#bangla lecture
Explore tagged Tumblr posts
Text
#বাংলা ওয়াজ#শায়খ আহমাদুল্লাহ#নতুন ওয়াজ#bangla lecture#islamic waz#islamic#hajj live 2022#tilawat quran#valobasar dua o amol#ayatul kursi#namaz#imam mahdi#bangla islamic waz#sheikh ahmadullah#শাইখ আহমাদুল্লাহ#waz#quran#roja#islam#salat#প্রশ্নোত্তর পর্ব#prosnottor#shaikh ahmadullah live#owaz#azan#hajj 2022#quran tilawat#আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন#নির্বাচিত প্রশ্নোত্তর#সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্ব
2 notes
·
View notes
Video
youtube
পদ্মা মেঘনা যমুনার তীরে | ইসলামী সংগীত | আল হেলাল ক্যাডেট মাদরাসা |pod...
#youtube#padma meghna jomunar tirepadma meghna jamunar tirepodma meghnanew gojol padma meghna jamunar tireei padma ei meghna ei jamunapodda megna jom#Introducing the latest addition to our collection of religious lectures the Bangla New Waz featuring renowned speakers Israfil Alom Helali a
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান ��েকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
ঈমান ও আকিদা
Faith and Creed
Aqeedah
#ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন#Purify faith and belief.#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দি�� অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে ��ুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
youtube
youtube
youtube
youtube
ইমান বলতে কি বুঝায়?
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
ইসলামে ঈমান কি?
“ঈমানের শর্ত হল আপনি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাদের উপর এবং তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর নবীগণের উপর এবং শেষ দিনে বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং আল্লাহর ভাল বা মন্দের (আল্লাহর হুকুম) নির্ধারণে বিশ্বাস রাখবেন ”। (মুসলিম)
ইসলামে ঈমানের অবস্থান কি?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে তাঁকে ছাড়া অন্য যা কিছু উপাসনা করা হয় তা মিথ্যা উপাসনা । এর অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীতে বিশ্বাস করা যেভাবে কুরআন ও সুন্নাহ (নবী মুহাম্মদের শিক্ষা) মধ্যে শেখানো হয়েছে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলী রয়েছে যা শুধুমাত্র তাঁরই।
আকিদার সমার্থক শব্দ কি?
আকিদা (আল্-আকিদাহ ; বহুবচন: العقائد–আল-আকা'ইদ ), যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত, হল একটি ইসলামি পরিভাষা, যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ইমান ও আকিদা।
ঈমান ও আকিদা কি এক?
আকিদাহ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বাইরে যায় এবং এটি একজন সাধারণ মুসলমানের ধর্মীয় নির্দেশের অংশ নাও হতে পারে। প্রায়ই "মানব ব্যাখ্যা বা সূত্র" ব্যবহার করে এটিকে "ইমানের দিকগুলি গ্রহণ এবং এটিকে একটি বিশদ স্তরে প্রসারিত করার" ক্ষেত্রে ইমান থেকে আলাদা করা হয়েছে ।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?
আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামের ছয়টি প্রধান বিশ্বাস
নিম্নলিখিত ছয়টি বিশ্বাস হল যেগুলি সাধারণত মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়, যেমনটি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ঈশ্বরের একত্ববাদে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর হলেন সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং ঈশ্বর সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। ঈশ্বরের কোন বংশ নেই, কোন জাতি নেই, কোন লিঙ্গ নেই, কোন দেহ নেই এবং মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
ঈশ্বরের ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : মুসলমানরা ফেরেশতাদের বিশ্বাস করে, অদেখা সত্তা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং মহাবিশ্ব জুড়ে ঈশ্বরের আদেশ পালন করে। ফেরেশতা জিব্রাইল নবীদের কাছে ঐশী ওহী নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরের কিতাবগুলিতে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর পবিত্র গ্রন্থ বা ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের অনেক বার্তাবাহকের কাছে প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন (মুহাম্মদকে দেওয়া), তাওরাত (মূসাকে দেওয়া), গসপেল (যীশুকে দেওয়া), গীতসংহিতা (ডেভিডকে দেওয়া) এবং স্ক্রলগুলি (আব্রাহিমকে দেওয়া)। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থগুলি তাদের আসল আকারে ঐশ্বরিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, তবে কেবলমাত্র কুরআনই রয়ে গেছে যেমনটি প্রথম নবী মুহাম্মদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈশ্বরের নবী বা রসূলদের প্রতি বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, ইতিহাস জুড়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা মানবজাতির কাছে বিশেষভাবে নিযুক্ত বার্তাবাহক বা নবীদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, প্রথম মানুষ আদম থেকে শুরু করে, যিনি প্রথম নবী হিসাবে বিবেচিত হন। নূহ, আব্রাহাম, মূসা এবং যীশু সহ এই পঁচিশ জন নবীর নাম কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে নবীদের এই সারিতে মুহাম্মদই শেষ, ইসলামের বার্তা দিয়ে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
বিচার দিবসে বিশ্বাস : মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে বিচারের দিন, মানুষের এই জীবনে তাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে; যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করে তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে; যারা ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
ঐশ্বরিক আদেশে বিশ্বাস : বিশ্বাসের এই নিবন্ধটি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রশ্নকে সম্বোধন করে। এটি এই বিশ্বাস হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে যে সবকিছু ঐশ্বরিক আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা পূর্বনির্ধারিত, এবং বিশ্বাসীদের উচিত কৃতজ্ঞতা বা ধৈর্যের সাথে তাদের উপর আসা ভাল বা খারাপের প্রতিক্রিয়া জানানো। এই ধারণাটি "স্বাধীন ইচ্ছা" ধারণাকে অস্বীকার করে না। যেহেতু মানুষের ঈশ্বরের আদেশ সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান নেই, তাই তাদের পছন্দের স্বাধীনতা আছে।
ঈমান ও আকিদা শুদ্ধ করুন
Purify faith and belief.
#Purify#Faith#Belief.#ঈমান#আকিদা#ঈমান ও আকিদা#Faith and Creed#Iman#Aqidah#Creed#Aqeedah#ইমান#আকিদাহ#Youtube
0 notes
Text
Navigate the Seas of Opportunities: A Guide to Landing Your Dream Bangladesh Govt Job
For many Bangladeshis, securing a government job represents stability, prestige, and a fulfilling career path. With numerous positions across diverse fields, the Bangladesh government sector offers a vast ocean of opportunities for qualified individuals. But navigating this vast landscape can be daunting. Fear not, aspiring candidates! This comprehensive guide equips you with the knowledge and tools to chart your course towards your dream Bangladesh government job.
1. Dive into the Depths: Exploring Job Categories
The Bangladesh government encompasses a multitude of ministries, departments, and organizations, each with its unique job requirements. Familiarize yourself with the diverse categories:
Civil Service: Encompassing administrative, managerial, and professional roles across various ministries.
Defense Services: Including positions in the Army, Navy, Air Force, and Border Guard Bangladesh.
Education: From teachers and lecturers to administrators in universities and schools.
Healthcare: Doctors, nurses, paramedics, and other medical professionals serving public hospitals and clinics.
Technical Fields: Engineers, IT specialists, scientists, and technicians contributing to infrastructure development and research.
Public Sector Enterprises: Opportunities in banks, telecommunication companies, and other government-owned entities.
2. Chart Your Course: Eligibility and Qualifications
Each job category has specific eligibility criteria, usually outlined in official job circulars. Meticulously review these documents to ensure you meet the educational qualifications, experience requirements, and age restrictions. Remember, some positions require specific examinations, like the Bangladesh Civil Service (BCS) exams for administrative roles.
3. Stay on Course: Job Search Resources
Several valuable resources can guide your job search:
Bangladesh Public Service Commission (BPSC) Website: The official portal for government job notifications and application procedures.
Ministry Websites: Individual ministries often publish job openings on their websites.
Online Job Boards: Platforms like BDJOBS and Alljobs by Teletalk aggregate government job postings.
Newspapers and Magazines: Job circulars are frequently published in national and regional newspapers.
4. Navigate the Currents: Application Process
Once you identify a suitable position, carefully follow the application process outlined in the job circular. This typically involves:
Online Application: Most government jobs require online applications through designated portals.
Document Submission: Prepare and submit the required documents, including certificates, transcripts, and experience letters.
Examinations: Some positions involve written tests or competitive examinations.
Interview: Shortlisted candidates are usually called for interviews to assess their suitability.
5. Weather the Storms: Stay Updated and Persistent
The government job application process can be competitive and time-consuming. Stay updated on new job openings, diligently prepare for examinations, and don't be discouraged by setbacks. Persistence and a well-honed skillset are key to success.
Remember:
Stay informed: Regularly check job boards and relevant websites for new opportunities.
Network: Build connections with individuals working in your desired field.
Seek guidance: Consider professional guidance or coaching to enhance your application and interview skills.
With dedication, preparation, and the right resources, you can navigate the vast ocean of Bangladesh government jobs and land your dream position. So, set sail, equip yourself with knowledge, and chart your course towards a fulfilling career in the public sector!
0 notes
Video
youtube
Quran and Bible in the Light of Science Full Lecture Bangla। ডক্টর জাকির...
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে ��র্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার ক��নো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর ক���ে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান কর���ে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes