#তুমি কবিতা হলে
Explore tagged Tumblr posts
Text
তুমি কবিতা হলে
তুমি কবিতা হলে আমি অসমাপ্ত লেখক হতাম, তোমার প্রতিটি ছন্দে নিজেকে হারিয়ে ফেলতাম। তোমার প্রতিটি শব্দে অনুসন্ধান করতাম অর্থ, তোমার প্রতিটি লাইনে আবিষ্কার করতাম জীবনরথ। তুমি কবিতা হলে আমার কলমে থাকত শুধু বিস্ময়, শব্দের খেলা নয়, তুমি হয়ে উঠতে আমার অন্তরের অভয়। তুমি কবিতা হলে আমি শুধু শ্রোতা হয়ে থাকতাম, তোমার বুকে, শব্দের মাঝে নিজেকে খুঁজে পেতাম, বারবার হারাতাম। তুমি কবিতা হলে আমি অসমাপ্তই রয়ে…
0 notes
Text
অবহেলিত বউ |NEGLECTED WIFE
Based On a True Porokiya Love Story
অবহেলিত বউ
#Neglected_Wife
FOR WATCHING THIS ON VIDEO
অফিসে যাবো নাস্তা করছিলাম। এমন সময়! এভাবে আর কতোদিন? বয়স তো আর কম হচ্ছেনা তোর, বিয়ে করছিস না কেনো? আম্মু কথাটি বলে আমার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।
-আমি বললাম, এসব বিয়ে-সাদি আমার দ্বারা হবেনা আম্মু।
- দেখ বাবা সব মেয়ে এক নয়। ইরা তোকে ধোকা দিয়েছে তার মানে এই নয় যে তুই সব মেয়েকে এক ভাব্বি!
- আম্মু সকাল সকাল কি শুরু করলে? আবারো সেই পুরোনো অতীত কেনো টেনে আনছো? ভাল্লাগেনা ধ্যাত
এই বলে নাস্তা শেষ না করেই বেড়িয়ে পড়লাম অফিসের দিকে।
সম্পুর্ন ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
নাহ আম্মুটাও না দিলো সকাল সকাল মেজাজ'টা খারাপ করে। সেই পুরোনো অতীত টাকে আবার টেনে বের করে আনলো আবার। ফিরে গেলাম সেই ৩বছর পিছনে,,
ভার্সিটির ২য় বর্ষের ইংলিশ বিভাগের ছাত্র আমি। প্রতিদিনকার মতো ভার্সিটি যাচ্ছিলাম এমন সময়,,
গল্পের বাকী অংশ ও সত্য ঘটনা অবলম্বনে নতুন নতুন গল্প পেতে ফলো করে আমাদের ফেইজবুক পেইজে এর জন্য ক্লিক করুন
- এই ছেলে, এই ছেলে বলে একটা মেয়ে আমার দিকেই আসছে
- জ্বী আমাকে বলছেন?
- কেনো আপনার আশেপাশে কি আর কেউ আছে নাকি?( কোমরে হাত দিয়ে)
- জ্বী নাতো
- সমস্যা কি আপনার?
- সরি বুঝলাম না ঠিক!
- এতো ভাব কেনো আপনার হু? লেখকদের এতো ভাব হয় জানা ছিলো নাতো!
- আপনি ভুল ভাবছেন আমি লেখক নই, আমি শুধুমাত্র ফেবুতে মাঝে মধ্যে টুকটাক গল্প কবিতা লিখি।
- হুহ হইসে হইসে,আমার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করেননি কেনো এখনো?
- দুঃখিত আমি মেয়েদের রিকু এক্সেপ্ট করিনা। আর আমি অপরিচিত কারো সাথে কথা বলিনা ক্ষমা করবেন। আসি আমি
- এই ছেলে নিচে তাকিয়ে কথা বলো কেনো? ওপরে তাকাও বলছি।আর অপরিচিত কে শুনি? আমি ইরা, ইন্টার দিবো এবার।
- দেখুন রাস্তায় এমন করলে মানুষ মন্দ বলবে। আমাকে যেতে দিন আমার ক্লাসে দেরী হয়ে যাচ্ছে।
- আমার রিকু এক্সেপ্ট না করলে ছাড়ছিনা আজ।
কি আর করার?
পড়েছি যমের হাতে, খানা খেতে হবে এখন এক সাথে। এরপর তার রিকু এক্সেপ্ট করে চলে এলাম সেখান থেকে।
FOR FOLLOW US ON FACEBOOK
রাতে বসে বসে ভাবছিলাম, বাবারে বাবা কি মেয়ে। জোর করে তার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করিয়ে নিলো।
এমন সময় ইরাবতি আইডি থেকে সেই মেয়েটার টেক্সট এলো। এভাবেই পরিচয় ইরার সাথে।
কিছুদিন পর ইরা জানায় সে নাকি আমাকে ভালোবাসে। আমি না বলেছিলাম তাকে কিন্তু সে ঠিক জোর করেই হ্যা বলিয়ে নিয়েছিলো।
একটা কথা হুমায়ূন স্যার বলেছেন, লেখকরা ঘনো ঘনো প্রেমে পড়ে আর খুব সহজেই ছ্যাকা খায়।
ইরার প্রেমে আমি এতোটাই মগ্ন হয়ে পড়েছিলাম যে ওকে ছাড়া কিছুই বুঝতাম না।
সব ঠিকঠাক ভাবেই চলছিলো। আজ আমাদের রিলেশনের ৩ মাস পূর্ণ হবে। ইরা ফোন দিয়ে বলল আজ তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দিবো। বিকালে লেইকে চলে এসো কিন্তু। আমি বললাম আচ্ছা,,
গিয়ে দেখি ইরা তার কিছু বান্ধবীদের সাথে হাসাহাসি করছে। আমার কেনো জানিনা মনে হচ্ছিলো কিছু একটা ঠিক নেই।
ইরা হুট করেই বলল, মেঘা আমার টাকা দে আমি বাজি জিতে গেছি।
-আমি বললাম ওয়েট ওয়েট, বাজি জিতেছে ইরা! লটারি ধরেছিলে নাকি?
- হ্যা সেটা ছিলে তুমি তানভীর
- হাহাহা, মজা করছো তুমি?
- না তানভীর, আসলে সরি বুঝলা। আমি বান্ধবীদের সাথেই বাজি ধরেছিলাম যে কোনো এক লেখকের সাথে ৩ মাস প্রেম করে দেখাবো। আজ সেটার লাস্ট ডেইট ছিলো আর আমি জিতে গেছি।
- আমি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। দুচোখ দিয়ে অশ্রুধারা বয়ে যাচ্ছিলো, শুধু বলেছিলাম এমন না করলেও পারতে।
-স্যার অফিসে চলে এসেছি নামবেন না?
ড্রাইভারের কথায় হুস ফিরলো আমার। হ্যা নামবো আর হ্যা তুমি সময়মতো চলে এসো কিন্তু।
ডিন���র করতে বসেছি,,
দেখি মা খাচ্ছেন না, মাথা নিচু করে বসে আছে।
আম্মু কি হয়েছে তোমার? খাচ্ছো না কেনো?
বাবা তুমি ও দেখি একি অবস্থা!
কি হয়েছে তোমাদের বলবে তো?
কি আর হবে!এভাবে আর কতোদিন বল? আমাদের তো নাতি নাতনির মুখ দেখতে ইচ্ছা করে। তোর মা সারাদিন এই সম্পুর্ণ বাসা আর এই পুরো সংসার'টা সামলায়। বয়স হয়েছে তো এ��ন, প্লিজ বিয়ে করে নে বাবা।(বাবা বলছিলো কথাগুলো)
কোনো সন্তানি পারবেনা তার বাবা মায়ের কষ্ট সহ্য করতে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে মেয়ে দেখো,,,
আম্মু বললেন, মেয়ে ঠিক করা আছে তোর পছন্দ হলেই পাকা কথা দিবো।
বাহ, সব কিছু যখন ঠিকঠাক তাহলে এতো ঢং করছিলে কেনো শুনি? মেয়ে দেখার কোনো ইচ্ছা নেই আমার। তোমাদের পছন্দ হলে পাকা কথা দিয়ে দাও।
সকালে আম্মু এসে শেরওয়ানি দিয়ে বলল রেডি হয়ে নে। আমি বললাম, এগুলা কেনো? টি-শার্ট পড়ে যাই যে গরম পড়তাসে। আর এই শেরওয়ানি অনেক ওজন ধুর অন্য কিছু দাও।
কিরে পাগল হয়েছিস তুই? এই শীতে তোর গরম লাগে গাধা। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে,,
কিছুক্ষন আগে বউ নিয়ে বাসায় এসেছি। বিয়ে বাড়িতে সে আরেক ঝামেলা, গেইটে আসার পর পুলাপান কি সব ফিতাটিতা কাটালো এরপর বলে ২০,০০০ টাকা দেন দুলাভাই।
মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেছে, বিশ হাজার টাকা ফাও ফাও দিবো পাগলে কামড়াইছে হাহ। ভাগ্যিস এক বন্ধু বুদ্ধি দিয়েছিলো নকল টাকা ধরায় দিবি।
রাগটাগ ধামাচাপা দিয়ে ওদের টাকা দেখিয়ে বললাম যাওয়ার সময় দিয়ে যাবো। নইলে এখন দিলে ধরা খেতে পারি।
এরপর আরেক জ্বালা, এক একজন আসে আর সেল্ফি তুলে। ওই আমি কি চিড়িয়াখানার পশু নাকি এভাবে আমার সাথে সেল্ফি তোলার মানে কি,, মনে মনে বলছিলাম।
একেতো বিয়ে করার কোনো ইচ্ছাই নাই আমার শুধু বাবা মায়ের ঘ্যানঘ্যানানি থেকে বাচার জন্য বিয়েটা করা৷ মেয়েটাকে এখনো দেখিনি আমি। আসলে সেই ফিলিংসটাই মরে গেছে এখন ।
এরপর পুলাপাইন রে টাকা গুলা ধরায় দিয়া চলে আসছি। পুলাপাইন গুলা খুব খুশি হয়েছে দেখলাম 🐸 একজন বলল দুলাভাইয়ের মতো মানুষ হয়না।
আমি মনে মনে হাসি আর বলি,,
বুঝবি তোরা বুঝবি
যখন টাকা দিয়া তোরা মজা কিন্না খাবি।
খাবি ধরা
পড়বি মরা।হাহাহাহা
বাসা আসার পর ছাদে গিয়ে সিগারেট ধরিয়েছি। ইরা ধোকা দেওয়ার পর থেকে এটা খাওয়া শুরু করেছি। সব সময় নয় মাঝে মাঝে খাই। যখন খুব টেনশন হয়, এমন নয় যে না খেলে টয়লেট ক্লিয়ার হয় না।
সেদিন এক চাচারে বললাম সিগারেট খান ভালো কথা তো টয়লেটে গিয়ে কেনো?
সে বলল, আরে ভাতিজা টয়লেটে গিয়ে একটা টান না দিলে পায়খানা ক্লিয়ার হয় না। শিহরিত হয়েছিলাম তার যুক্তিতে আমি।
কিরে এখানে কি?
বৌমা ঘরে অপেক্ষা করছে তাড়াতাড়ি যা। মেয়েটা ঘরে বসে আছে কখন থেকে তোর কি কোনো আক্কেল জ্ঞান নেই? একেতো নতুন একটা বাড়িতে এসেছে মেয়েটা তার ওপর আবার তুই এখানে দাঁড়িয়ে আছিস। (বাবা বলছিলো)
গল্পের পরবর্তী ��ংশ পেতে এবং ভিডিও লিংক এর জন্য ক্লিক করে পাশে থাকুন
SUPPORT US AT FACEBOOK
AT YOUTUBE
লেখাঃ ইমরান হাসমি (ছদ্দ নাম বা রুপক নাম)
written by : Emran hasmi (Not Original name)
0 notes
Text
ব্যক্তিগত বলতে অবশিষ্ট কিছুই নেই
শফিউল বারী রাসেল
আজ যে আমার আর কোনো ব্যক্তিগত আকাশই নেই
এমনকি ব্যক্তিগত তুমিময় ভূমিটাও নেই।
নেই আর সেই ব্যক্তিগত জোছনারই স্নিগ্ধ আলো
নেই যে আজ আমাতে আর ব্যক্তিগত কোনো ভালো।
নেই আর সেই আবেগ উচ্ছ্বাস ব্যক্তিগত সেই গোপন প্রেম
নেই হাসি, সুখের বাগান হয়ে গেছি আজ স্মৃতির ফ্রেম।
এরকম হাজার নেই এর মাঝে করুণ বেঁচে আছি
আলিঙ্গণ করে দুঃখ রই মৃত্যুরই কাছাকাছি।
ব্যক্তিগত বলতে অবশিষ্ট কিছুই যে নেই আর
সার্বজনিন হয়েছে গোপনীয় সবটা আমার।
তাই ইচ্ছেতে শূন্যতাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে আমার যতোসব বায়না।
চাইলেও আজ ঘুমাতে পারি না তার বুকেতে আর
ক্লান্তি ভোলা মুখখানা চাইলেও আর পাবো না ধার।
এই জনারণ্যের যানযটময় ধুলোরই শহরে
ব্যক্তিগত কোনো পথ নেই যে, হাঁটবো সে পথ ধরে।
চাইলেও পারবো না আর একসাথে খালি পায় হাঁটতে
ক্লান্ত হয়ে একসাথে চটপটির চামুচটা চাটতে।
দুষ্টমিতে হবে না আঁকা চুমুর প্রচ্ছদ গালে
থেমে যাবে ইচ্ছেরই গাড়িটা ট্রাফিক সিগন্যালে।
এমন কোনো ব্যক্তিগত মানুষও যে নেই আমার
চোখের আড়াল হলে আমি ভিজে যাবে দু'চোখ তার।
খুঁজবে সে উতলা হয়ে ইতিউতি সবখানে
আমার প্রতি ভালবাসা কিংবা মায়ারই টানে।
ভেবে ভেবে আমার কথা নির্ঘুম রাত থাকবে জেগে
লিখবে অবিনাশী গান, গল্প, কবিতা ঝড় বেগে।
তেমন কোনো ভাগ্য নিয়ে জন্মতো হয়নি আমার
হয়নি দয়া আমার প্রতি পাষান ভাগ্য দেবতার।
আছে কেবলই ব্যক্তিগত দুঃখ ও শ্বাস-প্রশ্বাস
আর কিছু ব্যক্তিগত হতাশা, ক্লান্তি, দীর্ঘশ্বাস।
আমার এই দুঃখ কষ্টগুলো একান্তই যে আমার
কোথাও কেউ নেই তো আর নতুন করে ভাগ বসাবার।
আমার সমস্ত ব্যথা উড়িয়ে দেয়ারই জন্য
আমার সমস্ত কষ্ট ভুলিয়ে দেবারই জন্য
আমার আর ব্যক্তিগত কোনো আকাশ নেই যে এখন
নেই ব্যক্তিগত একটা তুমি, নেই কোনো প্রিয়জন।
এখন শুধু আমিই যে আমার ব্যক্তিগত সম্পদ
আর বাকী যা সবই যে ছিলো দুঃস্বপ্ন আর আপদ।
1 note
·
View note
Text
আজ কবিতা অন্য কারো
Lyrics: আজ কবিতা অন্য কারো (Aj Kobita Onno Karo) Ayub Bachchu কবিতা তুমি এখনও রাত হলে কি তারাদের গুনো ? কবিতা তুমি এখনও বিকেল হলে সেই গান শুনো? যেই গান তুমি শুনিয়ে গড়ে ছিলে এই মনে আবাস! যেই গান গুনগুনিয়ে দিলে আমায় তোমার আকাশ! আজ কবিতা অন্য কারো দু’হাতে সে তার সুখকে উড়ায় আমি আর আমার ফেরারি মন মুঠো মুঠো শুধু দুঃখ কুড়াই। আজ কবিতা অন্য কারো দু’হাতে সে তার সুখকে উড়ায় আমি আর আমার ফেরারি মন মুঠো মুঠো…
View On WordPress
#Aiyub Bacchu#Aiyub Bacchu best song#Aiyub Bacchu song lyrics#Aj kobita onno karo#Aj kobita onno karo song lyrics#আইয়ুব বাচ্ছু#আজ কবিতা অন্য কারো#আজ কবিতা অন্য কারো গানের লিরিক্স#আজ কবিতা অন্য কারো লিরিক্স
0 notes
Text
দিশাহারা
"কোনও সমস্যা ছিল না। দিব্যি শান্তিতে ছিলাম। সমস্যা বাধাল দিশা।"
কেমন আছেন বন্ধুরা এই বৃষ্টির দিনে, জমিয়ে বেগুনি ,ফুলরি আর চা চোলছে দিনে তিন চার বার আর অনেকেই আজ ছুটিতে বাড়ি বোসে বার বার চায়ের আবেদন জানিয়ে গিন্নি কে রাগান্বিত কোরছেন তো চায়ের সাথে টা আর আজকের গল্পটা হোলে মন্দ্য কি,,,, আমি রিক আজ এক সম্পাদক আর দিশা আমাদের পত্রিকার অফিসে সবে ঢুকেছে। ওর দিকে তাকালেই বুকের মধ্যে কুর কুর করে। ইচ্ছে হয় নানা অছিলায় ওর সঙ্গে কথা বলি, একসঙ্গে চা খাই, রাস্তায় ঘুরে বেড়াই। তার সুযােগও এসে গেল। একদিন অফিসের একটা কাজে দিশাকে ডেকে পাঠালাম। দিশা হাসিমুখে আমার সামনে এসে দাঁড়াল। আমি বললাম, বসুন। দিশা আমার সামনে বসল। জিজ্ঞেস করলাম, চা খাবেন? দিশা বলল, না। কফি? হরলিক্স? না।-বলে দিশা হেসে ফেলল।
এবার আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী? দিশা জোর দিয়ে বলল, অবশ্যই। পুরুষের স্বাধীনতায়? পুরুষের স্বাধীনতার দরকার নেই। পুরুষেরা তাে এমনিতেই স্বাধীন। মােটেও না। পুরুষেরা নারীদের চেয়েও পরাধীন। এই আমার কথাই ধরুন। বাড়িতে আমার মা আছে, স্ত্রী আছে। তাদের অমতে কোনও কাজ করতে পারি না। তারা যা বলবে তাই আমাকে শুনতে হবে। না শুনলে অশান্তি। আমি কাউকে এখন ভালবাসতে চাইলে ভালবাসতে পারব না। আমার স্ত্রী বা মা যদি কথাটা জানতে পারে, তা হলে আমার দফারফা। দিশা হেসে বলল, জানতে পারবে কেন? আমিও হেসে বললাম, কী করে যে জেনে যায়, তা বলতে পারব না।
এরকম কি কখনও হয়েছে ? হয়নি। তবে হতে কতক্ষণ? কারণ, পুরুষের মন ভালবাসার ব্যাপারে বড়ই চঞ্চল। কখন যে কাকে ভালবেসে বসবে, তার ঠিক নেই। বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম, এবার কাজের কথায় আসি। সামনের রবিবার একটা Cover Story বেরবে।
বিষয় : নারী স্বাধীনতা। আপনাকে এ নিয়ে সাড়ে তিন হাজার শব্দের মধ্যে একটা লেখা তৈরি করতে হবে। পারবেন তাে? দিশা দৃঢ়তার সঙ্গে বলল, পারব। আমি তা শুনে বললাম, তবে একটা কথা মনে রাখবেন, লেখা যেন ��হজ-সরল হয়। পাঠকেরা যেন লেখা পড়ে বুঝতে পারে। আচ্ছা। তা হলে আজই লেখা শুরু করে দিন। পরশু দিন লেখাটা চাই। এত তাড়াতাড়ি! হ্যা। চেষ্টা করব।-বলে দিশা চলে গেল।
এ কী হল আমার! এরকম তাে হওয়ার কথা নয়। ঘরে আমার সতীসাধ্বী স্ত্রী আছে। সে আমাকে ভালবাসে। আমিও তাকে ভালবাসি। তবু কেন আমার এই মতিভ্রম? কেন দিশাকে ভুলতে পারছি না? অফিসের মধ্যে আমার এই বেসামাল অবস্থা গােপন রেখে কাজ করতে লাগলাম। তবে মনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দের প্রেমের কবিতার পঙক্তি ঘুরে ঘুরে আসতে লাগল। কেন আসতে লাগল, তা জানি না। তারপর মনে হল,
একটা কবিতা লিখি। কিন্তু আমি কোনওদিন কবিতা লিখিনি, কী করে কবিতা লেখা হয়, তাও জানি না। যদি জানতাম একটা Premer Kobita লিখে ফেলতাম। কিন্তু তা সম্ভব নয়। আমি গদ্য লিখি। গদ্যে কি প্রেম জানানাে যায়? যায়, অবশ্যই যায়। সমস্যা হল। আমি আমার কাগজে যে-ধরনের গদ্য লিখি, তা দিয়ে আর যাই যােক প্রেম করা যায় না।
প্রেম করার জন্যে যে-ধরনের নরম নরম গদ্য লেখা হয়, তা লিখতে আমি জানি না। যদি জানা থাকত তা হলে কোনও অসুবিধে হত না। আমি এখনই তা লিখে ফেলতাম। লিখে দিশার হাতে তুলে দিতাম। না, সেটা করা উচিত হত না। দিশা আমাকে নির্লজ্জ ভাবত। শুধু তাই নয়, সেই লেখাটা নিয়ে দিশা হয়তাে সম্পাদকের হাতে তুলে দিত। দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নালিশ করত, আমার বিরুদ্ধে যা-নয়-তাই বলত। সম্পাদক তখন হয়তাে আমাকে ডেকে পাঠাতেন, দিশার কাছে ক্ষমা চাইতে বলতেন। আমার বেইজ্জতির শেষ থাকত না। তারপর আমার হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হত। রবিবারের পাতা থেকে আমাকে সরিয়ে অন্য কোনও দফতরে ঠেলে
দেওয়া হত। তারপর এই অফিসে আমার পক্ষে কাজ করাই সমস্যা হয়ে উঠত। অতএব কোনও ঝামেলায় যাওয়ার দরকার নেই। যেমন আছি, তেমনই থাকা ভাল। কিন্তু মনকে সংযত রাখা খুব মুশকিল। দিশাকে মন থেকে সরাতে পারলাম না।
অফিস থেকে বাড়ি ফিরলাম। জামা-প্যান্ট ছেড়ে পায়জামা পরলাম। তারপর হাতমুখ ধুয়ে টিভির সামনে এসে বসলাম, বসতেই হঠাৎ ভুল সুরে গাইতে লাগলাম, ঘরেতে ভ্রমর এল গুনগুনিয়ে…। সঙ্গে সঙ্গে বউ ছুটে এল, মা ছুটে এল। বউ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, কী ব্যাপার? হঠাৎ রবীন্দ্রসংগীত? মা জিজ্ঞেস করল দীনেশ, এত খুশি কিসের ? মাইনে বেড়েছে? বউ জিজ্ঞেস করল, তুমি কারও প্রেমে পড়নি তাে? মা জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছে সত্যি করে বল। বউমা যা বলছে তা কি সত্যি? বউ বলল, মানুষ আনন্দে গান গায়। তােমার কিসের এত আনন্দ? মা বলল, মানুষ দুঃখেও গান গায়। তাের কিসের এত দুঃখ? আমি এবার বলতে গেলাম, তােমরা যা ভাবছ মােটেও তা নয়। আসলে…
বউ জিজ্ঞেস করল, আসলে কী? তােমার জ্বর হয়নি তাে? জ্বর হলেও মানুষ গান গায়। আমার কাকা জ্বর হলেই গান গাইত। মা বলল, বউমা, থা��্মোমিটারটা নিয়ে এস তাে। বউ সঙ্গে সঙ্গে থার্মোমিটার নিয়ে এল। এসে আমাকে বলল, হাঁ করাে। মুখে থার্মোমিটার দেব। আমি বললাম, তােমরা কিন্তু পাগলামি করছ। আমার কিছু হয়নি। মা বলল, হয়েছে, তুই বুঝতে পারছিস না। তুই হাঁ কর। দেখব কত জ্বর হয়েছে। আমি বললাম, দেখতে হবে না। আমার কিছু হয়নি। বউ বলল, হয়নি বললে শুনব না। তােমার কিছু একটা হয়েছে। লক্ষণ ভাল ঠেকছে না। তােমার মুখে কিন্তু একটা প্রেমের ভাব ফুটে উঠেছে। বলে মাকে জিজ্ঞেস করল, আপনার কী মনে হয় মা?
মা বলল, আমি কিছু বুঝতে পারছি না। তােমার শ্বশুর তিন বছর হল মারা গেছে। আমি কোনওদিন তােমার শ্বশুরকে প্রেমে পড়তে দেখিনি। আমিই ছিলাম তার ধ্যানজ্ঞান। ফলে প্রেমে পড়লে পুরুষের মুখের ভাব কীরকম হয়, তা বলতে পারব না।
বউ বলল, আমি বলতে পারব। বিয়ের আগে একটা ছেলে আমার প্রেমে পড়েছিল। সে আমাকে নিয়ে গুচ্ছের কবিতা লিখে আমাকে শােনাত। আমি কিছু বুঝতাম না। তবে তার মুখে কীরকম একটা ভাব ফুটে উঠত। আজ আপনার ছেলের মুখে সেইরকম ভাব দেখছি। আমি এবার শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলাম, তুমি তাকে বিয়ে করলে না কেন? বউ বলল, সারাজীবন কবিতা শুনতে হবে, এই ভয়ে তাকে ছেড়ে দিলাম। উহ! কী ভয়ংকর দিন গেছে আমার! সেসব ভাবলে আমার আজও আতঙ্ক হয়।
মা বলল, তুমি যখন বলছ বউমা, তখন এ নিশ্চয় কোনও কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে। বলে। মা আমাকে জিজ্ঞেস করল, সত্যি করে বল, তুই কোন মেয়ের পাল্লায় পড়েছিস? বউ জিজ্ঞেস করল, মেয়েটি কি তােমাদের অফিসে কাজ করে? মা জিজ্ঞেস করল, নাকি এই ফ্ল্যাটবাড়ির কোনও মেয়ে? পাঁচতলার অর্চনা বলে একটি মেয়ের সঙ্গে তােকে অনেকদিন কথা বলতে দেখেছি। তুই তার পাল্লায় পড়েছিস? বউ বলল, হতে পারে। আমি কি এখনই অর্চনাকে ডেকে পাঠাব? এবার আর চুপ করে থাকা যায় না। অর্চনা এলে একটা কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। আমি তাই ক্ষিপ্ত হয়ে বললাম, তােমাদের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? কী চাও তােমরা? আমি কি বাড়ি থেকে চলে যাব, নাকি আত্মহত্যা করব? ঘরে বসে একটু রবীন্দ্রসংগীত গাইতে পারব না?
আমার কথায় দু'জনেই শান্ত হল। মা বলল, আজ ওকে ছেড়ে দাও বউমা। আরও দু’দিন দেখাে। বউ বলল, তাই দেখা যাক। আমি বললাম, দেখে কী করবে? মা বলল, যদি দেখি বাড়ি ফিরে আবার রবীন্দ্রসংগীত গাইছিস তা হলে ডাক্তার ডাকব। বউ বলল, ডাক্তার না। আমি থানায় খবর দেব। আমি থানার নাম শুনে ভয় পেয়ে চুপ করে গেলাম। ঠিক করলাম ঘরে ফিরে আর কোনওদিন রবীন্দ্রসংগীত বা আধুনিক প্রেমের গান গাইব না। যদি গাইতে হয় তা হলে শ্যামাসংগীত গাইব। তা হলে আমার বউ বা মায়ের কিছু বলার থাকবে না। তবে ঘরের বাইরে গান গাইতে পারি। গাইতে কোনও অসুবিধে নেই। তাই বলে অফিসে গান গাওয়া চলবে না। তবু পরদিন অফিসে হঠাৎ গান এসে গেল। নিজেকে সামলাতে পারলাম না। খুব নিচু গলায় ভুল সুরে গাইতে লাগলাম: আমার পরান যাহা চায়… আর ঠিক তখনই দিশা ঘরে ঢুকল। আমার গান শুনে দিশা হেসে বলল, কী ব্যাপার দীনেশ বাবু। অফিসের মধ্যে গান! কারওর প্রেমে পড়েছেন নাকি? আমি গান ��ামিয়ে বললাম, হ্যা। জানতে পারি কার প্রেমে পড়েছেন? ইয়ার্কির ছলে বললাম, আপনার। সে আমার সৌভাগ্য।-বলে দিশা বলল, একটা কথা বলতে এসেছিলাম। কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কী কথা? আমার দ্বারা লেখা হবে না। আপনি অন্য কাউকে বলুন। সে তাে বলতেই পারি। কিন্তু আপনি লিখতে পারবেন না কেন? লেখার ক্ষমতা আমার নেই। কী করে বুঝলেন ? কাল বাড়িতে লিখতে বসেছিলাম। কিন্তু একটা লাইনও মাথায় এল না।
তা হলে থাক। দেখি, অন্য কাউকে দিয়ে প্রবন্ধটা লেখানাে যায় কি না। বলে বললাম, ঠিক আছে। আপনি এখন আসুন। দিশা চমকে উঠে বলল, আসব মানে? আপনার সঙ্গে একটু গল্প করতে এলাম। বললাম, গল্প করার সময় আমার নেই। আমি এখন খুব ব্যস্ত।
ব্যস্ত কোথায়? আপনি তাে গান গাইছিলেন। আমি যদি এখনই কথাটা সম্পাদককে গিয়ে বলি, তা হলে আপনার কি অবস্থা হবে বুঝতে পেরেছেন? আমি ভিতু মানুষ। তাই ভয় পেয়ে বললাম, না-না, একথা বলতে যাবেন না। দিশা বলল, বলব না, যদি আপনি আমার কথা শুনে চলেন। আপনার কথা আমাকে শুনতে হবে কেন? শুনতে আপনি বাধ্য। কারণ, এই পত্রিকার মালিক আমার মেশোমশাই হন। আমি প্রায় আঁতকে উঠলাম, তাই নাকি! হ্যা।-বলে দিশা ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
দিশার মেশোমশাই আমাদের পত্রিকার মালিক। এটা জানার পর থেকে আমি দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। বুঝতে পারলাম, এবার দিশা যা বলবে, তাই আমাকে শুনতে হবে। না বলার উপায় নেই। তাই বাড়ি এসে ভুল সুরে শ্যামাসংগীত গাইতে শুরু করলাম: বল্ মা তারা দাঁড়াই কোথা। সঙ্গে সঙ্গে বউ এবং মা ছুটে এল। বউ জিজ্ঞেস করল, কী ব্যাপার! আজ যে শ্যামাসংগীত। আমি বললাম, উহ। তােমাদের জ্বালায় গান গাইতে পারব না? মা বলল, ওর মতিগতি ভাল ঠেকছে না। একটা ভাল ডাক্তার দেখাও বউমা। তাই দেখাতে হবে। বলে বউ চলে গেল। মাও আর কথা না বলে চলে গেল।
আমি গান থামিয়ে চুপ করে বসে রইলাম। বসে বসে ভাবতে লাগলাম ভবিষ্যতে আমার সামনে কী কী বিপদ আসতে পারে। দিশাকে ভাল লাগার ফলে যে এমন সমস্যা হবে, তা কে জানত! এখন আর করার কিছু নেই। দিশা যা বলবে তাই শুনতে হবে? এই বয়সে আমি চাকরি খােয়াতে চাই না। পরদিন অফিসে ঢুকে সবে কাজে বসেছি, এমন সময় দিশা ঘরে ঢুকে বলল, আজ দুটো সিনেমার টিকিট রেখেছি। আমার সঙ্গে যেতে হবে। কখন? সন্ধেবেলা। কিন্তু বউ জানতে পারলে…
জানতে পারলে কী হবে? বড়জোর ডিভাের্স। তার বেশি কিছু নয়। সম্ভব নয়। খুব সম্ভব। মনে রাখবেন আপনি ঘরে বদ্ধপুরুষ। কিন্তু বাইরে মুক্তপুরুষ। আপনি বাইরে যা খুশি করতে পারেন। আমার স্বামী আমার কাজে বাধা দিতে এসেছিল, আমি ডিভাের্স করে দিয়েছি। আপনি ডিভাের্সি? হ্যা। দুদিন পরে আপনিও ডিভাের্সি হবেন। ক্ষতি কী? আমি বিস্মিত হয়ে দিশার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। এবার আমি কী গান গাইব?
বেঁচে থাক আমার গল্পের চরিত্ররা❤️ কলমে - রিক ছবি - #bongmixup বংMixup
0 notes
Text
প্রয়াস
রচনা : প্রবীর কুমার রায়।
৭৪তম বইমেলা চলছে কলকাতায়, আজ তার শেষ দিন। নেট দুনিয়ায় সব কিছুর রসদ মজুত থাকায়, এখন আর বইমেলায় সেরকম ভিড় হয় না। তাই আশঙ্কা জাগে, কবে না নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামেই চলে যায় বইমেলা। শুভাশিসবাবু সপরিবারে ফি বছর বইমেলায় আসতেন, আগে যখন শিক্ষকতা করতেন তখনও আসতেন, আর এখন তো অবসর গ্রহণের পর অফুরান সময়। তবে, এবার তিনি একায় এসেছেন।বইমেলায় ঘুরতে ঘুরতে শুভাশিসের মন খারাপ হয়ে যায়, বুকস্টল্ কমতে কমতে খান পনেরোটায় দাঁড়িয়েছে, খাবারের দোকান বেড়েছে। এখন আর পাঁচটা মেলা থেকে বইমেলাকে আর আলাদা করা যায় না। নিজস্ব রং- জৌলুস হারিয়ে বইমেলা যেন বার্ধক্যে উপনীত হয়েছে।
শুভাশিস ধীরে ধীরে একটি বড় বুকস্টলের কাছে এসে দাঁড়ালেন। দোকানদারের(কমবয়সী) উদ্দেশ্যে বললেন: ভাই, 'হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ উপন্যাসটি হবে?
দোকানদার: না দাদা, ওসব বই এখন রাখি না, খদ্দের নেই। আপনি নেটে পেয়ে যাবেন।
শুভাশিস: 'তাহলে কি ধরনের বই রাখ?'
দোকানদার: 'এই যেমন- কমিক্স, শায়রী, ব্রতকথা, জ্যোতিষবিদ্যা, হোয়াট অ্যাপস্ জোকস্, ব্যান্ডের গান, নেট ব্যবসার টিপস্, সাংসদ বা মন্ত্রী হতে হলে- রায় ও মার্টিনের সাজেশন বুক ইত্যাদি।'
শুভাশিস: 'পথের পাঁচালী আছে?'
দোকানদার: 'সরি স্যার।'
কর্মচারী : 'দাদা, লক্ষ্মীর পাঁচালী আছে, চলবে?'
শুভাশিসের প্রচন্ড রাগ হল,সে কোনক্রমে হাত নাড়িয়ে দোকান থেকে সরে দাঁড়াল। শুভাশিস এখন অনেক সংযত ও মৃদুভাষী । এখন রেগে গেলে আগের মত আর ফুঁসতে থাকে না। মেলাটা শুভাশিসের কাছে যেন আস্তে আস্তে ক্রমশ অচেনা হয়ে উঠছে, বিভিন্ন ধরনের খাবারের সুঘ্রাণ ভেসে আসছে,মাথাটা যেন ঘুরছে মনে হচ্ছে, তাহলে পেসারটা কি বাড়ল! শুভাশিস মেলা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে, মোবাইলটা বুক পকেট থেকে বের করে দেখল, ৭টা ২০ বাজে। এখনই মেলা থেকে বের হলে, দমদম যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে। শুভাশিস অবসর গ্রহণের পর দমদমের ফ্ল্যাটেই থাকে। মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন, ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছে। রাত ৮টার পর বাস পাওয়া খুব দূরহ ব্যাপার। তাই, সে দ্রুত পা চালিয়ে মেলার গেটের কাছে আসতেই- হঠাৎ করে অরুপের সঙ্গে দেখা।
অরুপ : 'আরে শুভ দা যে! কি খবর?'
শুভাশিস : 'ভালো। তোর কি খবর?'
অরুপ : 'এই মোটামুটি আছি।'
শুভাশিস : 'কি করছিস্ ? কোথায় আছিস্ ?'
অরুপ : 'জ্যোমাটো ফুড কর্পোরেশনে ডেভেলপমেন্ট অফিসার। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা ডিউটি। অফিসের গাড়িতে করে নিয়ে যায়, নিয়ে আসে। আজ এখানে আসব বলে একটু আগে ছুটি নিয়ে নিয়েছি। এবার মেলা ঘুরে গড়িয়া ফিরব। ওখানেই পেয়িং গেস্ট আছি।'
'তুমি তো এখন দমদমের ফ্ল্যাটে থাকো তাই না?'
শুভাশিস: 'হ্যাঁ, আর কোথায় যাব।' আমার শ্যালকও দমদমে থাকে, ফ্ল্যাট দেখা-শোনা সহ যাবতীয় ব্যবস্থা ওই করে দিয়েছে। 'আমি শুনেছিলাম তুই ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েছিস! তাই কি?'
অরুপ: 'হ্যাঁ ঠিকই শুনেছিলে।' ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে আবার এমবিএ করেছি। এখন চার- পাঁচটা প্রফেশনাল কোর্স পাশ না করলে চাকরি জোগাড় করা মুশকিল।'
শুভাশিস: বিয়ে করেছিস?
অরুপ মৃদু হেসে মাথা নাড়ল। শুভাশিস বুঝতে পারল, বেচারা খুব লজ্জায় পড়ে গিয়েছে।
শুভাশিস: 'হারে, হোস্টেলের খবর কি? আর যাস্ ঘুরতে?'
অরুপ: 'লাভপুর হোস্টেল! এই তো গত সপ্তাহেই গিয়েছিলাম। মাসে একবার হোস্টেল না গেলে যে পেটের ভাত হজম হয় না। এমনি সব ঠিক আছে। তবে বেশিরভাগ ছাত্রই আমাদের মত, পড়া কম, আড্ডা বেশি। তুমি শেষ কবে এসেছিল?'
শুভাশিস: 'তা প্রায় দশ বছর আগে মা ফুল্লরার মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলাম,তখনই একবার ঝটিকা সফরে- এখন যেতে লজ্জা লাগে। সবাই আমার নাতির বয়সী।' তবে হোস্টেলের প্রতি মায়া আমার এখনও আছে। হোস্টেলের প্রথম দিনের কথা এখনও মনে পড়ে। মায়ের আঁচল ছেড়ে প্রথম যে দিন এখানে এসেছিলাম, সে দিন থেকে শুরু হয় জীবন সংগ্রাম, নিজের জামাকাপড় নিজেইকাচা, স্নান করে, খাওয়া দাওয়া সেরে কলেজের ক্লাসে যাওয়া, নিজের উদ্যোগেই পড়তে বসা- এক কথায় স্বনির্ভরশীলতা। সব থেকে বড় শিক্ষা মানুষ চেনা।'
অরুপ: 'চলুন চা খায়।'
শুভাশিস ও অরুপ চায়ের দোকানের দিকে হাঁটতে শুরু করে।
অরুপ: 'এখন হোস্টেলে ওয়াইফাই চালু হয়ে গেছে। কেউ আর লাইব্রেরী যায় না, ঘরে বসেই নোট সংগ্রহ করে। হোস্টেলের বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা। কমন রুমে প্রজেক্টর লাগানো হয়েছে, গরমের ছুটি ও পুজোর ছুটিতে কমন রুমে বসে টিউটরের ক্লাস অ্যাটেন্ড করা হয়।'
অরুপ: 'দাদা, ��ুটো চা দেন।'
অরুপ চায়ের দোকান থেকে একটা কাপ শুভাশিস-এর দিকে বাড়িয়ে দেয়, আর একটা কাপ নিজে তুলে নিয়ে চায়ে চুমুক দিতে দিতে-
অরুপ: ছাত্রাবাসের উদ্যোগে সারা বছর অনেক সামাজিক ক্রিয়াকলাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেমন- রক্তদান শিবির, বৃক্ষরোপণ, বিভিন্ন মারণ ব্যাধি সম্পর্কে গণ সচেতনতা ইত্যাদি।'
শুভাশিস চায়ের কাপের চা শেষ করে ডাস্টবিনে ভাঁড়টা ছুঁড়ে ফেলে। অরুপকে থামিয়ে চায়ের দাম দেয়।
অরুপ: তাছাড়া,হোস্টেলের ওয়েব সাইটে সমবেত প্রয়াস পেজে প্রতিমাসের সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে আবাসিকদের স্বরচিত গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ প্রভৃতি আপলোড করা হয়।
শুভাশিস: 'খুব ভালো উদ্যোগ। আমাদের সময় তো এসব ছিল না, কলেজ পত্রিকাতেই দিতে হত।'
অরুপ: তবে সব থেকে বেশি আলোড়ন ফেলেছে হোস্টেলের বাংলা ব্যান্ড! ইউটিউব সার্চ করলেই পাবে, বাংলা ব্যান্ড- প্রয়াস, দশ লাখের বেশি লাইক পেয়েছে।'
শুভাশিস: 'আমি যতদূর জানি, "হোস্টেলের সমবেত প্রয়াস"- নামে একটি উদ্যোগের সূচনা হয় ২০১৯সালে এবং এনজিও অ্যাক্ট অনুযায়ী রেজিস্ট্রিকৃত। সেটা অবশ্য শুধু আমাদের নব্য ও প্রাক্তন সকল আবাসিকদের চিকিৎসা সংক্রান্ত আর্থিক সহায়তার জন্য।'
অরুপ: 'হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন।' সেটাই এখন শাখা- প্রশাখা বৃদ্ধি করে মহিরুহ হয়ে উঠেছে।'
'ও আরেকটা কথা তো বলতে ভুলে গেছি,হোস্টেল সংলগ্ন মাঠে এখন সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা হয়, সেই সবজি প্রতিদিন মেসে রান্না হয়। একটু দূরেই রয়েছে পোল্ট্রি খামার, তার লাভের একটা অংশ থেকে হোস্টেলের যাবতীয় খরচ মেটানো হয়; বাদ বাকি অংশ প্রয়াসের ফান্ডে জমা হয়।'
শুভাশিস পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখে ৮টা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি।
শুভাশিস: 'ভাই আর দাঁড়াব না, তাহলে আমার বাড়ি ফেরা খুব মুশকিল হবে। একদিন সময় করে আয় আমার ফ্ল্যাটে, ভীষণ আনন্দ পাব। একটা কথা মনে রাখিস,মানুষের জীবনে ভাল চাকরি যেমন দরকার, তেমনি বিয়েটাও দরকার। একের জন্য অন্যকে বঞ্চিত করলে ভবিষ্যতে তার মূল্য চোকাতে হতে পারে।'
অরুপ: 'আর হোস্টেল?'
শুভাশিস: 'আগস্টে নবীন বরণ অনুষ্ঠান হয়?'
অরুপ: 'নিঃসন্দেহে।'
শুভাশিস: 'বেঁচে থাকলে অবশ্যই প্রয়াস করব।'
1 note
·
View note
Text
মাইনুদ্দিন আল আতিক-এর কবিতা ‘কালো বেড়াল’ কালো বেড়াল
মাইনুদ্দিন আল আতিক-এর কবিতা ‘কালো বেড়াল’ কালো বেড়াল
বাহির কালো ভেতর কালো আরো কালো মন,মুখটা গোমড়া করে তুমি দেখিয়ে দিলে প্রমাণ।কিছু বললেই লাগে গায়ে এটা তোমার স্বভাব,ভালো-মন্দ বুঝতে আছে বহু জ্ঞানের অভাব।জ্ঞানীরা ভয় করেনা শত সমালোচনা শুনেও,তাঁদের মতই কাজ করে যায় ভয়ভীতি জেনেও।তুমি তো দেখছি ভীষণ ভীতু কাপুরুষের জাত,পিছে বসে ঘেউ ঘেউ করে কাটাও দিন-রাত।জ্ঞানী হলে বলতে এসে আমার ভুলটা কই,তোমাদের কাছে যেনে আমি সংশোধন হই।তা না করে প্যানপ্যান করে নিজেকে…
View On WordPress
0 notes
Text
কবিতা- উন্নয়ন
কবিতা- উন্নয়ন কবি – সোমনাথ সান্যাল (ভারত ) ভয় পেয়োনা বন্ধু তুমি এগিয়ে আমার জন্মভূমি বাংলায় আজ কন্যাশ্রী এগিয়ে বাংলার নারী শক্তি পড়াশোনায় নেই গো বাধা বাংলার মেয়ে আছে সদা বাড়তে হলে পড়তে হবে সোনার বাংলা গড়তে হবে নারী পুরুষ সমান সমান কন্যাশ্রী দিচ্ছে প্রমান স্কুল এ যাওয়ার নেই গো বাধা বাংলার মেয়ে আছে সদা জননীর ভাবনায় এগিয়ে বাংলা বিশ্বসেরা আমার বাংলা সারা বিশ্বে গুণগান কন্যাশ্রী তার প্রমান উন্নয়নে নেই…
View On WordPress
0 notes
Text
Bimbisar er Dairy : পর্ব : ১
#bimbisarer_dairy #sunnyscreativity
১৮ জুন, ২০১৬
লেখালিখির স্বভাবটা বহুদিন চলে গেছে। কখনো সাহিত্যিক হবো ভেবে সার্ট জিন্স ছেড়ে হাড়গিলে চেহারাটায় ঢলঢলে পাঞ্জাবি গলিয়ে, সারা মুখমণ্ডলে গোঁফ দাড়ির চাষ করে নিজেকে ক্ষ্যাপাটে সাহিত্যিক সাজিয়ে ঘুরে বেড়াতাম।
এই জীবনে এখনো অব্দি তেমন নায়কোচিত কিছু করেছি বলে তো মনে পড়ছেনা। হ্যা মাধ্যমিকে বাংলায় যখন লেটার্স মার্কস পেয়েছিলাম, তখন থেকেই বড় সাহিত্যিক হবো ভেবে নিয়েছিলাম। দুখানা উপন্যাস লিখে সেই পাণ্ডুলিপি নিয়ে প্রকাশকের দপ্তরে দপ্তরে গিয়ে বসে থেকেও যখন ভাগ্যের শিকে ছিঁড়লো না, তখন অগত্যা একটা ছোট স্থানীয় সংবাদপত্র সংস্থায় রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করি। ছিঁচকে চোর বা পাড়ার ডাকাতির রিপোর্ট কভার করা সাংবাদিকের আজ ঘরে বাইরে কোথাও কদর নেই।
বাবা, ইতিহাসের শিক্ষক, অনেক আশা নিয়ে নাম রেখেছিলেন বিম্বিসার। রাজকীয় কিছু এখন অব্দি করা হয়ে উঠিনি, ফলে বাবার এমন রাজসিক নাম রাখাটা যে বিফলে গেল সেটা বলা বাহুল্য। পরাণ বাবু বলেছিল আমার নাকি নাম যশ হবে। পরাণ বাবুর সাথে আলাপ অনেক দিনের। উনি একটু আধটু হাত দেখেন। তার কথা অনুযায়ী আমার শিগগিরই ভালো সময় আসতে চলেছে। আমায় নিয়ে দিকে দিকে আলোচনা হবে। খুবই উৎসাহের সাথে গিন্নীকে বলতে গেলে,গিন্নী কথাগুলো ফুৎকারে উড়িয়ে দিলো। বললো, - বাবা বলেছিলেন তুমি নাকি দুখান নভেল টভেল কিছু লিখেছিলে, কই আমার চোখে তো ওইগুলোর একটাও ম্যানুস্ক্রীপ্ট ধরা পড়লো না। যত্তসব আজগুবি কথা। আর ভালো হওয়ার কি বাকি আছে!
সত্যিটা বলতে দ্বিধা নেই, আমার উপন্যাস দুটি এতটাই নিম্নমানের ছিলো যে প্রত্যেকটি প্রকাশক আমায় মনোবিদের সাহায্য নিতে বলে। তাদের মতে আমার সাহিত্যিক হওয়ার মতিভ্রম দূর করার উপায় শুধু তাদেরই জানা আছে।
বাড়িতে গিন্নী শোল মাছ কাটতে কাটতে বললো - স্নান সেরে এসো, রুটি তরকারিটা বেড়ে দিচ্ছি। বিরক্তির সঙ্গে বললাম, - ধুর! শোল মাছ আমার দু চক্ষের বিষ। কানুর দোকানে দেখলাম , কত সুন্দর গলদা চিংড়ি তুলেছে। আহা, কতদিন মালাইকারি খাইনি।
- শোনো, দেখলেই হবে, নিয়ে আসতে পারতে তো। বাবার এত বয়স হয়েছে, বুড়ো মানুষটাকে রোজ রোজ বাজারে যেতে দিতে খুব খারাপ লাগে।
- একটু আধটু না বেড়োলে, ঘর কুনো হয়ে যাবে।তাই, শরীরটা যতদিন শক্ত আছে, আমার মনে হয় একটু হেঁটে চলে বেড়াক। তুমি বাঁধা দিতে যেও না।
স্নান সেরে জলখাবার খেতে বসেছি, কমলিকা ( গিন্নীর এ নাম স্বর্গীয় শ্বশুরমশাই রেখেছিলেন, তবে কমলের পরিবর্তে কণ্টকের আধিক্যে কমল আর প্রস্ফুটিত হয়নি, আমাদের আঠেরো বছরের সংসারে) আমায় একটা চিঠি ধরিয়ে গেলো।
তীর্যক মন্তব্য করে বলে গেল, আমার জন্য তো কই চিঠি ফিঠি লিখতে দেখিনি কখনো, তা বুড়ো বয়সের ��ত্ত সব ভিমরতি। দেখা করতে গেলে চুলে কলপ করে যেও, না হলে আমার হবু সতীন উল্টো দিক দিয়ে পালাবে।
মুখ বেজার করে চিঠিটা খুলতেই একটা তীব্র আতরের গন্ধ নাকে লাগলো। চিঠিটায় একটি হেঁয়ালি মাখা কবিতা লেখা।কে কেন কী জন্য পাঠিয়েছে জানিনা, আমি কবিতাটা ডাইরিতে লিপিবদ্ধ করছি। দেখা যাক, ডিকোড করতে পারি কিনা।
কবিতাটা এ রকম:-
কিছু আমার কথা ছিল,
কিছু তুমিই বলবে ভেবেছিলে,
কিছু না বলেই ব্যক্ত হলো
কিছু ব্যথা দিয়ে সাজিয়ে দিলে।
সেই না বলা কথা দিয়ে,
কিছু রহস্য মিশিয়ে নিয়ে,
আমার গল্প লেখা শুরু,
তোমার নাম উহ্য রেখে দিয়ে।
কি বলতে চেয়েছে কিছু ই বুঝলাম না। অনেক রাত হলো, পরে ভাবতে বসবো।
#bengalibooks #bengali #bengaliwriters #bengaliwebseries #kolkata #bengaliliterature #bengaliwriting #bangla #kolkatadiaries #banglaquotes #banglaquote #banglapoetry #bengaliculture #banglacalligraphy #banglaliterature #banglagolpo #yqbengali #swajansera #bookstagram #suspense #thriller
1 note
·
View note
Text
[ Applicable to those || যাদের জন্য প্রযোজ্য ]
🔴🔴 Different type of woman's day || অন্যরকম নারী দিবস 🔴🔴
✴
ভরা মাসের অন্তসত্ত্বা মেয়েটা।বেশ কিছুক্ষণ ফাঁকা বাসের জন্য অপেক্ষা করলো ,কিন্তু অফিস ছুটির সময়...বাধ্য হয়ে উঠেই পড়লো।কোনরকম ভেতরে ঢুকে মহিলা সিট ঘেঁষে দাঁড়ালো..একটা সিটও খালি নেই যথারীতি।আচমকা পিঠে হাতের স্পর্শ, ঘুরে তাকাতে.. একটা কমবয়সী ছেলে।মেয়েটা রেগে কিছু বলতে যাবে,
..ম্যাডাম আমার সিটে বসুন প্লিজ...!
স্তব্ধ মেয়েটা...!দু চোখ জ্বালা করে উঠলো..... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস,ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
রেডলাইট এরিয়াটার নাম করা মেয়েছেলে ও।বাবুদের খুশি কি করে রাখতে হবে, সেসব ছলাকলা ওর নখদর্পণে।একটা লাফাঙ্গা এসেছে আজ,পয়সাওয়ালা বাপের বখে যাওয়া ছেলে।মদ টেনেই এসেছে শালা,আবার...
..কই মালের ব্যাবস্থা কই?
..আবার খাবেন?
..হম,আনো...!
বিরক্ত মেয়েটা,খুব চেনা আছে এদের...একগলা মাল টেনে বিছানায় বমি,অগত্যা...
..শোন তোমার বাড়ি কোথায়?এখানে কেমন করে এলে?
সবে শাড়ির আঁচল আলগা করছিল মেয়েটা,
হকচকিয়ে গেল...!
..মানে...?
..আরে রাখো ওসব!...গল্প করি এসো,আমার সাথে আড্ডা মারার লোকের বড্ড অভাব...!
কোথা দিয়ে রাত গড়িয়ে ভোর হলো কে জানে..... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস,ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
বিয়ে হওয়া ইস্তক মেয়েটা অসুস্থ্য শ্বাশুড়ির সেবা করছে,শয্যাশায়ী উনি।সংসারের যাবতীয় কাজ, তার সাথে ওনার সেবা... মেয়েটা নাজেহাল।স্বামীকে বলতে পারেনি কিছু লজ্জায়, যদি ভুল বোঝে।কলিং বেলের আওয়াজে দরজা খুললো মেয়েটা..একজন মা��বয়সী মহিলা দাঁড়িয়ে...
..বলুন,কাকে চান?
..আপনাকেই ব��দি।আমি আয়া সেন্টার থেকে এসেছি।
..আয়া সেন্টার?
..দাদাবাবু যোগাযোগ করেছিলেন তো,ওনার মা অসুস্থ্য বললেন...আপনাকে বলতে ভুলে গেছেন হয়তো।ফোন করে নিন না...!
ফোনে যখন শুনলো সব মেয়েটা তাঁর স্বামীর কাছে,একটা কথাই মনে হলো..কত ভুল বুঝি আমরা মানুষকে..... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস, ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
মেয়েটা কবিতা লেখে,নিজের মতো।ছেলেটাকে বলেছে দু একবার, উৎসাহ নেই।আর বলেনা, শুধু লেখে।একদিন রাতে...
..আচ্ছা তোমার একটা বই হলে কেমন হয়?
..পাগল নাকি?আমার কবিতা কে ছাপবে?
..কেন,আমি?
..তুমি?কত খরচ জানা আছে তোমার?
..হম,আছে...!নিয়েছি খোঁজ...!
..তুমি, মানে......!!
..মুখে বলতে হয় বুঝি সব?নাকি রোজ তোমার লেখা পড়লে বুঝবে যে আমার খুব ভালো লাগে, তুমি লেখালেখি করা চালিয়ে যাও থেমো না?
কবিতা লেখা মেয়েটা, ভাষাই হারিয়ে ফেললো....... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস, ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
পাগলিটা লোকের দ্বারে দ্বারে খাবার চাইছিল,দেখেও দেখছেনা কেউ।পরনের বস্ত্রটা যে ঠিক কি,বোঝার উপায় নেই।বেশিরভাগ শরীর খোলা, যুবতি পাগলি নগ্ন পেট দেখিয়ে খিদে বোঝাচ্ছিল...!
..এই এদিকে আয়...!
পাগলি ঘুরে দেখলো,চারটে ছেলে...!
মেয়েদের সহজাত বোধেই হয়তো,থুতু ছুঁড়ে দিল ওদের দিকে!হাত ধরে টানতে টানতে ওরা চারজন নিয়ে গেল পাগলিকে,পরিত্যক্ত গোডাউনে...!
..এই নে,এই প্যাকেটে দু জোড়া পোশাক আছে।পড়ে ফেলবি।আর এই প্যাকেটে খাবার আছে... আর আজ থেকে এখানেই থাকবি।রাস্তায় ঘুরবিনা।কোন দরকার হলে,ওই ক্লাবে গিয়ে আমাদের ডাকবি কেমন?
পাগলি বোধহয় দ্বিতীয়বার বোধগম্য হারালো..... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস,ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
খুব কাঁদে মেয়েটা।যবে থেকে ডাক্তার বলেছে ও কোনদিন মা হতে পারবেনা, তবে থেকেই...!
সমস্যা ওর নিজের সেটাও বলেছে ডাক্তার।কি লজ্জা, মরন হয়না কেন?
..কাল তৈরী থেকো,বের হবো!
..আবার নতুন ডাক্তার?কি হবে?দোষ তো আমার, তুমি বিয়ে করো আর একটা!
পরদিন ওরা নামলো গাড়ি থেকে, সাইনবোর্ড চোখ টানলো মেয়েটার,'সেন্ট মেরী হোম এন্ড স্কুল'...!
..এখানে?
..আমাদের মেয়েকে নিতে এলাম।তোমার তো মেয়ের শখ.....!
আবারও কেঁদে উঠলো মেয়েটা,আনন্দে....... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস,ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
নারী দিবস তো প্রতিবারই সেই গতানুগতিক ভাবেই পালন করি,শপিং মলের আর গয়নার দোকানের ডিসকাউন্ট বুঝে...নারী দিবস তো প্রতিবারই পালন করি,জবাব চাই,অধিকার চাই এসব বলে...বাকি সারাটা বছরের জন্য না হয় তোলা থাক এসব।অন্য কোন সময় শপিং করবো,আর অধিকার? আজ নয় কাল....ছিনিয়েই নেবো না হয়।এবারটা হ��ক না নারী দিবস,সেই সব পুরুষদের সম্মানে।সব ঝেড়ে ফেলে বলি এবারটা,তোমাদের জন্যই হয়তো অনেক ক্ষেত্রে ভালো আছি আমরা।তোমাদের মধ্যেও ভালো খারাপ আছে,ঠিক যেমন আমাদের মধ্যেও।।
( লেখক :দাদা দানেশ মাঝি / ৯'মার্চ ২০১১ইং)
1 note
·
View note
Text
[ Applicable to those || যাদের জন্য প্রযোজ্য ]
🔴🔴 Different type of woman's day || অন্যরকম নারী দিবস 🔴🔴
✴
ভরা মাসের অন্তসত্ত্বা মেয়েটা।বেশ কিছুক্ষণ ফাঁকা বাসের জন্য অপেক্ষা করলো ,কিন্তু অফিস ছুটির সময়...বাধ্য হয়ে উঠেই পড়লো।কোনরকম ভেতরে ঢুকে মহিলা সিট ঘেঁষে দাঁড়ালো..একটা সিটও খালি নেই যথারীতি।আচমকা পিঠে হাতের স্পর্শ, ঘুরে তাকাতে.. একটা কমবয়সী ছেলে।মেয়েটা রেগে কিছু বলতে যাবে,
..ম্যাডাম আমার সিটে বসুন প্লিজ...!
স্তব্ধ মেয়েটা...!দু চোখ জ্বালা করে উঠলো..... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস,ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
রেডলাইট এরিয়াটার নাম করা মেয়েছেলে ও।বাবুদের খুশি কি করে রাখতে হবে, সেসব ছলাকলা ওর নখদর্পণে।একটা লাফাঙ্গা এসেছে আজ,পয়সাওয়ালা বাপের বখে যাওয়া ছেলে।মদ টেনেই এসেছে শালা,আবার...
..কই মালের ব্যাবস্থা কই?
..আবার খাবেন?
..হম,আনো...!
বিরক্ত মেয়েটা,খুব চেনা আছে এদের...একগলা মাল টেনে বিছানায় বমি,অগত্যা...
..শোন তোমার বাড়ি কোথায়?এখানে কেমন করে এলে?
সবে শাড়ির আঁচল আলগা করছিল মেয়েটা,
হকচকিয়ে গেল...!
..মানে...?
..আরে রাখো ওসব!...গল্প করি এসো,আমার সাথে আড্ডা মারার লোকের বড্ড অভাব...!
কোথা দিয়ে রাত গড়িয়ে ভোর হলো কে জানে..... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস,ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
বিয়ে হওয়া ইস্তক মেয়েটা অসুস্থ্য শ্বাশুড়ির সেবা করছে,শয্যাশায়ী উনি।সংসারের যাবতীয় কাজ, তার সাথে ওনার সেবা... মেয়েটা নাজেহাল।স্বামীকে বলতে পারেনি কিছু লজ্জায়, যদি ভুল বোঝে।কলিং বেলের আওয়াজে দরজা খুললো মেয়েটা..একজন মাঝবয়সী মহিলা দাঁড়িয়ে...
..বলুন,কাকে চান?
..আপনাকেই বউদি।আমি আয়া সেন্টার থেকে এসেছি।
..আয়া সেন্টার?
..দাদাবাবু যোগাযোগ করেছিলেন তো,ওনার মা অসুস্থ্য বললেন...আপনাকে বলতে ভুলে গেছেন হয়তো।ফোন করে নিন না...!
ফোনে যখন শুনলো সব মেয়েটা তাঁর স্বামীর কাছে,একটা কথাই মনে হলো..কত ভুল বুঝি আমরা মানুষকে..... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস, ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
মেয়েটা কবিতা লেখে,নিজের মতো।ছেলেটাকে বলেছে দু একবার, উৎসাহ নেই।আর বলেনা, শুধু লেখে।একদিন রাতে...
..আচ্ছা তোমার একটা বই হলে কেমন হয়?
..পাগল নাকি?আমার কবিতা কে ছাপবে?
..কেন,আমি?
..তুমি?কত খরচ জানা আছে তোমার?
..হম,আছে...!নিয়েছি খোঁজ...!
..তুমি, মানে......!!
..মুখে বলতে হয় বুঝি সব?নাকি রোজ তোমার লেখা পড়লে বুঝবে যে আমার খুব ভালো লাগে, তুমি লেখালেখি করা চালিয়ে যাও থেমো না?
কবিতা লেখা মেয়েটা, ভাষাই হারিয়ে ফেললো....... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস, ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
পাগলিটা লোকের দ্বারে দ্বারে খাবার চাইছিল,দেখেও দেখছেনা কেউ।পরনের বস্ত্রটা যে ঠিক কি,বোঝার উপায় নেই।বেশিরভাগ শরীর খোলা, যুবতি পাগলি নগ্ন পেট দেখিয়ে খিদে বোঝাচ্ছিল...!
..এই এদিকে আয়...!
পাগলি ঘুরে দেখলো,চারটে ছেলে...!
মেয়েদের সহজাত বোধেই হয়তো,থুতু ছুঁড়ে দিল ওদের দিকে!হাত ধরে টানতে টানতে ওরা চারজন নিয়ে গেল পাগলিকে,পরিত্যক্ত গোডাউনে...!
..এই নে,এই প্যাকেটে দু জোড়া পোশাক আছে।পড়ে ফেলবি।আর এই প্যাকেটে খাবার আছে... আর আজ থেকে এখানেই থাকবি।রাস্তায় ঘুরবিনা।কোন দরকার হলে,ওই ক্লাবে গিয়ে আমাদের ডাকবি কেমন?
পাগলি বোধহয় দ্বিতীয়বার বোধগম্য হারালো..... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস,ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
খুব কাঁদে মেয়েটা।যবে থেকে ডাক্তার বলেছে ও কোনদিন মা হতে পারবেনা, তবে থেকেই...!
সমস্যা ওর নিজের সেটাও বলেছে ডাক্তার।কি লজ্জা, মরন হয়না কেন?
..কাল তৈরী থেকো,বের হবো!
..আবার নতুন ডাক্তার?কি হবে?দোষ তো আমার, তুমি বিয়ে করো আর একটা!
পরদিন ওরা নামলো গাড়ি থেকে, সাইনবোর্ড চোখ টানলো মেয়েটার,'সেন্ট মেরী হোম এন্ড স্কুল'...!
..এখানে?
..আমাদের মেয়েকে নিতে এলাম।তোমার তো মেয়ের শখ.....!
আবারও কেঁদে উঠলো মেয়েটা,আনন্দে....... হোক না এবার গর্বিত নারী দিবস,ওদের মতো পুরুষের জন্য।।
✴
নারী দিবস তো প্রতিবারই সেই গতানুগতিক ভাবেই পালন করি,শপিং মলের আর গয়নার দোকানের ডিসকাউন্ট বুঝে...নারী দিবস তো প্রতিবারই পালন করি,জবাব চাই,অধিকার চাই এসব বলে...বাকি সারাটা বছরের জন্য না হয় তোলা থাক এসব।অন্য কোন সময় শপিং করবো,আর অধিকার? আজ নয় কাল....ছিনিয়েই নেবো না হয়।এবারটা হোক না নারী দিবস,সেই সব পুরুষদের সম্মানে।সব ঝেড়ে ফেলে বলি এবারটা,তোমাদের জন্যই হয়তো অনেক ক্ষেত্রে ভালো আছি আমরা।তোমাদের মধ্যেও ভালো খারাপ আছে,ঠিক যেমন আমাদের মধ্যেও।।
( লেখক :দাদা দানেশ মাঝি / ৯'মার্চ ২০১১ইং)
0 notes
Text
আমি কবিয়িত্রি ণই
আমি কোন কবি বা কবিয়িত্রি ণই
কিছু দুঃখ ,আবেগ ,ভালবাসা লিখে যাই |
একা একা বসে বসে ,কিছু ব্যাথাকে জানাই
এটুকু লিখে হাল্কা হয়ে ,নিজের মনে শান্তি পাই |
আমি জানি আমার কবিতাতে কোন আনন্দ নাই
কার ও ভালো লাগলে ,like দিও তাই |
কিন্তু গালি প্রয়োগ করাটা কি ,ভালো হোল ভাই
আমি তুচ্ছ ,আমি নগণ্য ,তোমার মতো জ্ঞান কোথায় পাই |
ভালো না লাগলে কবিতাগুলো ,দেখো না ,বা পড়ো না
গালি দিয়ে নোংরা ভাষায় ,নোংরা চোখে দেখো না |
নোংরা ভাষা আবিষ্কার করে ,কতোটা মহান হলে বলো না
আমি সাধারণ ঘরোয়া মহিলা ,আমাকে শ্রেষ্ঠ কবিয়িত্রি বলবো না |
আমার মনের কথা ,মনের ভাষা ,কলমে লিখে জানাই
পড়তে না চাইলে পড়বে না ,আমার তো কোন দুঃখ নাই |
যার যার মতো সেই সেই লেখে ,আমি ও লিখি
ভালো না লাগলে তোমার তো দেখার দরকার নাই |
আমি জানি এত ভালো কবিতা আমার ণয়
তবু ও অনেকেরই কাছে হয়েছে আমার জয় |
তুমি একাই নোংরা ভাষায় গালি দিয়ে
আমাকে দিলে ভয় ,আমার মনে বড়ো সংশয় |
হয়তো তুমি আমার থেকে ও মস্ত বড়ো কবি
এবার তোমার email আর পাঠিয়ে দাও একটা ছবি |
খাতার পাতায় গালি দিলে ,কেমন করে জানি
সামনে এসো তুমি কেমন ,তোমায় নিয়ে ভাবি |
আমি একজন ৫৫ বছরের মহিলা ,তোমার মায়ের সমান
আমাকে নোংরা গালি দেবার জন্য ,তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই |
তোমার শিক্ষা ,সংস্কৃতি ,ভক্তি ,শ্রদ্ধা ,এবং আদরশের জন্য
গালির অনুপ্রেরণার জন্য তোমাকে ,শতো শতো কুরনিশ জানাতে চাই |
---দিপালি বিশ্বাস ---
2 notes
·
View notes
Photo
©কাজী ফাতেমা ছবি =রঙে রঙিলা চায়ের আসর= তুমি তো বাঁকা ঠোঁটে বলে যাও বুড়ি বুড়ি, মন জানো না, মন খুঁজো, মন যে বারোমাস কুড়ি, এই যে দেখো চায়ের বাসর সাজিয়েছি প্রেম ফুলে, ইচ্ছে হলে আলগোছে মনে তোমার মন নিতে পারো তুলে। কত যে ছাড়ো ভাষণ, শে��ল পরাও পায়ে, একশত দুই শাসন, কই মন কী চায় আমার, নিয়েছিলে খোঁজ, কেবল শাসনের সুতায় বেঁধে রাখতে চাও রোজ! আগে ধরো চা, বসো রক্তিম আসরে, না থাকলে আপত্তি, এই যে, বলো এসব ঢং, এখানেই বিপত্তি, বলো ইশ কী সাহিত্যিক মন, বলো সব দিতে ছেড়ে, আর তুমি জানো না কিছু অলিখিত সুখ আমি কবিতা হতে আনি পেড়ে! আমাকে বুড়ি বলো, অথচ মনের বয়স তোমার দুইশত দুই, আনন্দে প্রেমে ভালোবাসায় পারো না হতে বেলি বকুল জুঁই, বিবর্ণ জীবন তোমার সাদাসিধে চলার পথ, রঙ আনতেও জানো না মনে, প্রেম যেনো অলীক ধাঁধা, মন যদি সাজাই রক্তিম বর্ণ, তাতেও শত বাঁধা! কিন্তু তুমি রঙিন চায়ে রাখতে পারো ঠোঁট, জীবনকে নিরামিষ রাখার শপথ অটুট, দেখে যাও কী সুন্দর রঙে রঙিন করে নিয়েছি জীবন, আমার বয়স আশি তাতে কী, রঙ মহল আমার বুক ভুবন। মনটারে রেখো না আর ফিকে, নিরামিষ অথবা কাঠখোট্টা, আগুনে ফুটিয়ো কথার খই, হয়ো না ভুট্টা, আমার মনে তোমার মনটা ঘষে নাও, আহা যাদু মন্তর, রঙিন দুধ চায়ের আসরে নিমন্তন্ন বন্ধু, এসো খুশিতে নেচে উঠবে অন্তর। (স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা) https://www.instagram.com/p/CUxl-gmv6ch/?utm_medium=tumblr
0 notes
Photo
#poetryofdrneyamatbhuiyan নেয়ামত ভূঁইয়া’র কবিতা •অধিকার বুঝে নাও কর্তব্যের সম-অনুপাত• একটু একটু করে জীবনের ভাষা বুঝে নাও, একটু একটু করে আশার সীমানা খুঁজে নাও। এক পা দু পা করে পা বাড়াও অন্তহীন দুর্গম পথে সোয়ারি হবে না তুমি রাবণের পুষ্পক রথে। তোমার যাত্রা হবে উদোম পা-দলে; ঝড় বৃষ্টি খরা শৈত্যে দাবানলে। একটু একটু করে মানুষকে ভালোবাসা দাও, অন্যের উচ্চ কারনে নিজের তুচ্ছ স্বার্থ বিকাও। বিন্দু বিন্দু করে প্রেম দিয়ে পূর্ণ করো জীবনের ঘড়া, বিশ্বাস পলকা হলে প্রেম থাকে প্রেমীর অধরা। প্রাণের ভিত্তি যখন নির্মল শ্বাস;প্রেমের ভিত্তি তখন আস্থা-বিশ্বাস,প্রাণময় প্রেম জীবনের নির্যাস।প্রাণহীন দেহ কাদা-পুত্তুলি লাশ,প্রেমহীনতায় জীবনের অর্থ বিনাশ।প্রেমহীন আয়ূ বায়ূর বেলুন; যেখানে দমের নেই ঠিক ঠিকানা, প্রেমের জন্যে দম লাগে, ত্যাগের বস্তিতে প্রেমের বাস্তু-আস্তানা। রত্তি রত্তি করে সঞ্চয় করো ঘামঝরা অর্থ-বিত্ত, বিত্তের বেসাতি ছেড়ে সে বিত্ত করে যেনো আত্মার আতিথ্য। পৃথিবীর মানচিত্র থেকে একে একে মুছে ফেলে মাটির কণায় কণায় আঁকা বিভেদের সীমান্ত রেখা, এঁকে দাও মানবিক সীমা, ভ্রাতৃত্বের অক্ষ-দ্রাঘিমা। উদার জমিন গা এলিয়ে উদোম পড়ে থাক, বুকের পাঁজরের হাড়ে আঁকা হবে গ্লোবের ছোটো-বড়ো আঁক। মিলনের মোহনায় সুখের পেয়ালায় দিয়ে উষ্ণ চুমুক, আনন্দ-অশ্রু ফোঁটায় ফোঁটায় ধুয়ে দিক আলিঙ্গনের বুক। ‘নাচাতে গেলে নাচতে হয়, বাঁচতে হলে বাঁচাতে হয়’; সেই গান গাওয়া ময়নাটার খাঁচা খুলে দাও, তোমার মনের খাঁচার সোনার মাচায় সেই গানটাকে পাখি করে নাও। কর্মের কুরুক্ষেত্রে এখন তুমি পার্থ-সারথি, কর্মই এখন তোমার অনিবার্য পরিনতি। তোমার পথে আলো জ্বালায় পরম অভিজ্ঞ অতীত, এখন তুমিই তোমার যোগ্য পথিকৃৎ। এবার একটা একটা করে বুঝে নাও কর্মের আছে যতো খাত, অধিকারও বুঝে নাও; কর্তব্যের সম-অনুপাত। -- #poetryofdrneyamatbhuiyan #ড_নেয়ামতউল্যাভূঁইয়া #Neyamat #poetrybyneyamat #বাংলাকবিতা #নেয়ামতভূঁইয়ারকবিতা #নেয়ামত #কবিতা #poetryofneyamat #neyamat_poetry #bengalipoetry #বাংলাকবিতা #poems #bengalipoetrycommunity #সাহিত্য #poems #englishliterature #গীত #bengalikobita #গীতিকবিতা #lyrics #englishpoetry #englishpoems #lyricist #lyricalpoems #twitterpoets #lovepoems #twitterwriters #poetry_community #writingcommunity #Dr_NeyamatUllahBhuiyan https://www.instagram.com/p/CSHazGAhcri/?utm_medium=tumblr
#poetryofdrneyamatbhuiyan#ড_ন#neyamat#poetrybyneyamat#ব#ন#কব#poetryofneyamat#neyamat_poetry#bengalipoetry#poems#bengalipoetrycommunity#স#englishliterature#গ#bengalikobita#lyrics#englishpoetry#englishpoems#lyricist#lyricalpoems#twitterpoets#lovepoems#twitterwriters#poetry_community#writingcommunity#dr_neyamatullahbhuiyan
0 notes
Text
উপায় নেই গোলাম হোসেন।
উপায় নেই গোলাম হোসেন।
প্রবীর কুমার রায়।
যতই তুমি কুৎসা রটাও
মিটিং-মিছিলে গলা ফাটাও।
উপায় নেই গোলাম হোসেন,
মানতে তোমায় হবেই।
"উন্নয়ন জিন্দাবাদ্"
বলতে তোমায় হবেই।
সেদিন দেখি গেরামে গিয়ে
হঠাৎ দুয়ারে সরকার।
কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী
যার যেটা দরকার।
ভোট পেরোলে সব প্রকল্প
ফাইল বন্দী হবেই।
উপায় নেই গোলাম হোসেন,
মানতে তোমায় হবেই।
'চাকরি দাও, চাকরি দাও'
তারস্বরে যতই চেঁচাও।
ধর্মতলার মোড়ে মাথায়
অনশন করছো বৃথায়।
ধর্না মঞ্চ ভাঙবে পুলিশ
ডান্ডা তুমি খাবেই।
উপায় নেই গোলাম হোসেন,
মানতে তোমায় হবেই।
তার চেয়ে বরং লাখ পনেরো,
কষ্টেসৃষ্টে জোগাড় করো,
শংসাপত্র নেই বলে তাই
ভাবছ তুমি মিছেই।
টেট পরীক্ষায় পাশ না হলেও
চাকরি তোমার হবেই।
উপায় নেই গোলাম হোসেন,
মানতে তোমায় হবেই।
পঞ্চায়েত ভোট বা পুরসভা
বিরোধী শূন্য আসন ��াবে।
যত রক্ত ঝরে ঝরুক,
ক্ষমতা দখল করতে হবে।
বিরোধী দলের নেতা হলে
গাঁজার কেস তো খাবেই!
উপায় নেই গোলাম হোসেন,
মানতে তোমায় হবেই।
সততার সফল জুটি
সাদা শাড়ী- হাওয়ায় চটি।
শিকেয় ঝুলে স্কুল চাকরি
দুর্নীতিতে শত কোটি।
ইডি- সিবিআই জেরা হলে
উডবার্ণ ওয়ার্ডে যাবেই।
উপায় নেই গোলাম হোসেন,
মানতে তোমায় হবেই।
রাতদিন কেবল কাব্য লিখে।
রোজ দুবেলা মরছো দুখে।
যে কবিতা কেউ বোঝে না
যে কবিতা কেউ ছাপে না
হুপাং ওপাং সেপাং লেখ
পুরস্কার তুমি পাবেই।
উপায় নেই গোলাম হোসেন,
মানতে তোমায় হবেই।
বিশ্ববাংলা সরণী বেয়ে
শিল্প যখন এলো না দ্বারে।
চপ ভেজে সব পুঁজিপতি
আজ বাংলার ঘরে ঘরে।
বিশ্ব মাঝে বঙ্গে প্রথম
চপ শিল্প-তালুক হবেই।
উপায় নেই গোলাম হোসেন,
মানতে তোমায় হবেই।
"উন্নয়ন জিন্দাবাদ্ "
বলতে তোমায় হবেই।
0 notes
Text
করোনা সচেতনা নিয়ে আনোয়ার -ই- তাসলিমার কবিতা
করোনা সচেতনা নিয়ে আনোয়ার -ই- তাসলিমার কবিতা
মহামারী করোনা আনোয়ার-ই-তাসলিমা প্রথা শুনো শুনো ভাই বোনেরা শুনো দিয়া মন করোনা থেকে বাঁচতে হলে করো নিয়ম পালন। তিন মিটার দূরত্ব রেখে যদি চলতে পারো তাহলে তুমি করোনা থেকে রক্ষা পেতে পারো। করোনা রোগের ভ্যাকসিন নেই রে ধরলে রেহাই পাবো একবার হলে মনে করোনা হবে না আর যেনো। যতদিন ভ্যাকসিন না আসে চিকিত্সা যে নেই একমাত্র সাবধান থাকতে হবে সারাক্ষণই। বারবার হাত ধুবে গরম পানিও খাবে গারগেল করতে যদি পারো নিষেধ…
View On WordPress
0 notes