#সমাজ সেবা
Explore tagged Tumblr posts
Text
দেশের সুস্থতায় যুবসমাজের ভূমিকা অপরিহার্য- ময়মনসিংহে স্বাস্থ্য সচিব
হাজ্বীঃআসাদুজ্জামান স্টাফ রিপোর্টার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ বলেছেন, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হচ্ছে যুব সমাজ। এখানে যুব ও যুব নারী রয়েছে। দেশ গঠনে ও সুস্থতা রক্ষায় এ সমাজের ভূমিকা অপরিহার্য। দেশের এ সমাজের প্রায় ৫ কোটি ৩০ লক্ষ যুব ও যুবনারী যদি একসাথে কাজ করে তাহলে আমরা কোথায় পৌঁছবো সেটা আমাদের ভাবা উচিত। আজ শনিবার ০৯ নভেম্বর সকালে ময়মনসিংহ জেলা…
0 notes
Text
দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ
প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য দেশই হলো জন্মভূমি, যা তার পরিচয়, ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধের মূল ভিত্তি হি��েবে কাজ করে। এই দেশের প্রতি সকল নাগরিকের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, যেগুলো পালন করা একটি নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের এই অনুভূতি প্রতিটি নাগরিককে শুধু তার দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে না, বরং তাকে একজন সৎ ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
নাগরিক হিসেবে দেশের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান
দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের প্রথম ধাপ হলো দেশকে ভালোবাসা এবং সম্মান করা। জাতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সমাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের মূল্যবোধের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত। এই ভালোবাসা থেকে উৎসারিত দায়িত্ববোধ মানুষকে দেশের সেবা ও উন্নয়নের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
আইন মান্য করা ও নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা
দেশের আইন ও নিয়মকানুন মেনে চলা প্রতিটি নাগরিকের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম মান্য করা এবং সততার সাথে জীবন যাপন করা দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। আইন মান্য করার মধ্য দিয়ে আমরা দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ প্রকাশ করি এবং একটি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করি।
কর প্রদান এবং অর্থনৈতিক দায়িত্ব
দেশের আর্থিক উন্নয়নে কর প্রদান এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। প্রতিটি নাগরিক যদি সঠিকভাবে কর প্রদান করে তবে সরকার সেই অর্থ ব্যবহার করে দেশের অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য খাতে উন্নয়ন করতে সক্ষম হবে। দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে নাগরিকদের কর প্রদান ও সঠিকভাবে আর্থিক দায়িত্ব পালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রকৃতি এবং পরিবেশ রক্ষা
দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পরিবেশ রক্ষা করা। বনজ সম্পদ সংরক্ষণ, জলদূষণ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা, এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে জীবন যাপন করা দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে তোলার দায়িত্বের অংশ। আমাদের প্রতিটি নাগরিকের উচিত দেশের পরিবেশের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ রক্ষা
মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা ধরে রাখা দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের একটি অন্যতম দিক। অন্যের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা, দুর্বলদের পাশে দাঁড়ানো, এবং বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পালন করা সমাজের উন্নতির জন্য অপরিহার্য। এতে করে একটি সমৃদ্ধিশালী এবং সহমর্মিতাপূর্ণ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখা যায়।
শিক্ষা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি
দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের একটি অপরিহার্য দিক হলো শিক্ষা এবং সচেতনতার উন্নয়ন। শিক্ষা মানুষকে নৈতিক এবং সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। প্রতিটি নাগরিক যদি সচেতন হন এবং অন্যদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেন, তবে তা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
দেশ���ে সেবা প্রদান এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করা
দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ মানুষের মাঝে একটি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে, যা তাকে সৎ ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। অন্যদের দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত করা এবং নিজের কর্মের মধ্য দিয়ে সমাজের সেবায় নিয়োজিত থাকা এক মহান কাজ।
দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ হলো একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি। প্রতিটি নাগরিক যদি নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে তবে দেশ সমৃদ্ধি ও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমেই আমরা একটি শক্তিশালী ও গর্বিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারি।
0 notes
Text
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখা���ি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্র��ার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্��র্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। ��োনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে ব��ঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগ���ের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ?
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
#ইসলাম নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি#নেতৃত্বনির্বাচন#ইসলাম#নেতৃত্ব#নেতা ্#Leadership selection process in Islam#্#Islam#Leadership#Leader#নেতা#Youtube
1 note
·
View note
Text
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেক�� বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ?
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
#ইসলাম নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি#নেতৃত্বনির্বাচন#ইসলাম#নেতৃত্ব#নেতা ্#Leadership selection process in Islam#্#Islam#Leadership#Leader#নেতা#Youtube
0 notes
Text
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। এক��� একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ?
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
#ইসলাম নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি#নেতৃত্বনির্বাচন#ইসলাম#নেতৃত্ব#নেতা ্#Leadership selection process in Islam#্#Islam#Leadership#Leader#নেতা#Youtube
0 notes
Text
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ?
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
#ইসলাম নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি#নেতৃত্বনির্বাচন#ইসলাম#নেতৃত্ব#নেতা ্#Leadership selection process in Islam#্#Islam#Leadership#Leader#নেতা#Youtube
0 notes
Text
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বে�� লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ?
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
#ইসলাম নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি#নেতৃত্বনির্বাচন#ইসলাম#নেতৃত্ব#নেতা ্#Leadership selection process in Islam#্#Islam#Leadership#Leader#নেতা#Youtube
0 notes
Text
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। ন��শ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ?
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
#ইসলাম নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি#নেতৃত্বনির্বাচন#ইসলাম#নেতৃত্ব#নেতা ্#Leadership selection process in Islam#্#Islam#Leadership#Leader#নেতা#Youtube
0 notes
Link
0 notes
Text
মানুষের বিপদ আপদে পাশে থেকে সাহায্য করবেন: অয়ন ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম শামীম ওসমানের সুযোগ্য পুত্র তরুণ সমাজের অহংকার এ.কে.এম অয়ন ওসমান বলেন, মানব সেবা পরম ধর্ম। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রতিটি সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারে সেই দিয়ে আপনারা ছাত্র লীগ ও যুব সমাজ কাজ করবেন। তাদের যে কোন বিপদ আপদে আপনারা পাশে থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা করবেন ও আমাকে জানাবেন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ…
View On WordPress
0 notes
Text
দিব্য ধর্ম যজ্ঞ দিবসে ভক্তরা রক্তদান করেছে।
সন্ত রামপাল জি মহারাজের অদ্বিতীয় কল্যাণকারী বিচারধারার সত্যি কারের সমাজ সংস্কারক সন্ত
সন্ত রামপাল জি মহারাজ সতভক্তি সাধনার সঙ্গে, পরমার্থ করাকেও শ্রেষ্ঠ বলেছেন। এই কারণে তার অনুগামীরা প্রতিদিন প্রয়োজনিদের সেবা তে সদা তত্পর থাকেন। সন্ত রামপাল জি মহারাজের অনুগামী প্রয়োজনীয় লোকের জন্য রক্তদান সেবাতে তৈরি থাকেন।
0 notes
Text
জয়পুরহাট সদর উপজেলা ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ৪০ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তার আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। চেক বিতরণ করেন সংসদ সদস্য এ্যাড. সামছুল আলম দুদু।
1 note
·
View note
Text
#SocialReformer_SantRampalJi
হরিয়ানার যেসব জেলাগুলি বন্যার কবলে পীড়িত, সেখানকার মানুষদেরকে খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রীক বস্তু পৌঁছে দিয়ে মানব সেবা করছে সন্ত রামপাল জী মহারাজের অনুগামীরা।
সমাজ সংস্কারক সন্ত রামপালজী
0 notes
Text
#SocialReformer_SantRampalJi
সাধক রামপাল জি মহারাজ বলেছেন যে, প্রকৃত ভক্তি সাধনার সাথে দান করা সর্বোত্তম। এজন্য তার অনুসারীরা অভাবগ্রস্তদের সেবা করতে সদা প্রস্তুত।
তার অনুসারীরা অসহায়দের রক্তদান সেবায় নিয়োজিত। যাদের রক্তের প্রয়োজন, তাদের ফোনে এই ভক্তরা দ্রুত পৌঁছে তাদের রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী রক্ত দেন।
সমাজ সংস্কারক সন্ত রামপালজী
0 notes
Text
মিরপুরে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত
মিরপুরে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত
আলমগীর মন্ডল: কুষ্টিয়ার মিরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় সমাজ সেবা দিবস পালিত হয়েছে। আজ সোমবার (২ জানুয়ারি) উপজেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে “উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় দেশ গর্ব সমাজসেবায়” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়। এই উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সমাজসেবা কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাজসেবা…
View On WordPress
0 notes
Text
শ্রীবরদীতে সচেতনতা মূলক বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত
‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে শেরপুরের শ্রীবরদীতে ইভটিজিং, মাদক, নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ, পানিতে ডুবে এবং বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে অপমৃত্যু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকালে লংগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনগনের দোর গোড়ায় পুলিশিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য…
View On WordPress
0 notes