#পার্থক্য
Explore tagged Tumblr posts
Text
ভালো ও দক্ষ মানুষের মাঝে পার্থক্য আছে : রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভালো ও দক্ষ মানুষের মাঝে পার্থক্য আছে, শুধু দক্ষ হলে হবে না ভালো মানুষও হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক। আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাত্তোর যে অগ্রগতি চাকা চালনা…
View On WordPress
#অধ্যক্ষ#পার্থক্য#প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক#ভালো ও দক্ষ মানুষ#ভালো ও দক্ষ মানুষের মাঝে পার্থক্য আছে#রাজশাহী কলেজ#রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ
0 notes
Text
https://mathgr.com/grpost.php?grtid=3
ম্যাট্রিক্স ও নির্ণায়ক এর মধ্যে পার্থক্য কী?, ব্যাতিক্রমী ও অব্যাতিক্রমী ম্যাট্রিক্স কী?, বর্গ ম্যাট্রিক্সের বিপরীত ম্যাট্রিক্স কী?, বর্গ ম্যাট্রিক্সের অ্যাডজয়েন্ট কী?, বিপরীত ম্যাট্রিক্সের বৈশিষ্ট কী?, অর্থোগোনাল ম্যাট্রিক্স কী?, একঘাত সমীকরণ জোট ও এর সমাধান কী?, ক্রেমারের নিয়মে একঘাত সমীকরণ জোটের সমাধান কী?, তিন চলকবিশিষ্ট একঘাত সমীকরণ জোটের সমাধান বিপরীত ম্যাট্রিক্সের সাহায্যে একঘাত সমীকরণ জোটের সমাধান কী?, বর্গ ম্যাট্রিক্সের ট্রেস কী?, Defference between Matrix and Determinant, Singular and Non-Singular Matrix, Inverse Matrix of a Square Matrix, Adjoint of a Square Matrix, Properties of Inverse Matrix, Orthogonal Matrix, System of linear equations and it's solution, Solution of system of linear equations using cramer's rule, Solution of system of linear equations using inverse myatrix, Trace of Square Matrix
#ম্যাট্রিক্স ও নির্ণায়ক এর মধ্যে পার্থক্য কী?#ব্যাতিক্রমী ও অব্যাতিক্রমী ম্যাট্রিক্স কী?#বর্গ ম্যাট্রিক্সের বিপরীত ম্যাট্রিক্স কী?#বর্গ ম্যাট্রিক্সের অ্যাডজয়েন্ট কী?#বিপরীত ম্যাট্রিক্সের বৈশিষ্ট কী?#অর্থোগোনাল ম্যাট্রিক্স কী?#একঘাত সমীকরণ জোট ও এর সমাধান কী?#ক্রেমারের নিয়মে একঘাত সমীকরণ জোটের সমাধান কী?#তিন চলকবিশিষ্ট একঘাত সমীকরণ জোটের সমাধান বিপরীত ম্যাট্রিক্সের সাহায্যে একঘাত সমীকরণ জোটের#বর্গ ম্যাট্রিক্সের ট্রেস কী?#Defference between Matrix and Determinant#Singular and Non-Singular Matrix#Inverse Matrix of a Square Matrix#Adjoint of a Square Matrix#Properties of Inverse Matrix#Orthogonal Matrix#System of linear equations and it's solution#Solution of system of linear equations using cramer's rule#Solution of system of linear equations using inverse myatrix#Trace of Square Matrix
0 notes
Text
#নগ্নবীজী#নগ্নবীজী উদ্ভিদ#নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য#নগ্নবীজী উদ্ভিদ এর উদাহরণ#নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদের পার্থক্য-
1 note
·
View note
Text
সম্পত্তির মালিকানা কীসে, মিউটেশন না রেজিস্ট্রেশন? সঠিক না জানলেই ঠকবেন!
কলকাতা: সম্পত্তি কেনাবেচা একটি জটিল প্রক্রিয়া। গুচ্ছ গুচ্ছ নথিপত্রের প্রয়োজন। এর মধ্যে জমির রেজিস্ট্রেশন যেমন থেকে তেমনই গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তির মিউটেশন। এটা মূলত রেজিস্ট্রেশনের পর করতে হয়, কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। রিয়েল এস্টেটের কারবারিরা বলেন, মিউটেশনই সম্পত্তির মালিকানা ঠিক করে দেয়। সম্পত্তির মিউটেশন কী: সম্পত্তির মিউটেশন হল, নতুন মালিকের নামে টাইটেল হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। এতে…
View On WordPress
#Mutation#Property#Property Mutation#Property Registration#registration#কলকাতা কর্পোরেশন#বাড়ির রেজিস্ট্রেশন#মিউটেশন#মিউটেশন ও রেজিস্ট্রেশনের পার্থক্য#সম্পত্তি
0 notes
Text
"𝙼𝚊𝚢𝚋𝚎 𝚝𝚑𝚒𝚜 𝚠𝚘𝚛𝚕𝚍 𝚒𝚜 𝚊𝚗𝚘𝚝𝚑𝚎𝚛 𝚙𝚕𝚊𝚗𝚎𝚝'𝚜 𝚑𝚎𝚕𝚕."
~ 𝙰𝚕𝚍𝚘𝚞𝚜 𝙷𝚞𝚡𝚕𝚎𝚢
মায়াং। চারপাশে রাইবন দিয়ে ঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর এক জায়গা। অসীম এক বিস্তৃত অবনি জুড়ে জায়গাটা ঠিক কোথায় স্বয়ং মায়াংবাসীরাও জানে না। পুরোটাই জল, অদৃশ্য জলে টইটুম্বুর নীলচে এক জগৎ। পায়ের তলায় কোমল ঘাসের ডগা, বৃক্ষের সবুজ নরম পাতা, মাথার উপরে ঈষৎ নীলচে টলটলে জলময় আসমান। সবকিছু ভীষণ মায়ামাখা।
নদীশ্বরী এই জগতের স্রষ্টা। অনেক যত্ন করে তিনি তৈরী করেছেন এই জগত ও জগতের প্রত্যেক প্রাণীকে। প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে ছিল নদীশ্বরীর নিখুঁত পরিকল্পনা। সবশেষে নদীশ্বরী সৃষ্টি করেছিলেন ভীষণ সংবেদনশীল এক কোমল প্রাণী, মৃগ। মায়াং এর শুদ্ধতম প্রাণী এই মৃগ। যে প্রাণীকে নদীশ্বরী দিয়েছিলেন সর্বাধিক স্বাধীনতা। আর নদীশ্বরীর অনেক আদুরে এই সৃষ্টিকে হত্যা করেই অভিশপ্ত হয় এক কিশোরী। শাস্তিস্বরূপ করতে হয় নরক যাত্রা। প্রাণ নেওয়া এবং দেওয়ার মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে পারার পরেই খণ্ডন হবে যে শাপ। প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ।
জলবিহঙ্গম বিউসেরাসের পিঠে চড়ে পরিবার, প্রিয় ডোডো পাখি, পরিচিত জগত, নিজের শৈশবকে পেছনে ফেলে পারি জমাতে হয় নরকে। যেখানের রৌদ্রতেজে শরীর গলে যায়। প্রকৃতপক্ষেই নরক। এতোকিছুর পরেও নরকের গিয়ে কিশোরী জড়িয়ে পরে সৃষ্টিজগতের সবথেকে শুদ্ধতম বন্ধনে। আচ্ছা এইসব কিছুই কী পূর্ব নির্ধারিত ছিল?
গল্পটা এই শুদ্ধতম অনুভূতির, মিলনের, যা পাওয়ার জন্য আলো অন্ধকার দু'দিকের পথই মাড়িয়ে আসতে হয়। যে মিলনের প্রতিটা গল্প���র কোণায় রচনা হয় একটি করে বিসর্জনের গল্প। গল্পটা একজন মৃগয়ার, স্রষ্টাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে যাকে গ্রহণ করতে হয় নির্বাসিত জীবন। এবং সবশেষে গল্পটা সৃষ্টি ও স্রষ্টার।
মৃগয়া তে দুইটা ওয়ার্ল্ড রয়েছে। একটা হচ্ছে প্রাইমারি ওয়ার্ল্ড আরেকটা সেকেন্ডারি ওয়ার্ল্ড। সংক্ষেপে প্রাইমারি ওয়ার্ল্ড হলো আমাদের পরিচিত এই চেনাজানা জগত আর সেকেন্ডারি ওয়ার্ল্ড হলো লেখক যে জগতটা নিজস্ব কল্পনাশক্তির মাধ্যমে ভিন্নভাবে তৈরী করেছেন। মায়াং হলো এই বইয়ের সেকেন্ডারি ওয়ার্ল্ড।
মায়াং এর কোনো মানচিত্র বইয়ে না থাকলেও লে��ক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়গুলো এতো বিস্তারিতভাবে লিখেছেন যে খুব সহজেই মায়াং এর ভৌগলিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। মায়াং এর সবথেকে ক্ষমতাধর স্থান ইথেমপেলি; যেখানে প্রকট হন নদীশ্বরী। এছাড়াও পুরো মায়াং এ জল সরবরাহ ব্যবস্থারও রয়েছে নিজস্ব ভিন্ন এক পদ্ধতি। মায়াং এ সময় খুবই ধীরে প্রবাহিত হয় কালডোরার প্রভাবে; বৃক্ষরা ঘুমালেই অতিক্রান্ত হয় দিন, যার কারণে মায়াং এর প্রকৃত সময় কারো জানা নেই। পুরো বই জুড়েই ছিল এসব ডিটেইলিং। ভিন্ন জগত হওয়ার পাশাপাশি এই জগতের রয়েছে ভিন্ন ধরনের বাসিন্দা। মায়াল, থোমন, কালখাটুস, ঔশ্যাল, খৌম, রেভান যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এরকম খুঁটিনাটি বর্ণনা দিয়ে লেখক চমৎকার ভাবে ওয়ার্ল্ড বিল্ডিং করেছেন এবং এই ভিন্ন ওয়ার্ল্ডের সম্পূর্ণ ম্যাকানিজমটা পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। ফলে ভিজুয়ালাইজ করতে বেগ পেতে হয়নি।
অন্যদিকে প্রাইমারি ওয়ার্ল্ডে নতুন বিবাহিত দম্পতি আজিজ ও সায়রা৷ এই ওয়ার্ল্ডের কাহিনিও মায়াং এর কাহিনির পাশাপাশি সমান্তরালভাবে এগিয়েছে। এই ওয়ার্ল্ডের বেশ কিছু বিষয় শুরুদিকে বেশ ঘোলাটে ও অতিপ্রাকৃত লাগলেও সময়ের সাথে সাথে তা খোলাসা হয়েছে। আজিজ ও সায়রার পাশাপাশি আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো মনসুর। এই চরিত্রের কর্মকাণ্ড, সেক্সুয়াল ডিজায়ার অনেকের কাছে সস্তা, থার্ড ক্লাস লাগতে পারে তবে এখানে বুঝতে হবে মনসুরের মাইন্ডসেট। তার মাইন্ডসেট অনুযায়ী, তার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এসবই ঠিক আছে। এছাড়া বইয়ে একটা বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুবই স্বল্প পরিসরে পুলিশ ইনভেস্টিগেশনের বর্ণনা দেওয়া আছে, এই অংশটা অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় লাগতে পারে কিন্তু এই অংশেরও প্রয়োজন ছিল, তা পাঠক একটু সচেতনভাবে পড়লেই ধরতে পারবে বলে আশা করা যায়।
পুরো বইয়েই এতো সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম ডিটেইলিং রয়েছে যে তাড়াহুড়ো করে পড়লে অনেক কিছুই মিস হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকবে। শেষে গিয়ে অনেকে কিছু জিনিস রিলেট নাও করতে পারেন। কেননা ধড়মড়িয়ে পড়ে যাওয়ার মতো বই এটা না। এই বইটা পড়ার সময় একটু মনোযোগী হতেই হবে। বইয়ে কিছু জিনিস লেখক সরাসরি বলে দেননি; বলে না দিলেও সচেতন পাঠক মাত্রই সেই বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন।
ফ্যান্টাসি বই হলেও গতানুগতিক ধাঁচের থেকে ভিন্ন এর প্লট। সবমিলিয়ে উপভোগ্য একটা সময় কেটেছে মৃগয়ার সাথে। ফ্যান্টসির ভক্ত না হলেও সকল ধরনের পাঠকদেরই হয়তো ভালো লাগবে এই সৃষ্টি ও স্রষ্টার গল্প।
লেখক সাখাওয়াত হোসেন দীর্ঘদিন যাবত অনলাইনে লেখালেখি করলেও তার কোনো লেখাই আমার আগে পড়া হয়নি। ফলে লেখকের লেখনী সম্পর্কে কোনোরকম ধারণা ছিল না। কিন্তু বইটা পড়তে গিয়ে মুগ্ধ হলাম লেখকের গদ্যশৈলীতে। বাংলা শব্দের খেলার ছড়াছড়ি ছিল বইয়ে। যথাযথ শব্দচয়ন, বাক্যগঠনের মাধ্যমে লেখক পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছেন নীলচে আলোময় মায়াবী এক জগতকে।
বইয়ে বানান ভুল ছিল না তেমন। থাকলে দুই একটা টাইপো থাকতে পারে, আমার চোখে পড়েনি। দুই যায়গায় নাম বিভ্রাট রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে লেখক অবগত, পরবর্তী মুদ্রণে ঠিক করা হবে ভুলগুলো। বইয়ের প্রচ্ছদ নিয়ে বলতে গেলে, প্রচ্ছদটাও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে; প্রচ্ছদে যেন প্রতিফলিত হচ্ছে এক টুকরো মায়াং। বইয়ের প্রোডাকশন ও বেশ ভালো। পাঠক হিসেবে বইয়ের দামটা অনেক বেশিই মনে হয়েছে। তবে প্রতিটা প্রকাশনীরই নিজস্ব পলিসি রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে আর কিছু বলার নেই।
মৌলিক ফ্যান্টাসি নিয়ে আমাদের দেশে আগে খুব বেশি কাজ না হলেও বিগত বছরগুলো থেকেই মোটামুটি ফ্যান্টাসির পালে হাওয়া লেগেছে। আর এই মৌলিক ফ্যান্টাসিতে আরেকটা দারুণ সংযোজন হলো "মৃগয়া।" এই বইটা আসলে আরো পাঠক, আরো আলোচনার দাবিদার।
রিভিউয়ার - কাজী হাসান জামিল
বইয়ের নাম: মৃগয়া
লেখক: সাখাওয়াত হোসেন
জনরা: ফ্যান্টাসি নভেল
প্রকাশনী: পেন্ডুলাম প্রকাশনী
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০২৩
প্রচ্ছদশিল্পী: পেন্ডুলাম টিম
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩০৪ পৃষ্ঠা
মুদ্রিত মূল্য: ৫৯০ টাকা
#bibliophile#book photography#book blog#book review#bookish#books#books & libraries#bookworm#fantasy#novel#bangladesh#bangla book#bangla fantasy#literature#bangla literature#literary fiction#literary masterpiece
2 notes
·
View notes
Text
প্রেম করা আর প্রেম হওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে ।
#being bengali#spilled ink#spilled love#desi love#desiblr#desi tumblr#me#desi teen#desi academia#love#quotations#txt#bengali#bengali me#desi girl#dark aesthetic
6 notes
·
View notes
Text
জীবন খাতার শুন্য পাতা বেহিসাবি রয়ে যাবে!
লাইফের একটা সময়ে এসে নিজেকে একটা কথা বুঝাতে ক্লান্ত হয়েছি যে, আসলে আমি একা! আমাকে বুঝার মত এত আহামরি কেউ নেই। আমার উদ্ভট ভালোবাসাগুলোর অংশ জুড়ে এমন কেউ নেই! যে আমাকে আমার মত করে ভালো রাখবে। তবুও আমি গল্পের মত স্বপ্ন দেখতাম। কেউ হাত ধরবে, পাশে বসবে। অগোছালো আমাকে গুছিয়ে দিবে। বিশ্বাস করুন! আমার লাইফে এমন আহামরি কোনো অধ্যায় আসেনি।
রোজ ��াতে যে অবয়বটা আমাকে কাঁদায়! আদৌ কী সে আমাকে মনে রেখেছে! খুব করে জানতে ইচ্ছে হয়, আমার গভীরতা জোড়ে যার বসবাস! সে এখন কার সাথে সংসার করে। এমন তেত্রিশটা কোশ্চেন আমি জমা করে রেখেছি! হয়ত একদিন মুখোমুখি হবো! প্রশ্ন করতে গিয়ে থেমে যাবো। ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করা অব্দি কনভার্শেসন হবে। তারপর….তুমি নতুন স্বপ্ন নিয়ে রাস্তা পাড়ি দিতে ব্যস্ত হয়ে পরবে। আর আমি নতুন মানুষের খোঁজে। কিছু 'না' বলা কথাগুলো কিন্তু ভয়ংকর হয়! যা বললে স্বাভাবিক মনে হলেও, অস্বাভাবিকের মত স্বাভাবিক। দু'জন মানুষ একে অপরের হয়ে থাকাটা কিন্তু সাংঘাতিক একটা বিষয়। কারণ এখানে উভয়েই উভয়কে "ছাড়" দিয়ে চলতে হয়। আমরা কোনো কাপলকে একসাথে দীর্ঘদিন ধরে দেখলে বলি, হ্যাপি ফ্যামেলি। তারমানে কি তাদের ঝগড়া হয় না? আমার মতে হ্যাপি ফ্যামেলি মানে হলো একে অপরকে রেসপেক্ট করার পাশাপাশি ছাড় দিয়ে চলা। কিন্তু আমি আমার লাইফে এমন কাউকে পাইনি। আমার বিষণ্ণতা জুড়ে যার বসবাস, সে মানুষটা একমাত্র আমি। কারণ আমি যখন আমাকে ভালোবেসেছি, তখন থেকে আমি ঠকিনি, কাঁদিনি, মন খারাপ করিনি। প্রত্যেকটা মানুষের লাইফে একজন নিজস্ব মানুষ থাকে। আর সেই মানুষটা হলো একমাত্র তুমি। কারণ রোজ সকালে আয়নায় তুমি যাকে দেখো! সে আর তোমার মধ্যে একটা পার্থক্য হলো, তুমি কথা বলতে পারো, কষ্ট ভুলতে পারো, মনের ভাব প্রকাশ করতে পারো, হাসতে পারো; কিন্তু সে পারে না।
3 notes
·
View notes
Text
ক্যামেরায় ধরা পড়া অবিশ্বাস্য ভয়ংকর ভূতের ঘটনা ! সাহস থাকলে একা দেখুন | Bangla Bhuter Golpo
ভূতের কথা শোনা সবার চোখের প্রতি দিকে কিছুটা অবাক উত্তরণ করে। এটি সাধারণভাবে মানুষদের ভীতির সূত্রে আসে, এমনকি স্বর্ণসমূহ অবশ্যই স্পষ্ট দেখা যায় না। তবে, কিছু মানুষ অবিশ্বাস এবং মিথ্যা ঘটনার মাধ্যমে এদের সান্ত্বনা বা ডাকতার মত ব্যবহার করে
Watch Our Video
youtube
অবিশ্বাস্য ভীতিজনক ঘটনাগুলি আমাদের ভূতের সাথে যুক্ত হয়ে থাকে। এগুলি সাধারণভাবে অমানবিক ঘটনা যেমন আত্মার দরকার বা ভূতের সাথে যুক্ত মূর্তির সম্পর্কে থাকে। এই ঘটনাগুলি সাম্প্রতিক কারণে পুরাতন ভূতের চোখে আসতে পারে এবং এগুলির পার্থক্য আমাদের মধ্যে এক ক্ষণের জন্য সৃষ্টি করতে পারে।
এই অবিশ্বাস্য ভূতের ঘটনাগুলির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল আত্মা বা ভূতের দরকারের ঘটনা। মানসিক বা শারীরিক অস্তিত্ব থেকে যে কারনে এই ঘটনাগুলি ঘটতে পারে তা সহায়ক করতে সম্ভাবনা রয়েছে। বহুজন মনে করেন যে ভূত বা আত্মা এই ঘটনাগুলির পরে দেখা যায়, কিন্তু এই ধরণের ঘটনাগুলির বিজ্ঞানগত প্রমাণ
অনেকেই ভূতের ঘটনা নিরাপদে নিতে আসা বলে মনে করেন, কিন্তু বিশ্বাস তাদের প্রাণে অভ্যন্তরীণ অবস্থায় নেয়। অবিশ্বাস্য এবং ভয়ংকর ভূতের ঘটনাগুলি পৃথিবীর প্রান্তিক থেকে প্রান্তিকে ��ুনানীত হয়ে থাকে। এগুলি চমৎকার ভাবনা, অদ্ভুত সত্য এবং রহস্যে ভরপুর। এই অদ্ভুত ভূতের ঘটনাগুলি মানবজাতির মতো অমূল্য সম্পদ, যা অবশ্যই আমাদের মন্তব্য এবং পরিস্থিতির ব্যাখ্যা প্রয়োজন করে।
ভূতের ঘটনাগুলির মধ্যে অজানা উপায়ে যেতে মানুষকে আত্মঘাতী ধারনা দেওয়া হয়, কেউ কেউ এই ভীতিতে পড়ে। বিজ্ঞান এবং তত্ত্বের মাধ্যমে এই ভুতের ঘটনাগুলির পেছনে অবজ্ঞান ও মিথ্যা বের করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনো ভূতের ঘটনার মূল্যায়ন করা কখনও সহজ নয়। যে ঘটনাগুলি বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠান প্রমাণিত হয়, সেগুলি সামান্য সামান্য ঘটনার ভেতরে লুকিয়ে থাকতে পারে যা এখনও নিয়মিত ভাবে ব্যক্ত হয়নি।
অবিশ্বাস্য ভয়ংকর ভূতের ঘটনাগুলির একটি উদাহরণ হল অজ্ঞাতনামা চরমঙ্গল। এটি একটি অদ্ভুত অপরাধের ঘটনা, যেটি বহুতকাল ধরে আবদ্ধ করেছে মানুষের মনে। চরমঙ্গল ঘটনাটি এতটুকু বিদ্যমান যে, এই ঘটনার মূল কারণ বুঝা অসম্ভব। প্রাচীন সময়ে, মানুষ এই ঘটনাটির পার্শ্বপর্যাপ্ত ব্যাখ্যা না পেয়া গিয়ে বিশ্বাস করেছে যে এটি অতিরিক্ত প্রাকৃতিক শক্তির প্রতীক।
অবিশ্বাস্য ভয়ংকর ভূতের ঘটনাগুলি যে ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়, তা সাধারণভাবে নয়। এগুলি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যেগুলি মানুষের বুদ্ধিমত
#সার্চইঞ্জিন_SearchEngine#26#ক্যামেরায় ধরা পড়া ৫ টি ভয়ংকর ভূতের ভিডিও#ক্যামেরাবন্দি ভূত#ভৌতিক রহস্য#ক্যামেরায় ধরা পড়া ভৌতিক ঘটনা#গ্রাম বাংলার ভূতের গল্প#bengali audio story horror new#gram banglar bhuter golpo audio story#scary stories#সিসি ক্যামেরায় ধরা পরা ভূত#bhoot fm#ভূত fm#ভূত এফ এম#mayajaal#ghosts caught on camera#সত্যি কারের ভুত#সি সি টিভি ফুটেজ#ক্যামেরায় ধরা পড়া অবিশ্বাস্য ভয়ংকর ভূতের ঘটনা ! সাহস থাকলে একা দেখ��ন | Bangla Bhuter Golpo#1#ভৌতিক ঘটন#Youtube
2 notes
·
View notes
Text
"প্রাণীদের তাদের মালিকদের সাথে সংযোগের আন্তরিক মুহূর্ত" "Animals' Heartfelt Moments of Connection with Their Owners"
youtube
dog emotional story , Persian cat , Read more
"কুকুর ইমোশনাল স্টোরি" হল একটি মর্মস্পর্শী এবং মর্মস্পর্শী আখ্যান যা কুকুরদের সমৃদ্ধ এবং জটিল আবেগময় জীবনকে তুলে ধরে। গল্পের এই সংকলনটি অটুট আনুগত্য এবং সীমাহীন আনন্দ থেকে শুরু করে গভীর সহানুভূতি এবং স্বস্তিদায়ক সান্ত্বনা পর্যন্ত বিস্তৃত আবেগ অনুভব করার জন্য কুকুরের অসাধারণ ক্ষমতাকে তুলে ধরে।
সংগ্রহের মধ্যে প্রতিটি গল্প একটি কুকুরের একটি অনন্য আবেগময় যাত্রার একটি আভাস দেয়, যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর সাথে গভীর সংযোগ স্থাপনের তাদের সহজাত ক্ষমতা প্রকাশ করে। কষ্টের সময়ে কুকুরের অটল সাহচর্যের গল্প হোক বা মানুষের দয়ার অঙ্গভঙ্গির প্রতি তাদের হৃদয়স্পর্শী প্রতিক্রিয়া, এই আখ্যানগুলি কুকুরের আবেগময় জগতের বহুমুখী প্রকৃতিকে আলোকিত করে।
এই হৃদয়স্পর্শী গল্পগুলির মাধ্যমে, "কুকুরের আবেগঘন গল্প" কুকুর আমাদের জীবনে যে আবেগের গভীরতা এবং সত্যতা নিয়ে আসে তা প্রদর্শন করে। এটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে কুকুরগুলি কেবল পোষা প্রাণী নয়, তবে আমাদের পরিবারের লালিত স��স্য, গভীর মানসিক সমর্থন দিতে এবং আমাদের মানবিক অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম। এই সংগ্রহটি মানুষ এবং কুকুরের মধ্যে অনন্য বন্ধন উদযাপন করে, তাদের অটল ভালবাসার স্থায়ী প্রভাব এবং তারা আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে এমন অসংখ্য উপায়ে জোর দেয়
"ডগ মোটিভেশনাল স্টোরি" হল আখ্যানগুলির একটি অনুপ্রেরণাদায়ক সংগ্রহ যা কুকুরের অসাধারণ যাত্রাকে স্পটলাইট করে কারণ তারা চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করে, স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করে এবং মানুষের জন্য প্রেরণামূলক পাঠ হিসাবে কাজ করে এমন গুণাবলীকে মূর্ত করে। এই সংকলনের প্রতিটি গল্প কুকুরেরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিয়ে আসা অটুট চেতনা এবং সংকল্প প্রদর্শন করে।
রেসকিউ কুকুরের গল্প থেকে যারা সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়লাভ করে এমন পরিষেবা কুকুরের বিবরণ যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অমূল্য সহায়তা প্রদান করে, বইটি কুকুরদের অনুপ্রাণিত এবং উন্নীত করার অসাধারণ ক্ষমতার উপর জোর দেয়। তাদের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে, কুকুররা সাহস, অভিযোজন, আনুগত্য এবং সহানুভূতির মতো গুণাবলীর উদাহরণ দেয়, মূল্যবান জীবনের পাঠ দেয় যা পাঠকদের সাথে অনুরণিত হতে পারে।
"ডগ মোটিভেশনাল স্টোরি" এর আখ্যানগুলি কুকুর আমাদের জীবনে যে সহজাত ইতিবাচকতা এবং শক্তি নিয়ে আসে তা উদযাপন করে। তাদের অধ্যবসায়, পার্থক্য তৈরি এবং আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তুলে ধরে, গল্পগুলি পাঠকদের তাদের নিজস্ব জীবনযাত্রায় অনুরূপ গুণাবলী গ্রহণ করতে উত্সাহিত করে। সংগ্রহটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে জীবনের চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে, আমরা আমাদের চার পায়ের সহচরদের অবিশ্বাস্য গল্প থেকে অনুপ্রেরণা এবং প্রেরণা পেতে পারি। আপনি একজন কুকুর প্রেমিক হোক না কেন উন্নতির গল্প খুঁজছেন বা কেউ তাদের জীবনকে ইতিবাচকতার সাথে ঢেলে দিতে চাইছেন, "ডগ মোটিভেশনাল স্টোরি" বর্ণনার একটি আকর্ষণীয় সংগ্রহ অফার করে যা স্থিতিস্থাপকতা এবং সংকল্পের শক্তির উদাহরণ দেয়।
একটি বিড়াল পোষার কাজ একটি সাধারণ মিথস্ক্রিয়া ছাড়িয়ে অনেক দূরে প্রসারিত; এটি বিড়াল এবং এই আরামদায়ক অঙ্গভঙ্গিতে জড়িত ব্যক্তি উভয়ের জন্য ইতিবাচক প্রভাবের আধিক্য নিয়ে আসে। একটি বিড়াল পোষা অক্সিটোসিনের নিঃসরণকে ট্রিগার করে, "ভাল-ভাল" হরমোন, শিথিলতা প্রচার করে এবং মানুষ এবং বিড়াল উভয়ের মধ্যে চাপের মাত্রা হ্রাস করে। এই শারীরিক সংযোগটি এন্ডোরফিন উত্পাদনকেও উদ্দীপিত করে, একটি উন্নত মেজাজ এবং সামগ্রিক সুস্থতার অনুভূতিতে অবদান রাখে।
শারীরবৃত্তীয় সুবিধার বাইরেও, একটি বিড়াল পোষা উভয়ের মধ্যে মানসিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে, বিশ্বাস, সাহচর্য এবং সংযোগের গভীর অনুভূতি বৃদ্ধি করে। এই পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া সান্ত্বনা প্রদান করে, একাকীত্বের অনুভূতি হ্রাস করে এবং বিড়াল এবং তার মানব সঙ্গ��� উভয়ের জন্য জীবনের সামগ্রিক গুণমানকে উন্নত করে।
উপরন্তু, একটি বিড়াল পোষা একটি মননশীল অভ্যাস হতে পারে, মুহূর্তে উপস্থিতি প্রয়োজন এবং দৈনন্দিন চাপ থেকে একটি থেরাপিউটিক পরিত্রাণ হিসাবে পরিবেশন করা। নিয়মিত পেটিং সেশনগুলি ঘুমের গুণমান উন্নত করতে অবদান রাখতে পারে, কারণ এই মিথস্ক্রিয়া দ্বারা প্ররোচিত শিথিলতা বিশ্রামের ঘুমের মধ্যে নিয়ে যায়।
সংক্ষেপে, একটি বিড়ালকে পোষার কাজটি বিড়াল এবং তার মানব প্রতিপক্ষ উভয়ের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা উভয়ই উন্নত করার একটি সহজ তবে শক্তিশালী উপায়। এটি বন্ধনকে লালন করে, সান্ত্বনা দেয় এবং মানুষ এবং তাদের বিড়াল সঙ্গীদের মধ্যে ভাগ করা গভীর সংযোগের একটি বাস্তব অভিব্যক্তি প্রদান করে।
বা
বা
ফার্সি বিড়াল, কমনীয়তা এবং করুণার প্রতীক, একটি স্বতন্ত্র এবং লালিত জাত হিসাবে দাঁড়িয়েছে। এর স্বাক্ষর দীর্ঘ, প্রবাহিত কোট যা রঙ এবং নিদর্শনগুলির একটি অ্যারেতে আসে, পারস্য বিড়াল তার আকর্ষণীয় সৌন্দর্যে হৃদয়কে মোহিত করে। তার বড়, অভিব্যক্তিপূর্ণ চোখ এবং সমতল মুখের জন্য স্বীকৃত, এই জাতটি একটি অনন্য মুখের গঠন নিয়ে গর্ব করে যা এর কবজ যোগ করে।
তার শারীরিক আকর্ষণের বাইরে, পার্সিয়ান বিড়ালটি একটি মৃদু এবং স্নেহপূর্ণ মেজাজের অধিকারী যা বিশ্বব্যাপী বিড়াল উত্সাহীদের কাছে এটিকে পছন্দ করে। প্রাচীন পারস্য থেকে উদ্ভূত, এখন ইরান, এই বিড়ালগুলির একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে যা কয়েক শতাব্দী আগেকার। তাদের রাজকীয় উপস্থিতি এবং শান্ত আচরণ তাদের আভিজাত্যের মধ্যে প্রিয় করে তোলে এবং 1600 এর দশকে তাদের জনপ্রিয়তা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।
পার্সিয়ান বিড়ালের শান্ত স্বভাব এটিকে গৃহমধ্যস্থ জীবনযাপনের জন্য উপযুক্ত করে তোলে, যেখানে এটি নির্মল পরিবেশে বিকাশ লাভ করে। যাইহোক, এর লম্বা কোট এর সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং জট রোধ করতে নিয়মিত সাজের দাবি রাখে। যদিও তাদের স্বতন্ত্র চেহারা মনোযোগ আকর্ষণ করে, এটি তাদের স্নেহময় প্রকৃতি এবং আনুগত্য যা লালন সহচর হিসাবে তাদের মর্যাদাকে দৃঢ় করে।
সারমর্মে, পার্সিয়ান বিড়াল চাক্ষুষ কমনীয়তা এবং মানসিক সাহচর্য উভয়ই ধারণ করে। এর অত্যাশ্চর্য চেহারা এবং নির্মল আচার-আচরণ এটিকে পরিবারের একজন প্রিয় সদস্য করে তোলে, যারা এই সূক্ষ্ম বিড়ালের সাথে তাদের জীবন ভাগ করে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ভাগ্যবানদের আরাম, সৌন্দর্য এবং একটি স্থায়ী বন্ধন প্রদান করে।
"Dog Emotional Story" is a poignant and touching narrative that delves into the rich and complex emotional lives of dogs. This collection of stories highlights the extraordinary capacity of dogs to experience a wide range of emotions, from unwavering loyalty and boundless joy to profound empathy and comforting solace.
Each story within the collection offers a glimpse into a unique emotional journey of a dog, revealing their innate ability to form deep connections with humans and other animals. Whether it's a tale of a dog's unwavering companionship during times of hardship or their heartwarming response to human gestures of kindness, these narratives illuminate the multifaceted nature of a dog's emotional world.
Through these heart-touching stories, "Dog Emotional Story" showcases the emotional depth and authenticity that dogs bring to our lives. It serves as a reminder that dogs are not just pets, but cherished members of our families, capable of offering profound emotional support and enriching our human experiences. This collection celebrates the unique bond between humans and dogs, emphasizing the lasting impact of their unwavering love and the myriad ways in which they touch our hearts.
"Dog Motivational Story" is an inspiring collection of narratives that spotlight the remarkable journeys of dogs as they overcome challenges, exhibit resilience, and embody qualities that serve as motivational lessons for humans. Each story within this compilation showcases the unwavering spirit and determination that dogs bring to various situations.
From stories of rescue dogs who triumph against all odds to accounts of service dogs that provide invaluable support to individuals with disabilities, the book underscores the extraordinary capacity of dogs to motivate and uplift. Through their actions, dogs exemplify qualities such as courage, adaptability, loyalty, and empathy, offering valuable life lessons that can resonate with readers.
The narratives within "Dog Motivational Story" celebrate the innate positivity and strength that dogs bring into our lives. By highlighting their ability to persevere, make a difference, and spread joy, the stories encourage readers to adopt similar qualities in their own life journeys. The collection serves as a reminder that amidst life's challenges, we can find inspiration and motivation from the incredible stories of our four-legged companions. Whether you're a dog lover seeking uplifting tales or someone looking to infuse their life with positivity, "Dog Motivational Story" offers a compelling collection of narratives that exemplify the power of resilience and determination.
The act of petting a cat extends far beyond a simple interaction; it brings a plethora of positive effects for both the cat and the person engaging in this comforting gesture. Petting a cat triggers the release of oxytocin, the "feel-good" hormone, promoting relaxation and reducing stress levels in both humans and cats. This physical connection also stimulates the production of endorphins, contributing to an improved mood and an overall sense of well-being.
Beyond the physiological benefits, petting a cat strengthens the emotional bond between the two, fostering trust, companionship, and a deep sense of connection. This mutual interaction provides comfort, lessens feelings of loneliness, and enhances the overall quality of life for both the cat and its human companion.
Additionally, petting a cat can be a mindful practice, requiring presence in the moment and serving as a therapeutic escape from daily stresses. Regular petting sessions can contribute to improved sleep quality, as the relaxation induced by these interactions carries over into restful sleep.
In essence, the act of petting a cat is a simple yet powerful way to enhance both the physical and emotional well-being of both the cat and its human counterpart. It nurtures the bond, offers comfort, and provides a tangible expression of the profound connection shared between humans and their feline companions.
The Persian cat, an epitome of elegance and grace, stands out as a distinct and cherished breed. With its signature long, flowing coat that comes in an array of colors and patterns, the Persian cat captivates hearts with its striking beauty. Recognized for its large, expressive eyes and flat face, this breed boasts a unique facial structure that adds to its charm.
Beyond its physical allure, the Persian cat possesses a gentle and affectionate temperament that endears it to cat enthusiasts worldwide. Originating from ancient Persia, now Iran, these cats have a rich history that dates back centuries. Their regal presence and calm demeanor made them favorites among nobility, and their popularity spread to Europe in the 1600s.
The Persian cat's tranquil disposition makes it well-suited for indoor living, where it thrives in serene environments. However, its long coat demands regular grooming to maintain its beauty and prevent tangles. While their distinctive appearance draws attention, it's their affectionate nature and loyalty that solidify their status as cherished companions.
In essence, the Persian cat encapsulates both visual elegance and emotional companionship. Its stunning appearance and serene demeanor make it a beloved member of households, offering comfort, beauty, and a lasting bond to those fortunate enough to share their lives with this exquisite feline.
#dog lover#persian cat#petting cat#emotional dog#cat price in bd#dog lover bd#cat lover bd#perswian cat in bd#kataban cat#Youtube
2 notes
·
View notes
Text
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-��মান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও ��খিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনু��, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়��ত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি ��িজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
#ঈমান এবং কুফর#Belief#Imaan#Faith and Disbelief#Disbelief#ঈমান#ইমান#কুফর#Iman#DisBelief#Shirk#শিরক#Youtube
0 notes
Text
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
#ঈমান এবং কুফর#Belief#Imaan#Faith and Disbelief#Disbelief#ঈমান#ইমান#কুফর#Iman#DisBelief#Shirk#শিরক#Youtube
0 notes
Text
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বা�� স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফ���রের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
#ঈমান এবং কুফর#Belief#Imaan#Faith and Disbelief#Disbelief#ঈমান#ইমান#কুফর#Iman#DisBelief#Shirk#শিরক#Youtube
0 notes
Text
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
#ঈমান এবং কুফর#Belief#Imaan#Faith and Disbelief#Disbelief#ঈমান#ইমান#কুফর#Iman#DisBelief#Shirk#শিরক#Youtube
0 notes
Text
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লা���র ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
#ঈমান এবং কুফর#Belief#Imaan#Faith and Disbelief#Disbelief#ঈমান#ইমান#কুফর#Iman#DisBelief#Shirk#শিরক#Youtube
0 notes
Text
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান ও কুফর
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
ঈমান অর্থ আস্থা, বিশ্বাস, প্রত্যয়, প্রতিজ্ঞা। ঈমান বলতে একক অদ্বিতীয় আল্লাহকে বিশ্বাস করা বোঝায়। আর কুফর হলো অস্বীকার, অবিশ্বাস ও অমান্যতার নাম। পরিভাষায়, এক আল্লাহয় অবিশ্বাস ও অমান্যতাকে কুফর বলে।
ইমান এর পূর্ণ অর্থ কি?
ইমান (আরবি: إِيمَان, ʾīmān, lit. 'বিশ্বাস' বা 'বিশ্বাস', এছাড়াও 'স্বীকৃতি ') ইসলামী ধর্মতত্ত্বে ইসলামের ধর্মীয় দিকগুলিতে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস এবং কর্মের স্বীকৃতিকে বোঝায়। এর সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হল বিশ্বাসের ছয়টি প্রবন্ধে বিশ্বাস, যা আরকান আল-ইমান নামে পরিচিত।
ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কি?
ঈমানের ছয়টি মৌলিক স্তম্ভের প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ হলো মহান আল্লাহর ওপর ঈমান তথা বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়।
ঈমানের ফল কি?
ইমানের ফল : ইমান মানুষের মনে আল্লাহর আনুগত্য ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। ইমানের ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়। একজন মানুষ ইমানদার হলে তার মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের ভয় থাকবে। একজন মুমিন ব্যক্তি সদা সত্য কথা বলবেন।
ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি?
ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ ।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
ইমান হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলোর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। আর ইসলাম হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যা কিছু আদেশ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করার নাম।
কুফর বলতে কি বুঝায়?
কাফির (আরবি: كافِر) একটি আরবি শব্দ, যা আরবি কুফর (আরবি: َكَفَر) ধাতু থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুফর ঈমানের বিপরীত।
ঈমান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বানায়। পক্ষান্তরে কুফর মানুষকে হতভাগ্য ও দুর্ভাগা বানায়। ঈমান মানুষকে আলোর পথ দেখায়, আর কুফর মানুষকে অন্ধকারের পথে পরিচালিত করে। ঈমানের শেষ পরিণাম জান্নাত আর কুফরের চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নাম।
আমাদের উচিত ঈমানের পথে পরিচালিত হওয়া, কুফরের পথ পরিহার করা। আসুন, কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে নিই।
ঈমানের উপকারিতা
ঈমান হলো আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তার ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসুল, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা (মুসলিম, হাদিস : ১)
এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কার্যে পরিণত করা।
যে ব্যক্তি এমনটা করবে সে মুমিন বলে স্বীকৃত হবে। সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ ঘোষিত বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে।
পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ায় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কলুষমুক্ত, স্বচ্ছ-সফেদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবনের উত্তারাধিকারী হবে। আল্লাহ পকিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে, অবশ্যই আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব।
(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
বেশির ভাগ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে ‘হায়াতে তাইয়্যিবা’ বলতে দুনিয়ার স্বাচ্ছন্দ্যময় পবিত্র জীবনকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরেফুল কোরআন : ১৪৪৬)
নিজ কর্মে দৃঢ়তা ও অবিচলতা অর্জন : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। কাজকর্মে অবিচলতা ও অটলতা অর্জন করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভে ধন্য হয়। ঈমানহারা মানুষ প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন দিশাহারা হয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে, ঈমানদাররা তখন আল্লাহ বিশ্বাসের কারণে তাড়না ও হতাশামুক্ত জীবনের তাওফিক পায়। আবার কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নে এবং কিয়ামতের বিভীষিকায়ও আল্লাহ তাআলার নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে এবং দৃঢ়তা অর্জন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ২৭)
দুনিয়ার জীবনে বরকতপ্রাপ্তি : ঈমানের কারণে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে বরকত লাভ করবে, প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বরকত বলতে শুধু কোনো কিছুর আধিক্য বোঝায় না; বরকত হচ্ছে কোনো কিছু নিয়মিত থাকা। ঈমানের কারণে ব্যক্তি আসমান ও জমিনের বরকত লাভে ধন্য হয়। সঠিক সময়ে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করে আর জমিন থেকে মনঃপূত জিনিস উৎপন্ন হয়। সুরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আর যদি সেই সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অব��ম্বন করত তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ একমাত্র ঈমানের কারণে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের এই বরকত পেতে পারে।
আল্লাহর নিরাপত্তা লাভে ধন্য হওয়া : আল্লাহর নিরাপত্তাই প্রকৃত নিরাপত্তা। সেই ব্যক্তি ধন্য, যে তা লাভ করবে। ঈমানদাররা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার আজাব, গজব, শাস্তি ও বিভীষিকা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে একমাত্র ঈমানের ওপর অটল থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
শত্রুদের থেকে হেফাজত থাকবে : ঈমানের কারণে আল্লাহ তাআলা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখবেন। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করেন।’ (সুরা : হাজ, আয়াত : ৩৮)
চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাত অর্জন : ঈমানের চূড়ান্ত পরিণাম হলো, ঈমান ব্যক্তিকে চিরকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করাবে। যারা ঈমান আনবে, আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতে বসবাসের সুযোগ করে দেবেন। অনন্তকালের জন্য সুখের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের শুভ সংবাদ দিন যে তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’
(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫)
কুফরের ভয়াবহতা
কুফর অর্থ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলতে বোঝায় আল্লাহ, তার রাসুল ও ঈমানের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাসের অবিদ্যমানতা। কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর অবাধ্য বানায় এবং জাহান্নামের উপযুক্ত করে। কোরআনে এসেছে, ‘তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৫)
সংকীর্ণ জীবনের অধিকারী হওয়া : মনুষ্যজীবনে কুফর এমন এক অভিশাপের নাম, যার কারণে আল্লাহ ব্যক্তির জীবন সংকীর্ণ করে দেন। দুনিয়াবি আসবাব আর ধন-সম্পদ পরিপূর্ণ থাকার পরও মনে হবে, যেন কিছুই নেই। মনের স্বস্তি ও শান্তি উবে যাবে। কোনো কিছুতেই মন ভরবে না। চারদিক থেকে সংকীর্ণতা জেঁকে বসবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত আর আমরা তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪)
সংঘাতময় অশান্ত পৃথিবী : কুফর এমন একটি খারাপ কর্ম, যার কারণে মানুষ নিজ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তার ওপর এমন কিছু অপবাদ আরোপ করে, যা তার সত্তার সঙ্গে যায় না। তখন আল্লাহর গোসসা ও ক্রোধ এতটাই বেড়ে যায় যে আসমান-জমিন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়। তবে আল্লাহ তার অনুগ্রহে পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। কোরআনে এসেছে, ‘আর তারা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ, যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, আর জমিন খণ্ডবিখণ্ড এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।’
(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৮৮-৯০)
কুফর ব্যক্তিকে দয়ামায়াবঞ্চিত করে : পৃথিবীকে সংঘাতময়, বসবাসের অনপুযোগী করার দায়ভার একমাত্র কুফরের। আল্লাহর ওপর অবিশ্বাসীরাই দুনিয়াকে অশান্ত করার পেছনে একমাত্র দায়ী। তাই কাফেরের প্রতি দুনিয়ার কোনো সৃষ্টজীবের মায়া থাকে না। তাদের কষ্টে ও ধ্বংসে কেউ ব্যথিত হয় না। কাঁদে না। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করেনি এবং তাদের অবকাশও দেওয়া হয়নি।’
(সুরা : দুখান, আয়াত : ২৯)
আল্লাহর ঘৃণা ও আজাবের উপযুক্ত করে : কুফর ব্যক্তিকে আল্লাহর ঘৃণা ও আজাব-গজবের উপযুক্ত করে। দুনিয়ায় যত জাতি ধ্বংস হয়েছে, তারা নিজেদের পাপ ও কুফরির কারণে ধ্বংস হয়েছে। পরকালে যারা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে, তারাও কুফরের কারণে শাস্তির সম্মুখীন হবে। দুনিয়ায় বালা-মুসিবত নাজিলের কারণ মানুষের কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুকর্মের ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নির্ভয় হয়েছে যে আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করবেন না অথবা তাদের ওপর আসবে না শাস্তি এমনভাবে যে তারা উপলব্ধিও করবে না। অথবা চলাফেরাকালে তিনি তাদের পাকরাও করবেন না? আর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৫,৪৬)
অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে : কিয়ামতের সফলতা প্রকৃত সফলতা, আর সেদিনের ব্যর্থতা প্রকৃত ব্যর্থতা। কুফর ব্যক্তিকে সেদিন অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি করে। তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যর্থ করে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা হবে সেই সব লোক, যারা নিজেদের ধ্বংস ও ক্ষতি নিজেরাই করেছে, কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯)
কুফরের চূড়ান্ত পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম : কুফর কাফেরকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, যা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় তাদের থাকবে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর আপনি যদি সেই অবস্থা দেখতেন, যখন ফেরেশতারা তাদের রুহ কবজ করার সময় তাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করেন।’
(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫০)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ঈমানের উপকারিতা এবং কুফরের ভয়াবহতা
#ঈমান এবং কুফর#Belief#Imaan#Faith and Disbelief#Disbelief#ঈমান#ইমান#কুফর#Iman#DisBelief#Shirk#শিরক#Youtube
0 notes
Text
Annual exam special model test 1 class 7 math 2024
Annual exam special model test 1 class 7 math 2024
গণিত সময় : ৩ ঘণ্টা সপ্তম শ্রেণি পূর্ণমান : ১০০ ক বিভাগ : নৈর্ব্যক্তিক (২৫ নম্বর) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : (সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ) ১ × ১৫ = ১৫ ১. কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ কাজ হয় কোন সংখ্যা পদ্ধতিতে? (ক) অক্টাল (খ) পূর্ণসংখ্যা (গ) দশমিক (ঘ) বাইনারি ২. ০ থেকে ১৫ পর্যন্ত দশমিক সংখ্যা প্রকাশে বাইনারিতে সর্বনিম্ন কত বিট প্রয়োজন? (ক) ৩ (খ) ৪ (গ) ৫ (ঘ) ৬ ৩. নিচের তথ্যগুলো লক্ষ করো ------------ i. বহুভুজের বাহুর সমান সংখ্যক শীর্ষবিন্দু থাকে ii. বহুভুজের বাহুর সংখ্যা অসীম হলে শীর্ষবিন্দুর সংখ্যাও অসীম হবে iii. অসীম সংখ্যক বাহু বা শীর্ষবিন্দু বিশিষ্ট বাহুভুজ বৃত্তে পরিণত হয় নিচের কোনটি সঠিক? (ক) i ও ii (খ) ii ও iii (গ) i ও iii (ঘ) i, ii ও iii ৪. ব্যাস ও ব্যাসার্ধের মধ্যে সম্পর্ক কোনটি? (ক) ব্যাস ব্যাসার্ধের চেয়ে ছোটো (খ) ব্যাস ব্যাসার্ধের চেয়ে বড় (গ) ব্যাস ব্যাসার্ধের অর্ধেক (ঘ) ব্যাসার্ধ ব্যাসের দ্বিগুণ ৫. ৪ মিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট কোনো আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ১২ বর্গমিটার হলে, এর প্রস্থ কত? (ক) ২ মিটার (খ) ৩ মিটার (গ) ৪ মিটার (ঘ) ১২ মিটার ৬. কোনো বাক্সের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা যথাক্রমে x মিটার, y মিটার এবং z মিটার হলে, বাক্সটির আয়তন কত? (ক) xyz ঘন মিটার (খ) x2yz ঘন মিটার (গ) xy2z ঘন মিটার (ঘ) xyz2 ঘন মিটার ৭. ব্যাসার্ধ 2 গুণ করলে বেলনের আয়তনের কীরূপ পরিবর্তন হয়? (ক) আয়তন 2 গুণ হয় (খ) আয়তন 4 গুণ হয় (গ) আয়তন অর্ধেক হয় (ঘ) আয়তন অপরিবর্তিত থাকে ৮. সমবৃত্তভূমিক বেলনের ভূমির ব্যাসার্ধ 3 সেমি এবং উচ্চতা 7 সেমি হলে এর বক্রতলের ক্ষেত্রফল কত? (ক) 131.95 বর্গ সেমি (খ) 188.50 বর্গ সেমি (গ) 197.95 বর্গ সেমি (ঘ) 395.84 বর্গ সেমি ৯. ইট কোন আকৃতির? (ক) ঘনবস্তু আকৃতির (খ) সিলিন্ডার আকৃতির (গ) ত্রিভুজ আকৃতির (ঘ) ট্রাপিজিয়াম আকৃতির ১০. a = b হলে, b = a হবে। এই পদ্ধতিটির নাম কী? (ক) যোগের বর্জন বিধি (খ) গুণের বর্জন বিধি (গ) আড়গুণন বিধি (ঘ) প্রতিসাম্য বিধি Class 7 math annual exam part 5 ১১. কোনো শ্রেণিকক্ষের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৫৭ জন এবং একদিন উপস্থিত শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯১৫ জন হলে ঐ দিনে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত? (ক) ৪০ (খ) ৪২ (গ) ৩৮ (ঘ) ১৮৭২ ১২. 2x2 + x - 10 = 0 সমীকরণে চলক কয়টি? (ক) 1টি (খ) 2টি (গ) 3টি (ঘ) 4টি ১৩. কোন ধরনের তথ্য গাণিতিক সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায় না? (ক) সংখ্যাসূচক তথ্য (খ) পরিমাণগত তথ্য (গ) বিচ্ছিন্ন তথ্য (ঘ) বর্ণনামূলক তথ্য ১৪. অবিচ্ছিন্ন তথ্যের মূল বৈশিষ্ট্য কোনটি? (ক) এর মান স্থির নয় (খ) এর মান সর্বদা স্থির (গ) এর মান অপরিবর্তনশীল (ঘ) এর মান পরিবর্তনশীল নয় ১৫. নিচের কোনটিতে বৃত্তকে ত্রিকোণাকৃতিতে ভাগ করে শতকরা দ্বারা প্রকাশ করে তথ্যকে উপস্থাপন করা হয়? (ক) স্তম্ভলেখে (খ) রেখাচিত্রে (গ) আয়তলেখে (ঘ) পাইচিত্রে এককথায় উত্তর দাও : ১ × ১০ = ১০ ১৬. দুই হাতের দশটি আঙ্গুল ব্যবহার করে বাইনারিতে সর্বোচ্চ কোন সংখ্যাটি পাওয়া যাবে? ১৭. কোন বিজ্ঞানী π এর আসন্ন মান নির্ণয় করেন? ১৮. কত সালে আমেরিকায় জাতীয়ভাবে পাই দিবস’ কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়? ১৯. 6x3 এবং 12x2 এর সবচেয়ে বড়ো সাধারণ উৎপাদক কত? ২০. একটি ট্রাপিজিয়ামের সমান্তরাল বাহুদ্বয়ের দৈর্ঘ্য 7 সেমি ও 9 সেমি এবং উচ্চতা 2 সেমি হলে, ট্রাপিজিয়ামটির ক্ষেত্রফল কত বর্গ সেমি? ২১. আয়তাকার ঘনবস্তুর মাত্রাগুলো দ্বারা আবদ্ধ ক্ষেত্রকে কী বলা হয়? ২২. x - 3 = 5 সমীকরণটির মূল কত? ২৩. 2x = 10 সমীকরণকে 2 দ্বারা ভাগ করলে কী পাওয়া যাবে? ২৪. যে সকল তথ্যকে গাণিতিক সংখ্যায় প্রকাশ করা যায় তাকে কী বলে? ২৫. কোন ধরনের তথ্যের মাঝে সংখ্যাবাচক কোনো কিছু থাকে না? খ বিভাগ : সংক্ষিপ্ত ও রচনামূলক (৭৫ নম্বর) ১। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ২ × ১৩ = ২৬ (ক) BINARY কে বাইনারি কোডে রূপান্তরিত করো। (খ) আরিফের কাছে বেশ কিছু কলম রয়েছে। সে কলমের সাহ��য্যে বাইনারি সংখ্যা গণনা করতে চায়। যদি তার কাছে ৫টি কলম থাকে তবে সে সর্বোচ্চ কত বাইনারি সংখ্যা পর্যন্ত গণনা করতে পারবে এবং দশমিকে তার মান কত? (গ) একটি বৃত্তাকৃতি পার্কের ব্যাস ও পরিধির পার্থক্য 90 মিটার। পার্কটির ব্যাসার্ধ নির্ণয় করো। (ঘ)
বৃত্তটির গাঢ় চিহ্নিত অংশটির ক্ষেত্রফল কত? (ঙ)
উপরে উল্লিখিত রাশিগুলোর গসাগু ও লসাগু নির্ণয় করো। (চ) a2 - 7a + 12, a2 + a - 20, a2 + 2a - 15 - এর লসাগু নির্ণয় করো। (ছ) একটি বাক্সের প্রতিটি ধার 4.25 সেমি। বাক্সটির সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল ও আয়তন নির্ণয় করো। (জ) চিত্রটির সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করো।
(ঝ)
১নং লাঠিটির দৈর্ঘ্য ২নং লাঠির দৈর্ঘ্য অপেক্ষা 4 মিটার বেশি হলে ২নং লাঠির দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো। (ঞ) কোনো ত্রিভুজের উচ্চতা ভূমির 2 গুণ এবং ত্রিভুজটির ক্ষেত্রফল 9 বর্গমিটার হলে ভূমি ও উচ্চতা নির্ণয় করো। (ট) ঢাকা শহরের মে মাসের তাপমাত্রা (ডিগ্রি সেলসিয়াস) নিচে দেওয়া হলো : ২০, ১৮, ১৪, ২১, ১১, ১৪, ১২, ১০, ১৫, ১৮, ১২, ১৪, ১৬, ১৫, ১২, ১৪, ১৮, ২০, ২২, ৯, ১১, ১০, ১৪, ১২, ১৮, ২০, ২২, ২৫, ২২, ১৪, ২৫। প্রদত্ত উপাত্তের শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয় করো। (ঠ) রাজশাহী শহরের জুন মাসের তাপমাত্রা (ডিগ্রি সেলসিয়াস) নিচে দেওয়া হলো। ২০, ১৮, ১৪, ২১, ১১, ১৪, ১২, ১০, ১৫, ১৮, ১২, ১৪, ১৬, ১৫, ১২, ১৪, ১৮, ২০, ২২, ৯, ১১, ১০, ১৪, ১২, ১৮, ২০, ২২, ২৫, ২২, ১৪, ২৫। শ্রেণিসংখ্যা ৪ ধরে প্রদত্ত উপাত্তের গণসংখ্যা সারণি তৈরি করো। (ড) এঞ্জেল, সুমিত, নিপা ও মিনতি কস্তার পরিবারের সদস্যদের ওজন (কেজিতে) নিম্নরুপ : ৩০.২, ৮.৫, ১১.৬, ৪৫, ৩২.৮, ৬৫.৩, ৩৮.৪, ৪৮.৬, ৫৫.৫, ২৬.৯, ৪০.৮, ১৭.৬, ২২.৩, ৬৮.২, ৪৮.৫, ৫৬, ৬২, ৩৬.৪, ৬৭.৩, ৫২.৮। শ্রেণিব্যাপ্তি ১০ ধরে প্রদত্ত উপাত্তের শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয় করো। রচনামূলক প্রশ্ন (দৃশ্যপটনির্ভর) : (১০টি থেকে ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৭) ৭ × ৭ = ৪৯ ২। কৃষ্টি ও পিয়াল একদিন স্কুলে টিফিন বাবদ উভয়ে যথাক্রমে ৩১ ও ২০ টাকা খরচ করল। (ক) কৃষ্টির খরচের সংখ্যাকে হাতের সাহায্যে বাইনারিতে প্রকাশ করো। ৩ (খ) কৃষ্টি ও পিয়ালের সর্বমোট খরচকে বাতির সাহায্যে বাইনারিতে প্রকাশ করো। ৪ ৩। প্রত্যেকটি ক্যারামের গুটির ব্যাস 25 মি.মি. এবং স্ট্রাইকারের ব্যাসার্ধ 26 মি.মি.। (ক) গুটির পরিধি কত? ৩ (খ) স্ট্রাইকারের ক্ষেত্রফল কত? ২ (গ) গুটির ক্ষেত্রফল কত? ২ ৪। দুটি বৃত্তের মধ্যে প্রথম বৃত্তটির পরিধি 12.56 সেমি এবং দ্বিতীয় বৃত্তটির ক্ষেত্রফল 78.5 বর্গ সেমি। (ক) বৃত্তের পরিধি কাকে বলে? ১ (খ) প্রথম বৃত্তটির ব্যাসার্ধ কত? ৩ (গ) দ্বিতীয় বৃত্তটির ব্যাস নির্ণয় করো। ৩ ৫। P = a2 - 7a + 6, Q = a2 - 2a + 1, R = a2 - 5a + 4 এবং S = ax2 + (a2 - 1)x - a চারটি বীজগণিতীয় রাশি। (ক) S কে উৎপাদকে বিশ্লেষণ কর। ২ (খ) Q এর উৎপাদক নির্ণয় করো। ২ (গ) P, Q, R এর গ.সা.গু. নির্ণয় কর। ৩ ৬। একটি আয়তাকার বাগানের দৈর্ঘ্য 50 মি. এবং প্রস্থ 30 মি.। বাগানের ভিতরের চারিদিকে 3 মিটার চওড়া রাস্তা আছে। রাস্তাবাদে বাগানের পরিসীমায় বেড়া দিতে প্রতি মিটারে 30 টাকা খরচ হয়। (ক) রাস্তার ক্ষেত্রফল নির্ণয় করো। ৩ (খ) রাস্তাবাদে বাগানের পরিসীমায় বেড়া দিতে প্রয়োজনীয় খরচ নির্ণয় করো। ৪ ৭। স্কেল দিয়ে মেপে 21 cm দৈর্ঘ্য ও 12 cm প্রস্থ বিশিষ্ট দুটি কাগজের টুকরা কেটে নাও। এবার কাগজের টুকরার একটিকে দৈর্ঘ্য বরাবর এবং অপরটিকে প্রস্থ বরাবর রোল বা গোল করে পাকিয়ে দুটি সমবৃত্তভূমিক বেলন বা সিলিন্ডার তৈরি করো। (ক) দৈর্ঘ্য বরাবর রোল পাকিয়ে উৎপন্ন সিলিন্ডারের বক্রতলের ক্ষেত্রফল ও আয়তন নির্ণয় করো। ৩ (খ) প্রস্থ বরাবর রোল পাকিয়ে উৎপন্ন সিলিন্ডারের বক্রতলের ক্ষেত্রফল ও আয়তন নির্ণয় করো। ৪ ৮। রাহাত ও রেজোয়ান এমন দুইটি সংখ্যা নির্বাচন করলো যাদের যোগফল ৩১। রাহাতের নির্বাচিত সংখ্যাটি রেজোয়ানের নির্বাচিত সংখ্যার দ্বিগুণ অপেক্ষা ১ বেশি। তারা তাদের নির্বাচিত সংখ্যা গোপন রাখে। রাহাত বললো তাদের নির্বাচিত সংখ্যার পার্থক্য 11”। (ক) রাহাত ও রেজোয়ানের নির্বাচিত সংখ্যা নির্ণয় করো? ৩ (খ) তুমি কি রাহাতের সাথে একমত? যুক্তি সহকারে মন্তব্য করো। ২ (গ) এমন একটি সংখ্যা নির্ণয় করতে করো যে সংখ্যাটি রাহাতের সংখ্যার ��িনগুণ হতে 5 কম। ২ ৯। একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য এর প্রস্থ অপেক্ষা 3 মিটার বেশি এবং ক্ষেত্রটির ক্ষেত্রফল 10 বর্গমিটার। আয়তক্ষেত্রটির চারদিকে বেড়া দিতে প্রতি মিটারে 100 টাকা খরচ হয়। (ক) উদ্দীপকের আলোকে সমীকরণ গঠন করে এর আদর্শ আকার লেখ। ২ (খ) আয়তক্ষেত্রটির দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো। ২ (গ) আয়তক্ষেত্রেটির চারদিকে বেড়া দিতে মোট কত টাকা লাগবে তা নির্ণয় করো? ৩ ১০। একটি কারখানার ৪০ জন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি (টাকায়) দেওয়া হলো : ৭২০, ৫৫০, ৬৩০, ৭০০, ৬৫০, ৫০০, ৮৫০, ৬৫০, ৭৫০, ৫৭৫, ৬৮০, ৯২০, ৬৫০, ৮২০, ৯৩০, ৯৯০, ৭৬০, ৮৪০, ৬৫০, ৫৮০, ৯০০, ৮৪০, ৭৬০, ৮৫০, ৯৫০, ৫৫০, ৯৯০, ৭৬০, ৮২০, ৮৯০, ৯৭৫, ৬৭৫, ৬৯০, ৭৫০, ৯৪০, ৬৫০, ৭৪০, ৮৬০, ৮৭৫, ৯৮০। (ক) উপা���্তের পরিসর নির্ণয় করো। ২ (খ) ৫৫০ - ৫৯৯, ৬০০ - ৬৪৯, ৬৫০ - ৬৯৯, ...... শ্রেণিগুলোর শ্রেণিব্যাপ্তি কত? ২ (গ) 'খ’ এ প্রাপ্ত শ্রেণিব্যাপ্তি অনুসারে উপাত্তের শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয় করো। ৩ ১১। সাপ্তাহিক পরীক্ষায় গণিত বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর নিচের সারণিতে দেওয়া হলো : নম্বর ০ - ১০ ১০-২০ ২০ - ৩০ ৩০ - ৪০ ৪০ - ৫০ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ ৭ ১২ ৬ ২ (ক) শ্রেণিকক্ষে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত? ১ (খ) কতজন শিক্ষার্থী ২০ এর কম নম্বর পেয়েছে? ৩ (গ) ২০ বা তার বেশি এবং ৪০ এর কম নম্বর পেয়েছে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত? ৩ Read the full article
0 notes