#শিক্ষা
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 19 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বিসমিল্লাহ্‌ 
youtube
youtube
youtube
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
শিশুর শৈশবের খেলাধুলা, আদর-সোহাগ বিসর্জন দিয়ে শিশুকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নিয়োজিত করা তার দৈহিক ও মানসিক গঠনের পক্ষে ক্ষতিকর। অবুঝ শিশুকে মাতৃকোল থেকে দূরে সরিয়ে পাঠচর্চায় ঠেলে দেওয়া শিক্ষার প্রতি বিরক্তির অন্যতম কারণ। দুরন্তপনা, দুষ্টুমি, চাঞ্চল্য আর বায়না ধরার বয়সে পড়ালেখার চাপ তার পক্ষে অস্বস্তিকর। বড়দের মতো রুটিনের শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চলতে সে নিরানন্দ বোধ করে।
ফলে তার মন চায় সদা এই শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পালাতে, যেকোনো ঠুনকো বাহানায় প্রতিষ্ঠানে না যেতে। ক্লাসে তার মন বসে না। অপেক্ষায় থাকে ছুটির ঘণ্টা কখন বাজবে আর অমনি ছুটে যাবে খেলার সাথিদের কাছে। উপভোগ করবে শৈশবের সব আনন্দ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বয়স হলে সন্তানকে শিক্ষকের হক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া অতি জরুরি। যেমন : ১. শিক্ষকের আদব রক্ষা করা, ২. শিক্ষকের প্রতি ভক্তি রাখা, ৩. শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা, ৪. শিক্ষকের যথাসাধ্য খিদমত করা, ৫. শিক্ষকের সামনে বিনয়ের সঙ্গে ��থা বলা ইত্যাদি।
আত্মবিশ্বাস তৈরি করা দরকার
অনেক অভিভাবক শুধু নিজের অভিলাষ আর স্বপ্নপূরণে শিশুকে অসময়ে অনেক বেশি শিখিয়ে ফেলতে চায়। বাড়তি এ ভার আরোপের ফলে শিশুকে হতাশায় পেয়ে বসে।
ফলে তার মধ্যে জন্ম নেয় না পারার বোধ। সে ভাবে, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। কথায় কথায় বলে, আমি পারি না, পারব না। অথচ অগ্রগামিতার জন্য আত্মবিশ্বাস অতি জরুরি। আর না পারার বোধ শিশুকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়।
প্রতিটি শিশুর মধ্যে নিজস্ব প্রতিভা সুপ্ত থাকে। কারো বিকাশ জলদি ঘটে, কারো ঘটে ধীরে। তাই তুলনামূলক বেশি মেধাবীর সঙ্গে শিশুদের কখনো তুলনা করতে নেই। অমুক পারে তুমি কেন পারো না বলে তিরস্কার না করে বরং উৎসাহ প্রদান করা চাই। মাশাআল্লাহ, সুন্দর হয়েছে, তুমি দেখি সব পারো, তোমাকে আরো ভালো করতে হবে। এ ধরনের কথা বলে শিশুর মনে আত্মবিশ্বাস জন্মানো উচিত।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স
শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স কত—এ ব্যাপারে একটি হাদিসের আলোকে বলা যায়, সাত বছর বয়স থেকে তা হতে পারে। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের হুকুম দাও...।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)
এতে বোঝা যায়, নামাজ যদিও বালেগ হওয়ার পর ফরজ হবে; কিন্তু নামাজের শিক্ষাদান করতে হবে সাত বছর বয়স থেকেই। কাজেই সাত বছর বয়সই যথারীতি শিক্ষাদানের উপযুক্ত সয়ম। এরপর বিলম্ব করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি এর আগে চাপাচাপি করাও উচিত নয়। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত শিক্ষা। আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তা সহজ করে দিয়েছেন। শিশুর বয়স যত কমই হোক না কেন, কোরআনের শিক্ষা তার ব্রেনে কোনোরূপ চাপ সৃষ্টি করে না। মুখে বোল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেও যদি শিশুকে আল্লাহ আল্লাহ বা কালেমা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ শেখানো হয়, তবু সে তা সহজেই রপ্ত করতে পারে। এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সব মা-বাবারই আছে। অতএব যে বয়সে শিশু পার্থিব পাঠ গ্রহণে অপরিপক্ব বা অনুপযুক্ত থাকে সে সময়ে তাকে কোরআন শিক্ষা দিয়ে দেওয়াই হবে সময়ের যথার্থ মূল্যায়ন।
মূলকথা হলো, সন্তানের শিক্ষাদানে অতি উৎসাহ বা তাড়াহুড়ার অবকাশ নেই। ধীরস্থিরভাবে এগোতে হবে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘ধীরস্থিরতা আল্লাহর রহমতস্বরূপ আর তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০১২)
ধীরস্থির মানে সময়ক্ষেপণ নয়, বরং সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়া। সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সক্ষমতার মাত্রার প্রতি দৃষ্টি রাখা। উপযুক্ত সময়ে সে যতটুকু পড়াশোনা করার কথা, তা হচ্ছে কি না এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
Don't rush your child's education.
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 19 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বিসমিল্লাহ্‌ 
youtube
youtube
youtube
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
শিশুর শৈশবের খেলাধুলা, আদর-সোহাগ বিসর্জন দিয়ে শিশুকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নিয়োজিত করা তার দৈহিক ও মানসিক গঠনের পক্ষে ক্ষতিকর। অবুঝ শিশুকে মাতৃকোল থেকে দূরে সরিয়ে পাঠচর্চায় ঠেলে দেওয়া শিক্ষার প্রতি বিরক্তির অন্যতম কারণ। দুরন্তপনা, দুষ্টুমি, চাঞ্চল্য আর বায়না ধরার বয়সে পড়ালেখার চাপ তার পক্ষে অস্বস্তিকর। বড়দের মতো রুটিনের শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চলতে সে নিরানন্দ বোধ করে।
ফলে তার মন চায় সদা এই শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পালাতে, যেকোনো ঠুনকো বাহানায় প্রতিষ্ঠানে না যেতে। ক্লাসে তার মন বসে না। অপেক্ষায় থাকে ছুটির ঘণ্টা কখন বাজবে আর অমনি ছুটে যাবে খেলার সাথিদের কাছে। উপভোগ করবে শৈশবের সব আনন্দ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বয়স হলে সন্তানকে শিক্ষকের হক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া অতি জরুরি। যেমন : ১. শিক্ষকের আদব রক্ষা করা, ২. শিক্ষকের প্রতি ভক্তি রাখা, ৩. শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা, ৪. শিক্ষকের যথাসাধ্য খিদমত করা, ৫. শিক্ষকের সামনে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদি।
আত্মবিশ্বাস তৈরি করা দরকার
অনেক অভিভাবক শুধু নিজের অভিলাষ আর স্বপ্নপূরণে শিশুকে অসময়ে অনেক বেশি শিখিয়ে ফেলতে চায়। বাড়তি এ ভার আরোপের ফলে শিশুকে হতাশায় পেয়ে বসে।
ফলে তার মধ্যে জন্ম নেয় না পারার বোধ। সে ভাবে, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। কথায় কথায় বলে, আমি পারি না, পারব না। অথচ অগ্রগামিতার জন্য আত্মবিশ্বাস অতি জরুরি। আর না পারার বোধ শিশুকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়।
প্রতিটি শিশুর মধ্যে নিজস্ব প্রতিভা সুপ্ত থাকে। কারো বিকাশ জলদি ঘটে, কারো ঘটে ধীরে। তাই তুলনামূলক বেশি মেধাবীর সঙ্গে শিশুদের কখনো তুলনা করতে নেই। অমুক পারে তুমি কেন পারো না বলে তিরস্কার না করে বরং উৎসাহ প্রদান করা চাই। মাশাআল্লাহ, সুন্দর হয়েছে, তুমি দেখি সব পারো, তোমাকে আরো ভালো করতে হবে। এ ধরনের কথা বলে শিশুর মনে আত্মবিশ্বাস জন্মানো উচিত।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স
শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স কত—এ ব্যাপারে একটি হাদিসের আলোকে বলা যায়, সাত বছর বয়স থেকে তা হতে পারে। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের হুকুম দাও...।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)
এতে বোঝা যায়, নামাজ যদিও বালেগ হওয়ার পর ফরজ হবে; কিন্তু নামাজের শিক্ষাদান করতে হবে সাত বছর বয়স থেকেই। কাজেই সাত বছর বয়সই যথারীতি শিক্ষাদানের উপযুক্ত সয়ম। এরপর বিলম্ব করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি এর আগে চাপাচাপি করাও উচিত নয়। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত শিক্ষা। আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তা সহজ করে দিয়েছেন। শিশুর বয়স যত কমই হোক না কেন, কোরআনের শিক্ষা তার ব্রেনে কোনোরূপ চাপ সৃষ্টি করে না। মুখে বোল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেও যদি শিশুকে আল্লাহ আল্লাহ বা কালেমা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ শেখানো হয়, তবু সে তা সহজেই রপ্ত করতে পারে। এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সব মা-বাবারই আছে। অতএব যে বয়সে শিশু পার্থিব পাঠ গ্রহণে অপরিপক্ব বা অনুপযুক্ত থাকে সে সময়ে তাকে কোরআন শিক্ষা দিয়ে দেওয়াই হবে সময়ের যথার্থ মূল্যায়ন।
মূলকথা হলো, সন্তানের শিক্ষাদানে অতি উৎসাহ বা তাড়াহুড়ার অবকাশ নেই। ধীরস্থিরভাবে এগোতে হবে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘ধীরস্থিরতা আল্লাহর রহমতস্বরূপ আর তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০১২)
ধীরস্থির মানে সময়ক্ষেপণ নয়, বরং সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়া। সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সক্ষমতার মাত্রার প্রতি দৃষ্টি রাখা। উপযুক্ত সময়ে সে যতটুকু পড়াশোনা করার কথা, তা হচ্ছে কি না এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
Don't rush your child's education.
0 notes
ilyforallahswt · 19 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বিসমিল্লাহ্‌ 
youtube
youtube
youtube
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
শিশুর শৈশবের খেলাধুলা, আদর-সোহাগ বিসর্জন দিয়ে শিশুকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নিয়োজিত করা তার দৈহিক ও মানসিক গঠনের পক্ষে ক্ষতিকর। অবুঝ শিশুকে মাতৃকোল থেকে দূরে সরিয়ে পাঠচর্চায় ঠেলে দেওয়া শিক্ষার প্রতি বিরক্তির অন্যতম কারণ। দুরন্তপনা, দুষ্টুমি, চাঞ্চল্য আর বায়না ধরার বয়সে পড়ালেখার চাপ তার পক্ষে অস্বস্তিকর। বড়দের মতো রুটিনের শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চলতে সে নিরানন্দ বোধ করে।
ফলে তার মন চায় সদা এই শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পালাতে, যেকোনো ঠুনকো বাহানায় প্রতিষ্ঠানে না যেতে। ক্লাসে তার মন বসে না। অপেক্ষায় থাকে ছুটির ঘণ্টা কখন বাজবে আর অমনি ছুটে যাবে খেলার সাথিদের কাছে। উপভোগ করবে শৈশবের সব আনন্দ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বয়স হলে সন্তানকে শিক্ষকের হক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া অতি জরুরি। যেমন : ১. শিক্ষকের আদব রক্ষা করা, ২. শিক্ষকের প্রতি ভক্তি রাখা, ৩. শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা, ৪. শিক্ষকের যথাসাধ্য খিদমত করা, ৫. শিক্ষকের সামনে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদি।
আত্মবিশ্বাস তৈরি করা দরকার
অনেক অভিভাবক শুধু নিজের অভিলাষ আর স্বপ্নপূরণে শিশুকে অসময়ে অনেক বেশি শিখিয়ে ফেলতে চায়। বাড়তি এ ভার আরোপের ফলে শিশুকে হতাশায় পেয়ে বসে।
ফলে তার মধ্যে জন্ম নেয় না পারার বোধ। সে ভাবে, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। কথায় কথায় বলে, আমি পারি না, পারব না। অথচ অগ্রগামিতার জন্য আত্মবিশ্বাস অতি জরুরি। আর না পারার বোধ শিশুকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়।
প্রতিটি শিশুর মধ্যে নিজস্ব প্রতিভা সুপ্ত থাকে। কারো বিকাশ জলদি ঘটে, কারো ঘটে ধীরে। তাই তুলনামূলক বেশি মেধাবীর সঙ্গে শিশুদের কখনো তুলনা করতে নেই। অমুক পারে তুমি কেন পারো না বলে তিরস্কার না করে বরং উৎসাহ প্রদান করা চাই। মাশাআল্লাহ, সুন্দর হয়েছে, তুমি দেখি সব পারো, তোমাকে আরো ভালো করতে হবে। এ ধরনের কথা বলে শিশুর মনে আত্মবিশ্বাস জন্মানো উচিত।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স
শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স কত—এ ব্যাপারে একটি হাদিসের আলোকে বলা যায়, সাত বছর বয়স থেকে তা হতে পারে। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের হুকুম দাও...।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)
এতে বোঝা যায়, নামাজ যদিও বালেগ হওয়ার পর ফরজ হবে; কিন্তু নামাজের শিক্ষাদান করতে হবে সাত বছর বয়স থেকেই। কাজেই সাত বছর বয়সই যথারীতি শিক্ষাদানের উপযুক্ত সয়ম। এরপর বিলম্ব করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি এর আগে চাপাচাপি করাও উচিত নয়। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত শিক্ষা। আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তা সহজ করে দিয়েছেন। শিশুর বয়স যত কমই হোক না কেন, কোরআনের শিক্ষা তার ব্রেনে কোনোরূপ চাপ সৃষ্টি করে না। মুখে বোল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেও যদি শিশুকে আল্লাহ আল্লাহ বা কালেমা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ শেখানো হয়, তবু সে তা সহজেই রপ্ত করতে পারে। এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সব মা-বাবারই আছে। অতএব যে বয়সে শিশু পার্থিব পাঠ গ্রহণে অপরিপক্ব বা অনুপযুক্ত থাকে সে সময়ে তাকে কোরআন শিক্ষা দিয়ে দেওয়াই হবে সময়ের যথার্থ মূল্যায়ন।
মূলকথা হলো, সন্তানের শিক্ষাদানে অতি উৎসাহ বা তাড়াহুড়ার অবকাশ নেই। ধীরস্থিরভাবে এগোতে হবে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘ধীরস্থিরতা আল্লাহর রহমতস্বরূপ আর তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০১২)
ধীরস্থির মানে সময়ক্ষেপণ নয়, বরং সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়া। সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সক্ষমতার মাত্রার প্রতি দৃষ্টি রাখা। উপযুক্ত সময়ে সে যতটুকু পড়াশোনা করার কথা, তা হচ্ছে কি না এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
Don't rush your child's education.
0 notes
myreligionislam · 19 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বিসমিল্লাহ্‌ 
youtube
youtube
youtube
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
শিশুর শৈশবের খেলাধুলা, আদর-সোহাগ বিসর্জন দিয়ে শিশুকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নিয়োজিত করা তার দৈহিক ও মানসিক গঠনের পক্ষে ক্ষতিকর। অবুঝ শিশুকে মাতৃকোল থেকে দূরে সরিয়ে পাঠচর্চায় ঠেলে দেওয়া শিক্ষার প্রতি বিরক্তির অন্যতম কারণ। দুরন্তপনা, দুষ্টুমি, চাঞ্চল্য আর বায়না ধরার বয়সে পড়ালেখার চাপ তার পক্ষে অস্বস্তিকর। বড়দের মতো রুটিনের শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চলতে সে নিরানন্দ বোধ করে।
ফলে তার মন চায় সদা এই শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পালাতে, যেকোনো ঠুনকো বাহানায় প্রতিষ্ঠানে না যেতে। ক্লাসে তার মন বসে না। অপেক্ষায় থাকে ছুটির ঘণ্টা কখন বাজবে আর অমনি ছুটে যাবে খেলার সাথিদের কাছে। উপভোগ করবে শৈশবের সব আনন্দ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বয়স হলে সন্তানকে শিক্ষকের হক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া অতি জরুরি। যেমন : ১. শিক্ষকের আদব রক্ষা করা, ২. শিক্ষকের প্রতি ভক্তি রাখা, ৩. শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা, ৪. শিক্ষকের যথাসাধ্য খিদমত করা, ৫. শিক্ষকের সামনে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদি।
আত্মবিশ্বাস তৈরি করা দরকার
অনেক অভিভাবক শুধু নিজের অভিলাষ আর স্বপ্নপূরণে শিশুকে অসময়ে অনেক বেশি শিখিয়ে ফেলতে চায়। বাড়তি এ ভার আরোপের ফলে শিশুকে হতাশায় পেয়ে বসে।
ফলে তার মধ্যে জন্ম নেয় না পারার বোধ। সে ভাবে, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। কথায় কথায় বলে, আমি পারি না, পারব না। অথচ অগ্রগামিতার জন্য আত্মবিশ্বাস অতি জরুরি। আর না পারার বোধ শিশুকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়।
প্রতিটি শিশুর মধ্যে নিজস্ব প্রতিভা সুপ্ত থাকে। কারো বিকাশ জলদি ঘটে, কারো ঘটে ধীরে। তাই তুলনামূলক বেশি মেধাবীর সঙ্গে শিশুদের কখনো তুলনা করতে নেই। অমুক পারে তুমি কেন পারো না বলে তিরস্কার না করে বরং উৎসাহ প্রদান করা চাই। মাশাআল্লাহ, সুন্দর হয়েছে, তুমি দেখি সব পারো, তোমাকে আরো ভালো করতে হবে। এ ধরনের কথা বলে শিশুর মনে আত্মবিশ্বাস জন্মানো উচিত।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স
শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স কত—এ ব্যাপারে একটি হাদিসের আলোকে বলা যায়, সাত বছর বয়স থেকে তা হতে পারে। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের হুকুম দাও...।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)
এতে বোঝা যায়, নামাজ যদিও বালেগ হওয়ার পর ফরজ হবে; কিন্তু নামাজের শিক্ষাদান করতে হবে সাত বছর বয়স থেকেই। কাজেই সাত বছর বয়সই যথারীতি শিক্ষাদানের উপযুক্ত সয়ম। এরপর বিলম্ব করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি এর আগে চাপাচাপি করাও উচিত নয়। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত শিক্ষা। আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তা সহজ করে দিয়েছেন। শিশুর বয়স যত ��মই হোক না কেন, কোরআনের শিক্ষা তার ব্রেনে কোনোরূপ চাপ সৃষ্টি করে না। মুখে বোল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেও যদি শিশুকে আল্লাহ আল্লাহ বা কালেমা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ শেখানো হয়, তবু সে তা সহজেই রপ্ত করতে পারে। এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সব মা-বাবারই আছে। অতএব যে বয়সে শিশু পার্থিব পাঠ গ্রহণে অপরিপক্ব বা অনুপযুক্ত থাকে সে সময়ে তাকে কোরআন শিক্ষা দিয়ে দেওয়াই হবে সময়ের যথার্থ মূল্যায়ন।
মূলকথা হলো, সন্তানের শিক্ষাদানে অতি উৎসাহ বা তাড়াহুড়ার অবকাশ নেই। ধীরস্থিরভাবে এগোতে হবে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘ধীরস্থিরতা আল্লাহর রহমতস্বরূপ আর তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০১২)
ধীরস্থির মানে সময়ক্ষেপণ নয়, বরং সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়া। সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সক্ষমতার মাত্রার প্রতি দৃষ্টি রাখা। উপযুক্ত সময়ে সে যতটুকু পড়াশোনা করার কথা, তা হচ্ছে কি না এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
Don't rush your child's education.
0 notes
mylordisallah · 19 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বিসমিল্লাহ্‌ 
youtube
youtube
youtube
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
শিশুর শৈশবের খেলাধুলা, আদর-সোহাগ বিসর্জন দিয়ে শিশুকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নিয়োজিত করা তার দৈহিক ও মানসিক গঠনের পক্ষে ক্ষতিকর। অবুঝ শিশুকে মাতৃকোল থেকে দূরে সরিয়ে পাঠচর্চায় ঠেলে দেওয়া শিক্ষার প্রতি বিরক্তির অন্যতম কারণ। দুরন্তপনা, দুষ্টুমি, চাঞ্চল্য আর বায়না ধরার বয়সে পড়ালেখার চাপ তার পক্ষে অস্বস্তিকর। বড়দের মতো রুটিনের শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চলতে সে নিরানন্দ বোধ করে।
ফলে তার মন চায় সদা এই শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পালাতে, যেকোনো ঠুনকো বাহানায় প্রতিষ্ঠানে না যেতে। ক্লাসে তার মন বসে না। অপেক্ষায় থাকে ছুটির ঘণ্টা কখন বাজবে আর অমনি ছুটে যাবে খেলার সাথিদের কাছে। উপভোগ করবে শৈশবের সব আনন্দ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বয়স হলে সন্তানকে শিক্ষকের হক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া অতি জরুরি। যেমন : ১. শিক্ষকের আদব রক্ষা করা, ২. শিক্ষকের প্রতি ভক্তি রাখা, ৩. শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা, ৪. শিক্ষকের যথাসাধ্য খিদমত করা, ৫. শিক্ষকের সামনে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদি।
আত্মবিশ্বাস তৈরি করা দরকার
অনেক অভিভাবক শুধু নিজের অভিলাষ আর স্বপ্নপূরণে শিশুকে অসময়ে অনেক বেশি শিখিয়ে ফেলতে চায়। বাড়তি এ ভার আরোপের ফলে শিশুকে হতাশায় পেয়ে বসে।
ফলে তার মধ্যে জন্ম নেয় না পারার বোধ। সে ভাবে, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। কথায় কথায় বলে, আমি পারি না, পারব না। অথচ অগ্রগামিতার জন্য আত্মবিশ্বাস অতি জরুরি। আর না পারার বোধ শিশুকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়।
প্রতিটি শিশুর মধ্যে নিজস্ব প্রতিভা সুপ্ত থাকে। কারো বিকাশ জলদি ঘটে, কারো ঘটে ধীরে। তাই তুলনামূলক বেশি মেধাবীর সঙ্গে শিশুদের কখনো তুলনা করতে নেই। অমুক পারে তুমি কেন পারো না বলে তিরস্কার না করে বরং উৎসাহ প্রদান করা চাই। মাশাআল্লাহ, সুন্দর হয়েছে, তুমি দেখি সব পারো, তোমাকে আরো ভালো করতে হবে। এ ধরনের কথা বলে শিশুর মনে আত্মবিশ্বাস জন্মানো উচিত।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স
শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স কত—এ ব্যাপারে একটি হাদিসের আলোকে বলা যায়, সাত বছর বয়স থেকে তা হতে পারে। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের হুকুম দাও...।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)
এতে বোঝা যায়, নামাজ যদিও বালেগ হওয়ার পর ফরজ হবে; কিন্তু নামাজের শিক্ষাদান করতে হবে সাত বছর বয়স থেকেই। কাজেই সাত বছর বয়সই যথারীতি শিক্ষাদানের উপযুক্ত সয়ম। এরপর বিলম্ব করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি এর আগে চাপাচাপি করাও উচিত নয়। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত শিক্ষা। আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তা সহজ করে দিয়েছেন। শিশুর বয়স যত কমই হোক না কেন, কোরআনের শিক্ষা তার ব্রেনে কোনোরূপ চাপ সৃষ্টি করে না। মুখে বোল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেও যদি শিশুকে আল্লাহ আল্লাহ বা কালেমা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ শেখানো হয়, তবু সে তা সহজেই রপ্ত করতে পারে। এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সব মা-বাবারই আছে। অতএব যে বয়সে শিশু পার্থিব পাঠ গ্রহণে অপরিপক্ব বা অনুপযুক্ত থাকে সে সময়ে তাকে কোরআন শিক্ষা দিয়ে দেওয়াই হবে সময়ের যথার্থ মূল্যায়ন।
মূলকথা হলো, সন্তানের শিক্ষাদানে অতি উৎসাহ বা তাড়াহুড়ার অবকাশ নেই। ধীরস্থিরভাবে এগোতে হবে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘ধীরস্থিরতা আল্লাহর রহমতস্বরূপ আর তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০১২)
ধীরস্থির মানে সময়ক্ষেপণ নয়, বরং সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়া। সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সক্ষমতার মাত্রার প্রতি দৃষ্টি রাখা। উপযুক্ত সময়ে সে যতটুকু পড়াশোনা করার কথা, তা হচ্ছে কি না এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
Don't rush your child's education.
0 notes
allahisourrabb · 19 days ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
বিসমিল্লাহ্‌ 
youtube
youtube
youtube
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
শিশুর শৈশবের খেলাধুলা, আদর-সোহাগ বিসর্জন দিয়ে শিশুকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নিয়োজিত করা তার দৈহিক ও মানসিক গঠনের পক্ষে ক্ষতিকর। অবুঝ শিশুকে মাতৃকোল থেকে দূরে সরিয়ে পাঠচর্চায় ঠেলে দেওয়া শিক্ষার প্রতি বিরক্তির অন্যতম কারণ। দুরন্তপনা, দুষ্টুমি, চাঞ্চল্য আর বায়না ধরার বয়সে পড়ালেখার চাপ তার পক্ষে অস্বস্তিকর। বড়দের মতো রুটিনের শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চলতে সে নিরানন্দ বোধ করে।
ফলে তার মন চায় সদা এই শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পালাতে, যেকোনো ঠুনকো বাহানায় প্রতিষ্ঠানে না যেতে। ক্লাসে তার মন বসে না। অপেক্ষায় থাকে ছুটির ঘণ্টা কখন বাজবে আর অমনি ছুটে যাবে খেলার সাথিদের কাছে। উপভোগ করবে শৈশবের সব আনন্দ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বয়স হলে সন্তানকে শিক্ষকের হক সম্পর্কে ধারণা দেওয়া অতি জরুরি। যেমন : ১. শিক্ষকের আদব রক্ষা করা, ২. শিক্ষকের প্রতি ভক্তি রাখা, ৩. শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা, ৪. শিক্ষকের যথাসাধ্য খিদমত করা, ৫. শিক্ষকের সামনে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদি।
আত্মবিশ্বাস তৈরি করা দরকার
অনেক অভিভাবক শুধু নিজের অভিলাষ আর স্বপ্নপূরণে শিশুকে অসময়ে অনেক বেশি শিখিয়ে ফেলতে চায়। বাড়তি এ ভার আরোপের ফলে শিশুকে হতাশায় পেয়ে বসে।
ফলে তার মধ্যে জন্ম নেয় না পারার বোধ। সে ভাবে, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। কথায় কথায় বলে, আমি পারি না, পারব না। অথচ অগ্রগামিতার জন্য আত্মবিশ্বাস অতি জরুরি। আর না পারার বোধ শিশুকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়।
প্রতিটি শিশুর মধ্যে নিজস্ব প্রতিভা সুপ্ত থাকে। কারো বিকাশ জলদি ঘটে, কারো ঘটে ধীরে। তাই তুলনামূলক বেশি মেধাবীর সঙ্গে শিশুদের কখনো তুলনা করতে নেই। অমুক পারে তুমি কেন পারো না বলে তিরস্কার না করে বরং উৎসাহ প্রদান করা চাই। মাশাআল্লাহ, সুন্দর হয়েছে, তুমি দেখি সব পারো, তোমাকে আরো ভালো করতে হবে। এ ধরনের কথা বলে শিশুর মনে আত্মবিশ্বাস জন্মানো উচিত।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স
শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঠিক বয়স কত—এ ব্যাপারে একটি হাদিসের আলোকে বলা যায়, সাত বছর বয়স থেকে তা হতে পারে। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের হুকুম দাও...।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৫)
এতে বোঝা যায়, নামাজ যদিও বালেগ হওয়ার পর ফরজ হবে; কিন্তু নামাজের শিক্ষাদান করতে হবে সাত বছর বয়স থেকেই। কাজেই সাত বছর বয়সই যথারীতি শিক্ষাদানের উপযুক্ত সয়ম। এরপর বিলম্ব করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি এর আগে চাপাচাপি করাও উচিত নয়। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত শিক্ষা। আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তা সহজ করে দিয়েছেন। শিশুর বয়স যত কমই হোক না কেন, কোরআনের শিক্ষা তার ব্রেনে কোনোরূপ চাপ সৃষ্টি করে না। মুখে বোল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেও যদি শিশুকে আল্লাহ আল্লাহ বা কালেমা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ শেখানো হয়, তবু সে তা সহজেই রপ্ত করতে পারে। এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সব মা-বাবারই আছে। অতএব যে বয়সে শিশু পার্থিব পাঠ গ্রহণে অপরিপক্ব বা অনুপযুক্ত থাকে সে সময়ে তাকে কোরআন শিক্ষা দিয়ে দেওয়াই হবে সময়ের যথার্থ মূল্যায়ন।
মূলকথা হলো, সন্তানের শিক্ষাদানে অতি উৎসাহ বা তাড়াহুড়ার অবকাশ নেই। ধীরস্থিরভাবে এগোতে হবে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘ধীরস্থিরতা আল্লাহর রহমতস্বরূপ আর তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০১২)
ধীরস্থির মানে সময়ক্ষেপণ নয়, বরং সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়া। সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সক্ষমতার মাত্রার প্রতি দৃষ্টি রাখা। উপযুক্ত সময়ে সে যতটুকু পড়াশোনা করার কথা, তা হচ্ছে কি না এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
সন্তানের শিক্ষাদানে তাড়াহুড়া নয়
Don't rush your child's education.
0 notes
bangavumi · 3 months ago
Text
একজন শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম - জি.এম. পাপুল
একজন শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম – জি.এম. পাপুল শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মন্তব্য করেছেন জিয়াউর রহমান পাপুল। প্রতিবেদন: ইন্দ্রজিৎ টিকাদার বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে খেলাধুলা ও শরীরচর্চার…
0 notes
dorshok24 · 4 months ago
Text
0 notes
bangladeshkhobor · 6 months ago
Text
"সাভার বালিকা বিদ্যালয়ের বিতর্কিত শিক্ষক সাইফুলকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ
সাভার বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করা, স্ত্রীকে নির্যাতন, ছাত্রীদের বুলিং, মাদকসেবনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত গনিত শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম পিয়াসকে চাকুরী থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। মঙ্গলবার দুপুরে সাভার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রঙ্গণে উক্ত কর্মসূচি পালন করে ছাত্রীরা। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নারী নির্যাতনকারী শিক্ষক সাইফুলের…
0 notes
quransunnahdawah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা ��িক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
ilyforallahswt · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়��ব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
myreligionislam · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
mylordisallah · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অং�� কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
allahisourrabb · 3 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
youtube
youtube
youtube
ইসলামের তিনটি মৌলিক শিক্ষা
আল্লাহর একত্ববাদ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওত এবং মৃত্যুর পরের জীবনের ধারণা হল ইসলামের ধর্মবিশ্বাসের মৌলিক বিষয়। এগুলো যুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইসলামের সমস্ত শিক্ষা এই মৌলিক বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত এবং সহজ ও সরল।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কি?
" আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল " এই বিশ্বাস ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু। আরবি ভাষায় লেখা এই বাক্যাংশটি ইসলামের পবিত্র ঐশ্বরিক প্রকাশের গ্রন্থ কুরআন সহ বিভিন্ন বস্তুতে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষা তাওহীদ ভিত্তিক 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলাম শিক্ষার মূলকথা হলো- لا اله الا الله অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা এবং ইবাদত ও আনুগত্যের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ।
ইসলামি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহকে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কী করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় তা জানা। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে তাঁর ভালোবাসা অর্জন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ । তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)। হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষানুযায়ী কর্ম করেন অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।
ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে, (ক) হাওয়াচ্ছে খামছা তথা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। যথা: ১. চক্ষু, ২. কর্ণ, ৩. নাসিকা, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই জ্ঞানকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা: (১) কোরআন ও (২) সুন্নাহ বা হাদিস। এ প্রকার জ্ঞানকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, ওহির জ্ঞান অপরিবর্তনীয়।
নবী–রাসুলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসুল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকরী বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন তথা জ্ঞানচর্চা বা বিদ্যার্জন সব সময় শিক্ষার সমার্থক নয়।
ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী, কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে। তাই আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে প্রথমে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করলেন। কোরআনের বর্ণনায়, ‘আর আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩১)। যে জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের অন্তর হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে মুক্ত হয়ে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়, তা–ই ইসলামি শিক্ষা।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে স্বয়ং আল্লাহ শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার রব আমাকে তালিম দিয়েছেন, তা কতই–না উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতই না শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ।’ (মুসনাদে আহমাদ)। মূলত শিক্ষা হলো আত্মজ্ঞান বা আত্মোপলব্ধি। শিক্ষিত মানুষ বিনীত ও নিরহংকার হয়ে থাকেন। শুধু ভাষা জ্ঞান বর্ণ জ্ঞান বা বিষয় জ্ঞানের নাম শিক্ষা নয়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর অক্ষরজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ওহির শিক্ষায় আলোকিত হয়ে তিনি হয়েছেন বিশ্ব-শিক্ষক।
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে, সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য।
ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা
The True Teachings of Islam
0 notes
bangavumi · 3 months ago
Text
মার্কিন সহায়তা স্থগিত: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে সম্ভাব্য প্রভাব
মার্কিন সহায়তা স্থগিত: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে সম্ভাব্য প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতাদেশে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও রোহিঙ্গা সহায়তা প্রকল্পে অনিশ্চয়তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সম্প্রতি বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি তিন মাসের জন্য স্থগিত করার নির্বাহী আদেশ জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে মার্কিন অর্থায়নে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প…
0 notes