#কেয়ামত
Explore tagged Tumblr posts
Text
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অ��্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে এ��াধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩) সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সে�� সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
#ইসলাম একমাত্র পথ#ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! (আলাইহিস সালাম)#Islam#Father#Muslim#Ummah#Peace#Deen#Ibrahim#IbrahimPBUH#Abrahamicreligion#ইসলাম#Wayoflife#CodeofLife#Religion#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩) সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আল��� ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
#ইসলাম একমাত্র পথ#ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! (আলাইহিস সালাম)#Islam#Father#Muslim#Ummah#Peace#Deen#Ibrahim#IbrahimPBUH#Abrahamicreligion#ইসলাম#Wayoflife#CodeofLife#Religion#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩) সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
#ইসলাম একমাত্র পথ#ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! (আলাইহিস সালাম)#Islam#Father#Muslim#Ummah#Peace#Deen#Ibrahim#IbrahimPBUH#Abrahamicreligion#ইসলাম#Wayoflife#CodeofLife#Religion#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সা��াম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩) সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
#ইসলাম একমাত্র পথ#ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! (আলাইহিস সালাম)#Islam#Father#Muslim#Ummah#Peace#Deen#Ibrahim#IbrahimPBUH#Abrahamicreligion#ইসলাম#Wayoflife#CodeofLife#Religion#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩) সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
#ইসলাম একমাত্র পথ#ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! (আলাইহিস সালাম)#Islam#Father#Muslim#Ummah#Peace#Deen#Ibrahim#IbrahimPBUH#Abrahamicreligion#ইসলাম#Wayoflife#CodeofLife#Religion#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars#Youtube
0 notes
Text
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩) সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
#ইসলাম একমাত্র পথ#ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! (আলাইহিস সালাম)#Islam#Father#Muslim#Ummah#Peace#Deen#Ibrahim#IbrahimPBUH#Abrahamicreligion#ইসলাম#Youtube#Wayoflife#CodeofLife#Religion#Iman#Faith#Belief#6pillars#5pillars
0 notes
Video
youtube
কেয়ামত আমাদের অতি নিকটে | Rafiqul Islam Al Madani | new waz | dawah
0 notes
Text
❀๑▬▬▬๑﷽ ๑▬▬▬๑❀ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় ও দয়াময়।
قُلُوۡبِهِمۡ مَّرَضٌ اَمِ ارۡتَابُوۡۤا اَمۡ يَخَافُوۡنَ اَنۡ يَّحِيۡفَ اللّٰهُ عَلَيۡهِمۡ وَرَسُوۡلُهٗؕ بَلۡ اُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ৫০.) তাদের মনে কি (মুনাফিকীর) রোগ আছে? না তারা সন্দেহের শিকার হয়েছে? না তারা ভয় করছে আল্লাহ ও তাঁর রসূল তাদের প্রতি যুলুম করবেন? আসলে তারা নিজেরাই যালেম।
(সূরা আন-নূরঃ ৫০)
ব্যাখ্যা�� অর্থাৎ মানুষের এ কর্মনীতি অবলম্বনের পেছনে তিনটি সম্ভাব্য কারণই থাকতে পারে। এক, যে মানুষটি ঈমানের দাবীদার সে আসলে ঈমানই আনেনি এবং মুনাফিকী পদ্ধতিতে নিছক ধোঁকা দেবার এবং মুসলিম সমাজে প্রবেশ করে অবৈধ স্বার্থলাভের জন্য মুসলমান হয়েছে। দুই, ঈমান আনা সত্ত্বেও তার মনে এ মর্মে সন্দেহ রয়ে গেছে যে, রসূল আসলে আল্লাহর রসূল কি না, কুরআন আল্লাহর কিতাব কি না এবং কেয়ামত সত্যি সত্যিই অনুষ্ঠিত হবে কি না অথবা এগুলো সবই নিছক মুখরোচক গালপল্প বরং আসলে আল্লাহর অস্তিত্ব আছে কি অথবা এটাও নিছক একটা কল্পনা, কোন বিশেষ স্বার্থোদ্বারের উদ্দেশ্যে এ কাল্পনিক বিষয়টি তৈরী করে নেয়া হয়েছে। তিন, সে আল্লাহকে আল্লাহ এবং রসূলকে রসূল বলে মেনে নেবার পরও তাঁদের পক্ষ থেকে জুলুমের আশঙ্কা করে। সে মনে করে আল্লাহর কিতাব অমুক হুকুমটি দিয়ে তো আমাদের বিপদে ফেলে দিয়েছে এবং আল্লাহর রসূলের অমুক উক্তি বা অমুক পদ্ধতি আমাদের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এ তিনটি কারণের মধ্যে যেটিই সত্য হোক না কেন, মোটকথা এ ধরনের লোকদের জালেম হবার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। এ ধরনের চিন্তা সহকারে যে ব্যক্তি মুসলমানদের দলভুক্ত হয়, ঈমানের দাবী করে এবং মুসলিম সমাজের একজন সদস্য সেজে এ সমাজ থেকে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ স্বার্থ হাসিল করতে থাকে, সে একজন বড় দাগাবাজ, বিশ্বাসঘাতক, খেয়ানতকারী ও জালিয়াত। সে নিজের ওপরও জুলুম করে। রাত-দিন মিথ্যাচারের মাধ্যমে নিজেকে সে সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্বভাবের মানুষে পরিণত করতে থাকে। সে এমন ধরনের মুসলমানদের প্রতিও যুলুম করে যারা তার বাহ্যিক কালেমায়ে শাহাদাত পাঠের ওপর নির্ভর করে তাকে এ মিল্লাতের এটি অংশ বলে মেনে নেয় এবং তারপর তার সাথে নানান ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
#SuraAnNur50 #quranmajeed #DailyQuran #Quran24ঃ50 #DailyQuran @followers
1 note
·
View note
Video
youtube
নির্বাচন ছাড়াই কেয়ামত পর্যন্ত থাকুক আ. লীগ । Rumeen's Voice । Rumeen F...
0 notes
Video
youtube
কেয়ামত খুবই সন্নিকটে | Abu Toha Muhammad Adnan | বাংলা ওয়াজ | @aminule...
0 notes
Text
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
আদম আঃ হলেন প্র��ম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an
কুরআনে "মুহাম্মদ" নামটি চারবার উল্লেখ করা হয়েছে, এবং "আহমদ" (মুহাম্মদের নামের আরেকটি রূপ) নামটি একবার উল্লেখ করা হয়েছে। যাইহোক, মুহাম্মদকে বিভিন্ন উপাধি দিয়েও উল্লেখ করা হয় যেমন আল্লাহর রসূল , নবী , নিরক্ষর ইত্যাদি, এবং মুহাম্মদ সম্পর্কে অনেক আয়াত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাকে নির্দেশ করে।
আজ পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বোচ্চ আলোচিত ব্যক্তি হলেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত যত পর্যালোচনা, গবেষণা ও গ্রন্থ রচিত হয়েছে; সম্ভবত অন্যসব ব্যক্তিকে নিয়ে পর্যালোচনা, গবেষণা গ্রন্থ রচনার সমষ্টিও সেসবের সমতুল্য নয়। তবে নবী কারিম (সা.)-এর সর্বাপেক্ষা সুন্দর ও তৃপ্তিদায়ক পরিচয় এবং তার রেসালতকে (রেসালাত অর্থ আল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা বহন) উপলব্ধি করার জন্য দলিলসিদ্ধ আলোচনা আমরা শুধু কোরআন মাজিদেই পেতে পারি। কারণ, কোরআন নিজে প্রমাণসিদ্ধ হওয়ার জন্য রাসুলের রেসালাত ও তার মহত্ত্বের আবশ্যকতা প্রমাণিত হওয়াটা জরুরি। তাই এই নিবন্ধে সংক্ষিপ্তভাবে কোরআন মাজিতে উল্লিখিত রাসুলের পরিচয় বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি একজন রাসুল : কোরআন মাজিদে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তার যে পরিচয়টি তুলে ধরা হয়েছে, তা হচ্ছে তিনি একজন আল্লাহর প্রেরিত রাসুল তথা বার্তাবাহক। হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় সন্ধিপত্রে কাফেররা যখন ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লেখার ব্যাপারে আপত্তি করল, তখন আল্লাহতায়ালা সুরা ফাতহের শেষ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল।’ সুরা ফাত্হ : ২৯
অর্থাৎ কাফেরদের অস্বীকারের কারণে যদিও শেষ পর্যন্ত সন্ধিপত্রে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ লিখতে হচ্ছে, কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে তিনি আল্লাহর রাসুল। কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা কেয়ামত পর্যন্ত এ সত্যের ওপর সিলমোহর করে দিয়েছেন। তাউজিহুল কুরআন
কেয়ামত অবধি সবার নবী : কোরআন মাজিদ এটা স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছে যে, তিনি কেয়ামত অবধি সব জিন-ইনসানের (মানুষ) জন্য প্রেরিত রাসুল। সুরা আম্বিয়ায় ��রশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সমগ্র জগতের জন্য রহমতস্বরূপ।’ সুরা আম্বিয়া : ১০৭
সর্বশেষ নবী : কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাম্মদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন, কিন্তু তিনি আল্লাহর রাসুল এবং নবীদের মধ্যে সর্বশেষ।’ সুরা আহযাব : ৪০
মুযাক্কি ও মুয়াল্লিম ; জমিনবাসীর সংরক্ষিত ইতিহাস এ কথার সাক্ষী যে, রাসুল (সা.) সমকালীন এমন সব মানুষদের সংশোধন করেছিলেন যারা ছিল অশিক্ষিত। মৃত জন্তু ভক্ষণ করত। মদ্যপান ছিল তাদের গৌরব। কন্যাসন্তানদের জীবিত কবর দিত। সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে বংশানুক্রমে যুদ্ধ করত। সেই বর্বর মানুষগুলোকে তিনি আমূল বদলে দিলেন। তারাই তখন অন্যকে অগ্রাধিকার দিতে শিখল। কিতাবুল্লাহর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠল। মদ জুয়া ও সুদের মতো মানবতাবিরোধী বস্তুগুলো তাদের জীবনে হয়ে উঠল অতীব ঘৃণ্য। নারীরা পেল নিরাপত্তা ম���্যাদা ও অধিকার। পৃথিবী হয়ে উঠল নিরাপদ। পবিত্র কোরআনের ইরশাদ, ‘তিনিই উম্মিদের (নিরক্ষর, অজ্ঞ) মধ্যে তাদেরই একজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন, যে তাদের সামনে তার আয়াতগুলো তেলাওয়াত করবে। তাদের পরিশুদ্ধ করবে। তাদের কিতাব ও হিকমতের শিক্ষা দেবে। যদিও তারা এর আগে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিপতিত ছিল।’ সুরা জুমুয়া : ২
মুযাক্কি শব্দের অর্থ অভ্যন্তরীণ দোষসমূহ থেকে পবিত্র করা, মুয়াল্লিম অর্থ শিক্ষক।
আলোকিত এক বাতি ; নবীজি ছিলেন আলোকিত এক বাতি। যার আলোয় এই পৃথিবী আলোকময়। তার আলো ছাড়া এই ভুবন বিস্তৃত এক আঁধার। মহান আল্লাহর ইরশাদ, ‘হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহর নির্দেশে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী ও আলো বিস্তারকারী প্রদীপরূপে।’ সুরা আল আহযাব : ৪৫
কুরআনের ভাষায় নবীজি (ﷺ)
youtube
কুরআনের ভাষায় রাসুলের (ﷺ) পরিচয় ও মর্যাদা |
youtube
কুরআনের আয়নায় নবীজি ﷺ
youtube
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
#muhammad#কুরআনেরভাষায় নবী#ﷺ#Prophet#Muhammad#PBUH#Messsanger#নবী#মুহাম্মাদ#সাঃ#The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়#The Identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#Youtube
0 notes
Text
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an
কুরআনে "মুহাম্মদ" নামটি চারবার উল্লেখ করা হয়েছে, এবং "আহমদ" (মুহাম্মদের নামের আরেকটি রূপ) নামটি একবার উল্লেখ করা হয়েছে। যাইহোক, মুহাম্মদকে বিভিন্ন উপাধি দিয়েও উল্লেখ করা হয় যেমন আল্লাহর রসূল , নবী , নিরক্ষর ইত্যাদি, এবং মুহাম্মদ সম্পর্কে অনেক আয়াত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাকে নির্দেশ করে।
আজ পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বোচ্চ আলোচিত ব্যক্তি হলেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত যত পর্যালোচনা, গবেষণা ও গ্রন্থ রচিত হয়েছে; সম্ভবত অন্যসব ব্যক্তিকে নিয়ে পর্যালোচনা, গবেষণা গ্রন্থ রচনার সমষ্টিও সেসবের সমতুল্য নয়। তবে নবী কারিম (সা.)-এর সর্বাপেক্ষা সুন্দর ও তৃপ্তিদায়ক পরিচয় এবং তার রেসালতকে (রেসালাত অর্থ আল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা বহন) উপলব্ধি করার জন্য দলিলসিদ্ধ আলোচনা আমরা শুধু কোরআন মাজিদেই পেতে পারি। কারণ, কোরআন নিজে প্রমাণসিদ্ধ হওয়ার জন্য রাসুলের রেসালাত ও তার মহত্ত্বের আবশ্যকতা প্রমাণিত হওয়াটা জরুরি। তাই এই নিবন্ধে সংক্ষিপ্তভাবে কোরআন মাজিতে উল্লিখিত রাসুলের পরিচয় বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি একজন রাসুল : কোরআন মাজিদে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তার যে পরিচয়টি তুলে ধরা হয়েছে, তা হচ্ছে তিনি একজন আল্লাহর প্রেরিত রাসুল তথা বার্তাবাহক। হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় সন্ধিপত্রে কাফেররা যখন ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লেখার ব্যাপারে আপত্তি করল, তখন আল্লাহতায়ালা সুরা ফাতহের শেষ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল।’ সুরা ফাত্হ : ২৯
অর্থাৎ কাফেরদের অস্বীকারের কারণে যদিও শেষ পর্যন্ত সন্ধিপত্রে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ লিখতে হচ্ছে, কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে তিনি আল্লাহর রাসুল। কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা কেয়ামত পর্যন্ত এ সত্যের ওপর সিলমোহর করে দিয়েছেন। তাউজিহুল কুরআন
কেয়ামত অবধি সবার নবী : কোরআন মাজিদ এটা স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছে যে, তিনি কেয়ামত অবধি সব জিন-ইনসানের (মানুষ) জন্য প্রেরিত রাসুল। সুরা আম্বিয়ায় ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সমগ্র জগতের জন্য রহমতস্বরূপ।’ সুরা আম্বিয়া : ১০৭
সর্বশেষ নবী : কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাম্মদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন, কিন্তু তিনি আল্লাহর রাসুল এবং নবীদের মধ্যে সর্বশেষ।’ সুরা আহযাব : ৪০
মুযাক্কি ও মুয়াল্লিম ; জমিনবাসীর সংরক্ষিত ইতিহাস এ কথার সাক্ষী যে, রাসুল (সা.) সমকালীন এমন সব মানুষদের সংশোধন করেছিলেন যারা ছিল অশিক্ষিত। মৃত জন্তু ভক্ষণ করত। মদ্যপান ছিল তাদের গৌরব। কন্যাসন্তানদের জীবিত কবর দিত। সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে বংশানুক্রমে যুদ্ধ করত। সেই বর্বর মানুষগুলোকে তিনি আমূল বদলে দিলেন। তারাই তখন অন্যকে অগ্রাধিকার দিতে শিখল। কিতাবুল্লাহর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠল। মদ জুয়া ও সুদের মতো মানবতাবিরোধী বস্তুগুলো তাদের জীবনে হয়ে উঠল অতীব ঘৃণ্য। নারীরা পেল নিরাপত্তা মর্যাদা ও অধিকার। পৃথিবী হয়ে উঠল নিরাপদ। পবিত্র কোরআনের ইরশাদ, ‘তিনিই উম্মিদের (নিরক্ষর, অজ্ঞ) মধ্যে তাদেরই একজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন, যে তাদের সামনে তার আয়াতগুলো তেলাওয়াত করবে। তাদের পরিশুদ্ধ করবে। তাদের কিতাব ও হিকমতের শিক্ষা দেবে। যদিও তারা এর আগে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিপতিত ছিল।’ সুরা জুমুয়া : ২
মুযাক্কি শব্দের অর্থ অভ্যন্তরীণ দোষসমূহ থেকে পবিত্র করা, মুয়াল্লিম অর্থ শিক্ষক।
আলোকিত এক বাতি ; নবীজি ছিলেন আলোকিত এক বাতি। যার আলোয় এই পৃথিবী আলোকময়। তার আলো ছাড়া এই ভুবন বিস্তৃত এক আঁধার। মহান আল্লাহর ইরশাদ, ‘হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহর নির্দেশে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী ও আলো বিস্তারকারী প্রদীপরূপে।’ সুরা আল আহযাব : ৪৫
কুরআনের ভাষায় নবীজি (ﷺ)
youtube
কুরআনের ভাষায় রাসুলের (ﷺ) পরিচয় ও মর্যাদা |
youtube
কুরআনের আয়নায় নবীজি ﷺ
youtube
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
#muhammad#কুরআনেরভাষায় নবী#ﷺ#Prophet#Muhammad#PBUH#Messsanger#নবী#মুহাম্মাদ#সাঃ#The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়#The Identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#Youtube
0 notes
Text
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an
কুরআনে "মুহাম্মদ" নামটি চারবার উল্লেখ করা হয়েছে, এবং "আহমদ" (মুহাম্মদের নামের আরেকটি রূপ) নামটি একবার উল্লেখ করা হয়েছে। যাইহোক, মুহাম্মদকে বিভিন্ন উপাধি দিয়েও উল্লেখ করা হয় যেমন আল্লাহর রসূল , নবী , নিরক্ষর ইত্যাদি, এবং মুহাম্মদ সম্পর্কে অনেক আয়াত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাকে নির্দেশ করে।
আজ পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বোচ্চ আলোচিত ব্যক্তি হলেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত যত পর্যালোচনা, গবেষণা ও গ্রন্থ রচিত হয়েছে; সম্ভবত অন্যসব ব্যক্তিকে নিয়ে পর্যালোচনা, গবেষণা গ্রন্থ রচনার সমষ্টিও সেসবের সমতুল্য নয়। তবে নবী কারিম (সা.)-এর সর্বাপেক্ষা সুন্দর ও তৃপ্তিদায়ক পরিচয় এবং তার রেসালতকে (রেসালাত অর্থ আল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা বহন) উপলব্ধি করার জন্য দলিলসিদ্ধ আলোচনা আমরা শুধু কোরআন মাজিদেই পেতে পারি। কারণ, কোরআন নিজে প্রমাণসিদ্ধ হওয়ার জন্য রাসুলের রেসালাত ও তার মহত্ত্বের আবশ্যকতা প্রমাণিত হওয়াটা জরুরি। তাই এই নিবন্ধে সংক্ষিপ্তভাবে কোরআন মাজিতে উল্লিখিত রাসুলের পরিচয় বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি একজন রাসুল : কোরআন মাজিদে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তার যে পরিচয়টি তুলে ধরা হয়েছে, তা হচ্ছে তিনি একজন আল্লাহর প্রেরিত রাসুল তথা বার্তাবাহক। হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় সন্ধিপত্রে কাফেররা যখন ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লেখার ব্যাপারে আপত্তি করল, তখন আল্লাহতায়ালা সুরা ফাতহের শেষ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল।’ সুরা ফাত্হ : ২৯
অর্থাৎ কাফেরদের অস্বীকারের কারণে যদিও শেষ পর্যন্ত সন্ধিপত্রে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ লিখতে হচ্ছে, কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে তিনি আল্লাহর রাসুল। কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা কেয়ামত পর্যন্ত এ সত্যের ওপর সিলমোহর করে দিয়েছেন। তাউজিহুল কুরআন
কেয়ামত অবধি সবার নবী : কোরআন মাজিদ এটা স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছে যে, তিনি কেয়ামত অবধি সব জিন-ইনসানের (মানুষ) জন্য প্রেরিত রাসুল। সুরা আম্বিয়ায় ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সমগ্র জগতের জন্য রহমতস্বরূপ।’ সুরা আম্বিয়া : ১০৭
সর্বশেষ নবী : কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাম্মদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন, কিন্তু তিনি আল্লাহর রাসুল এবং নবীদের মধ্যে সর্বশেষ।’ সুরা আহযাব : ৪০
মুযাক্কি ও মুয়াল্লিম ; জমিনবাসীর সংরক্ষিত ইতিহাস এ কথার সাক্ষী যে, রাসুল (সা.) সমকালীন এমন সব মানুষদের সংশোধন করেছিলেন যারা ছিল অশিক্ষিত। মৃত জন্তু ভক্ষণ করত। মদ্যপান ছিল তাদের গৌরব। কন্যাসন্তানদের জীবিত কবর দিত। সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে বংশানুক্রমে যুদ্ধ করত। সেই বর্বর মানুষগুলোকে তিনি আমূল বদলে দিলেন। তারাই তখন অন্যকে অগ্রাধিকার দিতে শিখল। কিতাবুল্লাহর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠল। মদ জুয়া ও সুদের মতো মানবতাবিরোধী বস্তুগুলো তাদের জীবনে হয়ে উঠল অতীব ঘৃণ্য। নারীরা পেল নিরাপত্তা মর্যাদা ও অধিকার। পৃথিবী হয়ে উঠল নিরাপদ। পবিত্র কোরআনের ইরশাদ, ‘তিনিই উম্মিদের (নিরক্ষর, অজ্ঞ) মধ্যে তাদেরই একজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন, যে তাদের সামনে তার আয়াতগুলো তেলাওয়াত করবে। তাদের পরিশুদ্ধ করবে। তাদের কিতাব ও হিকমতের শিক্ষা দেবে। যদিও তারা এর আগে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিপতিত ছিল।’ সুরা জুমুয়া : ২
মুযাক্কি শব্দের অর্থ অভ্যন্তরীণ দোষসমূহ থেকে পবিত্র করা, মুয়াল্লিম অর্থ শিক্ষক।
আলোকিত এক বাতি ; নবীজি ছিলেন আলোকিত এক বাতি। যার আলোয় এই পৃথিবী আলোকময়। তার আলো ছাড়া এই ভুবন বিস্তৃত এক আঁধার। মহান আল্লাহর ইরশাদ, ‘হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহর নির্দেশে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী ও আলো বিস্তারকারী প্রদীপরূপে।’ সুরা আল আহযাব : ৪৫
কুরআনের ভাষায় নবীজি (ﷺ)
youtube
কুরআনের ভাষায় রাসুলের (ﷺ) পরিচয় ও মর্যাদা |
youtube
কুরআনের আয়নায় নবীজি ﷺ
youtube
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
#muhammad#কুরআনেরভাষায় নবী#ﷺ#Prophet#Muhammad#PBUH#Messsanger#নবী#মুহাম্মাদ#সাঃ#The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়#The Identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#Youtube
0 notes
Text
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an
কুরআনে "মুহাম্মদ" নামটি চারবার উল্লেখ করা হয়েছে, এবং "আহমদ" (মুহাম্মদের নামের আরেকটি রূপ) নামটি একবার উল্লেখ করা হয়েছে। যাইহোক, মুহাম্মদকে বিভিন্ন উপাধি দিয়েও উল্লেখ করা হয় যেমন আল্লাহর রসূল , নবী , নিরক্ষর ইত্যাদি, এবং মুহাম্মদ সম্পর্কে অনেক আয়াত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাকে নির্দেশ করে।
আজ পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বোচ্চ আলোচিত ব্যক্তি হলেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত যত পর্যালোচনা, গবেষণা ও গ্রন্থ রচিত হয়েছে; সম্ভবত অন্যসব ব্যক্তিকে নিয়ে পর্যালোচনা, গবেষণা গ্রন্থ রচনার সমষ্টিও সেসবের সমতুল্য নয়। তবে নবী কারিম (সা.)-এর সর্বাপেক্ষা সুন্দর ও তৃপ্তিদায়��� পরিচয় এবং তার রেসালতকে (রেসালাত অর্থ আল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা বহন) উপলব্ধি করার জন্য দলিলসিদ্ধ আলোচনা আমরা শুধু কোরআন মাজিদেই পেতে পারি। কারণ, কোরআন নিজে প্রমাণসিদ্ধ হওয়ার জন্য রাসুলের রেসালাত ও তার মহত্ত্বের আবশ্যকতা প্রমাণিত হওয়াটা জরুরি। তাই এই নিবন্ধে সংক্ষিপ্তভাবে কোরআন মাজিতে উল্লিখিত রাসুলের পরিচয় বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি একজন রাসুল : কোরআন মাজিদে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তার যে পরিচয়টি তুলে ধরা হয়েছে, তা হচ্ছে তিনি একজন আল্লাহর প্রেরিত রাসুল তথা বার্তাবাহক। হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় সন্ধিপত্রে কাফেররা যখন ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লেখার ব্যাপারে আপত্তি করল, তখন আল্লাহতায়ালা সুরা ফাতহের শেষ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল।’ সুরা ফাত্হ : ২৯
অর্থাৎ কাফেরদের অস্বীকারের কারণে যদিও শেষ পর্যন্ত সন্ধিপত্রে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ লিখতে হচ্ছে, কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে তিনি আল্লাহর রাসুল। কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা কেয়ামত পর্যন্ত এ সত্যের ওপর সিলমোহর করে দিয়েছেন। তাউজিহুল কুরআন
কেয়ামত অবধি সবার নবী : কোরআন মাজিদ এটা স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছে যে, তিনি কেয়ামত অবধি সব জিন-ইনসানের (মানুষ) জন্য প্রেরিত রাসুল। সুরা আম্বিয়ায় ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সমগ্র জগতের জন্য রহমতস্বরূপ।’ সুরা আম্বিয়া : ১০৭
সর্বশেষ নবী : কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাম্মদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন, কিন্তু তিনি আল্লাহর রাসুল এবং নবীদের মধ্যে সর্বশেষ।’ সুরা আহযাব : ৪০
মুযাক্কি ও মুয়াল্লিম ; জমিনবাসীর সংরক্ষিত ইতিহাস এ কথার সাক্ষী যে, রাসুল (সা.) সমকালীন এমন সব মানুষদের সংশোধন করেছিলেন যারা ছিল অশিক্ষিত। মৃত জন্তু ভক্ষণ করত। মদ্যপান ছিল তাদের গৌরব। কন্যাসন্তানদের জীবিত কবর দিত। সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে বংশানুক্রমে যুদ্ধ করত। সেই বর্বর মানুষগুলোকে তিনি আমূল বদলে দিলেন। তারাই তখন অন্যকে অগ্রাধিকার দিতে শিখল। কিতাবুল্লাহর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠল। মদ জুয়া ও সুদের মতো মানবতাবিরোধী বস্তুগুলো তাদের জীবনে হয়ে উঠল অতীব ঘৃণ্য। নারীরা পেল নিরাপত্তা মর্যাদা ও অধিকার। পৃথিবী হয়ে উঠল নিরাপদ। পবিত্র কোরআনের ইরশাদ, ‘তিনিই উম্মিদের (নিরক্ষর, অজ্ঞ) মধ্যে তাদেরই একজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন, যে তাদের সামনে তার আয়াতগুলো তেলাওয়াত করবে। তাদের পরিশুদ্ধ করবে। তাদের কিতাব ও হিকমতের শিক্ষা দেবে। যদিও তারা এর আগে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিপতিত ছিল।’ সুরা জুমুয়া : ২
মুযাক্কি শব্দের অর্থ অভ্যন্তরীণ দোষসমূহ থেকে পবিত্র করা, মুয়াল্লিম অর্থ শিক্ষক।
আলোকিত এক বাতি ; নবীজি ছিলেন আলোকিত এক বাতি। যার আলোয় এই পৃথিবী আলোকময়। তার আলো ছাড়া এই ভুবন বিস্তৃত এক আঁধার। মহান আল্লাহর ইরশাদ, ‘হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহর নির্দেশে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী ও আলো বিস্তারকারী প্রদীপরূপে।’ সুরা আল আহযাব : ৪৫
কুরআনের ভাষায় নবীজি (ﷺ)
youtube
কুরআনের ভাষায় রাসুলের (ﷺ) পরিচয় ও মর্যাদা |
youtube
কুরআনের আয়নায় নবীজি ﷺ
youtube
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
#muhammad#কুরআনেরভাষায় নবী#ﷺ#Prophet#Muhammad#PBUH#Messsanger#নবী#মুহাম্মাদ#সাঃ#The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়#The Identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#Youtube
0 notes
Text
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an
কুরআনে "মুহাম্মদ" নামটি চারবার উল্লেখ করা হয়েছে, এবং "আহমদ" (মুহাম্মদের নামের আরেকটি রূপ) নামটি একবার উল্লেখ করা হয়েছে। যাইহোক, মুহাম্মদকে বিভিন্ন উপাধি দিয়েও উল্লেখ করা হয় যেমন আল্লাহর রসূল , নবী , নিরক্ষর ইত্যাদি, এবং মুহাম্মদ সম্পর্কে অনেক আয়াত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাকে নির্দেশ করে।
আজ পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বোচ্চ আলোচিত ব্যক্তি হলেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত যত পর্যালোচনা, গবেষণা ও গ্রন্থ রচিত হয়েছে; সম্ভবত অন্যসব ব্যক্তিকে নিয়ে পর্যালোচনা, গবেষণা গ্রন্থ রচনার সমষ্টিও সেসবের সমতুল্য নয়। তবে নবী কারিম (সা.)-এর সর্বাপেক্ষা সুন্দর ও তৃপ্তিদায়ক পরিচয় এবং তার রেসালতকে (রেসালাত অর্থ আল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা বহন) উপলব্ধি করার জন্য দলিলসিদ্ধ আলোচনা আমরা শুধু কোরআন মাজিদেই পেতে পারি। কারণ, কোরআন নিজে প্রমাণসিদ্ধ হওয়ার জন্য রাসুলের রেসালাত ও তার মহত্ত্বের আবশ্যকতা প্রমাণিত হওয়াটা জরুরি। তাই এই নিবন্ধে সংক্ষিপ্তভাবে কোরআন মাজিতে উল্লিখিত রাসুলের পরিচয় বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি একজন রাসুল : কোরআন মাজিদে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তার যে পরিচয়টি তুলে ধরা হয়েছে, তা হচ্ছে তিনি একজন আল্লাহর প্রেরিত রাসুল তথা বার্তাবাহক। হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় সন্ধিপত্রে কাফেররা যখন ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লেখার ব্যাপারে আপত্তি করল, তখন আল্লাহতায়ালা সুরা ফাতহের শেষ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল।’ সুরা ফাত্হ : ২৯
অর্থাৎ কাফেরদের অস্বীকারের কারণে যদিও শেষ পর্যন্ত সন্ধিপত্রে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ লিখতে হচ্ছে, কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে তিনি আল্লাহর রাসুল। কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা কেয়ামত পর্যন্ত এ সত্যের ওপর সিলমোহর করে দিয়েছেন। তাউজিহুল কুরআন
কেয়ামত অবধি সবার নবী : কোরআন মাজিদ এটা স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছে যে, তিনি কেয়ামত অবধি সব জিন-ইনসানের (মানুষ) জন্য প্রেরিত রাসুল। সুরা আম্বিয়ায় ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সমগ্র জগতের জন্য রহমতস্বরূপ।’ সুরা আম্বিয়া : ১০৭
সর্বশেষ নবী : কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাম্মদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন, কিন্তু তিনি আল্লাহর রাসুল এবং নবীদের মধ্যে সর্বশেষ।’ সুরা আহযাব : ৪০
মুযাক্কি ও মুয়াল্লিম ; জমিনবাসীর সংরক্ষিত ইতিহাস এ কথার সাক্ষী যে, রাসুল (সা.) সমকালীন এমন সব মানুষদের সংশোধন করেছিলেন যারা ছিল অশিক্ষিত। মৃত জন্তু ভক্ষণ করত। মদ্যপান ছিল তাদের গৌরব। কন্যাসন্তানদের জীবিত কবর দিত। সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে বংশানুক্রমে যুদ্ধ করত। সেই বর্বর মানুষগুলোকে তিনি আমূল বদলে দিলেন। তারাই তখন অন্যকে অগ্রাধিকার দিতে শিখল। কিতাবুল্লাহর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠল। মদ জুয়া ও সুদের মতো মানবতাবিরোধী বস্তুগুলো তাদের জীবনে হয়ে উঠল অতীব ঘৃণ্য। নারীরা পেল নিরাপত্তা মর্যাদা ও অধিকার। পৃথিবী হয়ে উঠল নিরাপদ। পবিত্র কোরআনের ইরশাদ, ‘তিনিই উম্মিদের (নিরক্ষর, অজ্ঞ) মধ্যে তাদেরই একজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন, যে তাদের সামনে তার আয়াতগুলো তেলাওয়াত করবে। তাদের পরিশুদ্ধ করবে। তাদের কিতাব ও হিকমতের শিক্ষা দেবে। যদিও তারা এর আগে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিপতিত ছিল।’ সুরা জুমুয়া : ২
মুযাক্কি শব্দের অর্থ অভ্যন্তরীণ দোষসমূহ থেকে পবিত্র করা, মুয়াল্লিম অর্থ শিক্ষক।
আলোকিত এক বাতি ; নবীজি ছিলেন আলোকিত এক বাতি। যার আলোয় এই পৃথিবী আলোকময়। তার আলো ছাড়া এই ভুবন বিস্তৃত এক আঁধার। মহান আল্লাহর ইরশাদ, ‘হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহর নির্দেশে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী ও আলো বিস্তারকারী প্রদীপরূপে।’ সুরা আল আহযাব : ৪৫
কুরআনের ভাষায় নবীজি (ﷺ)
youtube
কুরআনের ভাষায় রাসুলের (ﷺ) পরিচয় ও মর্যাদা |
youtube
কুরআনের আয়নায় নবীজি ﷺ
youtube
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
#muhammad#কুরআনেরভাষায় নবী#ﷺ#Prophet#Muhammad#PBUH#Messsanger#নবী#মুহাম্মাদ#সাঃ#The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়#The Identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#Youtube
0 notes
Text
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an
কুরআনে "মুহাম্মদ" নামটি চারবার উল্লেখ করা হয়েছে, এবং "আহমদ" (মুহাম্মদের নামের আরেকটি রূপ) নামটি একবার উল্লেখ করা হয়েছে। যাইহোক, মুহাম্মদকে বিভিন্ন উপাধি দিয়েও উল্লেখ করা হয় যেমন আল্লাহর রসূল , নবী , নিরক্ষর ইত্যাদি, এবং মুহাম্মদ সম্পর্কে অনেক আয়াত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাকে নির্দেশ করে।
আজ পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বোচ্চ আলোচিত ব্যক্তি হলেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত যত পর্যালোচনা, গবেষণা ও গ্রন্থ রচিত হয়েছে; সম্ভবত অন্যসব ব্যক্তিকে নিয়ে পর্যালোচনা, গবেষণা গ্রন্থ রচনার সমষ্টিও সেসবের সমতুল্য নয়। তবে নবী কারিম (সা.)-এর সর্বাপেক্ষা সুন্দর ও তৃপ্তিদায়ক পরিচয় এবং তার রেসালতকে (রেসালাত অর্থ আল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা বহন) উপলব্ধি করার জন্য দলিলসিদ্ধ আলোচনা আমরা শুধু কোরআন মাজিদেই পেতে পারি। কারণ, কোরআন নিজে প্রমাণসিদ্ধ হওয়ার জন্য রাসুলের রেসালাত ও তার মহত্ত্বের আবশ্যকতা প্রমাণিত হওয়াটা জরুরি। তাই এই নিবন্ধে সংক্ষিপ্তভাবে কোরআন মাজিতে উল্লিখিত রাসুলের পরিচয় বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি একজন রাসুল : কোরআন মাজিদে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তার যে পরিচয়টি তুলে ধরা হয়েছে, তা হচ্ছে তিনি একজন আল্লাহর প্রেরিত রাসুল তথা বার্তাবাহক। হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় সন্ধিপত্রে কাফেররা যখন ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লেখার ব্যাপারে আপত্তি করল, তখন আল্লাহতায়ালা সুরা ফাতহের শেষ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল।’ সুরা ফাত্হ : ২৯
অর্থাৎ কাফেরদের অস্বীকারের কারণে যদিও শেষ পর্যন্ত সন্ধিপত্রে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ লিখতে হচ্ছে, কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে তিনি আল্লাহর রাসুল। কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা কেয়ামত পর্যন্ত এ সত্যের ওপর সিলমোহর করে দিয়েছেন। তাউজিহুল কুরআন
কেয়ামত অবধি সবার নবী : কোরআন মাজিদ এটা স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছে যে, তিনি কেয়ামত অবধি সব জিন-ইনসানের (মানুষ) জন্য প্রেরিত রাসুল। সুরা আম্বিয়ায় ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সমগ্র জগতের জন্য রহমতস্বরূপ।’ সুরা আম্বিয়া : ১০৭
সর্বশেষ নবী : কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাম্মদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন, কিন্তু তিনি আল্লাহর রাসুল এবং নবীদের মধ্যে সর্বশেষ।’ সুরা আহযাব : ৪০
মুযাক্কি ও মুয়াল্লিম ; জমিনবাসীর সংরক্ষিত ইতিহাস এ কথার সাক্ষী যে, রাসুল (সা.) সমকালীন এমন সব মানুষদের সংশোধন করেছিলেন যারা ছিল অশিক্ষিত। মৃত জন্তু ভক্ষণ করত। মদ্যপান ছিল তাদের গৌরব। কন্যাসন্তানদের জীবিত কবর দিত। সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে বংশানুক্রমে যুদ্ধ করত। সেই বর্বর মানুষগুলোকে তিনি আমূল বদলে দিলেন। তারাই তখন অন্যকে অগ্রাধিকার দিতে শিখল। কিতাবুল্লাহর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠল। মদ জুয়া ও সুদের মতো মানবতাবিরোধী বস্তুগুলো তাদের জীবনে হয়ে উঠল অতীব ঘৃণ্য। নারীরা পেল নিরাপত্তা মর্যাদা ও অধিকার। পৃথিবী হয়ে উঠল নিরাপদ। পবিত্র কোরআনের ইরশাদ, ‘তিনিই উম্মিদের (নিরক্ষর, অজ্ঞ) মধ্যে তাদেরই একজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন, যে তাদের সামনে তার আয়াতগুলো তেলাওয়াত করবে। তাদের পরিশুদ্ধ করবে। তাদের কিতাব ও হিকমতের শিক্ষা দেবে। যদিও তারা এর আগে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিপতিত ছিল।’ সুরা জুমুয়া : ২
মুযাক্কি শব্দের অর্থ অভ্যন্তরীণ দোষসমূহ থেকে পবিত্র করা, মুয়াল্লিম অর্থ শিক্ষক।
আলোকিত এক বাতি ; নবীজি ছিলেন আলোকিত এক বাতি। যার আলোয় এই পৃথিবী আলোকময়। তার আলো ছাড়া এই ভুবন বিস্তৃত এক আঁধার। মহান আল্লাহর ইরশাদ, ‘হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহর নির্দেশে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী ও আলো বিস্তারকারী প্রদীপরূপে।’ সুরা আল আহযাব : ৪৫
কুরআনের ভাষায় নবীজি (ﷺ)
youtube
কুরআনের ভাষায় রাসুলের (ﷺ) পরিচয় ও মর্যাদা |
youtube
কুরআনের আয়নায় নবীজি ﷺ
youtube
আদম আঃ হলেন প্রথম নবি, পক্ষান্তরে শেষ নবি হলেন মুহাম্মাদ সঃ, তাই তাঁর উপাধি, নবিদের সিলমোহর। খ্রিষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ইসার আঃ (যিশু) জন্ম কৌমারীয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবি হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী (অদৃশ্য বা গোপন প্রত্যাদেশ) প্রাপ্ত।
কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়
#muhammad#কুরআনেরভাষায় নবী#ﷺ#Prophet#Muhammad#PBUH#Messsanger#নবী#মুহাম্মাদ#সাঃ#The identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#কোরআনের ভাষায় নবীর পরিচয়#The Identity of the Prophet in the Language of the Qur'an#Youtube
0 notes