#ভয়
Explore tagged Tumblr posts
sadipsiddiqueriad · 6 days ago
Text
0 notes
projapotimusichd · 11 months ago
Video
youtube
দুলাভাইয়ের সঙ্গে নাচে গানে যমলো খেলা তাসলিমা সরকার।। ভয় পাইলে তুই প্রেম...
0 notes
tawhidislamictv · 2 years ago
Video
youtube
ওয়াজটা শুনুন ✅ভয় কলিজা ফেটে যাবে ✅নারী বক্তার আলেমা সখিনা বেগম ✅ mohil...
0 notes
chyaptagolap · 1 month ago
Text
Tumblr media
সব শোরগোলের শেষে, এক ভারী নিস্তব্ধতা। এখন রাত ৩টে। মাও চললেন কৈলাশের পথে, আমিও এই পা দিলাম কলকাতায়। বাড়ি। বাড়ি? এ কেমন বাড়ি? কাপড় খষা প্যান্ডে��ের আড়ালে যেন হাড়গোড় দেখা যায় বাঁশের। এক নির্জন হতাশার হাওয়া। নেই কোনো মিছিল, কোনো প্রতিবাদীদের দাবানল নেই যা আমায় আগুন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখবে। ভয় করছে। এইটাই ত্বিশা'র শহর বুঝি? দু পা এগোলেই যেন কেউ হাত বাড়িয়ে টেনে নেবে আমায় সেই অন্ধকারে, ঘাড় মটকে ধরবে, দুমড়ে মুচড়ে দেবে আমার শরীর, আমার স্বপ্ন।
9 notes · View notes
myladytara · 11 months ago
Text
জীবনে কিছু মানুষ ভালোবাসতে নয়, ভালোবাসার গুরুত্বটা বোঝাতে আসে।
আসলে যে কোনও ভেঙে যাওয়া জিনিস জোড়া লাগানো গেলেও, মন জোড়া লাগেনা। মানুষ বয়ে বেড়ানোর ভয় মানুষ খোঁজে, যে মানুষ জুড়তে না জানলেও মুঠো করে ধরে রাখে। ভীষণ কালো রাতের বুকে হাত বুলিয়ে দেয় ভোরের মত। আমাদের হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলা ফিরিয়ে আনে আদর করে।
নিস্তেজ করে তলে তাদের ধৈর্য্য। কেউ ভালোবাসবে, যত্ন করবে, এগুলো ভেবে শিউরে উঠি না পাওয়ার তাগিদে, ঠিক তখনই কেন জানি না কিছু মানুষ তৃষ্ণায় জলের মতো, রৌদ্রে ছায়াপথের মত, আর কবিদের কোনঠাসা আবেগের মত আমাদের বারবার, বোঝাতে আসে, – যা কিছু রূপকথা, সবটাই সত্যি! বিশ্বাস করুন, সবটাই সত্যি।
খুব ভালোবাসি তোমায়।
© Raconteur
22 notes · View notes
intellectual6666 · 8 months ago
Text
যখন ওই  রুপ স্মরণ ও হয় থাকে না লোক ও লজ্জার ভয়
7 notes · View notes
mahinalberuni · 1 month ago
Text
কবিতা | ফিরে
এবার ফিরিয়ে নাও তোমার আরশে আজিমে আর কত অভিনয় করবো এক জাররার ভূবনে!
দেখলাম তো ভীত শৈশব, বিতর্কিত কৈশর আর রুষ্ঠ-গম্ভীর যৌবন। আসবে আসবে করে খালি রাত এলো, শেষে যখন এলো দিন সেদিন আকাশে সূর্য্যি কেন ছিলনা? এ তামাশাভরা ঘড়িতে প্রতি মুহূর্তে আছে ছলনা।
ফিরিয়ে নাও গো আবার সে বাগানে বলো, শিশু কেন ডাস্টবিনে পড়ে কি পাপে সে এখানে?
সভ্য লোকে কোটপ্যান্ট পড়ে বানিয়ে বিশাল বিদ্যালয়, খাবারের খোঁজ ভ্যানগাড়ি ঠেলে, তার প্রতি না দয়া হয়! সত্য বললে মুখে চড় পড়ে, উলটা বললে পুরষ্কার। মিথ্যা বলা মহাপাপ, এই মিথ্যা কি তবে সত্যের জাত?
হয় মিথ্যার জয়, নেই প্রতারণার ভয়। এখানে হুকুমজারি করে জালিম। বলছি, ফিরিয়ে নাও না। ফিরে যাই আমি আরশে আজিম।
মাহিন - আল বিরুণী ১৭/১০/২০২৪ কাজীপাড়া, মিরপুর ১০
3 notes · View notes
tuberlink · 1 year ago
Text
youtube
জ্বীন ও ভুতের অস্তিত্ব কতটা সত্য তা আজও নিয়ে মানুষের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন এগুলো সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন, আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করেন এগুলো বাস্তব। তবে, যে কেউই হোন না কেন, জ্বীন ও ভুতের ভয়ংকর ঘটনার কথা শুনে ভয় পাওয়াই স্বাভাবিক।
বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে জ্বীন ও ভুতের ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে:
হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া: অনেক মানুষের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, তারা হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এসব ঘটনার অনেক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তবে জ্বীন ও ভুতের প্রভাবকেও অনেকে দায়ী করেছেন।
ঘরের মধ্যে অদ্ভুত শব্দ: অনেক মানুষের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, তারা ঘরের মধ্যে অদ্ভুত শব্দ শুনেছে। এসব শব্দের মধ্যে রয়েছে মানুষের কথা বলার শব্দ, হাসির শব্দ, কাঁদার শব্দ ইত্যাদি।
ঘরের মধ্যে অদ্ভুত আলো বা ছায়া দেখা যাওয়া: অনেক মানুষের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, তারা ঘরের মধ্যে অদ্ভুত আলো বা ছায়া দেখেছে। এসব আলো বা ছায়া অনেক সময় ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।
ঘরের মধ্যে অদ্ভুত প্রাণী দেখা যাওয়া: অনেক মানুষের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, তারা ঘরের মধ্যে অদ্ভুত প্রাণী দেখেছে। এসব প্রাণী অনেক সময় মানুষের চেহারার মতো হয়।
এই ঘটনাগুলো অবিশ্বাস্য হলেও, এগুলোর সত্যতা নিয়ে অনেকে বিশ্বাস করেন। জ্বীন ও ভুতের ভয়ংকর ঘটনা থেকে বাঁচতে অনেকে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নেন। কেউ কেউ তাবিজ-কবজ পরেন, কেউ কেউ জ্বীন-ভূতের আচার-অনুষ্ঠান করে থাকেন।
Video Link: https://youtu.be/-lgHqHDrHu4?si=B8x_lYuhqfc2GCgq
2 notes · View notes
the-monsur-blog · 1 year ago
Text
Tumblr media
পবিত্র আশুরা শরীফ উনাকে সম্মান করলে নিশ্চিত জান্নাতী!!!
মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জান্নাত উনার দস্তরখানায় খাদ্য খাওয়াবেন এবং ‘সালসাবীল’ ঝর্ণা থেকে পানীয় (শরবত) পান করাবেন।”
কিন্তু একটু ফিখিরও করা লাগবে।
পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
وَتَعَاوَنُواْ عَلَى الْبرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْـمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُواْ اللهَ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ
তোমরা নেকী ও পরহেযগারীর মধ্যে সহযোগিতা করো; পাপ ও নাফরমানীর মধ্যে সহযোগিতা করো না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।”
কি বুঝা গেল?
এই পবিত্র আয়াত শরীফ অনুসরণে পাপী নাফলমানদের কোন সহযোগিতা করা যাবে না! আর যদি এই আদেশ না মানা হয় মহান আল্লাহ পাক উনার কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
বুঝা গেছে তো!!! যাদের ঈমাণ, আক্বীধা, আমল, আখলাক্ব শুদ��ধ নয় তাদেরকে যদি কোন সহায়তা করা হয় তাহলে রহমত তো পাবেই না । উল্টো কঠিন আজাব গজব নাজিল হবে। দুনিয়াতে ও আখিরাতে।
অতএব আশুরা শরীফ উনার নিয়ামত পেতে চাইলে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ ইয়াতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং এ আশুরা শরীফের তাবারুকে হাদিয়া করুন।#90DaysMahfilsm4o.com 01718740742 nagad/bikas personal
এখানে সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদা ভিত্তিক পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ তথা পরিপূর্ণ শরীয়ত উনার অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। শুধুমাত্র কিতাবে নয়, বরং বাস্তবে দৈনন্দিন আমলসহ সর্বক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত পরিপূর্ণ পবিত্র সুন্নত উনার রঙে রঞ্জিত। সকলের জন্য তাহাজ্জুদ নামায বাধ্যতামূলক। পরিপূর্ণ শরয়ী পর্দা পালন করা বাধ্যতামূলক।
বালিকা শাখা: সম্পূর্ণ পৃথক; বালক শাখা উনার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও আমিলগণ উনারা প্রত্যেকেই পুরুষ এবং বালিকা শাখা উনার শিক্ষিকা, কর্মকর্তা ও আমিলগণ উনারা প্রত্যেকেই মহিলা। ৫ বছরের বালকদেরও বেগানা মহিলাদের সামনে যাওয়া নিষেধ।
2 notes · View notes
sadipsiddiqueriad · 1 month ago
Text
0 notes
tahminamili · 2 years ago
Text
আমি শূন্য!
দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছি থরে থরে সাজানো কবর।আমার শেষ ঠিকানা ও যে হবে সে গহ্বর।দেখে মুগ্ধ হবো কি ভয় পাবো ভাবনায় মন মশগুল।নজরে এলো কবরে সাজানো হরেক রকমের ফুল।আমি হাসলাম একটু করে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে।আমার পরে এমন কে আছে ভাববে আমায় নিয়ে।আছে আসলে অনেকে তবে ফুল যে কে ভালোবাসে।জীবনে আমার সবটা যেন কলাপাতার ভেলায় ভাসে।মাটির মানুষ আমি এক সময় মাটিতেই যাবো মিশে।কেউ মনে রাখবে কি না তাতে কিইবা যায়…
Tumblr media
View On WordPress
2 notes · View notes
tawhidislamictv · 2 years ago
Video
youtube
কিয়ামতের ভয়ংকর আজাব ওয়াজটি শুনলে আপনিও ভয় পাবেন mohila waz mohila ...
0 notes
mrmwithacupofcoffee · 2 years ago
Text
খোঁজ ৪
নির্জন রাস্তা, একদম ঘুটঘুটে অন্ধকার। আশে পাশে যতদূর চোখ যায় একটা কাক পক্ষী ও নেই।
এমন সময়ই পাস থেকে ধাতব কিছু পড়ার শব্দ হলো প্রচন্ড জোরে।
এ নির্জন জায়গায় এ সময় এমন শব্দ!
প্রদীপ জোরে জোরে হাটতে লাগলো। যেন পিছু পালাতে চাচ্ছে।
প্রদীপ মন্ত্র পড়তে শুরু করে দিলো। ছোট বেলা থেকেই এসবের প্রতি প্রচণ্ড ভয়। অশরীরী কোনোকিছু না হয়ে অন্য কিছু ও যে হতে পারে প্রদীপের চিন্তা তার আশপাশে ও ঘিরল না। 
- রাম, রাম, রাম।  হে প্রভু বাচাও।
এই বলতেই প্রদীপ হোঁচট খেয়ে পড়েছে। 
- হায় রাম, কিসের উপর পরলাম! 
পাশ ফিরতেই রক্তাক্ত সেই মেয়ে। প্রদীপ দৌড়ে পালালো। জোছনা রাতে নিজের রক্তাক্ত শরীর দেখতে পারছে প্রদীপ। 
প্রদীপের বিবেক তাকে আর এগোতে দিল না। পিছু ফিরে তাকালো মেয়েটি দিকে। হ্যাঁ, সেই মেয়েটি যার পাগলামি সে সকালে দেখেছিল। তবে এত রাতে,
এসব ভাবার আর সময় নেই তাকে এখন হাসপাতালে নিতে হবে।
মনিটরের সামনে বসে প্রদীপ কি করবে ভাবছে। ডাক্তারের কথা মত আর কিছুক্ষনে ঙ্গান ফিরবে। তবে এই মেয়েকে সামলানো তার পক্ষে সম্ভব না। ঠিক সে সময় সকালের ঘটনাটি মনে পড়লো প্রদীপের।
- স্যার! হ্যাঁ, তাকেই কল করা উচিত। 
প্রদীপ জানা��ার এক পাশে গিয়ে কল করলো।
- হ, কেডা এইত্তো রাইত্তে?
প্রদীপ চমকে গেলো স্যারের ফোনে এই সময় ম্যানেজারকে পেয়ে।
নিজের পরিচয় চেপে গেলো প্রদীপ, নয়তো এই ব্যাটা কখনই স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে দিবে না।
- আমি হেড অফিস থেকে বলছিলাম, মি. প্রতিকের সাথে জরুরী কথা আছে।
ম্যানেজারের দৃঢ় কন্ঠ কুচকে গেলো,
- জ্বি, স্যার মানে আর কি স্যার তো এহন বিজি আসিলেন কাওর ফোন দিতে না করসেন।
প্রদীপ ঢোক গিলে বলে উঠলো,
- আপনি কি চাচ্ছেন আপনার সেই সারই আপনাকে বরখাস্ত করুক!
ম্যানেজার কাচুমাচু খেয়ে না চাইতেও দৌড়ে গেল স্যারের কাছে। স্যার দৃঢ় ভাবে হেটে চলেছেন লাইব্রেরির মাঝবরাবর। মুখের দিকে তাকানো দায়।
ম্যানেজার সাহস করে ভতরে ঢুকতেই প্রতিক তেড়ে এলো তার দিকে।
ম্যানেজার অনেক জল্পনা কল্পনার পর ব্যাপারটা বোঝাতে সক্ষম হলো প্রতিককে।
- হ্যালো, কে বলছেন?
এর পরই প্রতিকের মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
- ৮ ডিসেম্বর, ২০২২
- মোনালিসা মিতু।
2 notes · View notes
kothashobdo · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media
জ্বলজ্যান্ত মানুষেরা নদীর মতন গায় গান, জলজ্যান্ত মানুষেরা নদীকে ভালোবাসি বলে, পুরোনো ছলাকলায় শব্দের সাথে করে অভিমান। আর খেলে খেলে নদীর সাথে সময় মাখে - বাজার ঘাটে সারারাত। জ্বলজ্যান্ত মানুষেরা কোরান পড়ে নদীর পাশে, জলজ্যান্ত মানুষেরা প্রদীপ জ্বালায় ওই নদীর ঘাটে, মন্ত্র বাক্য সুরে গানে খোদায় কাঁদে মেঘের কাঁদন। আর দূরে কোথাও গলা ছেড়ে গাইছে সবাই - বৃষ্টি আইলো ��ই শহরময় । জ্বলজ্যান্ত মানুষেরা ভোরের আলোয় রক্তখেকো, জলজ্যান্ত মানুষেরা পুড়ায়া দেয় দিল্লী দামেস্কো, নদীর হাওয়া উজানে বয়ে নিয়ে যায় গাছের এলিজি। আর আমার নদী গলা ছেড়ে কাইন্দা বলে - লাল হইলো ক্যান এই মাটি । মরে যাওয়া মানুষেরা ভালবাসার কথা বলে না, মরে যাওয়া মানুষেরা ঝড় দেখে আর ভয় পায় না, পুরনো ছলকলায় নদীদের আর মান ভাঙে না। আর তোমার গলার কান্না সুরে আঙুলের ফাঁকে - শব্দছায়া হারাইয়া যায় ।
youtube
1 note · View note
quransunnahdawah · 5 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
ইসলামে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। পার্থিব এই জীবনে মূলত সে-ই বেশি সুখী, যার ভালো বন্ধুর সংখ্যা বেশি। বন্ধুত্ব আমাদের একাকিত্বকে যেমন ভুলিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি জীবনটাকেও আনন্দে পরিপূর্ণ করে।
যেকোনো মানুষকে চেনা যায় তার বন্ধু কেমন তার মাধ্যমেই, বিপদে যে এগিয়ে আসে, দেখা হলে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, ভুলত্রুটি যে সংশোধন করে, সে-ই তো প্রকৃত বন্ধু। তাই আমাদের জীবনে যেমন চরিত্রবান বন্ধু প্রয়োজন, ঠিক তেমনি আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিকাশের জন্যও প্রয়োজন সৎ ও চরিত্রবান বন্ধু নির্বাচন। বন্ধুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমাদের সব সময় প্রভাবিত করে। আমাদের যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে এবং যাদের বর্জন করতে হবে, সে ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক এবং রাসুল (সা.) আমাদের পথ দেখিয়েছেন।
এমনকি নিজের বাবা ও ভাই যদি অবিশ্বাসী হয়, তাহলে তাদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব না রাখার আদেশ এসেছে। এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজ পিতা ও ভাইদের অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালোবাসে।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ২৩)
কোরআনের অন্যত্র এসেছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুসলমানদের বাদ দিয়ে কাফিরদের বন্ধু বানিয়ো না। তোমরা কি এমনটা করে নিজের ওপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলিল কায়েম করে দেবে।
’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৪) আবার অন্য ধর্মের লোকদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গ্রহণে ইসলাম সম্পূর্ণ নিষেধ করেছে, মূলত তারা একে অপরের বন্ধু। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কোরো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আর আল্লাহ জালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫১) একজন ঈমানদার যদি ঈমানদার ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, তাহলে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘মুমিনগ�� যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোনো কাফিরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ২৮)
আমরা যদি মহান আল্লাহকে আমাদের জীবনে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারি, তাহলে কোনো ভয় বা চিন্তা আমাদের জীবনে আসবে না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাঁর কালামে পাকে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘মনে রেখো, যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের কোনো ভয়ভীতি নেই, তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬২)
আর বন্ধুত্ব তার সঙ্গেই করতে হবে, যার আছে আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস। এ ব্যাপারে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কথা শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই ��পর আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭১)
বন্ধুত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনীষীদেরও দিকনির্দেশনা রয়েছে, ইমাম গাজ্জালি (রহ.) কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে তিনটি গুণের দিকে লক্ষ রাখার কথা বলেছেন—১. নেককার ও পুণ্যবান, ২. চরিত্রবান, ৩. জ্ঞানী ও বিচক্ষণ।
হজরত ইমাম জয়নুল আবেদিন তাঁর ছেলে ইমাম মুহাম্মদ আল-বাকিকে উপদেশ দিতে গিয়ে পাঁচ ধরনের মানুষের সঙ্গে বন্ধু নির্বাচন করতে নিষেধ করেছেন—
১. মিথ্যাবাদী, ২. পাপী, ৩. কৃপণ, ৪. বোকা ও আর ৫. যারা স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা করে।
আমাদের প্রত্যেকেরই বন্ধুত্ব করতে হবে পরকালের কল্যাণে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তেই। তাই পরকালের কল্যাণের জন্য এই দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বন্ধু নির্বাচন করতে হবে পরিপূর্ণ ঈমানদার দেখে। এ ব্যাপারে কোরআনের নির্দেশ এসেছে, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং মুমিনগণ—যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং বিনম্র।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫৫)
আপনি যার সঙ্গে চলছেন সেই বন্ধুটি ভালো না খারাপ তা নির্ণয় করার কষ্টিপাথর আপনার কাছেই আছে। আসলে কারো সঙ্গে চলার পর যদি ভালো গুণ আপনার ভেতরে আসতে থাকে, তাহলে মনে করতে হবে সে আপনার ভালো বন্ধু। অন্যদিকে যদি খারাপ কিছু আসতে থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেই বন্ধু ত্যাগ করে একাকী জীবন কাটানো এবং ভালো বন্ধু খুঁজে বের করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তাই বন্ধু নির্বাচনে আমাদের বেশ সতর্ক হতে হবে। আমাদের বন্ধুত্ব করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এ জগতে যারা চরিত্রবান, দয়াবান, দেখা হলেই যারা আমাদের মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যারা সব সময় আমাদের দোষ না খুঁজে বরং সংশোধন করে দেয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকুক সারাটা জীবন। আমরা আমাদের জীবনে রাসুলে পাক (সা.)-এর হাদিসটি অনুসরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে ঈমান পরিপূর্ণ করতে পারি— ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঘৃণা করে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে দান করে কিংবা না করে, সে তার ঈমান পূর্ণ করে নিল।’ (আবু দাউদ)
The Influence Of Good Company
সৎ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আল্লাহর রাসুল (সা.) সৎসঙ্গকে আতর বিক্রেতার সঙ্গে তুলনা দিয়ে বলেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ মিশক বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের মতো। আতর বিক্রেতাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয়তো তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় ��ার সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে কিংবা তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে। (বুখারি, হাদিস : ২১০১)
উপমার বিশ্লেষণে হাদিসবিশারদরা বলেন, সৎসঙ্গের তুলনা হলো সুগন্ধি বিক্রেতার মতো। সৎসঙ্গে খারাপ অভ্যাস দূর করে, ভুল ক্ষমা করে, দোষ ঢেকে রেখে কল্যাণের কাজে আগ্রহ ও উৎসাহ জোগায়। গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বাধা দেয়। এটাই হলো ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস।’
অন্যদিকে অসৎ সঙ্গ হলো কামারের হাপরের মতো। যার পাশে থাকবে হয়তো কাপড় জ্বালিয়ে  দেবে আর না হয় দুর্গন্ধ ছড়াবে। এই উপমা ওই হতভাগ্য ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিয়ামতের দিন কপাল চাপড়ে হা-হুতাশ করবে।
কারণ সে এমন কতক পাপিষ্ঠকে বন্ধু বানিয়েছিল, যারা তাকে ইসলামের আদর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে এবং পাপের পথে টেনে নিয়ে গোমরাহির অতলগহ্বরে ডুবিয়েই ক্ষান্ত হয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জালেম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে—হায় আফসোস! আমি যদি রাসুলের সঙ্গে পথ অবলম্বন করতাম। হায়, আমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছিল। শয়তান মানুষকে বিপদকালে ধোঁকা দেয়।’ (সুরা : আল ফুরকান, আয়াত : ২৭-২৯)
সৎসঙ্গ প্রসঙ্গে জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি কতই না সুন্দর বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রথমে তার সঙ্গীর ব্যাপারে খবর নাও। কারণ প্রত্যেক মানুষ তার সাথির অনুসরণ করে থাকে। যখন তুমি একদল লোকের সঙ্গে থাকবে তখন ভালো লোকদের সঙ্গ গ্রহণ করো; মন্দ সঙ্গ নয়। অন্যথায় খারাপদের সঙ্গে মিশে তুমিও খারাপ হয়ে যাবে।’ (মুখতাসারু তারিখে দিমাশক : ২০/৩৫)
আর বন্ধু গ্রহণ ও বন্ধুত্বের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নবীজি (সা.)-এর চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর সময়কার প্রসিদ্ধ ঘটনা তে আজও ইতিহাস হয়ে আছে। সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু তালিবের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট আসলেন। তিনি সেখানে আবু জাহল ইবনে হিশাম ও আবদুল্লাহ‌ ইবনে আবু উমায়্যা ইবনে মুগিরাকে উপস্থিত দেখতে পেলেন। (রাবি বলেন) তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আবু তালিবকে লক্ষ্য করে বলেন, চাচাজান, ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ কলেমা পাঠ করুন, তাহলে এর অসিলায় আমি আল্লাহর সমীপে আপনার জন্য সাক্ষ্য দিতে পারব। 
আবু জাহল ও ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবু উমায়্যা বলে উঠল, ওহে আবু তালিব! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম হতে বিমুখ হবে? অতঃপ�� আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট কলেমা পেশ করতে থাকেন। আর তারা দুজনও তাদের উক্তি পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। অবশেষে আবু তালিব তাদের সামনে শেষ কথাটি যা বলল, তা এই যে, সে আবদুল মুত্তালিবের ধর্মের ওপর অবিচল রয়েছে। ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ বলতে অস্বীকার করল। এ অবস্থা দেখে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহর কসম! তবু আমি আপনার জন্য মাগফিরাত কামনা করতে থাকব, যতক্ষণ না আমাকে তা হতে নিষেধ করা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নাজিল করেন, (নবীর জন্য সংগত নয়......)  [সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১৩]। (বুখারি, হাদিস : ১৩৬০)
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রহ.) বন্ধুত্বকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। ১. গিজা তথা খাবারের মতো, যা সব সময় জরুরি। তা হলো সৎসঙ্গী। ২. দাওয়া ও ওষুধ। যেকোনো সময় কাজে লাগতে পারে। ভালো-মন্দের মিশেল। ৩. দা বা অসুখ। যা না থাকাই ভালো। অসৎ সঙ্গী। ইমাম মালিক ইবনে দিনার (রহ.) বলেন, সৎ লোকের সঙ্গে পাথর বহন, অসৎ লোকের সঙ্গে বসে খবিস (খেজুর ও ঘি মিশ্রিত এক প্রকার মিষ্টান্ন) আহার করা থেকে উত্তম। (আল্লাহ আমাদের সবাইকে সৎসঙ্গ গ্রহণের তাওফিক দান করুন।)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 5 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
‘জালিম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায় দুর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৮)
ইসলামে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। পার্থিব এই জীবনে মূলত সে-ই বেশি সুখী, যার ভালো বন্ধুর সংখ্যা বেশি। বন্ধুত্ব আমাদের একাকিত্বকে যেমন ভুলিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি জীবনটাকেও আনন্দে পরিপূর্ণ করে।
যেকোনো মানুষকে চেনা যায় তার বন্ধু কেমন তার মাধ্যমেই, বিপদে যে এগিয়ে আসে, দেখা হলে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, ভুলত্রুটি যে সংশোধন করে, সে-ই তো প্রকৃত বন্ধু। তাই আমাদের জীবনে যেমন চরিত্রবান বন্ধু প্রয়োজন, ঠিক তেমনি আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিকাশের জন্যও প্রয়োজন সৎ ও চরিত্রবান বন্ধু নির্বাচন। বন্ধুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমাদের সব সময় প্রভাবিত করে। আমাদের যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে এবং যাদের বর্জন করতে হবে, সে ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক এবং রাসুল (সা.) আমাদের পথ দেখিয়েছেন।
এমনকি নিজের বাবা ও ভাই যদি অবিশ্বাসী হয়, তাহলে তাদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব না রাখার আদেশ এসেছে। এই মর্মে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজ পিতা ও ভাইদের অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালোবাসে।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ২৩)
কোরআনের অন্যত্র এসেছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুসলমানদের বাদ দিয়ে কাফিরদের বন্ধু বানিয়ো না। তোমরা কি এমনটা করে নিজের ওপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলিল কায়েম করে দেবে।
’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৪) আবার অন্য ধর্মের লোকদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গ্রহণে ইসলাম সম্পূর্ণ নিষেধ করেছে, মূলত তারা একে অপরের বন্ধু। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কোরো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আর আল্লাহ জালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫১) একজন ঈমানদার যদি ঈমানদার ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, তাহলে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এই মর্মে ইরশাদ হচ্ছে, ‘মুমিনগণ যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোনো কাফিরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ২৮)
আমরা যদি মহান আল্লাহকে আমাদের জীবনে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারি, তাহলে কোনো ভয় বা চিন্তা আমাদের জীবনে আসবে না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাঁর কালামে পাকে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘মনে রেখো, যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের কোনো ভয়ভীতি নেই, তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬২)
আর বন্ধুত্ব তার সঙ্গেই করতে হবে, যার আছে আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস। এ ব্যাপারে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কথা শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই ওপর আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭১)
বন্ধুত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনীষীদেরও দিকনির্দেশনা রয়েছে, ইমাম গাজ্জালি (রহ.) কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে তিনটি গুণের দিকে লক্ষ রাখার কথা বলেছেন—১. নেককার ও পুণ্যবান, ২. চরিত্রবান, ৩. জ্ঞানী ও বিচক্ষণ।
হজরত ইমাম জয়নুল আবেদিন তাঁর ছেলে ইমাম মুহাম্মদ আল-বাকিকে উপদেশ দিতে গিয়ে পাঁচ ধরনের মানুষের সঙ্গে বন্ধু নির্বাচন করতে নিষেধ করেছেন—
১. মিথ্যাবাদী, ২. পাপী, ৩. কৃপণ, ৪. বোকা ও আর ৫. যারা স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা করে।
আমাদের প্রত্যেকেরই বন্ধুত্ব করতে হবে পরকালের কল্যাণে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তেই। তাই পরকালের কল্যাণের জন্য এই দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বন্ধু নির্বাচন করতে হবে পরিপূর্ণ ঈমানদার দেখে। এ ব্যাপারে কোরআনের নির্দেশ এসেছে, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং মুমিনগণ—যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং বিনম্র।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫৫)
আপনি যার সঙ্গে চলছেন সেই বন্ধুটি ভালো না খারাপ তা নির্ণয় করার কষ্টিপাথর আপনার কাছেই আছে। আসলে কারো সঙ্গে চলার পর যদি ভালো গুণ আপনার ভেতরে আসতে থাকে, তাহলে মনে করতে হবে সে আপনার ভালো বন্ধু। অন্যদিকে যদি খারাপ কিছু আসতে থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেই বন্ধু ত্যাগ করে একাকী জীবন কাটানো এবং ভালো বন্ধু খুঁজে বের করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তাই বন্ধু নির্বাচনে আমাদের বেশ সতর্ক হতে হবে। আমাদের বন্ধুত্ব করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এ জগতে যারা চরিত্রবান, দয়াবান, দেখা হলেই যারা আমাদের মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যারা সব সময় আমাদের দোষ না খুঁজে বরং সংশোধন করে দেয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকুক সারাটা জীবন। আমরা আমাদের জীবনে রাসুলে পাক (সা.)-এর হাদিসটি অনুসরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে ঈমান পরিপূর্ণ করতে পারি— ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঘৃণা করে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে দান করে কিংবা না করে, সে তার ঈমান পূর্ণ করে নিল।’ (আবু দাউদ)
The Influence Of Good Company
সৎ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আল্লাহর রাসুল (সা.) সৎসঙ্গকে আতর বিক্রেতার সঙ্গে তুলনা দিয়ে বলেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ মিশক বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের মতো। আতর বিক্রেতাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয়তো তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয়তো তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে কিংবা তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে। (বুখারি, হাদিস : ২১০১)
উপমার বিশ্লেষণে হাদিসবিশারদরা বলেন, সৎসঙ্গের তুলনা হলো সুগন্ধি বিক্রেতার মতো। সৎসঙ্গে খারাপ অভ্যাস দূর করে, ভুল ক্ষমা করে, দোষ ঢেকে রেখে কল্যাণের কাজে আগ্রহ ও উৎসাহ জোগায়। গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বাধা দেয়। এটাই হলো ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস।’
অন্যদিকে অসৎ সঙ্গ হলো কামারের হাপরের মতো। যার পাশে থাকবে হয়তো কাপড় জ্বালিয়ে  দেবে আর না হয় দুর্গন্ধ ছড়াবে। এই উপমা ওই হতভাগ্য ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিয়ামতের দিন কপাল চাপড়ে হা-হুতাশ করবে।
কারণ সে এমন কতক পাপিষ্ঠকে বন্ধু বানিয়েছিল, যারা তাকে ইসলামের আদর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে এবং পাপের পথে টেনে নিয়ে গোমরাহির অতলগহ্বরে ডুবিয়েই ক্ষান্ত হয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জালেম সেদিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে—হায় আফসোস! আমি যদি রাসুলের সঙ্গে পথ অবলম্বন করতাম। হায়, আমার দুর্ভাগ্য! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছিল। শয়তান মানুষকে বিপদকালে ধোঁকা দেয়।’ (সুরা : আল ফুরকান, আয়াত : ২৭-২৯)
সৎসঙ্গ প্রসঙ্গে জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি কতই না সুন্দর বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রথমে তার সঙ্গীর ব্যাপারে খবর নাও। কারণ প্রত্যেক মানুষ তার সাথির অনুসরণ করে থাকে। যখন তুমি একদল লোকের সঙ্গে থাকবে তখন ভালো লোকদের সঙ্গ গ্রহণ করো; মন্দ সঙ্গ নয়। অন্যথায় খারাপদের সঙ্গে মিশে তুমিও খারাপ হয়ে যাবে।’ (মুখতাসারু তারিখে দিমাশক : ২০/৩৫)
আর বন্ধু গ্রহণ ও বন্ধুত্বের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নবীজি (সা.)-এর চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর সময়কার প্রসিদ্ধ ঘটনা তে আজও ইতিহাস হয়ে আছে। সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু তালিবের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট আসলেন। তিনি সেখানে আবু জাহল ইবনে হিশাম ও আবদুল্লাহ‌ ইবনে আবু উমায়্যা ইবনে মুগিরাকে উপস্থিত দেখতে পেলেন। (রাবি বলেন) তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আবু তালিবকে লক্ষ্য করে বলেন, চাচাজান, ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ কলেমা পাঠ করুন, তাহলে এর অসিলায় আমি আল্লাহর সমীপে আপনার জন্য সাক্ষ্য দিতে পারব। 
আবু জাহল ও ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবু উমায়্যা বলে উঠল, ওহে আবু তালিব! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম হতে বিমুখ হবে? অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সা.) তার নিকট কলেমা পেশ করতে থাকেন। আর তারা দুজনও তাদের উক্তি পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। অবশেষে আবু তালিব তাদের সামনে শেষ কথাটি যা বলল, তা এই যে, সে আবদুল মুত্তালিবের ধর্মের ওপর অবিচল রয়েছে। ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ বলতে অস্বীকার করল। এ অবস্থা দেখে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহর কসম! তবু আমি আপনার জন্য মাগফিরাত কামনা করতে থাকব, যতক্ষণ না আমাকে তা হতে নিষেধ করা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নাজিল করেন, (নবীর জন্য সংগত নয়......)  [সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১৩]। (বুখারি, হাদিস : ১৩৬০)
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রহ.) বন্ধুত্বকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। ১. গিজা তথা খাবারের মতো, যা সব সময় জরুরি। তা হলো সৎসঙ্গী। ২. দাওয়া ও ওষুধ। যেকোনো সময় কাজে লাগতে পারে। ভালো-মন্দের মিশেল। ৩. দা বা অসুখ। যা না থাকাই ভালো। অসৎ সঙ্গী। ইমাম মালিক ইবনে দিনার (রহ.) বলেন, সৎ লোকের সঙ্গে পাথর বহন, অসৎ লোকের সঙ্গে বসে খবিস (খেজুর ও ঘি মিশ্রিত এক প্রকার মিষ্টান্ন) আহার করা থেকে উত্তম। (আল্লাহ আমাদের সবাইকে সৎসঙ্গ গ্রহণের তাওফিক দান করুন।)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
Islamic Guidance On Choosing Friends
0 notes