#ফাতিহার অর্থ
Explore tagged Tumblr posts
Text
#islam#islamic#islamic video#Muslim shoilee#the opener#quran recitation#ফাতিহার অর্থ#সূরা ফাতিহা আরবি লেখা#sura fatiha fojilot#surah fatiha#সূরা ফাতিহা#সূরা ফাতিহা আরবি#সূরা ফাতিহার অনুবাদ#muslim shoili#surah#fatiha#fatiha ortho#fatiha surah#best quran recitation#সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ#sura fatiha bangla#সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি#fatiha meaning#surat al-fatihah#ফাতিহা সূরা#সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত অর্থসহ#মুসলিম শৈলী#sura fatiha in English#quran tilawat#quran
0 notes
Text
মহানবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
youtube
youtube
youtube
youtube
কুরআনের যে সুরা দোয়া ও শেফা
কুরআনুল কারিম। যার প্রতিটি অক্ষর, শব্দ ও বাক্য ফজিলত ও বরকতে ��রপুর। এ আসমানি কিতাবের প্রথম সুরা এমনি এক ফজিলত ও বরকতময় সুরা। যা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরত্বপূর্ণ দোয়া ও রোগ থেকে মুক্তির শেফা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভের একেবারেই প্রথম দিকে পুরো সুরাটি একসঙ্গে নাজিল হয়। যে সুরা পড়া ছাড়া মুমিনের নামাজ হয় না। এ সুরাটি পবিত্র কুরআনের ভূমিকাও বটে।
মুমিন মুসলমানের জন্য এ সুরাটি হচ্ছে দোয়া। যে কোনো ব্যক্তিই কুরআন পড়া শুরু করলে আল্লাহ তাআলা তাকে প্রথমেই এ দোয়াটিই শিখিয়ে দেন। আর এ কারণে সুরাটিকে কুরআনুল কারিমের প্রথম সুরা হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে।
মানুষের যে জিনিসের আকাঙ্খা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে জিনিস লাভের প্রার্থনাই বেশি করে থাকে। দুনিয়াতে মানুষের সবচেয়ে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাহলো হেদায়েত ও সঠিক পথ পাওয়া। আর তা পেতে হলে প্রয়োজন কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়া। কুরআনের নেয়ামত লাভের দোয়াই হলো এ সুরা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা ফাতিহার তেলাওয়াত ও আমলের মাধ্যমে অসুস্থতা ও সমস্যা থেকে মুক্তির পাশাপাশি সুরাটি যাবতীয় ফজিলত ও বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। সুরার হক অনুযায়ী ইবাদত ও সাহায্য প্রার্থনার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কিয়ামতের দিন যে দোয়ার ওজন সবচেয়ে ভারী হবে
The Dua that will Weight the Heaviest on the Day of Judgment
রাসুল (সা.) উম্মতকে অসংখ্য দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি এমনকিছু আমলের কথা বলেছেন যা আকারে খুবই কম ও সংক্ষিপ্ত হলেও এর সওয়াব অনেক বেশি। নিম্নে এমন একটি উল্লেখ করা হলো-
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি, ওয়ারিদা নাফসিহি, ওয়াজিনাতা আরশিহি, ওয়ামিদাদা কালিমাতিহি।
অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা সমপরিমাণ, মহান সত্ত্বার সন্তুষ্টির পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর বাক্যগুলোর কালির পরিমাণ।
হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) উম্মুল মুমিনিন জুয়াইরিয়া (রা.)-এর ঘর থেকে বের হন। তখন জুয়াইরিয়া (রা.) নিজের নামাজের স্থানে ছিলেন। অতঃপর রাসুল (সা.) ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন।
অতঃপর রাসুল (সা.) আবার বের হন এবং আবার ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন। তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি কি এখনো তোমার নামাজের স্থানে রয়েছ!’
জুয়াইরিয়া (রা.) বলেন, হ্যাঁ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমার স্থান থেকে গিয়ে চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি।
এ সময়ে তুমি যা পড়েছ তার সঙ্গে ওইসব বাক্যের ওজন করা হলে তাই ভারি হবে।’ অতঃপর তিনি দোয়াটি পড়েন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৩)
নবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
#কুরআনেরশেফা#QuranicPrayer#QuranicCure#দোয়া#শেফা#Prayer#Cure#QuranicDua#RabbanaDua#কুরআনেরদুয়া#দুআ#বিচারদিবস#কিয়ামত#ওজন#সবচেয়েভারী#The Dua that will Weigh the Heaviest on the Day of Judgment#prayer#Dua#Judgment#DayofJudgment#Weight#Heaviest#Youtube
0 notes
Text
মহানবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কুরআনের যে সুরা দোয়া ও শেফা
কুরআনুল কারিম। যার প্রতিটি অক্ষর, শব্দ ও বাক্য ফজিলত ও বরকতে ভরপুর। এ আসমানি কিতাবের প্রথম সুরা এমনি এক ফজিলত ও বরকতময় সুরা। যা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরত্বপূর্ণ দোয়া ও রোগ থেকে মুক্তির শেফা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভের একেবারেই প্রথম দিকে পুরো সুরাটি একসঙ্গে নাজিল হয়। যে সুরা পড়া ছাড়া মুমিনের নামাজ হয় না। এ সুরাটি পবিত্র কুরআনের ভূমিকাও বটে।
মুমিন মুসলমানের জন্য এ সুরাটি হচ্ছে দোয়া। যে কোনো ব্যক্তিই কুরআন পড়া শুরু করলে আল্লাহ তাআলা তাকে প্রথমেই এ দোয়াটিই শিখিয়ে দেন। আর এ কারণে সুরাটিকে কুরআনুল কারিমের প্রথম সুরা হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে।
মানুষের যে জিনিসের আকাঙ্খা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে জিনিস লাভের প্রার্থনাই বেশি করে থাকে। দুনিয়াতে মানুষের সবচেয়ে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাহলো হেদায়েত ও সঠিক পথ পাওয়া। আর তা পেতে হলে প্রয়োজন কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়া। কুরআনের নেয়ামত লাভের দোয়াই হলো এ সুরা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা ফাতিহার তেলাওয়াত ও আমলের মাধ্যমে অসুস্থতা ও সমস্যা থেকে মুক্তির পাশাপাশি সুরাটি যাবতীয় ফজিলত ও বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। সুরার হক অনুযায়ী ইবাদত ও সাহায্য প্রার্থনার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কিয়ামতের দিন যে দোয়ার ওজন সবচেয়ে ভারী হবে
The Dua that will Weight the Heaviest on the Day of Judgment
রাসুল (সা.) উম্মতকে অসংখ্য দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি এমনকিছু আমলের কথা বলেছেন যা আকারে খুবই কম ও সংক্ষিপ্ত হলেও এর সওয়াব অনেক বেশি। নিম্নে এমন একটি উল্লেখ করা হলো-
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি, ওয়ারিদা নাফসিহি, ওয়াজিনাতা আরশিহি, ওয়ামিদাদা কালিমাতিহি।
অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা সমপরিমাণ, মহান সত্ত্বার সন্তুষ্টির পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর বাক্যগুলোর কালির পরিমাণ।
হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) উম্মুল মুমিনিন জুয়াইরিয়া (রা.)-এর ঘর থেকে বের হন। তখন জুয়াইরিয়া (রা.) নিজের নামাজের স্থানে ছিলেন। অতঃপর রাসুল (সা.) ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন।
অতঃপর রাসুল (সা.) আবার বের হন এবং আবার ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন। তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি কি এখনো তোমার নামাজের স্থানে রয়েছ!’
জুয়াইরিয়া (রা.) বলেন, হ্যাঁ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমার স্থান থেকে গিয়ে চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি।
এ সময়ে তুমি যা পড়েছ তার সঙ্গে ওইসব বাক্যের ওজন করা হলে তাই ভারি হবে।’ অতঃপর তিনি দোয়াটি পড়েন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৩)
নবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
#কুরআনেরশেফা#QuranicPrayer#QuranicCure#দোয়া#শেফা#Prayer#Cure#QuranicDua#RabbanaDua#কুরআনেরদুয়া#দুআ#বিচারদিবস#কিয়ামত#ওজন#সবচেয়েভারী#The Dua that will Weigh the Heaviest on the Day of Judgment#prayer#Dua#Judgment#DayofJudgment#Weight#Heaviest#Youtube
0 notes
Text
মহানবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কুরআনের যে সুরা দোয়া ও শেফা
কুরআনুল কারিম। যার প্রতিটি অক্ষর, শব্দ ও বাক্য ফজিলত ও বরকতে ভরপুর। এ আসমানি কিতাবের প্রথম সুরা এমনি এক ফজিলত ও বরকতময় সুরা। যা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরত্বপূর্ণ দোয়া ও রোগ থেকে মুক্তির শেফা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভের একেবারেই প্রথম দিকে পুরো সুরাটি একসঙ্গে নাজিল হয়। যে সুরা পড়া ছাড়া মুমিনের নামাজ হয় না। এ সুরাটি পবিত্র কুরআনের ভূমিকাও বটে।
মুমিন মুসলমানের জন্য এ সুরাটি হচ্ছে দোয়া। যে কোনো ব্যক্তিই কুরআন পড়া শুরু করলে আল্লাহ তাআলা তাকে প্রথমেই এ দোয়াটিই শিখিয়ে দেন। আর এ কারণে সুরাটিকে কুরআনুল কারিমের প্রথম সুরা হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে।
মানুষের যে জিনিসের আকাঙ্খা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে জিনিস লাভের প্রার্থনাই বেশি করে থাকে। দুনিয়াতে মানুষের সবচেয়ে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাহলো হেদায়েত ও সঠিক পথ পাওয়া। আর তা পেতে হলে প্রয়োজন কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়া। কুরআনের নেয়ামত লাভের দোয়াই হলো এ সুরা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা ফাতিহার তেলাওয়াত ও আমলের মাধ্যমে অসুস্থতা ও সমস্যা থেকে মুক্তির পাশাপাশি সুরাটি যাবতীয় ফজিলত ও বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। সুরার হক অনুযায়ী ইবাদত ও সাহায্য প্রার্থনার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কিয়ামতের দিন যে দোয়ার ওজন সবচেয়ে ভারী হবে
The Dua that will Weight the Heaviest on the Day of Judgment
রাসুল (সা.) উম্মতকে অসংখ্য দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি এমনকিছু আমলের কথা বলেছেন যা আকারে খুবই কম ও সংক্ষিপ্ত হলেও এর সওয়াব অনেক বেশি। নিম্নে এমন একটি উল্লেখ করা হলো-
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি, ওয়ারিদা নাফসিহি, ওয়াজিনাতা আরশিহি, ওয়ামিদাদা কালিমাতিহি।
অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা সমপরিমাণ, মহান সত্ত্বার সন্তুষ্টির পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর বাক্যগুলোর কালির পরিমাণ।
হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) উম্মুল মুমিনিন জুয়াইরিয়া (রা.)-এর ঘর থেকে বের হন। তখন জুয়াইরিয়া (রা.) নিজের নামাজের স্থানে ছিলেন। অতঃপর রাসুল (সা.) ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন।
অতঃপর রাসুল (সা.) আবার বের হন এবং আবার ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন। তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি কি এখনো তোমার নামাজের স্থানে রয়েছ!’
জুয়াইরিয়া (রা.) বলেন, হ্যাঁ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমার স্থান থেকে গিয়ে চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি।
এ সময়ে তুমি যা পড়েছ তার সঙ্গে ওইসব বাক্যের ওজন করা হলে তাই ভারি হবে।’ অতঃপর তিনি দোয়াটি পড়েন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৩)
নবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
#কুরআনেরশেফা#QuranicPrayer#QuranicCure#দোয়া#শেফা#Prayer#Cure#QuranicDua#RabbanaDua#কুরআনেরদুয়া#দুআ#বিচারদিবস#কিয়ামত#ওজন#সবচেয়েভারী#The Dua that will Weigh the Heaviest on the Day of Judgment#prayer#Dua#Judgment#DayofJudgment#Weight#Heaviest#Youtube
0 notes
Text
মহানবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কুরআনের যে সুরা দোয়া ও শেফা
কুরআনুল কারিম। যার প্রতিটি অক্ষর, শব্দ ও বাক্য ফজিলত ও বরকতে ভরপুর। এ আসমানি কিতাবের প্রথম সুরা এমনি এক ফজিলত ও বরকতময় সুরা। যা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরত্বপূর্ণ দোয়া ও রোগ থেকে মুক্তির শেফা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভের একেবারেই প্রথম দিকে পুরো সুরাটি একসঙ্গে নাজিল হয়। যে সুরা পড়া ছাড়া মুমিনের নামাজ হয় না। এ সুরাটি পবিত্র কুরআনের ভূমিকাও বটে।
মুমিন মুসলমানের জন্য এ সুরাটি হচ্ছে দোয়া। যে কোনো ব্যক্তিই কুরআন পড়া শুরু করলে আল্লাহ তাআলা তাকে প্রথমেই এ দোয়াটিই শিখিয়ে দেন। আর এ কারণে সুরাটিকে কুরআনুল কারিমের প্রথম সুরা হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে।
মানুষের যে জিনিসের আকাঙ্খা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে জিনিস লাভের প্রার্থনাই বেশি করে থাকে। দুনিয়াতে মানুষের সবচেয়ে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাহলো হেদায়েত ও সঠিক পথ পাওয়া। আর তা পেতে হলে প্রয়োজন কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়া। কুরআনের নেয়ামত লাভের দোয়াই হলো এ সুরা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা ফাতিহার তেলাওয়াত ও আমলের মাধ্যমে অসুস্থতা ও সমস্যা থেকে মুক্তির পাশাপাশি সুরাটি যাবতীয় ফজিলত ও বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। সুরার হক অনুযায়ী ইবাদত ও সাহায্য প্রার্থনার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কিয়ামতের দিন যে দোয়ার ওজন সবচেয়ে ভারী হবে
The Dua that will Weight the Heaviest on the Day of Judgment
রাসুল (সা.) উম্মতকে অসংখ্য দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি এমনকিছু আমলের কথা বলেছেন যা আকারে খুবই কম ও সংক্ষিপ্ত হলেও এর সওয়াব অনেক বেশি। নিম্নে এমন একটি উল্লেখ করা হলো-
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি, ওয়ারিদা নাফসিহি, ওয়াজিনাতা আরশিহি, ওয়ামিদাদা কালিমাতিহি।
অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা সমপরিমাণ, মহান সত্ত্বার সন্তুষ্টির পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর বাক্যগুলোর কালির পরিমাণ।
হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) উম্মুল মুমিনিন জুয়াইরিয়া (রা.)-এর ঘর থেকে বের হন। তখন জুয়াইরিয়া (রা.) নিজের নামাজের স্থানে ছিলেন। অতঃপর রাসুল (সা.) ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন।
অতঃপর রাসুল (সা.) আবার বের হন এবং আবার ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন। তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি কি এখনো তোমার নামাজের স্থানে রয়েছ!’
জুয়াইরিয়া (রা.) বলেন, হ্যাঁ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমার স্থান থেকে গিয়ে চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি।
এ সময়ে তুমি যা পড়েছ তার সঙ্গে ওইসব বাক্যের ওজন করা হলে তাই ভারি হবে।’ অতঃপর তিনি দোয়াটি পড়েন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৩)
নবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
#কুরআনেরশেফা#QuranicPrayer#QuranicCure#দোয়া#শেফা#Prayer#Cure#QuranicDua#RabbanaDua#কুরআনেরদুয়া#দুআ#বিচারদিবস#কিয়ামত#ওজন#সবচেয়েভারী#The Dua that will Weigh the Heaviest on the Day of Judgment#prayer#Dua#Judgment#DayofJudgment#Weight#Heaviest#Youtube
0 notes
Text
মহানবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কুরআনের যে সুরা দোয়া ও শেফা
কুরআনুল কারিম। যার প্রতিটি অক্ষর, শব্দ ও বাক্য ফজিলত ও বরকতে ভরপুর। এ আসমানি কিতাবের প্রথম সুরা এমনি এক ফজিলত ও বরকতময় সুরা। যা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরত্বপূর্ণ দোয়া ও রোগ থেকে মুক্তির শেফা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভের একেবারেই প্রথম দিকে পুরো সুরাটি একসঙ্গে নাজিল হয়। যে সুরা পড়া ছাড়া মুমিনের নামাজ হয় না। এ সুরাটি পবিত্র কুরআনের ভূমিকাও বটে।
মুমিন মুসলমানের জন্য এ সুরাটি হচ্ছে দোয়া। যে কোনো ব্যক্তিই কুরআন পড়া শুরু করলে আল্লাহ তাআলা তাকে প্রথমেই এ দোয়াটিই শিখিয়ে দেন। আর এ কারণে সুরাটিকে কুরআনুল কারিমের প্রথম সুরা হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে।
মানুষের যে জিনিসের আকাঙ্খা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে জিনিস লাভের প্রার্থনাই বেশি করে থাকে। দুনিয়াতে মানুষের সবচেয়ে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাহলো হেদায়েত ও সঠিক পথ পাওয়া। আর তা পেতে হলে প্রয়োজন কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়া। কুরআনের নেয়ামত লাভের দোয়াই হলো এ সুরা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা ফাতিহার তেলাওয়াত ও আমলের মাধ্যমে অসুস্থতা ও সমস্যা থেকে মুক্তির পাশাপাশি সুরাটি যাবতীয় ফজিলত ও বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। সুরার হক অনুযায়ী ইবাদত ও সাহায্য প্রার্থনার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কিয়ামতের দিন যে দোয়ার ওজন সবচেয়ে ভারী হবে
The Dua that will Weight the Heaviest on the Day of Judgment
রাসুল (সা.) উম্মতকে অসংখ্য দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি এমনকিছু আমলের কথা বলেছেন যা আকারে খুবই কম ও সংক্ষিপ্ত হলেও এর সওয়াব অনেক বেশি। নিম্নে এমন একটি উল্লেখ করা হলো-
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি, ওয়ারিদা নাফসিহি, ওয়াজিনাতা আরশিহি, ওয়ামিদাদা কালিমাতিহি।
অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা সমপরিমাণ, মহান সত্ত্বার সন্তুষ্টির পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর বাক্যগুলোর কালির পরিমাণ।
হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) উম্মুল মুমিনিন জুয়াইরিয়া (রা.)-এর ঘর থেকে বের হন। তখন জুয়াইরিয়া (রা.) নিজের নামাজের স্থানে ছিলেন। অতঃপর রাসুল (সা.) ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন।
অতঃপর রাসুল (সা.) আবার বের হন এবং আবার ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন। তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি কি এখনো তোমার নামাজের স্থানে রয়েছ!’
জুয়াইরিয়া (রা.) বলেন, হ্যাঁ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমার স্থান থেকে গিয়ে চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি।
এ সময়ে তুমি যা পড়েছ তার সঙ্গে ওইসব বাক্যের ওজন করা হলে তাই ভারি হবে।’ অতঃপর তিনি দোয়াটি পড়েন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৩)
নবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
#কুরআনেরশেফা#QuranicPrayer#QuranicCure#দোয়া#শেফা#Prayer#Cure#QuranicDua#RabbanaDua#কুরআনেরদুয়া#দুআ#বিচারদিবস#কিয়ামত#ওজন#সবচেয়েভারী#The Dua that will Weigh the Heaviest on the Day of Judgment#prayer#Dua#Judgment#DayofJudgment#Weight#Heaviest#Youtube
0 notes
Text
মহানবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কুরআনের যে সুরা দোয়া ও শেফা
কুরআনুল কারিম। যার প্রতিটি অক্ষর, শব্দ ও বাক্য ফজিলত ও বরকতে ভরপুর। এ আসমানি কিতাবের প্রথম সুরা এমনি এক ফজিলত ও বরকতময় সুরা। যা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরত্বপূর্ণ দোয়া ও রোগ থেকে মুক্তির শেফা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভের একেবারেই প্রথম দিকে পুরো সুরাটি একসঙ্গে নাজিল হয়। যে সুরা পড়া ছাড়া মুমিনের নামাজ হয় না। এ সুরাটি পবিত্র কুরআনের ভূমিকাও বটে।
মুমিন মুসলমানের জন্য এ সুরাটি হচ্ছে দোয়া। যে কোনো ব্যক্তিই কুরআন পড়া শুরু করলে আল্লাহ তাআলা তাকে প্রথমেই এ দোয়াটিই শিখিয়ে দেন। আর এ কারণে সুরাটিকে কুরআনুল কারিমের প্রথম সুরা হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে।
মানুষের যে জিনিসের আকাঙ্খা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে জিনিস লাভের প্রার্থনাই বেশি করে থাকে। দুনিয়াতে মানুষের সবচেয়ে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাহলো হেদায়েত ও সঠিক পথ পাওয়া। আর তা পেতে হলে প্রয়োজন কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়া। কুরআনের নেয়ামত লাভের দোয়াই হলো এ সুরা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা ফাতিহার তেলাওয়াত ও আমলের মাধ্যমে অসুস্থতা ও সমস্যা থেকে মুক্তির পাশাপাশি সুরাটি যাবতীয় ফজিলত ও বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। সুরার হক অনুযায়ী ইবাদত ও সাহায্য প্রার্থনার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
কিয়ামতের দিন যে দোয়ার ওজন সবচেয়ে ভারী হবে
The Dua that will Weight the Heaviest on the Day of Judgment
রাসুল (সা.) উম্মতকে অসংখ্য দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি এমনকিছু আমলের কথা বলেছেন যা আকারে খুবই কম ও সংক্ষিপ্ত হলেও এর সওয়াব অনেক বেশি। নিম্নে এমন একটি উল্লেখ করা হলো-
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি, ওয়ারিদা নাফসিহি, ওয়াজিনাতা আরশিহি, ওয়ামিদাদা কালিমাতিহি।
অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা সমপরিমাণ, মহান সত্ত্বার সন্তুষ্টির পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর বাক্যগুলোর কালির পরিমাণ।
হাদিস : ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) উম্মুল মুমিনিন জুয়াইরিয়া (রা.)-এর ঘর থেকে বের হন। তখন জুয়াইরিয়া (রা.) নিজের নামাজের স্থানে ছিলেন। অতঃপর রাসুল (সা.) ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন।
অতঃপর রাসুল (সা.) আবার বের হন এবং আবার ফিরে আসেন। তখনও জুয়াইরিয়া (রা.) নামাজের স্থানে ছিলেন। তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি কি এখনো তোমার নামাজের স্থানে রয়েছ!’
জুয়াইরিয়া (রা.) বলেন, হ্যাঁ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমার স্থান থেকে গিয়ে চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি।
এ সময়ে তুমি যা পড়েছ তার সঙ্গে ওইসব বাক্যের ওজন করা হলে তাই ভারি হবে।’ অতঃপর তিনি দোয়াটি পড়েন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৩)
নবী (সা.) এর দোয়া
কুরআনের দোয়া
#কুরআনেরশেফা#QuranicPrayer#QuranicCure#দোয়া#শেফা#Prayer#Cure#QuranicDua#RabbanaDua#কুরআনেরদুয়া#দুআ#বিচারদিবস#কিয়ামত#ওজন#সবচেয়েভারী#The Dua that will Weigh the Heaviest on the Day of Judgment#prayer#Dua#Judgment#DayofJudgment#Weight#Heaviest#Youtube
0 notes
Text
সূরা ফাতিহা পড়ার উপকারিতা - The Benefits of Reading Surah Al-Fatiha
সূরা ফাতিহা হল পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরা, যা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ সূরাগুলোর মধ্যে একটি। এটি সাতটি আয়াত নিয়ে গঠিত, এবং এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি নামাজের মধ্যে সূরা ফাতিহা আবশ্যক, কারণ এটি আল্লাহর প্রশংসা, ইবাদত, এবং পথ নির্দেশনার জন্য আমাদের প্রার্থনা।
১. আল্লাহর প্রশংসা ও দয়া প্রাপ্তির মাধ্যম
সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াতে আল্লাহর প্রশংসা করা হয়:
"আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন"
অর্থাৎ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। আল্লাহর দয়া ও করুণার প্রশংসা সূরা ফাতিহার মাধ্যমে করা হয়, যা আমাদের প্রতি আল্লাহর অসীম রহমত প্রকাশ করে।
২. নামাজের মূল স্তম্ভ
নামাজের প্রতিটি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়া বাধ্যতামূলক। এটি ছাড়া নামাজ পূর্ণ হয় না। নামাজের সময় সূরা ফাতিহা পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রশংসা ও সাহায্য প্রার্থনা করি। তাই প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে এই সূরা পড়া মুসলমানদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
৩. পথ প্রদর্শনের জন্য দোয়া
এই সূরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আল্লাহর কাছে সঠিক পথের জন্য দোয়া করা।
"ইহদিনাস্ সিরাতাল মুস্তাকীম"
অর্থাৎ, আমাদেরকে সরল পথ দেখাও। এই আয়াতটি আমাদেরকে আল্লাহর নিকট সঠিক জীবনযাপনের পথ নির্দেশনার জন্য প্রার্থনা করতে উদ্বুদ্ধ করে। মুসলিম জীবনে সঠিক পথ অনুসরণ করার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
হাদিসে উল্লেখ আছে যে, সূরা ফাতিহা পড়া অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি মাধ্যম। এটি আল্লাহর কাছ থেকে শিফা প্রার্থনার একটি সুন্দর দোয়া। বিভিন্ন সময় শরীরিক ও মানসিক সমস্যায় সূরা ফাতিহা পড়ে আল্লাহর সাহায্য চাইলে শান্তি পাওয়া যায়।
৫. বিপদে সাহায্যের জন্য
জীবনে যখন আমরা কোনো বিপদে পড়ি, তখন সূরা ফাতিহা পড়া আমাদেরকে সেই বিপদ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। আল্লাহর সাহায্য ও রহমত কামনার জন্য এটি একটি প্রভাবশালী দোয়া।
Madrasatu Nurul 'Ilm এ সূরা ফাতিহা শিক্ষা
আমাদের অনলাইন মাদরাসা Madrasatu Nurul 'Ilm আপনাদেরকে সূরা ফাতিহা সহ কুরআনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সূরা ও আয়াত শিখতে সাহায্য করে। নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের অনলাইন কোর্সগুলো অত্যন্ত সহজ ও সুগঠিত। কুরআন শিক্ষা পেতে চাইলে আমাদের মাদরাসায় যোগ দিন এবং সম্পূর্ণ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ঘরে বসে কুরআন শেখার সুযোগ নিন।
আমাদের মাদরাসায় বিশেষ করে নতুনদের জন্য কুরআন শিক্ষা সহজ করার উপর জোর দেওয়া হয়। তাই যারা সূরা ফাতিহা সঠিকভাবে শিখতে চান বা আরও গভীরভাবে এর অর্থ ও উপকারিতা জানতে চান, তারা আমাদের কোর্সে অংশ নিতে পারেন।
উপসংহার
সূরা ফাতিহা শুধুমাত্র নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়, এটি একটি অসাধারণ দোয়া যা আল্লাহর রহমত এবং পথ নির্দেশনা প্রার্থনা করার অন্যতম মাধ্যম। নিয়মিত সূরা ফাতিহা পাঠ করলে আমরা আল্লাহর নিকট থেকে শান্তি, ��হমত এবং সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা লাভ করতে পারি।
Madrasatu Nurul 'Ilm অনলাইন মাদরাসায় সূরা ফাতিহা সহ অন্যান্য কুরআনি শিক্ষার জন্য আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছে। দ্রুত নিবন্ধন করে আপনি আমাদের শিক্ষামূলক সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
0 notes
Photo
সূরা আল ফাতিহা
সমগ্র কোরআনের সার-সংক্ষেপ
সূরা আল ফাতিহা (আরবি: سورة الفاتحة) মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনের প্রথম সূরা।
আরবি থেকে বাংলা অনুবাদ ও অর্থ-
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম।
অনুবাদ : শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন।
অনুবাদ : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ : আররহমা-নির রাহি-ম।
অনুবাদ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
উচ্চারণ : মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।
অনুবাদ : বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
উচ্চারণ : ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন
অনুবাদ : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
উচ্চারণ : ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম
অনুবাদ : আমাদের সরল পথ দেখাও।
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
উচ্চারণ : সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।
অনুবাদ : সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
এর শ্রেণী: মক্কী সূরা।
নামের অর্থ: শুরু।
অন্য নাম: উম্মুল কিতাব, চাবি, উম্মুল কোরআন, সূরা আল হামদ।
অবতীর্ণ হওয়ার সময়: নবী মোহাম্মদ-এর নবুয়্যত প্রাপ্তির শুরুর দিকে।
পরিসংখ্যান-
সূরার ক্রম: ১
আয়াতের সংখ্যা: ৭
পারার ক্রম: ১
রুকুর সংখ্যা: ১
বিশেষ বিষয় সম্পর্কে আয়াতের সংখ্যা-
আল্লাহর প্রশংসা: ৩
স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে সম্পর্ক: ১
মানবজাতির প্রার্থনা: ৩
পরবর্তী সূরা: সূরা আল-বাকারা
ফাতিহা শব্দটি আরবি ‘ফাতহুন’ শব্দজাত যার অর্থ ‘উন্মুক্তকরণ’। এটি আল্লহ`র তরফ থেকে বিশেষ উপহার। সূরা ফাতিহা অন্যান্য সূরার ন্যায় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম দিয়ে শুরু। আল ফাতিহা সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে বিধায় মক্কী সূরা হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ।
নামকরণ:
এ সূরার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এর এই নামকরণ করা হয়েছে। যার সাহায্যে কোনো বিষয়, গ্রন্থ বা জিনিসের উদ্বোধন করা হয় তাকে ‘ফাতিহা’ বলা হয়। অন্য কথায় বলা যায়, এ শব্দটি ভূমিকা এবং বক্তব্য শুরু করার অর্থ প্রকাশ করে।
নাজিল হওয়ার সময়-কাল:
এ সূরাটি প্রিয়নবী হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াত লাভের একেবারেই প্রথম যুগের সূরা। এটি মুহম্মদ (সা.) এর ওপর নাজিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা। এর আগে মাত্র বিচ্ছিন্ন কিছু আয়াত নাজিল হয়েছিল। সেগুলো সূরা ‘আলাক্ব’, ‘মুয্যাম্মিল’ ও ‘মুদ্দাস্সির’ ইত্যাদিতে সন্নিবেশিত হয়েছে:
বিষয়বস্তু:
আসলে এ সূরাটি হচ্ছে একটি দোয়া। যেকোনো ব্যক্তি এ গ্রন্থটি পড়তে শুরু করলে আল্লাহ প্রথমে তাকে এ দোয়াটি শিখিয়ে দেন। গ্রন্থের শুরুতে এর স্থান দেয়ার অর্থই হচ্ছে এই যে, যদি যথার্থই এ গ্রন্থ থেকে তুমি লাভবান হতে চাও, তাহলে নিখিল বিশ্ব-জাহানের মালিক মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহর কাছে দোয়া এবং সাহায্য প্রার্থনা করো।
মানুষের মনে যে বস্তুটির আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা থাকে স্বভাবত মানুষ সেটিই চায় এবং সে জন্য দোয়া করে। আবার এমন অবস্থায় সে এই দোয়া করে যখন অনুভব করে যে, যে সত্তার কাছে সে দোয়া করছে তার আকাংখিত বস্তুটি তারই কাছে আছে। কাজেই পবিত্র কোরআনের শুরুতে এই দোয়ার শিক্ষা দিয়ে যেন মানুষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, সত্য পথের সন্ধান লাভের জন্য এ গ্রন্থটি পড়, সত্য অনুসন্ধানের মানসিকতা নিয়ে এর পাতা ওলটাও এবং নিখিল বিশ্ব-জাহানের মালিক ও প্রভু মহান আল্লাহ হচ্ছেন জ্ঞানের একমাত্র উৎস। একথা জেনে নিয়ে একমাত্র তাঁর কাছেই পথনির্দেশনার আর্জি পেশ করেই এ গ্রন্থটি পাঠের সূচনা কর।
এ বিষয়টি অনুধাবন করার পর একথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, পবিত্র কোরআন ও সূরা ফাতিহার মধ্যকার আসল সম্পর্ক কোন বই ও তার ভূমিকার সম্পর্কের পর্যায়ভুক্ত নয়। বরং এ মধ্যকার আসল সম্পর্কটি দোয়া ও দোয়ার জবাবের পর্যায়ভুক্ত।
সূরা ফাতিহা বান্দার পক্ষ থেকে একটি দোয়া। আর পবিত্র কোরআন তার জবাব আল্লাহর পক্ষ থেকে। বান্দা দোয়া করে, হে মহান প্রভু! আমাকে পথ দেখাও। জবাবে মহান প্রভু এই বলে সমগ্র পবিত্র কোরআন তার সামনে রেখে দেন: এই নাও সেই হিদায়াত ও পথের দিশা যে জন্য তুমি আমার কাছে আবেদন জানিয়েছ।
বৈশিষ্ট্য:
এই সূরাটি পবিত্র কোরআনের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সূরা। প্রথমত: এ সূরা দ্বারাই পবিত্র কোরাআন আরম্ভ হয়েছে এবং এ সূরা দিয়েই সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত সালাত আরম্ভ হয়। অবতরণের দিক দিয়েও পূর্ণাঙ্গ সূরারুপে এটিই প্রথম নাজিল হয়। সূরা `ইকরা`, `আল-মুজাম্মিল` ও `আল-মুদ্দাসসির` এর ক`টি আয়াত অবশ্য সূরা আল-ফাতিহার পূর্বে অবতীর্ণ ���য়েছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সূরারূপে এ সূরার অবতরণই সর্বপ্রথম।
যে সকল সাহাবী (রা.) সূরা আল-ফাতিহা সর্বপ্রথম নাজিল হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন, তাদের সে বক্তব্যের অর্থ বোধহয় এই যে, পরিপূর্ণ সূরারূপে এর আগে আর কোনো সূরা নাজিল হয়নি। এ জন্যই এ সূরার নাম `ফাতিহাতুল-কিতাব` বা কোরআনের উপক্রমণিকা রাখা হয়েছে।
`সূরা আল ফাতিহা` এদিক দিয়ে সমগ্র কোরআনের সার-সংক্ষেপ। এ সূরায় সমগ্র কোরআনের সারমর্ম সংক্ষিপ্ত আকারে বলে দেয়া হয়েছে। কোরআনের অবশিষ্ট সূরাগুলো প্রকারান্তরে সূরা ফাতিহারই বিস্তৃত ব্যাখ্যা। তাই এ সূরাকে সহীহ হাদীসে `উম্মুল কিতাব`, `উম্মুল কোরআন`, `কোরানে আযীম` বলেও অভিহিত করা হয়েছে।
মুহম্মদ (সা.) এরশাদ করেছেন যে, ‘যার হাতে আমার জীবন-মরণ, আমি তাঁর শপথ করে বলছি, সূরা আল-ফাতিহার দৃষ্টান্ত তাওরাত, ইনজীল, যাবুর প্রভৃতি অন্য আসমানী কিতাবে তো নেই-ই, এমনকি পবিত্র কোরআনেও এর দ্বিতীয় নেই।
ইমাম তিরমিযী আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলে কারীম (সা.) আরো বলেছেন যে, সূরায়ে ফাতিহা প্রত্যেক রোগের ওষুধবিশেষ।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
সূরা আল-ফাতিহার প্রথমে বর্ণনা করা হয়েছে যে, এ সূরার প্রথম তিনটি আয়াতে আল্লাহর প্রশংসা ও তারীফের বর্ণনা করা হয়েছে এবং এর তফসীরে একথা সুস্পষ্ট হয়েছে যে, তারীফ ও প্রশংসার সঙ্গে সঙ্গে ঈমানের মৌলিক নীতি ও আল্লাহর একত্ববাদের বর্ণনাও সূক্ষভাবে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় আয়াতে এর দু`টি শব্দে তারীফ ও প্রশংসার সঙ্গে সঙ্গে ইসলামের বিপ্লবাত্মক মহোত্তম আকীদা যথা কিয়ামত ও পরকালের বর্ণনা প্রমাণসহ উপস্থিত করা হয়েছে।
চতুর্থ আয়াতের এক অংশে তারীফ ও প্রশংসা এবং অপর অংশে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়েছে। মানবজীবন তিনটি অবস্থায় অতিবাহিত হয়- অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত। পূর্বের তিনটি আয়াতের মধ্যে الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ এবং الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ - এ দু`টি আয়াতে মানুষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, অতীতে সে কেবল মাত্র আল্লাহর মুখাপেক্ষী ছিল, বর্তমানেও সে একমাত্র তারই মুখাপেক্ষী। অস্তিত্বহীন এক অবস্থা থেকে তিনি তাকে অস্তিত্ব দান করেছেন। পরবর্তী আয়াতে مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ - এর মধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতেও সে আল্লাহর মুখাপেক্ষী। প্রতিদান দিবসে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো সাহায্য পাওয়া যাবে না।
একজন বুদ্ধিমান ও বিবেকবান ব্যক্তি ��নের গভীরতা থেকেই এ স্বতঃস্ফুর্ত স্বীকৃতি উচ্চারণ করছে যে, আমরা তোমাকে ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করি না। এ মৌলিক চাহিদাই إِيَّاكَ نَعْبُدُ-তে বর্ণনা করা হয়েছে। অভাব পূরণকারী একক সত্তা আল্লাহ, সুতরাং নিজের যাবতীয় কাজে সাহায্যও তার নিকট প্রার্থনা করবে। এ মৌলিক চাহিদাই বর্ণনা وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ -এ করা হয়েছে। মোটকথা, এ চতুর্থ আয়াতে একদিকে আল্লাহর তারীফ ও প্রশংসার সঙ্গে একথারও স্বীকৃতি রয়েছে যে, ইবাদত ও শ্রদ্ধা পাওয়ার একমাত্র তিনিই যোগ্য।
অপরদিকে তার নিকট সাহায্য ও সহায়তার প্রার্থনা করা এবং তৃতীয়ত: আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করার শিক্ষাও দেয়া হয়েছে। শেষ তিনটি আয়াতে মানুষের দোয়া ও আবেদনের বিষয়বস্তু এবং এক বিশেষ প্রার্থনা পদ্ধতি শিক্ষা দেয়া হয়েছে। তা হচ্ছে-
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ
‘আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাজিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।’
এই তিনটি আয়াতে কয়েকটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়। যেমন, সরল পথের হেদায়াতের জন্য যে আবেদন এ আয়াতে শিক্ষা দেয়া হয়েছে, এর আবেদনকারী যেমনিভাবে সাধারণ মানুষ, সাধারণ মুমিনগণ, তেমনি আওলিয়া, গাউস-কুতুব এবং নবী-রাসূলগণও বটে।
পবিত্র কোরআনের শিক্ষায় স্পষ্টতঃই এ তথ্য ব্যক্ত হয়েছে যে, সৃষ্টির প্রতিটি স্তর, এমনকি প্রতিটি অণু-পরমাণু পর্যন্ত নিজ নিজ অবস্থানু্যায়ী প্রাণ ও অনুভূতির অধিকারী। স্ব-স্ব পরিমন্ডলে প্রতিটি বস্তুর বুদ্ধি-বিবেচনা রয়েছে। অবশ্য এ বুদ্ধি ও অনুভূতির তারতম্য রয়েছে। কোনটাতে তা স্পষ্ট এবং কোনটাতে নিতান্তই অনুল্লেখ্য। বুদ্ধি ও অনুভূতির ক্ষেত্রে এ তারতম্যের জন্যই সমগ্র সৃষ্টিজগতের মধ্যে একমাত্র মানুষ ও জিন জাতিকেই শরীয়তের হুকুম-আহকামের আওতাভুক্ত।
কারণ, সৃষ্টির এ দু`টি স্তরের মধ্যেই বুদ্ধি ও অনুভূতি পূর্ণ মাত্রায় দেয়া হয়েছে। কিন্তু, তাই বলে একথা বলা যাবে না যে, একমাত্র মানুষ ও জিন জাতি ছাড়া সৃষ্টির অন্য কোনো কিছুর মধ্যে বুদ্ধি ও অনুভূতির অস্তিত্ব নেই। কেননা, আল্লাহ্ সূরা বনী-ইসরাঈলে এরশাদ করেছেন,
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلاَّ يُسَبِّحُ بِحَمْدَهِ وَلَـكِن لاَّ تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
‘সপ্ত আকাশ ও পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যে যাকিছু আছে সমস্ত কিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। এবং এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা, মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। নিশ্চয় তিনি অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।’ (সূরা: বনী-ইসরাঈল, আয়াত: ৪৪)
মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা আন নূরে এরশাদ করেছেন,
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُسَبِّحُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالطَّيْرُ صَافَّاتٍ كُلٌّ قَدْ عَلِمَ صَلَاتَهُ وَتَسْبِيحَهُ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
‘তুমি কি দেখ না যে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যারা আছে, তারা এবং উড়ন্ত পক্ষীকুল তাদের পাখা বিস্তার করতঃ আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে? প্রত্যেকেই তার যোগ্য এবাদত এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার পদ্ধতি জানে। তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।’ (সূরা: আন নূর, আয়াত: ৪১)
তথ্যসূত্র: ‘আল ফাতিহাহ’। কুরতুবী, মারেফুল কোরআন, উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ।
https://www.youtube.com/watch?v=sIbBnCTvja8
#Surah Al-Fatihah#Summary of the whole Qur'an#the first surah of the Qur'an#Mother of Quran#Quran1#Ummul Quran#SurahFateha#Quran'sSummary#MotherofQuran#Mother of the Qur'an
0 notes
Text
জেনে নিন জানাজা নামাজের প্রথম তাকবীরের পর সূরা ফাতিহা পড়া যাবে কি না।
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ দিগন্তের আলো এর এবারের আলোচ্য বিষয় টি হলো জানাজা নামাজ নিয়ে। আমাদের সকল মুসলিমদের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ন বিষয় যা সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারনা রাখা অতি জুরুরী। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
জানাযার নামাযের প্রথম তাকবীরে আমরা অনেকেই ছানা পরে থাকি, কিন্তু আমরা কি জানি যে ছানা পড়ার সঠিক দলিল কোথাও আছে কি না? না নেই। বড় আলেমদের মতে এই ব্যাপারে কোথাও কোনো দলিল পাওয়া যায় নি। প্রথমে তাকবিরে তাহরিমা বলে আয়ুযুবিল্লাহ.. বিসমিল্লাহ.. বলে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। সূরা ফাতিহা পড়ার স্পষ্ট দলিল আছে। বুখারী হাদীসে বর্ণিত আছে, ইবনে আব্বাস (রাঃ) এক মৃত্যু ব্যক্তির জানাযার নামাযে সূরা ফাতিহা পড়লেন তাকে মুসল্লিরা জিজ্ঞেস করলেন। তিনি উত্তরে বললেন “তিলকা সুন্নাহ” এটাই হলো সুন্নাত। জানাজার মধ্যে প্রথম তাকবীরে সুরা ফাতিহা পড়া হলো সুন্নত। সূরা ফাতিহার মতো সর্বসৃষ্ঠতম দোয়া গোটা কুরআনে আর একটাও নেই। সূরা ফাতিহার ফযিলত সমূহ, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর হাদীস তিনি বলেন, “আবদালু দুয়া ই আলহামদুলিল্লাহ” এর অর্থ হলো, সর্বশ্রেষ্ঠ দুয়া হলো আলহামদুলিল্লাহ। তিনি বলেন একজন মৃত্যু ব্যক্তির জন্য এর চেয়ে সৌভাগ্য বিষয় আর কি হতে পারে সে তার জানাযার নামাযে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া টা উপহার পেলো। হানাফি মাযাহাবের ওলামাকেরামগন অনেকেই রায় দিয়েছেন, যে দোয়া হিসেবে সূরা ফাতিহা জানাযার নামাযে পড়া যাবে এবং মাযহাবের দৃষ্টিকোন থেকেও তারা সম্মতি দিয়েছেন জানাযার নামাযে প্রথম তাকবিরে সূরা আল ফাতিহা পড়া যাবে। আর হাদীস তো আছেই হাদীসে পাওয়ার পরও তো আর কোথাও খোজার দরকারো নাই দেখার প্রয়োজন নাই। ইমাম আবু হানিফা (রাঃ) আজীবন বলেছেন, ইযা যাআন হাদীসু আন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আর রসা আলাইন। কোনো হাদীস বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) থেকে যখন পেয়ে যাই এটা আমার জন্য শিরধার্য, নয়ন মনি, এটা আমার ভাগ্যে, আর কিছু আমার দরকার নেই। “ইযা স হাল হাদীসু ফাহুআা মাযহাবিন” একটি হাদীস যদি সহীহ্ হয় আর কিছু বুঝবার জানবার দরকার নাই এটাই মাযহাব। যেহেতু সূরা আল ফাতিহা পড়ার এই মাসয়ালা টা অনেক গুলি সহীহ হাদীসে বর্নিত আছে প্রায় ১০ থেকে ১২ টি সহীস হাদীস রয়েছে। Read the full article
0 notes
Text
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
#allahswt#allah'snature#99namesofallah#whoisallah#তাওহিদ#তাওহীদ#তৌহিদ#Tawheed or Monotheism#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Monotheism#asmaalhusna#allahmeanings#allah#youtube#Youtube
0 notes
Text
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর ���ুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
#allah'snature#asmawassifat#whoisallah#তাওহিদ#তাওহীদ#তৌহিদ#Tawheed or Monotheism#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Monotheism#allahmeanings#99namesofallah#allahswt#allah#youtube#Youtube
0 notes
Text
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
#allah'snature#whoisallah#তাওহিদ#তাওহীদ#তৌহিদ#Tawheed or Monotheism#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Monotheism#allah'sdefinition#allah#youtube
0 notes
Text
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
#allah'snature#তাওহিদ#তাওহীদ#তৌহিদ#Tawheed or Monotheism#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Monotheism#asmawassifat#allah'sdefinition#allah'snames#allahswt#whoisallah#allah#youtube#Youtube
0 notes
Text
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লা��্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
#tawheed#tawhid#তাওহিদ#তাওহীদ#তৌহিদ#Tawheed or Monotheism#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Monotheism#allah'snature#Youtube
0 notes
Text
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাওহীদ।
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
আল্লাহ্ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
তাওহীদ বা একত্ববাদের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
সব সদ্গুণাবলির অধিকারী ও সর্বশক্তির আধার অবশ্যম্ভাবী সত্তা, যিনি অনাদি অনন্ত, যাঁর শুরু নেই, শেষ নেই, লয়-ক্ষয় ও পরিবর্তন নেই, কিছুই ছিল না, তিনি ছিলেন, সবকিছু ফানা হয়ে যাবে, তিনি থাকবেন, তিনি সব সৃষ্টির খালিক ও মালিক, সৃজন, লালন-পালন, সংরক্ষণ ও ধ্বংস সাধন যাঁর এখতিয়ার, সেই অদ্বিতীয় সত্তার নাম ‘আল্লাহ’। কোরআনে কারিমে সুরা ফাতিহার সূচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের পরিচয় ও পরিচিতি প্রদান করেছেন। ‘আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা! যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ১-৩)।
আল্লাহ তাআলার গুণাবলি বিবেচনায় তাঁর বহু নাম রয়েছে, যা ‘ইসমে সিফাত’ বা গুণবাচক নাম। এগুলোকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে: ‘আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ। তোমরা তাঁকে সেসব নামে ডাকো।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ১৮০)। ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো অথবা রহমান নামে তাঁকে ডাকো (যে নামেই ডাকো তিনি সাড়া দেবেন)। তাঁর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ।’ (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ১১০)।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা।
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদ বা একত্ববাদ
#tawhid#tawheed#asmawassifat#allah'sdefinition#whoisallah#allah'snature#তাওহিদ#তাওহীদ#তৌহিদ#Tawheed or Monotheism#Tawheed#Tawhid#Tauhid#Monotheism#Youtube
0 notes