নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া ���বং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া ��া'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা কর��। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "��ে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্ল��হ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমর�� ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
0 notes
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
আল্লাহর বিচার চিরন্তন।
আপনি মানুষের উপর জুলুম করছেন, জমি কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিচ্ছেন, খুন করছেন হয়তো সমাজের মাতবরীর জন্য অথবা কিছু জমা-জমি, টাকা-পয়সার জন্য, বা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য কিন্তু আপনি কি করছেন? আপনি কয়দিন এ ক্ষমতা ভোগ করবেন?
"আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?"
-- [সূরা আত-ত্বীন, আয়াত ৮,
তিনি, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, পালনকর্তা। যিনি সমস্ত জ্ঞানের মালিক, তিনি প্রশ্ন করছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) এবং প্রশ্নটি আমাদের সবার জন্যই... যিনি সবকিছুই জানেন, আহকামিল হাকিমীন নিজেই যখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন, তখন কি আমাদেরকে আরেকটু ঝাঁকি দিয়ে উপলব্ধি করিয়ে দেয়ার জন্যই নয়? আমরা কি সন্দিগ্ধ হয়ে পড়েছি শ্রেষ্ঠ বিচারকের ব্যাপারে? আমরা কি ভেবে বসছি দুনিয়ার শাসন, ক্ষমতা, শক্তি যদি ভুল হয় এবং আমরা ভুলে কাউক জুলুম করে বসি, তাহলে প্রতিফল পাবো না? আহকামিল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের দুনিয়ার সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক। সবার সবকিছুর পরে তার আদালত, তিনি আমাদের পইপই করে দেখিয়ে দেবেন সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো। সেদিন কেউ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে না; সেদিন অবশ্যই অত্যাচারী, মিথ্যাচারী, যালিম, কাফির, মুশরিকরা তাদের উপযুক্ত শান্তি পাবে পুরষ্কার। নিশ্চয়ই আল্লাহ 'আহকামিল হাকিমীন', তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক; তার বিচার নিপুণ, নিখুঁত, সূক্ষ্ম।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে কুরআনের ৮টি আয়াত
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের কোনো স্থান নেই। এমনকি পার্থিব জগতে নবী-রাসূলগণের আবির্ভাবের তিনটি উদ্দেশ্যেরও অন্যতম ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে প্রতিটি জিনিসকে তার প্রকৃত জায়গায় স্থান দিতে হবে এবং যার যে অধিকার তা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যায়বিচার হচ্ছে এমন একটি মৌলিক পরিভাষা যা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নানা ধরনের উদাহরণ, অলঙ্কার ও সত্য ঘটনার আকারে খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে বারবার ন্যায়বিচারের ওপর অটল ও অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ন্যায় ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনের এরকম ৮টি আয়াত তুলে ধরব যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ন্যায় ও ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে:
১- আল্লাহর সকল কাজ ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণও (এই একই বিষয়ে) সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, [আল্লাহর সকল কাজ] ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই।" [আলে-ইমরান, ১৮]
২- আল্লাহ তায়ালা বিন্দু পরিমাণ জুলুম বা অন্যায় করেন না।
"নিশ্চয়ই আল্লাহ অণু পরিমাণও অত্যাচার বা অন্যায় করেন না [তাঁর প্রতিটি কাজ ন্যায়ভিত্তিক] এবং যদি কেউ [ওই অণু পরিমাণ] সৎ কাজ করে তাহলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং স্বীয় পক্ষ হতে ওর মহান প্রতিদান প্রদান করেন।" [নিসা, ৪০]
৩- মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করুন। "নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" [নিসা, ৫৮]
৪- অপরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে অন্যায় করো না। "হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষাদানে তোমরা অবিচল থাকবে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শক্ৰতা তোমাদেরকে যেন সুবিচার বুর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার অধিকতর নিকটবর্তী। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।" [মায়েদা, ৮]
৫- মহান আল্লাহ এমনকি জালিমদের প্রতিও জুলুম করেন না।
"আর যমীনে যা রয়েছে, তা যদি প্রত্যেক যুলুমকারী ব্যক্তির হয়ে যায়, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে সেসব দিয়ে দেবে এবং অনুতাপ গোপন করবে যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। আর তাদের মীমাংসা ন্যায়ভিত্তিক করা হবে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।" [ইউনূস, ৫৪]
৬- মানুষের অধিকার প্রদান করার ক্ষেত্রে অন্যায় করো না। "হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।" [হুদ, ৮৫]
৭- মানুষকে ন্যায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। "নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।" [হাদিদ, ২৫]
৮- মহান আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। "তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালোবাসেন।" [হুজুরাত, ৯]
আল্লাহ কিভাবে ন্যায় বিচার করেন
আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং বিচার।
যেভাবে আল্লাহ হাশরের মাঠে বিচার করবেন |
হাশরের মাঠে আল্লাহর উপস্থিতিতে কীভাবে বিচার শুরু হবে? |
বিচার দিবসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নিশ্চয়ই আল্লাহ আহকামিল হাকিমীন, তিনি শ্রেষ্ঠতম বিচারক
Surely Allah is Ahkamil Hakimeen, He is the best judge
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
Judges and judiciary in the Sight of Islam
ইসলামের দৃষ্টিতে বিচারক ও বিচারব্যবস্থা
0 notes
বিচারক মন্ডলিরা সবাই অভাক।ছোট ছোট মাদরাসার ছাত্রীদের কিতাবের প্রশ্নের উত...
0 notes
মার্কিন আদালত সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে খাশোগির মামলা খারিজ করেছে - SUCH TV
মার্কিন আদালত সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে খাশোগির মামলা খারিজ করেছে – SUCH TV
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের একজন ফেডারেল বিচারক সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগির বাগদত্তার দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বিডেনের অনাক্রম্যতা প্রদানের বরাত দিয়ে।
ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ জন বেটস পরামর্শ দিয়েছিলেন যে তিনি মামলাটি ফেলে দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন তবে বিডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে তার কোনও বিকল্প ছিল না।
25 পৃষ্ঠার রায়ে…
View On WordPress
0 notes
রুবি পাথরের ক্ষতিকর প্রভাব
রুবি পাথরের ক্ষতিকর প্রভাব : কোষ্ঠীতে সূর্যের অশুভ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই জ্যোতিষশাস্ত্র ও ধর্মীয় শাস্ত্রে বর্ণিত বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। তবে এর পাশাপাশি এমন কিছু রত্ন রয়েছে, যেগুলির রবি গ্রহের সূর্যের দোষ কমাতে পারে এবং এর ফলে শুভ ফলাফলের পথ প্রশস্ত হয়। রবি গ্রহের ক্ষতি কমাতে পারে এমন একটি রত্ন হল রুবি। কোষ্ঠী বা সিংহ রাশিতে সূর্য রবি গ্রহের অশুভ হলে মানিক্য পরিধান করা উচিত।
আরো পড়ুন: https://bit.ly/3AXzKBG
পড়াশোনা বা চাকরিতে মনোযোগ হারানো মকর রাশির উপর রুবির মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব হতে পারে। শনি গ্রহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, কুম্ভ রাশিচক্রের চিহ্ন সাধারণত সূর্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক ভাগ করে না। তবে সূর্য গ্রহের মহাদশার সময় এই পাথরটি অবশ্যই পরতে হবে। আবার প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, যারা মাণিক্য পরেন, তারা কখনও অসুস্থ হন না। তাদের পরিবারে সর্বদা আনন্দ থাকে। কোনও ব্যক্তিকে যদি মাণিক্য সুট করে যায়, তা হলে এই রত্ন তাকে রাজা বানিয়ে দেয়।
রুবি কি অশুভ?
প্রাচীন লোকেরা রুবিকে একটি প্রতিরক্ষামূলক কবজ হিসাবে বিবেচনা করত এবং সৌভাগ্যের জন্য এটি পরত । প্রাচীন বিশ্বে, লোকেরা বিশ্বাস করত যে রুবি তাদের ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করতে সাহায্য করতে পারে এবং তখন থেকেই অসুস্থতা বা দুর্ভাগ্য থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের তাবিজ হিসাবে পরা হয় । বহু শতাব্দী ধরে, রুবি দুঃখ দূর করতে, দুঃস্বপ্ন প্রতিরোধ করতে এবং অনেক অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে বলে মনে করা হয়। দেখুন : https://tajmahalgemsworld.com/product-category/ruby-gemstone/
রুবি শরীরের ব্যথা উপশম করতে এবং রক্ত সংবহন সমস্যা, কম শক্তি, হার্টের সমস্যা এবং ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হয়। ইতিহাসে, জীবনীশক্তি এবং যৌবন উন্নীত করার জন্য ত্বকে রুবি ঘষে দেওয়া হত। রুবি এই এলাকায় সামগ্রিক সুস্থতা প্রচার এবং ভাল স্বাস্থ্য অনুপ্রাণিত বলা হয়। রুবিগুলি অত্যন্ত শক্তিশালী, কঠোরতার মোহস স্কেলে ৯ নথিভুক্ত ।
কাদের জন্য রুবি ধারণ করা বিশেষ উপকারী
ডাক্তার, আইনজীবী, বিচারক, স্টক ব্রোকার, ভূতত্ত্ববিদ এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য রুবি ধারণ খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী কোনও পুরুষ চুনি ধারণ করলে এর ফলে তাঁর পুরুষত্ব উন্নত হয় এবং চরিত্রে মহানুভবতা আসে। কোনও নারী এই রত্ন ধারণ করলে তার মধ্যে আবেগ ও শক্তি বৃদ্ধি হয়। এই রত্ন ধারণ করলে সৃজনশীলতা, ধর্মীয় ভাব, আত্মবিশ্বাস এবং জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।
রুবি (মানিক) পরার নেতিবাচক প্রভাব
আপনি যদি রবি গ্রহ ব্যতীত অন্য কোনও গ্রহের বিধ্বংসী প্রভাবের সম্মুখীন হন তবে কখনই রুবি পাথর পরবেন না। এই ক্ষেত্রে, একজন জ্যোতিষীর সাথে পরামর্শ করা এবং তাকে এই রত্নটি পরিধান করার জন্য উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করতে বলাই সর্বোত্তম পদক্ষেপ। একটি নকল রুবি পাথর পরা অকল্পনীয় নেতিবাচক প্রভাব আছে, একটি রুবি পাথর যা ভয়ানক মানের ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে ক্ষতি করতে পারে।
চুনি পাথর ধারন করলে কি হয়?
একজন জ্যোতিষীর সাথে যোগাযোগ না করে, একটি রুবি রত্নপাথর পরার ফলে গুরুতর অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে, অত্যধিক ডিহাইড্রেশন সমস্যা, শরীরের তাপমাত্রার অপ্রয়োজনীয় বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, ত্বকের সংক্রমণ এবং বেশ কিছু হৃদরোগের সূত্রপাত হতে পারে। যারা সঙ্গীত, লেখা বা চিত্রকলার মতো শৈল্পিক বা সৃজনশীল শিল্পে কাজ করেন তাদের দ্বারা রুবি পাথর পরিধান করা উচিত নয়। আপনি যদি আপনার নেতৃত্বের দক্ষতা এবং আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করতে চান তবে মানিক স্টোন বেছে নিন।
রুবি পরার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?
পড়াশোনা বা চাকরিতে মনোযোগ হারানো মকর রাশির উপর রুবির মারাত্মক নেতিবাচক প্র���াব হতে পারে। শনি গ্রহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, কুম্ভ রাশিচক্রের চিহ্ন সাধারণত সূর্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক ভাগ করে না। তবে সূর্য গ্রহের মহাদশার সময় এই পাথরটি অবশ্যই পরতে হবে। এটি মূল চক্রের সাথে সারিবদ্ধ, এবং শারীরিক জীবনীশক্তি বাড়াতে এবং সামগ্রিক সুস্থতার প্রচার করার জন্য বলা হয়।
1 note
·
View note
রাষ্ট্র বাংলাদেশের ইসলামিক কূটনীতি এবং বিচার।
ইসলাম ধর্মের ব্যাখ্যা অনুসারে, এবং ইসলাম ধর্মের নীতি আদর্শের মধ্যে দিয়ে, যেকোন অথবা কোন মুসলমান নর, নারী, নবীর সুন্নত আদায়ের,, ব্যবসা করতে যেয়ে, কাফের হয়ে যেতে পারে, ঈমান থাকুক, অথবা নাই থাকুক, সাধারণত ঈমান থেকে যায়। সামর্থ্যের এবং অর্থ,, এবং দেশ এবং রাষ্ট্রের অফিসিয়াল কাগজপত্র এবং আলাদা অফিস বিল্ডিং, দেশ এবং রাষ্ট্রের সরকারি অর্থ প্রদান এবং সেই সঙ্গে বিশেষভাবে এবং অত্যাবশ্যকীয় ভাবে রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ব্যবসা করার জন্য রাষ্ট্রের হাতে রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রদান ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে পারবেনা। কারণ রাষ্ট্রের নিয়মাধীন অনুসারে রাষ্ট্রের ব্যবসা পরিচালনা করা হয়।
তারপরও একজন কাফের ধর্মদ্রোহী অপরাধ করতেও - পারে নাও - পারে এবং অপরাধ করে, করতে পারে, করতে নাও - পারে। সুতরাং তার অপরাধের বিচার দেশের জাতীয় সরকার এবং রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় বিচার অনুসারে বিচার করা হবে স্বাভাবিক শান্তির শৃঙ্খলা হয়ে যায়। কাফের কাফেরই হয় কাফেরদেরকে হত্যা করুন।
প্রতিটি ধর্ম, সহজ-সরল, বিশ্বস্ত ভাবে, আনুগত্যের সহিত, পতাকাকে মেনে নেয়।
প্রতিটি পতাকায়-ই একটি সভ্যতা হয়, এবং সেই সভ্যতা প্রতিটি ধর্মই মেনে নেয়।
সকলেই বিচার করতে পারে না, বিচারক বিচার করে দেয়। অধিকার এবং বিচার, বিচারে অধিকারের প্রয়োজন হয়, দেশ এবং রাষ্ট্র কর্তৃক অধিকার দেওয়া হতে পারে, নাও দেওয়া হতে পারে।
#Royal #Lord #civilization #রাষ্ট্রবাংলাদেশ 🇧🇩
0 notes
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
আল্লাহর বিধান দ্বারা শাসন
আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ...এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নেতারা (শাসক গোষ্ঠী ও ইমামগণ) আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বিধান (ও ফায়সালা) না দেয় এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা বরণ না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাদের মাঝে গৃহদন্ধ বহাল রাখেন।
(ইবনে মাজাহ ৪০১৯, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ১০৫৫০, সহীহ তারগীব ৭৫৯)
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
ইনসাফ এমন এক মহৎ গুণ, যা মানুষকে প্রিয়ভাজন করে তুলতে সাহায্য করে। প্রিয় নবী (সা.)-এর মাঝে ইনসাফ ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের। তিনি ছিলেন ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক। আল্লাহ তাআলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বলেছেন।
তাই তিনি তাঁর পুরো জীবনে সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে এবং নবুয়তপ্রাপ্তির পরেও রাসুল সমাজে ইনসাফ ও নিষ্ঠা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। স্বয়ং মহান আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইনসাফের নির্দেশ প্রদান করেছেন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহর (বিধানাবলি পালনের) জন্য সদাপ্রস্তুত হয়ে যাও (এবং) ইনসাফের সঙ্গে সাক্ষ্যদানকারী এবং কোনো সমপ্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের ইনসাফ পরিত্যাগে প্ররোচিত না করে।
ইনসাফ অবলম্বন করো। এ পন্থাই তাকওয়ার বেশি নিকটবর্তী। এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৮)
আয়াতে ন্যায়-ইনসাফ অর্থে দুটি শব্দ এসেছে। ‘আদল ও কিসত’ যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বোঝানো হচ্ছে, সাক্ষ্যদান, বিচার-নিষ্পত্তি ও অন্য আচার-আচরণ হতে হবে সব রকম কমবেশি ও বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ির প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত একদম পরিমাণমতো মাপাজোখা। এটা বান্দার হক। শত্রু-মিত্র কারো ক্ষেত্রেই এ হক আদায়ে গড়িমসি করার সুযোগ নেই।
এমনকি আল্লাহর ঘোর দুশমন কাফের-অমুসলিমও যদি হয়, তার সঙ্গেও ন্যায়-ইনসাফ রক্ষা করা অপরিহার্য। সে আল্লাহর দুশমন এই ভাবনায় তার প্রতি বেইনসাফির আচরণ করা হলে তা হবে ইসলামী শরিয়তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এবার চিন্তা করুন, যারা আল্লাহর বন্ধুজন ও তাঁর প্রিয়পাত্র, সেই মুমিন-মুসলিমের সঙ্গে ইনসাফ রক্ষায় যত্নবান থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। (তাওজিহুল কোরআন)
নবুয়তপ্রাপ্তির আগে
নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে তিনি সমাজে ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিলফুল ফুজুল নামে একটি সংগঠন। নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা থাকার কারণে কুরাইশরা কাবার দেয়ালে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে যখন মতবিরোধে লিপ্ত, তখন নবীজি (সা.)-কে তারা বিচারক হিসেবে গ্রহণ করেন এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সকলেই ইনসাফকারী হিসেবে সন্তুষ্ট হয়। তিনি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তা সবাই এক বাক্যে মেনে নেওয়ার কথা প্রকাশ করে। অথচ নবীজির গোত্র বনু হাশিমও ফায়সালায় শরিক ছিল। তার পরও নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা রেখে তারা তাঁকে বিচারক হিসেবে গ্রহণ করে।
সবার সঙ্গে ন্যায় ও ইনসাফ
আর এই ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন সদা জাগ্রত। কারণ যে সমাজ থেকে ইনসাফ উঠে যায়, সেখানে জুলুম-নির্যাতন, অবিচার আর অনাচারের অনুপ্রবেশ ঘটে। বিভিন্ন ধর্ম ও দর্শন—সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। প্রিয় নবী ইনসাফের গুরুত্ব সাহাবাদের মনে রোপণ করে দিয়েছেন। কারণ ইনসাফহীন সমাজ ক্রমান্বয়ে বর্বর হতে থাকে। সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ থেকে যখন অনাচার-অবিচার প্রকাশ পায়, তখন তা ছড়িয়ে পড়ে অধীনস্থদের মাঝে। সে জন্য প্রিয় নবী এ ক্ষেত্রে শক্ত ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বনি ইসরাঈল তাদের গণ্যমান্য পরিবারের কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত। এবং দুর্বল কেউ চুরি করলে তারা তার হাত কেটে দিত। আল্লাহর শপথ, ফাতিমা (রা.) (যদি চুরি করে) আমি তার হাত কেটে ফেলব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৭৩৩)
একবার মাখজুম গোত্রের এক মহিলা মক্কা বিজরের সময় চুরি করেছিল। যা নিয়ে কুরাইশরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তখন তারা পরামর্শ করল যে রাসুল (সা.)-এর কাছের কোনো সাহাবার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সুপারিশ করালে হয়তো রাসুল (সা.) চুরির শাস্তি দেবেন না। সে কথা অনুযায়ী তারা রাসুলের প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-কে সুপারিশ করার জন্য নির্ণয় করল। উসমা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে সুপারিশ করলে রাসুল (সা.) রাগত স্বরে এসব কথা বলেছেন।
অমুসলিমদের সঙ্গে ইনসাফ
কথাবার্তা, চালচলন ও অন্যান্য বিষয়ে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করতেন না। অর্থাৎ মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটলে তার সত্য ও ন্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতেন এবং নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতেন। আবদুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো মুসলিমের অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করে, তাহলে সে আল্লাহর সমীপে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত থাকবেন।
আশআস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম। এটা আমার সম্পর্কেই ছিল, আমার ও এক ইহুদি ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একখণ্ড জমি ছিল। সে আমার মালিকানার অংশ অস্বীকার করে বসল। আমি তাকে নবী (সা.)-এর কাছে নিয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, তোমার কোনো সাক্ষী আছে কী? আমি বললাম, না। তখন তিনি (নবী) ইহুদিকে বলেন, তুমি কসম করো। আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, সে তো কসম করবে এবং আমার সম্পত্তি নিয়ে নেবে। তখন আল্লাহ তাআলা (এ আয়াত) নাজিল করেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রি করে... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ : ৭৭) (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২২৫৬)
রাসুল (সাঃ) এর বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল?
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
নেতৃত্ব নিয়ে
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
আল্লাহ-রাসূল সা.এর বিচার ব্যবস্থা
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
0 notes
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
আল্লাহর বিধান দ্বারা শাসন
আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ...এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নেতারা (শাসক গোষ্ঠী ও ইমামগণ) আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বিধান (ও ফায়সালা) না দেয় এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা বরণ না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাদের মাঝে গৃহদন্ধ বহাল রাখেন।
(ইবনে মাজাহ ৪০১৯, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমা�� ১০৫৫০, সহী�� তারগীব ৭৫৯)
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
ইনসাফ এমন এক মহৎ গুণ, যা মানুষকে প্রিয়ভাজন করে তুলতে সাহায্য করে। প্রিয় নবী (সা.)-এর মাঝে ইনসাফ ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের। তিনি ছিলেন ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক। আল্লাহ তাআলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বলেছেন।
তাই তিনি তাঁর পুরো জীবনে সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে এবং নবুয়তপ্রাপ্তির পরেও রাসুল সমাজে ইনসাফ ও নিষ্ঠা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। স্বয়ং মহান আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইনসাফের নির্দেশ প্রদান করেছেন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহর (বিধানাবলি পালনের) জন্য সদাপ্রস্তুত হয়ে যাও (এবং) ইনসাফের সঙ্গে সাক্ষ্যদানকারী এবং কোনো সমপ্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের ইনসাফ পরিত্যাগে প্ররোচিত না করে।
ইনসাফ অবলম্বন করো। এ পন্থাই তাকওয়ার বেশি নিকটবর্তী। এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৮)
আয়াতে ন্যায়-ইনসাফ অর্থে দুটি শব্দ এসেছে। ‘আদল ও কিসত’ যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বোঝানো হচ্ছে, সাক্ষ্যদান, বিচার-নিষ্পত্তি ও অন্য আচার-আচরণ হতে হবে সব রকম কমবেশি ও বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ির প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত একদম পরিমাণমতো মাপাজোখা। এটা বান্দার হক। শত্রু-মিত্র কারো ক্ষেত্রেই এ হক আদায়ে গড়িমসি করার সুযোগ নেই।
এমনকি আল্লাহর ঘোর দুশমন কাফের-অমুসলিমও যদি হয়, তার সঙ্গেও ন্যায়-ইনসাফ রক্ষা করা অপরিহার্য। সে আল্লাহর দুশমন এই ভাবনায় তার প্রতি বেইনসাফির আচরণ করা হলে তা হবে ইসলামী শরিয়তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এবার চিন্তা করুন, যারা আল্লাহর বন্ধুজন ও তাঁর প্রিয়পাত্র, সেই মুমিন-মুসলিমের সঙ্গে ইনসাফ রক্ষায় যত্নবান থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। (তাওজিহুল কোরআন)
নবুয়তপ্রাপ্তির আগে
নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে তিনি সমাজে ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিলফুল ফুজুল নামে একটি সংগঠন। নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা থাকার কারণে কুরাইশরা কাবার দেয়ালে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে যখন মতবিরোধে লিপ্ত, তখন নবীজি (সা.)-কে তারা বিচারক হিসেবে গ্রহণ করেন এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সকলেই ইনসাফকারী হিসেবে সন্তুষ্ট হয়। তিনি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তা সবাই এক বাক্যে মেনে নেওয়ার কথা প্রকাশ করে। অথচ নবীজির গোত্র বনু হাশিমও ফায়সালায় শরিক ছিল। তার পরও নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা রেখে তারা তাঁকে বিচারক হিসেবে গ্রহণ করে।
সবার সঙ্গে ন্যায় ও ইনসাফ
আর এই ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন সদা জাগ্রত। কারণ যে সমাজ থেকে ইনসাফ উঠে যায়, সেখানে জুলুম-নির্যাতন, অবিচার আর অনাচারের অনুপ্রবেশ ঘটে। বিভিন্ন ধর্ম ও দর্শন—সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। প্রিয় নবী ইনসাফের গুরুত্ব সাহাবাদের মনে রোপণ করে দিয়েছেন। কারণ ইনসাফহীন সমাজ ক্রমান্বয়ে বর্বর হতে থাকে। সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ থেকে যখন অনাচার-অবিচার প্রকাশ পায়, তখন তা ছড়িয়ে পড়ে অধীনস্থদের মাঝে। সে জন্য প্রিয় নবী এ ক্ষেত্রে শক্ত ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বনি ইসরাঈল তাদের গণ্যমান্য পরিবারের কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত। এবং দুর্বল কেউ চুরি করলে তারা তার হাত কেটে দিত। আল্লাহর শপথ, ফাতিমা (রা.) (যদি চুরি করে) আমি তার হাত কেটে ফেলব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৭৩৩)
একবার মাখজুম গোত্রের এক মহিলা মক্কা বিজরের সময় চুরি করেছিল। যা নিয়ে কুরাইশরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তখন তারা পরামর্শ করল যে রাসুল (সা.)-এর কাছের কোনো সাহাবার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সুপারিশ করালে হয়তো রাসুল (সা.) চুরির শাস্তি দেবেন না। সে কথা অনুযায়ী তারা রাসুলের প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-কে সুপারিশ করার জন্য নির্ণয় করল। উসমা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে সুপারিশ করলে রাসুল (সা.) রাগত স্বরে এসব কথা বলেছেন।
অমুসলিমদের সঙ্গে ইনসাফ
কথাবার্তা, চালচলন ও অন্যান্য বিষয়ে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করতেন না। অর্থাৎ মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটলে তার সত্য ও ন্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতেন এবং নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতেন। আবদুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো মুসলিমের অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করে, তাহলে সে আল্লাহর সমীপে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত থাকবেন।
আশআস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম। এটা আমার সম্পর্কেই ছিল, আমার ও এক ইহুদি ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একখণ্ড জমি ছিল। সে আমার মালিকানার অংশ অস্বীকার করে বসল। আমি তাকে নবী (সা.)-এর কাছে নিয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, তোমার কোনো সাক্ষী আছে কী? আমি বললাম, না। তখন তিনি (নবী) ইহুদিকে বলেন, তুমি কসম করো। আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, সে তো কসম করবে এবং আমার সম্পত্তি নিয়ে নেবে। তখন আল্লাহ তাআলা (এ আয়াত) নাজিল করেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রি করে... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ : ৭৭) (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২২৫৬)
রাসুল (সাঃ) এর বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল?
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
নেতৃত্ব নিয়ে
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
আল্লাহ-রাসূল সা.এর বিচার ব্যবস্থা
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
0 notes
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
আল্লাহর বিধান দ্বারা শাসন
আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ...এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নেতারা (শাসক গোষ্ঠী ও ইমামগণ) আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বিধান (ও ফায়সালা) না দেয় এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা বরণ না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাদের মাঝে গৃহদন্ধ বহাল রাখেন।
(ইবনে মাজাহ ৪০১৯, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ১০৫৫০, সহীহ তারগীব ৭৫৯)
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
ইনসাফ এমন এক মহৎ গুণ, যা মানুষকে প্রিয়ভাজন করে তুলতে সাহায্য করে। প্রিয় নবী (সা.)-এর মাঝে ইনসাফ ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের। তিনি ছিলেন ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক। আল্লাহ তাআলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বলেছেন।
তাই তিনি তাঁর পুরো জীবনে সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে এবং নবুয়তপ্রাপ্তির পরেও রাসুল সমাজে ইনসাফ ও নিষ্ঠা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। স্বয়ং মহান আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইনসাফের নির্দেশ প্রদান করেছেন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহর (বিধানাবলি পালনের) জন্য সদাপ্রস্তুত হয়ে যাও (এবং) ইনসাফের সঙ্গে সাক্ষ্যদানকারী এবং কোনো সমপ্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের ইনসাফ পরিত্যাগে প্ররোচিত না করে।
ইনসাফ অবলম্বন করো। এ পন্থাই তাকওয়ার বেশি নিকটবর্তী। এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৮)
আয়াতে ন্যায়-ইনসাফ অর্থে দুটি শব্দ এসেছে। ‘আদল ও কিসত’ যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বোঝানো হচ্ছে, সাক্ষ্যদান, বিচার-নিষ্পত্তি ও অন্য আচার-আচরণ হতে হবে সব রকম কমবেশি ও বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ির প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত একদম পরিমাণমতো মাপাজোখা। এটা বান্দার হক। শত্রু-মিত্র কারো ক্ষেত্রেই এ হক আদায়ে গড়িমসি করার সুযোগ নেই।
এমনকি আল্লাহর ঘোর দুশমন কাফের-অমুসলিমও যদি হয়, তার সঙ্গেও ন্যায়-ইনসাফ রক্ষা করা অপরিহার্য। সে আল্লাহর দুশমন এই ভাবনায় তার প্রতি বেইনসাফির আচরণ করা হলে তা হবে ইসলামী শরিয়তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এবার চিন্তা করুন, যারা আল্লাহর বন্ধুজন ও তাঁর প্রিয়পাত্র, সেই মুমিন-মুসলিমের সঙ্গে ইনসাফ রক্ষায় যত্নবান থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। (তাওজিহুল কোরআন)
নবুয়তপ্রাপ্তির আগে
নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে তিনি সমাজে ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিলফুল ফুজুল নামে একটি সংগঠন। নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা থাকার কারণে কুরাইশরা কাবার দেয়ালে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে যখন মতবিরোধে লিপ্ত, তখন নবীজি (সা.)-কে তারা বিচারক হিসেবে গ্রহণ করেন এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সকলেই ইনসাফকারী হিসেবে সন্তুষ্ট হয়। তিনি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তা সবাই এক বাক্যে মেনে নেওয়ার কথা প্রকাশ করে। অথচ নবীজির গোত্র বনু হাশিমও ফায়সালায় শরিক ছিল। তার পরও নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা রেখে তারা তাঁকে বিচারক হিসেবে গ্রহণ করে।
সবার সঙ্গে ন্যায় ও ইনসাফ
আর এই ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন সদা জাগ্রত। কারণ যে সমাজ থেকে ইনসাফ উঠে যায়, সেখানে জুলুম-নির্যাতন, অবিচার আর অনাচারের অনুপ্রবেশ ঘটে। বিভিন্ন ধর্ম ও দর্শন—সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। প্রিয় নবী ইনসাফের গুরুত্ব সাহাবাদের মনে রোপণ করে দিয়েছেন। কারণ ইনসাফহীন সমাজ ক্রমান্বয়ে বর্বর হতে থাকে। সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ থেকে যখন অনাচার-অবিচার প্রকাশ পায়, তখন তা ছড়িয়ে পড়ে অধীনস্থদের মাঝে। সে জন্য প্রিয় নবী এ ক্ষেত্রে শক্ত ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বনি ইসরাঈল তাদের গণ্যমান্য পরিবারের কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত। এবং দুর্বল কেউ চুরি করলে তারা তার হাত কেটে দিত। আল্লাহর শপথ, ফাতিমা (রা.) (যদি চুরি করে) আমি তার হাত কেটে ফেলব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৭৩৩)
একবার মাখজুম গোত্রের এক মহিলা মক্কা বিজরের সময় চুরি করেছিল। যা নিয়ে কুরাইশরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তখন তারা পরামর্শ করল যে রাসুল (সা.)-এর কাছের কোনো সাহাবার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সুপারিশ করালে হয়তো রাসুল (সা.) চুরির শাস্তি দেবেন না। সে কথা অনুযায়ী তারা রাসুলের প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-কে সুপারিশ করার জন্য নির্ণয় করল। উসমা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে সুপারিশ করলে রাসুল (সা.) রাগত স্বরে এসব কথা বলেছেন।
অমুসলিমদের সঙ্গে ইনসাফ
কথাবার্তা, চালচলন ও অন্যান্য বিষয়ে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করতেন না। অর্থাৎ মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটলে তার সত্য ও ন্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতেন এবং নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতেন। আবদুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো মুসলিমের অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করে, তাহলে সে আল্লাহর সমীপে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত থাকবেন।
আশআস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম। এটা আমার সম্পর্কেই ছিল, আমার ও এক ইহুদি ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একখণ্ড জমি ছিল। সে আমার মালিকানার অংশ অস্বীকার করে বসল। আমি তাকে নবী (সা.)-এর কাছে নিয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, তোমার কোনো সাক্ষী আছে কী? আমি বললাম, না। তখন তিনি (নবী) ইহুদিকে বলেন, তুমি কসম করো। আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, সে তো কসম করবে এবং আমার সম্পত্তি নিয়ে নেবে। তখন আল্লাহ তাআলা (এ আয়াত) নাজিল করেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রি করে... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ : ৭৭) (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২২৫৬)
রাসুল (সাঃ) এর বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল?
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
নেতৃত্ব নিয়ে
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
আল্লাহ-রাসূল সা.এর বিচার ব্যবস্থা
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
0 notes
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
আল্লাহর বিধান দ্বারা শাসন
আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ...এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নেতারা (শাসক গোষ্ঠী ও ইমামগণ) আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বিধান (ও ফায়সালা) না দেয় এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা বরণ না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাদের মাঝে গৃহদন্ধ বহাল রাখেন।
(ইবনে মাজাহ ৪০১৯, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ১০৫৫০, সহীহ তারগীব ৭৫৯)
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
ইনসাফ এমন এক মহৎ গুণ, যা মানুষকে প্রিয়ভাজন করে তুলতে সাহায্য করে। প্রিয় নবী (সা.)-এর মাঝে ইনসাফ ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের। তিনি ছিলেন ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক। আল্লাহ তাআলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বলেছেন।
তাই তিনি তাঁর পুরো জীবনে সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে এবং নবুয়তপ্রাপ্তির পরেও রাসুল সমাজে ইনসাফ ও নিষ্ঠা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। স্বয়ং মহান আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইনসাফের নির্দেশ প্রদান করেছেন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহর (বিধানাবলি পালনের) জন্য সদাপ্রস্তুত হয়ে যাও (এবং) ইনসাফের সঙ্গে সাক্ষ্যদানকারী এবং কোনো সমপ্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের ইনসাফ পরিত্যাগে প্ররোচিত না করে।
ইনসাফ অবলম্বন করো। এ পন্থাই তাকওয়ার বেশি নিকটবর্তী। এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৮)
আয়াতে ন্যায়-ইনসাফ অর্থে দুটি শব্দ এসেছে। ‘আদল ও কিসত’ যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বোঝানো হচ্ছে, সাক্ষ্যদান, বিচার-নিষ্পত্তি ও অন্য আচার-আচরণ হতে হবে সব রকম কমবেশি ও বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ির প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত একদম পরিমাণমতো মাপাজোখা। এটা বান্দার হক। শত্রু-মিত্র কারো ক্ষেত্রেই এ হক আদায়ে গড়িমসি করার সুযোগ নেই।
এমনকি আল্লাহর ঘোর দুশমন কাফের-অমুসলিমও যদি হয়, তার সঙ্গেও ন্যায়-ইনসাফ রক্ষা করা অপরিহার্য। সে আল্লাহর দুশমন এই ভাবনায় তার প্রতি বেইনসাফির আচরণ করা হলে তা হবে ইসলামী শরিয়তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এবার চিন্তা করুন, যারা আল্লাহর বন্ধুজন ও তাঁর প্রিয়পাত্র, সেই মুমিন-মুসলিমের সঙ্গে ইনসাফ রক্ষায় যত্নবান থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। (তাওজিহুল কোরআন)
নবুয়তপ্রাপ্তির আগে
নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে তিনি সমাজে ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিলফুল ফুজুল নামে একটি সংগঠন। নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা থাকার কারণে কুরাইশরা কাবার দেয়ালে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে যখন মতবিরোধে লিপ্ত, তখন নবীজি (সা.)-কে তারা বিচারক হিসেবে গ্রহণ করেন এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সকলেই ইনসাফকারী হিসেবে সন্তুষ্ট হয়। তিনি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তা সবাই এক বাক্যে মেনে নেওয়ার কথা প্রকাশ করে। অথচ নবীজির গোত্র বনু হাশিমও ফায়সালায় শরিক ছিল। তার পরও নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা রেখে তারা তাঁকে বিচারক হিসেবে গ্রহণ করে।
সবার সঙ্গে ন্যায় ও ইনসাফ
আর এই ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন সদা জাগ্রত। কারণ যে সমাজ থেকে ইনসাফ উঠে যায়, সেখানে জুলুম-নির্যাতন, অবিচার আর অনাচারের অনুপ্রবেশ ঘটে। বিভিন্ন ��র্ম ও দর্শন—সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। প্রিয় নবী ইনসাফের গুরুত্ব সাহাবাদের মনে রোপণ করে দিয়েছেন। কারণ ইনসাফহীন সমাজ ক্রমান্বয়ে বর্বর হতে থাকে। সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ থেকে যখন অনাচার-অবিচার প্রকাশ পায়, তখন তা ছড়িয়ে পড়ে অধীনস্থদের মাঝে। সে জন্য প্রিয় নবী এ ক্ষেত্রে শক্ত ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বনি ইসরাঈল তাদের গণ্যমান্য পরিবারের কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত। এবং দুর্বল কেউ চুরি করলে তারা তার হাত কেটে দিত। আল্লাহর শপথ, ফাতিমা (রা.) (যদি চুরি করে) আমি তার হাত কেটে ফেলব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৭৩৩)
একবার মাখজুম গোত্রের এক মহিলা মক্কা বিজরের সময় চুরি করেছিল। যা নিয়ে কুরাইশরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তখন তারা পরামর্শ করল যে রাসুল (সা.)-এর কাছের কোনো সাহাবার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সুপারিশ করালে হয়তো রাসুল (সা.) চুরির শাস্তি দেবেন না। সে কথা অনুযায়ী তারা রাসুলের প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-কে সুপারিশ করার জন্য নির্ণয় করল। উসমা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে সুপারিশ করলে রাসুল (সা.) রাগত স্বরে এসব কথা বলেছেন।
অমুসলিমদের সঙ্গে ইনসাফ
কথাবার্তা, চালচলন ও অন্যান্য বিষয়ে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করতেন না। অর্থাৎ মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটলে তার সত্য ও ন্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতেন এবং নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতেন। আবদুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো মুসলিমের অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করে, তাহলে সে আল্লাহর সমীপে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত থাকবেন।
আশআস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম। এটা আমার সম্পর্কেই ছিল, আমার ও এক ইহুদি ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একখণ্ড জমি ছিল। সে আমার মালিকানার অংশ অস্বীকার করে বসল। আমি তাকে নবী (সা.)-এর কাছে নিয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, তোমার কোনো সাক্ষী আছে কী? আমি বললাম, না। তখন তিনি (নবী) ইহুদিকে বলেন, তুমি কসম করো। আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, সে তো কসম করবে এবং আমার সম্পত্তি নিয়ে নেবে। তখন আল্লাহ তাআলা (এ আয়াত) নাজিল করেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রি করে... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ : ৭৭) (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২২৫৬)
রাসুল (সাঃ) এর বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল?
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
নেতৃত্ব নিয়ে
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
আল্লাহ-রাসূল সা.এর বিচার ব্যবস্থা
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
0 notes
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
আল্লাহর বিধান দ্বারা শাসন
আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ...এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নেতারা (শাসক গোষ্ঠী ও ইমামগণ) আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বিধান (ও ফায়সালা) না দেয় এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা বরণ না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাদের মাঝে গৃহদন্ধ বহাল রাখেন।
(ইবনে মাজাহ ৪০১৯, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ১০৫৫০, সহীহ তারগীব ৭৫৯)
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
ইনসাফ এমন এক মহৎ গুণ, যা মানুষকে প্রিয়ভাজন করে তুলতে সাহায্য করে। প্রিয় নবী (সা.)-এর মাঝে ইনসাফ ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের। তিনি ছিলেন ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক। আল্লাহ তাআলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বলেছেন।
তাই তিনি তাঁর পুরো জীবনে সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে এবং নবুয়তপ্রাপ্তির পরেও রাসুল সমাজে ইনসাফ ও নিষ্ঠা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। স্বয়ং মহান আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইনসাফের নির্দেশ প্রদান করেছেন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহর (বিধানাবলি পালনের) জন্য সদাপ্রস্তুত হয়ে যাও (এবং) ইনসাফের সঙ্গে সাক্ষ্যদানকারী এবং কোনো সমপ্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের ইনসাফ পরিত্যাগে প্ররোচিত না করে।
ইনসাফ অবলম্বন করো। এ পন্থাই তাকওয়ার বেশি নিকটবর্তী। এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৮)
আয়াতে ন্যায়-ইনসাফ অর্থে দুটি শব্দ এসেছে। ‘আদল ও কিসত’ যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বোঝানো হচ্ছে, সাক্ষ্যদান, বিচার-নিষ্পত্তি ও অন্য আচার-আচরণ হতে হবে সব রকম কমবেশি ও বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ির প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত একদম পরিমাণমতো মাপাজোখা। এটা বান্দার হক। শত্রু-মিত্র কারো ক্ষেত্রেই এ হক আদায়ে গড়িমসি করার সুযোগ নেই।
এমনকি আল্লাহর ঘোর দুশমন কাফের-অমুসলিমও যদি হয়, তার সঙ্গেও ন্যায়-ইনসাফ রক্ষা করা অপরিহার্য। সে আল্লাহর দুশমন এই ভাবনায় তার প্রতি বেইনসাফির আচরণ করা হলে তা হবে ইসলামী শরিয়তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এবার চিন্তা করুন, যারা আল্লাহর বন্ধুজন ও তাঁর প্রিয়পাত্র, সেই মুমিন-মুসলিমের সঙ্গে ইনসাফ রক্ষায় যত্নবান থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। (তাওজিহুল কোরআন)
নবুয়তপ্রাপ্তির আগে
নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে তিনি সমাজে ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিলফুল ফুজুল নামে একটি সংগঠন। নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা থাকার কারণে কুরাইশরা কাবার দেয়ালে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে যখন মতবিরোধে লিপ্ত, তখন নবীজি (সা.)-কে তারা বিচারক হিসেবে গ্রহণ করেন এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সকলেই ইনসাফকারী হিসেবে সন্তুষ্ট হয়। তিনি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তা সবাই এক বাক্যে মেনে নেওয়ার কথা প্রকাশ করে। অথচ নবীজির গোত্র বনু হাশিমও ফায়সালায় শরিক ছিল। তার পরও নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা রেখে তারা তাঁকে বিচারক হিসেবে গ্রহণ করে।
সবার সঙ্গে ন্যায় ও ইন��াফ
আর এই ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন সদা জাগ্রত। কারণ যে সমাজ থেকে ইনসাফ উঠে যায়, সেখানে জুলুম-নির্যাতন, অবিচার আর অনাচারের অনুপ্রবেশ ঘটে। বিভিন্ন ধর্ম ও দর্শন—সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। প্রিয় নবী ইনসাফের গুরুত্ব সাহাবাদের মনে রোপণ করে দিয়েছেন। কারণ ইনসাফহীন সমাজ ক্রমান্বয়ে বর্বর হতে থাকে। সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ থেকে যখন অনাচার-অবিচার প্রকাশ পায়, তখন তা ছড়িয়ে পড়ে অধীনস্থদের মাঝে। সে জন্য প্রিয় নবী এ ক্ষেত্রে শক্ত ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বনি ইসরাঈল তাদের গণ্যমান্য পরিবারের কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত। এবং দুর্বল কেউ চুরি করলে তারা তার হাত কেটে দিত। আল্লাহর শপথ, ফাতিমা (রা.) (যদি চুরি করে) আমি তার হাত কেটে ফেলব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৭৩৩)
একবার মাখজুম গোত্রের এক মহিলা মক্কা বিজরের সময় চুরি করেছিল। যা নিয়ে কুরাইশরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তখন তারা পরামর্শ করল যে রাসুল (সা.)-এর কাছের কোনো সাহাবার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সুপারিশ করালে হয়তো রাসুল (সা.) চুরির শাস্তি দেবেন না। সে কথা অনুযায়ী তারা রাসুলের প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-কে সুপারিশ করার জন্য নির্ণয় করল। উসমা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে সুপারিশ করলে রাসুল (সা.) রাগত স্বরে এসব কথা বলেছেন।
অমুসলিমদের সঙ্গে ইনসাফ
কথাবার্তা, চালচলন ও অন্যান্য বিষয়ে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করতেন না। অর্থাৎ মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটলে তার সত্য ও ন্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতেন এবং নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতেন। আবদুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো মুসলিমের অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করে, তাহলে সে আল্লাহর সমীপে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত থাকবেন।
আশআস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম। এটা আমার সম্পর্কেই ছিল, আমার ও এক ইহুদি ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একখণ্ড জমি ছিল। সে আমার মালিকানার অংশ অস্বীকার করে বসল। আমি তাকে নবী (সা.)-এর কাছে নিয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, তোমার কোনো সাক্ষী আছে কী? আমি বললাম, না। তখন তিনি (নবী) ইহুদিকে বলেন, তুমি কসম করো। আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, সে তো কসম করবে এবং আমার সম্পত্তি নিয়ে নেবে। তখন আল্লাহ তাআলা (এ আয়াত) নাজিল করেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রি করে... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ : ৭৭) (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২২৫৬)
রাসুল (সাঃ) এর বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল?
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
নেতৃত্ব নিয়ে
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
আল্লাহ-রাসূল সা.এর বিচার ব্যবস্থা
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
0 notes
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
আল্লাহর বিধান দ্বারা শাসন
আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ...এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নেতারা (শাসক গোষ্ঠী ও ইমামগণ) আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বিধান (ও ফায়সালা) না দেয় এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা বরণ না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাদের মাঝে গৃহদন্ধ বহাল রাখেন।
(ইবনে মাজাহ ৪০১৯, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ১০৫৫০, সহীহ তারগীব ৭৫৯)
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
ইনসাফ এমন এক মহৎ গুণ, যা মানুষকে প্রিয়ভাজন করে তুলতে সাহায্য করে। প্রিয় নবী (সা.)-এর মাঝে ইনসাফ ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের। তিনি ছিলেন ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক। আল্লাহ তাআলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বলেছেন।
তাই তিনি তাঁর পুরো জীবনে সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে এবং নবুয়তপ্রাপ্তির পরেও রাসুল সমাজে ইনসাফ ও নিষ্ঠা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। স্বয়ং মহান আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইনসাফের নির্দেশ প্রদান করেছেন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহর (বিধানাবলি পালনের) জন্য সদাপ্রস্তুত হয়ে যাও (এবং) ইনসাফের সঙ্গে সাক্ষ্যদানকারী এবং কোনো সমপ্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের ইনসাফ পরিত্যাগে প্ররোচিত না করে।
ইনসাফ অবলম্বন করো। এ পন্থাই তাকওয়ার বেশি নিকটবর্তী। এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৮)
আয়াতে ন্যায়-ইনসাফ অর্থে দুটি শব্দ এসেছে। ‘আদল ও কিসত’ যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বোঝানো হচ্ছে, সাক্ষ্যদান, বিচার-নিষ্পত্তি ও অন্য আচার-আচরণ হতে হবে সব রকম কমবেশি ও বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ির প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত একদম পরিমাণমতো মাপাজোখা। এটা বান্দার হক। শত্রু-মিত্র কারো ক্ষেত্রেই এ হক আদায়ে গড়িমসি করার সুযোগ নেই।
এমনকি আল্লাহর ঘোর দুশমন কাফের-অমুসলিমও যদি হয়, তার সঙ্গেও ন্যায়-ইনসাফ রক্ষা করা অপরিহার্য। সে আল্লাহর দুশমন এই ভাবনায় তার প্রতি বেইনসাফির আচরণ করা হলে তা হবে ইসলামী শরিয়তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এবার চিন্তা করুন, যারা আল্লাহর বন্ধুজন ও তাঁর প্রিয়পাত্র, সেই মুমিন-মুসলিমের সঙ্গে ইনসাফ রক্ষায় যত্নবান থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। (তাওজিহুল কোরআন)
নবুয়তপ্রাপ্তির আগে
নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে তিনি সমাজে ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিলফুল ফুজুল নামে একটি সংগঠন। নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা থাকার কারণে কুরাইশরা কাবার দেয়ালে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে যখন মতবিরোধে লিপ্ত, তখন নবীজি (সা.)-কে তারা বিচারক হিসেবে গ্রহণ করেন এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সকলেই ইনসাফকারী হিসেবে সন্তুষ্ট হয়। তিনি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তা সবাই এক বাক্যে মেনে নেওয়ার কথা প্রকাশ করে। অথচ নবীজির গোত্র বনু হাশিমও ফায়সালায় শরিক ছিল। তার পরও নবীজির ইনসাফের প্রতি শতভাগ আস্থা রেখে তারা তাঁকে বিচারক হিসেবে গ্রহণ করে।
সবার সঙ্গে ন্যায় ও ইনসাফ
আর এই ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন সদা জাগ্রত। কারণ যে সমাজ থেকে ইনসাফ উঠে যায়, সেখানে জুলুম-নির্যাতন, অবিচার আর অনাচারের অনুপ্রবেশ ঘটে। বিভিন্ন ধর্ম ও দর্শন—সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। প্রিয় নবী ইনসাফের গুরুত্ব সাহাবাদের মনে রোপণ করে দিয়েছেন। কারণ ইনসাফহীন সমাজ ক্রমান্বয়ে বর্বর হতে থাকে। সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ থেকে যখন অনাচার-অবিচার প্রকাশ পায়, তখন তা ছড়িয়ে পড়ে অধীনস্থদের মাঝে। সে জন্য প্রিয় নবী এ ক্ষেত্রে শক্ত ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বনি ইসরাঈল তাদের গণ্যমান্য পরিবারের কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত। এবং দুর্বল কেউ চুরি করলে তারা তার হাত কেটে দিত। আল্লাহর শপথ, ফাতিমা (রা.) (যদি চুরি করে) আমি তার হাত কেটে ফেলব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৭৩৩)
একবার মাখজুম গোত্রের এক মহিলা মক্কা বিজরের সময় চুরি করেছিল। যা নিয়ে কুরাইশরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তখন তারা পরামর্শ করল যে রাসুল (সা.)-এর কাছের কোনো সাহাবার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সুপারিশ করালে হয়তো রাসুল (সা.) চুরির শাস্তি দেবেন না। সে কথা অনুযায়ী তারা রাসুলের প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-কে সুপারিশ করার জন্য নির্ণয় করল। উসমা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে সুপারিশ করলে রাসুল (সা.) রাগত স্বরে এসব কথা বলেছেন।
অমুসলিমদের সঙ্গে ইনসাফ
কথাবার্তা, চালচলন ও অন্যান্য বিষয়ে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করতেন না। অর্থাৎ মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটলে তার সত্য ও ন্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতেন এবং নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতেন। আবদুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো মুসলিমের অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করে, তাহলে সে আল্লাহর সমীপে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত থাকবেন।
আশআস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম। এটা আমার সম্পর্কেই ছিল, আমার ও এক ইহুদি ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একখণ্ড জমি ছিল। সে আমার মালিকানার অংশ অস্বীকার করে বসল। আমি তাকে নবী (সা.)-এর কাছে নিয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, তোমার কোনো সাক্ষী আছে কী? আমি বললাম, না। তখন তিনি (নবী) ইহুদিকে বলেন, তুমি কসম করো। আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, সে তো কসম করবে এবং আমার সম্পত্তি নিয়ে নেবে। তখন আল্লাহ তাআলা (এ আয়াত) নাজিল করেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রি করে... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ : ৭৭) (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২২৫৬)
রাসুল (সাঃ) এর বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল?
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার যেমন ছিল
নেতৃত্ব নিয়ে
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
আল্লাহ-রাসূল সা.এর বিচার ব্যবস্থা
নবী (সা.)-এর ন্যায়বিচার
ইনসাফ
Justice of the Prophet (PBUH)
0 notes