#আল্লাহর কৃতজ্ঞতা
Explore tagged Tumblr posts
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্য���ার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক���
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মান���ষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির ক��ছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
ঈমান ও আকিদা
Faith and Creed
Aqeedah
#ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন#Purify faith and belief.#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্��াসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্র��ম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করা মানসিক শান্তির দিকে নিয়ে যায় ভালো চরিত্রের উপর বিনামূল্যের অডিওবুক সহ: https://www.youtube.com/playlist?list=PLt1Vizm7rRKbzSGTRoAQqSXZoz4dIUPzJ মনের শান্তি ও তৃপ্তি ধৈর্য এবং কৃতজ্ঞতা কুরআনিক আরবি এবং এর বাইরে বোঝা মহৎ চরিত্র সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক উপদেশ- হাদিস টেস্ট ও ট্রায়ালের সুবিধা ধার্মিক সন্তান লালনপালন বিয়েতে ভালো সাহচর্য বিশ্বাস, স্বাধীনতা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ধর্মকে শক্তিশালী করা সামাজিকীকরণ, ন্যায়বিচার এবং আত্মীয়তার বন্ধন উদ্দেশ্য, আন্তরিকতা এবং সত্যবাদিতা বাচ্চাদের ভালো চরিত্র শেখানো নম্রতা এবং অনুতাপ প্রিয়জনকে হারানো বাঁধন যে বাঁধে আশা, বিশ্বাস এবং বিধান ভাববাদী চরিত্র দাতব্য ও আর্থিক লেনদেন বস্তুগত জগত ও পরকাল জ্ঞান বিনয় ও সতীত্ব ঈমানের উপকারিতা ঐশ্বরিক সমর্থন একটি শব্দ হৃদয় জান্নাতের চাবি নোবেল চরিত্রের উপর দুর্দান্ত ঘটনা পরম করুণাময়ের বান্দা মহিলাদের জন্য ভাল চরিত্রের পরামর্শ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার আনুগত্যের প্রতিবন্ধকতা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ভালবাসার নিদর্শন সত্যবাদিতার দিক সুরক্ষিত বক্তৃতা আল ফাতিহা - কুরআন সংক্ষিপ্ত আল্লাহর সুন্দর নাম (SWT) ঈমান মজবুত করা পাপ মুছে ফেলুন এবং র্যাঙ্ক বাড়ান আত্মার বৈশিষ্ট্য তাকওয়া কি মহান প্রার্থনা ঈমানের তৃতীয়াংশ ভন্ডামি পরিহার করা ইসলাম প্রচার নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) এর জীবনী উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) এর জীবনী উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) এর জীবনী আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) এর জীবনী নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাহাবীদের জীবনী Over 400 Free eBooks: https://shaykhpod.com/books/ Backup Sites for eBooks: https://shaykhpodbooks.wordpress.com/books/ https://shaykhpodbooks.wixsite.com/books https://archive.org/details/@shaykhpod PDFs of All English Books & Backup Links/ تمام کتابیں / সব বই / جميع الكتب/ Semua Buku / Todos Los Libros: https://shaykhpod.com/wp-content/uploads/2024/08/all-master-link.pdf https://spurdu.wordpress.com/wp-content/uploads/2024/08/all-master-link.pdf https://c6f97428-aa9d-46f8-8352-c67abd2419bf.usrfiles.com/ugd/c6f974_a42ab24eb8c7405286bff57a0a670049.pdf https://archive.org/download/ShaykhPod-books/all-master-link.pdf AudioBooks, Blogs, Infographics, English & Urdu Podcasts: https://shaykhpod.com/ Anonymously Follow WhatsApp Channel for Daily Blogs, eBooks, Pics and Podcasts: https://whatsapp.com/channel/0029VaDDhdwJ93wYa8dgJY1t Subscribe to Receive Daily Blogs & Updates Via Email: http://shaykhpod.com/subscribe
0 notes
Text
youtube
----- তাফসির----- অনন্ত করুণাময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে (আরম্ভ করছি)। 'বিসমিল্লাহ'র পূর্বে 'আক্বরাউ' 'আবদাউ' অথবা 'আতলু' ফে'ল (ক্রিয়া) উহ্য আছে। অর্থাৎ, আল্লাহর নাম নিয়ে পড়ছি অথবা শুরু করছি কিংবা তেলাঅত আরম্ভ করছি। প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আরম্ভ করার পূর্বে 'বিসমিল্লাহ' পড়ার প্রতি তাকীদ করা হয়েছে। সুতরাং নির্দেশ করা হয়েছে যে, খাওয়া, যবেহ করা, ওযু করা এবং সহবাস করার পূর্বে 'বিসমিল্লাহ' পড়। অবশ্য ক্বুরআনে করীম তেলাঅত করার সময় 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' পড়ার ��ূর্বে 'আউযু বিল্লাহি মিনাশ্শায়ত্বানির রাজীম' পড়াও অত্যাবশ্যক। মহান আল্লাহ বলেছেন, "অতএব যখন তুমি ক্বুরআন পাঠ করবে, তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর।" (সূরা নাহল ১৬:৯৮ আয়াত)। সমস্ত প্রশংসা[১] সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।[২] [১] الحَمد এর মধ্যে যে ال রয়েছে, তা استغراق (সমূদয়) অথবা اختصاص (নির্দিষ্টীকরণ)এর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই বা তাঁর জন্য নির্দিষ্ট; কেননা প্রশংসার প্রকৃত অধিকারী একমাত্র মহান আল্লাহই। কারো মধ্যে যদি কোন গুণ, সৌন্দর্য এবং কৃতিত্ব থাকে, তবে তাও মহান আল্লাহ কর্তৃক সৃষ্ট। অতএব প্রশংসার অধিকারী তিনিই। 'আল্লাহ' শব্দটি মহান আল্লাহর সত্তার এমন এক সতন্ত্র নাম যার ব্যবহার অন্য কারো জন্য করা বৈধ নয়। 'আলহামদু লিল্লাহ' কৃতজ্ঞতা-জ্ঞাপক বাক্য। এর বহু ফযীলতের কথা হাদীসসমূহে এসেছে। একটি হাদীসে 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হ'কে উত্তম জিকির বলা হয়েছে এবং 'আলহামদু লিল্লাহ'কে উত্তম দুআ বলা হয়েছে।(তিরমিযী, নাসায়ী ইত্যাদি) সহীহ মুসলিম এবং নাসায়ীর বর্ণনায় এসেছে, 'আলহামদু লিল্লাহ' দাঁড়িপাল্লা ভর্তি করে দেয়। এ জন্যই অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে, আল্লাহ এটা পছন্দ করেন যে, প্রত্যেক পানাহারের পর বান্দা তাঁর প্রশংসা করুক। (সহীহ মুসলিম) [২] رَبّ মহান আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের অন্যতম। যার অর্থ হল, প্রত্যেক জিনিসকে সৃষ্টি ক'রে তার প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা ক'রে তাকে পরিপূর্ণতা দানকারী। কোন জিনিসের প্রতি সম্বন্ধ (ইযাফত) না করে এর ব্যবহার অন্য কারো জন্য বৈধ নয়। عَالَمِيْن عَالَم (বিশ্ব-জাহান) শব্দের বহুবচন। তবে সকল সৃষ্টির সমষ্টিকে عَالَم বলা হয়। এই জন্যেই এর বহুবচন ব্যবহার হয় না। কিন্তু এখানে তাঁর (আল্লাহর) পূর্ণ প্রতিপালকত্ব প্রকাশের জন্য এরও বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে। এ থেকে উদ্দেশ্য হল, সৃষ্টির ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণী বা সম্প্রদায়। যেমন, জ্বিন সম্প্রদায়, মানব সম্প্রদায়, ফিরিশ্তাকুল এবং জীব-জন্তু ও পশু-পক্ষীকুল ইত্যাদি। এই সমস্ত সৃষ্টির প্রয়োজনসমূহও একে অপর থেকে অবশ্যই ভিন্নতর। কিন্তু বিশ্ব-প্রতিপালক প্রত্যেকের অবস্থা, পরিস্থিতি এবং প্রকৃতি ও দেহ অনুযায়ী তার প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা করে থাকেন। رَحما শব্দটি فَعلان এর ওজনে। আর رَحِيم শব্দটি فَعِيل এর ওজনে। দু'ট��ই মুবালাগার স্বীগা (অতিরিক্ততাবোধক বাচ্য)। যার মধ্যে আধিক্য ও স্থায়িত্বের অর্থ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, মহান আল্লাহ অতীব দয়াময় এবং তাঁর এ গুণ অন্যান্য গুণসমূহের মত চিরন্তন। কোন কোন আলেমগণ বলেছেন 'রাহীম'-এর তুলনায় 'রাহমান'-এর মধ্যে মুবালাগা (অতিরিক্ততাঃ রহমত বা দয়ার ভাগ) বেশী আছে। আর এই জন্যই বলা হয়, 'রাহমানাদ্দুনিয়া অল-আখিরাহ' (দুনিয়া ও আখেরাতে রহমকারী)। দুনিয়াতে তাঁর রহমত ব্যাপক; বিনা পার্থক্যে কাফের ও মু'মিন সকলেই তা দ্বারা উপকৃত হচ্ছে। তবে আখেরাতে তিনি কেবল 'রাহীম' হবেন। অর্থাৎ, তাঁর রহমত কেবল মু'মিনদের জন্য নির্দিষ্ট হবে। اللَّهُمَّ! اجْعَلْنَا مِنْهُمْ (আল্লাহ আমাদেরকে তাঁদেরই অন্তর্ভুক্ত কর!) (আ-মীন) (যিনি) বিচার দিনের মালিক।[১] [১] যদিও দুনিয়াতে কর্মের প্রতিদান দেওয়ার নীতি কোন না কোনভাবে চালু আছে, তবুও এর পূর্ণ বিকাশ ঘটবে আখেরাতে। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেককে তার ভাল ও মন্দ কর্ম অনুযায়ী পরিপূর্ণ প্রতিদান শান্তি ও শাস্তি প্রদান করবেন। অনুরূপ দুনিয়াতে অনেক মানুষ ক্ষণস্থায়ীভাবে কারণ-ঘটিত ক্ষমতা ও শক্তির মালিক হয়। কিন্তু আখেরাতে সমস্ত এখতিয়ার ও ক্ষমতার মালিক হবেন একমাত্র মহান আল্লাহ। সেদিন তিনি বলবেন, "আজ রাজত্ব কার?" অতঃপর তিনিই উত্তর দিয়ে বলবেন, "পরাক্রমশালী একক আল্লাহর জন্য।" {يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِنَفْسٍ شَيْئًا وَالأَمْرُ يَوْمَئِذٍ للهِ} (সূরা ইনফিতার ৮২:১৯) (যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সকল কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।) এটা হবে বিচার ও প্রতিদান দিবস। আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও; اهدِنَا (হিদায়াত) শব্দটি কয়েকটি অর্থে ব্যবহার হয়। যেমন, পথের দিক নির্দেশ করা, পথে পরিচালনা করা এবং গন্তব্যস্থানে পৌঁছিয়ে দেওয়া। আরবীতে এটাকে 'ইরশাদ', 'তাওফীক্ব', 'ইলহাম' এবং 'দালালাহ' ইত For more details please visit- https://quranenc.com/en/browse/bengali_zakaria/1
#Quran in various translation#quran recitation#Al quran in many language#quran in worlds language#Quran in multiple language#Quran translations in several language#Abdul Aziz Al Turkey#quran in various language#quran translation different language#Translations of Quran in many language#quran translation in Bangla language#read Bangla translation of Quran#quran recitation in Bangla translation#الفاتحة#Bengali Quran#বাংলা কুরআন#Quran in Bengali language#আল ফাতিহা#Youtube
0 notes
Text
কুরআনের চিঠি
আলহামদুলিল্লাহ!! আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে "কুরআনের চিঠি " বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে শেষ করলাম।
বইটির প্রতিটি পাঠেই ছিলো Motivational এক অংশ পড়ার পর অন্য অংশ পড়ার জন্য অধীর আগ্রহের জন্ম নিয়েছে।
আমি আমার জীবনের অনেক বই পড়ছি। প্রতিটি বইয়ের আলাদা কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কিন্তু ❝কুরআনের চিঠি❞ বইটি অন্য সব থেকে আলাদা ছিলো, যা একজন মানুষের জীবনের সকল ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দিবে ইনশাআল্লাহ।
এই বই টা পড়তে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা কোনো Motivational Speaker এর লিখিত একটি Book. কেননা প্রত্যেকটা অনুচ্ছেদে এবং লাইনে লাইনে লেখক এমন কিছু মনি মুক্তা মাখা ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো কিছু চিঠির ব্যাখ্যা,উপলব্ধি ও শিক্ষা ফুটিয়ে তুলেছেন যা এককজন পাঠককে সহজেই motivate করতে সক্ষম।
শুধু তাই নয়,
কোন পাঠক যদি এই বইটি শুধু পাঠ করার জন্যে নয় বরং বইটি পাঠ করে সে অনুযায়ী আমল করার ��াধ্যমে নিজের জীবন কে গড়ে তুলতে পারে, আমার বিশ্বাস নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তাকে ইহকালে হেদায়েত দান করে পরকালে নাজাত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।
আর এই বই এর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো লেখক প্রত্যেক টা পাঠ এর শেষে একটি শিক্ষা বা উপদেশ পেশ করেছেন যা এই বই এর মান বহুগুনে বাড়িয়ে তুলেছে।
এক কথায়, ঈমানদীপ্ত প্রজন্ম গঠনে এটি একটি অসাধারণ বই।
১.যদি মানুষ তোমার সম্মান না বোঝে, কৃতিত্ব অস্বীকার করে, তাহলে ভেঙে পড়ো না, রেগেও যেয়ো না। আল্লাহ তায়ালা সম্যক অবগত আছেন, তুমি কে.?
২.আক্রমণাত্মক কথা মানুষকে ঠিক সেভাবেই ক্ষতিবিক্ষত করে, যেভাবে তরবারি আঘাত করে থাকে। সুন্দর কথায় মানুষ তেমনই বিমুগ্ধ হয়, যেভাবে উপঢৌকন পেলে খুশিতে আপ্লূত হয়ে থাকে।
২.১কোনো কথা প্রাঞ্জল ও সর্বজন সমাদৃত হওয়ার ��ন্য তাতে দুটি বিষয় থাকা জরুরি। এক, সুন্দর বিষয়বস্তু। দুই, চমৎকার উপস্থাপণ।
কিছু বলার সময় এ দুটি বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখা আবশ্যম্ভাবী। প্রয়োজনে কাউকে কিছু বলার আগে তা নিজের কানে বাজিয়ে নাও। যদি তোমার নিজের কাছে ভালো লাগে, তাহলে বলো, আর মন্দ লাগলে বিরত থাকো। কারণ যা নিজের কাছে ভালো লাগেনি, তা অন্যের ভালো লাগার সম্ভাবনা ও নেই।
ولو كونت فظا غليظ القلب لانفضوا من حولك
যদি তুমি রুঢ় ও কঠোরচিত্ত হতে, তাহলে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। সূরা আল ইমরান ১৫৯।।
৩. অপরাধীরা সব সময় আকাঙ্ক্ষা করে,সমাজের ভালো মানুষেরা ও অপরাধ করুক। যাতে মন্দ কাজ করা সহজ হয়ে যায়।
৪. জীবন চলার পথে যদি পরাজয়ের গ্লানি ও হতাশার কালো মেঘ আচ্ছন্ন করে তোমাকে,তাহলে নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দাও- এ পরীক্ষা একান্তই আমার সংশোধনের জন্য : আমাকে কষ্ট দেওয়া আল্লাহর উদ্দেশ্য নয়।
৪.১- কিছু মানুষ তোমাকে অপছন্দ করবে শ্রেষ্ঠত্বের কারণে, দোষের কারণে নয়।তাই নিজের সব কল্যাণের কথা মানুষের কাছে প্রকাশ করতে নেই।কিছু বিষয় নিজের কাছেই গোপন রাখো।কারণ, বাহ্যিক দেখে কখনো অভ্যন্তর নিরুপণ করা যায় না।
৫. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ, একবার হাতিম আল আসামকে জিজ্ঞেস করলেন - মানুষের সমালোচনা থেকে বেঁচে থাকার উপায় কি? তিনি বললেন- মানুষকে তোমার সম্পদ দাও; কিন্তু তাদের থেকে কিছু গ্রহণ করো না। তারা তোমাকে কষ্ট দিলও তুমি কষ্ট দিয়ো না। তাদের প্রয়োজন পূরণ করো, তবে তোমার প্রয়োজনে কাউকে ডেকো না।
৬. যার শ্রেষ্ঠত্ব যত বেশি, তাঁর বিনয়-নম্রতাও তত বেশি।
৭.জীবন হলো একটি খাতার মতো। জীবনের প্রতিটি দিন খাতার একেকটি পৃষ্ঠার মতো। তুমি চাইলে প্রত্যেক পৃষ্টা নেক আমল দিয়ে সাজাতে পারো।
আবার তাতে বদ আমলও সন্নিবেশিত করতে পারো। নফস ও শয়তানের ধোকাঁয় যদি কিছু পৃষ্ঠা বদ আমলে ভরে যায়,তাহলে তা মোছার জন্য সাদা কালির ব্যবস্থা ও রয়েছে। আর তা হলো ইস্তেগফার।
৮. আল্লাহর কাছে যার মূল্য যত বেশি, দুনিয়াতে তার বিপদাপদ ও তত বেশি হয়।
অবশেষে, এত সুন্দর বই পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, লেখক ও অনুবাদকের প্রতি
চমৎকার এই রিভিউটি লিখেছেন- @Sajibul Islam
#deen#islamiccenter#read#islamicpost#bukuislami#islamicgifts#islamicknowledge#booklover#islamicart#islamicbookshop
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃ��জ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
সুখ
Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘ��্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সংযত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
0 notes
Text
জাতীয় মসজিদে নতুন খতীব।জুমুআর বয়ান।
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
youtube
youtube
ভরসা যেন রাখি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
youtube
সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী রাখতে মুমিনের দোয়া
মানুষের জীবন আবর্তনশীল। জীবন কখনো খুশিতে উদ্বেলিত, আবার কখনো দুঃখের ভারে জর্জরিত। আবর্তনশীল জীবনে মুমিন সুদিনে প্রস্তুত হয় দুর্দিনের জন্য। সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সংযত জীবনযাপনের মাধ্যমে সুদিন ধরে রাখার চেষ্ট করে।
সুদিন দীর্ঘস্থায়ী করতে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ :
১. সুদিন আমার অর্জন নয় : মুমিন বান্দা সুদিনকে আল্লাহর অনুগ্রহ জ্ঞান করে। সুসময়কে নিজের উপার্জন মনে করে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করি, পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি, যাতে একে অপরের দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারে...।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩২)
২. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা : যেহেতু মুমিন বিশ্বাস করে, সুদিন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ, তাই সে সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
বস্তুত এর মাধ্যমে সে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
৩. সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন : মুমিন সুদিনেও নিজের জীবনধারাকে সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে জীবনকে বোঝা করে তোলে না।
তার জীবনে থাকে আল্লাহর অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দাও।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১১)
৪. সম্পদের সঠিক ব্যবহার : মুমিন সুদিনে অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করে সম্পদ আগামীর জন্য সংরক্ষণ করে। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমরা খাও ও পান করো; অপচয় কোরো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৫. সং���ত জীবন : সুদিন মুমিনকে অসংযত করে না। ফলে তার জীবন হয় বিনীত। কেননা সে আল্লাহর এই হুঁশিয়ারি ভুলে যায় না—‘কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করত। এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৮)
৬. ভালো কাজে জীবনের সমৃদ্ধি : মুমিন সুদিনে উদার মনে ভালো কাজে ব্যয় করে। কল্যাণের কাজে অর্থ ব্যয় সম্পদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তার জন্য এটা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫)
৭. অন্যের জীবন সুন্দর করা : মুমিন যখন সুদিন লাভ করে, তখন সে অন্যের জীবনও সুন্দর করার চিন্তা করে; বিশেষত আপনজন ও প্রতিবেশীদের ভেতর যারা পিছিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬)
৮. সুদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সুদিনে মুমিন এমন কাজ থেকে বিরত থাকবে, যাতে সম্পদ নষ্ট হয় এবং যা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৯. সুদিন ধরে রাখতে দোয়া করা : মুমিন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সচ্ছলতা ধরে রাখতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে। সে প্রার্থনা করে,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং পরকালে কল্যাণ দাও। আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)
১০. পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা : সুদিন ও সচ্ছলতার সময় পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা যতটা সহজ, দুর্দিনে তা ততটা সহজ নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাসো তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো আল্লাহ অবশ্যই সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
সুখ পাওয়ার আমল
সুখ পাওয়ার প্রক্রিয়া
The Process of Getting Happiness
Happiness
0 notes
Text
ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করা মানসিক শান্তির দিকে নিয়ে যায় ভালো চরিত্রের উপর বিনামূল্যের অডিওবুক সহ: https://www.youtube.com/playlist?list=PLt1Vizm7rRKbzSGTRoAQqSXZoz4dIUPzJ মনের শান্তি ও তৃপ্তি ধৈর্য এবং কৃতজ্ঞতা কুরআনিক আরবি এবং এর বাইরে বোঝা মহৎ চরিত্র সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক উপদেশ- হাদিস টেস্ট ও ট্রায়ালের সুবিধা ধার্মিক সন্তান লালনপালন বিয়েতে ভালো সাহচর্য বিশ্বাস, স্বাধীনতা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ধর্মকে শক্তিশালী করা সামাজিকীকরণ, ন্যায়বিচার এবং আত্মীয়তার বন্ধন উদ্দেশ্য, আন্তরিকতা এবং সত্যবাদিতা বাচ্চাদের ভালো চরিত্র শেখানো নম্রতা এবং অনুতাপ প্রিয়জনকে হারানো বাঁধন যে বাঁধে আশা, বিশ্বাস এবং বিধান ভাববাদী চরিত্র দাতব্য ও আর্থিক লেনদেন বস্তুগত জগত ও পরকাল জ্ঞান বিনয় ও সতীত্ব ঈমানের উপকারিতা ঐশ্বরিক সমর্থন একটি শব্দ হৃদয় জান্নাতের চাবি নোবেল চরিত্রের উপর দুর্দান্ত ঘটনা পরম করুণাময়ের বান্দা মহিলাদের জন্য ভাল চরিত্রের পরামর্শ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার আনুগত্যের প্রতিবন্ধকতা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ভালবাসার নিদর্শন সত্যবাদিতার দিক সুরক্ষিত বক্তৃতা আল ফাতিহা - কুরআন সংক্ষিপ্ত আল্লাহর সুন্দর নাম (SWT) ঈমান মজবুত করা পাপ মুছে ফেলুন এবং র্যাঙ্ক বাড়ান আত্মার বৈশিষ্ট্য তাকওয়া কি মহান প্রার্থনা ঈমানের তৃতীয়াংশ ভন্ডামি পরিহার করা ইসলাম প্রচার নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) এর জীবনী উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) এর জীবনী উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) এর জীবনী আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) এর জীবনী নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাহাবীদের জীবনী Over 400 Free eBooks: https://shaykhpod.com/books/ Backup Sites for eBooks: https://shaykhpodbooks.wordpress.com/books/ https://shaykhpodbooks.wixsite.com/books https://archive.org/details/@shaykhpod PDFs of All English Books & Backup Links/ تمام کتابیں / সব বই / جميع الكتب/ Semua Buku / Todos Los Libros: https://shaykhpod.com/wp-content/uploads/2024/08/all-master-link.pdf https://spurdu.wordpress.com/wp-content/uploads/2024/08/all-master-link.pdf https://c6f97428-aa9d-46f8-8352-c67abd2419bf.usrfiles.com/ugd/c6f974_a42ab24eb8c7405286bff57a0a670049.pdf https://archive.org/download/ShaykhPod-books/all-master-link.pdf AudioBooks, Blogs, Infographics, English & Urdu Podcasts: https://shaykhpod.com/ Anonymously Follow WhatsApp Channel for Daily Blogs, eBooks, Pics and Podcasts: https://whatsapp.com/channel/0029VaDDhdwJ93wYa8dgJY1t Subscribe to Receive Daily Blogs & Updates Via Email: http://shaykhpod.com/subscribe
0 notes