#IbrahimPBUH
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 16 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام‎‎‎) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্‌র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্‌র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্‌তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্‌র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩)  সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম  তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জা��ব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, ত���দের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম 
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম 
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 16 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام‎‎‎) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্‌র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্‌র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্‌তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্‌র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩)  সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম  তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জা���িকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম 
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম 
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
0 notes
ilyforallahswt · 16 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام‎‎‎) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্‌র মনোনীত পরিপূ��্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্‌র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্‌তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্‌র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩)  সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম  তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম 
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম 
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
0 notes
myreligionislam · 16 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام‎‎‎) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্‌র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্‌র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্‌তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্‌র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩)  সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম  তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম 
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম 
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
0 notes
allahisourrabb · 16 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام‎‎‎) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্‌র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্‌র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্‌তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্‌র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩)  সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম  তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম 
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম 
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
0 notes
mylordisallah · 16 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
ইসলামঃ একমাত্র ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ..বাক্বারাহ…ইসলাম হচ্ছে "আল্লাহ প্রদত্ব জীবন-বিধান(আল-কুরআনের বিধি-নিষেধ সমুহ) রাসুর (সাঃ) এর পন্থায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সন্তোশ অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা"।
ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। আর ইসলাম হচেছ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। একমাত্র ইসলামের অনুসরণই প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিৎ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম ।
ইসলামের জীবনবিধান পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন।
ইসলাম জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলাম (আরবি: الإسلام‎‎‎) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م থেকে যার দু'টি অর্থ। 1. শান্তি 2. আত্মসমর্পণ করা। ইসলামের অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর নির্দেশ মেনে নেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি এবং নিরাপত্তা অর্জন করা। ‘ইসলাম’ শব্দটিতে আল্লাহ তাআলার ধর্মের মূলতত্ত্ব নিহীত রয়েছে। আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য, বাধ্যতা ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম গ্রহণ করার মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম শান্তিময়, অর্থপূর্ণ, চূড়ান্ত সাফল্যময় আল্লাহ্‌র মনোনীত পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আল্লাহ্‌র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। পৃথিবীতে মানবজীবনের শুরু থেকে আল্লাহ্‌তাঁর বার্তাবাহকদের মাধ্যমে সত্য ও সম্পূর্ণ জীবনের পথ দেখিয়েছেন। পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবগুলো নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড বা কোনো জাতির জন্য প্রেরিত। আরমানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশেষ নবী। তাঁর ওপর নাজিল হয় সর্বশেষ ঐশী কিতাব আল কোরআন। কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে আল্লাহ্‌র প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে। এসব কারনে কোরআন সর্বজনীন ও ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হলো ইসলাম।’ (সুরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯) ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে (জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩)  সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আদম আলাইহিস সালাম থেকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব সম্মানিত নবি-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ধর্ম  তথা সত্য জীবন ব্যবস্থার দিকে আহ্বান করেছেন। এ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের শাশ্বত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলেছে সমগ্র মানব জাতিকে।
ইসলামই মুক্তির পথ
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি একক অদ্বিতীয়। সুতরাং মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হলে তার হুকুমমতো করতে হবে। নিজের মতো করে করলে সেটা হবে ব্যক্তিগত কাজ। তাকে ইবাদত বলা যাবে না। কারণ ওই কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থলে অসন্তুষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
প্রশ্ন দাঁড়ায়, আল্লাহর বিধান আমরা কীভাবে জানব বা পাব? আল্লাহ কি আমাদের প্রত্যেককে সম্বোধন করে বলবেন যে, ‘তুমি এটা করো, ওটা করো না’ নাকি অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি তার বিধান আমাদের জানাবেন?
উত্তর সহজ। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলে দিকনির্দেশনা দেবেন না। তিনি কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে জানাবেন। আল্লাহর জানানোর মাধ্যম হলো তার অনুগত সৃষ্টি ফেরেশতা আর মানব থেকে নির্বাচিত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে আমরা নবী-রাসুল বলে জানি। সুতরাং কোনো বিধান বা ধর্ম যদি এ ধারায় প্রচলিত হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সত্য, মানারযোগ্য।
তবে এখানে একটি প্রশ্ন হয়, আল্লাহর বিধান যেহেতু একই তাই তিনি প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে যে বিধান চালু করেছিলেন সেটি থাকলেই তো হতো, যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করলেন কেন? আসলে আল্লাহ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম চালু করেননি; ধর্ম মূলত একটিই ছিল এবং মানুষ সব একই উম্মতভুক্ত ছিল। কিন্তু নবীর ইন্তেকালের পর সময়ের ব্যবধানে মানুষ নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে মনগড়া মতবাদ চালু করত। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতো। তখন আল্লাহতায়ালা আরেকজন নবী পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করতেন ও দ্বন্দ্বের সমাধান দিতেন। এতে কেউ সন্তুষ্ট হতো আর কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে গোমরাহ হয়ে যেত। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদের প্রেরণ করেন এবং সত্যসহ কিতাব নাজিল করেন, যাতে মানুষের মাঝে ফয়সালা করতে পারেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে।’ সুরা বাকারা : ২১৩
এভাবেই পৃথিবীতে আল্লাহ তার বিধান বা দ্বীনের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ সংস্কারক হিসেবে পাঠালেন নবী মুহাম্মদ (সা.) কে। তার ওপর নাজিল করেন সর্বশেষ কিতাব। এ কিতাব নাজিল করে তিনি তার বিধিবিধান চূড়ান্তভাবে মানুষকে জানিয়ে দেন। এ কিতাবে বর্ণিত ধর্ম ইসলামকে তিনি একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ সুরা ইমরান : ১৯
সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন (আদর্শ) তালাশ করবে, তার থেকে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ সুরা আলে ইমরান : ৮৫
কোরআন মাজিদে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, পরকালে মুক্তি পেতে হলে, দ্বীন হিসেবে ইসলামকেই গ্রহণ করতে হবে। আদর্শ হিসেবে ইসলামকেই মানতে হবে। ইসলাম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। এর কারণ হলো এগুলোর কোনোটি মানব রচিত আর কোনোটি মানব দ্বারা পরিবর্তিত। তা ছাড়া ‘আল্লাহতায়ালা নবীদের থেকে আগেই নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, তাদের জীবদ্দশায় তিনি আসলে সবাই তার প্রতি ইমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। নবীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। সুরা আলে ইমরান : ৮১
প্রত্যেক নবী তার উম্মতকে শেষ নবীকে মানার নির্দেশে দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই সবার উচিত, ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মানা এবং পরকালে মুক্তির ব্যবস্থা করা।
ইসলাম ই একমাত্র মুক্তির পথ
youtube
আল্লাহ এক, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম 
youtube
ইব্রাহীম একাই একটি উম্মাহ! আলাইহিস সালাম 
youtube
ইসলাম একমাত্র পথ
0 notes
khutbahs · 3 years ago
Link
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি  জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ...আল্লাহ অন্যায়কারী মানুষদের পথ দেখান না। [আল-বাক্বারাহ ২৫৮]
https://zh-cn.facebook.com/113981683318146/videos/302029118291956/?__so__=permalink&__rv__=related_videos
0 notes
khutbahs · 3 years ago
Text
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) একাই একটি উম্মাহ!
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) একাই একটি উম্মাহ! ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি  জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ...আল্লাহ অন্যায়কারী মানুষদের পথ দেখান না। [আল-বাক্বারাহ ২৫৮]
https://zh-cn.facebook.com/113981683318146/videos/302029118291956/?__so__=permalink&__rv__=related_videos
0 notes
khutbahs · 3 years ago
Photo
Tumblr media
ইসলাম একমাত্র পথ
ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) একাই একটি উম্মাহ!
#Islam #Father #Muslim #Ummah #Peace #Deen #Ibrahim #IbrahimPBUH #Abrahamicreligion #ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) একাই একটি উম্মাহ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই তিনি একাই একটি  জাতি ছিলেন! ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন’ (আলে ইমরান ৩/৩৩)। তুমি কি ওকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার রাব্ব সম্পর্কে তর্ক করেছিল, যেখানে কিনা আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছিলেন? যখন ইব্রাহিম বলল, “আমার রাব্ব হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবন দেন, এবং মৃত্যু দেন।” ...আল্লাহ অন্যায়কারী মানুষদের পথ দেখান না। [আল-বাক্বারাহ ২৫৮]https://zh-cn.facebook.com/113981683318146/videos/302029118291956/?__so__=permalink&__rv__=related_videos
0 notes