#জলপাই তেল
Explore tagged Tumblr posts
Text
Can Olive Oil Help Get Rid Of Snoring? Experts Debunk Myth - News18
ঘুমের সময় শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে গেলে নাক ডাকা হয়। নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা যা নাক ডাকা এবং তাদের ঘুমন্ত সঙ্গী উভয়ের ঘুমকে ব্যাহত করে। এটি একটি পরিচিত সত্য যে অলিভ অয়েল শুধুমাত্র খাবারে স্বাদ যোগ করার জন্যই নয়, আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর এর ইতিবাচক প্রভাবের জন্যও উপকারী। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এটি আপনার নাক ডাকার সমস্যারও সমাধান হতে পারে? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা যা নাক ডাকা…
View On WordPress
#অলিভ অয়েল নাক ডাকা প্রতিরোধ করে#অলিভ অয়েল বৈজ্ঞানিক প্রমাণ#জলপাই তেল#জলপাই তেল স্বাস্থ্য উপকারিতা#ডাঃ রবি শেখর ঝা#ডাঃ শিবকুমার কে#বিরোধী প্রদাহজনক বৈশিষ্ট্য
0 notes
Text
জলপাইয়ের কত গুণ! ভিটামিন ই, লৌহ, খনিজ, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম—কী নেই ছোট্ট এই ফলে। ত্বক, চুল কিংবা খাবার সবকিছুতেই বেশ জাদুকরি জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল। শীতের ছোবল থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে অনেকে হয়তো কিনেও রেখেছেন এক শিশি জলপাই তেল। আসুন জেনে নিই এই তেল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা।
1 note
·
View note
Text
চুল ও ত্বকের এবং শরীরের যত্নে সুন্নতী জয়তুন তেল। (৩)
১৩,মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করতে ও শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে জয়তুন তেল অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। চুলের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপাদান জয়তুন তেল দিয়ে তৈরি। চুলের সঠিক পুষ্টি, কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে। চুলকে নরম ও মসৃণ করতে, হাইড্রেট করতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে জয়তুন তেলের বিকল্প নেই।
১৪,জয়তুন তেল রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। মাথার ত্বকে খুশকি ও শুষ্কতা দূর করতেও সাহায্য করে। জয়তুন তেল থাকা কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুশকির কারণে যে জ্বালাভাব, চুলকানি ও প্রদাহ তৈরি হয়, তা প্রশমন করতে সাহায্য করে।
১৫,জয়তুন তেল ব্যবহারে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আর্দ্রতা বজায় থাকে। তাতে চুল হয় মসৃণ ও ঝলমলে। চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা কমাতে জয়তুন তেল জুড়ি নেই। স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে করে তুলতেও জয়তুন তেল ব্য়বহার করতে পারেন। এতে ��য়েছে স্কোয়ালিন ও ওলিক অ্যাসিডের মত উপাদান, যা চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও বিভক্ত হওয়া প্রতিরোধ করে।
১৬, জয়তুনে আছে ভিটামিন ই। এটা শরীরে যেভাবে প্রয়োগ করা হোক না কেন আলট্রাভায়োলেট র��ডিয়েশন থেকে চামড়াকে রক্ষা করে। যা স্কিন ক্যান্সার থেকে মানুষকে রক্ষা করে। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল মুখে মাখলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। গোসলের আগেও জয়তুন তেল শরীরে মাখলে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে চামড়া ভালো থাকে।
১৭, জয়তুন তেল অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। জয়তুনে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
১৮,ইমাম আস-সুয়ুতি মন্তব্য করেছেন যে মলম হিসাবে জলপাই তেল ব্যবহার করলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে মজবুত হবে এবং ফলস্বরূপ ব্যথা বেদনা দুর হবে।
১৯,তিনি আরও মন্তব্য করেন যে মাড়ির উপর সাধারণ লবণ দিয়ে জয়তুন তেল মালিশ করা মাড়ি এবং দাঁতের বিভিন্ন রোগের প্রতিকার।
২০,দীর্ঘস্থায়ী আলসার এবং ফোঁড়া, যা নিরাময়ের কঠিন অবস্থা দেখায়, সাধারণত জয়তুন তেল ব্যবহারে সেরে যায়।
২১,মানুষের শরীর সহজেই জলপাই তেল শুষে নেয়।
২২,জলপাইয়ের তেলের স্থানীয় প্রয়োগ বা জলপাইয়ের পাতার গুঁড়ো করা পানি ফোঁড়া, ফুসকুড়ি এবং চুলকানিতে কার্যকর।
খাবারে জয়তুন তেল:
১,‘খাবারে জয়তুনের তেল ব্যবহারের ফলে শরীরের ব্যাড কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ হয় এবং গুড কোলেস্টেরল জন্ম হয়। তাছাড়া পাকস্থলীর জন্য এ তেল অনেক উপকারী।
২,যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে, তখন হার্টএ্যটাক করার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। জয়তুনের তেল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। জয়তুনে রয়েছে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা আমাদের হার্টের জন্য উপকারী।
১০০% বিশুদ্ধ সুন্নতী জয়তুন ফল ,সুন্নতি জয়তুন তেল পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচারকেন্দ্রে 01782-255-244
0 notes
Text
মাসিকের ব্যথা কমাতে খাদ্যের ভূমিকা./Role of diet in reducing menstrual pain
মেয়েদের এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণগুলো যন্ত্রণাদায়ক। যেমন মাসিকের সময় ভারী রক্তপাত, ব্যথা, মল ও প্রস্রাবে রক্ত, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পিঠে ব্যথা। এন্ডোমেট্রিওসিসে ব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ হলো প্রদাহ। তাই প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করা, শরীরের হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখা, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করা ও জরায়ুর সংকোচনকে ঠিক রাখতে আদর্শ খাদ্যতালিকা মেনে চলা উচিত।
● খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও ওমেগা-থ্রিযুক্ত খাবার রাখতে হবে। যেমন আখরোট; তিসি বীজ; চিয়া বীজ; জলপাই তেল; চর্বিযুক্ত মাছ যেমন ইলিশ, পাঙাশ, টুনা ইত্যাদি।
● এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত রোগীর ভারী রক্তপাত হয়, যাতে পরে রক্তস্বল্পতা হতে পারে। এ জন্য আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আয়রন শরীরে শোষণ করার জন্য সঙ্গে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছে ডালিম, বিটরুট, ডিম, ডাল, সবুজ শাকসবজি, চর্বিছাড়া মাংস, ছোলা ইত্যাদি।
● নিয়মিত হলুদ ও সবুজ রঙের শাকসবজি খাওয়া উচিত। এ ছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি খাওয়া ভালো। প্রতিদিন একটি বা তার বেশি সাইট্রাস ফল খাওয়া উচিত।
click here
0 notes
Photo
ব্রুশেটা ইতালির একটি অ্যান্টিপাস্টো (স্টার্টার ডিশ) যা রসুনের সাথে ঘষে গ্রিলড রুটি এবং জলপাই তেল এবং লবণ (নানান হারব) দিয়ে টাইপিং হয়ে থাকে। বিভিন্নতার জন্য টমেটো, শাকসব্জী, মটরশুটি, মাংস বা চিজ টপিং অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ইতালিতে, ব্রুসচেটা প্রায়শই ব্রুস্টোলিনা গ্রিল ব্যবহার করে প্রস্তুত করা হয়। 👇 #travellermoonu #chefmoonuskitchen #moonuandco #chefmoonu #chefkolkata #bongfoodie #thefoodietraveller #travel #instagramfood #instafood #calcuttafoodie #feedyoursoul #chefstalk #foodblogger #kolkatagram #kolkatadiaries #kolkatafoodie #bengalifood #dhakafoodie #Kolkata #calcutta #foodaddict #delicious #foodie #foodlovers #foodporn #indianfood #chef #cheflife (at Kolkata) https://www.instagram.com/p/Cn131P0P-c3/?igshid=NGJjMDIxMWI=
#travellermoonu#chefmoonuskitchen#moonuandco#chefmoonu#chefkolkata#bongfoodie#thefoodietraveller#travel#instagramfood#instafood#calcuttafoodie#feedyoursoul#chefstalk#foodblogger#kolkatagram#kolkatadiaries#kolkatafoodie#bengalifood#dhakafoodie#kolkata#calcutta#foodaddict#delicious#foodie#foodlovers#foodporn#indianfood#chef#cheflife
0 notes
Photo
মিষ্টি মটি ঝাল জলপাই মোরব্বা। শরৎকালে আমাদের বঙ্গে কাঁচা জলপাই খুব পাওয়া যায় আর তা দিয়ে বাঙালির রান্না ঘরে খাবার হবেনা তা কি হয়? চলুন আজ বানাই টক ঝাল জলপাই মোরব্বা। উপাদান ৫০০ গ্রাম পাকা জলপাই ২৫০ গ্রাম গুড় ২ চা চামচ লবণ ২ চা চামচ মৌরী গোটা ১ চা চামচ ধনিয়া গোটা ২ টি ছোট শুঁকনো লঙ্কা ২ টি তেজপাতা ৩ টেবিল চামচ তেল কিভাবে তৈরি করবেন: অল্প জলে জলপাই ধুয়ে নিন এবং তা ছোট ছোট করে কাটুন। তারপর তা খোলা স্থানে একটু শুকাতে দিন। মৌরি, ধনিয়া ও শুকনো লঙ্কা গরম তায়াতে একটু ভেজে নিন। ভাজা হলে শিলনোড়া অথবা মিক্সসিতে তা গুঁড়ো করে নিন, খেয়াল রাখবেন মশলা যেন একদম গুঁড়ো না হয়ে যায়। মশলা দানাদার রাখতে হবে কারণ মোরব্বার স্বাদকে এই মশলাই ত্বরান্বিত করে। এবার কড়াইতে তেল ও তেজপাতা দিন, তেল গরম হয়ে এলে কাটা জলপাই গুলি তেলে দিয়ে মিনিট ১০ ভাজুন। মাসল এবার উপর থেকে জলপাইয়ের উপর ভালো করে ছড়িয়ে দিন এবং তা ভালো করে মেশান। সর্বশেষ গুড় কে আলাদা একটি পাত্রে একটু জল দিয়ে জাল দিন। খেয়াল রাখবেন গুড় যেন পুরোপুরি আঁঠালো ভাব না হয়। জলপাই গুলি ভাজার সময় শেষে উপর থাকে গুড়ের ওই তরল ঢেলে দিন ও ভালো করে জাল দিন। জেলির মতো আঠালো হয়ে এলে তা নামিয়ে নিন। এবার এই মিষ্টি ঝাল জলপাই মোরব্বা। চের বয়ামে বা বাটিতে ২-১ দিন রোদে রাখুন। আপনার টক ঝাল জলপাই মোরব্বা প্রস্তুত। দারুন স্বাদ এর এই মিষ্টি ঝাল জলপাই মোরব্বা পরিবেশন করুন। #travellermoonu #chefmoonuskitchen #moonuandco #chefmoonu #chefkolkata #Kolkatatravel #thefoodietraveller #travelphotography #instakolkata #instafood #restaurant #feedyoursoul #chefstalk #kolkatalogger #kolkatagram #kolkatafoodie #bengalifood #dhakafoodie #Kolkata #calcutta #westbangal #olddhaka #kolkatatrip #kolkatalove #bangali #bengallife #chef #cheflife (at West Bengal,India-পশ্চিমবঙ্গ,ভারতবর্ষ) https://www.instagram.com/p/CkqvJtGhaL6/?igshid=NGJjMDIxMWI=
#travellermoonu#chefmoonuskitchen#moonuandco#chefmoonu#chefkolkata#kolkatatravel#thefoodietraveller#travelphotography#instakolkata#instafood#restaurant#feedyoursoul#chefstalk#kolkatalogger#kolkatagram#kolkatafoodie#bengalifood#dhakafoodie#kolkata#calcutta#westbangal#olddhaka#kolkatatrip#kolkatalove#bangali#bengallife#chef#cheflife
0 notes
Text
অলিভ অয়েলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
অলিভ অয়েলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
অলিভ অয়েল বেসিক আপনি সম্পূর্ণ জলপাই পিষে বা টিপে এবং যে তেল বের হয়ে যায় তা সংগ্রহ করে জলপাই তেল পান। সব ধরনের খাবারেই অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এটি দিয়ে রান্না করতে পারেন, এটি রুটি, পাস্তা বা সালাদে গুঁজে দিতে পারেন বা বেকড পণ্যের উপাদান হিসাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। সর্বোপরি, এটি স্বাস্থ্য সুবিধার সম্পূর্ণ হোস্টের সাথে আসে। অলিভ অয়েলের প্রকারভেদ অলিভ অয়েল তিন ধরনের বা গ্রেডের…
View On WordPress
0 notes
Text
ফলের তৈরি ৫টি মজার খাবার, সাথে ভরপুর ভিটামিন সি
নিউজনাউ ডেস্ক: লেবু, সাতকরা, কমলা কিংবা মাল্টা—সাইট্রাস গোত্রের ফলগুলো ভিটামিন সি-তে ভরা। টক তো বটেই, কোনোটায় মিষ্টি স্বাদও মেলে। এই ফলগুলো দিয়ে তৈরি করা যায় ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন পদ। সাতকরার আচার উপকরণ: সাতকরা (মাঝারি) ৪টি, জলপাই ১০টি, কিশমিশ ২৫ গ্রাম, আলু বোখারা ২৫ গ্রাম, খেজুর ২৫ গ্রাম, তেল ৪ টেবিল চামচ, ১টি শুকনা মরিচের কুচি, রসুনকুচি ৪ কোয়া, শর্ষেবাটা আধা চা-চামচ, পাঁচফোড়নগুঁড়া আধা চা-চামচ,…
View On WordPress
0 notes
Text
চুল ও ত্বকের এবং শরীরের যত্নে সুন্নতী জয়তুন তেল। (৩)
১৩,মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করতে ও শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে জয়তুন তেল অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। চুলের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপাদান জয়তুন তেল দিয়ে তৈরি। চুলের সঠিক পুষ্টি, কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে। চুলকে নরম ও মসৃণ করতে, হাইড্রেট করতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে জয়তুন তেলের বিকল্প নেই।
১৪,জয়তুন তেল রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। মাথার ত্বকে খুশকি ও শুষ্কতা দূর করতেও সাহায্য করে। জয়তুন তেল থাকা কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুশকির কারণে যে জ্বালাভাব, চুলকানি ও প্রদাহ তৈরি হয়, তা প্রশমন করতে সাহায্য করে।
১৫,জয়তুন তেল ব্যবহারে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আর্দ্রতা বজায় থাকে। তাতে চুল হয় মসৃণ ও ঝলমলে। চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা কমাতে জয়তুন তেল জুড়ি নেই। স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে করে তুলতেও জয়তুন তেল ব্য়বহার করতে পারেন। এতে রয়েছে স্কোয়ালিন ও ওলিক অ্যাসিডের মত উপাদান, যা চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও বিভক্ত হওয়া প্রতিরোধ করে।
১৬, জয়তুনে আছে ভিটামিন ই। এটা শরীরে যেভাবে প্রয়োগ করা হোক না কেন আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন থেকে চামড়াকে রক্ষা করে। যা স্কিন ক্যান্সার থেকে মানুষকে রক্ষা করে। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল মুখে মাখলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। গোসলের আগেও জয়তুন তেল শরীরে মাখলে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে চামড়া ভালো থাকে।
১৭, জয়তুন তেল অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। জয়তুনে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
১৮,ইমাম আস-সুয়ুতি মন্তব্য করেছেন যে মলম হিসাবে জলপাই তেল ব্যবহার করলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে মজবুত হবে এবং ফলস্বরূপ ব্যথা বেদনা দুর হবে।
১৯,তিনি আরও মন্তব্য করেন যে মাড়ির উপর সাধারণ লবণ দিয়ে জয়তুন তেল মালিশ করা মাড়ি এবং দাঁতের বিভিন্ন রোগের প্রতিকার।
২০,দীর্ঘস্থায়ী আলসার এবং ফোঁড়া, যা নিরাময়ের কঠিন অবস্থা দেখায়, সাধারণত জয়তুন তেল ব্যবহারে সেরে যায়।
২১,মানুষের শরীর সহজেই জলপাই তেল শুষে নেয়।
২২,জলপাইয়ের তেলের স্থানীয় প্রয়োগ বা জলপাইয়ের পাতার গুঁড়ো করা পানি ফোঁড়া, ফুসকুড়ি এবং চুলকানিতে কার্যকর।
খাবারে জয়তুন তেল:
১,‘খাবারে জয়তুনের তেল ব্যবহারের ফলে শরীরের ব্যাড কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ হয় এবং গুড কোলেস্টেরল জন্ম হয়। তাছাড়া পাকস্থলীর জন্য এ তেল অনেক উপকারী।
২,যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে, তখন হার্টএ্যটাক করার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। জয়তুনের তেল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। জয়তুনে রয়েছে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা আমাদের হার্টের জন্য উপকারী।
১০০% বিশুদ্ধ সুন্নতী জয়তুন ফল ,সুন্নতি জয়তুন তেল পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচারকেন্দ্রে 01782-255-244
0 notes
Text
রান্নাঘর আর বাড়ীর মা-রা
একান্নবর্তী পরিবারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল রান্নাঘর যা তখন কিচেন নামে পরিচিত হয়ে ওঠেনি। বর্তমানের মডিউলার কিচেন তো স্বপ্ন।
ভোর থেকে শুরু হতো সাজ সাজ রব। কর্তাদের চা, খোকাদের দুধ আর ব্যতিক্রমী বড় খোকা বা ছোট খোকার লেবু দেওয়া গরম জল। জলখাবার এর পর্ব মিটতে মিটতে চলতো কাটাকুটি আর গপ্পো। সাধারণত এই রান্নাঘরে একজন অঘোষিত নেত্রী থাকতেন যার নজরে থাকতো সব কিছুই।
শিল নোড়ার ভার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ীর সবচেয়ে পুরোনো গৃহকর্মীর হাতে থাকতো। পুরো রান্নাই হতো বাঁটা মশালাতে। সব্জি কাটাকুটির দায় পড়তো বাড়ির মেয়ে ও নতুন বিয়ে হয়ে আসা বউদের। এনারা সঠিক প্রশিক্ষণ পেয়ে পরবর্তী কালে রান্নার মহাগুরুতে পরিণত হতেন।
এই রান্নাঘর থেকে যে অমৃত পরিবেশিত হতো সেগুলো যথাক্রমে - সব্জি ডাল, তিতা ডাল, আম ডাল, হিং দিয়ে অড়হর ডাল, নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল।
ভাজা থাকতো আলু, বেগুন, কুমড়ো ফুল, বড়ি এছাড়া লাউয়ের খোসা ভাজা থেকে আলুর খোসা ভাজা পোস্ত দিয়ে। সাদা তিল দিয়ে শুক্তো একথালা ভাত উড়িয়ে দেওয়া জন্য যথেষ্ট।
এছাড়া কাঁচা কলা খোসা, কাচা লঙ্কা, কালোজিরা আর রসুন দিয়ে বাটা খাওয়ার জন্য বহু বহু দুর হেঁটে চলে যাওয়া যায়। আর দোসর নারকেল আর সর্ষে দিয়ে মান বাটা। এই মান বাটা খেয়ে অনেকের অভিমান ধুলোয় গড়াগড়ি খেয়েছে নিশ্চিত।
তাছাড়া এচোঁড় মোচা পটল ছানার ডালনা ধোঁকার ডালনা এই রান্নাঘর ��ুলোতে আলো করে থাকতো। আগে মাছ টা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশি হতো - তার ফিরিস্তি দিতে গেলে ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাবে। তবুও চিতল মাছের মুইঠ্যা, কই হরগৌরী, ইলিশ পাতুরি, ভেটকি পাতুরি, ঝাল ঝাল মৌরালা বা ডিম ভরা ট্যাঙ্গরা। কালো জিরা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে পাবদা বা ইলিশ তেল দিয়ে কাঁচা লঙ্কা আর নুন দিয়ে গরম ভাত। মাছের কাঁটাচচ্চড়ি মাঝে মাঝে গেস্ট অ্যাপ্যারেন্স হতো! তাতেই সব কিছুই মাত।
পেঁপে আর বড় বড় আলু দিয়ে মাংসের ঝোল আর নামানোর ঠিক আগে বাটনায় করা গরম মশলা আর সাথে লেবু এই ছিলো রবিবার গুলোর বিলাসিতা। আমের চাটনী অম্বল, জলপাই, চালতা এই গুলো ছিলো শেষ পাতের অহংকার।
এছাড়া ঘুঘনি আলুর দম মালপোয়া পিঠে পুলি এই গুলো মাঝে মাঝেই হানা দিত খাওয়ার পাতে।
বাড়ীর সবাই কে খাইয়ে তারপর এই মহারথীরা একটু বিশ্রাম নিতো। কখনো কখনো আচমকা চলে আসা মানুষ জনও চাট্টি ভাত খেয়ে নিস্তার পেত। আর এই করতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ীর জেঠিমা রাঙ্গা মা মনিমা রা আধাপে��া খেয়ে কাটাতো মুখ মিষ্টি করে। অনেকের জীবনের অনেক অপ্রাপ্তি এরা ঐ উনুনের ধোঁয়াতে কখনও ফোঁড়নের ঝালে আসা চোখের জলটা সব দুঃখের সাথে মিশিয়ে ফেলতো অবলীলায়।
সেইসব বড় মা, মেজ মা, ভালো মা, রাঙ্গা মা আর মনিমা রা যেখানেই থেকো ভালো থেকো। আজ শুধু রান্নাঘরের চাকচিক্য বেড়েছে, গালভরা বিদেশী নাম হয়েছে। কিন্তু গুনে আর স্বাদে আগের ভ্যাপসা, কালিপড়া রান্নাঘর এদের জাস্ট ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেবে।
From Social Media - full credit goes to the respected unknown creator. Thank You.
0 notes
Photo
অ্যাঞ্চুভিজ লিমা বিন পাস্তা সালাদ। উপকরণ:- ২০০ গ্রাম ফুসিলি পাস্তা, ১০০ গ্রাম লিমা বিন ( সবুজ শিম দানা ) ৫০ গ্রাম গ্রেডকরা চিজ, ৫০ গ্রাম অ্যাঞ্চুভিজ ফিস ( আমুদি মাছ ) ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ জলপাই তেল, লবণ এবং গোল মরি�� গুঁড়ো সাদ অনুজাই। উপকরণ প্রণালী:- পাস্তা এবং বিন একটু নুন দিয়ে আগে সেদ্ধ করুন। অ্যাঞ্চুভিজ ফিস প্রীজাভ করা ব্যবহার করুন। ( এটি মাল্টি স্টোরে পাওয়া যায়। ) অথবা এককথায় আমুদি মাছ ব্যবহার করুন। একে একে উপরের সমস্ত উপাদান একটি পাত্রে রাখুন এবং সবকিছু সমানভাবে একত্রিত করে একসাথে মেশান। সালাদ পরিবেশন করার সময় গ্রেডকরা চিজ উপর দিয়ে দিন। . @chefmoonuskitchen @moonunco . #chefmoonu #travellermoonu #chefkolkata #moonuandco #chefmoonuskitchen #instagramfood #instafood #restaurant #feedyoursoul #chefstalk #foodblogger #kolkatagram #kolkatafoodie #bengalifood #dhakafoodie #Kolkata #calcutta #foodaddict #olddhaka #delicious #foodie #foodlovers #foodporn #foodgasm #chef #cheflife (at Kolkata, India) https://www.instagram.com/p/CPc0-F_gsXH/?utm_medium=tumblr
#chefmoonu#travellermoonu#chefkolkata#moonuandco#chefmoonuskitchen#instagramfood#instafood#restaurant#feedyoursoul#chefstalk#foodblogger#kolkatagram#kolkatafoodie#bengalifood#dhakafoodie#kolkata#calcutta#foodaddict#olddhaka#delicious#foodie#foodlovers#foodporn#foodgasm#chef#cheflife
0 notes
Photo
এই সতেজ গ্রীক গ্রীল টমেটো সালাদ ভাজা মাংস বা মাছের সাথে ভালো লাগে। এটি খেতে সুস্বাদু, তবে রেসিপিতে বিনা দ্বিধায় আপনি—মোজারেলা অথবা ফেটা চীজ বা ভাজা বেকন যোগ করলে সত্যিই খাবারটি অসাধারণ লাগে। উপকরণ ২ টি লাল রঙের টমেটো ১০০ গ্রাম ফেটা চীজ ১/৪ চা চামচ কোশের লবণ ১ টি কাটা শসা ১ টি পাতলা করে কাটা লাল পেঁয়াজ ৩-৪ টি কাটা জলপাই ১ চা চামচ অরিগানো পাতা ১ টেবিল চামচ জলপাই তেল ১/২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ লেবুর রস তৈরী পদ্ধতিঃ একটি বড় গ্রিল পাত্রে স্লাইস টমেটো এ বং লবণ একত্রিত করুন। ৫ মিনিট দাঁড়াতে দিন। শেষে টোম্যাটো কে গ্রিল করে নিন। শসা, পেঁয়াজ, জলপাই, অরিগানো পাতা, জলপাই তেল, লেবুর রস এবং চূর্ণ গোল মরিচ যোগ করুন এবং টস করুন। সর্বশেষে সালাদ বাটিতে সালাদের উপকরণ গুলি ঢেলে গ্রিল টমেটো দিন এবং তার উপর ফেটা চীজ দিয়ে পরিবেশন করুন। Review ⭐️⭐️⭐️ Out of Five #travellermoonu #chefmoonuskitchen #moonuandco #chefmoonu #chefkolkata #facebookpost #thefoodietraveller #travelphotography #instagramfood #instafood #restaurant #feedyoursoul #chefstalk #foodblogger #kolkatagram #kolkatafoodie #bengalifood #dhakafoodie #Kolkata #calcutta #foodaddict #olddhaka #delicious #foodie #foodlovers #foodporn #indianfood #chef #cheflife (at Kolkata) https://www.instagram.com/p/Ckj0NogB1bK/?igshid=NGJjMDIxMWI=
#travellermoonu#chefmoonuskitchen#moonuandco#chefmoonu#chefkolkata#facebookpost#thefoodietraveller#travelphotography#instagramfood#instafood#restaurant#feedyoursoul#chefstalk#foodblogger#kolkatagram#kolkatafoodie#bengalifood#dhakafoodie#kolkata#calcutta#foodaddict#olddhaka#delicious#foodie#foodlovers#foodporn#indianfood#chef#cheflife
0 notes
Text
ত্বকের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
ত্বকের শুষ্কতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক শীতে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা যায় তা হল ত্বকের শুষ্কতা। তৈলাক্ত ত্বকও এসময় মলিন হয়ে যায়, অনেকের ত্বক ফেটে যায়। তাই এসময় ত্বকের প্রয়োজন একটু বাড়তি যত্ন। অনেকেই ঘর ও অফিস বা পড়াশোনা সামলে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় পান না। তাই বাড়িতেই কিছু ঘরোয়া উপায়ে আপনি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারেন। জলপাই তেল অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বককে সতেজ রাখে…
View On WordPress
0 notes
Text
কাব্যগ্রন্থ "শব্দের অনন্ত অন্তর": বোধের দায়বদ্ধতায় সাহসী পদক্ষেপ ও দুষ্ট চক্রব্যূহ ভেদে সীমাবতা
New Post has been published on https://is.gd/rxP4mJ
কাব্যগ্রন্থ "শব্দের অনন্ত অন্তর": বোধের দায়বদ্ধতায় সাহসী পদক্ষেপ ও দুষ্ট চক্রব্যূহ ভেদে সীমাবতা
সৌমেন দেবনাথ : কবি মনিরুল মনির মূল্যবোধ-দায়বোধ, ত্যাগ-বিশ্বাস থেকে কবিতার পটচিত্র নির্মাণ করেন। তাঁর "শব্দের অনন্ত অন্তর" তারই চিহ্ন বহন করছে। কথাসর্বস্ব, শব্দসর্বস্ব মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, কর্মপাগলের সংখ্যা বিলুপ্তির পথ ধরেছে। বাগবাগিশের উলঙ্গ শিখায় মেতে নিত্য নতুন চাতুর্যতা করে চলেছে মানুষ। বিশ্ব মোড়লরা প্রতিদিনই নতুন নতুন জোট বাঁধছে, প্রতিদিনই মানবিক মূল্যবোধহীন বক্তব্য দিচ্ছে, এক অন্যের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে বাণিজ্য অবরোধ। পুঁজিবাদী শক্তির এই বৈশ্বিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জীবধাত্রী ধরিত্রীর বুকে চির অশান্তি বিরাজ করছে। এসব বাস্তব সংঘাত, সংগ্রাম, সমস্যা, সংকট, গ্লানি, ঘৃণা, দহন, পীড়ন, প্রেম, দর্শন, যন্ত্রণার মর্মমূলে কবি প্রবেশ করে ছন্দ, উপমা, রূপকতা, চিত্রকল্প, অলংকরণ, কাব্যময়তা, রহস্যময়তা, কবিতার ভেতর অনুপম গল্প সৃষ্টি করে "শব্দের অনন্ত অন্তর" রচনা করেছেন। কবির সংবেদনশীল হৃদয় থেকে স্বপ্ন, প্রেম, নারী, প্রকৃতি কিছুই বাদ পড়েনি। কবির কবিতায় অজানা সুখানুভব বিরাজ করছে শুধু তাঁর উপস্থাপনায় অভিনবত্ব গুণের জন্য। কবিতার দৃশ্যমান সৌন্দর্য স্পর্শ করা যায় না, উপলব্ধিতে বসন্ত সমীরণ খেলে যায়, সংশয় আর দ্বিধার দোলায় দোলায়িত হই। প্রতিটি কবিতাতে যে প্রচ্ছন্ন ভাব বিরাজ করছে তা উদ্ধার করতে পারলে তাপি���, বিস্মিত হতে হয়। প্রতিটি কবিতাতেই কবির জীবনের অগ্নিশুদ্ধ অহংকার বিচ্ছুরিত, দ্যুতি ছড়াচ্ছে। বহুমাত্রিককায় ঋদ্ধ কবি মনিরুল মনিরের "শব্দের অনন্ত অন্তর" কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ৩৯টি কবিতা আছে। পাঠ করে আমার যে উপলব্ধি হলো তা তুলে ধরলাম। যে কবিতা অসীম শূন্যতার কথা বলে, হৃদয় সমুদ্রের অতলান্তের কথা বলে, বোধকে দূর নীলিমায় উড়িয়ে দেয়, অন্তরচক্ষুকে ধাক্কা মেরে উদবেলিত করে সেই কবিতা উত্তেজনা তৈরি করবে না মানা দায়। সংগ্রামী এক মেয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে কবির মন কেঁদে উঠে। কবির কলমে, "পুরো শহরের দেয়ালে লাল লিখনগুলো লিখতে-লিখতে যে মেয়েটি লাল হয়েছিল, তার কথা ভেবে দেখো। ঠিকমতো যুবতিও হতে পারে নি।" মানুষ সভ্যতা আবিষ্কার করেছে, গড়েছে৷ পৃথিবীর প্রতি উদাসীন হলে সভ্যতা বিরোধ করে৷ সভ্যতা উদ্ভাসিত হয়, মানুষ জীবনের তিলোত্তমা হারায়। মানুষের দায়বদ্ধতা সভ্যতার কাছে, সভ্যতার উত্তরণে কাজ করতে হয়। কবি লেখেন, " পৃথিবীর ভালোবাসা ফিকে হলে সভ্যতা বিরোধ করে মানুষের ঋণ সভ্যতার কাছে অথচ ভাঙতে ভাঙতে তিলোত্তমা হারায়"(সভ্যতা ও মানুষ) কবিতার অন্তর্লোক আবিষ্কার একেক জনের একেক রকম, কবির আড়ালতা ধরার আপ্রাণ চেষ্টা থাকে একনিষ্ঠ পাঠকের। তুমি দৃশ্যের আপাতত আবিষ্কার হলেও প্রকৃত আবিষ্কার অনুদঘাটিত রয়ে যায়। কবি লেখেন, "এক মন্বন্তরের পথে তোমাকে দেখেছি বাতাসের মধ্য দিয়ে চলে গেছ, কতটুকু মায়াময়, দ্বিধার অন্তরালে এ পথে নখের আঁচড়!" (নোটিশ) সাম্প্রদায়িক চিন্তার মানুষের সাথে নাস্তিকতাবাদের বিরোধ চিরকালের। নাস্তিকদের শহরে ধর্ষণ করে কারা, অন্য ধর্মের উপর অগ্নিসংযোগ করে কারা? কবির কলমে, "বর্ণহীন সকালে পাখির জন্য খাবার হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন কম্যিউনাল পুরুষ"(ঈমানদার খুঁজে পাবে না) আমাদের মগজ পঁচে গেছে, নতুবা মগজে মূত্র। মগজ পঁচলে আর দেহের মূল্য থাকে না। চেতনা ব্যবসায়ীর মগজের কি দাম থাকে? মগজ বর্গা দিয়ে সুশীল হওয়া যায় না। কবি লেখেন, " বিক্রি হওয়ার পর ফেলে দিলে ক্ষতি হয় ক্রেতার সকলেই বিক্রি হচ্ছি কম দরে অধিক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে; রাষ্ট্র, ক্রেতার মুনাফা স্থির করে দেশ বিক্রিতে যাবে!"(পচে যাচ্ছি বিক্রিতে যাবে) যে দেশে মেধার লালন হয় না, কীর্তিমানের ঠাঁই নেই, যোগ্যরা কর্ম পায় না, সে দেশ তলিয়ে যাবে। আলোর বিপরীতে ��ায়া দেখা না গেলে বুঝতে হবে অশনি আসছে। হালদা নদীতে যদি মাছ না জন্মে মাছ দেখতে জাদুঘরে যেতে হবে, একদিন প্রত্ন-ইতিহাস লেখা হবে মাছেদের নিয়ে। কবি বড় আক্ষেপ করে লেখেন, "সহসায় অনেক অনেক প্রত্ন-ইতিহাস লেখা হবে মাছেদের নিয়ে পোনা ছাড়ছে না মা-মাছেরা আর কতবার ধর্ষিত হবে মা?" (হালদা নদীর অস্পূর্ণ সেমিনার) বিবেক বিক্রি করি, মাছের দরে পুকুর বিক্রি করি, চেতনা চৈতন্য জাগে না। অথচ জলাশয়ে প্রক্ষালন করে মৎস্যগন্ধ গায়ে মাখলে নিবারণের জন্য শাবান মেখে শুদ্ধ হতে ব্যাকুল। অন্তর যদি ময়লা মাখা থাকে শরীর স্নানে কতটুকু বিশুদ্ধ হবে! অাশ্চর্য হয়ে কবি লেখেন, "জলের বোতলে আমরা বিশুদ্ধ হতে চাই!" (জলের অ্যানাটমি) মনের মুগুর উত্তেজিত হয় না নারী ও নগ্নতা নিয়ে আলোচনা না করলে। বালকের সুড়সুড়ি জাগাতে জেব্রাক্রসিং-এ লাফিয়ে উঠে বালিকা, প্রসাধনীর বিজ্ঞাপনে, বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে বালিকাদের বুকের ঢেউ বখাটে বালকদের বেদনা ভোলায়। কবি লেখেন, "এভাবে বিকারগ্রস্তদের আড্ডা প্রত্যহ শহরের নিরবতা ভাঙে শ্রেণিকক্ষগুলো ফাঁকা হয়ে যায়, হয়তোবা একদিন পৃথিবীর পাঠশালায় রবে না 'ইস্কুল' নামক উৎপাত" (বিকারগ্রস্তদের আড্ডা) প্রতিটি মৃত্যু অকাম্য, কষ্টের। মানুষ মরলে অজান্তেই মনে তার জন্য সহমর্মিতা জন্মে। কিন্তু কেনো মরলো, কে মারলো কখনো সে অর্থ উদঘাটনে যাই না। পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাযজ্ঞের একটা চিত্র পাওয়া যায় কবির কবিতায়। যেমন, "হাতি-কাণ্ড লাগিয়েছে মহাভণ্ড প্রভাত মুছে রাত এলে শুনি সব লণ্ডভণ্ড " (পিলখানার হাতি-কাণ্ড মহাভণ্ড লণ্ডভণ্ড) শিক্ষক অসংখ্য বর্ণমালা ব্লাকবোর্ডে লিখে শিখিয়ে আবার মুছে দেছেন, হৃদয়ঙ্গম হয়নি, মুছে গেছে হৃদয় থেকেও। পাঠ ও পীঠে হাতের লেখা ধারালো হলেও আকাশ দেখা হয়ে উঠে না। শিক্ষকের বেত্রাঘাত আর অবিরত পাঠ থেকে মুক্তির জন্য মিথ্যা কথা মুক্তি দিতো। কবি লেখেন, "মুখস্ত হয় নি পাঠ- শিক্ষক আর নিরন্তর পাঠ থেকে মুক্তি দিয়েছে শত মিথ্যের অজুহাত" (অধ্যয়ন) কানসাট নিহতদের স্মরণে লেখা কবিতা 'মজুরি' তে দেখা যায় কয়লা শ্রমিক মজুরি না পেলেও শিশুর সাহস বাড়ায়, শিশু জানে না। অনেক রক্তস্রোত পিতাকে মহৎ করেছে। কবি লেখেন, "অনেক অনেক রক্তস্রোতের শিকারে পিতাকে মহৎ করেছে তবুও অবনত বৃষ্টি ঝরে গেছে খনির মজুরি পাবার আগে"। (মজুরি) ��খিনা পবন প্রশান্তির প্রতীক। নিম্নচাপ সজীবতার, প্রাণ জাগরণের, ধূলি ধূসরতা নিঃশেষের। সংকেত সন্ত্রস্ততা নয়, ক্ষোভ যাবে, শোক যাবে। কবি লেখন, "জল চলে গেছে নিমিষেই বদলে দিয়ে গতির সূচক পৃথিবীর বিভাজন খেলায় কখনও সমুদ্র ভরে উঠে নাগরিক নিম্নচাপে; আর সংকেত দেখাতে দেখাতে এগিয়ে আসে ভৌত বাতাস"(পূর্বাভাস) বৃষ্টি পাহাড়ে দাঁড়িয়াবান্দা খেলে, ভয়ংকর ধ্বস নামায়। মাটি সরে, পাহাড় তলে মানুষ চাপা পড়ে, মৃতের সংখ্যা গোণে পরিচ্ছন্ন কমিটি। নিরসনকল্পে আমরা উদাসীন। কবি লেখেন, "পরিচয়ে আমরা অনির্বচনীয়, অযোগ্য হতে হতে প্রতিদিন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছি, পচে যাওয়া স্বপ্নেরা জেগে ওঠবে না কখনও বৃষ্টির দিনে ধ্বস পাতালে, মাটির শরীরে, বিষণ্ন বুকের গভীরে, নগরীর বৃক্ষ-গলিতে" (মানবিক বিপর্যয় বৃত্তান্ত) সবাই ক্ষমতা দেখাতে ব্যস্ত, তান্ত্রিকগণও কাউকে স্বপ্��ভঙ্গ হতে দেয় না, সেও সব জানে। সবাই নিজেকেই মেধাবী ভাবে আর মেধাবীরা ঈর্ষাণ্বিত থাকে। কবি লেখেন, "মেধার পরিচয়ে ঝুঁকি নিতে তান্ত্রিকগণ অন্ততঃ একটি দিনও স্বপ্নভঙ্গ হতে দেয়নি অথচ সকলে জেনে গেছে মেধাবীরা ঈর্ষণীয় ; ঈর্ষা আর লুট পাশাপাশি অধিষ্ঠিত "।(ঈর্ষা লুট ও স্বপ্ন) পশুগুলোও সুশোভন মোড়কে মানুষ সেজে থাকে। মেঘের তীব্রতা মানুষের মাথায় ঠেকছে। সভ্যতাকে গ্রাস করছে, বিচার প্রার্থী হলে হিতে বিপরীত। কবি তবুও এই অপশক্তির বিনাশ হবে আশা করে লেখেন, " হয়তো চিন্তার সহ্য ক্ষমতার বাইরে এসে যুক্তি নির্মাণ করতে পারবো, ভালোবাসা দিয়ে জলের ফোয়ারা বানাবো সকল কালো কালো চাদরে;"(নিষিদ্ধ রক্ত দিয়ে ভেজা পথ দীর্ঘকাল রঙিন) দেশকে কাঁধে করে টানছে যে তার জীবনের আলেখ্য কোথাও নেই। খবরের কাগজপত্রে খবর আসে জীবনের খবর খুব কম। বোম্বে ললনাদের রূপ লাবণ্য কাগজের পাতাভর্তি অথচ সংগ্রামী গ্রামের মাটির প্রাসাদের খবর নেই কোথাও। কবি লেখেন, "মুক্ত পৃথিবীর ধুলো আলোতে করে বুদবুদ, আলোর পেছনে থেকে যায় অনন্ত সাহসের ঘসামাজা বুক"। (আবি তাক্ বাত নেহি হুয়া) মায়াময় আর মোহময়তার জন্যই সংসারে যত কাজ। আবেগ-ভালোবাসা, প্রতি দিনের অভিনয় সবই কাউকে মায়ায় বিভোর করার জন্য, কারোর কাছ থেকে মায়ায় বিভোর হওয়ার জন্য, কারোর জন্য মোহে বা কারো মোহের শিকার হওয়ার জন্য। কবি লেখেন, "আসলে আমরা কেন এ��ন ঔদার্যের পরিণতি চাই; জগতে প্রকৃত সারস উড়ে ��েলে সবই শূন্য" (মায়াময়-মোহময় বস্তুটি গুরুত্বপূর্ণ) বিধ্বস্ত মানুষের চিন্তার মূল্য নেই, ক্ষমতার জ্যাকেটতলে যে তার চিন্তার স্বর্ণদাম। শাসনের ছড়ির কাছে সবাই অবরুদ্ধ, সুশীলের স্থান নেই। কবি লেখেন, "শাসনের সরিষা বীজ এখন কৃষকের উঠোনে পরিখা খননের জন্য জমিন প্রস্তুত এখন বিপন্ন গ্রাম আর প্রান্তরের হাহাকার নিয়ে বেঁচে আছে গ্রামের মানুষ" (অধিক ক্ষমতা আর অবরোধ) নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ইতিহাসকে বিকৃত করে, নিজেদের মতো করে গড়ে চেতনাধারী সাজি, শেকড় ভুলে যাই। কবি খুব আক্ষেপ করে লেখেন, "ন্যাড়া মাথায় তেল দিয়ে আর কতকাল শোষণ পাবো বিপন্নতার কথা বলে- আমরা কবে মানুষ হবো?" (অনুভব) প্রজ্ঞার মূল্য নেই, হত্যায় মাতে মানুষ। চোখে মুখে পুঁজিবাদের লালসা, বাণিজ্য অবরোধ, হিংসাত্মক কথাবার্তা বিশ্ব জুড়ে চলমান। শূন্যতা বাড়ে, মানবতার জয়রথে উড়ে না পতাকা। বিশ্ব রাজনীতির কাছে এই ধরিত্রী বড় অসহায়, কবে না পুড়ে ছারখার হয়। বিশ্বপ্রতিষ্ঠানের সুদের কারবারে ছোট ছোট দেশ পাচ্ছে না আলো। শুধু শব্দমালা, বাগবাগিশ, কথার কারুকার্যে তো বৈশ্বিক পতন ঠেকানো যাবে না। কবি লেখেন, "রাষ্ট্রীয় কপালে জাতির কলঙ্ক শব্দের মহাজন শরীরে মাখো সাম্রাজ্যের সবল পতন; মন্দার মাখামাখি দেশে দেশে" (শব্দের অনন্ত অন্তর) যে বিশ্বাস শিকড়ে গ্রোথিত তাই মূল্যবোধ। ক্ষুধার্তরা রুটি পাবে, চাঁদকে ঝলসানো রুটি মনে হবে না, অমাবস্যা থাকবে না, পূর্ণিমা দরজায় আসবে। তার জন্য মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে, শ্রমীরা কখনো অনাহারে থাকে না। কবি লেখেন, " আর কোন অমাবশ্যা দেখবো না যদি প্রতি ভোরে জেগে ওঠে ভালবাসা অনন্ত প্রজ্ঞার নাগরিক মূল্যবোধ"(মূল্যবোধ) সাভারে ভবন ধসে নিহত সেলাই কর্মীদের নিয়ে লেখা কবিতা "পৃথিবী ঋণের চাপে"। যেখানে সেলাই কর্মীদের শহরতলীর পাখি বলা হয়েছে৷ সেলাই রণবিদ্যায় পারদর্শী সুতোর কারিগর ধ্বংসস্তূপে মারা গেছে, মানুষের আহাজারিতে আকাশও কাঁদে। কবি লেখেন, "মায়ের কোলের কন্যা আগুন হাতে ফিরে তাবৎ পৃথিবী ঋণের চাপে হাহাকার করে। আহাজারি, আর্তনাদ বাতাস ভারী হয়ে উঠে দ্বিগবিদিক অসহায় ছুটে"। (পৃথিবী ঋণের চাপে) আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর ব্যাপারটি পড়েছি বহুবার। আদার ব্যাপারীকে তুচ্ছ করে দেখার কিছু নেই, আদার দাম বেড়েছে, বরং তুমি আমি শূন্য থলি নিয়ে বাড়ি ফিরি। কবি লেখেন, " আশাহত হলাম অবশেষে ব্যাপারী বিখ্যাত কালোবাজারি জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন ক্ষুদ্র অথবা মাঝারি"(মূর্খতা) রাস্তায় ব্যাঙের শরীর পিষে থাকলে ব্যতিত হই না, বায়োলজিকেল নিরীক্ষার ব্যবচ্ছেদে ব্যাঙ কাটলে হৃদয় কাঁপে, হায় মানব হৃদয়! কবি লেখেন, "রাস্তার পাশের রেস্টুরেন্টে রুটির কারিগর হাতের তালুতে পৃথিবী নাচায় আমরা নাচতে গ্রামে জটলা পাকালাম ব্যাঙের ডাক শুনি নি, শুনেছি মৃতের আর্তনাদ" (ব্যাঙের অ্যানাটমি) "পৃথিবীর তাবৎ হত্যার শেষ জ্যোতি" কবিতা থেকে- "পাখিদের প্রার্থনা ভেঙে যাওয়ার ডরে নীরবে নেমেছি পথে এখন আমি আর ফড়িং পৃথিবীর তাবৎ হত্যার শেষ জ্যোতি" চাবুকের শাসন শেষ, এখন জলপাই গাড়ির হনহন আর বুটের শাসন, বুদ্ধির শাসন। বড় দেশগুলো শাসন করছে বিশ্ব আলয়। গোলামগিরি করছে ছোটদেশগুলো, রাজনৈতিক মারপ্যাচে হেরে যাচ্ছে মানবতার মুক্তি। কবি লেখেন, " গণতন্ত্র না বুঝে চিৎকার পাড়ে পন্থীবিদগণ উত্তর কিংবা দক্ষিণপন্থায় বসে মাত্রাতিরিক্ত বুদ্ধি বেচতে গেছে ভনভন করা বিজ্ঞবুদবুদ"(ভনভন করা বিজ্ঞবুদবুদ) কর্নেল হার্টস এর বাড়ি দেখে এসে অনুভুতি ব্যক্ত করতে যেয়ে কবি লেখেন, "ছাদে ঝুলছে পুরনো দড়ি প্রকাণ্ড বাড়ির ছাদটি অচেনা উঠোন; অন্ধকার" (পুরনো বাড়ি ও একজন কর্ণেল) বর্ণবাদীদের উল্লাস দেখে বুঝি তারা সেবাব্রতে মন দেবে না কখনো। শিশু মৃত্যু কমবে কিভাবে যেখানে জেরুজালেমই রক্ষা পাচ্ছে না। কবি বসে বসে ভেবে লেখেন, "গ্রামের পথে শিশু মৃত্যু কমাবেন নাকি জেরুজালেম রক্ষা করবেন যেখানে শিশুরা মাতৃদুগ্ধ পানের পূর্বেই বুলেটবিদ্ধ হয়" (বিরোধ) যুদ্ধজর্জর পৃথিবীতে মানুষ যুদ্ধরীতি আর যুদ্ধনীতি নিয়ে আছে। শিশু খেলে, মা বাবার পাথর বুকে কান্না জমাট। অশনি ভবিষ্যৎ সামনে। কবি লেখেন, "খুলির ভেতর স্বাধীনতা সামনে হাঁটে মিছিল করে পরস্পরের শ্বাসের ভারে গেয়ে ওঠে মৃত্যুগান" (গুলতি খেলায় কামান ভাঙ্গে) নিজ ভূমে উদ্বাস্তু হয়ে থাকেন ফিলিস্তিন, বিশ্ব বিবেক দেয় না মানচিত্র। গুটিকয়েক ধ্রুপদী চিন্তার মানুষের দৃঢ়তা নক্ষত্রের পতন ঠেকাতে পারে না। কবি লেখেন, "লাল মাটি কালো বর্ণে বাঁচবার জন্য বিলিয়ে দিল সহস্র বছরের উপাসনা"(রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে জেরুজালেমের মাটি) যুদ্ধ বিধ্বস্ত ধরিত্রীতে সবুজের মূল্য নেই, সবুজের গায়ে ক্ষত। অনাগত ভবিষ্যৎ আরো খারাপ, বিশ্ব মোড়লরা উঠতি দেশকে শত্রু জ্ঞান করে, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে, রক্ত ঝরায়। কবি লেখেন, "আহ! শিশুরা যুবক হবে না, হবে লাশ লাশের শরীরে হরফের চাদর-তিমিরে নামে চাঁদ, আমরা তবে নত মস্তকে প্রার্থনা করবো কার? সে কি ঈশ্বর নাকি শয়তানের প্রতিবিম্ব?" (শিশুরা যুবক হবে না হবে লাশ) জানার দরকার হয় না, জানিয়ে দেয় সবে। বিজ্ঞাপন সুন্দরীর ঠোঁট থেকে তথ্য ঝরে। জানার জানালা খোলা লাগে না। কবি লেখেন, "বিজ্ঞাপনের চার দেয়ালে ভাষা বুঝি ভুলে গেছো ভালোবাসার আমলকি বন ছেড়েছে মন কেড়েছে এইতো এখন বেঁচে আছি বিজ্ঞাপনের চার দেয়ালে" (বিজ্ঞাপনের চার দেয়াল ১) বিলবোর্ডে লেপ্টে থাকা নারীর শরীর দেখে গাড়ী চালক থেকে শুরু করে উঠতি বালক অমাবস্যার ঘরে সুখ নেয়। সয়াবিন তেলের পুষ্টিগুণ জানতে যেয়ে পুষ্টিবিদ নারীর দেহ মেপেজুকে নিই। কবি লেখেন, "সুখ নিয়েও বিদায় নিতে চান ক্যাটওয়াকের পিতা-পতিগণ আমরা সৌখিন দর্শনধারী দর্শনে দর্শনে ধর্ষণের স্বাদ পাই" (বিজ্ঞাপনের চার দেয়াল ২) পাহাড়ে মানুষের অভয় তবুও বন কেটে বিরাণ করছি। ঠুনকো স্বার্থে নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে বিশ্ব তথ্য ঘাটলে হবে না। কবি লেখেন, "কত-শত বৃক্ষ লুপ্ত হতে গিয়ে হারিয়েছে আলোর পিদিম আর আলোকিত মানুষের বাণিজ্য উজ্জ্বল হচ্ছে বিশ্ব-মন্দার তথ্যচিত্রে" (বিশ্ব-মন্দার তথ্যচিত্র ১) বৈশ্বিক সন্ত্রাস বিশ্বের ধ্বংস আনবে। পুঁজির মহাজাতকরা কৃষকের কান্না বোঝে না। মহাসুখে আছে জাতিসংঘ ইরাক কিংবা আফিগানিস্তানের রক্ত দেখে। ফিলিস্তিনির প্রতি সমবেদনা, অধিকার দেয় না। কবি লেখেন, "অসংখ্য মৃতের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ফ্যাসিস্ট ইসরাইল" (বিশ্ব-মন্দার তথ্যচিত্র ২) ধর্মে ধর্মে হানাহানি রাজনীতি। ঐক্যের ডাক কেউ দেয়নি। নামাজ ঘর পোড়ে, সিঁথির সিঁদুর মোছে, প্রভারণা পূর্ণিমার চাঁদ কাঁদে। কবি লেখেন, "পথ কখনো সাপ ও বেজির মতো আবহ তৈরি করে নি, আমরা কেবল পথ বাঁকা হয় মনে করে মতে-ই বিভক্ত হয়েছি। আর কোন মতাদর্শগত ঐক্য নিয়ে রূপায়িত হয় নি, তীক্ষ্ণ ঘাতকের বল্লম"। (মতাদর্শ ঐক্য নিয়ে রূপায়িত হয় নি) মানুষ এখন অত্যাচার সহ্য করে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে, যুদ্ধ করছে। রাজনীতির মূলমন্ত্র কেউ ধারণ করে না। জলের মতো যেদিক প্রয়োজন সেদিক দৌঁড়ায়। কবি লেখেন, "রাষ্ট্রীয় প্যারেড ময়দান দখল করে কয়েকজন ভণ্ডপীর ম্যহফিল জমিয়ে দ্বিধা আর বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। আমরা কলের পুতুল, জল গড়াবার পূর্বেও নাচি শেষেও নাচি। ঢঙ নিয়ে প্রতিবেশির অবিশ্বাস অর্জন করেছি, জাতের প্রশ্ন"।(বিপ্লব বলতে রাজনৈতিক ভাষা এখন আর পৃথিবীতে নেই) দেবালয়ে প্রার্থনার চাষ হয় না, হয় হিংসার চাষ। শিশুদের পরাধীন করে রাখা হয়, শিশুদের নিয়ন্ত্রণ নাকি বৃদ্ধদের খুশীর। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই দলবাজি করেন, শিক্ষিত মানুষদের অশিক্ষিত দার্শনিকরা নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশে কত সমস্যা, সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই, মিডিয়ার বিশ্লেষণ সবজি চাষে। পরিশীলিত মগজ আছে, কিন্তু স্বার্থের দামে বিক্রিত সব��� কবি লেখেন, " কিনে নেবার জন্য বুদ্ধি আছে, বিক্রি যাবার জন্য জীবীকা আছে"।(বুদ্ধি আছে বিক্রি যাবার জন্য) পুঁজিতন্ত্র মার্চফাস্ট চালায় সততার শরীরে। আফগানিস্তান, ইরাক, ফিলিস্তিন খবরের কাগজ জুড়ে থাকে, শান্তি আসে না। রক্ত চোষক বালকদের গুলতি লড়াইয়ে লাতিন আমেরিকা সলতে জ্বালিয়ে রাখে। সরল-সংগ্রামী ফিদেল ক্যাস্ত্রোই সফল, তাঁর সিংহাসনই সম্ভ্রান্ত, অন্যায়ে টলেনি, ঢলে পড়েনি। তেল সামলাতে গিয়ে পানি-বায়ু-অশ্রু ঝরায়নি। কবি লেখেন, "তেল-যুদ্ধ দেখাতে দেখাতে পৃথিবী পানি-বায়ু-অশ্রু শূন্য পাথর বুকে দাঁড়িয়ে গেছে মানব-প্রাসাদ চেতনা চিরবিশ্বস্ত" (সম্ভ্রান্ত সিংহাসন) পাঠান্তে, প্রতিটি কবিতায় কবির উর্বর মস্তিষ্কের ফসল। কবির শুদ্ধ চিন্তা থেকে জারিত কবিতার পঙক্তি জুড়ে যে হতাশা-ক্ষোভের উচ্চারণ তা অবচেতন মনকেও জাগিয়ে তোলে। ব্যর্থ অনুকরণ ও অসংলগ্ন উপস্থাপনামুক্ত কবির কবিতা যাপিত জীবনের নানান অসংগতি বিসংগতির চিত্রমঞ্চ। সাধারণ পাঠকের ভাবনার জগৎকে তুমুলভাবে আলোকিত করে, কবির ভাবধারার সাথে একাত্ম হয়ে পাঠক খুঁজে পান জীবনের দিশা। কবির কবিতার জয় হোক, কবি কাব্যগগনে উড়ে বেড়াক অনন্তকাল, কাব্য জীবন সার্থক হোক, অবিস্মরণীয় হোক ধরণীর মাঝে। বই-শব্দের অনন্ত অন্তর কবি-মনিরুল মনির প্রকাশক-লায়লা সিদ্দিকী স্বত্ব-কবি প্রচ্ছদ-খালিদ আহসান ও শারমিন শেলী প্রকাশনি-নান্দনিক, ঢাকা প্রকাশ-একুশে বইমেলা,২০১০ পৃষ্ঠা -৪৮ মূল্য -৭৫ টাকা ISBN-978-984-8865-14-9
0 notes
Text
জলপাই তেল মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর:
মরোক্কো বিশ্বের বৃহত্তম জলপাই তেল উত্পাদনকারীদের মধ্যে চতুর্থ। এটি মানবদেহের জন্য খুব স্বাস্থ্যকর তেল।
সরিষার তেল বা সয়াবিন তেলের চেয়ে জলপাই তেল সেরা । আর��� বেশি উচ্চ পুষ্টি মান। এটি কেবল উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির সাথে বোঝাই নয়,বিশ্বের স্বাস্থ্যকর জনগণের জন্য একটি প্রধান খাদ্যতালিকা।
তবে, অনেক লোক বিশ্বাস করেন যে এটির অসম্পৃক্ত ফ্যাট সামগ্রীর কারণে এটি রান্নার জন্য অনুপযুক্ত। অন্যরা দাবি করেন যে এটি উচ্চতর তাপের পদ্ধতিতে ভাজার মতো রান্নার জন্যও একটি দুর্দান্ত পছন্দ। স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য জলপাই তেল দিয়ে রান্না করুন।
সুবহানআল্লাহ !!!!
0 notes