#তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব
Explore tagged Tumblr posts
Text
তাওহীদ এর গুরুত্ব
youtube
আল্লাহ্একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘��াউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
#allahswt#tawheed#whoisallah#tawhid#allah'snature#allahmeanings#Tawheed#Tawhid#তাওহীদ#তাওহিদ#আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah is the only true God#Allah#LAILAHAILLALLAH#Monotheism#Tauhid#Towhid#TrueGod#TrueDeity#TrueLord#Rabbil'Alamin#asmaalhusna#youtube#Youtube
0 notes
Text
তাওহীদ এর গুরুত্ব
youtube
আল্লাহ্একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি ��বী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
#allah'snature#allahswt#tawheed#tawhid#whoisallah#Tawheed#Tawhid#তাওহীদ#তাওহিদ#আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah is the only true God#Allah#LAILAHAILLALLAH#Monotheism#Tauhid#Towhid#TrueGod#TrueDeity#TrueLord#Rabbil'Alamin#allahmeanings#asmawassifat#Youtube
0 notes
Text
তাওহীদ এর গুরুত্ব
youtube
আল্লাহ্একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, এক��, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
#tawheed#tawhid#allah'snature#trueGod#whoisallah#Deity#God#Tawheed#Tawhid#তাওহীদ#তাওহিদ#আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah is the only true God#Allah#LAILAHAILLALLAH#Monotheism#Tauhid#Towhid#TrueGod#TrueDeity#TrueLord#Rabbil'Alamin#Youtube
0 notes
Text
তাওহীদ এর গুরুত্ব
youtube
আল্লাহ্একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-র��বুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনু���ত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
#allahswt#allah'snature#tawheed#tawhid#allah'sdefinition#Tawheed#Tawhid#তাওহীদ#তাওহিদ#আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah is the only true God#Allah#LAILAHAILLALLAH#Monotheism#Tauhid#Towhid#TrueGod#TrueDeity#TrueLord#Rabbil'Alamin#whoisallah#asmawassifat#allah'snames#youtube#Youtube
1 note
·
View note
Text
তাওহীদ এর গুরুত্ব
youtube
আল্লাহ্একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী।
আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ
ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফিয়ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি।
তাওহিদ ও শিরক
তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)।
তাওহিদ ফিয্যাত
আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের সারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)।
তাওহিদ ফিছিছফাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’।
তাওহিদ ফিল ইবাদত
ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
#allah'snature#tawheed#tawhid#asmawassifat#allah'sdefinition#whoisallah#Tawheed#Tawhid#তাওহীদ#তাওহিদ#আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah is the only true God#Allah#LAILAHAILLALLAH#Monotheism#Tauhid#Towhid#TrueGod#TrueDeity#TrueLord#Rabbil'Alamin#God#Deity#Youtube
0 notes
Text
তাওহীদ এর গুরুত্ব https://www.youtube.com/watch?v=bUTEZlhz6cQ https://www.youtube.com/watch?v=sPVTzp69e7k
আল্লাহ্একমাত্র সত্য উপাস্য তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা। https://www.youtube.com/watch?v=ztHmS6xs8PM https://www.youtube.com/watch?v=jPr9Jv0VmZQ&t=103s https://www.youtube.com/watch?v=uAiDa4pu-8o https://www.youtube.com/watch?v=p9ikaQvrPAo তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা। তাওহীদের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব মানুষের জীবনে তাওহীদ অতীব গুরত্বপুর্ণ বিষয়। তাওহীদ বিশ্বাসের কারণেই মানুষ পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাওহীদ সম্পর্কে জানা ও নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাওহীদের বিপরীত হ’ল শিরক। যার কারণে মানুষের জীবনের সকল পুণ্য বিনষ্ট হয়, পূর্বের সব আমল বাতিল হয়ে যায় এবং পরকালে জাহান্নাম অবধারিত হয়। তাই শিরক থেকে সতর্ক-সাবধান হওয়া সকল মানুষের জন্য অতি যরূরী। আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানেই হলো তাঁর জাত ও সিফাত (সত্তা ও গুণাবলি) বিশ্বাস করা। ইমানে মুজমালে উপরিউক্ত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। যথা: ‘আমি ইমান আনলাম তথা বিশ্বাস করলাম আল্লাহর প্রতি, যেমন যেরূপ আছেন তিনি তাঁর নামাবলি ও গুণাবলিসহ। এবং আমি মেনে নিলাম তাঁর সকল আদেশাবলি ও নিষেধাবলি।’
তাওহিদ বা একত্ববাদ ইসলামি বিশ্বাসের মৌলিক তিনটি বিষয় হলো তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত। এর মধ্যে তাওহিদ হলো প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যমণ্ডিত। সব নবী–রাসুল (আ.)–গণের কালিমা বা প্রচারের মূলমন্ত্র ছিল এই তাওহিদেরই মর্মবাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। দ্বিতীয় অংশে হলো যুগের নবী–রাসুলের পরিচয় ও স্বীকৃতির ঘোষণা। যেমন ‘আদামু ছফি���ুল্লাহ’ (আদম আ. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত), ‘নূহুন নাজিয়ুল্লাহ’ (নূহ আ. আল্লাহ কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত), ‘ইবরাহিমু খলিলুল্লাহ’ (ইবরাহিম আ. আল্লাহর খলিল বা বন্ধু), ‘দাউদু খলিফাতুল্লাহ’ (দাউদ আ. আল্লাহর খলিফা), ‘মুসা কালিমুল্লাহ’ (মুসা আ. আল্লাহর কালামপ্রাপ্ত), ঈসা রুহুল্লাহ’ (ঈসা আ. আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা রুহ), ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল)। লক্ষণীয়, কালিমার দ্বিতীয় অংশ রিসালাতের বিবরণ আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কালিমার প্রথম অংশ তাওহিদ তথা আল্লাহর জাত ও সিফাতের (সত্তা ও গুণাবলি) বিবৃতি কোনোরূপ পরিবর্তিত হয়নি। তাওহিদ ও শিরক তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। শিরক অর্থ শরিক বা অংশীদার স্থির করা। ইসলামি পরিভাষায় শিরক হলো আল্লাহর জাত (সত্তা), সিফাত (গুণাবলি) ও ইবাদত (আনুগত্যে) কোনো কাউকে সমকক্ষ, শরিক বা অংশীদার, হকদার তথা উপযুক্ত মনে করা। মহাজ্ঞানী লুকমান (আ.) তাঁর প্রিয় সন্তানকে শিরক বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন: ‘হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি আল্লাহর সাথে শরিক করবে না, নিশ্চয়ই শিরক মহা অন্যায়।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৩)। তাওহিদ ফিয্যাত আল্লাহ এক, একক, অদ্বিতীয়, অবিভাজ্য। তিনি ‘লা শরিক’ অংশীবিহীন। কোরআন মাজিদে সুরা তাওহিদে এই বিষয়ের পরিপূর্ণ বিবরণের ��ারসংক্ষেপ বিবৃত হয়েছে। ‘বলো, আল্লাহ একক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী (স্বনির্ভর), তিনি জনকও নন এবং তিনি জাতও নহেন, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (সুরা-১১২ ইখলাস, আয়াত: ১-৪)। তাওহিদ ফিছিছফাত মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ‘সিফাতে কামাল’ বা পরিপূর্ণ গুণাবলির অধিকারী। সৃষ্টির গুণ বা বৈশিষ্ট্য অসম্পূর্ণ। এর ব্যতিক্রম বিশ্বাস হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’ অর্থাৎ কোনো কাউকে কোনো গুণে বা বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা সমান্তরাল ভাবা হলো ‘শিরক ফিছিছফাত’। তাওহিদ ফিল ইবাদত ইবাদত তথা আনুগত্যে ও উপাসনায় তাঁর কোনো শরিক নেই। মহাগ্রন্থ আল–কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলো, হে অবিশ্বাসীরা! আমি সেসবের ইবাদত করি না, যেসবের উপাসনা তোমরা করো। এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, আমি যাঁর ইবাদত করি। আর আমিও ইবাদতকারী নই তাদের, যাদের তোমরা উপাসনা করো। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও তাঁর, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমরা তোমাদের দীন (কর্মফল) ভোগ করবে, আর আমি আমার দীন (পরিণতি) লাভ করব।’ (সুরা-১০৯ কাফিরুন, আয়াত: ১-৬)। এর ব্যত্যয় হলো ‘শির্ক ফিল ইবাদাত’ অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতে শরিক করা। https://www.youtube.com/watch?v=bTNN06w3Xco https://www.youtube.com/watch?v=fV6UzjyQgGc https://www.youtube.com/watch?v=ItNHIJj5bkA https://www.youtube.com/watch?v=T2kP-Ykl9QA&t=130s
তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা
Explanation of the Importance and Significance of Tawheed
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
Allah is the only true God
#allahswt#তাওহীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা#Explanation of the Importance and Significance of Tawheed#Tawheed#Tawhid#তাওহীদ#তাওহিদ#আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah is the only true God#Allah#LAILAHAILLALLAH#Monotheism#Tauhid#Towhid#TrueGod#TrueDeity#TrueLord#Rabbil'Alamin#allah'snature
0 notes
Link
তাওহীদ ও তাঁর তিন অংশ
তাওহীদ আরবী শব্দ। তাওহীদ অর্থ কোন কিছুকে একক সাব্যস্ত করা। আল্লাহর একত্বই হল তাওহীদ। তাওহীদ হল আল্লাহতা’লা তাঁর কার্যাবলীতে একক, তাঁর নাম এবং গুনাবলীতে একক মর্যাদার অধিকারী এবং বান্দার সমস্ত ইবাদত পাওয়ার হকদারও একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ্ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ/উপাস্য নেই। “তাওহীদ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় জানা, বিশ্বাস ও ঘোষণা করা্এবং মানা।” আল্লাহ্র একত্ব বা তাওহীদ তিন অংশে বর্ণনা করা হয়েছে। ১) তাওহীদুর্ রুবূবীয়্যাহ২) তাওহীদুল উলুহীয়্যাহ ৩) তাওহীদুল আসমা অস্ সিফাত। আল্লাহ একমাত্র ‘সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত,পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা অংশীদার নেই।আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলীর মাধ্যমে। সকল নবী রাসূলেরা (আ.) পৃথিবীতে এসে মূল যে বার্তাটি দিয়ে গেছেন সেটি হলো তাওহীদ।
#Pillars of Tawhid#Tawhid#বিশুদ্ধ তাওহিদ ও তাঁর ৩ অংশ#আল্লাহ্র একত্ব বা তাওহীদ#তাওহীদ ও তাঁর তিন অংশ#Tawheed and 3 parts of tawheed#Tauhid and 3 parts of tauhid#La ilaha illAllah#Tauhid#3partsoftawhid#3 parts of tawheed#তাওহীদের তিন অংশ#Kalema#আল্লাহর একত্বই হল তাওহীদ#3 Parts of Laa ilaha illallah#তাওহিদ ও তাঁর তিন অংশ।#তাওহীদ কত প্রকার#তাওহীদ তিন অংশে বর্ণনা করা হয়েছে#তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব
0 notes
Text
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
youtube
তাওহীদ কি ? যার তাওহীদ নাই তার ইমান নাই.
https://www.youtube.com/watch?v=r8y87s9R-nM
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo&t=79s
তাওহীদ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর অর্থ, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ
https://www.youtube.com/watch?v=eakqz-3FdFE
বিশুদ্ধ/নির্ভেজাল তাওহীদের প্রতিদান।
https://www.youtube.com/watch?v=XSGAy5gOljQ
ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই |
https://www.youtube.com/watch?v=iZOu7jVMBlo&t=34s
তাওহীদ হলো একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। তাওহিদ এর অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছুর ইবাদত বর্জন করে বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিতভাবে সমস্ত বক্তব্য ও কর্ম এবং সমস্ত উপাসনা��� জন্য আল্লাহকে একচ্ছত্র করা। তাওহীদ স্বীকার করা ও জীবনের সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করা মুসলিম ব্যক্তির উদ্দেশ্য। তাওহীদ হলো ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রীয় এবং একক অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য, যে ভিত্তির ওপর একজন মুসলমানের পুরো ধর্মীয় অনুষঙ্গটি নির্ভর করে। এটি দ্ব্যর্থহীনভাবে মনে করা হয় যে ইসলাম অনুসারে ঈশ্বরই (আরবি: الله اللهā) এক (আল-আহাদ) এবং একক (আল-ওয়াহাদ)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ' (ঈশ্বর)। #তাওহীদ হলো আল্লাহ তাআলাকে তাঁর কর্মসমূহে, তাঁর নাম ও গুণাবলীতে এবং বান্দার সমস্ত ইবাদতের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে এক, একক ও একমাত্র মানা। তাওহীদের তিনটি অংশ- 1 - তাওহীদ আর রুবুবিয়াহ (আল্লাহর কর্মে ও প্রভুত্বে ঐক্য বজায় রাখা) তিনি একাই হলেন স্রষ্টা (স্রষ্টা) এবং মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণকারী (ইত্যাদি) এবং আল্লাহ কারও কাছে দায়বদ্ধ নন। 2 - তাওহীদ আল ইবাদাহ (উলুহিয়াহ) (বান্দার সমস্ত ইবাদত/উপাসনা একমাত্র আল্লাহর জন্য করা) এবং কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই ... কেবলমাত্র আল্লাহরই কাছে প্রার্থনা ও প্রার্থনা পাবার এবং কুরবানী ও উপাসনা পাবার অধিকার রয়েছে। 3 - তাওহীদ আল-আসমা ’ওয়া’ল সিফাত (আল্লাহর নাম ও বৈশিষ্ট্যের একত্ব) এর অর্থ আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর সত্যতা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বাস করা যে তাঁর নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহর মতো আর কোনো কিছু নেই। আল্লাহর তাওহীদের দিকেই সকলকে আহব্বান করেছেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। (সহীহ আল বুখারী 7372)
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
নিখাঁদ তাওহীদ জান্নাতের নিশ্চয়তা
“‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ ফরমান : যে ব্যক্তি এ মর্মে স্বাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাই নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। আর এ কথাও স্বাক্ষ্য দেবে যে, মুহাম্মদ (সাঃ) তার বান্দাহ ও রাসূল। (আরও ঈমান রাখবে যে,) নিশ্চয়ই ‘��সা ('আঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল এবং তার কালিমা, যা তিনি মারইয়ামের মাঝে অনুপ্রবিষ্ট করিয়েছিলেন। আর তিনি তার তরফ হতে রূহ্ বিশেষ। (আরো বিশ্বাস রাখবে যে,) জান্নাত সত্য এবং জাহান্নামও সত্য, তার ‘আমল যা হোক না কেনো, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সহীহুল বুখারী- হাঃ ৩৪৩৫ ও সহীহ মুসলিম- হাঃ ২৮।
তাওহীদের পারিভাষিক অর্থ কি?
তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ । ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলা হয় । তাওহিদের মূল কথা হলো- আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় । তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয় ।
তাওহীদে তিন অংশ কি কি?
তাওহিদকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে; যথা, তাওহিদ আল-রুবুবিয়্যাহ (ঐশ্বরিক প্রভুত্বের একত্ব), তাওহিদ আল-উলুহিয়্যাহ (ঐশ্বরিকতার একত্ব) এবং তাওহীদ আল-আসমা ওয়াল-সিফাত (ঐশ্বরিক নাম ও গুণাবলীর একত্ব)।
তাওহিদে বিশ্বাসের মূল মন্ত্র কি?
"আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই।" "তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত কর্তৃত্ব তারই। আর তোমরা আল্লাহ্-র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো (যাদের কাছে দুআ করো), তারা তো খেজুর আঁটির উপরে পাতলা আবরণেরও (অতি তুচ্ছ কিছুরও) মালিক নয়।"
কিভাবে তাওহীদ পরিপূর্ণ করা যায়?
উল্লেখ্য যে, তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদে সত্যিকারের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র এই সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল । এটি অর্জন করা দুটি স্তরের, একটি ফরয এবং একটি মুস্তাহাব।
বাচ্চাদের তাওহীদ কিভাবে বুঝানো যায়?
তাওহীদ মানে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করা বা তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক না করা । তাওহীদকেও বোঝা যায় মানুষ একাকী আল্লাহর উপাসনা করে। তাওহীদের শিক্ষা বলতে বিভিন্ন উপায় তৈরি করার প্রচেষ্টা বোঝায় যাতে শিশুরা তাদের জীবনে তাওহীদের ধারণা জানতে, বুঝতে এবং অনুশীলন করতে পারে।
কুরআনে কি তাওহিদ আছে?
কোরান সর্বোপরি আল্লাহর এককতা এবং একক সার্বভৌমত্বের উপর জোর দেয়, আরবি শব্দ তাওহীদ ("একত্ব") দ্বারা নির্দেশিত একটি মতবাদ । তিনি কখনই ঘুমান বা ক্লান্ত হন না, এবং অতিক্রান্ত অবস্থায়, তিনি তাঁর ঐশ্বরিক জ্ঞানের সর্বব্যাপীতার মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় সমস্ত কিছু উপলব্ধি করেন এবং প্রতিক্রিয়া করেন।
তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে
যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে- এর প্রমাণ:-
আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনে হারব রহ…উসমান রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে ইনতিকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
দাউদ ইবনে রুশায়দ রাযি…উবাদা ইবনে সামিত রাযি. থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মদ (সা) তাঁর বান্দা ও রাসূল, ঈসা আ. আল্লাহর বান্দা ও তাঁর দাসীর পুত্র, তাঁর কথা দ্বারা পয়দা হয়েছেন যা তিনি মারয়ামের মধ্যে ঢেলে ছিলেন ( অর্থাৎ কালেমায়ে ‘কুন’ দ্বারা মারয়ামের গর্ভে তাঁকে পয়দা করেছেন) তিনি তাঁর আত্মা, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাতের আটটি তোরণের যেখান দিয়ে সে চাইবে প্রবেশ করাবেন।
তাওহীদের উপরে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,
‘‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ। এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।’’ (নাহলঃ১২০)
২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন,
‘‘আর যারা তাদের রবের সাথে শিরক করে না’’ (মুমিনুনঃ ৫৯)
ছাত্রদেরকে তাওহীদ সম্পৰ্কে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ জ্ঞান দিন
https://www.youtube.com/watch?v=41fcSMqyBmA
তাওহীদ কেন নষ্ট হয়
ঈমান কি | ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই
https://www.youtube.com/watch?v=Gw6lLbp0L-w
বিশুদ্ধ আক্বিদা ও তাওহীদ।
https://www.youtube.com/watch?v=F8ZdZXa3UlE
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
#allahswt#tawheed#allah'snature#যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই#তাওহীদ#তাওহিদ#তৌহিদ#Tawheed#Tauhid#Tauheed#Tawhid#আকিদা#তাওহীদশিক্ষা#তৌহীদ#Youtube
0 notes
Text
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
youtube
তাওহীদ কি ? যার তাওহীদ নাই তার ইমান নাই.
https://www.youtube.com/watch?v=r8y87s9R-nM
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo&t=79s
তাওহীদ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর অর্থ, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ
https://www.youtube.com/watch?v=eakqz-3FdFE
বিশুদ্ধ/নির্ভেজাল তাওহীদের প্রতিদান।
https://www.youtube.com/watch?v=XSGAy5gOljQ
ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই |
https://www.youtube.com/watch?v=iZOu7jVMBlo&t=34s
তাওহীদ হলো একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। তাওহিদ এর অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছুর ইবাদত বর্জন করে বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিতভাবে সমস্ত বক্তব্য ও কর্ম এবং সমস্ত উপাসনার জন্য আল্লাহকে একচ্ছত্র করা। তাওহীদ স্বীকার করা ও জীবনের সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করা মুসলিম ব্যক্তির উদ্দেশ্য। তাওহীদ হলো ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রীয় এবং একক অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য, যে ভিত্তির ওপর একজন মুসলমানের পুরো ধর্মীয় অনুষঙ্গটি নির্ভর করে। এটি দ্ব্যর্থহীনভাবে মনে করা হয় যে ইসলাম অনুসারে ঈশ্বরই (আরবি: الله اللهā) এক (আল-আহাদ) এবং একক (আল-ওয়াহাদ)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ' (ঈশ্বর)। #তাওহীদ হলো আল্লাহ তাআলাকে তাঁর কর্মসমূহে, তাঁর নাম ও গুণাবলীতে এবং বান্দার সমস্ত ইবাদতের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে এক, একক ও একমাত্র মানা। তাওহীদের তিনটি অংশ- 1 - তাওহীদ আর রুবুবিয়াহ (আল্লাহর কর্মে ও প্রভুত্বে ঐক্য বজায় রাখা) তিনি একাই হলেন স্রষ্টা (স্রষ্টা) এবং মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণকারী (ইত্যাদি) এবং আল্লাহ কারও কাছে দায়বদ্ধ নন। 2 - তাওহীদ আল ইবাদাহ (উলুহিয়াহ) (বান্দার সমস্ত ইবাদত/উপাসনা একমাত্র আল্লাহর জন্য করা) এবং কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই ... কেবলমাত্র আল্লাহরই কাছে প্রার্থনা ও প্রার্থনা পাবার এবং কুরবানী ও উপাসনা পাবার অধিকার রয়েছে। 3 - তাওহীদ আল-আসমা ’ওয়া’ল সিফাত (আল্লাহর নাম ও বৈশিষ্ট্যের একত্ব) এর অর্থ আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর সত্যতা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বাস করা যে তাঁর নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহর মতো আর কোনো কিছু নেই। আল্লাহর তাওহীদের দিকেই সকলকে আহব্বান করেছেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। (সহীহ আল বুখারী 7372)
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
নিখাঁদ তাওহীদ জান্নাতের নিশ্চয়তা
“‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ ফরমান : যে ব্যক্তি এ মর্মে স্বাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাই নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। আর এ কথাও স্বাক্ষ্য দেবে যে, মুহাম্মদ (সাঃ) তার বান্দাহ ও রাসূল। (আরও ঈমান রাখবে যে,) নিশ্চয়ই ‘ঈসা ('আঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল এবং তার কালিমা, যা তিনি মারইয়ামের মাঝে অনুপ্রবিষ্ট করিয়েছিলেন। আর তিনি তার তরফ হতে রূহ্ বিশেষ। (আরো বিশ্বাস রাখবে যে,) জান্নাত সত্য এবং জাহান্নামও সত্য, তার ‘আমল যা হোক না কেনো, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সহীহুল বুখারী- হাঃ ৩৪৩৫ ও সহীহ মুসলিম- হাঃ ২৮।
তাওহীদের পারিভাষিক অর্থ কি?
তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ । ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলা হয় । তাওহিদের মূল কথা হলো- আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় । তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয় ।
তাওহীদে তিন অংশ কি কি?
তাওহিদকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে; যথা, তাওহিদ আল-রুবুবিয়্যাহ (ঐশ্বরিক প্রভুত্বের একত্ব), তাওহিদ আল-উলুহিয়্যাহ (ঐশ্বরিকতার একত্ব) এবং তাওহীদ আল-আসমা ওয়াল-সিফাত (ঐশ্বরিক নাম ও গুণাবলীর একত্ব)।
তাওহিদে বিশ্বাসের মূল মন্ত্র কি?
"আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই।" "তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত কর্তৃত্ব তারই। আর তোমরা আল্লাহ্-র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো (যাদের কাছে দুআ করো), তারা তো খেজুর আঁটির উপরে পাতলা আবরণেরও (অতি তুচ্ছ কিছুরও) মালিক নয়।"
কিভাবে তাওহীদ পরিপূর্ণ করা যায়?
উল্লেখ্য যে, তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদে সত্যিকারের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র এই সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল । এটি অর্জন করা দুটি স্তরের, একটি ফরয এবং একটি মুস্তাহাব।
বাচ্চাদের তাওহীদ কিভাবে বুঝানো যায়?
তাওহীদ মানে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করা বা তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক না করা । তাওহীদকেও বোঝা যায় মানুষ একাকী আল্লাহর উপাসনা করে। তাওহীদের শিক্ষা বলতে বিভিন্ন উপায় তৈরি করার প্রচেষ্টা বোঝায় যাতে শিশুরা তাদের জীবনে তাওহীদের ধারণা জানতে, বুঝতে এবং অনুশীলন করতে পারে।
কুরআনে কি তাওহিদ আছে?
কোরান সর্বোপরি আল্লাহর এককতা এবং একক সার্বভৌমত্বের উপর জোর দেয়, আরবি শব্দ তাওহীদ ("একত্ব") দ্বারা নির্দেশিত একটি মতবাদ । তিনি কখনই ঘুমান বা ক্লান্ত হন না, এবং অতিক্রান্ত অবস্থায়, তিনি তাঁর ঐশ্বরিক জ্ঞানের সর্বব্যাপীতার মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় সমস্ত কিছু উপলব্ধি করেন এবং প্রতিক্রিয়া করেন।
তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে
যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে- এর প্রমাণ:-
আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনে হারব রহ…উসমান রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে ইনতিকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
দাউদ ইবনে রুশায়দ রাযি…উবাদা ইবনে সামিত রাযি. থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মদ (সা) তাঁর বান্দা ও রাসূল, ঈসা আ. আল্লাহর বান্দা ও তাঁর দাসীর পুত্র, তাঁর কথা দ্বারা পয়দা হয়েছেন যা তিনি মারয়ামের মধ্যে ঢেলে ছিলেন ( অর্থাৎ কালেমায়ে ‘কুন’ দ্বারা মারয়ামের গর্ভে তাঁকে পয়দা করেছেন) তিনি তাঁর আত্মা, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাতের আটটি তোরণের যেখান দিয়ে সে চাইবে প্রবেশ করাবেন।
তাওহীদের উপরে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,
‘‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ। এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।’’ (নাহলঃ১২০)
২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন,
‘‘আর যারা তাদের রবের সাথে শিরক করে না’’ (মুমিনুনঃ ৫৯)
ছাত্রদেরকে তাওহীদ সম্পৰ্কে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ জ্ঞান দিন
https://www.youtube.com/watch?v=41fcSMqyBmA
তাওহীদ কেন নষ্ট হয়
ঈমান কি | ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই
https://www.youtube.com/watch?v=Gw6lLbp0L-w
বিশুদ্ধ আক্বিদা ও তাওহীদ।
https://www.youtube.com/watch?v=F8ZdZXa3UlE
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
#allahswt#tawhid#tawheed#যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই#তাওহীদ#তাওহিদ#তৌহিদ#Tawheed#Tauhid#Tauheed#Tawhid#আকিদা#তাওহীদশিক্ষা#তৌহীদ#whoisallah#allah'snature#Youtube
0 notes
Text
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
youtube
তাওহীদ কি ? যার তাওহীদ নাই তার ইমান নাই.
https://www.youtube.com/watch?v=r8y87s9R-nM
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo&t=79s
তাওহীদ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর অর্থ, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ
https://www.youtube.com/watch?v=eakqz-3FdFE
বিশুদ্ধ/নির্ভেজাল তাওহীদের প্রতিদান।
https://www.youtube.com/watch?v=XSGAy5gOljQ
ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই |
https://www.youtube.com/watch?v=iZOu7jVMBlo&t=34s
তাওহীদ হলো একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। তাওহিদ এর অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছুর ইবাদত বর্জন করে বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিতভাবে সমস্ত বক্তব্য ও কর্ম এবং সমস্ত উপাসনার জন্য আল্লাহকে একচ্ছত্র করা। তাওহীদ স্বীকার করা ও জীবনের সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করা মুসলিম ব্যক্তির উদ্দেশ্য। তাওহীদ হলো ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রীয় এবং একক অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য, যে ভিত্তির ওপর একজন মুসলমানের পুরো ধর্মীয় অনুষঙ্গটি নির্ভর করে। এটি দ্ব্যর্থহীনভাবে মনে করা হয় যে ইসলাম অনুসারে ঈশ্বরই (আরবি: الله اللهā) এক (আল-আহাদ) এবং একক (আল-ওয়াহাদ)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ' (ঈশ্বর)। #তাওহীদ হলো আল্লাহ তাআলাকে তাঁর কর্মসমূহে, তাঁর নাম ও গুণাবলীতে এবং বান্দার সমস্ত ইবাদতের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে এক, একক ও একমাত্র মানা। তাওহীদের তিনটি অংশ- 1 - তাওহীদ আর রুবুবিয়াহ (আল্লাহর কর্মে ও প্রভুত্বে ঐক্য বজায় রাখা) তিনি একাই হলেন স্রষ্টা (স্রষ্টা) এবং মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণকারী (ইত্যাদি) এবং আল্লাহ কারও কাছে দায়বদ্ধ নন। 2 - তাওহীদ আল ইবাদাহ (উলুহিয়াহ) (বান্দার সমস্ত ইবাদত/উপাসনা একমাত্র আল্লাহর জন্য করা) এবং কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই ... কেবলমাত্র আল্লাহরই কাছে প্রার্থনা ও প্রার্থনা পাবার এবং কুরবানী ও উপাসনা পাবার অধিকার রয়েছে। 3 - তাওহীদ আল-আসমা ’ওয়া’ল সিফাত (আল্লাহর নাম ও বৈশিষ্ট্যের একত্ব) এর অর্থ আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর সত্যতা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বাস করা যে তাঁর নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহর মতো আর কোনো কিছু নেই। আল্লাহর তাওহীদের দিকেই সকলকে আহব্বান করেছেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। (সহীহ আল বুখারী 7372)
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
নিখাঁদ তাওহীদ জান্নাতের নিশ্চয়তা
“‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ ফরমান : যে ব্যক্তি এ মর্মে স্বাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাই নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। আর এ কথাও স্বাক্ষ্য দেবে যে, মুহাম্মদ (সাঃ) তার বান্দাহ ও রাসূল। (আরও ঈমান রাখবে যে,) নিশ্চয়ই ‘ঈসা ('আঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল এবং তার কালিমা, যা তিনি মারইয়ামের মাঝে অনুপ্রবিষ্ট করিয়েছিলেন। আর তিনি তার তরফ হতে রূহ্ বিশেষ। (আরো বিশ্বাস রাখবে যে,) জান্নাত সত্য এবং জাহান্নামও সত্য, তার ‘আমল যা হোক না কেনো, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সহীহুল বুখারী- হাঃ ৩৪৩৫ ও সহীহ মুসলিম- হাঃ ২৮।
তাওহীদের পারিভাষিক অর্থ কি?
তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ । ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলা হয় । তাওহিদের মূল কথা হলো- আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় । তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয় ।
তাওহীদে তিন অংশ কি কি?
তাওহিদকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে; যথা, তাওহিদ আল-রুবুবিয়্যাহ (ঐশ্বরিক প্রভুত্বের একত্ব), তাওহিদ আল-উলুহিয়্যাহ (ঐশ্বরিকতার একত্ব) এবং তাওহীদ আল-আসমা ওয়াল-সিফাত (ঐশ্বরিক নাম ও গুণাবলীর একত্ব)।
তাওহিদে বিশ্বাসের মূল মন্ত্র কি?
"আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই।" "তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত কর্তৃত্ব তারই। আর তোমরা আল্লাহ্-র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো (যাদের কাছে দুআ করো), তারা তো খেজুর আঁটির উপরে পাতলা আবরণেরও (অতি তুচ্ছ কিছুরও) মালিক নয়।"
কিভাবে তাওহীদ পরিপূর্ণ করা যায়?
উল্লেখ্য যে, তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদে সত্যিকারের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র এই সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল । এটি অর্জন করা দুটি স্তরের, একটি ফরয এবং একটি মুস্তাহাব।
বাচ্চাদের তাওহীদ কিভাবে বুঝানো যায়?
তাওহীদ মানে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করা বা তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক না করা । তাওহীদকেও বোঝা যায় মানুষ একাকী আল্লাহর উপাসনা করে। তাওহীদের শিক্ষা বলতে বিভিন্ন উপায় তৈরি করার প্রচেষ্টা বোঝায় যাতে শিশুরা তাদের জীবনে তাওহীদের ধারণা জানতে, বুঝতে এবং অনুশীলন করতে পারে।
কুরআনে কি তাওহিদ আছে?
ক��রান সর্বোপরি আল্লাহর এককতা এবং একক সার্বভৌমত্বের উপর জোর দেয়, আরবি শব্দ তাওহীদ ("একত্ব") দ্বারা নির্দেশিত একটি মতবাদ । তিনি কখনই ঘুমান বা ক্লান্ত হন না, এবং অতিক্রান্ত অবস্থায়, তিনি তাঁর ঐশ্বরিক জ্ঞানের সর্বব্যাপীতার মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় সমস্ত কিছু উপলব্ধি করেন এবং প্রতিক্রিয়া করেন।
তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে
যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে- এর প্রমাণ:-
আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনে হারব রহ…উসমান রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে ইনতিকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
দাউদ ইবনে রুশায়দ রাযি…উবাদা ইবনে সামিত রাযি. থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মদ (সা) তাঁর বান্দা ও রাসূল, ঈসা আ. আল্লাহর বান্দা ও তাঁর দাসীর পুত্র, তাঁর কথা দ্বারা পয়দা হয়েছেন যা তিনি মারয়ামের মধ্যে ঢেলে ছিলেন ( অর্থাৎ কালেমায়ে ‘কুন’ দ্বারা মারয়ামের গর্ভে তাঁকে পয়দা করেছেন) তিনি তাঁর আত্মা, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাতের আটটি তোরণের যেখান দিয়ে সে চাইবে প্রবেশ করাবেন।
তাওহীদের উপরে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,
‘‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ। এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।’’ (নাহলঃ১২০)
২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন,
‘‘আর যারা তাদের রবের সাথে শিরক করে না’’ (মুমিনুনঃ ৫৯)
ছাত্রদেরকে তাওহীদ সম্পৰ্কে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ জ্ঞান দিন
https://www.youtube.com/watch?v=41fcSMqyBmA
তাওহীদ কেন নষ্ট হয়
ঈমান কি | ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই
https://www.youtube.com/watch?v=Gw6lLbp0L-w
বিশুদ্ধ আক্বিদা ও তাওহীদ।
https://www.youtube.com/watch?v=F8ZdZXa3UlE
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
#tawheed#tawhid#allah'snature#trueGod#allah'sdefinition#whoisallah#যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই#তাওহীদ#তাওহিদ#তৌহিদ#Tawheed#Tauhid#Tauheed#Tawhid#আকিদা#তাওহীদশিক্ষা#তৌহীদ#Youtube
0 notes
Text
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
youtube
তাওহীদ কি ? যার তাওহীদ নাই তার ইমান নাই.
https://www.youtube.com/watch?v=r8y87s9R-nM
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo&t=79s
তাওহীদ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর অর্থ, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ
https://www.youtube.com/watch?v=eakqz-3FdFE
বিশুদ্ধ/নির্ভেজাল তাওহীদের প্রতিদান।
https://www.youtube.com/watch?v=XSGAy5gOljQ
ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই |
https://www.youtube.com/watch?v=iZOu7jVMBlo&t=34s
তাওহীদ হলো একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। তাওহিদ এর অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছুর ইবাদত বর্জন করে বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিতভাবে সমস্ত বক্তব্য ও কর্ম এবং সমস্ত উপাসনার জন্য আল্লাহকে একচ্ছত্র করা। তাওহীদ স্বীকার করা ও জীবনের সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করা মুসলিম ব্যক্তির উদ্দেশ্য। তাওহীদ হলো ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রীয় এবং একক অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য, যে ভিত্তির ওপর একজন মুসলমানের পুরো ধর্মীয় অনুষঙ্গটি নির্ভর করে। এটি দ্ব্যর্থহীনভাবে মনে করা হয় যে ইসলাম অনুসারে ঈশ্বরই (আরবি: الله اللهā) এক (আল-আহাদ) এবং একক (আল-ওয়াহাদ)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ' (ঈশ্বর)। #তাওহীদ হলো আল্লাহ তাআলাকে তাঁর কর্মসমূহে, তাঁর নাম ও গুণাবলীতে এবং বান্দার সমস্ত ইবাদতের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে এক, একক ও একমাত্র মানা। তাওহীদের তিনটি অংশ- 1 - তাওহীদ আর রুবুবিয়াহ (আল্লাহর কর্মে ও প্রভুত্বে ঐক্য বজায় রাখা) তিনি একাই হলেন স্রষ্টা (স্রষ্টা) এবং মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণকারী (ইত্যাদি) এবং আল্লাহ কারও কাছে দায়বদ্ধ নন। 2 - তাওহীদ আল ইবাদাহ (উলুহিয়াহ) (বান্দার সমস্ত ইবাদত/উপাসনা একমাত্র আল্লাহর জন্য করা) এবং কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই ... কেবলমাত্র আল্লাহরই কাছে প্রার্থনা ও প্রার্থনা পাবার এবং কুরবানী ও উপাসনা পাবার অধিকার রয়েছে। 3 - তাওহীদ আল-আসমা ’ওয়া’ল সিফাত (আল্লাহর নাম ও বৈশিষ্ট্যের একত্ব) এর অর্থ আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর সত্যতা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বাস করা যে তাঁর নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহর মতো আর কোনো কিছু নেই। আল্লাহর তাওহীদের দিকেই সকলকে আহব্বান করেছেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। (সহীহ আল বুখারী 7372)
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
নিখাঁদ তাওহীদ জান্নাতের নিশ্চয়তা
“‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ ফরমান : যে ব্যক্তি এ মর্মে স্বাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাই নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। আর এ কথাও স্বাক্ষ্য দেবে যে, মুহাম্মদ (সাঃ) তার বান্দাহ ও রাসূল। (আরও ঈমান রাখবে যে,) নিশ্চয়ই ‘ঈসা ('আঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল এবং তার কালিমা, যা তিনি মারইয়ামের মাঝে অনুপ্রবিষ্ট করিয়েছিলেন। আর তিনি তার তরফ হতে রূহ্ বিশেষ। (আরো বিশ্বাস রাখবে যে,) জান্নাত সত্য এবং জাহান্নামও সত্য, তার ‘আমল যা হোক না কেনো, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সহীহুল বুখারী- হাঃ ৩৪৩৫ ও সহীহ মুসলিম- হাঃ ২৮।
তাওহীদের পারিভাষিক অর্থ কি?
তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ । ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলা হয় । তাওহিদের মূল কথা হলো- আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় । তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয় ।
তাওহীদে তিন অংশ কি কি?
তাওহিদকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে; যথা, তাওহিদ আল-রুবুবিয়্যাহ (ঐশ্বরিক প্রভুত্বের একত্ব), তাওহিদ আল-উলুহিয়্যাহ (ঐশ্বরিকতার একত্ব) এবং তাওহীদ আল-আসমা ওয়াল-সিফাত (ঐশ্বরিক নাম ও গুণাবলীর একত্ব)।
তাওহিদে বিশ্বাসের মূল মন্ত্র কি?
"আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই।" "তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত কর্তৃত্ব তারই। আর তোমরা আল্লাহ্-র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো (যাদের কাছে দুআ করো), তারা তো খেজুর আঁটির উপরে পাতলা আবরণেরও (অতি তুচ্ছ কিছুরও) মালিক নয়।"
কিভাবে তাওহীদ পরিপূর্ণ করা যায়?
উল্লেখ্য যে, তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদে সত্যিকারের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র এই সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল । এটি অর্জন করা দুটি স্তরের, একটি ফরয এবং একটি মুস্তাহাব।
বাচ্চাদের তাওহীদ কিভাবে বুঝানো যায়?
তাওহীদ মানে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করা বা তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক না করা । তাওহীদকেও বোঝা যায় মানুষ একাকী আল্লাহর উপাসনা করে। তাওহীদের শিক্ষা বলতে বিভিন্ন উপায় তৈরি করার প্রচেষ্টা বোঝায় যাতে শিশুরা তাদের জীবনে তাওহীদের ধারণা জানতে, বুঝতে এবং অনুশীলন করতে পারে।
কুরআনে কি তাওহিদ আছে?
কোরান সর্বোপরি আল্লাহর এককতা এবং একক সার্বভৌমত্বের উপর জোর দেয়, আরবি শব্দ তাওহীদ ("একত্ব") দ্বারা নির্দেশিত একটি মতবাদ । তিনি কখনই ঘুমান বা ক্লান্ত হন না, এবং অতিক্রান্ত অবস্থায়, তিনি তাঁর ঐশ্বরিক জ্ঞানের সর্বব্যাপীতার মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় সমস্ত কিছু উপলব্ধি করেন এবং প্রতিক্রিয়া করেন।
তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে
যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে- এর প্রমাণ:-
আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনে হারব রহ…উসমান রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে ইনতিকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
দাউদ ইবনে রুশায়দ রাযি…উবাদা ইবনে সামিত রাযি. থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মদ (সা) তাঁর বান্দা ও রাসূল, ঈসা আ. আল্লাহর বান্দা ও তাঁর দাসীর পুত্র, তাঁর কথা দ্বারা পয়দা হয়েছেন যা তিনি মারয়ামের মধ্যে ঢেলে ছিলেন ( অর্থাৎ কালেমায়ে ‘কুন’ দ্বারা মারয়ামের গর্ভে তাঁকে পয়দা করেছেন) তিনি তাঁর আত্মা, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাতের আটটি তোরণের যেখান দিয়ে সে চাইবে প্রবেশ করাবেন।
তাওহীদের উপরে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,
‘‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ। এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।’’ (নাহলঃ১২০)
২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন,
‘‘আর যারা তাদের রবের সাথে শিরক করে না’’ (মুমিনুনঃ ৫৯)
ছাত্রদেরকে তাওহীদ সম্পৰ্কে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ জ্ঞান দিন
https://www.youtube.com/watch?v=41fcSMqyBmA
তাওহীদ কেন নষ্ট হয়
ঈমান কি | ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই
https://www.youtube.com/watch?v=Gw6lLbp0L-w
বিশুদ্ধ আক্বিদা ও তাওহীদ।
https://www.youtube.com/watch?v=F8ZdZXa3UlE
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
#যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই#তাওহীদ#তাওহিদ#তৌহিদ#Tawheed#Tauhid#Tauheed#Tawhid#আকিদা#তাওহীদশিক্ষা#তৌহীদ#Youtube#Shirk
0 notes
Text
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
youtube
তাওহীদ কি ? যার তাওহীদ নাই তার ইমান নাই.
https://www.youtube.com/watch?v=r8y87s9R-nM
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo&t=79s
তাওহীদ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর অর্থ, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ
https://www.youtube.com/watch?v=eakqz-3FdFE
বিশুদ্ধ/নির্ভেজাল তাওহীদের প্রতিদান।
https://www.youtube.com/watch?v=XSGAy5gOljQ
ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই |
https://www.youtube.com/watch?v=iZOu7jVMBlo&t=34s
তাওহীদ হলো একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। তাওহিদ এর অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছুর ইবাদত বর্জন করে বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিতভাবে সমস্ত বক্তব্য ও কর্ম এবং সমস্ত উপাসনার জন্য আল্লাহকে একচ্ছত্র করা। তাওহীদ স্বীকার করা ও জীবনের সবক���ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করা মুসলিম ব্যক্তির উদ্দেশ্য। তাওহীদ হলো ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রীয় এবং একক অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য, যে ভিত্তির ওপর একজন মুসলমানের পুরো ধর্মীয় অনুষঙ্গটি নির্ভর করে। এটি দ্ব্যর্থহীনভাবে মনে করা হয় যে ইসলাম অনুসারে ঈশ্বরই (আরবি: الله اللهā) এক (আল-আহাদ) এবং একক (আল-ওয়াহাদ)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ' (ঈশ্বর)। #তাওহীদ হলো আল্লাহ তাআলাকে তাঁর কর্মসমূহে, তাঁর নাম ও গুণাবলীতে এবং বান্দার সমস্ত ইবাদতের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে এক, একক ও একমাত্র মানা। তাওহীদের তিনটি অংশ- 1 - তাওহীদ আর রুবুবিয়াহ (আল্লাহর কর্মে ও প্রভুত্বে ঐক্য বজায় রাখা) তিনি একাই হলেন স্রষ্টা (স্রষ্টা) এবং মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণকারী (ইত্যাদি) এবং আল্লাহ কারও কাছে দায়বদ্ধ নন। 2 - তাওহীদ আল ইবাদাহ (উলুহিয়াহ) (বান্দার সমস্ত ইবাদত/উপাসনা একমাত্র আল্লাহর জন্য করা) এবং কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই ... কেবলমাত্র আল্লাহরই কাছে প্রার্থনা ও প্রার্থনা পাবার এবং কুরবানী ও উপাসনা পাবার অধিকার রয়েছে। 3 - তাওহীদ আল-আসমা ’ওয়া’ল সিফাত (আল্লাহর নাম ও বৈশিষ্ট্যের একত্ব) এর অর্থ আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর সত্যতা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বাস করা যে তাঁর নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহর মতো আর কোনো কিছু নেই। আল্লাহর তাওহীদের দিকেই সকলকে আহব্বান করেছেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। (সহীহ আল বুখারী 7372)
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
নিখাঁদ তাওহীদ জান্নাতের নিশ্চয়তা
“‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ ফরমান : যে ব্যক্তি এ মর্মে স্বাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাই নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। আর এ কথাও স্বাক্ষ্য দেবে যে, মুহাম্মদ (সাঃ) তার বান্দাহ ও রাসূল। (আরও ঈমান রাখবে যে,) নিশ্চয়ই ‘ঈসা ('আঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল এবং তার কালিমা, যা তিনি মারইয়ামের মাঝে অনুপ্রবিষ্ট করিয়েছিলেন। আর তিনি তার তরফ হতে রূহ্ বিশেষ। (আরো বিশ্বাস রাখবে যে,) জান্নাত সত্য এবং জাহান্নামও সত্য, তার ‘আমল যা হোক না কেনো, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সহীহুল বুখারী- হাঃ ৩৪৩৫ ও সহীহ মুসলিম- হাঃ ২৮।
তাওহীদের পারিভাষিক অর্থ কি?
তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ । ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলা হয় । তাওহিদের মূল কথা হলো- আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় । তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয় ।
তাওহীদে তিন অংশ কি কি?
তাওহিদকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে; যথা, তাওহিদ আল-রুবুবিয়্যাহ (ঐশ্বরিক প্রভুত্বের একত্ব), তাওহিদ আল-উলুহিয়্যাহ (ঐশ্বরিকতার একত্ব) এবং তাওহীদ আল-আসমা ওয়াল-সিফাত (ঐশ্বরিক নাম ও গুণাবলীর একত্ব)।
তাওহিদে বিশ্বাসের মূল মন্ত্র কি?
"আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই।" "তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত কর্তৃত্ব তারই। আর তোমরা আল্লাহ্-র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো (যাদের কাছে দুআ করো), তারা তো খেজুর আঁটির উপরে পাতলা আবরণেরও (অতি তুচ্ছ কিছুরও) মালিক নয়।"
কিভাবে তাওহীদ পরিপূর্ণ করা যায়?
উল্লেখ্য যে, তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদে সত্যিকারের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র এই সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল । এটি অর্জন করা দুটি স্তরের, একটি ফরয এবং একটি মুস্তাহাব।
বাচ্চাদের তাওহীদ কিভাবে বুঝানো যায়?
তাওহীদ মানে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করা বা তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক না করা । তাওহীদকেও বোঝা যায় মানুষ একাকী আল্লাহর উপাসনা করে। তাওহীদের শিক্ষা বলতে বিভিন্ন উপায় তৈরি করার প্রচেষ্টা বোঝায় যাতে শিশুরা তাদের জীবনে তাওহীদের ধারণা জানতে, বুঝতে এবং অনুশীলন করতে পারে।
কুরআনে কি তাওহিদ আছে?
কোরান সর্বোপরি আল্লাহর এককতা এবং একক সার্বভৌমত্বের উপর জোর দেয়, আরবি শব্দ তাওহীদ ("একত্ব") দ্বারা নির্দেশিত একটি মতবাদ । তিনি কখনই ঘুমান বা ক্লান্ত হন না, এবং অতিক্রান্ত অবস্থায়, তিনি তাঁর ঐশ্বরিক জ্ঞানের সর্বব্যাপীতার মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় সমস্ত কিছু উপলব্ধি করেন এবং প্রতিক্রিয়া করেন।
তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে
যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে- এর প্রমাণ:-
আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনে হারব রহ…উসমান রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে ইনতিকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
দাউদ ইবনে রুশায়দ রাযি…উবাদা ইবনে সামিত রাযি. থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মদ (সা) তাঁর বান্দা ও রাসূল, ঈসা আ. আল্লাহর বান্দা ও তাঁর দাসীর পুত্র, তাঁর কথা দ্বারা পয়দা হয়েছেন যা তিনি মারয়ামের মধ্যে ঢেলে ছিলেন ( অর্থাৎ কালেমায়ে ‘কুন’ দ্বারা মারয়ামের গর্ভে তাঁকে পয়দা করেছেন) তিনি তাঁর আত্মা, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাতের আটটি তোরণের যেখান দিয়ে সে চাইবে প্রবেশ করাবেন।
তাওহীদের উপরে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,
‘‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ। এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।’’ (নাহলঃ১২০)
২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন,
‘‘আর যারা ত��দের রবের সাথে শিরক করে না’’ (মুমিনুনঃ ৫৯)
ছাত্রদেরকে তাওহীদ সম্পৰ্কে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ জ্ঞান দিন
https://www.youtube.com/watch?v=41fcSMqyBmA
তাওহীদ কেন নষ্ট হয়
ঈমান কি | ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই
https://www.youtube.com/watch?v=Gw6lLbp0L-w
বিশুদ্ধ আক্বিদা ও তাওহীদ।
https://www.youtube.com/watch?v=F8ZdZXa3UlE
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
#tawheed#youtube#allah'snature#যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই#তাওহীদ#তাওহিদ#তৌহিদ#Tawheed#Tauhid#Tauheed#Tawhid#আকিদা#তাওহীদশিক্ষা#তৌহীদ#Youtube
0 notes
Text
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
youtube
তাওহীদ কি ? যার তাওহীদ নাই তার ইমান নাই.
https://www.youtube.com/watch?v=r8y87s9R-nM
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo&t=79s
তাওহীদ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর অর্থ, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ
https://www.youtube.com/watch?v=eakqz-3FdFE
বিশুদ্ধ/নির্ভেজাল তাওহীদের প্রতিদান।
https://www.youtube.com/watch?v=XSGAy5gOljQ
ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই |
https://www.youtube.com/watch?v=iZOu7jVMBlo&t=34s
তাওহীদ হলো একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। তাওহিদ এর অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছুর ইবাদত বর্জন করে বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিতভাবে সমস্ত বক্তব্য ও কর্ম এবং সমস্ত উপাসনার জন্য আল্লাহকে একচ্ছত্র করা। তাওহীদ স্বীকার করা ও জীবনের সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করা মুসলিম ব্যক্তির উদ্দেশ্য। তাওহীদ হলো ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রীয় এবং একক অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য, যে ভিত্তির ওপর একজন মুসলমানের পুরো ধর্মীয় অনুষঙ্গটি নির্ভর করে। এটি দ্ব্যর্থহীনভাবে মনে করা হয় যে ইসলাম অনুসারে ঈশ্বরই (আরবি: الله اللهā) এক (আল-আহাদ) এবং একক (আল-ওয়াহাদ)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ' (ঈশ্বর)। #তাওহীদ হলো আল্লাহ তাআলাকে তাঁর কর্মসমূহে, তাঁর নাম ও গুণাবলীতে এবং বান্দার সমস্ত ইবাদতের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে এক, একক ও একমাত্র মানা। তাওহীদের তিনটি অংশ- 1 - তাওহীদ আর রুবুবিয়াহ (আল্লাহর কর্মে ও প্রভুত্বে ঐক্য বজায় রাখা) তিনি একাই হলেন স্রষ্টা (স্রষ্টা) এবং মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণকারী (ইত্যাদি) এবং আল্লাহ কারও কাছে দায়বদ্ধ নন। 2 - তাওহীদ আল ইবাদাহ (উলুহিয়াহ) (বান্দার সমস্ত ইবাদত/উপাসনা একমাত্র আল্লাহর জন্য করা) এবং কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই ... কেবলমাত্র আল্লাহরই কাছে প্রার্থনা ও প্রার্থনা পাবার এবং কুরবানী ও উপাসনা পাবার অধিকার রয়েছে। 3 - তাওহীদ আল-আসমা ’ওয়া’ল সিফাত (আল্লাহর নাম ও বৈশিষ্ট্যের একত্ব) এর অর্থ আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর সত্যতা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বাস করা যে তাঁর নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহর মতো আর কোনো কিছু নেই। আল্লাহর তাওহীদের দিকেই সকলকে আহব্বান করেছেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। (সহীহ আল বুখারী 7372)
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
নিখাঁদ তাওহীদ জান্নাতের নিশ্চয়তা
“‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ ফরমান : যে ব্যক্তি এ মর্মে স্বাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাই নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। আর এ কথাও স্বাক্ষ্য দেবে যে, মুহাম্মদ (সাঃ) তার বান্দাহ ও রাসূল। (আরও ঈমান রাখবে যে,) নিশ্চয়ই ‘ঈসা ('আঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল এবং তার কালিমা, যা তিনি মারইয়ামের মাঝে অনুপ্রবিষ্ট করিয়েছিলেন। আর তিনি তার তরফ হতে রূহ্ বিশেষ। (আরো বিশ্বাস রাখবে যে,) জান্নাত সত্য এবং জাহান্নামও সত্য, তার ‘আমল যা হোক না কেনো, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সহীহুল বুখারী- হাঃ ৩৪৩৫ ও সহীহ মুসলিম- হাঃ ২৮।
তাওহীদের পারিভাষিক অর্থ কি?
তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ । ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলা হয় । তাওহিদের মূল কথা হলো- আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় । তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয় ।
তাওহীদে তিন অংশ কি কি?
তাওহিদকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে; যথা, তাওহিদ আল-রুবুবিয়্যাহ (ঐশ্বরিক প্রভুত্বের একত্ব), তাওহিদ আল-উলুহিয়্যাহ (ঐশ্বরিকতার একত্ব) এবং তাওহীদ আল-আসমা ওয়াল-সিফাত (ঐশ্বরিক নাম ও গুণাবলীর একত্ব)।
তাওহিদে বিশ্বাসের মূল মন্ত্র কি?
"আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই।" "তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত কর্তৃত্ব তারই। আর তোমরা আল্লাহ্-র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো (যাদের কাছে দুআ করো), তারা তো খেজুর আঁটির উপরে পাতলা আবরণেরও (অতি তুচ্ছ কিছুরও) মালিক নয়।"
কিভাবে তাওহীদ পরিপূর্ণ করা যায়?
উল্লেখ্য যে, তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদে সত্যিকারের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র এই সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল । এটি অর্জন করা দুটি স্তরের, একটি ফরয এবং একটি মুস্তাহাব।
বাচ্চাদের তাওহীদ কিভাবে বুঝানো যায়?
তাওহীদ মানে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করা বা তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক না করা । তাওহীদকেও বোঝা যায় মানুষ একাকী আল্লাহর উপাসনা করে। তাওহীদের শিক্ষা বলতে বিভিন্ন উপায় তৈরি করার প্রচেষ্টা বোঝায় যাতে শিশুরা তাদের জীবনে তাওহীদের ধারণা জানতে, বুঝতে এবং অনুশীলন করতে পারে।
কুরআনে কি তাওহিদ আছে?
কোরান সর্বোপরি আল্লাহর এককতা এবং একক সার্বভৌমত্বের উপর জোর দেয়, আরবি শব্দ তাওহীদ ("একত্ব") দ্বারা নির্দেশিত একটি মতবাদ । তিনি কখনই ঘুমান বা ক্লান্ত হন না, এবং অতিক্রান্ত অবস্থায়, তিনি তাঁর ঐশ্বরিক জ্ঞানের সর্বব্যাপীতার মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় সমস্ত কিছু উপলব্ধি করেন এবং প্রতিক্রিয়া করেন।
তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে
যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে- এর প্রমাণ:-
আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনে হারব রহ…উসমান রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে ইনতিকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
দাউদ ইবনে রুশায়দ রাযি…উবাদা ইবনে সামিত রাযি. থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মদ (সা) তাঁর বান্দা ও রাসূল, ঈসা আ. আল্লাহর বান্দা ও তাঁর দাসীর পুত্র, তাঁর কথা দ্বারা পয়দা হয়েছেন যা তিনি মারয়ামের মধ্যে ঢেলে ছিলেন ( অর্থাৎ কালেমায়ে ‘কুন’ দ্বারা মারয়ামের গর্ভে তাঁকে পয়দা করেছেন) তিনি তাঁর আত্মা, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাতের আটটি তোরণের যেখান দিয়ে সে চাইবে প্রবেশ করাবেন।
তাওহীদের উপরে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,
‘‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ। এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।’’ (নাহলঃ১২০)
২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন,
‘‘আর যারা তাদের রবের সাথে শিরক করে না’’ (মুমিনুনঃ ৫৯)
ছাত্রদেরকে তাওহীদ সম্পৰ্কে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ জ্ঞান দিন
https://www.youtube.com/watch?v=41fcSMqyBmA
তাওহীদ কেন নষ্ট হয়
ঈমান কি | ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই
https://www.youtube.com/watch?v=Gw6lLbp0L-w
বিশুদ্ধ আক্বিদা ও তাওহীদ।
https://www.youtube.com/watch?v=F8ZdZXa3UlE
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
#tawheed#tawhid#allah'snature#যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই#তাওহীদ#তাওহিদ#তৌহিদ#Tawheed#Tauhid#Tauheed#Tawhid#আকিদা#তাওহীদশিক্ষা#তৌহীদ#Youtube
0 notes
Text
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
youtube
তাওহীদ কি ? যার তাওহীদ নাই তার ইমান নাই.
https://www.youtube.com/watch?v=r8y87s9R-nM
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo&t=79s
তাওহীদ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর অর্থ, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ
https://www.youtube.com/watch?v=eakqz-3FdFE
বিশুদ্ধ/নির্ভেজাল তাওহীদের প্রতিদান।
https://www.youtube.com/watch?v=XSGAy5gOljQ
ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই |
https://www.youtube.com/watch?v=iZOu7jVMBlo&t=34s
তাওহীদ হলো একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। তাওহিদ এর অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছুর ইবাদত বর্জন করে বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিতভাবে সমস্ত বক্তব্য ও কর্ম এবং সমস্ত উপাসনার জন্য আল্লাহকে একচ্ছত্র করা। তাওহীদ স্বীকার করা ও জীবনের সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করা মুসলিম ব্যক্তির উদ্দেশ্য। তাওহীদ হলো ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রীয় এবং একক অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য, যে ভিত্তির ওপর একজন মুসলমানের পুরো ধর্মীয় অনুষঙ্গটি নির্ভর করে। এটি দ্ব্যর্থহীনভাবে মনে করা হয় যে ইসলাম অনুসারে ঈশ্বরই (আরবি: الله اللهā) এক (আল-আহাদ) এবং একক (আল-ওয়াহাদ)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ' (ঈশ্বর)। #তাওহীদ হলো আল্লাহ তাআলাকে তাঁর কর্মসমূহে, তাঁর নাম ও গুণাবলীতে এবং বান্দার সমস্ত ইবাদতের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে এক, একক ও একমাত্র মানা। তাওহীদের তিনটি অংশ- 1 - তাওহীদ আর রুবুবিয়াহ (আল্লাহর কর্মে ও প্রভুত্বে ঐক্য বজায় রাখা) তিনি একাই হলেন স্রষ্টা (স্রষ্টা) এবং মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণকারী (ইত্যাদি) এবং আল্লাহ কারও কাছে দায়বদ্ধ নন। 2 - তাওহীদ আল ইবাদাহ (উলুহিয়াহ) (বান্দার সমস্ত ইবাদত/উপাসনা একমাত্র আল্লাহর জন্য করা) এবং কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই ... কেবলমাত্র আল্লাহরই কাছে প্রার্থনা ও প্রার্থনা পাবার এবং কুরবানী ও উপাসনা পাবার অধিকার রয়েছে। 3 - তাওহীদ আল-আসমা ’ওয়া’ল সিফাত (আল্লাহর নাম ও বৈশিষ্ট্যের একত্ব) এর অর্থ আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর সত্যতা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বাস করা যে তাঁর নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহর মতো আর কোনো কিছু নেই। আল্লাহর তাওহীদের দিকেই সকলকে আহব্বান করেছেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। (সহীহ আল বুখারী 7372)
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
নিখাঁদ তাওহীদ জান্নাতের নিশ্চয়তা
“‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ ফরমান : যে ব্যক্তি এ মর্মে স্বাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাই নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। আর এ কথাও স্বাক্ষ্য দেবে যে, মুহাম্মদ (সাঃ) তার বান্দাহ ও রাসূল। (আরও ঈমান রাখবে যে,) নিশ্চয়ই ‘ঈসা ('আঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল এবং তার কালিমা, যা তিনি মারইয়ামের মাঝে অনুপ্রবিষ্ট করিয়েছিলেন। আর তিনি তার তরফ হতে রূহ্ বিশেষ। (আরো বিশ্বাস রাখবে যে,) জান্নাত সত্য এবং জাহান্নামও সত্য, তার ‘আমল ��া হোক না কেনো, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সহীহুল বুখারী- হাঃ ৩৪৩৫ ও সহীহ মুসলিম- হাঃ ২৮।
তাওহীদের পারিভাষিক অর্থ কি?
তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ । ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলা হয় । তাওহিদের মূল কথা হলো- আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় । তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয় ।
তাওহীদে তিন অংশ কি কি?
তাওহিদকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে; যথা, তাওহিদ আল-রুবুবিয়্যাহ (ঐশ্বরিক প্রভুত্বের একত্ব), তাওহিদ আল-উলুহিয়্যাহ (ঐশ্বরিকতার একত্ব) এবং তাওহীদ আল-আসমা ওয়াল-সিফাত (ঐশ্বরিক নাম ও গুণাবলীর একত্ব)।
তাওহিদে বিশ্বাসের মূল মন্ত্র কি?
"আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই।" "তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত কর্তৃত্ব তারই। আর তোমরা আল্লাহ্-র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো (যাদের কাছে দুআ করো), তারা তো খেজুর আঁটির উপরে পাতলা আবরণেরও (অতি তুচ্ছ কিছুরও) মালিক নয়।"
কিভাবে তাওহীদ পরিপূর্ণ করা যায়?
উল্লেখ্য যে, তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদে সত্যিকারের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র এই সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল । এটি অর্জন করা দুটি স্তরের, একটি ফরয এবং একটি মুস্তাহাব।
বাচ্চাদের তাওহীদ কিভাবে বুঝানো যায়?
তাওহীদ মানে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করা বা তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক না করা । তাওহীদকেও বোঝা যায় মানুষ একাকী আল্লাহর উপাসনা করে। তাওহীদের শিক্ষা বলতে বিভিন্ন উপায় তৈরি করার প্রচেষ্টা বোঝায় যাতে শিশুরা তাদের জীবনে তাওহীদের ধারণা জানতে, বুঝতে এবং অনুশীলন করতে পারে।
কুরআনে কি তাওহিদ আছে?
কোরান সর্বোপরি আল্লাহর এককতা এবং একক সার্বভৌমত্বের উপর জোর দেয়, আরবি শব্দ তাওহীদ ("একত্ব") দ্বারা নির্দেশিত একটি মতবাদ । তিনি কখনই ঘুমান বা ক্লান্ত হন না, এবং অতিক্রান্ত অবস্থায়, তিনি তাঁর ঐশ্বরিক জ্ঞানের সর্বব্যাপীতার মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় সমস্ত কিছু উপলব্ধি করেন এবং প্রতিক্রিয়া করেন।
তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে
যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে- এর প্রমাণ:-
আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনে হারব রহ…উসমান রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে ইনতিকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
দাউদ ইবনে রুশায়দ রাযি…উবাদা ইবনে সামিত রাযি. থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মদ (সা) তাঁর বান্দা ও রাসূল, ঈসা আ. আল্লাহর বান্দা ও তাঁর দাসীর পুত্র, তাঁর কথা দ্বারা পয়দা হয়েছেন যা তিনি মারয়ামের মধ্যে ঢেলে ছিলেন ( অর্থাৎ কালেমায়ে ‘কুন’ দ্বারা মারয়ামের গর্ভে তাঁকে পয়দা করেছেন) তিনি তাঁর আত্মা, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাতের আটটি তোরণের যেখান দিয়ে সে চাইবে প্রবেশ করাবেন।
তাওহীদের উপরে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,
‘‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ। এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।’’ (নাহলঃ১২০)
২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন,
‘‘আর যারা তাদের রবের সাথে শিরক করে না’’ (মুমিনুনঃ ৫৯)
ছাত্রদেরকে তাওহীদ সম্পৰ্কে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ জ্ঞান দিন
https://www.youtube.com/watch?v=41fcSMqyBmA
তাওহীদ কেন নষ্ট হয়
ঈমান কি | ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই
https://www.youtube.com/watch?v=Gw6lLbp0L-w
বিশুদ্ধ আক্বিদা ও তাওহীদ।
https://www.youtube.com/watch?v=F8ZdZXa3UlE
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
#tawheed#tawhid#allah'snature#whoisallah#যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই#তাওহীদ#তাওহিদ#তৌহিদ#Tawheed#Tauhid#Tauheed#Tawhid#আকিদা#তাওহীদশিক্ষা#তৌহীদ#Youtube
0 notes
Text
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
youtube
তাওহীদ কি ? যার তাওহীদ নাই তার ইমান নাই.
https://www.youtube.com/watch?v=r8y87s9R-nM
তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকলে, ভয় নেই |
https://www.youtube.com/watch?v=aywwO-uMPZo&t=79s
তাওহীদ 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর অর্থ, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ
https://www.youtube.com/watch?v=eakqz-3FdFE
বিশুদ্ধ/নির্ভেজাল তাওহীদের প্রতিদান।
https://www.youtube.com/watch?v=XSGAy5gOljQ
ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই |
https://www.youtube.com/watch?v=iZOu7jVMBlo&t=34s
তাওহীদ হলো একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। তাওহিদ এর অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছুর ইবাদত বর্জন করে বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিতভাবে সমস্ত বক্তব্য ও কর্ম এবং সমস্ত উপাসনার জন্য আল্লাহকে একচ্ছত্র করা। তাওহীদ স্বীকার করা ও জীবনের সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করা মুসলিম ব্যক্তির উদ্দেশ্য। তাওহীদ হলো ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রীয় এবং একক অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য, যে ভিত্তির ওপর একজন মুসলমানের পুরো ধর্মীয় অনুষঙ্গটি নির্ভর করে। এটি দ্ব্যর্থহীনভাবে মনে করা হয় যে ইসলাম অনুসারে ঈশ্বরই (আরবি: الله اللهā) এক (আল-আহাদ) এবং একক (আল-ওয়াহাদ)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ' (ঈশ্বর)। #তাওহীদ হলো আল্লাহ তাআলাকে তাঁর কর্মসমূহে, তাঁর নাম ও গুণাবলীতে এবং বান্দার সমস্ত ইবাদতের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে এক, একক ও একমাত্র মানা। তাওহীদের তিনটি অংশ- 1 - তাওহীদ আর রুবুবিয়াহ (আল্লাহর কর্মে ও প্রভুত্বে ঐক্য বজায় রাখা) তিনি একাই হলেন স্রষ্টা (স্রষ্টা) এবং মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণকারী (ইত্যাদি) এবং আল্লাহ কারও কাছে দায়বদ্ধ নন। 2 - তাওহীদ আল ইবাদাহ (উলুহিয়াহ) (বান্দার সমস্ত ইবাদত/উপাসনা একমাত্র আল্লাহর জন্য করা) এবং কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই ... কেবলমাত্র আল্লাহরই কাছে প্রার্থনা ও প্রার্থনা পাবার এবং কুরবানী ও উপাসনা পাবার অধিকার রয়েছে। 3 - তাওহীদ আল-আসমা ’ওয়া’ল সিফাত (আল্লাহর নাম ও বৈশিষ্ট্যের একত্ব) এর অর্থ আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর সত্যতা নিশ্চিত করা এবং বিশ্বাস করা যে তাঁর নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহর মতো আর কোনো কিছু নেই। আল্লাহর তাওহীদের দিকেই সকলকে আহব্বান করেছেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। (সহীহ আল বুখারী 7372)
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
নিখাঁদ তাওহীদ জান্নাতের নিশ্চয়তা
“‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ ফরমান : যে ব্যক্তি এ মর্মে স্বাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাই নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। আর এ কথাও স্বাক্ষ্য দেবে যে, মুহাম্মদ (সাঃ) তার বান্দাহ ও রাসূল। (আরও ঈমান রাখবে যে,) নিশ্চয়ই ‘ঈসা ('আঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল এবং তার কালিমা, যা তিনি মারইয়ামের মাঝে অনুপ্রবিষ্ট করিয়েছিলেন। আর তিনি তার তরফ হতে রূহ্ বিশেষ। (আরো বিশ্বাস রাখবে যে,) জান্নাত সত্য এবং জাহান্নামও সত্য, তার ‘আমল যা হোক না কেনো, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সহীহুল বুখারী- হাঃ ৩৪৩৫ ও সহীহ মুসলিম- হাঃ ২৮।
তাওহীদের পারিভাষিক অর্থ কি?
তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ । ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলা হয় । তাওহিদের মূল কথা হলো- আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় । তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয় ।
তাওহীদে তিন অংশ কি কি?
তাওহিদকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে; যথা, তাওহিদ আল-রুবুবিয়্যাহ (ঐশ্বরিক প্রভুত্বের একত্ব), তাওহিদ আল-উলুহিয়্যাহ (ঐশ্বরিকতার একত্ব) এবং তাওহীদ আল-আসমা ওয়াল-সিফাত (ঐশ্বরিক নাম ও গুণাবলীর একত্ব)।
তাওহিদে বিশ্বাসের মূল মন্ত্র কি?
"আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই।" "তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত কর্তৃত্ব তারই। আর তোমরা আল্লাহ্-র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো (যাদের কাছে দুআ করো), তারা তো খেজুর আঁটির উপরে পাতলা আবরণেরও (অতি তুচ্ছ কিছুরও) মালিক নয়।"
কিভাবে তাওহীদ পরিপূর্ণ করা যায়?
উল্লেখ্য যে, তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদে সত্যিকারের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র এই সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল । এটি অর্জন করা দুটি স্তরের, একটি ফরয এবং একটি মুস্তাহাব।
বাচ্চাদের তাওহীদ কিভাবে বুঝানো যায়?
তাওহীদ মানে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করা বা তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক না করা । তাওহীদকেও বোঝা যায় মানুষ একাকী আল্লাহর উপাসনা করে। তাওহীদের শিক্ষা বলতে বিভিন্ন উপায় তৈরি করার প্রচেষ্টা বোঝায় যাতে শিশুরা তাদের জীবনে তাওহীদের ধারণা জানতে, বুঝতে এবং অনুশীলন করতে পারে।
কুরআনে কি তাওহিদ আছে?
কোরান সর্বোপরি আল্লাহর এককতা এবং একক সার্বভৌমত্বের উপর জোর দেয়, আরবি শব্দ তাওহীদ ("একত্ব") দ্বারা নির্দেশিত একটি মতবাদ । তিনি কখনই ঘুমান বা ক্লান্ত হন না, এবং অতিক্রান্ত অবস্থায়, তিনি তাঁর ঐশ্বরিক জ্ঞানের সর্বব্যাপীতার মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় সমস্ত কিছু উপলব্ধি করেন এবং প্রতিক্রিয়া করেন।
তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে
যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে- এর প্রমাণ:-
আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনে হারব রহ…উসমান রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে ইনতিকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
দাউদ ইবনে রুশায়দ রাযি…উবাদা ইবনে সামিত রাযি. থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মদ (সা) তাঁর বান্দা ও রাসূল, ঈসা আ. আল্লাহর বান্দা ও তাঁর দাসীর পুত্র, তাঁর কথা দ্বারা পয়দা হয়েছেন যা তিনি মারয়ামের মধ্যে ঢেলে ছিলেন ( অর্থাৎ কালেমায়ে ‘কুন’ দ্বারা মারয়ামের গর্ভে তাঁকে পয়দা করেছেন) তিনি তাঁর আত্মা, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাতের আটটি তোরণের যেখান দিয়ে সে চাইবে প্রবেশ করাবেন।
তাওহীদের উপরে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,
‘‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ। এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।’’ (নাহলঃ১২০)
২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন,
‘‘আর যারা তাদের রবের সাথে শিরক করে না’’ (মুমিনুনঃ ৫৯)
ছাত্রদেরকে তাওহীদ সম্পৰ্কে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ জ্ঞান দিন
https://www.youtube.com/watch?v=41fcSMqyBmA
তাওহীদ কেন নষ্ট হয়
ঈমান কি | ঈমান ছাড়া জান্নাত নাই
https://www.youtube.com/watch?v=Gw6lLbp0L-w
বিশুদ্ধ আক্বিদা ও তাওহীদ।
https://www.youtube.com/watch?v=F8ZdZXa3UlE
যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই
He Who Does Not Have Tawheed Does Not Have Paradise
#tawheed#tawhid#যার মধ্যে তাওহীদ নেই তার জান্নাত নেই#তাওহীদ#তাওহিদ#তৌহিদ#Tawheed#Tauhid#Tauheed#Tawhid#আকিদা#তাওহীদশিক্ষা#তৌহীদ#allah'snature#Youtube
0 notes
Text
কোরআনে তাওহীদের আয়াত
Verses of Tawheed in the Qur'an
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ‘সত্য মাবুদ’
সকল নবী-রাসুলদের দাওয়াত ছিল তাওহীদের
তাওহিদ হল ইসলামে একেশ্বরবাদের ধারণা। তাওহিদ হল ধর্মের কেন্দ্রীয় এবং একক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যার উপর একজন মুসলমানের সম্পূর্ণ ধর্মীয় আনুগত্য নির্ভর করে। এটা দ্ব্যর্থহীনভাবে মনে করে যে ঈশ্বর অবিভাজ্যভাবে এক এবং একক। তাওহিদ মুসলিমদের আত্মসমর্পণের সর্বাগ্রে ।
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ‘সত্য মাবুদ’
আল্লাহ্র একত্ব বা তাওহীদ হলো ইসলামের মূল রূহ ও প্রথম শিক্ষা। ‘ইবাদতের জন্য একমাত্র আল্লাহ্কে একক গণ্য করাই হলো ‘তাওহীদ। বান্দা হিসাবে তার আক্বীদা ও আমলগত প্রত্যেকটি বিষয় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নির্দ���ষ্ট করা হলো ‘তাওহীদ’। আর ‘বান্দার উপর প্রথম ওয়াজিব একমাত্র মহান আল্লাহর ইবাদত সম্পাদনের মাধ্যমে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা। তাওহীদের শিক্ষা অর্জন করা, তাওহীদকে বুঝা প্রত্যেক ব্যক্তির ফরয দায়িত্ব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আপনি জেনে নিন যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো মা‘বূদ নেই’ (মুহাম্মাদ ১৯)। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম নাযিল হয়েছে, ‘আপনি পাঠ করুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন’ (সূরা আলাক্ব ১)। তাওহীদ প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্যই আল্লাহ প্রত্যেক জাতির মাঝে রাসূল প্রেরণ করেছেন (নাহল ৩৬)।
আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ‘সত্য মাবুদ’
তাওহীদ হলো ইসলামের মূল রূহ ও প্রথম শিক্ষা। ‘ইবাদতের জন্য একমাত্র আল্লাহ্কে একক গণ্য করাই হলো ‘তাওহীদ। বান্দা হিসাবে তার আক্বীদা ও আমলগত প্রত্যেকটি বিষয় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নির্দিষ্ট করা হলো ‘তাওহীদ’। আর ‘বান্দার উপর প্রথম ওয়াজিব একমাত্র মহান আল্লাহর ইবাদত সম্পাদনের মাধ্যমে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা। তাওহীদের শিক্ষা অর্জন করা, তাওহীদকে বুঝা প্রত্যেক ব্যক্তির ফরয দায়িত্ব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আপনি জেনে নিন যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো মা‘বূদ নেই’ (মুহাম্মাদ ১৯)। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম নাযিল হয়েছে, ‘আপনি পাঠ করুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন’ (সূরা আলাক্ব ১)। তাওহীদ প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্যই আল্লাহ প্রত্যেক জাতির মাঝে রাসূল প্রেরণ করেছেন (নাহল ৩৬)।
আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
আল্লাহঃ একমাত্র প্রশংসাযোগ্য ও সর্বশক্তিমান সত্তার প্রকৃত নাম।
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্ব�� সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
আল্লাহ্ কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। আল্লাহ্ই একমাত্র এই গুণ-বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। আল্লাহর সমতুল্য এবং সমকক্ষ কেউ নেই। আল্লাহ্ কারো মুখাপেক্ষী নন বরং সকল সৃষ্টি তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনিই প্রত্যেক সৃষ্টির রিযিকদাতা। তিনি শরিক থেকে মুক্ত জগতসমুহের একমাত্র রব ও একমাত্র ইলাহ্, জগতসমুহে তাঁর সদৃশ কোন কিছুই নেই।
youtube
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
তাওহিদ সমস্ত ইসলামী বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ঈশ্বর'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
সহজভাবে তাওহীদ শিখুন
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্ একমাত্র সত্য উপাস্য
আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ‘সত্য মাবুদ’
আল্লাহর অবিভাজ্য একত্বই তাওহিদ
কোরআনে তাওহীদের আয়াত
#allahswt#tawheed#tawhid#allah'snature#99namesofallah#TawheedintheQur'an#Verses of Tawheed in the Qur'an#AttributesofAllah#Allah'sAttributes#WhoIsAllah#Allah'sNature#Allah#Tawheed#Tauhid#LAILAHAILLALLAH#Monotheism#Allah'sUniqueness#Tawhid#LAILAHAILLALLH#SHAHADAH#SHAHADA#TAWHEED#TAWHID#TAUHID#TOUHID#DHIKIR#DUA#ARAFADAY#DU'A#ZIKIR
0 notes