#কারাগার
Explore tagged Tumblr posts
Text
The most terrible prison in the world! Where people go and do not come back alive !

Finding yourself in jail for committing a crime gives rise to a terrifying feeling that cannot be expressed in words. Every country in the world has prisons for those who break their laws, where the environment, conditions, or regulations inside the prison are sometimes very harsh. Some of the most terrifying prisons in the world will haunt you with all the terrible history and past events. Read More...
#TerrifyingPrisons#PrisonExploration#WorldsScariestPrisons#Prison#TheWorldsToughestPrison#mostdangerousprisonintheworld#ভয়ঙ্করকারাগার#বিশ্বেরসবচেয়েভয়ঙ্করকারাগার#কারাগার#কারাগারেজীবন#অপরাধ#এলসালভাদর#পৃথিবীরসবথেকেভয়ঙ্করকারাগার#karagar#ভয়ংকরজেলখানা#youtube#bangladesh#foryopage#tumbirfyp#tumblog#foryou
3 notes
·
View notes
Text
Prisoner escaped naked through the hole in the prison door! The most incredible story of prison escape

Prisons are made to punish criminals. Prisons are built in such a way that criminals cannot escape. But, no matter how strict measures are taken to keep inmates from escaping, many convicts escape from jail through loopholes or the like. The administration is unable to stop it despite its best efforts. The monsters in human form slip right out through the unknown cracks of the prison. A prison escape adventure involving the fate of escaped convicts and complex plans. Read More...
#Search Engine - সার্চ ইঞ্জিন#PrisonStories#Redemption#SecondChances#InspiringStories#CourageousJourneys#Resilience#Transformation#HumanSpirit#OvercomingAdversity#LifeAfterPrison#কারাগার#পুনর্মিলন#দ্বিতীয় সুযোগ#আদর্শগল্প#সাহসী গল্প#সাহস#নতুন শুরু#চ্যালেঞ্জ#youtube#bangladesh#tumbiryoutube#tumblr milestone#foryou
2 notes
·
View notes
Text
youtube
#search engine#youtube#bangladesh#youtube video#tumbir#tumbir_video#tumblr fyp#tumbir_milestone#foryou#TerrifyingPrisons#PrisonExploration#WorldsScariestPrisons#Prison#TheWorldsToughestPrison#mostdangerousprisonintheworld#ভয়ঙ্করকারাগার#বিশ্বেরসবচেয়েভয়ঙ্করকারাগার#কারাগার#কারাগারেজীবন#অপরাধ#এলসালভাদরে#পৃথিবীরসবথেকেভয়ঙ্করকারাগার#karagar#ভয়ংকরজেলখানা#Youtube
4 notes
·
View notes
Text
১৭ বছর পর কারামুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর
১৭ বছর পর কারামুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর দীর্ঘ কারাবাসের অবসান, সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে বরণ সাবেক প্রতিমন্ত্রী Meta Description: সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়েছেন। সমর্থকদের ভালোবাসা ও ফুলের শুভেচ্ছায় তাঁকে বরণ করা হয়। বিস্তারিত জানতে পড়ুন। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ১৭ বছর পর কারামুক্ত কেরানীগঞ্জ,…
0 notes
Video
youtube
ভাঙ্গ কারাগার ওদের | Muhib Khan | মুহীব খান | New bd Waz Mahfil | New So...
0 notes
Text
কারাগার থেকে বলছি বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড || MullahUsman
রিমান্ডে নির্মম নির্যাতন ও টর্চারের কিছু বর্ণনা।
পুরুষাঙ্গের সাথে তিন কেজি পাথর ঝুলিয়ে দিয়েছে এমন একজন রাজশাহী নিবাসী ব্যবসায়ী বন্দি আমি দেখেছি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।একই বন্দীকে ডিবি কার্যালয়ে দুই চোখে আঙুল দিয়ে সজোরে খোচা মেরেছে। ঘটনার একমাস পর দেখেছি তার চোখের অর্ধেকটা জুড়েই লাল রক্তের থোকা জমাট বাধা আছে।এমন বন্দীও দেখেছি যার পুরুষাঙ্গের সাথে বিদ্যুতের ক্লিপ লাগিয়েদিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেওয়া হয়েছে। উলঙ্গ করে দশজনমানুষের সামনে দাড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আলেম ও দ্বীনদার মানুষকে। পায়খানার রাস্তা দিয়ে একের পর এক গরম ডিম বা ঠান্ডাবরফ ঢুকিয়ে দিয়েছে। এমন বন্দীও দেখেছি, হাত-পায়ের সমস্ত নখগুলোকে প্লাস দিয়ে টেনে টেনে তুলে নিয়েছে। হাতের আঙুলের ভেতর পিন ঢুকিয়ে দিয়েছে অত:পর সেই পিনের মাথায় অনবরত আঘাত করেছে বা গ্যাস লাইটে আগুন ধরিয়ে পিনের মাথায় উত্তাপ দিয়েছে এতে আঙুলের মধ্যে ঢুকানো সম্পূর্ণ পিন গরম হয়ে আঙুলের মাথা পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে। দুই হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে শুন্যে ঝুলিয়ে রেখেছে বা দুই পা উপরে দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে ঘন্টার পরঘন্টা।বন্দীর সামনে তার স্ত্রীকে, বোনকে বামাকে এনে উলঙ্গ করে ফেলেছে। ��মন বন্দীও আছে যার স্ত্রীকে এনে উপর্যুপরিধর্ষণ করেছে। ষোল বার ধর্ষণ করা হয়েছে একজনের স্ত্রীকে- এমন ঘটনাওঘটেছে।বই: কারাগার থেকে বলছিমুহাম্মদ মামুনুল হক হাফিজাহুল্লাহ

বইয়ের ডাউনলোড লিংক ⬇️

https://drive.google.com/uc?export=download&id=13VICSGDQ7-1McceawCjTJE-CS7HmnNLI
1 note
·
View note
Text
বিদেশবাসী হওয়া মানুষগুলোর সুন্দর একটি নাম প্রবাসী
নিজের দেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশে বসবাস করাই হলো প্রবাস। বাংলাদেশের বিশাল একটি জনগোষ্ঠী প্রবাসে বসবাস করে। প্রবাস মানে বিদেশ বা দূরদেশ, প্রবাস মানে আত্মীয়স্বজনবিহীন বছরের পর বছর একাকী কাটিয়ে দেয়া, প্রবাস মানে দেয়ালবিহীন কারাগার, প্রবাস মানে শত দুঃখ-কষ্টের সঙ্গে বিরামহীন জীবনযুদ্ধ করা। প্রবাস জীবন শুধু একটি ভৌগোলিক স্থানান্তর নয়, এটি আবেগ, ত্যাগ, এবং নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর এক গভীর গল্প। যারা…
0 notes
Text
মুন্সিগঞ্জ জেলা কারাগারে নিয়ম অনিয়মের সুযোগ সুবিধার অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জ জেল কারাগারে আইনশৃঙ্খলা কারারক্ষীদের মাধ্যমে সুযোগ সুবিধার নিয়ম অনিয়মের ভিতর বাহিরে দুর্নীতি সিন্ডিকেটের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সংবিধান কারাগার অধিদপ্তরের যে নিয়ম অনুযায়ী থাকলেও তার পরেও এ কারাগারে দুর্নীতির কর্মকান্ড উঠেছে তেমন কারারক্ষী দিয়ে কারাগারে ভেতরে ও বাইরের সব চাঁদা তোলা হয়। কোনো ওয়ার্ডের মেড কে হবে, রাইটার হবে কে, কোন দায়িত্বে যেতে কত টাকা দেবে, কার রেট বেশি, কোন ওয়ার্ড…
0 notes
Text
মুসলিম বিশ্বের গর্ব নাকি নির্মম শাসক? বাশার আল-আসাদের শাসন কেমন ছিল?
সম্প্রতি পতন ঘটেছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের। বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকটা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো হলেও, আসাদ ছিলেন আরও কঠোর ও স্বৈরাচারী শাসক।
সিরিয়া একটি মুসলিম দেশ, যার ইতিহাস ইসলামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.)-এর খিলাফতের সময় খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)-এর নেতৃত্বে সিরিয়া মুসলমানদের অধিকারে আসে। পরবর্তীতে বিভিন্ন মুসলিম শাসকরা সিরিয়ার শাসনভার গ্রহণ করেন।
বাশার আল-আসাদের উত্থান
বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদ ১৯৭১ সালে সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করেন। তিনি ছিলেন সেক্যুলার বাথ পার্টির একজন সক্রিয় সদস্য। ১৯৬৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাথ পার্টি ক্ষমতায় আসে এবং হাফিজ আল-আসাদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন। ১৯৭০ সালে নিজ রাজনৈতিক গুরু সালাহ আল-জাদিদকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন এবং ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসেন বাশার আল-আসাদ। সিরিয়ার জনসংখ্যার ৭০% সুন্নি মুসলমান হলেও দেশ পরিচালনা করতেন ১০% শিয়া আলাওয়িত সম্প্রদায়, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল আসাদের পরিবার। সুন্নিরা নির্যাতিত ও অবহেলিত ছিল।
আরব বসন্ত ও গৃহযুদ্ধ
২০১১ সালে তিউনিশিয়ায় আরব বসন্ত শুরু হলে তা সিরিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ আন্দোলন দমন করতে বাশার আল-আসাদের বাহিনী কঠোর দমনপীড়ন চালায়, এমনকি রাসায়নিক হামলাও চালায়। বিদ্রোহ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়, কেউবা অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। রাশিয়ার সমর্থনে বিদ্রোহীদের ওপর লাগাতার বিমান হামলা চালিয়ে আসাদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। তবে ২০২৪ সালের শেষের দিকে তার শাসনের পতন ঘটে।
আসাদের শাসনের নিষ্ঠুরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন
বাশার আল-আসাদের শাসনকাল ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তার শাসনের কিছু ভয়াবহ দিক:
গৃহযুদ্ধের সময় প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে, যার বেশিরভাগই সুন্নি মুসলমান।
৩ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুধুমাত্র তুরস্কেই আশ্রয় নিয়েছে ৫০ লক্ষ সিরিয়ান।
আসাদকে অনেকে ইসরাইল বিরোধী বললেও তিনি ইসরাইলের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছিলেন। তার কারাগার থেকে হামাসের বহু কমান্ডারের সন্ধান পাওয়া গেছে, যাদের তিনি বছরের পর বছর আটক রেখেছিলেন।
সেদনায়া কারাগারসহ বেশ কয়েকটি বন্দিশিবিরে লক্ষ লক্ষ মানুষ নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। দামেস্কের উপকণ্ঠে একটি গণকবরে এক লক্ষ লাশ পাওয়া গেছে।
হাজার হাজার নারীকে অপহরণ করে কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল। সেখানেই অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছে।
সাধারণ হাসপাতাল, স্কুল ও বসতবাড়িতে নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়েছে।
বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে আসাদ পরিবার, যখন সাধারণ মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার ছিল।
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ইরান ও ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতেন, কিন্তু সিরিয়ায় ইরানের সামরিক অবস্থানগুলোর ওপর ইসরাইল হামলা চালালেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
লেবাননের হিজবুল্লাহ তাকে টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধ করেছে, কিন্তু লেবাননে ইসরাইলের আগ্রাসনের সময় তিনি কোনো প্রতিবাদ করেননি।
পতনের পর তার সামরিক অবস্থানের ম্যাপ ইসরাইলকে সরবরাহ করা হয়, যার ফলে ইসরাইল লাগাতার বিমান হামলা চালিয়ে এসব অস্ত্র ধ্বংস করে দেয়।
ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম শাসক
বাশার আল-আসাদের শাসন সিরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকারময় অধ্যায়। গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, স্বৈরতন্ত্রের নিদর্শন রেখে গেছেন তিনি। ইতিহাস তাকে স্মরণ করবে একজন বেঈমান ও নিষ্ঠুর শাসক হিসেবে, যে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পুরো দেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
0 notes
Text
কারাগারে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খাই: পলক
অর্থ সংকটে কারাগারে মানবেতর অবস্থায় থাকার দাবি করেছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেখানে তাকে অন্য বন্দিদের সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খেতে হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নিয়ে পলককে আজ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। হেলমেট, হাতকড়া ও বুলেটপ্রুফ…
0 notes
Text













ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম
https://www.youtube.com/watch?v=BH1zIJUgqM8
https://www.youtube.com/watch?v=yA_4puuQUTM
https://www.youtube.com/watch?v=Zd1xDv8_Q2g
ধর্মীয় গবেষণায় বিচ্যুতির ১০ কারণ
ইসলাম নানাভাবে মানুষকে জ্ঞান-গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছে। চিন্তা ও গবেষণাকে ইবাদত বলে ঘোষণা করেছে। তবে সঠিক পদ্ধতিতে গবেষণা করা আবশ্যক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না? আল্লাহ আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও তাদের অন্তর্বর্তী সব কিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে এবং এক নির্দিষ্ট কালের জন্য।
(সুরা : রোম, আয়াত : ৮)
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওজি (রহ.) বলেন, ‘সেই চিন্তা ও গবেষণাই ইবাদতের মর্যাদা রাখে, যা মানুষকে উদাসীনতার জীবন থেকে সচেতন জীবনের দিকে, অপছন্দনীয় বিষয়কে পছন্দনীয় বিষয়ের দিকে, মোহ ও লালসার জীবন থেকে সংযম ও অল্পতুষ্টির জীবনের দিকে এবং দুনিয়ার কারাগার থেকে পরকালের মুক্তির দিকে নিয়ে যায়।’ (মিফতাহু দারিস সাআদাত, পৃষ্ঠা-১৮৩)
ধর্মীয় গবেষণায় ভুলের কারণ
যেসব কারণে ধর্মীয় গবেষণায় ভুলভ্রান্তি হয় তার কয়েকটি হলো—
১. সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাড়াহুড়া করা : যেকোনো বিষয়ে গবেষণায় ধৈর্য ও অধ্যবসয় অপরিহার্য। গবেষণার ��ময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাড়াহুড়া করা নিষেধ, বিশেষত ধর্মীয় কোনো বিষয়ে গবেষণা করা হলে। ��েননা এর সঙ্গে মানুষের ঈমান-আমলের প্রশ্ন জড়িত।
পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মানুষ সৃষ্টিগতভাবে ত্বরাপ্রবণ, শিগগির আমি তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলি দেখাব। সুতরাং তোমরা আমাকে ত্বরা করতে বোলো না।’
(সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৩৭)
২. পূর্ব চিন্তাকে গুরুত্ব দেওয়া : গবেষণা শুরু করার আগেই ব্যক্তি যদি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো চিন্তা ও অনুমানকে অন্তরে ধারণ করে এবং নিজের পূর্ব চিন্তাকে গুরুত্ব দেয়, তবে গবেষণায় ভুল হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।
ভিত্তিহীন পূর্ব চিন্তা ধারণা, অনুমান ও প্রবৃত্তির অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম ধারণা ও প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে নিষেধ করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের বেশির ভাগ অনুমানেরই অনুসরণ করে, সত্যের পরিবর্তে অনুমান কোনো কাজে আসে না, তারা যা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৬)
৩. অনির্ভরযোগ্য উৎস থেকে গ্রহণ : ইসলামী বিষয়ে গবেষণার একটি শর্ত হলো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে গ্রহণ করা। অনির্ভরযোগ্য ও অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে উপাত্ত গ্রহণ করে কখনো সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব নয়।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি তার আনুগত্য কোরো না, যার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি, যে তার খেয়ালখুশির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে।’
(সুরা : কাহফ, আয়াত : ২৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ওপর মিথ্যারোপ করল সে জাহান্নামে তার আবাস তৈরি করল।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৯৫১)
৪. মর্যাদা ও গুরুত্ব নির্ধারণে ভুল করা : ব্যক্তি, বস্তু, স্থান ও বিষয়ের মর্যাদা ও গুরুত্ব নির্ণয়ে ভুল করলে ব্যক্তির গবেষণায় ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে শরিয়ত যাকে যে মর্যাদা দিয়েছে তাকে সে স্থানে রাখতে হবে। মধ্যপন্থা ও ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। যেমন—হাদিসে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই বৃদ্ধ মুসলিমকে সম্মান করা, কোরআনের ধারক-বাহক ও ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান দেখানো মহান আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৮৪৩)
উল্লিখিত হাদিসের বাহ্যিক দাবি হলো আল্লাহর মর্যাদা ��ক্ষার মতো বৃদ্ধ মুসলিম, কোরআনের ধারক ও ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা রক্ষা করাও ফরজ। অথচ কোনো ফকিহ এটাকে ফরজ বলেননি, বরং সাধারণ দায়িত্ব-কর্তব্য বলেছেন।
৫. দলিলের স্তর নির্ণয়ে ভুল করা : শরিয়তের দলিলগুলোর মধ্যে মর্যাদাগত তারতম্য আছে। যেমন—কোরআনের মর্যাদা সবার ওপরে। এরপর যথাক্রমে হাদিস, ইজমা, কিয়াস, ইসতিহসান, উরুফ ইত্যাদি। আবার আয়াত ও হাদিসগুলোর মধ্যেও পারস্পরিক মর্যাদাগত পার্থক্য রয়েছে। যেমন—একটি আয়াত রহিত, অন্যটি রহিতকারী; একটি আয়াতের বক্তব্য সুস্পষ্ট, অন্য আয়াত ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে; একটি হাদিস অবিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত, অপরটি বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত—এগুলোর মর্যাদা সমান নয়। এর একটি অপরটির ওপর প্রাধান্য পাবে। সুতরাং শরিয়তের দলিলগুলোর স্তর না জানলে গবেষণায় ভুল হবে।
৬. ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞতা : ইসলামী বিষয়গুলোর ওপর গবেষণা করতে হলে ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক, বিশেষ করে মহানবী (সা.)-এর নবুয়ত লাভের পর থেকে ইসলামের প্রথম কয়েক শতাব্দীর ইতিহাস, ঐতিহাসিক ঘটনা, বিভিন্ন শাস্ত্রের কীর্তিমান ব্যক্তিত্বদের জীবনচরিত জানা আবশ্যক। কেননা শরিয়তের এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো সমকালীন আলেমদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে (ইজমা) গৃহীত বা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আবার মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে আলেমদের ভেতর তারতম্য আছে। যার একজনের মতের বিপক্ষে অন্যজনের মত গ্রহণযোগ্য নয়।
৭. আরবি ভাষা সম্পর্কে অজ্ঞতা : আরবি ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস কোরআন ও হাদিস। যার ভাষা আরবি। কোরআন-হাদিস ছাড়াও ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রামাণ্য গ্রন্থগুলো প্রধানত আরবি ভাষায় রচিত। তাই আরবি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা না থাকলে ধর্মীয় বিষয়ে গবেষণায় ভুল করার সমূহ আশঙ্কা থাকে। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, ‘প্রত্যেক মুসলমান সাধ্যানুযায়ী আরবি ভাষা শিখবে। যেন সে আরবি ভাষায় কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ ও কোরআন তিলাওয়াত করতে পারে এবং যেসব জিকির ও অজিফা আরবি ভাষায় পাঠ করা ফরজ তা যেন আরবিতে পড়তে পারে। একইভাবে তাসবিহ, তাশাহহুদ ইত্যাদি পড়তে পারে। এরপর যদি কোনো মানুষ শেষ নবী (সা.) ও কোরআনের ভাষায় আরো দক্ষতা অর্জন করে তবে তা উত্তম।’ (আর রিসালা, পৃষ্ঠা-৪৮-৪৯)
৮. গবেষণার পরিসর না জানা : শরিয়তের কিছু বিষয় এমন যেখানে গবেষণার অবকাশ আছে এবং কিছু বিষয় রয়েছে যা পূর্ব থেকে মীমাংসিত, এসব বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণের অবকাশ নেই। একজন গবেষক যখন মীমাংসিত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানবে, তখন সে গবেষণার পরিধি ��ির্ধারণে ভুল করবে। যেমন—সাহাবায়ে কিরাম (রা.)-এর মর্যাদা ও সম্মান একটি মীমাংসিত বিষয়। তাঁরা সবাই ন্যায়পরায়ণ ও ক্ষমাপ্রাপ্ত। সুতরাং তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা ভুলত্রুটি চিহ্নিত করে কেউ যদি ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে চায় তবে সে নিশ্চিত ভুল করবে।
৯. চার স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে : গবেষক আলেমরা ইসলামী জ্ঞান-গবেষণায় চারটি বিষয়কে স্তম্ভ ঘোষণা করেছেন। এগুলো পাওয়া না গেলে গবেষণায় ভুল হতে পারে। বিষয়গুলো হলো—এক. আহলে দিল তথা বিশুদ্ধ চিন্তা, চেতনা ও বিশ্বাসের অধিকারী আলেমের সাহচর্য লাভ, দুই. আহলে ফন তথা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তির অধীনে পাঠ গ্রহণ, তিন. গভীর অধ্যয়ন ও অধ্যবসয়, চার. অর্জিত জ্ঞান আত্মস্থ করা। মুহাম্মদ ইবনে সিরিন (রহ.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই এ জ্ঞান দ্বিনের অংশ। সুতরাং কার কাছ থেকে তোমরা তোমাদের দ্বিন গ্রহণ করছ তা লক্ষ্য রাখো।’ (আল কামিল : ১/২৫৪)
১০. আল্লাহর ভয় না থাকলে : ধর্মীয় বিষয়ে গবেষণা আল্লাহভীতি ও পরকালীন জবাবদিহির ভয় গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহভীতি না থাকলে ব্যক্তির জন্য হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তাঁর কাজকে সহজ করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার সমস্যার সমাধান সহজ করে দেবেন।’
(সুরা : তালাক, আয়াত : ৪)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক নিয়মে গবেষণা করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ধর্মীয় গবেষণায় বিচ্যুতির ১০ কারণ
10 Reasons For Religious Research Deviations
#ধর্মীয় গবেষণায় বিচ্যুতির ১০ কারণ#10 Reasons For Religious Research Deviations#ধর্মীয়গবেষণা#Religious#Research#Deviations#Reason#ধর্ম#গবেষণা#বিচ্যুতি#কারণ#Youtube
0 notes
Text
youtube
#সার্চইঞ্জিন#search engine#ফাঁসিরআসামি#সিরিয়ালকিলার#আসামি#কারাগার#সিনেমারগল্পেরমতকারাগারথেকেপালালোআসামি#কুখ্যাতঅপরাধী#EscapedPrisoner#karagar#Jail Escape#DaneloCavalcante#ভয়ঙ্করঅপরাধী#searchengine#youtube#bangladesh#tumbirfyp#foryopage#tumblog#foryou#Youtube
2 notes
·
View notes
Text
The most terrible prison in the world! Where people go and do not come back alive

Finding yourself in jail for committing a crime gives rise to a terrifying feeling that cannot be expressed in words. Every country in the world has prisons for those who break their laws, where the environment, conditions, or regulations inside the prison are sometimes very harsh. Some of the most terrifying prisons in the world will haunt you with all the terrible history and past events. Read More...
#TerrifyingPrisons#PrisonExploration#WorldsScariestPrisons#Prison#TheWorldsToughestPrison#mostdangerousprisonintheworld#ভয়ঙ্করকারাগার#বিশ্বেরসবচেয়েভয়ঙ্করকারাগার#কারাগার#কারাগারেজীবন#অপরাধ#এলসালভাদর#পৃথিবীরসবথেকেভয়ঙ্করকারাগার#karagar#ভয়ংকরজেলখানা#সার্চইঞ্জিন#youtube#bangladesh#tumbiryoutube#tumblr milestone#tumbir#video#foryou
2 notes
·
View notes
Text
Prisoner escaped naked through the hole in the prison door! The most incredible story of prison escape

Prisons are made to punish criminals. Prisons are built in such a way that criminals cannot escape. But, no matter how strict measures are taken to keep inmates from escaping, many convicts escape from jail through loopholes or the like. The administration is unable to stop it despite its best efforts. The monsters in human form slipped right through the unknown cracks in the prison. A prison escape adventure involving the fate of escaped convicts and intricate plans. Read More…
#Search Engine_সার্চ ইঞ্জিন#PrisonStories#Redemption#SecondChances#InspiringStories#CourageousJourneys#Resilience#Transformation#HumanSpirit#OvercomingAdversity#LifeAfterPrison#কারাগার#পুনর্মিলন#দ্বিতীয় সুযোগ#আদর্শগল্প#সাহসী গল্প#সাহস#নতুন শুরু#চ্যালেঞ্জ#youtube#foryou
1 note
·
View note
Text













ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম
https://www.youtube.com/watch?v=BH1zIJUgqM8
https://www.youtube.com/watch?v=yA_4puuQUTM
https://www.youtube.com/watch?v=Zd1xDv8_Q2g
ধর্মীয় গবেষণায় বিচ্যুতির ১০ কারণ
ইসলাম নানাভাবে মানুষকে জ্ঞান-গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছে। চিন্তা ও গবেষণাকে ইবাদত বলে ঘোষণা করেছে। তবে সঠিক পদ্ধতিতে গবেষণা করা আবশ্যক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না? আল্লাহ আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও তাদের অন্তর্বর্তী সব কিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে এবং এক নির্দিষ্ট কালের জন্য।
(সুরা : রোম, আয়াত : ৮)
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওজি (রহ.) বলেন, ‘সেই চিন্তা ও গবেষণাই ইবাদতের মর্যাদা রাখে, যা মানুষকে উদাসীনতার জীবন থেকে সচেতন জীবনের দিকে, অপছন্দনীয় বিষয়কে পছন্দনীয় বিষয়ের দিকে, মোহ ও লালসার জীবন থেকে সংযম ও অল্পতুষ্টির জীবনের দিকে এবং দুনিয়ার কারাগার থেকে পরকালের মুক্তির দিকে নিয়ে যায়।’ (মিফতাহু দারিস সাআদাত, পৃষ্ঠা-১৮৩)
ধর্মীয় গবেষণায় ভুলের কারণ
যেসব কারণে ধর্মীয় গবেষণায় ভুলভ্রান্তি হয় তার কয়েকটি হলো—
১. সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাড়াহুড়া করা : যেকোনো বিষয়ে গবেষণায় ধৈর্য ও অধ্যবসয় অপরিহার্য। গবেষণার সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাড়াহুড়া করা নিষেধ, বিশেষত ধর্মীয় কোনো বিষয়ে গবেষণা করা হলে। কেননা এর সঙ্গে মানুষের ঈমান-আমলের প্রশ্ন জড়িত।
পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মানুষ সৃষ্টিগতভাবে ত্বরাপ্রবণ, শিগগির আমি তোমাদেরকে আমার নিদ���্শনাবলি দেখাব। সুতরাং তোমরা আমাকে ত্বরা করতে বোলো না।’
(সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৩৭)
২. পূর্ব চিন্তাকে গুরুত্ব দেওয়া : গবেষণা শুরু করার আগেই ব্যক্তি যদি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো চিন্তা ও অনুমানকে অন্তরে ধারণ করে এবং নিজের পূর্ব চিন্তাকে গুরুত্ব দেয়, তবে গবেষণায় ভুল হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।
ভিত্তিহীন পূর্ব চিন্তা ধারণা, অনুমান ও প্রবৃত্তির অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম ধারণা ও প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে নিষেধ করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের বেশির ভাগ অনুমানেরই অনুসরণ করে, সত্যের পরিবর্তে অনুমান কোনো কাজে আসে না, তারা যা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৬)
৩. অনির্ভরযোগ্য উৎস থেকে গ্রহণ : ইসলামী বিষয়ে গবেষণার একটি শর্ত হলো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে গ্রহণ করা। অনির্ভরযোগ্য ও অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে উপাত্ত গ্রহণ করে কখনো সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব নয়।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি তার আনুগত্য কোরো না, যার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি, যে তার খেয়ালখুশির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে।’
(সুরা : কাহফ, আয়াত : ২৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ওপর মিথ্যারোপ করল সে জাহান্নামে তার আবাস তৈরি করল।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৯৫১)
৪. মর্যাদা ও গুরুত্ব নির্ধারণে ভুল করা : ব্যক্তি, বস্তু, স্থান ও বিষয়ের মর্যাদা ও গুরুত্ব নির্ণয়ে ভুল করলে ব্যক্তির গবেষণায় ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে শরিয়ত যাকে যে মর্যাদা দিয়েছে তাকে সে স্থানে রাখতে হবে। মধ্যপন্থা ও ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। যেমন—হাদিসে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই বৃদ্ধ মুসলিমকে সম্মান করা, কোরআনের ধারক-বাহক ও ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান দেখানো মহান আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৮৪৩)
উল্লিখিত হাদিসের বাহ্যিক দাবি হলো আল্লাহর মর্যাদা রক্ষার মতো বৃদ্ধ মুসলিম, কোরআনের ধারক ও ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা রক্ষা করাও ফরজ। অথচ কোনো ফকিহ এটাকে ফরজ বলেননি, বরং সাধারণ দায়িত্ব-কর্তব্য বলেছেন।
৫. দলিলের স্তর নির্ণয়ে ভুল করা : শরিয়তের দলিলগুলোর মধ্যে মর্যাদাগত তারতম্য আছে। যেমন—কোরআনের মর্যাদা সবার ওপরে। এরপর যথাক্রমে হাদিস, ইজমা, কিয়াস, ইসতিহসান, উরুফ ইত্যাদি। আবার আয়াত ও হাদিসগুলোর মধ্যেও পারস্পরিক মর্যাদাগত পার্থক্য রয়েছে। যেমন—একটি আয়াত রহিত, অন্যটি রহিতকারী; একটি আয়াতের বক্তব্য সুস্পষ্ট, অন্য আয়াত ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে; একটি হাদিস অবিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত, অপরটি বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত—এগুলোর মর্যাদা সমান নয়। এর একটি অপরটির ওপর প্রাধান্য পাবে। সুতরাং শরিয়তের দলিলগুলোর স্তর না জানলে গবেষণায় ভুল হবে।
৬. ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞতা : ইসলামী বিষয়গুলোর ওপর গবেষণা করতে হলে ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক, বিশেষ করে মহানবী (সা.)-এর নবুয়ত লাভের পর থেকে ইসলামের প্রথম কয়েক শতাব্দীর ইতিহাস, ঐতিহাসিক ঘটনা, বিভিন্ন শাস্ত্রের কীর্তিমান ব্যক্তিত্বদের জীবনচরিত জানা আবশ্যক। কেননা শরিয়তের এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো সমকালীন আলেমদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে (ইজমা) গৃহীত বা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আবার মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে আলেমদের ভেতর তারতম্য আছে। যার একজনের মতের বিপক্ষে অন্যজনের মত গ্রহণযোগ্য নয়।
৭. আরবি ভাষা সম্পর্কে অজ্ঞতা : আরবি ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস কোরআন ও হাদিস। যার ভাষা আরবি। কোরআন-হাদিস ছাড়াও ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রামাণ্য গ্রন্থগুলো প্রধানত আরবি ভাষায় রচিত। তাই আরবি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা না থাকলে ধর্মীয় বিষয়ে গবেষণায় ভুল করার সমূহ আশঙ্কা থাকে। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, ‘প্রত্যেক মুসলমান সাধ্যানুযায়ী আরবি ভাষা শিখবে। যেন সে আরবি ভাষায় কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ ও কোরআন তিলাওয়াত করতে পারে এবং যেসব জিকির ও অজিফা আরবি ভাষায় পাঠ করা ফরজ তা যেন আরবিতে পড়তে পারে। একইভাবে তাসবিহ, তাশাহহুদ ইত্যাদি পড়তে পারে। এরপর যদি কোনো মানুষ শেষ নবী (সা.) ও কোরআনের ভাষায় আরো দক্ষতা অর্জন করে তবে তা উত্তম।’ (আর রিসালা, পৃষ্ঠা-৪৮-৪৯)
৮. গবেষণার পরিসর না জানা : শরিয়তের কিছু বিষয় এমন যেখানে গবেষণার অবকাশ আছে এবং কিছু বিষয় রয়েছে যা পূর্ব থেকে মীমাংসিত, এসব বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণের অবকাশ নেই। একজন গবেষক যখন মীমাংসিত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানবে, তখন সে গবেষণার পরিধি নির্ধারণে ভুল করবে। যেমন—সাহাবায়ে কিরাম (রা.)-এর মর্যাদা ও সম্মান একটি মীমাংসিত বিষয়। তাঁরা সবাই ন্যায়পরায়ণ ও ক্ষমাপ্রাপ্ত। সুতরাং তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা ভুলত্রুটি চিহ্নিত করে কেউ যদি ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে চায় তবে সে নিশ্চিত ভুল করবে।
৯. চার স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে : গবেষক আলেমরা ইসলামী জ্ঞান-গবেষণায় চারটি বিষয়কে স্তম্ভ ঘোষণা করেছেন। এগুলো পাওয়া না গেলে গবেষণায় ভুল হতে পারে। বিষয়গুলো হলো—এক. আহলে দিল তথা বিশুদ্ধ চিন্তা, চেতনা ও বিশ্বাসের অধিকারী আলেমের সাহচর্য লাভ, দুই. আহলে ফন তথা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তির অধীনে পাঠ গ্রহণ, তিন. গভীর অধ্যয়ন ও অধ্যবসয়, চার. অর্জিত জ্ঞান আত্মস্থ করা। মুহাম্মদ ইবনে সিরিন (রহ.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই এ জ্ঞান দ্বিনের অংশ। সুতরাং কার কাছ থেকে তোমরা তোমাদের দ্বিন গ্রহণ করছ তা লক্ষ্য রাখো।’ (আল কামিল : ১/২৫৪)
১০. আল্লাহর ভয় না থাকলে : ধর্মীয় বিষয়ে গবেষণা আল্লাহভীতি ও পরকালীন জবাবদিহির ভয় গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহভীতি না থাকলে ব্যক্তির জন্য হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তাঁর কাজকে সহজ করে দেবেন��� ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার সমস্যার সমাধান সহজ করে দেবেন।’
(সুরা : তালাক, আয়াত : ৪)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক নিয়মে গবেষণা করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ধর্মীয় গবেষণায় বিচ্যুতির ১০ কারণ
10 Reasons For Religious Research Deviations
#ধর্মীয় গবেষণায় বিচ্যুতির ১০ কারণ#10 Reasons For Religious Research Deviations#ধর্মীয়গবেষণা#Religious#Research#Deviations#Reason#ধর্ম#গবেষণা#বিচ্যুতি#কারণ#Youtube
0 notes
Text













ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম
https://www.youtube.com/watch?v=BH1zIJUgqM8
https://www.youtube.com/watch?v=yA_4puuQUTM
https://www.youtube.com/watch?v=Zd1xDv8_Q2g
ধর্মীয় গবেষণায় বিচ্যুতির ১০ কারণ
ইসলাম নানাভাবে মানুষকে জ্ঞান-গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছে। চিন্তা ও গবেষণাকে ইবাদত বলে ঘোষণা করেছে। তবে সঠিক পদ্ধতিতে গবেষণা করা আবশ্যক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না? আল্লাহ আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও তাদের অন্তর্বর্তী সব কিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে এবং এক নির্দিষ্ট কালের জন্য।
(সুরা : রোম, আয়াত : ৮)
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওজি (রহ.) বলেন, ‘সেই চিন্তা ও গবেষণাই ইবাদতের মর্যাদা রাখে, যা মানুষকে উদাসীনতার জীবন থেকে সচেতন জীবনের দিকে, অপছন্দনীয় বিষয়কে পছন্দনীয় বিষয়ের দিকে, মোহ ও লালসার জীবন থেকে সংযম ও অল্পতুষ্টির জীবনের দিকে এবং দুনিয়ার কারাগার থেকে পরকালের মুক্তির দিকে নিয়ে যায়।’ (মিফতাহু দারিস সাআদাত, পৃষ্ঠা-১৮৩)
ধর্মীয় গবেষণায় ভুলের কারণ
যেসব কারণে ধর্মীয় গবেষণায় ভুলভ্রান্তি হয় তার কয়েকটি হলো—
১. সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাড়াহুড়া করা : যেকোনো বিষয়ে গবেষণায় ধৈর্য ও অধ্যবসয় অপরিহার্য। গবেষণার সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাড়াহুড়া করা নিষেধ, বিশেষত ধর্মীয় কোনো বিষয়ে গবেষণা করা হলে। কেননা এর সঙ্গে মানুষের ঈমান-আমলের প্রশ্ন জড়িত।
পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মানুষ সৃষ্টিগতভাবে ত্বরাপ্রবণ, শিগগির আমি তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলি দেখাব। সুতরাং তোমরা আমাকে ত্বরা করতে বোলো না।’
(সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৩৭)
২. পূর্ব চিন্তাকে গুরুত্ব দেওয়া : গবেষণা শুরু করার আগেই ব্যক্তি যদি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো চিন্তা ও অনুমানকে অন্তরে ধারণ করে এবং নিজের পূর্ব চিন্তাকে গুরুত্ব দেয়, তবে গবেষণায় ভুল হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।
ভিত্তিহীন পূর্ব চিন্তা ধারণা, অনুমান ও প্রবৃত্তির অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম ধারণা ও প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে নিষেধ করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের বেশির ভাগ অনুমানেরই অনুসরণ করে, সত্যের পরিবর্তে অনুমান কোনো কাজে আসে না, তারা যা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৬)
৩. অনির্ভরযোগ্য উৎস থেকে গ্রহণ : ইসলামী বিষয়ে গবেষণার একটি শর্ত হলো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে গ্রহণ করা। অনির্ভরযোগ্য ও অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে উপাত্ত গ্রহণ করে কখনো সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব নয়।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি তার আনুগত্য কোরো না, যার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি, যে তার খেয়ালখুশির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে।’
(সুরা : কাহফ, আয়াত : ২৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ওপর মিথ্যারোপ করল সে জাহান্নামে তার আবাস তৈরি করল।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৯৫১)
৪. মর্যাদা ও গুরুত্ব নির্ধারণে ভুল করা : ব্যক্তি, বস্তু, স্থান ও বিষয়ের মর্যাদা ও গুরুত্ব নির্ণয়ে ভুল করলে ব্যক্তির গবেষণায় ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে শরিয়ত যাকে যে মর্যাদা দিয়েছে তাকে সে স্থানে রাখতে হবে। মধ্যপন্থা ও ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। যেমন—হাদিসে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই বৃদ্ধ মুসলিমকে সম্মান করা, কোরআনের ধারক-বাহক ও ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান দেখানো মহান আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৮৪৩)
উল্লিখিত হাদিসের বাহ্যিক দাবি হলো আল্লাহর মর্যাদা রক্ষার মতো বৃদ্ধ মুসলিম, কোরআনের ধারক ও ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা রক্ষা করাও ফরজ। অথচ কোনো ফকিহ এটাকে ফরজ বলেননি, বরং সাধারণ দায়িত্ব-কর্তব্য বলেছেন।
৫. দলিলের স্তর নির্ণয়ে ভুল করা : শরিয়তের দলিলগুলোর মধ্যে মর্যাদাগত তারতম্য আছে। যেমন—কোরআনের মর্যাদা সবার ওপরে। এরপর যথাক্রমে হাদিস, ইজমা, কিয়াস, ইসতিহসান, উরুফ ইত্যাদি। আবার আয়াত ও হাদিসগুলোর মধ্যেও পারস্পরিক মর্যাদাগত পার্থক্য রয়েছে। যেমন—একটি আয়াত রহিত, অন্যটি রহিতকারী; একটি আয়াতের বক্তব্য সুস্পষ্ট, অন্য আয়াত ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে; একটি হাদিস অবিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত, অপরটি বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত—এগুলোর মর্যাদা সমান নয়। এর একটি অপরটির ওপর প্রাধান্য পাবে। সুতরাং শরিয়তের দলিলগুলোর স্তর না জানলে গবেষণায় ভুল হবে।
৬. ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞতা : ইসলামী বিষয়গুলোর ওপর গবেষণা করতে হলে ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক, বিশেষ করে মহানবী (সা.)-এর নবুয়ত লাভের পর থেকে ইসলামের প্রথম কয়েক শতাব্দীর ইতিহাস, ঐতিহাসিক ঘটনা, বিভিন্ন শাস্ত্রের কীর্তিমান ব্যক্তিত্বদের জীবনচরিত জানা আবশ্যক। কেননা শরিয়তের এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো সমকালীন আলেমদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে (ইজমা) গৃহীত বা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আবার মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে আলেমদের ভেতর তারতম্য আছে। যার একজনের মতের বিপক্ষে অন্যজনের মত গ্রহণযোগ্য নয়।
৭. আরবি ভাষা সম্পর্কে অজ্ঞতা : আরবি ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস কোরআন ও হাদিস। যার ভাষা আরবি। কোরআন-হাদিস ছাড়াও ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রামাণ্য গ্রন্থগুলো প্রধানত আরবি ভাষায় রচিত। তাই আরবি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা না থাকলে ধর্মীয় বিষয়ে গবেষণায় ভুল করার সমূহ আশঙ্কা থাকে। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, ‘প্রত্যেক মুসলমান সাধ্যানুযায়ী আরবি ভাষা শিখবে। যেন সে আরবি ভাষায় কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ ও কোরআন তিলাওয়াত করতে পারে এবং যেসব জিকির ও অজিফা আরবি ভাষায় পাঠ করা ফরজ তা যেন আরবিতে পড়তে পারে। একইভাবে তাসবিহ, তাশাহহুদ ইত্যাদি পড়তে পারে। এরপর যদি কোনো মানুষ শেষ নবী (সা.) ও কোরআনের ভাষায় আরো দক্ষতা অর্জন করে তবে তা উত্তম।’ (আর রিসালা, পৃষ্ঠা-৪৮-৪৯)
৮. গবেষণার পরিসর না জানা : শরিয়তের কিছু বিষয় এমন যেখানে গবেষণার অবকাশ আছে এবং কিছু বিষয় রয়েছে যা পূর্ব থেকে মীমাংসিত, এসব বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণের অবকাশ নেই। একজন গবেষক যখন মীমাংসিত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানবে, তখন সে গবেষণার পরিধি নির্ধারণে ভুল করবে। যেমন—সাহাবায়ে কিরাম (রা.)-এর মর্যাদা ও সম্মান একটি মীমাংসিত বিষয়। তাঁরা সবাই ন্যায়পরায়ণ ও ক্ষমাপ্রাপ্ত। সুতরাং তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা ভুলত্রুটি চিহ্নিত করে কেউ যদি ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে চায় তবে সে নিশ্চিত ভুল করবে।
৯. চার স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে : গবেষক আলেমরা ইসলামী জ্ঞান-গবেষণায় চারটি বিষয়কে স্তম্ভ ঘোষণা করেছেন। এগুলো পাওয়া না গেলে গবেষণায় ভুল হতে পারে। বিষয়গুলো হলো—এক. আহলে দিল তথা বিশুদ্ধ চিন্তা, চেতনা ও বিশ্বাসের অধিকারী আলেমের সাহচর্য লাভ, দুই. আহলে ফন তথা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তির অধীনে পাঠ গ্রহণ, তিন. গভীর অধ্যয়ন ও অধ্যবসয়, চার. অর্জিত জ্ঞান আত্মস্থ করা। মুহাম্মদ ইবনে সিরিন (রহ.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই এ জ্ঞান দ্বিনের অংশ। সুতরাং কার কাছ থেকে তোমরা তোমাদের দ্বিন গ্রহণ করছ তা লক্ষ্য রাখো।’ (আল কামিল : ১/২৫৪)
১০. আল্লাহর ভয় না থাকলে : ধর্মীয় বিষয়ে গবেষণা আল্লাহভীতি ও পরকালীন জবাবদিহির ভয় গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহভীতি না থাকলে ব্যক্তির জন্য হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তাঁর কাজকে সহজ করে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার সমস্যার সমাধান সহজ করে দেবেন।’
(সুরা : তালাক, আয়াত : ৪)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক নিয়মে গবেষণা করার তাওফিক দিন। আমিন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
ধর্মীয় গবেষণায় বিচ্যুতির ১০ কারণ
10 Reasons For Religious Research Deviations
#ধর্মীয় গবেষণায় বিচ্যুতির ১০ কারণ#10 Reasons For Religious Research Deviations#ধর্মীয়গবেষণা#Religious#Research#Deviations#Reason#ধর্ম#গবেষণা#বিচ্যুতি#কারণ#Youtube
0 notes