#ভাগ্যে যা আছে তাই হবে
Explore tagged Tumblr posts
Text
তাকদ্বীর বা ভাগ্য
ভাগ্য বা কদর (predestination) নিয়ে অনেক মুসলিমকে প্রায়ই দ্বিধাদ্বন্দে ভুগতে দেখা যায়। ভাগ্য সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন হয়তো মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না, এই ওয়েবসাইট দেখছেন, ঐ বই পড়ছেন —আর এই সুযোগে শয়তান এসে মনের মধ্যে অবিশ্বাস ঢুকিয়ে দিয়ে গেল! দ্বন্দ তৈরীকারী এরকম একটা প্রশ্ন হলো— ১) আল্লাহ্ যা ভাগ্যে লিখে রেখেছেন তার বাইরে তো নাকি কিছুই হবে না। তাহলে আমার আর চেষ্টা…
View On WordPress
0 notes
Text
১) পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে।
২) খাবার সময় সালাম দিতে নেই।
৩) দোকানের প্রথম কাস্টমর ফেরত দিতে নাই।
৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।
৫) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে।
৬) ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে।
৭) জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে।
৮) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই।
৯) চোখে কোন গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু লাগাইলে সুস্থ হয়ে যাবে।
১০) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না।
১১) ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না।
১২) ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে।
১৩) ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।
১৪) কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল দিতে হবে।
১৫) ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, “ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে।”
১৬) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না।
১৭) বলা হয়, কেউ ঘর থেকে বের হলে পিছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ। তাতে নাকি যাত্রা ভঙ্গ হয় বা অশুভ হয়।
১৮) ঘরের ভিতরে প্রবেশ কৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা যাবে না। (অর্থাৎ শরীরের কিছু অংশ রৌদ্রে আর কিছু অংশ বাহিরে) তাহলে জ্বর হবে।
১৯) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
২০) রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না।
২১) ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে।
২২) ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না।
২৩) মহিলাদের মাসিক অবস্থায় সবুজ কাপড় পরিধান করতে হবে। তার হাতের কিছু খাওয়া যাবে না।
২৪) বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে।
২৫) ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না। তাতে চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে।
২৬) ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে।
২৭) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে।
২৮) নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাইতে নাই।
২৯) বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে বলা হয় শিয়ালের বিয়ে।
৩০) আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না।
৩১) খানার পর যদি কেউ গা মোচড় দেয়, তবে বলা হয় খানা না কি কুকুরের পেটে চলে যায়।
৩২) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই।
৩৩) গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই।
৩৪) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে।
৩৫) গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই।
৩৬) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না।
৩৭) পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে।
৩৮) কোন ব্যক্তি বাড়ি হতে বাহির হলে যদি তার সামনে খালি কলস পড়ে যায় বা কেউ খালি কলস নিয়ে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করে তখন সে যাত্রা বন্ধ করে দেয়, বলে আমার যাত্রা আজ শুভ হবে না।
৩৯) ছোট বাচ্চাদের হাতে লোহা পরিধান করাতে হবে।
৪০) রুমাল, ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার স্বরূপ দেয়া যাবে না।
৪১) হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে।
৪২) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে।
৪৩) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ।
৪৪) পাখি ডাকলে বলা হয় ইষ্টি কুটুম (আত্মীয়)আসবে।
৪৫) কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই।
৪৬) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই।
৪৭) খানার সময় যদি কারো ঢেকুর আসে বা মাথার তালুতে উঠে যায়, তখন একজন আরেকজনকে বলে, দোস্ত তোকে যেন কেউ স্মরণ করছে বা বলা হয় তোকে গালি দিচ্ছে।
৪৮) কাক ডাকলে বিপদ আসবে।
৪৯) শুঁকুন ডাকলে মানুষ মারা যাবে।
৫০) পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।
৫১) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না।
৫২) দুজনে ঘরে বসে কোথাও কথা বলতে লাগলে হঠাৎ টিকটিকির আওয়াজ শুনা যায়, তখন একজন অন্যজনকে বলে উঠে “দোস্ত তোর কথা সত্য, কারণ দেখছস না, টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে।”
৫৩) একজন অন্য জনের মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দিতে হবে, একবার টোকা খাওয়া যাবে না। নতুবা মাথায় ব্যথা হবে/শিং উঠবে।
৫৪) ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে নাই।
৫৫) নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে।
৫৬) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে।
৫৭) পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে।
৫৮) পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে।
৫৯) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে।
৬০) দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে তা পাক করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে।
৬১) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়– দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না।
৬২) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না।
৬৩) সকাল বেলা দোকান খুলে যাত্রা (নগদ বিক্রি) না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না। তাহলে সারা দিন বাকীই যাবে।
৬৪) দাঁড়ী-পাল্লা, মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে, না হলে লক্ষ্মী চলে যাবে।
৬৫) শুকরের নাম মুখে নিলে ৪০দিন মুখ নাপাক থাকে।
৬৬) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে ধই বলতে হয়।
৬৭) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে।
৬৮) কোন ফসলের জমিতে বা ফল গাছে যাতে নযর না লাগে সে জন্য মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
৬৯) বিনা ওযুতে বড় পীর (!!) আবদুল কাদের জ��লানীর নাম নিলে আড়াইটা পশম পড়ে যাবে।
৭০) নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হবে, কেননা বলা হয় কিয়ামতের দিন এগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
৭১) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে।
৭২) মহিলাগণ হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হবে।
৭৩) স্ত্রীগণ তাদের নাকে নাক ফুল না রাখলে স্বামীর বেঁচে না থাকার প্রমাণ।
৭৪) দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে।
৭৫) গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হবে।
৭৬) বেচা কেনার সময় জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। যেমন, এক লক্ষ টাকা হলে তদস্থলে এক লক্ষ এক টাকা দিতে হবে। যেমন, দেন মোহর (কাবীন) এর সময় করে থাকে, একলক্ষ এক টাকা ধার্য করা হয়।
৭৭) বন্ধু মহলে কয়েকজন বসে গল্প-গুজব করছে, তখন তাদের মধ্যে অনুপস্থিত কাউকে নিয়ে কথা চলছে, এমতাবস্থায় সে উপস্থিত হলে, কেউ কেউ বলে উঠে “দোস্ত তোর হায়াত আছে।” কারণ একটু আগেই তোর কথা বলছিলাম।
৭৮) হঠাৎ বাম চোখ কাঁপলে দুখ: আসে।
৭৯) বাড়ী থেকে কোথাও জাওয়ার উদ্দেশে বেড় হলে সে সময় বাড়ির কেউ পেছন থেকে ডাকলে অমঙল হয়।
৮০) স্বামীর নাম বলা জাবে না এতে অমঙল হয়।
৮১) বাছুর এর গলায় জুতার টুকরা ঝুলালে কারো কু দৃষ্টি থেকে বাচা যায়।
প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ, আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এধরনের বহু কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। যা প্রতিনিয়ত মানুষ কথায় ও কাজে ব্যবহার করে থাকে। এগুলোর প্রতি বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকী। কিছু কিছু হল শিরক এবং স্পষ্ট জাহেলিয়াত। কিছু কিছু সাধারণ বিবেক বিরোধী এবং রীতিমত হাস্যকরও বটে।
মূলত: বাজারে ‘কি করিলে কি হয়’ মার্কা কিছু বই এসবের সরবরাহকারী। অশিক্ষিত কিছু মানুষ অন্ধবিশ্বাসে এগুলোকে লালন করে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরী। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সমাজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য কুসংস্কার থেকে এখানে কয়েকটি মাত্র উল্লেখ করা হয়েছে।
6 notes
·
View notes
Text
DAY 1117 - Post 62
Sunday, January 20, 2019 । রবিবার , ৬ই মাঘ, ১৪২৫
জীবন-মৃত্যু ও সময়ের মূল্য
কখনো নিজের চোখে শ্মশানে কোনো বডি পুড়তে দেখেছেন?
যে আপনি হালকা ধূপ বা সিগারেটের ছ��যাঁকায় পড়া একটি ছোট্ট ফোসকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার জন্য ওষুধ লাগিয়েছেন সেই শেষদিন আপনার অবচেতনে আগুনের তাপে আপনার শরীরে শত শত ফোসকা ফুলে উঠবে আর সশব্দে ফাটবে রক্ত ছিটিয়ে।
একটু মাথার ব্যাথায় যেদিন শত কাজ ফেলে রেখে ল্যাদ খেয়েছিলেন ঘন্টার পর ঘন্টা, শেষদিন মাথাটাও শেষে পুড়বে না; ডোম বাঁশ দিয়ে মেরে ফাটাবে নৃশংস শাস্ত্রমতে।
এতদিন এত সাজ পোশাক মেকআপের যত্ন। শেষদিন সবাই আপনার অলক্ষেই আপনার গা থেকে সবটুকু সাজসজ্জা টেনে খুলে নগ্ন করে চিতায় চাপাবে।
একদিন গরম খাবার খেতে পারতেন না বলে মা বা বাবা ফুঁ দিয়ে জুড়িয়ে দিতেন, শেষদিন সেই মাকেই বাবাকেই তার ছেলে জ্বলন্ত অগ্নি মুখে ঢুকিয়ে মুখাগ্নি করবে।
কখনো সচক্ষে কবরে কাউকে মাটির ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে দেখেছেন?
লেপের মধ্যে পাঁচ মিনিট থাকলে যেখানে আপনার একদিন দম বন্ধ হয়ে যেতো, সেখানে শেষদিন চিরজীবনের জন্য আপনাকে মাটির ভিতরে চলে যেতে হবে। যেখানে একবিন্দু হাওয়া প্রবেশ করবে না। পোকায় ছিঁড়ে খাবে কুঁড়ে কুঁড়ে পচাগলা দেহটাকে।
ভাবলেই যখন গা শিউড়ে উঠবে, তখন এই পোস্টটিকে হয় লাইক নয় রিপোর্ট মারতে ইচ্ছে করবে।
কারণ আপনি আর কোনোদিন পারবেন না ফিরে আসতে, পারবেন না হেদুয়া বা মানিকতলার মোড়ে দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে, পারবেন না বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখতে, পারবেন না বয়ফ্রেন্ডের সাথে মন খুলে ঝগড়া করতে, পারবেন না দুর্গা পুজোর পাঁচটা দিন হৈ হৈ করে বাঁচতে। পারবেন না বরের বুকের উষ্ণ স্পর্শ পেতে, পারবেন না বউয়ের আদুরে ডাক শুনতে, পারবেন না ছেলেমেয়ের মা-বাবা বলে ডাকতে শুনতে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, মায়ের হাতের শাঁখা পলার আওয়াজ, মাছ-ভাত খাওয়া, বাবার চশমা লুকিয়ে মজা করা, বউয়ের লাজ���ক চাউনি - এসব আর আপনি উপভোগ করতে পারবেন না।
আজও মনে হয় সিগারেটটা ছেড়ে দিই, মদটা ছেড়ে দিই, যদি দুটো দিন বেশি বাঁচি।
আজও মনে হয় রাস্তার ফুটপাতটাই বেস্ট, হোক না ভীড়, কিংবা গাড়িটা পেরিয়ে যাক তারপরেই পার হবো, হোক না পাঁচ মিনিট লেট। আরো তো কটা বছর এক্সট্রা পাবো।
আজও মনে হয় বাইকের স্পিডটা কমাই, কি হবে মেয়েদের কেদ্দানি দেখিয়ে? আরো তো কটা মাস এক্সট্রা পাবো।
আজও ভয় হয় হাসপাতালে ভর্তি হলে যদি আর ফিরে না আসি?
রোজ রাতে ঘুমাতেও ভয় পাই, যদি সকালে না উঠি?
��জও মনে হয় মানুষ নয় কচ্ছপ হয়ে জন্মালে পৃথিবীটা ৩০০ বছর এক্সট্রা দেখতে পেতাম।
প্রত���যেকটা দিনের সূর্যাস্ত মানে কি জানেন? আপনার জীবনের মোট দিন সংখ্যা থেকে একটি দিন শেষ হয়ে গেল। ঘড়ির টিক টিক মানে কি জানেন? আপনার মৃত্যুর সেই টাইমার যা ক্রমশ এগোচ্ছে। এবার আপনার ভাগ্যে বেঁচে থাকার কতটা সময় বেঁধে দেওয়া আছে সেটা আপনি জানেন না, হয়তো একশো বছর অথবা আগামী একমাস, একদিন অথবা মাত্র এক ঘন্টা! এর থেকে বড় সাসপেন্স আর কিছুই হয় না।
মৃত্যু আসছেই, তবে কতটা স্পীডে সেটাই কৌতুহল। আসল কথা হল আমরা সবাই স্বর্গ সুখ চাই, কিন্তু কেউ স্বর্গে যেতে চাই না। তাই বেঁচে থাকার লড়াই।
সুইসাইড যে করে সে কাপুরুষ নয় বাবুমশাই, অন্তত আমি মনে করি। মরতেও সাহসের প্রয়োজন। দম না থাকলে মৃত্যুভয়কে আয়ত্তে আনা যায় না। আপনি করে দেখান তো দেখি, পারবেন না বাবুমশাই, পারবেন না। "সুইসাইড যারা করে তারা কাপুরুষ", বা "নরকে জায়গা হয়", কিংবা "এটা পাপ" এই প্রবাদগুলো সৃষ্ট শুধুমাত্র একটি মানুষকে সুইসাইড থেকে বিরত রাখার জন্য আর কিছুই না। কারণ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ার পর সেই অন্তিম দুমিনিটে আপনি বুঝে যাবেন জীবন আসলে কি, কতটা কষ্ট হয় প্রাণ বেরোতে। সেই দু মিনিট আমি হলফ করে বলতে পারি আপনার গার্লফ্রেন্ড, আপনার বউ, আপনার মা-বাবা, আপনার ছেলেমেয়ে, আপনার ফেল করা মার্কশিট কিংবা যার জন্যই সুইসাইড করতে যাচ্ছিলেন কোনওকিছুই আপনার মাথায় আসবে না। পা ছুঁড়তে থাকবেন শুধু নিজেকে বাঁচাতে।
তাই যতটুকু সময় আমরা বেঁচে আছি একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারি না? মা-বাবার সাথে তর্কবিতর্ক ঝগড়াটা একটু বন্ধ করতে পারি না? বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ করব কি না, আর একবার ভেবে দেখতে পারি না? স্বামীর সাথে মানিয়ে চলবার সামান্য সমস্যা হলেই তাকে ডিভোর্স দেওয়ার আগে, আর একবার ভেবে দেখতে পারি না? জীবনটা তো একটু, তাই না বলুন? হাতে সময় খুব কম, একটু মিলেমিশে থাকতে পারি না সবাই? পারি না পৃথিবীটাকে একটু সুন্দর করে গুছিয়ে তুলতে?
লেখাটা লিখতে লিখতে লোমহর্ষক অনুভূতি হচ্ছে। যদি এই লেখার মর্ম কেউ বুঝতে পারেন, জানাবেন, ভালো লাগবে। আপনার এই পোস্টটির ব্যাপারে সচেতন আলোচনা হয়তো কিছু মানুষকে জীবন সম্পর্কে সচেতনতা দিতে পারে, রাজনৈতিক হিংসা খুনোখুনি কিছুটা হলেও বন্ধ করতে পারে, হয়তো কিছু বিয়ে ভেঙে যাওয়া আটকাতে পারে, চিকিৎসার উন্নতি কিছু হলেও ঘটাতে পারে।
জীবনের মূল্য তো সবার বোঝা উচিৎ�� তাই নয় কি?
***************************************
ফেসবুকে প্রথম প্রকাশ - 12 August 2018
ছবির প্রাপ্তিস্বীকার: Firstpost, মণিকর্ণিকা ঘাট, বারাণসী।
#রচনা#বাংলা রচনা#Article#Essay#Bengali Article#Bengali Essay#Moulinath#Moulinath Sharma#মৌলীনাথ#মৌলীনাথ শর্মা
1 note
·
View note
Text
তাহলে সমকামীরা কি করবেন? (10 minutes read time)
(লেখাটা পড়তে বলার জন্য কারো নাম ট্যাগ করবেন না। তিনি বিব্রত বোধ করতে পারেন বা অন্যরা ভুলও বুঝতে পারে। যাই হোক, বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্ট মারফত দেখা যাচ্ছে যে, অনেকেই সমকামিতাকে #জন্মগত বৈশিষ্ট্য বলে জানেন বিধায় সমকামীদের লিভ-টুগেদার কিংবা আইন করে বৈবাহিক সম্পর্ক সাপোর্ট করছেন - তাদের জন্য কিছুটা আলোকপাত করছি।)
আপাতত সমকামিতা বিষয়টি বাদ দিলাম। ধরেই নিলাম সমকামিতা বলতে কিছুই নাই।
আল্লাহ্ আমাদেরকে সম্মানিত ফেরেশতাদের মতো করে সৃষ্টি করেন নাই। লোভ, কামনা, বাসনা, ইচ্ছা, অলসতা, দুর্বলতা, ক্লান্তি, রাগ, ঘুম, লজ্জা - ইত্যাদি নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য তিনি মানুষকে দিয়েছেন। তো ধরেন, কারো গাছে সুন্দর ফল ধরেছে। যেহেতু আমার #লোভ আছে এবং সেটা #জন্মগত বৈশিষ্ট্য, সেই দোহাই দিয়ে কি অন্যের গাছের ফল চুরি করে খেতে পারবো? ❝পারবো না।❞ ❝কেনো পারবো না?❞ কেউ হয়তো বলবেন ❝রাষ্ট্রীয় আইনে চুরি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।❞ দেশের আইনে যদি চুরি করা অপরাধ নাও হতো, একজন মুসলিম বলবে, ❝কারণ, আল্লাহ্ চুরি করা নিষেধ করেছেন।❞
যিনি চুরি করলেন তিনি অন্যের হক নষ্ট করলেন এবং আল্লাহ্র অবাধ্য হলেন। আর যিনি চুরি করা সমর্থন করলেন তিনিও এবং ইন্টারেস্টিং কথা এই যে, একজন চুরি কোরে যতটুকু গুনাহ্ অর্জন করে, চুরি করা সমর্থনকারী আরো অধিক গুনাহ্ কামাই করে (যদিও ��মর্থনকারী হয়তো জীবনেও চুরি করেনি)। অবাক করার মতো কথা, তাই না? কারণ, যিনি চুরি করে, হতেও পারে তিনি চুরি করা গুনাহের কাজ জেনেও চুরি করে, হতেও পারে তিনি হয়তো পরে অনুতপ্ত হয়। কিন্তু যারা চুরি করা সমর্থন করে তারা চুরি করাকে গুনাহ্ মনে করে না বলেই সমর্থন করে এবং এরা কখনই সমর্থন করার জন্য অনুতপ্ত হয় না। গুনাহ্কে সমর্থন করা আরো বড়ো গুনাহের কাজ কারণ এটা গুনাহের কাজকে প্রসার করে। যেমন দেখবেন খুব কমন একটা কথা অনেকেই বলে থাকে, ❝ও তো ঘুষ খাবেই। কয় টাকা বেতন পায় বলেন? সংসার চালাবে কেমন করে?❞
কেউ যদি বলে ❝নারীর প্রতি আকর্ষণ আমার #জন্মগত। কন্ট্রোল করতে পারি না।❞ এটা বলে সে কি পথে ঘাটে নারীদেরকে বিরক্ত বা রেইপ করতে পারবে? সে কি তার #জন্মগত বৈশিষ্ট্যের দোহাই দিলেই তার #অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সকলে সমর্থন করবো? প্রশ্নই আসে না। কিংবা একজন সিরিয়াল কিলার ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেই যায়। সে যদি বলে, ❝রাগ আমার #জন্মগত। রেগে গেলে খুন না করে থাকতে পারি না।❞ তার এই #অধিকার কি সমর্থন করবো? না। তারপরেও কেউ না কেউ খুন করবেই। এখানেও ইন্টারেস্টিং কথা এই যে, খুনি প্রমাণিত হবার পরেও রাষ্ট্র যদি বিচার না করে, তাহলে ঐ দায়িত্বে থাকা প্রত্যেকে খুনিকে সহযোগিতা করলো এবং তারাও খুনির মতোই গুনাহ্গার এবং শেষ বিচার দিবসে তারা সকলে পাকড়াও হবে।
আচ্ছা সমকামী নয় এমন কোনো পুরুষকেও কি আল্লাহ্ অনুমতি দিয়েছেন কোনো নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করার? দেয়নি। অবৈধ সম্পর্ক করা তো দূরের কথা, নন-মাহরাম নারীকে স্পর্শ করার চাইতে নিজের মাথায় লোহার পেরেক ঠুকাও অনেক ভালো - এমন হাদিসও আছে। একই কথা নারীর প্রতিও। এমন কি বৈধ স্ত্রীর সাথেও দৈহিক সম্পর্কে আছে দিক নির্দেশনা ও কিছু নিষেধাজ্ঞা! অর্থাৎ ইসলামে যৌন সম্পর্ককে address করা হয়েছে এবং বৈধ-অবৈধ নির্ণয় করা হয়েছে। এমন কি বৈধ সম্পর্কেও কতটুকু allowed/not allowed সেটাও বলা আছে।
যিনি লিভ-টুগেদার বা পরকীয়া করে তিনি আল্লাহ্র অবাধ্য হলেন এবং যারা লিভ-টুগেদার সমর্থন করবে তারাও। আল্লাহ্র নিষেধ থাকার পরেও কেউ না কেউ লিভ-টুগেদার, পরকীয়া করবেই কিন্তু সেটাকে সমর্থন করা যাবে না। আর এখানেও একই কথা প্রযোজ্য। যিনি লিভ-টুগেদারে থেকে যিনা করছে তিনি হয়তো এটাকে গুনাহ্ জেনেও যিনা করছে। কিন্তু যিনি যিনা না করেও যিনা করাকে সমর্থন করে তিনি এটাকে গুনাহ্ বলে মানে না বলেই সমর্থন করে। তাই জিনাকারি যতটুকু গুনাহ্ কামাই করছে, তার চাইতেও অধিক গুনাহ্ কামাই করছে সমর্থনকারী।
এবার আসি #সমকামিতা বিষয়ে। সমকামিতা #জন্মগত কিনা সেই বিতর্ক আমার আলোচনায় একদম দরকার নাই। ধরেই নিলাম আপনারা যেটা মনে করছেন সেটাই সঠিক যে, ❝সমকামিতা জন্মগত বৈশিষ্ট্য।❞ কিন্তু সোজা সাপটা কথা এই যে, আল্লাহ্ সমকামিতা নিষেধ করেছেন। এখন আপনার জ্ঞান ও বিশ্বাস অনুযায়ী এটা তার জন্মগতই হোক, ��িনগতই হোক, ফ্যাশন/রুচি-গতই হোক বা সঙ্গ দোষেই হোক - আল্লাহ্ নিষেধ করেছেন, তাঁর অবাধ্য হওয়া যাবে কি? ❝যাবে না।❞ তারপরেও কেউ না কেউ সমকামিতায় লিপ্ত হবেই এবং এখানেও সেই একই কথা থেকে যাচ্ছে যে, আল্লাহ্ নিষেধ করেছেন জেনেও যিনি সমর্থন করবে, তিনি গুনাহের কাজটি না করেও ঐ গুনাহের চাইতেও অধিক গুনাহ্ অর্জন করবে। দেখুন, সকল সমাজেই সমকামীরা গোপনেই সমকামিতা করে যায়। কিন্তু সমর্থকগন তাদেরকে আর গোপন রাখে না এবং বৈজ্ঞানিকভাবে এটা তাদের জন্মগত বা জিনগত অধিকার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। প্রথম দিকে যেমনটি বলছিলাম যে, হতেও পারে একজন সমকামে লিপ্ত হয়ে পরে ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে। কিন্তু সমর্থনকারীরা বিশ্বাস করে এটা ওদের অধিকার আর তাই তারা কখনই অনুতপ্তও হয় না। অথচ যেখানে কিনা ইসলামে নিষেধ আছে নিজের/অন্যের গোপন গুনাহ্ প্রকাশ না করতে। সেখানে সমকামিতা সমর্থনকারীরা আসলে কি করছে, বলুন তো? তারা এটাকে আইনগত দিক থেকে বৈধতা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। তাহলে বুঝতে পারছেন তো, সমর্থনকারীরা কেনো অধিক ভয়ংকর? আপনি যদি কোনো প্রকার গুনাহের সমর্থনকারী হয়ে থাকেন, নিজের পরকালের জন্যই বিষয়টি ভাবুন।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, ❝তাহলে একজন সমকামী রুচির মানুষের কি sex life থাকবেই না?❞ উত্তর হলো, ❝থাকবেই না।❞ আল্লাহ্ নিষেধ করেছেন, এই জন্যই থাকবে না। যিনি বুঝতে পারছেন যে, তিনি সমকামী রুচির (tendency) - তিনি সামর্থানুসারে দৈহিক, মানসিক, আত্মিক সব রকমের চিকিৎসা করবেন। #চিকিৎসায়_সুস্থ_হয়। যদি কারো নিরাময় না হয়, তিনি single থাকবেন। উনি বিয়ে করবেন না★। পারিবারিক চাপে বিয়ে করে আরেক জীবনকে ও পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। জেনেশুনে তেমনটি করলে সেটাও গুনাহের কাজ হবে। ❝তাহলে তিনি কি করবেন?❞ অন্য আর যা কিছু করতেন, সবই করবেন। তিনিও লেখাপড়া করবেন, বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবেন, কাজ করে জীবন চালাবেন, হালাল আনন্দ/বিনোদন করবেন, নিজেকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করবেন, খাবেন-দাবেন ঘুরবেন-ফিরবেন খেলবেন, সামাজিকতা রক্ষা করবেন, নিজের অবস্থা নিয়ে হতাশায় নেশা করবেন না, ধর্ম মানবেন। বিশ্বাস করুন ভাই ও বোনেরা - জীবনে আরো অনেক কাজ আছে করার মতো। কিন্তু তবুও কোনো অবস্থাতেই তারা নিজেকে সমকামী হিসাবে পরিচিত করবে না। একটাই কথা, আল্লাহ্ সমকামিতা নিষেধ করেছেন। এটা মোটেও ভাববেন না যে, যতো আদেশ নিষেধ শুধু সমকামীদের উপরেই। জ্ঞান অর্জন, দক্ষতা বৃদ্ধি, কাজ করা, নেশা না করা, হালাল-হারাম মেনে চলা, ধর্ম মানা - উপদেশগুলি কিন্তু সকলের প্রতিই।
আমি মানছি যে, একজন সমকামীর অনেক কষ্ট হবে, কিন্তু চাইলেই তিনি কষ্ট কমাতে পারেন এবং আসলেই এতো কষ্ট পাবার কিছু নাই। দেখুন, পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ আছে যারা সমকামী না হয়েও অনেক চেষ্টা করেও বিয়েই হচ্ছে না। এ��ন প্রচুর মানুষ আছে যারা জন্ম থেকেই শারীরিক/মানসিক প্রতিবন্ধী, তাদের জীবনটাও অনেক কষ্টকর! তাদেরও অধিকাংশেরই বিয়ে হয় না। অনেকেই আছে দুর্ঘটনায় বিছানাগত জীবনের দীর্ঘ একটা সময় ধরে। তাদেরও কোনো বৈবাহিক জীবন নাই। অনেকে সত্য/মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি যুগ ধরে - কোনো প্রকার বৈবাহিক জীবন ছাড়াই। দরিদ্রতার কারণে বিয়ে হচ্ছে না অনেকের। অনেকের একবার বিয়ে হয়েছিলো, ডিভোর্স হয়েছে, আর বিয়ে হচ্ছেই না। এর অর্থ, তাদের কারোর ভাগ্যেই আল্লাহ্ বিয়ে রাখেন নাই। এটাও তাদের জন্য অনেকগুলি পরীক্ষার একটি অংশ মাত্র। এমনও দম্পতি আছেন যাদের একজন প্যারালাইজড হয়ে বিছানাগত এবং তাদেরও শারীরিক সম্পর্ক নাই যুগের পর যুগ, ভবিষ্যতেও হবে না। কিন্তু সংসার করেই যাচ্ছেন ভালোবেসে বা দায়িত্ববোধ থেকে কিংবা অন্য কারণে। এটাও এই দম্পতির জন্য পরীক্ষা। হতেও পারে, যাদের ভাগ্যে বিয়ে নাই তাদের চরিত্র ধরে রাখাটাই আল্লাহ্র পক্ষ থেকে অন্যতম একটা পরীক্ষা। সমকামী না হয়েও যাদের বিয়ে হচ্ছে না - তারা যেমন অবৈধ যৌন জীবন কাটাতে পারবেই না, তেমনি সমকামী রুচির মানুষও অবৈধ যৌন জীবন কাটাতে পারবে না। এটাই শেষ কথা।
পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা কি হওয়া উচিত?
নিজে কু-রুচির সকল কিছুই ত্যাগ করবেন। ঐ সকল কাজ হতে শিশুকাল থেকেই সন্তানদের বিরত রাখবেন যা করলে ক্রমে একজন সমকামী রুচির হতে পারে। এমন অনেক কিছুই নিষেধ আছে ইসলামে। বিভিন্ন দুয়ার মাধ্যমে সন্তানদের প্রোটেকটেড রাখবেন। যদি ভেবে থাকেন, সন্তানদের হতে এগুলি গোপন রাখলেই নিরাপদে থাকবে, তারা ভুল বুজছেন। কুরআন/হাদিস থেকে সমকামিতা বিষয়ে কিশোর কিশোরী বয়স হতেই সচেতন করবেন। তাদের জানা উচিত সমকামিতা বিষয়ে আল্লাহ্ কি বলেছেন। সমকামিতা ঘৃণ্য কাজ, সেটা তাদের অন্তরে তৈরি করবেন। এখন নাকি টিভিতেই সমকামিতার পক্ষেও প্রচুর নাটক-সিনেমা হয়। এগুলি দেখা থেকে নিজেকে ও পরিবারকে সম্পূর্ণ বিরত রাখুন। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে নাকি ওয়েব সিরিজ তৈরি হচ্ছে অশালীন জীবন যাপনের উপর ও গে/লেসবিয়ান ইস্যুতেও। সন্তানদের হাতে উপযুক্ত বয়সে মোবাইল ডিভাইস, ল্যাপটপ দেবেন এবং দেবার আ��েই এই সকল বিষয়ে তাকে শিক্ষা দেবেন এবং সে আসলেই সুশিক্ষা ধারণ করছে কিনা সেটা মনিটরে রাখবেন, বার বার আলোচনা করবেন। সন্তানদের আচার আচরণ খেয়াল রাখবেন। তাদের সঠিক বন্ধু নির্বাচনে সহায়তা করবেন। তাদেরকে সুস্থ একটা জীবন দিতে হবে। তাদেরকে সমাজের নানা ধরনের ভালো কাজে যুক্ত রাখবেন - এতে নিষিদ্ধ জিনিষ explore করার সুযোগ কম পাবে।
সমাজের ভূমিকা কি হওয়া উচিত?
কোনো ছেলের আচরণ মেয়েলী বা কেউ একটু হেলে-দুলে চলে বা কোনো মেয়ের চেহারায় পুরুষ-পুরুষ ছাপ আছে বলেই তাকে নিয়ে তা��্ছিল্য করবেন না, হাসা হাসি করবেন না, আজে বাজে কথা বলবেন না, এগুলি করাও গুনাহের কাজ। অযথা কেনো এভাবে গুনাহ্ কামাই করবেন, বলেন? তাকেও সহপাঠী, বন্ধু, প্রতিবেশী, কলিগ, ব্যবসার পার্টনার হিসাবে মেনে নিতে কোনো সমস্যা নাই। যদি মানতে না পারেন, আপনার কাউন্সিলিং দরকার।
এতো কিছুর পরেও, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক বিবাহ-যোগ্য সন্তান যদি বলে, সে #বিয়ে_করবেই_না। মা-বাবার উচিত হবে তাকে নির্ভয় দেয়া। তার সাথে এমন কোনো আচরণ না করা যেনো সে #চাপ_বোধ_করে এবং তার বিষয়টি জানতে চাওয়া। যদি সে প্রকাশ করে, সে পুরুষ হয়েও নারীর প্রতি আকর্ষণ বোধ #করেই না। কিংবা নারী হয়েও পুরুষের প্রতি #আকর্ষণ নাই, তাহলে পরিবারের সদস্যদের উচিত হবে না তাকে ❝ছি: ছি:❞ বলা এবং #জোর করে বিয়ে দেয়া। জোর করে বিয়েও হয় না। সেটাও #অন্যায়। এমন অবস্থায় তার বিয়ে ছাড়াই তাকে পরিবারের সাথে রাখা বাকি সদস্যদের দায়িত্ব। তাকে একা ছাড়বেন না★। যদি কেউ বিয়েই না করে, তাকে খোঁচাবেন না, ❝কেনো বিয়ে করছো না। কবে বিয়ে করবে? ব্লা... ব্লা...❞ কাউকে এভাবে ত্যক্ত বিরক্ত করাও গুনাহের কাজ। এ ধরনের কথা বলে যারা বিরক্ত করে তাদের থেকে বাঁচার জন্যও অনেকে সামাজিকতা থেকে নিজেকে আড়াল করে এবং ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার এই ক্ষতির জন্য আপনিও দায়ী, যদি অমন প্রশ্ন করে বিরক্ত করে থাকেন। এগুলি সবাইকেই বুঝতে হবে।
আল্লাহ্ একেকজনকে একেক ধরনের পরীক্ষা নেন। সবাই জীবনে সব কিছু পায় না রে ভাই। অনেকের বিয়েই হয় না, অনেকের হয়। কেউ কঠিন হৃদয়ের spouse পায়, কেউ পায় introvert স্বভাবের. কারো বিয়ে হয় কিন্তু সংসার টিকে না। কারো সংসার টিকে, সন্তান হয় না। কারো সন্তান হয়, একটাও বাঁচে না। কারো শুধু ছেলে কিংবা শুধু মেয়ে সন্তান, কারো উভয়টাই হয়। কেউ একাধিক সন্তানসহ বিধবা/বিপত্নীক হয়। এই সকল অবস্থাই যার যার জন্য পরীক্ষা। এমন নানা ধরনের পরীক্ষা আছে একেক মানুষের জীবনে।
একজন সমকামী প্রবণতা সম্পন্ন ব্যক্তির এটা ভাবার কোনো কারণ নাই যে, আল্লাহ্ তাকে অপছন্দ করেন। দেখুন, প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ধরনের পরীক্ষায় আছেই। যার যার পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করতে হবে অনন্ত সুখের জীবনের জান্নাতের জন্য। তিনি যেভাবেই সমকামী রুচির হয়ে থাকুক, তিনিও মানুষও এবং তিনিও আল্লাহ্র কাছে অত্যন্ত সম্মানিত/সম্মানিতা যতক্ষণ না তিনি উক্ত গুনাহে লিপ্ত হচ্ছেন বা উক্ত গুনাহকে সমর্থন করছেন। আমাদের সকলের মাঝেই বিভিন্ন অপরাধ বা গুনাহের চিন্তা আসে। ❝গুনাহ্ করতে চাওয়া❞ আর ❝গুনাহ্ করা❞ উভয়ের ভেতরে বিশাল পার্থক্য আছে। মনে মনে পাপ কাজের চিন্তার কারণে #গুনাহ্_হয়_না। তবে ইচ্ছা করে আজে বাজে চিন্তা করা #অত্যন্ত_ক্ষতিকর। কারণ, ইচ্ছা করে ভাবতে থাকলে জঘন্য কাজটি ঘটিয়ে ��েলার প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে যায় এবং একটা পর্যায়ে সত্যই ঐ গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে যায়। আর তাই কেউ সমকামী রুচিরই হোক আর না হোক, ❝খারাপ চিন্তা করলে গুনাহ্ হয় না❞ বলেই অন্তরের সকল আজে-বাজে চিন্তাকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
রাষ্ট্র যদি সমকামিতার বৈধতাও দেয়, তবুও ইসলামসহ কোনো ধর্মেই সেটা বৈধ নয়। একজন সমকামী প্রবণতা সম্পন্ন ব্যক্তির এটা ভাববার কোনো কারণ নাই যে, আল্লাহ্ তাকে অপছন্দ করেন। প্রথম কাজ হবে তার অবস্থা সম্পর্কে ভয় না পেয়ে, হতাশ না হয়ে, আল্লাহ্র হুকুমের অবাধ্য না হয়ে, এটাকে তার জীবনের একটা পরীক্ষা হিসাবে ধরে নিয়ে ধৈর্যের সাথে চিকিৎসা করে যাওয়া। সমকামীদের সাথে জড়িত থাকলে দ্রুত তাদের ত্যাগ করে তওবা করা। মন যতোই টানুক, যতোই কষ্ট হোক - যদি নিজেকে সমকামী হিসাবে পরিচয় না দিয়ে, প্রকাশ্যে/গোপনে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত না হয়ে, ইমানের সাথে থেকে জীবনকে ভালো কাজে নিযুক্ত রাখে ইন্শাআল্লাহ্ তিনিও আল্লাহ্র নিকট থেকে ক্ষমা ও অতি উত্তম পুরষ্কার পাবেন। এই যে আল্লাহ্র অবাধ্য না হয়ে, সহজ সুযোগ থাকার পরেও, এতো আহ্বান থাকার পরেও অবৈধ sexual pleasure থেকে নিজেকে ও অন্যকে সংরক্ষণ করলেন, সমর্থনও করলেন না, এর পুরষ্কার কতো উত্তম হবে! জান্নাতের sexual pleasure-কে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়া হবে এবং সেই pleasure কখনই পূর্বের মতো হবে না। অনন্তকাল পূর্বের অনুভূতির চাইতে বাড়তেই থাকবে!
Shiblee Mehdi
0 notes
Text
উপলব্ধি
কলমে- আভিজিত কুণ্ডু
কখনো নিজের চোখে শ্মশানে কোনো বডি পুড়তে দেখেছো?
যে তুমি হালকা ধূপ বা সিগারেটের ছ্যাঁকায় পড়া একটি ছোট্ট ফোঁসকার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবার জন্য ওষুধ লাগিয়েছো সেই শেষদিন তোমার অচেতনে আগুনের তাপে তোমার শরীরে শত শত ফোঁসকা ফুলে উঠবে আর সশব্দে ফাটবে রক্ত ছিটিয়ে।
একটু মাথার ব্যাথায় যেদিন শত কাজ ফেলে রেখে ল্যাদ খেয়েছিলে ঘন্টার পর ঘন্টা, শেষদিন মাথাটাও শেষে পুড়বে না বাঁশ দিয়ে মেরে ফাটাবে নৃশংস শাস্ত্রমতে।
একদিন এতো সাজ পোশাক মেকাপের যত্ন। শেষদিন তোমার অলক্ষেই তোমার গা থেকে সবটুকু টেনে খুলে নগ্ন করে চিতায় চাপাবে।
একদিন গরম খেতে পারতে না বলে মা বা বাবা ফুঁ দিয়ে জুড়িয়ে দিতো, শেষদিন সেই মাকেই বাবাকেই তার ছেলে জলন্ত অগ্নি মুখে ঢুকিয়ে মুখাগ্নি করবে।
কখনো সচক্ষে কবরে কাউকে মাটির ভিতরে যেতে দেখেছো?
লেপের মধ্যে পাঁচমিনিট থাকলে যেখানে তোমার একদিন দম বন্ধ হয়ে যেতো শেষদিন চিরজীবনের জন্য তোমায় মাটির ভিতরে চলে যেতে হবে। যেখানে একবিন্দু হাওয়া প্রবেশ করবে না। পোঁকায় ছিঁড়ে খাবে কুঁড়ে কুঁড়ে পচা গলা দেহটাকে।
ভাবলেই গা শিউড়ে উঠবে, তখন এই পোস্টটিকে লাইক নয় রিপোর্ট মারতে ইচ্ছে করবে।
কারণ আর তুমি কোনোদিন পারবে না ফিরে আসতে, পারবে না ধর্মতলা বা গরিয়াহাটের মোরে দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে, পারবে না বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখতে, পারবে না বয়ফ্রেন্ডের সাথে ���ন খুলে ঝগড়া করতে, পারবে না দুর্গা পুজোর পাঁচটা দিন হৈ হৈ করে বাঁচতে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, মায়ের হাতের শাঁখা পলার আওয়াজ, আলু পোস্ত ভাত, বাবার চশমা লুকিয়ে মজা করা, এসব আর তুমি পারবে না।
আজো মনে হয় সিগারেট টা ছেড়ে দিই, মদটা ছেড়ে দিই, যদি দুটো দিন বেশি বাঁচি।
আজো মনে হয় রাস্তার ফুটপাতটাই বেস্ট, হোকনা ভীড়, কিংবা গাড়িটা পেড়িয়ে যাক তারপরেই পেরোবো, হোক না পাঁচ মিনিট লেট। আরো তো কটা বছর এক্সট্রা পাবো।
আজো মনে হয় বাইকের স্পিডটা কমাই, কি হবে মেয়েদের কেদ্দানি দেখিয়ে? আরো তো কটা মাস এক্সট্রা পাবো।
আজো ভয় হয় হসপিটাল গেলে আর যদি ফিরে না আসি?
রোজ রাতে ঘুমোতেও ভয় পাই, যদি সকালে না উঠি?
আজো মনে হয় মানুষ নয় কচ্ছপ হয়ে জন্মালে পৃথিবীটা 300 বছর এক্সট্রা দেখতে পেতাম।
প্রত্যেকটা দিনের সূর্যাস্ত মানে কি জানেন? আপনার জীবনের মোট দিন সংখ্যা থেকে একটি দিন শেষ হয়ে গেল।
ঘড়ির টিক টিক মানে কি জানেন? আপনার মৃত্যুর সেই timer যা ক্রমশ এগোচ্ছে। এবার আপনার ভাগ্যে বেঁচে থাকার কতটা সময় বেঁধে দেওয়া আছে সেটা আপনি জানেন না, হয়তো একশো বছর অথবা আগামী একমাস, একদিন অথবা এক ঘন্টা। এর থেকে বড় সাসপেন্স আর কিছুই হয় না।
মৃত্যু আসছেই, তবে কতটা স্পীডে সেটাই কৌতুহল, আসল কথা হল আমরা সবাই স্বর্গ সুখ চাই, কিন্তু কেউ স্বর্গে যেতে চাই না। তাই বেঁচে থাকার লড়াই। সুইসাইড যে করে সে কাপুরুষ নয় BOSS, অন্তত আমি মনে করি, দম না থাকলে মৃত্যুভয়কে আয়ত্তে আনা যায় না। আপনি করে দেখান তো দেখি, পারবেন না। "সুইসাইড যারা করে তারা কাপুরুষ, বা নরকে জায়গা হয়, কিংবা এটা পাপ" এই প্রবাদ গুলো সৃষ্ট শুধুমাত্র একটি মানুষকে সুইসাইড থেকে বিরত রাখার জন্য আর কিছুই না। কারণ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ার পর সেই লাস্ট দুমিনিট আপনি বুঝে যাবেন জীবন কি? কতটা কষ্ট হয় প্রাণ বেরোতে? সেই দু মিনিট আমি হলফ করে বলতে পারি আপনার গার্লফ্রেন্ড, আপনার মা-বাবা, আপনার ফেল করা মার্কশিট কিংবা যার জন্যই সুইসাইড করতে যাচ্ছিলেন আপনার মাথাতেই আসবে না। পা ছুঁড়তে থাকবেন শুধু নিজেকে বাঁচাতে।
তাই যতটুকু সময় আমরা বেঁচে আছি একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারি না? মা-বাবার সাথে তর্কবিতর্ক ঝগড়াটা একটু বন্ধ করতে পারি না? বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকাপ করব কি না, আর একবার ভেবে দেখতে পারি না? জীবনটা তো একটু, তাই না বলুন? হাতে Time খুব কম, একটু মিলেমিশে থাকতে পারি না সবাই?
লেখাটা লিখতে লিখতে গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেছে, যদি এই লেখার মর্ম কেউ বুঝতে পারেন অবশ্যই শেয়ার করবেন। আপনার একটি শেয়ার হয়তো কিছু মানুষকে জীবন সম্পর্কে সচেতনতা দিতে পারে, রাজনৈতিক হিংসা খুনোখুনি কিছুটা হলেও বন্ধ করতে পারে, চিকিৎসা উন্নতি কিছু হলেও ঘটাতে পারে, জীবনের মূল্য তো সবার বোঝা উচিৎ। তাই নয় কি?।
#Sl_no_3_Writing_story
#During_Lockdown_period
#MAR
#MAKAUT
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/100756
চাকুরী না পেয়ে ফুল চাষ করে ভাগ্য ফেরালেন ছাত্রলীগ নেতা লিয়াকত
.
চাকরির পেছনে ছুটে অনেকটা ব্যর্থ হয়েই ফুল চাষ শুরু করেন ফরিদপুরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত হোসেন। চাকরি না পাওয়ায় মনে কষ্ট থাকলেও ফুলচাষে সফলতা আসায় মুখে হাসি ফুটেছে তার।
২০১৮ সালের শেষ দিকে মাত্র ৫২ শতাংশ জমিতে বড় ভাই আনোয়ার হোসেনের সহযোগিতায় ইউনিয়নের খুশির বাজার এলাকায় জারবেরা ফুলের চাষ শুরু করেন লিয়াকত। ২০১৯ সালে ব্যবসা ভালো হওয়ায় আরও ৭৫ শতাংশ জমি নিয়ে এখন মোট ১২৭ শতাংশ জমিতে ফুল চাষ করছেন তিনি।
.
লিয়াকত হোসেন জানান, জারবেরার পাশাপাশি চন্দ্রমল্লিকা ও জিপসি ফুলেরও চাষ করছেন তিনি। নতুন করে তিনি গোলাপের চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। তাকে দেখে এখন অনেকেই ফুল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এখানকার ফুলচাষিদের র্টাগেট এখন ফেব্রুয়ারি মাসকে ঘিরে। কারণ পহেলা ফাল্গুন, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস ও মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। তাই এই মাসে ফুলের চাহিদাও বেশি থাকে।
এক সময়ে হতাশাগ্রস্থ লিয়াকত অনার্স ও এলএলবি শেষ করে চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু ভাগ্যে তার চাকরি জোটেনি। পরে বড় ভাইয়ের মাধ্যমে সাভারে গিয়ে ফুলচাষের কাজ শিখে ফরিদপুরে চলে আসেন। এরপর যশোর ও ভারত থেকে সাত হাজার জারবেরার ফুলের চারা সংগ্রহ করে চাষাবাদ শুরু করেন। এখন তার বাগানে শুধু জারবেরাই নয় হাজার ছাড়িয়েছে।
.
���৫ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা ��ুরু করলেও এখন তার বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৪০ লাখ টাকা। যা তিনি গত দেড় ��ছরের লাভ থেকে করেছেন। তার বাগানের ফুল ফরিদপুর ও আশেপাশের জেলা ছাড়াও ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকাররা এসে নিয়ে যাচ্ছে।
ফুলের বাগান দেখতে আসা রেজাউল করিম বিপুল বলেন,‘আমার মতো অনেকেই বিকালে এ এলাকায় আসে ফুল দেখতে। অনেকেই আবার পরিবারের জন্য ফুল কিনে নিয়ে যায়।’
.
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় জেলায় কয়েকটি স্থানে ফুলের চাষ হচ্ছে। তবে যারা কৃষি বিভাগের সাথে কম যোগাযোগ রাখছেন তাদের সবসময় সহযোগিতা করা সম্ভব হয় না।
তিনি জানান, যাদের সমস্যা আছে যোগাযোগ করলে তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সুত্রঃ ইউএনবি।
0 notes
Text
আমাদের সমাজে প্রচলিত ৮১টি কুসংস্কার।। ১) পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে। ২) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে। ৩) দোকানের প্রথম কাস্টমর ফেরত দিতে নাই। ৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে। ৫) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে। ৬) ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে। ৭) জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে। ৮) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই। ৯) চোখে কোন গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু লাগাইলে সুস্থ হয়ে যাবে। ১০) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না। ১১) ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না। ১২) ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে। ১৩) ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে। ১৪) কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল দিতে হবে। ১৫) ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, “ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে।” ১৬) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না। ১৭) বলা হয়, কেউ ঘর থেকে বের হলে পিছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ। তাতে নাকি যাত্রা ভঙ্গ হয় বা অশুভ হয়। ১৮) ঘরের ভিতরে প্রবেশ কৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা যাবে না। (অর্থাৎ শরীরের কিছু অংশ রৌদ্রে আর কিছু অংশ বাহিরে) তাহলে জ্বর হবে। ১৯) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না। ২০) রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না। ২১) ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে। ২২) ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না। ২৩) মহিলাদের মাসিক অবস্থায় সবুজ কাপড় পরিধান করতে হবে। তার হাতের কিছু খাওয়া যাবে না। ২৪) বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে। ২৫) ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না। তাতে চেহরা নষ্ট হয়ে যাবে। ২৬) ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে। ২৭) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে। ২৮) নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাইতে নাই। ২৯) বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে বলা হয় শিয়ালের বিয়ে। ৩০) আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না। ৩১) খানার পর যদি কেউ গা মোচড় দেয়, তবে বলা হয় খানা না কি কুকুরের পেটে চলে যায়। ৩২) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই। ৩৩) গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই। ৩৪) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে। ৩৫) গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই। ৩৬) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না। ৩৭) পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে। ৩৮) কোন ব্যক্তি বাড়ি হতে বাহির হলে যদি তার সামনে খালি কলস পড়ে যায় বা কেউ খালি কলস নিয়ে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করে তখন সে যাত্রা বন্ধ করে দেয়, বলে আমার যাত্রা আজ শুভ হবে না। ৩৯) ছোট বাচ্চাদের হাতে লোহা পরিধান করাতে হবে। ৪০) রুমাল, ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার স্বরূপ দেয়া যাবে না। ৪১) হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে। ৪২) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে। ৪৩) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ। ৪৪) পাখি ডাকলে বলা হয় ইষ্টি কুটুম (আত্মীয়)আসবে। ৪৫) কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই। ৪৬) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই। ৪৭) খানার সময় যদি কারো ঢেকুর আসে বা মাথার তালুতে উঠে যায়, তখন একজন আরেকজনকে বলে, দোস্ত তোকে যেন কেউ স্মরণ করছে বা বলা হয় তোকে গালি দিচ্ছে। ৪৮) কাক ডাকলে বিপদ আসবে। ৪৯) শুঁকুন ডাকলে মানুষ মারা যাবে। ৫০) পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে। ৫১) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না। ৫২) দুজনে ঘরে বসে কোথাও কথা বলতে লাগলে হঠাৎ টিকটিকির আওয়াজ শুনা যায়, তখন একজন অন্যজনকে বলে উঠে “দোস্ত তোর কথা সত্য, কারণ দেখছস না, টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে।” ৫৩) একজন অন্য জনের মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দিতে হবে, একবার টোকা খাওয়া যাবে না। নতুবা মাথায় ব্যথা হবে/শিং উঠবে। ৫৪) ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে নাই। ৫৫) নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে। ৫৬) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে। ৫৭) পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে। ৫৮) পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে। ৫৯) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে। ৬০) দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে তা পাক করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে। ৬১) সকাল বেটা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়– দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না। ৬২) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না। ৬৩) সকাল বেলা দোকান খুলে যাত্রা (নগদ বিক্রি) না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না। তাহলে সারা দিন বাকীই যাবে। ৬৪) দাঁড়ী-পাল্লা, মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে, না হলে লক্ষ্মী চলে যাবে। ৬৫) শুকরের নাম মুখে নিলে ৪০দিন মুখ নাপাক থাকে। ৬৬) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে ধই বলতে হয়। ৬৭) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে। ৬৮) কোন ফসলের জমিতে বা ফল গাছে যাতে নযর না লাগে সে জন্য মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ৬৯) বিনা ওযুতে বড় পীর (!!) আবদুল কাদের জিলানীর নাম নিলে আড়াইটা পশম পড়ে যাবে। ৭০) নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হবে, কেননা বলা ���য় কিয়ামতের দিন এগুলো খুঁজে বের করতে হবে। ৭২) মহিলাগণ হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হবে। ৭৩) স্ত্রীগণ তাদের নাকে নাক ফুল না রাখলে স্বামীর বেঁচে না থাকার প্রমাণ। ৭৪) দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে। ৭৫) গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হবে। ৭৬) বেচা কেনার সময় জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। যেমন, এক লক্ষ টাকা হলে তদস্থলে এক লক্ষ এক টাকা দিতে হবে। যেমন, দেন মোহর (কাবীন) এর সময় করে থাকে, একলক্ষ এক টাকা ধার্য করা হয়। ৭৭) বন্ধু মহলে কয়েকজন বসে গল্প-গুজব করছে, তখন তাদের মধ্যে অনুপস্হিত কাউকে নিয়ে কথা চলছে, এমতাবস্থায় সে উপস্থিত হলে, কেউ কেউ বলে উঠে “দোস্ত তোর হায়াত আছে।” কারণ একটু আগেই তোর কথা বলছিলাম। ৭৮) হঠাৎ বাম চোখ কাপলে দুখঃ আসে। ৭৯) বাড়ী থেকে কোথাও জাওয়ার উদ্দেশে বেড় হলে সে সময় বাড়ির কেউ পেছন থেকে ডাকলে অমঙল হয়। ৮০) স্বামীর নাম বলা জাবে না এতে অমঙল হয়। ৮১) বাছুর এর গল���য় জুতার টুকরা ঝুলালে কারো কু দৃস্টি থেকে বাচা জায়। প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ, আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এধরনের বহু কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। যা প্রতিনিয়ত মানুষ কথায় ও কাজে ব্যবহার করে থাকে। এগুলোর প্রতি বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকী। কিছু কিছু হল শিরক এবং স্পষ্ট জাহেলিয়াত। কিছু কিছু সাধারণ বিবেক বিরোধী এবং রীতিমত হাস্যকরও বটে। মূলত: বাজারে ‘কি করিলে কি হয়’ মার্কা কিছু বই এসবের সরবরাহকারী। অশিক্ষিত কিছু মানুষ অন্ধবিশ্বাসে এগুলোকে লালন করে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরী। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সমাজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য কুসংস্কার থেকে এখানে কয়েকটি মাত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আপনাদের নিকট যদি কিছু থাকে তবে মন্তবের ঘরে সংযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
1 note
·
View note
Text
১ মাস পর অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে ব্লগ লিখতে বসা
আজ বিইউবিটির প্রথম জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হল স্থায়ী ক্যাম্পাসে। যা ছিল চাকরি.কম এর সৌজন্যে। কিছু দিন আগে থেকেই এই ইভেন্টের সংবাদটি পাই স্যোসাল মিডিয়ার প্রচারের সৌজন্যে। তখন ঠিক করেছিলাম যে জব ফেয়ারে অংশগ্রহণ করব। অর্থাৎ নিজের সিভি নিয়ে অংশগ্রহণ করা যাকে বলে। সে জন্য নতুন করে সিভি বানানোও শুরু করে দিই কয়েক দিন আগে থেকে। এর আগেরটা স্ক্রাইবাস অপেন সোর্স সফটওয়্যার দিয়ে বানিয়েছিলাম। এবারেরটা বানানো শুরু করি পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে। সবুজের বুকে লালের কম্বিনেশনে নতুন সিভির কনসেপ্ট তৈরী করি। গতকাল রাতেও পরিপূর্ণ করার জন্য শেষবার হাত দেই। ১/দেড় ঘন্টা ধরে সেটা নিয়ে কাজ করে, শেষে কেন যেন মনে হল এর চাইতে আগেরটাই বরং ভাল ছিল। তাই আবার রাত ১২টার দিকে স্ক্রাইবাস ডাউনলোড করি। শেষ সেই সিভি আপডেট করেছিলাম ২০১৫ সালে। কিন্তু ২০১৭ পর্যন্ত আপডেট করতে বেশি সময় লাগলো না। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ২০১৭ পর্যন্ত হালনাগাদ দিয়ে দিলাম। সিভি নিয়ে কাজ করতে করতে মনটা এদিন বিষন্ন হয়ে গেল। বিশেষ করে যখন এচিভমেন্ট আর টেস্টিমোনিয়াল এর অংশটুকু আপডেট করছিলাম। শেষ তিন বছরে লিখার মত কোন এচিভমেন্ট খুজে পেলাম না যেটা চাকুরীর জন্য শেয়ার করা যায়। টেস্টিমোনিয়ালে শুধু একটা পরিবর্তন করতে পারলাম, প্রথম টেস্টিমোনিয়ালটি ছিল এস.এম.ফায়েজ স্যারের। সেটি ছিল আমার ইংরেজি প্রেজেন্টেশন ভাল লাগায় তার একটি প্রশংসাবাণী। সেটি বাদ দিয়ে যেটা দিলাম সেটাও একটা মার্কেটিং স্যারের। গত সেমিস্টারের মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট এর রাফিউল হক স্যার এই প্রশংসাবাণীটি আমাকে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি চিন্তা করে যেন মনটা আরও বিষন্ন হয়ে গেল! :( । বুঝলাম না আমার এই বছর কি হয়েছে। রেগুলার এমবিএর শেষ সেমিস্টার পাড় করছি। আর প্রত্যেক সপ্তাহে একের পর এক ক্লাস মিস দিচ্ছি। মাত্র ২ মাস পাড় হল। এবার হিসাব করে মিস দিচ্ছি না। খেয়ালের বশে মিস দিচ্ছি। তাও যতটুকু মনে হচ্ছে লিডারশীপ, ফিন্যান্স আর প্রডাকশন ম্যানেজম্যান্ট এর ৫টি করে ক্লাস মিস দিয়ে দিয়েছি। ইকোনোমিক্স এর ৩টি আর রিসার্চ এর ২/৩টি ক্লাস মিস দিয়েছি। এই অবস্থায় সামনের ৩মাস কিভাবে কাটাবো বুঝতে পাড়ছি না।
কিন্তু এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না! এবারের সেমিস্টার তো আমার পছন্দের সেমিস্টারের একটি হওয়া উচিত ছিল। কারণ এটাই এই ব্যাচের সাথে শেষ সেমিস্টার। আর এবারের সেমিস্টারে বিইউপি�� অনেকগুলো পরিবর্তন হয়েছে, যেগুলো আমার ভাল লেগ��ছিল। যেমন সকালে আর দরজা বন্ধ করার রীতি রইল না। ক্লাস টেস্টও ৬টা থেকে কমিয়ে করা হল ৪টা। পড়াশোনার চাপও তাই অনেক কমে গেছে। আমার সব সময় ফাইনালের থেকে মিডট্রাম ভাল হয়। আর বিইউপিতে মিডট্রামে এতদিন ছিল মাত্র ১২ মার্ক। আর এবার মিড এর মার্ক বাড়িয়ে করেছে ২০ মার্ক। আমার ক্লাস মিস হয় বেশি, কিন্তু ক্লাসেই ছিল ১০ মার্ক। এবার ক্লাসের মার্ক কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ৫। আর সকালে ১০:১৫ এর ক্লাস আমার সবচেয়ে পছন্দের সময়, না দুপুর, না ভোর সকালের। এবার দুই দিন ১০:১৫ তে ইকোনোমিক্স ক্লাস। কিন্তু তারপরও কেন ৩ দিন মিস দিয়ে দিলাম?
সব কিছু চিন্তা করে আসলেই আমি কাল রাতে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছিলাম। রাতে এত সময় নিয়ে সিভি তৈরি করি, আর সময়গুলোও কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ কাল লিডারশীপ এবং ফিন্যান্সের মিডট্রাম। আর লিডারশীপ এখনও পড়া শুরু করিনি। ক্লাসে কি পড়িয়েছেন সেটাও জানি না। ফিন্যান্স এর ৩য় চ্যাপ্টার পড়েছিলাম গত শনিবার। কারণ রবিবার ছিল ক্লাস টেস্ট। গত রবিবার প্রডাকশনেরও ক্লাস টেস্ট ছিল। কিন্তু আমি ঐ দিন ক্লাস মিস দেই!!! আমি বুঝতে পাড়ছি না আমার হয়েছে কি। এই সেমিস্টারে যেন পড়াশোনায় মনই উঠে গেছে। লিডারশীপ এর মত একটি সাবজেক্টও তাই পড়তে ইচ্ছা করে না। ইকোনোমিক্স কিছুটা পড়েছি কিন্তু সেটা স্যারের চাপ এ পড়ে। জানি না আমার ভাগ্যে এবার কি আছে। সিজিপিএ কোথায় গিয়ে পৌছায় শুধু এখন আল্লাহ তা’লাই সেটা ভাল জানেন।
বিষন্নতার প্রভাবটা আজ বরাবরের মতই ছিল। সকাল ১০:৩০ এ জব ফেয়ার। আমি সিভি বানিয়ে পেনড্রাইভে পর্যন��ত রেখে দিয়েছিলাম। আর চাকরী.কমের ওয়েব সাইটেও আবেদন করি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু আমি সারা দিন ঘুমিয়ে কাটাই। :( । মেলায় আর যাওয়া হয়নি। দেখা হয়নি বিইউবিটির প্রথম চাকুরী মেলা। অংশগ্রহণ তো দূরের কথা। চিন্তা করে এখন অদ্ভুত লাগছে সব কিছু। কেন এত সময় নিয়ে সিভি আপডেট করলাম, একটা নতুন সিভি বানানোর চেষ্টা করলাম? এভাবে আর কত দিন?
জীবনে একটা পরিবর্তন খুব জরুরী অনুভব করছি। আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর। অনেক বেশি ফোকাস থেকে কাজ করতে হবে। এরকম একেকদিন একেক রকম চিন্তা করলে চলবে না। এই ২০১৭ আমার জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমি খুব ভাল জানি। এই বছর শেষ হওয়ার আগে নিজের মধ্যে ইতিবাচক কিছু পরিবর্তন করতে হবে যা চিরজীবন আমার মধ্যে থেকে যাবে। আমি চাই ২০১৮ সালে যখন আবার নতুন করে সিভি বানাবো, তখন যেন এমন মনে না হয়, যে ২০১৭ তে তো লিখার মত কিছুই পাচ্ছি না। বরং এমন অনেক কিছুই যেন যোগ করতে পারি, যা ২০১৭ তেই আমি শিখেছি বা অর্জন করেছি। কত কিছু শেখারই তো ইচ্ছা ছিল, একটা ভাষা, এক্সেল, আ��টার ইফেক্স। এভাবে কেন সময় নষ্ট করছি! আল্লাহ তো আমাকে কম দেননি কোন দিক দিয়েই। আমার তো পরিবার থেকেও কোন রকম কাজের চাপ নেই। এই সময় জানি আর কখনও পাব না। তাই আমাকে এখনই পরিবর্তন করতে হবে। আল্লাহ তুমি আমার সহায় হয়ো। আমি আর বিষন্নতায় ভুগতে চাই না। এটা আসলেই অসহনীয় একটি অবস্থা। জীবনে সব কিছু থেকেও হঠাৎ মনে হয় যেন কিছুই নেই!! আল্লাহ আমাকে বিষন্নতার/হতশার অবস্থা থেকে সবসময় রক্ষা করুন। আমীন।
(পি.এস: বিষন্নতার মধ্যে ব্লগ লিখতে বসে প্রথমেই যেটা দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম তা হল, গত ১ মাসে আমি ব্লগ লিখিনি কোন। আমার মনে হয় এটা আমার বিগত ৪/৫ বছরের ব্লগিং এর ইতিহাসে প্রথমবার ঘটল। ১/২টি হলেও প্রত্যেক মাসে কিছু ব্লগ লিখা হয়েছেই। কিন্তু এবার বিষন্নতা মনে হয় আমাকে ব্লগিং থেকেও এবসেন্ট করে দিল। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। শয়তান যেন আমাকে আমার কোন ভাল কাজ/গুণ থেকে দূরে রাখতে না পারে সে জন্য আমি আল্লাহর সদা আশ্রয় প্রার্থণা করছি। )
0 notes
Text
আজকের রাশিফল মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল ২০২০
জেনে নিন আজকের রাশিফল মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল ২০২০ Ajker Rashifol : রাশিফল এমন একটি জিনিস প্রতিদিন আমাদের ভালো খারাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। রাশিফলের মাধ্যমেই আমাদের যা কিছু ভালো এবং যা কিছু খারাপ তাই প্রকাশিত হয় ।
বিশদে দেখুন আজকের রাশিফল মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল ২০২০
Mesh Rashi Ajker rashifal Tuesday 7 march 2020Aries horoscope today bangla rashifal daily মেষ রাশি – অর্থোপার্জন অনেক হবে। ব্যয়ও হবে বেশি, সুতরাং সঞ্চয় হবে ��ল্প। নিজের বা পরিবারের সদস্যগণের চিকিৎসার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করতে হতে পারে। তবে দারিদ্রের লক্ষণ নেই। কর্মে পদোন্নতি ও বিদেশগমন যোগ দেখা যাচ্ছে। লাল রঙ শুভ। ১৭ শুভ সংখ্যা।
Bris Rashi Ajker rashifal Tuesday 7 march 2020 Taurus horoscope today bangla rashifal daily বৃষ রাশি –এ বৎসর একাধিক স্থাবর সম্পত্তিলাভ হবে। লটারি প্রভৃতিতে প্রাপ্তির আশা অমূলক নয়। কর্মের জন্য দেশ-বিদেশ গমন সম্ভব। পদমর্যাদা বৃদ্ধিরও যোগ রয়েছে। নব গৃহনির্মাণ ও পুরাতন গৃহ সংস্কারে অনেক অর্থব্যয় হতে পারে কালো রং শ্রেয়। ৩ শুভ সংখ্যা।
Mithun Rashi Ajker rashifal Tuesday 7 march 2020 Gemini horoscope today bangla rashifal daily মিথুন রাশি – দাম্পত্য জীবনে শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা থাকলেও বিচ্ছেদের আশঙ্কা নেই। বৎসরের প্রথম ভাগে অবিবাহিতের বিবাহযোগ লক্ষিত হয়। নতুন বন্ধুলাভের যোগ যেমন রয়েছে তেমনি একাধিক পুরাতন বন্ধুর সঙ্গে তিক্ততা সৃষ্টি ও যোগাযোগ ছিন্নের আশঙ্কা রয়েছে। ঘনিষ্ঠ কোনও বন্ধুর দ্বারা অনিষ্টের আশঙ্কা প্রবল সবুজ র�� শুভ। শুভ সংখ্যা ১ দৈনিক রাশিফল, ফ্রি বাংলা হরোস্কপ
Karkat RashiAjker rashifal Tuesday 7 march 2020 Cancer horoscope today bangla rashifal daily কর্কট রাশি –দাম্পত্যেও থাকবে শান্তির বার্তা। মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এই রাশির জাতক জাতিকারা যাঁরা 'সিঙ্গল' পেয়ে যেতে পারেন নিজের প্রেমিকা কিংবা প্রেমিককে। ফলে আগামী বছরে থাকতে পারে বহু আশার বার্তা। হলুদ রং শুভ। ৬ শুভ সংখ্যা।
Singha Rashi Ajker rashifal Tuesday 7 march 2020 Leo horoscope today bangla rashifal daily সিংহ রাশি –শরীর-স্বাস্থ্য ছাড়া অন্য সব দিকেই বছরটি শুভ। অনিয়মিত জীবনযাপন শরীরকে ব্যস্ত করে তুলতে পারে। তবে বিদ্যা, অর্থ ও কর্মক্ষেত্রে বেশি শুভ। উপার্জন খুবই ভাল হবে। ব্যবসায় অগ্রগতি যোগ। তৈরি খাদ্য দ্রব্য, ইমারতি দ্রব্য, পশুপালন, ওষুধের ব্যবসায়ীদের অর্থোপার্জন হবে প্রচুর। লাল রঙ শুভ। ৯ শুভ সংখ্যা
Kanya Rashi Ajker rashifal Tuesday 7 march 2020 Virgo horoscope today bangla rashifal daily কন্যা রাশি -সারাটা বছর কন্যা রাশির হাতে অর্থ থাকলেও খরচ করতে হবে হিসেব করে। কর্মক্ষেত্রে অত্যধিক পরিশ্রমের জন্য মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। পারিবারিক ক্ষেত্রে মা, বাবার শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ রয়েছে। নীল রঙ শ্রেয়। ৬ শুভ সংখ্যা দৈনিক রাশিফল, আজকের বাংলা রাশিফল
Tula Rashi Ajker rashifal Tuesday 7 march 2020 Libra horoscope today bangla rashifal daily তুলা রাশি – এই বছরটি শুভাশুভ মিশিয়ে কাটবে। ছোটখাটো বাধাবিঘ্নর মধ্য দিয়ে চলতে হবে সারাটা বছর। কর্মক্ষেত্রে সারা বছরই চাপ থাকবে। অর্থভাগ্য মধ্যম। তবে বছরের মাঝামাঝি সময়ে কিছু ভাল সুযোগ সুবিধা আসবে লাল রঙ শুভ। শুভ সংখ্যা ৪।
আজকের রাশিফল মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল ২০২০ বৃশ্চিক রাশি –চাকরিজীবীদের সম্মান ও সাম্মানিক দুইই বাড়ার যোগ রয়েছে। পারিবারিক ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম ও প্রীতির লক্ষণ দেখা যায়। বিদ্যার্থীদের সময় শুভ। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ভাল ফল আশা করা যায়। নতুন চাকরির যোগ আছে কালো রং শুভ। ৫ ��ুভ সংখ্যা।
Dhanu Rashi Ajker rashifal Tuesday 7 march 2020 Sagittarius horoscope today bangla rashifal daily ধনু রাশি –কর্মক্ষেত্রে অত্যধিক পরিশ্রমের জন্য মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। পারিবারিক ক্ষেত্রে মা, বাবার শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ রয়েছে। ধূসর রং শুভ। ২ শুভ সংখ্যা। আজকের জাতক দেখে নিন
Makar Rashi Ajker rashifal Tuesday 7 march 2020 Capricorn horoscope today bangla rashifal daily মকর রাশি –লেখক, কবি, আইনবিদ, চিকিৎসকদের যশ বাড়বে। অনেকের ভাগ্যে রাজ্য বা জাতীয় স্তরের পুরস্কার মিলতে পারে। অভিনেতা, শিল্পীদের পক্ষেও সময়টা ভাল। ধূসর রং শুভ। শুভ সংখ্যা ২।
Kumbha Rashi Ajker rashifal Tuesday 7 march 2020 Aquarius horoscope today bangla rashifal daily কুম্ভ রাশি – উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি মিলতে পারে। পরের দখলে থাকা সম্পত্তি উদ্ধারের সম্ভাবনাও প্রবল। তবে এসব ক্ষেত্রে অনেক আইনি জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বাদামি রঙ শুভ। শুভ সংখ্যা ৮
Meen Rashi Ajker rashifal Tuesday 7 march 2020 Pisces horoscope today bangla rashifal daily মীন রাশি –কর্মক্ষেত্রে অত্যধিক পরিশ্রমের জন্য মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। পারিবারিক ক্ষেত্রে মা, বাবার শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ রয়েছে। লটারিতে আয়ের যোগ রয়েছে। কর্মহীনদের কাজ মিলবে। আয়ের থেকে ব্যয় কম হওয়ায় আর্থিক সঞ্চয় বাড়বে। লাল রং শুভ। ২ শুভ সংখ্যা। আরও পড়ুনঃ এ কোন ভয়ঙ্কর রূপে দেখা দিলেন রাখি সাওয়ান্ত আমাদের আজকের প্রতিবেদনঃ আজকের রাশিফল মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল ২০২০ আপনার কেমন লাগলো নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। দৈনিক রাশিফল আপডেট পেতে হলে চোখ রাখতে হবে আমাদের পেজে। এছাড়া রাশিফল বিষয়ে আপনার যদি কোনো মতামত থাকে তাহলে আমাদের কন্টাক্ট করতে ভুলবেন না। দৈনিক রাশিফলের আপডেট পেতে হলে চোখ রাখতে হবে #kolkata_Hunt ওয়েবসাইটে অথবা আমাদের ফেসবুক পেজে । Read the full article
#anandabazarpatrikarashifol#banglahoroscope#horoscope#আজকেররাশিফল#আজকেররাশিফলমঙ্গলবার৭এপ্রিল২০২০#রাশিফল
0 notes
Quote
রমা একাদশী মাহাত্ম্য Rama Ekadashi Vrat 2020 একাদশী ব্রত পালন করার নিয়মাবলী Krishna Katamrita রমা একাদশী মাহাত্ম্য Rama Ekadashi Vrat 2020 একাদশী ব্রত পালন করার নিয়মাবলী Krishna Katamrita মাহাত্ম্যঃ- একসময় যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণকে বললেন , হে জনার্দন! কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম ও মাহাত্ম্য কৃপা করে আমায় বলুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন , হে রাজন! মহাপাপ দূরকারী সেই একাদশী "রমা" নামে বিখ্যাত।আমি এখন এর মাহাত্ম্য বর্ণনা করছি,আপনি তা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করুন। পুরাকালে মুচুকুন্দ নামে একজন সুপ্রসিদ্ধ রাজা ছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্র , যম , বরুণ ও ধনপতি কুবেরের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল।ভক্তশ্রেষ্ঠ বিভীষণের সাথেও তার অত্যন্ত সদ্ভাব ছিল।তিনি ছিলেন বিষ্ণুভক্ত ও সত্যপ্রতিজ্ঞ।এইরূপে তিনি ধর্ম অনুসারে রাজ্যশাসন করতেন।চন্দ্রভাগা নামে তার একটি কন্যা ছিল।চন্দসেনের পুত্র শোভনের সাথে তার বিবাহ হয়েছিল। শোভন একসময় শ্বশুর বাড়িতে এসেছিল।দৈবক্রমে সেইদিন ছিল একাদশী তিথি। স্বামীকে দেখে পতিপরায়ণা চন্দ্রভাগা মনে মনে চিন্তা করতে লাগলেন , হে ভগবান! আমার স্বামী অত্যন্ত দুর্বল, তিনি ক্ষুধা সহ্য ক���তে পারেন না। এখানে আমার পিতার শাসন খুবই কঠোর।দশমীর দিন তিনি নাগরা বাজিয়ে ঘোষণা করে দিয়েছেন যে,একদশী দিনে আহার নিষিদ্ধ।আমি এখন কি করি! রাজার নিষেধাজ্ঞা শুনে শোভন তার প্রিয়তমা পত্নীকে বললেন ,হে প্রিয়ে!এখন আমার কি কর্তব্য,তা আমাকে বলো।উত্তরে রাজকন্যা বলল,হে স্বামী!আজ এই গৃহে এমনকি রাজ্যমধ্যে কেউই আহার করবে না।মানুষের কথা তো দূরে থাকুক পশুরা পর্যন্ত অন্নজল মাত্র গ্রহণ করবে না। হে নাথ! যদি তুমি এ থেকে পরিত্রাণ চাও তবে নিজগৃহে প্রত্যাবর্তন কর।এখানে আহার করলে তুমি সকলের নিন্দাভাজন হবে এবং আমার পিতাও ক্রদ্ধ হবেন।এখন বিশেষভাবে বিচার করে যা ভালো হয়,তুমি তাই কর। সাধ্বী স্ত্রীর এই কথা শুনে শোভন বলল ,হে প্রিয়ে! তুমি ঠিকই বলেছ।কিন্তু আমি গৃহে যাব না।এখানে থেকে একাদশী ব্রত পালন করব।ভাগ্যে যা লেখা আছে তা অবশ্যই ঘটবে। এইবাবে শোভন ব্রত পালনে বদ্ধপরিকর হলেন।সমস্ত দিন অতিক্রান্ত হয়ে রাত্রি শুরু হল।বৈষ্ণবদের কাছে সেই রাত্রি সত্যিই আনন্দকর।কিন্তু শোভনের পক্ষে তা ছিল বড়ই দুঃখদায়ক।কেননা ক্ষুধা-তৃষ্ণায় সে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ল।এভাবে রাত্রি অতিবাহিত হলে সূর্যোদয়কালে তার মৃত্যু হল।রাজা মুচুকুন্দ সাড়ম্বরে তার শবদাহকার্য সুসম্পন্ন করলেন।চন্দ্রভাগা স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপ্ত করে পিতার আদেশে পিতৃগৃহেই বাস করতে লাগলেন। কালক্রমে রমাব্রত প্রভাবে শোভন মন্দরাচল শিখরে অনুপম সৌন্দর্যবিশিষ্ট এক রমণীয় দেবপুরী প্রাপ্ত হলেন।একসময় মুচুকুন্দপুরের সোমশর্ম্মা নামে এক ব্রাহ্মণ তীর্থভ্রমণ করতে করতে সেখানে উপস্থিত হলেন।সেখানে রত্নমণ্ডিত বিচিত্র স্ফটিকখচিত সিংহাসনে রত্নালঙ্কারে ভূষিত রাজা শোভনকে তিনি দেখতে পেলেন।গন্ধর্ব ও অপ্সরাগণ দ্বারা নানা উপচারে সেখানে তিনি পূজিত হচ্ছিলেন।রাজা মুচুকুন্দের জামাতারূপে ব্রাহ্মণ তাকে চিনতে পেরে তার কাছে গেলেন।শোভনও সেই ব্রাহ্মণকে দেখে আসন থেকে উঠে এসে তাঁর চরণ বন্দনা করলেন।শ্বশুর মুচুকুন্দ ও স্ত্রী চন্দ্রভাগা সহ নগরবাসী সকলের কুশলবার্তা জিজ্ঞাসা করলেন।ব্রাহ্মণ সকলের কুশল সংবাদ জানালেন। ব্রাহ্মন জিজ্ঞাসা করলেন , এমন বিচিত্র মনোরম স্থান কেউ কখনও দেখেনি।আপনি কিভাবে এই স্থান প্রাপ্ত হলেন,তা সবিস্তারে আমার কাছে বর্ণনা করুন।শোভন বললেন যে,কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া রমা একাদশী সর্বব্রতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।আমি তা শ্রদ্ধারহিত -ভাবে পালন কর��েও তার আশ্চর্যজনক এই ফল লাভ করেছি।আপনি কৃপা করে চন্দ্রভাগাকে সমস্ত ঘটনা জানাবেন। সোমশর্ম্মা মুচুকুন্দপুরে ফিরে এসে চন্দ্রভাগার কাছে সমস্ত ঘটনার কথা জানালেন।ব্রাহ্মণের কথা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত চন্দ্রভাগা বললেন ,হে ব্রাহ্মণ!আপনার কথা আমার কাছে স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে।তখন সোমশর্ম্মা বললেন ,হে পুত্রী! সেখানে তোমার স্বামীকে আমি স্বয়ং সচক্ষে দেখেছি।অগ্নিদেবের মতো দীপ্তিমান তার নগরও দর্শন করেছি।কিন্তু তার নগর স্থির নয়, তা যাতে স্থির হয় সেই মতো কোন উপায় কর।এসব কথা শুনে চন্দ্রভাগা বললেন,তাকে দেখতে আমার একান্ত ইচ্ছা হচ্ছে।আমাকে এখনই তার কাছে নিয়ে চলুন।আমি ব্রত পালনের পুণ্যপ্রভাবে এই নগরকে স্থির করে দেব। তখন সোমশর্ম্মা চন্দ্রভাগাকে নিয়ে মন্দার পর্বতে বামদেবের আশ্রমে উপনীত হলেন।সেখানে ঋষির কৃপায় ও হরিবাসর ব্রত পালনের ফলে চন্দ্রভাগা দিব্য শরীর ধারণ করল।দিব্য গতি লাভ করে ন���জ স্বামীর নিকট উপস্থিত হলেন।প্রিয় পত্নীকে দেখে শোভন অতীব আনন্দিত হলেন।বহুদিন পর স্বামীর সঙ্গ লাভ করে চন্দ্রভাগা অকপটে নিজের পুণ্যকথা জানালেন। হে প্রিয়! আজ থেকে আট বছর আগে আমি যখন পিতৃগৃহে ছিলাম তখন থেকেই এই রমা একাদশীর ব্রত নিষ্ঠাসহকারে পালন করতাম।ঐ পুণ্য প্রভাবে এই নগর স্থির হবে এবং মহাপ্রলয় পর্যন্ত থাকবে। হে মহারাজ! মন্দারাচল পর্বতের শিখরে শোভন স্ত্রী চন্দ্রভাগা সহ দিব্যসুখ ভোগ করতে লাগলেন।পাপনাশিনী ও ভক্তিমুক্তি প্রদায়িনী রমা একদশীর মাহাত্ম্য আপনার কাছে বর্ণনা করলাম।যিনি এই একাদশী ব্রত শ্রবণ করবেন, তিনি সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে পূজিত হবেন। "জয় রাধামাধব" বিনীত_অনুরোধঃ ,, আপনার মনের সকল অজানা প্রশ্নের উত্তর জানতে ও সনাতন ধর্ম বিস্তারের জন্য অনুগ্রহ করে ওয়েবসাইটির সাথে থাকুন। যদি আপনিও সনাতন ধর্ম প্রচারের অংশ হতে চান ,, কৃপা করে এই ওয়েবসাইটি তে লাইক ,, কমেন্ট ও শেয়ার করে সহায়তা করুন। ,,,,নমস্কার 👏
http://krishnakatamrita.blogspot.com/2020/01/rama-ekadashi-vrat-2020-krishna.html
0 notes
Video
youtube
Rama Ekadashi 2019,একাদশী মাহাত্ম্য।এই ব্রত কথা শ্রবন করবেন, সর্বপাপ মুক্ত হবেন। DR SHREE SUBRATA IIHINDU ASTROLOGY & VASTU SHASTRA SECRETS REVEALEDII এই লিঙ্কে ক্লিক করুন : https://www.youtube.com/c/SHREESUBRATAASTROLOGICALCONSULTANCY ABOUT VIDEO:- Rama Ekadashi 2019,একাদশী মাহাত্ম্য।এই ব্রত কথা শ্রবন করবেন, সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে পূজিত হবেন। DR SHREE SUBRATA একসময় যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণকে বললেন- হে জনার্দন ! কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম ও মাহাত্ম্য কৃপা করে আমায় বলুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন - হে রাজন! মহাপাপ দূরকারী সেই একাদশী ‘রমা’ নামে বিখ্যাত। আমি এখন এর মাহাত্ম্য বর্ণনা করছি, আপনি তা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করুন। পুরাকলে মুচুকুন্দ নামে একজন সুপ্রসিদ্ধ রাজা ছিলেন। দেবরাজ ইন্দ, যম, বরুণ ও ধনপতি কুবেরের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল। ভক্তশ্রেষ্ঠ বিভীষণের সাথেও তার অত্যন্ত সদ্ভাব ছিল। তিনি ছিলেন বিষ্ণুভক্ত ও সত্যপ্রতিজ্ঞ। এইরূপে তিনি ধর্ম অনুসারে রাজ্যশাসন করতেন। চন্দ্রভাগা নামে তার একটি কন্যা ছিল।চন্দসেনের পুত্র শোভানের সাথে তার বিবাহ হয়েছিল। শোভন একসময় শ্বশুর বাড়িতে এসেছিল। দৈবক্রমে সেইদিন ছিল একাদশী তিথি। স্বামীকে দেখে পতিপরায়ণা চন্দ্রভাগা মনে মনে চিন্তা করতে লাগল হে ভগবান! আমার স্বামী অত্যন্ত দুর্বল, তিনি ক্ষুধা সহ্য করতে পারেন না। এখানে আমার পিতার শাসন খুবই কঠোর। দশমীর দিন তিনি নাগরা বাজিয়ে ঘোষনা করে দিয়েছেন যে, একাদশী দিনে আহার নিষিদ্ধ। আমি এখন কি করি! রাজার নিষেধাজ্ঞা শুনে শোভন তার প্রিয়তমা পত্নীকে বলল- হে প্রিয়ে, এখন আমার কি কর্তব্য, তা আমাকে বলো। উত্তরে রাজকন্যা বলল-হে স্বামী, আজ এই গৃহে এমনকি রাজ্যমধ্যে কেউই আহার করবে না। মানুষের কথা তো দুরে থাকুক পশুরা পর্যন্ত অন্নজল মাত্র গ্রহণ করবে না। হে নাথ, যদি তুমি এ থেকে পরিত্রাণ চাও তবে নিজগৃহে প্রত্যাবর্তন কর। এখানে আহার করলে তুমি সকলের নিন্দাভজন হবে এবং আমার পিতাও ক্রুদ্ধ হবেন। এখন বিশেষভাবে বিচার করে যা ভাল হয় , তুমি তাই কর। সাধ্বী স্ত্রীর এই কথা শুনে শোভন বলল- হে প্রিয়ে! তুমি ঠিকই বলেছ। কিন্তু আমি গৃহে যাব না। এখানে থেকে একাদশী ব্রত পালন করব। ভাগ্যে যা লেখা আছে তা অবশ্যই ঘটবে। এইভাবে শোভন ব্রত পালণে বদ্ধপরিকর হলেন। সমস্ত দিন অতিক্রান্ত হয়ে রাত্রি শুধু হল। বৈষ্ণবদের কাছে সেই রাত্রি সত্যিই আনন্দকর । কিন্তু শোভনের পক্ষে তা ছিল বড়ই দুঃখদায়ক । কেননা ক্ষুধা-তৃষ্ণায় সে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ল। এভাবে রাত্রি অতিবাহিত হলে সূর্যোদয়কালে তার মৃত্যু হল। রাজা মুচুকুন্দ সাড়ম্বরে তার শবদাহকার্য সুসম্পন্ন করলেন। চন্দ্রভাগা স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপ্ত করে পিতার আদেশে পিতৃগৃহেই বাস করতে লাগল। কালক্রমে রমাব্রত প্রভাবে শোভন মন্দরাচল শিখরে অনুপম সৌন্দর্যবিশিষ্ট এক রমণীয় দেবপুরী প্রাপ্ত হলেন। একসময় মুচুকুন্দপুরের সোমশর্ম্মা নামে এক ব্রাহ্মণ তীর্থভ্রমণ করতে করতে সেখানে উপস্থিত হলেন। সেখানে রত্নমন্ডিত বিচিত্র স্ফটিকখচিত সিংহাসনে রত্নালঙ্কারে ভুষিত রাজা শোভনকে তিনি দেখতে পেলেন। গন্ধর্ব ও অপ্সরাগণ দ্বারা নানা উপচারে সেখানে তিনি পুজিত হচ্ছিলেন। রাজা মুচুকুন্দের জামাতারূপে ব্রাহ্মণ তাকে চিনতে পেরে তার কাছে গেলেন। শোভনও সেই ব্রাহ্মণকে দেখে আসন থেকে উঠে এসে তার চরণ বন্দনা করলেন।শ্বশুর মুচুকুন্দ ও স্ত্রী চন্দ্রভাগা সহ নগরবাসী সকলের কুশলবার্তা জিজ্ঞাসা করলেন। ব্রাহ্মণ সকলেন কুশল সংবাদ জানালেন। জিজ্ঞাসা করলেন- এমন বিচিত্র মনোরম স্থান কেউ কখনও দেখেনি। আপনি কিভবে এই স্থান প্রাপ্ত হলেন, তা সবস্তিারে আমার কাছে বর্ণনা করুন। শোভন বললেন যে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া ’রমা’ একাদশী সর্বব্রতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। আমি তা শ্রদ্ধারহিতভাবে পালন করলেও তার আশ্চর্যজনক এই ফল লাভ করেছি। আপনি কৃপা করে চন্দ্রভাগাকে সমস্ত ঘটনা জানাবেন। সোমশর্ম্মা মুচুকুন্দপুরে ফিরে এসে চন্দ্রভাগার কাছে সমস্ত ঘটনার কথা জানালেন। ব্রহ্মণের কথা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত চন্দ্রভাগা বললেন-হে ব্রাহ্মণ! আপনার কথা আমার কাছে স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে। তখন সোমশর্ম্মা বললেন- হে পুত্রী, সেখানে তোমার স্বামীকে আমি স্বয়ং সচক্ষে দেখেছি । অগ্নিদেবের মতো দীপ্তিমান তার নগরও দর্শন করেছি। কিন্তু তার নগর স্থির নয়, তা যাতে স্থির হয় সেই মতো কোন উপায় কর। এসব কথা শুনে চন্দ্রভাগা বললেন, তাকে দেখতে আমার একান্ত ইচ্ছা হচ্ছে। আমাকে এখনই তার কাছে নিয়ে চলুন। আমি ব্রত পালনের পুন্যপ্রভাবে এই নগরকে স্থির করে দেব। তখন সোমশর্ম্মা চন্দ্রভাগাকে নিয়ে মন্দার পর্বতে বামদেবের আশ্রমে উপনীত হলেন। সেখানে ঋষির কৃপায় ও হরিবাসর ব্রত পালনের ফলে চন্দ্রভাগা দিব্য শরীর ধারণ করল। দিব্য গতি লাভ করে নিজ স্বামীর নিকট উপস্থিত হলেন। #ShreeSubrata#astrologicalconsultancy#একাদশীব্রত#একাদশী2019#RamaEkadashi Dr.Shree Subrata, (মনোবিজ্ঞানী,জ্যোতিষ ও আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা) Ph.D. (PSYCHOTHERAPY), CCP (Children and Young People), University of Edinburgh, JYOTISH SHASTRI,JYOTISH VIDYABIBHUSHAN, VASTU BACHASPATI, Certificate Course on Bhagavad Gita, (ISKCON) Booking Number : 8697332855 Follow Me, • YOUTUBE: https://www.youtube.com/c/SHREESUBRATAASTROLOGICALCONSULTANCY • Blog: https://ift.tt/2SFt933 • wordpress - https://ift.tt/2XAmWZU • Linkedin.com:https://ift.tt/2SDyR5o • Facebook.com:https://ift.tt/2XA6I2A • Twitter: https://twitter.com/SubrataShree Thanks for watching. Hopefully you enjoy. Like this video. Give your valuable opinion or suggestion in comment box. Share this video for your friends and don’t forget to Subscribe. SHREE SUBRATA ASTROLOGICAL CONSULTANCY is a YouTube Channel, where you will find videos on Vedic astrology, Vastu Shastra and Numerology in Bengali. New video is posted on every day. © SHREE SUBRATA ASTROLOGICAL CONSULTANCY.
0 notes
Photo
মায়ের আব্দার পূরণে যা করলেন ফরেন ক্যাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ওয়ালিদ ইসলাম তার ফেসবুকে লিখেছেন, "আমার তোর অফিসটা খুব দেখতি ইচ্ছা করে। আমি এট্টু তোর অফিসি আসতি চাচ্ছি। তুই কোন জাগা চাকরি করিস দেখতি পারলি ভাল ঠ্যাকতো।" --- আজ তাই মায়ের আব্দারটা ফেলতে পারলাম না। মাকে আমার অফিসটা দেখালাম। ওয়ালিদ ইসলামের ফেসবুক স্ট্যাটাস ও ছবি পোস্টের পরে অনেকেই গর্বিত মা ও ছেলের প্রশংসা করে মন্তব্য করেছেন। এই মেধাবী তরুণের ফেসবুকে দেখা যায় নানা সামাজিক সচেতনতামূলক এবং সাহসী কাজের নমুনা। তেমনি একটি ঘটনা তার ফেসবুক থেকে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো- গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর অনেক জুনিয়র এক মেয়ের সাথে কথা বলছিলাম। মেয়েটা খুব গরীব পরিবারের। তার বাবা আর তার দুলাভাই চায় তাকে বিয়ে দিয়ে দিতে তাকে আর না পড়াতে। দুলাভাইয়ের সিদ্ধান্ত মেনে না নিলে পরিবারের উপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে দুলাভাই। দুলাভাই নতুন একটা ছেলে দেখেছে মেয়েটার জন্য। আমি জিজ্ঞেস করলাম তার দুলাভাইএর পেশা সম্পর্কে। উত্তর দিলো, তিনি ভ্যান চালান। আমি বললাম, "তাহলে তোর জন্য যে ছেলে দেখবে সে বড়জোর ট্রাক চালায়।" মেয়েটা চুপ করে থেকে উত্তর দিলো, "কিছুটা সেরকম, ভাইয়া।" মেয়েটাকে এতই চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে যে, অর্থাভাবে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল তাকে রিফান্ডেবল সহযোগিতার জন্য যারা এগিয়ে এসেছিল মেয়েটা তা গ্রহণ করতেও ভয় পাচ্ছিল। কারণ, সে বিয়ে হয়ে গেলে তা কিভাবে শোধ করবে তা ভেবে। আমার নিম্নবিত্ত পরিবারের বাবা-মা যখন স্বপ্ন দেখেছেন তাদের সন্তানেরা বড় হয়ে একদিন এসপি-ডিসি হবে ঠিক তখনই আমার পাশের বাড়ির বন্ধুর বাবা-মাকে স্বপ্ন দেখতে দেখেছি আমার বন্ধুটা আরেকটু বড় হলে তাকে কোন গ্যারেজে দিয়ে এলাকার বড় মিস্ত্রী বানাবে। ওই বন্ধুটার স্বপ্নও তখন ওই গ্যারেজ-লেদ-মিস্ত্রী এগুলোর ভেতরই সীমাবদ্ধ হয়ে যেতেও দেখেছি। এটাই হয়তো তার ভাগ্যে ছিল। আমি কোন রিক্সাচালক বা নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে কথা বলি তাদের পারিবারিক গল্পগুলো নিয়ে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের দাদা-পরদাদা অনেক ধনী কেউ ছিলেন। ভাগ্যের কারণে আজ হয়তো তিনি রিক্সা চালাচ্ছেন। এবার প্রথম মেয়েটার কথায় আবার ফিরি। মেয়েটার আজ যদি বিয়ে হয়ে যায় তার জীবনে যে দারিদ্র্য আর দুঃখটা নেমে আসবে একদিন হয়তো সে আর তার পরিবার ভাগ্যকেই দুষবে। ঝরেপড়া দরিদ্র পরিবারের বাচ্চাগুলোর সাথে কথা বলে যেটা বুঝতে পারি তাদের জীবনে কোন স্বপ্ন নেই। সবচেয়ে বড় স্বপ্নটা যে দেখে সে বাংলা সিনেমার নায়ক/নায়িকা হবার স্বপ্ন দেখেছে। আশ্চার্যান্বিত হয়ে দেখেছিও সে তার প্রিয় অভিনেতা/অভিনেত্রীকে কিভাবে নকল করতে পারে। অর্থ্যাৎ, সে কিন্তু অমেধাবী নয়। কিন্তু, স্বপ্নও দেখতে জানেনা। জাবি ক্যাম্পাসে আমি কতগুলো পথশিশুকে পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছিলাম। তাদের স্কুলে ভর্তি করে দিয়ে চাদা তুলে তাদের প্রত্যেককে ৭ টা কাপ, একটা ফ্লাস্ক একদিনের মূলধন দিয়েছিলাম। তাদের ভেতর দুজন এবার জাবিতেই ভর্তি হলো। এখাতিরে আমি কিছুটা সফল হবার কারণ ছিল আমি সারাদিন তাদের স্বপ্নগুলো শুনতাম, ছোট ছোট স্বপ্নগুলোকে বড় করতে বলতাম, তাদের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বোঝাতাম। তারাও স্বপ্ন দেখতে শিখেছিল। দেশের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে দিনদিন। কিন্তু, নিম্নবিত্ত মানুষের ভেতর স্বপ্নের অভাব। এই স্বপ্ন তাদেরকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। চাবাগানে বেড়াতে গিয়ে দেখেছি শ্রমিকদের সব স্বপ্ন চাবাগানকে কেন্দ্র করেই। এর বাইরে যে জগৎ তা নিয়ে তারা শুনলেও সে জগৎ দেখার ইচ্ছেটাই আছে, কিন্তু, তা নিয়ে কোন স্বপ্ন নেই। তথ্য আর স্বপ্নের সল্পতার কারণেই নিম্নবিত্তদের ভাগ্য তাদের সাথে শুধু প্রতারণাই করে। ঠিক করেছি জানুয়ারি থেকে একটা স্কুলে গিয়ে সময়ের ফাকে ক্লাস নেব মাঝে মাঝে যা পথশিশুদের স্কুল। সেখানে তাদের ক্লাসটা নেব তাদের স্বপ্ন দেখা শেখানোর জন্য, তাদের ছোট স্বপ্নকে বড় করার জন্য। অন্তত কিছু ছেলেমেয়েকে যেন ঝরে পড়া থেকে রক্ষা করতে পারি।
0 notes
Text
স্বামী,পরিবার ও চলচ্চিত্র নিয়ে যা বললেন মৌসুমী........
http://www.surmatimes.com/?p=73873 সুরমা টাইমস ডেস্ক:: ১৯৯৩ সালের ২৫শে মার্চ বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। সোহানুর রহমান সোহানের এই ছবির মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষেরা পেয়েছিল দুটি নতুন মুখ—মৌসুমী ও সালমান শাহ। প্রথম ছবিতেই তারা বাজিমাত করেন—অভিনয় দিয়ে মানুষের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নেন। ২২ বছর আগে আকস্মিক মৃত্যুতে সালমান শাহ মারা যান। মৌসুমী ফ্যান ক্লাব রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় ম্যারি মন্টানা রেস্তোরাঁয় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। সেখানে একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন এই ছবি নিয়ে অনেক অজানা গল্প। বলেছেন পরিবার, স্বামী আর চলচ্চিত্রের আরও অনেক বিষয় নিয়ে। ভক্তরা ��পনার ছবির ২৫ বছর পূর্তি নিয়ে চমৎকার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। অনুভূতি বলুন? অনেকের হয়তো অনেক টাকাপয়সা থাকে, তারা এমন ভালোবাসার ভাগীদার হতে পারে না। দেশের নানা জায়গা থেকে যেমন এসেছে, তেমনি বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রেস্ট হাতে পেয়েছি। এমন অনুভূতির কোনো ব্যাখ্যা হয় না। এসব অনুভূতিই একজন মানুষকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দেয়। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে যুক্ত হয়েছিলেন কীভাবে? আমার জীবনে বেশির ভাগ জিনিস এমন করেই হয়। যুক্ত হলে পরিকল্পনা তৈরি হয়ে যায়। আমি আগে থেকে সফলতা নিয়ে ভাবি না। কেন জানি বুঝে যাই, সফল আমি হবই। কারণ আমি যা করি, মনপ্রাণ দিয়ে করি। আমার ছবির প্রস্তাবগুলো আসত গুলজার (পরিচালক মুশফিকুর রহমান) ভাইয়ের মাধ্যমে, তখন তিনি ছিলেন সাংবাদিক। আমার সাক্ষাৎকারের পরিকল্পনা করেন। সোহান ভাই বন্ধু হয়ে ঢাকায় আমাদের মোহাম্মদপুরে হুমায়ুন রোডের বাসায় এসেছিলেন। সেখানেই চলচ্চিত্র আগ্রহী কি না, কৌশলে জানতে চান। তখন আমি স্থিরচিত্র আর বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়ে খুশি ছিলাম। মধ্যবিত্ত পরিবার, তাই নাটকে অভিনয়ের চেষ্টা করিনি। গুলজার ভাই বললেন, ধরুন, হিন্দি ছবি ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ যদি বাংলায় রিমেক হয়। আপনি জুহি চাওলার চরিত্রটা করবেন, আমির খানের চরিত্রে নোবেল, তৌকীর আহমেদ কিংবা জাহিদ হাসানও হতে পারেন। তাঁরা জানতেন, তৌকীর ভাই আর নোবেল ভাইয়ের ভক্ত আমি। তখন কিছুটা আগ্রহী হলাম, কারণ সহশিল্পী হিসেবে পছন্দের শিল্পীরা থাকবেন। আমি তখন থেকে স্বপ্ন দেখা শুরু করি। কীভাবে বাসায় বলা যায়, উপায় খুঁজছি। এরপর আরও অনেক ছবির প্রস্তাব পেয়ে আমি কনফিউজড হয়ে যাই। মনে মনে বাছাই করতে থাকি, কার ছবি করব? ঘুরেফিরে দেখি, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে প্রথম দিনের সংলাপ কী ছিল? আমাকে ভয়ে কোনো সংলাপ দেওয়া হয়নি। সেদিন ক্যামেরার সামনে ভয়ে কাঁপছিলাম। একটি দৃশ্য ছিল, ওই দিন একটা বাইকে সালমান আর আমি এফডিসি থেকে কাঁচপুর গেছি। আবার ফিরে আসি। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। সালমানের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল? আমরা তখন খুলনায় থাকতাম। ছোটবেলায় ইমন (সালমান শাহ ডাকনাম) আর আমি প্লে-গ্রুপ ও নার্সারিতে একসঙ্গে পড়েছি। বাবার চাকরির কারণে ইমনের পরিবার খুলনা সার্কিট হাউসে থাকত। ওই স্কুলে আমার ফুফু ছিলেন টিচার। ফুফুর ছুটি হওয়া পর্যন্ত ইমনদের বাসায় আড্ডা দিতাম। সেও আমাদের বাসায় যাওয়া-আসা করত। ভালো বন্ধুত্ব হয়। এরপর হঠাৎ ওরা ঢাকায় চলে আসে। ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে চলচ্চিত্রে ��ভিনয়। ব্যাপারটি কেমন ছিল? বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর দেখা হওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা থাকে, তা ছবিটি করতে গিয়ে নতুন করে টের পাই। ছবির কাজ করার সময় আমাদের দেখা হয়। আবেগাপ্লুত হলাম। অল্প কদিনেই আমাদের সম্পর্ক আবার আগের রূপ নেয়। নিজেদের সবকিছুই একজন আরেকজনের সঙ্গে শেয়ার করতাম। আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে তো পরিচালক সোহান ভাই একপর্যায়ে ভুল বুঝতে শুরু করলেন। তিনি ভাবলেন, আমরা এক জোট হয়ে গেছি। আপনাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল? আমার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তবে সালমান আর আমার সম্পর্ক গভীর ছিল। অনেক খুঁটিনাটি বিষয় আমরা শেয়ার করতাম, যা কাউকে বলতে পারতাম না। আমার জ্বর হলে ওর ভালো লাগত না, ওর কোনো অসুখ হলে আমার না। আমাদের আত্মার একটা টান ছিল। দেখা গেল, জ্বরের কারণে আমি শুটিংয়ে যেতে পারিনি, পরিচালকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেখা করতে চলে আসত। ওর কোনো ভালো হলে আমার ভালো লাগত, ওর খারাপ হলে আমার খারাপ লাগত। এমনই ছিল আমাদের অনুভূতি। এটা তো দেখছি আরেক গল্প। একদমই তাই। ইমনরা ঢাকায় থাকে। আমরাও তো ঢাকায় চলে আসছি, দেখা হয় না কেন? ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে অভিনয়েরও এক বছর আগের কথা। আমরা তখন মোহাম্মদপুরে একটা কোচিংয়ে পড়তাম। ওখানে ওকে প্রায়ই দেখতাম। ও আবার আমার এক বন্ধুর বন্ধু ছিল। ছবির বিষয়ে দুজনের প্রথম দেখা কোথায় হয়েছিল? ধানমন্ডির ম্যাকডোনাল্ড চায়নিজ রেস্তোরাঁয় সোহান ভাইসহ অপেক্ষা করছি। এর মধ্যে দেখি ই-হক কোচিংয়ের ওই ছেলেটা। ও আমাকে দেখলে কী ভাববে, ভেবে আমি মুখ লুকাই। দেখলাম, ও আর সামনে এগোচ্ছে না। ও ভাবছে, আমি ওকে সন্দেহ করছি। আর আমি ভাবলাম, ও কারও সঙ্গে ডেট করতে আসছে। সোহান ভাইয়ের তো মাথায় টাক। একজন বয়স্ক লোকের সঙ্গে আমি কেন এখানে—এ প্রশ্ন সে মনে মনে ভাবতেই পারে। একটু পর সোহান ভাইকে বললাম, আপনার হিরো কই। এই ছেলেটা আপনার হিরো নাকি? ঘাড় ঘুরিয়ে বললেন, এই ইমন (হাসি)। কী সিকোয়েন্স! বাস্তব জীবনেই একটা চলচ্চিত্র। ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারটি কেমন ছিল? একটি পুরোনো সম্পর্ক সামনে চলে আসে। ইমন বলল, তুমি আরিফা (মৌসুমীর নাম), তোমাকে কত খুঁজছি। আমিও বললাম, আরে তোমাকে আমিও কত খুঁজছি। আমাদের দেখা হলো। অল্প কদিনেই আমাদের সম্পর্ক আবার আগের রূপ নেয়। আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কত ঘটনা ঘটেছে। কী সেই ঘটনা? ছবির শুটিংয়ে সময় রাতে কোনো প্রয়োজনে সোহান ভাই আমার বাসায় ফোন করলেও দেখতেন ব্যস্ত, ইমনের বাসার ফোনও ব্যস্ত। তাঁর সন্দেহ হলো। আবার যখন জানতে পারলেন, আমরা বন্ধু, তখন তিনি আরও সিরিয়াস হয়ে যান। আমাদের কথা আড়ি পেতে শুনতেন। বিষয়টি টের পেয়ে ইমনের মেজাজ খুব খারাপ হয়। সালমান শাহ মেজাজি ছিলেন? মেজাজ ছিল ঠিকই, তবে মনটা খুব ভালো ছিল। সে খুব খোলা মনের মানুষ ছিল। একদম সানির (মৌসুমীর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানি) মতোই। আমার ভাগ্যে এমন মানুষই থাকে। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির কোন গানটা এখনো গুন গুন করে গেয়ে ওঠেন। ‘এখন তো সময়, ভালোবাসার’ গানটা আনমনে প্রায়ই গেয়ে উঠি। অন্য গানগুলোও ভালো লাগে। প্রতিটি গানের সুর আকর্ষণীয় মনে হয়। এমনিতে গানের সঙ্গে কমবেশি যুক্ত ছিলাম। যেকোনো আড্ডার মধ্যে গান থাকত। ছবিটি এতটা সাড়া ফেলবে, ভেবেছিলেন? এটা যে প্রেমের আদর্শ গল্প হয়ে যাবে, এই জুটি যে প্রেমের আদর্শ জুটি হবে, প্রিয় জুটি হয়ে উঠবে ভাবিনি। মানুষ এত বড় স্বপ্ন মানুষ দেখতে পারে না। যখন পেছনে ফিরে তাকাই দেখা যায়, এই স্বপ্নটা যদি দেখতাম, তাহলে স্বপ্ন দেখেই মারা যেতাম। ২৫ বছর সমানতালে জনপ্রিয় থাকবে একটা ছবি, আমাকে ‘কেয়ামত কন্যা’ ডাকবে! এখনো সালমান মানে আমি, আমি মানে সালমান যে ভাববে, অথবা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির প্রতিটি গান প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম স্পর্শ করবে—এসব ভাবার মতো শক্তি আল্লাহ দেননি। এটা আল্লাহর দান। এটা মানুষ কখনো সৃষ্টি করতে পারে না। ২৫ বছর কেটে গেল। এই দীর্ঘ সময়ে কতটি ছবি করেছেন? দুই শতাধিক ছবিতে তো কাজ করেছি। কোন ছবিকে আলাদা করে রাখবেন? এখানে অনেক ব্যাপার কাজ করে। ভালো ছবি মানেই যে আর্ট ফিল্ম ঘরানার হতে হবে, তা নয়। কিছু ছবি আমাকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে, মানুষের মনের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। দেখা গেছে, এসব ছবি আমি কখনোই করতে চাইনি, কিন্তু দর্শকপ্রিয়তা ঠিকই পেয়েছে। তার মধ্যে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘খায়রুন সুন্দরী’, ‘লুটতরাজ’—এগুলো মাইলফলক। আমি হয়তো যেটা খুব পছন্দ নিয়ে করেছি, কিছু মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কিছু হিট আছে, সুপারহিট আছে, কিছু ফ্লপ হয়েছে—এসব অনেক ছবিই হয়তো আমার ভালো লেগেছে। এই দীর্ঘ অভিনয়জীবনে কোনো আকাঙ্ক্ষা আছে? আমি আসলে আকাঙ্ক্ষা কী থাকল, তা নিয়ে ভাবি না। এটা নিয়ে ভাবলে আফসোস বেশি হয়। যেটা পারিনি, সেটা নিয়ে ভাবতে চাই না। যা পেয়েছি, সেটা তো অনেকেই পায়নি। সালমানের পর আরও অনেকের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। কাকে সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য মনে করেছেন? একজনকে মনে হয়েছে, যাকে শেষ পর্যন্ত আমার জীবনসঙ্গী করেছি। একজন পুরুষ হিসেবে আজ পর্যন্ত তাঁর মধ্যে কোনো ঝামেলা পাইনি। আমার বন্ধু, সহকর্মী আর জুনিয়রদের মধ্যে অনেকে যারা এখনো বিয়ে করেনি, তারা যখন বলে, সানি ভাইয়ের মতো ছেলে পেলে বিয়ে করে ফেলব। এটা শুনলে আমার কান্না চলে আসে। স্বামী ও চিত্রনায়ক ওমর সানি ছাড়া কে সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য? আমার স্বামী ছাড়া যদি একজনের কথা বলি, তিনি মান্না ভাই। শুধু সহশিল্পী নন, একজন ভালো পরামর্শক ছিলেন। আপনার সহকর্মীদের অনেকের সংসার ভেঙে গেছে, সেখানে এখনো বাস্তব জীবনের আদর্শ জুটি হয়ে আছেন। সংসার টিকিয়ে রাখার মন্ত্র কী? মন্ত্রটন্ত্র কিছু নয়। সংসারের সুখ আসলে স্যাক্রিফাইস আর কম্প্রোমাইজের মধ্যে হয়। কেউ যদি হ্যাপি হতে চান, স্যাক্রিফাইস করে যান। আপনার স্যাক্রিফাইস দেখতে দেখতে একসময় আপনার সঙ্গীও স্যাক্রিফাইস করতে বাধ্য হবেন। এ ছাড়া দুজনের মধ্যে সম্মান থাকতে হবে। জীবনে অনেক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। অনেক সংবাদকর্মীর মুখোমুখি হয়েছেন। সামনে কখনো সাংবাদিকতা করার ইচ্ছে আছে? পত্রিকা নিয়ে বরাবরই আমার একটা আগ্রহ আছে। অনলাইনে এখন বেশি আগ্রহী। ভেবেছি, আমার পরবর্তী ক্যারিয়ার কী হতে পারে, খুব ভালোবাসার একটা জায়গা জুড়ে আছে সাংবাদিকতা। রাজনীতিতে তেমন আগ্রহ পাই না। ভেবেছি সাংবাদিকতা নিয়ে কিছু করব।
0 notes
Photo
নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় কেমন হলো! বাহ্, ভবনটা তো খুব সুন্দর? কিন্তু রাস্তার পাশে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা শোচনীয়। রাস্তাঘাট যেন চন্দ্রপিঠ, গগনচুম্বী ভবনগুলোতে গিয়ে পৌঁছানো সত্যি কঠিন। খানাখন্দ, ময়লা, গর্ত পেরিয়ে গাড়িগুলো চলতে পারছে না বা শম্বুকগতিতে চলছে। তবু বুধবার ১৬ আগস্ট ২০১৭ সকাল ১০টাতেই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ‘নির্বাচন ভবনে’ গিয়ে পৌঁছানো গেল। কমিশনের কর্মকর্তারা স্বাগত জানানোর জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। লিফটের পথ দেখিয়ে দিলেন। সভাকক্ষের সামনে টেলিভিশন সাংবাদিকেরা ক্যামেরা তাক করে রেখেছেন। দ্রুত সভাকক্ষে ঢোকা গেল। ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেই ফেললেন, ভবনটা তো চমৎকার, কিন্তু আসল কাজটা…আর বললেন না। মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী খানিক পরে বললেন, ‘সেদিন শাহরুখ খানের একটা সাক্ষাৎকার শুনছিলাম। বলিউড বাদশাহ বললেন, মনের সব কথা বলে ফেলতে নেই। যদি বলতেই হয়, স্নানের ঘরে গিয়ে আয়নার সামনে বলুন।’ আমরা এসেছি নির্বাচন কমিশনের দাওয়াত পেয়ে। নির্বাচন কমিশন জাতীয় পত্রপত্রিকার সাংবাদিক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে সুন্দরভাবে, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য তারা বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করছে। এর আগে তারা কথা বলেছে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনার এসে আসন গ্রহণ করলেন। শুরুতেই নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ভূমিকা পাঠ করলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সবাইকে স্বাগত জানালেন। আমাদের আরেক বন্ধু নঈম নিজাম সবচেয়ে স্মার্ট। বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সম্পাদক। নিউজ ২৪-এর সিইও। তিনি আগেই বলে রেখেছেন, তিনি ব্যস্ত, তাড়াতাড়ি চলে যেতে হবে তাঁকে, কাজেই সবার আগে তিনি বলবেন। নঈম নিজাম প্রথমেই বর্তমান কমিশনকে অভিনন্দন জানালেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালো হয়েছে। এরপর বললেন নির্বাচনী সীমানা সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে। তাঁদের এলাকা কুমিল্লায় একটা আসন কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী পর্য���্ত ৯০ কিলোমিটার লম্বা, এই ধরনের অসংগতি দূর করা প্রয়োজন। আলোচনা কোন অর্ডারে চলবে, একটা নিয়ম করা হলো। একধার থেকে প্রত্যেকে বলবেন, একবার এই পাশ, আরেকবার ওই পাশ থেকে। প্রত্যেকের সময় তিন মিনিট। মাহবুব কামাল আমার আরেক বড় ভাই। এখন যুগান্তর-এর সহকারী সম্পাদক। তিনি বলতে শুরু করলেন ইংরেজিতে। নানা ধরনের প্রবাদ-প্রবচন দিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেছেন। বলছেন, দুনিয়ায় কোনো কিছুই পারফেক্ট নয়। পুরো পারফেক্ট কেউ হতে পারবে না। পারসেপশন হলো আসল। নির্বাচন কমিশনকে জনমনে এই ধারণা দিতে হবে যে তারা ভালো নির্বাচন করতে চায়। আমরা নাঈমুল ইসলাম খানকে দায়িত্ব দিয়েছি তিন মিনিট পর সংকেত বাজানোর। সংকেত বেজে উঠতেই মাহবুব কামাল বললেন, আমাকে আগে থেকে সময় বেঁধে দিলে তো আমি তিন মিনিটেই শেষ করতাম। এখনো তো আসল কথা শুরুই করিনি। মাহবুব কামাল আসল বক্তব্য শুরু করলেন। সেনা নিয়োগের দরকার নেই। না-ভোট প্রবর্তন করতে হবে। কারণ, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো ভালো প্রার্থী দেওয়ার চাপ অনুভব করবে। প্রার্থী খারাপ হলে না-ভোট পড়বে, তাতে নাগরিকদের একটা মত নেতাদের জানান দেওয়া যাবে। ভালো নির্বাচনের চারটা বাধা। এক. খারাপ প্রার্থী, দুই. অতি উৎসাহী যুদ্ধংদেহী কর্মী-সমর্থক, তিন. প্রশাসনের দলীয়করণ, চার. ফল প্রকাশে কারচুপি। এই চারটা দূর করতে পারলে নির্বাচন ভালো হবে। কালের কণ্ঠর নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল দুটো স্পষ্ট ভালো প্রস্তাব পেশ করলেন। জোটের প্রার্থী হলেও তাঁকে দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। আর আইনে ও সংবিধানে কমিশনকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। দৈনিক যুগান্তর-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম বললেন, বিশ্বাসের জায়গা, আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে কমিশনকে। নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না, এই নিয়ম কি কেউ মানে? বিভুরঞ্জন সরকার খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। ভোটের আগে, ভোটের সময় ও ভোটের পরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। যে নির্বাচন ভালো হয়েছে মনে করা হয়, তখনো সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হয়েছে, যে নির্বাচন ভালো হয়নি, সেবারও সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হয়। তাঁরা ভোট দিলে আক্রান্ত হন, ভোট না দিলেও নির্যাতনের শিকার হন। শ্যামল দত্ত বলেন, আসল কাজ হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা। সব রাজনৈতিক দল, খোলাখুলি বললে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য সব দলের আস্থা অর্জন করতে হবে, বিএনপির আস্থা অর্জন করতে হবে। নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এ কথা মোটামুটি অনেকেই বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছেন সবাই। নির্বাচনের মাঠে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে কি থাকবে না, এই প্রশ্নে আলোচকেরা একমত ছিলেন না। কেউ বলেছেন, না, থাকা উচিত নয়। নির্বাচন, কমিশন—এসব সিভিল বিষয়, এতে সেনাবাহিনী আসবে কেন? কেউ বলেছেন, যেমন মতিউর রহমান চৌধুরী, আমাদের সেনাবাহিনী সারা পৃথিবীতে শান্তি রক্ষা করে, অন্য দেশে নির্বাচনে কর্তব্য পালন করে, বাংলাদেশে পারবে না কেন? মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, খেলার মাঠে আম্পায়ারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ম্যারাডোনাকেও লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে দরকার হলে লাল কার্ড দেখাতে হবে। যদি মাগুরার নির্বাচনটা তৎকালীন কমিশন বাতিল করে দিত, আজ ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো। ইত্তেফাক-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশিস সৈকত খুব একটা বাস্তব পরামর্শ দিয়েছেন ঋণখেলাপি বিষয়ে। বলেছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে সার্টিফিকেট এনে, আদালতের রায় এনে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়। এই বিষয়ে অন্তত ১৫ দিন আগে নিজেকে ঋণখেলাপি নন, প্রমাণ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা দরকার। যেমন সাংবাদিকদের প্রায় সবাই বলেছেন, রাজনীতি রাজনীতিকদের হাতে রাখুন। এই জন্য হলফনামা প্রকাশ করুন। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে প্রার্থিতা এবং সংসদ সদস্য পদ বাতিল করার বিধান রাখুন। সরকারি কর্মকর্তারা পদত্যাগ/অবসরের তিন বছরের মধ্যে প্রার্থী হতে পারবেন না, সেটা কঠোরভাবে মানবেনই, বরং এটাকে পাঁচ বছর করুন। বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক শেষের ব্যাপারটিতে জোর দেন। আর সংবাদ-এর মুনীরুজ্জামান জোর দিলেন হলফনামা অনলাইনে প্রকাশিত রাখার ওপরে। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ছিলেন একমাত্র নারী সাংবাদিক। তিনি বললেন, রাজনৈতিক দলগুলো যাতে বেশি করে নারীদের মনোনয়ন দেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। নাঈমুল ইসলাম খান রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের জন্য জেলা প্রশাসকের বাইরে দক্ষ ও নিরপেক্ষ কর্তাদের একটা বড় তালিকা প্রণয়ন করে সেখান থেকে ৬৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। আমানউল্লাহ কবীর জোর দেন আস্থা অর্জনের ওপর। নূরুল কবির জাতিগত সংখ্যালঘু আর ধর্মীয় সংখ্যালঘু উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। আর তিনি বলেন নিজেকে ভালোবাসার কথা, নিজের মর্যাদাকে ভালোবাসার কথা। এই কমিশন কি মর্যাদা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে চায়, নাকি চায় না। আইনে সব আছে, আত্মমর্যাদার সঙ্গে তা প্রয়োগ করতে পারতে হবে—নূরুল কবিরের মত। সোহরাব হাসান বলেন, নির্বাচনের সময় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম, বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার আর বাসসের ভূমিকা কী হবে? মাহফুজ উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বলেন, সামনে তিনি কোনো বিতর্কিত নির্বাচন চান না, তখন মানুষের মধ্যে একটা আগ্রহ ও আস্থার ভাব দেখা দেয়। বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বললেন, হলফনামায় সংবাদমাধ্যমের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি না-ভোটের বিপক্ষে, কারণ, এটা থাকলে ঘৃণা-বিদ্বেষের প্রচার বাড়বে। আর সেনাবাহিনী নিয়োগের ব্যাপারটা তিনি মনে করেন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার, তবে সিভিল আয়োজনে সামরিক বাহিনীর দূরে থাকাই কাম্য। আর ��িএফইউজের আরেক অংশের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ বললেন, যে সংবাদমাধ্যম এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেসবের ভাগ্যে কী হবে। প্রথমে ঠিক করে রেখেছিলাম, কিছুই বলব না। তবে একে একে প্রত্যেকের বলার পালা আসছে, আমারও এল, তাই যা বললাম বা বলতে চেয়েছিলাম তা হলো, আমরা এমন একটা নির্বাচন চাই, যাতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সবাই অংশ নেবে, আমরা নাগরিকেরা সবাই নির্ভয়ে উৎসবের মতো করে ভোট দিতে যাব। যাকে পছন্দ করি, তাকেই ভোট দেব। আমার সেই ভোট গণনার মধ্যে থাকবে এবং ভোটের ফলে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটাবে। তা করতে হলে আস্থা অর্জন করতে হবে। তার একটা লিটমাস টেস্ট হতে পারে সামনের সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো। প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ, ভোট দিয়েই আমরা সেই মালিকানা প্রতিষ্ঠা করি, ভোট না দিতে পারলে তো প্রজাতন্ত্রের মৌলিক প্রত্যয়ই প্রতিষ্ঠা পায় না। কেন আমি ভাবছিলাম, কিছুই বলব না। আসলে নির্বাচনটা হয় ভালো হবে, না হলে খারাপ হবে। যদি নির্বাচন ভালো হয়, তাহলে ‘না-ভোট’ আছে কি না, হলফনামা পুরোপুরি মানা হলো কি না, সীমানা দুই-চারটা আসনে আরও ভালো করা যেত কি না—এগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাবে; যদিও এগুলো বড় ফ্যাক্টর হবে না। আর যদি নির্বাচন খারাপ হয়, একপক্ষীয় হয়, ভোটারবিহীন হয়, তাহলে ‘না-ভোট’ ছিল কি না, পোস্টারের দুই রং মানা হয়েছিল কি না—এগুলো কোনোটাই তখন কোনো ব্যাপার হয়ে দেখা দেবে না। ভোট ভালো হবে কি হবে না, এটা আমাদের ওপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে বড় রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের সদিচ্ছার ওপর। তারা যখন তাদের চাওয়াকে পাওয়া বানানোর চেষ্টা করবে, তখন আমাদের মতো সংবাদকর্মীদের বক্তব্য খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে? তাহলে কি আমরা কথা বলব না? এইখানে আমি রবীন্দ্রনাথের জোনাকি নিয়ে রচিত গানটা স্মরণ করি। জোনাকি যতটুকুন সাধ্য আছে, তা দিয়েই আলো জ্বালে। সে সূর্য বা চাঁদের মতো নয়, তবু তো সে আলো জ্বালে। আমরা জানি, সূর্য উঠলে জোনাকির আলোর কোনো দামও ���েই, দরকারও নেই, তবু তার কাজ তাকে করে যেতেই হয়। আমরাও তা-ই করি। আমাদের কথা আমরা বলেই যাব। এখন অন্তত একটা প্রশ্নের জবাব দিই, যাতে এত দীর্ঘ লেখা পড়ার পর আপনার মনে না হয় যে কিছুই তো নেই। প্রশ্ন: নির্বাচনের সময় কি এগোতে পারে? উত্তর: কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী তা হ��য়ার কথা নয়। নির্বাচন ২০১৮-এর শেষে বা ২০১৯-এর শুরুতে হওয়ার কথা—এখনো পর্যন্ত। আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
0 notes