সুরা মুলক এর ফজিলত ও বিষয়বস্তু
সুরা মুলক এর ফজিলত
সুরা মুলক পাঠের ফজিলত সীমাহীন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যার আয়াত ৩০টি। এই সুরা যে পাঠ করবে, সেই ব্যক্তির জন্য সুরাটি সুপারিশ করবে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক)। (সুনানে আত-তিরমিজি, ২৮৯১)
প্রতি রাতের যেকোনো সময় সুরা মুলক তিলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তিরমিজি শরিফের ২,৮৯২ নম্বর হাদিস অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা আস-সাজদা ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে কোনো দিন ঘুমাতেন না।
তার মানে এই নয় যে সুরাটি দিনে পড়া যাবে না। যেকোনো সময়ই পড়া যাবে, তবে রাতে বিশেষ জিকির হিসেবে এ সুরা পড়া উত্তম। সুরাটি নামাজের সঙ্গে পড়াও ভালো। মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা মুলক এর ছয়টি ভাগ:
প্রথম ভাগ ১ থেকে ৪ আয়াত—এ অংশে আছে আল্লাহর ক্ষমতার বর্ণনা।
দ্বিতীয় ভাগ ৫ থেকে ১৫ আয়াত—এ অংশে জাহান্নাম ও জান্নাতের প্রসঙ্গ।
তৃতীয় ভাগ ১৬ থেকে ২২ আয়াত—এখানে আছে অত্যাসন্ন বিপদের বার্তা।
চতুর্থ ভাগ ২৩ থেকে ২৪ আয়াত—সে বিপদে প্রস্তুতির সময় নিয়ে প্রশ্ন।
পঞ্চম ভাগ ২৫ থেকে ২৭ আয়াত—সে বিপদ কবে ঘটবে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল?
শেষ ভাগ ২৮ থেকে ৩০ আয়াত—আল্লাহর বিপরীতে মানুষের দুর্বলতা।
সুরা মুলক এর বিষয়বস্তু
সুরাটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজগতের কর্তৃত্ব ও রাজত্ব সবই আল্লাহর। আরও বলা হয়েছে বিশ্বজগৎ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সৃষ্টিজগতের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নিখুঁত।
সুরাটিতে আছে তারকারাজি সৃষ্টির রহস্যের কথা, কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসীদের অবস্থা এবং তাদের চিন্তা ও গবেষণা করার দাওয়াত এবং বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগানোর আহবান।
সুরাটির নামের মধ্যেই এর বিষয়বস্তু ও মর্মার্থ সুস্পষ্ট হয়েছে। আরবি মুলক মানে সার্বভৌমত্ব। আসমান ও জমিনে সার্বভৌমত্বের একমাত্র অধিকারী যে আল্লাহ, তা এ সুরায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সুরাটির শুরুতেই আল্লাহ তাঁর পরম সার্বভৌম কর্তৃত্বের কথা ঘোষণা করেছেন।
দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ এতে বোঝা যায়, জীবনের মতো মৃত্যুও স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি।
এ আয়াত থেকে আরও স্পষ্ট বোঝা যায় যে যিনি মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, তিনি অবশ্যই মৃত্যু থেকে মুক্ত। অর্থাৎ মৃত্যু তাঁর ওপর কার্যকর হতে পারে না।
৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন। করুণাময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোনো খুঁত দেখতে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখো, কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি না। তারপর তুমি বারবার তাকাও, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।’ এখানে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিতে কোনো খুঁত বা অসংগতি আছে কি না, তা বারবার খুঁজে দেখতে বলেছেন।
কারণ, প্রথমবার মানুষ যখন অবাক হয়ে কোনো কিছু দেখে, তখন কোনো ত্রুটি বা অসংগতি তার চোখে পড়ে না। বারবার অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টির অসংগতি খুঁজে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্��েন। নিটোল সৃষ্টির কোনো অসংগতি না দেখতে পেয়ে মানুষের দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।
এরপর পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি নিম্নতম আকাশকে প্রদীপমালায় সুশোভিত করেছি এবং তাদের ক্ষেপণীয় বস্তু করেছি শয়তানের ওপর নিক্ষেপ করার জন্য। আর আমি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।’ এ আসমানকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে, তেমনি এগুলোকে আক্রমণের মাধ্যমও করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর এই সৃষ্টির মধ্যে কোমলতা ও কঠোরতা পাশাপাশি রয়েছে।
১৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে প্রশস্ত করেছেন, অতএব তোমরা দিগ্দিগন্তে বিচরণ ও তাঁর দেওয়া জীবনের উপকরণ থেকে আহার করো। পুনরুত্থানের পর তাঁরই কাছে ফিরতে হবে।
SŪRAH AL-MULK
SOORAH AL-MULK - THE KINGDOM - CINEMA VIEW
Surah Mulk
Surat al-Mulk intercedes until reciter is forgiven
Abu Huraira (RA) reported: The Prophet, peace and blessings be upon him, said, “There is a chapter in the Quran of thirty verses, which will intercede for its companion until he is forgiven: Blessed is He in whose Hand is the dominion.” (67:1). Source: Sunan Abī Dāwūd 1400
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
Surah Mulk
The Kingdom
0 notes
সুরা মুলক এর ফজিলত ও বিষয়বস্তু
সুরা মুলক এর ফজিলত
সুরা মুলক পাঠের ফজিলত সীমাহীন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যার আয়াত ৩০টি। এই সুরা যে পাঠ করবে, সেই ব্যক্তির জন্য সুরাটি সুপারিশ করবে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক)। (সুনানে আত-তিরমিজি, ২৮৯১)
প্রতি রাতের যেকোনো সময় সুরা মুলক তিলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তিরমিজি শরিফের ২,৮৯২ নম্বর হাদিস অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা আস-সাজদা ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে কোনো দিন ঘুমাতেন না।
তার মানে এই নয় যে সুরাটি দিনে পড়া যাবে না। যেকোনো সময়ই পড়া যাবে, তবে রাতে বিশেষ জিকির হিসেবে এ সুরা পড়া উত্তম। সুরাটি নামাজের সঙ্গে পড়াও ভালো। মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা মুলক এর ছয়টি ভাগ:
প্রথম ভাগ ১ থেকে ৪ আয়াত—এ অংশে আছে আল্লাহর ক্ষমতার বর্ণনা।
দ্বিতীয় ভাগ ৫ থেকে ১৫ আয়াত—এ অংশে জাহান্নাম ও জান্নাতের প্রসঙ্গ।
তৃতীয় ভাগ ১৬ থেকে ২২ আয়াত—এখানে আছে অত্যাসন্ন বিপদের বার্তা।
চতুর্থ ভাগ ২৩ থেকে ২৪ আয়াত—সে বিপদে প্রস্তুতির সময় নিয়ে প্রশ্ন।
পঞ্চম ভাগ ২৫ থেকে ২৭ আয়াত—সে বিপদ কবে ঘটবে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল?
শেষ ভাগ ২৮ থেকে ৩০ আয়াত—আল্লাহর বিপরীতে মানুষের দুর্বলতা।
সুরা মুলক এর বিষয়বস্তু
সুরাটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজগতের কর্তৃত্ব ও রাজত্ব সবই আল্লাহর। আরও বলা হয়েছে বিশ্বজগৎ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সৃষ্টিজগতের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নিখুঁত।
সুরাটিতে আছে তারকারাজি সৃষ্টির রহস্যের কথা, কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসীদের অবস্থা এবং তাদের চিন্তা ও গবেষণা করার দাওয়াত এবং বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগানোর আহবান।
সুরাটির নামের মধ্যেই এর বিষয়বস্তু ও মর্মার্থ সুস্পষ্ট হয়েছে। আরবি মুলক মানে সার্বভৌমত্ব। আসমান ও জমিনে সার্বভৌমত্বের একমাত্র অধিকারী যে আল্লাহ, তা এ সুরায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সুরাটির শুরুতেই আল্লাহ তাঁর পরম সার্বভৌম কর্তৃত্বের কথা ঘোষণা করেছেন।
দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ এতে বোঝা যায়, জীবনের মতো মৃত্যুও স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি।
এ আয়াত থেকে আরও স্পষ্ট বোঝা যায় যে যিনি মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, তিনি অবশ্যই মৃত্যু থেকে মুক্ত। অর্থাৎ মৃত্যু তাঁর ওপর কার্যকর হতে পারে না।
৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন। করুণাময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোনো খুঁত দেখতে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখো, কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি না। তারপর তুমি বারবার তাকাও, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।’ এখানে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিতে কোনো খুঁত বা অসংগতি আছে কি না, তা বারবার খুঁজে দেখতে বলেছেন।
কারণ, প্রথমবার মানুষ যখন অবাক হয়ে কোনো কিছু দেখে, তখন কোনো ত্রুটি বা অসংগতি তার চোখে পড়ে না। বারবার অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টির অসংগতি খুঁজে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। নিটোল সৃষ্টির কোনো অসংগতি না দেখতে পেয়ে মানুষের দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।
এরপর পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি নিম্নতম আকাশকে প্রদীপমালায় সুশোভিত করেছি এবং তাদের ক্ষেপণীয় বস্তু করেছি শয়তানের ওপর নিক্ষেপ করার জন্য। আর আমি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।’ এ আসমানকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে, তেমনি এগুলোকে আক্রমণের মাধ্যমও করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর এই সৃষ্টির মধ্যে কোমলতা ও কঠোরতা পাশাপাশি রয়েছে।
১৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে প্রশস্ত করেছেন, অতএব তোমরা দিগ্দিগন্তে বিচরণ ও তাঁর দেওয়া জীবনের উপকরণ থেকে আহার করো। পুনরুত্থানের পর তাঁরই কাছে ফিরতে হবে।
SŪRAH AL-MULK
SOORAH AL-MULK - THE KINGDOM - CINEMA VIEW
Surah Mulk
Surat al-Mulk intercedes until reciter is forgiven
Abu Huraira (RA) reported: The Prophet, peace and blessings be upon him, said, “There is a chapter in the Quran of thirty verses, which will intercede for its companion until he is forgiven: Blessed is He in whose Hand is the dominion.” (67:1). Source: Sunan Abī Dāwūd 1400
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
Surah Mulk
The Kingdom
0 notes
সুরা মুলক এর ফজিলত ও বিষয়বস্তু
সুরা মুলক এর ফজিলত
সুরা মুলক পাঠের ফজিলত সীমাহীন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যার আয়াত ৩০টি। এই সুরা যে পাঠ করবে, সেই ব্যক্তির জন্য সুরাটি সুপারিশ করবে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক)। (সুনানে আত-তিরমিজি, ২৮৯১)
প্রতি রাতের যেকোনো সময় সুরা মুলক তিলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তিরমিজি শরিফের ২,৮৯২ নম্বর হাদিস অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা আস-সাজদা ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে কোনো দিন ঘুমাতেন না।
তার মানে এই নয় যে সুরাটি দিনে পড়া যাবে না। যেকোনো সময়ই পড়া যাবে, তবে রাতে বিশেষ জিকির হিসেবে এ সুরা পড়া উত্তম। সুরাটি নামাজের সঙ্গে পড়াও ভালো। মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা মুলক এর ছয়টি ভাগ:
প্রথম ভাগ ১ থেকে ৪ আয়াত—এ অংশে আছে আল্লাহর ক্ষমতার বর্ণনা।
দ্বিতীয় ভাগ ৫ থেকে ১৫ আয়াত—এ অংশে জাহান্নাম ও জান্নাতের প্রসঙ্গ।
তৃতীয় ভাগ ১৬ থেকে ২২ আয়াত—এখানে আছে অত্যাসন্ন বিপদের বার্তা।
চতুর্থ ভাগ ২৩ থেকে ২৪ আয়াত—সে বিপদে প্রস্তুতির সময় নিয়ে প্রশ্ন।
পঞ্চম ভাগ ২৫ থেকে ২৭ আয়াত—সে বিপদ কবে ঘটবে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল?
শেষ ভাগ ২৮ থেকে ৩০ আয়াত—আল্লাহর বিপরীতে মানুষের দুর্বলতা।
সুরা মুলক এর বিষয়বস্তু
সুরাটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজগতের কর্তৃত্ব ও রাজত্ব সবই আল্লাহর। আরও বলা হয়েছে বিশ্বজগৎ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সৃষ্টিজগতের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নিখুঁত।
সুরাটিতে আছে তারকারাজি সৃষ্টির রহস্যের কথা, কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসীদের অবস্থা এবং তাদের চিন্তা ও গবেষণা করার দাওয়াত এবং বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগানোর আহবান।
সুরাটির নামের মধ্যেই এর বিষয়বস্তু ও মর্মার্থ সুস্পষ্ট হয়েছে। আরবি মুলক মানে সার্বভৌমত্ব। আসমান ও জমিনে সার্বভৌমত্বের একমাত্র অধিকারী যে আল্লাহ, তা এ সুরায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সুরাটির শুরুতেই আল্লাহ তাঁর পরম সার্বভৌম কর্তৃত্বের কথা ঘোষণা করেছেন।
দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ এতে বোঝা যায়, জীবনের মতো মৃত্যুও স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি।
এ আয়াত থেকে আরও স্পষ্ট বোঝা যায় যে যিনি মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, তিনি অবশ্যই মৃত্যু থেকে মুক্ত। অর্থাৎ মৃত্যু তাঁর ওপর কার্যকর হতে পারে না।
৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন। করুণাময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোনো খুঁত দেখতে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখো, কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি না। তারপর তুমি বারবার তাকাও, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।’ এখানে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিতে কোনো খুঁত বা অসংগতি আছে কি না, তা বারবার খুঁজে দেখতে বলেছেন।
কারণ, প্রথমবার মানুষ যখন অবাক হয়ে কোনো কিছু দেখে, তখন কোনো ত্রু���ি বা অসংগতি তার চোখে পড়ে না। বারবার অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টির অসংগতি খুঁজে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। নিটোল সৃষ্টির কোনো অসংগতি না দেখতে পেয়ে মানুষের দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।
এরপর পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি নিম্নতম আকাশকে প্রদীপমালায় সুশোভিত করেছি এবং তাদের ক্ষেপণীয় বস্তু করেছি শয়তানের ওপর নিক্ষেপ করার জন্য। আর আমি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।’ এ আসমানকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে, তেমনি এগুলোকে আক্রমণের মাধ্যমও করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর এই সৃষ্টির মধ্যে কোমলতা ও কঠোরতা পাশাপাশি রয়েছে।
১৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে প্রশস্ত করেছেন, অতএব তোমরা দিগ্দিগন্তে বিচরণ ও তাঁর দেওয়া জীবনের উপকরণ থেকে আহার করো। পুনরুত্থানের পর তাঁরই কাছে ফিরতে হবে।
SŪRAH AL-MULK
SOORAH AL-MULK - THE KINGDOM - CINEMA VIEW
Surah Mulk
Surat al-Mulk intercedes until reciter is forgiven
Abu Huraira (RA) reported: The Prophet, peace and blessings be upon him, said, “There is a chapter in the Quran of thirty verses, which will intercede for its companion until he is forgiven: Blessed is He in whose Hand is the dominion.” (67:1). Source: Sunan Abī Dāwūd 1400
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
Surah Mulk
The Kingdom
0 notes
সুরা মুলক এর ফজিলত ও বিষয়বস্তু
সুরা মুলক এর ফজিলত
সুরা মুলক পাঠের ফজিলত সীমাহীন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যার আয়াত ৩০টি। এই সুরা যে পাঠ করবে, সেই ব্যক্তির জন্য সুরাটি সুপারিশ করবে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক)। (সুনানে আত-তিরমিজি, ২৮৯১)
প্রতি রাতের যেকোনো সময় সুরা মুলক তিলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তিরমিজি শরিফের ২,৮৯২ নম্বর হাদিস অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা আস-সাজদা ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে কোনো দিন ঘুমাতেন না।
তার মানে এই নয় যে সুরাটি দিনে পড়া যাবে না। যেকোনো সময়ই পড়া যাবে, তবে রাতে বিশেষ জিকির হিসেবে এ সুরা পড়া উত্তম। সুরাটি নামাজের সঙ্গে পড়াও ভালো। মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা মুলক এর ছয়টি ভাগ:
প্রথম ভাগ ১ থেকে ৪ আয়াত—এ অংশে আছে আল্লাহর ক্ষমতার বর্ণনা।
দ্বিতীয় ভাগ ৫ থেকে ১৫ আয়াত—এ অংশে জাহান্নাম ও জান্নাতের প্রসঙ্গ।
তৃতীয় ভাগ ১৬ থেকে ২২ আয়াত—এখানে আছে অত্যাসন্ন বিপদের বার্তা।
চতুর্থ ভাগ ২৩ থেকে ২৪ আয়াত—সে বিপদে প্রস্তুতির সময় নিয়ে প্রশ্ন।
পঞ্চম ভাগ ২৫ থেকে ২৭ আয়াত—সে বিপদ কবে ঘটবে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল?
শেষ ভাগ ২৮ থেকে ৩০ আয়াত—আল্লাহর বিপরীতে মানুষের দুর্বলতা।
সুরা মুলক এর বিষয়বস্তু
সুরাটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজগতের কর্তৃত্ব ও রাজত্ব সবই আল্লাহর। আরও বলা হয়েছে বিশ্বজগৎ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সৃষ্টিজগতের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নিখুঁত।
সুরাটিতে আছে তারকারাজি সৃষ্টির রহস্যের কথা, কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসীদের অবস্থা এবং তাদের চিন্তা ও গবেষণা করার দাওয়াত এবং বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগানোর আহবান।
সুরাটির নামের মধ্যেই এর বিষয়বস্তু ও মর্মার্থ সুস্পষ্ট হয়েছে। আরবি মুলক মানে সার্বভৌমত্ব। আসমান ও জমিনে সার্বভৌমত্বের একমাত্র অধিকারী যে আল্লাহ, তা এ সুরায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সুরাটির শুরুতেই আল্লাহ তাঁর পরম সার্বভৌম কর্তৃত্বের কথা ঘোষণা করেছেন।
দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ এতে বোঝা যায়, জীবনের মতো মৃত্যুও স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি।
এ আয়াত থেকে আরও স্পষ্ট বোঝা যায় যে যিনি মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, তিনি অবশ্যই মৃত্যু থেকে মুক্ত। অর্থাৎ মৃত্যু তাঁর ওপর কার্যকর হতে পারে না।
৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন। করুণাময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোনো খুঁত দেখতে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখো, কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি না। তারপর তুমি বারবার তাকাও, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।’ এখানে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিতে কোনো খুঁত বা অসংগতি আছে কি না, তা বারবার খুঁজে দেখতে বলেছেন।
কারণ, প্রথমবার মানুষ যখন অবাক হয়ে কোনো কিছু দেখে, তখন কোনো ত্রুটি বা অসংগতি তার চোখে পড়ে না। বারবার অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টির অসংগতি খুঁজে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। নিটোল সৃষ্টির কোনো অসংগতি না দেখতে পেয়ে মানুষের দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।
এরপর পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি নিম্নতম আকাশকে প্রদীপমালায় সুশোভিত করেছি এবং তাদের ক্ষেপণীয় বস্তু করেছি শয়তানের ওপর নিক্ষেপ করার জন্য। আর আমি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।’ এ আসমানকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে, তেমনি এগুলোকে আক্রমণের মাধ্যমও করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর এই সৃষ্টির মধ্যে কোমলতা ও কঠোরতা পাশাপাশি রয়েছে।
১৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে প্রশস্ত করেছেন, অতএব তোমরা দিগ্দিগন্তে বিচরণ ও তাঁর দেওয়া জীবনের উপকরণ থেকে আহার করো। পুনরুত্থানের পর তাঁরই কাছে ফিরতে হবে।
SŪRAH AL-MULK
SOORAH AL-MULK - THE KINGDOM - CINEMA VIEW
Surah Mulk
Surat al-Mulk intercedes until reciter is forgiven
Abu Huraira (RA) reported: The Prophet, peace and blessings be upon him, said, “There is a chapter in the Quran of thirty verses, which will intercede for its companion until he is forgiven: Blessed is He in whose Hand is the dominion.” (67:1). Source: Sunan Abī Dāwūd 1400
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
Surah Mulk
The Kingdom
0 notes
সুরা মুলক এর ফজিলত ও বিষয়বস্তু
সুরা মুলক এর ফজিলত
সুরা মুলক পাঠের ফজিলত সীমাহীন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যার আয়াত ৩০টি। এই সুরা যে পাঠ করবে, সেই ব্যক্তির জন্য সুরাটি সুপারিশ করবে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক)। (সুনানে আত-তিরমিজি, ২৮৯১)
প্রতি রাতের যেকোনো সময় সুরা মুলক তিলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তিরমিজি শরিফের ২,৮৯২ নম্বর হাদিস অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা আস-সাজদা ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে কোনো দিন ঘুমাতেন না।
তার মানে এই নয় যে সুরাটি দিনে পড়া যাবে না। যেকোনো সময়ই পড়া যাবে, তবে রাতে বিশেষ জিকির হিসেবে এ সুরা পড়া উত্তম। সুরাটি নামাজের সঙ্গে পড়াও ভালো। মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা মুলক এর ছয়টি ভাগ:
প্রথম ভাগ ১ থেকে ৪ আয়াত—এ অংশে আছে আল্লাহর ক্ষমতার বর্ণনা।
দ্বিতীয় ভাগ ৫ থেকে ১৫ আয়াত—এ অংশে জাহান্নাম ও জান্নাতের প্রসঙ্গ।
তৃতীয় ভাগ ১৬ থেকে ২২ আয়াত—এখানে আছে অত্যাসন্ন বিপদের বার্তা।
চতুর্থ ভাগ ২৩ থেকে ২৪ আয়াত—সে বিপদে প্রস্তুতির সময় নিয়ে প্রশ্ন।
পঞ্চম ভাগ ২৫ থেকে ২৭ আয়াত—সে বিপদ কবে ঘটবে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল?
শেষ ভাগ ২৮ থেকে ৩০ আয়াত—আল্লাহর বিপরীতে মানুষের দুর্বলতা।
সুরা মুলক এর বিষয়বস্তু
সুরাটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজগতের কর্তৃত্ব ও রাজত্ব সবই আল্লাহর। আরও বলা হয়েছে বিশ্বজগৎ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সৃষ্টিজগতের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নিখুঁত।
সুরাটিতে আছে তারকারাজি সৃষ্টির রহস্যের কথা, কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসীদের অবস্থা এবং তাদের চিন্তা ও গবেষণা করার দাওয়াত এবং বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগানোর আহবান।
সুরাটির নামের মধ্যেই এর বিষয়বস্তু ও মর্মার্থ সুস্পষ্ট হয়েছে। আরবি মুলক মানে সার্বভৌমত্ব। আসমান ও জমিনে সার্বভৌমত্বের একমাত্র অধিকারী যে আল্লাহ, তা এ সুরায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সুরাটির শুরুতেই আল্লাহ তাঁর পরম সার্বভৌম কর্তৃত্বের কথা ঘোষণা করেছেন।
দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ এতে বোঝা যায়, জীবনের মতো মৃত্যুও স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি।
এ আয়াত থেকে আরও স্পষ্ট বোঝা যায় যে যিনি মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, তিনি অবশ্যই মৃত্যু থেকে মুক্ত। অর্থাৎ মৃত্যু তাঁর ওপর কার্যকর হতে পারে না।
৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন। করুণাময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোনো খুঁত দেখতে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখো, কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি না। তারপর তুমি বারবার তাকাও, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।’ এখানে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিতে কোনো খুঁত বা অসংগতি আছে কি না, তা বারবার খুঁজে দেখতে বলেছেন।
কারণ, প্রথমবার মানুষ যখন অবাক হয়ে কোনো কিছু দেখে, তখন কোনো ত্রুটি বা অসংগতি তার চোখে পড়ে না। বারবার অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টির অসংগতি খুঁজে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। নিটোল সৃষ্টির কোনো অসংগতি না দেখতে পেয়ে মানুষের দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।
এরপর পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি নিম্নতম আকাশকে প্রদীপমালায় সুশোভিত করেছি এবং তাদের ক্ষেপণীয় বস্তু করেছি শয়তানের ওপর নিক্ষেপ করার জন্য। আর আমি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।’ এ আসমানকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে, তেমনি এগুলোকে আক্রমণের মাধ্যমও করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর এই সৃষ্টির মধ্যে কোমলতা ও কঠোরতা পাশাপাশি রয়েছে।
১৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে প্রশস্ত করেছেন, অতএব তোমরা দিগ্দিগন্তে বিচরণ ও তাঁর দেওয়া জীবনের উপকরণ থেকে আহার করো। পুনরুত্থানের পর তাঁরই কাছে ফিরতে হবে।
SŪRAH AL-MULK
SOORAH AL-MULK - THE KINGDOM - CINEMA VIEW
Surah Mulk
Surat al-Mulk intercedes until reciter is forgiven
Abu Huraira (RA) reported: The Prophet, peace and blessings be upon him, said, “There is a chapter in the Quran of thirty verses, which will intercede for its companion until he is forgiven: Blessed is He in whose Hand is the dominion.” (67:1). Source: Sunan Abī Dāwūd 1400
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
Surah Mulk The Kingdom
0 notes
সুরা মুলক এর ফজিলত ও বিষয়বস্তু
সুরা মুলক এর ফজিলত
সুরা মুলক পাঠের ফজিলত সীমাহীন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যার আয়াত ৩০টি। এই সুরা যে পাঠ করবে, সেই ব্যক্তির জন্য সুরাটি সুপারিশ করবে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক)। (সুনানে আত-তিরমিজি, ২৮৯১)
প্রতি রাতের যেকোনো সময় সুরা মুলক তিলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তিরমিজি শরিফের ২,৮৯২ নম্বর হাদিস অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা আস-সাজদা ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে কোনো দিন ঘুমাতেন না।
তার মানে এই নয় যে সুরাটি দিনে পড়া যাবে না। যেকোনো সময়ই পড়া যাবে, তবে রাতে বিশেষ জিকির হিসেবে এ সুরা পড়া উত্তম। সুরাটি নামাজের সঙ্গে পড়াও ভালো। মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা মুলক এর ছয়টি ভাগ:
প্রথম ভাগ ১ থেকে ৪ আয়াত—এ অংশে আছে আল্লাহর ক্ষমতার বর্ণনা।
দ্বিতীয় ভাগ ৫ থেকে ১৫ আয়াত—এ অংশে জাহান্নাম ও জান্নাতের প্রসঙ্গ।
তৃতীয় ভাগ ১৬ থেকে ২২ আয়াত—এখানে আছে অত্যাসন্ন বিপদের বার্তা।
চতুর্থ ভাগ ২৩ থেকে ২৪ আয়াত—সে বিপদে প্রস্তুতির সময় নিয়ে প্রশ্ন।
পঞ্চম ভাগ ২৫ থেকে ২৭ আয়াত—সে বিপদ কবে ঘটবে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল?
শেষ ভাগ ২৮ থেকে ৩০ আয়াত—আল্লাহর বিপরীতে মানুষের দুর্বলতা।
সুরা মুলক এর বিষয়বস্তু
সুরাটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজগতের কর্তৃত্ব ও রাজত্ব সবই আল্লাহর। আরও বলা হয়েছে বিশ্বজগৎ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সৃষ্টিজগতের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নিখুঁত।
সুরাটিতে আছে তারকারাজি সৃষ্টির রহস্যের কথা, কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসীদের অবস্থা এবং তাদের চিন্তা ও গবেষণা করার দাওয়াত এবং বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগানোর আহবান।
সুরাটির নামের মধ্যেই এর বিষয়বস্তু ও মর্মার্থ সুস্পষ্ট হয়েছে। আরবি মুলক মানে সার্বভৌমত্ব। আসমান ও জমিনে সার্বভৌমত্বের একমাত্র অধিকারী যে আল্লাহ, তা এ সুরায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সুরাটির শুরুতেই আল্লাহ তাঁর পরম সার্বভৌম কর্তৃত্বের কথা ঘোষণা করেছেন।
দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ এতে বোঝা যায়, জীবনের মতো মৃত্যুও স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি।
এ আয়াত থেকে আরও স্পষ্ট বোঝা যায় যে যিনি মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, তিনি অবশ্যই মৃত্যু থেকে মুক্ত। অর্থাৎ মৃত্যু তাঁর ওপর কার্যকর হতে পারে না।
৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন। করুণাময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোনো খুঁত দেখতে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখো, কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি না। তারপর তুমি বারবার তাকাও, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।’ এখানে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিতে কোনো খুঁত বা অসংগতি আছে কি না, তা বারবার খুঁজে দেখতে বলেছেন।
কারণ, প্রথমবার মানুষ যখন অবাক হয়ে কোনো কিছু দেখে, তখন কোনো ত্রুটি বা অসংগতি তার চোখে পড়ে না। বারবার অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টির অসংগতি খুঁজে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। নিটোল সৃষ্টির কোনো অসংগতি না দেখতে পেয়ে মানুষের দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।
এরপর পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি নিম্নতম আকাশকে প্রদীপমালায় সুশোভিত করেছি এবং তাদের ক্ষেপণীয় বস্তু করেছি শয়তানের ওপর নিক্ষেপ করার জন্য। আর আমি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।’ এ আসমানকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে, তেমনি এগুলোকে আক্রমণের মাধ্যমও করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর এই সৃষ্টির মধ্যে কোমলতা ও কঠোরতা পাশাপাশি রয়েছে।
১৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে প্রশস্ত করেছেন, অতএব তোমরা দিগ্দিগন্তে বিচরণ ও তাঁর দেওয়া জীবনের উপকরণ থেকে আহার করো। পুনরুত্থানের পর তাঁরই কাছে ফিরতে হবে।
SŪRAH AL-MULK
SOORAH AL-MULK - THE KINGDOM - CINEMA VIEW
Surah Mulk
Surat al-Mulk intercedes until reciter is forgiven
Abu Huraira (RA) reported: The Prophet, peace and blessings be upon him, said, “There is a chapter in the Quran of thirty verses, which will intercede for its companion until he is forgiven: Blessed is He in whose Hand is the dominion.” (67:1). Source: Sunan Abī Dāwūd 1400
সূরা আল-মুলক তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সুপারিশ করে
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি অধ্যায় রয়েছে, যা তাঁর সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবে যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হয়: “বরকতময় তিনি যাঁর হাতে। আধিপত্য।” (কোরআন 67:1)। সূত্র: সুনানে আবি দাউদ ১৪০০
Surah Mulk
0 notes
ভযকর এক নর পরজনমর অপকষয আমর!!
% উচচ শকষত ময় থক বছর বয়সও বয়হন কযরয়র গড়ত গয় এর এমন এক সকট তর করছ য আগম বছর লখ লখ ময় বয়হন থকব
তদর যবনর চহদ আবগভলবস হরনর ফল সবমর মন জয় করর পরবরত সবমর পরতদবনদব হয়ই সসর দরকষকষ করব আর সবমও তদর মঝ আনগতয কমলতবনরতব ন পয় অসহয হয় উঠব তখন সসর টকন অসমভব হয পডব করণ তর সতর ট বছর পরষর ফতরত টকক দয় স নজই পরষ ববরতত হয় গছ তর আসত দহটই নরর বশষটয হলও স মনসকভব পরষ সবম তক দহক ভব নর পলও স মনটল ভব পরষএমন একট দন আসত যচছ ময়র আধনক শকষয় শকষত হয় যবন থক যমন বঞচত হব বঞচত হব সসর থকও বঞচত হব আখরতর মকত থকও.
#yusuftone #yusuftechtone #yusufpeacetone #yitssm
ভয়ংকর এক নারী প্রজন্মের অপেক্ষায় আমরা!!
৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বছর বয়সেও বিয়েহীন। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে এরা এমন এক সংকট তৈরী করেছে যে। আগামী ৫ বছরে লাখ লাখ মেয়ে বিয়েহীন থাকবে৷
তাদের যৌবনের চাহিদা, আবেগ,ভালোবাসা হারানোর ফলে। স্বামীর মন জয় করার পরিবর্তে স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েই সংসারে দরকষাকষি করবে৷ আর স্বামীও তাদের মাঝে আনুগত্য, কোমলত্ব,নারীত্ব না পেয়ে অসহ্য হয়ে উঠবে। তখন স��সার টিকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ তার স্ত্রী ৩০ টা বছর পুরুষের ফিতরাতে টেক্কা দিয়ে সে নিজেই পুরুষে বিবর্তিত হয়ে গেছে। তার আস্ত দেহটাই নারীর বৈশিষ্ট্য হলেও। সে মানসিকভাবে পুরুষ। স্বামী তাকে দৈহিক ভাবে নারী পেলেও সে মেন্টাল ভাবে পুরুষ।এমন একটা দিন আসতে যাচ্ছে। মেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যৌবন থেকে যেমন বঞ্চিত হবে। বঞ্চিত হবে সংসার থেকেও। বঞ্চিত হবে আখিরাতের মুক্তি থেকেও।.
#yusuftone #yusuftechtone #yusufpeacetone #yitssm
Uploaded by M Yusuf
2024-08-03T10:50:42.000Z
via Facebook https://ift.tt/2nKdN7g
0 notes
৩ দিনে একটি কাজের ১/২৭ অংশ শেষ হলে ঐ কাজের ৩ গুণ কাজ করতে কত দিন লাগবে? (প্রশ্ন ৩ সূত্রঃ ২৬তম বিসিএস)
বিসিএস গানিতিক যুক্তি
১. বাস্তব সংখ্যা, ল,সা,গু, , গ,সা,গু, , শতকরা, সরল ও যৌগিক মুনাফা, অনুপাত ও সমানুপাত, লাভ ও ক্ষতি।
২. বীজগ্ণিতিক সূত্রাবলী, বহুপদী উংপাদক, সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ, সরল ও দ্বিপদী অসমতা, সরল সহসমীকরণ।
৩. সূচক ও লগারিদম, সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা।
৪. রেখা, কোণ, ত্রিভূজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য, পরিমিতি - সরলক্ষেত্র ও ঘন বস্ততু।
৫. সেট, বিন্যাস, সমাবেশ, পরিসংখ্যান ও সমভাব্যতা।
0 notes
৩ দিনে একটি কাজের ১/২৭ অংশ শেষ হলে ঐ কাজের ৩ গুণ কাজ করতে কত দিন লাগবে? (প্রশ্ন ৩ সূত্রঃ ২৬তম বিসিএস)
বিসিএস গানিতিক যুক্তি
১. বাস্তব সংখ্যা, ল,সা,গু, , গ,সা,গু, , শতকরা, সরল ও যৌগিক মুনাফা, অনুপাত ও সমানুপাত, লাভ ও ক্ষতি।
২. বীজগ্ণিতিক সূত্রাবলী, বহুপদী উংপাদক, সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ, সরল ও দ্বিপদী অসমতা, সরল সহসমীকরণ।
৩. সূচক ও লগারিদম, সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা।
৪. রেখা, কোণ, ত্রিভূজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য, পরিমিতি - সরলক্ষেত্র ও ঘন বস্ততু।
৫. সেট, বিন্যাস, সমাবেশ, পরিসংখ্যান ও সমভাব্যতা।
0 notes
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
তাকওয়া : এক মহিমান্বিত গুণ
তাকওয়া মুমিনের একটি অপরিহার্য গুণ। কুরআন মাজীদে তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য অনেক সুসংবাদ বর্ণিত হয়েছে। আল্লামা ফাইরোযাবাদী রাহ. তাঁর কিতাব بصائر ذوي التمييز -এ কুরআনে কারীমে বর্ণিত সুসংবাদগুলো উল্লেখ করেছেন। কুরআনে কারীমের প্রায় ২৭ স্থানে মুত্তাকীদের জন্য সুসংবাদ উল্লেখিত হয়েছে। কিছু সুসংবাদের আয়াত এখানে উল্লেখ করা হল-
১. আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যের সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁদের সাথে থাকেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে। -সূরা নাহল (১৬) : ১২৮
২. গুনাহ মাফ এবং বিরাট আজরের সুসংবাদ :
যে তাকওয়া অবলম্বন করে ���ল্লাহ তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন এবং তাকে বিরাট আজর দান করেন। -সূরা ত্ব��াক (৬৫) : ৫
৩. মাগফিরাতের সুসংবাদ :
তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু। -সূরা আনফাল (৮) : ৬৯
৪. সকল কাজ সহজ হওয়ার সুসংবাদ :
যে তাক্বওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার সব বিষয় সহজ করে দেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৪
৫. সফলতার সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা। -সূরা নাবা (৭৮) : ৩১
৬. প্রশস্ত রিযিকের সুসংবাদ :
এবং তাকে রিযিক দান করেন অকল্পনীয়ভাবে। -সূরা ত্বালাক (৬৫) : ৩
৭. সম্মান-মর্যাদার সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছে মুত্তাকীগণ। -সূরা হুজুরত (৪৯) : ১৩
৮. আল্লাহর মহব্বতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালোবাসেন। -সূরা তাওবা (৯) : ৪
৯. কবূলিয়্যাতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের থেকে কবুল করেন। -সূরা মায়েদা (৫) : ২৭
১০. শ্রেষ্ঠত্বের সুসংবাদ :
যাঁরা তাকওয়া অবলম্বন করে তারা কিয়ামতের দিন তাদের (কাফেরদের) উপরে থাকবে। -সূরা বাকারা (২) : ২১২
১১. শাস্তির ভয় থেকে মুক্ত থাকার সুসংবাদ :
যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সৎ থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা কখনো দুঃখিত হবে না। -সূরা আরাফ (৮) : ৩৫
১২. জান্নাতে বিভিন্ন নিআমতের এবং আল্লাহর দীদার লাভের সুসংবাদ :
.
যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তারা থাকবে উদ্যানরাজি ও নহরে। সত্যিকারের মর্যাদাপূর্ণ আসনে, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহা সম্রাটের সান্নিধ্যে। -সূরা ক্বমার (৫৪) : ৫৪-৫৫
তাকওয়া অর্জনের ৭ উপায়
তাকওয়া মানে সতর্ক ও সচেতন থাকা। বান্দা সতর্ক থাকবে কিছুতেই যেন গুনাহের কাজ সংঘটিত না হয়; আর নেক আমল কিছুতেই যেন না ছোটে। হজরত ওমর ফারুক (রা.) উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, তাকওয়া কী? উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, আপনি কি কখনও কাঁটা বিছানো পথে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বললেন, হ্যাঁ। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, কাঁটা বিছানো পথে আপনি কীভাবে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বলেন, সতর্ক-সচেতনতার সঙ্গে যাতে আমার শরীরে কাঁটা না বিঁধে। উবাই ইবনে কাব (রা.) বললেন, এটাই হচ্ছে তাকওয়া।
কাঁটাযুক্ত পথে কাঁটা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ যেভাবে সতর্ক হয়ে চলে, ঠিক সেভাবে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর নিষিদ্ধ বিধানগুলো থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার আশায় নেক আমল করার নামই হলো তাকওয়া। অর্থাৎ রবের ভয়ে পাপ থেকে বিরত থাকা। রবের রহমতের আশায় সওয়াবের কাজ না ছাড়া। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ১/৪০)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পছন্দের বান্দা হতে চাইলে তাকওয়া-পরহেজগারির বিকল্প নেই। এ কারণেই তিনি পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাকওয়া অবলম্বনের আদেশ করেছেন এবং তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মুত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
যেসব আমলের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা সহজ হয়, পবিত্র কোরআনের আলোকে সে বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো—
১) কোরআন শিক্ষা করা
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষের জন্য সব দৃষ্টান্তই বর্ননা করেছি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে। বক্রতামুক্ত আরবি কোরআন,যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে। (সুরা জুমার: ২৭-২৮)
২) আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিবসের বিবর্তন এবং আসমানসমূহ ও জমিনে যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তাতে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
৩) ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করা
আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, চাই সেটা ফরজ ইবাদত হোক কিংবা নফল। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত করো। যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের আগে যারা ছিল, তাদেরকে। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো। (সুরা বাকারা: ২১)
৪) রোজা তাকওয়া সৃষ্টি করে
যেসব ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, তন্মধ্যে একটি হলো ‘রোজা’। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
৫) পরকালের ভয়াবহতা বিষয়ে আয়াত ও হাদিস পাঠ করা
পরকাল ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত ও হাদিসগুলো বেশি বেশি অধ্যয়ন করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, তাদের জন্য তাদের উপর দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভয় দেখান। হে আমার বান্দারা! তোমরা আমাকে ভয় করো। (সুরা জুমার: ১৬)
৬) সুবিচার বা ইনসাফ
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সুবিচার করো। কেননা তা তাকওয়ার নিকটবর্তী।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
৭) নবীপ্রেম
নবীজি (স.)-এর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও তাঁর অনুসরণ মানুষকে উত্তম চরিত্র অবলম্বন করতে বাধ্য করে এবং প্রকৃত মুত্তাকিতে রূপান্তর করে। নবীজির প্রতি শ্রদ্ধার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরিশোধিত করেছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। (সুরা হুজরাত: ৩)
আমরা যদি তাকওয়ার পথে চলতে পারি, তা হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশাল পুরস্কার দেবেন। মুত্তাকিদের জন্য দুনিয়া-আখেরাতে আনন্দ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন উপহার প্রদান করবেন তিনি। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অর্জন করেছে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ দুনিয়া এবং আখেরাতে।’ (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
তাকওয়ার আরও একটি নগদপ্রাপ্তি হচ্ছে কামাই-রুজি সহজ হয়ে যাওয়া এবং বরকত লাভ করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তার মুক্তির ব্যবস্থা করবেন এবং এমনভাবে রিজিক দান করবেন, যা সে ভাবতেও পারেনি।’ (সুরা তালাক: ২-৩)। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাকওয়া-পরহেজগারির জীবন অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
তাকওয়ার পোশাক কেন শ্রেষ্ঠ ?
তাক্বওয়ার পোশাক কি?
তাকওয়া বলতে কি বুঝায় ?
পোশাকের সাথে তাকওয়ার কোন সম্পর্ক আছে কি।
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
0 notes
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
তাকওয়া : এক মহিমান্বিত গুণ
তাকওয়া মুমিনের একটি অপরিহার্য গুণ। কুরআন মাজীদে তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য অনেক সুসংবাদ বর্ণিত হয়েছে। আল্লামা ফাইরোযাবাদী রাহ. তাঁর কিতাব بصائر ذوي التمييز -এ কুরআনে কারীমে বর্ণিত সুসংবাদগুলো উল্লেখ করেছেন। কুরআনে কারীমের প্রায় ২৭ স্থানে মুত্তাকীদের জন্য সুসংবাদ উল্লেখিত হয়েছে। কিছু সুসংবাদের আয়াত এখানে উল্লেখ করা হল-
১. আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যের সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁদের সাথে থাকেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে। -সূরা নাহল (১৬) : ১২৮
২. গুনাহ মাফ এবং বিরাট আজরের সুসংবাদ :
যে তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন এবং তাকে বিরাট আজর দান করেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৫
৩. মাগফিরাতের সুসংবাদ :
তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু। -সূরা আনফাল (৮) : ৬৯
৪. সকল কাজ সহজ হওয়ার সুসংবাদ :
যে তাক্বওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার সব বিষয় সহজ করে দেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৪
৫. সফলতার সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা। -সূরা নাবা (৭৮) : ৩১
৬. প্রশস্ত রিযিকের সুসংবাদ :
এবং তাকে রিযিক দান করেন অকল্পনীয়ভাবে। -সূরা ত্বালাক (৬৫) : ৩
৭. সম্মান-মর্যাদার সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছে মুত্তাকীগণ। -সূরা হুজুরত (৪৯) : ১৩
৮. আল্লাহর মহব্বতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালোবাসেন। -সূরা তাওবা (৯) : ৪
৯. কবূলিয়্যাতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের থেকে কবুল করেন। -সূরা মায়েদা (৫) : ২৭
১০. শ্রেষ্ঠত্বের সুসংবাদ :
যাঁরা তাকওয়া অবলম্বন করে তারা কিয়ামতের দিন তাদের (কাফেরদের) উপরে থাকবে। -সূরা বাকারা (২) : ২১২
১১. শাস্তির ভয় থেকে মুক্ত থাকার সুসংবাদ :
যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সৎ থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা কখনো দুঃখিত হবে না। -সূরা আরাফ (৮) : ৩৫
১২. জান্নাতে বিভিন্ন নিআমতের এবং আল্লাহর দীদার লাভের সুসংবাদ :
.
যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তারা থাকবে উদ্যানরাজি ও নহরে। সত্যিকারের মর্যাদাপূর্ণ আসনে, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহা সম্রাটের সান্নিধ্যে। -সূরা ক্বমার (৫৪) : ৫৪-৫৫
তাকওয়া অর্জনের ৭ উপায়
তাকওয়া মানে সতর্ক ও সচেতন থাকা। বান্দা সতর্ক থাকবে কিছুতেই যেন গুনাহের কাজ সংঘটিত না হয়; আর নেক আমল কিছুতেই যেন না ছোটে। হজরত ওমর ফারুক (রা.) উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, তাকওয়া কী? উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, আপনি কি কখনও কাঁটা বিছানো পথে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বললেন, হ্যাঁ। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, কাঁটা বিছানো পথে আপনি কীভাবে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বলেন, সতর্ক-সচেতনতার সঙ্গে যাতে আমার শরীরে কাঁটা না বিঁধে। উবাই ইবনে কাব (রা.) বললেন, এটাই হচ্ছে তাকওয়া।
কাঁটাযুক্ত পথে কাঁটা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ যেভাবে সতর্ক হয়ে চলে, ঠিক সেভাবে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর নিষিদ্ধ বিধানগুলো থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার আশায় নেক আমল করার নামই হলো তাকওয়া। অর্থাৎ রবের ভয়ে পাপ থেকে বিরত থাকা। রবের রহমতের আশায় সওয়াবের কাজ না ছাড়া। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ১/৪০)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পছন্দের বান্দা হতে চাইলে তাকওয়া-পরহেজগারির বিকল্প নেই। এ কারণেই তিনি পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাকওয়া অবলম্বনের আদেশ করেছেন এবং তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মুত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
যেসব আমলের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা সহজ হয়, পবিত্র কোরআনের আলোকে সে বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো—
১) কোরআন শিক্ষা করা
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষের জন্য সব দৃষ্টান্তই বর্ননা করেছি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে। বক্রতামুক্ত আরবি কোরআন,যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে। (সুরা জুমার: ২৭-২৮)
২) আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিবসের বিবর্তন এবং আসমানসমূহ ও জমিনে যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তাতে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
৩) ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করা
আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, চাই সেটা ফরজ ইবাদত হোক কিংবা নফল। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত করো। যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের আগে যারা ছিল, তাদেরকে। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো। (সুরা বাকারা: ২১)
৪) রোজা তাকওয়া সৃষ্টি করে
যেসব ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, তন্মধ্যে একটি হলো ‘রোজা’। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
৫) পরকালের ভয়াবহতা বিষয়ে আয়াত ও হাদিস পাঠ করা
পরকাল ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত ও হাদিসগুলো বেশি বেশি অধ্যয়ন করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, তাদের জন্য তাদের উপর দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভয় দেখান। হে আমার বান্দারা! তোমরা আমাকে ভয় করো। (সুরা জুমার: ১৬)
৬) সুবিচার বা ইনসাফ
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সুবিচার করো। কেননা তা তাকওয়ার নিকটবর্তী।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
৭) নবীপ্রেম
নবীজি (স.)-এর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও তাঁর অনুসরণ মানুষকে উত্তম চরিত্র অবলম্বন করতে বাধ্য করে এবং প্রকৃত মুত্তাকিতে রূপান্তর করে। নবীজির প্রতি শ্রদ্ধার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরিশোধিত করেছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। (সুরা হুজরাত: ৩)
আমরা যদি তাকওয়ার পথে চলতে পারি, তা হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশাল পুরস্কার দেবেন। মুত্তাকিদের জন্য দুনিয়া-আখেরাতে আনন্দ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন উপহার প্রদান করবেন তিনি। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অর্জন করেছে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ দুনিয়া এবং আখেরাতে।’ (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
তাকওয়ার আরও একটি নগদপ্রাপ্তি হচ্ছে কামাই-রুজি সহজ হয়ে যাওয়া এবং বরকত লাভ করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তার মুক্তির ব্যবস্থা করবেন এবং এমনভাবে রিজিক দান করবেন, যা সে ভাবতেও পারেনি।’ (সুরা তালাক: ২-৩)। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাকওয়া-পরহেজগারির জীবন অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
তাকওয়ার পোশাক কেন শ্রেষ্ঠ ?
তাক্বওয়ার পোশাক কি?
তাকওয়া বলতে কি বুঝায় ?
পোশাকের সাথে তাকওয়ার কোন সম্পর্ক আছে কি।
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
0 notes
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
তাকওয়া : এক মহিমান্বিত গুণ
তাকওয়া মুমিনের একটি অপরিহার্য গুণ। কুরআন মাজীদে তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য অনেক সুসংবাদ বর্ণিত হয়েছে। আল্লামা ফাইরোযাবাদী রাহ. তাঁর কিতাব بصائر ذوي التمييز -এ কুরআনে কারীমে বর্ণিত সুসংবাদগুলো উল্লেখ করেছেন। কুরআনে কারীমের প্রায় ২৭ স্থানে মুত্তাকীদের জন্য সুসংবাদ উল্লেখিত হয়েছে। কিছু সুসংবাদের আয়াত এখানে উল্লেখ করা হল-
১. আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যের সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁদের সাথে থাকেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে। -সূরা নাহল (১৬) : ১২৮
২. গুনাহ মাফ এবং বিরাট আজরের সুসংবাদ :
যে তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন এবং তাকে বিরাট আজর দান করেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৫
৩. মাগফিরাতের সুসংবাদ :
তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু। -সূরা আনফাল (৮) : ৬৯
৪. সকল কাজ সহজ হওয়ার সুসংবাদ :
যে তাক্বওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার সব বিষয় সহজ করে দেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৪
৫. সফলতার সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা। -সূরা নাবা (৭৮) : ৩১
৬. প্রশস্ত রিযিকের সুসংবাদ :
এবং তাকে রিযিক দান করেন অকল্পনীয়ভাবে। -সূরা ত্বালাক (৬৫) : ৩
৭. সম্মান-মর্যাদার সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছে মুত্তাকীগণ। -সূরা হুজুরত (৪৯) : ১৩
৮. আল্লাহর মহব্বতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালোবাসেন। -সূরা তাওবা (৯) : ৪
৯. কবূলিয়্যাতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের থেকে কবুল করেন। -সূরা মায়েদা (৫) : ২৭
১০. শ্রেষ্ঠত্বের সুসংবাদ :
যাঁরা তাকওয়া অবলম্বন করে তারা কিয়ামতের দিন তাদের (কাফেরদের) উপরে থাকবে। -সূরা বাকারা (২) : ২১২
১১. শাস্তির ভয় থেকে মুক্ত থাকার সুসংবাদ :
যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সৎ থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা কখনো দুঃখিত হবে না। -সূরা আরাফ (৮) : ৩৫
১২. জান্নাতে বিভিন্ন নিআমতের এবং আল্লাহর দীদার লাভের সুসংবাদ :
.
যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তারা থাকবে উদ্যানরাজি ও নহরে। সত্যিকারের মর্যাদাপূর্ণ আসনে, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহা সম্রাটের সান্নিধ্যে। -সূরা ক্বমার (৫৪) : ৫৪-৫৫
তাকওয়া অর্জনের ৭ উপায়
তাকওয়া মানে সতর্ক ও সচেতন থাকা। বান্দা সতর্ক থাকবে কিছুতেই যেন গুনাহের কাজ সংঘটিত না হয়; আর নেক আমল কিছুতেই যেন না ছোটে। হজরত ওমর ফারুক (রা.) উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, তাকওয়া কী? উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, আপনি কি কখনও কাঁটা বিছানো পথে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বললেন, হ্যাঁ। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, কাঁটা বিছানো পথে আপনি কীভাবে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বলেন, সতর্ক-সচেতনতার সঙ্গে যাতে আমার শরীরে কাঁটা না বিঁধে। উবাই ইবনে কাব (রা.) বললেন, এটাই হচ্ছে তাকওয়া।
কাঁটাযুক্ত পথে কাঁটা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ যেভাবে সতর্ক হয়ে চলে, ঠিক সেভাবে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর নিষিদ্ধ বিধানগুলো থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার আশায় নেক আমল করার নামই হলো তাকওয়া। অর্থাৎ রবের ভয়ে পাপ থেকে বিরত থাকা। রবের রহমতের আশায় সওয়াবের কাজ না ছাড়া। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ১/৪০)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পছন্দের বান্দা হতে চাইলে তাকওয়া-পরহেজগারির বিকল্প নেই। এ কারণেই তিনি পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাকওয়া অবলম্বনের আদেশ করেছেন এবং তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মুত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
যেসব আমলের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা সহজ হয়, পবিত্র কোরআনের আলোকে সে বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো—
১) কোরআন শিক্ষা করা
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষের জন্য সব দৃষ্টান্তই বর্ননা করেছি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে। বক্রতামুক্ত আরবি কোরআন,যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে। (সুরা জুমার: ২৭-২৮)
২) আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিবসের বিবর্তন এবং আসমানসমূহ ও জমিনে যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তাতে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
৩) ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করা
আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, চাই সেটা ফরজ ইবাদত হোক কিংবা নফল। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত করো। যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের আগে যারা ছিল, তাদেরকে। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো। (সুরা বাকারা: ২১)
৪) রোজা তাকওয়া সৃষ্টি করে
যেসব ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, তন্মধ্যে একটি হলো ‘রোজা’। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
৫) পরকালের ভয়াবহতা বিষয়ে আয়াত ও হাদিস পাঠ করা
পরকাল ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত ও হাদিসগুলো বেশি বেশি অধ্যয়ন করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, তাদের জন্য তাদের উপর দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভয় দেখান। হে আমার বান্দারা! তোমরা আমাকে ভয় করো। (সুরা জুমার: ১৬)
৬) সুবিচার বা ইনসাফ
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সুবিচার করো। কেননা তা তাকওয়ার নিকটবর্তী।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
৭) নবীপ্রেম
নবীজি (স.)-এর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও তাঁর অনুসরণ মানুষকে উত্তম চরিত্র অবলম্বন করতে বাধ্য করে এবং প্রকৃত মুত্তাকিতে রূপান্তর করে। নবীজির প্রতি শ্রদ্ধার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরিশোধিত করেছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। (সুরা হুজরাত: ৩)
আমরা যদি তাকওয়ার পথে চলতে পারি, তা হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশাল পুরস্কার দেবেন। মুত্তাকিদের জন্য দুনিয়া-আখেরাতে আনন্দ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন উপহার প্রদান করবেন তিনি। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অর্জন করেছে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ দুনিয়া এবং আখেরাতে।’ (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
তাকওয়ার আরও একটি নগদপ্রাপ্তি হচ্ছে কামাই-রুজি সহজ হয়ে যাওয়া এবং বরকত লাভ করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তার মুক্তির ব্যবস্থা করবেন এবং এমনভাবে রিজিক দান করবেন, যা সে ভাবতেও পারেনি।’ (সুরা তালাক: ২-৩)। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাকওয়া-পরহেজগারির জীবন অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
��াকওয়ার পোশাক কেন শ্রেষ্ঠ ?
তাক্বওয়ার পোশাক কি?
তাকওয়া বলতে কি বুঝায় ?
পোশাকের সাথে তাকওয়ার কোন সম্পর্ক আছে কি।
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
0 notes
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
তাকওয়া : এক মহিমান্বিত গুণ
তাকওয়া মুমিনের একটি অপরিহার্য গুণ। কুরআন মাজীদে তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য অনেক সুসংবাদ বর্ণিত হয়েছে। আল্লামা ফাইরোযাবাদী রাহ. তাঁর কিতাব بصائر ذوي التمييز -এ কুরআনে কারীমে বর্ণিত সুসংবাদগুলো উল্লেখ করেছেন। কুরআনে কারীমের প্রায় ২৭ স্থানে মুত্তাকীদের জন্য সুসংবাদ উল্লেখিত হয়েছে। কিছু সুসংবাদের আয়াত এখানে উল্লেখ করা হল-
১. আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যের সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁদের সাথে থাকেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে। -সূরা নাহল (১৬) : ১২৮
২. গুনাহ মাফ এবং বিরাট আজরের সুসংবাদ :
যে তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন এবং তাকে বিরাট আজর দান করেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৫
৩. মাগফিরাতের সুসংবাদ :
তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু। -সূরা আনফাল (৮) : ৬৯
৪. সকল কাজ সহজ হওয়ার সুসংবাদ :
যে তাক্বওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার সব বিষয় সহজ করে দেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৪
৫. সফলতার সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা। -সূরা নাবা (৭৮) : ৩১
৬. প্রশস্ত রিযিকের সুসংবাদ :
এবং তাকে রিযিক দান করেন অকল্পনীয়ভাবে। -সূরা ত্বালাক (৬৫) : ৩
৭. সম্মান-মর্যাদার সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছে মুত্তাকীগণ। -সূরা হুজুরত (৪৯) : ১৩
৮. আল্লাহর মহব্বতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালোবাসেন। -সূরা তাওবা (৯) : ৪
৯. কবূলিয়্যাতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের থেকে কবুল করেন। -সূরা মায়েদা (৫) : ২৭
১০. শ্রেষ্ঠত্বের সুসংবাদ :
যাঁরা তাকওয়া অবলম্বন করে তারা কিয়ামতের দিন তাদের (কাফেরদের) উপরে থাকবে। -সূরা বাকারা (২) : ২১২
১১. শাস্তির ভয় থেকে মুক্ত থাকার সুসংবাদ :
যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সৎ থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা কখনো দুঃখিত হবে না। -সূরা আরাফ (৮) : ৩৫
১২. জান্নাতে বিভিন্ন নিআমতের এবং আল্লাহর দীদার লাভের সুসংবাদ :
.
যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তারা থাকবে উদ্যানরাজি ও নহরে। সত্যিকারের মর্যাদাপূর্ণ আসনে, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহা সম্রাটের সান্নিধ্যে। -সূরা ক্বমার (৫৪) : ৫৪-৫৫
তাকওয়া অর্জনের ৭ উপায়
তাকওয়া মানে সতর্ক ও সচেতন থাকা। বান্দা সতর্ক থাকবে কিছুতেই যেন গুনাহের কাজ সংঘটিত না হয়; আর নেক আমল কিছুতেই যেন না ছোটে। হজরত ওমর ফারুক (রা.) উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, তাকওয়া কী? উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, আপনি কি কখনও কাঁটা বিছানো পথে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বললেন, হ্যাঁ। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, কাঁটা বিছানো পথে আপনি কীভাবে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বলেন, সতর্ক-সচেতনতার সঙ্গে যাতে আমার শরীরে কাঁটা না বিঁধে। উবাই ইবনে কাব (রা.) বললেন, এটাই হচ্ছে তাকওয়া।
কাঁটাযুক্ত পথে কাঁটা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ যেভাবে সতর্ক হয়ে চলে, ঠিক সেভাবে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর নিষিদ্ধ বিধানগুলো থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার আশায় নেক আমল করার নামই হলো তাকওয়া। অর্থাৎ রবের ভয়ে পাপ থেকে বিরত থাকা। রবের রহমতের আশায় সওয়াবের কাজ না ছাড়া। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ১/৪০)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পছন্দের বান্দা হতে চাইলে তাকওয়া-পরহেজগারির বিকল্প নেই। এ কারণেই তিনি পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাকওয়া অবলম্বনের আদেশ করেছেন এবং তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মুত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
যেসব আমলের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা সহজ হয়, পবিত্র কোরআনের আলোকে সে বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো—
১) কোরআন শিক্ষা করা
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষের জন্য সব দৃষ্টান্তই বর্ননা করেছি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে। বক্রতামুক্ত আরবি কোরআন,যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে। (সুরা জুমার: ২৭-২৮)
২) আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিবসের বিবর্তন এবং আসমানসমূহ ও জমিনে যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তাতে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
৩) ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করা
আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, চাই সেটা ফরজ ইবাদত হোক কিংবা নফল। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত করো। যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের আগে যারা ছিল, তাদেরকে। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো। (সুরা বাকারা: ২১)
৪) রোজা তাকওয়া সৃষ্টি করে
যেসব ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, তন্মধ্যে একটি হলো ‘রোজা’। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
৫) পরকালের ভয়াবহতা বিষয়ে আয়াত ও হাদিস পাঠ করা
পরকাল ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত ও হাদিসগুলো বেশি বেশি অধ্যয়ন করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, তাদের জন্য তাদের উপর দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভয় দেখান। হে আমার বান্দারা! তোমরা আমাকে ভয় করো। (সুরা জুমার: ১৬)
৬) সুবিচার বা ইনসাফ
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সুবিচার করো। কেননা তা তাকওয়ার নিকটবর্তী।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
৭) নবীপ্রেম
নবীজি (স.)-এর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও তাঁর অনুসরণ মানুষকে উত্তম চরিত্র অবলম্বন করতে বাধ্য করে এবং প্রকৃত মুত্তাকিতে রূপান্তর করে। নবীজির প্রতি শ্রদ্ধার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরিশোধিত করেছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। (সুরা হুজরাত: ৩)
আমরা যদি তাকওয়ার পথে চলতে পারি, তা হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশাল পুরস্কার দেবেন। মুত্তাকিদের জন্য দুনিয়া-আখেরাতে আনন্দ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন উপহার প্রদান করবেন তিনি। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অর্জন করেছে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ দুনিয়া এবং আখেরাতে।’ (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
তাকওয়ার আরও একটি নগদপ্রাপ্তি হচ্ছে কামাই-রুজি সহজ হয়ে যাওয়া এবং বরকত লাভ করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তার মুক্তির ব্যবস্থা করবেন এবং এমনভাবে রিজিক দান করবেন, যা সে ভাবতেও পারেনি।’ (সুরা তালাক: ২-৩)। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাকওয়া-পরহেজগারির জীবন অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
তাকওয়ার পোশাক কেন শ্রেষ্ঠ ?
তাক্বওয়ার পোশাক কি?
তাকওয়া বলতে কি বুঝায় ?
পোশাকের সাথে তাকওয়ার কোন সম্পর্ক আছে কি।
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
0 notes
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
তাকওয়া : এক মহিমান্বিত গুণ
তাকওয়া মুমিনের একটি অপরিহার্য গুণ। কুরআন মাজীদে তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য অনেক সুসংবাদ বর্ণিত হয়েছে। আল্লামা ফাইরোযাবাদী রাহ. তাঁর কিতাব بصائر ذوي التمييز -এ কুরআনে কারীমে বর্ণিত সুসংবাদগুলো উল্লেখ করেছেন। কুরআনে কারীমের প্রায় ২৭ স্থানে মুত্তাকীদের জন্য সুসংবাদ উল্লেখিত হয়েছে। কিছু সুসংবাদের আয়াত এখানে উল্লেখ করা হল-
১. আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যের সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁদের সাথে থাকেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে। -সূরা নাহল (১৬) : ১২৮
২. গুনাহ মাফ এবং বিরাট আজরের সুসংবাদ :
যে তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন এবং তাকে বিরাট আজর দান করেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৫
৩. মাগফিরাতের সুসংবাদ :
তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু। -সূরা আনফাল (৮) : ৬৯
৪. সকল কাজ সহজ হওয়ার সুসংবাদ :
যে তাক্বওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার সব বিষয় সহজ করে দেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৪
৫. সফলতার সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা। -সূরা নাবা (৭৮) : ৩১
৬. প্রশস্ত রিযিকের সুসংবাদ :
এবং তাকে রিযিক দান করেন অকল্পনীয়ভাবে। -সূরা ত্বালাক (৬৫) : ৩
৭. সম্মান-মর্যাদার সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছে মুত্তাকীগণ। -সূরা হুজুরত (৪৯) : ১৩
৮. আল্লাহর মহব্বতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালোবাসেন। -সূরা তাওবা (৯) : ৪
৯. কবূলিয়্যাতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের থেকে কবুল করেন। -সূরা মায়েদা (৫) : ২৭
১০. শ্রেষ্ঠত্বের সুসংবাদ :
যাঁরা তাকওয়া অবলম্বন করে তারা কিয়ামতের দিন তাদের (কাফেরদের) উপরে থাকবে। -সূরা বাকারা (২) : ২১২
১১. শাস্তির ভয় থেকে মুক্ত থাকার সুসংবাদ :
যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সৎ থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা কখনো দুঃখিত হবে না। -সূরা আরাফ (৮) : ৩৫
১২. জান্নাতে বিভিন্ন নিআমতের এবং আল্লাহর দীদার লাভের সুসংবাদ :
.
যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তারা থাকবে উদ্যানরাজি ও নহরে। সত্যিকারের মর্যাদাপূর্ণ আসনে, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহা সম্রাটের সান্নিধ্যে। -সূরা ক্বমার (৫৪) : ৫৪-৫৫
তাকওয়া অর্জনের ৭ উপায়
তাকওয়া মানে সতর্ক ও সচেতন থাকা। বান্দা সতর্ক থাকবে কিছুতেই যেন গুনাহের কাজ সংঘটিত না হয়; আর নেক আমল কিছুতেই যেন না ছোটে। হজরত ওমর ফারুক (রা.) উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, তাকওয়া কী? উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, আপনি কি কখনও কাঁটা বিছানো পথে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বললেন, হ্যাঁ। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, কাঁটা বিছানো পথে আপনি কীভাবে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বলেন, সতর্ক-সচেতনতার সঙ্গে যাতে আমার শরীরে কাঁটা না বিঁধে। উবাই ইবনে কাব (রা.) বললেন, এটাই হচ্ছে তাকওয়া।
কাঁটাযুক্ত পথে কাঁটা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ যেভাবে সতর্ক হয়ে চলে, ঠিক সেভাবে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর নিষিদ্ধ বিধানগুলো থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার আশায় নেক আমল করার নামই হলো তাকওয়া। অর্থাৎ রবের ভয়ে পাপ থেকে বিরত থাকা। রবের রহমতের আশায় সওয়াবের কাজ না ছাড়া। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ১/৪০)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পছন্দের বান্দা হতে চাইলে তাকওয়া-পরহেজগারির বিকল্প নেই। এ কারণেই তিনি পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাকওয়া অবলম্বনের আদেশ করেছেন এবং তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মুত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
যেসব আমলের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা সহজ হয়, পবিত্র কোরআনের আলোকে সে বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো—
১) কোরআন শিক্ষা করা
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষের জন্য সব দৃষ্টান্তই বর্ননা করেছি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে। বক্রতামুক্ত আরবি কোরআন,যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে। (সুরা জুমার: ২৭-২৮)
২) আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিবসের বিবর্তন এবং আসমানসমূহ ও জমিনে যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তাতে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
৩) ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করা
আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, চাই সেটা ফরজ ইবাদত হোক কিংবা নফল। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত করো। যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের আগে যারা ছিল, তাদেরকে। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো। (সুরা বাকারা: ২১)
৪) রোজা তাকওয়া সৃষ্টি করে
যেসব ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, তন্মধ্যে একটি হলো ‘রোজা’। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
৫) পরকালের ভয়াবহতা বিষয়ে আয়াত ও হাদিস পাঠ করা
পরকাল ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত ও হাদিসগুলো বেশি বেশি অধ্যয়ন করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, তাদের জন্য তাদের উপর দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভয় দেখান। হে আমার বান্দারা! তোমরা আমাকে ভয় করো। (সুরা জুমার: ১৬)
৬) সুবিচার বা ইনসাফ
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সুবিচার করো। কেননা তা তাকওয়ার নিকটবর্তী।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
৭) নবীপ্রেম
নবীজি (স.)-এর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও তাঁর অনুসরণ মানুষকে উত্তম চরিত্র অবলম্বন করতে বাধ্য করে এবং প্রকৃত মুত্তাকিতে রূপান্তর করে। নবীজির প্রতি শ্রদ্ধার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরিশোধিত করেছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। (সুরা হুজরাত: ৩)
আমরা যদি তাকওয়ার পথে চলতে পারি, তা হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশাল পুরস্কার দেবেন। মুত্তাকিদের জন্য দুনিয়া-আখ���রাতে আনন্দ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন উপহার প্রদান করবেন তিনি। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অর্জন করেছে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ দুনিয়া এবং আখেরাতে।’ (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
তাকওয়ার আরও একটি নগদপ্রাপ্তি হচ্ছে কামাই-রুজি সহজ হয়ে যাওয়া এবং বরকত লাভ করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তার মুক্তির ব্যবস্থা করবেন এবং এমনভাবে রিজিক দান করবেন, যা সে ভাবতেও পারেনি।’ (সুরা তালাক: ২-৩)। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাকওয়া-পরহেজগারির জীবন অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
তাকওয়ার পোশাক কেন শ্রেষ্ঠ ?
তাক্বওয়ার পোশাক কি?
তাকওয়া বলতে কি বুঝায় ?
পোশাকের সাথে তাকওয়ার কোন সম্পর্ক আছে কি।
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
0 notes
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
তাকওয়া : এক মহিমান্বিত গুণ
তাকওয়া মুমিনের একটি অপরিহার্য গুণ। কুরআন মাজীদে তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য অনেক সুসংবাদ বর্ণিত হয়েছে। আল্লামা ফাইরোযাবাদী রাহ. তাঁর কিতাব بصائر ذوي التمييز -এ কুরআনে কারীমে বর্ণিত সুসংবাদগুলো উল্লেখ করেছেন। কুরআনে কারীমের প্রায় ২৭ স্থানে মুত্তাকীদের জন্য সুসংবাদ উল্লেখিত হয়েছে। কিছু সুসংবাদের আয়াত এখানে উল্লেখ করা হল-
১. আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যের সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁদের সাথে থাকেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে। -সূরা নাহল (১৬) : ১২৮
২. গুনাহ মাফ এবং বিরাট আজরের সুসংবাদ :
যে তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন এবং তাকে বিরাট আজর দান করেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৫
৩. মাগফিরাতের সুসংবাদ :
তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু। -সূরা আনফাল (৮) : ৬৯
৪. সকল কাজ সহজ হওয়ার সুসংবাদ :
যে তাক্বওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার সব বিষয় সহজ করে দেন। -সূরা ত্বলাক (৬৫) : ৪
৫. সফলতার সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা। -সূরা নাবা (৭৮) : ৩১
৬. প্রশস্ত রিযিকের সুসংবাদ :
এবং তাকে রিযিক দান করেন অকল্পনীয়ভাবে। -সূরা ত্বালাক (৬৫) : ৩
৭. সম্মান-মর্যাদার সুসংবাদ :
.
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছে মুত্তাকীগণ। -সূরা হুজুরত (৪৯) : ১৩
৮. আল্লাহর মহব্বতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালোবাসেন। -সূরা তাওবা (৯) : ৪
৯. কবূলিয়্যাতের সুসংবাদ :
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের থেকে কবুল করেন। -সূরা মায়েদা (৫) : ২৭
১০. শ্রেষ্ঠত্বের সুসংবাদ :
যাঁরা তাকওয়া অবলম্বন করে তারা কিয়ামতের দিন তাদের (কাফেরদের) উপরে থাকবে। -সূরা বাকারা (২) : ২১২
১১. শাস্তির ভয় থেকে মুক্ত থাকার সুসংবাদ :
যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সৎ থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা কখনো দুঃখিত হবে না। -সূরা আরাফ (৮) : ৩৫
১২. জান্নাতে বিভিন্ন নিআমতের এবং আল্লাহর দীদার লাভের সুসংবাদ :
.
যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তারা থাকবে উদ্যানরাজি ও নহরে। সত্যিকারের মর্যাদাপূর্ণ আসনে, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহা সম্রাটের সান্নিধ্যে। -সূরা ক্বমার (৫৪) : ৫৪-৫৫
তাকওয়া অর্জনের ৭ উপায়
তাকওয়া মানে সতর্ক ও সচেতন থাকা। বান্দা সতর্ক থাকবে কিছুতেই যেন গুনাহের কাজ সংঘটিত না হয���; আর নেক আমল কিছুতেই যেন না ছোটে। হজরত ওমর ফারুক (রা.) উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, তাকওয়া কী? উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, আপনি কি কখনও কাঁটা বিছানো পথে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বললেন, হ্যাঁ। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, কাঁটা বিছানো পথে আপনি কীভাবে হেঁটেছেন? ওমর (রা.) বলেন, সতর্ক-সচেতনতার সঙ্গে যাতে আমার শরীরে কাঁটা না বিঁধে। উবাই ইবনে কাব (রা.) বললেন, এটাই হচ্ছে তাকওয়া।
কাঁটাযুক্ত পথে কাঁটা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ যেভাবে সতর্ক হয়ে চলে, ঠিক সেভাবে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর নিষিদ্ধ বিধানগুলো থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার আশায় নেক আমল করার নামই হলো তাকওয়া। অর্থাৎ রবের ভয়ে পাপ থেকে বিরত থাকা। রবের রহমতের আশায় সওয়াবের কাজ না ছাড়া। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ১/৪০)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পছন্দের বান্দা হতে চাইলে তাকওয়া-পরহেজগারির বিকল্প নেই। এ কারণেই তিনি পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাকওয়া অবলম্বনের আদেশ করেছেন এবং তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মুত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
যেসব আমলের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা সহজ হয়, পবিত্র কোরআনের আলোকে সে বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো—
১) কোরআন শিক্ষা করা
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষের জন্য সব দৃষ্টান্তই বর্ননা করেছি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে। বক্রতামুক্ত আরবি কোরআন,যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে। (সুরা জুমার: ২৭-২৮)
২) আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিবসের বিবর্তন এবং আসমানসমূহ ও জমিনে যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তাতে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
৩) ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করা
আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, চাই সেটা ফরজ ইবাদত হোক কিংবা নফল। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত করো। যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের আগে যারা ছিল, তাদেরকে। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো। (সুরা বাকারা: ২১)
৪) রোজা তাকওয়া সৃষ্টি করে
যেসব ইবাদতের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়, তন্মধ্যে একটি হলো ‘রোজা’। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
৫) পরকালের ভয়াবহতা বিষয়ে আয়াত ও হাদিস পাঠ করা
পরকাল ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত ও হাদিসগুলো বেশি বেশি অধ্যয়ন করার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, তাদের জন্য তাদের উপর দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভয় দেখান। হে আমার বান্দারা! তোমরা আমাকে ভয় করো। (সুরা জুমার: ১৬)
৬) সুবিচার বা ইনসাফ
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সুবিচার করো। কেননা তা তাকওয়ার নিকটবর্তী।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
৭) নবীপ্রেম
নবীজি (স.)-এর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও তাঁর অনুসরণ মানুষকে উত্তম চরিত্র অবলম্বন করতে বাধ্য করে এবং প্রকৃত মুত্তাকিতে রূপান্তর করে। নবীজির প্রতি শ্রদ্ধার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরিশোধিত করেছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। (সুরা হুজরাত: ৩)
আমরা যদি তাকওয়ার পথে চলতে পারি, তা হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশাল পুরস্কার দেবেন। মুত্তাকিদের জন্য দুনিয়া-আখেরাতে আনন্দ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন উপহার প্রদান করবেন তিনি। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অর্জন করেছে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ দুনিয়া এবং আখেরাতে।’ (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
তাকওয়ার আরও একটি নগদপ্রাপ্তি হচ্ছে কামাই-রুজি সহজ হয়ে যাওয়া এবং বরকত লাভ করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তার মুক্তির ব্যবস্থা করবেন এবং এমনভাবে রিজিক দান করবেন, যা সে ভাবতেও পারেনি।’ (সুরা তালাক: ২-৩)। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাকওয়া-পরহেজগারির জীবন অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
তাকওয়ার পোশাক কেন শ্রেষ্ঠ ?
তাক্বওয়ার পোশাক কি?
তাকওয়া বলতে কি বুঝায় ?
পোশাকের সাথে তাকওয়ার কোন সম্পর্ক আছে কি।
তাকওয়ার পোশাক শ্রেষ্ঠ পোশাক
The Garment of Piety is the Best Garment
0 notes
❀๑▬▬▬๑﷽ ๑▬▬▬๑❀
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় ও দয়াময়।
فَقَدۡ كَذَّبُوۡكُمۡ بِمَا تَقُوۡلُوۡنَۙ فَمَا تَسۡتَطِيۡعُوۡنَ صَرۡفًا وَّلَا نَصۡرًاۚ وَمَنۡ يَّظۡلِمۡ مِّنۡكُمۡ نُذِقۡهُ عَذَابًا كَبِيۡرًا
১৯.) এভাবে মিথ্যা সাব্যস্ত করবে তারা (তোমাদের উপাস্যরা) তোমাদের কথাগুলোকে যা আজ তোমরা বলছো, ২৭ তারপর না তোমরা নিজেদের দুর্ভাগ্যকে ঠেকাতে পারবে, না পারবে কোথাও থেকে সাহায্য লাভ করতে এবং তোমাদের মধ্য থেকে যে-ই জুলুম করবে২৮ তাকে আমি কঠিন শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাবো।
(সূরা আল ফুরকানঃ ১৯)
ব্যাখ্যাঃ
২৭) অর্থাৎ তোমাদের এ ধর্ম যাকে তোমরা সত্য মনে করে বসেছো তা একেবারেই ভিত্তিহীন প্রমাণিত হবে এবং তোমাদের যে উপাস্যদের উপর তোমাদের বিপুল আস্থা, তোমরা মনে করো তারা হবে আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য সুপারিশকারী তারাই উল্টো তোমাদের দোষী সাব্যস্ত করে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তোমরা নিজেদের উপাস্যদের যা কিছু গণ্য করেছো তা সব তোমাদের নিজেদেরই কার্যক্রম, তাদের কেউ তোমাদের একথা বলেনি যে, তাদের এভাবে মেনে চলতে হবে এবং তাদের জন্য এভাবে নযরানা দিতে হবে আর তাহলে তারা আল্লাহর দরবারে তোমাদের জন্য সুপারিশ করার দায়িত্ব নেবে। কোন ফেরেশতা বা কোন মনীষীর পক্ষ থেকে এমনি ধরনের কোন উক্তি এখানে তোমাদের কাছে নেই। এ কথা তোমরা কিয়ামতের দিন প্রমাণও করতে পারবে না। বরং তারা সবাই তোমাদের চোখের সামনে এসব কথার প্রতিবাদ করবে এবং তোমরা নিজেদের কানে সেসব প্রতিবাদ শুনবে।
২৮) এখানে জুলুম বলতে সত্য ও ন্যায়ের উপর জুলুম বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কুফরী ও শিরক। পূর্বাপর আলোচ্য বিষয় নিজেই একথা প্রকাশ করছে যে, নবীকে অস্বীকারকারী, আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদের উপাসনাকারী এবং আখেরাত অস্বীকারকারীদের “জুলুম”কারী গণ্য করা হচ্ছে।
#SuraAlFurqan19 #QuranMajeed #DailyQuran #Quran25ঃ19
আফিয়া মোর্শেদা মোঃ নোমানুল আহসান Md Nomanul Ahasan Instagram Facebook @highlight
0 notes