Tumgik
#ইসলাম নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
quransunnahdawah · 8 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ,    আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
 
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
 কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
 পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদি��: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই 
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ? 
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
1 note · View note
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ���্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ,    আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
 
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
 কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
 পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই 
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ? 
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
0 notes
ilyforallahswt · 8 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমন���ি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ,    আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
 
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি ��বলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
 কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
 পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই 
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ? 
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
0 notes
myreligionislam · 8 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ,    আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
 
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
 কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
 পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির��দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই 
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ? 
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
0 notes
allahisourrabb · 8 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্র��্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ,    আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
 
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
 কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথ��া এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
 পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই 
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ? 
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
0 notes
mylordisallah · 8 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামায়াতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হন এবং ওই কওম বা জামায়াতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাধা না দেন, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাঁদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যাবে।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, ‘হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়।
এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন—তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন, ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’—যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) জাগতিক মোহ সম্পর্কে বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নিদের্শনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
নেতৃত্বের ভিত্তি হবে জনকল্যাণ
ইসলামী বিধান মতে কোনো সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মূলভিত্তি কল্যাণকামিতা। মাকিল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দাকে যদি আল্লাহ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সে কল্যাণকামিতার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৫১)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশ���ষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ,    আয়াত : ৫৫)
আল্লাহ সবাইকে নেতৃত্বের মোহ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
 
নেতৃত্ব গঠনে মহানবী (সা.)–র ৫ মূলনীতি
মহানবী (সা.) সব সময় মানুষের নেতৃত্ব গঠনে জোর দিয়েছেন। কোনো আদর্শকে না থাকলে কেউ নেতৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি হতে পারেন না। তিনি নিজে বেশ কিছু নীতি অবলম্বন করতেন। একে একে সেগুলো বর্ণনা করা যাক।
 কায়েমি নেতৃত্ব পরিবর্তনের কর্মপন্থা
কোনো নবী প্রচলিত নেতা বা শাসকের কাছে নেতৃত্বের দাবি করেননি। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-ও মক্কা ও অন্যান্য স্থানের নেতা ও শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছেন, তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করতে বলেননি। সমাজপতিরা আগেকার মতো মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সমাজের অন্যরা ইসলামের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ইসলাম কবুল করতে রাজি না হওয়ায় লাভ হয়েছে যে, তাদের অধীনস্তদের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করা তাদের থেকে নতুন নেতৃত্ব জেগে উঠেছে।
নেতা নির্বাচন
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)
জবাবদিহিতা
নবীজির(সা.) নেতৃত্ব পরিচালনার মূলনীতি ছিল কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদ আল্লাহ ও মুসলিমদের আমানত। আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের হাতে তা ন্যস্ত থাকবে। কেউ ইচ্ছামত তা নষ্ট করার অধিকার রাখবে না। এ আমানত যাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তারা এর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমানত বহনের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে আমানত সোপর্দ করার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)
 পরামর্শ সভা গঠন
কোরআনে নবীজি (সা.)–কে পরামর্শের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তাই মজলিসে শূরা বা পরামর্শ সভা গঠন করেন। আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবিরা ছিলেন সভার সদস্য। সদস্যদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করতেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যদিও কোরআন তাকে ক্ষমতা দিয়েছে সে-সব পরামর্শ গ্রহণ না করার বা বর্জন করার। নবীজির (সা.)পরামর্শ গ্রহণের নীতি থেকে বোঝা যায়, নেতা পরামর্শ চাইবেন সংশ্লিষ্ট লোকেরাও পরামর্শ দেবে; কিন্তু তার নিকট যে পরামর্শ বেশি সঠিক ও কল্যাণকর মনে হবে তা তিনি গ্রহণ করবেন।
জনগণের সেবক
নবীজি (সা.)বলেছেন, নেতা হবেন জনগণের সেবক (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫)। তিনি তাঁর অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
youtube
নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় বাসা থেকেই 
youtube
নেতৃত্ব দিবে কারা ? 
youtube
নেতৃত্বের গুণাবলী
youtube
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত
youtube
আল্লাহ যে নেতাকে সাহায্য করেন
Allah Helps The Leader
0 notes
rdsyousufkhawaja · 4 years
Link
সুওয়াল : আমাদের ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার কর্মধারার আলোকে বর্তমান সংবিধান বাতিল ঘোষণা করে  ঈমানদার বুদ্ধিজীবি , হক্কানী আলি মের সহযোগিতায় একটি ইসলামী সংবিধানের খসড়া প্রনয়ন করে এবং গণভোটের মাধ্যমে তার অনুমোদনের পর যথারীতি ইসলামী পার্লামেন্টের নির্বাচণ অনুষ্ঠান এবং একটি ইসলামী সরকার গঠনই হচ্ছে চলমান সংকট থেকে উত্তরনের একমাত্র কার্যকর পন্থা। আর বর্তমান জটিল মুহূর্তে এই যুক্তিগ্রাহ্য পন্থাটি অবলম্বন করে জাতি এক উজ্জল ভবিষ্যত নির্মানের লক্ষ্যে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা দেশের সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক , দ্বীনদার বুদ্ধিজীবি , রাজনীতিবীদ , বিশেষতঃ সচেতন উলামায়ে কিরামগণ ইসলামের সংগঠনগুলোর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। উপরে বর্নিত আমাদের কর্মধারাটি সুচিন্তিত রায় , অভিমতক্রমে  আপনার নির্দেশনা কামনা করি। জাওয়াব : আমাদের সকলকেই প্রথমে একথা স্মরণ রাখতে হবে যে , আমরা মুসলমান মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা এবং আখিরী নবী , নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত। মুসলমান শব্দের অর্থ হলো- كردن نهادن بطاعت “ আনুগত্যতার সাথে আত্মসমর্পণ করা ” অর্থাৎ যে মুসলমান হবে , সে মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত হবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন , ان الدين عند الله الاسلام . অর্থ : “ নিশ্চয়ই দ্বীন ইসলামই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন। ” ( পবিত্র সূরা ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ , ১৯)। মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন , ومن يبتغى غير الاسلام دينا فلن يقبل منه وهو فى الاخرة من الخاسرين . অর্থ : “ যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম বা নিয়ম-নীতি তালাশ (অনুসরণ) করে , তার থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবেনা এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে। ” ( পবিত্র সূরা ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ , ৮৫) মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রসূল , নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে বলেন ,                لقد كان لكم فى رسول الله اسوة حسنة . অর্থ : “ নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। ” ( পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ , ২১) এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে এটাই উল্লেখ্য করা হয়েছে যে , সকল মুসলমানের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল , নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন , একমাত্র অনুসরণীয় , অনুকরণীয় ও আদর্শ। মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন , لقد كان لكم فى رسول الله اسوة حسنة . অর্থ : “ তোমাদের নিকট আমার রসূল , নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন , তা তোমরা আঁকড়ে ধর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাক। ” ( পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ , ৭) পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে , মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল , নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন , وما اتاكم الرسول فخذوه وما نهاكم عنه فانتهوا واتقوا لله ان الله شديا لعقاب . অর্থ : “ আমি তোমাদের নিকট যা এনেছি তা আঁকড়ে ধর , আর যা থেকে নিষেধ করেছি তা থেকে বিরত থাক। ” ( ইবনে মাযাহ শরীফ) আর মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন , ما اتيتكم فخدوه وما تهيتكم فانتهوا . অর্থ : “ আমি তোমাদের নিকট দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি , যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা সে দু ’ টিকে আকঁড়ে থাকবে , ততক্ষণ পর্যন্ত কখনই তোমরা গোমরাহ (পথভ্রষ্ট) হবে না। তাহচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নাহ। অর্থাৎ আমার সুন্নাহ (মুয়াত্তা)। ” উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা এ কথাই পরিস্ফুটিত হয় যে , মুসলমান মাত্রই অর্থাৎ সমস্ত মুসলমানকেই দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন নিয়ম-নীতি , তর্জ-তরীক্বা তথা ধর্ম অনুসরণ , অনুকরণ ও পালন করতে পারবে না এবং তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনও করতে পারবে না। মুসলমানের জন্য একমাত্র পালনীয় অনুস্বরণীয় ও অনুকরণীয় হচ্ছে দ্বীন ইসলাম। যার উসুল (উৎস) হচ্ছে- পবিত্র কুরআন শরীফ , পবিত্র হাদীছ শরীফ , ইজমা ও ক্বিয়াস , আর এর প্রতি বিশ��বাস স্থাপন করতে হবে। কাজেই প্রত্যেক মুসলমানকে সর্বক্ষেত্রেই তথা তার ব্যক্তিগত-পারিবারিক , সামাজিক-রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক এক কথায় মাথার তালু থেকে পায়ের তলা , হায়াত থেকে মউত পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন শরীফ , পবিত্র সুন্নাহ শরীফ , ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক চলতে হবে। উপরোক্ত প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে “ গণতান্ত্রিক সংবিধান বাতিল করে তার পরিবর্তে ইসলামী সংবিধান প্রণয়ন করে , গণভোটের মাধ্যমে তার অনুমোদন নিয়ে নির্বাচন করে , ইসলামী পার্লামেন্ট তৈরী করে , তার সহযোগীতায় ইসলামী সরকার গঠন করা। এ কথার মধ্যে কুফরী রয়েছে। কারণ ইসলাম হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত দ্বীন , যা ওহীর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি নাযিল হয়েছে। আর এ দ্বীন ইসলাম কারো অনুমোদনের মুখাপেক্ষী নয়। দ্বীন ইসলাম উনাকে জনগণের অনুমোদনের মুখাপেক্ষী করার অর্থ হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল , নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ ও নিষেধসমূহ সরাসরি গ্রহণযোগ্য নয় জনগণের সমর্থন ব্যতীত। অথচ ইরশাদ মুবারক হয়েছে ,   تركت فيكم امرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتا ب الله وسية رسوله . অর্থ : “ তোমরা অনুসরণ কর , যা তোমাদের রবের তরফ হতে তোমাদের প্রতি নাযিল হয়েছে এবং তোমরা উনাকে (মহান আল্লাহ পাক উনাকে) ব্যতীত আর কাউকে অনুসরণ করোনা। (পবিত্র সুরা ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ , ৩) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন , اتبعوا المرسلين . অর্থ : “ তোমরা রসূলগণ উনাদের অনুসরণ কর। ” ( পবিত্র সূরা ইয়াসিন : পবিত্র আয়াত শরীফ , ২০) উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ দ্বারা এটাই সাবিত হয় যে , মহান আল্লাহ পাক উনার নাযিলকৃত কিতাব উনাকে এবং উনার প্রেরিত রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে। কারণ বান্দার জন্য কোনটি ভাল এবং কোনটি মন্দ , বান্দা জানেনা। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন , عسى ان تكر هوا شيأ وهو خير لكم وعسى ان تحبوا شيأ وهو شر لكم والله يعلم وانتم لا تعلمون . অর্থ : “ সম্ভবতঃ তোমরা যা খারাপ মনে করে থাক , সেটাই তোমাদের জন্য উত্তম। আর তোমরা যেটা ভাল মনে করে থাক , সেটাই তোমাদের জন্য খারাপ , মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক তিনিই জানেন কোনটা ভাল , কোনটা মন্দ , তোমরা জাননা। ” ( পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ , ২১৬) কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার প্রেরিত ও প্রদর্শিত পথের নির্দেশিকা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার অনুসরণ-অনুকরণই হচ্ছে একমাত্র কল্যাণের ও নাযাতের পথ। উল্লেখ্য যে , নির্বাচন এবং তার আনুসাঙ্গিক ভোট শরীয়তসম্মত নয়। কারণ যারা পদপার্থী হয় , এমনকি যারা পদের আকাংখা করে , তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পদ দেননি। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে , وعن ابى موسى قال دخلت على النبى صلى الله عليه وسلم انا ورجلان من بنى عمى فقال احد هما يا رسول الله امرنا على بعض ما ولاك الله وقال الاخر مثل ذلك فقال انا والله لا نولى على هذا العمل احدا ساله ولا احدا حرص عليه وفى رواية قال لا نستعمل على عملنا من اراده. (منفق عليه ) অর্থ : হযরত আবূ মুসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- তিনি বলেন , একদা আমি ও আমার দু ’ জন চাচাত ভাই নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গেলাম। সে দু ’ জনের একজন বললো , হে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে যে সকল কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন , আপনি আমাদেরকে ওটার মধ্য হতে কোন একটির শাসক নিযুক্ত করুন এবং দ্বিতীয়জন ও অনুরূপই বললো। উত্তরে নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন , “ মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! আমরা এ কাজে (শাসক পদে) এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিনা , যে ওটার প্রার্থী হয় এবং ঐ ব্যক্তিকেও নিয়োগ করিনা , যে ওটার লোভ বা আকাঙ্খা করে। ” ( বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ) وعن عبد الرحمن ابن سمرة قال- قال لىرسول الله صلى الله عليه وسلم لا تسال الامارة فائك ان اعطيتها عن مسنلة وكلت اليها وان اعطيتها عن غير مسئلة اعنن عليها. (متفق عليه) অর্থ : হযরত আব্দুর রহমান বিন সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- তিনি বলেন , মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন , “( হে সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু!) আপনি নেতৃত্ব বা পদ চাবেন না। কেননা , যদি আপনাকে ওটা চাওয়ার কারণে দেয়া হয় , তবে ওটা আপনার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। আর যদি ওটা আপনাকে চাওয়া ব্যতীত দেয়া হয় , তাহলে এ ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করা হবে। ” ( মুয়াত্তা) وعن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تجدون من خير الناس اشدهم كراهية لهذا الامر حتى يقع فيه- (متفق عليه) অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- তিনি বলেন , মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন , “ এই শাসনভারকে যারা কঠোরভাবে ঘৃণা করে , তাদেরকে তোমরা উ��্তম লোক হিসেবে পাবে , যে পর্যন্ত তারা তাতে লিপ্ত না হয়। (মুয়াত্তা) মূলতঃ নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রেরই একটি অংশ। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রসূল , নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন , “ যারা কোন পদপ্রার্থী হয় , তাদেরকে পদ দিওনা। ” আর আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয় যে , এটা গণতন্ত্রেরই একটা নতুন রূপ। কারণ গণতন্ত্র জনগণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর আপনারাও দ্বীন ইসলাম উনাকে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন। অর্থাৎ জনগণ যে আইন পছন্দ করবে , গণভোটের মাধ্যমে সেটাই সমর্থন দিবে এবং আপনারা সে আইনই জারি করবেন। গণভোট বলতে এটাই বুঝানো হয় যে , দেশের যত প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক তথা জনগণ রয়েছে , তাদের থেকে ভোট নেয়া। চাই তারা মুসলমান হোক বা অমুসলমান (হিন্দু , বৌদ্ধ , খৃষ্টান , ইহুদী , মুজুসী , মোশরেক , কাদিয়ানী , শিখ ইত্যাদি) হোক। এখন গণভোটে জনগণ যদি দ্বীন ইসলাম উনার পক্ষে রায় দেয় , তবে ইসলাম থাকবে অন্যথায় নয়। আর যদি বিপরীতে রায় দেয় , তবে যে বিষয়ে রায় দেবে সেটাই বহাল থাকবে , হোক তা বেদ্বীনি ও বদদ্বীনি। অথচ ইসলামের কোন আইন কোথায় প্রয়োগ করতে হবে , তা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই উল্লেখ্য করে দিয়েছেন। এরপরও জন সমর্থন , গণ অনুমোদন ও গণভোট করার অর্থ হচ্ছে , মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে ইহানত করা এবং এটাই প্রমাণ করা যে , মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা বলেছেন তা সঠিক নয় , তা গণ অনুমোদন দিয়ে সঠিক করে নিতে হবে। এককথায় মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যত আদেশ নিষেধই করুন না কেন , তা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না জনগণের অনুমোদন ব্যতীত। অর্থাৎ ইসলামী আইন ও তার প্রয়োগ জনগণের অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে কেউ যদি ইসলামী আন্দোলন করতে চায় , তবে তাকে “ খিলাফত আলা মিন হাযিন নুবুওওয়াহ ” অর্থাৎ নুবুওওয়াতের দৃষ্টিতে খিলাফতের জন্য কোশেশ করতে হবে। আর খিলাফত কায়িমের জন্য মজলিসে শুরা করতে হবে। মজলিসে শুরার প্রধান তিনিই হবেন , যিনি সবচেয়ে বেশী তা��ওয়াধারী হবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন , ان اكر مكم عند الله اتقاكم . অর্থ : “ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ঐ ব্যক্তি সব চাইতে সম্মানিত , যিনি তোমাদের মধ্যে তাকওয়াধারী বা পরহেযগার। ” ( পবিত্র সূরা হুজরাত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ , ১৩) আর যিনি ইলম , আমল , ইখলাস অর্থাৎ প্রতিটি বিষয়ে তাকমীলে (পূর্ণতায়) পৌঁছেছেন , তিনিই হাক্বীক্বী তাকওয়াধারী। খিলাফত প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন , وعد الله الذين امنوا منكم وعملوا الصالحات ليستخلفتهم فى الارض كمما استخلف الذين من قبلهم وليمكنن لهم دينهم الذى ارتض لهم وليبد لنهم من بعد خوفهم امنا- يعبدو ننى ولا يشر كون بى شيأ ومن كفربعد ذالك فاولئك هم الفاسقون. واقيموا الصلواة واتوا الزكوة واطيعوا الرسول لعكم تر حمون لا تحسبن الذين كفروا معجرين فى الارض ومأواهم النار ولبئس تلكصير . অর্থ : “ মহান আল্লাহ পাক তিনি ওয়াদা দিয়েছেন যে , তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছেন এবং আমলে সলেহ করেছেন , তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে খিলাফত (শাসন কর্তৃত্ব) দান করবেন। যেমন তিনি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে খিলাফত দিয়েছিলেন এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের জন্য তাদের দ্বীনকে , যে দ্বীন তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং নিশ্চয়ই তিনি তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে আসান (নিরাপত্তা) দান করবেন এ শর্তে যে , তারা আমার ইবাদত বন্দিগী করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। আর এর পর যারা কুফরী করবে , তারাই ফাসিক। তোমরা নামায কায়িম কর এবং যাকাত আদায় কর এবং নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্যতা প্রকাশ কর। আশা করা যায় , তোমরা (পূর্ণ) রহমত প্রাপ্ত হবে। তোমরা কাফিরদের সম্পর্কে এটা ধারণা করোনা যে , তারা জমিনে পরাক্রমশীল , তাদের জায়গা/ঠিকানা হবে জাহান্নাম , আর নিশ্চয়ই তাদের প্রত্যাবর্তন স্থল অত্যান্ত নিকৃষ্ট। ” ( পবিত্র সূরা নূর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ , ৫৫-৫৭) উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ওয়াদা দিয়েছেন যারা খালিছভাবে ঈমান আনবে এবং খালিছ আমলে সলেহ করবে , তাদেরকে খিলাফত দান করবেন। যেমন পূর্ববর্তীগণ উনাদেরকে দান করেছেন। আর শুধু তাই নয় , সাথে সাথে দ্বীনে মজবুতী দান করবেন , ভয়ভীতি দূর করে নিরাপত্তা দান করবেন। আর এ খিলাফত কায়েম থাকবে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দিগীতে দায়িম-কায়িম থাকবেন এবং কোন বিষযে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কাউকে শরীক করা যাবে না। আর বিশেষ করে শাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত আইনের সাথে অন্য কারো প্রণীত আইন-কানুন , নিয়ম-নীতি (গণতন্ত্র , সমাজতন্ত্র , রাজতন্ত্র , মাওবাদ , লেলিনবাদ , মার্কসবাদ ইত্যাদি) , মিশ্রিত করে শরীক করা যাবে না। আর যে এর খেলাফ (বিপরীত) করবে , সে গোমরাহ হয়ে যাবে। কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তির উচিৎ নামায কায়িম , যাকাত আদায় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ইত্তেবার দ্বারা খিলাফত কায়িমের কোশেশের মাধ্যমে রহমত হাছিল করা। আর এটা যেন কোন মুসলমানই কখনো ঘুর্নাক্ষরেও চিন্তা না করে যে , কাফির , ফাসিক , জালিমরা পৃথিবীতে প্রতাপশালী , ক্ষমতাশালী , আধিপত্য বিস্তারকারী হয়ে গিয়েছে , তাই তাদের নিয়ম-নীতি , তর্জ-তরীকা ব্যতীত খিলাফত কায়িম করা সম্ভব নয়। অবশ্যই সম্ভব , কারণ তারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মনোনীত , পছন্দনীয় , প্রিয় নয় , তাই তাদের অবস্থানস্থল করা হয়েছে জাহান্নাম। আবা-৩০
0 notes
paathok · 4 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/108418
ভয় ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতার জয় হোক
.
এম আবদুল্লাহঃ
প্রতিবছর ৩ মে বিশ্বজুড়ে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে বা মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশেও সাংবাদিক সংগঠন ও বিভিন্ন সংস্থা এ উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম বিশেষ প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশ করে। এসব আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিনটি পেরিয়ে যায়। দিবসটি আসে, যায় কিন্তু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, তথ্য পাওয়ার অবাধ অধিকার প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনা। ঘটেনা বললে অবশ্য ভুল হবে, ক্রমাগতভাবে অবনতি ঘটে। তবে এই দিনটির ইতিবাচক দিক হলো, এ উপলক্ষে দেশের সংবাদকর্মী ও সংবাদমাধ্যমের অবস্থা নিয়ে ভাবনাচিন্তার অবকাশ সৃষ্টি হয়। কিছু তথ্য পরিসংখ্যান সামনে আসে। বিচার-বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এ দিবসটি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ইউনেস্কো দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির জানান দেয় আগে থেকেই। প্রতি বছর একটি করে প্রতিপাদ্য বিষয়ও নির্ধারণ করে। এবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্���ারণ করা হয়েছে ‘জার্নালিজম উইদাউট ফিয়ার এ- ফেভার’। বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘ভয় ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতা’।
দিবসটি সামনে এলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সংবাদকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিরাপদ পরিবেশের কথা সামনে চলে আসে। এবার এমন এক সময়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে, যখন গোটা বিশ্ব ঘাতক মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত। বিশ্বময় রাষ্ট্রব্যবস্থা, রাজনীতি, কূটনীতি, অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে নজীরবিহীন বিবর্তন ও স্থবিরতার মধ্যে দিনটি পালিত হচ্ছে। গণমাধ্যমও এর বাইরে নয়। যুদ্ধকালে যেমন গণমাধ্যমকে চরম ঝুঁকি ও প্রতিমূহুর্ত টিকে থাকার লড়াই করে যেতে হয়, এই সময়ের গণমাধ্যমপ্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের অবস্থাও তেমনই। এটা সাময়িক। একসময় করোনাবিরোধী যুদ্ধে পৃথিবী জয়ী হবে নিশ্চয়। আবার ফিরবে প্রাণচাঞ্চল্য। পুরোপুরি পূর্বাবস্থায় পৃথিবী ফিরবে কিনা সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সংশয় থাকলেও লকডাউনের বন্দীত্ব ও একঘেঁয়ে পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হবে এটাতো বলাই যায়।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে দৃষ্টিপাত করা যাক আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে। এ দিবসটির প্রাককালে সাংবাদিকদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিষয়ে সোচ্চার প্যারিসভিত্তিক রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রতি বছরের মত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার একটি বৈশ্বিক সূচক প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশ আগের বছরের তুলনায় একধাপ পিছিয়েছে। ১৮০টি দিশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১।
বাংলাদেশ যে শুধু পিছিয়েছে, তা-ই নয় প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে, এমনকি অঘোষিত সেনাশাসনে থাকা মিয়ানমারের চেয়েও। তালিকায় ৬৭ নম্বরে থাকা ভুটান এ অঞ্চলে মুক্ত সাংবাদিকতার শীর্ষে। এরপরই আছে মালদ্বীপ, দেশটির অবস্থান ৭৯। তালিকায় মিয়ানমারের অবস্থান ১৩৯, ভারত ১৪২, পাকিস্তান ১৪৫, শ্রীলঙ্কা ১২৭, নেপাল ১১২ এবং আফগানিস্তান ১২২। ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পেছনে যারা আছে তাদের অধিকাংশই যুদ্ধবিধ্বস্ত। একদম তলানিতে অর্থাৎ ১৮০ নম্বরে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে সমালোচিত শাসক কিম জং-উনের দেশ উত্তর কোরিয়া থেকে আমাদের দূরত্ব মাত্র ২৮ ধাপ।
বাংলাদেশের এই অবস্থানের ব্যাখ্যায় আরএসএফ বলছে, দেশটিতে রাজনীতি করা যত কঠিন হয়ে উঠেছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার লঙ্ঘনও তত বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও এর নেতৃত্ব ২০০৯ সাল থেকে যে কঠোর পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন, তার শিকার সাংবাদিকরা। ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, স্বাধীন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকরা হামলার শিকার হন, ইচ্ছে হলেই ওয়েবসাইট বন্ধ, সরকারের সংবাদ সম্মেলনে দেশের দুই শীর্ষ দৈনিক অংশ নিতে না দেওয়া এর কিছু উদাহরণ।
সংগঠনটির বার্ষিক রিপোর্টে ২০১৩ সালে থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৪ থেকে ১৪৬ এর মধ্যে ছিল। পরের বছর বাংলাদেশের অবস্থান গিয়ে দাঁড়াায় ১৫০ এ। সেখান থেকে চলতি বছর নামল আরও একধাপ। যদি আরও পেছনে দৃষ্টি দেওয়া যায় তা হলে দেখা যাবে ২০০৯ সালে মুক্ত গণমাধ্যম ইনডেক্সে বাংলাদেশ ছিল ১২১তম। তখন অবশ্য মূল্যায়নের পদ্ধতি ভিন্ন ছিল। ২০১৩ সাল থেকে বিদ্যমান পদ্ধতিতে সূচক নির্ণয় করা হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠতে পারে প্যারিস থেকে আরএসএফ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যে চিত্র দেখছে বা পাচ্ছে সেটাই কি আসল চিত্র? নাকি প্রকৃত অবস্থা আরও খারাপ? আরএসএফ হয়তো জানে না গত এক বছরে কত সাংবাদিক দেশের আনাচে-কানাচে নিগৃহীত হয়েছেন। মূলত যেসব নিপীড়নের ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে স্থান পায়, দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে সেসব তথ্যই আরএসএফ তাদের বিবেচনায় নিয়ে থাকে। তাহলে বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা কি তার একটা খন্ড চিত্র এখানে দেয়া যাক।
পরিসংখ্যানে যাওয়ার আগে সদ্য সমাপ্ত এপ্রিল মাসের কয়েকটি সংবাদ শিরোনামে নজর দেয়া যেতে পারে। মুুুন্সীগঞ্জে সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলা (প্রথম আলো, ১৪ এপ্রিল), বিডিনিউজ ও জাগোনিউজ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা (প্রথম আলো, ১৭ এপ্রিল), গণমাধ্যমে কথা বলতে নার্সদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা (যুগান্তর, ১৮এপ্রিল), ডিজিটাল আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, একজন কারাগারে (প্রথম আলা, ২৫ এপ্রিল), চট্টগ্রামে সাংবাদিককে মারধোর, কনষ্টবল প্রত্যাহার (যুগান্তর, ১৪ এপ্রিল), সাংবাদিক তুহিনকে পুলিশের মারধোর (মানবজমিন, ১৫ এপ্রিল), সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পুলিশ কনস্টবল (সমকাল, ১৫ এপ্রিল, বাগেরহাটে মাইটিভির সাংবাদিক নিগ্রহের খবর), সোনাগাজীতে কালের কন্ঠের সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি (নয়াদিগন্ত, ৩ এপ্রিল), করোনার খবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকরা নির্যাতিত হচ্ছেন (প্রথম আলো, ২৯ এপ্রিল), সাংবাদিকদের জানার সুযোগ কমাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (প্রথম আলো, ৩০ এপ্রিল)। এ হচ্ছে মোটা হরফে শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের শিরোনাম।
এছাড়া অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নির্ভরযোগ্য সূত্রে আরও যেসব সাংবাদিক নিগ্রহের খবর পাওয়া গেছে তার কিছু শিরোনাম হচ্ছে এরকম- চাল চুরির অভিযোগ করায় ভোলায় সাংবাদিককে নির্যাতন, ফেসবুক লাইভ (১ এপ্রিল), ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, হবিগঞ্জেও সাংবাদিকের ওপর হামলা (২ এপ্রিল), ’বাইরইচস ক্যা’ বলেই সাংবাদিককে পিটাতে শুরু করে পুলিশ (৮ এপ্রিল, মিরপুরের রূপনগরে দুই সাংবাদিক নিগ্রহের খবর), বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতরে মাদক বিক্রির ছবি তুলতে গিয়ে বাংলাভিশনের ক্যামরাপার্সন লাঞ্ছিত (১৮ এপ্রিল), খাদ্যবান্ধব চাল চুরির রিপোর্ট করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিক (১৩ এপ্রিল), সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, এসআই প্রত্যাহার (১২ এপ্রিল), ত্রাণের চাল সিন্ডিকে নিয়ে রিপোর্ট করায় নরসিংদীতে হামলায় রক্তাক্ত এসএটিভির সাংবাদিক (১৮ এপ্রিল), কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের হাতে রাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক (১৫ এপ্রিল), তালায় দুই সাংবাদিকসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম (১৫ এপ্রিল), এবার রাজশাহীতে সাংবাদিক পেটালেন পুলিশের এসআই (৫ এপ্রিল, এটিএন নিউজের ক্যামরাপার্সন নিগ্রহের খবর)। করোনা মহামারিকালে যখন সাংবাদিকরা অপেক্ষাকৃত কম কর্মক্ষেত্রে ও মাঠে-ঘাটে যাচ্ছে তখনকার নিগ্রহের চিত্র এটি, এবং এ চিত্রটি এক মাসের। আবার এর বাইরেও ঘটনা ঘটে থাকতে পারে যা গণমাধ্যমের সংবাদ হয়নি বা লেখকের নজরে আসেনি।
এবার চলতি ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) সাংবাদিক নিপীড়নের পরিসংখ্যান জানা যাক। প্রথম মাস জানুয়ারিতে হামলা, নির্যাতন, মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ২০জন সাংবাদিক। এর মধ্যে সম্পাদক পর���যায়ের অন্তত ৪ জনকে মামলায় আসামী হয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। এক সম্পাদক ডিজিটাল আইনে গ্রেফতার হয়েছেন।
১৪ জন সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা মামলার শিকার হয়েছেন ফেব্রুয়ারি মাসে। এর মধ্যে ঢাকা সিটি নির্বাচনকালে এক দিনেই ১০জন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত হন।
মাস মার্চে একজন সিনিয়র ফটো সাংবাদিক কাজল গুম হয়েছেন। সন্ত্রাসী হামলা, নির্যাতন, ডিজিটাল আইনে হয়রানিমূলক মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়েছেন আরও কমপক্ষে ১৩জন সংবাদকর্মী। ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে অপহরণ ও গুম করে রাখার ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়। ৫৪ দিন পর আজ (৩মে) তাকে উদ্ধার দেখানো হয়েছে যশোর বেনাপোল সীমান্ত ��েকে।কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে বর্বরোচিত কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা এ মাসে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এছাড়া কুমিল্লা, ভোলা, মেহেরপুর, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্নস্থানে সাংবাদিকের ওপর নৃশংস হামলা হয়। দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে এ মাসে।
এটা সত্যি, গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা সারা পৃথিবীতেই এখন বিপদের মুখোমুখি। তবে বাংলাদেশের চিত্রটা একটু ভিন্ন। আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিবেদন বলছে, এখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা দুই-ই এখন এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে যে তাকে উদ্বেগজনক বললে সামান্যই বলা হয়। গণমাধ্যমের এই অবস্থার প্রভাব যে এই পেশার মধ্যে সীমিত আছে তা নয়, বরং তার পরিণতি ক্রমাগতভাবে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে এবং রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করেছে। অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বে টান পড়তে দেখা যাচ্ছে। নির্বিচারে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। গত কয়েক মাসে কয়েশ’ সংবাদকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। গোটা সেক্টরে অস্থিরতা ও আর্থিক ভঙ্গুর অবস্থার কারণে এমনটা হচ্ছে।
গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, গণতন্ত্র যেখানে দুর্বল, সেখানে স্বাধীন সংবাদমাধ্যম থাকতে পারে না। স¦াধীন সাংবাদিকতা না থাকলে সংবাদমাধ্যম টেকেনা। বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম অনেক দিন ধরেই প্রচন্ড চাপের মধ্যে আছে। অনেকে দাবি করবেন-দৃশ্যত কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখানে গণমাধ্যমগুলো নিজেরাই সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছে এবং তা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত চোখরাঙানির মুখোমুখি। কড়া মনিটরিং, ভয়ভীতি, অদৃশ্য চাপ, বিজ্ঞাপনদাতাদের ব্যবহার করে অর্থনৈতিক চাপে রাখার অপচেষ্টা হচ্ছে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও সাংবাদিক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে শৃঙ্খলিত গণমাধ্যমের চিত্রই ফুটে উঠে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কখনো পুলিশ, কখনো সরকারি দলের কর্মী আবার কখনো সামাজের পেশীশক্তি ও দুর্বৃত্তচক্রের হামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকেরা। বিচারহীনতা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনাগুলো বাংলাদেশে গণমাধ্যমে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। সরকারকে অনুধাবন করতে হবে গণমাধ্যম সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, বরং পরিপূরক ও সহায়ক। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে অনিয়ম, অনাচার ঘটে তা গণমাধ্যমের বরাতেই সরকারের নজরে আসে বলেই ব্যবস্থা নিতে পারে। এই করোনাকালে খাদ্য সহায়তার চাল নিয়ে যেভাবে নয়-ছয় হয়েছে তা গণমাধ্যম তুলে আনতে পেরেছে বলেই সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পেরেছে। ত্রিশ জনের বেশী জনপ্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। এর ফলে পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সচেতনামূলক তথ্য, প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ নিবন্ধ প্রকাশ প্রচার করছে বলে করোনা মহাদুর্যোগ মোকাবিলা সহজতর হচ্ছে। অতএব নিয়ন্ত্রিত নয়, মুক্ত সাংবাদিকতাই দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর।
লেখক : এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে।
0 notes
ctgonlinetv-blog · 6 years
Photo
Tumblr media
ছাত্রলীগের শীর্ষ চারটি পদে গুরুত্ব পাচ্ছে চট্টগ্রাম ও উত্তরবঙ্গ! দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে, উত্তেজনার পারদও চড়ছে। ক্ষমাতসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম এ ছাত্র সংগঠন জাতীয় সম্মেলন আগামী ১১ ও ১২ মে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগে আসছে নতুন নেত্বত্ব। নানা কারণেই এই সম্মেলন পাচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব। এবারের নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রাধান্য পাবে অঞ্চলভিত্তিক রাজনীতিও। গুঞ্জন রয়েছে শীর্ষ চারটি পদে (কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) চট্টগ্রাম ও উত্তরবঙ্গ গুরুত্ব পাবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব ভোটের মাঠকে প্রভাবিত করবে স্বাভাবিকভাবেই। পাশাপাশি সম্প্রতি গড়ে ওঠা কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর পরই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ সম্মেলন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে শুরুতে ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ছাত্রলীগ, আন্দোলনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনটির কর্মকাণ্ড তৈরি করেছে বিতর্ক। এছাড়াও ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১১(খ) ধারা অনুযায়ী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের মেয়াদ দুই বছর। সে হিসেবে ছাত্রলীগের চলমান কমিটির মেয়াদ ছয় মাস আগেই শেষ হয়েছে। এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংগঠনের একটা বড় অংশ। একারণেই এই সম্মেলন গুরুত্বের দাবী রাখে। দেশের ছাত্র রাজনীতির পাওয়ার ইউনিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ছাত্রলীগের সম্মেলন। যদিও এ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়নি নতুন কমিটি। ২৯তম জাতীয় সম্মেলনেই একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণার কথা রয়েছে।আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতারা এরই মধ্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে গঠন করা হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা বেশ আশাবাদী হয়ে ওঠেছেন। তারা মনে করছেন, এবার তারা দলের মূল্যায়ন পাবেন। থেমে নেই সংক্ষীপ্ত পথে নেতা তকমাধারীদের তৎপরতাও। নিজেদের তল্পিতল্পা বহালে কমিটিতে থাকাটা তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বভাবতই তদবীর-লবিংয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের মন গলানোর কসরতে সুবিধাবাদীরাই এগিয়ে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটির শীর্ষ পদে কাদের ঠাঁই হচ্ছে, তা দেখতে কেবল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই নয়, মুখিয়ে আছে রাজনীতি সচেতন সব মহল। আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রলীগের সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য । ছাত্র রাজনীতির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত মধুর ক্যান্টিনে জমেছে আড্ডা। পদ প্রত্যাশীরাও সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। শীর্ষ পদে আলোচনায় থাকা নেতারা শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সঙ্গে নিজেদের যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। তবে এখন সবকিছু ছাপিয়ে পদপ্রত্যাশীদের চিন্তার কারণ শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাইয়ের পদ্ধতি নিয়ে। সম্প্রতি গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাইয়ে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করা হবে। আর সমঝোতা হলে প্রেস রিলিজের মাধ্যমেই নতুন কমিটির ঘোষণা আসবে। এর কয়েকদিন আগে ঢাবি সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদাক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ছাত্রলীগে কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না। বহিরাগতরাও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে পারবেন না। শুধু তাই নয়; দুশ্চরিত্রবানদেরও ছাত্রলীগের কমিটিতে আনা হবে না। দলের শীর্ষ দুই নেতার এসব মন্তওব্য পদপ্রত্যাশী অনেকের মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে তেমনি হতাশও অনেকে। একটি পক্ষ মনে করেন এর মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ে দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে। মুক্তি পাবে ছাত্রলীগ। অন্য পক্ষটি মনে করছেন যদি প্রেস রিলিজ নির্ভর কমিটি হয় তাহলে ছাত্রলীগের স্বকীয়তা নষ্ট হবে। ক্ষমতাসীন দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে ত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে কারা আসবেন, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের একাধিব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাও এরকম একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ওইসম তিনি বলেন, সম্মেলনে কোনো প্রার্থীর নাম প্রস্তাব ও সমর্থনের প্রয়োজন নেই। যোগ্যতার ভিত্তিতে পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও মেধার বিবেচনায় সিলেকশন পদ্ধতিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হবে। ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের সিদ্ধান্ত হলো, টেন্ডার-দখল-চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে যাদের নাম ওঠে এসেছে কোনোভাবেই তাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে না।যেহেতু সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন; তাই এমন নেতা নির্বাচন করা হবে যাতে নির্বাচনকালীন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে পারে। পাশাপাশি দলীয় প্রধানের মুক্তি আন্দোলনে ভূমিকার বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হবে। নতুন কমিটিতে চমক হিসেবে নারীদেরও গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ছাত্রলীগের এবারের সম্মেলনে সরাসরি ভোটের পরিবর্তে সিলেকশন পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে প্রক্রিয়া যা-ই হোক না কেন, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাতেই তা চূড়ান্ত হবে। সূত্রমতে, কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি শীর্ষ নেতৃত্বে যোগ্য নেতৃত্বের হাতে তুলে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে শাসক দলের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা। এছাড়া সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশেই এমনটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,‘ছাত্রলীগ নিয়ে আমরা নতুন করে ভাবছি। সামনে তাদের কনফারেন্স (জাতীয় সম্মেলন) আছে। সেই কনফারেন্সে স্ট্রাকচারাল লিডারশিপ এবং ছাত্রলীগকে নতুন মডেলে বিকাশ করার একটা নির্দেশনা আমাদের নেত্রীর রয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ছাত্রলীগের সম্মেলন এবং সংগঠনে আসছে নতুন নেতৃত্ব। কাজেইছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন, চৌকস, মেধাবী, দলের প্রতি আনুগত্যশীল, ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদেরই গুরুত্ব দেয়া হবে। মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িতরা যেন নেতৃত্ব আসতে না পারে সে বিষয়েও সজাগ আওয়ামী লীগ। এসব নিয়ে কাজ করছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। খোঁজা হচ্ছে পদপ্রত্যাশীদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড। এছাড়াও এবারের নেতৃত্ব বাছাইয়ে দীর্ঘ দিনের অদৃশ্য সিন্ডিকেট ভাঙতে চায় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। অভিযোগ রয়েছে ভোটের মাধ্যমে সূক্ষভাবে সিন্ডিকেট নিজেদের অনুগতদের শীর্ষ পদে নির্বাচিত করে। এদিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২৭ বছর নির্ধারিত থাকলেও এবার তা কত হচ্ছে তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেন, নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২৭ বছর হচ্ছে ছাত্রলীগের নেতা হওয়ার যোগ্যতা। এর বেশি হলে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হবেন। অন্যদিকে পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে গঠনতন্ত্র মোতাবেক যাদের বয়স শেষ হয়ে গেছে তারা বলছেন নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন হলে তারাও গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচনে যোগ্য হতেন। যেহেতু সম্মেলন সঠিক সময়ে হয়নি সেহেতু নেতৃত্ব নির্বাচনের বয়স আমাদের নেত্রী বিবেচনা করবেন। এবারের সম্মেলন সাফলভাবে শেষ করতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৬ জনকে দেয়া হয়েছে দায়িত্ব। অন্যরা হলেন: দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি। জানা গেছে, এবারের নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রাধান্য পাবে অঞ্চলভিত্তিক রাজনীতিও। গুঞ্জন রয়েছে শীর্ষ চারটি পদে (কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) চট্টগ্রাম ও উত্তরবঙ্গ গুরুত্ব পাবে। এছাড়াও বরাবরের মতো থাকছে বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের গুরুত্ব। এসব অঞ্চলের পদপ্রত্যাশীরা যোগাযোগ বাড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সঙ্গে। নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দেয়ার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সাংগঠনিক কর্মসূচিতে একটিভ রয়েছেন। আওয়ামী লীগেরও শীর্ষ পদে থাকা নেতারা নিজেদের অনুগত নেতাদের ছাত্রলীগের নেতৃত্বে টানতে স্ব-স্ব জায়গা থেকে জোর তদবির চালিয়ে ��াচ্ছেন। ঐতিহ্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগের সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনে কয়েকটি বিষয় দেখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, বয়স, নিয়মিত ছাত্র, সংগঠনের জন্য ত্যাগ এবং এলাকা। এ ছাড়া ���ংগঠন পরিচালনায় দক্ষতাকে এবারের সম্মেলনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গত কয়েকটি সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্বে (কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজন নেতৃত্বে থাকে। এর বাইরের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাকি দুজন নেতৃত্বে আসছেন। এবারের সম্মেলনকে ঘিরে এই হিসাব ধরেই এগোচ্ছেন প্রার্থীরা। ২৯তম জাতীয় সম্মেলনে (কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) নেতৃত্ব নির্বাচনে অন্যান্য যোগ্যতার পাশাপাশি এলাকার বিষয়টি বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বৃহত্তর বরিশাল, চট্টগ্রাম অঞ্চল, উত্তরবঙ্গ ও ফরিদপুর অঞ্চল আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। এ ছাড়া বৃহত্তর খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকেও নেতৃত্ব নির্বাচন হতে পারে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের দৌড়ে আলোচনায় আছেন- চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আদিত্য নন্দী,কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার মোহাম্মাদ নিজামুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক জায়েদ বিন জলিল, ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শামীম। খুলনা অঞ্চল থেকে আলোচনায় রয়েছেন: কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ শওকতুজ্জামান সৈকত এবং ঢাবি শাখার সাধারণ সম্মেলন মোতাহের হোসেন প্রিন্স। ফরিদপুর অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন, সহ-সভাপতি সায়েম খান, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক গোলাম রব্বানী, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসাইন এবংএফ রহমান হলের সভাপতি হাফিজুর রহমান বরিশাল অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক আল-নাহিয়ান খান জয়, আপ্যায়ন বিষয়ক উপসম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান, উপ-প্রচার সম্পাদক সাইফুর রহমান সাইফ, সহ-সম্পাদক খাদেমুল বাশার জয়। সিলেট থেকে- কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা সম্পাদক আনিসুল ইসলাম জুয়েল ও জিয়া হলের সভাপতি ইউসুফ উদ্দিন খান এবং ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে আলোচনায় রয়েছেন; কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সোহান খান ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বিপ্লব। উত্তরবঙ্গ থেকে নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন- দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল হাসান, গণযোগাযোগ সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান মনির ও মুহসিন হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী এবং ঢাকা বিভাগ থেকে ঢাকা বিভাগ থেকে কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বিপ্লব। ছাত্রলীগের এবারের সম্মেলনে চমক হিসেবে শীর্ষ যে কোনো পদে দেখা যেতে পারে নারী নেত্রীকে।আলোচনায় থাকা নারী নেত্রীরদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চৈতালী হালদার চৈতী. সহ-সভাপতি ও শামসুন নাহার হলের সাবেক সভাপতি নিশীতা ইকবাল নদী, সহ-সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের মেয়ে অর্না জামান , রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইশাত কাসফিয়া ইরা, অর্থবিষয়ক উপসম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার প্রমুখ প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন ২৮তম অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ২৫ ও ২৬ জুলাই। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাইফুর রহমান সোহাগকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
0 notes