#ভয়
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 4 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর ভয় বা আল্লাহভীতি
youtube
youtube
youtube
অন্তরে আল্লাহর ভয় তৈরি হয় যেসব কাজে
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ��বাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের বিভিন্ন শ্রেণি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যেন তোমরা নিজেদের চিনতে পারো। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সেই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহভীরু।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১৩)
আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যম
প্রাজ্ঞ আলেমরা আল্লাহভীতি অর্জনের কিছু মাধ্যম বা উপায় বর্ণনা করেছেন। তার কয়েকটি হলো—
১. আল্লাহর বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা : মানুষ যখন আল্লাহর সত্তা, গুণাবলি, তাঁর সৃষ্টি, রাজত্ব, ক্ষমতা ও বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তখন তার অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে না।
কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরিক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।’ (সুরা : ঝুমার, আয়াত : ৬৭)
২. জ্ঞান অর্জন করা : সঠিক জ্ঞান মানুষের ভেতরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। এ জন্য কোরআনে বল�� হয়েছে, ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই আল্লাহকে বেশি ভয় করে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে আল্লাহভীরু এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহ সম্পর্কে জানি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০)
৩. নেক আমল করা : আমল অন্তরে আল্লাহর ভয় সঞ্চারে সহায়ক। আল্লাহ বলেন, ‘যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাদের মুত্তাকি হওয়ার শক্তিদান করেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৭)
৪. কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা : কোরআন গবেষণার মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর পরিচয় জানতে পারে এবং এতে তার অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এক কল্যাণময় কিতাব, এটা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ তাঁর আয়াতগুলো অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা গ্রহণ করে উপদেশ।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৯)
৫. আল্লাহর শাস্তি স্মরণ করা : অবাধ্যদের জন্য আল্লাহ যে শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন সেগুলো স্মরণের মাধ্যমেও অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত করা যায়। আল্লাহর শাস্তির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রভুর শাস্তি তো অবশ্যম্ভাবী। এর কোনো প্রতিহতকারী নেই।’ (সুরা : তুর, আয়াত : ৭-৮)
সর্বোপরি আল্লাহভীরু মানুষের সান্নিধ্য মানুষকে আল্লাহভীরু হতে সাহায্য করে। হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ শপথ! যদি তুমি এমন মানুষের সঙ্গে মেশো, যারা তোমাকে দুনিয়ায় আল্লাহর ভয় দেখাবে। ফলে তুমি পরকালে নিরাপদ থাকবে—এটা উত্তম সেসব মানুষের সঙ্গে মেশার চেয়ে যারা তোমাকে দুনিয়ায় আশ্বস্ত করবে এবং তুমি পরকালে ভয়ের মধ্যে পরবে।’ (আল ইয়াকুতুল ফরিদিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-২৮৮)
আল্লাহ সবার অন্তরে তাঁর ভয় দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহভীতি
তাকওয়া
আল্লাহর ভয়
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর ভয় বা আল্লাহভীতি
youtube
youtube
youtube
অন্তরে আল্লাহর ভয় তৈরি হয় যেসব কাজে
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের বিভিন্ন শ্রেণি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যেন তোমরা নিজেদের চিনতে পারো। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সেই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহভীরু।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১৩)
আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যম
প্রাজ্ঞ আলেমরা আল্লাহভীতি অর্জনের কিছু মাধ্যম বা উপায় বর্ণনা করেছেন। তার কয়েকটি হলো—
১. আল্লাহর বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা : মানুষ যখন আল্লাহর সত্তা, গুণাবলি, তাঁর সৃষ্টি, রাজত্ব, ক্ষমতা ও বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তখন তার অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে না।
কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরিক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।’ (সুরা : ঝুমার, আয়াত : ৬৭)
২. জ্ঞান অর্জন করা : সঠিক জ্ঞান মানুষের ভেতরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। এ জন্য কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই আল্লাহকে বেশি ভয় করে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে আল্লাহভীরু এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহ সম্পর্কে জানি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০)
৩. নেক আমল করা : আমল অন্তরে আল্লাহর ভয় সঞ্চারে সহায়ক। আল্লাহ বলেন, ‘যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাদের মুত্তাকি হওয়ার শক্তিদান করেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৭)
৪. কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা : কোরআন গবেষণার মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর পরিচয় জানতে পারে এবং এতে তার অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এক কল্যাণময় কিতাব, এটা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ তাঁর আয়াতগুলো অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা গ্রহণ করে উপদেশ।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৯)
৫. আল্লাহর শাস্তি স্মরণ করা : অবাধ্যদের জন্য আল্লাহ যে শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন সেগুলো স্মরণের মাধ্যমেও অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত করা যায়। আল্লাহর শাস্তির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রভুর শাস্তি তো অবশ্যম্ভাবী। এর কোনো প্রতিহতকারী নেই।’ (সুরা : তুর, আয়াত : ৭-৮)
সর্বোপরি আল্লাহভীরু মানুষের সান্নিধ্য মানুষকে আল্লাহভীরু হতে সাহায্য করে। হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ শপথ! যদি তুমি এমন মানুষের সঙ্গে মেশো, যারা তোমাকে দুনিয়ায় আল্লাহর ভয় দেখাবে। ফলে তুমি পরকালে নিরাপদ থাকবে—এটা উত্তম সেসব মানুষের সঙ্গে মেশার চেয়ে যারা তোমাকে দুনিয়ায় আশ্বস্ত করবে এবং তুমি পরকালে ভয়ের মধ্যে পরবে।’ (আল ইয়াকুতুল ফরিদিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-২৮৮)
আল্লাহ সবার অন্তরে তাঁর ভয় দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহভীতি
তাকওয়া
আল্লাহর ভয়
0 notes
ilyforallahswt · 4 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর ভয় বা আল্লাহভীতি
youtube
youtube
youtube
অন্তরে আল্লাহর ভয় তৈরি হয় যেসব কাজে
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের বিভিন্ন শ্রেণি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যেন তোমরা নিজেদের চিনতে পারো। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সেই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহভীরু।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১৩)
আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যম
প্রাজ্ঞ আলেমরা আল্লাহভীতি অর্জনের কিছু মাধ্যম বা উপায় বর্ণনা করেছেন। তার কয়েকটি হলো—
১. আল্লাহর বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা : মানুষ যখন আল্লাহর সত্তা, গুণাবলি, তাঁর সৃষ্টি, রাজত্ব, ক্ষমতা ও বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তখন তার অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে না।
কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরিক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।’ (সুরা : ঝুমার, আয়াত : ৬৭)
২. জ্ঞান অর্জন করা : সঠিক জ্ঞান মানুষের ভেতরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। এ জন্য কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই আল্লাহকে বেশি ভয় করে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে আল্লাহভীরু এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহ সম্পর্কে জানি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০)
৩. নেক আমল করা : আমল অন্তরে আল্লাহর ভয় সঞ্চারে সহায়ক। আল্লাহ বলেন, ‘যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাদের মুত্তাকি হওয়ার শক্তিদান করেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৭)
৪. কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা : কোরআন গবেষণার মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর পরিচয় জানতে পারে এবং এতে তার অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এক কল্যাণময় কিতাব, এটা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ তাঁর আয়াতগুলো অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা গ্রহণ করে উপদেশ।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৯)
৫. আল্লাহর শাস্তি স্মরণ করা : অবাধ্যদের জন্য আল্লাহ যে শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন সেগুলো স্মরণের মাধ্যমেও অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত করা যায়। আল্লাহর শাস্তির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রভুর শাস্তি তো অবশ্যম্ভাবী। এর কোনো প্রতিহতকারী নেই।’ (সুরা : তুর, আয়াত : ৭-৮)
সর্বোপরি আল্লাহভীরু মানুষের সান্নিধ্য মানুষকে আল্লাহভীরু হতে সাহায্য করে। হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ শপথ! যদি তুমি এমন মানুষের সঙ্গে মেশো, যারা তোমাকে দুনিয়ায় আল্লাহর ভয় দেখাবে। ফলে তুমি পরকালে নিরাপদ থাকবে—এটা উত্তম সেসব মানুষের সঙ্গে মেশার চেয়ে যারা তোমাকে দুনিয়ায় আশ্বস্ত করবে এবং তুমি পরকালে ভয়ের মধ্যে পরবে।’ (আল ইয়াকুতুল ফরিদিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-২৮৮)
আল্লাহ সবার অন্তরে তাঁর ভয় দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহভীতি
তাকওয়া
আল্লাহর ভয়
0 notes
myreligionislam · 4 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর ভয় বা আল্লাহভীতি
youtube
youtube
youtube
অন্তরে আল্লাহর ভয় তৈরি হয় যেসব কাজে
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের বিভিন্ন শ্রেণি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যেন তোমরা নিজেদের চিনতে পারো। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সেই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহভীরু।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১৩)
আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যম
প্রাজ্ঞ আলেমরা আল্লাহভীতি অর্জনের কিছু মাধ্যম বা উপায় বর্ণনা করেছেন। তার কয়েকটি হলো—
১. আল্লাহর বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা : মানুষ যখন আল্লাহর সত্তা, গুণাবলি, তাঁর সৃষ্টি, রাজত্ব, ক্ষমতা ও বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তখন তার অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে না।
কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরিক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।’ (সুরা : ঝুমার, আয়াত : ৬৭)
২. জ্ঞান অর্জন করা : সঠিক জ্ঞান মানুষের ভেতরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। এ জন্য কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই আল্লাহকে বেশি ভয় করে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে আল্লাহভীরু এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহ সম্পর্কে জানি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০)
৩. নেক আমল করা : আমল অন্তরে আল্লাহর ভয় সঞ্চারে সহায়ক। আল্লাহ বলেন, ‘যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাদের মুত্তাকি হওয়ার শক্তিদান করেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৭)
৪. কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা : কোরআন গবেষণার মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর পরিচয় জানতে পারে এবং এতে তার অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এক কল্যাণময় কিতাব, এটা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ তাঁর আয়াতগুলো অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা গ্রহণ করে উপদেশ।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৯)
৫. আল্লাহর শাস্তি স্মরণ করা : অবাধ্যদের জন্য আল্লাহ যে শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন সেগুলো স্মরণের মাধ্যমেও অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত করা যায়। আল্লাহর শাস্তির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রভুর শাস্তি তো অবশ্যম্ভাবী। এর কোনো প্রতিহতকারী নেই।’ (সুরা : তুর, আয়াত : ৭-৮)
সর্বোপরি আল্লাহভীরু মানুষের সান্নিধ্য মানুষকে আল্লাহভীরু হতে সাহায্য করে। হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ শপথ! যদি তুমি এমন মানুষের সঙ্গে মেশো, যারা তোমাকে দুনিয়ায় আল্লাহর ভয় দেখাবে। ফলে তুমি পরকালে নিরাপদ থাকবে—এটা উত্তম সেসব মানুষের সঙ্গে মেশার চেয়ে যারা তোমাকে দুনিয়ায় আশ্বস্ত করবে এবং তুমি পরকালে ভয়ের মধ্যে পরবে।’ (আল ইয়াকুতুল ফরিদিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-২৮৮)
আল্লাহ সবার অন্তরে তাঁর ভয় দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহভীতি
তাকওয়া
আল্লাহর ভয়
0 notes
mylordisallah · 5 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর ভয় বা আল্লাহভীতি
youtube
youtube
youtube
অন্তরে আল্লাহর ভয় তৈরি হয় যেসব কাজে
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের বিভিন্ন শ্রেণি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যেন তোমরা নিজেদের চিনতে পারো। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সেই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহভীরু।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১৩)
আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যম
প্রাজ্ঞ আলেমরা আল্লাহভীতি অর্জনের কিছু মাধ্যম বা উপায় বর্ণনা করেছেন। তার কয়েকটি হলো—
১. আল্লাহর বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা : মানুষ যখন আল্লাহর সত্তা, গুণাবলি, তাঁর সৃষ্টি, রাজত্ব, ক্ষমতা ও বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তখন তার অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে না।
কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরিক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।’ (সুরা : ঝুমার, আয়াত : ৬৭)
২. জ্ঞান অর্জন করা : সঠিক জ্ঞান মানুষের ভেতরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। এ জন্য কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই আল্লাহকে বেশি ভয় করে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে আল্লাহভীরু এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহ সম্পর্কে জানি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০)
৩. নেক আমল করা : আমল অন্তরে আল্লাহর ভয় সঞ্চারে সহায়ক। আল্লাহ বলেন, ‘যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাদের মুত্তাকি হওয়ার শক্তিদান করেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৭)
৪. কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা : কোরআন গবেষণার মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর পরিচয় জানতে পারে এবং এতে তার অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এক কল্যাণময় কিতাব, এটা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ তাঁর আয়াতগুলো অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা গ্রহণ করে উপদেশ।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৯)
৫. আল্লাহর শাস্তি স্মরণ করা : অবাধ্যদের জন্য আল্লাহ যে শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন সেগুলো স্মরণের মাধ্যমেও অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত করা যায়। আল্লাহর শাস্তির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রভুর শাস্তি তো অবশ্যম্ভাবী। এর কোনো প্রতিহতকারী নেই।’ (সুরা : তুর, আয়াত : ৭-৮)
সর্বোপরি আল্লাহভীরু মানুষের সান্নিধ্য মানুষকে আল্লাহভীরু হতে সাহায্য করে। হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ শপথ! যদি তুমি এমন মানুষের সঙ্গে মেশো, যারা তোমাকে দুনিয়ায় আল্লাহর ভয় দেখাবে। ফলে তুমি পরকালে নিরাপদ থাকবে—এটা উত্তম সেসব মানুষের সঙ্গে মেশার চেয়ে যারা তোমাকে দুনিয়ায় আশ্বস্ত করবে এবং তুমি পরকালে ভয়ের মধ্যে পরবে।’ (আল ইয়াকুতুল ফরিদিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-২৮৮)
আল্লাহ সবার অন্তরে তাঁর ভয় দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহভীতি
তাকওয়া
আল্লাহর ভয়
0 notes
allahisourrabb · 5 hours ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর ভয় বা আল্লাহভীতি
youtube
youtube
youtube
অন্তরে আল্লাহর ভয় তৈরি হয় যেসব কাজে
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (���ুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
আল্লাহভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও সৌন্দর্য। আল্লাহভীতি মানুষকে পাপাচার ও অপরাধ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে উৎসাহিত করে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে  মুমিনদের আল্লাহভীতি অর্জনে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারে সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।
’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪)
আল্লাহভীতি অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ মুমিনের অন্তরে তাঁর ভয় ধারণ করার নানামুখী পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যেমন—
১. ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয় : আল্লাহভীরু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৯)
২. পুরস্কার লাভ : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জীবনকে সংযত করে।
এই সংযত জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ৩)
৩. মর্যাদার মাপকাঠি : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি হলো আল্লাহভীতি।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের বিভিন্ন শ্রেণি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যেন তোমরা নিজেদের চিনতে পারো। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সেই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহভীরু।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১৩)
আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যম
প্রাজ্ঞ আলেমরা আল্লাহভীতি অর্জনের কিছু মাধ্যম বা উপায় বর্ণনা করেছেন। তার কয়েকটি হলো—
১. আল্লাহর বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা : মানুষ যখন আল্লাহর সত্তা, গুণাবলি, তাঁর সৃষ্টি, রাজত্ব, ক্ষমতা ও বড়ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তখন তার অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে না।
কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরিক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।’ (সুরা : ঝুমার, আয়াত : ৬৭)
২. জ্ঞান অর্জন করা : সঠিক জ্ঞান মানুষের ভেতরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে। এ জন্য কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই আল্লাহকে বেশি ভয় করে।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে আল্লাহভীরু এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহ সম্পর্কে জানি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০)
৩. নেক আমল করা : আমল অন্তরে আল্লাহর ভয় সঞ্চারে সহায়ক। আল্লাহ বলেন, ‘যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাদের মুত্তাকি হওয়ার শক্তিদান করেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৭)
৪. কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা : কোরআন গবেষণার মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর পরিচয় জানতে পারে এবং এতে তার অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এক কল্যাণময় কিতাব, এটা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ তাঁর আয়াতগুলো অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা গ্রহণ করে উপদেশ।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৯)
৫. আল্লাহর শাস্তি স্মরণ করা : অবাধ্যদের জন্য আল্লাহ যে শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন সেগুলো স্মরণের মাধ্যমেও অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত করা যায়। আল্লাহর শাস্তির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রভুর শাস্তি তো অবশ্যম্ভাবী। এর কোনো প্রতিহতকারী নেই।’ (সুরা : তুর, আয়াত : ৭-৮)
সর্বোপরি আল্লাহভীরু মানুষের সান্নিধ্য মানুষকে আল্লাহভীরু হতে সাহায্য করে। হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ শপথ! যদি তুমি এমন মানুষের সঙ্গে মেশো, যারা তোমাকে দুনিয়ায় আল্লাহর ভয় দেখাবে। ফলে তুমি পরকালে নিরাপদ থাকবে—এটা উত্তম সেসব মানুষের সঙ্গে মেশার চেয়ে যারা তোমাকে দুনিয়ায় আশ্বস্ত করবে এবং তুমি পরকালে ভয়ের মধ্যে পরবে।’ (আল ইয়াকুতুল ফরিদিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-২৮৮)
আল্লাহ সবার অন্তরে তাঁর ভয় দান করুন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহভীতি
তাকওয়া
আল্লাহর ভয়
0 notes
sadipsiddiqueriad · 4 months ago
Text
0 notes
projapotimusic · 1 year ago
Video
youtube
দুলাভাইয়ের সঙ্গে নাচে গানে যমলো খেলা তাসলিমা সরকার।। ভয় পাইলে তুই প্রেম...
0 notes
embersariya · 5 months ago
Text
Tumblr media
সব শোরগোলের শেষে, এক ভারী নিস্তব্ধতা। এখন রাত ৩টে। মাও চললেন কৈলাশের পথে, আমিও এই পা দিলাম কলকাতায়। বাড়ি। বাড়ি? এ কেমন বাড়ি? কাপড় খষা প্যান্ডেলের আড়ালে যেন হাড়গোড় দেখা যায় বাঁশের। এক নির্জন হতাশার হাওয়া। নেই কোনো মিছিল, কোনো প্রতিবাদীদের দাবানল নেই যা আমায় আগুন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখবে। ভয় করছে। এইটাই ত্বিশা'র শহর বুঝি? দু পা এগোলেই যেন কেউ হাত বাড়িয়ে টেনে নেবে আমায় সেই অন্ধকারে, ঘাড় মটকে ধরবে, দুমড়ে মুচড়ে দেবে আমার শরীর, আমার স্বপ্ন।
9 notes · View notes
myladytara · 1 year ago
Text
জীবনে কিছু মানুষ ভালোবাসতে নয়, ভালোবাসার গুরুত্বটা বোঝাতে আসে।
আসলে যে কোনও ভেঙে যাওয়া জিনিস জোড়া লাগানো গেলেও, মন জোড়া লাগেনা। মানুষ বয়ে বেড়ানোর ভয় মানুষ খোঁজে, যে মানুষ জুড়তে না জানলেও মুঠো করে ধরে রাখে। ভীষণ কালো রাতের বুকে হাত বুলিয়ে দেয় ভোরের মত। আমাদের হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলা ফিরিয়ে আনে আদর করে।
নিস্তেজ করে তলে তাদের ধৈর্য্য। কেউ ভালোবাসবে, যত্ন করবে, এগুলো ভেবে শিউরে উঠি না পাওয়ার তাগিদে, ঠিক তখনই কেন জানি না কিছু মানুষ তৃষ্ণায় জলের মতো, রৌদ্রে ছায়াপথের মত, আর কবিদের কোনঠাসা আবেগের মত আমাদের বারবার, বোঝাতে আসে, – যা কিছু রূপকথা, সবটাই সত্যি! বিশ্বাস করুন, সবটাই সত্যি।
খুব ভালোবাসি তোমায়।
© Raconteur
22 notes · View notes
mahinalberuni · 5 months ago
Text
কবিতা | ফিরে
এবার ফিরিয়ে নাও তোমার আরশে আজিমে আর কত অভিনয় করবো এক জাররার ভূবনে!
দেখলাম তো ভীত শৈশব, বিতর্কিত কৈশর আর রুষ্ঠ-গম্ভীর যৌবন। আসবে আসবে করে খালি রাত এলো, শেষে যখন এলো দিন সেদিন আকাশে সূর্য্যি কেন ছিলনা? এ তামাশাভরা ঘড়িতে প্রতি মুহূর্তে আছে ছলনা।
ফিরিয়ে নাও গো আবার সে বাগানে বলো, শিশু কেন ডাস্টবিনে পড়ে কি পাপে সে এখানে?
সভ্য লোকে কোটপ্যান্ট পড়ে বানিয়ে বিশাল বিদ্যালয়, খাবারের খোঁজ ভ্যানগাড়ি ঠেলে, তার প্রতি না দয়া হয়! সত্য বললে মুখে চড় পড়ে, উলটা বললে পুরষ্কার। মিথ্যা বলা মহাপাপ, এই মিথ্যা কি তবে সত্যের জাত?
হয় মিথ্যার জয়, নেই প্রতারণার ভয়। এখানে হুকুমজারি করে জালিম। বলছি, ফিরিয়ে নাও না। ফিরে যাই আমি আরশে আজিম���
মাহিন - আল বিরুণী ১৭/১০/২০২৪ কাজীপাড়া, মিরপুর ১০
3 notes · View notes
tuberlink · 2 years ago
Text
youtube
জ্বীন ও ভুতের অস্তিত্ব কতটা সত্য তা আজও নিয়ে মানুষের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন এগুলো সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন, আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করেন এগুলো বাস্তব। তবে, যে কেউই হোন না কেন, জ্বীন ও ভুতের ভয়ংকর ঘটনার কথা শুনে ভয় পাওয়াই স্বাভাবিক।
বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে জ্বীন ও ভুতের ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে:
হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া: অনেক মানুষের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, তারা হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এসব ঘটনার অনেক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তবে জ্বীন ও ভুতের প্রভাবকেও অনেকে দায়ী করেছেন।
ঘরের মধ্যে অদ্ভুত শব্দ: অনেক মানুষের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, তারা ঘরের মধ্যে অদ্ভুত শব্দ শুনেছে। এসব শব্দের মধ্যে রয়েছে মানুষের কথা বলার শব্দ, হাসির শব্দ, কাঁদার শব্দ ইত্যাদি।
ঘরের মধ্যে অদ্ভুত আলো বা ছায়া দেখা যাওয়া: অনেক মানুষের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, তারা ঘরের মধ্যে অদ্ভুত আলো বা ছায়া দেখেছে। এসব আলো বা ছায়া অনেক সময় ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।
ঘরের মধ্যে অদ্ভুত প্রাণী দেখা যাওয়া: অনেক মানুষের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, তারা ঘরের মধ্যে অদ্ভুত প্রাণী দেখেছে। এসব প্রাণী অনেক সময় মানুষের চেহারার মতো হয়।
এই ঘটনাগুলো অবিশ্বাস্য হলেও, এগুলোর সত্যতা নিয়ে অনেকে বিশ্বাস করেন। জ্বীন ও ভুতের ভয়ংকর ঘটনা থেকে বাঁচতে অনেকে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নেন। কেউ কেউ তাবিজ-কবজ পরেন, কেউ কেউ জ্বীন-ভূতের আচার-অনুষ্ঠান করে থাকেন।
Video Link: https://youtu.be/-lgHqHDrHu4?si=B8x_lYuhqfc2GCgq
2 notes · View notes
the-monsur-blog · 2 years ago
Text
Tumblr media
পবিত্র আশুরা শরীফ উনাকে সম্মান করলে নিশ্চিত জান্নাতী!!!
মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জান্নাত উনার দস্তরখানায় খাদ্য খাওয়াবেন এবং ‘সালসাবীল’ ঝর্ণা থেকে পানীয় (শরবত) পান করাবেন।”
কিন্তু একটু ফিখিরও করা লাগবে।
পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
وَتَعَاوَنُواْ عَلَى الْبرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْـمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُواْ اللهَ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ
তোমরা নেকী ও পরহেযগারীর মধ্যে সহযোগিতা করো; পাপ ও নাফরমানীর মধ্যে সহযোগিতা করো না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।”
কি বুঝা গেল?
এই পবিত্র আয়াত শরীফ অনুসরণে পাপী নাফলমানদের ��োন সহযোগিতা করা যাবে না! আর যদি এই আদেশ না মানা হয় মহান আল্লাহ পাক উনার কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
বুঝা গেছে তো!!! যাদের ঈমাণ, আক্বীধা, আমল, আখলাক্ব শুদ্ধ নয় তাদেরকে যদি কোন সহায়তা করা হয় তাহলে রহমত তো পাবেই না । উল্টো কঠিন আজাব গজব নাজিল হবে। দুনিয়াতে ও আখিরাতে।
অতএব আশুরা শরীফ উনার নিয়ামত পেতে চাইলে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ ইয়াতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং এ আশুরা শরীফের তাবারুকে হাদিয়া করুন।#90DaysMahfilsm4o.com 01718740742 nagad/bikas personal
এখানে সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদা ভিত্তিক পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ তথা পরিপূর্ণ শরীয়ত উনার অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। শুধুমাত্র কিতাবে নয়, বরং বাস্তবে দৈনন্দিন আমলসহ সর্বক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত পরিপূর্ণ পবিত্র সুন্নত উনার রঙে রঞ্জিত। সকলের জন্য তাহাজ্জুদ নামায বাধ্যতামূলক। পরিপূর্ণ শরয়ী পর্দা পালন করা বাধ্যতামূলক।
বালিকা শাখা: সম্পূর্ণ পৃথক; বালক শাখা উনার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও আমিলগণ উনারা প্রত্যেকেই পুরুষ এবং বালিকা শাখা উনার শিক্ষিকা, কর্মকর্তা ও আমিলগণ উনারা প্রত্যেকেই মহিলা। ৫ বছরের বালকদেরও বেগানা মহিলাদের সামনে যাওয়া নিষেধ।
2 notes · View notes
quransunnahdawah · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ইবাদত তাওহীদ জানা ও মানা
youtube
তাওহীদ কাকে বলে
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তারই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তার একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
পবিত্র এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহীন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়ালা বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালা কুদরতি হাতের কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহতায়ালার হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
ষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী করিম (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তার সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে ব���ে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি একক, তার সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড়ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার আল্লাহ, তিনিই আমার মাবুদ।
বিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়ালা এক ও একক। তার কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তারই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তারই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহতায়ালার একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তার পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ইবাদত তাওহীদ জানা ও মানা
তাওহীদ জানুন এবং মান্য করুন
0 notes
sadipsiddiqueriad · 5 months ago
Text
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 1 day ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ইবাদত তাওহীদ জানা ও মানা
youtube
তাওহীদ কাকে বলে
ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহিদের পরিচয় ও গুরুত্ব
তাওহিদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ একত্ববাদ, একীকরণ অথবা দৃঢ়ভাবে একত্ব ঘোষণা করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, আল্লাহতায়ালাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তারই ইবাদত করা। এ ছাড়া আল্লাহতায়ালার লেশমাত্র দোষহীন পরিপূর্ণ গুণরাজিতে আল্লাহর একত্বের হৃদয়গত ইলম ও বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তার একত্ব প্রতিষ্ঠা করার নামই তাওহিদ।
জীবনের প্রকৃত সফলতা তাওহিদের বিশ্বাসের ওপরই নির্ভর করে। তাওহিদের বিশ্বাস না থাকলে সফলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই তো পবিত্র কোরআনে তাওহিদের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি সব সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।’ (সুরা ফাতিহা, আয়াত : ২)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি জিজ্ঞেস করো, কে তোমাদের আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করেন? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ। তখন তুমি বলো তার পরও ভয় করছো না।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৩১)
পবিত্র এ দুটি আয়াতে সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহতায়ালা নিজ কুদরত ও শক্তির প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি প্রাণহীন থেকে প্রাণ তৈরি করেন। যেমন : মানুষ প্রাণী জীবিত, আল্লাহ তার থেকে বীর্য বের করেন আর বীর্য প্রাণহীন। এমনিভাবে পাখি প্রাণওয়ালা জীবিত, এর থেকে ডিম বের করেন আর ডিমে কোনো প্রাণ নেই। এই প্রাণহীন বীর্য ও ডিম থেকেই আল্লাহতায়ালা জানদার বা প্রাণওয়ালা বাচ্চা সৃষ্টি করেন।
এত স্পষ্ট বাস্তব কথা যে, প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেছেন। আর সবকিছুই আল্লাহতায়ালা কুদরতি হাতের কবজায়। কোনো বস্তুই আল্লাহতায়ালার হুকুম ছাড়া নড়াচড়া করতে পারে না। এ প্রসঙ্গটিই আল্লামা রুমি তার কাসিদায় তুলে ধরেছেন ‘হিছ বুরগে বুয নাইয়াফতা আযদরখত/বেকাযা অহুকমে আছুলতানে বখত।’ অর্থ : আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হুকুম না আসা পর্যন্ত গাছ থেকে কোনো পাতাও আলাদা হয় না।
আল্লাহতায়ালার তাওহিদ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআানে এত স্পষ্ট আলোচনা করেছেন, একজন বিবেকবান মানুষের কাছে আল্লাহতায়ালার অস্তিত্ব ও তাওহিদের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যদি আল্লাহ ছাড়া একাধিক ইলাহ থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২২)
এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা তার তাওহিদ এভাবে প্রমাণ করেছেন, হে মানুষ! একটু চিন্তা করো, এ বিশ্বের স্রষ্টা ও পরিচালক যদি দুজন হতেন তাহলে আজ তোমরা এর যে শৃঙ্খলা দেখছো যে যথাসময়ে চাঁদ-সূর্য উদিত হচ্ছে, অস্ত যাচ্ছে, দিন-রাতের আগমন ও প্রস্থান চলছে, এ ছাড়া জগতের সব নিজাম অতি সুন্দরভাবে চলছে, তা এমন থাকত না। বরং এতে ত্রুটি আসত এবং ইলাহদের পরস্পরের ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়ে যেত। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহ, শাসকবর্গের দিকে তাকালেই তো এর সত্যতা বোঝা যায়। যদি এক রাষ্ট্রে দুজন রাষ্ট্রপতি রাজ সিংহাসনে বসেন তাহলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্দর চলতে পারবে না। এ রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
ষ্টির শুরু থেকেই দুনিয়ার নেজাম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলতে থাকবে। এতে কোনো ধরনেরর ত্রুটি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে না।
তাওহিদের প্রকারভেদ : ইসলামি স্কলাররা তাওহিদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ : আল্লাহকে তাঁর কর্মসমূহে একক হিসেবে মেনে নেওয়া। যেমন সৃষ্টি করা, রিজিক দেওয়া, জীবন-মৃত্যু দান করা ইত্যাদি। নবী করিম (সা.)-এর আগমনের আগে কাফেররাও তাওহিদের এই প্রকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশইই জ্ঞান রাখে না।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ২৫)
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ : ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্ধারণ করা। যেমন : সালাত, সওম, নজর, মানত, দান-সদকা ইত্যাদি। যাবতীয় ইবাদত এককভাবে আল্লাহর উদ্দেশে করার জন্যই সব নবী-রাসুলকে পাঠানো হয়েছে। আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর ইবাদত করো আল্লাহর, শরিক করো না তার সঙ্গে অপর কাউকে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
আসমা ও সিফাত : যেসব সুন্দর নাম ও গুণাবলি আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) আল্লাহতায়ালার জন্য সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলোকে কোনো ধরনের পরিবর্তন, অস্বীকৃতি ও ধরন-গঠন নির্ধারণ ছাড়াই সাব্যস্ত করা ও মেনে নেওয়া। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে, তোমরা সেই নামেই তাকে ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
কেউ কেউ বলেন, ‘আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির ক্ষেত্রে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ব বজায় রাখা।’ পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে উল্লিখিত তাওহিদের তিনটি শাখা তথাÑ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ এবং আসমা ও সিফাতের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে কাউকে শরিক করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এটাকে সবচেয়ে মারাত্মক অন্যায় ও চরম গর্হিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
তাওহিদের গ���রুত্ব বোঝানোর জন্য দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ঘটনাটি এক মাওলানা সাহেব ও এক বুড়িকে নিয়ে। এক বুড়ি বারান্দায় বসে বসে সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটত। মাওলানা সাহেব প্রতিদিনই তাকে এ অবস্থায় দেখতেন। এক দিন মাওলানা সাহেব দাওয়াত ও তাবলিগের খাতিরে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে বললেন, হে বুড়ি! সারা দিন চরকা ঘুরিয়ে শুধু সুতোই কাটো, আল্লাহতায়ালার কোনো খবর কি রাখো? বুড়ি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমার আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সারা বিশে^র শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। স্বীয় অস্তিত্বে তিনি একক, তার সমকক্ষ কেউ নেই।
এবার মাওলানা সাহেব বললেন, হে বুড়ি তুমি যে দাবি করেছো আল্লাহ আছেন, তোমার কাছে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? নাকি এমনিতেই শুনে শুনে বলে দিয়েছো?
বুড়ি উত্তর দিলেন, বেটা! এমনিতেই বলিনি, আমার কাছেই এর প্রমাণ আছে। এই বলে বুড়ি হাত দিয়ে চরকা ঘুরিয়ে হঠাৎ হাত সরিয়ে নিলে চরকা বন্ধ হয়ে যায়। বুড়ি এ দৃশ্য দেখিয়ে মাওলনা সাহেবকে বললেন, সামান্য একটা চরকা যদি আমি না চালালে চলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এত বিশাল সৃষ্টি কেউ না কেউ তো অবশ্যই চালাচ্ছেন। না হলে কি এই সৃষ্টিজগৎ চলত? যে সৃষ্টিজগতে অগণিত নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য অসংখ্য সৃষ্টি বস্তু যার যার কাজে সদা ব্যস্ত, এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে, এ জগতের পরিচালনাকরী একজন আছেন। তিনিই আমার আল্লাহ, তিনিই আমার মাবুদ।
বিত্র কোরআনও তাই বলে। আল্লাহতায়ালা এক ও একক। তার কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া যা কিছু আছে, সবকিছু তারই সৃষ্টি। তাই সমগ্র সৃষ্টি তারই দাসত্ব করবে। পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহতায়ালাই। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
অতএব, ইবাদত করতে হবে শুধু এক আল্লাহর। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহতায়ালার একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তার পরিচয় ও গুণাবলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ইবাদত তাওহীদ জানা ও মানা
তাওহীদ জানুন এবং মান্য করুন
0 notes