#HiddenFaults
Explore tagged Tumblr posts
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়ে��্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসল��ান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম
youtube
youtube
কোনো মুসলমান ভাইয়ের দৃষ্টিতে অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো উক্ত দোষ-ত্রুটি গোপন করা, জনসম্মুখে প্রকাশ করে তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত না করা। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি হলো, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (স.) বলেছেন, 'এক মুমিন আরেক মুমিনের আয়না ও ভাই।
অপর মুসলিমের ব্যক্তিগত দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা
মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধান করা, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা, গোয়েন্দাগিরি করা খুবই গর্হিত কাজ।
আরেকজনকে খাটো করা বা হেয় করার উদ্দেশ্যে অনেকে লুকিয়ে আরেকজনের কথা শোনে, ঘরের ভেতর উঁকি দেয়, কম্পিউটার বা মোবাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং ফেসবুকের আইডি হ্যাক করে।
এগুলো এমন অপরাধ যা পরস্পরের সম্পর্ককে নষ্ট করে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্দেহ তৈরি করে।
দেশ, সমাজ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী গোয়েন্দাগিরি করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো ও তার মানুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, কবিরা গুনাহ।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু। (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)
ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে না তার উপর যুলম করতে পারে আর না তাকে শক্রর হাতে তুলে দিতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্ত��� কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিম ২৫৯০)
প্রকাশ্য অন্যায়ের জন্য পাকড়াও করা জায়েজ
রাষ্ট্র বিনা কারনে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে।
যায়িদ ইবনু ওয়াহব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তিকে ইবনু মাসঊদ (রা.)-এর নিকট এনে বলা হলো, এই সেই লোক যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। আব্দুল্লাহ (রা.) বললেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরবো। (সুনান আবূ দাউদ ৪৮৯০)
দোষ অনুসন্ধানকারীর ভয়াবহ শাস্তি
কোনো ব্যক্তি যদি ওঁত পেতে আরেকজনের কথা শোনে; গোয়েন্দাগিরি করে তাহলে তার জন্য আছে পরকালে ভয়াবহ শাস্তি।
ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল যা সে দেখেনি তাকে দু’টি যবের দানায় গিট দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনও পারবে না। যে কেউ কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না অথবা বলেছেন, অথচ তারা তার থেকে পলায়নপর। কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন ৭০৪২)
আরেক হাদিসে এসেছে, ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে চিৎকার দিয়ে বললেন: হে ওই লোকসকল, যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান মাজবুত হয় নি। তোমরা মুসলিমদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে লিপ্ত হবে না।
কেননা, যে লোক তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তা'আলা তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ তা'আলা প্রকাশ করে দিবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভিতরে অবস্থান করে থাকলেও। (তিরমিজী ২০৩২)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
অপ্রয়োজনে গোয়েন্দাগিরি নিষেধ:
রাষ্ট্র বিনা কারণে কারো দোষ অনুসন্ধান করলে, ব্যক্তির বাঁচার কোনো উপায় থাকে না। তবে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, তার পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা যাবে। জায়িদ ইবনে ওয়াহব (রহ.) বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তিকে ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এনে বলা হলো, এই সেই লোক, যার দাড়ি থেকে মদ টপকে পড়ছে। ’ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমাদের জন্য গোয়েন্দাগিরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি প্রকাশ্যে কোনো অন্যায় আমাদের সামনে ধরা পড়ে, তাহলে এর জন্য আমরা তাকে ধরব। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৯০)
অন্যের গোপন দোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলা���
Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.
#অন্যেরগোপনদোষ সন্ধান করতে নিষেধ করেছে ইসলাম#Islam Forbids Looking For The Hidden Faults of Others.#গোপনদোষ#HiddenFaults#Backbiting#গীবত#পরনিন্দা#পরচর্চা#Youtube
0 notes
Text
#DailyDevotion How Do You View The LORD's Instructions?
#DailyDevotion How Do You View The LORD's Instructions? Psalm 19 10We want them more than gold, more than plenty of fine gold. They're sweeter than honey, even when it flows from the honeycomb. 11Your servant gets light from them. If we keep them, we get a great reward. Here David sings about and praises the LORD for his instructions to us, the Torah, i.e. first five books of the bible. It's not all commandments. There is plenty of Gospel (what God has done, is doing and promises to do for you). Yet for the man that is born of God, even the commandments are a delight to him. This is a much shorter praise of the Torah than Psalm 119. The sentiment is the same. God's word, both Old and New Testament is something we should want more than gold and plenty of fine gold. Why is that? What do the scriptures say about gold (and all other worldly wealth)? 1 Peter writes, “7Gold is tested by fire, and your faith, when it is tested, should be found to be much more precious than gold, which perishes,” and “18knowing that you were freed from the worthless life you inherited from your fathers, not by a payment of silver or gold, which perish,...” Gold and worldly wealth perishes. 1 Peter also tells us, “25but the Lord's Word lives forever. This Word is the good news you have been told.” The Word of the LORD is sweeter than honey for those who fear the LORD and have faith in Jesus Christ. It lightens our hearts and enlightens them. For in this word, in these instructions (Torah) we see God's will for us, that it is good. He wants to save us and he wants us to be kept from the hardships of the world that always promise an easier, softer way, but it is not. Whatever commands God gives us, they are to make our life better. If we listen to them and do them we have a clean conscience. If we fail, we have the cross of Jesus Christ which will give us a clean and pure conscience before God. 12Who can know his unintentional errors? Cleanse me from hidden faults. 13Above all keep Your servant from proud sins; don't let them get control over me. Then I'll be blameless and innocent of any great wrong. 14May what I say please You and what I think be what you like, O LORD, my Rock and my Redeemer. Speaking of failing, we often sin and don't even realize it. We are often justified in our own eyes in what we do. Yet the LORD looks at our hearts and knows we have acted selfishly. Our flesh is so sinful at times it is blinded to its own state. We appeal to the LORD Jesus Christ to cleanse us from hidden faults. Not sins we keep hidden here, but sins that are hidden from us by our own spiritual blindness (we still ask Him to cleanse us from our faults we know about as well). On top of that, we need the LORD to keep us from proud sins, i.e. sinning when we know we are wrong in doing them but do them anyway. We pray here with David for the LORD to give us His Holy Spirit so we may will and do all that the LORD commands us. Only when the Holy Spirit cleanses us with the word of forgiveness and makes us His dwelling then we may say with David, “Then I'll be blameless and innocent of any great wrong.” We cannot do this by our own power and strength. Through participation in the Word and Sacraments of our LORD Jesus Christ do we know our hearts are pure before God, our conscience is clean at the judgment, and we will not go out and commit any great wrong. We ask Him to have our thinking and speaking be pleasing to the LORD, our Rock and Redeemer. Heavenly Father, give us your Holy Spirit so we may hear, listen, believe, speak and do your word in all our life. In Jesus' name we pray. Amen. Read the full article
#Christ#Christianity#devotion#faith#forgiveness#hiddenfaults#Instructions#Jesus#LCMS#Lutheran#Messiah#Prayer#sins#torah#WordofGod
0 notes