#নির্দেশনা
Explore tagged Tumblr posts
Text
হত্যা মামলার আসামিদের বিষয়ে যে নির্দেশনা পেলেন ওসিরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া হত্যা ও অন্য মামলায় আসামিদের প্রাথমিক তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলে তাদের নাম প্রত্যাহার করা হবে। এছাড়া সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া এসব মামলায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। গত মঙ্গলবার (১০ স��প্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ডিআইজি (কনফিডেন্��িয়াল) মো. কামরুল আহসান স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি…
0 notes
Text
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা হজ যাত্রীদের
টপ নিউজ ডেক্স: ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভিসার আবেদন করার জন্য হজ যাত্রীদের পাসপোর্ট হজ অফিসে জমা দিতে হবে না বলে। ২০২৩ সালের হজ যাত্রী, হজ এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য রোববার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, সৌদি সরকার হজ যাত্রীদের ভিসার আবেদন লজমেন্টের ক্ষেত্রে চালু করেছে নতুন নিয়ম । এই নিয়ম অনুসারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে…
View On WordPress
0 notes
Video
youtube
টয়লেটে প্রবেশের আগে ও পরের দোয়া || toilet theke ber hobar dua || peshab ...
#youtube#টয়লেট দোয়া#প্রবেশের আগে দোয়া#টয়লেট থেকে বের হওয়ার দোয়া#দোয়া টয়লেট ব্যবহারের জন্য#টয়লেট প্রবেশ ও প্রস্থানের দোয়া#ইসলামী দোয়া টয়লেট#বাথরুমে ঢোকার দোয়া#Bathroom er doa Bangla#Toilet entrance dua in Bangla#বাথরুমে প্রবেশের দোয়া এবং বাহির হওয়ার দোয়#টয়লেট আদব#ইসলামী শিষ্টাচার#কিবলা সম্মান#টয়লেট ব্যবহার নিয়ম#ইসলামে কিবলার প্রতি সম্মান#শৌচাগারের শিষ্টাচার#টয়লেট কিবলা নির্দেশনা#ইসলামী আদব কিবলা সম্মান
0 notes
Text
0 notes
Text
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
বন্ধুত্ব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সবার জীবনেই এমন একজন থাকে যাকে সে নিজের একেবারে কাছের মনে করে, মনের সব কথা খুলে বলে। তবে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা জরুরি। কারণ ভালো বন্ধু জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে, মন্দ বন্ধু জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।’ (সুরা তাওবা, আয়াত, ১১৯)
এই আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সত্যবাদীদের সাহচর্য এবং তাদের মতো আমলের মাধ্যমেই তাকওয়া লাভ হয়। আর এভাবেই কেউ ধ্বংস থেকে মুক্তি পেতে পারে। প্রতিটি বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারে। (ইবনে কাসীর)
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ কেয়ামতের দিন আরশের ছায়া দান করবেন, যেদিন তার ঐ ছায়া ছাড়া আর অন্য কোন ছায়া থাকবে না; এর মধ্যে সেই দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব স্থাপন করে এবং এই বন্ধুত্বের উপরেই তারা মিলিত হয় ও তারই উপর বিচ্ছিন্ন (পরলোকগত) হয়। (বুখারী ৬৬০, মুসলিম ১০৩১)
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
সৎসঙ্গী আর অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৎসঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে, আতর বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের ন্যায়। আতর বিক্রেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করলে কখনও তাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয় তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার থেকে সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার থেকে দুর্গন্ধ পাবে।’ (বুখারি : ২১০)।
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
কোনো ভাল মানুষ যদি অসৎকর্মের লোকদের সাথে চলাফেরা করে তবে কিয়ামতের দিন তাকেও তাদের কাতারে দাঁড়াতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক করে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠে। অতএব তোমাদের প্রত্যেকের বিবেচনা করে দেখা উচিত যে, সে কার সাথে বন্ধুত্ব কায়েম করছে।’(তিরমিজি, ২৩৭৮)
আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’
এ বিষয়ে আরেক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কর্মকে পছন্দ করল, কেয়ামতের দিন সে তাদের দলভূক্ত হয়েই উত্থিত হবে এবং সেও তাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে, যদিও সে নিজে তা করেনি।’ (কানযুল ‘উম্মাল,২৪৭৩০)।
অসৎ বন্ধু সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
এই আয়াত থেকে জানা যায়, যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রাখা ঠিক নয়। কারণ, মানুষ সৎ সঙ্গে ভালো ও অসৎ সঙ্গে খারাপ হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষের পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ অসৎ বন্ধু ও খারাপ সঙ্গীদের সাথে উঠা বসা। তাই পবিত্র কোরআনে সৎ সঙ্গী গ্রহণ এবং অসৎ সঙ্গী বর্জন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাই বন্ধু হিসেবে ভাল মানুষ না পাওয়া গেলে সহচর গ্রহণ না করে একাকী চলা উত্তম। এই বিষয়ে একটি হাদিসে এসেছে, ‘হজরত আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’ (মুসান্নাফু ইবন আবী শায়বাহ, ৩৫৯৬৫, আল মুসতাদরাক আলাস সাহীহায়ন,- ৫৪৬৬)
রাসুল (সাঃ) বন্ধু নির্বাচনে যে নির্দেশনা দিয়েছেন।
youtube
youtube
অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব!!!-- ইসলাম কি বলে?
youtube
জান্নাতে যেতে সঠিক বন্ধু নির্বাচন |
youtube
ইসলামে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা (অলা এবং বারা)
youtube
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি, হিন্দুদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি,
youtube
কাফেরের সাথে বন্ধুত্ব
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
#friendship#বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা#Choosing Friends In Islam#Islamic Guidance On Choosing Friends#Youtube
0 notes
Text
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
বন্ধুত্ব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সবার জীবনেই এমন একজন থাকে যাকে সে নিজের একেবারে কাছের মনে করে, মনের সব কথা খুলে বলে। তবে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা জরুরি। কারণ ভালো বন্ধু জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে, মন্দ বন্ধু জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।’ (সুরা তাওবা, আয়াত, ১১৯)
এই আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সত্যবাদীদের সাহচর্য এবং তাদের মতো আমলের মাধ্যমেই তাকওয়া লাভ হয়। আর এভাবেই কেউ ধ্বংস থেকে মুক্তি পেতে পারে। প্রতিটি বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারে। (ইবনে কাসীর)
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ কেয়ামতের দিন আরশের ছায়া দান করবেন, যেদিন তার ঐ ছায়া ছাড়া আর অন্য কোন ছায়া থাকবে না; এর মধ্যে সেই দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব স্থাপন করে এবং এই বন্ধুত্বের উপরেই তারা মিলিত হয় ও তারই উপর বিচ্ছিন্ন (পরলোকগত) হয়। (বুখারী ৬৬০, মুসলিম ১০৩১)
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
সৎসঙ্গী আর অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৎসঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে, আতর বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের ন্যায়। আতর বিক্রেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করলে কখনও তাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয় তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার থেকে সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার থেকে দুর্গন্ধ পাবে।’ (বুখারি : ২১০)।
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
কোনো ভাল মানুষ যদি অসৎকর্মের লোকদের সাথে চলাফেরা করে তবে কিয়ামতের দিন তাকেও তাদের কাতারে দাঁড়াতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক করে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠে। অতএব তোমাদের প্রত্যেকের বিবেচনা করে দেখা উচিত যে, সে কার সাথে বন্ধুত্ব কায়েম করছে।’(তিরমিজি, ২৩৭৮)
আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’
এ বিষয়ে আরেক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কর্মকে পছন্দ করল, কেয়ামতের দিন সে তাদের দলভূক্ত হয়েই উত্থিত হবে এবং সেও তাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে, যদিও সে নিজে তা করেনি।’ (কানযুল ‘উম্মাল,২৪৭৩০)।
অসৎ বন্ধু সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
এই আয়াত থেকে জানা যায়, যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রাখা ঠিক নয়। কারণ, মানুষ সৎ সঙ্গে ভালো ও অসৎ সঙ্গে খারাপ হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষের পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ অসৎ বন্ধু ও খারাপ সঙ্গীদের সাথে উঠা বসা। তাই পবিত্র কোরআনে সৎ সঙ্গী গ্রহণ এবং অসৎ সঙ্গী বর্জন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাই বন্ধু হিসেবে ভাল মানুষ না পাওয়া গেলে সহচর গ্রহণ না করে একাকী চলা উত্তম। এই বিষয়ে একটি হাদিসে এসেছে, ‘হজরত আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’ (মুসান্নাফু ইবন আবী শায়বাহ, ৩৫৯৬৫, আল মুসতাদরাক আলাস সাহীহায়ন,- ৫৪৬৬)
রাসুল (সাঃ) বন্ধু নির্বাচনে যে নির্দেশনা দিয়েছেন।
youtube
youtube
অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব!!!-- ইসলাম কি বলে?
youtube
জান্নাতে যেতে সঠিক বন্ধু নির্বাচন |
youtube
ইসলামে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা (অলা এবং বারা)
youtube
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি, হিন্দুদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি,
youtube
কাফেরের সাথে বন্ধুত্ব
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
#friendship#বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা#Choosing Friends In Islam#Islamic Guidance On Choosing Friends#Youtube
0 notes
Text
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
বন্ধুত্ব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সবার জীবনেই এমন একজন থাকে যাকে সে নিজের একেবারে কাছের মনে করে, মনের সব কথা খুলে বলে। তবে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা জরুরি। কারণ ভালো বন্ধু জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে, মন্দ বন্ধু জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।’ (সুরা তাওবা, আয়াত, ১১৯)
এই আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সত্যবাদীদের সাহচর্য এবং তাদের মতো আমলের মাধ্যমেই তাকওয়া লাভ হয়। আর এভাবেই কেউ ধ্বংস থেকে মুক্তি পেতে পারে। প্রতিটি বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারে। (ইবনে কাসীর)
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ কেয়ামতের দিন আরশের ছায়া দান করবেন, যেদিন তার ঐ ছায়া ছাড়া আর অন্য কোন ছায়া থাকবে না; এর মধ্যে সেই দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব স্থাপন করে এবং এই বন্ধুত্বের উপরেই তারা মিলিত হয় ও তারই উপর বিচ্ছিন্ন (পরলোকগত) হয়। (বুখারী ৬৬০, মুসলিম ১০৩১)
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
সৎসঙ্গী আর অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৎসঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে, আতর বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের ন্যায়। আতর বিক্রেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করলে কখনও তাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয় তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার থেকে সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার থেকে দুর্গন্ধ পাবে।’ (বুখারি : ২১০)।
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
কোনো ভাল মানুষ যদি অসৎকর্মের লোকদের সাথে চলাফেরা করে তবে কিয়ামতের দিন তাকেও তাদের কাতারে দাঁড়াতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক করে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠে। অতএব তোমাদের প্রত্যেকের বিবেচনা করে দেখা উচিত যে, সে কার সাথে বন্ধুত্ব কায়েম করছে।’(তিরমিজি, ২৩৭৮)
আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’
এ বিষয়ে আরেক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কর্মকে পছন্দ করল, কেয়ামতের দিন সে তাদের দলভূক্ত হয়েই উত্থিত হবে এবং সেও তাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে, যদিও সে নিজে তা করেনি।’ (কানযুল ‘উম্মাল,২৪৭৩০)।
অসৎ বন্ধু সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
এই আয়াত থেকে জানা যায়, যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রাখা ঠিক নয়। কারণ, মানুষ সৎ সঙ্গে ভালো ও অসৎ সঙ্গে খারাপ হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষের পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ অসৎ বন্ধু ও খারাপ সঙ্গীদের সাথে উঠা বসা। তাই পবিত্র কোরআনে সৎ সঙ্গী গ্রহণ এবং অসৎ সঙ্গী বর্জন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাই বন্ধু হিসেবে ভাল মানুষ না পাওয়া গেলে সহচর গ্রহণ না করে একাকী চলা উত্তম। এই বিষয়ে একটি হাদিসে এসেছে, ‘হজরত আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’ (মুসান্নাফু ইবন আবী শায়বাহ, ৩৫৯৬৫, আল মুসতাদরাক আলাস সাহীহায়ন,- ৫৪৬৬)
রাসুল (সাঃ) বন্ধু নির্বাচনে যে নির্দেশনা দিয়েছেন।
youtube
youtube
অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব!!!-- ইসলাম কি বলে?
youtube
জান্নাতে যেতে সঠিক বন্ধু নির্বাচন |
youtube
ইসলামে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা (অলা এবং বারা)
youtube
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি, হিন্দুদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি,
youtube
কাফেরের সাথে বন্ধুত্ব
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
#friendship#বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা#Choosing Friends In Islam#Islamic Guidance On Choosing Friends#Youtube
0 notes
Text
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
বন্ধুত্ব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সবার জীবনেই এমন একজন থাকে যাকে সে নিজের একেবারে কাছের মনে করে, মনের সব কথা খুলে বলে। তবে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা জরুরি। কারণ ভালো বন্ধু জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে, মন্দ বন্ধু জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।’ (সুরা তাওবা, আয়াত, ১১৯)
এই আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সত্যবাদীদের সাহচর্য এবং তাদের মতো আমলের মাধ্যমেই তাকওয়া লাভ হয়। আর এভাবেই কেউ ধ্বংস থেকে মুক্তি পেতে পারে। প্রতিটি বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারে। (ইবনে কাসীর)
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ কেয়ামতের দিন আরশের ছায়া দান করবেন, যেদিন তার ঐ ছায়া ছাড়া আর অন্য কোন ছায়া থাকবে না; এর মধ্যে সেই দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব স্থাপন করে এবং এই বন্ধুত্বের উপরেই তারা মিলিত হয় ও তারই উপর বিচ্ছিন্ন (পরলোকগত) হয়। (বুখারী ৬৬০, মুসলিম ১০৩১)
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
সৎসঙ্গী আর অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৎসঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে, আতর বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের ন্যায়। আতর বিক্রেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করলে কখনও তাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয় তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার থেকে সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার থেকে দুর্গন্ধ পাবে।’ (বুখারি : ২১০)।
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
কোনো ভাল মানুষ যদি অসৎকর্মের লোকদের সাথে চলাফেরা করে তবে কিয়ামতের দিন তাকেও তাদের কাতারে দাঁড়াতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক করে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠে। অতএব তোমাদের প্রত্যেকের বিবেচনা করে দেখা উচিত যে, সে কার সাথে বন্ধুত্ব কায়েম করছে।’(তিরমিজি, ২৩৭৮)
আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’
এ বিষয়ে আরেক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কর্মকে পছন্দ করল, কেয়ামতের দিন সে তাদের দলভূক্ত হয়েই উত্থিত হবে এবং সেও তাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে, যদিও সে নিজে তা করেনি।’ (কানযুল ‘উম্মাল,২৪৭৩০)।
অসৎ বন্ধু সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
এই আয়াত থেকে জানা যায়, যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রাখা ঠিক নয়। কারণ, মানুষ সৎ সঙ্গে ভালো ও অসৎ সঙ্গে খারাপ হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষের পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ অসৎ বন্ধু ও খারাপ সঙ্গীদের সাথে উঠা বসা। তাই পবিত্র কোরআনে সৎ সঙ্গী গ্রহণ এবং অসৎ সঙ্গী বর্জন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাই বন্ধু হিসেবে ভাল মানুষ না পাওয়া গেলে সহচর গ্রহণ না করে একাকী চলা উত্তম। এই বিষয়ে একটি হাদিসে এসেছে, ‘হজরত আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) ��েকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’ (মুসান্নাফু ইবন আবী শায়বাহ, ৩৫৯৬৫, আল মুসতাদরাক আলাস সাহীহায়ন,- ৫৪৬৬)
রাসুল (সাঃ) বন্ধু নির্বাচনে যে নির্দেশনা দিয়েছেন।
youtube
youtube
অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব!!!-- ইসলাম কি বলে?
youtube
জান্নাতে যেতে সঠিক বন্ধু নির্বাচন |
youtube
ইসলামে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা (অলা এবং বারা)
youtube
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি, হিন্দুদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি,
youtube
কাফেরের সাথে বন্ধুত্ব
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
#friendship#বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা#Choosing Friends In Islam#Islamic Guidance On Choosing Friends#Youtube
0 notes
Text
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
বন্ধুত্ব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সবার জীবনেই এমন একজন থাকে যাকে সে নিজের একেবারে কাছের মনে করে, মনের সব কথা খুলে বলে। তবে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা জরুরি। কারণ ভালো বন্ধু জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে, মন্দ বন্ধু জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।’ (সুরা তাওবা, আয়াত, ১১৯)
এই আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সত্যবাদীদের সাহচর্য এবং তাদের মতো আমলের মাধ্যমেই তাকওয়া লাভ হয়। আর এভাবেই কেউ ধ্বংস থেকে মুক্তি পেতে পারে। প্রতিটি বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারে। (ইবনে কাসীর)
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ কেয়ামতের দিন আরশের ছায়া দান করবেন, যেদিন তার ঐ ছায়া ছাড়া আর অন্য কোন ছায়া থাকবে না; এর মধ্যে সেই দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব স্থাপন করে এবং এই বন্ধুত্বের উপরেই তারা মিলিত হয় ও তারই উপর বিচ্ছিন্ন (পরলোকগত) হয়। (বুখারী ৬৬০, মুসলিম ১০৩১)
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
সৎসঙ্গী আর অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৎসঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে, আতর বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের ন্যায়। আতর বিক্রেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করলে কখনও তাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয় তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার থেকে সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার থেকে দুর্গন্ধ পাবে।’ (বুখারি : ২১০)।
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
কোনো ভাল মানুষ যদি অসৎকর্মের লোকদের সাথে চলাফেরা করে তবে কিয়ামতের দিন তাকেও তাদের কাতারে দাঁড়াতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক করে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠে। অতএব তোমাদের প্রত্যেকের বিবেচনা করে দেখা উচিত যে, সে কার সাথে বন্ধুত্ব কায়েম করছে।’(তিরমিজি, ২৩৭৮)
আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’
এ বিষয়ে আরেক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কর্মকে পছন্দ করল, কেয়ামতের দিন সে তাদের দলভূক্ত হয়েই উত্থিত হবে এবং সেও তাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে, যদিও সে নিজে তা করেনি।’ (কানযুল ‘উম্মাল,২৪৭৩০)।
অসৎ বন্ধু সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
এই আয়াত থেকে জানা যায়, যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রাখা ঠিক নয়। কারণ, মানুষ সৎ সঙ্গে ভালো ও অসৎ সঙ্গে খারাপ হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষের পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ অসৎ বন্ধু ও খারাপ সঙ্গীদের সাথে উঠা বসা। তাই পবিত্র কোরআনে সৎ সঙ্গী গ্রহণ এবং অসৎ সঙ্গী বর্জন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাই বন্ধু হিসেবে ভাল মানুষ না পাওয়া গেলে সহচর গ্রহণ না করে একাকী চলা উত্তম। এই বিষয়ে একটি হাদিসে এসেছে, ‘হজরত আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’ (মুসান্নাফু ইবন আবী শায়বাহ, ৩৫৯৬৫, আল মুসতাদরাক আলাস সাহীহায়ন,- ৫৪৬৬)
রাসুল (সাঃ) বন্ধু নির্বাচনে যে নির্দেশনা দিয়েছেন।
youtube
youtube
অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব!!!-- ইসলাম কি বলে?
youtube
জান্নাতে যেতে সঠিক বন্ধু নির্বাচন |
youtube
ইসলামে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা (অলা এবং বারা)
youtube
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি, হিন্দুদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি,
youtube
কাফেরের সাথে বন্ধুত্ব
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
#friendship#বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা#Choosing Friends In Islam#Islamic Guidance On Choosing Friends#Youtube
0 notes
Text
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
বন্ধুত্ব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সবার জীবনেই এমন একজন থাকে যাকে সে নিজের একেবারে কাছের মনে করে, মনের সব কথা খুলে বলে। তবে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা জরুরি। কারণ ভালো বন্ধু জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে, মন্দ বন্ধু জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।’ (সুরা তাওবা, আয়াত, ১১৯)
এই আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সত্যবাদীদের সাহচর্য এবং তাদের মতো আমলের মাধ্যমেই তাকওয়া লাভ হয়। আর এভাবেই কেউ ধ্বংস থেকে মুক্তি পেতে পারে। প্রতিটি বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারে। (ইবনে কাসীর)
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ কেয়ামতের দিন আরশের ছায়া দান করবেন, যেদিন তার ঐ ছায়া ছাড়া আর অন্য কোন ছায়া থাকবে না; এর মধ্যে সেই দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব স্থাপন করে এবং এই বন্ধুত্বের উপরেই তারা মিলিত হয় ও তারই উপর বিচ্ছিন্ন (পরলোকগত) হয়। (বুখারী ৬৬০, মুসলিম ১০৩১)
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
সৎসঙ্গী আর অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৎসঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে, আতর বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের ন্যায়। আতর বিক্রেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করলে কখনও তাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয় তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার থেকে সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার থেকে দুর্গন্ধ পাবে।’ (বুখারি : ২১০)।
মানুষ তার বন্ধুর দ্বারাই প্রভাবিত হয়, তাই সৎ ও ধার্মিক বন্ধুর সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত, কারণ পৃথিবীতে খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে পরকালে লজ্জা ও অনুশোচনার শেষ থাকবে না।
কোনো ভাল মানুষ যদি অসৎকর্মের লোকদের সাথে চলাফেরা করে তবে কিয়ামতের দিন তাকেও তাদের কাতারে দাঁড়াতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক করে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠে। অতএব তোমাদের প্রত্যেকের বিবেচনা করে দেখা উচিত যে, সে কার সাথে বন্ধুত্ব কায়েম করছে।’(তিরমিজি, ২৩৭৮)
আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’
এ বিষয়ে আরেক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কর্মকে পছন্দ করল, কেয়ামতের দিন সে তাদের দলভূক্ত হয়েই উত্থিত হবে এবং সেও তাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে, যদিও সে নিজে তা করেনি।’ (কানযুল ‘উম্মাল,২৪৭৩০)।
অসৎ বন্ধু সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
এই আয়াত থেকে জানা যায়, যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রাখা ঠিক নয়। কারণ, মানুষ সৎ সঙ্গে ভালো ও অসৎ সঙ্গে খারাপ হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষের পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ অসৎ বন্ধু ও খারাপ সঙ্গীদের সাথে উঠা বসা। তাই পবিত্র কোরআনে সৎ সঙ্গী গ্রহণ এবং অসৎ সঙ্গী বর্জন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাই বন্ধু হিসেবে ভাল মানুষ না পাওয়া গেলে সহচর গ্রহণ না করে একাকী চলা উত্তম। এই বিষয়ে একটি হাদিসে এসেছে, ‘হজরত আবূ মূসা আল আশ‘আরী ও আবূ জার আল গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন-‘একাকী থাকার চেয়ে সৎ সঙ্গীর সঙ্গে থাকা উত্তম। তবে অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকা উত্তম।’ (মুসান্নাফু ইবন আবী শায়বাহ, ৩৫৯৬৫, আল মুসতাদরাক আলাস সাহীহায়ন,- ৫৪৬৬)
রাসুল (সাঃ) বন্ধু নির্বাচনে যে নির্দেশনা দিয়েছেন।
youtube
youtube
অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব!!!-- ইসলাম কি বলে?
youtube
জান্নাতে যেতে সঠিক বন্ধু নির্বাচন |
youtube
ইসলামে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা (অলা এবং বারা)
youtube
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি, হিন্দুদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে কি,
youtube
কাফেরের সাথে বন্ধুত্ব
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Choosing Friends In Islam
Islamic Guidance On Choosing Friends
#friendship#বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা#Choosing Friends In Islam#Islamic Guidance On Choosing Friends#Youtube
1 note
·
View note
Video
youtube
কুরআনের প্রথম নির্দেশনা কি | Mawlana Tarek Monoware | তারেক মনোয়ার
0 notes
Text
আগামীকাল খুলছে শিক্ষাপ���রতিষ্ঠান, মানতে হবে যে ৬ নির্দেশনা
টপ নিউজ ডেস্কঃ মাহে রমজান, ��্বাধীনতা দিবস, ইস্টার সানডে, চৈত্র সংক্রান্তি, বাংলা নববর্ষ, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতরের প্রায় দেড় মাসের ছুটি শেষে আগামীকাল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে, তবে আগামীকাল রোববার (৩০ এপ্রিল) খুলবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক…
View On WordPress
0 notes
Text
সেরা চিকেন বিরিয়ানি, ধাপে ধাপে
রান্নার উপকরণ
বাদামী পেঁয়াজ
2 Onions Large
½ cup Vegetable Oil
চিকেন মেরিনেড:
700 grams Chicken Thighs and Drumsticks bone-in and skinless (Note 2)
¾ cup Yogurt or hung curd
¼ cup Tomato Puree
¼ cup Vegetable Oil
1 tablespoon Ginger Garlic Paste minced ginger and garlic
1 tablespoon Red Chilli Powder sub with 1 teaspoon Paprika + 1 teaspoon Cayenne
1 teaspoon Turmeric Powder
1 teaspoon Garam Masala Powder
2 tablespoon Brown Onions
1 ¼ teaspoon Salt
>>>>বিনামূল্যে 10 ধরনের বিরিয়ানি রান্না ই-বই পান<<<<
জাফরান:
2 tablespoon Hot Milk
10-15 Saffron strands
সিদ্ধ চাল (70% রান্না করা):
2 cups Basmati Rice Note 3
6 cups Water
2 tablespoon Salt
1 Bayleaf
5-6 Cloves
2-3 Cardamom Pods
বিরিয়ানির অন্যান্য উপকরণ
1 cup Mint Leaves fresh
1 cup Coriander Leaves Cilantro
1 ½ tablespoons Ghee or Butter
পরিবেশন
Crispy Brown Onions
Onion Raita
রান্নার নির্দেশনা
বাদামী পেঁয়াজ তৈরি করতে, পেঁয়াজগুলি শুকিয়ে নিন এবং যদি সময় অনুমতি দেয় তবে সেগুলিকে রান্নাঘরের তোয়ালে 15-20 মিনিটের জন্য রেখে দিন যাতে সেগুলি কিছুটা শুকিয়ে যায়। একটি প্যানে তেল গরম করুন এবং পেঁয়াজ দিন। একটি মাঝারি আঁচে, পেঁয়াজগুলিকে 15 মিনিটের জন্য শ্যালো ভাজুন যতক্ষণ না সেগুলি গভীর সোনালি বাদামী হয়, সেগুলি না পুড়িয়ে। একটি কাগজের তোয়ালে এগুলি বের করে নিন এবং একপাশে রাখুন। এগুলি আগে তৈরি করে একটি এয়ার টাইট পাত্রে সারারাত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। পোড়া পেঁয়াজ বিরিয়ানিতে তিক্ত স্বাদ যোগ করবে।
চিকেন মেরিনেডের নীচে সমস্ত উপাদান একসাথে মেশান এবং সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য কমপক্ষে দুই ঘন্টা বা রাতারাতি ম্যারিনেট করুন।
আপনি যখন বিরিয়ানি তৈরি করতে প্রস্তুত, তখন গরম দুধে জাফরান স্ট্র্যান্ডগুলি ভিজিয়ে রাখুন এবং চামচের পিছনে সামান্য ঘষুন। একপাশে রাখুন.
একটি গর্জন ফোঁড়াতে জল আনুন এবং লবণ, আস্ত মশলা এবং বাসমতি চাল যোগ করুন। ঠিক 5 মিনিট রান্না করুন এবং পুরো মশলা ভাতে রেখে সম্পূর্ণভাবে ঝরিয়ে নিন। এটি চালকে প্রায় 70% পরিমাণে রান্না করবে যা দুটি আঙুলের মধ্যে চালের দানা টিপে চেক করা যেতে পারে - চালটি এখনও মাঝখানে কাঁচা থাকতে হবে।
লেয়ারিং এবং চিকেন বিরিয়ানি রান্না করা:
........................পড়তে থাকুন.........................
15 notes
·
View notes
Video
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন | বিমান বন্দর করনীয় ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা | Ai...
7 notes
·
View notes
Text
সূরাতুল আসর এর শিক্ষা কি?
থিম এবং বিষয়বস্তু। এই সূরাটি শেখায় যে সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, যারা ইমান (ইসলামে বিশ্বাসী), সৎ কাজ করে এবং অন্যদেরকে হক (সত্য, অধিকার, বাস্তবতা) স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্যদেরকে সবর (ধৈর্য) স্মরণ করিয়ে দেয়।
সূরা আসরের গুরুত্ব?
সূরা আল-আসর জীবনের দর্শনকে সংক্ষিপ্ত করে এবং আমাদের শেখায় যে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় যদি না সে বিশ্বাস করে এবং ভাল কাজ করে । এটি ধৈর্য, সততা, নম্রতা এবং ভাল কাজগুলিকে উত্সাহিত করে।
সুরা আসর: ৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা আসর কোরআনের ১০৩তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ৩টি রুকু ১টি। সুরা আসর কুরআনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সুরাগুলোর একটি। তবে এর অর্থ ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা এ সুরায় মাত্র তিনটি আয়াতে মানুষের মুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন। ইমাম শাফেঈ (রহ.) বলেন, আল্লাহ যদি কুরআনের শুধু এই সুরাটিই নাজিল করতেন, তাহলে এটিই মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো।
এ সুরায় আল্লাহ যুগের কসম করে বলেছেন, মানুষের মধ্যে যারা ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখে না, সৎকর্ম ও অপরের কল্যাণ কামনা করে না, সদুপদেশ দেয় না, তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
সুরা আসর (১) মহাকালের শপথ! (২) মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। (৩) কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে পরস্পরকে উদ্ধুদ্ধ করে।
৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা ১. মানুষ দুনিয়ায় প্রচুর সাফল্য, সম্মান ও অর্থবিত্ত অর্জন করলেও সে ক্ষতিগ্রস্ত যদি সে কুফর ও মন্দ আমলের মধ্যে থাকে।
২. যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারাই সত্যিকার কৃতকার্য ও সফলকাম।
৩. মুমিনদের একটি আবশ্যিক গুণ হলো তারা পরস্পরের কল্যাণকামী হবে; পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেকে, ধৈর্যের উপদেশ দেবে।
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন? কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক ��জকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
youtube
Bangla Tafseer Surah Asr
সূরা আসর বাংলা তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=Y9jKfde9Nmc
সূরা আসরের সম্পূর্ণ তাফসির
youtube
সূরা আসর নিয়ে চমৎকার একটি প্রশ্ন
youtube
সুরা আসর তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=iXpqc2d2hbM&t=224s
জান্নাতে যাওয়ার চারটি শর্ত
https://www.youtube.com/watch?v=4VyzWJ-u6x4
এটা কি সত্য যারা মুসলিম তারাই জান্নাতে যাবে আর যারা অমুসলিম তারা জাহান্নামে যাবে?
https://www.youtube.com/watch?v=_wN7BUErcOA&t=1s
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
youtube
youtube
youtube
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
সুরা আসরের শিক্ষা
সুরা আসর: শিক্ষা ও নির্দেশনা
#SurahAsr#সুরা আসর: শিক্ষা ও নির্দেশনা#Teachings#Instructions#Dawahtips#TheDecliningDay#4Conditions#AlAsr#Jannah#Paradise#Muslim#Quran103#Bytime.#SurahAlAsr#Qur'an103#Imaan#GoodDeeds#Truth#Patience#TeachingOfSurahAlAsr#Dawah#Preaching#Tablig#সূরাআলআসর#পতনদিবস#কুরআন103#ইমান#ভালোকাজ#সত্য#ধৈর্য
0 notes
Text
সূরাতুল আসর এর শিক্ষা কি?
থিম এবং বিষয়বস্তু। এই সূরাটি শেখায় যে সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, যারা ইমান (ইসলামে বিশ্বাসী), সৎ কাজ করে এবং অন্যদেরকে হক (সত্য, অধিকার, বাস্তবতা) স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্যদেরকে সবর (ধৈর্য) স্মরণ করিয়ে দেয়।
সূরা আসরের গুরুত্ব?
সূরা আল-আসর জীবনের দর্শনকে সংক্ষিপ্ত করে এবং আমাদের শেখায় যে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় যদি না সে বিশ্বাস করে এবং ভাল কাজ করে । এটি ধৈর্য, সততা, নম্রতা এবং ভাল কাজগুলিকে উত্সাহিত করে।
সুরা আসর: ৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা আসর কোরআনের ১০৩তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ৩টি রুকু ১টি। সুরা আসর কুরআনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সুরাগুলোর একটি। তবে এর অর্থ ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা এ সুরায় মাত্র তিনটি আয়াতে মানুষের মুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন। ইমাম শাফেঈ (রহ.) বলেন, আল্লাহ যদি কুরআনের শুধু এই সুরাটিই নাজিল করতেন, তাহলে এটিই মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো।
এ সুরায় আল্লাহ যুগের কসম করে বলেছেন, মানুষের মধ্যে যারা ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখে না, সৎকর্ম ও অপরের কল্যাণ কামনা করে না, সদুপদেশ দেয় না, তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
সুরা আসর (১) মহাকালের শপথ! (২) মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। (৩) কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে পরস্পরকে উদ্ধুদ্ধ করে।
৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা ১. মানুষ দুনিয়ায় প্রচুর সাফল্য, সম্মান ও অর্থবিত্ত অর্জন করলেও সে ক্ষতিগ্রস্ত যদি সে কুফর ও মন্দ আমলের মধ্যে থাকে।
২. যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারাই সত্যিকার কৃতকার্য ও সফলকাম।
৩. মুমিনদের একটি আবশ্যিক গুণ হলো তারা পরস্পরের কল্যাণকামী হবে; পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেকে, ধৈর্যের উপদেশ দেবে।
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘট���, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন? কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
youtube
Bangla Tafseer Surah Asr
সূরা আসর বাংলা তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=Y9jKfde9Nmc
সূরা আসরের সম্পূর্ণ তাফসির
youtube
সূরা আসর নিয়ে চমৎকার একটি প্রশ্ন
youtube
সুরা আসর তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=iXpqc2d2hbM&t=224s
জান্নাতে যাওয়ার চারটি শর্ত
https://www.youtube.com/watch?v=4VyzWJ-u6x4
এটা কি সত্য যারা মুসলিম তারাই জান্নাতে যাবে আর যারা অমুসলিম তারা জাহান্নামে যাবে?
https://www.youtube.com/watch?v=_wN7BUErcOA&t=1s
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
youtube
youtube
youtube
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
সুরা আসরের শিক্ষা
সুরা আসর: শিক্ষা ও নির্দেশনা
#SurahAsr#সুরা আসর: শিক্ষা ও নির্দেশনা#Teachings#Instructions#Dawahtips#TheDecliningDay#4Conditions#AlAsr#Jannah#Paradise#Muslim#Quran103#Bytime.#SurahAlAsr#Qur'an103#Imaan#GoodDeeds#Truth#Patience#TeachingOfSurahAlAsr#Dawah#Preaching#Tablig#সূরাআলআসর#পতনদিবস#কুরআন103#ইমান#ভালোকাজ#সত্য#ধৈর্য
0 notes