভালো লেগেছে।
হিমু আর মিসির আলির মতো চরিত্রগুলো এখন ঝাপসা মনে হয়, তবে আবার মনে করার চেষ্টা করলে হয়তো খারাপ লাগবে না। চেষ্টা করে দেখা যায়।
সময় যাচ্ছে, সময় কমছে। অপেক্ষার পালা শেষ হতে হয়তো সময় নেই আর খুব একটা। আখতার স্যার এর কথাটা মাথায় বাজে যে - "সময় গেলে সাধন হবে না।" সময় আর অপেক্ষা আসলেই মানুষজনকে নানা ভাবে বদলে দেয়। বদলে যাওয়ার এই আকস্মিক সৌন্দর্য নিয়ে লেখা হুমায়ূন আহমেদ এর অপেক্ষা।
3 notes · View notes
dailycomillanews · 7 hours ago
Text
জুলাই গ্রাফিতির ওপর লেখা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গেল ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। সারাদেশের মতো পরিবর্তনের ছোঁয়ায় বদলে যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের প্রতিটি দেয়ালের রূপ। প্রতিবাদের চিত্রগুলো গ্রাফিতির মাধ্যমে দেয়ালে ফুটিয়ে তোলেন বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা। গ্রাফিতির মাধ্যমে তুলে ধরা হয় প্রতিবাদ, দেশপ্রেম, সাম্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধের বার্তা। আওয়ামী লীগ, হাসিনা বিরোধী ছবি ও গ্রাফিতি অঙ্কনও করে ছাত্র-জনতা। তবে…
0 notes
speedywonderlandtrash · 1 month ago
Text
ষষ্ঠ শ্রেণি গণিত - Class 6 Math অনুশীলনী ২.২ সমাধান
Class 6 Math অনুশীলনী ২.২ সমাধান
  শতকরা বের করার সহজ উপায়, শতকরা অংক Class 6, শতকরা বের করার সূত্র, শতকরা নির্ণয়ের সূত্র pdf, শতকরা বের করার নিয়ম, শতকরা অংক চাকরির জন্য pdf, ২০ টাকা ৮০ টাকার শতকরা কত? শতকরা শব্দের অর্থ কি?   অনুপাত ও শতকরার সম্পর্ক প্রশ্ন ১। শতকরায় প্রকাশ কর: (ক) সমাধান : = = = ৭৫% (খ) সমাধান  : = = = = % = % (গ) সমাধান : = = = ৮০% (ঘ) সমাধান  : = = = ২২৪% (ঙ)   ০.২৫ সমাধান : ০.২৫ = = 25% (চ)    ০.৬৫ সমাধান : ০.৬৫ = = ৬5% (ছ)    ২.৫০ সমাধান : ২.৫০ = = ২৫০% (জ)   ৩ : ১০ সমাধান : ৩ : ১০ = = = = 30% (ঝ)  ১২ : ২৫ সমাধান : ১২ : ২৫ = = = = ৪৮% প্রশ্ন ২। সামান্য ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশে প্রকাশ কর : (ক)    ৪৫% সমাধান : ৪৫% = = = ০.৪৫ ⸫ সামান্য ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশ যথাক্রমে  ও ০.৪৫ (খ) = % সমাধান : = % = % = % = = = ০.১২৫ ⸫ সামান্য ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশ যথাক্রমে ও ০.১২৫ (গ) সমাধান : = = = ০.৩৭৫ সামান্য ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশ যথাক্রমে ৩৮  ও ০.৩৭৫ (ঘ) সমাধান : = = = ০.১১২৫ Class 6 Math অনুশীলনী ২. ১সমাধান প্রশ্ন ��। (ক) ১২৫ এর ৫% কত? সমাধান : ১২৫ এর ৫% = ১২৫ এর = = উত্তর : (খ)    ২২৫ এর ৯% কত? সমাধান : ২২৫ এর ৯% = ২২৫ এর ৯ ১০০ = = উত্তর : (গ)    ৬ কেজি চালের ৬% কত? সমাধান :  ৬ কেজি চালের ৬% = ৬ কেজি চালের = ৬ কেজি চালের = ৬ × কেজি চাল = কেজি চাল উত্তর : কেজি চাল (ঘ)    ২০০ সেন্টিমিটারের ৪০% কত? সমাধান :  ২০০ সেন্টিমিটারের ৪০% = ২০০ সেন্টিমিটারের = ২০০  সেন্টিমিটারের = ২০০ × সেন্টিমিটার = ৮০ সেন্টিমিটার উত্তর : ৮০ সেন্টিমিটার প্রশ্ন  ৪। (ক) ২০ টাকা ৮০ টাকার শতকরা কত? সমাধান : ২০ টাকা ৮০ টাকার   অংশ এখন, = = = ২৫% উত্তর : ২৫% (খ)    ৭৫ টাকা ১২০ টাকার শতকরা কত? সমাধান : ৭৫ টাকা ১২০ টাকার  অংশ এখন,   = × = % = % উত্তর : % প্রশ্ন ৫। একটি স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০০ জন। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৪০% হলে, ঐ স্কুলের ছাত্রসংখ্যা নির্ণয় কর। সমাধান : শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০০ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৪০% ⸫ ছাত্রীসংখ্যা = ৫০০ জন এর ৪০%        = (৫০০ ×  ) জন        = ২০০ জন ⸫ ছাত্রসংখ্যা (৫০০ - ২০০) জন  = ৩০০ জন উত্তর : ছাত্রসংখ্যা ৩০০ জন। প্রশ্ন ৬। ডেভিড সাময়িক পরীক্ষায় ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৬০০ নম্বর পেয়েছে। সে শতকরা কত নম্বর পেয়েছে? মোট নম্বর এবং প্রাপ্ত নম্বরের অনুপাত নির্ণয় কর। সমাধান :  সাময়িক পরীক্ষায় মোট নম্বর ৯০০ ডেভিড পেয়েছে ৬০০ নম্বর ডেভিডের প্রাপ্ত নম্বর মোট নম্বরের  অংশ এখন,  =      = × = % = % মোট নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বরের অনুপাত = ৯০০ : ৬০০ = ৯ : ৬ = ৩ : ২ উত্তর : ডেভিড % নম্বর পেয়েছে এবং তার মোট নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বরের অনুপাত ৩ : ২। প্রশ্ন ৭।  মুসান্না বইয়ের দোকান থেকে একটি বাংলা রচনা বই ৮৪ টাকায় ক্রয় করল। কিন্তু বইটির কভারে মূল্য লেখা ছিল ১২০ টাকা। সে শতকরা কত টাকা কমিশন পেল? সমাধান : বইটির কভারে মূল্য ছিল ১২০ টাকা বই কিনল ৮৪ টাকা ∴ কমিশন পেল (১২০ - ৮৪) টাকা = ৩৬ টাকা ∴ তার কমিশন কভারে লিখিত মূল্যের অংশ এখন, =   = = ৩০% উত্তর : মুসান্না শতকরা ৩০ টাকা কমিশন পেল। প্রশ্ন ৮। একজন চাকুরিজীবীর মাসিক আয় ১৫০০০ টাকা। তাঁর মাসিক ব্যয় ৯০০০ টাকা। তাঁর ব্যয়, আয়ের শতকরা কত? সমাধান : একজন চাকুরিজীবীর মাসিক আয় ১৫০০০ টাকা এবং মাসিক ব্যয় ৯০০০ টাকা। ∴ তাঁর ব্যয় আয়ের অংশ এখন, =         = = ৬০% উত্তর : ব্যয়, আয়ের ৬০%। প্রশ্ন  ৯।  শোয়েবের স্কুলের মাসিক বেতন ২০০ টাকা। তার মা তাকে প্রতিদিনের টিফিন বাবদ ২০ টাকা দেন। তার প্রতিদিনের টিফিন বাবদ খরচ, মাসিক বেতনের শতকরা কত? সমাধান : শোয়েবের স্কুলের মাসিক বেতন ২০০ টাকা এবং প্রতিদিনের টিফিন বাবদ খরচ ২০ টাকা × টিফিন বাবদ খরচ মাসিক মূল বেতনের অংশ এখন,           =                   =           = ১০% উত্তর : প্রতিদিনের টিফিন বাবদ খরচ মাসিক বেতনের ১০%। প্রশ্ন ১০। একটি স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০০ জন। বছরের শুরুতে ৫% শিক্ষার্থী নতুন ভর্তি করা হলে, বর্তমানে ঐ স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত? সমাধান : শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০০ জন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হলো = ৮০০ জন এর ৫% = ৮০০ জন এর   = ৮০০ ×   জন = ৪০ জন ∴ বর্তমানে স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা (৮০০ + ৪০) জন = ৮৪০ জন উত্তর : বর্তমানে ঐ স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৪০ জন। প্রশ্ন ১১। একটি শ্রেণিতে ২০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫% অনুপস্থিত ছিল। কতজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল? সমাধান : শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৫% ∴ অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা = ২০০ জন এর ৫% = ২০০ জন এর   = ২০০ ×   জন = ১০ জন ∴ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল (২০০ - ১০) জন = ১৯০ জন উত্তর : ১৯০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল । প্রশ্ন ১২। যাহেদ ১০% কমিশনে একটি বই ক্রয় করে দোকানীকে ১৮০ টাকা দিল, বইটির প্রকৃত মূল্য কত? সমাধান : ১০% কমিশনে বইটির প্রকৃত মূল্য ১০০ টাকা হলে ক্রয়মূল্য (১০০ - ১০) = ৯০ টাকা ∴ প্রকৃত মূল্য : ক্রয়মূল্য = ১০০ : ৯০ বা,    = বা, প্রকৃত মূল্য = × ক্রয়মূল্য বা, প্রকৃত মূল্য = × ১৮০ = ২০০ টাকা। উত্তর : বইটির প্রকৃত মূল্য ২০০ টাকা। প্রশ্ন ১৩। কলার দাম % কমে যাওয়ায় ৪২০ টাকায় পূর্বাপেক্ষা ১০টি কলা বেশি পাওয়া যায়। (ক) একটি সংখ্যার % হলে, সংখ্যাটি নির্ণয় কর। (খ) প্রতি ডজন কলার বর্তমান দাম কত? (গ) প্রতি ডজন কলা কত দামে বিক্রয় করলে, %  লাভ হতো? সমাধান : (ক)    এখানে,   % = % =   দেওয়া আছে, সংখ্যাটির   % = ১০ অর্থাৎ, সংখ্যাটির   গুণ = ১০ নির্ণেয় সংখ্যা = ১০ ÷   % = ১০ × ৭ = ৭০ উত্তর : ৭০ (খ)     দেওয়া আছে, কলার দাম %  কমে যায়। অর্থাৎ, ১০০ টাকায় কমে টাকা বা টাকা ∴ ১    ”        ”          টাকা ∴ ৪২০ ”        ”          টাকা = ৬০ টাকা আমরা জানি, ১ ডজন = ১২টি ∴ কলার দাম ৬০ টাকা কমে যাওয়ায় ১০টি কলা বেশি পাওয়া যায়। সুতরাং, ১০টি কলার দাম ৬০ টাকা ∴ ১টি  ”        ”  টাকা ∴ ১২টি         ”        ”   টাকা = ৭২ টাকা ∴ ১ ডজন কলার বর্তমান মূল্য ৭২ টাকা। উত্তর : ৭২ টাকা। (গ)     ‘খ’ হতে পাই, ১ ডজন কলার বর্তমান মূল্য ৭২ টাকা। এখন, ৭২ টাকার % = ৭২ টাকার % = ৭২ ×    টাকা = ২৪ টাকা ∴ ৩৩ ১৩ % লাভে বিক্রয়মূল্য = (৭২ + ২৪) টাকা                                                   = ৯৬ টাকা উত্তর : ৯৬ টাকা। Read the full article
0 notes
tonytoonstv · 2 months ago
Text
মযর শষ চঠ Mayer Sesh Chithi Full Drama Tonmoy Sohel Sathi Hasi Moon Natok 2024
মায়ের শেষ চিঠি Mayer Sesh Chithi Full Drama Tonmoy Sohel Sathi Hasi Moon Natok 2024 https://www.youtube.com/watch?v=66AjwdWuMOU মায়ের শেষ চিঠি | Mayer Sesh Chithi | Tonmoy Sohel | Sathi | Hasi Moon | Joutho Khan | Bappa Deep Roy | Bangla New Natok 2024 | Natok 2024 G Roots presents Bangla Natok of 2024, “মায়ের শেষ চিঠি ” মায়ের শেষ চিঠি হল G Roots Motivation-এ একটি নতুন বাংলা নাটক । এই নাটকটি সমস্ত ভক্তদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিৎ এটি সন্তানের উদ্দেশ্যে মায়ের শেষ চিঠি নিয়ে গল্পটি লিখায় হয়েছে। এই বাংলা নাটকে তারকা-খচিত কাস্ট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তন্ময় সোহেল, স্বপ্নিল সাথী, হাসি মুন, জুথো খান, বাপ্পা দীপ রায়, ইত্যাদি। এটি পরিচালনা করেছেন রাকিব খান। আপনি যদি বাংলা নাটকের ভক্ত হন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই মায়ের শেষ চিঠি নাটকটি দেখায় উচিৎ। বাংলা নাটকের সকল ভক্তরা জন্য এটি অবশ্যই দেখবেন। Creation Team: Screen Play & Direction: Rakib Khan Script / Tasrin Nishi Cast: Tonmoy Sohel, Shopnil Sathi, Hasi Moon, Joutho Khan, Bappa Deep Roy, Etc. Dop: Mehedi Hasan Limon Dop Assistant: Nishal Islam Nehal Bit&Colour: Shah Niyaz Music: Pothik Sumon Drama © 2024 ‪@grootsmotivation‬ 👉ভিডিওটি ভালো লাগলে অনুগ্রহ করে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন। 🔔❤️💬 আমরা আশা করি এই চ্যানেলটি আপনার ভালো লাগবে। আপনার যদি কোনও পরামর্শ বা অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানান। ********************************************* G Roots Natok: প্রবাসীর অত্যাচারী মা : • প্রবাসীর অত্যাচারী মা | Probashir Ott... প্রবাসীর সংসার : • প্রবাসীর ��ংসার | Probashir Shongshar ... বিদেশ ফেরত বউ : • Bidesh Ferot Bou | বিদেশ ফেরত বউ | R... Facebook Page: "G Roots Motivation" : / grootsmotivation "G Roots Multimedia" : / grootsmultimedia "G Roots Production" : / grootsproduction Youtube Channel: "G Roots Motivation" : / @grootsmotivation "G Roots Production" : / @grootsproduction "Green Roots BD" : / @greenrootsbd ********************************************* @GRootsMotivationBanglaNatokTelefilm ANTI-PIRACY WARNING * This content is Copyright to Music and Video G Roots Motivation. Any unauthorized reproduction, redistribution or re-upload is strictly prohibited from this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the following material presented! All rights reserved by Music and Video G Roots Motivation. This Visual and Audio Element is Copyrighted Content of Central Music and Video [G Roots Motivation]. Any Unauthorized Publishing is Strictly Prohibited. G Roots Motivation Bangla Natok 2024 Bangladesh. #mayerseshchithi #Popularbanglanatok #newbanglanatok2023 #banglanatok #sathinatok #tonmoysohelnatok #natok Releted Keyword: মায়ের শেষ চিঠি,Mayer Sesh Chithi Natok 2024 মায়ের কষ্টের চিঠি নাটক ২০২৩,মায়ের কষ্ট, Tonmoy Sohel Natok,Sohel natok,Sathi natok,Hasi Moon natok,Sohel natok 2024,Sathi natok 2024,সাথী আজকের পর্ব, bangla natok,bangla natok 2024,natok,natok 2024,new bangla natok 2024,প্রবাসীর অত্যাচারী মা,natok new,bangladeshi natok,full natok,amar nayika natok,g roots motivation, g roots,বাংলা নাটক ভিডিও,বাংলা নাটক HD,বাংলা নাটক full hd,বাংলা নাটক ভিডিও,বাংলা নাটক ভিডিও,বাংলা টেলিভিশন নাটক,বাংলা নাট্য,বাংলা নাটক all,বাংলা নাটক নতুন,bangla natok বাংলা নাটক,best বাংলা নাটক,Family Drama Bangla Natok,নতুন প্রবাসী নাটক,bangladeshi natok video dikhao,bangla natok video full hd,Top Bangla Natok,সন্তানের উদ্দেশ্যে মায়ের শেষ চিঠি,মায়ের লেখা শেষ চিঠি,emotional natok,মায়ের নাটক,hd natok new via TonyToons tv https://www.youtube.com/channel/UC4F2FR0n6BPS0QaEI09RvJA October 25, 2024 at 02:40PM
0 notes
choppedphilosopherharmony · 10 months ago
Text
Tumblr media
বর্ষা
আমার এখানে বৃষ্টি থামেনা কিছুতেই। সেই কোন ছোট্টবেলার শরৎকালের মেঘ রোদ্দুর এখন রোজ শোক হয়ে অঝোর ধারায় ঝরে আমার বাড়ির উঠোনে। ঝড় আসে , কার বাড়ির বুকচাপা লুকোনো কান্না চুরি করে আমায় এসে ফিসফিসিয়ে শুনিয়ে যায়। কান চেপে ধরে আমি পালাতে যাই, পারিনা।চোখের কোণে জল জমিয়ে জানলার গরাদ ধরে ভাবি একটা রামধনু দেখতে পেলে বেশ হত।পাইনা খুঁজে। বাজ পরে কাছে কোথায় , দীঘির পারে যে বকুলতলায় আমার কপালের ওপর নেমে আসা ভিজে চুলগুলো যত্নে সরিয়ে তুমি বলেছিলে "ভালোবাসি", সেই গাছে আগুন ধরে যায়। আরো জোরে বৃষ্টি নামে।  আমি টের পাই অশ্রু ��র বৃষ্টির স্বাদ যেন এক। বৃষ্টি পরতেই থাকে, আগুন নেভেনা তবু। আমি অপেক্ষা করি, করতেই থাকি, তারপর একসময় খেয়াল করি এখন  আর এ পাড়ায় কেউ কাগজের নৌকা ভাসায় না...
গত বর্ষায় লেখা 🙂
16 notes · View notes
quransunnahdawah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী।
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী।
বাজারে নবীজি (সা.)–এর জীবনী তো কম নেই। কোন জীবনীটা পড়ব? নবীজি (সা.)–র কোন জীবনীটা উত্তম, এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা য���য়। একেক সময় একেকজনকে একেক বইয়ের কথা বলতে হয়। প্রশ্নকর্তার অবস্থা বুঝে উত্তর দেওয়া হয়।
তবে কোন জীবনীটা পড়ব—এই প্রশ্নের আগে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমি নবীজীবনী কেন পড়তে চাই? কীভাবে পড়তে চাই? তাঁর ধারাবাহিক জীবনী জানতে? তিনি কেমন ছিলেন সেটা জানতে? তাঁর মোজেযা বা অলৌকিক ঘটনাবলি জানতে? নাকি আরও গভীর কিছু?
নবীজি (সা.)–কে জানার জন্য মোটা দাগে পাঁচ ধরনের বই আছে।
 ১. ধারাবাহিক জীবনী
এ ধরনের জীবনীকে বলে সিরাত। একসময় বলা হতো ‘মাগাজি’ বা ‘সিয়ার’। নবীজি (সা.)–এর জন্মপূর্ব সময়, জন্ম ও বংশ পরিচয়, বেড়ে ওঠা, বিয়ে, নবুয়ত, মক্কাত্যাগ, মদিনা, সন্ধি, যুদ্ধ, মক্কা বিজয়—এই ধারাক্রমে যেসব বই লেখা তাকে ‘সিরাত’ গ্রন্থ বলে। যদি এভাবে জানা আপনার উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আপনি পড়তে পারেন নীচের যে-কোনওটি:
ক. সফিউর রহমান মোবারকপুরির লেখা আর রাহিকুল মাখতুম। দারুল হুদা কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত মীযান হারুনের অনুবাদ অথবা আয-যিহান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত কাজী আবুল কালাম সিদ্দিকের অনুবাদ পড়তে পারেন।
খ. আবুল হাসান আলি নদভির লেখা নবীয়ে রহমত। বাংলায় এর একটা অনুবাদই আছে আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলীর করা। মাকতাবাতুল হেরা থেকে প্রকাশিত।
গ. মওলানা আবুল কালাম আজাদের লেখা রসুলের রহমত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ।
৪. মা��িদ আলী খানের লেখা মুহাম্মাদ: দ্য ফাইনাল মেসেঞ্জার। গার্ডিয়ান প্রকাশনীর এ নামে একটা অনুবাদ নতুন প্রকাশ পেয়েছে। শেষ নবী নামে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদও আছে।
উপরের সবগুলো বিদেশি লেখকদের লেখা বই। আপনি যদি বাংলাভাষায় লেখা বাংলাদেশি কারও নবিজীবনী খোঁজেন, তাহলে একটা গ্রন্থের কথা বলা যায়—শাইখুল হাদিস মাওলানা মুহম্মদ তোফাজ্জল হোসাইনের লেখা হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স.) সমকালীন পরিবেশ ও জীবন। ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত।
২. ব্যক্তি নবী সম্পর্কিত
নবীজি ব্যক্তি হিসেবে কেমন ছিলেন, এটি সে ধরনের বই। একে বলে শামায়েল। এ ধরনের দুই রকমের হয়।
প্রথমত, নবীজি (সা.) দেখতে কেমন ছিলেন, তাঁর হাঁটাচলা–হাসি কেমন, তাঁর আকার ও শারী��িক গড়ন কেমন, তাঁর জীবনাচরণ ইত্যাদি কেমন—সে বিষয়ে। এসব বইয়ে তাঁর আত্মীয় ও পরিবারবর্গের স্মৃতিও অনেক লেখক নিয়ে আসেন।
তিরমিজি শরিফের লেখক ইমাম তিরমিজির লেখা শামায়েলে তিরমিজি এ বিষয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। বাংলায় পড়তে চাইলে আশরাফিয়া বুক হাউস থেকে প্রকাশিত মুফতী তাওহীদুল ইসলামের অনুবাদটা নিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, শামায়েল গ্রন্থকারেরা প্রথম দিকে কেবল নবীজির (সা.) দৈহিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে তাঁর প্রকৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করতেন। পরে আরও বিস্তৃতভাবে তাঁর ইবাদত-বন্দেগি, বিনয়, কোমলতা ইত্যাদি অন্যান্য দিক তুলে ধরা হতে থাকে। তাঁর নামাজ, তাকওয়া, আখলাক থেকে নিয়ে মানুষের সঙ্গে কিংবা স্রষ্টার সঙ্গে তাঁর আচরণ সঙ্কলন করতে থাকেন।
দুটি দিককেই অন্তর্ভুক্ত করে বইয়ের তালিকা দেওয়া যাক।
ক. সালেহ আহমদ শামীর লেখা মিন মায়িনিশ শামায়িল। ব্যক্তি ও নবী নামে আকিক পাবলিকেশন্স থেকে অনুবাদ বেরিয়েছে।
খ. আদিল সালাহির লেখা মুহাম্মাদ: ম্যান অ্যান্ড প্রফেট। আবু জাফরের অনুবাদে মানুষ ও রসুল মুহাম্মাদ নামে খোশরোজ কিতাব মহল এনেছে।
যারা কেবল শুধু দ্বিতীয় প্রকারে আগ্রহী, তাদের জন্য দুটি বইয়ের নাম বলা যাক।
ক. রাগিব সারজানির লেখা উসওয়াতুল লিল আলামিন। একই নামে শামীম আহমাদ অনুবাদ
করেছেন। মাকতাবাতুল হাসান থেকে প্রকাশিত। নবীজি: যার আদর্শে বিমোহিত পৃথিবী নামে একই বইয়ের আরেকটি অনুবাদ প্রকাশ করেছে মুহাম্মদ পাবলিকেশন।
খ. সালেহ আল মুনাজ্জিদের লেখা কাইফা আমালাহুম। বাংলায় যেমন ছিলেন তিনি নামে রুহামা পাবলিকেশন এটি ২ খণ্ডে প্রকাশ করেছে।
৩. মুজিজা সম্পর্কিত
মুজিজা মানে অলৌকিক ঘটনাবলি। নবীজীবনের এই ধরনটি একসময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। একে ‘দালায়িলুন নবি’ নামে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে দুটো বইয়ের নাম বলা যায়।
ক. জালালুদ্দিন সুয়ুতির লেখা খাসায়েসুল কুবরা। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান এর বাংলা অনুবাদ করেছেন। মদিনা পাবলিকেশান্স থেকে প্রকাশিত।
খ. মাওলানা হাবীবুর রহমানের লেখা লামিয়াতুল মুজিজাত। লেখক দেওবন্দের অধ্যক্ষ ছিলেন। কওমি মাদরাসায় এই বইটি পাঠ্য। কাব্যাকারে লেখা নবীজি (সা.)–র একশ মুজিজা এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে। মাকতাবাতুল ফাতাহ, ইসলামিয়া কুতুবখানা, আল কাউসার প্রকাশনী এর বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছে।
৪. ��িষয়ভিত্তিক জীবনালেখ্য
নবীজীবনের বিভিন্ন অংশ নিয়ে রচিত গ্রন্থ। অজস্র বই আছে এই ধরনে। উদাহরণ হিসেবে কয়েকটা বইয়ের নাম তুলে দেওয়া হলো।
ক. আলী সাল্লাবির লেখা গাযওয়াতুর রসুল। নবীজির যুদ্ধ জীবন: পাঠ ও পর্যালোচনা শিরোনামে অনুবাদ করেছেন কাজী আবুল কালাম সিদ্দিক। আকিক পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত।
খ. ফয়সাল বিন আলী বাদানীর লেখা হাকাজা কানা-ন্নাবী (স.) ফি রমাদান। রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন শিরোনামে অনুবাদ করেছেন কাউসার বিন খালেদ। ইসলাম হাউস থেকে প্রকাশিত।
গ. সালেহ আল মুনাজ্জিদের লেখা নবীজির সংসার। প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল আসলাফ।
ঘ. ইবনুল কায়্যিম জাওযির লেখা আল্লাহর রসুল কিভাবে নামাজ পড়তেন। আবদুস শহিদ নাসিমের
অনুবাদে বই প্রকাশ করেছে বর্ণালী বুক সেন্টার।
ঙ. মাওলানা মুস্তফা খন্দকার সঙ্কলিত নবীজি (সা.) বয়ান’। প্রকাশক মাকতাবাতুল ইসলাম।
চ. বুলবুল সরোয়ার লিখিত নবিজীবনের শত বিষয়। প্রকাশক চমনপ্রকাশ।
৫. নবীজীবনের বিশ্লেষণ
নবীজি (সা.) বিভিন্ন কর্মতৎপরতা আধুনিক সময়ের ভাষায় বিশ্লেষণ করা হয় এই বিভাগে। যেমন হিশাম আওয়াদির বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ, অনুবাদক মাসুদ শরীফ। রামাজান আল বুতির ফিকহুস সিরাহ, তারিক রামাদানের ফুটস্টেপ অব প্রোফেট, মির্জা ইওয়ার বেগের লিডারশিপ লেসনস ইত্যাদি। সবগুলো বইয়েরই একই নামে অনুবাদ আছে।
বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কারপ্রাপ্ত একমাত্র বাংলাদেশি লেখক মোহর আলী রচিত একটি অসামান্য গ্রন্থ সিরাতুন্নবি অ্যান্ড দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত সীরাত বিশ্বকোষ অষ্টম ও নবম খণ্ড এই বইটিরই অনুবাদ।
 আরও কিছু ভালো বই
এ ছাড়াও নবীজীবন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিরীক্ষামূলক বইপুস্তক আছে। যেমন, মওলুদুন্নবি ধরনের কিছু বই আছে। এটি নবীজি (সা.)–এর জন্মবৃত্তান্তের বিবরণ। নবীজিকে নিয়ে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থও আছে—যেমন কাজী নজরুল ইসলামের মরুভাস্কর বা ফররুখ আহমদের সিরাজাম মুনীরা—যার কোনো কোনোটা ধারাবাহিক জীবনীর মতো, কোনোটা পুঁথির মতো।
শিশু-কিশোরদের নবীজীবনী
নবীজীবন নিয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কয়েটি ভালো বই এখন বাজারে আছে। যেমন:
ক. আবু তাহের মিসবাহের লেখা শিশু সীরাত সিরিজ��� দারুল কলম থেকে প্রকাশিত।
খ. ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভির লেখা প্রিয় নবী। মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে প্রকাশিত।
গ. আবদুল আযীয আমানের লেখা একগুচ্ছ কিশোর-সীরাত সাহিত্য: নবীজীবনের নিউক্লিয়াস। বইকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত।
 শুরু থেকে জানতে হলে
কেউ যদি নবীজিকে প্রথম থেকে জানতে চান, তাহলে ওপরের ধরনগুলো সামনে রেখে একের পর এক ধারবাহিক পড়তে পারেন। অর্থাৎ, প্রথমে এক নম্বর বইগুলো, তারপর দ্বিতীয়—এভাবে।
একেবারে নতুন হলে প্রথমে সংক্ষিপ্ত সিরাত গ্রন্থ থেকে পড়লে ভালো। দুটি সংক্ষিপ্ত সিরাত বইয়ের নাম বলছি, যা এক বসায় আনন্দ নিয়ে পড়ে শেষ করা যায়।
ক. জুবাইর আহমদ আশরাফের লেখা সংক্ষিপ্ত সিরাত। দারুত তিবয়ান থেকে প্রকাশিত।
খ. মুসা আল হাফিজের মহানবীর জীবনপঞ্জি। মুহাম্মদ পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত।
এরপর পূর্ণাঙ্গ সিরাতগ্রন্থ পড়ুন। এরপর শামায়েল ধরুন। ব্যক্তি ও নবী পড়ুন। এরপর ফিকহুস সিরাহ পড়ুন। এই পর্যায়ে এসে একটা বইয়ের কথা বলি, যার কথা আগে বলা হয়নি। সেটি হলো ড. ইয়াসির কাজির সিরাত লেকচারের অনুবাদ মহানবি মুহাম্মদের (স) জীবন ও সময় (মাওলা ব্রাদার্স)। তিন খণ্ডে লেখা এই বইটা পড়ুন। সবশেষে পড়ুন অন্যান্য বিশ্লেষণধর্মী বই।
পরের উল্লেখ করা বইগুলোর চেয়েও ভালো, দরকারি ও উন্নত বই থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের জানাশোনা মতে প্রকাশনার মান, সহজপাঠ্য, সহজবোধ ও সহজলভ্য যে-বাংলা বইগুলো প্রথম পর্যায়ে পাঠকদের বলা যায় বলে মনে হয়েছে, সেগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে।
আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন। আমীন।.
মহানবী (সাঃ) এর জীবনী বিষয়ক শ্রেষ্ঠ বই কোনটি?
youtube
রাসূল সঃ এর শ্রেষ্ঠ জীবনী বই কোনটি?
youtube
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী এবং আমাদের শিক্ষা 
youtube
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী।
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী।
বাজারে নবীজি (সা.)–এর জীবনী তো কম নেই। কোন জীবনীটা পড়ব? নবীজি (সা.)–র কোন জীবনীটা উত্তম, এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়। একেক সময় একেকজনকে একেক বইয়ের কথা বলতে হয়। প্রশ্নকর্তার অবস্থা বুঝে উত্তর দেওয়া হয়।
তবে কোন জীবনীটা পড়ব—এই প্রশ্নের আগে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমি নবীজীবনী কেন পড়তে চাই? কীভাবে পড়তে চাই? তাঁর ধারাবাহিক জীবনী জানতে? তিনি কেমন ছিলেন সেটা জানতে? তাঁর মোজেযা বা অলৌকিক ঘটনাবলি জানতে? নাকি আরও গভীর কিছু?
নবীজি (সা.)–কে জানার জন্য মোটা দাগে পাঁচ ধরনের বই আছে।
 ১. ধারাবাহিক জীবনী
এ ধরনের জীবনীকে বলে সিরাত। একসময় বলা হতো ‘মাগাজি’ বা ‘সিয়ার’। নবীজি (সা.)–এর জন্মপূর্ব সময়, জন্ম ও বংশ পরিচয়, বেড়ে ওঠা, বিয়ে, নবুয়ত, মক্কাত্যাগ, মদিনা, সন্ধি, যুদ্ধ, মক্কা বিজয়—এই ধারাক্রমে যেসব বই লেখা তাকে ‘সিরাত’ গ্রন্থ বলে। যদি এভাবে জানা আপনার উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আপনি পড়তে পারেন নীচের যে-কোনওটি:
ক. সফিউর রহমান মোবারকপুরির লেখা আর রাহিকুল মাখতুম। দারুল হুদা কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত মীযান হারুনের অনুবাদ অথবা আয-যিহান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত কাজী আবুল কালাম সিদ্দিকের অনুবাদ পড়তে পারেন।
খ. আবুল হাসান আলি নদভির লেখা নবীয়ে রহমত। বাংলায় এর একটা অনুবাদই আছে আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলীর করা। মাকতাবাতুল হেরা থেকে প্রকাশিত।
গ. মওলানা আবুল কালাম আজাদের লেখা রসুলের রহমত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ।
৪. মাজিদ আলী খানের লেখা মুহাম্মাদ: দ্য ফাইনাল মেসেঞ্জার। গার্ডিয়ান প্রকাশনীর এ নামে একটা অনুবাদ নতুন প্রকাশ পেয়েছে। শেষ নবী নামে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদও আছে।
উপরের সবগুলো বিদেশি লেখকদের লেখা বই। আপনি যদি বাংলাভাষায় লেখা বাংলাদেশি কারও নবিজীবনী খোঁজেন, তাহলে একটা গ্রন্থের কথা বলা যায়—শাইখুল হাদিস মাওলানা মুহম্মদ তোফাজ্জল হোসাইনের লেখা হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স.) সমকালীন পরিবেশ ও জীবন। ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত।
২. ব্যক্তি নবী সম্পর্কিত
নবীজি ব্যক্তি হিসেবে কেমন ছিলেন, এটি সে ধরনের বই। একে বলে শামায়েল। এ ধরনের দুই রকমের হয়।
প্রথমত, নবীজি (সা.) দেখতে কেমন ছিলেন, তাঁর হাঁটাচলা–হাসি কেমন, তাঁর আকার ও শারীরিক গড়ন কেমন, তাঁর জীবনাচরণ ইত্যাদি কেমন—সে বিষয়ে। এসব বইয়ে তাঁর আত্মীয় ও পরিবারবর্গের স্মৃতিও অনেক লেখক নিয়ে আসেন।
তিরমিজি শরিফের লেখক ইমাম তিরমিজির লেখা শামায়েলে তিরমিজি এ বিষয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। বাংলায় পড়তে চাইলে আশরাফিয়া বুক হাউস থেকে প্রকাশিত মুফতী তাওহীদুল ইসলামের অনুবাদটা নিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, শামায়েল গ্রন্থকারেরা প্রথম দিকে কেবল নবীজির (সা.) দৈহিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে তাঁর প্রকৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করতেন। পরে আরও বিস্তৃতভাবে তাঁর ইবাদত-বন্দেগি, বিনয়, কোমলতা ইত্যাদি অন্যান্য দিক তুলে ধরা হতে থাকে। তাঁর নামাজ, তাকওয়া, আখলাক থেকে নিয়ে মানুষের সঙ্গে কিংবা স্রষ্টার সঙ্গে তাঁর আচরণ সঙ্কলন করতে থাকেন।
দুটি দিককেই অন্তর্ভুক্ত করে বইয়ের তালিকা দেওয়া যাক।
ক. সালেহ আহমদ শামীর লেখা মিন মায়িনিশ শামায়িল। ব্যক্তি ও নবী নামে আকিক পাবলিকেশন্স থেকে অনুবাদ বেরিয়েছে।
খ. আদিল সালাহির লেখা মুহাম্মাদ: ম্যান অ্যান্ড প্রফেট। আবু জাফরের অনুবাদে মানুষ ও রসুল মুহাম্মাদ নামে খোশরোজ কিতাব মহল এনেছে।
যারা কেবল শুধু দ্বিতীয় প্রকারে আগ্রহী, তাদের জন্য দুটি বইয়ের নাম বলা যাক।
ক. রাগিব সারজানির লেখা উসওয়াতুল লিল আলামিন। একই নামে শামীম আহমাদ অনুবাদ
করেছেন। মাকতাবাতুল হাসান থেকে প্রকাশিত। নবীজি: যার আদর্শে বিমোহিত পৃথিবী নামে একই বইয়ের আরেকটি অনুবাদ প্রকাশ করেছে মুহাম্মদ পাবলিকেশন।
খ. সালেহ আল মুনাজ্জিদের লেখা কাইফা আমালাহুম। বাংলায় যেমন ছিলেন তিনি নামে রুহামা পাবলিকেশন এটি ২ খণ্ডে প্রকাশ করেছে।
৩. মুজিজা সম্পর্কিত
মুজিজা মানে অলৌকিক ঘটনাবলি। নবীজীবনের এই ধরনটি একসময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। একে ‘দালায়িলুন নবি’ নামে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে দুটো বইয়ের নাম বলা যায়।
ক. জালালুদ্দিন সুয়ুতির লেখা খাসায়েসুল কুবরা। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান এর বাংলা অনুবাদ করেছেন। মদিনা পাবলিকেশান্স থেকে প্রকাশিত।
খ. মাওলানা হাবীবুর রহমানের লেখা লামিয়াতুল মুজিজাত। লেখক দেওবন্দের অধ্যক্ষ ছিলেন। কওমি মাদরাসায় এই বইটি পাঠ্য। কাব্যাকারে লেখা নবীজি (সা.)–র একশ মুজিজা এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে। মাকতাবাতুল ফাতাহ, ইসলামিয়া কুতুবখানা, আল কাউসার প্রকাশনী এর বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছে।
৪. বিষয়ভিত্তিক জীবনালেখ্য
নবীজীবনের বিভিন্ন অংশ নিয়ে রচিত গ্রন্থ। অজস্র বই আছে এই ধরনে। উদাহরণ হিসেবে কয়েকটা বইয়ের নাম তুলে দেওয়া হলো।
ক. আলী সাল্লাবির লেখা গাযওয়াতুর রসুল। নবীজির যুদ্ধ জীবন: পাঠ ও পর্যালোচনা শিরোনামে অনুবাদ করেছেন কাজী আবুল কালাম সিদ্দিক। আকিক পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত।
খ. ফয়সাল বিন আলী বাদানীর লেখা হাকাজা কানা-ন্নাবী (স.) ফি রমাদান। রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন শিরোনামে অনুবাদ করেছেন কাউসার বিন খালেদ। ইসলাম হাউস থেকে প্রকাশিত।
গ. সালেহ আল মুনাজ্জিদের লেখা নবীজির সংসার। প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল আসলাফ।
ঘ. ইবনুল কায়্যিম জাওযির লেখা আল্লাহর রসুল কিভাবে নামাজ পড়তেন। আবদুস শহিদ নাসিমের
অনুবাদে বই প্রকাশ করেছে বর্ণালী বুক সেন্টার।
ঙ. মাওলানা মুস্তফা খন্দকার সঙ্কলিত নবীজি (সা.) বয়ান’। প্রকাশক মাকতাবাতুল ইসলাম।
চ. বুলবুল সরোয়ার লিখিত নবিজীবনের শত বিষয়। প্রকাশক চমনপ্রকাশ।
৫. নবীজীবনের বিশ্লেষণ
নবীজি (সা.) বিভিন্ন কর্মতৎপরতা আধুনিক সময়ের ভাষায় বিশ্লেষণ করা হয় এই বিভাগে। যেমন হিশাম আওয়াদির বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ, অনুবাদক মাসুদ শরীফ। রামাজান আল বুতির ফিকহুস সিরাহ, তারিক রামাদানের ফুটস্টেপ অব প্রোফেট, মির্জা ইওয়ার বেগের লিডারশিপ লেসনস ইত্যাদি। সবগুলো বইয়েরই একই নামে অনুবাদ আছে।
বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কারপ্রাপ্ত একমাত্র বাংলাদেশি লেখক মোহর আলী রচিত একটি অসামান্য গ্রন্থ সিরাতুন্নবি অ্যান্ড দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত সীরাত বিশ্বকোষ অষ্টম ও নবম খণ্ড এই বইটিরই অনুবাদ।
 আরও কিছু ভালো বই
এ ছাড়াও নবীজীবন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিরীক্ষামূলক বইপুস্তক আছে। যেমন, মওলুদুন্নবি ধরনের কিছু বই আছে। এটি নবীজি (সা.)–এর জন্মবৃত্তান্তের বিবরণ। নবীজিকে নিয়ে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থও আছে—যেমন কাজী নজরুল ইসলামের মরুভাস্কর বা ফররুখ আহমদের সিরাজাম মুনীরা—যার কোনো কোনোটা ধারাবাহিক জীবনীর মতো, কোনোটা পুঁথির মতো।
শিশু-কিশোরদের নবীজীবনী
নবীজীবন নিয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কয়েটি ভালো বই এখন বাজারে আছে। যেমন:
ক. আবু তাহের মিসবাহের লেখা শিশু সীরাত সিরিজ। দারুল কলম থেকে প্রকাশিত।
খ. ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভির লেখা প্রিয় নবী। মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে প্রকাশিত।
গ. আবদুল আযীয আমানের লেখা একগুচ্ছ কিশোর-সীরাত সাহিত্য: নবীজীবনের নিউক্লিয়াস। বইকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত।
 শুরু থেকে জানতে হলে
কেউ যদি নবীজিকে প্রথম থেকে জানতে চান, তাহলে ওপরের ধরনগুলো সামনে রেখে একের পর এক ধারবাহিক পড়তে পারেন। অর্থাৎ, প্রথমে এক নম্বর বইগুলো, তারপর দ্বিতীয়—এভাবে।
একেবারে নতুন হলে প্রথমে সংক্ষিপ্ত সিরাত গ্রন্থ থেকে পড়লে ভালো। দুটি সংক্ষিপ্ত সিরাত বইয়ের নাম বলছি, যা এক বসায় আনন্দ নিয়ে পড়ে শেষ করা যায়।
ক. জুবাইর আহমদ আশরাফের লেখা সংক্ষিপ্ত সিরাত। দারুত তিবয়ান থেকে প্রকাশিত।
খ. মুসা আল হাফিজের মহানবীর জীবনপঞ্জি। মুহাম্মদ পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত।
এরপর পূর্ণাঙ্গ সিরাতগ্রন্থ পড়ুন। এরপর শামায়েল ধরুন। ব্যক্তি ও নবী পড়ুন। এরপর ফিকহুস সিরাহ পড়ুন। এই পর্যায়ে এসে একটা বইয়ের কথা বলি, যার কথা আগে বলা হয়নি। সেটি হলো ড. ইয়াসির কাজির সিরাত লেকচারের অনুবাদ মহানবি মুহাম্মদের (স) জীবন ও সময় (মাওলা ব্রাদার্স)। তিন খণ্ডে লেখা এই বইটা পড়ুন। সবশেষে পড়ুন অন্যান্য বিশ্লেষণধর্মী বই।
পরের উল্লেখ করা বইগুলোর চেয়েও ভালো, দরকারি ও উন্নত বই থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের জানাশোনা মতে প্রকাশনার মান, সহজপাঠ্য, সহজবোধ ও সহজলভ্য যে-বাংলা বইগুলো প্রথম পর্যায়ে পাঠকদের বলা যায় বলে মনে হয়েছে, সেগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে।
আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন। আমীন।.
মহানবী (সাঃ) এর জীবনী বিষয়ক শ্রেষ্ঠ বই কোনটি?
youtube
রাসূল সঃ এর শ্রেষ্ঠ জীবনী বই কোনটি?
youtube
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী এবং আমাদের শিক্ষা 
youtube
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
0 notes
ilyforallahswt · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী।
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী।
বাজারে নবীজি (সা.)–এর জীবনী তো কম নেই। কোন জীবনীটা পড়ব? নবীজি (সা.)–র কোন জীবনীটা উত্তম, এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়। একেক সময় একেকজনকে একেক বইয়ের কথা বলতে হয়। প্রশ্নকর্তার অবস্থা বুঝে উত্তর দেওয়া হয়।
তবে কোন জীবনীটা পড়ব—এই প্রশ্নের আগে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমি নবীজীবনী কেন পড়তে চাই? কীভাবে পড়তে চাই? তাঁর ধারাবাহিক জীবনী জানতে? তিনি কেমন ছিলেন সেটা জানতে? তাঁর মোজেযা বা অলৌকিক ঘটনাবলি জানতে? নাকি আরও গভীর কিছু?
নবীজি (সা.)–কে জানার জন্য মোটা দাগে পাঁচ ধরনের বই আছে।
 ১. ধারাবাহিক জীবনী
এ ধরনের জীবনীকে বলে সিরাত। একসময় বলা হতো ‘মাগাজি’ বা ‘সিয়ার’। নবীজি (সা.)–এর জন্মপূর্ব সময়, জন্ম ও বংশ পরিচয়, বেড়ে ওঠা, বিয়ে, নবুয়ত, মক্কাত্যাগ, মদিনা, সন্ধি, যুদ্ধ, মক্কা বিজয়—এই ধারাক্রমে যেসব বই লেখা তাকে ‘সিরাত’ গ্রন্থ বলে। যদি এভাবে জানা আপনার উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আপনি পড়তে পারেন নীচের যে-কোনওটি:
ক. সফিউর রহমান মোবারকপুরির লেখা আর রাহিকুল মাখতুম। দারুল হুদা কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত মীযান হারুনের অনুবাদ অথবা আয-যিহান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত কাজী আবুল কালাম সিদ্দিকের অনুবাদ পড়তে পারেন।
খ. আবুল হাসান আলি নদভির লেখা নবীয়ে রহমত। বাংলায় এর একটা অনুবাদই আছে আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলীর করা। মাকতাবাতুল হেরা থেকে প্রকাশিত।
গ. মওলানা আবুল কালাম আজাদের লেখা রসুলের রহমত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ।
৪. মাজিদ আলী খানের লেখা মুহাম্মাদ: দ্য ফাইনাল মেসেঞ্জার। গার্ডিয়ান প্রকাশনীর এ নামে একটা অনুবাদ নতুন প্রকাশ পেয়েছে। শেষ নবী নামে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদও আছে।
উপরের সবগুলো বিদেশি লেখকদের লেখা বই। আপনি যদি বাংলাভাষায় লেখা বাংলাদেশি কারও নবিজীবনী খোঁজেন, তাহলে একটা গ্রন্থের কথা বলা যায়—শাইখুল হাদিস মাওলানা মুহম্মদ তোফাজ্জল হোসাইনের লেখা হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স.) সমকালীন পরিবেশ ও জীবন। ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত।
২. ব্যক্তি নবী সম্পর্কিত
নবীজি ব্যক্তি হিসেবে কেমন ছিলেন, এটি সে ধরনের বই। একে বলে শামায়েল। এ ধরনের দুই রকমের হয়।
প্রথমত, নবীজি (সা.) দেখতে কেমন ছিলেন, তাঁর হাঁটাচলা–হাসি কেমন, তাঁর আকার ও শারীরিক গড়ন কেমন, তাঁর জীবনাচরণ ইত্যাদি কেমন—সে বিষয়ে। এসব বইয়ে তাঁর আত্মীয় ও পরিবারবর্গের স্মৃতিও অনেক লেখক নিয়ে আসেন।
তিরমিজি শরিফের লেখক ইমাম তিরমিজির লেখা শামায়েলে তিরমিজি এ বিষয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। বাংলায় পড়তে চাইলে আশরাফিয়া বুক হাউস থেকে প্রকাশিত মুফতী তাওহীদুল ইসলামের অনুবাদটা নিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, শামায়েল গ্রন্থকারেরা প্রথম দিকে কেবল নবীজির (সা.) দৈহিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে তাঁর প্রকৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করতেন। পরে আরও বিস্তৃতভাবে তাঁর ইবাদত-বন্দেগি, বিনয়, কোমলতা ইত্যাদি অন্যান্য দিক তুলে ধরা হতে থাকে। তাঁর নামাজ, তাকওয়া, আখলাক থেকে নিয়ে মানুষের সঙ্গে কিংবা স্রষ্টার সঙ্গে তাঁর আচরণ সঙ্কলন করতে থাকেন।
দুটি দিককেই অন্তর্ভুক্ত করে বইয়ের তালিকা দেওয়া যাক।
ক. সালেহ আহমদ শামীর লেখা মিন মায়িনিশ শামায়িল। ব্যক্তি ও নবী নামে আকিক পাবলিকেশন্স থেকে অনুবাদ বেরিয়েছে।
খ. আদিল সালাহির লেখা মুহাম্মাদ: ম্যান অ্যান্ড প্রফেট। আবু জাফরের অনুবাদে মানুষ ও রসুল মুহাম্মাদ নামে খোশরোজ কিতাব মহল এনেছে।
যারা কেবল শুধু দ্বিতীয় প্রকারে আগ্রহী, তাদের জন্য দুটি বইয়ের নাম বলা যাক।
ক. রাগিব সারজানির লেখা উসওয়াতুল লিল আলামিন। একই নামে শামীম আহমাদ অনুবাদ
করেছেন। মাকতাবাতুল হাসান থেকে প্রকাশিত। নবীজি: যার আদর্শে বিমোহিত পৃথিবী নামে একই বইয়ের আরেকটি অনুবাদ প্রকাশ করেছে মুহাম্মদ পাবলিকেশন।
খ. সালেহ আল মুনাজ্জিদের লেখা কাইফা আমালাহুম। বাংলায় যেমন ছিলেন তিনি নামে রুহামা পাবলিকেশন এটি ২ খণ্ডে প্রকাশ করেছে।
৩. মুজিজা সম্পর্কিত
মুজিজা মানে অলৌকিক ঘটনাবলি। নবীজীবনের এই ধরনটি একসময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। একে ‘দালায়িলুন নবি’ নামে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে দুটো বইয়ের নাম বলা যায়।
ক. জালালুদ্দিন সুয়ুতির লেখা খাসায়েসুল কুবরা। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান এর বাংলা অনুবাদ করেছেন। মদিনা পাবলিকেশান্স থেকে প্রকাশিত।
খ. মাওলানা হাবীবুর রহমানের লেখা লামিয়াতুল মুজিজাত। লেখক দেওবন্দের অধ্যক্ষ ছিলেন। কওমি মাদরাসায় এই বইটি পাঠ্য। কাব্যাকারে লেখা নবীজি (সা.)–র একশ মুজিজা এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে। মাকতাবাতুল ফাতাহ, ইসলামিয়া কুতুবখানা, আল কাউসার প্রকাশনী এর বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছে।
৪. বিষয়ভিত্তিক জীবনালেখ্য
নবীজীবনের বিভিন্ন অংশ নিয়ে রচিত গ্রন্থ। অজস্র বই আছে এই ধরনে। উদাহরণ হিসেবে কয়েকটা বইয়ের নাম তুলে দেওয়া হলো।
ক. আলী সাল্লাবির লেখা গাযওয়াতুর রসুল। নবীজির যুদ্ধ জীবন: পাঠ ও পর্যালোচনা শিরোনামে অনুবাদ করেছেন কাজী আবুল কালাম সিদ্দিক। আকিক পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত।
খ. ফয়সাল বিন আলী বাদানীর লেখা হাকাজা কানা-ন্নাবী (স.) ফি রমাদান। রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন শিরোনামে অনুবাদ করেছেন কাউসার বিন খালেদ। ইসলাম হাউস থেকে প্রকাশিত।
গ. সালেহ আল মুনাজ্জিদের লেখা নবীজির সংসার। প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল আসলাফ।
ঘ. ইবনুল কায়্যিম জাওযির লেখা আল্লাহর রসুল কিভাবে নামাজ পড়তেন। আবদুস শহিদ নাসিমের
অনুবাদে বই প্রকাশ করেছে বর্ণালী বুক সেন্টার।
ঙ. মাওলানা মুস্তফা খন্দকার সঙ্কলিত নবীজি (সা.) বয়ান’। প্রকাশক মাকতাবাতুল ইসলাম।
চ. বুলবুল সরোয়ার লিখিত নবিজীবনের শত বিষয়। প্রকাশক চমনপ্রকাশ।
৫. নবীজীবনের বিশ্লেষণ
নবীজি (সা.) বিভিন্ন কর্মতৎপরতা আধুনিক সময়ের ভাষায় বিশ্লেষণ করা হয় এই বিভাগে। যেমন হিশাম আওয়াদির বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ, অনুবাদক মাসুদ শরীফ। রামাজান আল বুতির ফিকহুস সিরাহ, তারিক রামাদানের ফুটস্টেপ অব প্রোফেট, মির্জা ইওয়ার বেগের লিডা��শিপ লেসনস ইত্যাদি। সবগুলো বইয়েরই একই নামে অনুবাদ আছে।
বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কারপ্রাপ্ত একমাত্র বাংলাদেশি লেখক মোহর আলী রচিত একটি অসামান্য গ্রন্থ সিরাতুন্নবি অ্যান্ড দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত সীরাত বিশ্বকোষ অষ্টম ও নবম খণ্ড এই বইটিরই অনুবাদ।
 আরও কিছু ভালো বই
এ ছাড়াও নবীজীবন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিরীক্ষামূলক বইপুস্তক আছে। যেমন, মওলুদুন্নবি ধরনের কিছু বই আছে। এটি নবীজি (সা.)–এর জন্মবৃত্তান্তের বিবরণ। নবীজিকে নিয়ে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থও আছে—যেমন কাজী নজরুল ইসলামের মরুভাস্কর বা ফররুখ আহমদের সিরাজাম মুনীরা—যার কোনো কোনোটা ধারাবাহিক জীবনীর মতো, কোনোটা পুঁথির মতো।
শিশু-কিশোরদের নবীজীবনী
নবীজীবন নিয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কয়েটি ভালো বই এখন বাজারে আছে। যেমন:
ক. আবু তাহের মিসবাহের লেখা শিশু সীরাত সিরিজ। দারুল কলম থেকে প্রকাশিত।
খ. ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভির লেখা প্রিয় নবী। মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে প্রকাশিত।
গ. আবদুল আযীয আমানের লেখা একগুচ্ছ কিশোর-সীরাত সাহিত্য: নবীজীবনের নিউক্লিয়াস। বইকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত।
 শুরু থেকে জানতে হলে
কেউ যদি নবীজিকে প্রথম থেকে জানতে চান, তাহলে ওপরের ধরনগুলো সামনে রেখে একের পর এক ধারবাহিক পড়তে পারেন। অর্থাৎ, প্রথমে এক নম্বর বইগুলো, তারপর দ্বিতীয়—এভাবে।
একেবারে নতুন হলে প্রথমে সংক্ষিপ্ত সিরাত গ্রন্থ থেকে পড়লে ভালো। দুটি সংক্ষিপ্ত সিরাত বইয়ের নাম বলছি, যা এক বসায় আনন্দ নিয়ে পড়ে শেষ করা যায়।
ক. জুবাইর আহমদ আশরাফের লেখা সংক্ষিপ্ত সিরাত। দারুত তিবয়ান থেকে প্রকাশিত।
খ. মুসা আল হাফিজের মহানবীর জীবনপঞ্জি। মুহাম্মদ পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত।
এরপর পূর্ণাঙ্গ সিরাতগ্রন্থ পড়ুন। এরপর শামায়েল ধরুন। ব্যক্তি ও নবী পড়ুন। এরপর ফিকহুস সিরাহ পড়ুন। এই পর্যায়ে এসে একটা বইয়ের কথা বলি, যার কথা আগে বলা হয়নি। সেটি হলো ড. ইয়াসির কাজির সিরাত লেকচারের অনুবাদ মহানবি মুহাম্মদের (স) জীবন ও সময় (মাওলা ব্রাদার্স)। তিন খণ্ডে লেখা এই বইটা পড়ুন। সবশেষে পড়ুন অন্যান্য বিশ্লেষণধর্মী বই।
পরের উল্লেখ করা বইগুলোর চেয়েও ভালো, দরকারি ও উন্নত বই থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের জানাশোনা মতে প্রকাশনার মান, সহজপাঠ্য, সহজবোধ ও সহজলভ্য যে-বাংলা বইগুলো প্রথম পর্যায়ে পাঠকদের বলা যায় বলে মনে হয়েছে, সেগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে।
আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন। আমীন।.
মহানবী (সাঃ) এর জীবনী বিষয়ক শ্রেষ্ঠ বই কোনটি?
youtube
রাসূল সঃ এর শ্রেষ্ঠ জীবনী বই কোনটি?
youtube
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী এবং আমাদের শিক্ষা 
youtube
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
0 notes
myreligionislam · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী।
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী।
বাজারে নবীজি (সা.)–এর জীবনী তো কম নেই। কোন জীবনীটা পড়ব? নবীজি (সা.)–র কোন জীবনীটা উত্তম, এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়। একেক সময় একেকজনকে একেক বইয়ের কথা বলতে হয়। প্রশ্নকর্তার অবস্থা বুঝে উত্তর দেওয়া হয়।
তবে কোন জীবনীটা পড়ব—এই প্রশ্নের আগে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমি নবীজীবনী কেন পড়তে চাই? কীভাবে পড়তে চাই? তাঁর ধারাবাহিক জীবনী জানতে? তিনি কেমন ছিলেন সেটা জানতে? তাঁর মোজেযা বা অলৌকিক ঘটনাবলি জানতে? নাকি আরও গভীর কিছু?
নবীজি (সা.)–কে জানার জন্য মোটা দাগে পাঁচ ধরনের বই আছে।
 ১. ধারাবাহিক জীবনী
এ ধরনের জীবনীকে বলে সিরাত। একসময় বলা হতো ‘মাগাজি’ বা ‘সিয়ার’। নবীজি (সা.)–এর জন্মপূর্ব সময়, জন্ম ও বংশ পরিচয়, বেড়ে ওঠা, বিয়ে, নবুয়ত, মক্কাত্যাগ, মদিনা, সন্ধি, যুদ্ধ, মক্কা বিজয়—এই ধারাক্রমে যেসব বই লেখা তাকে ‘সিরাত’ গ্রন্থ বলে। যদি এভাবে জানা আপনার উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আপনি পড়তে পারেন নীচের যে-কোনওটি:
ক. সফিউর রহমান মোবারকপুরির লেখা আর রাহিকুল মাখতুম। দারুল হুদা কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত মীযান হারুনের অনুবাদ অথবা আয-যিহান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত কাজী আবুল কালাম সিদ্দিকের অনুবাদ পড়তে পারেন।
খ. আবুল হাসান আলি নদভির লেখা নবীয়ে রহমত। বাংলায় এর একটা অনুবাদই আছে আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলীর করা। মাকতাবাতুল হেরা থেকে প্রকাশিত।
গ. মওলানা আবুল কালাম আজাদের লেখা রসুলের রহমত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ।
৪. মাজিদ আলী খানের লেখা মুহাম্মাদ: দ্য ফাইনাল মেসেঞ্জার। গার্ডিয়ান প্রকাশনীর এ নামে একটা অনুবাদ নতুন প্রকাশ পেয়েছে। শেষ নবী নামে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদও আছে।
উপরের সবগুলো বিদেশি লেখকদের লেখা বই। আপনি যদি বাংলাভাষায় লেখা বাংলাদেশি কারও নবিজীবনী খোঁজেন, তাহলে একটা গ্রন্থের কথা বলা যায়—শাইখুল হা���িস মাওলানা মুহম্মদ তোফাজ্জল হোসাইনের লেখা হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স.) সমকালীন পরিবেশ ও জীবন। ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত।
২. ব্যক্তি নবী সম্পর্কিত
নবীজি ব্যক্তি হিসেবে কেমন ছিলেন, এটি সে ধরনের বই। একে বলে শামায়েল। এ ধরনের দুই রকমের হয়।
প্রথমত, নবীজি (সা.) দেখতে কেমন ছিলেন, তাঁর হাঁটাচলা–হাসি কেমন, তাঁর আকার ও শারীরিক গড়ন কেমন, তাঁর জীবনাচরণ ইত্যাদি কেমন—সে বিষয়ে। এসব বইয়ে তাঁর আত্মীয় ও পরিবারবর্গের স্মৃতিও অনেক লেখক নিয়ে আসেন।
তিরমিজি শরিফের লেখক ইমাম তিরমিজির লেখা শামায়েলে তিরমিজি এ বিষয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। বাংলায় পড়তে চাইলে আশরাফিয়া বুক হাউস থেকে প্রকাশিত মুফতী তাওহীদুল ইসলামের অনুবাদটা নিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, শামায়েল গ্রন্থকারেরা প্রথম দিকে কেবল নবীজির (সা.) দৈহিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে তাঁর প্রকৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করতেন। পরে আরও বিস্তৃতভাবে তাঁর ইবাদত-বন্দেগি, বিনয়, কোমলতা ইত্যাদি অন্যান্য দিক তুলে ধরা হতে থাকে। তাঁর নামাজ, তাকওয়া, আখলাক থেকে নিয়ে মানুষের সঙ্গে কিংবা স্রষ্টার সঙ্গে তাঁর আচরণ সঙ্কলন করতে থাকেন।
দুটি দিককেই অন্তর্ভুক্ত করে বইয়ের তালিকা দেওয়া যাক।
ক. সালেহ আহমদ শামীর লেখা মিন মায়িনিশ শামায়িল। ব্যক্তি ও নবী নামে আকিক পাবলিকেশন্স থেকে অনুবাদ বেরিয়েছে।
খ. আদিল সালাহির লেখা মুহাম্মাদ: ম্যান অ্যান্ড প্রফেট। আবু জাফরের অনুবাদে মানুষ ও রসুল মুহাম্মাদ নামে খোশরোজ কিতাব মহল এনেছে।
যারা কেবল শুধু দ্বিতীয় প্রকারে আগ্রহী, তাদের জন্য দুটি বইয়ের নাম বলা যাক।
ক. রাগিব সারজানির লেখা উসওয়াতুল লিল আলামিন। একই নামে শামীম আহমাদ অনুবাদ
করেছেন। মাকতাবাতুল হাসান থেকে প্রকাশিত। নবীজি: যার আদর্শে বিমোহিত পৃথিবী নামে একই বইয়ের আরেকটি অনুবাদ প্রকাশ করেছে মুহাম্মদ পাবলিকেশন।
খ. সালেহ আল মুনাজ্জিদের লেখা কাইফা আমালাহুম। বাংলায় যেমন ছিলেন তিনি নামে রুহামা পাবলিকেশন এটি ২ খণ্ডে প্রকাশ করেছে।
৩. মুজিজা সম্পর্কিত
মুজিজা মানে অলৌকিক ঘটনাবলি। নবীজীবনের এই ধরনটি একসময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। একে ‘দালায়িলুন নবি’ নামে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে দুটো বইয়ের নাম বলা যায়।
ক. জালালুদ্দিন সুয়ুতির লেখা খাসায়েসুল কুবরা। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান এর বাংলা অনুবাদ করেছেন। মদিনা পাবলিকেশান্স থেকে প্রকাশিত।
খ. মাওলানা হাবীবুর রহমানের লেখা লামিয়াতুল মুজিজাত। লেখক দেওবন্দের অধ্যক্ষ ছিলেন। কওমি মাদরাসায় এই বইটি পাঠ্য। কাব্যাকারে লেখা নবীজি (সা.)–র একশ মুজিজা এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে। মাকতাবাতুল ফাতাহ, ইসলামিয়া কুতুবখানা, আল কাউসার প্রকাশনী এর বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছে।
৪. বিষয়ভিত্তিক জীবনালেখ্য
নবীজীবনের বিভিন্ন অংশ নিয়ে রচিত গ্রন্থ। অজস্র বই আছে এই ধরনে। উদাহরণ হিসেবে কয়েকটা বইয়ের নাম তুলে দেওয়া হলো।
ক. আলী সাল্লাবির লেখা গাযওয়াতুর রসুল। নবীজির যুদ্ধ জীবন: পাঠ ও পর্যালোচনা শিরোনামে অনুবাদ করেছেন কাজী আবুল কালাম সিদ্দিক। আকিক পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত।
খ. ফয়সাল বিন আলী বাদানীর লেখা হাকাজা কানা-ন্নাবী (স.) ফি রমাদান। রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন শিরোনামে অনুবাদ করেছেন কাউসার বিন খালেদ। ইসলাম হাউস থেকে প্রকাশিত।
গ. সালেহ আল মুনাজ্জিদের লেখা নবীজির সংসার। প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল আসলাফ।
ঘ. ইবনুল কায়্যিম জাওযির লেখা আল্লাহর রসুল কিভাবে নামাজ পড়তেন। আবদুস শহিদ নাসিমের
অনুবাদে বই প্রকাশ করেছে বর্ণালী বুক সেন্টার।
ঙ. মাওলানা মুস্তফা খন্দকার সঙ্কলিত নবীজি (সা.) বয়ান’। প্রকাশক মাকতাবাতুল ইসলাম।
চ. বুলবুল সরোয়ার লিখিত নবিজীবনের শত বিষয়। প্রকাশক চমনপ্রকাশ।
৫. নবীজীবনের বিশ্লেষণ
নবীজি (সা.) বিভিন্ন কর্মতৎপরতা আধুনিক সময়ের ভাষায় বিশ্লেষণ করা হয় এই বিভাগে। যেমন হিশাম আওয়াদির বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ, অনুবাদক মাসুদ শরীফ। রামাজান আল বুতির ফিকহুস সিরাহ, তারিক রামাদানের ফুটস্টেপ অব প্রোফেট, মির্জা ইওয়ার বেগের লিডারশিপ লেসনস ইত্যাদি। সবগুলো বইয়েরই একই নামে অনুবাদ আছে।
বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কারপ্রাপ্ত একমাত্র বাংলাদেশি লেখক মোহর আলী রচিত একটি অসামান্য গ্রন্থ সিরাতুন্নবি অ্যান্ড দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত সীরাত বিশ্বকোষ অষ্টম ও নবম খণ্ড এই বইটিরই অনুবাদ।
 আরও কিছু ভালো বই
এ ছাড়াও নবীজীবন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিরীক্ষামূলক বইপুস্তক আছে। যেমন, মওলুদুন্নবি ধরনের কিছু বই আছে। এটি নবীজি (সা.)–এর জন্মবৃত্তান্তের বিবরণ। নবীজিকে নিয়ে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থও আছে—যেমন কাজী নজরুল ইসলামের মরুভাস্কর বা ফররুখ আহমদের সিরাজাম মুনীরা—যার কোনো কোনোটা ধারাবাহিক জীবনীর মতো, কোনোটা পুঁথির মতো।
শিশু-কিশোরদের নবীজীবনী
নবীজীবন নিয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কয়েটি ভালো বই এখন বাজারে আছে। যেমন:
ক. আবু তাহের মিসবাহের লেখা শিশু সীরাত সিরিজ। দারুল কলম থেকে প্রকাশিত।
খ. ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভির লেখা প্রিয় নবী। মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে প্রকাশিত।
গ. আবদুল আযীয আমানের লেখা একগুচ্ছ কিশোর-সীরাত সাহিত্য: নবীজীবনের নিউক্লিয়াস। বইকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত।
 শুরু থেকে জানতে হলে
কেউ যদি নবীজিকে প্রথম থেকে জানতে চান, তাহলে ওপরের ধরনগুলো সামনে রেখে একের পর এক ধারবাহিক পড়তে পারেন। অর্থাৎ, প্রথমে এক নম্বর বইগুলো, তারপর দ্বিতীয়—এভাবে।
একেবারে নতুন হলে প্রথমে সংক্ষিপ্ত সিরাত গ্রন্থ থেকে পড়লে ভালো। দুটি সংক্ষিপ্ত সিরাত বইয়ের নাম বলছি, যা এক বসায় আনন্দ নিয়ে পড়ে শেষ করা যায়।
ক. জুবাইর আহমদ আশরাফের লেখা সংক্ষিপ্ত সিরাত। দারুত তিবয়ান থেকে প্রকাশিত।
খ. মুসা আল হাফিজের মহানবীর জীবনপঞ্জি। মুহাম্মদ পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত।
এরপর পূর্ণাঙ্গ সিরাতগ্রন্থ পড়ুন। এরপর শামায়েল ধরুন। ব্যক্তি ও নবী পড়ুন। এরপর ফিকহুস সিরাহ পড়ুন। এই পর্যায়ে এসে একটা বইয়ের কথা বলি, যার কথা আগে বলা হয়নি। সেটি হলো ড. ইয়াসির কাজির সিরাত লেকচারের অনুবাদ মহানবি মুহাম্মদের (স) জীবন ও সময় (মাওলা ব্রাদার্স)। তিন খণ্ডে লেখা এই বইটা পড়ুন। সবশেষে পড়ুন অন্যান্য বিশ্লেষণধর্মী বই।
পরের উল্লেখ করা বইগুলোর চেয়েও ভালো, দরকারি ও উন্নত বই থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের জানাশোনা মতে প্রকাশনার মান, সহজপাঠ্য, সহজবোধ ও সহজলভ্য যে-বাংলা বইগুলো প্রথম পর্যায়ে পাঠকদের বলা যায় বলে মনে হয়েছে, সেগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে।
আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন। আমীন।.
মহানবী (সাঃ) এর জীবনী বিষয়ক শ্রেষ্ঠ বই কোনটি?
youtube
রাসূল সঃ এর শ্রেষ্ঠ জীবনী বই কোনটি?
youtube
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী এবং আমাদের শিক্ষা 
youtube
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
Biography of Prophet Muhammad (PBUH)
মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়ব
0 notes