#সমাধান
Explore tagged Tumblr posts
yamindevblog · 10 months ago
Text
1 note · View note
basicunlimited · 4 days ago
Text
ওভার চার্জিংয়ে ব্যাটারি নষ্ট? ৩ টিপসে সমাধান | Overcharging? 3 Quick Fixes!
youtube
#ব্যাটারি_নষ্ট #ওভারচার্জিং_ব্যাটারি #মোবাইল_ব্যাটারি_টিপস #চার্জিং_সঠিক_নিয়ম #বাড়তি_চার্জ_প্রতিরোধ #BatteryCare #SmartphoneTips #BatteryMaintenance #OverchargingFix #TechTips
0 notes
quransunnahdawah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা দোহা - সব হতাশার সমাধান। 
সূরা দোহা আপনার হতাশাময় জীবন পাল্টে দিতে পারে...
youtube
 
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আদ দোহার শানে নুযুল
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার অসুস্থ হলেন। এ কারণে তিনি একরাত বা দু’রাত সালাত আদায়ের জন্য বের হলেন না। তখন এক মহিলা এসে বলল, মুহাম্মাদ আমি তো দেখছি তোমার শয়তান তোমাকে ত্যাগ করেছে, এক রাত বা দু রাত তো তোমার কাছেও আসেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সূরা নাজিল হয়। (বুখারি, হাদিস, ৪৯৫০, ৪৯৫১, ৪৯৮৩)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহী আসতে বিলম্ব হয়, এতে করে মুশরিকরা বলতে শুরু করে যে, মুহাম্মদকে তার আল্লাহ্ পরিত্যাগ করেছেন ও তার প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সূরা আদ-দুহা অবতীর্ণ হয়।  (মুসলিম, হাদিস, ১৭৯৭)
সূরা আদ দুহা
وَالضُّحٰی ۙ ١ وَالَّیۡلِ اِذَا سَ��ٰی ۙ ٢ مَا وَدَّعَکَ رَبُّکَ وَمَا قَلٰی ؕ ٣ وَلَلۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لَّکَ مِنَ الۡاُوۡلٰی ؕ ٤ وَلَسَوۡفَ یُعۡطِیۡکَ رَبُّکَ فَتَرۡضٰی ؕ ٥ اَلَمۡ یَجِدۡکَ یَتِیۡمًا فَاٰوٰی ۪ ٦ وَوَجَدَکَ ضَآلًّا فَہَدٰی ۪ ٧ وَوَجَدَکَ عَآئِلًا فَاَغۡنٰی ؕ ٨ فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡہَرۡ ؕ ٩ وَاَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡہَرۡ ؕ ١۰ وَاَمَّا بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ فَحَدِّثۡ ٪ ١١
সূরা আদ-দুহা বাংলা অনুবাদ
সকালের উজ্জ্বল আলোর শপথ, এবং রাতের, যখন তার অন্ধকার গভীর হয়। তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি নারাজও হননি। নিশ্চয়ই পরবর্তী সময় তোমার পক্ষে পূর্বের সময় অপেক্ষা শ্রেয়। অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে এত দেবেন যে, তুমি খুশী হয়ে যাবে। 
তিনি কি তোমাকে ইয়াতীম পাননি, অতঃপর তোমাকে আশ্রয় দিয়েছেন? এবং তোমাকে পেয়েছিলেন, পথ সম্পর্কে অনবহিত; অতঃপর তোমাকে পথ দেখিয়েছেন। এবং তোমাকে নিঃস্ব পেয়েছিলেন, অতঃপর (তোমাকে) ঐশ্বর্যশালী বানিয়ে দিলেন। 
সুতরাং যে ইয়াতীম, তুমি তার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করো না। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না। আর আপনি আপনার রবের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দিন।
সূরা দুহায় যে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে
এই সূরার শুরুতে দিনের আলো ও রাতের নীরবতা বা অন্ধকারের শপথ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হয়েছে, আপনার রব আপনাকে ভুলে যাননি এবং আপনার প্রতি শক্রতাও পোষণ করেননি। আয়াতে দিন ও রাতের শপথ করার কারণ সম্ভবত এই যে, রাতের নিঝুমতা ও অন্ধকারাচ্ছন্নতার পর দিনের আলোকমালায় উদ্ভাসিত হওয়ার মতই যেন বিরতির অন্ধকারের পর ওহী আগমনের আলো উদ্ভাসিত হয়েছে।
এরপর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত দিন দিন বেড়েই যাবে এবং প্রত্যেক প্রথম অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা উত্তম ও শ্রেয় হবে। এতে জ্ঞানগরিমা ও আল্লাহর নৈকট্যে উন্নতি লাভসহ জীবিকা এবং পার্থিব প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি সব অবস্থাই অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর রাসূলের জন্য আখেরাত তো দুনিয়া থেকে অনেক, অনেক বেশি উত্তম হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ছাটাইতে শোয়ার কারণে তার পার্শ্বদেশে ��াগ পড়ে গেল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, আমাদেরকে অনুমতি দিলে আমরা আপনার জন্য একটি কিছু তৈরী করে দিতাম যা আপনাকে এমন কষ্ট দেওয়া থেকে হেফাজত করত। 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার আর এ দুনিয়ার ব্যাপারটি কি? আমি ও দুনিয়ার উদাহরণ তো এমন যেমন কোন সওয়ারী কোন গাছের নীচে বিশ্রামের জন্য আশ্রয় নিল তারপর সেটা ছেড়ে চলে গেল। (ইবনে মাজাহ, ৪১০৯, মুসনাদে আহমাদ, ১/৩৯১)
এরপর বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এতো প্রাচুর্য দেবেন যে, তিনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। এতে কি দিবেন, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, প্রত্যেক কাম্যবস্তুই প্রচুর পরিমাণে দেবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাম্যবস্তুসমূহের মধ্যে ছিল ইসলাম ও কোরআনের উন্নতি, সারা বিশ্বে হিদায়াতের প্রসার, শত্রুর বিরুদ্ধে তার বিজয়লাভ, শত্রুদেশে ইসলামের কালেমা সমুন্নত করা ইত্যাদি। আর তার মৃত্যুর পর হাশরের ময়দানে ও জান্নাতেও তাকে আল্লাহ তায়ালা অনেক অনুগ্রহ দান করবেন।
সুরা দুহা: ৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা দুহা কোরআনের ৯৩তম সুরা, এটি মক্কায় অবতীর্ণ, এর আয়াত সংখ্যা ১১টি, রুকু সংখ্যা ১টি। এ সুরাটি নাজিল হওয়ার আগে বেশ কিছুদিন কুরআন নাজিল হওয়া ও ওহী আসা বন্ধ ছিল। নবিজি এ কারণে খুবই অস্থির ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন তার কোনো ভুলের কারণে আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সুরা দুহা নাজিল করে আল্লাহ নিশ্চিত করেন, তিনি নবিজির ওপর অসন্তুষ্ট হননি বা তাকে ত্যাগও করেননি।
সুরা দুহা
(১) শপথ পূর্বাহ্নের, (২) শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়, (৩) তোমার রব আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরুপও হননি। (৪) অবশ্যই তোমার পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে উত্তম। (৫) অচিরেই তোমার রব তোমাকে দান করবেন, ফলে তুমি সন্তুষ্ট হবে। (৬) তিনি কি তোমাকে এতিম অবস্থায় পাননি? তারপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। (৭) তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, তারপর পথ দেখিয়েছেন। (৮) তিনি তোমাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, তারপর অভাবমুক্ত করেছেন. (৯) সুতরাং তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না; (১০) ভিক্ষুককে ধমক দিও না, (১১) এবং তোমার রবের নেয়ামতের কথা বর্ণনা করো।
৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন বিপদাপদ, বালা মসিবত আসবেই, বিপদের সময় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। দুনিয়ার কষ্টের প্রতিদান দুনিয়াতেই বা আখেরাতে আপনি পাবেন এই বিশ্বাস রাখুন।
২. আপনার ওপর আল্লাহর যে বহু অনুগ্রহ ও নেয়ামত আছে, অত��তে আল্লাহ যে বিভিন্নভাবে আপনাকে সম্মানিত ও সমৃদ্ধ করেছেন, বিপদের সময় সেগুলোর কথা বেশি বেশি স্মরণ করুন এবং আল্লাহর শোকর আদায় করুন, ধৈর্যধারণ করুন।
৩. আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও অগণিত নেয়ামতের কথা স্মরণ করে আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্যে নিজেকে সমর্পন করুন; তার নির্দেশগুলো পালন করুন, নিষেধগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৪. অসহায়, এতিম, ভিক্ষুক ও দরিদ্র মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করুন। তাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। সাহায্য করতে না পারলেও সুন্দরভাবে বিদায় দিন। ধমক দিয়ে কথা বলবেন না. খারাপ ব্যবহার করবেন না।
৫. আল্লাহ নেয়ামত দান করলে কথা, কাজ ও বেশভূষায় তা প্রকাশ করুন। আল্লাহ সমৃদ্ধি ও সচ্ছলতা দান করার পরও দরিদ্রের বেশ ধারণ করবেন না, দরিদ্রের মতো আচরণ করবেন না, কৃপণতা করবেন না।
অনাথ ও দরিদ্রের প্রতি কোমলতা সুরা দোহার শিক্ষা
সুরা দোহা অর্থ মধ্যস্থ রশ্মি। এটি পবিত্র কোরআনের ৯৩তম সুরা এবং মক্কায় অবতীর্ণ। এর ১ রুকু, ১১ আয়াত। একবার কিছুদিন ঐশী বাণী বন্ধ থাকায় মুহাম্মদ (সা.) বিমর্ষ হয়ে পড়লে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলা হয় তাঁকে পরিত্যাগ করা হয়নি।
যে অনাথ ছিল তাকে আশ্রয়, যে ভুল পথে ছিল তাকে পথের হদিস এবং যে অভাবী ছিল তাকে অভাবমুক্ত করা হয়। পিতৃহীন ও সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি কঠোর না হয়ে সুরাটিতে আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ণন��� করতে বলা হয়েছে।
মুহাম্মদ (সা.)–এর ওপর কিছুদিন আল কোরআন নাজিল হওয়া বন্ধ ছিল। তখন অবিশ্বাসীরা ঠাট্টা- বিদ্রূপ করতে শুরু করে বলতে লাগল, আজ কিছু নাজিল হয়নি? আসলে আল্লাহ তোমাকে পরিত্যাগ করেছেন, তোমার ওপর অখুশি হয়েছেন। এতে মুহাম্মদ (সা.) কিছুটা বিচলিত ও মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন। মনের কোণে হয়তো এমন চিন্তাও উঁকি দিয়েছিল যে, তাঁর কোনো ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো? সেই সময়েই সুরা আদ দোহা নাজিল হয় মুহাম্মদ (সা.)–কে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এবং কঠিন সময়ে আশার বাণী এবং শক্তি জোগানোর জন্য।
সুরা দোহার সারকথা
এ সুরার শুরুতে প্রথম আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘শপথ দিনের প্রথম প্রহরের!’ দোহা বলতে এমন একটা সময় বোঝায় যখন দিনের কর্মব্যস্ততা শুরু হয় এবং সূর্যের আলোও প্রখর নয়। দ্বিতীয় আয়াতে ‘আর শপথ রাত্রির যখন তা আচ্ছন্ন করে!’ ‘লাইল’ বলতে রাত বোঝায়। যখন তা গভীর ও নিঝুম হয়। তখন শান্তি ও বিশ্রাম নেয় মানুষ। সূর্যের আলোর উপস্থিতি দোহা ও অনুপস্থিতি লাইল এর মাধ্যমে ওহির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
তৃতীয় আয়াতে ‘তোমার প্রতিপালক তোমাকে ছেড়ে যাননি ও তোমার ওপর তিনি অসন্তুষ্ট নন।’ আল্লাহ সরাসরি নবীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি তাঁকে পরিত্যাগ করেননি বা তার কাজে অখুশি হয়ে বিরূপ হননি।
চতুর্থ ও পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমার জন্য পরকাল ইহকালের চেয়ে ভালো। তোমার প্রতিপালক তো তোমাকে অনুগ্রহ করবেনই, আর তুমিও সন্তুষ্ট হবে।’ উত্তম ভবিষ্যৎ ও সন্তোষজনক প্রতিদান এর আগাম সুসংবাদ জানিয়ে আরও প্রফুল্ল ও উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন
সব হতাশার সমাধান - সূরা দোহা
সূরা দোহা -সব হতাশার সমাধান
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা দোহা - সব হতাশার সমাধান। 
সূরা দোহা আপনার হতাশাময় জীবন পাল্টে দিতে পারে...
youtube
 
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আদ দোহার শানে নুযুল
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার অসুস্থ হলেন। এ কারণে তিনি একরাত বা দু’রাত সালাত আদায়ের জন্য বের হলেন না। তখন এক মহিলা এসে বলল, মুহাম্মাদ আমি তো দেখছি তোমার শয়তান তোমাকে ত্যাগ করেছে, এক রাত বা দু রাত তো তোমার কাছেও আসেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সূরা নাজিল হয়। (বুখারি, হাদিস, ৪৯৫০, ৪৯৫১, ৪৯৮৩)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহী আসতে বিলম্ব হয়, এতে করে মুশরিকরা বলতে শুরু করে যে, মুহাম্মদকে তার আল্লাহ্ পরিত্যাগ করেছেন ও তার প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সূরা আদ-দুহা অবতীর্ণ হয়।  (মুসলিম, হাদিস, ১৭৯৭)
সূরা আদ দুহা
وَالضُّحٰی ۙ ١ وَالَّیۡلِ اِذَا سَجٰی ۙ ٢ مَا وَدَّعَکَ رَبُّکَ وَمَا قَلٰی ؕ ٣ وَلَلۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لَّکَ مِنَ الۡاُوۡلٰی ؕ ٤ وَلَسَوۡفَ یُعۡطِیۡکَ رَبُّکَ فَتَرۡضٰی ؕ ٥ اَلَمۡ یَجِدۡکَ یَتِیۡمًا فَاٰوٰی ۪ ٦ وَوَجَدَکَ ضَآلًّا فَہَدٰی ۪ ٧ وَوَجَدَکَ عَآئِلًا فَاَغۡنٰی ؕ ٨ فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡہَرۡ ؕ ٩ وَاَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡہَرۡ ؕ ١۰ وَاَمَّا بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ فَحَدِّثۡ ٪ ١١
সূরা আদ-দুহা বাংলা অনুবাদ
সকালের উজ্জ্বল আলোর শপথ, এবং রাতের, যখন তার অন্ধকার গভীর হয়। তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি নারাজও হননি। নিশ্চয়ই পরবর্তী সময় তোমার পক্ষে পূর্বের সময় অপেক্ষা শ্রেয়। অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে এত দেবেন যে, তুমি খুশী হয়ে যাবে। 
তিনি কি তোমাকে ইয়াতীম পাননি, অতঃপর তোমাকে আশ্রয় দিয়েছেন? এবং তোমাকে পেয়েছিলেন, পথ সম্পর্কে অনবহিত; অতঃপর তোমাকে পথ দেখিয়েছেন। এবং তোমাকে নিঃস্ব পেয়েছিলেন, অতঃপর (তোমাকে) ঐশ্বর্যশালী বানিয়ে দিলেন। 
সুতরাং যে ইয়াতীম, তুমি তার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করো না। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না। আর আপনি আপনার রবের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দিন।
সূরা দুহায় যে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে
এই সূরার শুরুতে দিনের আলো ও রাতের নীরবতা বা অন্ধকারের শপথ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হয়েছে, আপনার রব আপনাকে ভুলে যাননি এবং আপনার প্রতি শক্রতাও পোষণ করেননি। আয়াতে দিন ও রাতের শপথ করার কারণ সম্ভবত এই যে, রাতের নিঝুমতা ও অন্ধকারাচ্ছন্নতার পর দিনের আলোকমালায় উদ্ভাসিত হওয়ার মতই যেন বিরতির অন্ধকারের পর ওহী আগমনের আলো উদ্ভাসিত হয়েছে।
এরপর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত দিন দিন বেড়েই যাবে এবং প্রত্যেক প্রথম অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা উত্তম ও শ্রেয় হবে। এতে জ্ঞানগরিমা ও আল্লাহর নৈকট্যে উন্নতি লাভসহ জীবিকা এবং পার্থিব প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি সব অবস্থাই অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর রাসূলের জন্য আখেরাত তো দুনিয়া থেকে অনেক, অনেক বেশি উত্তম হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ছাটাইতে শোয়ার কারণে তার পার্শ্বদেশে দাগ পড়ে গেল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, আমাদেরকে অনুমতি দিলে আমরা আপনার জন্য একটি কিছু তৈরী করে দিতাম যা আপনাকে এমন কষ্ট দেওয়া থেকে হেফাজত করত। 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার আর এ দুনিয়ার ব্যাপারটি কি? আমি ও দুনিয়ার উদাহরণ তো এমন যেমন কোন সওয়ারী কোন গাছের নীচে বিশ্রামের জন্য আশ্রয় নিল তারপর সেটা ছেড়ে চলে গেল। (ইবনে মাজাহ, ৪১০৯, মুসনাদে আহমাদ, ১/৩৯১)
এরপর বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এতো প্রাচুর্য দেবেন যে, তিনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। এতে কি দিবেন, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, প্রত্যেক কাম্যবস্তুই প্রচুর পরিমাণে দেবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাম্যবস্তুসমূহের মধ্যে ছিল ইসলাম ও কোরআনের উন্নতি, সারা বিশ্বে হিদায়াতের প্রসার, শত্রুর বিরুদ্ধে তার বিজয়লাভ, শত্রুদেশে ইসলামের কালেমা সমুন্নত করা ইত্যাদি। আর তার মৃত্যুর পর হাশরের ময়দানে ও জান্নাতেও তাকে আল্লাহ তায়ালা অনেক অনুগ্রহ দান করবেন।
সুরা দুহা: ৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা দুহা কোরআনের ৯৩তম সুরা, এটি মক্কায় অবতীর্ণ, এর আয়াত সংখ্যা ১১টি, রুকু সংখ্যা ১টি। এ সুরাটি নাজিল হওয়ার আগে বেশ কিছুদিন কুরআন নাজিল হওয়া ও ওহী আসা বন্ধ ছিল। নবিজি এ কারণে খুবই অস্থির ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন তার কোনো ভুলের কারণে আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সুরা দুহা নাজিল করে আল্লাহ নিশ্চিত করেন, তিনি নবিজির ওপর অসন্তুষ্ট হননি বা তাকে ত্যাগও করেননি।
সুরা দুহা
(১) শপথ পূর্বাহ্নের, (২) শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়, (৩) তোমার রব আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরুপও হননি। (৪) অবশ্যই তোমার পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে উত্তম। (৫) অচিরেই তোমার রব তোমাকে দান করবেন, ফলে তুমি সন্তুষ্ট হবে। (৬) তিনি কি তোমাকে এতিম অবস্থায় পাননি? তারপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। (৭) তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, তারপর পথ দেখিয়েছেন। (৮) তিনি তোমাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, তারপর অভাবমুক্ত করেছেন. (৯) সুতরাং তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না; (১০) ভিক্ষুককে ধমক দিও না, (১১) এবং তোমার রবের নেয়ামতের কথা বর্ণনা করো।
৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন বিপদাপদ, বালা মসিবত আসবেই, বিপদের সময় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। দুনিয়ার কষ্টের প্রতিদান দুনিয়াতেই বা আখেরাতে আপনি পাবেন এই বিশ্বাস রাখুন।
২. আপনার ওপর আল্লাহর যে বহু অনুগ্রহ ও নেয়ামত আছে, অতীতে আল্লাহ যে বিভিন্নভাবে আপনাকে সম্মানিত ও সমৃদ্ধ করেছেন, বিপদের সময় সেগুলোর কথা বেশি বেশি স্মরণ করুন এবং আল্লাহর শোকর আদায় করুন, ধৈর্যধারণ করুন।
৩. আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও অগণিত নেয়ামতের কথা স্মরণ করে আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্যে নিজেকে সমর্পন করুন; তার নির্দেশগুলো পালন করুন, নিষেধগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৪. অসহায়, এতিম, ভিক্ষুক ও দরিদ্র মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করুন। তাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। সাহায্য করতে না পারলেও সুন্দরভাবে বিদায় দিন। ধমক দিয়ে কথা বলবেন না. খারাপ ব্যবহার করবেন না।
৫. আল্লাহ নেয়ামত দান করলে কথা, কাজ ও বেশভূষায় তা প্রকাশ করুন। আল্লাহ সমৃদ্ধি ও সচ্ছলতা দান করার পরও দরিদ্রের বেশ ধারণ করবেন না, দরিদ্রের মতো আচরণ করবেন না, কৃপণতা করবেন না।
অনাথ ও দরিদ্রের প্রতি কোমলতা সুরা দোহার শিক্ষা
সুরা দোহা অর্থ মধ্যস্থ রশ্মি। এটি পবিত্র কোরআনের ৯৩তম সুরা এবং মক্কায় অবতীর্ণ। এর ১ রুকু, ১১ আয়াত। একবার কিছুদিন ঐশী বাণী বন্ধ থাকায় মুহাম্মদ (সা.) বিমর্ষ হয়ে পড়লে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলা হয় তাঁকে পরিত্যাগ করা হয়নি।
যে অনাথ ছিল তাকে আশ্রয়, যে ভুল পথে ছিল তাকে পথের হদিস এবং যে অভাবী ছিল তাকে অভাবমুক্ত করা হয়। পিতৃহীন ও সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি কঠোর না হয়ে সুরাটিতে আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ণনা করতে বলা হয়েছে।
মুহাম্মদ (সা.)–এর ওপর কিছুদিন আল কোরআন নাজিল হওয়া বন্ধ ছিল। তখন অবিশ্বাসীরা ঠাট্টা- বিদ্রূপ করতে শুরু করে বলতে লাগল, আজ কিছু নাজিল হয়নি? আসলে আল্লাহ তোমাকে পরিত্যাগ করেছেন, তোমার ওপর অখুশি হয়েছেন। এতে মুহাম্মদ (সা.) কিছুটা বিচলিত ও মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন। মনের কোণে হয়তো এমন চিন্তাও উঁকি দিয়েছিল যে, তাঁর কোনো ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো? সেই সময়েই সুরা আদ দোহা নাজিল হয় মুহাম্মদ (সা.)–কে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এবং কঠিন সময়ে আশার বাণী এবং শক্তি জোগানোর জন্য।
সুরা দোহার সারকথা
এ সুরার শুরুতে প্রথম আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘শপথ দিনের প্রথম প্রহরের!’ দোহা বলতে এমন একটা সময় বোঝায় যখন দিনের কর্মব্যস্ততা শুরু হয় এবং সূর্যের আলোও প্রখর নয়। দ্বিতীয় আয়াতে ‘আর শপথ রাত্রির যখন তা আচ্ছন্ন করে!’ ‘লাইল’ বলতে রাত বোঝায়। যখন তা গভীর ও নিঝুম হয়। তখন শান্তি ও বিশ্রাম নেয় মানুষ। সূর্যের আলোর উপস্থিতি দোহা ও অনুপস্থিতি লাইল এর মাধ্যমে ওহির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
তৃতীয় আয়াতে ‘তোমার প্রতিপালক তোমাকে ছেড়ে যাননি ও তোমার ওপর তিনি অসন্তুষ্ট নন।’ আল্লাহ সরাসরি নবীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি তাঁকে পরিত্যাগ করেননি বা তার কাজে অখুশি হয়ে বিরূপ হননি।
চতুর্থ ও পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমার জন্য পরকাল ইহকালের চেয়ে ভালো। তোমার প্রতিপালক তো তোমাকে অনুগ্রহ করবেনই, আর তুমিও সন্তুষ্ট হবে।’ উত্তম ভবিষ্যৎ ও সন্তোষজনক প্রতিদান এর আগাম সুসংবাদ জানিয়ে আরও প্রফুল্ল ও উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন
সব হতাশার সমাধান - সূরা দোহা
সূরা দোহা -সব হতাশার সমাধান
0 notes
ilyforallahswt · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা দোহা - সব হতাশার সমাধান। 
সূরা দোহা আপনার হতাশাময় জীবন পাল্টে দিতে পারে...
youtube
 
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আদ দোহার শানে নুযুল
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার অসুস্থ হলেন। এ কারণে তিনি একরাত বা দু’রাত সালাত আদায়ের জন্য বের হলেন না। তখন এক মহিলা এসে বলল, মুহাম্মাদ আমি তো দেখছি তোমার শয়তান তোমাকে ত্যাগ করেছে, এক রাত বা দু রাত তো তোমার কাছেও আসেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সূরা নাজিল হয়। (বুখারি, হাদিস, ৪৯৫০, ৪৯৫১, ৪৯৮৩)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহী আসতে বিলম্ব হয়, এতে করে মুশরিকরা বলতে শুরু করে যে, মুহাম্মদকে তার আল্লাহ্ পরিত্যাগ করেছেন ও তার প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সূরা আদ-দুহা অবতীর্ণ হয়।  (মুসলিম, হাদিস, ১৭৯৭)
সূরা আদ দুহা
وَالضُّحٰی ۙ ١ وَالَّیۡلِ اِذَا سَجٰی ۙ ٢ مَا وَدَّعَکَ رَبُّکَ وَمَا قَلٰی ؕ ٣ وَلَلۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لَّکَ مِنَ الۡاُوۡلٰی ؕ ٤ وَلَسَوۡفَ یُعۡطِیۡکَ رَبُّکَ فَتَرۡضٰی ؕ ٥ اَلَمۡ یَجِدۡکَ یَتِیۡمًا فَاٰوٰی ۪ ٦ وَوَجَدَکَ ضَآلًّا فَہَدٰی ۪ ٧ وَوَجَدَکَ عَآئِلًا فَاَغۡنٰی ؕ ٨ فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡہَرۡ ؕ ٩ وَاَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡہَرۡ ؕ ١۰ وَاَمَّا بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ فَحَدِّثۡ ٪ ١١
সূরা আদ-দুহা বাংলা অনুবাদ
সকালের উজ্জ্বল আলোর শপথ, এবং রাতের, যখন তার অন্ধকার গভীর হয়। তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি নারাজও হননি। নিশ্চয়ই পরবর্তী সময় তোমার পক্ষে পূর্বের সময় অপেক্ষা শ্রেয়। অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে এত দেবেন যে, তুমি খুশী হয়ে যাবে। 
তিনি কি তোমাকে ইয়াতীম পাননি, অতঃপর তোমাকে আশ্রয় দিয়েছেন? এবং তোমাকে পেয়েছিলেন, পথ সম্পর্কে অনবহিত; অতঃপর তোমাকে পথ দেখিয়েছেন। এবং তোমাকে নিঃস্ব পেয়েছিলেন, অতঃপর (তোমাকে) ঐশ্বর্যশালী বানিয়ে দিলেন। 
সুতরাং যে ইয়াতীম, তুমি তার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করো না। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না। আর আপনি আপনার রবের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দিন।
সূরা দুহায় যে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে
এই সূরার শুরুতে দিনের আলো ও রাতের নীরবতা বা অন্ধকারের শপথ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হয়েছে, আপনার রব আপনাকে ভুলে যাননি এবং আপনার প্রতি শক্রতাও পোষণ করেননি। আয়াতে দিন ও রাতের শপথ করার কারণ সম্ভবত এই যে, রাতের নিঝুমতা ও অন্ধকারাচ্ছন্নতার পর দিনের আলোকমালায় উদ্ভাসিত হওয়ার মতই যেন বিরতির অন্ধকারের পর ওহী আগমনের আলো উদ্ভাসিত হয়েছে।
এরপর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত দিন দিন বেড়েই যাবে এবং প্রত্যেক প্রথম অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা উত্তম ও শ্রেয় হবে। এতে জ্ঞানগরিমা ও আল্লাহর নৈকট্যে উন্নতি লাভসহ জীবিকা এবং পার্থিব প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি সব অবস্থাই অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর রাসূলের জন্য আখেরাত তো দুনিয়া থেকে অনেক, অনেক বেশি উত্তম হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ছাটাইতে শোয়ার কারণে তার পার্শ্বদেশে দাগ পড়ে গেল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, আমাদেরকে অনুমতি দিলে আমরা আপনার জন্য একটি কিছু তৈরী করে দিতাম যা আপনাকে এমন কষ্ট দেওয়া থেকে হেফাজত করত। 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার আর এ দুনিয়ার ব্যাপারটি কি? আমি ও দুনিয়ার উদাহরণ তো এমন যেমন কোন সওয়ারী কোন গাছের নীচে বিশ্রামের জন্য আশ্রয় নিল তারপর সেটা ছেড়ে চলে গেল। (ইবনে মাজাহ, ৪১০৯, মুসনাদে আহমাদ, ১/৩৯১)
এরপর বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এতো প্রাচ��র্য দেবেন যে, তিনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। এতে কি দিবেন, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, প্রত্যেক কাম্যবস্তুই প্রচুর পরিমাণে দেবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাম্যবস্তুসমূহের মধ্যে ছিল ইসলাম ও কোরআনের উন্নতি, সারা বিশ্বে হিদায়াতের প্রসার, শত্রুর বিরুদ্ধে তার বিজয়লাভ, শত্রুদেশে ইসলামের কালেমা সমুন্নত করা ইত্যাদি। আর তার মৃত্যুর পর হাশরের ময়দানে ও জান্নাতেও তাকে আল্লাহ তায়ালা অনেক অনুগ্রহ দান করবেন।
সুরা দুহা: ৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা দুহা কোরআনের ৯৩তম সুরা, এটি মক্কায় অবতীর্ণ, এর আয়াত সংখ্যা ১১টি, রুকু সংখ্যা ১টি। এ সুরাটি নাজিল হওয়ার আগে বেশ কিছুদিন কুরআন নাজিল হওয়া ও ওহী আসা বন্ধ ছিল। নবিজি এ কারণে খুবই অস্থির ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন তার কোনো ভুলের কারণে আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সুরা দুহা নাজিল করে আল্লাহ নিশ্চিত করেন, তিনি নবিজির ওপর অসন্তুষ্ট হননি বা তাকে ত্যাগও করেননি।
সুরা দুহা
(১) শপথ পূর্বাহ্নের, (২) শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়, (৩) তোমার রব আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরুপও হননি। (৪) অবশ্যই তোমার পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে উত্তম। (৫) অচিরেই তোমার রব তোমাকে দান করবেন, ফলে তুমি সন্তুষ্ট হবে। (৬) তিনি কি তোমাকে এতিম অবস্থায় পাননি? তারপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। (৭) তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, তারপর পথ দেখিয়েছেন। (৮) তিনি তোমাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, তারপর অভাবমুক্ত করেছেন. (৯) সুতরাং তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না; (১০) ভিক্ষুককে ধমক দিও না, (১১) এবং তোমার রবের নেয়ামতের কথা বর্ণনা করো।
৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন বিপদাপদ, বালা মসিবত আসবেই, বিপদের সময় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। দুনিয়ার কষ্টের প্রতিদান দুনিয়াতেই বা আখেরাতে আপনি পাবেন এই বিশ্বাস রাখুন।
২. আপনার ওপর আল্লাহর যে বহু অনুগ্রহ ও নেয়ামত আছে, অতীতে আল্লাহ যে বিভিন্নভাবে আপনাকে সম্মানিত ও সমৃদ্ধ করেছেন, বিপদের সময় সেগুলোর কথা বেশি বেশি স্মরণ করুন এবং আল্লাহর শোকর আদায় করুন, ধৈর্যধারণ করুন।
৩. আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও অগণিত নেয়ামতের কথা স্মরণ করে আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্যে নিজেকে সমর্পন করুন; তার নির্দেশগুলো পালন করুন, নিষেধগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৪. অসহায়, এতিম, ভিক্ষুক ও দরিদ্র মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করুন। তাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। সাহায্য করতে না পারলেও সুন্দরভাবে বিদায় দিন। ধমক দিয়ে কথা বলবেন না. খারাপ ব্যবহার করবেন না।
৫. আল্লাহ নেয়ামত দান করলে কথা, কাজ ও বেশভূষায় তা প্রকাশ করুন। আল্লাহ সমৃদ্ধি ও সচ্ছলতা দান করার পরও দরিদ্রের বেশ ধারণ করবেন না, দরিদ্রের মতো আচরণ করবেন না, কৃপণতা করবেন না।
অনাথ ও দরিদ্রের প্রতি কোমলতা সুরা দোহার শিক্ষা
সুরা দোহা অর্থ মধ্যস্থ রশ্মি। এটি পবিত্র কোরআনের ৯৩তম সুরা এবং মক্কায় অবতীর্ণ। এর ১ রুকু, ১১ আয়াত। একবার কিছুদিন ঐশী বাণী বন্ধ থাকায় মুহাম্মদ (সা.) বিমর্ষ হয়ে পড়লে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলা হয় তাঁকে পরিত্যাগ করা হয়নি।
যে অনাথ ছিল তাকে আশ্রয়, যে ভুল পথে ছিল তাকে পথের হদিস এবং যে অভাবী ছিল তাকে অভাবমুক্ত করা হয়। পিতৃহীন ও সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি কঠোর না হয়ে সুরাটিতে আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ণনা করতে বলা হয়েছে।
মুহাম্মদ (সা.)–এর ওপর কিছুদিন আল কোরআন নাজিল হওয়া বন্ধ ছিল। তখন অবিশ্বাসীরা ঠাট্টা- বিদ্রূপ করতে শুরু করে বলতে লাগল, আজ কিছু নাজিল হয়নি? আসলে আল্লাহ তোমাকে পরিত্যাগ করেছেন, তোমার ওপর অখুশি হয়েছেন। এতে মুহাম্মদ (সা.) কিছুটা বিচলিত ও মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন। মনের কোণে হয়তো এমন চিন্তাও উঁকি দিয়েছিল যে, তাঁর কোনো ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো? সেই সময়েই সুরা আদ দোহা নাজিল হয় মুহাম্মদ (সা.)–কে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এবং কঠিন সময়ে আশার বাণী এবং শক্তি জোগানোর জন্য।
সুরা দোহার সারকথা
এ সুরার শুরুতে প্রথম আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘শপথ দিনের প্রথম প্রহরের!’ দোহা বলতে এমন একটা সময় বোঝায় যখন দিনের কর্মব্যস্ততা শুরু হয় এবং সূর্যের আলোও প্রখর নয়। দ্বিতীয় আয়াতে ‘আর শপথ রাত্রির যখন তা আচ্ছন্ন করে!’ ‘লাইল’ বলতে রাত বোঝায়। যখন তা গভীর ও নিঝুম হয়। তখন শান্তি ও বিশ্রাম নেয় মানুষ। সূর্যের আলোর উপস্থিতি দোহা ও অনুপস্থিতি লাইল এর মাধ্যমে ওহির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
তৃতীয় আয়াতে ‘তোমার প্রতিপালক তোমাকে ছেড়ে যাননি ও তোমার ওপর তিনি অসন্তুষ্ট নন।’ আল্লাহ সরাসরি নবীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি তাঁকে পরিত্যাগ করেননি বা তার কাজে অখুশি হয়ে বিরূপ হননি।
চতুর্থ ও পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমার জন্য পরকাল ইহকালের চেয়ে ভালো। তোমার প্রতিপালক তো তোমাকে অনুগ্রহ করবেনই, আর তুমিও সন্তুষ্ট হবে।’ উত্তম ভবিষ্যৎ ও সন্তোষজনক প্রতিদান এর আগাম সুসংবাদ জানিয়ে আরও প্রফুল্ল ও উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন
সব হতাশার সমাধান - সূরা দোহা
সূরা দোহা -সব হতাশার সমাধান
0 notes
myreligionislam · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা দোহা - সব হতাশার সমাধান। 
সূরা দোহা আপনার হতাশাময় জীবন পাল্টে দিতে পারে...
youtube
 
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আদ দোহার শানে নুযুল
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার অসুস্থ হলেন। এ কারণে তিনি একরাত বা দু’রাত সালাত আদায়ের জন্য বের হলেন না। তখন এক মহিলা এসে বলল, মুহাম্মাদ আমি তো দেখছি তোমার শয়তান তোমাকে ত্যাগ করেছে, এক রাত বা দু রাত তো তোমার কাছেও আসেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সূরা নাজিল হয়। (বুখারি, হাদিস, ৪৯৫০, ৪৯৫১, ৪৯৮৩)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহী আসতে বিলম্ব হয়, এতে করে মুশরিকরা বলতে শুরু করে যে, মুহাম্মদকে তার আল্লাহ্ পরিত্যাগ করেছেন ও তার প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সূরা আদ-দুহা অবতীর্ণ হয়।  (মুসলিম, হাদিস, ১৭৯৭)
সূরা আদ দুহা
وَالضُّحٰی ۙ ١ وَالَّیۡلِ اِذَا سَجٰی ۙ ٢ مَا وَدَّعَکَ رَبُّکَ وَمَا قَلٰی ؕ ٣ وَلَلۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لَّکَ مِنَ الۡاُوۡلٰی ؕ ٤ وَلَسَوۡفَ یُعۡطِیۡکَ رَبُّکَ فَتَرۡضٰی ؕ ٥ اَلَمۡ یَجِدۡکَ یَتِیۡمًا فَاٰوٰی ۪ ٦ وَوَجَدَکَ ضَآلًّا فَہَدٰی ۪ ٧ وَوَجَدَکَ عَآئِلًا فَاَغۡنٰی ؕ ٨ فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡہَرۡ ؕ ٩ وَاَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡہَرۡ ؕ ١۰ وَاَمَّا بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ فَحَدِّثۡ ٪ ١١
সূরা আদ-দুহা বাংলা অনুবাদ
সকালের উজ্জ্বল আলোর শপথ, এবং রাতের, যখন তার অন্ধকার গভীর হয়। তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি নারাজও হননি। নিশ্চয়ই পরবর্তী সময় তোমার পক্ষে পূর্বের সময় অপেক্ষা শ্রেয়। অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে এত দেবেন যে, তুমি খুশী হয়ে যাবে। 
তিনি কি তোমাকে ইয়াতীম পাননি, অতঃপর তোমাকে আশ্রয় দিয়েছেন? এবং তোমাকে পেয়েছিলেন, পথ সম্পর্কে অনবহিত; অতঃপর তোমাকে পথ দেখিয়েছেন। এবং তোমাকে নিঃস্ব পেয়েছিলেন, অতঃপর (তোমাকে) ঐশ্বর্যশালী বানিয়ে দিলেন। 
সুতরাং যে ইয়াতীম, তুমি তার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করো না। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না। আর আপনি আপনার রবের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দিন।
সূরা দুহায় যে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে
এই সূরার শুরুতে দিনের আলো ও রাতের নীরবতা বা অন্ধকারের শপথ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হয়েছে, আপনার রব আপনাকে ভুলে যাননি এবং আপনার প্রতি শক্রতাও পোষণ করেননি। আয়াতে দিন ও রাতের শপথ করার কারণ সম্ভবত এই যে, রাতের নিঝুমতা ও অন্ধকারাচ্ছন্নতার পর দিনের আলোকমালায় উদ্ভাসিত হওয়ার মতই যেন বিরতির অন্ধকারের পর ওহী আগমনের আলো উদ্ভাসিত হয়েছে।
এরপর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত দিন দিন বেড়েই যাবে এবং প্রত্যেক প্রথম অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা উত্তম ও শ্রেয় হবে। এতে জ্ঞানগরিমা ও আল্লাহর নৈকট্যে উন্নতি লাভসহ জীবিকা এবং পার্থিব প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি সব অবস্থাই অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর রাসূলের জন্য আখেরাত তো দুনিয়া থেকে অনেক, অনেক বেশি উত্তম হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ছাটাইতে শোয়ার কারণে তার পার্শ্বদেশে দাগ পড়ে গেল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, আমাদেরকে অনুমতি দিলে আমরা আপনার জন্য একটি কিছু তৈরী করে দিতাম যা আপনাকে এমন কষ্ট দেওয়া থেকে হেফাজত করত। 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার আর এ দুনিয়ার ব্যাপারটি কি? আমি ও দুনিয়ার উদাহরণ তো এমন যেমন কোন সওয়ারী কোন গাছের নীচে বিশ্রামের জন্য আশ্রয় নিল তারপর সেটা ছেড়ে চলে গেল। (ইবনে মাজাহ, ৪১০৯, মুসনাদে আহমাদ, ১/৩৯১)
এরপর বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এতো প্রাচুর্য দেবেন যে, তিনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। এতে কি দিবেন, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, প্রত্যেক কাম্যবস্তুই প্রচুর পরিমাণে দেবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাম্যবস্তুসমূহের মধ্যে ছিল ইসলাম ও কোরআনের উন্নতি, সারা বিশ্বে হিদায়াতের প্রসার, শত্রুর বিরুদ্ধে তার বিজয়লাভ, শত্রুদেশে ইসলামের কালেমা সমুন্নত করা ইত্যাদি। আর তার মৃত্যুর পর হাশরের ময়দানে ও জান্নাতেও তাকে আল্লাহ তায়ালা অনেক অনুগ্রহ দান করবেন।
সুরা দুহা: ৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা দুহা কোরআনের ৯৩তম সুরা, এটি মক্কায় অবতীর্ণ, এর আয়াত সংখ্যা ১১টি, রুকু সংখ্যা ১টি। এ সুরাটি নাজিল হওয়ার আগে বেশ কিছুদিন কুরআন নাজিল হওয়া ও ওহী আসা বন্ধ ছিল। নবিজি এ কারণে খুবই অস্থির ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন তার কোনো ভুলের কারণে আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সুরা দুহা নাজিল করে আল্লাহ নিশ্চিত করেন, তিনি নবিজির ওপর অসন্তুষ্ট হননি বা তাকে ত্যাগও করেননি।
সুরা দুহা
(১) শপথ পূর্বাহ্নের, (২) শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়, (৩) তোমার রব আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরুপও হননি। (৪) অবশ্যই তোমার পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে উত্তম। (৫) অচিরেই তোমার রব তোমাকে দান করবেন, ফলে তুমি সন্তুষ্ট হবে। (৬) তিনি কি তোমাকে এতিম অবস্থায় পাননি? তারপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। (৭) তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, তারপর পথ দেখিয়েছেন। (৮) তিনি তোমাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, তারপর অভাবমুক্ত করেছেন. (৯) সুতরাং তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না; (১০) ভিক্ষুককে ধমক দিও না, (১১) এবং তোমার রবের নেয়ামতের কথা বর্ণনা করো।
৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন বিপদাপদ, বালা মসিবত আসবেই, বিপদের সময় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। দু���িয়ার কষ্টের প্রতিদান দুনিয়াতেই বা আখেরাতে আপনি পাবেন এই বিশ্বাস রাখুন।
২. আপনার ওপর আল্লাহর যে বহু অনুগ্রহ ও নেয়ামত আছে, অতীতে আল্লাহ যে বিভিন্নভাবে আপনাকে সম্মানিত ও সমৃদ্ধ করেছেন, বিপদের সময় সেগুলোর কথা বেশি বেশি স্মরণ করুন এবং আল্লাহর শোকর আদায় করুন, ধৈর্যধারণ করুন।
৩. আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও অগণিত নেয়ামতের কথা স্মরণ করে আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্যে নিজেকে সমর্পন করুন; তার নির্দেশগুলো পালন করুন, নিষেধগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৪. অসহায়, এতিম, ভিক্ষুক ও দরিদ্র মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করুন। তাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। সাহায্য করতে না পারলেও সুন্দরভাবে বিদায় দিন। ধমক দিয়ে কথা বলবেন না. খারাপ ব্যবহার করবেন না।
৫. আল্লাহ নেয়ামত দান করলে কথা, কাজ ও বেশভূষায় তা প্রকাশ করুন। আল্লাহ সমৃদ্ধি ও সচ্ছলতা দান করার পরও দরিদ্রের বেশ ধারণ করবেন না, দরিদ্রের মতো আচরণ করবেন না, কৃপণতা করবেন না।
অনাথ ও দরিদ্রের প্রতি কোমলতা সুরা দোহার শিক্ষা
সুরা দোহা অর্থ মধ্যস্থ রশ্মি। এটি পবিত্র কোরআনের ৯৩তম সুরা এবং মক্কায় অবতীর্ণ। এর ১ রুকু, ১১ আয়াত। একবার কিছুদিন ঐশী বাণী বন্ধ থাকায় মুহাম্মদ (সা.) বিমর্ষ হয়ে পড়লে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলা হয় তাঁকে পরিত্যাগ করা হয়নি।
যে অনাথ ছিল তাকে আশ্রয়, যে ভুল পথে ছিল তাকে পথের হদিস এবং যে অভাবী ছিল তাকে অভাবমুক্ত করা হয়। পিতৃহীন ও সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি কঠোর না হয়ে সুরাটিতে আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ণনা করতে বলা হয়েছে।
মুহাম্মদ (সা.)–এর ওপর কিছুদিন আল কোরআন নাজিল হওয়া বন্ধ ছিল। তখন অবিশ্বাসীরা ঠাট্টা- বিদ্রূপ করতে শুরু করে বলতে লাগল, আজ কিছু নাজিল হয়নি? আসলে আল্লাহ তোমাকে পরিত্যাগ করেছেন, তোমার ওপর অখুশি হয়েছেন। এতে মুহাম্মদ (সা.) কিছুটা বিচলিত ও মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন। মনের কোণে হয়তো এমন চিন্তাও উঁকি দিয়েছিল যে, তাঁর কোনো ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো? সেই সময়েই সুরা আদ দোহা নাজিল হয় মুহাম্মদ (সা.)–কে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এবং কঠিন সময়ে আশার বাণী এবং শক্তি জোগানোর জন্য।
সুরা দোহার সারকথা
এ সুরার শুরুতে প্রথম আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘শপথ দিনের প্রথম প্রহরের!’ দোহা বলতে এমন একটা সময় বোঝায় যখন দিনের কর্মব্যস্ততা শুরু হয় এবং সূর্যের আলোও প্রখর নয়। দ্বিতীয় আয়াতে ‘আর শপথ রাত্রির যখন তা আচ্ছন্ন করে!’ ‘লাইল’ বলতে রাত বোঝায়। যখন তা গভীর ও নিঝুম হয়। তখন শান্তি ও বিশ্রাম নেয় মানুষ। সূর্যের আলোর উপস্থিতি দোহা ও অনুপস্থিতি লাইল এর মাধ্যমে ওহির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
তৃতীয় আয়াতে ‘তোমার প্রতিপালক তোমাকে ছেড়ে যাননি ও তোমার ওপর তিনি অসন্তুষ্ট নন।’ আল্লাহ সরাসরি নবীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি তাঁকে পরিত্যাগ করেননি বা তার কাজে অখুশি হয়ে বিরূপ হননি।
চতুর্থ ও পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমার জন্য পরকাল ইহকালের চেয়ে ভালো। তোমার প্রতিপালক তো তোমাকে অনুগ্রহ করবেনই, আর তুমিও সন্তুষ্ট হবে।’ উত্তম ভবিষ্যৎ ও সন্তোষজনক প্রতিদান এর আগাম সুসংবাদ জানিয়ে আরও প্রফুল্ল ও উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন
সব হতাশার সমাধান - সূরা দোহা
সূরা দোহা -সব হতাশার সমাধান
0 notes
allahisourrabb · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা দোহা - সব হতাশার সমাধান। 
সূরা দোহা আপনার হতাশাময় জীবন পাল্টে দিতে পারে...
youtube
 
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আদ দোহার শানে নুযুল
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার অসুস্থ হলেন। এ কারণে তিনি একরাত বা দু’রাত সালাত আদায়ের জন্য বের হলেন না। তখন এক মহিলা এসে বলল, মুহাম্মাদ আমি তো ���েখছি তোমার শয়তান তোমাকে ত্যাগ করেছে, এক রাত বা দু রাত তো তোমার কাছেও আসেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সূরা নাজিল হয়। (বুখারি, হাদিস, ৪৯৫০, ৪৯৫১, ৪৯৮৩)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহী আসতে বিলম্ব হয়, এতে করে মুশরিকরা বলতে শুরু করে যে, মুহাম্মদকে তার আল্লাহ্ পরিত্যাগ করেছেন ও তার প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সূরা আদ-দুহা অবতীর্ণ হয়।  (মুসলিম, হাদিস, ১৭৯৭)
সূরা আদ দুহা
وَالضُّحٰی ۙ ١ وَالَّیۡلِ اِذَا سَجٰی ۙ ٢ مَا وَدَّعَکَ رَبُّکَ وَمَا قَلٰی ؕ ٣ وَلَلۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لَّکَ مِنَ الۡاُوۡلٰی ؕ ٤ وَلَسَوۡفَ یُعۡطِیۡکَ رَبُّکَ فَتَرۡضٰی ؕ ٥ اَلَمۡ یَجِدۡکَ یَتِیۡمًا فَاٰوٰی ۪ ٦ وَوَجَدَکَ ضَآلًّا فَہَدٰی ۪ ٧ وَوَجَدَکَ عَآئِلًا فَاَغۡنٰی ؕ ٨ فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡہَرۡ ؕ ٩ وَاَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡہَرۡ ؕ ١۰ وَاَمَّا بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ فَحَدِّثۡ ٪ ١١
সূরা আদ-দুহা বাংলা অনুবাদ
সকালের উজ্জ্বল আলোর শপথ, এবং রাতের, যখন তার অন্ধকার গভীর হয়। তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি নারাজও হননি। নিশ্চয়ই পরবর্তী সময় তোমার পক্ষে পূর্বের সময় অপেক্ষা শ্রেয়। অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে এত দেবেন যে, তুমি খুশী হয়ে যাবে। 
তিনি কি তোমাকে ইয়াতীম পাননি, অতঃপর তোমাকে আশ্রয় দিয়েছেন? এবং তোমাকে পেয়েছিলেন, পথ সম্পর্কে অনবহিত; অতঃপর তোমাকে পথ দেখিয়েছেন। এবং তোমাকে নিঃস্ব পেয়েছিলেন, অতঃপর (তোমাকে) ঐশ্বর্যশালী বানিয়ে দিলেন। 
সুতরাং যে ইয়াতীম, তুমি তার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করো না। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না। আর আপনি আপনার রবের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দিন।
সূরা দুহায় যে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে
এই সূরার শুরুতে দিনের আলো ও রাতের নীরবতা বা অন্ধকারের শপথ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হয়েছে, আপনার রব আপনাকে ভুলে যাননি এবং আপনার প্রতি শক্রতাও পোষণ করেননি। আয়াতে দিন ও রাতের শপথ করার কারণ সম্ভবত এই যে, রাতের নিঝুমতা ও অন্ধকারাচ্ছন্নতার পর দিনের আলোকমালায় উদ্ভাসিত হওয়ার মতই যেন বিরতির অন্ধকারের পর ওহী আগমনের আলো উদ্ভাসিত হয়েছে।
এরপর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত দিন দিন বেড়েই যাবে এবং প্রত্যেক প্রথম অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা উত্তম ও শ্রেয় হবে। এতে জ্ঞানগরিমা ও আল্লাহর নৈকট্যে উন্নতি লাভসহ জীবিকা এবং পার্থিব প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি সব অবস্থাই অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর রাসূলের জন্য আখেরাত তো দুনিয়া থেকে অনেক, অনেক বেশি উত্তম হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ছাটাইতে শোয়ার কারণে তার পার্শ্বদেশে দাগ পড়ে গেল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, আমাদেরকে অনুমতি দিলে আমরা আপনার জন্য একটি কিছু তৈরী করে দিতাম যা আপনাকে এমন কষ্ট দেওয়া থেকে হেফাজত করত। 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার আর এ দুনিয়ার ব্যাপারটি কি? আমি ও দুনিয়ার উদাহরণ তো এমন যেমন কোন সওয়ারী কোন গাছের নীচে বিশ্রামের জন্য আশ্রয় নিল তারপর সেটা ছেড়ে চলে গেল। (ইবনে মাজাহ, ৪১০৯, মুসনাদে আহমাদ, ১/৩৯১)
এরপর বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এতো প্রাচুর্য দেবেন যে, তিনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। এতে কি দিবেন, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, প্রত্যেক কাম্যবস্তুই প্রচুর পরিমাণে দেবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাম্যবস্তুসমূহের মধ্যে ছিল ইসলাম ও কোরআনের উন্নতি, সারা বিশ্বে হিদায়াতের প্রসার, শত্রুর বিরুদ্ধে তার বিজয়লাভ, শত্রুদেশে ইসলামের কালেমা সমুন্নত করা ইত্যাদি। আর তার মৃত্যুর পর হাশরের ময়দানে ও জান্নাতেও তাকে আল্লাহ তায়ালা অনেক অনুগ্রহ দান করবেন।
সুরা দুহা: ৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা দুহা কোরআনের ৯৩তম সুরা, এটি মক্কায় অবতীর্ণ, এর আয়াত সংখ্যা ১১টি, রুকু সংখ্যা ১টি। এ সুরাটি নাজিল হওয়ার আগে বেশ কিছুদিন কুরআন নাজিল হওয়া ও ওহী আসা বন্ধ ছিল। নবিজি এ কারণে খুবই অস্থির ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন তার কোনো ভুলের কারণে আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সুরা দুহা নাজিল করে আল্লাহ নিশ্চিত করেন, তিনি নবিজির ওপর অসন্তুষ্ট হননি বা তাকে ত্যাগও করেননি।
সুরা দুহা
(১) শপথ পূর্বাহ্নের, (২) শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়, (৩) তোমার রব আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরুপও হননি। (৪) অবশ্যই তোমার পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে উত্তম। (৫) অচিরেই তোমার রব তোমাকে দান করবেন, ফলে তুমি সন্তুষ্ট হবে। (৬) তিনি কি তোমাকে এতিম অবস্থায় পাননি? তারপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। (৭) তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, তারপর পথ দেখিয়েছেন। (৮) তিনি তোমাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, তারপর অভাবমুক্ত করেছেন. (৯) সুতরাং তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না; (১০) ভিক্ষুককে ধমক দিও না, (১১) এবং তোমার রবের নেয়ামতের কথা বর্ণনা করো।
৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন বিপদাপদ, বালা মসিবত আসবেই, বিপদের সময় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। দুনিয়ার কষ্টের প্রতিদান দুনিয়াতেই বা আখেরাতে আপনি পাবেন এই বিশ্বাস রাখুন।
২. আপনার ওপর আল্লাহর যে বহু অনুগ্রহ ও নেয়ামত আছে, অতীতে আল্লাহ যে বিভিন্নভাবে আপনাকে সম্মানিত ও সমৃদ্ধ করেছেন, বিপদের সময় সেগুলোর কথা বেশি বেশি স্মরণ করুন এবং আল্লাহর শোকর আদায় করুন, ধৈর্যধারণ করুন।
৩. আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও অগণিত নেয়ামতের কথা স্মরণ করে আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্যে নিজেকে সমর্পন করুন; তার নির্দেশগুলো পালন করুন, নিষেধগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৪. অসহায়, এতিম, ভিক্ষুক ও দরিদ্র মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করুন। তাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। সাহায্য করতে না পারলেও সুন্দরভাবে বিদায় দিন। ধমক দিয়ে কথা বলবেন না. খারাপ ব্যবহার করবেন না।
৫. আল্লাহ নেয়ামত দান করলে কথা, কাজ ও বেশভূষায় তা প্রকাশ করুন। আল্লাহ সমৃদ্ধি ও সচ্ছলতা দান করার পরও দরিদ্রের বেশ ধারণ করবেন না, দরিদ্রের মতো আচরণ করবেন না, কৃপণতা করবেন না।
অনাথ ও দরিদ্রের প্রতি কোমলতা সুরা দোহার শিক্ষা
সুরা দোহা অর্থ মধ্যস্থ রশ্মি। এটি পবিত্র কোরআনের ৯৩তম সুরা এবং মক্কায় অবতীর্ণ। এর ১ রুকু, ১১ আয়াত। একবার কিছুদিন ঐশী বাণী বন্ধ থাকায় মুহাম্মদ (সা.) বিমর্ষ হয়ে পড়লে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলা হয় তাঁকে পরিত্যাগ করা হয়নি।
যে অনাথ ছিল তাকে আশ্রয়, যে ভুল পথে ছিল তাকে পথের হদিস এবং যে অভাবী ছিল তাকে অভাবমুক্ত করা হয়। পিতৃহীন ও সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি কঠোর না হয়ে সুরাটিতে আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ণনা করতে বলা হয়েছে।
মুহাম্মদ (সা.)–এর ওপর কিছুদিন আল কোরআন নাজিল হওয়া বন্ধ ছিল। তখন অবিশ্বাসীরা ঠাট্টা- বিদ্রূপ করতে শুরু করে বলতে লাগল, আজ কিছু নাজিল হয়নি? আসলে আল্লাহ তোমাকে পরিত্যাগ করেছেন, তোমার ওপর অখুশি হয়েছেন। এতে মুহাম্মদ (সা.) কিছুটা বিচলিত ও মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন। মনের কোণে হয়তো এমন চিন্তাও উঁকি দিয়েছিল য��, তাঁর কোনো ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো? সেই সময়েই সুরা আদ দোহা নাজিল হয় মুহাম্মদ (সা.)–কে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এবং কঠিন সময়ে আশার বাণী এবং শক্তি জোগানোর জন্য।
সুরা দোহার সারকথা
এ সুরার শুরুতে প্রথম আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘শপথ দিনের প্রথম প্রহরের!’ দোহা বলতে এমন একটা সময় বোঝায় যখন দিনের কর্মব্যস্ততা শুরু হয় এবং সূর্যের আলোও প্রখর নয়। দ্বিতীয় আয়াতে ‘আর শপথ রাত্রির যখন তা আচ্ছন্ন করে!’ ‘লাইল’ বলতে রাত বোঝায়। যখন তা গভীর ও নিঝুম হয়। তখন শান্তি ও বিশ্রাম নেয় মানুষ। সূর্যের আলোর উপস্থিতি দোহা ও অনুপস্থিতি লাইল এর মাধ্যমে ওহির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
তৃতীয় আয়াতে ‘তোমার প্রতিপালক তোমাকে ছেড়ে যাননি ও তোমার ওপর তিনি অসন্তুষ্ট নন।’ আল্লাহ সরাসরি নবীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি তাঁকে পরিত্যাগ করেননি বা তার কাজে অখুশি হয়ে বিরূপ হননি।
চতুর্থ ও পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমার জন্য পরকাল ইহকালের চেয়ে ভালো। তোমার প্রতিপালক তো তোমাকে অনুগ্রহ করবেনই, আর তুমিও সন্তুষ্ট হবে।’ উত্তম ভবিষ্যৎ ও সন্তোষজনক প্রতিদান এর আগাম সুসংবাদ জানিয়ে আরও প্রফুল্ল ও উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন
সব হতাশার সমাধান - সূরা দোহা
সূরা দোহা -সব হতাশার সমাধান
0 notes
mylordisallah · 2 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সূরা দোহা - সব হতাশার সমাধান। 
সূরা দোহা আপনার হতাশাময় জীবন পাল্টে দিতে পারে...
youtube
 
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
সূরা আদ দোহার শানে নুযুল
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার অসুস্থ হলেন। এ কারণে তিনি একরাত বা দু’রাত সালাত আদায়ের জন্য বের হলেন না। তখন এক মহিলা এসে বলল, মুহাম্মাদ আমি তো দেখছি তোমার শয়তান তোমাকে ত্যাগ করেছে, এক রাত বা দু রাত তো তোমার কাছেও আসেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সূরা নাজিল হয়। (বুখারি, হাদিস, ৪৯৫০, ৪৯৫১, ৪৯৮৩)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহী আসতে বিলম্ব হয়, এতে করে মুশরিকরা বলতে শুরু করে যে, মুহাম্মদকে তার আল্লাহ্ পরিত্যাগ করেছেন ও তার প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সূরা আদ-দুহা অবতীর্ণ হয়।  (মুসলিম, হাদিস, ১৭৯৭)
সূরা আদ দুহা
وَالضُّحٰی ۙ ١ وَالَّیۡلِ اِذَا سَجٰی ۙ ٢ مَا وَدَّعَکَ رَبُّکَ وَمَا قَلٰی ؕ ٣ وَلَلۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لَّکَ مِنَ الۡاُوۡلٰی ؕ ٤ وَلَسَوۡفَ یُعۡطِیۡکَ رَبُّکَ فَتَرۡضٰی ؕ ٥ اَلَمۡ یَجِدۡکَ یَتِیۡمًا فَاٰوٰی ۪ ٦ وَوَجَدَکَ ضَآلًّا فَہَدٰی ۪ ٧ وَوَجَدَکَ عَآئِلًا فَاَغۡنٰی ؕ ٨ فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡہَرۡ ؕ ٩ وَاَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡہَرۡ ؕ ١۰ وَاَمَّا بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ فَحَدِّثۡ ٪ ١١
সূরা আদ-দুহা বাংলা অনুবাদ
সকালের উজ্জ্বল আলোর শপথ, এবং রাতের, যখন তার অন্ধকার গভীর হয়। তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি নারাজও হননি। নিশ্চয়ই পরবর্তী সময় তোমার পক্ষে পূর্বের সময় অপেক্ষা শ্রেয়। অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে এত দেবেন যে, তুমি খুশী হয়ে যাবে। 
তিনি কি তোমাকে ইয়াতীম পাননি, অতঃপর তোমাকে আশ্রয় দিয়েছেন? এবং তোমাকে পেয়েছিলেন, পথ সম্পর্কে অনবহিত; অতঃপর তোমাকে পথ দেখিয়েছেন। এবং তোমাকে নিঃস্ব পেয়েছিলেন, অতঃপর (তোমাকে) ঐশ্বর্যশালী বানিয়ে দিলেন। 
সুতরাং যে ইয়াতীম, তুমি তার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করো না। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না। আর আপনি আপনার রবের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দিন।
সূরা দুহায় যে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে
এই সূরার শুরুতে দিনের আলো ও রাতের নীরবতা বা অন্ধকারের শপথ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল��মকে বলা হয়েছে, আপনার রব আপনাকে ভুলে যাননি এবং আপনার প্রতি শক্রতাও পোষণ করেননি। আয়াতে দিন ও রাতের শপথ করার কারণ সম্ভবত এই যে, রাতের নিঝুমতা ও অন্ধকারাচ্ছন্নতার পর দিনের আলোকমালায় উদ্ভাসিত হওয়ার মতই যেন বিরতির অন্ধকারের পর ওহী আগমনের আলো উদ্ভাসিত হয়েছে।
এরপর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত দিন দিন বেড়েই যাবে এবং প্রত্যেক প্রথম অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা উত্তম ও শ্রেয় হবে। এতে জ্ঞানগরিমা ও আল্লাহর নৈকট্যে উন্নতি লাভসহ জীবিকা এবং পার্থিব প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি সব অবস্থাই অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর রাসূলের জন্য আখেরাত তো দুনিয়া থেকে অনেক, অনেক বেশি উত্তম হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ছাটাইতে শোয়ার কারণে তার পার্শ্বদেশে দাগ পড়ে গেল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, আমাদেরকে অনুমতি দিলে আমরা আপনার জন্য একটি কিছু তৈরী করে দিতাম যা আপনাকে এমন কষ্ট দেওয়া থেকে হেফাজত করত। 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার আর এ দুনিয়ার ব্যাপারটি কি? আমি ও দুনিয়ার উদাহরণ তো এমন যেমন কোন সওয়ারী কোন গাছের নীচে বিশ্রামের জন্য আশ্রয় নিল তারপর সেটা ছেড়ে চলে গেল। (ইবনে মাজাহ, ৪১০৯, মুসনাদে আহমাদ, ১/৩৯১)
এরপর বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এতো প্রাচুর্য দেবেন যে, তিনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। এতে কি দিবেন, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, প্রত্যেক কাম্যবস্তুই প্রচুর পরিমাণে দেবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাম্যবস্তুসমূহের মধ্যে ছিল ইসলাম ও কোরআনের উন্নতি, সারা বিশ্বে হিদায়াতের প্রসার, শত্রুর বিরুদ্ধে তার বিজয়লাভ, শত্রুদেশে ইসলামের কালেমা সমুন্নত করা ইত্যাদি। আর তার মৃত্যুর পর হাশরের ময়দানে ও জান্নাতেও তাকে আল্লাহ তায়ালা অনেক অনুগ্রহ দান করবেন।
সুরা দুহা: ৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা দুহা কোরআনের ৯৩তম সুরা, এটি মক্কায় অবতীর্ণ, এর আয়াত সংখ্যা ১১টি, রুকু সংখ্যা ১টি। এ সুরাটি নাজিল হওয়ার আগে বেশ কিছুদিন কুরআন নাজিল হওয়া ও ওহী আসা বন্ধ ছিল। নবিজি এ কারণে খুবই অস্থির ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন তার কোনো ভুলের কারণে আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সুরা দুহা নাজিল করে আল্লাহ নিশ্চিত করেন, তিনি নবিজির ওপর অসন্তুষ্ট হননি বা তাকে ত্যাগও করেননি।
সুরা দুহা
(১) শপথ পূর্বাহ্নের, (২) শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়, (৩) তোমার রব আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরুপও হননি। (৪) অবশ্যই তোমার পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে উত্তম। (৫) অচিরেই তোমার রব তোমাকে দান করবেন, ফলে তুমি সন্তুষ্ট হবে। (৬) তিনি কি তোমাকে এতিম অবস্থায় পাননি? তারপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। (৭) তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, তারপর পথ দেখিয়েছেন। (৮) তিনি তোমাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, তারপর অভাবমুক্ত করেছেন. (৯) সুতরাং তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না; (১০) ভিক্ষুককে ধমক দিও না, (১১) এবং তোমার রবের নেয়ামতের কথা বর্ণনা করো।
৫টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন বিপদাপদ, বালা মসিবত আসবেই, বিপদের সময় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। দুনিয়ার কষ্টের প্রতিদান দুনিয়াতেই বা আখেরাতে আপনি পাবেন এই বিশ্বাস রাখুন।
২. আপনার ওপর আল্লাহর যে বহু অনুগ্রহ ও নেয়ামত আছে, অতীতে আল্লাহ যে বিভিন্নভাবে আপনাকে সম্মানিত ও সমৃদ্ধ করেছেন, বিপদের সময় সেগুলোর কথা বেশি বেশি স্মরণ করুন এবং আল্লাহর শোকর আদায় করুন, ধৈর্যধারণ করুন।
৩. আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও অগণিত নেয়ামতের কথা স্মরণ করে আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্যে নিজেকে সমর্পন করুন; তার নির্দেশগুলো পালন করুন, নিষেধগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৪. অসহায়, এতিম, ভিক্ষুক ও দরিদ্র মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করুন। তাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। সাহায্য করতে না পারলেও সুন্দরভাবে বিদায় দিন। ধমক দিয়ে কথা বলবেন না. খারাপ ব্যবহার করবেন না।
৫. আল্লাহ নেয়ামত দান করলে কথা, কাজ ও বেশভূষায় তা প্রকাশ করুন। আল্লাহ সমৃদ্ধি ও সচ্ছলতা দান করার পরও দরিদ্রের বেশ ধারণ করবেন না, দরিদ্রের মতো আচরণ করবেন না, কৃপণতা করবেন না।
অনাথ ও দরিদ্রের প্রতি কোমলতা সুরা দোহার শিক্ষা
সুরা দোহা অর্থ মধ্যস্থ রশ্মি। এটি পবিত্র কোরআনের ৯৩তম সুরা এবং মক্কায় অবতীর্ণ। এর ১ রুকু, ১১ আয়াত। একবার কিছুদিন ঐশী বাণী বন্ধ থাকায় মুহাম্মদ (সা.) বিমর্ষ হয়ে পড়লে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলা হয় তাঁকে পরিত্যাগ করা হয়নি।
যে অনাথ ছিল তাকে আশ্রয়, যে ভুল পথে ছিল তাকে পথের হদিস এবং যে অভাবী ছিল তাকে অভাবমুক্ত করা হয়। পিতৃহীন ও সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি কঠোর না হয়ে সুরাটিতে আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ণনা করতে বলা হয়েছে।
মুহাম্মদ (সা.)–এর ওপর কিছুদিন আল কোরআন নাজিল হওয়া বন্ধ ছিল। তখন অবিশ্বাসীরা ঠাট্টা- বিদ্রূপ করতে শুরু করে বলতে লাগল, আজ কিছু নাজিল হয়নি? আসলে আল্লাহ তোমাকে পরিত্যাগ করেছেন, তোমার ওপর অখুশি হয়েছেন। এতে মুহাম্মদ (সা.) কিছুটা বিচলিত ও মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন। মনের কোণে হয়তো এমন চিন্তাও উঁকি দিয়েছিল যে, তাঁর কোনো ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো? সেই সময়েই সুরা আদ দোহা নাজিল হয় মুহাম্মদ (সা.)–কে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এবং কঠিন সময়ে আশার বাণী এবং শক্তি জোগানোর জন্য।
সুরা দোহার সারকথা
এ সুরার শুরুতে প্রথম আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘শপথ দিনের প্রথম প্রহরের!’ দোহা বলতে এমন একটা সময় বোঝায় যখন দিনের কর্মব্যস্ততা শুরু হয় এবং সূর্যের আলোও প্রখর নয়। দ্বিতীয় আয়াতে ‘আর শপথ রাত্রির যখন তা আচ্ছন্ন করে!’ ‘লাইল’ বলতে রাত বোঝায়। যখন তা গভীর ও নিঝুম হয়। তখন শান্তি ও বিশ্রাম নেয় মানুষ। সূর্যের আলোর উপস্থিতি দোহা ও অনুপস্থিতি লাইল এর মাধ্যমে ওহির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
তৃতীয় আয়াতে ‘তোমার প্রতিপালক তোমাকে ছেড়ে যাননি ও তোমার ওপর তিনি অসন্তুষ্ট নন।’ আল্লাহ সরাসরি নবীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি তাঁকে পরিত্যাগ করেননি বা তার কাজে অখুশি হয়ে বিরূপ হননি।
চতুর্থ ও পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমার জন্য পরকাল ইহকালের চেয়ে ভালো। তোমার প্রতিপালক তো তোমাকে অনুগ্রহ করবেনই, আর তুমিও সন্তুষ্ট হবে।’ উত্তম ভবিষ্যৎ ও সন্তোষজনক প্রতিদান এর আগাম সুসংবাদ জানিয়ে আরও প্রফুল্ল ও উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন
সব হতাশার সমাধান - সূরা দোহা
সূরা দোহা -সব হতাশার সমাধান
#হতাশারসমাধান
#SurahAdDoha:Solution of Depression #Stress
0 notes
bongreviewbd · 3 months ago
Text
হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম: স্যান্ডউইচ কাটার বিজ্ঞান এবং এর সাথে গাণিতিক সূত্রের গভীর সংযোগ
স্যান্ডউইচ খেতে কে না পছন্দ করে? আমরা সবাই কমবেশি সকালের নাস্তা কিংবা দুপুরের খাবারে স্যান্ডউইচ খাই। তবে কখনো কি ভেবেছেন, স্যান্ডউইচ কাটা নিয়ে আসলে বিজ্ঞানের কী ভূমিকা থাকতে পারে? হয়তো মজার শোনায়, কিন্তু স্যান্ডউইচ কাটার পেছনেও আছে গভীর গাণিতিক সূত্র। এই প্রবন্ধে আমরা আলোচনা করবো হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম নিয়ে, যা একটি বহুমাত্রিক গাণিতিক তত্ত্ব। এই তত্ত্বের সাহায্যে আপনি সহজেই যেকোনো স্যান্ডউইচকে সমানভাবে অর্ধেক ভাগ করতে পারবেন, যদিও সেটি বাস্তবিকভাবে অগোছালো বা অসমান হলেও।
হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেমের ধারণা:
"হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম" একটি গাণিতিক তত্ত্ব যা বলে যে, তিনটি ভিন্ন আকারের এবং অবস্থানের বস্তুকে একটি সোজা কাট দিয়ে সমান দুইভাগে ভাগ করা সম্ভব। ধারণাটি প্রথমে জটিল মনে হতে পারে, তবে এটি মূলত একটি গাণিতিক সমস্যা যার সমাধান প্রমাণ করে যে এমনকি সবচেয়ে অসমান বা অগোছালো তিনটি উপাদানকেও আপনি সমান দুইভাগে ভাগ করতে পারেন।
স্যান্ডউইচ কাটার বিজ্ঞান:
ধরুন আপনার সামনে একটি স্যান্ডউইচ রয়েছে যার তিনটি উপাদান—রুটি, হ্যাম, এবং চিজ। আপনি চাইছেন এমনভাবে কেটে নিতে যাতে প্রতিটি উপাদান সমানভাবে অর্ধেক হয়। এখানেই হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম কাজে লাগে। এই তত্ত্বের মাধ্যমে বোঝা যায়, আপনি যে উপায়েই উপাদানগুলি সাজান না কেন, একবারে একটি সোজা কাটা দিয়ে সবগুলো উপাদানকে সমানভাবে অর্ধেক করতে পারবেন।
এটি শুধু তত্ত্ব নয়, বরং বাস্তবেও প্রয়োগ করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, একটি রুটির টুকরো যদি জার্মানির মিউনিখে থাকে, একটি হ্যামের টুকরো সান ফ্রান্সিসকোতে, এবং একটি চিজের টুকরো যদি কোনো প্লেনে ইন্দোনেশিয়ার পথে থাকে—তাহলেও একটি সোজা কাটা দিয়ে সবগুলো উপাদান সমানভাবে দুই ভাগে ভাগ করা যাবে। তবে এর জন্য দরকার হবে একটি "বহু বড় ছুরি", যা এখানে রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
বহুমাত্রিক স্থান এবং স্যান্ডউইচ থিওরেম:
হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেমের মজার দিক হলো, এটি শুধুমাত্র তিনটি উপাদানের জন্যই সীমাবদ্ধ নয়। গাণিতিক সূত্র বলে যে, আপনি যদি চারটি উপাদান নিয়ে একটি স্যান্ডউইচ তৈরি করেন, তাহলেও একটি নির্দিষ্ট কাট রয়েছে যা সবকিছু সমানভাবে অর্ধেক করবে। এবং এটি ৫টি, ৬টি উপাদানেও প্রযোজ্য, এমনকি এটি একটি "বহুমাত্রিক স্থান" পর্যন্ত বিস্তৃত।
অর্থাৎ, ৪-মাত্রিক স্থানে চারটি উপাদান বিশিষ্ট স্যান্ডউইচ, ৫-মাত্রিক স্থানে পাঁচটি উপাদান বিশিষ্ট স্যান্ডউইচ—সব ক্ষেত্রেই একক কাটা দিয়ে সব উপাদানকে সমানভাবে অর্ধেক করা সম্ভব।
গণিতের প্রয়োগ এবং বাস্তব জীবনের উদাহরণ:
হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম কেবলমাত্র তাত্ত্বিক মজার জন্য নয়, বরং এর প্রয়োগ বাস্তব জীবনেও দেখা যায়। এটি কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থবিদ্যা, এবং অর্থনীতির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, এটি ডেটা অ্যানালাইসিসে ব্যবহৃত হয়, যেখানে বিশাল ডেটা ��েটকে দুটি সমান অংশে ভাগ করা প্রয়োজন।
এছাড়াও, এর সাহায্যে আমরা অনেক জটিল সমস্যার সমাধান পেতে পারি যা দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে।
কেন হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম গুরুত্বপূর্ন:
হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম প্রমাণ করে যে গাণিতিক সূত্র শুধুমাত্র কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বাস্তব জীবনেও এটির কার্যকারি���া অসাধারণ। এটি প্রমাণ করে যে বিজ্ঞান এবং গাণিতিক সূত্রের সাহায্যে এমনকি সবচেয়ে অগোছালো বা জটিল সমস্যাও সমাধান করা সম্ভব।
এটি একদিকে যেমন বিজ্ঞানপ্রিয়দের জন্য একটি মজার তথ্য, অন্যদিকে এটি প্রমাণ করে যে গণিত সবসময়ই বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে।
উপসংহার:
স্যান্ডউইচ কাটার মতো সহজ একটি কাজেও গাণিতিক সূত্রের গভীরতা রয়েছে। হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম প্রমাণ করে যে প্রতিটি জিনিসের একটি নিখুঁত সমাধান রয়েছে, তা যতই অসমান বা অগোছালো হোক না কেন। গণিতের এই মজার ধারণাটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। তাই, পরবর্তীতে যখনই আপনি স্যান্ডউইচ কাটবেন, তখন একবার ভাবুন, আপনার কাটের পেছনেও রয়েছে গভীর গাণিতিক সূত্র!
আরও দেখুনঃ শীতকালে লোহার খুঁটির সাথে জিহবা আটকে যাওয়ার কারণ ও সমাধান
Tags: হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম, স্যান্ডউইচ কাটার বিজ্ঞান, স্যান্ডউইচ কাটার কৌশল, গাণিতিকভাবে স্যান্ডউইচ কাটা, স্যান্ডউইচ সমানভাবে কাটা, হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম ব্যাখ্যা, স্যান্ডউইচ কাটার বিজ্ঞান, হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম গাণিতিক, হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম বাস্তব জীবনে, বহুমাত্রিক স্যান্ডউইচ কাটা, গাণিতিকভাবে স্যান্ডউইচ কাটা, নিখুঁত স্যান্ডউইচ কাটা, স্যান্ডউইচ থিওরেম, হ্যাম স্যান্ডউইচ তত্ত্ব, গণিত এবং স্যান্ডউইচ, বহুমাত্রিক স্থান গণিত, স্যান্ডউইচ কাটার নীতিমালা, হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম প্রয়োগ, গাণিতিক তত্ত্ব, স্যান্ডউইচ কাটার সমাধান, জটিল স্যান্ডউইচ কাটা, খাদ্যে গাণিতিক ধারণা, স্যান্ডউইচ কাটার জ্যামিতি, সমমিত স্যান্ডউইচ কাটা, হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম ব্লগ, গাণিতিক স্যান্ডউইচ তত্ত্ব, স্যান্ডউইচ কাটা, স্যান্ডউইচ কাটার যুক্তি, স্যান্ডউইচ এবং গণিত সংযোগ, তাত্ত্বিক স্যান্ডউইচ কাটা, হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম পদার্থবিদ্যা, খাদ্য গণিত, স্যান্ডউইচ স্লাইসিং বিজ্ঞান, নিখুঁত স্যান্ডউইচ ভাগ, স্যান্ডউইচ থিওরেম প্রয়োগ, গণিত দিয়ে স্লাইসিং, খাদ্যের গাণিতিক সমাধান, হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেমের ব্যবহার, স্যান্ডউইচ কাটার গবেষণা, হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম প্রমাণ, গাণিতিক স্যান্ডউইচ স্লাইসিং, স্যান্ডউইচ কাটার সমমিতি, সমান স্যান্ডউইচ কাটা, স্যান্ডউইচ অর্ধেক কাটা, খাদ্য বিজ্ঞান এবং গণিত, স্যান্ডউইচ জ্যামিতি, খাদ্যে গণিতের নীতি, খাদ্য বিজ্ঞান ব্লগ, স্যান্ডউইচ বিজ্ঞান Ham Sandwich Theorem, science of cutting sandwiches, sandwich cutting techniques, mathematical sandwich cutting, cutting sandwich evenly, Ham Sandwich Theorem explained, sandwich cutting science, Ham Sandwich Theorem mathematics, Ham Sandwich Theorem real life, multidimensional sandwich cutting, cutting sandwich with math, perfect sandwich cut, sandwich theorem, Ham Sandwich theory, math and sandwiches, multidimensional space math, sandwich cutting principles, Ham Sandwich Theorem application, mathematical theorems, sandwich cutting solutions, complex sandwich cutting, mathematical concepts in food, geometry of sandwich cutting, symmetrical sandwich cut, Ham Sandwich Theorem blog, mathematical sandwich theory, slicing sandwiches, sandwich cutting logic, sandwich and math connection, theoretical sandwich cutting, Ham Sandwich Theorem physics, food mathematics, sandwich slicing science, perfect sandwich division, sandwich theorem application, slicing with mathematics, mathematical food solutions, Ham Sandwich Theorem uses, sandwich cutting research, Ham Sandwich Theorem proof, mathematical sandwich slicing, symmetry in sandwich cutting, equal sandwich cutting, slicing sandwich halves, food science and math, sandwich geometry, math principles in food, food science blog, sandwich science
#Tags: হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম#স্যান্ডউইচ কাটার বিজ্ঞান#স্যান্ডউইচ কাটার কৌশল#গাণিতিকভাবে স্যান্ডউইচ কাটা#স্যান্ডউইচ সমানভাবে কাটা#হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম ব্যাখ্যা#হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম গাণিতিক#হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম বাস্তব জীবনে#বহুমাত্রিক স্যান্ডউইচ কাটা#নিখুঁত স্যান্ডউইচ কাটা#স্যান্ডউইচ থিওরেম#হ্যাম স্যান্ডউইচ তত্ত্ব#গণিত এবং স্যান্ডউইচ#বহুমাত্রিক স্থান গণিত#স্যান্ডউইচ কাটার নীতিমালা#হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম প্রয়োগ#গাণিতিক তত্ত্ব#স্যান্ডউইচ কাটার সমাধান#জটিল স্যান্ডউইচ কাটা#খাদ্যে গাণিতিক ধারণা#স্যান্ডউইচ কাটার জ্যামিতি#সমমিত স্যান্ডউইচ কাটা#হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম ব্লগ#গাণিতিক স্যান্ডউইচ তত্ত্ব#স্যান্ডউইচ কাটা#স্যান্ডউইচ কাটার যুক্তি#স্যান্ডউইচ এবং গণিত সংযোগ#তাত্ত্বিক স্যান্ডউইচ কাটা#হ্যাম স্যান্ডউইচ থিওরেম পদার্থবিদ্যা#খাদ্য গণিত
0 notes
sadipsiddiqueriad · 3 months ago
Text
0 notes
basicunlimited · 13 days ago
Text
WhatsApp Chat Lock করুন | গোপন মেসেজ নিরাপদ রাখার সেরা ট্রিকস!
youtube
0 notes
rejaul4 · 1 year ago
Video
youtube
এ্যাসাইকুডা ওয়াল্ড সমস্যার সমাধান How to Asycuda World new page problen ...
0 notes
golzarrahman66-blog · 1 year ago
Text
https://mathgr.com/grpost.php?grtid=3
ম্যাট্রিক্স ও নির্ণায়ক এর মধ্যে পার্থক্য কী?, ব্যাতিক্রমী ও অব্যাতিক্রমী ম্যাট্রিক্স কী?, বর্গ ম্যাট্রিক্সের বিপরীত ম্যাট্রিক্স কী?, বর্গ ম্যাট্রিক্সের অ্যাডজয়েন্ট কী?, বিপরীত ম্যাট্রিক্সের বৈশিষ্ট কী?, অর্থোগোনাল ম্যাট্রিক্স কী?, একঘাত সমীকরণ জোট ও এর সমাধান কী?, ক্রেমারের নিয়মে একঘাত সমীকরণ জোটের সমাধান কী?, তিন চলকবিশিষ্ট একঘাত সমীকরণ জোটের সমাধান বিপরীত ম্যাট্রিক্সের সাহায্যে একঘাত সমীকরণ জোটের সমাধান কী?, বর্গ ম্যাট্রিক্সের ট্রেস কী?, Defference between Matrix and Determinant, Singular and Non-Singular Matrix, Inverse Matrix of a Square Matrix, Adjoint of a Square Matrix, Properties of Inverse Matrix, Orthogonal Matrix, System of linear equations and it's solution, Solution of system of linear equations using cramer's rule, Solution of system of linear equations using inverse myatrix, Trace of Square Matrix
#ম্যাট্রিক্স ও নির্ণায়ক এর মধ্যে পার্থক্য কী?#ব্যাতিক্রমী ও অব্যাতিক্রমী ম্যাট্রিক্স কী?#বর্গ ম্যাট্রিক্সের বিপরীত ম্যাট্রিক্স কী?#বর্গ ম্যাট্রিক্সের অ্যাডজয়েন্ট কী?#বিপরীত ম্যাট্রিক্সের বৈশিষ্ট কী?#অর্থোগোনাল ম্যাট্রিক্স কী?#একঘাত সমীকরণ জোট ও এর সমাধান কী?#ক্রেমারের নিয়মে একঘাত সমীকরণ জোটের সমাধান কী?#তিন চলকবিশিষ্ট একঘাত সমীকরণ জোটের সমাধান বিপরীত ম্যাট্রিক্সের সাহায্যে একঘাত সমীকরণ জোটের#বর্গ ম্যাট্রিক্সের ট্রেস কী?#Defference between Matrix and Determinant#Singular and Non-Singular Matrix#Inverse Matrix of a Square Matrix#Adjoint of a Square Matrix#Properties of Inverse Matrix#Orthogonal Matrix#System of linear equations and it's solution#Solution of system of linear equations using cramer's rule#Solution of system of linear equations using inverse myatrix#Trace of Square Matrix
0 notes
banglakhobor · 1 year ago
Text
বক্রি বুধের উদয়! বুদ্ধির দেবতার জীবনে বড় ম্যাজিক, নজিরবিহীন টাকা ৩ রাশির হাতে
Budh Planet Uday: জ্যোতিষ মতে প্রতিটি সময়েই গ্রহের চালে পরিবর্তন হয়ে থাকে ৷ রাশি পরিবর্তন, উদয়, অস্ত, বক্রি, য়ুতি, মার্গি ইত্যাদি ৷ প্রতীকী ছবি ৷ Source link
View On WordPress
0 notes
tawhidislamictv · 2 years ago
Video
youtube
সমাধান চাও যদি জীবনে মরনে ✅চোখ রাখো কোরআনে✅ mohila waz mohila der waz ✅...
0 notes
geneoesekha · 2 years ago
Text
অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞানের জন্য ডাবলিউবিবিএসই-র সেরা সমাধান, পাবেন কীভাবে? - Geneo
অষ্টম শ্রেণি মানেই শিক্ষার্থীর কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাবর্ষ। মূলত, এই শ্রেণির সাফল্যের ওপরই নির্ভর করে কে কোন বিভাগের দিকে এগোবে, পা বাড়াবে! বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ুয়ার ভিত মজবুত হয় অষ্টম শ্রেণি থেকে। আপনি কি অষ্টম শ্রেণির ডাবলিউবিবিএসই-র বিজ্ঞানের সমস্ত অধ্যায়ের বা শুধুমাত্র একটি অধ্যায়ের সমাধান খুঁজছেন? তাহলে জানবেন, আপনি একেবারে সঠিক জায়গায় ক্লিক &hellip
ক্লাস 8 বিজ্ঞানের জন্য WBBSE সমাধান
1 note · View note