#মুসলিম বিজ্ঞানী
Explore tagged Tumblr posts
Text
মুসলিম ইতিহাসে একজন খলিফা ছিলেন, যিনি পরিচিত ছিলেন ‘পাগলা খলিফা’ নামে। তার নাম ছিল আল হাকিম। মিশরের ফাতেমি খিলাফতের খলিফা ছিলেন তিনি।
আল হাকিমের হুকুমগুলো ছিল খুব অদ্ভুত!
তিনি হুকুম জারি করলেন----দিনের বেলা বাজার বসবে না, বাজার বসবে রাতের বেলা। দিনে দোকানপাট বন্ধ থাকত, রাতে সবাই বাজার করত।
তিনি হুকুম জারি করলেন----নারীরা বাইরে বের হতে পারবে না। দেখা গেল, তার সিদ্ধান্ত অনেক নারী মানছে না। তিনি জুতা প্রস্তুতকারীদের জানিয়ে দিলেন নারীদের জ��্য জুতা না বানাতে। জুতা ছাড়া তো নারীরা বাইরে বের হতে পারবে না!
মিশরে তখন বন্যা হতো, বন্যায় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতো। আল হাকিম পরিকল্পনা করলেন নীলনদে বাঁধ দিবেন, যাতে বন্যা প্রতিরোধ করা যায়।
তার পরিকল্পনা শুনতে পেলেন একজন বিজ্ঞানী। তিনি জানালেন, ‘আমি নীলনদে বাঁধ দেওয়ার কাজটি করতে পারব।’
বিজ্ঞানী বসরা থেকে কায়রোতে আসলেন। নীলনদ দেখে বুঝতে পারলেন, এটাতে বাঁধ দেওয়ার সাধ্য তার নেই। অক্ষমতা প্রকাশ করলে পাগল খলিফা তাকে হত্যা করবেন।
বিজ্ঞানী ভাবলেন, পাগলের সাথে পাগলামি করবেন।
তিনি পাগল হওয়ার অভিনয় করলেন।
আল হাকিম নির্দেশ দিলেন---- ‘এই পাগলকে বন্দি করো।’
বন্দি হলেন বিজ্ঞানী। মিশরের কারাগারে ১০ বছর ছিলেন। এই সময় তিনি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেন। একদিন তিনি লক্ষ করেন, কারাগারের দেওয়ালের গর্ত দিয়ে আলোর সঙ্গে একটি বস্তুর উলটো প্রতিবিম্ব দেওয়ালে পড়ছে। তার এই ভাবনা পালটে দেয় আলোকবিদ্যার গতিপথ। শুরু হয় আলো নিয়ে এক নতুন পৃথিবীর সূচনা!
জেলে বসে গবেষণা করা সেই বিজ্ঞানী সেই বিজ্ঞানীর নাম ইবনুল হাইসাম! অনেকের মতে তিনি আধুনিক আলোকবিদ্যার জনক।
তার লেখা ৭ খণ্ডের ‘কিতাবুল মানাজির’ বা ‘Book of Optics’ ছিল মধ্যযুগের আলোকবিদ্যার রেফারেন্স বুক।
মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান এবং বর্তমানের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি কীভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের ওপর নির্ভরশীল, এটা জানতে পড়তে পারেন গার্ডিয়ান প্রকাশিত ‘মুসলিম মস্তিষ্ক: বিজ্ঞানের অনবদ্য গল্প’।
#islamicknowledge#islamicgifts#islamicpost#booklover#islamiccenter#islamicbookshop#bukuislami#islamicart#deen#read
2 notes
·
View notes
Text
জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিহাসের কান্ডারী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম
======================================
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত ইসলামী ইতিহাস উনার মধ্যে হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অসামান্য অবদান মুবারক রয়েছে। এক কথায়, উনাদের কারণেই ইসলামী ইতিহাস সমৃদ্ধশালী হয়েছে।
হযরত আওলাদে রসূল বা আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনার সম্মানিত অবদান মুবারকের কারণে আজও মুসলিম উম্মাহর স্বর্ণালী ইতিহাস-ঐতিহে্যৃর অস্তিত্ব টিকে রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম। উনার সম্মানিত কুনিয়াত বা উপনাম মুবারক হচ্ছেন, জা’ফর। যার অর্থ- ‘সাগর’ বা ‘জামিউন নিসবত’। সত্যিকার অর্থে তিনি ছিলেন, ইলম, আক্বল, সমঝে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মা’রিফাত-মুহব্বত প্রাপ্তিতে সাগরতুল্য তথা ‘জামিউন নিসবত’। মুবারক কুনিয়াত- আবু আবদিল্লাহ ও আবু ইসমাঈল। ‘ছাদিক্ব¡’ হচ্ছেন উনার খাছ লক্বব মুবারক।
তিনি ছিলেন আলামুন নাস:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন সমস্ত মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ও পবিত্র ইলিম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
তিনি অসংখ্য মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ মুবারক বর্ণনা করেছেন। মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং ফিকাহ শাস্ত্রেও তি���ি ছিলেন পূর্ণ কামিয়াব। তিনি ছিলেন দুনিয়ার সকল ইলম তালাশী, ইলম পিয়াসু ব্যক্তিত্বগণ উনাদের শায়েখ এবং মুর্শিদ আলাইহিস সালাম।
হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার সময়ে উমাইয়াদের শাসনের শেষ সময় ছিলো। ১৩২ হিজরীতে উমাইয়া শাসনের অবসান ঘটে ও আব্বাসীরা ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে। সুতরাং উমাইয়া যুগের অবসান ও আব্বাসী যুগের সূচনা এই সময়টিকে ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞান বিস্তারের জন্য বিস্তরভাবে মনোনিয়োগ করেন। এ সময় উমাইয়া ও আব্বাসীরা ক্ষমতা রক্ষা করা ও ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করার জন্য দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল। সুতরাং শাসকশ্রেণি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যস্ত ছিল। আর এর বিপরীতে শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নের এক সোনালি যুগ হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার সময়ে রচিত হয়েছিলো। এ সময়ই বিভিন্ন শিক্ষা ও তাহযীব তামাদ্দুন হাক্কীকী রূপ লাভ করেছিলো। সুবহানাল্লাহ!
এর ধারাবাহিকতায় ইলমে ক্বিরায়াতে কুরআন শরীফ, ইলমে তাফসীর, ইলমে হাদীস, ইলমে ফিক্হ, ইলমে কালাম, অপরদিকে চিকিৎসাবিদ্যা, দর্শন, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত ও রসায়ন ইত্যাদি বিদ্যা অস্তিত্ব লাভ করেছিল। জ্ঞানচর্চা এতটা প্রসার লাভ করেছিল যে, যার কাছে যা-ই চিন্তার খোরাক ছিল, তা-ই বাজারে বিকাতো।
চিত্র: ২ (রসায়ন শাস্ত্রের জনক জাবির ইবনে হাইয়ান রহমাতুল্লাহি আলাইহি)
আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূলে রসায়ন শাস্ত্র। রসায়ন শাস্ত্রের জনক হিসেবে খ্যাত হযরত জাবির ইবনে হাইয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি সরাসরি হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার মুবারক তা’লীম নিয়েই এই শাস্ত্রে বুৎপত্তি লাভ করেন। রসায়নে উনার লিখিত অধিকাংশ কিতাবগুলোতেই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার বিষয়টি বর্ণিত রয়েছে। অনুরূপভাবে আলোক বিজ্ঞানী ইবনুল হাইছাম, জ্যোতির্বিজ্ঞানী আল বিরুনী, গণিতবিদ আল জাবেরসহ অনেকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার তা’লীম মুবারক নিয়ে, উনার ক্বওল শরীফ নিয়ে গবেষণা করে স্বীয় গবেষণায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তাই এ কথা সুস্পষ্ট যে, আধুনিক বিজ্ঞান হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার নিকট ঋণী। হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস্ সালাম তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্প্রসারণে পৃষ্ঠপোষক ও মদদদাতা।
একবার উনার যামানায় এক ব্যক্তি দাবি করলো যে, সে সমস্ত কিছু জানে, সে সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী। তখন ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো। তাকে উনার কাছে নিয়ে আসা হলো। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নাকি সমস্ত কিছু জানো, বলে দাবি করো? সে বললো, হ্যাঁ। নাঊযুবিল্লাহ!
তখন তিনি যমীন থেকে একটা দুর্বাঘাস তুলে তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে তুমি বলো তো দেখি, পৃথিবীতে এই দুর্বাঘাসের সংখ্যা জোড় না বেজোড়? সে বললো, আমি জানি না। তখন হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আমার তো জানা রয়েছে, পৃথিবীতে যতো দুর্বাঘাস রয়েছে, তার সংখ্যা জোড়। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি।’ তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি সমস্ত কিছুই জোড় সংখ্যক সৃষ্টি করেছি।’ তখন উক্ত ব্যক্তি লা-জাওয়াব হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!#90 days mahfil
Sunnat.info
Sm40.com বিস্তারিত জানতে
0 notes
Link
মুসলিম বিজ্ঞানীদের ছাড়া ইউরোপ আধুনিক বিজ্ঞানময় হতো না !! Prof. Dr. Choudhury Mahmood Hasan
#মুসলিম বিজ্ঞানীদের ছাড়া ইউরোপ আধুনিক বিজ্ঞানময় হতো না !! Prof. Dr. Choudhury Mahmood Hasan#Panvision TV#Bangla Waz | বাংলা ওয়াজ | Bangla Islamic Lecture | ইসলামী#মুসলিম বিজ্ঞানীদের ছাড়া ইউরোপ আধুনিক বিজ্ঞানময় হতো না বক্তা: বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহ#জাজাকাল্লাহ খায়ের#প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান#আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন#প্যানভিশন#জাযাকাল্লাহু খায়রাহ#মা শা আল্লাহ#দোয়া ও ভালোবাসা#জাজাকাল্লাহ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ আ’লীম#আলহামদুলিল্লাহ্#আধুনিক বিজ্ঞান#মুসলিম বিজ্ঞানী#মুসলিম বিজ্ঞানীদের ছাড়া ইউরোপ আধুনিক বিজ্ঞানময় হতো না#Prof. Dr. Choudhury Mahmood Hasan#Bangla Waz#বাংলা ওয়াজ#Bangla Islamic Lecture#জাজাকাল্লাহ
0 notes
Photo
প্রথম ক্যামেরা উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করেছিলেন "ইবনে হাইসাম "(Ibn Al Haytham) Camera শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ " কামারা"হতে। প্রথম ক্যামেরার নামকরণ করেছিলেন মুসলিম বিজ্ঞানী গণ। " ইবনে হাইসাম "একজন আলোকবিজ্ঞানী ছিলেন। তাঁকে বলা হয়- Father of Modern Optics. প্রাচীনকালে গ্রিকরা বিশ্বাস করতো - আমাদের চোখ থেকে আলো বের হয়ে বস্তুর উপর পড়লে ,আমরা সেটা দেখতে পাই।কিন্তু সেটা ছিল ভুল।প্রথম" ইবনে হাইসাম" প্রমাণ করতে পেরেছিলেন যে- কোনো বস্তুর উপর আলো পড়ে প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসলে আমরা সেটা দেখতে পাই। তিনিই প্রথম "পিন হোল ক্যামেরা "( pin hole camera) আবিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে ইউরোপীয়রা এই "পিন হোল ক্যামেরার" উন্নতি ঘটায়,এবং বিজ্ঞানী জাইস নতুন একরকম ক্যামেরা আবিষ্কার করলেন। https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE_%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A6%BE https://www.instagram.com/p/CIQByMaHMjC/?igshid=1947v5yv8qtag
1 note
·
View note
Text
গুগল ম্যাপে ফিলিস্তিন নামে কোন দেশ নেই।অথচ জাতিসংঘের ১৩৮ টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
গুগল যেটা করছে সেটা অবশ্যই অন্যায় এবং তারা জায়নবাদী ইসরাইলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে এতে কোন সন্দেহ নেই।
এরপরেও আমি কিন্তু এখন বয়কট গুগল বলতে পারছি না।আমার আপনার ছবি রাখা গুগল ফটোতে,মোবাইল নাম্বার সেভ করা গুগল কন্টাক্ট এ,ল্যাপটপের ফাইল রাখা গুগল ড্রাইভে,জিমেইলে আপনি সকল ফাইল আদান প্রদান করেন,ইউটিউবে ভিডিও দেখেন,প্লে স্টোর ছাড়া মোবাইল চলে না, প্রতিদিন গুগল সার্চ না দিয়ে আমাদের কাজই চলে না।আপনার আমার ��বার রেকর্ড গুগলের কাছে আছে।আপনি তাদের জালে আটকা পড়তে বাধ্য।এই গুগলকে দেখলেই বুঝা যায় দাজ্জাল কিভাবে পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করবে।
অনেকে হয়ত বলবেন,মুসলিমরা পিছিয়ে আছে কেন?তাদের গুগলের মত প্রতিষ্ঠান নাই কেন।উত্তর হল পিছিয়ে নেই বরং তাদের আগাতে দেওয়া হচ্ছেনা।বিগত কয়েক দশকে মোসাদ হত্যা করেছে শতাধিক মুসলিম বিজ্ঞানী ও গবেষককে।
তিউনিসিয়ার ড্রোন ডিজাইনার বিজ্ঞানী মোহাম্মাদ জাউয়ারি,ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী আরদাশীর হাসান বাউর, ইরাকের পরমাণু প্রকল্পের প্রধান ড. ইয়াহিয়া আমীন,লেবাননের পদার্থবিদ্যাবিদ রাম্মাল হাসান,মিসরীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. সামীর নাগিব,ফিলিস্তিনের মেধাবী রকেট বিজ্ঞানী ফাদি আল-বাত্শ এরকম আরও অনেক মুসলিম প্রতিভাবান বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে মোসাদ।
যতদিন খেলাফত ছিল মুসলিমরা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে কখনও পিছিয়ে ছিলনা বরং তারা ছিল নেতৃত্বের আসনে।মুসলিম বিজ্ঞানী,প্রযুক্তিবিদের জন্য আক্ষেপ করার আগে আমাদের আক্ষেপ করা প্রয়োজন খালিদ বিন ওয়ালিদের জন্য,সালাহউদ্দিন আইয়ুবির জন্য,তারিক বিন জিয়াদের জন্য,মুসলিম সালতানাতের জন্য।মুসলিমদের স্বাধীন ভূমি থাকলে আবারও বাগদাদের বায়তুল হিকমাহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোয় জ্বলমল করবে।
একটি আবেদনঃ
[সবাই গুগল প্লে স্টোরের Google Maps এর রিভিউ অপসানে গিয়ে 1Star রেটিং দিয়ে #Where_is_Palestine? লিখে আসুন]
সবার সম্মিলিত অংশগ্রহনে হোক প্রতিবাদ।
#WeStayWith_Palestine
#FreePalestine
2 notes
·
View notes
Text
মুসলিম বিজ্ঞানী | বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় মুসলিমদের অবদান ও আবিষ্কার
মুসলিম বিজ্ঞানী | বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় মুসলিমদের অবদান ও আবিষ্কার
আমরা কি জানি পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অঙ্কনকারি বা বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের আবিষ্কারক কে ছিলেন? কিংবা গুতিবসন্তের আবিস্কারক, স্ট���টিক্স এর প্রতিষ্ঠাতা, আলোক বিজ্ঞান, রসায়ন, বীজগণিত বা ত্রিকোণমিতির জনক কে? কেই বা মিকিওেয়র গঠন সনাক্ত করেছিলো? পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবাস্থান কে সনাক্ত করেছিলো? ফাউন্টেন পেন, উইন্ডমিল, গুরনায়মান হাতল, পিন হোল ক্যামেরা, প্যারাসুট, শ্যাম্পু, ইত্যাধি জিনিস…
View On WordPress
0 notes
Video
youtube
আল জাযারি, মুসলিম বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী । Al-Jazari, The Father of Robot...
0 notes
Photo
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার লঞ্চ করা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এর বিজ্ঞানী দলের সদস্য আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী, বিজ্ঞানী হাশিমা হাসান। আন্তরিক অভিনন্দন জানাই বিজ্ঞানী হাশিমা হাসানকে। https://www.instagram.com/p/CY2qCZPJcsY/?utm_medium=tumblr
0 notes
Text
মুস্তাফা (সা.) পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশীসহ ৫ বিজ্ঞানী
মুস্তাফা (সা.) পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশীসহ ৫ বিজ্ঞানী
বিএনএ বিশ্বডেস্ক: বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পাঁচ মুসলিম বিজ্ঞানীর কাছে মুস্তাফা (সা.) পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়েছে। তেহরানে মুস্তফা (সা.) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার(২১ অক্টোবর) তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রত্যেককে পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা এবং একটি করে ক্রেস্ট দেওয়া হয়েছে। দুই বছর পরপর বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মুসলিম বিজ্ঞানী ও গবেষকদের এ…
View On WordPress
0 notes
Text
শ্রেষ্ঠ এক মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানী; বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে যার প্রজ্ঞার কথা
শ্রেষ্ঠ এক মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানী; বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে যার প্রজ্ঞার কথা
বাংলার চোখ ফিচার : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তারা কি তাদের ওপরে অবস্থিত আকাশের দিকে তাকায় না! কীভাবে আমি তা বানিয়েছি, সুশোভিত করেছি এবং তাতে কোনো ফাটলও নেই? (সুরা কাফ, আয়াত : ৬) পবিত্র কোরআনের এই বাণী বুকে ধারণ করে যুগে যুগে মুসলিম বিজ্ঞানীরা আকাশবিদ্যা চর্চায় ব্রতী হয়েছেন এবং এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। মধ্যযুগের বিজ্ঞানী আল-সুফিকে বলা হয় ৯ জন শ্রেষ্ঠ মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানীর একজন। আল-সুফি ৯০৩…
View On WordPress
0 notes
Link
কুরআন,বিজ্ঞান ও সৃষ্টি রহস্য।Prof. Dr. Choudhury Mahmood Hasan
আলহামদুলিল্লাহ মাশাআল্লাহ আপনি আমাদের গর্ব মুসলিম জাতির গর্ব। আল্লাহ আপনাকে হায়াত দান করুক আল্লাহ আপনাকে আরও ভালোভাবে গবেষণা করার তৌফিক দিন ।আমিন!
#কুরআনবিজ্ঞান ও সৃষ্টি রহস্য।Prof. Dr. Choudhury Mahmood Hasan#কুরআন বিজ্ঞান ও সৃষ্টি রহস্য। আলোচকঃ বিশিষ্ট্য ওষধ বিজ্ঞানী- প্রফেসর ড. চৌধুরী হাসান মাহমুদ।#আলহামদুলিল্লাহ মাশাআল্লাহ আপনি আমাদের গর্ব মুসলিম জাতির গর্ব। আল্লাহ আপনাকে হায়াত দান করুক#আসসালামু আলাইকুম#সালাফে সালেহীনদের মানহাজ
0 notes
Text
o.২% ইহুদী নিয়ন্ত্রণ করছে গোটা পৃথিবী!
Writer: Abdur Rob Chowdhury
Courtesy: Fahmida J. Jahan
(সতর্কতার সাথে পড়ুন)
পৃথিবীতে ইহুদীদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মত। একটি মাত্র ইহুদী রাষ্ট্র – ইসরাইল। ইসরাইলে ইহুদীর সংখ্যা ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদী সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আমেরিকাতে ৭০ লাখ, কানাডাতে ৪ লাখ আর ব্রিটেনে ৩ লাখ ইহুদী থাকে।
ইহুদীরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২%, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২%। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদী! কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরের কাছাকাছি হলেও বিশ্বে ইহুদি সম্প্রদায় থেকে যুগে যুগে বেরিয়ে এসেছে অসংখ্য প্রতিভাবান ব্যক্তি।
প্রধান ধর্মগুলোর পর পৃথিবীতে যে মতবাদটি সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছে সেই কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল মার্কস ইহুদি সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রাখা যাদু শিল্পি হুডিনি ও বর্তমানে ডেভিড কপারফিল্ড এসেছেন একই কমিউনিটি থেকে। এসেছেন আলবার্ট আইনস্টাইনের মত বিজ্ঞানী, যাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয় আর প্রফ���সর নোয়াম চমস্কি–র মত শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক যাকে প্রদত্ত ডক্টরেটের সংখ্যা আশিটির ও বেশ���।
এর অন্যতম কারণ সাধারণ আমেরিকানের�� যেখানে হাইস্কুল পাশকেই যথেষ্ট মনে করে সেখানে আমেরিকান ইহুদীদের ৮৫% বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। আর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমনঃ ওআইসি-র ৫৭টি দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে পাঁচ হাজারের মত, আর এক আমেরিকাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আছে প্রায় ছয় হাজার এর কাছাকাছি। ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও যেখানে The World University Ranking সাইট এর প্রথম ১০০টা বিশ্ববিদ্যালয়েরর মধ্যে স্থান পায়নি, সেখানে প্রথম একশোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে আমেরিকার ৪৫টা বিশ্ববিদ্যালয়। (প্রথম দশটার মধ্যে সাতটা) l যেখানে প্রথম ২০০ র মধ্যে ওআইসি-ভুক্ত ৫৭ টি মুসলিম দেশের একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তুরস্কের Bogazici University (১৯৯ তম) সেখানে আমেরিকার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ২০% স্টুডেন্টস ইহুদী সম্প্রদায় থেকে আসা।
আমেরিকান নোবেল বিজয়ীদের মোটামুটি ৪০% ইহুদী অর্থাৎ নোবেল বিজয়ী প্রতি চার থেকে পাঁচ জনের একজন ইহুদী। আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসররা ইহুদী। আমেরিকার উত্তর পূর্ব উপকূলের ১২ টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সাথে আইভি লীগ বলা হয়।
২০০৯ সালের ১টি জরিপে দেখা গেছে আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক'জন ভিসি-ই ইহুদী।
হতে পারে ইহুদীরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ, কিন্তু আমেরিকান রাজনীতিতে তাদের প্রভাব একচেটিয়া। আমেরিকার ১০০ জন সিনেটরের ১৩ জন ইহুদী। এর চেয়ে ভয়ংকর তথ্য হল ইহুদীদের সমর্থন ব্যতীত কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হতে পারেনা, কোন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেনা।সম্প্রীতি ডোনাল্ড ট্রাম্প যে প্রেসিডেন্ট হতে পারে নি, সেটাও ঈহুদিদের সমর্থনের কারণে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ঈহুদিদের কোন সমর্থন ছিল না।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচনী ফাণ্ড বা তহবিল সংগ্রহ একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। বারাক ওবামা বা ক্লিনটন নিজের টাকায় প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না। ডোনেশান এবং পার্টির টাকায় তাদের নির্বাচনী ব্যয় মিটাতে হয়েছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ফাণ্ড দাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে – AIPAC – America Israel Public Affairs Committee.
আমেরিকার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো ইহুদীদের দখলে। ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে পারবে না। বরং জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদায়কে হাতে না-রাখলে ক্ষমতায় টেকা যাবে না। এসব কারণে শুধু জুইশ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হয়।
আমেরিকার ��াজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে মূলতঃ কর্পোরেট হাউজগুলো। তারা প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বানাতে পারে এবং প্রেসিডেন্টকে সরাতে পারে। এসব কর্পোরেট হাউজগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় এদের মালিক কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম্পানিগুলোর মূল দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা চীফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার, সিইও হলেন ইহুদী কমিউনিটির মানুষ। এই কথা মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি জাপানিজ কোম্পানি সনির আমেরিকান অফিসের জন্যও সত্য। প্রায় অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে জুইশ আমেরিকানরা কাজ করছেন। জুইশ কমিউনিটির ক্ষমতাধর বিলিয়নেয়াররা মিলিতভাবে যে-কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারেন।
মিডিয়া জগতে যদি আপনি তাকান তাহলে দেখবেন;
CNN, AOL, HBO, Cartoon Network, New line cinema, Warner Bross, Sports illustrated, People - Gerald Levin – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
ABC, Disney Channel, ESPN, Touchstone pictures - Michael Eisner – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
Fox Network, National Geographic, 20th century Fox Rupert Murdoch – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
Top 4 famous Newspapers of USA & their editors
New York Times – Arthur Sulzberger
New York Post – Rupert Murdoch
Washington Post – K.M. Graham
Wall street journal – Robert Thomson
সব কয়টি খবরের কাগজ ই ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
আপনার প্রিয় মিডিয়া ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা Mark Zuckerberg পর্যন্ত একজন ইহুদী।
ইরাকের বিরুদ্ধে আমেরিকার আগ্রাসনকে সাধারণ আমেরিকানদের কাছে বৈধ হিসেবে চিত্রায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফক্স নিউজ। বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া মুগল রুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণাধীন এরকম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জুইশদের সমর্থন দিয়ে এসেছে। রুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সারা বিশ্বের ১৮৫ টি পত্রপত্রিকা ও অসংখ্য টিভি চ্যানেল। বলা হয় পৃথিবীর মোট তথ্য প্রবাহের ৬০% ই কোন ন কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে রুপার্ট মারডকের The News Corporation.
টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে এবিসি, স্পোর্টস চ্যানেল, ইএসপিএন, ইতিহাস বিষয়ক হিস্টৃ চ্যানেলসহ আমেরিকার প্রভাবশালী অধিকাংশ টিভি-ই ইহুদিরা নিয়ন্ত্রণ করছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।
আমেরিকায় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি হয় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫৮ মিলিয়ন কপি। জাতীয় ও স্থানীয় মিলিয়ে দেড় হাজার পত্রিকা সেখানে প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকাসহ বিশ্বের অধিকাংশ পত্রিকা যে নিউজ সার্ভিসের সাহায্য নেয় তার নাম দি এসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি (AP)। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন এর ইহুদি ম্যানেজিং এডিটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল সিলভারম্যান। তিনি প্রতিদিনের খবর কী যাবে, না-যাবে তা ঠিক করেন।
আমেরিকার পত্রিকাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তিনটি পত্রিকা হলো নিউইয়র্ক টাইমস্ , ওয়াল ষ্টৃট জার্ণাল এবং ওয়াশিংটন পোষ্ট। এ তিনটি পত্রিকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইহুদিদের হাতে।
ওয়াটারগেট কেলেংকারীর জন্য প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলো ওয়াশিংটন পোষ্ট। এর বর্তমান সিইও ডোনাল্ড গ্রেহাম ইহুদি মালিকানার তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে কাজ করছেন। উগ্রবাদী ইহুদী হিসেবে তিনি পরিচিত। ওয়াশিংটন পোষ্ট আরও অনেক পত্রিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে আর্মিদের জন্যই করে ১১টি পত্রিকা। এই গ্রুপের আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। টাইম এর পরে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম নিউজউইক।
আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে প্রভাবশালী নিউইয়র্ক টাইমস্-এর প্রকাশক প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ইহুদিরা হয়ে আসছেন। বর্তমান প্রকাশক ও চেয়ারম্যান আর্থার সালজবার্গার প্রসিডেন্ট ও সিইও রাসেল টি লুইস এবং ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল গোলডেন সবাই ইহুদি। বিশ্বের অর্থনীতি যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করে ওয়াল ষ্টৃট জার্নাল। আঠার লাখেরও বেশী কপি চলা এই পত্রিকার ইহুদি প্রকাশক ও চেয়ারম্যান পিটার আর কান তেত্রিশটিরও বেশী পত্রিকা ও প্রকাশনা সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রিয় পাঠক, এবার প্রশ্ন হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ৩২টা দেশের ৩২ × ২৩ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী?
উত্তর হচ্ছে – একজন ও না।
অথবা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৬টা দেশের ১৬ × ১৫ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী?
যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ফুটবলারের কতজন ইহুদী? কিংবা পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ক্রিকেটারের কতজন ইহুদী?
উত্তর হচ্ছে – একজন ও না।
কেন?
বছরের কিছু সময় টি টুয়েন্টি আর ফ্ল্যাশ মব, কিছু সময় আইপিএল আর চিয়ার্স লিডার, কিছু সময় ফিফা বিশ্বকাপ বা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ, বাকি সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ আর স্প্যানিশ প্রিমিয়ার লীগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের মনের মধ্যে কী কখনো এই প্রশ্ন আসেনা?
ক্যামনে আসবে ভাই, পয়লা বৈশাখ, পয়লা ফাল্গুন, চৈত্র সংক্রান্তি, থার্টি ফার্স্ট আছেনা? এত এত কাজের ভিড়ে এই ধরণের হাইপোথিটিকাল চিন্তা মাথায় আসবে ক্যামনে? হ্যাঁ, আসেনা বলেই আমি আপনি বসবাসের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে অযোগ্য শহরের বাসিন্দা, এই প্রশ্নগুলো আমাদের আসেনা বলেই আমরা এমন একটা দেশের এমন একটা জাতির একজন – যে ��েশের নাম নেইমার মেসিরা শুনেই নি, যে দেশকে ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে পৃথিবী চিনে, কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে চিনে মজুর আর কাজের বুয়ার দেশ হিসেবে, যে দেশটি আন্তর্জাতিক ভাবে টানা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড গড়ে।
এ লেখার এটুকু পড়েই অনেকের উত্তর শোনার প্রয়োজন থাকার কথা নয়, তবু উত্তরটা দিয়ে দেই, কেন ইহুদীরা ফুটবল ক্রিকেটে এত পিছিয়ে। কারণ-
একটা ফুটবলের ব্যাস হয়ত ২০–৩০ সে.মি. বা একটা ক্রিকেট বলের ব্যাস আর ও কম হয়ত ১০–১২ সে.মি. ইহুদীরা বিশ্ববাসীকে ১০–৩০ সেন্টিমিটারের এই ফুটবল ক্রিকেটের বল নিয়ে ব্যস্ত রেখে ১২,৮০০ কিলোমিটার ব্যাসের বেশ বড় একটা ফুটবল নিয়ে খেলছে – আর এই বড় ফুটবলটাই হচ্চে পৃথিবী।
(তবে সময়ের দাবী মুসলিমরা আবার ঘুরে দাঁড়ানোর, সকল অঙ্গনে বিচরণ করার।)
1 note
·
View note
Text
পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘি ফতেপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পীরগঞ্জের মানুষ তাকে সুধা মিয়া বলে ডাকতেন। ছাত্রলীগ…
View On WordPress
0 notes
Text
ফাইজার টিকার উদ্ভাবক মুসলিম দম্পতিকে জার্মানির সম্মাননা
ফাইজার টিকার উদ্ভাবক মুসলিম দম্পতিকে জার্মানির সম্মাননা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম সফল টিকা উদ্ভাবক, তুর্কি বংশদ্ভুত মুসলিম জার্মান দম্পতি উগুর শাহিন ও ওজলেম তুরেজিকে জার্মানির সর্বোচ্চ অর্ডার অব মেরিট সম্মাননা পুরস্কার দেয়া হয়েছে। জার্মান প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন বেলভাই প্রাসাদে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজ্ঞানী এই দম্পতির হাতে সম্মাননা তুলে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমিয়ার। সম্পূর্ণ আর্টিকেল
View On WordPress
0 notes
Text
'দুনিয়া কাঁপানো মুসলিম আবিষ্কারক'
‘দুনিয়া কাঁপানো মুসলিম আবিষ্কারক’
মুসলিম সভ্যতার ক্রমবিকাশে মুসলিম মনীষীদের অবদান অবিস্মরণীয়। যুগ যুগ ধরে গবেষণা ও সৃষ্টিশীল কাজে তাঁদের একাগ্রতা প্রমাণিত। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের নিজস্ব ধ্যান-ধারণা সভ্যতার বিকাশকে করেছে আরও গতিশীল। রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, কৃষি, চিকিৎসা, জ্যোতির্র্বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস সর্বত্র ছিল ��াঁদের অগ্রণী পদচারণা। বহু মুসলিম বিজ্ঞানী দিগন্ত উন্মোচনকারী আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বের চেহারাই বদলে…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/125182
শিক্ষানুরাগী মানবদরদী মহিয়সী নারী প্রফেসর ড. জয়নাব বেগম
.
জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট: চট্টগ্রামের প্রথম মুসলিম পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জনকারী ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজের বোটানি বিভাগের সাবেক ���েয়ারম্যান প্রফেসর ড. জয়নব বেগম নামের একজন বরেণ্য নারী শিক্ষাবিদ, এই গুণী মানুষটির নাম সর্বত্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ যোগ্য । পুরো জীবনটি তিনি শিক্ষা, গবেষণা ও মানবকল্যাণে অতিবাহিত করেন । এখানে সকলের শ্রদ্ধাভাজন গুণী মানুষটির সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনার অবতারণা করছি । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রাক্তন যুগ্ন সচিব প্রফেসর ড. জয়নাব বেগমের নিজ বাড়ি (দাদার বাড়ি) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার খিলমোগল গ্রামে হলেও এই মহীয়সী নারীর জন্ম হয় ১৯৪৪ সালের ৩ই জানুয়ারী চন্দনাইশ উপজেলার, বরমা ইউনিয়নে তাঁর নানার বাড়িতে । তিনি মরহুম মকবুল আহমদ ও বদিয়া বেগম এর জৈষ্ঠ কন্যা । ৬ বোন, ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় । ভাই বোন পরিবারের সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং স্ব-স্ব স্থানে সুপ্রতিষ্ঠিত । তাঁর মা মরহুমা মিসেস বদিয়া বেগম একজন দক্ষ প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা এবং বাবা একজন সরকারী কর্মচারী কর্মকর্তা ছিলেন । অবসর সময়ে পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের সন্তানদের মৌলিক শিক্ষা দান ছিল তাঁর বাবার অদম্য নেশা । ড. জয়নাব বেগম তাই শিক্ষকতাকেই তাঁর পেশা আর নেশা হিসাবে ধরে নিয়েছেন । অপর্ণা চরণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে মেট্রিক পাশ করে আই এস সি তে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন । ১৯৬৩ ইংরেজী বিএসসি ও ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ হতে এম.এস সি (স্নাতকোত্তর) তে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন । ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম কলেজে প্রাণিবিদ্যা বিভাবগে প্রথম কর্মজীবন-অধ্যাপনা শুরু করেন । অই কলেজে তিনি সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি নিয়ে দীর্ঘ ৩২ বছর শিক্ষকতায় নিবেদিত ছিলেন । সহকারী অধ্যাপক থাকাকালীন সময়ে তিনি ১৯৭৪ সালে ফরাসী সরকারের বৃত্তি নিয়ে গবেষণা ও পিএইচডি ডিগ্রীর জন্য ফ্রান্সে গমন করেন । সেখানে তিনি ফ্রান্সের ারপযু শহরে অবস্থিত বিখ্যাত আধুনিক ভাষা কেন্দ্র ঈঅঠওখঅগ (ঈবহঃৎব অঁফরড় ঠরংঁধষ উব খধহমঁধমব গড়ফবৎহবং) হতে ১ বছর ইন্টেনসিভ কোর্সে ফরাসী ভাষায় শিক্ষা লাভ করেন । পরবর্তীতে ক্ল্যারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয় হতে উঊঅ ডিগ্রী (প্রোটিস্টোলজি) লাভ করেন । ১৯৭৮ সালে তিনি এর উপর গবেষাণা করে কৃত্তিতের সঙ্গে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন । দেশে ফিরে তিনি পুনরায় চট্টগ্রাম কলেজে যোগদান করেন এবং সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান হিসেবে ১৯৯৮ ইং পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৭১ ও ১৯৭২ সনে তিনি চট্টগ্রাম সরকারী বালিকা মহা বিদ্যাল্যেও সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ১৯৯৮ ইং পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ও পুনরায় স্বপদে চট্টগ্রাম কলেজে ফিরে আসেন ও ১৯৯৮ পর্যন্ত প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান এর দায়িত্ব পালন করেন । পরবর্তীতে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত কিছু মহিলা অধ্যাপককে ১৯৯৮ ইং তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে যুগ্ন সচিবের একজন হিসাবে ডেপুটেশনে দায়িত্ব নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন । সেখানে তিনি প্রায় ৩বছর যুগ্ন সচিব উন্নয়ন ও প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করেন । ২০০২ ইংরেজীতে তিনি সরকারী কর্মজীবী থেকে অবসর গ্রহণ করেন । আমি চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যায়নকালে এবং পেশাগত জীবনে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই । তিনি আমার ও আমার স্ত্রী পুত্র সন্তানদের সামনে একটি সমুজ���ল আদর্শ । তাঁর অপার স্নেহ মমতার ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না । তিনি অবসর পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহা পরিচালক, প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবুল ফয়েজ এর নেতৃত্বে ম্যালেরিয়া রিসার্চ গ্রুপের সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ম্যালেরিয়া বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন । এছাড়া জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের সাথে নারী উন্নয়ন নীতিমালা, জেন্ডার টুল কিট প্রণয়ন বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন । বিশ্ব পারিবারিক ভালবাসা আন্দোলন একটি সেবামূলক সংগঠন এবং অটিজম বিষয়ক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে অটিজম সচেতনতা ও ব্যবস্থাপণা বিষয়ে তদারকী করেন । তিনি চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদ – একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক সংগঠন এর প্রতিষ্ঠালগ্ন ১৯৭০ থেকে এই পর্যন্ত সহসভাপতি, সভাপতি প্রফেসর ড. এখলাস উদ্দীন আহমদের সাথেও সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রখ্যাত বিজ্ঞানী মরহুম প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলামের সাথে কাজ করেছেন । তিনি অ্যালিয়স ফ্রসেজ চট্টগ্রাম এর নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন । তিনি ইউনেস্কো এর উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষা উন্নয়নমূলক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন । এছাড়া শিক্ষা প্রশাসনের উপর আয়োজিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন । মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি সমবায় নীতিমালা, পল্লী উন্নয়ন নীতিমালা পরিমার্জন, পরিবর্ধন সহ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সংক্রান্ত, ক্ষুদ্র ঋণ ও দরিদ্র বিমোচন সংক্রান্ত সার্ক এবং ঈওজউঅচ আয়োজিত বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড সফর করে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন । তিনি ইন্টেগ্রেটেড লোকেল কমিউনিটি ডেভেলাপমেন্ট এর উপর বাংলাদেশে সমীক্ষা শেষ করে জাপানে সিমপোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন । তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের আনোয়ারায় ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন (উবাবষড়ঢ়সবহঃ পধৎব ভড়ঁহফধঃরড়হ)এর সুস্বাস্থ্য ইউনিটের স্বাস্থ্য সচেতনতা সপ্তাহিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত । ব্যক্তিগত পর্যায়ে তিনি শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশে ভ্রমণ করেন । বর্তমানে তিনি ঘাসফুল নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঘাসফুল পরান রহমান স্কুলের সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন । শিক্ষকতা তাঁর পেশার সাথে তাঁর প্রাণমন নিবিড়ভাবে মিশে আছে । তাঁর অগণিত ছাত্র-ছাত্রী দেশে ও বিদেশে আইনজীবী, বিচারক, সামরিক, সরকারী, বেসরকারী ও ��ন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণা সহ বিভিন্ন পেশায় কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানেও করে যাচ্ছেন । প্রত্যেকেই স্ব��হিমায় ভাস্বর । ৪ বৎসর যুগ্ন সচিবের দায়িত্ব পালন শেষে ১ দিনের জন্য আগারগাঁওস্থ সরকারী সংগীত কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে ২০০২ সালে চাকরী থেকে অবসর নেন তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবন (কলেজ ও মন্ত্রণালয়) বেশ সুখকর আনন্দময় পরিবেশে অতিবাহিত হয়েছে । অধিকাংশ সময়ে চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যাপনা ও শেষ পর্যায়ে মন্ত্রণালয়ে ৪ বছর সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে কর্মজীবন অতিবাহিত হয় । সব সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যাপক যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন । শত প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে স্ব-অবস্থান ও পারিপার্শ্বকতা অনুযায়ী তিনি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন । সর্বপরি যে কলেজে তিনি তাঁর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেছিলেন সে কলেজেই কর্মজীবনের উলে¬খযোগ্য সময় অতিবাহিত করেছিলেন । নারী হয়েও প্রতিকূল পরিবেশ পরিস্থিতি সব সময় অনুকূলে আনতে সক্ষম হন, তাঁর শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সহকর্মী হিসেবে তাঁর অধ্যাপনা জীবন শুরু হয় । বিষয়টা ছিল তাঁর জন্য সৌভাগ্যের বিষয়, কেননা খুব কম মানুষের এমন সৌভাগ্য হয়ে থাকে । উপযুক্ত মেধা, প্রজ্ঞা ও যোগ্যতার কারণে অধ্যাপনার শেষের দিকে মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক কর্মজীবনেও তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার সম্মুখীন হননি তিনি । শিক্ষা ক্যাডার থেকে এসেও মন্ত্রণালয়ে সহকর্মীদের সর্বাত্নক সহযোগিতা তাঁকে মুগ্ধ করেছিল । পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি সবসময় ব্যক্তি স্বত্যন্ত্রবোধকে অগ্রধিকার দিয়েছেন । সকলের মতামতকে সবসময় গুরত্ব দিয়েছেন । যাতে কর্মক্ষেত্রে নারী হবার কারণে কোন ব্যাপারে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ না হন । প্রফেসর ড. জয়নাব বেগম অবসর পরবর্তীকালে প্রখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী প্রফেসর ডাঃ আবুল ফয়েজের নেতৃত্বে ম্যালেরিয়া রিসার্চ গ্রুপের সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ম্যলেরিয়া বিষয়ক গবেষণা কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন । তিনি অটিজম বিষয়ক সংগঠন ঝঊঐঊজ এর সাথে রয়েছেন । এছাড়াও ১৯৭০ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন । তিনি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও নর্দান ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মরহুম হামিদুল হকের সহধর্মিণী । তিনি বিশ্বাস করেন অধ্যাপনা জীবনের শুরুতেই পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সহকর্মী হওয়া তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠতম পাওয়া । শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মুখামুখি হয়ে ছাত্রী হিসেবে ক্লাশ করা জয়নাব বেগম অল্প দিনের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাণীবিদ্যা বিষয়ে প্রথম শ্রেণীত প্রথম স্থান অর্জন করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে প্রফেসর জয়নাব বেগম হয়ে শিক্ষক হিসেবে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কলেজে যোগদান করেন । তাঁর মতে এটি তাঁর জীবনের সব চেয়ে বড় স্মৃতি । স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, মজার ঘটনা হচ্ছে মাঝে মধ্যে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা কলেজের করিডোরে তাঁকে ছাত্রী মনে করে বকা দিতেন । বিশেষ করে শ্রদ্ধেয় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোজাফফর আহমদ ও প্রফেসর আবদুস সাত্তার সাহেবের অমৃত উপদেশ তাঁর জীবনে পাখা হয়ে দেখা দিয়েছিল । চট্টগ্রাম কলেজের পুর���টা স্মৃতি সবসময় তাঁর চোখে ভাসতে থাকে, বিশেষ করে তাঁর পিতৃতুল্য শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর আবু সুফিয়ান, সবুর স্যার, হাবিবুল বশর স্যার, রাবেয়া আপা, আব্দুল্লাহ আলমতি, শরফুদ্দিন স্যারকে তিনি সর্বদা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তাদের দেয়া আমৃত উপদেশ প্রফেসর জয়নাব বেগম এর জীবনে পাথেয় হয়ে রয়েছে । যা নিয়ে তিনি প্রতিটা দিন অতিবাহিত করেন । তিনি বার্ধক্যে উপনীত হলেও তিনি থেমে যান নি, শারীরিক রোগব্যাধিকে মোকাবেলা করে প্রতিনিয়ত মানবসেবা ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে জীবন অতিবাহিত করছেন । সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গুণী ছাত্র-ছাত্রী বা তাঁর জীবনের অহংকার । তাঁর স্নেহ মমতা আমাদের প্রানিত করে। সবসময় আমাদের অভিবাবকের মত আমাদের দোয়ার ছায়ায় রাখেন , শিক্ষাদিক্ষায় ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তিনি সবসময় আমাদের প্রেরণা হয়ে থাকবেন । তিনি আমার স্ত্রী, কন্যা-পুত্রদের অত্যন্ত ভালবাসেন সৎ উপদেশ দেন । ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নিঃসন্তান হলেও অসংখ্য আত্নীয়-স্বজন ও ছেলে মেয়েদের তিনি নিজের সন্তান রূপে মানুষ করেন। নিঃসন্তান এই শিক্ষকের চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই । এঁদের মধ্যেই তাঁর চিন্তা চেতনার প্রতিফলন ও বেঁচে থাকা । আমি তাঁর সুসাস্থ্য ও হায়াতে তৈয়্যেবার জন্যে মহান আল্লাহ পাক মালিকের শাহী দরবারে মুনাজাত করি। আমিন।
লেখক: আইনজীবী,কলামিস্ট, মানবাধিকার ও সুশাসন কর্মী।
0 notes