#হালাল
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হি��াব-নিকাশে ব্যস্ত থাক��র কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
0 notes
ilyforallahswt · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
0 notes
myreligionislam · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। ��িন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
1 note · View note
mylordisallah · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তা�� উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
0 notes
allahisourrabb · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
youtube
youtube
youtube
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই।
তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোনো পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুরা এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে।
অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে। অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো আবার চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সে অনেক খাচ্ছে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
উপরোক্ত হাদিসে নবী করিম (সা.) যখন ধন-সম্পদের ব্যাপারে তাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তখন এক সাহাবি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আমরা তো সৎ পন্থায় যেমন—ব্যবসা, কৃষিকাজ, গনিমত ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জনকারী। এভাবে সম্পদ অর্জন তো ভালো। কারণ ধারকর্জ থেকে মুক্ত হয়ে নিবিড়ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা যায়। তাহলে ভালো জিনিস কিভাবে ক্ষতিকর হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে নবীজি (সা.) তখন বলেন, হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জন অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
কিন্তু অতিরিক্ত বিলাসিতা কল্যাণকর নয়। কারণ এর মাধ্যমে ইবাদতে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। মাত্রাতিরিক্ত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত থাকার কারণে ইবাদত থেকে মন উঠে যায়।
মূলত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই প্রকার লোকের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. বেশি সম্পদ উপার্জনকারী। আর যারা ধন-সম্পদের পেছনে ছুটতে ছুটতে কল্যাণের পথ হারিয়ে ফেলে।
২. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত সম্পদ দুনিয়ার প্রয়োজনমাফিক যথাযথ ব্যয় করে। কোনো ধরনের অপচয় ও কৃপণতা করে না এবং সম্পদের কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
হাদিসবিশারদরা উক্ত হাদিসে উল্লিখিত উপমার ব্যাপারে দীর্ঘ পর্যালোচনা করেছেন এবং এটিকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন।
জাইন ইবনে মুনির (রহ.) বলেন, এই হাদিসে উপমা দেওয়ার মত আরো অভিনব কয়েকটি দিক রয়েছে। যেমন—
ক. সম্পদ উপার্জন ও তার সমৃদ্ধিকে শস্য উৎপাদন ও ফলনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ. সম্পদ উপার্জনের পেছনে আজীবন দৌড়ানোকে খাদ্যের প্রতি চতুষ্পদ জন্তুর আকর্ষিত হওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গ. অধিক সম্পদ উপার্জন ও জমানোকে জন্তু-জানোয়ারের উদরপূর্তি করে আহারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ. সম্পদের লালসা মানুষের মধ্যে কৃপণতা সৃষ্টি করে এবং এর মোহ মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এই লালসা হলো ওই চতুষ্পদ জন্তু ন্যায়, যাদেরকে অতিরিক্ত আহার থেকে জোরপূর্বক দূর করতে হয়। এখানে এই স্বভাবের নিন্দা বোঝানোর জন্য চমকপ্রদ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ঙ. পরহেজগারিতাকে ওই জন্তুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে পরিমিত আহার করে বিশ্রাম নেয় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। যাতে ভালোভাবে হজম হয়।
চ. অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদের পরিণামকে অসতর্ক বেখবর জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যাদের উদরপূর্তির সময় হুঁশ থাকে না। ফলে একসময় খাবার তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজা�� : ১১/২৪৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
হালাল উপার্জনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে যেসব কাজ
হালাল উপার্জন
Acts That Undermine The Dignity of Halal Earnings
0 notes
fourpills · 2 years ago
Text
নতুন ব্যবসার আইডিয়া বা হালাল ব্যবসার আইডিয়া
1 note · View note
muslimmember1 · 2 years ago
Video
youtube
শুটকি মাছ হালাল নাকি হারাম ⁉ আহমদুল্লাহ | Ahmodullah New Waz 2023
0 notes
business24bdinfo · 25 days ago
Text
বৈশ্বিক হালাল অর্থনীতির আকার ৮ লাখ কোটি ডলার
২০১৫ সালে প্রথমবার আয়োজন হয় ‘ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট’। এরপর থেকে বৈশ্বিক হালাল অর্থনীতির আকার দাঁড়িয়েছে ৮ ট্রিলিয়ন বা ৮ লাখ কোটি ডলার। সম্প্রতি ইস্তানবুলে আয়োজিত সম্মেলনের দশম আসরের সমন্বয়কারী আইলিন সেঙ্গ���ল এ তথ্য জানান। সম্মেলনে আলোচনার প্রতিপাদ্য ছিল হালাল বাজারের ভবিষ্যৎ ও বাণিজ্যে এর নতুন সম্ভাবনা। এবারের আয়োজনে ১১০টি দেশের দর্শনার্থী ও ২০টি দেশের ৫৫ জনেরও বেশি বক্তা উপস্থিত ছিলেন। খবর ও ছবি…
0 notes
imranxs · 1 month ago
Text
হে আল্লাহ, আপনার কাছে আশ্রয় চাইছি উদ্বেগ আর হতাশা থেকে, আশ্রয় চাইছি অক্ষমতা আর অলসতা থেকে, কাপুরুষতা আর কৃপণতা থেকে, আশ্রয় চাইছি ঋণগ্রস্থতা থেকে, ক্ষমতাবানের জুলুম থেকে। হে আল্লাহ হালাল বস্তু দিয়ে আমাকে তৃপ্ত করুন আর হারাম থেকে আমাকে দূরে রাখুন। আপনার অনুগ্রহ আর আপনার বিশালতা দিয়ে আমাকে মুক্ত রাখুন, স্বাধীন রাখুন; আপনি ছাড়া আর সকল কিছু থেকে সবার কাছ থেকে।
0 notes
banglavisiononline · 1 month ago
Link
ভারতীয় এয়ারলাইনস কোম্পানি ‘এয়ার ইন্ডিয়া’র ফ্লাইটে
0 notes
quransunnahdawah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন ��িষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লা��কে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, স��রা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
ilyforallahswt · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার ��রা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
myreligionislam · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes
allahisourrabb · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
youtube
youtube
youtube
আহলে কিতাব কারা
আহলে কিতাব বা আহলে কিতাব ( আরবি : أهل الكتاب ), ইসলামে সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি শ্রেণিবিন্যাস যা মুসলমানরা সাধারণত একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আকারে আল্লাহর কাছ থেকে একটি ঐশ্বরিক ওহী পেয়েছে বলে মনে করে। . শ্রেণীবিভাগ প্রধানত প্রাক-ইসলামিক আব্রাহামিক ধর্মকে বোঝায়।
এসো, কমন বিষয়ে কথা বলি !
মক্কী ও মাদানী গ্রুপের প্রথম জোড়ার দ্বিতীয় সুরা, সুরা আলে ইমরান। জোড়া হিসাবে দুটি সুরা, অর্থাৎ সুরা বাক্বারার সাথে এর অনেক মিল রয়েছে, যা আগেই বলা হয়েছে। শুরু হতে যাচ্ছে সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের ৩৮ আয়াত। যার মিল রয়েছে, সুরা বাক্বারার প্রথমাংশের তৃতীয় উপভাগের চারটি রুকু ১৫,১৬,১৭, ও১৮ এর সাথে। ওখানে যেমন ছিল, ক্বাবার কথা, হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কথা, শেষ নবীর প্রতি ইমান আনার কথা। এখানেও তেমনটি রয়েছে। ওখানের শুরুটি ছিল, ‘ইয়া বনি ইস্রাইল’ বলে, এখানের শুরুটি একটু আলাদা, ‘ইয়া আহলাল কিতাব’ বলে শুরু হয়েছে। ওখানে শুধু নাসারাদের বলা হয়েছিল, এখানে সব কিতাবী দের বলা হচ্ছে, অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারা উভয় কে বলা হচ্ছে।
বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক ! যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবনা, তার সাথে কোন শরিক সাব্যস্ত করবনা এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবনা, তার পর তারা যদি স্বীকার না করে, তাহলে বলেদিন যে, স্বাক্ষী থাকো আমরা নিশ্চয়ই অনুগত। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৬৪)
আহলে কিতাব বলতে যাদের আসমানী কিতাব দেওয়া হয়েছে যেমন, ইহুদী, নাসারা ও মুসলীম। যেহেতু প্রতি কিতাবীদের শরিয়তের মূল বিষয় গুলি কমন, তাই আল্লাহ তায়ালা সেই কমন বিষয়গুলির মাধ্যমে সকলকে একত্র হতে বলছেন। সব কিতাবেই আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে, তার সাথে কাউকে অংশিদার করা যাবেনা। যে কাজগুলির ব্যাপারে আল্লাহর ছাড়া আর কারও হাত নেই, সেই কাজের জন্য অন্যের স্মরণাপন্ন হওয়া। আল্লাহর বিধান ব্যাতিত অন্যের বিধান মোতাবেক কাজ করা বা প্রাধান্য দেওয়াও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বিখ্যাত মনিষী হাতেম তাঈ এর পুত্র, আলী ইবনে হাতেম রসুলের কাছে ইমান এনেছিলেন। তিনি একদিন রসুল সঃ এর কাছে জানতে চাইলেন যে, নাসারাগন অন্যকে ‘রব’ বানিয়েছে, এমন কথা কোরআন বলছে, কিন্তু আমিতো তেমন কিছু দেখিনা। রসুল সঃ বল্লেন, নাসাদের প্রীষ্ট বা পোপ যে আইন কানুন বানায় যেমন, কোনটি হালাল, কোনটি হারাম, তা তারা মেনে নেয় কিনা? সাহাবী আলী ইবনে হাতেম এ কথায় সম্মতি জানালে রসুল বললেন, এ ইখতেয়ার শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে। এখানে হস্তক্ষেপ করাই শিরক।
.
আয়াতে শেষে বলা হয়েছে; যদি তারা কমন ব্যাপার গুলিতে একাত্মতা প্রকাশ না করে তবে তাদের বলে দিন, তোমরা স্বাক্ষী হয়ে থাক যে, আমরা উক্ত ব্যাপার গুলিতে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়েছি।
বলুন, হে নবী, হে আহলে কিতাবগণ! আসুন আমরা সাধারণ কথায় আসি: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না, তার সাথে কাউকে শরীক করব না এবং আল্লাহর পরিবর্তে একে অপরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষ্য দাও যে, আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি।
কমন বিষয়
বলুন, হে কিতাবের জনগোষ্ঠী, (অথবা: কিতাবের পরিবার, অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা) আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে একটি স্তরের কথা এসেছে যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না। , এবং আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে (আক্ষরিক অর্থে: কিছু "অন্য") প্রভু হিসাবে গ্রহণ করি না।" অতএব, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, "সাক্ষী থাক আমরা মুসলমান।" (আক্ষরিক অর্থে: আমরা "আল্লাহর কাছে" আত্মসমর্পণ করেছি)। আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান অধ্যায় 3 আয়াত 64
youtube
youtube
youtube
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য।
আল্লাহ্‌ একমাত্র 'সত্য উপাস্য'
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।
মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এর প্রচার ও প্রসার করা  এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ এবং তাঁর অনুসরণ করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না।
We will worship none but Allah.
0 notes