#সমরাস্ত্র
Explore tagged Tumblr posts
Text
#প্রেম#বিচ্ছেদ#��ীবন#মন#সাইকোলজি#ফটোগ্রাফি#তথ্য#প্রযুক্তি#জ্ঞান#বিজ্ঞান#ইতিহাস#ব্যবসা#বাণিজ্য#প্রবন্ধ#কবিতা#গল্প#ভ্রমন#পর্যটন#সংস্কৃতি#ঐতিহ্য#মনস্তত্ত্ব#সমরাস্ত্র#ট্যুরিজম#সঙ্গীত#গান
1 note
·
View note
Video
youtube
তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সমরাস্ত্র প্রদর্শনী-২০...
0 notes
Text
২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস ।
-----------------------------
মানব সভ্যতার ইতিহাসে এটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন । নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বর্বরোচিত গণহত্যা চালানোর এক ভয়াল স্মৃতির কালরাত এই ২৫ শে মার্চ । ১৯৭১ সালের এই রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে রচিত হয়েছিল বিশ্বের নৃশংসতম গণহত্যার এক কালো অধ্যায় ।
কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চলাইটে’র নামে মুক্তিকামী বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন শুরু হয় এই রাতে । বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার প্রাক্কালের এই গণহত্যার দিনটিকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করে আসছে জাতি ।
২৫ মার্চের সেই রাতে ঢাকাবাসী নিরীহ বাঙালি সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন । ঠিক সেই সময়ই ভয়ংকর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার বাহিনী । হিংস্র শ্বাপদের মতো জলপাই রঙের ট্যাংকগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ-ইপিআর ব্যারাকের দিকে ধেয়ে যেতে থাকে । রচিত হয় এক কুখ্যাত ইতিহাস ।
রাত সাড়ে ১১টায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিপ-ট্রাক বোঝাই করে নরঘাতক কাপুরুষ পাকিস্তানের সৈন্যরা ট্যাঙ্কসহ আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে । আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে গর্জে ওঠে আধুনিক রাইফেল, মেশিনগান ও মর্টার । মুহুর্মুহু গুলিতে বর্বরোচিত নিধনযজ্ঞ আর ধ্বংসের উন্মত্ত তাণ্ডবে তখন মত্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী । হতচকিত বাঙালি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঢলে পড়তে থাকে মৃত্যুর কোলে ।
ঢাকার রাজা��বাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে তখন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে লাশের পর লাশ । মধ্যরাতের ঢাকা তখন লাশের শহর । এমনভাবে নিরস্ত্র-ঘুমন্ত মানুষের ওপর চালানো এ হত্যাযজ্ঞে স্তম্ভিত বিশ্ব বিবেক ।
২৫ মার্চের ভয়াল সেই রাতে কত বাঙালিকে প্রাণ দিতে হয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে— এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না । মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তারা যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয়— ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মা��ুষের জীবননাশ হয়েছিল ।
২৫শে মার্চ কালো রাতে নির্মমভাবে নিহত সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিন, আমিন ।
Shameem Sayedee
0 notes
Text
ইউক্রেনের জন্য আরও ২৬০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
সময় সংবাদ রিপোর্টঃ ইউক্রেনের জন্য আরও ২৬০ কোটি ডলার মূল্যের সামরিক সহযোগিতার কথা ঘোষণা করেছে মার্কিন সরকার। রাশিয়া এর প্রতিক্রিয়ায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, এ ধরনের সহযোগিতার ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ কেবল দীর্ঘায়িত হবে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউক্রেনকে যেসব সমরাস্ত্র দেয়া হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি গোয়েন্দা রাডার, ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট ও জ্বালানী ট্র্যাক। এই নিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে…
View On WordPress
0 notes
Link
রাশিয়া-ইরান সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। এবার তেহরানকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তার ঘোষণা দিল মস্কো। এর সঙ্গে কয়েক
0 notes
Text
গ্রিসে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসছিলো
নিউজনাউ ডেস্ক: সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশে সমরাস্ত্র নিয়ে আসার পথে ইউক্রেনীয় একটি কার্গো উড়োজাহাজ উত্তর-পূর্ব গ্রিসে বিধ্বস্ত হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের কাভালা শহরে বিধ্বস্ত ওই কার্গো উড়োজাহাজের ৮ ক্রুর সবাই মারা গেছেন। রোববার সার্বিয়ার কর্তৃপক্ষ ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। দুর্ঘটনাস্থলের ড্রোনে তোলা ছবিতে দেখা যায়, গ্রিসের কাভালা…
View On WordPress
0 notes
Text
#বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা নিয়োগ ২০২১#বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা নিয়োগ#বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২১#বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি#চাকরির খবর#চাকরির খবর ২০২১#আজকের চাকরির খবর#সাপ্তাহিক চাকরির খবর#সরকারি চাকরির খবর#সরকারি চাকরির খবর ২০২১#দৈনিক চাকরির খবর
0 notes
Text
সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী
সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ার গ্রাউন্ডে প্রদর্শনীর ফিতা কেটে সপ্তাহব্যাপী সেনা, নৌ ও বিমান সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ।
সেখানে মিগ-২৯সহ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ছয়টি জঙ্গিবিমান প্যারেড স্কয়ারের উপর দিয়ে দর্শনীয় উড্ডয়ন প্রদর্শন করেন…
View On WordPress
0 notes
Text
তামিল টাইগার্স ও শ্রীলঙ্কা যুদ্ধ
তামিল টাইগার VS শ্রীলঙ্কাঃ যুদ্ধ ও জিয়া। একটি দূর্ধর্ষ রণাঙ্গনের পর্দা উঠিয়ে দিলাম।
সারথ ফনসেকাঃ একজন জেনারেলের নাম। যিনি কারো কাছে বিখ্যাত ��বার কারো কাছে কুখ্যাত। শ্রীলঙ্কায় প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৬৪ বছর বয়সে দেশটির সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব ফিল্ড মার্শাল অর্জন করেন সেনাপ্রধান সারথ ফনসেকা।
Field Marshal Sarath Fonseka 'র ফিল্ড মার্শাল খেতাব অর্জনের ছবি/লিঙ্কঃ
https://bit.ly/2QnwfJf
LTTE বা তামিল টাইগারদের নাম জানেনা এমন মানুষ দক্ষিন এশিয়াতে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। তবে তাঁর চেয়েও ইন্টারেস্টিং হচ্ছে অর্থ, অস্ত্র, গোলা-বারুদ, সামরিক প্রযুক্ত – এসবের সাথে বিশ্বে জড়িত বা সামান্য খবরাখবর রাখতে পছন্দ করেন, তাদের কাছে লোভনীয় একটি নাম তামিল টাইগার্স। তামিল টাইগার্সের সমার্থক নাম ভেলুপিল্লাই প্রভাকারণ। বলা হত বিশ্ব ইতিহাসে সবচেয়ে দানবীয়, দূর্ধর্ষ, সুশৃঙ্খল, আধুনিক ও অপরাজেয় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি তামিল টাইগার্স যার প্রাণ পুরুষ মিষ্টার প্রভাকরণ। তাদের নিজস্ব প্রশাসন, বিচার ব্যাবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা ও পুলিশিং ব্যাবস্থা ছিল কিছু রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী। এই প্রভাকরণ, আরেক সামরিক পুরুষ সারথ ফনসেকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলে তা একটি সাসপেন্স পূর্ণ মুভিতে পরিণত হবে স্বাভাবিক কারণেই। তাদের দ্বৈরথের সময় সারা পৃথিবীর চোখ ছিল এই লড়ায়ের ময়দানে।
৪১ বছর আগে ৫ মে'১৯৭৬ এ মাত্র ১৭ বছর বয়সে তামিল টাইগার্স গড়ে তোলেন ভিলু��িল্লাই। এর ১০ বছর পর ১৮ অগাষ্ট ১৯৮৬ তে গার্লস ব্রিগেড তৈরি করে LTTE. তামিল মেয়েদের সামরিক ইতিহাসে শুধু নয়, সারা বিশ্বের সামরিক ক্ষেত্রে এবং সম্মুখ সমরে নারীর অংশগ্রহণের আল্টিমেট দাবী সৃষ্টি করে তামিল ওমেন ব্রিগেড। মাত্র ১৭ বছর বয়সে টাইগার ফোর্স গড়া ভিলুপিল্লাই সিনিয়রকে অধিকাংশ সময় নিরাপত্যা দিতো ওমেন টাইগার্স। ওমেন ব্রিগেডের সক্ষমতা প্রকাশ দেখুনঃ
https://bit.ly/2K44OTR
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা বা INTERPOL HQ এর চোখে প্রভাকরণ (ভিলুপিল্লাই) হলেন এমন এক ব্যক্তি যিনি যে কোন মুহূর্তে ছদ্মবেশ ধারণ করতে সক্ষম এবং আধুনিক সমরাস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারে অত্যন্ত পারদর্শী। ইন্টারপোলের রেড এলার্টঃ
https://bit.ly/2HBhIqu
প্রভাকরণ ছোটবেলায় অত্যন্ত লাজুক ছিলেন। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বই-এর পোকা প্রভাকরণ সিংহলি জনগোষ্ঠীর বৈষম্য দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরবর্তী জীবনে চরম ভারত বিদ্বেষী হলেও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের দুই প্রবাদ পুরুষ সুভাষ চন্দ্র বসু এবং ভগত সিং তাঁকে প্রভাবিত করেছিল। এছাড়া আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট ও নেপোলিয়ানের জীবনাদর্শ প্রভাকরণ অনুসরণের চেষ্টা করতো।
তামিল টাইগার্সদের ছিল নিজস্ব বিমান প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা, নৌ বাহিনী যা সী-টাইগার্স নামে খ্যাত। বিমান বাহিনীও ছিল তাদের। তাদের কুখ্যাত সী টাইগার্সদের রশদ সাপ্লাই রুট ছিল তামিলদের প্রাণ ভোমর।
দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলংকাতে কোন লড়ায়ে নৌ শক্তি সবচেয়ে গূরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা স্বাভাবিক। টাইগার্সদের শক্তির ভড় কেন্দ্র যেমন ছিল নৌ পথ তেমনি লংকান বাহিনীর দূর্বলতম স্থানের নাম ছিল নৌশক্তি। ভারতের দক্ষিণ উপকূল থেকে বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে ছোট ছোট বোটে করে তামিল যোদ্ধাদের জন্যে অস্ত্রসহ সকল সাপ্লাই আসতো। শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর জন্যে যুদ্ধে জয়লাভ করতে এই সাপ্লাই লাইন কেটে ফেলা ছিল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সাপ্লাই লাইন কাটার জন্যে দরকার ছিল বিরাট সমুদ্রাঞ্চলসহ ভারত-শ্রীলঙ্কার মাঝের ‘পক প্রণালী’র অগভীর বিপজ্জনক নৌপথে দিবারাত্র ২৪ ঘণ্টা নিজের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখা। ভারতের দক্ষিণ উপকূলের দিকে মুখ রাখা টাইগার্সের সাপ্লাই চেন কেটে দিতে পারলেই তামিল টাইগার্সদের প্রান ভোমরা অনেক আগেই ইহলোক ত্যাগ করতে বাধ্য হত।
সী টাইগারদের গ্লাস-ফাইবার বা Glass-Reinforced Plastic (GRP) বোটগুলির গতি এবং ম্যানুভার করার ক্ষমতা লংকান গানবোটগুলির জন্য ছিল বিভীষিকা। ইস্রাইল থেকে কেনা ২২টির Dvora, ‘Super Dvora এবং Shaldag ফাস্ট এটাক ক্রাফট চালনা শুরু করে লংকান বাহিনী এবং পরবর্তীতে লংকান ফোর্স ‘Colombo-class নামে ২০টি ফাষ্ট এটাক ক্রাফট নিজস্ব কলম্বো ডকইয়ার্ডে তৈরি করে। ২৫ মিটারে লম্বা এই ক্রাফটগুলির গতি ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইল এবং চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত লোডেড।
শ্রীলঙ্কার উপকূলীয় এলাকায় 4th Fast Attack Flotilla (4FAF)-এর অধীনে এগুলি সামরিক এবং বেসামরিক জাহাজের কনভয়কে নিরাপত্তা দিয়ে সামুদ্রিক যোগাযোগ পথগুলো সচল রেখেছিল।
দ্বীপ দেশ হবার কারণে ওসব সমুদ্রপথ রক্ষা শ্রীলঙ্কার জন্যে অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সী টাইগারদের জিআরপি বোটগুলির গতিকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিল এই ক্রাফটগুলি। উভচর অভিযানের জন্যে ল্যান্ডিং শিপ, ল্যান্ডিং ক্রাফট এবং পরিবহণ জাহাজগুলিকেও এগুলি এসকর্ট করতো। সী টাইগাররা তাদের ছোট বোটগুলি��ে ২৩মিমি কামান ব্যবহার করতো, যা কিনা 4FAF-এর ক্রাফটগুলির কামানের সমান। তাই শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী শেষ পর্যন্ত ৩০মিমি কামান লাগিয়ে 4FAF-এর বোটগুলিকে আরও বেশি দূরত্ব থেকে গোলা ছোঁড়ার সুযোগ করে দেয়। মজার বিষয় হচ্ছে তামিল অস্ত্র পরিবহণে কোন বাঁধা না থাকলেও অস্ত্র ক্রয় ও পরিবহণে আন্তর্জাতিক নিষেধাংকার মুখে অসহায় ছিল শ্রীলংকা। এর মাঝে ১৯৯০ সালে টাইগার্সরা সৃষ্টি করে অপ্রতিরোধ্য সুইসাইডাল টাইগার্স।
এই সব কৌশল গত অস্ত্রের বিষয়টি উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে ইসরেল থেকে গোপনে ক্রয়ের পরেও এগুলোর স্পর্শকাতর এড-অন গুলো করতে শ্রীলঙ্কার নিজেদের লুকাতে হয়েছিল খোদ ইসরেল ও ইন্ডিয়ার কাছে। প্রথমত তামিলদের অস্ত্র সরবরাহের সোর্স ছিল ইজরেল আর পরবর্তী সময়ে ইন্ডিয়া টাইগার্সদের বিরোধীতা করলেও টাইগার্সদের জন্ম পরবর্তী জীবন গড়ে উঠেছিল ইন্ডিয়ান ভূমিতে। এই সমস্ত কাজ গুলো সহকারী আর্মী চিফ হিসাবে তদারক ও নকশা প্রণয়ন করেন জেনারেল সারথ ফনসেকা। তবে যুদ্ধ শেষ হবার আগের কবছরে নৌযুদ্ধের প্রধান নায়ক শ্রীলঙ্কান নৌবাহিনী।
ষ্ট্রেটেজিক এক্সপার্ট আহাম্মেদ শরীফ ভাই লিখেছেনঃ “শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ শেষ করার কৃতিত্ব অনেকেই দিতে চান ভাইস এডমিরাল কারান্নগোডাকে। এই স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষে তাকে এডমিরাল পদে পদোন্নতি দেন, যা কিনা শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথম। তিনি সাফল্যের সাথে তামিল টাইগারদের সাপ্লাই লাইনের কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠোকেন। ২০০৬ এ পুনরায় যুদ্ধ শুরুর পর নৌবাহিনী অল্প সময়ে ১১টি ট্রলার ধ্বংস বা আটক করে, যেগুলি অস্ত্র চোরাচালান করছিল টাইগারদের জন্যে। কিন্তু এই ট্রলারগুলি আসছিল কোথা থেকে? সেই উৎস ধরতে না পারলে তো ট্রলার ধরতেই থাকবে নৌবাহিনী, কিন্তু যুদ্ধ শেষ হবে না।
নৌবাহিনীর ইন্টেলিজেন্স আরও উন্নত করা শুরু হলো। ফলশ্রুতিতে তথ্য আসতে লাগলো কোথা থেকে এই ট্রলার আসছে। জানা গেলো যে গভীর সাগরে শ্রীলঙ্কার সমুদ্রসীমার এমনকি অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে থেকে এই ট্রলার আসছে। সেখানে সাগরের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে কিছু বাণিজ্যিক জাহাজ, যেগুলি অস্ত্র শুধু নিয়েই আসে না, অস্ত্রের ‘ভাসমান গুদাম’ হিসেবে কাজ করে। কয়েক বছরের যুদ্ধবিরতির সময়ে এই জাহাজগুলিকে অস্ত্র মজুতের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল। এডমিরাল কারান্নাগোডা এই ‘ভাসমান গুদাম’-গুলিকে টার্গেট করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন, সেটা যত কঠিন কাজই হোক না কেন।
এই পরিকল্পনা সফল করার পেছনে দুইটি সমস্��া ছিল। প্রথমতঃ শ্রীলঙ্কার নৌবহরে কোন ডেস্ট্রয়ার বা ফ্রিগেট এমনকি কর্ভেটও নেই, যা কিনা গভীর সাগরে গিয়ে মিশন শেষ করে ফেরত আসতে পারবে। আর
দ্বিতীয়তঃ নিজেদের সমুদ্রসীমার বাইরে গিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমানায় বাণিজ্যিক জাহাজ আক্রমণ করতে যে রাজনৈতিক সাহসের দরকার, সেটা শ্রীলঙ্কা সরকারের আছে কি না!
Srilanka Navy তে গভীর সমুদ্রে চালনা করার মতো যুদ্ধজাহাজ বলতে ছিল তিনটি অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল বা ওপিভি। প্রথম সমস্যার সমাধান এগুলি দিয়েই দেয়া হয়েছিল। ১৯৮৩ সালে শ্রীলঙ্কা সরকার ৩৩০ টনের ‘জয়াসাগারা’ তৈরি করে, যার ডিজাইন গভীর সাগরে চালনার জন্যে কতটা উপযোগী, সেটা প্রশ্ন করা যেতে পারে। (একই রকমের ‘সাগারাবর্ধনা’ তামিলরা ডুবিয়ে দেয় ১৯৯৪ সালে।) ২০০০ সালে ভারত তাদের ‘সুকণ্যা-ক্লাস’-এর ১,৮৯০ টনের একটা ওপিভি শ্রীলঙ্কাকে উপহার দেয়, যার নাম রাখা হয় ‘সাইউরা’। ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কোস্ট গার্ড থেকে ‘রিলায়েন্স-ক্লাস’-এর ১,১২৯ টনের ৩৬ বছরের পুরোনো একটি কাটার দেয়, এটার নাম রাখা হয় ‘সামুদুরা’। এগুলিতে শক্তিশালী অস্ত্রের অভাব ছিল, যা তারা পূরণ করেছিল ৮১মিমি মর্টার, ১০৭মিমি রকেট এবং ১০৫মিমি কামান দিয়ে।
স্থলবাহিনীর অস্ত্র এমন অদ্ভুতভাবে সমুদ্রে ব্যবহৃত হলেও এতে যে কাজ হয়েছিল তা কিছু ভিডিওতে পরিষ্কার বোঝা গেছে। জাহাজগুলিকে গভীর সমুদ্রে লম্বা মিশনে টিকিয়ে রাখতে ব্যবহার করা হয়েছিল পুরোনো তেলবাহী জাহাজ, বাণিজ্যিক পরিবহণ জাহাজ এবং মাছ ধরার ট্রলার। এগুলি দেখতে খুব একটা উন্নত ছিল না, কিন্তু এতে কাজ চালানো যাচ্ছিল। লংকান নৌ বাহিনীর হাতে তখন টাইগার্সরা একে একে হারাতে শুরু করে তাদের যুদ্ধ জাহাজ।
এক স্বকরুন ষড়যন্ত্রের ফলঃ
যে ষড়যন্ত্রের খেসারত দিতে গার্ড অফ অনার নিতে গিয়ে রাইফেলের বাটে মার খেতে হয় ভারতের প্রধান মন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে। একই রাষ্ট্রের অপকর্মের খেসারত দিতে শেষ পর্যন্ত প্রাণবায়ু ত্যাগ করতেও বাধ্য হন রাজীব গান্ধী। এই হত্যা ও মার খাওয়া এই জন্য নয় যে ভারত শেষ পর্যন্ত তামিলদের সমর্থণ প্রদান করেন নি। বরং এই হত্যাকান্ড প্রমান করে কাউকে গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া একটি নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্র এবং প্রতিবেশীর ঘরে আগুন জ্বলালে সেই আগুনে আপনি নিজেই ডেলিসিয়াস বার-বি-কিউ হয়ে অন্যের রসনা তৃপ্ত করবেন। ভারতের প্রধান মন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে পিটানোর ভিডিওঃ https://www.youtube.com/watch?v=LuOJoMgctcs
এবং পূর্বে ইন্ডিয়া কতৃক সেই তামিল টাইগার্সদের উস্কানি দেবার ডক্সঃ
https://bit.ly/2QmIwxL
আসলে ঠিক যে কারণে এই লেখা ��ুরু করা তা এখনো বলা হয়নি। মূল বিষয় আসতে গিয়ে কিছু পয়েন্ট জানার জন্য আহাম্মেদ শরীফ ভাই এর হেল্প নিতে গিয়ে কৌশলী যুদ্ধের মাঝে আমাকে টেনে এনেছে।
মূলত যা লিখতে চাইছিলামঃ
পরবর্তীতে সেনা প্রধান হয়ে যিনি চুড়ান্ত ভাবে গুড়িয়ে দেন তামিল টাইগার্সদের। জাফনার শেষ ঘাঁটি ও ভালুপিল্লাই প্রভাকরণের আত্মহত্যার মধ্যদিয়ে শেষ হয় এই ভয়ংকর যুদ্ধের ইতি। সেই সফল জেনারেল, পরবর্তীতে ফিল্ড মার্শাল মিঃ সারথ ফনসেকা ১৯৮৭ সালে Defence Services Command and Staff College, Mirpur, Dhaka Bangladesh থেকে তার উচ্চতর সামরিক গ্রাজুয়েশন অর্জন করেন।
এই ডিফেন্স স্টাফ কলেজের ওয়েব সাইটে হিষ্ট্রি বিভাগে গেলে দেখতে পারবেন সেখানে লেখা আছেঃ
DSCSC is the oldest tri-service military institution in Bangladesh. It was inaugurated on 30th December 1977 by the then #President of Bangladesh, #Ziaur #Rahman. The objective for setting up the college was to #prepare the #officers of the three services for assumption of higher #responsibilities in command and staff appointments.
হ্যা আমাদের সাথে #শ্রীলংকার মানুষের আজকের শান্তিতে জীবন যাপনের সম্পর্ক এখানেই।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত Defense Services Command & Staff College, Mirpur ঢাকা থেকে ১৯৮৭ সালে সফল সামরিক গ্রেজুয়েসন করেন ফিল্ড মার্শাল সারথ ফনসেকা। এই সেই জিয়ার প্রতিষ্ঠিত কলেজ যা তিনি গড়ে ছিলেন উচ্চ সামরিক কৌশল গত শিক্ষা দিয়ে কামান্ডিং অফিসার তৈরি করতে। শ্রীলঙ্কার যুদ্ধ জয়ের নায়ক সারথ ফনসেকা, জিয়ার সেই কলেজ থেকে অর্জিত শিক্ষা থেকে এত দিনের অপরাজেয় তামিল টাইগার্সদের সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
সত্য উন্মোচিত হোক
ছবিঃ https://photos.app.goo.gl/jsgJvTpgGQn38Jnm8
তথ্য সুত্রঃ
১) আহাম্মেদ শরীফ ২) ইন্টারপোল
৩) http://bit.ly/2h4o0V0
৪)https://en.wikipedia.org/wiki/Sarath_Fonseka
৫)http://globalstrategicforum.blogspot.com/2011/09/end-of-era.html
৬)https://www.nytimes.com/topic/person/velupillai-prabhakaran
৭)http://dbsjeyaraj.com/dbsj/archives/615
৮) ঢাকার Defence Services Command and Staff College এর লিংকঃ https://bit.ly/2WjRBwJ
এবং
My Blog:
1 note
·
View note
Video
youtube
পারমানবিক সমরাস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা ইউক্রেনের! খারসন ছেড়ে যাবে না রাশিয়া!
0 notes
Text
ইউক্রেনকে অস্ত্র দিলে রাশিয়ার সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক ‘ধ্বংস’ হয়ে যাবে
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরাইল যদি ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র সরবরাহের ‘বেপরোয়া পদক্ষেপ’ নেয় তাহলে মস্কোর সঙ্গে তেল আবিবেরে সম্পর্ক ধ্বংস হয়ে যাবে। ইসরাইলের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী নিচম্যান শাই গতকাল (সোমবার) বলেছেন, ইসরাইলের কাছ থেকে ইউক্রেনের সামরিক সহযোগিতা গ্রহণ করার সময় এসে গেছে।
0 notes
Text
রাশিয়ার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়ার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেনের চার অঞ্চল রুশভুক্ত হওয়ার পরই রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও নিষেধাজ্ঞা আসছে। সমরাস্ত্র-শিল্প কমপ্লেক্স ছাড়াও দুটি আন্ত্রর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাতের তিনজন প্রধান নেতা, কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য ও রুশ আইনসভার ২৭৮ জন সদস্যকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে। খবর বিবিসির।
0 notes
Text
‘বাংলাদেশে আসার সময় গ্রীসে ১১ টন অস্ত্রসহ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত’
‘বাংলাদেশে আসার সময় গ্রীসে ১১ টন অস্ত্রসহ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত’
১১ টন সমরাস্ত্র পরিবাহী একটি কার্গো উড়োজাহাজ উত্তর-পূর্ব গ্রিসে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজা স্টেফানোভিচ। অস্ত্রগুলো বাংলাদেশে আনা হচ্ছিল। খবর বিবিসির। বিমানটি সার্বিয়া থেকে জর্ডান যাওয়ার সময় শনিবার গভীর গ্রীক শহর কাভালার কাছে একটি গ্রামে বিধ্বস্ত হয়। এতে আরোহী আটজন নিহত হন। বিধ্বস্ত কার্গো উড়োজাহাজটি থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। এলাকার দুই…
View On WordPress
0 notes