#আধুনিক বিজ্ঞান
Explore tagged Tumblr posts
Text
মুসলিম ইতিহাসে একজন খলিফা ছিলেন, যিনি পরিচিত ছিলেন ‘পাগলা খলিফা’ নামে। তার নাম ছিল আল হাকিম। মিশরের ফাতেমি খিলাফতের খলিফা ছিলেন তিনি।
আল হাকিমের হুকুমগুলো ছিল খুব অদ্ভুত!
তিনি হুকুম জারি করলেন----দিনের বেলা বাজার বসবে না, বাজার বসবে রাতের বেলা। দিনে দোকানপাট বন্ধ থাকত, রাতে সবাই বাজার করত।
তিনি হুকুম জারি করলেন----নারীরা বাইরে বের হতে পারবে না। দেখা গেল, তার সিদ্ধান্ত অনেক নারী মানছে না। তিনি জুতা প্রস্তুতকারীদের জানিয়ে দিলেন নারীদের জন্য জুতা না বানাতে। জুতা ছাড়া তো নারীরা বাইরে বের হতে পারবে না!
মিশরে তখন বন্যা হতো, বন্যায় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতো। আল হাকিম পরিকল্পনা করলেন নীলনদে বাঁধ দিবেন, যাতে বন্যা প্রতিরোধ করা যায়।
তার পরিকল্পনা শুনতে পেলেন একজন বিজ্ঞানী। তিনি জানালেন, ‘আমি নীলনদে বাঁধ দেওয়ার কাজটি করতে পারব।’
বিজ্ঞানী বসরা থেকে কায়রোতে আসলেন। নীলনদ দেখে বুঝতে পারলেন, এটাতে বাঁধ দেওয়ার সাধ্য তার নেই। অক্ষমতা প্রকাশ করলে পাগল খলিফা তাকে হত্যা করবেন।
বিজ্ঞানী ভাবলেন, পাগলের সাথে পাগলামি করবেন।
তিনি পাগল হওয়ার অভিনয় করলেন।
আল হাকিম নির্দেশ দিলেন---- ‘এই পাগলকে বন্দি করো।’
বন্দি হলেন বিজ্ঞানী। মিশরের কারাগারে ১০ বছর ছিলেন। এই সময় তিনি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেন। একদিন তিনি লক্ষ করেন, কারাগারের দেওয়ালের গর্ত দিয়ে আলোর সঙ্গে একটি বস্তুর উলটো প্রতিবিম্ব দেওয়ালে পড়ছে। তার এই ভাবনা পালটে দেয় আলোকবিদ্যার গতিপথ। শুরু হয় আলো নিয়ে এক নতুন পৃথিবীর সূচনা!
জেলে বসে গবেষণা করা সেই বিজ্ঞানী সেই বিজ্ঞানীর নাম ইবনুল হাইসাম! অনেকের মতে তিনি আধুনিক আলোকবিদ্যার জনক।
তার লেখা ৭ খণ্ডের ‘কিতাবুল মানাজির’ বা ‘Book of Optics’ ছিল মধ্যযুগের আলোকবিদ্যার রেফারেন্স বুক।
মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান এবং বর্তমানের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি কীভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের ওপর নির্ভরশীল, এটা জানতে পড়তে পারেন গার্ডিয়ান প্রকাশিত ‘মুসলিম মস্তিষ্ক: বিজ্ঞানের অনবদ্য গল্প’।
#islamicknowledge#islamicgifts#islamicpost#booklover#islamiccenter#islamicbookshop#bukuislami#islamicart#deen#read
2 notes
·
View notes
Text
আধুনিক ছাদ বাগান
ছাদ বাগান – ছাদ বাগান হচ্ছে বাড়ির ছাদে বা খালি জায়গায় বিভিন্ন উদ্যান ফসল বিশেষ করে ফুল, ফল, শাক-সবজির বাগান গড়ে তোলাকে বলা হয়। ছাদ বাগান একটি বাংলা শব্দ, এর ইংরেজী শব্দ ‘রুফ টপ গার্ডেন’ or roof gardening।
আধুনিক ছাদ বাগান বলতে কি বুঝি
বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে, সাজিয়ে গুছিয়ে কম জায়গায় অনেক কিছু চাষ করাকেই আধুনিক ছাদ বাগান বলে।
2 notes
·
View notes
Text
biborun.com
আমাদের সম্পর্কে
প্রিয় পাঠক–পাটিকা আসলামুআলাইকুম। আশা করি সকলে অনেক ভাল আছেন।
BIBORUN.COM এই টেক ব্লগ টি পাঠকদের সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এখানে আপনারা বিজ্ঞান প্রযুক্তিক, টেকনোলজি, ব্যাংকিং সেবা, জব নিউজ, ও বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট রিভিউ জানতে ও জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের টেক রিলেটেড ইনফরমেশন আর্টিকেলের মাধ্যমে শেয়ার করায় আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা সব সময় চেষ্টা করব সত্য বিষয়গুলি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি।
এই আধুনিক প্রযুক্তি যুগে পাঠকের টেক রিলেটেড ও বিভিন্ন অজানা তথ্য আর্টিকেলের মাধ্যমে শেয়ার করায় আমাদের মূল লক্ষ্য।
বর্তমানে ইন্টারনেটে বাংলা কনটেন্ট খুবই কম আছে বললেই চলে। এইজন্য আমি বাঙালী (পাঠক—পাটিকা) দের কথা মাথায় রেখে ��ই ব্লগটি বানানো। যেখ���ন থেকে কোন ব্যক্তি বিভিন্ন প্রোডাক্ট রিভিউ, ব্যাংকিং সেবা, অজানা বিজ্ঞান, জব নিউজ, সহ বিভিন্ন ধরনের টেক রিলেটেড ইনফরমেশন নিতে পারে।
আমরা সকল আর্টিকেল ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি। আমি আশা BIBORUN.COM এই টেক ব্লগ প্রত্যেকটি বাঙালি (পাঠক—পাটিকা) কে সাহায্য করবে। Biborun.com সারা বিশ্বের বাংলা ভাষার মানুষের সাথে সেতুবন্ধন তৈরি করার চেষ্টা করছে।
বাংলা ভাষায় সকল প্রকার তথ্য পেতে আমাদের পাশে থাকবেন।আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের সম্পর্কে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্যপ্রিয় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
2 notes
·
View notes
Video
youtube
বিদ্যুৎ আবিষ্কারের অবিশ্বাস্য ইতিহাস! জেনে নিন কিভাবে আবিষ্কার হলো বিদ্য...
"বিদ্যুৎ আবিষ্কারের অবিশ্বাস্য ইতিহাস! জেনে নিন কিভাবে আবিষ্কার হলো বিদ্যুৎ?"
বিদ্যুৎ—আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি! কিন্তু কীভাবে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল? কারা এই বিপ্লবের নায়ক? এই ভিডিওতে আমরা জানবো বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস, টেসলা বনাম এডিসনের বিখ্যাত দ্বন্দ্ব, এবং মাইকেল ফ্যারাডে থেকে শুরু করে জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল পর্যন্ত অসাধারণ বিজ্ঞানীদের অবদান।
এডিসনের সরাসরি প্রবাহ (DC) বিদ্যুৎ বনাম টেসলার বিকল্প প্রবাহ (AC) বিদ্যুতের লড়াই কি আপনাকে ভাবায়? এই বিতর্কের পেছনের চমকপ্রদ তথ্যগুলো জানার জন্য ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন!
এই ভিডিওতে যা জানবেন: 1️⃣ বিদ্যুতের প্রাথমিক আবিষ্কার কিভাবে শুরু হলো? 2️⃣ থেলিস থেকে শুরু করে নিকোলা টেসলার বৈজ্ঞানিক বিপ্লব। 3️⃣ এডিসন ও টেসলার মধ্যকার বিদ্যুতের "ওয়ার অব কারেন্টস"। 4️⃣ ফ্যারাডে ও ম্যাক্সওয়েলের বৈজ্ঞানিক অবদান। 5️⃣ বিদ্যুতের আধুনিক ব্যবহার ও ভবিষ্যৎ।
কেন এই ভিডিওটি দেখবেন? 👉 বিদ্যুতের ইতিহাসের অসাধারণ তথ্য। 👉 চমকপ্রদ ও অজানা গল্প। 👉 আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর: বিদ্যুৎ আবিষ্কার কে করেছিলেন? নিকোলা টেসলা নাকি টমাস এডিসন: কে ছিলেন আসল নায়ক? "ওয়ার অব কারেন্টস" কী ছিল? ফ্যারাডে ও ম্যাক্সওয়েলের গবেষণার গুরুত্ব কী? ভিডিওটি শুধুমাত্র জ্ঞানার্জনের জন্য নয়, বরং বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা জাগানোর জন্যও।
আমাদের ভিডিওতে যে টপিকগুলো কভার করা হয়েছে: বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস। এসি (AC) বনাম ডিসি (DC) বিদ্যুতের লড়াই। নিকোলা টেসলার উদ্ভাবন ও অবদান। টমাস এডিসনের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব। আধুনিক সভ্যতায় বিদ্যুতের প্রভাব। ভিডিওটি শেয়ার করুন এবং আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না! আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন যারা বিজ্ঞানের চমৎকার গল্প জানতে আগ্রহী।
🔔 সাবস্ক্রাইব করুন: নতুন ও চমকপ্রদ ভিডিওর আপডেট পেতে আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল আইকন প্রেস করুন! 👍 লাইক করুন: যদি ভিডিওটি ভালো লাগে। 📝 কমেন্ট করুন: আপনার প্রিয় বিজ্ঞানীর নাম!
#Electricity #NikolaTesla #ThomasEdison #ElectricityHistory #ScienceStory #TeslaVsEdison #ACvsDC #ModernTechnology #ScienceFacts #Inspiration #Knowledge
এই ভিডিওটি দেখে বিদ্যুতের ইতিহাস সম্পর্কে এমন অনেক কিছু জানবেন যা আগে কখনো শুনেননি! এখনই দেখুন এবং শেয়ার করুন!
বিদ্যুৎ আবিষ্কার, নিকোলা টেসলা, টমাস এডিসন, বিদ্যুতের ইতিহাস, টেসলা বনাম এডিসন, এসি বনাম ডিসি, বিদ্যুৎ বিপ্লব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্��ি, বৈজ্ঞানিক গল্প, বিদ্যুৎ চমকপ্রদ তথ্য, বিদ্যুৎ উদ্ভাবন, মাইকেল ফ্যারাডে, বিদ্যুৎ সরবরাহ, এডিসনের আবিষ্কার, বিদ্যুৎ বিজ্ঞান, বিদ্যুৎ ও সভ্যতা, Electricity, Nikola Tesla, Thomas Edison, History of Electricity, Tesla vs Edison, AC vs DC, Electricity Revolution, Science and Technology, Scientific Story, Electricity Facts, Electricity Invention, Michael Faraday, Electricity Supply, Edison Invention, Science of Electricity, Electricity and Civilization
0 notes
Text
অনেক বছর আগের ঘটনা, একবার এক চাষী তার বাড়ির উঠোনে বসে বিশ্রাম করছিলেন। এমন সময় তার একমাত্র ছেলে ছুটে আসে এবং বাবাকে খবর দেয়, যে রাস্তার ধারের পুকুরে একটি ছেলে ডুবে যাচ্ছে। শুনে চাষী তৎক্ষণাৎ পুকুরের কাছে পৌঁছায়। গিয়ে দেখে তার ছেলের বয়সী একটি ছেলে জলে হাবুডুবু খাচ্ছে।
পোশাক পরিচ্ছদ দেখে কোন শহরের ধনীর দুলাল বলে মনে হচ্ছে। সাথে বেশ কিছু বন্ধু বান্ধব থাকলেও তারা সাঁতার না জানায় পারে দাঁড়িয়ে বন্ধুর সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে। চাষী আর একমুহূর্ত সময় নষ্ট না কোরে জলে ঝাপিয়ে পরে এবং ছেলেটিকে উদ্ধার করেন।
এই ঘটনার দিন দুয়েক পর হঠাৎ একদিন গ্রামের পথে ধুলো উড়িয়ে এক ঘোড়ায় টানা সুসজ্জিত গাড়ি, আগে পিছু অস্ত্রধারী অশ্বারোহী নিয়ে চাষীর বাড়ির সামনে এসে থামলো।
চাষী কিছুটা ভয় পেয়েছিল বৈকি। এরপর গাড়ি থেকে যে ব্যক্তি নেমে এলেন তার ব্যক্তিত্ব তার ঐশ্বর্যের পরিচয় বহন করে কিন্তু তার মুখের স্মিত হাসি চাষীকে কিছুটা আস্বস্ত করেন।
তিনি স্মিত হেসে বলেনঃ--- "আপনি সেই মহানুভব যিনি আমার একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন?"
কৃষক মৃদু হেসে বললেনঃ--- "আজ্ঞে হ্যা।"
সেই ব্যক্তি এরপর গরিব চাষীর হাত ধরে অশ্রু সজল চোখে বলেনঃ--- "আপনার ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। তবু বলুন আমি আপনার জন্য কি করতে পারি?"
চাষী প্রথমে কিছু নিতে রাজি হয় না, শেষ মেষ অনেক অনুরোধের পর বলেনঃ--- "দেখুন আমার সেই ক্ষমতা নেই যে আমার ছেলেকে ভালো স্কুলে পড়াই। তাই যদি আপনি ওর একটা ভালো স্কুলে পড়ার ব্যবস্থা করেদেন তাহলেই আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো আপনার কাছে।"
এই শুনে সেই ভদ্রলোক হেসে বললেনঃ--- "ঠিক আছে এই যদি আপনার ইচ্ছা হয় তবে আজ থেকে আপনার ছেলে আমার ছেলের সাথে একসাথে পড়াশুনো করবে, এবং ওকে আমি আমার বাড়িতে রেখে পড়াবো।"
এরপর অনেক বছর কেটে গেছে। চাষীর ছেলে আর ধনী দুলালের বন্ধুত্ব সময়ের সাথে আরো গভীর হয়েছে। দুজনেই অত্যন্ত মেধাবী, যদিও দুজনের পছন্দ ছিল সম্পূর্ন আলাদা। ধনীর দুলালের আকর্ষণ রাজনীতি, আর তার বন্ধুর চিকিৎসা বিজ্ঞান। স্নাতক হবার পর একজন মন দেয় অণুজীব নিয়ে গবেষণায়, আর একজন রাজনীতিতে।
গবেষক বন্ধুর এক একটা গবেষণা পত্র যখন চিকিৎসা দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলছে। তখন আর এক বন্ধুর নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা আকৃষ্ট করছে ইংল্যান্ডের যুব সমাজকে।
এর মধ্যেই সেই রাজনীতিবিদ বন্ধু এক গভীর অসুখে আক্রান্ত হয়। ��নেক বড় বড় চিকিৎসক যখন ব্যর্থ হয় ফিরে যায়, তখন সেই গবেষক বন্ধু এগিয়ে আসে।
দিন রাত এক করে নিজের তৈরি ওষুধে চিকিৎসা করতে থাকেন নিজের বন্ধুর। এবং সম্পূর্ন সুস্থ করে তোলেন নিজের প্রাণাধিক প্রিয় বন্ধুকে। কারণ তাকে ছাড়া তো আধুনিক বিশ্বের ইতিহাস লেখাই অসম্পূর্ন থাকতো।
জানেন এই দুজন কারা?
সেই চাষীর ছেলে হলেন বিশ্ববন্দিত বিজ্ঞানী, পেনিসিলিনের আবিস্কারক স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং।
আর তার বন্ধুটি হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল।
বন্ধুত্বের কোনো শেষ নেই। বন্ধুত্ব, এক অমূল্য সৃষ্টি। বন্ধু ছাড়া জীবন সত্যিই অসম্পূর্ণ।
1 note
·
View note
Text
পানির নিচে টানেল নির্মাণ: চ্যানেল টানেলের বিস্ময়কর প্রযুক্তি, প্রক্রিয়া এবং বিজ্ঞান
পৃথিবীর আধুনিক প্রকৌশল এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে আজ আমরা সমুদ্রের তলদেশে অবিশ্বাস্য কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং চমকপ্রদ হলো চ্যানেল টানেল বা "ইউরোটানেল," যা যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সংযুক্ত করেছে। অনেকেই জানতে চান, পানির নিচে টানেল কীভাবে তৈরি হয়? কীভাবে পানি এই টানেলে প্রবেশ করতে পারে না? এই নিবন্ধে আমরা চ্যানেল টানেল তৈরির প্রক্রিয়া, ব্যবহৃত প্রযুক্তি এবং এই বিপুল প্রকল্পের নেপথ্যে থাকা বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
youtube
পানির নিচে টানেল নির্মাণের পদ্ধতি:
পানির নিচে টানেল নির্মাণ করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। প্রথমে ভূগর্ভের ৪৫ মিটার নিচে খনন শুরু করা হয়, যা সমুদ্রতলের নিচে অবস্থিত। এই প্রক্রিয়ায় প্রকৌশলীরা “ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট টানেল বোরিং মেশিন” ব্যবহার করেন, যার ওজন প্রায় ১০০০ টনের বেশি। এই মেশিনটি পানির চাপ এবং ভূগর্ভস্থ চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করতে সক্ষম। খনন করার সময় মেশিনটি টানেলের দেয়ালে ইস্পাত এবং কংক্রিট বসিয়ে দেয় যাতে দেয়ালগুলো শক্তিশালী হয় এবং পানি টানেলের ভেতরে ঢুকতে না পারে।
চ্যানেল টানেল নির্মাণে ব্যবহৃত প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতি:
চ্যানেল টানেল নির্মাণে প্রয়োজন ছিল অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির, বিশেষ করে ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট খনন যন্ত্র। এই ধরনের টানেল নির্মাণে পানির চাপ একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ, তাই অত্যন্ত ভারী এবং শক্তিশালী মেশিনের মাধ্যমে খনন কার্য সম্পন্ন করতে হয়। এছাড়াও টানেলের দেয়ালে ইস্পাত এবং কংক্রিট প্রয়োগ করা হয়, যা প্রাচীরকে মজবুত করে তোলে এবং পানির প্রবেশ প্রতিরোধ করে।
বিপরীত দিক থেকে খনন প্রক্রিয়া এবং ফসিল পর্যবেক্ষণ:
চ্যানেল টানেলের আরেকটি বিস্ময়কর দিক হলো, এই টানেলটি দুটি বিপরীত দিক থেকে খনন শুরু হয়েছিল। ব্রিটিশ এবং ফরাসি দল দুটি আলাদা দিক থেকে কাজ শুরু করে এবং তাদের খননকে সঠিকভাবে মিলাতে হতো। খনন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে প্রকৌশলীরা বিভিন্ন ফসিল পর্যবেক্ষণ করেছেন, যাতে তারা নিশ্চিত হতে পারেন যে তারা সঠিক গভীরতায় খনন করছেন। এই প্রক্রিয়ায় সামঞ্জস্য রাখতে প্রচুর প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়েছিল।
সময়কাল এবং শ্রমিকদের প্রচেষ্টা:
চ্যানেল টানেল নির্মাণ করতে প্রায় ছয় বছর সময় লেগেছিল। এই প্রকল্পে অসংখ্য প্রকৌশলী ও শ্রমিক নিযুক্ত ছিলেন এবং তাদের অবদান ছাড়া এই বিশাল প্রকল্প সম্পন্ন করা অসম্ভব ছিল। টানেল খননের সময় উচ্চ জলচাপ এবং ভূগর্ভস্থ পরিবেশে কাজ করার জন্য শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকি ছিল। তাই তাদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
পানির নিচে টানেল নির্মাণের ভবিষ্যৎ:
চ্যানেল টানেলের মতো বিপুল আন্ডারসি টানেল প্রকল্প আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ। আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে ভবিষ্যতে আরও টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী পানির নিচে টানেল নির্মাণ করা সম্ভব হবে। পানির নিচে টানেল নির্মাণের ফলে মানবসম্পদ বৃদ্ধি, দূরত্ব কমে আসা, এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।
উপসংহার:
পানির নিচে টানেল নির্মাণ একটি আধুনিক বিস্ময়। চ্যানেল টানেল নির্মাণ প্রক্রিয়া আমাদের দেখিয়ে দেয় যে প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি কতটা অগ্রসর হয়েছে। চ্যানেল টানেল তৈরির এই কৌশল এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আমাদের ভবিষ্যতের বৃহৎ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। আরও বিজ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ব্লগে সাবস্ক্রাইব করুন।
আরও দেখুনঃ জনি কিম: এক বাস্তব সুপারম্যান যিনি নেভি সিল, হার্ভার্ড ডাক্তার এবং নাসার মহাকাশচারী হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন
youtube
Tags: #facts #fyp #reels #viral #highlights #underwatertunnel, #tunnelconstructionprocess, #channeltunnel, #underseatunnel, #tunneltechnology, #eurotunnel, #waterpressure, #tunnelproject, #boringmachine, #tunnelsafety, #sustainabletunnel, #modernengineering, #subsurfaceexcavation, #scienceandtechnology #পানিরনিচেটানেল, #টানেলনির্মাণপ্রক্রিয়া, #চ্যানেলটানেল, #আন্ডারসিটানেল, #টানেলনির্মাণপ্রযুক্তি, #ইউরোটানেল, #পানিরচাপ, #টানেলপ্রকল্প, #খননযন্ত্র, #টানেলসুরক্ষা, #টেকসইটানেল, #আধুনিকপ্রকৌশল, #ভূগর্ভস্থখনন, #বিজ্ঞানওপ্রযুক্তি পানিরনিচেটানেল, টানেলনির্মাণপ্রক্রিয়া, চ্যানেলটানেল, আন্ডারসিটানেল, টানেলনির্মাণপ্রযুক্তি, ইউরোটানেল, পানিরচাপ, টানেলপ্রকল্প, খননযন্ত্র, টানেলসুরক্ষা, টেকসইটানেল, আধুনিকপ্রকৌশল, ভূগর্ভস্থখনন, বিজ্ঞানওপ্রযুক্তি, underwatertunnel, tunnelconstructionprocess, channeltunnel, underseatunnel, tunneltechnology, eurotunnel, waterpressure, tunnelproject, boringmachine, tunnelsafety, sustainabletunnel, modernengineering, subsurfaceexcavation, scienceandtechnologyalLife, Family, SpaceExploration
#পানিরনিচেটানেল#টানেলনির্মাণপ্রক্রিয়া#চ্যানেলটানেল#আন্ডারসিটানেল#টানেলনির্মাণপ্রযুক্তি#ইউরোটানেল#পানিরচাপ#টানেলপ্রকল্প#খননযন্ত্র#টানেলসুরক্ষা#টেকসইটানেল#আধুনিকপ্রকৌশল#ভূগর্ভস্থখনন#বিজ্ঞানওপ্রযুক্তি#underwatertunnel#tunnelconstructionprocess#channeltunnel#underseatunnel#tunneltechnology#eurotunnel#waterpressure#tunnelproject#boringmachine#tunnelsafety#sustainabletunnel#modernengineering#subsurfaceexcavation#scienceandtechnologyalLife#Family#SpaceExploration
0 notes
Text
আপনার সন্তানকে কেন ভর্তি করাবেন? ﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌ ✅ ভৌত অবকাঠামো ও পরিবেশ ◉ অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে আকর্ষণীয় ১০ তলা নিজস্ব ভবন; ◉ ভবনের প্রতিটি কক্ষ, করিডর ও সিঁড়ি টাইলস ও মার্বেল পাথরে সজ্জিত; ◉ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও কৃষি বিজ্ঞানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞানাগার; ◉ স্মার্টবোর্ড সজ্জিত ডিজিটাল ক্লাসরুমে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাঠদানের ব্যবস্থা; ◉ উন্নতমানের আধুনিক টয়লেট ও সার্বক্ষণিক পরিস্কার করার ব্যবস্থা; ◉ শ্রেণিকক্ষে অবাধে আলো-বাতাস প্রবেশের সুবিধা এবং প্রয়োজনে পর্দার ব্যবস্থা; ◉ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ক্ষেত্রে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নিজস্ব জেনারেটর ও সাবস্টেশনের ব্যবস্থা; ◉ বিশুদ্ধ পানির জন্য প্রতিটি ফ্লোরে উন্নতমানের ওয়াটার পিউরিফিকেশন ফিল্টারের ব্যবস্থা; ◉ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির সুব্যবস্থা; ◉ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় উন্নতমানের আবাসিক সুবিধা; ◉ অত্যন্ত শিক্ষার্থীবান্ধব ও উদার পরিবেশ। ﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌ ✅ প্রশাসন ও শিক্ষকের মান ◉ সুদক্ষ ও স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক পরিচালিত; ◉ মেধাবী, উদ্যমী, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষকবৃন্দ কর্তৃক পাঠদান; ◉ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতাই একমাত্র মাপকাঠি; ◉ শিক্ষকদের অধিকাংশই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো ফলাফল অর্জনকারী এবং তাদের মধ্যে দু’জন পিএইচডি ডিগ্রিধারী; ◉ শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানোন্নয়ন। ﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌ ✅শৃংখলা, পাঠদান ও অন্যান্য ◉ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তা, শৃংখলা ও শিক্ষা কার্যক্রম নজরদারীর ব্যবস্থা; ◉ নিয়মিত পাঠদান এবং পাঠদানের মান মনিটরিং এর ব্যবস্থা; ◉ ক্লাস শেষে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা; ◉ শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও মত বিনিময়ের ব্যবস্থা; ◉ শ্রেণি শিক্ষক কর্তৃক অভিভাকদের তাদের সন্তানদের পাঠোন্নতি সম্পর্কে অবহিতকরণ; ◉ নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে চরিত্র গঠনের সচেতন প্রয়াস; ◉ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নাচ, গান, চিত্রাংকন ও তাইকোয়ান্দো প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থা; ◉ নিয়মিত শিক্ষা সফর ও বার্ষিক বনভোজনের ব্যবস্থা। ﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌ ✅ আকর্ষণীয় আর্থিক ছাড় ◉ শ্রেণিতে ১ম স্থান অধিকারীদের জন্য কে সি মেধাবৃত্তি ও অস্বচ্ছল ��রিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য নীপা গ্রুপ শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা; ◉ দুই সন্তান ভর্তির ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত নিচু শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রীর সেশন চার্জ ৫০% ছাড়; ◉ তিন সন্ত��নের ক্ষেত্রে ৩য় সন্তানের সেশন চার্জ ১০০% ছাড় এবং বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ তবে ভর্তি ও অন্যান্য ফি প্রযোজ্য হবে। ﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌ ✅ শ্রেণিভিত্তিক শূণ্য আসন সংখ্যা ✿ প্লে - ইংরেজি ভার্সন-১৩৫ ✿ নার্সারী-ইংরেজি ভার্সন-৪৫ ✿ কেজি-ইংরেজি ভার্সন-৪৫ ✿ ১ম-বাংলা ভার্সন-২৫, ইংরেজি ভার্সন-২০ ✿ ২য়-বাংলা ভার্সন-২০, ইংরেজি ভার্সন-২০ ✿ ৩য়-বাংলা ভার্সন-২৫, ইংরেজি ভার্সন-২০ ✿ ৪র্থ-বাংলা ভার্সন-২৫, ইংরেজি ভার্সন-২০ ✿ ৫ম-বাংলা ভার্সন-২০, ইংরেজি ভার্সন-১৫ ✿ ৬ষ্ঠ-বাংলা ভার্সন-২৫, ইংরেজি ভার্সন-২০ ✿ ৭ম-বাংলা ভার্সন-২০, ইংরেজি ভার্সন-১৫ ✿ ৮ম-বাংলা ভার্সন-২০, ইংরেজি ভার্সন-২০ ✿ ৯ম বিজ্ঞান-বাংলা ভার্সন-২৫, ইংরেজি ভার্সন-২০ ✿ ৯ম বাণিজ্য-বাংলা ভার্সন-২০, ইংরেজি ভার্সন-১০ ✿ ৯ম মানবিক-বাংলা ভার্সন-১৫, ইংরেজি ভার্সন-১৫ ﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌ ⚲ যোগাযোগের ঠিকানা- কে সি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ 🏠︎ ২৭৫, প্রেমবাগান, দক্ষিণখান, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ 📱০১৭৯৩ ৫৬০ ৪৬৬ 📱০১৮৪৬ ৮৬১ ৬৫৮ 📱০১৭১৫ ৬৯৯ ৬১০ ﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌ https://www.facebook.com/kcmsc.edu.bd https://x.com/kcmodelcollege https://www.instagram.com/kcmscofficial/ https://www.pinterest.com/kcmodelcollege/ https://www.linkedin.com/in/k-c-model-school-and-college-51251532b/ https://www.threads.net/@kcmscofficial https://www.tumblr.com/blog/kcmsc https://bn.quora.com/profile/K-C-Model-School-and-College https://bsky.app/profile/kcmsc.bsky.social
#bestschool#school#admissions#AdmissionsOpen#DhakaBangladesh#NearSchools#nearcollege#bestcollege#college#collegeadmissions#education#besteducation#KCMSC#kcmodel#prembagan#Dhaka#enrolling#Future#DhakaEducation#DhakaSchoolSearch#AdmissionsOpenDhaka#SmartStartDhaka#DhakaSchools#DiscoverDhakaEducation
0 notes
Text
🔬 মাইক্রোস্কোপে ছোট জিনিস বড় দেখায় কীভাবে 🔬
সাধারণ মাইক্রোস্কোপে থাকে উভ-উত্তল (বাই-কনভেক্স) লেন্স। এর বৈশিষ্ট্য হলো, কোনো বস্তু থেকে আলো সমান্তরালরেখায় এসে লেন্সের মধ্য দিয়ে বের হয়ে বাঁকা হয়ে আমাদের চোখে পৌঁছায়। ফলে মনে হয়, আলোকরশ্মি অনেক বড় বস্তু থেকে আসছে। সাধারণ ম্যাগনিফায়িং গ্লাসও একধরনের মাইক্রোস্কোপ। তবে আধুনিক মাইক্রোস্কোপ অনেক বেশি জটিল ও ছোট জিনিস অনেক বড় ও সুন্দর দেখায়।
🔬👓✨ #বিজ্ঞান #মাইক্রোস্কোপ #প্রযুক্তি #আবিষ্কার #ScienceExplained #MagnificationMagic #TechWonders
0 notes
Text
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য।
দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০)
তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে।
কোর���নে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০)
অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০)
ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭)
তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অ���্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪)
সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
#useful knowledge#knowledge#ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব#Importance of Acquiring Knowledge in Islam#জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা#Youtube
0 notes
Text
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে। ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১) জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য। দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযা��নের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে। পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০) তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে। কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০) অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০) ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১) রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭) তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪) সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়। জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s https://www.youtube.com/watch?v=WR0tCQ_UmcU https://www.youtube.com/watch?v=Chqy8tp5e0w https://www.youtube.com/watch?v=gUZf5zu7Fic https://www.youtube.com/watch?v=s4O-oPPUPDc https://www.youtube.com/watch?v=ahL41l4R_i0&t=126s https://www.youtube.com/watch?v=ayK3KMCWDfo&t=34s https://www.youtube.com/watch?v=biYiQw1-lP4 https://www.youtube.com/watch?v=xYDj6RoDIbA https://www.youtube.com/watch?v=xYDj6RoDIbA https://www.youtube.com/watch?v=2R3E25VFj3Q
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
#knowledge#ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব#Importance of Acquiring Knowledge in Islam#জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
0 notes
Text
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য।
দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০)
তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে।
কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০)
অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০)
ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭)
তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪)
সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান��তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
#knowledge#ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব#Importance of Acquiring Knowledge in Islam#জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা#Youtube
0 notes
Text
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য।
দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০)
তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে।
কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০)
অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০)
ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭)
তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪)
সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
#knowledge#ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব#Importance of Acquiring Knowledge in Islam#জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা#Youtube
0 notes
Text
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য।
দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০)
তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে।
কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০)
অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০)
ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭)
তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪)
সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
#knowledge#ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব#Importance of Acquiring Knowledge in Islam#জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা#Youtube
0 notes
Text
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার পার্থিব প্রয়োজন পূরণের উত্তম পন্থা আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতের সফলতা-ব্যর্থতার জ্ঞানও অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানার এবং জানা বিষয়কে কাজে লাগিয়ে অজানার সন্ধান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়, 'পড়ো, তোমার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।' (সুরা আলাক : ১)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার : এক. যা চর্চা করা অপরিহার্য।
দুই. যা চর্চা করা নিষিদ্ধ। প্রথমটি হচ্ছে- ওই সব জ্ঞান, যা জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। যেমন- চিকিৎসা, গণিত, এমনিভাবে কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান ও দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞানও অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয়টি, যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম। যেমন- ইসলামবিরোধী প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন, কুফরি সাহিত্য ইত্যাদি। তদ্রূপ অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় চর্চা করাও নিষিদ্ধ। (ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন : ১/২৯-৩০)
তবে হ্যাঁ, জাগতিক জ্ঞান অর্জনেরও একটি বিশুদ্ধ ধর্মীয় দিক রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তা দ্বীনি খিদমত হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। যেমন- বর্তমান বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শিতা অর্জন, দ্বীন প্রচারের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক মাধ্যমগুলোর জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি দ্বীনি খিদমতের উদ্দেশ্যে হলে তা সম্পূর্ণরূপে ইসলামের খিদমত হিসেবে গণ্য হবে।
কোরআনে কারিমে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো শক্তি অর্জন করো।' (সুরা আনফাল : ৬০)
অনুরূপ হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জন, মাতা-পিতা ও আত্মীয়স্বজনের খিদমত, পরিবার-পরিজনের হক আদায়, সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করলে এতেও সওয়াব রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে- 'হালাল রিজিক সন্ধান সব মুসলমানের ওপর ফরজ।' (আল মু'জামুল আওসাত : ৮৬১০)
ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।' (সুরা মুজাদালা : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।' (বুখারি : ৫০২৭) অন্যত্র তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।' (মুসলিম : ২৬৯৯) আরেক হাদিসে আছে, 'আল্লাহ তাআলা যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন।' (বুখারি : ৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, 'যে ইলম অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।' (তিরমিজি : ২৬৪৭)
তবে দ্বীনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো 'ইখলাস' তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম অর্জন করা হলে তা��� পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, 'যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।' (আবু দাউদ : ৩৬৬৪)
সারকথা, ইসলামে দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব। পার্থিব প্রয়োজন পূরণ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য জাগতিক শিক্ষা অতীব জরুরি। উপরন্তু বহু দ্বীনি কাজের জন্যও জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে। পক্ষান্তরে জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক, ইমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা https://www.youtube.com/watch?v=OBEVzxgbN2s
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
Importance of Acquiring Knowledge in Islam
জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা
#knowledge#ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব#Importance of Acquiring Knowledge in Islam#জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা#Youtube
0 notes
Text
আয়নাঘর: রহস্যময়তার জগতে এক অনন্য অভিজ্ঞতা
আয়নাঘর হল একটি বিশেষ ঘর যেখানে দেয়াল এবং ছাদ আয়না দিয়ে তৈরি। এটি মিরর হাউস বা মিরর মেজ নামেও পরিচিত। আয়নাঘর একটি আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র, যা ভ্রমণকারীদের জন্য চমৎকার অভিজ্ঞতা প্রদান করে। আয়নাঘরে প্রবেশ করলে আপনি অসংখ্য প্রতিফলন দেখতে পাবেন। প্রতিটি কোণায় নতুন চমক অপেক্ষা করে। এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্যই আনন্দদায়ক।
আয়নাঘরের ভিতরে হারিয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি তৈরি হয়। অগণিত প্রতিফলন এবং অপটিক্যাল ইল্যুশন উপভোগ করার সুযোগ মেলে। আয়নাঘর সাধারণত বিনোদন পার্ক, মেলা এবং পর্যটনকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়। এটি বিভিন্ন আকার এবং ডিজাইনে তৈরি হতে পারে। আয়নাঘর ভ্রমণের মাধ্যমে আপনি এক অদ্ভুত এবং মজার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
আয়নাঘরের ইতিহাস
আয়নাঘর, একটি আকর্ষণীয় এবং রহস্যময় স্থান যা প্রাচীন কালের মানুষের বিস্ময়ের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। আয়নাঘরের ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতি ও যুগে বিস্তৃত। এই ইতিহাস জানলে আমরা বুঝতে পারি আয়নাঘরের নানা পর্যায় এবং এর বিকাশ।
উৎপত্তি ও বিকাশ
আয়নাঘরের উৎপত্তি অনেক প্রাচীন। প্রাচীন মিসর ও গ্রিসে আয়নাঘর প্রথম ব্যবহৃত হয়। এই সময় আয়নাঘর ছিল মূলত ধাতব আয়না দিয়ে তৈরি। পরে, রোমান যুগে, কাচের আয়না ব্যবহার শুরু হয়।
মধ্যযুগে, আয়নাঘর ইউরোপে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়। রাজকীয় প্রাসাদগুলোতে আয়নাঘর স্থাপন করা হতো। এই সময় আয়নাঘরের নকশা ও স্থাপত্যে বৈচিত্র্য আসে।
আধুনিক যুগে, আয়নাঘর শৈল্পিক ও বিনোদনমূলক স্থানে পরিণত হয়। নানা প্রদর্শনী ও থিম পার্কে আয়নাঘর ব্যবহৃত হতে থাকে।
প্রাচীন কালের আয়নাঘর
প্রাচীন মিসরে আয়নাঘর সোনার প্রলেপ দেওয়া আয়না দিয়ে তৈরি হতো। মিসরের রাজা ও রানিরা আয়নাঘর ব্যবহার করতেন।
প্রাচীন গ্রিসে, আয়নাঘর ছিল দর্শনশাস্ত্র ও বিজ্ঞান চর্চার স্থান। গ্রিক দার্শনিকরা আয়নার প্রতিফলন নিয়ে গবেষণা করতেন।
রোমান যুগে, আয়নাঘর ছিল ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রাসাদে। কাচের আয়না ব্যবহার শুরু হলে আয়নাঘরের সৌন্দর্য ও জাঁকজমক বৃদ্ধি পায়।
মধ্যযুগে, ইউরোপের রাজপ্রাসাদগুলোতে আয়নাঘর ছিল অন্যতম আকর্ষণ। ফ্রান্সের ভার্সাই প্রাসাদের আয়নাঘর বিশ্ববিখ্যাত।
আয়নাঘরের স্থাপত্যশৈলী
আয়নাঘর বা মিরর মেজের স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত চমকপ্র��। এর কারুকার্য ও নকশা সত্যিই মুগ্ধকর। আয়নাঘরের প্রতিটি অংশে থাকে জাদুর মত আকর্ষণ। এখানে আমরা আয়নাঘরের বিভিন্ন ধরন ও স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করব।
বিভিন্ন ধরণের আয়নাঘর
চলন্ত আয়নাঘর
স্থির আয়নাঘর
আয়না করিডোর
আয়না ল্যাবিরি��্থ
চলন্ত আয়নাঘরে আয়নার অবস্থান পরিবর্তন হয়। এটি দর্শকদের বিভ্রান্ত করে। অন্যদিকে স্থির আয়নাঘরে আয়নার অবস্থান স্থায়ী থাকে। এটি দেখতে সহজ হলেও চলার পথে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
আয়না করিডোরে সরল রেখায় আয়নার অবস্থান থাকে। এটি সাধারণত সরলপথে চলে। আয়না ল্যাবিরিন্থে পথের বিভিন্ন বাঁক ও মোড় থাকে। এটি দর্শকদের জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হয়।
বিস্তারিত: Amazing Mirror Maze House
0 notes
Text
এপেন্ডিক্স ও এপেন্ডিসাইটিস বিস্তারিত সার্জারীর খরচসহ
এপেন্ডিক্স হলো পাকস্থলীর একটি বর্ধিত উপাঙ্গ যা বৃহদান্ত্রের সাথে ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগ রাখে। এটা দেখতে নলাকার, অনেকটা ক্রিমির মতো যা ২-১০ সে.মি. হয়ে থাকে৷ এটা শরীরে তেমন প্রয়োজনীয় কোন অঙ্গ নয়, তবে আধুনিক বিজ্ঞান বলে যে, এই অঙ্গ টি আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। আর এই এপেডিক্সে কোন কারণে যদি ইনফেকশন বা ব্লক হয় তাহলে সেটাকে বলে এপেন্ডিসাইটিস। এপেন্ডিসাইটিসের…
0 notes