#৬ নির্দেশনা
Explore tagged Tumblr posts
Text
আগামীকাল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যে ৬ নির্দেশনা
টপ নিউজ ডেস্কঃ মাহে রমজান, স্বাধীনতা দিবস, ইস্টার সানডে, চৈত্র সংক্রান্তি, বাংলা নববর্ষ, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতরের প্রায় দেড় মাসের ছুটি শেষে আগামীকাল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ব���হস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে, তবে আগামীকাল রোববার (৩০ এপ্রিল) খুলবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক…
View On WordPress
0 notes
Text
পাপ মাফ হবে পৃথিবী ভরা
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ" নামের অর্থ হল একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত
কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ:
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
আর রাহমানির রাহিম
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন
ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন
সুরা ফাতিহার অর্থ:
১.সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই।
২.যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়;
৩.বিচার দিনের মালিক।
৪.আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি;
৫.তুমি আমাদের চালিত করো সঠিক পথে,
৬.তাঁদের পথে, যাঁদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ,
৭.যারা (তোমার) রোষে পতিত হয়নি, পথভ্রষ্ট হয়নি।
এই সাতটি আয়াতের মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াতে আছে আল্লাহর পরিচয়। আর শেষ তিন আয়াতে আছে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা।
আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়; কারণ তিনিই মহাবিশ্বের প্রতিপালন করছেন। ��াই তিনিই আমাদের মাফ করে দেওয়ার চূড়ান্ত অধিকারী। তিনি যেহেতু বিচার দিবসের প্রভূ, সেই বিচারে তিনিই আমাদের প্রতি দয়া বর্ষণ করার একমাত্র ত্রাণকর্তা।
সুরাটির শেষ তিন আয়াতের প্রথমেই আল্লাহর কাছে আমরা সরল পথ দেখিয়ে দেওয়ার পথনির্দেশ চাচ্ছি। কোন পথ সরল? আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলকে যে পথে চালিত করেছেন। এটি হলো আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশা। যিনি নবী-রাসুলদের পথ দেখিয়েছেন, তিনি ছাড়া আমাদের কে আর সর্বোত্তম পথ দেখাতে পারেন!
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
প্রথম অংশে আল্লাহর পরিচয় আর শেষ অংশে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশার মাঝখানে বলা হয়েছে, ‘ইয়া কানা বুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন।’ অর্থাৎ, ‘আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।’ এই আয়াতকে বলতে পারি আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। তাঁর কাছে আমাদের নিঃশর্ত আত্মনিবেদনের সম্পর্ক। আমাদের একমাত্র ইবাদত আল্লাহরই প্রতি। সব সাহায্যও আমরা তাঁর কাছেই চাই।
নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়
সুরা ফাতিহা কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহা
#সুরা ফাতিহা#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .#ফাতেহা#youtube
0 notes
Text
পাপ মাফ হবে পৃথিবী ভরা
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ" নামের অর্থ হল একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত
কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ:
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
আর রাহমানির রাহিম
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন
ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন
সুরা ফাতিহার অর্থ:
১.সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই।
২.যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়;
৩.বিচার দিনের মালিক।
৪.আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি;
৫.তুমি আমাদের চালিত করো সঠিক পথে,
৬.তাঁদের পথে, যাঁদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ,
৭.যারা (তোমার) রোষে পতিত হয়নি, পথভ্রষ্ট হয়নি।
এই সাতটি আয়াতের মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াতে আছে আল্লাহর পরিচয়। আর শেষ তিন আয়াতে আছে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা।
আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়; কারণ তিনিই মহাবিশ্বের প্রতিপালন করছেন। তাই তিনিই আমাদের মাফ করে দেওয়ার চূড়ান্ত অধিকারী। তিনি যেহেতু বিচার দিবসের প্রভূ, সেই বিচারে তিনিই আমাদের প্রতি দয়া বর্ষণ করার একমাত্র ত্রাণকর্তা।
সুরাটির শেষ তিন আয়াতের প্রথম��ই আল্লাহর কাছে আমরা সরল পথ দেখিয়ে দেওয়ার পথনির্দেশ চাচ্ছি। কোন পথ সরল? আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলকে যে পথে চালিত করেছেন। এটি হলো আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশা। যিনি নবী-রাসুলদের পথ দেখিয়েছেন, তিনি ছাড়া আমাদের কে আর সর্বোত্তম পথ দেখাতে পারেন!
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
প্রথম অংশে আল্লাহর পরিচয় আর শেষ অংশে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশার মাঝখানে বলা হয়েছে, ‘ইয়া কানা বুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন।’ অর্থাৎ, ‘আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।’ এই আয়াতকে বলতে পারি আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। তাঁর কাছে আমাদের নিঃশর্ত আত্মনিবেদনের সম্পর্ক। আমাদের একমাত্র ইবাদত আল্লাহরই প্রতি। সব সাহায্যও আমরা তাঁর কাছেই চাই।
নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়
সুরা ফাতিহা কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহা
#সুরা ফাতিহা#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .#ফাতেহা#youtube
0 notes
Text
পাপ মাফ হবে পৃথিবী ভরা
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ" নামের অর্থ হল একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত
কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ:
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
আর রাহমানির রাহিম
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন
ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন
সুরা ফাতিহার অর্থ:
১.সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই।
২.যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়;
৩.বিচার দিনের মালিক।
৪.আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি;
৫.তুমি আমাদের চালিত করো সঠিক পথে,
৬.তাঁদের পথে, যাঁদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ,
৭.যারা (তোমার) রোষে পতিত হয়নি, পথভ্রষ্ট হয়নি।
এই সাতটি আয়াতের মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াতে আছে আল্লাহর পরিচয়। আর শেষ তিন আয়াতে আছে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা।
আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়; কারণ তিনিই মহাবিশ্বের প্রতিপালন করছেন। তাই তিনিই আমাদের মাফ করে দেওয়ার চূড়ান্ত অধিকারী। তিনি যেহেতু বিচার দিবসের প্রভূ, সেই বিচারে তিনিই আমাদের প্রতি দয়া বর্ষণ করার একমাত্র ত্রাণকর্তা।
সুরাটির শেষ তিন আয়াতের প্রথমেই আল্লাহর কাছে আমরা সরল পথ দেখিয়ে দেওয়ার পথনির্দেশ চাচ্ছি। কোন পথ সরল? আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলকে যে পথে চালিত করেছেন। এটি হলো আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশা। যিনি নবী-রাসুলদের পথ দেখিয়েছেন, ত���নি ছাড়া আমাদের কে আর সর্বোত্তম পথ দেখাতে পারেন!
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
প্রথম অংশে আল্লাহর পরিচয় আর শেষ অংশে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশার মাঝখানে বলা হয়েছে, ‘ইয়া কানা বুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন।’ অর্থাৎ, ‘আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।’ এই আয়াতকে বলতে পারি আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। তাঁর কাছে আমাদের নিঃশর্ত আত্মনিবেদনের সম্পর্ক। আমাদের একমাত্র ইবাদত আল্লাহরই প্রতি। সব সাহায্যও আমরা তাঁর কাছেই চাই।
নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়
সুরা ফাতিহা কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহা
#সুরা ফাতিহা#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .#ফাতেহা#youtube
0 notes
Text
পাপ মাফ হবে পৃথিবী ভরা
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ" নামের অর্থ হল একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত
কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ:
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
আর রাহমানির রাহিম
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন
ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন
সুরা ফাতিহার অর্থ:
১.সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই।
২.যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়;
৩.বিচার দিনের মালিক।
৪.আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি;
৫.তুমি আমাদের চালিত করো সঠিক পথে,
৬.তাঁদের পথে, যাঁদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ,
৭.যারা (তোমার) রোষে পতিত হয়নি, পথভ্রষ্ট হয়নি।
এই সাতটি আয়াতের মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াতে আছে আল্লাহর পরিচয়। আর শেষ তিন আয়াতে আছে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা।
আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়; কারণ তিনিই মহাবিশ্বের প্রতিপালন করছেন। তাই তিনিই আমাদের মাফ করে দেওয়ার চূড়ান্ত অধিকারী। তিনি যেহেতু বিচার দিবসের প্রভূ, সেই বিচারে তিনিই আমাদের প্রতি দয়া বর্ষণ করার একমাত্র ত্রাণকর্তা।
সুরাটির শেষ তিন আয়াতের প্রথমেই আল্লাহর কাছে আমরা সরল পথ দেখিয়ে দেওয়ার পথনির্দেশ চাচ্ছি। কোন পথ সরল? আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলকে যে পথে চালিত করেছেন। এটি হলো আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশা। যিনি নবী-রাসুলদের পথ দেখিয়েছেন, তিনি ছাড়া আমাদের কে আর সর্বোত্তম পথ দেখাতে পারেন!
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
প্রথম অংশে আল্লাহর পরিচয় আর শেষ অংশে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশার মাঝখানে বলা হয়েছে, ‘ইয়া কানা বুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন।’ অর্থাৎ, ‘আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।’ এই আয়াতকে বলতে পারি আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। তাঁর কাছে আমাদের নিঃশর্ত আত্মনিবেদনের সম্পর্ক। আমাদের একমাত্র ইবাদত আল্লাহরই প্রতি। সব সাহায্যও আমরা তাঁর কাছেই চাই।
নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়
সুরা ফাতিহা কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহা
#সুরা ফাতিহা#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .#ফাতেহা#youtube
0 notes
Text
পাপ মাফ হবে পৃথিবী ভরা
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ" নামের অর্থ হল একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত
কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ:
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
আর রাহমানির রাহিম
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন
ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন
সুরা ফাতিহার অর্থ:
১.সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই।
২.যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়;
৩.বিচার দিনের মালিক।
৪.আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি;
৫.তুমি আমাদের চালিত করো সঠিক পথে,
৬.তাঁদের পথে, যাঁদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ,
৭.যারা (তোমার) রোষে পতিত হয়নি, পথভ্রষ্ট হয়নি।
এই সাতটি আয়াতের মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াতে আছে আল্লাহর পরিচয়। আর শেষ তিন আয়াতে আছে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা।
আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়; কারণ তিনিই মহাবিশ্বের প্রতিপালন করছেন। তাই তিনিই আমাদের মাফ করে দেওয়ার চূড়ান্ত অধিকারী। তিনি যেহেতু বিচার দিবসের প্রভূ, সেই বিচারে তিনিই আমাদের প্রতি দয়া বর্ষণ করার একমাত্র ত্রাণকর্তা।
সুরাটির শেষ তিন আয়াতের প্রথমেই আল্লাহর কাছে আমরা সরল পথ দেখিয়ে দেওয়ার পথনির্দেশ চাচ্ছি। কোন পথ সরল? আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলকে যে পথে চালিত করেছেন। এটি হলো আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশা। যিনি নবী-রাসুলদের পথ দেখিয়েছেন, তিনি ছাড়া আমাদের কে আর সর্বোত্তম পথ দেখাতে পারেন!
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
প্রথম অংশে আল্লাহর পরিচয় আর শেষ অংশে আল্লা��র কাছে আমাদের প্রত্যাশার মাঝখানে বলা হয়েছে, ‘ইয়া কানা বুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন।’ অর্থাৎ, ‘আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।’ এই আয়াতকে বলতে পারি আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। তাঁর কাছে আমাদের নিঃশর্ত আত্মনিবেদনের সম্পর্ক। আমাদের একমাত্র ইবাদত আল্লাহরই প্রতি। সব সাহায্যও আমরা তাঁর কাছেই চাই।
নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়
সুরা ফাতিহা কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহা
#সুরা ফাতিহা#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .#ফাতেহা#youtube
0 notes
Text
পাপ মাফ হবে পৃথিবী ভরা
আমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং একমাত্র তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। কোরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআনের সারমর্ম সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতেহার মধ্যবর্তী আয়াতে আছে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক ও কথোপকথন ।
পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে
ইসলাম ধর্ম একেশ্বরবাদ (তাওহিদ) এর মূল নীতির উপর ভিত্তি করে, যার অর্থ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনা না করা। শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা মুসলমানদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরবের মুশরিকরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহই স্রষ্টা কিন্তু তারা তাদের মিথ্যা উপাস্যদের পূজা করে মূর্তিপূজা করেছে। বরং সকল ইবাদতকে তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর সহীহ সুন্নাতের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর দিকে পরিচালিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করার আদেশটি মুসলমানদের দ্বারা দিনে কয়েকবার সূরা আল-ফাতিহাতে পাঠ করা হয়, একটি অধ্যায় যা "কিতাবের ভিত্তি" হিসাবে পরিচিত এবং যা প্রতিটি একক ধর্মীয় প্রার্থনায় পাঠ করা আবশ্যক:
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরা আল-ফাতিহা 1:5
প্রকৃতপক্ষে, "আল্লাহ" নামের অর্থ হল একমাত্র সত্য ঈশ্বর যিনি উপাসনা করার যোগ্য।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত
কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ:
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
আর রাহমানির রাহিম
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন
ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন
সুরা ফাতিহার অর্থ:
১.সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই।
২.যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়;
৩.বিচার দিনের মালিক।
৪.আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি;
৫.তুমি আমাদের চালিত করো সঠিক পথে,
৬.তাঁদের পথে, যাঁদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ,
৭.যারা (তোমার) রোষে পতিত হয়নি, পথভ্রষ্ট হয়নি।
এই সাতটি আয়াতের মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াতে আছে আল্লাহর পরিচয়। আর শেষ তিন আয়াতে আছে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা।
আল্লাহর পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়; কারণ তিনিই মহাবিশ্বের প্রতিপালন করছেন। তাই তিনিই আমাদের মাফ করে দেওয়ার চূড়ান্ত অধিকারী। তিনি যেহেতু বিচার দিবসের প্রভূ, সেই বিচারে তিনিই আমাদের প্রতি দয়া বর্ষণ করার একমাত্র ত্রাণকর্তা।
সুরাটির শেষ তিন আয়াতের প্রথমেই আল্লাহর কাছে আমরা সরল পথ দেখিয়ে দেওয়ার পথনির্দেশ চাচ্ছি। কোন পথ সরল? আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুলকে যে পথে চালিত করেছেন। এটি হলো আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশা। যিনি নবী-রাসুলদের পথ দেখিয়েছেন, তিনি ছাড়া আমাদের কে আর সর্বোত্তম পথ দেখাতে পারেন!
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
প্রথম অংশে আল্লাহর পরিচয় আর শেষ অংশে আল্লাহর কাছে আমাদের প্রত্যাশার মাঝখানে বলা হয়েছে, ‘ইয়া কানা বুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন।’ অর্থাৎ, ‘আমরা তোমারই উপাসনা করি, তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।’ এই আয়াতকে বলতে পারি আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্���। তাঁর কাছে আমাদের নিঃশর্ত আত্মনিবেদনের সম্পর্ক। আমাদের একমাত্র ইবাদত আল্লাহরই প্রতি। সব সাহায্যও আমরা তাঁর কাছেই চাই।
নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়
সুরা ফাতিহা কোরআন শরিফের প্রথম সুরা। ‘ফাতিহা’ শব্দের অর্থ ‘সূচনা’, ‘উদ্বোধন’ বা ‘প্রারম্ভিকা’। এ অর্থ থেকেই এ সুরার গুরুত্ব বোঝা যায়। নামাজে অন্য যেকোনো সুরা পড়ার আগে এটি পড়তে হয়। এর মানে নামাজ পড়তে সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে অন্য সুরা বা আয়াতগুলো পড়তে হয়।
সুরাটির পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে, তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। এর পরেই কথাটি আরেকটু বিশদ করে পর পর দুই আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাঁদের পরম অনুগ্রহ করেছেন, তাঁদেরকে দেখানো পথটিই হলো এ সরল পথ। কারা আল্লাহর এই অনুগ্রহ পেয়েছেন? যাঁরা পথভ্রষ্ট হননি। এ জন্য তাঁরা আল্লাহর ক্রোধেরও শিকার হননি।
সুরা ফাতিহা এমন এক সুরা, কেউ যখন এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে, আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিতে থাকেন। এই সুরা যেন আল্লাহর সঙ্গে তাঁর বান্দার সরাসরি যোগাযোগ।
সুরা ফাতিহা
#সুরা ফাতিহা#Allah#Tawhid#Qura'n#SurahFateha#Tawheed#Tauhid#Allah'sWord#Surah1#AlFateha#TheOpener#Quran'sMother#Quran1#AlFatiha#UmmalKitab#MotherofQuran#AlHamd#AshShifa'#Sab'aminalMathani#SevenRepeatedOnes#Quran1:5 .#ফাতেহা#youtube
0 notes
Text
পুলিশ ক্যাডারে ছাত্রলীগ খুঁজতে ৬ বিসিএসে ফের ভেরিফিকেশন
সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ছয়টি বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক দর্শন খুঁজতে তাদের বিষয়ে ২য় বার পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে। এজন্য সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, পুনরায় পুলিশ…
0 notes
Text
শ্রেষ্ঠ ইসলামিক একাডেমী অনলাইন (The Best Islamic Academy Online – For Bangladeshi)
ইসলামিক শিক্ষার গুরুত্ব আমাদের জীবনে অপরিসীম। এটি শুধু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনেই নয়, বরং আমাদের নৈতিকতা, সামাজিক জীবন এবং মানসিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান যুগে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে ইসলামিক শিক্ষা অর্জন করাও হয়েছে অনেক সহজ। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো আমাদের এই সুযোগ দিয়েছে যে, আমরা যে কোনো স্থান থেকে ইসলামিক শিক্ষা নিতে পারি। বাঙ্গালিদের জন্য “শ্রেষ্ঠ ইসলামিক একাডেমী অনলাইনে” খুঁজতে গেলে, “Madrasatu Nuurul ‘Ilm” একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বলে মনে করি । নমনীয় অনলাইন ইসলামিক কোর্সগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা প্রদান করে আসছে। এটি শুধু শিক্ষার মানেই নয়, শিক্ষার্থীদের উন্নয়নেও বিশেষ নজর দেয়। *কেন Madrasatu Nuurul ‘Ilm শ্রেষ্ঠ ইসলামিক একাডেমী অনলাইন? ১.বিনামূল্যে ট্রায়াল ক্লাস: নতুন শিক্ষার্থীদের ���ন্য বিনামূল্যে ৭ দিন এর ট্রায়াল ক্লাসের ব্যবস্থা। ২. উচ্চমানের শিক্ষকেরা: আমাদের মাদ্রাসায় যোগদানকারী শিক্ষকগণ উচ্চ শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ। তারা কুরআন এবং হাদিসের গভীর জ্ঞান রাখেন এবং শিক্ষার্থীদের সহজ এবং বোধগম্য উপায়ে শিক্ষা প্রদান করেন। ৩. প্রান্তিক পাঠ্যক্রম: আমাদের পাঠ্যক্রমটি অত্যন্ত প্রান্তিক এবং যুগোপযোগী। আমরা শুধুমাত্র তাত্ত্বিক শিক্ষা নয়, বরং ব্যবহারিক জীবনেও ইসলামিক মূল্যবোধের প্রয়োগ শিখাই। ৪. ইন্টারেক্টিভ ক্লাস: আমাদের অনলাইন ক্লাসগুলি অত্যন্ত ইন্টারেক্টিভ। শিক্ষার্থীরা সরাসরি শিক্ষকের সাথে প্রশ্ন করতে পারে এবং তাত্ক্ষণিক উত্তর পায়। ৫. ফ্লেক্সিবল সময়সূচী: আমরা জানি যে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় সময় বের করা কঠিন হতে পারে। তাই আমাদের মাদ্রাসায় ফ্লেক্সিবল সময়সূচীর ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামত সময়ে ক্লাস করতে পারে। ৬. নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ: আমাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করে। ৭. সাশ্রয়ী মূল্যের ক্লাস: আমাদের কোর্সগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদান করা হয়। *Madrasatu Nuurul ‘Ilm এ শিক্ষা গ্রহণের ফলাফল ১. গভীর ধর্মীয় জ্ঞান “Madrasatu Nuurul ‘Ilm” এ শিক্ষার্থীরা ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলী থেকে শুরু করে গভীর ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন। পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে তারা কুরআন, হাদিস, এবং অন্যান্য ইসলামী শিক্ষার মূল বিষয়গুলি গভীরভাবে জানতে পারেন। এর ফলে তাদের ধর্মীয় জীবন আরও সুসংহত ও পরিপূর্ণ হয়। ২. ব্যক্তিগত ও নৈতিক উন্নয়ন ইসলামিক শিক্ষা কেবল ধর্মীয় জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত এবং নৈতিক উন্নয়নে সহায়ক। “Madrasatu Nuurul ‘Ilm” এ প্রদানকৃত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন, নৈতিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক জীবনে ভালোবাসা ও সহানুভূতির প্রতি সচেতন করে তোলে। ৩. প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান ও দক্ষতা এই একাডেমীর অনলাইন কোর্সগুলো বাস্তব জীবন এবং পারিবারিক জীবনের সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ইসলামিক ��ির্দেশনা অনুসরণ করতে এবং সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন। ৪. সুবিধাজনক এবং নমনীয় শিক্ষা ব্যবস্থা এই একাডেমীর অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই সুবিধাজনক এবং নমনীয়, যা শিক্ষার্থীদের সময় এবং স্থান নির্বিশেষে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করে। তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং ভার্চুয়াল ক্লাসরুমগুলো শিক্ষা গ্রহণকে সহজ এবং উপলব্ধযোগ্য করে তোলে। “Madrasatu Nuurul ‘Ilm” এ শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু ধর্মীয় জ্ঞানই লাভ করেন না, বরং তারা ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সফলতার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং গুণাবলী অর্জন করতে সক্ষম হন। এটি তাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। *উপসংহার “Madrasatu Nuurul ‘Ilm” একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামিক একাডেমী অনলাইন, যা আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইসলামী শিক্ষাকে সর্বোচ্চ মানে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট। এই একাডেমীটির নমনীয় অনলাইন ইসলামিক কোর্সগুলি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিস্তৃত এবং গভীর শিক্ষা প্রদান করে, যা তাদের ধর্মীয়, নৈতিক এবং ব্যক্তিগত জীবনে সুপ্রভাব ফেলে। অতএব, যদি আপনি একটি পরিপূর্ণ এবং মানসম্মত ইসলামিক শিক্ষা অর্জন করতে চান, তবে “Madrasatu Nuurul ‘Ilm” একটি উপযুক্ত পছন্দ হতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে আপনি নিশ্চিতভাবেই একটি সমৃদ্ধ এবং প্রফুল্ল ইসলামিক শিক্ষা লাভ করতে পারবেন, যা আপনার জীবনকে আরো উন্নত এবং সুস্থ করবে।
0 notes
Text
বেক্সিমকোসহ ৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকছে
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বেক্সিমকোসহ ছয় কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দামের সীমা) প্রত্যাহার করে নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অর্থাৎ বেক্সিমকোসহ ছয় কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ বিষয়টি নিশ্চিত…
0 notes
Text
ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত
বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও রাসুল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। চারিত্রিক অবক্ষয় রোধের অনুপম হাতিয়ার।
আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদাপূরণ ও মানবিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ। বিয়ে ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ই��শাদ করেন, ‘আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো— তিনি তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জীবনসঙ্গিনী, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পারো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। ’ (সুরা রুম, আয়াত :২১)
ইসলামে বিয়ের যাবতীয় নিয়ম-কানুন এবং বিধান-শর্ত ও আনুসাঙ্গিক বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।
ইসলামে বিয়ের রুকন বা মৌলিক ভিত্তি
এক. বর-কনে উভয়ে বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হওয়া। দুই. ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি হচ্ছে বরের কাছে মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা। যেমন, ‘আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম’ অথবা এ ধরনের অন্য কোনভাবে প্রস্তাব পেশ করা। তিন: কবুল বা গ্রহণ করা: এটি বর বা তার প্রতিনিধির সম্মতিসূচক বাক্য। যেমন, ‘আমি কবুল বা গ্রহণ করলাম’ ইত্যাদি।
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্ত (১) বর-কনে উভয়কে গ্রহণযোগ্যভাবে নির্দিষ্ট করে নেয়া। (২) বর-কনে একে অন্যের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘স্বামীহারা নারী (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা)-কে তার সিদ্ধান্ত ছাড়া (অর্থাৎ পরিষ্কারভাবে তাকে বলে তার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না। কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব? তিনি বললেন, চুপ করে (লজ্জার দরুন) থাকাটাই তার সম্মতি। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৪৭৪১)
(৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও। ’ (সুরা নুর, ২৪:৩২)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ১০২১)
(৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই। ’ (সহিহ জামে, হাদিস নং : ৭৫৫৮)
সাক্ষী এমন দুইজন পুরুষ (স্বাধীন) সাক্ষী বা একজন পুরুষ (স্বাধীন) ও দুইজন মহিলা সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ-দুররুল মুখতার-৩/৯; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮)
বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করাও জরুরি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ১০৭২)
কনের অভিভাবক হওয়ার জন্য শর্ত ১. সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া। ২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। ৩. দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া। ৪.অভিভাবক কনের ধর্মানুসারী হওয়া। সুতরাং কোনো অমুসলিম ব্যক্তি মুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না।
৫. ন্যায়পরায়ণ হওয়া। অর্থাৎ ফাসেক না হওয়া। কিছু কিছু আলেম এ শর্তটি আরোপ করেছেন। অন্যেরা বাহ্যিক ‘আদালত’কে (ধর্মভীরুতা) যথেষ্ট বলেছেন। আবার কারো কারো মতে, যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলেও চলবে।
৬.পুরুষ হওয়া। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘এক নারী অন্য নারীকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা নারী নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৭৮২; সহিহ জামে : ৭২৯৮)
৭. বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের ‘কুফু’ বা সমতা ও অন্যান্য কল্যাণের দিক বিবেচনা করতে পারার যোগ্যতাবান হওয়া। ফিকাহবিদরা অভিভাবকদের ধারা নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং কাছের অভিভাবক থাকতে দূরের অভিভাবকের অভিভাবকত্ব গ্রহণযোগ্য নয়। কাছের অভিভাবক না থাকলে দূরের অভিভাবক গ্রহণযোগ্য হবে।
#ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত#সুস্থ মস্তিষ্ক#প্রিয় নবী (সা.)#বর-কনের#সাক্ষী#বিয়ের আকদ#অভিভাবক#কবুল
0 notes
Text
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অন্তর পরিশুদ্ধ করার ১০ উপায়
১। আল্লাহর পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে জানুন
২। মন থেকে সমস্ত অপবিত্র চিন্তা দূর করুন
৩। ভালো কাজ করার অভ্যাস তৈরি করুন
৪। ধারাবাহিকতা
মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন: অর্থাৎ, “আর তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর।” আল-হিজর- (১৫:৯৯)।
৫। ধার্মিক সঙ্গী নির্বাচন করুন
৬। নিজেকে দায়বদ্ধ রাখুন
৭। কোরআনের নির্দেশনা অনুসারে ভালো কাজ করুন
৮। নিজের ভুল স্বীকার করার মানসিকতা
৯। অন্যের পরামর্শ ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে গ্রহন করুন
১০। কখনো আশাহত হওয়া চলবে না
জীবনে চলার পথে সব কিছু আপনার চাওয়ার মত করে নাও হতে পারে। দুঃখ, দুর্দশা, হতাশা আসতেই পারে। এর মানে এই নয় আপনি হাল ছেড়ে দিবেন। কখনো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। অন্যদের সম্পর্কে সন্দেহ করা যেমন অনৈতিক, নিজের সম্পর্কে সন্দেহ করাও অনৈতিক; বরং এটা একটা পাপ। সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আপনাকে বুঝতে হবে এবং ভাবতে হবে।
একজন মুমিন মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদা আত্মউন্নয়নের জন্য চেষ্টা করা। আশাকরি উপরে আলোচিত আত্মাকে শুদ্ধ করার উপায় অনুস্মরণ করে আমরা আমাদের চলার পথের ভুল ত্রুটিগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করবো।
আবু আবদুল্লাহ নোমান বিন বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয় হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। এ দুইয়ের মধ্যে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, বেশির ভাগ মানুষ সেগুলো জানে না। অতঃপর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় থেকে বেঁচে থাকে, সে নিজের দ্বিন ও সম্মানকে ত্রুটিমুক্ত রাখে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হলো সে হারামে লিপ্ত হলো।
যেমন কোনো রাখাল, তার (গবাদি) পশু সংরক্ষিত এলাকার আশপাশে চরায়। আর তখন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, যেকোনো সময় কোনো পশু তার মধ্যে ঢুকে পড়বে। সাবধান! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত এলাকা থাকে। আর আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হচ্ছে তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো।
সাবধান! নিশ্চয়ই মানবদেহে একখণ্ড গোশতের টুকরো আছে, যখন তা সুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরটাই সুস্থ হয়ে যায় এবং যখন তা অসুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো! এটাই হচ্ছে কলব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৭৮)
আলোচ্য হাদিসের শেষাংশে রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন। আত্মা পরিশুদ্ধ না হলে মানুষের জীবনের কোনো কিছু সুন্দর ও সুস্থভাবে পরি��ালিত হয় না।
এ জন্য আল্লাহ বলেছেন, ‘সে-ই সফল যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে এবং যে তার আত্মাকে কলুষিত করেছে সে ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা আশ-শামস, আয়াত : ৮-৯)
আত্মা পরিশুদ্ধ করার বিভিন্ন উপায় ও পদ্ধতি কোরআন-সুন্নাহে পাওয়া যায়। যার কয়েকটি হলো—
১. অন্তরের পবিত্রতার জন্য দোয়া করা : অন্তরের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধির জন্য এবং আল্লাহর বিধান পালনে তার দৃঢ়তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার আনুগত্যে দৃঢ় করে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৯৪২০)
২. অন্তরের ব্যাধির ব্যাপারে উদাসীন না হওয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের অন্তর আল্লাহর দুই আঙুলের মধ্যে অবস্থিত, তিনি তা যেমন ইচ্ছা পরিবর্তন করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৯২১)
৩. পরকালকে ভয় করা : আত্মার পরিশুদ্ধি ছাড়া কিয়ামতের দিন কোনো কিছুই উপকারে আসবে না। সুতরাং পরকালের ভয় অন্তরে উপস্থিত রাখতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আজ সম্পদ ও সন্তান কোনো উপকার করতে পারবে না, কেবল যে পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।’ (সুরা শুআরা, আয়াত : ৮৮-৮৯)
কলবে সালিম, তা হলো শিরক ও বিদআতসহ অন্যান্য ব্যাধি ও অপছন্দনীয় বস্তু থেকে পবিত্র আত্মা। ফলে তার মধ্যে আল্লাহর মহব্বত ও ভয় ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
৪. অন্তরের সুস্থতার জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব : রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির জন্য নিয়মিত দোয়া করতেন। তাই আলেমরা আত্মশুদ্ধির জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব বলে মত দিয়েছেন। মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুস্থ অন্তর (কলব) কামনা করছি।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৭১১৪)
৫. কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত আত্মশুদ্ধির পদ্ধতি অবলম্বন করা : আত্মশুদ্ধির বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! রাসুল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহবান করেন যা তোমাদের প্রাণবন্ত করে, তখন তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ডাকে সাড়া দেবে। জেনে রেখো! আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মধ্যবর্তী হয়ে থাকেন।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ২৪)
৬. আল্লাহর স্মরণ অন্তর নরম করে : আল্লাহর জিকিরে মানব হৃদয় প্রশান্ত ও নরম হয়। এতে আত্মার পরিশুদ্ধি লাভ হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জেনে রেখো! আল্লাহর জিকিরেই অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাআদ, আয়াত : ২৮)
৭. অসহায় মানুষের পাশে থাকা : হাদিস শরিফে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে তার অন্তরের কঠোরতা সম্পর্কে অভিযোগ করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, ‘যখন তুমি তোমার অন্তরকে নরম করার ইচ্ছা করবে তখন এতিমের মাথায় হাত বোলাবে এবং মিসকিনকে খানা খাওয়াবে।’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ৯০১৮)
৮. কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণ : কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণের মাধ্যমে মানুষের অন্তর আল্লাহমুখী হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা জিয়ারত করো। কেননা নিশ্চয়ই তা আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্তরের উন্নতি ঘটায়।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৩০০৫)
৯. অন্তরের কঠোরতা পরিহার : কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা একাধিক স্থানে কঠোর হৃদয়ের নিন্দা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘... দুর্ভোগ সে কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য যারা আল্লাহর জিকির হতে পরাঙ্মুখ। তারা স্পষ্টত বিভ্রান্তিতে রয়েছে।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ২২)
১০. কলুষিত আত্মার পরিণতি স্মরণ রাখা : রাসুলুল্লাহ (সা.) কলুষিত আত্মার পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, ‘সাবধান! নিশ্চয়ই মানবদেহে একখণ্ড গোশতের টুকরো আছে, যখন তা সুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরটাই সুস্থ হয়ে যায় এবং যখন তা অসুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো! এটাই হচ্ছে কলব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৭৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা
তাযকিয়াহ
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
#আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা#তাযকিয়াহ#আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়#Way To Purify The Soul#Purify the soul#Tazkiyyah#Youtube
0 notes
Text
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অন্তর পরিশুদ্ধ করার ১০ উপায়
১। আল্লাহর পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে জানুন
২। মন থেকে সমস্ত অপবিত্র চিন্তা দূর করুন
৩। ভালো কাজ করার অভ্যাস তৈরি করুন
৪। ধারাবাহিকতা
মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন: অর্থাৎ, “আর তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর।” আল-হিজর- (১৫:৯৯)।
৫। ধার্মিক সঙ্গী নির্বাচন করুন
৬। নিজেকে দায়বদ্ধ রাখুন
৭। কোরআনের নির্দেশনা অনুসারে ভালো কাজ করুন
৮। নিজের ভুল স্বীকার করার মানসিকতা
৯। অন্যের পরামর্শ ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে গ্রহন করুন
১০। কখনো আশাহত হওয়া চলবে না
জীবনে চলার পথে সব কিছু আপনার চাওয়ার মত করে নাও হতে পারে। দুঃখ, দুর্দশা, হতাশা আসতেই পারে। এর মানে এই নয় আপনি হাল ছেড়ে দিবেন। কখনো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। অন্যদের সম্পর্কে সন্দেহ করা যেমন অনৈতিক, নিজের সম্পর্কে সন্দেহ করাও অনৈতিক; বরং এটা একটা পাপ। সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আপনাকে বুঝতে হবে এবং ভাবতে হবে।
একজন মুমিন মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদা আত্মউন্নয়নের জন্য চেষ্টা করা। আশাকরি উপরে আলোচিত আত্মাকে শুদ্ধ করার উপায় অনুস্মরণ করে আমরা আমাদের চলার পথের ভুল ত্রুটিগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করবো।
আবু আবদুল্লাহ নোমান বিন বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয় হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। এ দুইয়ের মধ্যে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, বেশির ভাগ মানুষ সেগুলো জানে না। অতঃপর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় থেকে বেঁচে থাকে, সে নিজের দ্বিন ও সম্মানকে ত্রুটিমুক্ত রাখে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হলো সে হারামে লিপ্ত হলো।
যেমন কোনো রাখাল, তার (গবাদি) পশু সংরক্ষিত এলাকার আশপাশে চরায়। আর তখন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, যেকোনো সময় কোনো পশু তার মধ্যে ঢুকে পড়বে। সাবধান! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত এলাকা থাকে। আর আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হচ্ছে তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো।
সাবধান! নিশ্চয়ই মানবদেহে একখণ্ড গোশতের টুকরো আছে, যখন তা সুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরটাই সুস্থ হয়ে যায় এবং যখন তা অসুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো! এটাই হচ্ছে কলব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৭৮)
আলোচ্য হাদিসের শেষাংশে রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন। আত্মা পরিশুদ্ধ না হলে মানুষের জীবনের কোনো কিছু সুন্দর ও সুস্থভাবে পরিচালিত হয় না।
এ জন্য আল্লাহ বলেছেন, ‘সে-ই সফল যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে এবং যে তার আত্মাকে কলুষিত করেছে সে ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা আশ-শামস, আয়াত : ৮-৯)
আত্মা পরিশুদ্ধ করার বিভিন্ন উপায় ও পদ্ধতি কোরআন-সুন্নাহে পাওয়া যায়। যার কয়েকটি হলো—
১. অন্তরের পবিত্রতার জন্য দোয়া করা : অন্তরের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধির জন্য এবং আল্লাহর বিধান পালনে তার দৃঢ়তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার আনুগত্যে দৃঢ় করে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৯৪২০)
২. অন্তরের ব্যাধির ব্যাপারে উদাসীন না হওয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের অন্তর আল্লাহর দুই আঙুলের মধ্যে অবস্থিত, তিনি তা যেমন ইচ্ছা পরিবর্তন করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৯২১)
৩. পরকালকে ভয় করা : আত্মার পরিশুদ্ধি ছাড়া কিয়ামতের দিন কোনো কিছুই উপকারে আসবে না। সুতরাং পরকালের ভয় অন্তরে উপস্থিত রাখতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আজ সম্পদ ও সন্তান কোনো উপকার করতে পারবে না, কেবল যে পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।’ (সুরা শুআরা, আয়াত : ৮৮-৮৯)
কলবে সালিম, তা হলো শিরক ও বিদআতসহ অন্যান্য ব্যাধি ও অপছন্দনীয় বস্তু থেকে পবিত্র আত্মা। ফলে তার মধ্যে আল্লাহর মহব্বত ও ভয় ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
৪. অন্তরের সুস্থতার জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব : রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির জন্য নিয়মিত দোয়া করতেন। তাই আলেমরা আত্মশুদ্ধির জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব বলে মত দিয়েছেন। মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুস্থ অন্তর (কলব) কামনা করছি।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৭১১৪)
৫. কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত আত্মশুদ্ধির পদ্ধতি অবলম্বন করা : আত্মশুদ্ধির বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! রাসুল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহবান করেন যা তোমাদের প্রাণবন্ত করে, তখন তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ডাকে সাড়া দেবে। জেনে রেখো! আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মধ্যবর্তী হয়ে থাকেন।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ২৪)
৬. আল্লাহর স্মরণ অন্তর নরম করে : আল্লাহর জিকিরে মানব হৃদয় প্রশান্ত ও নরম হয়। এতে আত্মার পরিশুদ্ধি লাভ হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জেনে রেখো! আল্লাহর জিকিরেই অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাআদ, আয়াত : ২৮)
৭. অসহায় মানুষের পাশে থাকা : হাদিস শরিফে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে তার অন্তরের কঠোরতা সম্পর্কে অভিযোগ করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, ‘যখন তুমি তোমার অন্তরকে নরম করার ইচ্ছা করবে তখন এতিমের মাথায় হাত বোলাবে এবং মিসকিনকে খানা খাওয়াবে।’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ৯০১৮)
৮. কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণ : কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণের মাধ্যমে মানুষের অন্তর আল্লাহমুখী হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা জিয়ারত করো। কেননা নিশ্চয়ই তা আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্তরের উন্নতি ঘটায়।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৩০০৫)
৯. অন্তরের কঠোরতা পরিহার : কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা একাধিক স্থানে কঠোর হৃদয়ের নিন্দা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘... দুর্ভোগ সে কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য যারা আল্লাহর জিকির হতে পরাঙ্মুখ। তারা স্পষ্টত বিভ্রান্তিতে রয়েছে।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ২২)
১০. কলুষিত আত্মার পরিণতি স্মরণ রাখা : রাসুলুল্লাহ (সা.) কলুষিত আত্মার পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, ‘সাবধান! নিশ্চয়ই মানবদেহে একখণ্ড গোশতের টুকরো আছে, যখন তা সুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরটাই সুস্থ হয়ে যায় এবং যখন তা অসুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো! এটাই হচ্ছে কলব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৭৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা
তাযকিয়াহ
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
Way To Purify The Soul
#আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা#তাযকিয়াহ#আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়#Way To Purify The Soul#Purify the soul#Tazkiyyah#Youtube
0 notes
Text
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অন্তর পরিশুদ্ধ করার ১০ উপায়
১। আল্লাহর পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে জানুন
২। মন থেকে সমস্ত অপবিত্র চিন্তা দূর করুন
৩। ভালো কাজ করার অভ্যাস তৈরি করুন
৪। ধারাবাহিকতা
মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন: অর্থাৎ, “আর তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর।” আল-হিজর- (১৫:৯৯)।
৫। ধার্মিক সঙ্গী নির্বাচন করুন
৬। নিজেকে দায়বদ্ধ রাখুন
৭। কোরআনের নির্দেশনা অনুসারে ভালো কাজ করুন
৮। নিজের ভুল স্বীকার করার মানসিকতা
৯। অন্যের পরামর্শ ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে গ্রহন করুন
১০। কখনো আশাহত হওয়া চলবে না
জীবনে চলার পথে সব কিছু আপনার চাওয়ার মত করে নাও হতে পারে। দুঃখ, দুর্দশা, হতাশা আসতেই পারে। এর মানে এই নয় আপনি হাল ছেড়ে দিবেন। কখনো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। অন্যদের সম্পর্কে সন্দেহ করা যেমন অনৈতিক, নিজের সম্পর্কে সন্দেহ করাও অনৈতিক; বরং এটা একটা পাপ। সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আপনাকে বুঝতে হবে এবং ভাবতে হবে।
একজন মুমিন মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদা আত্মউন্নয়নের জন্য চেষ্টা করা। আশাকরি উপরে আলোচিত আত্মাকে শুদ্ধ করার উপায় অনুস্মরণ করে আমরা আমাদের চলার পথের ভুল ত্রুটিগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করবো।
আবু আবদুল্লাহ নোমান বিন বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয় হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। এ দুইয়ের মধ্যে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, বেশির ভাগ মানুষ সেগুলো জানে না। অতঃপর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় থেকে বেঁচে থাকে, সে নিজের দ্বিন ও সম্মানকে ত্রুটিমুক্ত রাখে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হলো সে হারামে লিপ্ত হলো।
যেমন কোনো রাখাল, তার (গবাদি) পশু সংরক্ষিত এলাকার আশপাশে চরায়। আর তখন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, যেকোনো সময় কোনো পশু তার মধ্যে ঢুকে পড়বে। সাবধান! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত এলাকা থাকে। আর আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হচ্ছে তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো।
সাবধান! নিশ্চয়ই মানবদেহে একখণ্ড গোশতের টুকরো আছে, যখন তা সুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরটাই সুস্থ হয়ে যায় এবং যখন তা অসুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো! এটাই হচ্ছে কলব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৭৮)
আলোচ্য হাদিসের শেষাংশে রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন। আত্মা পরিশুদ্ধ না হলে মানুষের জীবনের কোনো কিছু সুন্দর ও সুস্থভাবে পরিচালিত হয় না।
এ জন্য আল্লাহ বলেছেন, ‘সে-ই সফল যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে এবং যে তার আত্মাকে কলুষিত করেছে সে ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা আশ-শামস, আয়াত : ৮-৯)
আত্মা পরিশুদ্ধ করার বিভিন্ন উপায় ও পদ্ধতি কোরআন-সুন্নাহে পাওয়া যায়। যার কয়েকটি হলো—
১. অন্তরের পবিত্রতার জন্য দোয়া করা : অন্তরের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধির জন্য এবং আল্লাহর বিধান পালনে তার দৃঢ়তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার আনুগত্যে দৃঢ় করে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৯৪২০)
২. অন্তরের ব্যাধির ব্যাপারে উদাসীন না হওয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের অন্তর আল্লাহর দুই আঙুলের মধ্যে অবস্থিত, তিনি তা যেমন ইচ্ছা পরিবর্তন করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৯২১)
৩. পরকালকে ভয় করা : আত্মার পরিশুদ্ধি ছাড়া কিয়ামতের দিন কোনো কিছুই উপকারে আসবে না। সুতরাং পরকালের ভয় অন্তরে উপস্থিত রাখতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আজ সম্পদ ও সন্তান কোনো উপকার করতে পারবে না, কেবল যে পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।’ (সুরা শুআরা, আয়াত : ৮৮-৮৯)
কলবে সালিম, তা হলো শিরক ও বিদআতসহ অন্যান্য ব্যাধি ও অপছন্দনীয় বস্তু থেকে পবিত্র আত্মা। ফলে তার মধ্যে আল্লাহর মহব্বত ও ভয় ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
৪. অন্তরের সুস্থতার জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব : রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির জন্য নিয়মিত দোয়া করতেন। তাই আলেমরা আত্মশুদ্ধির জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব বলে মত দিয়েছেন। মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুস্থ অন্তর (কলব) কামনা করছি।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৭১১৪)
৫. কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত আত্মশুদ্ধির পদ্ধতি অবলম্বন করা : আত্মশুদ্ধির বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! রাসুল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহবান করেন যা তোমাদের প্রাণবন্ত করে, তখন তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ডাকে সাড়া দেবে। জেনে রেখো! আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মধ্যবর্তী হয়ে থাকেন।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ২৪)
৬. আল্লাহর স্মরণ অন্তর নরম করে : আল্লাহর জিকিরে মানব হৃদ���় প্রশান্ত ও নরম হয়। এতে আত্মার পরিশুদ্ধি লাভ হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জেনে রেখো! আল্লাহর জিকিরেই অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাআদ, আয়াত : ২৮)
৭. অসহায় মানুষের পাশে থাকা : হাদিস শরিফে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে তার অন্তরের কঠোরতা সম্পর্কে অভিযোগ করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, ‘যখন তুমি তোমার অন্তরকে নরম করার ইচ্ছা করবে তখন এতিমের মাথায় হাত বোলাবে এবং মিসকিনকে খানা খাওয়াবে।’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ৯০১৮)
৮. কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণ : কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণের মাধ্যমে মানুষের অন্তর আল্লাহমুখী হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা জিয়ারত করো। কেননা নিশ্চয়ই তা আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্তরের উন্নতি ঘটায়।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৩০০৫)
৯. অন্তরের কঠোরতা পরিহার : কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা একাধিক স্থানে কঠোর হৃদয়ের নিন্দা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘... দুর্ভোগ সে কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য যারা আল্লাহর জিকির হতে পরাঙ্মুখ। তারা স্পষ্টত বিভ্রান্তিতে রয়েছে।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ২২)
১০. কলুষিত আত্মার পরিণতি স্মরণ রাখা : রাসুলুল্লাহ (সা.) কলুষিত আত্মার পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, ‘সাবধান! নিশ্চয়ই মানবদেহে একখণ্ড গোশতের টুকরো আছে, যখন তা সুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরটাই সুস্থ হয়ে যায় এবং যখন তা অসুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো! এটাই হচ্ছে কলব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৭৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা
তাযকিয়াহ
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
Way To Purify The Soul
#আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা#তাযকিয়াহ#আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়#Way To Purify The Soul#Purify the soul#Tazkiyyah#Youtube
0 notes
Text
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অন্তর পরিশুদ্ধ করার ১০ উপায়
১। আল্লাহর পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে জানুন
২। মন থেকে সমস্ত অপবিত্র চিন্তা দূর করুন
৩। ভালো কাজ করার অভ্যাস তৈরি করুন
৪। ধারাবাহিকতা
মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন: অর্থাৎ, “আর তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর।” আল-হিজর- (১৫:৯৯)।
৫। ধার্মিক সঙ্গী নির্বাচন করুন
৬। নিজেকে দায়বদ্ধ রাখুন
৭। কোরআনের নির্দেশনা অনুসারে ভালো কাজ করুন
৮। নিজের ভুল স্বীকার করার মানসিকতা
৯। অন্যের পরামর্শ ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে গ্রহন করুন
১০। কখনো আশাহত হওয়া চলবে না
জীবনে চলার পথে সব কিছু আপনার চাওয়ার মত করে নাও হতে পারে। দুঃখ, দুর্দশা, হতাশা আসতেই পারে। এর মানে এই নয় আপনি হাল ছেড়ে দিবেন। কখনো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। অন্যদের সম্পর্কে সন্দেহ করা যেমন অনৈতিক, নিজের সম্পর্কে সন্দেহ করাও অনৈতিক; বরং এটা একটা পাপ। সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আপনাকে বুঝতে হবে এবং ভাবতে হবে।
একজন মুমিন মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদা আত্মউন্নয়নের জন্য চেষ্টা করা। আশাকরি উপরে আলোচিত আত্মাকে শুদ্ধ করার উপায় অনুস্মরণ করে আমরা আমাদের চলার পথের ভুল ত্রুটিগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করবো।
আবু আবদুল্লাহ নোমান বিন বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয় হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। এ দুইয়ের মধ্যে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, বেশির ভাগ মানুষ সেগুলো জানে না। অতঃপর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় থেকে বেঁচে থাকে, সে নিজের দ্বিন ও সম্মানকে ত্রুটিমুক্ত রাখে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হলো সে হারামে লিপ্ত হলো।
যেমন কোনো রাখাল, তার (গবাদি) পশু সংরক্ষিত এলাকার আশপাশে চরায়। আর তখন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, যেকোনো সময় কোনো পশু তার মধ্যে ঢুকে পড়বে। সাবধান! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত এলাকা থাকে। আর আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হচ্ছে তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো।
সাবধান! নিশ্চয়ই মানবদেহে একখণ্ড গোশতের টুকরো আছে, যখন তা সুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরটাই সুস্থ হয়ে যায় এবং যখন তা অসুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো! এটাই হচ্ছে কলব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৭৮)
আলোচ্য হাদিসের শেষাংশে রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন। আত্মা পরিশুদ্ধ না হলে মানুষের জীবনের কোনো কিছু সুন্দর ও সুস্থভাবে পরিচালিত হয় না।
এ জন্য আল্লাহ বলেছেন, ‘সে-ই সফল যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে এবং যে তার আত্মাকে কলুষিত করেছে সে ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা আশ-শামস, আয়াত : ৮-৯)
আত্মা পরিশুদ্ধ করার বিভিন্ন উপায় ও পদ্ধতি কোরআন-সুন্নাহে পাওয়া যায়। যার কয়েকটি হলো—
১. অন্তরের পবিত্রতার জন্য দোয়া করা : অন্তরের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধির জন্য এবং আল্লাহর বিধান পালনে তার দৃঢ়তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার আনুগত্যে দৃঢ় করে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৯৪২০)
২. অন্তরের ব্যাধির ব্যাপারে উদাসীন না হওয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের অন্তর আল্লাহর দুই আঙুলের মধ্যে অবস্থিত, তিনি তা যেমন ইচ্ছা পরিবর্তন করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৯২১)
৩. পরকালকে ভয় করা : আত্মার পরিশুদ্ধি ছাড়া কিয়ামতের দিন কোনো কিছুই উপকারে আসবে না। সুতরাং পরকালের ভয় অন্তরে উপস্থিত রাখতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আজ সম্পদ ও সন্তান কোনো উপকার করতে পারবে না, কেবল যে পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।’ (সুরা শুআরা, আয়াত : ৮৮-৮৯)
কলবে সালিম, তা হলো শিরক ও বিদআতসহ অন্যান্য ব্যাধি ও অপছন্দনীয় বস্তু থেকে পবিত্র আত্মা। ফলে তার মধ্যে আল্লাহর মহব্বত ও ভয় ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
৪. অন্তরের সুস্থতার জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব : রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির জন্য নিয়মিত দোয়া করতেন। তাই আলেমরা আত্মশুদ্ধির জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব বলে মত দিয়েছেন। মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুস্থ অন্তর (কলব) কামনা করছি।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৭১১৪)
৫. কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত আত্মশুদ্ধির পদ্ধতি অবলম্বন করা : আত্মশুদ্ধির বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! রাসুল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহবান করেন যা তোমাদের প্রাণবন্ত করে, তখন তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ডাকে সাড়া দেবে। জেনে রেখো! আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মধ্যবর্তী হয়ে থাকেন।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ২৪)
৬. আল্লাহর স্মরণ অন্তর নরম করে : আল্লাহর জিকিরে মানব হৃদয় প্রশান্ত ও নরম হয়। এতে আত্মার পরিশুদ্ধি লাভ হয়। পবিত্��� কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জেনে রেখো! আল্লাহর জিকিরেই অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাআদ, আয়াত : ২৮)
৭. অসহায় মানুষের পাশে থাকা : হাদিস শরিফে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে তার অন্তরের কঠোরতা সম্পর্কে অভিযোগ করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, ‘যখন তুমি তোমার অন্তরকে নরম করার ইচ্ছা করবে তখন এতিমের মাথায় হাত বোলাবে এবং মিসকিনকে খানা খাওয়াবে।’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ৯০১৮)
৮. কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণ : কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণের মাধ্যমে মানুষের অন্তর আল্লাহমুখী হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা জিয়ারত করো। কেননা নিশ্চয়ই তা আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্তরের উন্নতি ঘটায়।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৩০০৫)
৯. অন্তরের কঠোরতা পরিহার : কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা একাধিক স্থানে কঠোর হৃদয়ের নিন্দা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘... দুর্ভোগ সে কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য যারা আল্লাহর জিকির হতে পরাঙ্মুখ। তারা স্পষ্টত বিভ্রান্তিতে রয়েছে।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ২২)
১০. কলুষিত আত্মার পরিণতি স্মরণ রাখা : রাসুলুল্লাহ (সা.) কলুষিত আত্মার পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, ‘সাবধান! নিশ্চয়ই মানবদেহে একখণ্ড গোশতের টুকরো আছে, যখন তা সুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরটাই সুস্থ হয়ে যায় এবং যখন তা অসুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো! এটাই হচ্ছে কলব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৭৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা
তাযকিয়াহ
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
Way To Purify The Soul
#আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা#তাযকিয়াহ#আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়#Way To Purify The Soul#Purify the soul#Tazkiyyah#Youtube
0 notes
Text
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অন্তর পরিশুদ্ধ করার ১০ উপায়
১। আল্লাহর পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে জানুন
২। মন থেকে সমস্ত অপবিত্র চিন্তা দূর করুন
৩। ভালো কাজ করার অভ্যাস তৈরি করুন
৪। ধারাবাহিকতা
মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন: অর্থাৎ, “আর তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর।” আল-হিজর- (১৫:৯৯)।
৫। ধার্মিক সঙ্গী নির্বাচন করুন
৬। নিজেকে দায়বদ্ধ রাখুন
৭। কোরআনের নির্দেশনা অনুসারে ভালো কাজ করুন
৮। নিজের ভুল স্বীকার করার মানসিকতা
৯। অন্যের পরামর্শ ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে গ্রহন করুন
১০। কখনো আশাহত হওয়া চলবে না
জীবনে চলার পথে সব কিছু আপনার চাওয়ার মত করে নাও হতে পারে। দুঃখ, দুর্দশা, হতাশা আসতেই পারে। এর মানে এই নয় আপনি হাল ছেড়ে দিবেন। কখনো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। অন্যদের সম্পর্কে সন্দেহ করা যেমন অনৈতিক, নিজের সম্পর্কে সন্দেহ করাও অনৈতিক; বরং এটা একটা পাপ। সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আপনাকে বুঝতে হবে এবং ভাবতে হবে।
একজন মুমিন মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদা আত্মউন্নয়নের জন্য চেষ্টা করা। আশাকরি উপরে আলোচিত আত্মাকে শুদ্ধ করার উপায় অনুস্মরণ করে আমরা আমাদের চলার পথের ভুল ত্রুটিগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করবো।
আবু আবদুল্লাহ নোমান বিন বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয় হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। এ দুইয়ের মধ্যে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, বেশির ভাগ মানুষ সেগুলো জানে না। অতঃপর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় থেকে বেঁচে থাকে, সে নিজের দ্বিন ও সম্মানকে ত্রুটিমুক্ত রাখে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হলো সে হারামে লিপ্ত হলো।
যেমন কোনো রাখাল, তার (গবাদি) পশু সংরক্ষিত এলাকার আশপাশে চরায়। আর তখন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, যেকোনো সময় কোনো পশু তার মধ্যে ঢুকে পড়বে। সাবধান! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত এলাকা থাকে। আর আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হচ্ছে তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো।
সাবধান! নিশ্চয়ই মানবদেহে একখণ্ড গোশতের টুকরো আছে, যখন তা সুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরটাই সুস্থ হয়ে যায় এবং যখন তা অসুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো! এটাই হচ্ছে কলব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৭৮)
আলোচ্য হাদিসের শেষাংশে রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন। আত্মা পরিশুদ্ধ না হলে মানুষের জীবনের কোনো কিছু সুন্দর ও সুস্থভাবে পরিচালিত হয় না।
এ জন্য আল্লাহ বলেছেন, ‘সে-ই সফল যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে এবং যে তার আত্মাকে কলুষিত করেছে সে ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা আশ-শামস, আয়াত : ৮-৯)
আত্মা পরিশুদ্ধ করার বিভিন্ন উপায় ও পদ্ধতি কোরআন-সুন্নাহে পাওয়া যায়। যার কয়েকটি হলো—
১. অন্তরের পবিত্রতার জন্য দোয়া করা : অন্তরের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধির জন্য এবং আল্লাহর বিধান পালনে তার দৃঢ়তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার আনুগত্যে দৃঢ় করে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৯৪২০)
২. অন্তরের ব্যাধির ব্যাপারে উদাসীন না হওয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের অন্তর আল্লাহর দুই আঙুলের মধ্যে অবস্থিত, তিনি তা যেমন ইচ্ছা পরিবর্তন করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৯২১)
৩. পরকালকে ভয় করা : আত্মার পরিশুদ্ধি ছাড়া কিয়ামতের দিন কোনো কিছুই উপকারে আসবে না। সুতরাং পরকালের ভয় অন্তরে উপস্থিত রাখতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আজ সম্পদ ও সন্তান কোনো উপকার করতে পারবে না, কেবল যে পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।’ (সুরা শুআরা, আয়াত : ৮৮-৮৯)
কলবে সালিম, তা হলো শিরক ও বিদআতসহ অন্যান্য ব্যাধি ও অপছন্দনীয় বস্তু থেকে পবিত্র আত্মা। ফলে তার মধ্যে আল্লাহর মহব্বত ও ভয় ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
৪. অন্তরের সুস্থতার জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব : রাসুলুল্লাহ (সা.) আত্মশুদ্ধির জন্য নিয়মিত দোয়া করতেন। তাই আলেমরা আত্মশুদ্ধির জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব বলে মত দিয়েছেন। মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুস্থ অন্তর (কলব) কামনা করছি।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৭১১৪)
৫. কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত আত্মশুদ্ধির পদ্ধতি অবলম্বন করা : আত্মশুদ্ধির বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! রাসুল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহবান করেন যা তোমাদের প্রাণবন্ত করে, তখন তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ডাকে সাড়া দেবে। জেনে রেখো! আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মধ্যবর্তী হয়ে থাকেন।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ২৪)
৬. আল্লাহর স্মরণ অন্তর নরম করে : আল্লাহর জিকিরে মানব হৃদয় প্রশান্ত ও নরম হয়। এতে আত্মার পরিশুদ্ধি লাভ হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জেনে রেখো! আল্লাহর জিকিরেই অন্তর প্��শান্ত হয়।’ (সুরা রাআদ, আয়াত : ২৮)
৭. অসহায় মানুষের পাশে থাকা : হাদিস শরিফে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে তার অন্তরের কঠোরতা সম্পর্কে অভিযোগ করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, ‘যখন তুমি তোমার অন্তরকে নরম করার ইচ্ছা করবে তখন এতিমের মাথায় হাত বোলাবে এবং মিসকিনকে খানা খাওয়াবে।’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ৯০১৮)
৮. কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণ : কবর জিয়ারত ও মৃত্যুর স্মরণের মাধ্যমে মানুষের অন্তর আল্লাহমুখী হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা জিয়ারত করো। কেননা নিশ্চয়ই তা আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্তরের উন্নতি ঘটায়।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৩০০৫)
৯. অন্তরের কঠোরতা পরিহার : কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা একাধিক স্থানে কঠোর হৃদয়ের নিন্দা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘... দুর্ভোগ সে কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য যারা আল্লাহর জিকির হতে পরাঙ্মুখ। তারা স্পষ্টত বিভ্রান্তিতে রয়েছে।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ২২)
১০. কলুষিত আত্মার পরিণতি স্মরণ রাখা : রাসুলুল্লাহ (সা.) কলুষিত আত্মার পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, ‘সাবধান! নিশ্চয়ই মানবদেহে একখণ্ড গোশতের টুকরো আছে, যখন তা সুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরটাই সুস্থ হয়ে যায় এবং যখন তা অসুস্থ হয়ে যায় গোটা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো! এটাই হচ্ছে কলব।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৭৮)
youtube
youtube
youtube
youtube
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা
তাযকিয়াহ
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
#আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা#তাযকিয়াহ#আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়#Way To Purify The Soul#Purify the soul#Tazkiyyah#Youtube
0 notes