#sadaqahjariyah
Explore tagged Tumblr posts
Text
In Islam, the role of a Hafiz someone who has memorized the entire Quran is extremely important. They are the guardians of the Quran’s words, ensuring its teachings are passed on for generations. Sponsoring a Hafiz is not just about financial support; it’s a way to contribute to the preservation of Islamic knowledge, inspire future generations, and earn continuous rewards in both this life and the Hereafter.
#SponsorAHafiz#SadaqahJariyah#DonateForIslam#QuranMemorization#CharityWithImpact#IslamicTeachings#SupportEducation#MuslimCharity#PreserveTheQuran#BlessingsForLife#EternalRewards#GiveBackToCommunity#HafizSponsorship
0 notes
Text
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
youtube
youtube
youtube
youtube
সদকাহ জারিয়াহ
ইসলামে , ক্রমাগত দাতব্য বা চলমান দাতব্য ( আরবি : صدقة جارية , রোমানাইজড : সাদাকাহ জারিয়াহ ) এমন কোন কাজকে বোঝায় যা তার সূচনাকারীর মৃত্যুর পরেও মানবতার উপকার করতে থাকে। যে ব্যক্তি মানবতার জন্য একটি উপকারী উত্তরাধিকার রেখে যায় তাকে তাদের মৃত্যুর পরেও এর জন্য পুরস্কৃত করা হয় বলে মনে করা হয়।
সাদাকায়ে জারিয়াহ : যে সাওয়াব চলমান
কোরআনুল কারিমে আলাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘কুল্লু নাফসিন জায়েক্বাতুল মাউত ওয়া ইন্নামা তুয়াফ্ফাওনা উযুরাকুম ইয়াওমাল কিয়ামাতি-----ইলা মাতাউল গুরুরি’। অর্থাৎ প্রত্যে�� জানদার ব্যক্তি মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং তোমরা সবাই কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বিনিময় প্রাপ্ত হবে। একমাত্র সে ব্যক্তিই সফলকাম হবে, যে সেখানে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে এবং যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোকার সামগ্রী। (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৮৫)।
দুনিয়ার এ জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী, যার মূল্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কিছুই না। যে মানুষ দুনিয়ায় ভালো কাজ করবে, সে আখেরাতে এর উত্তম প্রতিদান পাবে, আর যে মন্দ কাজ করবে সেও আমল অনুযায়ী প্রতিদান পাবে। আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের আশা এবং হিকমত তথা সাদকায়ে জারিয়ার মতো নেক আমল করে যেতে হবে। যে আমল মৃত্যুর পরেও কিয়ামত পর্যন্ত চলমান থাকবে। ওই আমল দুনিয়ার জীবনে করে থাকলে মৃত্যুর পরেও মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কবরে তথা আমলনামায় ওই আমলের সাওয়াব যেতে থাকবে। সাদকায়ে জারিয়াহ- কোরআনুল কারিমে এসেছে, আমিই অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো; যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে রাখি এবং যা কিছু তারা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুষ্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি। (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ১২)
এ আয়াতের ব্যখ্যায় তিনটি কথা এসেছে যে, মানুষের আমল নামা তিন ধরনের বিষয় সম্বলিত হবে- ১. প্রত্যেক ব্যক্তির ভালো-মন্দ কাজ আল্লাহর দফতরে লিখে নেওয়া হয়; ২. মানুষ দুনিয়ার জীবনে তার চারপাশে ও শরীরের উপর ভালো-মন্দের যে প্রভাব রাখে, তা তার মানসপটে স্মরণ হতে থাকবে এবং তার সব আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে; ৩. দুনিয়ার জীবনে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্ম, তথা সমাজে যেসব ভালো-মন্দের প্রভাব চালু করে যাবে এবং তা যতক্ষণ পর্যন্ত সচল বা চালু থাকবে, ভালো-মন্দ অনুযায়ী তা হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ হতে থাকবে। এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উম্মতের জন্য সাদকায়ে জারিয়ার উপদেশ দিয়েছেন-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না- ১. সাদকায়ে জারিয়া; ২. এমন ইলম (জ্ঞান)- যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেককার সন্তান-সন্ততি, যে তার জন্য (মৃতব্যক্তি) দোয়া করে। (মুসলিম)
ইলম বা জ্ঞান : যে ইলম ��ানুষকে আলোর পথ দেখায়; জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। এ ইলমের মধ্যে, সহিহ কোরআন শিখানো, হাদিস শিখানো, তাওহিদ আলাহর একত্ববাদ, পরকালীন জীবনের পথনির্দেশনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মহান লক্ষ্যের সাক্ষ্য ও বাস্তবায়ন। যা দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকাল (বিশ্ব), পরকালীন জীবনের কল্যাণ লাভ করা যায় এমন ইলমই উদ্দেশ্য। এ ইলমের চর্চা যতদিন চলবে ততদিন মৃত ব্যক্তির কবরে তার সাওয়াব পৌঁছতে থাকবে। নেক সন্তান : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের ইন্তেকালের পর চারটি আমলের সাওয়াব চালু থাকবে। ১. যে ব্যক্তি ইসলামি রাষ্ট্রে সীমানা পাহারা দেয়; ২. ���ে সন্তান কোনো ভালো কাজ শুরু করার পর তাকে যারা ওই কাজে অনুসরণ করলে; ৩. যে ব্যক্তি এমন সাদকা করলো, যা চলতে থাকে; ও ৪. এমন সু-সন্তান রেখে যাওয়া- যে সন্তান তার জন্য দোয়া করে। (মুসনাদ আহমাদ)
মসজিদ নির্মাণ : উসমান রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আলাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তা’আলা ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতেও অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন। (মুসলিম)
বনায়ন : পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় যে ব্যক্তি ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে; সে গাছের ছায়া, অক্সিজেন এবং গাছের ফল দ্বারা মানবকূলসহ পাখ-পাখালি উপকৃত হয়। যতদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে ততদিন এর সাওয়াব তার আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। এ ব্যাপারে হযরত জাবির রাদিয়ল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, কোনো মুসলিম যদি বৃক্ষরোপণ করে, এবং তার কোনো ফল কোনো ব্যক্তি খায় তবে ওই ফল তার জন্য সাদকা, কোনো ভয়ংকর জন্তু-জানোয়ার খেলেও তা তার জন্য সাদকা, যদি কোনো ব্যক্তি চুরি করেও খায় তা তার জন্য সদকা, কোনো পাখিও খায় তাও তার জন্য সদকা। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তি তা কেটে ফেলে তাও তার জন্য সাদকা। (মুসলিম) তাছাড়া গরিব অসহায় মানুষের জন্য যদি আবাসন, খাওয়ার পানি, রাস্তাঘাটের কষ্টকর বস্তু সরিয়ে দেওয়া, ইসলামি সাহিত্য রচনা করে পথহারা মানুষকে দ্বীনের পথে আহ্বান করা, ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া, কোনো জিনিস নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা, ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করে পুনর্বাসন করা ইত্যাদি কল্যাণকর কাজও সাদকায়ে জারিয়া।
একটি হাদিস
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর কবরে সাতটি আমলের সাওয়াব অবিরাম যেতে থাকে। তাহলো ১. যে (উত্তম) ইলম শিক্ষা দিল; ২. যে পানি প্রবাহিত করলো, ৩. কূপ খনন করলো, ৪. খেজুর বৃক্ষ রোপন করলো (গাছ রোপন); ৫. মসজিদ (ইবাদতখানা) নির্মাণ করলো; ৬. কোরআনুল কারিম বিতরণ করলো এবং ৭. এমন সু-সন্তান রেখে গেল, যে তার জন্য আলাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমা��েরকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
সদকায়ে জারিয়া
https://www.youtube.com/watch?v=IDQuhi7QNeQ
https://www.youtube.com/watch?v=2kRd2sckSgs
https://www.youtube.com/watch?v=1fti_XoLTSc&t=14s
youtube
youtube
youtube
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
Nekki Writes Seven Things Even After Death
0 notes
Text
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
youtube
youtube
youtube
youtube
সদকাহ জারিয়াহ
ইসলামে , ক্রমাগত দাতব্য বা চলমান দাতব্য ( আরবি : صدقة جارية , রোমানাইজড : সাদাকাহ জারিয়াহ ) এমন কোন কাজকে বোঝায় যা তার সূচনাকারীর মৃত্যুর পরেও মানবতার উপকার করতে থাকে। যে ব্যক্তি মানবতার জন্য একটি উপকারী উত্তরাধিকার রেখে যায় তাকে তাদের মৃত্যুর পরেও এর জন্য পুরস্কৃত করা হয় বলে মনে করা হয়।
সাদাকায়ে জারিয়াহ : যে সাওয়াব চলমান
কোরআনুল কারিমে আলাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘কুল্লু নাফসিন জায়েক্বাতুল মাউত ওয়া ইন্নামা তুয়াফ্ফাওনা উযুরাকুম ইয়াওমাল কিয়ামাতি-----ইলা মাতাউল গুরুরি’। অর্থাৎ প্রত্যেক জানদার ব্যক্তি মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং তোমরা সবাই কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বিনিময় প্রাপ্ত হবে। একমাত্র সে ব্যক্তিই সফলকাম হবে, যে সেখানে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে এবং যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোকার সামগ্রী। (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৮৫)।
দুনিয়ার এ জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী, যার মূল্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কিছুই না। যে মানুষ দুনিয়ায় ভালো কাজ করবে, সে আখেরাতে এর উত্তম প্রতিদান পাবে, আর যে মন্দ কাজ করবে সেও আমল অনুযায়ী প্রতিদান পাবে। আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের আশা এবং হিকমত তথা সাদকায়ে জারিয়ার মতো নেক আমল করে যেতে হবে। যে আমল মৃত্যুর পরেও কিয়ামত পর্যন্ত চলমান থাকবে। ওই আমল দুনিয়ার জীবনে করে থাকলে মৃত্যুর পরেও মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কবরে তথা আমলনামায় ওই আমলের সাওয়াব যেতে থাকবে। সাদকায়ে জারিয়াহ- কোরআনুল কারিমে এসেছে, আমিই অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো; যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে রাখি এবং যা কিছু তারা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুষ্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি। (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ১২)
এ আয়াতের ব্যখ্যায় তিনটি কথা এসেছে যে, মানুষের আমল নামা তিন ধরনের বিষয় সম্বলিত হবে- ১. প্রত্যেক ব্যক্তির ভালো-মন্দ কাজ আল্লাহর দফতরে লিখে নেওয়া হয়; ২. মানুষ দুনিয়ার জীবনে তার চারপাশে ও শরীরের উপর ভালো-মন্দের যে প্রভাব রাখে, তা তার মানসপটে স্মরণ হতে থাকবে এবং তার সব আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে; ৩. দুনিয়ার জীবনে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্ম, তথা সমাজে যেসব ভালো-মন্দের প্রভাব চালু করে যাবে এবং তা যতক্ষণ পর্যন্ত সচল বা চালু থাকবে, ভালো-মন্দ অনুযায়ী তা হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ হতে থাকবে। এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উম্মতের জন্য সাদকায়ে জারিয়ার উপদেশ দিয়েছেন-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না- ১. সাদকায়ে জারিয়া; ২. এমন ইলম (জ্ঞান)- যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেককার সন্তান-সন্ততি, যে তার জন্য (মৃতব্যক্তি) দোয়া করে। (মুসলিম)
ইলম বা জ্ঞান : যে ইলম মানুষকে আলোর পথ দেখায়; জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। এ ইলমের মধ্যে, সহিহ কোরআন শিখানো, হাদিস শিখানো, তাওহিদ আলাহর একত্ববাদ, পরকালীন জীবনের পথনির্দেশনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মহান লক্ষ্যের সাক্ষ্য ও বাস্তবায়ন। যা দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকাল (বিশ্ব), পরকালীন জীবনের কল্যাণ লাভ করা যায় এমন ইলমই উদ্দেশ্য। এ ইলমের চর্চা যতদিন চলবে ততদিন মৃত ব্যক্তির কবরে তার সাওয়াব পৌঁছতে থাকবে। নেক সন্তান : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের ইন্তেকালের পর চারটি আমলের সাওয়াব চালু থাকবে। ১. যে ব্যক্তি ইসলামি রাষ্ট্রে সীমানা পাহারা দেয়; ২. যে সন্তান কোনো ভালো কাজ শুরু করার পর তাকে যারা ওই কাজে অনুসরণ করলে; ৩. যে ব্যক্তি এমন সাদকা করলো, যা চলতে থাকে; ও ৪. এমন সু-সন্তান রেখে যাওয়া- যে সন্তান তার জন্য দোয়া করে। (মুসনাদ আহমাদ)
মসজিদ নির্মাণ : উসমান রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আলাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তা’আলা ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতেও অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন। (মুসলিম)
বনায়ন : পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় যে ব্যক্তি ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে; সে গাছের ছায়া, অক্সিজেন এবং গাছের ফল দ্বারা মানবকূলসহ পাখ-পাখালি উপকৃত হয়। যতদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে ততদিন এর সাওয়াব তার আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। এ ব্যাপারে হযরত জাবির রাদিয়ল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, কোনো মুসলিম যদি বৃক্ষরোপণ করে, এবং তার কোনো ফল কোনো ব্যক্তি খায় তবে ওই ফল তার জন্য সাদকা, কোনো ভয়ংকর জন্তু-জানোয়ার খেলেও তা তার জন্য সাদকা, যদি কোনো ব্যক্তি চুরি করেও খায় তা তার জন্য সদকা, কোনো পাখিও খায় তাও তার জন্য সদকা। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তি তা কেটে ফেলে তাও তার জন্য সাদকা। (মুসলিম) তাছাড়া গরিব অসহায় মানুষের জন্য যদি আবাসন, খাওয়ার পানি, রাস্তাঘাটের কষ্টকর বস্তু সরিয়ে দেওয়া, ইসলামি সাহিত্য রচনা করে পথহারা মানুষকে দ্বীনের পথে আহ্বান করা, ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া, কোনো জিনিস নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা, ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করে পুনর্বাসন করা ইত্যাদি কল্যাণকর কাজও সাদকায়ে জারিয়া।
একটি হাদিস
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর কবরে সাতটি আমলের সাওয়াব অবিরাম যেতে থাকে। তাহলো ১. যে (উত্তম) ইলম শিক্ষা দিল; ২. যে পানি প্রবাহিত করলো, ৩. কূপ খনন করলো, ৪. খেজুর বৃক্ষ রোপন করলো (গাছ রোপন); ৫. মসজিদ (ইবাদতখানা) নির্মাণ করলো; ৬. কোরআনুল কারিম বিতরণ করলো এবং ৭. এমন সু-সন্তান রেখে গেল, যে তার জন্য আলাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
সদকায়ে জারিয়া
https://www.youtube.com/watch?v=IDQuhi7QNeQ
https://www.youtube.com/watch?v=2kRd2sckSgs
https://www.youtube.com/watch?v=1fti_XoLTSc&t=14s
youtube
youtube
youtube
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
Nekki Writes Seven Things Even After Death
0 notes
Text
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
youtube
youtube
youtube
youtube
সদকাহ জারিয়াহ
ইসলামে , ক্রমাগত দাতব্য বা চলমান দাতব্য ( আরবি : صدقة جارية , রোমানাইজড : সাদাকাহ জারিয়াহ ) এমন কোন কাজকে বোঝায় যা তার সূচনাকারীর মৃত্যুর পরেও মানবতার উপকার করতে থাকে। যে ব্যক্তি মানবতার জন্য একটি উপকারী উত্তরাধিকার রেখে যায় তাকে তাদের মৃত্যুর পরেও এর জন্য পুরস্কৃত করা হয় বলে মনে করা হয়।
সাদাকায়ে জারিয়াহ : যে সাওয়াব চলমান
কোরআনুল কারিমে আলাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘কুল্লু নাফসিন জায়েক্বাতুল মাউত ওয়া ইন্নামা তুয়াফ্ফাওনা উযুরাকুম ইয়াওমাল কিয়ামাতি-----ইলা মাতাউল গুরুরি’। অর্থাৎ প্রত্যেক জানদার ব্যক্তি মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং তোমরা সবাই কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বিনিময় প্রাপ্ত হবে। একমাত্র সে ব্যক্তিই সফলকাম হবে, যে সেখানে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে এবং যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোকার সামগ্রী। (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৮৫)।
দুনিয়ার এ জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী, যার মূল্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কিছুই না। যে মানুষ দুনিয়ায় ভালো কাজ করবে, সে আখেরাতে এর উত্তম প্রতিদান পাবে, আর যে মন্দ কাজ করবে সেও আমল অনুযায়ী প্রতিদান পাবে। আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের আশা এবং হিকমত তথা সাদকায়ে জারিয়ার মতো নেক আমল করে যেতে হবে। যে আমল মৃত্যুর পরেও কিয়ামত পর্যন্ত চলমান থাকবে। ওই আমল দুনিয়ার জীবনে করে থাকলে মৃত্যুর পরেও মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কবরে তথা আমলনামায় ওই আমলের সাওয়াব যেতে থাকবে। সাদকায়ে জারিয়াহ- কোরআনুল কারিমে এসেছে, আমিই অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো; যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে রাখি এবং যা কিছু তারা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুষ্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি। (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ১২)
এ আয়াতের ব্যখ্যায় তিনটি কথা এসেছে যে, মানুষের আমল নামা তিন ধরনের বিষয় সম্বলিত হবে- ১. প্রত্যেক ব্যক্তির ভালো-মন্দ কাজ আল্লাহর দফতরে লিখে নেওয়া হয়; ২. মানুষ দুনিয়ার জীবনে তার চারপাশে ও শরীরের উপর ভালো-মন্দের যে প্রভাব রাখে, তা তার মানসপটে স্মরণ হতে থাকবে এবং তার সব আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে; ৩. দুনিয়ার জীবনে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্ম, তথা সমাজে যেসব ভালো-মন্দের প্রভাব চালু করে যাবে এবং তা যতক্ষণ পর্যন্ত সচল বা চালু থাকবে, ভালো-মন্দ অনুযায়ী তা হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ হতে থাকবে। এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উম্মতের জন্য সাদকায়ে জারিয়ার উপদেশ দিয়েছেন-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না- ১. সাদকায়ে জারিয়া; ২. এমন ইলম (জ্ঞান)- যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেককার সন্তান-সন্ততি, যে তার জন্য (মৃতব্যক্তি) দোয়া করে। (মুসলিম)
ইলম বা জ্ঞান : যে ইলম মানুষকে আলোর পথ দেখায়; জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। এ ইলমের মধ্যে, সহিহ কোরআন শিখানো, হাদিস শিখানো, তাওহিদ আলাহর একত্ববাদ, পরকালীন জীবনের পথনির্দেশনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মহান লক্ষ্যের সাক্ষ্য ও বাস্তবায়ন। যা দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকাল (বিশ্ব), পরকালীন জীবনের কল্যাণ লাভ করা যায় এমন ইলমই উদ্দেশ্য। এ ইলমের চর্চা যতদিন চলবে ততদিন মৃত ব্যক্তির কবরে তার সাওয়াব পৌঁছতে থাকবে। নেক সন্তান : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের ইন্তেকালের পর চারটি আমলের সাওয়াব চালু থাকবে। ১. যে ব্যক্তি ইসলামি রাষ্ট্রে সীমানা পাহারা দেয়; ২. যে সন্তান কোনো ভালো কাজ শুরু করার পর তাকে যারা ওই কাজে অনুসরণ করলে; ৩. যে ব্যক্তি এমন সাদকা করলো, যা চলতে থাকে; ও ৪. এমন সু-সন্তান রেখে যাওয়া- যে সন্তান তার জন্য দোয়া করে। (মুসনাদ আহমাদ)
মসজিদ নির্মাণ : উসমান রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আলাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তা’আলা ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতেও অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন। (মুসলিম)
বনায়ন : পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় যে ব্যক্তি ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে; সে গাছের ছায়া, অক্সিজেন এবং গাছের ফল দ্বারা মানবকূলসহ পাখ-পাখালি উপকৃত হয়। যতদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে ততদিন এর সাওয়াব তার আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। এ ব্যাপারে হযরত জাবির রাদিয়ল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, কোনো মুসলিম যদি বৃক্ষরোপণ করে, এবং তার কোনো ফল কোনো ব্যক্তি খায় তবে ওই ফল তার জন্য সাদকা, কোনো ভয়ংকর জন্তু-জানোয়ার খেলেও তা তার জন্য সাদকা, যদি কোনো ব্যক্তি চুরি করেও খায় তা তার জন্য সদকা, কোনো পাখিও খায় তাও তার জন্য সদকা। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তি তা কেটে ফেলে তাও তার জন্য সাদকা। (মুসলিম) তাছাড়া গরিব অসহায় মানুষের জন্য যদি আবাসন, খাওয়ার পানি, রাস্তাঘাটের কষ্টকর বস্তু সরিয়ে দেওয়া, ইসলামি সাহিত্য রচনা করে পথহারা মানুষকে দ্বীনের পথে আহ্বান করা, ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া, কোনো জিনিস নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা, ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করে পুনর্বাসন করা ইত্যাদি কল্যাণকর কাজও সাদকায়ে জারিয়া।
একটি হাদিস
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর কবরে সাতটি আমলের সাওয়াব অবিরাম যেতে থাকে। তাহলো ১. যে (উত্তম) ইলম শিক্ষা দিল; ২. যে পানি প্রবাহিত করলো, ৩. কূপ খনন করলো, ৪. খেজুর বৃক্ষ রোপন করলো (গাছ রোপন); ৫. মসজিদ (ইবাদতখানা) নির্মাণ করলো; ৬. কোরআনুল কারিম বিতরণ করলো এবং ৭. এমন সু-সন্তান রেখে গেল, যে তার জন্য আলাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
সদকায়ে জারিয়া
https://www.youtube.com/watch?v=IDQuhi7QNeQ
https://www.youtube.com/watch?v=2kRd2sckSgs
https://www.youtube.com/watch?v=1fti_XoLTSc&t=14s
youtube
youtube
youtube
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
Nekki Writes Seven Things Even After Death
0 notes
Text
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
youtube
youtube
youtube
youtube
সদকাহ জারিয়াহ
ইসলামে , ক্রমাগত দাতব্য বা চলমান দাতব্য ( আরবি : صدقة جارية , রোমানাইজড : সাদাকাহ জারিয়াহ ) এমন কোন কাজকে বোঝায় যা তার সূচনাকারীর মৃত্যুর পরেও মানবতার উপকার করতে থাকে। যে ব্যক্তি মানবতার জন্য একটি উপকারী উত্তরাধিকার রেখে যায় তাকে তাদের মৃত্যুর পরেও এর জন্য পুরস্কৃত করা হয় বলে মনে করা হয়।
সাদাকায়ে জারিয়াহ : যে সাওয়াব চলমান
কোরআনুল কারিমে আলাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘কুল্লু নাফসিন জায়েক্বাতুল মাউত ওয়া ইন্নামা তুয়াফ্ফাওনা উযুরাকুম ইয়াওমাল কিয়ামাতি-----ইলা মাতাউল গুরুরি’। অর্থাৎ প্রত্যেক জানদার ব্যক্তি মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং তোমরা সবাই কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বিনিময় প্রাপ্ত হবে। একমাত্র সে ব্যক্তিই সফলকাম হবে, যে সেখানে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে এবং যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোকার সামগ্রী। (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৮৫)।
দুনিয়ার এ জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী, যার মূল্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কিছুই না। যে মানুষ দুনিয়ায় ভালো কাজ করবে, সে আখেরাতে এর উত্তম প্রতিদান পাবে, আর যে মন্দ কাজ করবে সেও আমল অনুযায়ী প্রতিদান পাবে। আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের আশা এবং হিকমত তথা সাদকায়ে জারিয়ার মতো নেক আমল করে যেতে হবে। যে আমল মৃত্যুর পরেও কিয়ামত পর্যন্ত চলমান থাকবে। ওই আমল দুনিয়ার জীবনে করে থাকলে মৃত্যুর পরেও মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কবরে তথা আমলনামায় ওই আমলের সাওয়াব যেতে থাকবে। সাদকায়ে জারিয়াহ- কোরআনুল কারিমে এসেছে, আমিই অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো; যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে রাখি এবং যা কিছু তারা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুষ্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি। (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ১২)
এ আয়াতের ব্যখ্যায় তিনটি কথা এসেছে যে, মানুষের আমল নামা তিন ধরনের বিষয় সম্বলিত হবে- ১. প্রত্যেক ব্যক্তির ভালো-মন্দ কাজ আল্লাহর দফতরে লিখে নেওয়া হয়; ২. মানুষ দুনিয়ার জীবনে তার চারপাশে ও শরীরের উপর ভালো-মন্দের যে প্রভাব রাখে, তা তার মানসপটে স্মরণ হতে থাকবে এবং তার সব আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে; ৩. দুনিয়ার জীবনে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্ম, তথা সমাজে যেসব ভালো-মন্দের প্রভাব চালু করে যাবে এবং তা যতক্ষণ পর্যন্ত সচল বা চালু থাকবে, ভালো-মন্দ অনুযায়ী তা হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ হতে থাকবে। এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উম্মতের জন্য সাদকায়ে জারিয়ার উপদেশ দিয়েছেন-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না- ১. সাদকায়ে জারিয়া; ২. এমন ইলম (জ্ঞান)- যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেককার সন্তান-সন্ততি, যে তার জন্য (মৃতব্যক্তি) দোয়া করে। (মুসলিম)
ইলম বা জ্ঞান : যে ইলম মানুষকে আলোর পথ দেখায়; জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। এ ইলমের মধ্যে, সহিহ কোরআন শিখানো, হাদিস শিখানো, তাওহিদ আলাহর একত্ববাদ, পরকালীন জীবনের পথনির্দেশনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মহান লক্ষ্যের সাক্ষ্য ও বাস্তবায়ন। যা দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকাল (বিশ্ব), পরকালীন জীবনের কল্যাণ লাভ করা যায় এমন ইলমই উদ্দেশ্য। এ ইলমের চর্চা যতদিন চলবে ততদিন মৃত ব্যক্তির কবরে তার সাওয়াব পৌঁছতে থাকবে। নেক সন্তান : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের ইন্তেকালের পর চারটি আমলের সাওয়াব চালু থাকবে। ১. যে ব্যক্তি ইসলামি রাষ্ট্রে সীমানা পাহারা দেয়; ২. যে সন্তান কোনো ভালো কাজ শুরু করার পর তাকে যারা ওই কাজে অনুসরণ করলে; ৩. যে ব্যক্তি এমন সাদকা করলো, যা চলতে থাকে; ও ৪. এমন সু-সন্তান রেখে যাওয়া- যে সন্তান তার জন্য দোয়া করে। (মুসনাদ আহমাদ)
মসজিদ নির্মাণ : উসমান রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আলাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তা’আলা ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতেও অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন। (মুসলিম)
বনায়ন : পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় যে ব্যক্তি ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে; সে গাছের ছায়া, অক্সিজেন এবং গাছের ফল দ্বারা মানবকূলসহ পাখ-পাখালি উপকৃত হয়। যতদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে ততদিন এর সাওয়াব তার আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। এ ব্যাপারে হযরত জাবির রাদিয়ল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, কোনো মুসলিম যদি বৃক্ষরোপণ করে, এবং তার কোনো ফল কোনো ব্যক্তি খায় তবে ওই ফল তার জন্য সাদকা, কোনো ভয়ংকর জন্তু-জানোয়ার খেলেও তা তার জন্য সাদকা, যদি কোনো ব্যক্তি চুরি করেও খায় তা তার জন্য সদকা, কোনো পাখিও খায় তাও তার জন্য সদকা। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তি তা কেটে ফেলে তাও তার জন্য সাদকা। (মুসলিম) তাছাড়া গরিব অসহায় মানুষের জন্য যদি আবাসন, খাওয়ার পানি, রাস্তাঘাটের কষ্টকর বস্তু সরিয়ে দেওয়া, ইসলামি সাহিত্য রচনা করে পথহারা মানুষকে দ্বীনের পথে আহ্বান করা, ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া, কোনো জিনিস নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা, ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করে পুনর্বাসন করা ইত্যাদি কল্যাণকর কাজও সাদকায়ে জারিয়া।
একটি হাদিস
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর কবরে সাতটি আমলের সাওয়াব অবিরাম যেতে থাকে। তাহলো ১. যে (উত্তম) ইলম শিক্ষা দিল; ২. যে পানি প্রবাহিত করলো, ৩. কূপ খনন করলো, ৪. খেজুর বৃক্ষ রোপন করলো (গাছ রোপন); ৫. মসজিদ (ইবাদতখানা) নির্মাণ করলো; ৬. কোরআনুল কারিম বিতরণ করলো এবং ৭. এমন সু-সন্তান রেখে গেল, যে তার জন্য আলাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
সদকায়ে জারিয়া
https://www.youtube.com/watch?v=IDQuhi7QNeQ
https://www.youtube.com/watch?v=2kRd2sckSgs
https://www.youtube.com/watch?v=1fti_XoLTSc&t=14s
youtube
youtube
youtube
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
Nekki Writes Seven Things Even After Death
0 notes
Text
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
youtube
youtube
youtube
youtube
সদকাহ জারিয়াহ
ইসলামে , ক্রমাগত দাতব্য বা চলমান দাতব্য ( আরবি : صدقة جارية , রোমানাইজড : সাদাকাহ জারিয়াহ ) এমন কোন কাজকে বোঝায় যা তার সূচনাকারীর মৃত্যুর পরেও মানবতার উপকার করতে থাকে। যে ব্যক্তি মানবতার জন্য একটি উপকারী উত্তরাধিকার রেখে যায় তাকে তাদের মৃত্যুর পরেও এর জন্য পুরস্কৃত করা হয় বলে মনে করা হয়।
সাদাকায়ে জারিয়াহ : যে সাওয়াব চলমান
কোরআনুল কারিমে আলাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘কুল্লু নাফসিন জায়েক্বাতুল মাউত ওয়া ইন্নামা তুয়াফ্ফাওনা উযুরাকুম ইয়াওমাল কিয়ামাতি-----ইলা মাতাউল গুরুরি’। অর্থাৎ প্রত্যেক জানদার ব্যক্তি মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং তোমরা সবাই কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বিনিময় প্রাপ্ত হবে। একমাত্র সে ব্যক্তিই সফলকাম হবে, যে সেখানে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে এবং যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোকার সামগ্রী। (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৮৫)।
দুনিয়ার এ জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী, যার মূল্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কিছুই না। যে মানুষ দুনিয়ায় ভালো কাজ করবে, সে আখেরাতে এর উত্তম প্রতিদান পাবে, আর যে মন্দ কাজ করবে সেও আমল অনুযায়ী প্রতিদান পাবে। আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের আশা এবং হিকমত তথা সাদকায়ে জারিয়ার মতো নেক আমল করে যেতে হবে। যে আমল মৃত্যুর পরেও কিয়ামত পর্যন্ত চলমান থাকবে। ওই আমল দুনিয়ার জীবনে করে থাকলে মৃত্যুর পরেও মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কবরে তথা আমলনামায় ওই আমলের সাওয়াব যেতে থাকবে। সাদকায়ে জারিয়াহ- কোরআনুল কারিমে এসেছে, আমিই অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো; যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে রাখি এবং যা কিছু তারা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুষ্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি। (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ১২)
এ আয়াতের ব্যখ্যায় তিনটি কথা এসেছে যে, মানুষের আমল নামা তিন ধরনের বিষয় সম্বলিত হবে- ১. প্রত্যেক ব্যক্তির ভালো-মন্দ কাজ আল্লাহর দফতরে লিখে নেওয়া হয়; ২. মানুষ দুনিয়ার জীবনে তার চারপাশে ও শরীরের উপর ভালো-মন্দের যে প্রভাব রাখে, তা তার মানসপটে স্মরণ হতে থাকবে এবং তার সব আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে; ৩. দুনিয়ার জীবনে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্ম, তথা সমাজে যেসব ভালো-মন্দের প্রভাব চালু করে যাবে এবং তা যতক্ষণ পর্যন্ত সচল বা চালু থাকবে, ভালো-মন্দ অনুযায়ী তা হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ হতে থাকবে। এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উম্মতের জন্য সাদকায়ে জারিয়ার উপদেশ দিয়েছেন-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না- ১. সাদকায়ে জারিয়া; ২. এমন ইলম (জ্ঞান)- যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেককার সন্তান-সন্ততি, যে তার জন্য (মৃতব্যক্তি) দোয়া করে। (মুসলিম)
ইলম বা জ্ঞান : যে ইলম মানুষকে আলোর পথ দেখায়; জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। এ ইলমের মধ্যে, সহিহ কোরআন শিখানো, হাদিস শিখানো, তাওহিদ আলাহর একত্ববাদ, পরকালীন জীবনের পথনির্দেশনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মহান লক্ষ্যের সাক্ষ্য ও বাস্তবায়ন। যা দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকাল (বিশ্ব), পরকালীন জীবনের কল্যাণ লাভ করা যায় এমন ইলমই উদ্দেশ্য। এ ইলমের চর্চা যতদিন চলবে ততদিন মৃত ব্যক্তির কবরে তার সাওয়াব পৌঁছতে থাকবে। নেক সন্তান : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের ইন্তেকালের পর চারটি আমলের সাওয়াব চালু থাকবে। ১. যে ব্যক্তি ইসলামি রাষ্ট্রে সীমানা পাহারা দেয়; ২. যে সন্তান কোনো ভালো কাজ শুরু করার পর তাকে যারা ওই কাজে অনুসরণ করলে; ৩. যে ব্যক্তি এমন সাদকা করলো, যা চলতে থাকে; ও ৪. এমন সু-সন্তান রেখে যাওয়া- যে সন্তান তার জন্য দোয়া করে। (মুসনাদ আহমাদ)
মসজিদ নির্মাণ : উসমান রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আলাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তা’আলা ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতেও অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন। (মুসলিম)
বনায়ন : পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় যে ব্যক্তি ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে; সে গাছের ছায়া, অক্সিজেন এবং গাছের ফল দ্বারা মানবকূলসহ পাখ-পাখালি উপকৃত হয়। যতদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে ততদিন এর সাওয়াব তার আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। এ ব্যাপারে হযরত জাবির রাদিয়ল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, কোনো মুসলিম যদি বৃক্ষরোপণ করে, এবং তার কোনো ফল কোনো ব্যক্তি খায় তবে ওই ফল তার জন্য সাদকা, কোনো ভয়ংকর জন্তু-জানোয়ার খেলেও তা তার জন্য সাদকা, যদি কোনো ব্যক্তি চুরি করেও খায় তা তার জন্য সদকা, কোনো পাখিও খায় তাও তার জন্য সদকা। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তি তা কেটে ফেলে তাও তার জন্য সাদকা। (মুসলিম) তাছাড়া গরিব অসহায় মানুষের জন্য যদি আবাসন, খাওয়ার পানি, রাস্তাঘাটের কষ্টকর বস্তু সরিয়ে দেওয়া, ইসলামি সাহিত্য রচনা করে পথহারা মানুষকে দ্বীনের পথে আহ্বান করা, ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া, কোনো জিনিস নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা, ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করে পুনর্বাসন করা ইত্যাদি কল্যাণকর কাজও সাদকায়ে জারিয়া।
একটি হাদিস
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর কবরে সাতটি আমলের সাওয়াব অবিরাম যেতে থাকে। তাহলো ১. যে (উত্তম) ইলম শিক্ষা দিল; ২. যে পানি প্রবাহিত করলো, ৩. কূপ খনন করলো, ৪. খেজুর বৃক্ষ রোপন করলো (গাছ রোপন); ৫. মসজিদ (ইবাদতখানা) নির্মাণ করলো; ৬. কোরআনুল কারিম বিতরণ করলো এবং ৭. এমন সু-সন্তান রেখে গেল, যে তার জন্য আলাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
সদকায়ে জারিয়া
https://www.youtube.com/watch?v=IDQuhi7QNeQ
https://www.youtube.com/watch?v=2kRd2sckSgs
https://www.youtube.com/watch?v=1fti_XoLTSc&t=14s
youtube
youtube
youtube
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
Nekki Writes Seven Things Even After Death
0 notes
Text
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
youtube
youtube
youtube
youtube
সদকাহ জারিয়াহ
ইসলামে , ক্রমাগত দাতব্য বা চলমান দাতব্য ( আরবি : صدقة جارية , রোমানাইজড : সাদাকাহ জারিয়াহ ) এমন কোন কাজকে বোঝায় যা তার সূচনাকারীর মৃত্যুর পরেও মানবতার উপকার করতে থাকে। যে ব্যক্তি মানবতার জন্য একটি উপকারী উত্তরাধিকার রেখে যায় তাকে তাদের মৃত্যুর পরেও এর জন্য পুরস্কৃত করা হয় বলে মনে করা হয়।
সাদাকায়ে জারিয়াহ : যে সাওয়াব চলমান
কোরআনুল কারিমে আলাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘কুল্লু নাফসিন জায়েক্বাতুল মাউত ওয়া ইন্নামা তুয়াফ্ফাওনা উযুরাকুম ইয়াওমাল কিয়ামাতি-----ইলা মাতাউল গুরুরি’। অর্থাৎ প্রত্যেক জানদার ব্যক্তি মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং তোমরা সবাই কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বিনিময় প্রাপ্ত হবে। একমাত্র সে ব্যক্তিই সফলকাম হবে, যে সেখানে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে এবং যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোকার সামগ্রী। (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৮৫)।
দুনিয়ার এ জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী, যার মূল্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কিছুই না। যে মানুষ দুনিয়ায় ভালো কাজ করবে, সে আখেরাতে এর উত্তম প্রতিদান পাবে, আর যে মন্দ কাজ করবে সেও আমল অনুযায়ী প্রতিদান পাবে। আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের আশা এবং হিকমত তথা সাদকায়ে জারিয়ার মতো নেক আমল করে যেতে হবে। যে আমল মৃত্যুর পরেও কিয়ামত পর্যন্ত চলমান থাকবে। ওই আমল দুনিয়ার জীবনে করে থাকলে মৃত্যুর পরেও মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কবরে তথা আমলনামায় ওই আমলের সাওয়াব যেতে থাকবে। সাদকায়ে জারিয়াহ- কোরআনুল কারিমে এসেছে, আমিই অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো; যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে রাখি এবং যা কিছু তারা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুষ্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি। (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ১২)
এ আয়াতের ব্যখ্যায় তিনটি কথা এসেছে যে, মানুষের আমল নামা তিন ধরনের বিষয় সম্বলিত হবে- ১. প্রত্যেক ব্যক্তির ভালো-মন্দ কাজ আল্লাহর দফতরে লিখে নেওয়া হয়; ২. মানুষ দুনিয়ার জীবনে তার চারপাশে ও শরীরের উপর ভালো-মন্দের যে প্রভাব রাখে, তা তার মানসপটে স্মরণ হতে থাকবে এবং তার সব আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে; ৩. দুনিয়ার জীবনে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্ম, তথা সমাজে যেসব ভালো-মন্দের প্রভাব চালু করে যাবে এবং তা যতক্ষণ পর্যন্ত সচল বা চালু থাকবে, ভালো-মন্দ অনুযায়ী তা হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ হতে থাকবে। এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উম্মতের জন্য সাদকায়ে জারিয়ার উপদেশ দিয়েছেন-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না- ১. সাদকায়ে জারিয়া; ২. এমন ইলম (জ্ঞান)- যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেককার সন্তান-সন্ততি, যে তার জন্য (মৃতব্যক্তি) দোয়া করে। (মুসলিম)
ইলম বা জ্ঞান : যে ইলম মানুষকে আলোর পথ দেখায়; জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। এ ইলমের মধ্যে, সহিহ কোরআন শিখানো, হাদিস শিখানো, তাওহিদ আলাহর একত্ববাদ, পরকালীন জীবনের পথনির্দেশনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মহান লক্ষ্যের সাক্ষ্য ও বাস্তবায়ন। যা দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকাল (বিশ্ব), পরকালীন জীবনের কল্যাণ লাভ করা যায় এমন ইলমই উদ্দেশ্য। এ ইলমের চর্চা যতদিন চলবে ততদিন মৃত ব্যক্তির কবরে তার সাওয়াব পৌঁছতে থাকবে। নেক সন্তান : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের ইন্তেকালের পর চারটি আমলের সাওয়াব চালু থাকবে। ১. যে ব্যক্তি ইসলামি রাষ্ট্রে সীমানা পাহারা দেয়; ২. যে সন্তান কোনো ভালো কাজ শুরু করার পর তাকে যারা ওই কাজে অনুসরণ করলে; ৩. যে ব্যক্তি এমন সাদকা করলো, যা চলতে থাকে; ও ৪. এমন সু-সন্তান রেখে যাওয়া- যে সন্তান তার জন্য দোয়া করে। (মুসনাদ আহমাদ)
মসজিদ নির্মাণ : উসমান রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আলাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তা’আলা ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতেও অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন। (মুসলিম)
বনায়ন : পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় যে ব্যক্তি ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে; সে গাছের ছায়া, অক্সিজেন এবং গাছের ফল দ্বারা মানবকূলসহ পাখ-পাখালি উপকৃত হয়। যতদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে ততদিন এর সাওয়াব তার আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। এ ব্যাপারে হযরত জাবির রাদিয়ল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, কোনো মুসলিম যদি বৃক্ষরোপণ করে, এবং তার কোনো ফল কোনো ব্যক্তি খায় তবে ওই ফল তার জন্য সাদকা, কোনো ভয়ংকর জন্তু-জানোয়ার খেলেও তা তার জন্য সাদকা, যদি কোনো ব্যক্তি চুরি করেও খায় তা তার জন্য সদকা, কোনো পাখিও খায় তাও তার জন্য সদকা। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তি তা কেটে ফেলে তাও তার জন্য সাদকা। (মুসলিম) তাছাড়া গরিব অসহায় মানুষের জন্য যদি আবাসন, খাওয়ার পানি, রাস্তাঘাটের কষ্টকর বস্তু সরিয়ে দেওয়া, ইসলামি সাহিত্য রচনা করে পথহারা মানুষকে দ্বীনের পথে আহ্বান করা, ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া, কোনো জিনিস নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা, ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করে পুনর্বাসন করা ইত্যাদি কল্যাণকর কাজও সাদকায়ে জারিয়া।
একটি হাদিস
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর কবরে সাতটি আমলের সাওয়াব অবিরাম যেতে থাকে। তাহলো ১. ��ে (উত্তম) ইলম শিক্ষা দিল; ২. যে পানি প্রবাহিত করলো, ৩. কূপ খনন করলো, ৪. খেজুর বৃক্ষ রোপন করলো (গাছ রোপন); ৫. মসজিদ (ইবাদতখানা) নির্মাণ করলো; ৬. কোরআনুল কারিম বিতরণ করলো এবং ৭. এমন সু-সন্তান রেখে গেল, যে তার জন্য আলাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
সদকায়ে জারিয়া
https://www.youtube.com/watch?v=IDQuhi7QNeQ
https://www.youtube.com/watch?v=2kRd2sckSgs
https://www.youtube.com/watch?v=1fti_XoLTSc&t=14s
youtube
youtube
youtube
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
Nekki Writes Seven Things Even After Death
0 notes
Text
Gift a mosque and empower a community in need.
As the Prophet Muhammad (PBUH) said,
'Whoever builds a mosque for Allah, Allah will build for him a house in Paradise.'
Your donation will create a lasting place of worship and bring people together.
.
.
.
#GiftAMosque #BuildAMasjid #EmpowerCommunities #HouseInParadise #SadaqahJariyah #Unite4Humanity #IslamicCharity #PlaceOfWorship #RewardingDeeds #BuildForAllah #SupportACause #EternalRewards #CharityWithImpact #MasjidProject #LegacyOfFaith #HelpCommunities #GiveBackToIslam #ActOfKindness #HopeThroughCharity #BuildWithU4H
0 notes
Text
Your donation brings clean water to those in need in Yemen.
Together, we can provide hope and change lives.
Donate today and make a lasting impact! 💧
#CleanWater #MakeADifference
.
.
.
#CleanWaterForYemen #YemenRelief #WaterForLife #MakeADifference #SaveLives #HumanitarianAid #YemenCrisis #HopeForYemen #SadaqahJariyah #CharityForYemen #EmergencyAppeal #DonateNow #GiveWaterGiveLife #IslamicCharity
0 notes
Text
@dusdawah Help us move to a bigger masjid Inshaallah!
Full video on the DUS Dawah YouTube channel.
Donate now via: dusmasjidappeal.com
#masjid #Islam #dawah #muslim #reels #reelsinstagram #islamic #deen #ramadhan2023 #ramadan #ramadhan #sadaqah #sadaqahjariyah #sadaqa
0 notes
Text
Sadaqah Jariyah: Give ongoing charity with endless rewards. Support impactful projects with Al Mustafa Welfare Trust. Donate Sadaqah Jariyah now! https://www.almustafatrust.org/donate-sadaqah-jariyah/ #SadaqahJariyah
0 notes
Text
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
youtube
youtube
youtube
youtube
সদকাহ জারিয়াহ
ইসলামে , ক্রমাগত দাতব্য বা চলমান দাতব্য ( আরবি : صدقة جارية , রোমানাইজড : সাদাকাহ জারিয়াহ ) এমন কোন কাজকে বোঝায় যা তার সূচনাকারীর মৃত্যুর পরেও মানবতার উপকার করতে থাকে। যে ব্যক্তি মানবতার জন্য একটি উপকারী উত্তরাধিকার রেখে যায় তাকে তাদের মৃত্যুর পরেও এর জন্য পুরস্কৃত করা হয় বলে মনে করা হয়।
সাদাকায়ে জারিয়াহ : যে সাওয়াব চলমান
কোরআনুল কারিমে আলাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘কুল্লু নাফসিন জায়েক্বাতুল মাউত ওয়া ইন্নামা তুয়াফ্ফাওনা উযুরাকুম ইয়াওমাল কিয়ামাতি-----ইলা মাতাউল গুরুরি’। অর্থাৎ প্রত্যেক জানদার ব্যক্তি মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং তোমরা সবাই কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বিনিময় প্রাপ্ত হবে। একমাত্র সে ব্যক্তিই সফলকাম হবে, যে সেখানে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে এবং যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোকার সামগ্রী। (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৮৫)।
দুনিয়ার এ জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী, যার মূল্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কিছুই না। যে মানুষ দুনিয়ায় ভালো কাজ করবে, সে আখেরাতে এর উত্তম প্রতিদান পাবে, আর যে মন্দ কাজ করবে সেও আমল অনুযায়ী প্রতিদান পাবে। আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের আশা এবং হিকমত তথা সাদকায়ে জারিয়ার মতো নেক আমল করে যেতে হবে। যে আমল মৃত্যুর পরেও কিয়ামত পর্যন্ত চলমান থাকবে। ওই আমল দুনিয়ার জীবনে করে থাকলে মৃত্যুর পরেও মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কবরে তথা আমলনামায় ওই আমলের সাওয়াব যেতে থাকবে। সাদকায়ে জারিয়াহ- কোরআনুল কারিমে এসেছে, আমিই অবশ্যই একদিন মৃতদেরকে জীবিত করবো; যা কিছু কাজ তারা করেছে তা সবই আমি লিখে রাখি এবং যা কিছু তারা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুষ্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি। (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ১২)
এ আয়াতের ব্যখ্যায় তিনটি কথা এসেছে যে, মানুষের আমল নামা তিন ধরনের বিষয় সম্বলিত হবে- ১. প্রত্যেক ব্যক্তির ভালো-মন্দ কাজ আল্লাহর দফতরে লিখে নেওয়া হয়; ২. মানুষ দুনিয়ার জীবনে তার চারপাশে ও শরীরের উপর ভালো-মন্দের যে প্রভাব রাখে, তা তার মানসপটে স্মরণ হতে থাকবে এবং তার সব আচরণের ছবি সামনে এসে যাবে; ৩. দুনিয়ার জীবনে নিজের ভবিষ্যত প্রজন্ম, তথা সমাজে যেসব ভালো-মন্দের প্রভাব চালু করে যাবে এবং তা যতক্ষণ পর্যন্ত সচল বা চালু থাকবে, ভালো-মন্দ অনুযায়ী তা হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ হতে থাকবে। এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উম্মতের জন্য সাদকায়ে জারিয়ার উপদেশ দিয়েছেন-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না- ১. সাদকায়ে জারিয়া; ২. এমন ইলম (জ্ঞান)- যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেককার সন্তান-সন্ততি, যে তার জন্য (মৃতব্যক্তি) দোয়া করে। (মুসলিম)
ইলম বা জ্ঞান : যে ইলম মানুষকে আলোর পথ দেখায়; জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। এ ইলমের মধ্যে, সহিহ কোরআন শিখানো, হাদিস শিখানো, তাওহিদ আলাহর একত্ববাদ, পরকালীন জীবনের পথনির্দেশনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মহান লক্ষ্যের সাক্ষ্য ও বাস্তবায়ন। যা দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকাল (বিশ্ব), পরকালীন জীবনের কল্যাণ লাভ করা যায় এমন ইলমই উদ্দেশ্য। এ ইলমের চর্চা যতদিন চলবে ততদিন মৃত ব্যক্তির কবরে তার সাওয়াব পৌঁছতে থাকবে। নেক সন্তান : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের ইন্তেকালের পর চারটি আমলের সাওয়াব চালু থাকবে। ১. যে ব্যক্তি ইসলামি রাষ্ট্রে সীমানা পাহারা দেয়; ২. যে সন্তান কোনো ভালো কাজ শুরু করার পর তাকে যারা ওই কাজে অনুসরণ করলে; ৩. যে ব্যক্তি এমন সাদকা করলো, যা চলতে থাকে; ও ৪. এমন সু-সন্তান রেখে যাওয়া- যে সন্তান তার জন্য দোয়া করে। (মুসনাদ আহমাদ)
মসজিদ নির্মাণ : উসমান রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আলাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তা’আলা ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতেও অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন। (মুসলিম)
বনায়ন : পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় যে ব্যক্তি ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে; সে গাছের ছায়া, অক্সিজেন এবং গাছের ফল দ্বারা মানবকূলসহ পাখ-পাখালি উপকৃত হয়। যতদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে ততদিন এর সাওয়াব তার আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। এ ব্যাপারে হযরত জাবির রাদিয়ল্লাহু আনহু ��তে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, কোনো মুসলিম যদি বৃক্ষরোপণ করে, এবং তার কোনো ফল কোনো ব্যক্তি খায় তবে ওই ফল তার জন্য সাদকা, কোনো ভয়ংকর জন্তু-জানোয়ার খেলেও তা তার জন্য সাদকা, যদি কোনো ব্যক্তি চুরি করেও খায় তা তার জন্য সদকা, কোনো পাখিও খায় তাও তার জন্য সদকা। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তি তা কেটে ফেলে তাও তার জন্য সাদকা। (মুসলিম) তাছাড়া গরিব অসহায় মানুষের জন্য যদি আবাসন, খাওয়ার পানি, রাস্তাঘাটের কষ্টকর বস্তু সরিয়ে দেওয়া, ইসলামি সাহিত্য রচনা করে পথহারা মানুষকে দ্বীনের পথে আহ্বান করা, ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া, কোনো জিনিস নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা, ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করে পুনর্বাসন করা ইত্যাদি কল্যাণকর কাজও সাদকায়ে জারিয়া।
একটি হাদিস
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, মানুষের মৃত্যুর পর কবরে সাতটি আমলের সাওয়াব অবিরাম যেতে থাকে। তাহলো ১. যে (উত্তম) ইলম শিক্ষা দিল; ২. যে পানি প্রবাহিত করলো, ৩. কূপ খনন করলো, ৪. খেজুর বৃক্ষ রোপন করলো (গাছ রোপন); ৫. মসজিদ (ইবাদতখানা) নির্মাণ করলো; ৬. কোরআনুল কারিম বিতরণ করলো এবং ৭. এমন সু-সন্তান রেখে গেল, যে তার জন্য আলাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
সদকায়ে জারিয়া
https://www.youtube.com/watch?v=IDQuhi7QNeQ
https://www.youtube.com/watch?v=2kRd2sckSgs
https://www.youtube.com/watch?v=1fti_XoLTSc&t=14s
youtube
youtube
youtube
মৃত্যুর পরেও নেকী লিখে সাতটা জিনিস
Nekki Writes Seven Things Even After Death
0 notes
Photo
قَوْلٌ مَّعْرُوفٌ وَمَغْفِرَةٌ خَيْرٌ مِّن صَدَقَةٍ يَتْبَعُهَآ أَذًى ۗ وَٱللَّهُ غَنِىٌّ حَلِيمٌ Kind speech and forgiveness are better than charity followed by injury. And Allah is Free of need and Forbearing. Surah Baqarah 2:263 . . . . #islam #allah #verse #quran #ramadan2021 #ramadanreminder #kindness #kind #kindnessmatters #charity #sadaqah #sadaqahjariyah #ramadan1442 #quranayahs #prophetmuhammd https://www.instagram.com/p/CN9zAoOBUBq/?igshid=1obtgb3s24qzh
#islam#allah#verse#quran#ramadan2021#ramadanreminder#kindness#kind#kindnessmatters#charity#sadaqah#sadaqahjariyah#ramadan1442#quranayahs#prophetmuhammd
20 notes
·
View notes
Photo
"A smart way to Pray is here" #islam #muslim #sadaqah #sadaqahjariyah #allah #sunnah #dua #sunnah #dua #prayer #smart #prophet #mecca #kaba #madina #Muslims #Prophet #MuslimFacts #Kids #muslimah #muslimgirl #muslimshop #muslmahwear #muslimhijab #muslimahfashion #islamic #deen #ramadan2020 #mohammed #prophetmuhammad (at Dubai, United Arab Emirates) https://www.instagram.com/p/CAdmZMoHTsZ/?igshid=1cgva921tvpjz
#islam#muslim#sadaqah#sadaqahjariyah#allah#sunnah#dua#prayer#smart#prophet#mecca#kaba#madina#muslims#muslimfacts#kids#muslimah#muslimgirl#muslimshop#muslmahwear#muslimhijab#muslimahfashion#islamic#deen#ramadan2020#mohammed#prophetmuhammad
1 note
·
View note
Text
How do you plan to contribute to charity?
In Islam, one charity is Sadaqah Jariyah and the second is Zakat. At Islamic relief we focus on that Muslims all over the world should donate to a safe hand where they know where is their money is going as a sadaqah. Islamic relief is a reputable charity organisation who is helping people in every disaster with the help of zakat you pay. You can calculate zakat online by using our zakat calculator and pay zakat online too.
0 notes
Link
Earn even after your death through charity
#charity #benevolence #SadaqahJariyah #Sadaqah or Sadqah "charity", "benevolence", has come to signify "voluntary charity". According to the Quran, the word means voluntary offering, whose amount is at the will of the "benefactor" The literal translation of Sadaqah is 'righteousness' but in the modern-day context, it has come to mean 'voluntary charity'. While Sadaqah Jariyah is often referred to as 'alms', it is recognised as meaning a voluntary charity that gives long-term.
#Earning tips#charity#Sadaqah Jariyah#SadaqahJariyah#Sadaqah#sadaqah benifits#Earn even after your death
0 notes