#Qur'an3:103
Explore tagged Tumblr posts
Text
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'স��্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ���েছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অন��ক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
#Unity#Muslim#Ummah#ঐক্য#মুসলিম#উম্মাহ#মুসলিমউম্মাহ#OneUmmah#UnitedMuslim#Muslims#একতা#মুসলমান#MuslimUmmah#Stand by#Palestine#Hamas#gaza#Israel VS Palestine#SurahAleImran103#Qur'an3:103#Unity of the Muslim Ummah#UnityofUmmah#Youtube
1 note
·
View note
Text
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের ম��্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
#Unity#Muslim#Ummah#ঐক্য#মুসলিম#উম্মাহ#মুসলিমউম্মাহ#OneUmmah#UnitedMuslim#Muslims#একতা#মুসলমান#MuslimUmmah#Stand by#Palestine#Hamas#gaza#Israel VS Palestine#SurahAleImran103#Qur'an3:103#Unity of the Muslim Ummah#UnityofUmmah#Youtube
0 notes
Text
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
#Unity#Muslim#Ummah#ঐক্য#মুসলিম#উম্মাহ#মুসলিমউম্মাহ#OneUmmah#UnitedMuslim#Muslims#একতা#মুসলমান#MuslimUmmah#Stand by#Palestine#Hamas#gaza#Israel VS Palestine#SurahAleImran103#Qur'an3:103#Unity of the Muslim Ummah#UnityofUmmah#Youtube
0 notes
Text
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্���াহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
#Unity#Muslim#Ummah#ঐক্য#মুসলিম#উম্মাহ#মুসলিমউম্মাহ#OneUmmah#UnitedMuslim#Muslims#একতা#মুসলমান#MuslimUmmah#Stand by#Palestine#Hamas#gaza#Israel VS Palestine#SurahAleImran103#Qur'an3:103#Unity of the Muslim Ummah#UnityofUmmah#Youtube
1 note
·
View note
Text
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা ���িদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
#Unity#Muslim#Ummah#ঐক্য#মুসলিম#উম্মাহ#মুসলিমউম্মাহ#OneUmmah#UnitedMuslim#Muslims#একতা#মুসলমান#MuslimUmmah#Stand by#Palestine#Hamas#gaza#Israel VS Palestine#SurahAleImran103#Qur'an3:103#Unity of the Muslim Ummah#UnityofUmmah#Youtube
0 notes
Text
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
#Unity#Muslim#Ummah#ঐক্য#মুসলিম#উম্মাহ#মুসলিমউম্মাহ#OneUmmah#UnitedMuslim#Muslims#একতা#মুসলমান#MuslimUmmah#Stand by#Palestine#Hamas#gaza#Israel VS Palestine#SurahAleImran103#Qur'an3:103#Unity of the Muslim Ummah#UnityofUmmah#Youtube
0 notes
Text
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
youtube
youtube
আল্লাহ্তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কিছু নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিষয়ে আয়াত
ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে আল্লাহতায়ালা ঐক্যবদ্ধ জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই’। কখনও বলেছেন-‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) আবার বলেছেন, ‘মুহাম্মদ সা.-এর সাথীরা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পর রহমদিল’। নিজেদের ঐক্য নষ্ট করে যারা পরস্পর দলাদলি করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে সূরা আল ইমরানের নিম্নোক্ত আয়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ‘তোমরা যেন তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে। সেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। যাদের চেহারা কালো হয়ে যাবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফুরি নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আজাবের স্বাদ গ্রহণ করো। আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং চিরকাল তারা এই অবস্থায় থাকবে। এগুলো আল্লাহর বাণী, তোমাকে যথাযথভাবে শুনিয়ে যাচ্ছি। কারণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি জুলুম করার কোন এরাদা আল্লাহর নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ১০৫-১০৮) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন- ‘এবং তোমাদের এ জাতি একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে, প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’ (সূরা মু’মিনুন : ৫২-৫৩) ‘যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ (সূরা আন’আম : ১৫৯)
তোমরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে (আল-কোরআন তথা আল্লাহর দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না।( সুরা আলে-ইমরান:১০৩) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জরুরী বিষয় ঐক্যের ভিত্তি হবে "হাবলুল্লাহ্''- ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। একমাত্র ইসলামই মানুষের জন্যে নির্ভুল জীবন-দর্শন ও জীবনাদর্শ। আল্লাহ এই জীবনাদর্শ প্রেরণ করেছেন পৃথিবীর বুকে এটিকে প্রবর্তিত ও বিজয়ী করতে এবং বিজয়ী রাখতে। আর এই কাজের জন্যে মুসলিমদের সর্বদা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকা চাই।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি হলো-
(ক) আকীদা বিশুদ্ধ করণ: আকীদা যেন শিরকমুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার তাকবওয়া অবলম্বন কর। (সূরা আল মু’মিনুন আয়াত নং ৫২)
বিশুদ্ধ আকীদা আন্তরিক ভালোবাসার সৃষ্টি করে, এবং হিংসা বিদ্বেষ বিদূরিত করে। পক্ষান্তরে আকীদা ও মা’বুদ ভিন্ন ভিন্ন হলে হিংসা বিদ্বেষ ও শক্রতা ছড়িয়ে পড়ে। কেননা প্রত্যেক আকীদা বিশ্বাস ও মা’বুদের অনুসারীরা নিজেদের আকীদা ও মা‘বুদ সমূহকে সত্য-সঠিক এবং বাকিগুলোকে বাতিল মনে করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সূরা ইউসুফ আয়াত ৩৯)
আকীদা গত মতানৈক্য মতপার্থক্য ও মতবিরোধের কারণেই জাহিলী যুগের আরব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও মর্যাদাহীন দুর্বল জাতি ছিল। এরপর তারাই যখন ইসলামে প্রবেশ করে তাদের আকীদা সংশোধন করলো তারা ঐক্যমতে উপনীত হলো এবং এক অভিন্ন দেশের নাগরিকে পরিণত হলো।
(খ) মুসলিম নেতার নির্দেশ শ্রবণ ও মান্য করণ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তাক্বওয়া অর্জন করা এবং তোমাদের জন্য কোন হাবশী গোলামকেও নেতা নিয়োগ দেয়া হলে তার নির্দেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করার ওছীয়ত করছি। কেননা তোমরা যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক মতানৈক্য লক্ষ্য করবে।[1]
শাসকদের পাপাচারকে কেন্দ্র করে অনেক মতানৈক্য হয়ে থাকে।
(গ) মতানৈক্য ও মতবিরোধের মূল্যেৎপাটনের জন্য কুরআন-সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করণ। আল্লাহ আ‘আলা বলেন,
অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করো যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা আন নিসা ৫৯)
সুতরাং কোন ব্যক্তির মতামত বা অভ্যাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যাবে না।
(ঘ) গোত্র বা সমাজের সদস্যদের মাঝে মতানৈক্য মতবিরোধ সৃষ্টি হলে তা সংশোধন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। (সূরা আল আনফাল ১)
(ঙ) দেশদ্রোহী ও খারিজীদেরকে হত্যা করা: যদি তারা সশস্ত্র হয় এবং মুসলিমদের মাঝে বিচ্ছ���দ সৃষ্টি করতে চায় অথবা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো। (সূরা আল হুজুরাত আয়াত নং ৯)
এজন্যই আমীরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি ত্বলিব (রা.) দেশদ্রোহী ও খারিজীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার উক্ত কাজকে মহৎ কাজ বলে গণ্য করা হয়।
[1]. সহীহ: আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৭৭৬ হাকিম ১/৯৬
youtube
youtube
youtube
youtube
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকার উপায়
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
Unity of the Muslim Ummah
#Unity#Muslim#Ummah#ঐক্য#মুসলিম#উম্মাহ#মুসলিমউম্মাহ#OneUmmah#UnitedMuslim#Muslims#একতা#মুসলমান#MuslimUmmah#Stand by#Palestine#Hamas#gaza#Israel VS Palestine#SurahAleImran103#Qur'an3:103#Unity of the Muslim Ummah#UnityofUmmah#Youtube
0 notes