#মিডট্রাম
Explore tagged Tumblr posts
mshafat · 8 years ago
Text
১ মাস পর অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে ব্লগ লিখতে বসা
আজ বিইউবিটির প্রথম জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হল স্থায়ী ক্যাম্পাসে। যা ছিল চাকরি.কম এর সৌজন্যে। কিছু দিন আগে থেকেই এই ইভেন্টের সংবাদটি পাই স্যোসাল মিডিয়ার প্রচারের সৌজন্যে। তখন ঠিক করেছিলাম যে জব ফেয়ারে অংশগ্রহণ করব। অর্থাৎ নিজের সিভি নিয়ে অংশগ্রহণ করা যাকে বলে। সে জন্য নতুন করে সিভি বানানোও শুরু করে দিই কয়েক দিন আগে থেকে। এর আগেরটা স্ক্রাইবাস অপেন সোর্স সফটওয়্যার দিয়ে বানিয়েছিলাম। এবারেরটা বানানো শুরু করি পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে। সবুজের বুকে লালের কম্বিনেশনে নতুন সিভির কনসেপ্ট তৈরী করি। গতকাল রাতেও পরিপূর্ণ করার জন্য শেষবার হাত দেই। ১/দেড় ঘন্টা ধরে সেটা নিয়ে কাজ করে, শেষে কেন যেন মনে হল এর চাইতে আগেরটাই বরং ভাল ছিল। তাই আবার রাত ১২টার দিকে স্ক্রাইবাস ডাউনলোড করি। শেষ সেই সিভি আপডেট করেছিলাম ২০১৫ সালে। কিন্তু ২০১৭ পর্যন্ত আপডেট করতে বেশি সময় লাগলো না।  কয়েক মিনিটের মধ্যেই ২০১৭ পর্যন্ত হালনাগাদ দিয়ে দিলাম। সিভি নিয়ে কাজ করতে করতে মনটা এদিন বিষন্ন হয়ে গেল। বিশেষ করে যখন এচিভমেন্ট আর টেস্টিমোনিয়াল এর অংশটুকু আপডেট করছিলাম। শেষ তিন বছরে লিখার মত কোন এচিভমেন্ট খুজে পেলাম না যেটা চাকুরীর জন্য শেয়ার করা যায়। টেস্টিমোনিয়ালে শুধু একটা পরিবর্তন করতে পারলাম, প্রথম টেস্টিমোনিয়ালটি ছিল এস.এম.ফায়েজ স্যারের। সেটি ছিল আমার ইংরেজি প্রেজেন্টেশন ভাল লাগায় তার একটি প্রশংসাবাণী। সেটি বাদ দিয়ে যেটা দিলাম সেটাও একটা মার্কেটিং স্যারের। গত সেমিস্টারের মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট এর রাফিউল হক স্যার এই প্রশংসাবাণীটি আমাকে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি চিন্তা করে যেন মনটা আরও বিষন্ন হয়ে গেল! :( । বুঝলাম না আমার এই বছর কি হয়েছে। রেগুলার এমবিএর শেষ সেমিস্টার পা��� করছি। আর প্রত্যেক সপ্তাহে একের পর এক ক্লাস মিস দিচ্ছি। মাত্র ২ মাস পাড় হল। এবার হিসাব করে মিস দিচ্ছি না। খেয়ালের বশে মিস দিচ্ছি। তাও যতটুকু মনে হচ্ছে লিডারশীপ, ফিন্যান্স আর প্রডাকশন ম্যানেজম্যান্ট এর ৫টি করে ক্লাস মিস দিয়ে দিয়েছি। ইকোনোমিক্স এর ৩টি আর রিসার্চ এর ২/৩টি ক্লাস মিস দিয়েছি। এই অবস্থায় সামনের ৩মাস কিভাবে কাটাবো বুঝতে পাড়ছি না।
কিন্তু এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না! এবারের সেমিস্টার তো আমার পছন্দের সেমিস্টারের একটি হওয়া উচিত ছিল। কারণ এটাই এই ব্যাচের সাথে শেষ সেমিস্টার। আর এবারের সেমিস্টারে বিইউপির অনেকগুলো পরিবর্তন হয়েছে, যেগুলো আমার ভাল লেগেছিল। যেমন সকালে আর দরজা বন্ধ করার রীতি রইল না। ক্লাস টেস্টও ৬টা থেকে কমিয়ে করা হল ৪টা। পড়াশোনার চাপও তাই অনেক কমে গেছে। আমার সব সময় ফাইনালের থেকে মিডট্রাম ভাল হয়। আর বিইউপিতে মিডট্রামে এতদিন ছিল মাত্র ১২ মার্ক। আর এবার মিড এর মার্ক বাড়িয়ে করেছে ২০ মার্ক। আমার ক্লাস মিস হয় বেশি, কিন্তু ক্লাসেই ছিল ১০ মার্ক। এবার ক্লাসের মার্ক কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ৫। আর সকালে ১০:১৫ এর ক্লাস আমার সবচেয়ে পছন্দের সময়, না দুপুর, না ভোর সকালের। এবার দুই দিন ১০:১৫ তে ইকোনোমিক্স ক্লাস। কিন্তু তারপরও কেন ৩ দিন মিস দিয়ে দিলাম?
সব কিছু চিন্তা করে আসলেই আমি কাল রাতে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছিলাম। রাতে এত সময় নিয়ে সিভি তৈরি করি, আর সময়গুলোও কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ কাল লিডারশীপ এবং ফিন্যান্সের মিডট্রাম। আর লিডারশীপ এখনও পড়া শুরু করিনি। ক্লাসে কি পড়িয়েছেন সেটাও জানি না। ফিন্যান্স এর ৩য় চ্যাপ্টার পড়েছিলাম গত শনিবার। কারণ রবিবার ছিল ক্লাস টেস্ট। গত রবিবার প্রডাকশনেরও ক্লাস টেস্ট ছিল। কিন্তু আমি ঐ দিন ক্লাস মিস দেই!!! আমি বুঝতে পাড়ছি না আমার হয়েছে কি। এই সেমিস্টারে যেন পড়াশোনায় মনই উঠে গেছে। লিডারশীপ এর মত একটি সাবজেক্টও তাই পড়তে ইচ্ছা করে না। ইকোনোমিক্স কিছুটা পড়েছি কিন্তু সেটা স্যারের চাপ এ পড়ে। জানি না আমার ভাগ্যে এবার কি আছে। সিজিপিএ কোথায় গিয়ে পৌছায় শুধু এখন আল্লাহ তা’লাই সেটা ভাল জানেন।
বিষন্নতার প্রভাবটা আজ বরাবরের মতই ছিল। সকাল ১০:৩০ এ জব ফেয়ার। আমি সিভি বানিয়ে পেনড্রাইভে পর্যন্ত রেখে দিয়েছিলাম। আর চাকরী.কমের ওয়েব সাইটেও আবেদন করি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু আমি সারা দিন ঘুমিয়ে কাটাই। :( । মেলায় আর যাওয়া হয়নি। দেখা হয়নি বিইউবিটির প্রথম চাকুরী মেলা। অংশগ্রহণ তো দূরের কথা। চিন্তা করে এখন অদ্ভুত লাগছে সব কিছু। কেন এত সময় নিয়ে সিভি আপডেট করলাম, একটা নতুন সিভি বানানোর চেষ্টা করলাম? এভাবে আর কত দিন?
জীবনে একটা পরিবর্তন খুব জরুরী অনুভব করছি। আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর। অনেক বেশি ফোকাস থেকে কাজ করতে হবে। এরকম একেকদিন একেক রকম চিন্তা করলে চলবে না। এই ২০১৭ আমার জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমি খুব ভাল জানি। এই বছর শেষ হওয়ার আগে নিজের মধ্যে ইতিবাচক কিছু পরিবর্তন করতে হবে যা চিরজীবন আমার মধ্যে থেকে যাবে। আমি চাই ২০১৮ সালে যখন আবার নতুন করে সিভি বানাবো, তখন যেন এমন মনে না হয়, যে ২০১৭ তে তো লিখার মত কিছুই পাচ্ছি না। বরং এমন অনেক কিছুই যেন যোগ করতে পারি, যা ২০১৭ তেই আমি শিখেছি বা অর্জন করেছি। কত কিছু শেখারই তো ইচ্ছা ছিল, একটা ভাষা, এক্সেল, আফটার ইফেক্স। এভাবে কেন সময় নষ্ট করছি! আল্লাহ তো আমাকে কম দেননি কোন দিক দিয়েই। আমার তো পরিবার থেকেও কোন রকম কাজের চাপ নেই। এই সময় জানি আর কখনও পাব না। তাই আমাকে এখনই পরিবর্তন করতে হবে। আল্লাহ তুমি আমার সহায় হয়ো। আমি আর বিষন্নতায় ভুগতে চাই না। এটা আসলেই অসহনীয় একটি অবস্থা। জীবনে সব কিছু থেকেও হঠাৎ মনে হয় যেন কিছুই নেই!! আল্লাহ আমাকে বিষন্নতার/হতশার অবস্থা থেকে সবসময় রক্ষা করুন। আমীন।
(পি.এস: বিষন্নতার মধ্যে ব্লগ লিখতে বসে প্রথমেই যেটা দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম তা হল, গত ১ মাসে আমি ব্লগ লিখিনি কোন। আমার মনে হয় এটা আমার বিগত ৪/৫ বছরের ব্লগিং এর ইতিহাসে প্রথমবার ঘটল। ১/২টি হলেও প্রত্যেক মাসে কিছু ব্লগ লিখা হয়েছেই। কিন্তু এবার বিষন্নতা মনে হয় আমাকে ব্লগিং থেকেও এবসেন্ট করে দিল। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। শয়তান যেন আমাকে আমার কোন ভাল কাজ/গুণ থেকে দূরে রাখতে না পারে সে জন্য আমি আল্লাহর সদা আশ্রয় প্রার্থণা করছি। )
0 notes
mshafat · 8 years ago
Text
বাংলা নববর্ষ ১৪২৪
গতকাল এবং পরশু যেন অভূতপূর্ব কাটল। গতকাল লিডারশীপ ক্লাসেগিয়েছিলাম ব্যক্তিগত প্রেজেন্টেশনের প্রস্তুতি সহ। কিন্তু স্যার আমারটা নিলেন না। অন্য অনেকেরটা নেয়ার পর স্যার আমাদের গ্রুপকে বললেন টাইমলাইন প্রেজেন্টেশন টা করতে। আমি না দেয়ার জন্য সিসি কে রিকোয়েস্ট করেছিলাম। কিন্তু সিসি শুনলেন না। যুক্তি দেখিয়েছিলাম আমাদের গ্রুপের একজন নেই - হাসান ভাই। তারপরও দিতেই হল প্রেজেন্টেশন। আলহামদুলিল্লাহ সেই প্রেজেন্টেশনও গুছিয়ে দিতে পেরেছিলাম।
তার আগের দিন ইকোনোমিক্স ক্লাসে স্যার মিডট্রামের খাতা দিলেন। আর তাতে হায়েস্ট মার্ক পেয়েছিলাম ৪২ (৪৫ এর মধ্যে)। আমি ছাড়াও আরও কয়েকজনও পেয়েছিল। কিন্তু আমারটা আর শেষ পর্যন্ত হায়েস্ট থাকল না। কারণ যোগ করে দেখি ৪১ হবে নম্বর। স্যার আমার এই নম্বরে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন। খাতা দেয়ার আগে একেকজনের খাতা হাতে নিয়ে প্রথমে কোন খাতা কার দেখে নিলেন। আমারটা দেখার পর বললেন, “কি! মাঝে মাঝে ক্লাস না করলেও হয়!“ মেহেদী ভাই কে দেখে যেমন বললেন, “অস্থির”
যাই হোক, স্যারকে যখন নম্বর কমার বিষয়টি ধরিয়ে দিলাম স্যার তখনও মজা নিলেন। তিনি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন “কি? ছেলে ভাল তাই না? ...কিন্তু মাঝে মাঝে নাইটক্লাবে যায়।”
চরম লেগেছিল গায়ে কথাটা। তবে মজাও পেয়েছিলাম।
এই হচ্ছে চলতি সপ্তাহের চালচিত্র। আর আজ যখন ব্লগ লিখছি তখন শুধুই এই সপ্তাহের শেষ দিনে বসে লিখছি তা নয়। এই দিনটি আরও দুটি কারণে বিশেষ। আজ চৈত্র সংক্রান্তীর দিন। অর্থাৎ কাল বাংলা নববর্ষ ১৪২৪। আর এবারই প্রথম আমাদের এমবিএ ব্যাচ বৈশাখে স্টল দিচ্ছে পান্তা ইলিশের। তাতে সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও, একটা দায়িত্ব পড়েই গেল সর্বশেষে। ৮০টা বেগুন ভাজার দায়িত্ব। আর সেটা আম্মুর কাঁধে পড়ল। আম্মুর একার পক্ষে কঠিন হয়ে যাবে বলে মোহনার কাধেও পড়ল কিছুটা। কাল ভোর সকাল থেকে তারা এই রান্নায় ব্যস্ত থাকবে। আর আমাকে সেটা নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে সকাল ৭:৩০ এ। বিশাল চাপ। আজও অনেক চাপ গেছে আমার ক্লাসমেটদের উপর দিয়ে। আমি আজ ক্লাস মিস দেই। দিয়ে খুব গিল্ট ফিল করছি। কারণ ক্লাসে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাই নগণ্য মাত্র ১৯ জন এই ৩য় সেমিস্টারে। তাই এরকম একটা বড় কাজ করতে গেলে সবাইকেই খাটা লাগে। আর না খাটলে বাকিদের উপর দায়িত্ব বেশি পড়ে যায়। আমি সেটা অনুভব করেও আজ ক্লাস করতে পারিনি অন্য কারণে। সেটা লিখা সম্ভব না। কিন্তু আমি এই সমস্যা থেকে বেড় হতে উন্মুখ হয়ে আছি অনেকদিন যাবত। আল্লাহ সহায় হন। আজ এটা বার বার চিন্তা করে মনে একটা ডিপরেশন কাজ করছে। খুব বাজে রকমের ডিপরেশন। এর থেকে উত্তরণ দরকার। আল্লাহ ক্ষমা করুণ। কাল সকালের আবার নতুন প্রেরণা নিয়ে অংশগ্রহণ করব সহপাঠিদের সাথে। এই প্রত্যাশাই রাখছি আপাতত।
দ্বিতীয় যে কারণে আজ দিনটি বিশেষ তা হল, মিরপুর মসজিদের নতুন কায়েদের অনুমোদন। নতুন কায়েদ হিসেবে সদর মজলিস তানভীর আহমেদ তসলিম কে অনুমোদন দিয়েছে। তাকে মোবারকবাদ দিচ্ছি তাই এই দিনে। আল্লাহ তার সহায় হন, মিরপুরের সেই উজ্জ্বল সময়গুলো আল্লাহ তার নেতৃত্বে আবার ফিরিয়ে আনুক। আমাদের সবার আধ্যাত্মিক উন্নতি হোক নতুন বছর নতুন কায়েদের অধীনে। এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেষ করছি আজকের ব্লগ।
0 notes
mshafat · 7 years ago
Text
নিজের ভার্সিটিতে অন্য আমি
গত জুনের ৪ তারিখ পর্যন্ত যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবারই যখন রিক্সায় পুকুর পাড় দুটি পাড় করতাম, তখন সেই সৌন্দর্য আমাকে বার বার মুগ্ধ করতো। মনে একধরনের শান্তি সব সময় অনুভব করতাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময়। এর মাঝে কখনো প্রথম ক্লাসে হয়তো ক্লাস টেস্ট থাকত, কখনো প্রেজেন্টেশন থাকত, কখনো মিডট্রাম থাকত। এসবের চাপের মাঝেও কখনো হতাশার লেশমাত্র অনুবভ করেছি বলে কখনো মনে পড়েনা। তাই মনে পড়ে সেই শান্তির নীরে তরী ভেরানোর আগে কতবার নিজের মনের অজান্তেই পড়েছি: ওয়াকুর রাব্বি আদ খিলনী মুদখালা সিদকী, ওয়াখরিজনি মুখরাজা সিদকী, ওয়াজ আলনী মিল্লাদুন কাসুল তানান নাসিরা।
গত দুই মাসে সেই পরিস্থিতি দমকা হওয়াতে আমূল গেল। আজ সপ্তাহে একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেও কেমন একটা সংকোচ সব সময় মনে কাজ করে। কারণ আমার বিশ্বাবিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য এখন একটাই, আমার দাখিল করা আবেদনের হালনাগাদ নেয়া। জুলাই মাসে এ জন্য মাত্র দুদিনই গিয়েছি। তাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
১৯ জুলাই গিয়েছিলাম আবেদনের প্রায় ১ মাস ৫ দিন পর। চেয়ারম্যান স্যারের অফিসে দুরু দুরু বুকে প্রবেশ করে যখন জিজ্ঞেস করলাম স্যার আম�� একটা আবেদন করেছিলাম। স্যার প্রথম ঝটকায় কোন আবেদন সেটা স্মরণ করতেই ব্যর্থ হলেন। তখনই প্রথম অনুভব করলাম, যে আমি এখন আর আগের আমি নেই। যে আমার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন একটি ক্লাস থাকত। ভার্সিটিতে ঢোকার আগে মোবাইলের রুটিন অপেন করে দেখে নিতাম সেটা কোন ক্লাস। সে ক্লাসে প্রবেশ করতে কারও প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার কোন রকম চিন্তা কখনো মাথায় কাজ করেনি। কিন্তু এখন মিরপুর ১২ নম্বর থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপে আমার মনে হয় এই কেউ আমাকে প্রশ্ন করতে যাচ্ছে।
স্যার কে সেদিন কোন আবেদনের কথা বলছি বুঝিয়ে দেয়ার পর স্যার বলেছিলেন, তিনি ডিসিশন নিতে পারেননি। আমি স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন করলাম, কতদিন লাগতে পারে ডিসিশন নিতে। তিনি বললেন, ট্রাইম ফ্রেম দিতে পারছেন না ঠিক কত দিন লাগবে। এরপর স্যার বললেন, ডিন স্যারের সাথে বসে ডিসিশন নিতে হব��। উনার সাথে নাকি টাইমে মিলছে না। আমি তাই জিজ্ঞেস করলাম, আমি কি ডিন স্যারের সাথে কথা বলতে পারব? উনি বললেন, অবশ্যই পারবে।
কিন্তু যে বিশ্ববিদ্যালয় আর্মিদের নিয়ন্ত্রণে চলে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন স্যারের সাথে একজন ছাত্রের দেখা করতেও অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আমি তাই স্যারের পিএস এর কাছে বিষয়টা বললাম, বলেছিলাম, ডিন স্যারের সাথে পারসোনাল একটি বিষয়ে কথা আছে। হাতে আমার চেয়ারম্যান বরাবর সাবমিট করা আবেদনের আরেকটি কপি ছিল। কামাল স্যার বললেন, ডিস স্যার তো পারসোনাল ব্যাপার বুঝবেন না। আমি তখন বললাম, পারসোনাল হলেও ব্যাপারটা একাডেমিক। উনি বললেন, ঠিক আছে ঘটনাটা কি, তখন বললাম পুরো ঘটনা। তিনি শুনে বললেন, এটাতো চেয়ারম্যান স্যার নিজেই ডিসিশন নিতে পারেন। আমি বললাম, উনি তো নিতে পারছেন না। আগের চেয়ার‍ম্যান জিয়া স্যার তো কতজনকে দিল। উনি একথা শুনে বললেন, ঠিক আছে রেফারেন্স দিতে হবে না। আজকে তো সময় একদম শেষ দিকে। তুমি কাল আস সকাল সকাল, স্যারের সাথে দেখা করার জন্য।
আমি ২০ জুলাই আবার আসি ৯টার কিছু আগে। কামাল স্যার বললেন, তিনি চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলেছেন। চেয়ারম্যান স্যারের কাছে নাকি আরও আবেদন জমা রয়েছে। আমি বললাম, স্যার আবেদন জমা থাকলে সেটা ২০১৭ ব্যাচের। আমার ব্যাচের আবেদন একটাই যেটা আমার। উনি বললেন, যাই হোক, আমাদের তো সবাইকে একবারেই দেখতে হয়। আপাতত সিস্টেমেটিক আগাক। আমি মেনে নিয়ে চলে আসলাম। কামাল স্যারের কাছেও একটা আবেদন জমা রাখলাম।
এরপর ২ সপ্তাহ পাড় হয়ে গেল। গত সপ্তাহে আবার গিয়েছিলাম, সম্ভবত ১ তারিখ। সেদিন গিয়ে কোন স্যারকেই পেলাম না। যাওয়ার সময় ১২ নম্বর থেকে রিক্সায় আতিক ভাইকে পেয়ে সাথে নিয়ে গেলাম। দোতলায় উঠার আগে সিড়ির কাছে মাইদুল ভাইকে দেখলাম প্রায় ২ মাস পর। তিনিও খবর জানতে চাইলেন। সংক্ষেপে বললাম, খবর নেই আপাতত, থাকলে বলব।
ঐদিন বিইউপি তে যাওয়াটাই ��ৃথা ছিল। কামাল স্যারকেও পেলাম না, ডিন স্যারকেও পেলাম না। ১ ঘন্টার মত বসে ছিলাম মসজিদের সামনে বেছানো লম্বা টুল টাতে। আমি যে আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নই, তখন সেটা আরও বেশি করে অনুভব করলাম। গরম লাগছিল প্রচুর, আর ঘামছিলাম ঐ টুলটাতে বসে। তাই সেখান থেকে সরে গিয়ে বসলাম নর্থ পোর্চের টুলটাতে। ভেতরে ক্লাস ছিল না, তাই ক্লাসের ভেতরের এসির বাতার আসছিল বাতায়ন বেয়ে। তাতে গরম টা কাটছিল। একবার মনে হয়েছিলা ক্লাস যেহেতু হচ্ছে না ক্লাসের ভেতরেই তো বসা যায়। তখন নানা রকম চিন্তা কাজ করল। যদি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা আসা শুরু করে বসা মাত্রই। আবার রুম বয় যদি জিজ্ঞেস করে, ক্লাস নেই এখানে কি করছি একা। কত কিছুই তো হতে পারে। কিছুক্ষণ তাই টুলটাতেই বসে থেকে আবার মসজিদের সামনের টুলে গিয়ে বসলাম। তার আগে ডিন স্যারের অফিস পর্যন্ত ঘুরে দেখে আসলাম। নাহ, তিনি আসেননি, কামাল স্যারও আসেননি। চেয়ারম্যান স্যারও সম্ভবতও নেই। এতক্ষণ যে বসে আছি, এর মধ্যে চেয়ারম্যান স্যারের রুমে কাউকে ঢুকতেও দেখিনি, বেড় হতেও দেখিনি। আর কেন জানি তার সাথে কথা বলতে আমার ইচ্ছাও করছিল না। যে স্যার একজন সিনিয়র ব্যাচের ছাত্রের আবেদনের উত্তর এভাবে দেন, “ডিসিশন কবে নিতে পারবো তার টাইমফ্রেম দিতে পারব না।” সেই স্যারের সামনে গিয়ে আবার আবেদনের অবস্থার হালনাগাদ জিজ্ঞেস করার কোন মানে আমি দেখি না।
সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ইউনিভার্সিটি আমার থেকে তত দূরে সরে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর যত নিকটবর্তী হচ্ছে ততটা নিশ্চিত হচ্ছি যে, ড্রপআউট হতে যাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তবে যাই হোক, আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন মেনে নিয়ে শেষ করছি।
0 notes
mshafat · 8 years ago
Text
মিডট্রাম শুরু
গতকাল শুক্রবার থেকে ২য় সেমিস্টারের মিডট্রাম শুরু হল। এই দ্বিতীয় সেমিস্টারটা অদ্ভুত। প্রথম সেমিস্টারের আর্মিসুলভ কড়াকড়ির খোলস ছেড়ে হঠাৎই যেন বেড় হল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি। এর মধ্যে গত মাসে এক সপ্তাহ এমনও গেল যে পর পর দুই দিন  দুটো কোর্সের ক্লাসই হল না। আমরা ক্লাসে উপস্থিত হয়ে বসে রইলাম। কিন্তু ২৫ জুলাই দুপুর ১২টার প্রথম ক্লাসে লিগাল এনভাইরনমেন্ট অব বিজনেস এর ম্যাম ড. সিমা জামান আসলেন না। পরের দিন মঙ্গলবার ভোরে ৮:৩০ এর ক্লাসে একই অবস্থা, এবার ল ম্যাডাম না, স্ট্যাট স্যার ড. সালাহউদ্দীন। ম্যাম আসতে পারেননি কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রোগ্রামে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করতে হয়েছিল। আর স্যার আসেননি নিতান্তই ঘুম থেকে উঠতে পারেননি বলে। ঐ সপ্তাহের বৃহ:ষ্পতিবারের একটা মাত্র ক্লাসের জন্য বিইউপিতে গেলাম আমরা সবাই। অমা ঐ ক্লাসও পোস্টপন করে দিল অথরিটি, কারণ ছিল এফবিএসের ইন্ট্রা ডিপার্টমেন্ট ফুটবলের ফাইনাল। এভাবেই ঈদের পরের প্রথম এক মাস পাবলিক পাবলিক ফিলিং এ কাটল। এই ফিলিং এর মধ্যে আমিও কিছুটা পাবলিক ইউনিভের ছাত্র হয়ে গেলাম কিনা, সুমাইয়া ম্যাম এর টানা দুটি ক্লাস মিস দিলাম আগস্ট মাসে, এরপর একটি ক্লাস করলাম, তারপরের ক্লাস ম্যামও মিস দিলেন অসুস্থতার কারণে। এরপর গত বুধবার, ম্যাম যেদিন সুস্থ হয়ে আসলেন...
ততদিনে বিইউপিও যেন অসুস্থতা থেকে ফিরে আবার ঠিক আগের পজিশনে চলে এল। আমার মোবাইলের ক্যালেন্ডারে ততদিনে সবগুলো কোর্সেরই মিড এর তারিখ সেভ করা হয়ে গেছে। আর মাথায় আগামী সপ্তাহের মার্কেটিং গ্রুপ কেস স্টাডির প্রেজেন্টেশন। তাই আবার শুরু রাত্রি জাগরণ.... আরেকটি সুমাইয়া ম্যামের ক্লাস মিস হল, বুধবার ১২টার দ্বিতীয় ক্লাস মার্কেটিং ও মিস দিয়েছিল���ম। এভাবেই চলতে চলতে আসল শুক্রবার....প্রথম মিডট্রাম - একাউন্টিং ফর ম্যানেজার। আল্লাহর রহমতে খুব ভাল হল। ৪টি প্রশ্ন দিয়ে উত্তর করতে বলা হল যেকোন ৩টির। এর মধ্যে শুধু প্রথম প্রশ্নটি মেহেদী ভাই এর বর্ণনায় “পিউর থিউরী” মানে ওটার সবগুলো সাবপ্রশ্নই থিউরী। বাকি ৩টি প্রশ্নের তিনটিই ম্যাথ। সেই বিশাল বড় বড় সব ম্যাথ, ডক্টর ম্যাজর স্যার সময় দিল মাত্র ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট এই বিশাল প্রশ্নের উত্তরের জন্য। অনেকেই ঠিক মত উত্তর করতে পারল না। পারলেন না ৪.০০ আউট অব ৪.০০ রাশেদ ভাইও, ৩ মার্ক ছেড়ে দিলেন তিনি। পরীক্ষা শেষে দেখলাম আরেক ৪.০০ আউট অব ৪.০০ রেহনুমা আপুরও মন খারাপ, স্যারের সামনেই বললেন পরীক্ষা ভাল হয়নি।  আমি টি ছকে লেজার করেছিলাম, আর বলা বাহুল্য ভাগ্যটাই সুপ্রসন্ন ছিল, আমার উল্টো সময় বেঁচে গেল, ১০ মিনিট। এই ১০ মিনিটে খাতা জমা দিয়ে দেয়ার জন্য মনের তীব্র  তাড়ণা কোন মতে দমন করে রিভিশন দিতে লাগলাম। ফরমেটিং ঠিক করতে লাগলাম। একটি জার্নাল এন্ট্রিতে ভুল ও ধরে ফেললাম। সেটার রিআ্যাকশন লেজারের দুই জায়গায় এবং ট্রায়াল ব্যালেন্সের দুই জায়গায় গিয়ে শুধরালাম। ১০ মিনিট এভাবেই কাটালাম। আল্লাহর অশেষ কৃতজ্ঞতা পরীক্ষা ভাল হওয়ার জন্য। মনে হচ্ছে সবগুলো অংকই হবে। আল্লাহ করুন, তাই যেন হয়। 
(ব্লগ লেখা শেষ করে কম্পিউটার অফ করে চলে গিয়েছিলাম ঘুমানোর জন্য। হঠাৎ একটি বিষয় খেয়াল হল। আমার জানা ছিল বিষয়টি কিন্তু কোন দিন এভাবে চিন্তা করিনি। আজ আমার পরীক্ষা ভাল হল কেন? বিগত অনেক বছর ধরেই যতবারই পরীক্ষা ভাল হয়েছে সবসময় শুধু একটি কারণই মনে হয়েছে, কারণ আল্লাহর রহমতে আমি মসজিদের কাজগুলো মোটামোটি গুরুত্বের সাথে করার চেষ্টা করি, কতটুকু ভাল হয় বলতে পারি না। এটাও জানতাম আমার বিবিএ তে শুধুমাত্র একাউন্টিং এর কোন বিষয়েই এ+ মিস হয়নি। অন্য সব কোর সাবজেক্টের কোন না কোনটাতে মিস হয়েছে এ+। একাউন্টিং এর ৩টি কোর্সের ৩টিতেই এ+ পাই। এবং এর মধ্যে ২টিতে মিডট্রামে এ যে ক্লাসে হায়েস্ট পেয়েছিলাম সেটাও খুব মনে আছে, ব্লগেও হয়তো লেখা আছে। গতকাল পরীক্ষা দেয়ার আগে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখনও এই কনফিডেন্স মনে কাজ করছিল যে একাউন্টিং এ আল্লাহর রহমতে কখনো এ+ মিস করিনি। ধর্মীয় কাজ যে এর জন্য দায়ী এটা তো স্পষ্টই ফিল করি। কিন্তু আজ ফিল করলাম কোন ধর্মীয় কাজের জন্য এরকম হচ্ছে বিগত ৪/৫ বছর ধরে। বিগত ৪/৫ বছর ধরেই আমি নাযেম মাল। আল্লাহ কি তার বায়তুল মালের হিসাব রক্ষককে হিসাব বিজ্ঞানে খারাপ ফল করতে দেখতে পারেন? :’) এ জন্যই হয়তো তুলনামূলক খুব কম প্রস্তুতি নিয়েই দুজন ৪.০০ আউট অব ৪.০০ এর চাইতে আজ আমার পরীক্ষা ভাল হয়েছে। সাথে সাথে আরেকটি বিষয়ও ক্লিয়ার হয়ে গেল। ��ার্কেটিং এর স্যার একটি কেস স্টাডি রিসার্চ করতে দিয়েছিলেন। এটার গ্রুপ প্রেজেন্টেশন সামনের বুধবার। আমি আমার গ্রুপের লিডার। প্রথম কেস বানানোর কাজ, তারপর এনালাইসিস এবং প্রশ্নোত্তর আলোচনা, এগুলো শেষ হলে এসাইনমেন্ট কম্প্লিট তারপর প্রেজেন্টেশন স্লাইড বানানো। কেস বানানোর দায়িত্ব আমারই ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে আমার সোমবার ছুটির দিন গিয়েছে এমটিএ তে, এরপর সোম ও মঙ্গলবার কম্পিউটারে বসে বেশিরভাগ সময় গিয়েছে এমটিএর ২টি এপিসোড রিসার্চ করতে করতে। এরপর বুধবার দিন রাতে সময় পেলাম কেস স্টাডির রিসার্চ সমাপ্ত করতে। আল্লাহর রহমতে ভোর নাগাদ খুব সুন্দর দুই পৃষ্ঠার একটি কেস স্টাডি লিখতে পারলাম অনেক ব্রেইনস্টর্মিং করে। এখন তো একই প্রশ্ন এটার জন্য প্রযোজ্য মনে হচ্ছে, আল্লাহ কি তার টেলিভিশনের রিসার্চ এসিসটেন্ট কে তার ব্যক্তিগত রিসার্চের ডেডলাইন মিট করতে ব্যর্থ হতে দেখতে পারেন? :’)। এগুলো শুধুই মহান আল্লাহ তা’লার আত্মাভিমান, এর সাথে এই দুর্বল ছাত্রের প্রস্তুতির সম্পর্ক খুবই সীমিত। আল্লাহ তুমি অতি উচ্চ, অতি মহান। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।
পি:এস: আরেকটা জিনিস মনে পড়ল, গতকাল যখন ক্যাম্পাসে বসে থিউরী পড়ছিলাম, তখন রাশেদ ভাই বলল, তুমি থিউরী দিবে!!! পরে জানলাম থিউরী দিবে একটা সম্পূর্ণ আলাদা প্রশ্ন। বাকি ৩টা ম্যাথ দিবে। তাই থিউরী না পড়লেও ম্যাথ উত্তর করা যাবে। আর ম্যাথ উত্তর করাই ভাল। ম্যাথ উত্তর করা ভাল, সেটা আমিও জানি, কিন্তু এভাবে যে প্রশ্ন করবে জানা ছিল না। সাধারণত প্রতিটা ম্যাথের সাথে কিছু থিউরী যোগ করে দেয় দেখেছি। এটা লিখে রাখলাম, কারণ তাতে ইতিহাস স্বাক্ষী রইল, এই ছিল আমার প্রস্তুতি, পরীক্ষার কয়েক মিনিট আগে প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে যে ছাত্র পরিস্কার ধারণা পায়। আমি সেই একাউন্টিং এর ছাত্র।
“Success seems to be largely a matter of hanging on after others have let go” -William Feather
আমি যে কারণে কৃতজ্ঞ...
১। প্রথম মিডট্রাম পরীক্ষা ভাল হওয়ার জন্য।
২। গতকাল মসজিদেও গিয়েছিলাম, যদিও নামায পড়তে পাড়িনি। পরীক্ষার সময় ছিল বিকাল ৪টা, স্যার সবাইকে থাকতে বললেন ৩:৩০ এ। তিনি আসলেন ৪:৩০ এ। ৩:৩০ সময় দেয়ার কারণে রিক্স নিলাম না। প্রাথমিকভাবে ইচ্ছা ছিল ৪:০০টায় হলে জুম্মা করেই রওনা দিব। কিন্তু তারপরও কেন মসজিদে গিয়েছিলাম? গিয়েছিলাম ওয়াকফে নও এর একটা জামাতি সার্কুলার আমার কাছে ছিল যেটা এলানের সময় যাতে পড়ে সেটা নিশ্চিত করতেই গিয়েছিলাম। তার আগের দিন বৃহ:ষ্পতিবার খোদ্দামুল আহমদীয়ার মিটিং ছিল, সেটাতেও এটেন্ড করি রাত ৮:৩০ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মসজিদে থাকি স্বভাবতই ১১:০০টা পর্যন্ত। এর মধ্যে ওয়াকফে নও দের সার্কুলারের কপিএলান আছে টি আমেলা মিটিং এ উপস্থিত তিনজন ওয়াকফে নও কে পড়াই। আর এর এক কপি লাজনাদের ওয়াকফে নও সেক্রেটারিকে দেয়ার জন্য ওস্তাদজির বাসায় পৌছাই মাজেদ ভাই কে দিয়ে। ইচ্ছা ছিল লাজনার ওয়াকফে নও সেক্রেটারিকে বলার যাতে তাদের ইজতেমাতে, যেটা শুক্রবার থেকেই শুরু হচ্ছে, ওয়াকফে নওদের উদ্দেশ্যে সেটা পড়ে শোনানো হয়। আজ আম্মু রাতে বাসায় এসে বললেন, “সব গার্জিয়ানের সহ যেতে বলেছে” তিনি অনেক গুরুত্ব দিয়ে বললেন কথটা। আমি মনে মনে শান্তি পেলাম, যাক শেষ পর্যন্ত যেভাবে বিষয়টিকে কল্পনা করেছিলাম ঠিক সেভাবেই হয়েছে। সকল প্রশংসা অবশ্যই আল্লাহ। আমি তো একবারও ফোন/এসএমএস দিয়েও চিঠিটি লাজনার সেক্রেটারির কাছে পৌছাল কিনা নিশ্চিত করতে পারিনি। কিন্তু মনে মনে সত্যিই সেই আগ্রহ বোধ করছিলাম। আসলেতো  আমি লাজনার সেক্রেটারির নাম কি সেটাই জানি না। ফোন নম্বরও নেই। ওস্তাদজিকেই হয়তো আমি চিঠিটা দিতাম। কিন্তু মাজেদ ভাই তখন বললেন, তার ওস্তাদজির ওয়াইফের সাথে কথা আছে, তাই তাকেই চিঠিটা দিয়ে বললাম যাতে ওস্তাদজির বউকেউ দিয়ে দেয় এবং বলে দেয় লাজনাদের ওয়াকফেনও সেক্রেটারিকে দিতে। তিনি এটা নিয়ে বাসার ভেতরে চলে গেলেন। আমি খোদ্দাম অফিসে ফিরে যাই। গিয়ে মনে হয়, আরেকটু বলতে তো ভুলে গেছি, বলার ইচ্ছা ছিল যাতে সেক্রেটারি সাহেবাকে বলেন সার্কুলারটা ইজতেমার মধ্যে পড়ে শোনান। একারণে যদিও সেভাবে নিগরাণী করতে পারিনি, কিন্তু মনে মনে একটা আগ্রহ ছিল আসলেই কি হয়েছে জানার জন্য, আদৌ কি ওয়াকফে নও সেক্রেটারি সার্কুলারটি পেয়েছেন? সর্বশ্রোতা যেন আমার এই ইচ্ছাটা শুনতে পেয়েছিলেন, তাই যখন আম্মুর কাছ থেকে যখন কনফারমেশণ পেলাম, তখন আসলেই আল্লাহর কৃতজ্ঞতার ছাড়া কিছুই বাকি থাকেনা বলার।
আজকের দিনটি অসাধারণ হবে যদি...
১। প্রথমত আগামীকাল রবিবার মার্কেটিং এর মিডট্রাম। সেটার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে হবে। সেটা নিতে পারলে অসারধারণই হবে বলা যায় দিনটি।
২। মাল সাহেব এই বুধবার ফোন দিলেন। প্রথমত চেক দিতে বললেন। দ্বিতীয়ত পরবর্তী বছরের বাজেট দিতে বললেন। চেক দিতে একটু দেড়ি হবে। কারণ সাইন এখনও চেঞ্জ করতে পারিনি। ইনশাআল্লাহ এই সপ্তাহে সেটা হয়ে যাবে আশা করি। ইচ্ছা আছে রবিবার দিনই মিডট্রামটা দিয়ে ব্যাংকে গিয়ে জমা দিব। তাই কাল প্রথমে মসজিদে গিয়ে ফাইলটা রেডি করতে হবে। আর দ্বিতীয়ত বাজেট এর জন্য ফোন দিতে হবে। এই দুটির একটি করতে পারলে আল্লাহর রহমতে আজকের দিনটি সফল।
প্রতিদিনের দৃঢ়বচন / দৃঢ় ঘোষণা। আমি...
উপরের কোটেশনটা পছন্দ হয়েছে ��াই তার সাথে তাল মিলিয়ে ঘোষণা করতে চাই:
আমি হাল ছাড়ছি না। ৫টি (স্বায়ত্বশাসিত*) ধর্মীয় দায়িত্ব (একটি ছাড়ার আবেদন করা হয়েছে, ক��ন্তু যতদিন হুযূরের অনুমোদন না আসছে তাই লিখতে সমস্যা কি?) এবং সাথে বিইউপির মত পাবলিক নামধারি ঘাতক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, সুমাইয়া ম্যামের মত প্রেজেন্টেশন ফ্রিক, আর ড. রাফির মত ডিসরাপটিভ টিচার, যাই থাকুক, আমি হাল ছাড়ছি না। আল্লাহ থাকুন সহায়। 
*স্বায়ত্বশাসিত শব্দটা একারণে ব্যবহার করলাম, কারণ এমটিএ তার নিজস্ব গতিতে চলে, মিরপুরে মাল বিভাগের দায়িত্ব সম্পূর্ণ একটি এডমিনিসট্রিটিভ পদ, যার সাথে এমটিএর ক্রিয়েটিভ পদ রিসার্চের কোন মিল নেই। খোদ্দামুল আহমদীয়ায় অন্য আরেকটি পদ নায়েব কায়েদ। সেটা একটি লিডারশিপ পদ। এর সাথে পূর্বে উল্লেখিত দুটির কাজের কোন মিল নেই। জামাতের সেক্রেটারির পদ আরেকটি স্বায়ত্বশাসিত সংগঠনের পদ। জামাতের প্রোগ্রাম কখনও মজলিসের প্রোগ্রামের সাথে মিলিয়ে রাখে না। এতগুলো ডিসজয়েন্ট (এই একটু আগে স্ট্যাটিসটিক থেকে এই শব্দটা শিখলাম) পদ একসাথে হলে যা হয় তার উদাহরণ, আগামী সপ্তাহে বৃহ:ষ্পতি শুক্রবার ৬ষ্ঠ জেলা ইজতেমা মিরপুরে, যেটার জন্য খোদ্দামের মাল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ১০হাজার টাকা তুলে দেয়া মিরপুর থেকে। এছাড়া মিরপুর হোস্ট বিধায় দায়িত্ব নিতে না চাইলেও মিরপুরের নায়েব কায়েদের ঘাড়ে দায়িত্ব এসে যায়। এবার সেটা ইজতেমার কো-চেয়ারম্যান এর। ইজতেমা হবে এই ২৫ ও ২৬ আগস্ট যথাক্রমে বৃহ: ও শুক্রবার। গত  সপ্তাহে (১৫ আগস্ট) এমটিএ এর এইচআর এসএমএস দিলেন ২৫ আগস্ট এমটিএর এনুয়াল পিকনিক। তার আগের সপ্তাহে বৃহ:ষ্পতিবার ন্যাশনাল ওয়াকফে নও সেক্রেটারি সাহেব ফোন দিলে জানালেন আগামী ২৭ আগস্ট ৩য় ন্যাশনাল ওয়াকফেনও সম্মেলন। এছাড়া গত বৃহ:ষ্পতিবার এমটিএর প্রডিউসার নাসের ভাই এসএমএস দিলেন দ্বীনি ও ফিকিহি মাসায়েল এর ২৪ পর্ব পর্যন্ত প্রোডাকশন শেষ। আমি সেই প্রোগ্রামের একজন রিসার্চ এসিসটেন্ট। আমি দেখেছি ২২ পর্যন্ত। এসএমএস এ লিখেছেন যত দ্রুত সম্ভব যাতে বাকিগুলো করে দেই। গতকাল মসজিদে যাওয়ার সময় তিনি ফোন দিয়ে জানালেন, কেন আরজেন্ট দরকার কাজ করার। কারণ তিনি পরবর্তী মাসের এপিসডগুলো এই মাসেই করে ফেলবেন, কারণ পরের মাস কুরবানীর মাস। তাই সব প্যারা এই মাসেই। এছাড়াও মাল বিভাগের আরও অনেক দায়িত্ব আছে যেটা আমি লিখতে পাড়লাম না (উপরে কয়েকটি লিখা হয়েছে।) আমি লিখতে পাড়লাম না এই সপ্তাহে প্রতিটি দশোর্ধ ছেলে ওয়াকফে নওদের ওয়াকফে নও সম্মেলনে যোগদানের জন্য ফোন করার ইচ্ছার কথা, সেই ইচ্ছা পূরণের আগে ছিন্নবিচ্ছিন্ন ফাইলগুলো নিয়ে যে কি পরিশ্রমটি করতে হবে চিন্তা করতে পা���ছি না বলে। লিখতে থাকলে শেষ করতে পারব না। বিইউপির কথা বলে শেষ করি, তৃতীয় মিডট্রাম মার্কেটিং সেটা হবে ২৮ আগস্ট। .....২৫, ২৬, ২৭, ২৮......।
আজ যে তিনটি বিশেষ ঘটনা ঘটেছে
১। পরীক্ষার পড়া পড়েছিলাম বিইউপি তে বসে ৩টা থেকে রাত ৮:১৫ পর্যন্ত। নতুন অভিজ্ঞতা।
২। পরের দিন মার্কেটিং মিডট্রামও ভালই হয়েছে। স্যার কেস স্টাডি দিয়েছিলেন ৩টি মিডট্রামের প্রশ্ন হিসেবে। একেক জন একেকভাবে পরীক্ষার উত্তর লিখেছে। জানি না কয়টা হবে। তবে মনে হচ্ছে ভালই হয়েছে।
৩। কিন্তু সুমাইয়া ম্যাম বাধালেন ঝামেলা। ক্লাসে ঐদিন তার লেকচারের পর ৩ জনের সিডিউল প্রেজেন্টেশন ছিল। শেষের প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন সনি ভাই। সেরকম লাগছিল তাকে দেখতে সেদিন। প্রেজিতে তিনি যে প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন ম্যাম এর দৃষ্টিতে সেটা সেরকম হয়নি। তিনি প্রেজেন্টেশন শেষ করলেন ক্লাসও শেষ। ম্যাম বললেন, এই কেস স্টাডির প্রেজেন্টেশন অন্য আরেকজন করবে পরবর্তী ক্লাসে। ম্যাম এর দিকে সবাই ঘুরে তাকিয়েছিল কিনা জানি না। আমি তাকালাম, আর তিনি বললেন, “মুনাদিল করবে”। হতবাক হয়ে গেলাম মুহুর্তে। সবাই খুব খুশি হয়ে গেল। ক্লাস শেষ তাই উঠে চলে যেতে লাগল। কিছুই করার ছিল না, না করেছিলাম বসে থেকেই কিন্তু গলায় সেরকম জোড় পেলাম না, তাই ম্যাম পর্যন্ত সেই আওয়াজ পৌছাল না।
কিভাবে আজকের দিনটিকে আরও সুন্দর করা যেত?
রাতে বেশি দেড়ি হয়ে গিয়েছিল আতিক ভাই এর সাথে গ্রুপস্টাডি শেষ করতে। মসজিদে যাওয়ারও পরিকল্পনাটা তাই বাস্তবায়ন করা গেল না। ঐদিন ৬ষ্ঠ জেলা ইজতেমার কমিটির মিটিংও ছিল যাতে আমার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব (সেভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি) এবার কো-চেয়ারম্যানের। আমাকে জানানো হয়নি মিটিং এর কথা, তাই ৭টার সময় ফোন এসেছিল। কি আর করা! ভাগ্য কখনো কখনো এমনই।
0 notes
mshafat · 12 years ago
Text
শুরা নির্বাচন, মিডট্রাম
গত শুক্রবার ১৩ জুলাই, মিরপুর মসজিদে শুরা প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে একটি কাকতালীয় ঘটনা ঘটে। তবে তার আগের একটি ঘটনা দিয়ে শুরু করছি।
প্রতিটি মানুষের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু অনেক সময়ই আমরা ভাল কিছু চিন্তা করলেও সেটা কার্যে বাস্তবায়িত করতে পারি না, কিংবা বাস্তবায়নে অহেতুক অনাগ্রহ দেখাই। কিন্তু সেই ভাল চিন্তা বাস্তবায়ন করার মধ্যে যে কি আনন্দ, সেটা না করলে বোঝা সম্ভব নয়।
শুক্রবার দিন এক আতফাল আসল চাঁদা দিতে। নাম ফরাজ(বন্ধন), বলল টিফিনের টাকা জমিয়ে সে চাঁদার টাকা জমিয়েছে। টাকা দিল ৬৭ । কিন্তু আতফাল চাঁদার পরিমাণ ৪৪ টাকা। আর আতফালদের এখন ব্যাংক স্কিম নাই, তাই ব্যাংক খাতে টাকা তোলা যাবে না। আর কোন খাতও নেই যেখানে টাকা কাটবো। গত বছরের হিসাব দেখলাম ছেলেটার, সেখানেও মূল খাতে বেশি টাকা পে করা। তবে একটি কাজ করা যায়, ৪৪ টাকা কাটার পর বাকি ২৩ টাকা সুমন ভাই এর ঐখানে তাহরিকে জাদীদ বা ওয়াকফে জাদীদ এ কাটা যাবে। কিন্তু শুক্রবার মানেই সুমন ভাই এর ব্যস্ততা। তাই আর ঝামেলা করতে ইচ্ছা করছিল না, মূল খাতেই সম্পূর্ণ টাকা কাটলাম। তারপরই মনের মধ্যে খচ খচ করতে লাগল ব্যপারটা। কারণ ছেলেটা কষ্ট করে চাঁদা দেওয়ার টাকা জমিয়েছে, তার জানার কথা নয় কোন খাতে কত টাকা। আমি কিভাবে কাটলাম সেটা সে বুঝবে না।  তবে যেভাবে টাকাটি কাটলাম তাতে বাকি ২৩ টাকা বাড়তি হিসেবেই থাকবে। যেটা সুষম বন্টন হবে না। কিন্তু আরেকটি খাত ছিল, নতুন খাত তাই মাথায় আসে নাই তখন, স্মারণ মসজিদ খোদ্দাম এর খাত। আর মসজিদের জন্য টাকা ব্যয় অর্থ আল্লাহর সাথে সওদা ���রা, যেটার সওয়াব বহুগুণ। আর তার আগের শুক্রবার এই মসজিদ এর জন্য চাঁদা দেওয়ার তাহরিক করার সময় নায়েব সদর সাহেব বলেছিলেন, প্রত্যেক আতফাল যাতে এতে শরীক হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি পাশের পার্টশনে থাকা সুমন ভাই এর কাছে চাঁদা দেওয়াকে ঝামেলা মনে করে সেটা করল না, তার পক্ষে কি আদৌ আবার সেই ছেলেকে খুজে বেড় করে ডেকে নতুন করে চাঁদা কাটার ঝামেলা করা সম্ভব? আল্লাহ্ যদি হিম্মত দেন অবশ্যই সম্ভব। আল্লাহর রহমতে আমি সেটা করতে পেরেছিলাম। এবং নামাযের পর সেই ছেলেকে ডেকে পরিকল্পনা মত কাজ করলাম। আলহামদুলিল্লাহ।
এবার নির্বাচনের পালা, কে কে নাম প্রস্তাব করবেন সেটা বলার পর, শুরুতেই আমি হাত উঠালাম, ঠিক করেছিলাম মিথুন কে ভোট দিব। উঠিয়ে দেখি অন্য কেউ প্রস্তুত হয় নাই, শুধু আমার হাত তোলা। একটু পর অনেকেই হাত তুলল। কিন্তু আমাকে দিয়ে প্রস্তাব নেওয়া শুরু করা হল না। কয়েক জনের নাম প্রস্তাবের পর, মিথুন নাম প্রস্তাব করল। হায়! এ দেখি আমার নাম প্রস্তাব করে??? আমি না তার নাম প্রস্তাব করব ঠিক করে রেখেছি??
আর কি হতভাগা ?? মিথুনের প্রস্তাব নেওয়ার পরই এই দিক থেকে প্রস্তাব নেওয়া শুরু করল। আমি প্রথমে হাত তুলেছিলাম সবারই খেয়াল আছে.... আমার দিকেই চোখ! কিন্তু মাত্র মিথুন আমার নাম প্রস্তাব করল...এখনই যদি তার নাম প্রস্তাব করি...ব্যপারটা কেমন হবে? তাই তখন প্রস্তাব করলাম না। আরো কয়েক জনের নাম প্রস্তাব হল, সেই মুহুর্তে চিন্তা করছিলাম, মিথুন এর নামই প্রস্তাব করব না আতাউর এর নাম প্রস্তাব করব? কিন্তু মাত্রই নিজেকে ভেঙ্গে নিজের ঝামেলাপূর্ণ ইচ্ছার বাস্তবায়ন করেছি(আল্লাহর সহায়তায়) তাই এবারও ঠিক করলাম নিজের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করব। সেটাই করলাম, মানুষ ভাবতে পারে আমরা সিনডিকেট করেছি, কিন্তু ইচ্ছা বাস্তবায়ন করবই। সেটাই করলাম। আর আল্লাহর রহমতে যখন ভোটাভোটি শুরু হল, নিজের পালা আসার সময় দেখলাম উপস্থিত অধিকাংশই আমাকে ভোট দিল। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ্ তুমি এত মানুষের ভোটের যোগ্য অধিকারী হিসেবে আমাকে গড়ে তোল।
এরপর ২ ঘন্টার তালীমি বোর্ড এর লেভেল ২ পরীক্ষা দিলাম। এরপর সোজা বাসায়।
আজ ১৭ জুলাই। দিনটা খুব সুন্দর। বাইরে সকাল থেকেই মেঘলা আবহাওয়া। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে এক পশলা। তারপর আবার থেমে যাচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যেই। আগামীকাল থেকে মিডট্রাম পরীক্ষা শুরু। প্রথম পরীক্ষা ট্যাক্সেশন। ম্যাথ এর প্রিপারেশন খারাপও না আবার ভালও না। বুঝতে পারছিনা পরীক্ষা কি রকম হবে। আর থিউরী এর প্রস্তুতি নাই। আজকেই পরতে হবে। আজ আবার বাসায় মিয়া মামা, জাবির মামা, পারভেজ মামাদের এবং শুভভাইয়াদের সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে বাসায়। মূলত সজীব ভাইয়া আমেরিকা থেকে ��াংলাদেশে এসেছেন এই উপলক্ষেই দাওয়াত খাওয়ানো। তাই রাতেও পড়াশোনা করতে পারব না।
তবে আশা করি আল্লাহ সহায়তা করবেন। কয়েক দিন থেকেই ভাল হওয়ার চেষ্টা করছি। সেই অনুযায়ী আল্লাহর সহায়তাও পাচ্ছি। যেমন তবলীগ করতে পারছি, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারছি। কোরআন তিলাওয়াত করতে পারছি, নামায নিয়মিত পরতে পারছি ইত্যাদি। আশা করি এগুলো জারি থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরোও উন্নত হবে।
0 notes