#ব্যক্তিজীবন
Explore tagged Tumblr posts
Text
Johnny Kim: A Real-Life Superman Who Made History as a Navy SEAL, Harvard Doctor, and NASA Astronaut
The idea of Superman has captured the imagination of many around the world. But is there anyone in real life who can truly be called a Superman? As unbelievable as it sounds, there is someone among us who can rightfully bear that title: Johnny Kim. Johnny Kim is a remarkable individual who has proven himself as a Navy SEAL, a Harvard Medical School doctor, and a NASA astronaut, making him a truly unique figure.
youtube
Johnny Kim: The Start of an Unbelievable Journey
Johnny Kim was born into an immigrant family, facing struggles from the very beginning. His parents came to the United States as immigrants from South Korea, enduring numerous hardships to make a living. At the age of 18, Johnny lost his father, an event that made him mentally stronger and intensified his desire to face challenges.
Johnny Kim’s Journey as a Navy SEAL
From a young age, Johnny decided to overcome his shyness by becoming a Navy SEAL. This was a huge step and a major test of self-confidence. Through intense training and hard work, Johnny Kim earned his place as a Navy SEAL. His outstanding success in this role led him onto a new path, where he began an important chapter of his life as a Navy SEAL.
Academic Life at Harvard Medical School
After his success as a Navy SEAL, Johnny aspired to do even more and set his sights on serving humanity. He enrolled at Harvard Medical School to study medicine. At Harvard, he diligently pursued his studies in medical science, committing himself to saving lives as a doctor. By excelling in such a competitive environment as Harvard, Johnny Kim reached new heights in the medical field.
Making History as a NASA Astronaut
After gaining expertise in medicine from Harvard Medical School, an even greater opportunity came his way. At the age of 33, he was selected as a NASA astronaut, which marked yet another major success in his life. As a NASA astronaut, he has been chosen for a mission to the moon. He is undergoing rigorous training for space exploration, showcasing his skills and courage as an astronaut.
Personal Life and Johnny Kim’s Success
In his personal life, Johnny Kim is a devoted husband and father of three. Balancing his family life with his professional achievements makes him a complete individual. His exceptional qualities indeed make him worthy of being called a Superman. Along with being a family man, he serves his country, heals people as a doctor, and explores as an astronaut.
Johnny Kim: A Symbol of Inspiration and Dream Fulfillment
Johnny Kim’s extraordinary life journey inspires everyone. Breaking free from his limitations and social background, he has achieved incredible success. His biography teaches us that with self-confidence, hard work, and an unwavering willpower, anyone can fulfill their dreams.
From Johnny Kim’s life, we learn that challenges and obstacles are part of life, but that should never stop us from dreaming.
Watch More: Donald Trump's Victory in the 2024 U.S. Presidential Election: A Detailed Analysis of the Shift to the Right in American Politics
youtube
Tags: #facts #fyp #reels #viral #highlights #JohnnyKim #RealSuperman #NavySEAL #HarvardDoctor #NASAAstronaut #ImmigrantFamily #AstronautJohnnyKim #SuccessAsNavySEAL #HarvardMedicalSchool #DoctorJohnnyKim #NASAJourney #MoonMission #SuccessfulLifeJourney #InspirationForDreams #PersonalLife #Family #SpaceExploration #জনিকিম #বাস্তবসুপারম্যান #নেভিসিল #হার্ভার্ডডাক্তার #নাসামহাকাশচারী #অভিবাসীপরিবার #মহাকাশচারীজনিকিম #নেভিসিলোসফলতা #হার্ভার্ডমেডিকেলস্কুল #চিকিৎসকজনিকিম #নাসাযাত্রা #চাঁদেমিশন #সফলজীবনযাত্রা #স্বপ্নপূরণেরঅনুপ্রেরণা #ব্যক্তিজীবন #পরিবার #মহাকাশঅভিযান জনিকিম, বাস্তবসুপারম্যান, নেভিসিল, হার্ভার্ডডাক্তার, নাসামহাকাশচারী, অভিবাসীপরিবার, মহাকাশচারীজনিকিম, নেভিসিলোসফলতা, হার্ভার্ডমেডিকেলস্কুল, চিকিৎসকজনিকিম, নাসাযাত্রা, চাঁদেমিশন, সফলজীবনযাত্রা, স্বপ্নপূরণেরঅনুপ্রেরণা, ব্যক্তিজীবন, পরিবার, মহাকাশঅভিযান, JohnnyKim, RealSuperman, NavySEAL, HarvardDoctor, NASAAstronaut, ImmigrantFamily, AstronautJohnnyKim, SuccessAsNavySEAL, HarvardMedicalSchool, DoctorJohnnyKim, NASAJourney, MoonMission, SuccessfulLifeJourney, InspirationForDreams, PersonalLife, Family, SpaceExploration
#জনিকিম#বাস্তবসুপারম্যান#নেভিসিল#হার্ভার্ডডাক্তার#নাসামহাকাশচারী#অভিবাসীপরিবার#মহাকাশচারীজনিকিম#নেভিসিলোসফলতা#হার্ভার্ডমেডিকেলস্কুল#চিকিৎসকজনিকিম#নাসাযাত্রা#চাঁদেমিশন#সফলজীবনযাত্রা#স্বপ্নপূরণেরঅনুপ্রেরণা#ব্যক্তিজীবন#পরিবার#মহাকাশঅভিযান#JohnnyKim#RealSuperman#NavySEAL#HarvardDoctor#NASAAstronaut#ImmigrantFamily#AstronautJohnnyKim#SuccessAsNavySEAL#HarvardMedicalSchool#DoctorJohnnyKim#NASAJourney#MoonMission#SuccessfulLifeJourney
0 notes
Link
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনি সিনেমা
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
মানুষের যাপিতজীবন সুশৃঙ্খল ও গতিময় হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বত্র যেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, সে জন্য ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও সদাচারের আদেশ করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯০)। একই নির্দেশনা দিয়ে অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা করবে তখন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে যখন তা নিঃস্বার্থ ও পক্ষপাতহীন হবে। নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও সত্যের নিরিখে ন্যায়নিষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। ��োরআন শরিফে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে দৃঢ়পদ থাকবে আল্লাহর সাক্ষীরূপে।
যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক, উভয়ের সঙ্গেই আল্লাহর অধিকার আছে। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিচারের ক্ষেত্রে যেমন আত্মপক্ষে ঝুঁকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেমনি অন্যের প্রতি আক্রোশ ও বিদ্বেষও যেন চালিত না করে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাত নেই। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, শাসক-শাসিত, শ্রেণি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার ও বিচার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। মানুষের সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি, সাম্য, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সৃষ্টি হতে পারে না।
। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আর রাষ্ট্র তো এসব সমাজেরই সমষ্টির নাম। তাই একটি দেশকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক ন্যায়বিচার। তার আগে পারিবারিক ন্যায়বিচার। তারও আগে ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের বোধ ও সদিচ্ছা। প্রতিমুহূর্তে নিজের আত্মাকে দাঁড় করাতে হবে বিবেকের আদালতে। তাহলেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র সুবিচারের প্রতিষ্ঠা হবে। আলো নিভে গেলে যেমন আঁধারে ছেয়ে যায় চারপাশ, তেমনি মানুষের বিবেক ও সমাজ থেকে ন্যায়বিচার উঠে গেলে জুলুম ও অবিচার শুরু হয়। ন্যায়বিচারের স্থানে অবিচার ও অনাচারের অনুপ্রবেশ হয়। সুস্থ ও বোধসম্পন্ন ব্যক্তি তো বটেই, অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলে অপ্রকৃতিস্থ মাতালও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। নাড়িছেঁড়া সন্তান যদি লক্ষ করে তার স্নেহময় জননী ন্যায়বিচারক নন কিংবা বাবা তার সব সন্তানকে একই চোখে দেখেন না, তাহলে সন্তানের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। পরিণামে দেখা যায়, একেকটি পরিবারের কাঠামো ও বংশধার��� প্রতিশোধের প্রবণতায় একেকভাবে তছনছ হয়ে যায়। সমাজে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য বন্ধন ও সুসম্পর্ক ভেঙে যায়। এভাবে ভাঙে পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। বলে বিভিন্ন ধর্মের ও দর্শনের জ্ঞানী-স্বল্পজ্ঞানী, সাধারণ-অসাধারণ সবাই। কিন্তু এই পৃথিবী, সভ্যতা ও মহাকাল ইসলামের আগমনে ইনসাফ, ন্যায়বিচার, সাম্য ও সভ্যতার যে অভাবিতপূর্ব ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছে তার দৃষ্টান্ত অন্য কোথাও নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার গতিধারা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের মশাল জ্বেলে। রাসুল (সা.) শতাব্দীর এমন ক্রান্তিকালে নতুন সমাজ গড়ে তুলেছিলেন যখন গোটা দুনিয়ায় অন্যায়, অরাজকতা, বর্ণবৈষম্য, বংশকৌলিন্য ও পাশবিক দম্ভ মানুষকে মানুষ অবয়বের বন্য পশুতে পরিণত করে রেখেছিল। গভীর আঁধারে নিমজ্জিত এমন সময় ও সমাজে সমাজে রাসুল (সা.) মদিনায় যে ভারসাম্যপূর্ণ সুশৃঙ্খল সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করেন, তার মূলে ছিল ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও মানবজাতির সার্বজনীনতা। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অনুঘটক হলো মানুষের অন্তরে রোপিত পারলৌকিক জীবনবোধ ও ঐশ্বরিক চেতনা, যা মানুষকে প্রকাশ্য এবং গোপন সবরকম অন্যায় ও অবিচার থেকে বিরত রাখে এ কারণে যে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন বিচারের আদালত স্থাপন করবেন। পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনের অনুপুঙ্খ হিসাব নেবেন এবং প্রত্যেকের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। পার্থিব জীবনের ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সুবিচার-অবিচার, নীতি ও নেকি প্রতিটি কাজের প্রতিদান সেদিন সবাইকে পেতেই হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের আদালত স্থাপন করব। কারও প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না। এমনকি মানুষের সরিষার দানা পরিমাণ ক্ষুদ্র কর্ম ও আচরণও আমি সেদিন উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৪৭)। আল্লাহ ও তার বিচারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও শেষ দিবসের পরিণতির ভীতি যাদের আছে তারা কোনো দিন অনাচার ও কারও প্রতি অবিচারের কথা ভাবতে পারে না। ঝরনার পানি যেমন পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচের দিকে নামে তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার বা অবিচার প্রতিষ্ঠা পায় সমাজের উঁচু শ্র���ণির মানুষদের দ্বারা। ধীরে ধীরে তা ক্রমান্বয়ে অধীন ও অধস্তন শ্রেণিতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র একটি পরিবারও এর ব্য��িক্রম নয়। পরিবারের প্রধান অবিচারী হলে সেখানে আর ন্যায়বিচার থাকে না। তেমনি সমাজের ও রাষ্ট্রের উচ্চশ্রেণি স্বেচ্ছাচারী হলে সেখানে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও অনাচার বিস্তৃতি লাভ করে। এ জন্য আল্লাহতায়ালা কোরআন শরিফের অনেক স্থানে সমাজের বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশেষভাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করো তখন ইনসাফের ভিত্তিতে সুবিচার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। অপর এক আয়াতে বলেছেন, ‘যদি তারা ফিরে আসে তাহলে উভয়ের মাঝে ন্যায়ানুগভাবে সুবিচার করবে এবং তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ৯)। সমাজের ওপরের শ্রেণিতে যদি ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের সর্বত্র সুবিচারের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবে।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
youtube
রাসুল (সঃ) এর ন্যায় বিচার।
youtube
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয়
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
Insaf and Justice in the Sight of Islam
#ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার#Insaf and Justice in the Sight of Islam#ইনসাফ#ন্যায়বিচার#Insaf#Justice#Islam#Youtube
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
মানুষের যাপিতজীবন সুশৃঙ্খল ও গতিময় হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বত্র যেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, সে জন্য ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও সদাচারের আদেশ করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯০)। একই নির্দেশনা দিয়ে অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা করবে তখন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে যখন তা নিঃস্বার্থ ও পক্ষপাতহীন হবে। নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও সত্যের নিরিখে ন্যায়নিষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। কোরআন শরিফে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে দৃঢ়পদ থাকবে আল্লাহর সাক্ষীরূপে।
যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক, উভয়ের সঙ্গেই আল্লাহর অধিকার আছে। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিচারের ক্ষেত্রে যেমন আত্মপক্ষে ঝুঁকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেমনি অন্যের প্রতি আক্রোশ ও বিদ্বেষও যেন চালিত না করে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাত নেই। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, শাসক-শাসিত, শ্রেণি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার ও বিচার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। মানুষের সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি, সাম্য, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সৃষ্টি হতে পারে না।
। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার��� ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আর রাষ্ট্র তো এসব সমাজেরই সমষ্টির নাম। তাই একটি দেশকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক ন্যায়বিচার। তার আগে পারিবারিক ন্যায়বিচার। তারও আগে ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের বোধ ও সদিচ্ছা। প্রতিমুহূর্তে নিজের আত্মাকে দাঁড় করাতে হবে বিবেকের আদালতে। তাহলেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র সুবিচারের প্রতিষ্ঠা হবে। আলো নিভে গেলে যেমন আঁধারে ছেয়ে যায় চারপাশ, তেমনি মানুষের বিবেক ও সমাজ থেকে ন্যায়বিচার উঠে গেলে জুলুম ও অবিচার শুরু হয়। ন্যায়বিচারের স্থানে অবিচার ও অনাচারের অনুপ্রবেশ হয়। সুস্থ ও বোধসম্পন্ন ব্যক্তি তো বটেই, অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলে অপ্রকৃতিস্থ মাতালও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। নাড়িছেঁড়া সন্তান যদি লক্ষ করে তার স্নেহময় জননী ন্যায়বিচারক নন কিংবা বাবা তার সব সন্তানকে একই চোখে দেখেন না, তাহলে সন্তানের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। পরিণামে দেখা যায়, একেকটি পরিবারের কাঠামো ও বংশধারা প্রতিশোধের প্রবণতায় একেকভাবে তছনছ হয়ে যায়। সমাজে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য বন্ধন ও সুসম্পর্ক ভেঙে যায়। এভাবে ভাঙে পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। বলে বিভিন্ন ধর্মের ও দর্শনের জ্ঞানী-স্বল্পজ্ঞানী, সাধারণ-অসাধারণ সবাই। কিন্তু এই পৃথিবী, সভ্যতা ও মহাকাল ইসলামের আগমনে ইনসাফ, ন্যায়বিচার, সাম্য ও সভ্যতার যে অভাবিতপূর্ব ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছে তার দৃষ্টান্ত অন্য কোথাও নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার গতিধারা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের মশাল জ্বেলে। রাসুল (সা.) শতাব্দীর এমন ক্রান্তিকালে নতুন সমাজ গড়ে তুলেছিলেন যখন গোটা দুনিয়ায় অন্যায়, অরাজকতা, বর্ণবৈষম্য, বংশকৌলিন্য ও পাশবিক দম্ভ মানুষকে মানুষ অবয়বের বন্য পশুতে পরিণত করে রেখেছিল। গভীর আঁধারে নিমজ্জিত এমন সময় ও সমাজে সমাজে রাসুল (সা.) মদিনায় যে ভারসাম্যপূর্ণ সুশৃঙ্খল সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করেন, তার মূলে ছিল ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও মানবজাতির সার্বজনীনতা। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অনুঘটক হলো মানুষের অন্তরে রোপিত পারলৌকিক জীবনবোধ ও ঐশ্বরিক চেতনা, যা মানুষকে প্রকাশ্য এবং গোপন সবরকম অন্যায় ও অবিচার থেকে বিরত রাখে এ কারণে যে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন বিচারের আদালত স্থাপন করবেন। পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনের অনুপুঙ্খ হিসাব নেবেন এবং প্রত্যেকের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। পার্থিব জীবনের ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সুবিচার-অবিচার, নীতি ও নেকি প্রতিটি কাজের প্রতিদান সেদিন সবাইকে পেতেই হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের আদালত স্থাপন করব। কারও প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না। এমনকি মানুষের সরিষার দানা পরিমাণ ক্ষুদ্র কর্ম ও আচরণও আমি সেদিন উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৪৭)। আল্লাহ ও তার বিচারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও শেষ দিবসের পরিণতির ভীতি যাদের আছে তারা কোনো দিন অনাচার ও কারও প্রতি অবিচারের কথা ভাবতে পারে না। ঝরনার পানি যেমন পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচের দিকে নামে তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার বা অবিচার প্রতিষ্ঠা পায় সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষদের দ্বারা। ধীরে ধীরে তা ক্রমান্বয়ে অধীন ও অধস্তন শ্রেণিতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র একটি পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়। পরিবারের প্রধান অবিচারী হলে সেখানে আর ন্যায়বিচার থাকে না। তেমনি সমাজের ও রাষ্ট্রের উচ্চশ্রেণি স্বেচ্ছাচারী হলে সেখানে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও অনাচার বিস্তৃতি লাভ করে। এ জন্য আল্লাহতায়ালা কোরআন শরিফের অনেক স্থানে সমাজের বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশেষভাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করো তখন ইনসাফের ভিত্তিতে সুবিচার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। অপর এক আয়াতে বলেছেন, ‘যদি তারা ফিরে আসে তাহলে উভয়ের মাঝে ন্যায়ানুগভাবে সুবিচার করবে এবং তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ৯)। সমাজের ওপরের শ্রেণিতে যদি ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের সর্বত্র সুবিচারের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবে।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
youtube
রাসুল (সঃ) এর ন্যায় বিচার।
youtube
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয়
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
Insaf and Justice in the Sight of Islam
#ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার#Insaf and Justice in the Sight of Islam#ইনসাফ#ন্যায়বিচার#Insaf#Justice#Islam#Youtube
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
মানুষের যাপিতজীবন সুশৃঙ্খল ও গতিময় হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বত্র যেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, সে জন্য ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও সদাচারের আদেশ করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯০)। একই নির্দেশনা দিয়ে অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা করবে তখন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে যখন তা নিঃস্বার্থ ও পক্ষপাতহীন হবে। নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও সত্যের নিরিখে ন্যায়নিষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। কোরআন শরিফে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে দৃঢ়পদ থাকবে আল্লাহর সাক্ষীরূপে।
যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক, উভয়ের সঙ্গেই আল্লাহর অধিকার আছে। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিচারের ক্ষেত্রে যেমন আত্মপক্ষে ঝুঁকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেমনি অন্যের প্রতি আক্রোশ ও বিদ্বেষও যেন চালিত না করে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাত নেই। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, শাসক-শাসিত, শ্রেণি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার ও বিচার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। মানুষের সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি, সাম্য, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সৃষ্টি হতে পারে না।
। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আর রাষ্ট্র তো এসব সমাজেরই সমষ্টির নাম। তাই একটি দেশকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক ন্যায়বিচার। তার আগে পারিবারিক ন্যায়বিচার। তারও আগে ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের বোধ ও সদিচ্ছা। প্রতিমুহূর্তে নিজের আত্মাকে দাঁড় করাতে হবে বিবেকের আদালতে। তাহলেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র সুবিচারের প্রতিষ্ঠা হবে। আলো নিভে গেলে যেমন আঁধারে ছেয়ে যায় চারপাশ, তেমনি মানুষের বিবেক ও সমাজ থেকে ন্যায়বিচার উঠে গেলে জুলুম ও অবিচার শুরু হয়। ন্যায়বিচারের স্থানে অবিচার ও অনাচারের অনুপ্রবেশ হয়। সুস্থ ও বোধসম্পন্ন ব্যক্তি তো বটেই, অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলে অপ্রকৃতিস্থ মাতালও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। নাড়িছেঁড়া সন্তান যদি লক্ষ করে তার স্নেহময় জননী ন্যায়বিচারক নন কিংবা বাবা তার সব সন্তানকে একই চোখে দেখেন না, তাহলে সন্তানের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। পরিণামে দেখা যায়, একেকটি পরিবারের কাঠামো ও বংশধারা প্রতিশোধের প্রবণতায় একেকভাবে তছনছ হয়ে যায়। সমাজে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য বন্ধন ও সুসম্পর্ক ভেঙে যায়। এভাবে ভাঙে পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। বলে বিভিন্ন ধর্মের ও দর্শনের জ্ঞানী-স্বল্পজ্ঞানী, সাধারণ-অসাধারণ সবাই। কিন্তু এই পৃথিবী, সভ্যতা ও মহাকাল ইসলামের আগমনে ইনসাফ, ন্যায়বিচার, সাম্য ও সভ্যতার যে অভাবিতপূর্ব ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছে তার দৃষ্টান্ত অন্য কোথাও নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার গতিধারা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের মশাল জ্বেলে। রাসুল (সা.) শতাব্দীর এমন ক্রান্তিকালে নতুন সমাজ গড়ে তুলেছিলেন যখন গোটা দুনিয়ায় অন্যায়, অরাজকতা, বর্ণবৈষম্য, বংশকৌলিন্য ও পাশবিক দম্ভ মানুষকে মানুষ অবয়বের বন্য পশুতে পরিণত করে রেখেছিল। গভীর আঁধারে নিমজ্জিত এমন সময় ও সমাজে সমাজে রাসুল (সা.) মদিনায় যে ভারসাম্যপূর্ণ সুশৃঙ্খল সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করেন, তার মূলে ছিল ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও মানবজাতির সার্বজনীনতা। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অনুঘটক হলো মানুষের অন্তরে রোপিত পারলৌকিক জীবনবোধ ও ঐশ্বরিক চেতনা, যা মানুষকে প্রকাশ্য এবং গোপন সবরকম অন্যায় ও অবিচার থেকে বিরত রাখে এ কারণে যে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন বিচারের আদালত স্থাপন করবেন। পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনের অনুপুঙ্খ হিসাব নেবেন এবং প্রত্যেকের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। পার্থিব জীবনের ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সুবিচার-অবিচার, নীতি ও নেকি প্রতিটি কাজের প্রতিদান সেদিন সবাইকে পেতেই হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের আদালত স্থাপন করব। কারও প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না। এমনকি মানুষের সরিষার দানা পরিমাণ ক্ষুদ্র কর্ম ও আচরণও আমি সেদিন উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৪৭)। আল্লাহ ও তার বিচারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও শেষ দিবসের পরিণতির ভীতি যাদের আছে তারা কোনো দিন অনাচার ও কারও প্রতি অবিচারের কথা ভাবতে পারে না। ঝরনার পানি যেমন পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচের দিকে নামে তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার বা অবিচার প্রতিষ্ঠা পায় সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষদের দ্বারা। ধীরে ধীরে তা ক্রমান্বয়ে অধীন ও অধস্তন শ্রেণিতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র একটি পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়। পরিবারের প্রধান অবিচারী হলে সেখানে আর ন্যায়বিচার থাকে না। তেমনি সমাজের ও রাষ্ট্রের উচ্চশ্রেণি স্বেচ্ছাচারী হলে সেখানে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও অনাচার বিস্তৃতি লাভ করে। এ জন্য আল্লাহতায়ালা কোরআন শরিফের অনেক স্থানে সমাজের বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশেষভাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করো তখন ইনসাফের ভিত্তিতে সুবিচার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। অপর এক আয়াতে বলেছেন, ‘যদি তারা ফিরে আসে তাহলে উভয়ের মাঝে ন্যায়ানুগভাবে সুবিচার করবে এবং তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ৯)। সমাজের ওপরের শ্রেণিতে যদি ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের সর্বত্র সুবিচারের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবে।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
youtube
রাসুল (সঃ) এর ন্যায় বিচার।
youtube
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয়
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
Insaf and Justice in the Sight of Islam
#ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার#Insaf and Justice in the Sight of Islam#ইনসাফ#ন্যায়বিচার#Insaf#Justice#Islam#Youtube
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
মানুষের যাপিতজীবন সুশৃঙ্খল ও গতিময় হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বত্র যেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, সে জন্য ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও সদাচারের আদেশ করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯০)। একই নির্দেশনা দিয়ে অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা করবে তখন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে যখন তা নিঃস্বার্থ ও পক্ষপাতহীন হবে। নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও সত্যের নিরিখে ন্যায়নিষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। কোরআন শরিফে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে দৃঢ়পদ থাকবে আল্লাহর সাক্ষীরূপে।
যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক, উভয়ের সঙ্গেই আল্লাহর অধিকার আছে। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিচারের ক্ষেত্রে যেমন আত্মপক্ষে ঝুঁকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেমনি অন্যের প্রতি আক্রোশ ও বিদ্বেষও যেন চালিত না করে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাত নেই। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, শাসক-শাসিত, শ্রেণি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার ও বিচার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। মানুষের সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি, সাম্য, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সৃষ্টি হতে পারে না।
। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আর রাষ্ট্র তো এসব সমাজেরই সমষ্টির নাম। তাই একটি দেশকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক ন্যায়বিচার। তার আগে পারিবারিক ন্যায়বিচার। তারও আগে ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের বোধ ও সদিচ্ছা। প্রতিমুহূর্তে নিজের আত্মাকে দাঁড় করাতে হবে বিবেকের আদালতে। তাহলেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র সুবিচারের প্রতিষ্ঠা হবে। আলো নিভে গেলে যেমন আঁধারে ছেয়ে যায় চারপাশ, তেমনি মানুষের বিবেক ও সমাজ থেকে ন্যায়বিচার উঠে গেলে জুলুম ও অবিচার শুরু হয়। ন্যায়বিচারের স্থানে অবিচার ও অনাচারের অনুপ্রবেশ হয়। সুস্থ ও বোধসম্পন্ন ব্যক্তি তো বটেই, অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলে অপ্রকৃতিস্থ মাতালও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। নাড়িছেঁড়া সন্তান যদি লক্ষ করে তার স্নেহময় জননী ন্যায়বিচারক নন কিংবা বাবা তার সব সন্তানকে একই চোখে দেখেন না, তাহলে সন্তানের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। পরিণামে দেখা যায়, একেকটি পরিবারের কাঠামো ও বংশধারা প্রতিশোধের প্রবণতায় একেকভাবে তছনছ হয়ে যায়। সমাজে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য বন্ধন ও সুসম্পর্ক ভেঙে যায়। এভাবে ভাঙে পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। বলে বিভিন্ন ধর্মের ও দর্শনের জ্ঞানী-স্বল্পজ্ঞানী, সাধারণ-অসাধারণ সবাই। কিন্তু এই পৃথিবী, সভ্যতা ও মহাকাল ইসলামের আগমনে ইনসাফ, ন্যায়বিচার, সাম্য ও সভ্যতার যে অভাবিতপূর্ব ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছে তার দৃষ্টান্ত অন্য কোথাও নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার গতিধারা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের মশাল জ্বেলে। রাসুল (সা.) শতাব্দীর এমন ক্রান্তিকালে নতুন সমাজ গড়ে তুলেছিলেন যখন গোটা দুনিয়ায় অন্যায়, অরাজকতা, বর্ণবৈষম্য, বংশকৌলিন্য ও পাশবিক দম্ভ মানুষকে মানুষ অবয়বের বন্য পশুতে পরিণত করে রেখেছিল। গভীর আঁধারে নিমজ্জিত এমন সময় ও সমাজে সমাজে রাসুল (সা.) মদিনায় যে ভারসাম্যপূর্ণ সুশৃঙ্খল সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করেন, তার মূলে ছিল ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও মানবজাতির সার্বজনীনতা। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অনুঘটক হলো মানুষের অন্তরে রোপিত পারলৌকিক জীবনবোধ ও ঐশ্বরিক চেতনা, যা মানুষকে প্রকাশ্য এবং গোপন সবরকম অন্যায় ও অবিচার থেকে বিরত রাখে এ কারণে যে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন বিচারের আদালত স্থাপন করবেন। পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনের অনুপুঙ্খ হিসাব নেবেন এবং প্রত্যেকের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। পার্থিব জীবনের ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সুবিচার-অবিচার, নীতি ও নেকি প্রতিটি কাজের প্রতিদান সেদিন সবাইকে পেতেই হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের আদালত স্থাপন করব। কারও প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না। এমনকি মানুষের সরিষার দানা পরিমাণ ক্ষুদ্র কর্ম ও আচরণও আমি সেদিন উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৪৭)। আল্লাহ ও তার বিচারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও শেষ দিবসের পরিণতির ভীতি যাদের আছে তারা কোনো দিন অনাচার ও কারও প্রতি অবিচারের কথা ভাবতে পারে না। ঝরনার পানি যেমন পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচের দিকে নামে তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার বা অবিচার প্রতিষ্ঠা পায় সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষদের দ্বারা। ধীরে ধীরে তা ক্রমান্বয়ে অধীন ও অধস্তন শ্রেণিতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র একটি পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়। পরিবারের প্রধান অবিচারী হলে সেখানে আর ন্যায়বিচার থাকে না। তেমনি সমাজের ও রাষ্ট্রের উচ্চশ্রেণি স্বেচ্ছাচারী হলে সেখানে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও অনাচার বিস্তৃতি লাভ করে। এ জন্য আল্লাহতায়ালা কোরআন শরিফের অনেক স্থানে সমাজের বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশেষভাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করো তখন ইনসাফের ভিত্তিতে সুবিচার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। অপর এক আয়াতে বলেছেন, ‘যদি তারা ফিরে আসে তাহলে উভয়ের মাঝে ন্যায়ানুগভাবে সুবিচার করবে এবং তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ৯)। সমাজের ওপরের শ্রেণিতে যদি ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের সর্বত্র সুবিচারের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবে।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
youtube
রাসুল (সঃ) এর ন্যায় বিচার।
youtube
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয়
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
Insaf and Justice in the Sight of Islam
#ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার#Insaf and Justice in the Sight of Islam#ইনসাফ#ন্যায়বিচার#Insaf#Justice#Islam#Youtube
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
মানুষের যাপিতজীবন সুশৃঙ্খল ও গতিময় হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বত্র যেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, সে জন্য ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও সদাচারের আদেশ করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯০)। একই নির্দেশনা দিয়ে অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা করবে তখন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে যখন তা নিঃস্বার্থ ও পক্ষপাতহীন হবে। নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও সত্যের নিরিখে ন্যায়নিষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। কোরআন শরিফে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে দৃঢ়পদ থাকবে আল্লাহর সাক্ষীরূপে।
যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক, উভয়ের সঙ্গেই আল্লাহর অধিকার আছে। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিচারের ক্ষেত্রে যেমন আত্মপক্ষে ঝুঁকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেমনি অন্যের প্রতি আক্রোশ ও বিদ্বেষও যেন চালিত না করে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাত নেই। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, শাসক-শাসিত, শ্রেণি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার ও বিচার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। মানুষের সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি, সাম্য, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সৃষ্টি হতে পারে না।
। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আর রাষ্ট্র তো এসব সমাজেরই সমষ্টির নাম। তাই একটি দেশকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক ন্যায়বিচার। তার আগে পারিবারিক ন্যায়বিচার। তারও আগে ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের বোধ ও সদিচ্ছা। প্রতিমুহূর্তে নিজের আত্মাকে দাঁড় করাতে হবে বিবেকের আদালতে। তাহলেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র সুবিচারের প্রতিষ্ঠা হবে। আলো নিভে গেলে যেমন আঁধারে ছেয়ে যায় চারপাশ, তেমনি মানুষের বিবেক ও সমাজ থেকে ন্যায়বিচার উঠে গেলে জুলুম ও অবিচার শুরু হয়। ন্যায়বিচারের স্থানে অবিচার ও অনাচারের অনুপ্রবেশ হয়। সুস্থ ও বোধসম্পন্ন ব্যক্তি তো বটেই, অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলে অপ্রকৃতিস্থ মাতালও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। নাড়িছেঁড়া সন্তান যদি লক্ষ করে তার স্নেহময় জননী ন্যায়বিচারক নন কিংবা বাবা তার সব সন্তানকে একই চোখে দেখেন না, তাহলে সন্তানের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। পরিণামে দেখা যায়, একেকটি পরিবারের কাঠামো ও বংশধারা প্রতিশোধের প্রবণতায় একেকভাবে তছনছ হয়ে যায়। সমাজে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য বন্ধন ও সুসম্পর্ক ভেঙে যায়। এভাবে ভাঙে পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। বলে বিভিন্ন ধর্মের ও দর্শনের জ্ঞানী-স্বল্পজ্ঞানী, সাধারণ-অসাধারণ সবাই। কিন্তু এই পৃথিবী, সভ্যতা ও মহাকাল ইসলামের আগমনে ইনসাফ, ন্যায়বিচার, সাম্য ও সভ্যতার যে অভাবিতপূর্ব ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছে তার দৃষ্টান্ত অন্য কোথাও নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার গতিধারা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের মশাল জ্বেলে। রাসুল (সা.) শতাব্দীর এমন ক্রান্তিকালে নতুন সমাজ গড়ে তুলেছিলেন যখন গোটা দুনিয়ায় অন্যায়, অরাজকতা, বর্ণবৈষম্য, বংশকৌলিন্য ও পাশবিক দম্ভ মানুষকে মানুষ অবয়বের বন্য পশুতে পরিণত করে রেখেছিল। গভীর আঁধারে নিমজ্জিত এমন সময় ও সমাজে সমাজে রাসুল (সা.) মদিনায় যে ভারসাম্যপূর্ণ সুশৃঙ্খল সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করেন, তার মূলে ছিল ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও মানবজাতির সার্বজনীনতা। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অনুঘটক হলো মানুষের অন্তরে রোপিত পারলৌকিক জীবনবোধ ও ঐশ্বরিক চেতনা, যা মানুষকে প্রকাশ্য এবং গোপন সবরকম অন্যায় ও অবিচার থেকে বিরত রাখে এ কারণে যে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন বিচারের আদালত স্থাপন করবেন। পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনের অনুপুঙ্খ হিসাব নেবেন এবং প্রত্যেকের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। পার্থিব জীবনের ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সুবিচার-অবিচার, নীতি ও নেকি প্রতিটি কাজের প্রতিদান সেদিন সবাইকে পেতেই হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের আদালত স্থাপন করব। কারও প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না। এমনকি মানুষের সরিষার দানা পরিমাণ ক্ষুদ্র কর্ম ও আচরণও আমি সেদিন উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৪৭)। আল্লাহ ও তার বিচারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও শেষ দিবসের পরিণতির ভীতি যাদের আছে তারা কোনো দিন অনাচার ও কারও প্রতি অবিচারের কথা ভাবতে পারে না। ঝরনার পানি যেমন পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচের দিকে নামে তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার বা অবিচার প্রতিষ্ঠা পায় সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষদের দ্বারা। ধীরে ধীরে তা ক্রমান্বয়ে অধীন ও অধস্তন শ্রেণিতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র একটি পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়। পরিবারের প্রধান অবিচারী হলে সেখানে আর ন্যায়বিচার থাকে না। তেমনি সমাজের ও রাষ্ট্রের উচ্চশ্রেণি স্বেচ্ছাচারী হলে সেখানে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও অনাচার বিস্তৃতি লাভ করে। এ জন্য আল্লাহতায়ালা কোরআন শরিফের অনেক স্থানে সমাজের বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশেষভাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করো তখন ইনসাফের ভিত্তিতে সুবিচার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। অপর এক আয়াতে বলেছেন, ‘যদি তারা ফিরে আসে তাহলে উভয়ের মাঝে ন্যায়ানুগভাবে সুবিচার করবে এবং তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ৯)। সমাজের ওপরের শ্রেণিতে যদি ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের সর্বত্র সুবিচারের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবে।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
youtube
রাসুল (সঃ) এর ন্যায় বিচার।
youtube
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয়
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
Insaf and Justice in the Sight of Islam
#ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার#Insaf and Justice in the Sight of Islam#ইনসাফ#ন্যায়বিচার#Insaf#Justice#Islam#Youtube
0 notes
Text
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
মানুষের যাপিতজীবন সুশৃঙ্খল ও গতিময় হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বত্র যেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, সে জন্য ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও সদাচারের আদেশ করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯০)। একই নির্দেশনা দিয়ে অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা করবে তখন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে যখন তা নিঃস্বার্থ ও পক্ষপাতহীন হবে। নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও সত্যের নিরিখে ন্যায়নিষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। কোরআন শরিফে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে দৃঢ়পদ থাকবে আল্লাহর সাক্ষীরূপে।
যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক, উভয়ের সঙ্গেই আল্লাহর অধিকার আছে। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিচারের ক্ষেত্রে যেমন আত্মপক্ষে ঝুঁকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেমনি অন্যের প্রতি আক্রোশ ও বিদ্বেষও যেন চালিত না করে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাত নেই। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, শাসক-শাসিত, শ্রেণি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার ও বিচার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। মানুষের সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি, সাম্য, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সৃষ্টি হতে পারে না।
। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আর রাষ্ট্র তো এসব সমাজেরই সমষ্টির নাম। তাই একটি দেশকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক ন্যায়বিচার। তার আগে পারিবারিক ন্যায়বিচার। তারও আগে ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের বোধ ও সদিচ্ছা। প্রতিমুহূর্তে নিজের আত্মাকে দাঁড় করাতে হবে বিবেকের আদালতে। তাহলেই ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র সুবিচারের প্রতিষ্ঠা হবে। আল�� নিভে গেলে যেমন আঁধারে ছেয়ে যায় চারপাশ, তেমনি মানুষের বিবেক ও সমাজ থেকে ন্যায়বিচার উঠে গেলে জুলুম ও অবিচার শুরু হয়। ন্যায়বিচারের স্থানে অবিচার ও অনাচারের অনুপ্রবেশ হয়। সুস্থ ও বোধসম্পন্ন ব্যক্তি তো বটেই, অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলে অপ্রকৃতিস্থ মাতালও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। নাড়িছেঁড়া সন্তান যদি লক্ষ করে তার স্নেহময় জননী ন্যায়বিচারক নন কিংবা বাবা তার সব সন্তানকে একই চোখে দেখেন না, তাহলে সন্তানের ভেতর ক্ষোভ ও দ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। পরিণামে দেখা যায়, একেকটি পরিবারের কাঠামো ও বংশধারা প্রতিশোধের প্রবণতায় একেকভাবে তছনছ হয়ে যায়। সমাজে প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য বন্ধন ও সুসম্পর্ক ভেঙে যায়। এভাবে ভাঙে পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর সবাই ন্যায়বিচারের কথা বলে। বলে বিভিন্ন ধর্মের ও দর্শনের জ্ঞানী-স্বল্পজ্ঞানী, সাধারণ-অসাধারণ সবাই। কিন্তু এই পৃথিবী, সভ্যতা ও মহাকাল ইসলামের আগমনে ইনসাফ, ন্যায়বিচার, সাম্য ও সভ্যতার যে অভাবিতপূর্ব ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছে তার দৃষ্টান্ত অন্য কোথাও নেই। অল্প সময়ের ব্যবধানে নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার গতিধারা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের মশাল জ্বেলে। রাসুল (সা.) শতাব্দীর এমন ক্রান্তিকালে নতুন সমাজ গড়ে তুলেছিলেন যখন গোটা দুনিয়ায় অন্যায়, অরাজকতা, বর্ণবৈষম্য, বংশকৌলিন্য ও পাশবিক দম্ভ মানুষকে মানুষ অবয়বের বন্য পশুতে পরিণত করে রেখেছিল। গভীর আঁধারে নিমজ্জিত এমন সময় ও সমাজে সমাজে রাসুল (সা.) মদিনায় যে ভারসাম্যপূর্ণ সুশৃঙ্খল সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করেন, তার মূলে ছিল ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও মানবজাতির সার্বজনীনতা। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অনুঘটক হলো মানুষের অন্তরে রোপিত পারলৌকিক জীবনবোধ ও ঐশ্বরিক চেতনা, যা মানুষকে প্রকাশ্য এবং গোপন সবরকম অন্যায় ও অবিচার থেকে বিরত রাখে এ কারণে যে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন বিচারের আদালত স্থাপন করবেন। পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনের অনুপুঙ্খ হিসাব নেবেন এবং প্রত্যেকের কর্ম অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। পার্থিব জীবনের ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সুবিচার-অবিচার, নীতি ও নেকি প্রতিটি কাজের প্রতিদান সেদিন সবাইকে পেতেই হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের আদালত স্থাপন করব। কারও প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না। এমনকি মানুষের সরিষার দানা পরিমাণ ক্ষুদ্র কর্ম ও আচরণও আমি সেদিন উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৪৭)। আল্লাহ ও তার বিচারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও শেষ দিবসের পরিণতির ভীতি যাদের আছে তারা কোনো দিন অনাচার ও কারও প্রতি অবিচারের কথা ভাবতে পারে না। ঝরনার পানি যেমন পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচের দিকে নামে তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার বা অবিচার প্রতিষ্ঠা পায় সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষদের দ্বারা। ধীরে ধীরে তা ক্রমান্বয়ে অধীন ও অধস্তন শ্রেণিতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুদ্র একটি পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়। পরিবারের প্রধান অবিচারী হলে সেখানে আর ন্যায়বিচার থাকে না। তেমনি সমাজের ও রাষ্ট্রের উচ্চশ্রেণি স্বেচ্ছাচারী হলে সেখানে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও অনাচার বিস্তৃতি লাভ করে। এ জন্য আল্লাহতায়ালা কোরআন শরিফের অনেক স্থানে সমাজের বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশেষভাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করো তখন ইনসাফের ভিত্তিতে সুবিচার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। অপর এক আয়াতে বলেছেন, ‘যদি তারা ফিরে আসে তাহলে উভয়ের মাঝে ন্যায়ানুগভাবে সুবিচার করবে এবং তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ৯)। সমাজের ওপরের শ্রেণিতে যদি ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের সর্বত্র সুবিচারের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবে।
ন্যায়বিচার সম্পর্কে মহানবী (স) এর যুগের একটি ঘটনা।
youtube
রাসুল (সঃ) এর ন্যায় বিচার।
youtube
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয়
youtube
ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
Insaf and Justice in the Sight of Islam
#ইসলামের দৃষ্টিতে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার#Insaf and Justice in the Sight of Islam#ইনসাফ#ন্যায়বিচার#Insaf#Justice#Islam#Youtube
0 notes
Text
আবার মিস করেন নি তো?: My Life Organized – আপনি কি আপনার দৈনন্দিন কাজ পরিকল্পনা মাফিক শেষ করতে পারেন না! খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন? আপনার বর্তমান অগোছালো কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবন কে গুছিয়ে ফেলুন সহজে! https://www.techtunes.io/tutorial/tune-id/623807
0 notes
Text
ঢাকার এক রেস্তোরাঁয় বহুদিন পর দেখা হলো দুই বন্ধু কবির সঙ্গে। ঢাকার কাব্য বাতাসে নানা ঢেউয়ের এবং যুগপৎ স্রোতের ডাইনামিক্সের ফলে কবিরা একত্রে বসতে সুযোগও পান না, ফলে এভাবে ��ুজনের সঙ্গে কখনো বসিওনি আমি। সুযোগ মেলেনি বলাই ভদ্রতা হবে, কাব্যহিংসা বলে যে মজাদার কথাটা আল মাহমুদ প্রমুখ অগ্রজ বলতেন তা অস্বীকার করি না, বরং স্বীকার করে শ্লাঘা নেওয়াই এক রকম অভিজাত হয়ে উঠেছে হয়তো। আমরা তিন কবি সেদিন তিন ধারার প্রতিনিধিত্ব মনে রেখে মনের চেয়েও গভীরতম একটা প্রদেশ থেকে কিছু হালকা হাওয়া সেবন করার ব্রত নিয়ে আলাপে গা ঢাললাম। সেদিনের আলাপে শূন্য দশক থেকে গড়ে ওঠা কাব্য উদ্যোগের প্রায় আড়াই দশকের নানা ধারার কথা উঠে এলো। এবং কবিতার কারুতে এরা দুইয়ে বেশ গভীর এবং সেই কারণে আমি তাদের প্রতি বরাবর শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। কবিতার কারুতা, শিল্পের নানা শাখায় সমকালের কবিদের যাতায়াতসহ আলাপে আরও কিছু বিষয় উঠে এলো। বিশেষ করে কবিতার সেই ক্ল্যাসিক ‘তিন দশকের পরীক্ষা’ আমি দুই দশকের পরীক্ষার কথা বলেছি যদিও আলাপে। আমি আরও কিছু জায়গা ধরলামও। আড্ডার একটি সুবিধা এই যে আপনি যখন কথা বলেন তখন পাশে বসে থাকা বন্ধুর মনকে যেমন খেয়াল রাখেন, নিজের মনের প্রান্তরে সেই ক্ষণে জেগে ওঠা ঘাস, ডানা মেলা সারসের উড্ডয়নকে আপনি না দেখে পারেন না। এই খ- গদ্য তেমন কিছু আলো ও রঙের প্রক্ষেপ।
বর্তমান বাংলা কবিতার ধারায় বেশ স্পষ্ট ধারাগুলো নিয়ে আমাদের আলাপ বাড়ছিল। কেমন করে একজন কবি ক্রিটিক হয়ে ওঠেন, আমাদের একটা অতীতমুখীনতা যে রয়েছে সেই অতীতমুখীন মনের ধারাটির স্বরূপ কী? কারও ব্যক্তিজীবন ও মানস আসলেই কত প্রচ্ছন্নভাবে কিংবা বাহ্যিক দিক থেকে কবিতায় ধরা দেয়, আসে, অথবা বলা ভালো ব্যবহৃত হয়। ধরা যাক একজন বিশ্বাসী কবি কেমন করে নিজের ভেতরটিকে খুঁড়ে নিজেকে কবিতার ভাষায় রূপ দেন। সেই চেষ্টার প্রকৃতি কতখানি সৎ আর কতখানি বহিরঙ্গের একটা ভঙ্গি, ইত্যাদি বিবেচনা কবিতার জীবন ও তার স্থায়িত্বের নিরিখে বিচার করা যায়। জীবন ও স্থায়িত্বের কথা এলো এই কারণে যে, সেদিন আমি কবিতার তিন দশকের ট্রায়াল কিংবা কবিতা তিন দশক পর কেমন গৃহীত হয়েছে অথবা কাদের কাছে গৃহীত হয়েছে সেই পরীক্ষার কথা বলেছি। আমি আসলে দুই দশকের পরীক্ষার কথাও বলেছি। কবিতা কখনো কখনো একটি শেকড়ের মতো যা উদ্ভিদ হয়ে ওঠার আগে মাটির নিচ দিয়ে বহু বছর ধরেই নিজেকে বাড়তে দিতে থাকে। কাজেই একটি সময় গাছ হিসেবে তার কি রূপ হয় তা দেখার বিষয় তো থেকেই।
আমাদের সময়ের কবিতা নিজেকে স্বাতন্ত্র্য দিতে চায় এটি কবিতার কাছে কবির দাবি, কবির কাছেও কবিতার। স্বাতন্ত্র্যের নানা রূপের মাঝে দৈশিক, ভূমিলগ্নতা ইত্যাদি বিষয়কে শূন্য দশকের আগেও হয়েছে। নব্বই দশকে উত্তরাধুনিক কবিতা বলে একটি ধারা গড়ে উঠেছিল আমাদের অগ্রজদের মাঝে। চর্যাপদ নিয়ে কাজ করেছেন অগ্রজদের কেউ কেউ। আমাদের সমসাময়িকদের মাঝে এর কিছু অনুধাবন একেবারে শূন্য দশকের গোড়াতেই দেখেছি। পরের দিকে কবি বন্ধুদের কেউ কেউ সরাসরি ভূমিলগ্ন কবিতাকে নিজেদের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে। আরেকটি অংশ উল্লেখযোগ্যভাবেই নাগরিক ধারায় কবিতা লিখেছেন। কিন্তু খুব বড় সত্য হলো যে এই ধারার কবিরা সেই পরিচিত নাগরিক ধারার ষাট দশকীয় বলয়ের বাইরে নিজেদের নিয়ে এসেছেন খুব সফলভাবেই। কেননা এই কবি গোষ্ঠী অনুধাবন করেছিলেন যে ভাষাতেই মুক্তি, কাজেই ভাষার মুক্তি ঘটালেন তারা। সে এক দীর্ঘ আলাপ।
কবিতার একটি জনসমাজ থেকে উঠে আসার বাস্তবতা থাকে। সমাজের বয়নের ভেতর থেকে কবিতা জাগলে তাকে সেই সমাজের হয়ে উঠতে হয় না, কবিকে (হয়তো চারণকবি) বিশিষ্টতার সাধনা না করে বরং তার সামূহিক অবচেতনের অভিজ্ঞানকে চিহ্নিত করতে পারলেই যথেষ্ট হয়। সেটা কোনো সাধনা নয় কিনা তা ভিন্ন আলোচ্য। তবে তার সহজতার রূপের আড়ালে ওই রহস্য যে অন্তঃশীল থাকে তা নির্দ্বিধায় বলা চলে। চারণকবির যে সুবিধা থাকে তার একটি দিক হলো তার স্বরকে বিশিষ্ট করে তোলার জন্য করণকৌশলের সাধনা থেকে তার মুক্তি নেওয়ার সুযোগ অবারিত থাকে। সেই সুযোগ তিনি গ্রহণ করতে পারেন, নাও পারেন। করেন না এমন বলা আমার পক্ষে সহজ অন্তত নয়। তবে যে যোগ থেকে তিনি প্রাণ আহরণ করেন তা শক্তি দেয় তাকে, ভার দেয়, ভরও দেয়। তার সাধনার জগৎটিতে ধ্যান জমিয়ে তোলার পরিসর অবাধ এবং তা জটিলও নয়। একটি স্রোতকে ধারণ করে তিনি নিজে স্রোতের অংশ হয়ে ওঠেন এবং তার সমাজ তাকে নিজেদের একজন হিসেবে চিনে নেয় এমনই নয় কেবল, বরং তাকেই পুরো সমাজের মুখ হিসেবে নিজেদের মনে আসন দেন। সমগ্র প্রকৃতি, জনবৈশিষ্ট্য, জল হাওয়া সেই কবির কণ্ঠে বেজে ওঠে। কবি ও সেই সমাজে কোথাও আর প্রভেদ থাকে না। তবে একটা ভেদ (রহস্য) থাকে, সেটা না থাকাই বরং অস্বাভাবিক। কবি মাত্রেই রহস্যকে ধারণ করেন। এ ক্ষেত্রে কবি কেমন করে ওই জনতার অব��েতনকে একজন ব্যক্তি মানুষ হয়েও পুরোপুরি ধারণ করলেন এবং অভিব্যক্তি দান করলেন, সেই রহস্য দীর্ঘ ধ্যানী অনুসন্ধানের বিষয় হতে পারে। তবে আলোর মতো রহস্যকেও ভাঙা যায় না। কেবল আলোয় অবগাহন করা যায়, সেটাই বরং ভালো।
কৌমসমাজের কবি তো কৌমের নিজের, কৌম তার, কাজেই নিজের গান করেন তিনি। নিজের ভেতর থেকে নিজের গান করার বেলায় একটিই হয়তো দিককে একাগ্রচিত্তে সাধিত করতে হয় সুরটি সহজ হলেও তার প্রাণের বহুতলময় বিবিধ স্বাদময় রসটিকে চিহ্নিত করে তাকে স্বরে ব্যক্ত করতে হয়। এ সাধনা শ্রমসাধ্য অবশ্যই। আমি বা আমার মতো কেউ কেউ সেই শ্রম দিতে অপারগ হয়ে হয়তো আফসোস করি। কেউ কেউ আবার অনুকরণও তো করি সেটা এক ট্র্যাজিক প্রচেষ্টা, যার ফল খুব মর্মান্তিক। জনসমাজের গভীরতা তার সামূহিক অবচেতন থেকে আসে। সেই অবচেতনের বিবর্তনও ঘটে। সেই বিবর্তনকে বুঝতে হয় তার ভেতর বাস করে, তার আত্মায় ঘর করে তবেই। নতুবা বেড়াতে আসা লোকের ক্যামেরায় তোলা ছবির মতো করুণ হয়ে ওঠে সেই চেষ্টা। কবিতার কারু এবং জনসমাজের আত্মা সেই প্রয়াসে এক উৎকটভাবে পৃথক থেকে নিজেদের প্রদর্শন করতে থাকে। কাব্যিক ভয়াল দশা সেটি।
যারা বাংলাদেশে কবিতা লেখেন তাদের কবিতায় এই মাটির কিংবা এই উপমহাদেশের সবচেয়ে বিশিষ্ট যে প্রেরণা অন্তঃশীল তা হলো জলবায়ুর প্রাণের ধীরতা ও ধ্যানী অগ্রসরতা। একটি আপাত একরৈখিক জীবনের উপরিতলের অন্তরে বহুস্তরময় এবং বহু স্রোতের সম্মিলনে যে ঐকতান তাকে সহজভাবে ধরতে পারা এবং নিজের ভাষায় তাকে অভিব্যক্তি প্রদান করা একটি বড় অর্জন বলে মনে হয়। এখানকার কবিতায় সেই চরিত্র রয়েছে। কাজেই আপাত নাগরিক কবিতায়ও সেই সুরকে আবিষ্কার করার মতো চোখ আমাদের থাকা দরকার।
এই যে মঠ নিবাসী হতে চায় আমার প্রাণ, জলার ধারে স্থির নিশ্চল সময় পরিধিকে আমি অন্তত ধারণ করতে প্রবলভাবে ইচ্ছুক। সেটি কি একরৈখিক? সেটি একটি নিবেদনক্রিয়াও কি? যদি তাই হয়ে থাকে তবে তার সরলতাকে সহস্র বছর যাবৎ উদযাপন করাই যায়। তাতে রস গাঢ়তর হয়।
নাগরিকের যে সেই যোগ নেই, যাকে কেউ হয়তো উন্মুলতা বলতে চাইবেন তাও কিন্তু একটি সুযোগ তৈরি করে। তাকে ভিন্ন ভরকেন্দ্র, ভিন্ন অভিমুখ গড়তে হয়। সেই অভিমুখ প্রস্তুত থাকে না, তাকে খুঁজতে হয়, পেতে হয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে গড়ে নিতে হয়। সেটা বরং সৃষ্টিশীলতার দিক থেকে মহৎতর। ঘটনা হলো বহু জগৎ তাতে উন্মোচিত হয়, কারণ ব্যক্তি কবি (আমি, আমরা, আমাদের ইত্যাদি বুঝেই বলছি) তার জগতের প্রত্নমানসে (আর্কিটাইপ) অবগাহন করতে সুযোগ পান আজীবন। যার ঘর নেই, পুরো জগতে তার বহু নিবাস। প্রত্নমানসকে ফলিয়ে তুলে অভিব্যক্তির আদল তৈরি করতে পারতে হয়। ��ত্ন ভেতরে রয়েছেই, তাকে বের করে রূপ দিতে পারতে হবে।
রূপ দেওয়া যদি চমক দেওয়াতে অবসিত হয় তবে অবশ্য যুগপৎ সাড়াও জাগে, ফাঁদও তৈরি হয়। ‘সৌধ’ তৈরির সমস্যা এই যে, সৌধ একটি এককেন্দ্রিক এনার্জি তৈরি করে নির্মাতাকে বেঁধে ফেলে এবং অন্যরা সৌধের পূজায় লিপ্ত হয়। কবি শিল্পী ব্যক্তির জন্য সেটা কত বড় দায় তার উত্তর দশকের পর দশক ধরে দিয়ে যেতে হয়।
0 notes
Text
জনি কিম: এক বাস্তব সুপারম্যান যিনি নেভি সিল, হার্ভার্ড ডাক্তার এবং নাসার মহাকাশচারী হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন
আমাদের পৃথিবীতে সুপারম্যানের কল্পিত ধারণা অনেকের মনেই স্থান করে নিয়েছে। তবে বাস্তব জীবনে কি এমন কেউ আছেন যাকে সুপারম্য���ন বলা যায়? অবিশ্বাস্য মনে হলেও, আমাদের মধ্যে সত্যিকারের সুপারম্যান জনি কিম নামে একজন আছেন। জনি কিম এমন একজন ব্যক্তি যিনি নেভি সিল, হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ডাক্তার এবং নাসার মহাকাশচারী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন, যা তাকে একটি অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরে।
youtube
জনি কিম: অবিশ্বাস্য জীবনযাত্রার শুরু
জনি কিমের জন্ম একটি অভিবাসী পরিবারে, যা তার জীবনের শুরু থেকেই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। তার বাবা-মা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অভিবাসী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন, এবং তাদেরকে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছে। এমনকি জনি কিম তার বাবাকে ১৮ বছর বয়সে হারান, যা তাকে মানসিকভাবে দৃঢ় করে তোলে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ইচ্ছা বৃদ্ধি করে।
নেভি সিল হিসেবে জনি কিমের যাত্রা
কিশোর বয়স থেকেই জনি কিম নিজের অন্তর্গত লজ্জা ও সংকোচ কাটিয়ে ওঠার জন্য নেভি সিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এটি ছিল এক বিশাল পদক্ষেপ এবং আত্মবিশ্বাস তৈরির জন্য একটি বড় পরীক্ষা। জনি কিম কঠিন প্রশিক্ষণ এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নেভি সিল হিসেবে নিজের স্থান নিশ্চিত করেন। তার এই অসাধারণ সাফল্য তাকে নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং তিনি নেভি সিল হিসেবে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু করেন।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে শিক্ষাজীবন
নেভি সিল হিসেবে সফলতা অর্জনের পর, জনি কিম আরও বড় কিছু করার ইচ্ছে করেন এবং মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে তিনি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হন। হার্ভার্ডে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষা লাভ করেন এবং ডাক্তার হিসেবে মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হন। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের মত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে জনি কিম চিকিৎসাবিদ্যায় অনন্য উচ্চতায় পৌঁছান।
নাসার মহাকাশচারী হিসেবে ইতিহাস
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে চিকিৎসা শিক্ষায় ��ক্ষ হয়ে উঠার পর, জনি কিমের সামনে আরও বড় সুযোগ আসে। ৩৩ বছর বয়সে তিনি নাসার মহাকাশচারী হিসেবে নির্বাচিত হন, যা ছিল তার জন্য আরেকটি বড় সাফল্য। নাসার মহাকাশচারী হিসেবে তাকে চাঁদে পাঠানোর জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। মহাকাশ যাত্রার জন্য তিনি কঠোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং মহাকাশচারী হিসেবে তার দক্ষতা এবং সাহসিকতার প্রমাণ দিচ্ছেন।
ব্যক্তিগত জীবন ও জনি কিমের সাফল্য
ব্যক্তিগত জীবনে জনি কিম একজন স্নেহশীল স্বামী এবং তিন সন্তানের জনক। পরিবার এবং পেশাগত জীবনকে একসঙ্গে সামলানোর এই দক্ষতা তাকে একজন সম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে। এমন অসাধারণ গুণাবলীর জন্য তাকে সুপারম্যান বলা যেতে পারে। তিনি একজন পরিবারপ্রিয় মানুষ হওয়ার পাশাপাশি একজন দেশের সেবক, ডাক্তার এবং মহাকাশচারী।
জনি কিম: একজন অনুপ্রেরণা ও স্বপ্ন পূরণের প্রতীক
জনি কিমের এই অসাধারণ জীবনযাত্রা প্রতিটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। নিজের সীমাবদ্ধতা এবং সামাজিক অবস্থানের বাইরে এসে তিনি যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার জীবনী আমাদের শিখায় যে আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে যে কেউ নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।
জনি কিমের জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া যায় যে জীবনে বাধা-বিপত্তি থাকবেই, তবে তার জন্য কখনো স্বপ্ন দেখা বন্ধ করা উচিত নয়।
আরও দেখুনঃ ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়: আমেরিকান রাজনীতিতে ডানপন্থী পরিবর্তনের বিশদ বিশ্লেষণ
youtube
Tags: #facts #fyp #reels #viral #highlights #JohnnyKim #RealSuperman #NavySEAL #HarvardDoctor #NASAAstronaut #ImmigrantFamily #AstronautJohnnyKim #SuccessAsNavySEAL #HarvardMedicalSchool #DoctorJohnnyKim #NASAJourney #MoonMission #SuccessfulLifeJourney #InspirationForDreams #PersonalLife #Family #SpaceExploration #জনিকিম #বাস্তবসুপারম্যান #নেভিসিল #হার্ভার্ডডাক্তার #নাসামহাকাশচারী #অভিবাসীপরিবার #মহাকাশচারীজনিকিম #নেভিসিলোসফলতা #হার্ভার্ডমেডিকেলস্কুল #চিকিৎসকজনিকিম #নাসাযাত্রা #চাঁদেমিশন #সফলজীবনযাত্রা #স্বপ্নপূরণেরঅনুপ্রেরণা #ব্যক্তিজীবন #পরিবার #মহাকাশঅভিযান
জনিকিম, বাস্তবসুপারম্যান, নেভিসিল, হার্ভার্ডডাক্তার, নাসামহাকাশচারী, অভিবাসীপরিবার, মহাকাশচারীজনিকিম, নেভিসিলোসফলতা, হার্ভার্ডমেডিকেলস্কুল, চিকিৎসকজনিকিম, নাসাযাত্রা, চাঁদেমিশন, সফলজীবনযাত্রা, স্বপ্নপূরণেরঅনুপ্রেরণা, ব্যক্তিজীবন, পরিবার, মহাকাশঅভিযান, JohnnyKim, RealSuperman, NavySEAL, HarvardDoctor, NASAAstronaut, ImmigrantFamily, AstronautJohnnyKim, SuccessAsNavySEAL, HarvardMedicalSchool, DoctorJohnnyKim, NASAJourney, MoonMission, SuccessfulLifeJourney, InspirationForDreams, PersonalLife, Family, SpaceExploration
#জনিকিম#বাস্তবসুপারম্যান#নেভিসিল#হার্ভার্ডডাক্তার#নাসামহাকাশচারী#অভিবাসীপরিবার#মহাকাশচারীজনিকিম#নেভিসিলোসফলতা#হার্ভার্ডমেডিকেলস্কুল#চিকিৎসকজনিকিম#নাসাযাত্রা#চাঁদেমিশন#সফলজীবনযাত্রা#স্বপ্নপূরণেরঅনুপ্রেরণা#ব্যক্তিজীবন#পরিবার#মহাকাশঅভিযান#JohnnyKim#RealSuperman#NavySEAL#HarvardDoctor#NASAAstronaut#ImmigrantFamily#AstronautJohnnyKim#SuccessAsNavySEAL#HarvardMedicalSchool#DoctorJohnnyKim#NASAJourney#MoonMission#SuccessfulLifeJourney
0 notes
Text
যতটুকু অসম্মান রাজের প্রাপ্য সেটুকু আমি করব: পরীমণি
গেল বছরের শেষের দিকে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমণি। ডিভোর্সের পরবর্তী সময়ে সন্তান পদ্মকে নিজের কাছেই রেখেছেন পরী। এই সময়ে ছেলের কোনো খোঁজ নেননি বাবা শরিফুল রাজ, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কাজের সূত্রে বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন পরীমণি। সেখানেই আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিজীবন, অভিনয়,…
View On WordPress
0 notes
Text
আমি সিঙ্গেলই ভালো আছি: জয়া আহসান
প্রথমবার বালিউড সিনেমায় অভিনয় করলেন দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘কড়ক সিং’ নামের সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। নায়িকার বলিউড যাত্রা নিয়ে যেন উৎসাহের অন্ত নেই ভক্ত-অনুরাগীদের; যেমন তার ব্যক্তিজীবন নিয়েও কৌতূহলের অভাব নেই তাদের। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ‘সিঙ্গেল’ থাকার কারণ খোলাসা করেছেন জয়া। তা থেকেই জানা গেছে, অতীতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা নিজেকে ‘হ্যাপিলি সিঙ্গেল’ বলে দাবি করেছিলেন।
0 notes
Link
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। নিজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে তিনি বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন আজকাল
0 notes
Video
youtube
শাকিব-অপু ও সন্তান নিয়ে ভিডিওবার্তায় যা বললেন বুবলী | Shakib Khan | Bubly | Apu Biswas | শেহজাদ খান বীর । Abraham Khan Joy । Shahzad Khan Bir
সন্তান নয়, সংসার চেয়েছিলেন অপু বিশ্বাস! মুখ খুললেন বুবলি | Bubly | Apu Biswas | Shakib Khan #bublynews #shakibkhan #apubiswas #abraham_khan_joy #Shahzad_Khan_Bir #shobnom_bubly লাইভে এসে যা বললেন নায়িকা বুবলি বিনোদন জগতে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ঢাকাই সিনেমার তারকা শবনম বুবলী-শাকিব খান-অপু বিশ্বাস ইস্যু। ব্যক্তিজীবন নিয়ে বুবলী-অপু পৃথক সময়ে একেকজন একেক সময় নানা মন্তব্য করছেন। তাদের ইঙ্গিতমূলক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা বাধ্য হয়েই সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। বুবলী বলেন, ‘আমি ২০১৬ থেকে কাজ করছি। শাকিব খান, যিনি আমার সন্তানের বাবা, আমার স্বামী, তার সঙ্গে আমি কাজ শুরু করি বা সুযোগ পাই। উনি আমাকে মেন্টর হিসেবে গাইড করতেন। ওনার মাধ্যমেই আমার ফিল্মে আসা। ওই সময়ে আমি কেন, পুরো বাংলাদেশের কেউ কি জানতেন ওনার আগের কোনও সম্পর্ক নিয়ে? এটা কিন্তু আমরা কেউই জানতাম না।’ বুবলী জানান, শাকিব খান নিজেকে তার কাছে সিঙ্গেল হিসেবেই উপস্থাপন করেছিলেন। সেই সুবাদেই তাদের মধ্যে ভালোলাগা তৈরি হয়। কিন্তু পরবর্তীতে যখন অপু বিশ্বাস টেলিভিশন লাইভে এসে বোমা ফাটালেন, অভিযোগের তীর ছুটে আসে বুবলীর দিকেই। ছেলে বীরকে নিয়ে নায়িকা বুবলীর স্ট্যাটাস ভাইরাল Shakib Khan Shobnom Bubly Apu Biswas Name : Shehzad Khan Bir Father : Shakib Khan Mother : Shobnom Bubly
0 notes
Text
বেগম জিয়াঃ
বেগম জিয়াকে আপনি সমালোচনা করতে পারবেন, বিকৃত ব্যাঙ্গ করতে পারবেন, হাসাহাসি করতে পারবেন; কিন্তু আমি নিশ্চিত উনাকে অন্তর থেকে ঘৃণা করতে পারবেন না৷
.
আপনি বেগম জিয়াকে ভালোবাসতে পারবেন, উনার পক্ষে তর্ক করতে পারবেন, স্লোগানে গলা ফাটাতে পারবেন। কিন্তু আপনি উনার ব্যক্তিজীবন নিয়া খুব বেশী থ্যালো আবেগী গল্প দিতে পারবেন না।
.
এর কারণ তিনি কখনোই ইতিহাসে ভিলেন/নায়ক কোনোটাই হতে চান নাই৷ সাবলীল চিন্তা ও ব্যক্তিত্বের বাহিরে মেকি কিছু দেখাতে চাননি, বলেন নি, করেনও নাই। মিডিয়া ষ্টান্টবাজি করেন নি। রান্না ঘরের ছবি, নাতিদের আদরের ছবি দেখান নি। স্বামী হত্যার বিচার নিয়া রাজনীতি করেন নি। মিডিয়ার সামনে কেঁদেকুটে বলেন নি "আমি স্বামীহারা বিধবা, আমাকে ভোট দাও"। ৭১ যুদ্ধকালীন সময়ে ছেলেদের নিয়া কিভাবে দিন অতিবাহিত করেছেন সেগুলো বলেন নি। ব্যক্তিজীবন যতটা সম্ভব আড়ালে রাখার চেস্টা করেছেন।
.
যেজন্যে দেখবেন, আপনি উনার যা সমালোচনা করেন তার কোনোটা ব্যক্তি খালেদা জিয়ার না। আপনি সমালোচনা করেন বিএনপি নেত্রী বা সরকার প্রধান খালেদা জিয়ার।
.
দেশের রাজনীতিতে বেগম জিয়া একমাত্র রাজনীতিবিদ, যিনি নিজ দূরদর্শীতায় স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছেন। যেমন ইন্ডিয়ান রাস্ট্রপতি প্রণব মূখার্জীর সাথে উনার স্বাক্ষাত বাতিল করাকে রাজনৈতিক বা শিষ্ঠাচার কোনোভাবেই আপনি মিলাতে পারবেন না। আমাদের কাছে ব্যাপারটা অযৌক্তিক মনেও হতে পারে, বেগম জিয়ার ভুল মনে হতে পারে। এবার একটু ভিন্নভাবে ভাবেন; আমাদের সাধারণ মস্তিষ্ক যা বুঝে বেগম জিয়া তা না বুঝার বা তার বিপরীতে গিয়ে এতবড় সিদ্ধান্ত নেয়ার কি হেতু থাকতে পারে? এর মানে স্পষ্ট, উনি রাজনৈতিক ষ্টান্টবাজি করেন না। জ্ঞানে যা উচিৎ মনে হয় তাই করেন।
.
সেজন্যে উনাকে মচকানো যায়না, কেনা যায়না। এরশাদ পারেনি, ফখরুদ্দীন পারেনি। শেখ হাসিনাও মচকাতে পারেনি। নিজেকে বিক্রি করার রাজনীতি বেগম জিয়া পারলে, আত্মসম্মানের বিকিয়ে দিতে পারলে তিনি রাজনীতিকে "খেলা" ভাবতে পারতেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য খালেদা জিয়ার তিনি রাজনীতি খেলেন না। বরং তিনি রাজনীতি করেন।
.
তিনি যদি খেলতেন তবে নিশ্চিত থাকেন হাজার মানুষ হত্যা করে, সকলের মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নিয়ে, বিরোধীদের নির্মমভাবে পিষ্ট করে বেগম জিয়া আজও বাংলাদেশের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী হয়েই থাকতেন। কিন্তু কদাকার খেলা প্রকৃতি রাজনীতিবিদ ঘৃণা ভরে ছুঁড়ে ফেললেন। এরচে জেলে, সাবজেলে পঁচে মরার নিয়তিরে উনি ভালবাসা আর অহংকার করে বেছে নিয়েছেন।
Monjur Rahman ধ্রুব মহাকালের লেখা।
2 notes
·
View notes