#ওমর সা
Explore tagged Tumblr posts
Text
ওমর ( রাঃ ) এর স্মৃতি ও দুনিয়ায় চাওয়া পাওয়া । আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সা...
youtube
0 notes
Text
লাখো পাঠকের হৃদয় জয় করেছে বইগুলো। আলোকিত করেছে তাদের বিশ্বাস ও অন্তর। একজন মুসলিমকে প্রোডাক্টিভ করে গড়ে তুলতে অবর্থ হাতিয়ার প্রোডাক্টিভ মুসলিম’। রাসূল সা.-এর স্মার্টনেসের ছাঁচে ঢেলে নিজের শৈশব ও যৌবনকে সাজাতে ‘বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ ﷺ’ গ্রন্থটি বিশ্বময় খ্যাত। ঈমানকে সন্দেহ-অবিশ্বাসের আঁচড় থেকে দূরে রাখতে ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ গল্প ও যুক্তিতে আপনার ঈমানের পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে। ‘দ্যা রিভার্টস’ আপনাকে শোনাবে পৃথবীর বিখ্যাত কিছু নবমুসলিমের ইসলামে ফিরে আসার হৃদয়গ্রাহী গল্পগুলো। সিক্রেটস অব জ*য়োনি*জম আপনাকে জানাবে বিশ্বপ্য্যাপী ই*হু*দি সম্রাজ্য ও তাদের গোয়েন্দা তৎপরতার গো*পন ইতিহাস। ‘রিভাইব ইয়োর হার্ট’ আপনাকে এক নতুন সমাজ ও স্বার্থক জীবনের সন্ধান দেবে। ৬টি বইয়ের মোট মূল্য = ১৪৫০ টাকা (ফিক্সড)। একসাথে বা পৃথকভাবে বইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। অর্ডার করতে আপনার মোবাইল নম্বর আমাদের ইনবক্স করুন। আমাদের টিম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এক নজরে বইগুলো : ১. প্রোডাক্টিভ মুসলিম লেখক : মোহাম্মাদ ফারিস অনুবাদ : মিরাজ রহমান ও হামিদ সিরাজী পৃষ্ঠা : ২৫৬ মূল্য : ২৮০ টাকা (ফিক্সড) ২. বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ ﷺ লেখক : ড. হিশাম আল আওয়াদি অনুবাদ : মাসুদ শরীফ পৃষ্ঠা : ১৪৪ মূল্য : ১৯৫ টাকা (ফিক্সড) ৩. প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ লেখক : আরিফ আজাদ পৃষ্ঠা : ১৬৮ মূল্য : ২২৫ টাকা (ফিক্সড) ৪. দ্যা রিভার্টস : ফিরে আসার গল্প লেখক : সামছুর রহমান ওমর, কানিজ শারমিন সিঁথি পৃষ্ঠা : ২৫৬ মূল্য : ২৬০ টাকা (ফিক্সড) ৫. সিক্রেটস অব জা*য়োনি*জম ট্যাগলাইন : বিশ্বব্যাপী জা*য়ো*নিস্ট ষড়*যন্ত্রের ভেতর-বাহির লেখক : হেনরি ফোর্ড অনুবাদ : ফুয়াদ আল আজাদ পৃষ্ঠ : ২৯৬ মূল্য : ৩০০ টাকা (ফিক্সড) ৬. রিভাইব ইয়োর হার্ট লেখক : উস্তাদ নোমান আলী খান অনুবাদ : মারদিয়া মমতাজ পৃষ্ঠা : ১৪৪ মূল্য : ১৯০ টাকা (ফিক্সড)
#islamicbooks#islam#islamic#islamicbookstore#books#muslim#islamicquotes#islamicbook#quran#bookstagram#reading#islamicart#read#booklover#muslimah#islamicgifts#islamicknowledge#islamicshop#allah#deen#muslimbooks#urdubooks#islamicreminders#islamicpost#muslimkids#sunnah#islamiccenter#bukuislami#islamicbookshop#muslimhomeschool
0 notes
Text
পুরুষের জন্য আংটি বৈধ? আংটি পরা কি জায়েজ?
পুরুষের জন্য আংটি বৈধ: আংটি পরা কি জায়েজ? সামান্য রুপার আংটি ব্যবহার করা জায়েজ। রাসুল (সা.) নিজেও রুপার আংটি ব্যবহার করেছেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-এর রুপার আংটি তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর হাতেই ছিল।
অতঃপর সেটি আবু বকর (রা.)-এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর হাতে। এরপর ওমর (রা.)-এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর হাতে ছিল। অতঃপর ওসমান (রা.)-এর হাতে এলে একদিন তিনি কূপের কাছে অবস্থানকালে হঠাৎ তাঁর হাত থেকে সেটি কূপে পড়ে যায়। পরে তাঁর নির্দেশে কূপের পানি সম্পূর্ণ নিষ্কাশন করা হয়; কিন্তু সেটি আর পাওয়া যায়নি।
আরও জানুন: রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম ও মন্ত্র জানতে ভিডিওটি দেখুন
#jewelry#tajmahalgemsworldrashifal#youtube#gemstonejewelry#astrologicalsciencedainikrashifal#meshrashi#ajkerrashifalbangla2022today#astrologerdelowerchishti#gemstone#gemstones
0 notes
Text
‘ওয়াও’লিখে বিতর্কে ওমর সানী
‘ওয়াও’লিখে বিতর্কে ওমর সানী
টপ নিউজ ডেস্কঃ দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান বেশ সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাঝেমধ্যে নিজের ফটোশুট আপলোড করেন। ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে অভিনয় জীবনের খবরা-খবরও দেন। আর প্রিয় তারকার আপডেট জেনে তার ভক্ত-অনুরাগীরাও কৌতূহল মেটান। তবে সম্প্রতি কয়েকটি বোল্ড ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে বিতর্কের মুখে জয়া। অভিনেত্রীর সেসব ছবি শীতের আমেজে ব্যাপক উষ্ণতা ছড়ায় নেটপাড়ায়। আর সেই ছবিগুলোর…
View On WordPress
0 notes
Photo
আরবি পরিভাষায় মধুপোকা বা মৌমাছিকে ‘নাহল’ বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এই নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা বিদ্যমান আছে। সূরা নাহল এর আয়াত ৬৯-এ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- “ইয়াখরুজু মিমবুতুনিহা শারাবুম মুখতা লিফুন আল্ওয়া নহু ফীহি শিফাউল লিন্নাসি।”
অর্থ : তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার। মধু হচ্ছে ওষুধ এবং খাদ্য উভয়ই। মধুকে বলা হয়- বিররে এলাহি ও তিব্বে নব্বী। অর্থাৎ খোদায়ী চিকিৎসা ও নবী করীম (সা.)- এর বিধানের অন্তর্ভুক্ত। সূরা মুহাম্মদ- এর ১৫ আয়াতে আল্লাহ তায়ালার এরশাদ হচ্ছে- “জান্নাতে স্বচ্ছ মধুর নহর প্রবাহিত হবে।”
খাদ্য ও ঋতুর বিভিন্নতার কারণে মধুর রঙ বিভিন্ন হয়ে থাকে। এ কারণেই কোন বিশেষ অঞ্চলে কোন বিশেষ ফল-ফুলের প্রাচুর্য থাকলে সেই এলাকার মধুতে তার প্রভাব ও স্বাদ অবশ্যই পরিলক্ষিত হয়। মধু সাধারণত তরল আকারে থাকে তাই একে পানীয় বলা হয়। মধু যেমন বলকারক খাদ্য এবং রসনার জন্য আনন্দ ও তৃপ্তিদায়ক, তেমনি রোগ ব্যাধির জন্যও ফলদায়ক ব্যবস্থাপত্র। কেন হবে না, স্রষ্টার ভ্রাম্যমাণ মেশিন সর্বপ্রকার ফল-ফুল থেকে বলকারক রস ও পবিত্র নির্যাস বের করে সুরক্ষিত গৃহে সঞ্চিত রাখে। মধুর আরো একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য এই যে, নিজেও নষ্ট হয় না এবং অন্যান্য বস্তুকে দীর্ঘকাল পর্যন্ত নষ্ট হতে দেয় না। এ কারণেই হাজারো বছর ধরে চিকিৎসকরা একে অ্যালকোহল (Alcohol)- এর স্থলে ব্যবহার করে আসছেন। মধু বিরেচক এবং পেট থেকে দূষিত পদার্থ অপসারক।
রাসূলুল্লাহ (সা.)- এর কাছে কোন এক সাহাবি তার ভাইয়ের অসুখের বিবরণ দিলে তিনি তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন। দ্বিতীয় দিনও এসে আবার সাহাবি বললেন- অসুখ পূর্ববৎ বহাল রয়েছে। তিনি আবারো একই পরামর্শ দিলেন। তৃতীয় দিনও যখন সংবাদ এল যে, অসুখের কোন পার্থক্য হয়নি, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন- আল্লাহর উক্তি নিঃসন্দেহে সত্য, তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যাবাদী। উদ্দেশ্য এই যে, ওষুধের কোনো দোষ নেই। রোগীর বিশেষ মেজাজের কারণে ওষুধ দ্রুত কাজ করেনি। এর পর রোগীকে আবার মধু পান করানো হয় এবং সে সুস্থ হয়ে উঠে।
মধুর নিরাময় শক্তি বিরাট ও সতন্ত্র ধরনের। কিছু সংখ্যক আল্লাহওয়ালা বুজর্গ ব্যক্তি এমনও রয়েছেন, যারা মধু সর্বরোগের প্রতিষেধক হওয়ার ব্যাপারে নিঃসন্দেহ। তারা ফোড়া ও চোখের চিকিৎসাও মধুর মাধ্যমে করেন। দেহের অন্যান্য রোগেরও চিকিৎসা মধুর দ্বারা করেন। হজরত ইবনে ওমর (রা.) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তার শরীরে ফোঁড়া বের হলেও তিনি তাতে মধুর প্রলেপ দিয়ে চিকিৎসা করতেন। এর কারণ জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেন- আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কি বলেননি যে, তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার। -(কুরতুবী)
হাদিস শরিফে মধুর গুণাগুণ পবিত্র হাদিস শরিফে মধু সম্পর্কে প্রচুর রেওয়ায়েত আছে। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর মতে সকল পানীয় উপাদানের মধ্যে মধু সর্বোৎকৃষ্ঠ। তিনি বলেন- মধু এবং কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের চিকিৎসা নেয়া উচিত। -(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাকেম)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন যে, “রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি প্রত্যেক মাসে তিন দিন ভোরে মধু চেটে খায় তার কোন বড় বিপদ হতে পারে না।” -(ইবনে মাজাহ, বয়হাকী)
রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বয়ং সকাল বেলা খালি পেটে মধুর শরবত পান করতেন। যারা নিয়মিতভাবে মধুর শরবত পান করতে না পারবে তাদের জন্য তিনি বলেন- যে ব্যক্তি মাসে তিন দিন সকাল বেলা মধু চেটে সেবন করবে, ওই মাসে তার কোন কঠিন রোগব্যাধি হবে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যে কেহ আরোগ্য কামনা করে, তার ভোরের নাশতা হিসাবে পানি মিশ্রি�� মধু পান করা উচিত।
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন- আল্লাহর শপথ যে ঘরে মধু আছে অবশ্যই ফেরেস্তারা সে ঘরের অধিবাসীদের মাগফেরাত কামনা করেন। কোন ব্যক্তি যদি মধুপান করে তবে যেন তার পেটে লক্ষ ওষুধ স্থির হলো এবং পেট হতে লাখ রোগ বের হয়ে গেল। আর যদি সে পেটে মধু ধারণ অবস্থায় মারা যায় তবে তাকে দোজখের আগুন স্পর্শ করে না। -(নেয়ামুল কোরআন)
হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে হুজুর পাক (সা.) বলেছেন, তোমরা দুটি সেফা দানকারী বস্তুকে নিজেদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করে নাও। একটি মধু অপরটি কুরআন। -(মিশকাত)
মধু ৯৯ প্রকার রোগের প্রতিষেধক। কারণ, মধু রোগব্যাধি শেফা দানে এক অব্যর্থ মহৌষধ। আর কোরআন দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতার গ্যারান্টি। এ দুটির দ্বারা বহু শতাব্দী ধরে মানুষ অশেষ উপকৃত হয়ে আসছে। আমাদের প্রিয় নবী হুজুর পাক (সা.) মধু খেতে বড়ই ভালো বাসতেন। . ঘরে বসে মধু পেতে...
⬛ ইনবক্সে অর্ডার করুনঃ
https://web.facebook.com/OITIJJHYO
◼সারাদেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে প্রডাক্ট পাঠানো হয় ◼কুরিয়ার চার্জ ৪০-১২০৳ পর্যন্ত হতে পারে ◼এডভান্স পেমেন্ট প্রযোজ্য ◼খুলনা শহরের ভিতরে ক্যাশ অন ডেলিভারি চার্জ ৪০৳ ◼সরাসরি পেতে চলে আসুন আমাদের আউটলেটে। আমাদের ঠিকানঃ ৪২ হাজী মেহের আলী সড়ক, ইকবাল নগর স্কুল মোড়, খুলনা। ◼হেল্পলাইনঃ ০১৭৫৭-২৬৬ ২২৬, ০১৯৭৬-৭৭১ ৬৬১ (���োকান) ◼ আমাদের সকল পন্য এক সাথে দেখতে ভিজিট করুনঃ oitijjhyo.com
#ঐতিহ্য #অরগানিকÑফুড #বিশুদ্ধÑপন্য #organic_food #pure_food
1 note
·
View note
Text
যেভাবে কোরবানি করতেন মুহাম্মদ (সা.)
যেভাবে কোরবানি করতেন মুহাম্মদ (সা.)
কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। পবিত্র কোরআন-হাদিসে কোরবানির গুরুত্ব অপরিসীম। এই দিনটিতে সামর্থ্যবান মুসলমানরা আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানি করেন। রাসুল মুহাম্মদ (সা.) হিজরতের পর প্রতি বছর কোরবানি করেছেন। মদিনার জীবনে মহানবী (সা.) কখনো কোরবানি ত্যাগ করেননি। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণ���ত, ‘রাসুল (সা.) মদিনায় ১০ বছর অবস্থান করেছেন। প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন।’…
View On WordPress
0 notes
Text
তারাবি নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা
মাহে রমজানে রাত্রিকালে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবি নামাজ’ বলা হয়। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। তারাবি নামাজ পড়াকালে প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত পরপর বিশ্রাম করার জন্য একটু বসার নামই ‘তারাবি’। দীর্ঘ নামাজের কঠোর পরিশ্রম লাঘবের জন্য প্রতি দুই রাকাত, বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করে দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয় বলে এ নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বা তারাবি নামাজ বলা হয়।
রমজান মাসের জন্য নির্দিষ্ট তারাবি নামাজ জামাতে পড়া ও সম্পূর্ণ কোরআন শরিফ একবার খতম করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে তারাবি নামাজ পড়েছেন এবং সাহাবায়ে কিরামকে পড়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তারাবি নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা ও কোরআন শরিফ খতম করা অধিক সওয়াবের কাজ। তবে ঘরে সূরা-কিরাআতের মাধ্যমে আদায় করলেও সওয়াব পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) তারাবি নামাজের জন্য রাতের কোনো বিশেষ সময়কে নির্দিষ্ট করে দেননি। তবে তারাবি নামাজ অবশ্যই এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যে আদায় করতে হবে।
নবী করিম (সা.) বেশির ভাগ সময় রাতের শেষাংশে তারাবি আদায় করতেন এবং প্রথমাংশে বিশ্রাম নিতেন। তিনি কখনো আট রাকাত, কখনো ১৬ রাকাত, আবার কখনো ২০ রাকাত তারাবি নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু বিশেষ কারণবশত নিয়মিত ২০ রাকাত পড়তেন না। কেননা, তিনি কোনো কাজ নিয়মিত করলে তা উ��্মতের জন্য ওয়াজিব তথা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়। এ করুণা দৃষ্টির কারণে তিনি তাঁর আমলে প্রতিনিয়ত ২০ রাকাত পূর্ণ তারাবি জামাত হতে দেননি। যার দরুন সালাতুত তারাবিহ সুন্নত, ওয়াজিব নয়; তবে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বা জরুরি সুন্নত। ২০ রাকাত তারাবি নামাজ হওয়ার সপক্ষে দলিল সহিহ হাদিসে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, ‘নবী করিম (সা.) রমজান মাসে বিনা জামাতে (একাকী) ২০ রাকাত তারাবি নামাজ আদায় করতেন, অতঃপর বিতর নামাজ পড়তেন।’ (বায়হাকি)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাতের পর তারাবি নামাজ ওয়াজিব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আর থাকেনি। তাই তারাবির প্রতি যথাযথ গুরুত্ব হজরত ওমর (রা.)-এর আমলে কার্যকর হয়। ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবুবকর (রা.) ও দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর খিলাফতকালেও তারাবি নামাজ ২০ রাকাত পড়া হতো। হজরত ওমর (রা.) মসজিদে নববিতে সাহাবিদের খণ্ড খণ্ড জামাতে ও একাকী তারাবির নামাজ পড়তে দেখে সবাই মিলে এক জামাতে তারাবি পড়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। হজরত ওমর (রা.)-এর খিলাফতকালে সাহাবিদের ইজমা দ্বারা মূলত রমজান মাসের মধ্যে ২০ রাকাত তারাবি নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করার রীতির প্রচলন হয়।
মহানবী (সা.) রমজান মাসে তারাবি নামাজ আদায় করার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহ প্রদান করতেন। তারাবি নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াব প্রাপ্তির আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে, তার অতীতকৃত পাপগুলো ক্ষমা করা হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম) মাহে রমজানে রোজা, তারাবি নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদতের দরুন আল্লাহ তাআলা রোজাদার ব্যক্তির আগের সব গুনাহ মাফ করে দেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমান ও আত্মবিশ্লেষণের সঙ্গে পুণ্য লাভের আশায় রোজা রাখেন, তারাবি নামাজ পড়েন এবং কদরের রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত করেন, তাঁর জীবনের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করা হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা তারাবি নামাজ আদায় করতেন। তবে তিনি মাত্র চার রাত তারাবি নামাজ জামাতে পড়েছিলেন; কারণ যদি তিনি সর্বদা জামাতে তারাবি নামাজ আদায় করেন, তাহলে তাঁর উম্মতেরা ভাববেন যে হয়তো এ তারাবি নামাজ ফরজ। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই রাতে ২০ রাকাত করে তারাবি নামাজ পড়িয়েছেন। তৃতীয় রাতে লোকজন জমা হলেও রাসুলুল্লাহ (সা.) উপস্থিত হননি। পরদিন সকালে তিনি ইরশাদ করলেন, ‘আমি তোমাদের ওপর তারাবি নামাজ ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছি। তখন তো তা তোমাদের জন্য কষ্টকর হবে।’ তাই দৈহিক বা মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে ২০ রাকাত অথবা কমপক্ষে আট রাকাত তারাবির সুন্নত নামাজ পড়ার সুযোগ আছে।
তারাবি নামাজের জামাতে পবিত্র কোরআন খতম করা হয়, তাই জামাতে তারাবি নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি পাওয়া যায়। রমজান মাসে তারাবি নামাজের কিয়াম হলো আল্লাহর রাস্তায় আরামকে হারাম করে কঠোর পরিশ্রম করার শপথ অনুষ্ঠান। তারাবি নামাজের প্রতিটি মুহূর্ত পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শ্রবণ ও আল্লাহকে স্মরণ ও জীবনে সফলকাম হওয়ার জন্য স্রষ্টার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা রমজানের রোজাগুলো ফরজ করেছেন এবং এর রাতে তারাবি নামাজের জন্য দণ্ডায়মান হওয়াকে অশেষ পুণ্যের কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।’
0 notes
Photo
রাসুলুল্লাহ (সা.) আবু বকর ও ওমর (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে আবুল হাইসাম (রা.)-এর বাড়িতে গেলেন। তিনি তাঁদের কাঁচা-পাকা খেজুর ও পানি দিয়ে আপ্যায়ন করেন। তখন তিনি বলেন, তোমাদের সামনে যখন এমন খাবার পরিবেশন করা হয় এবং তোমরা তা হাতে ধরো, তখন এ দোয়া বলবে। (মিরকাতুল মাফাতিহ : ৮/১৫৪)। যদি খাবারের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে যায়, তাহলে বলবে, ‘বিসমিল্লাহি ফি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩২৬৪) https://www.instagram.com/p/CYUbWbIBcv-/?utm_medium=tumblr
0 notes
Link
জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের ইবাদত
জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখ এই ছয় দিনেই হজের মূল কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হজ সম্পাদন করো সুবিদিত মাসসমূহে। অতঃপর যে কেউ এই মাসগুলোতে হজ করা স্থির করে, তার জন্য হজের সময়ে স্ত্রীসম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহবিবাদ বৈধ নয়। তোমরা উত্তম কাজ যা কিছু করো, আল্লাহ তা জানেন এবং তোমরা তোমাদের সাথে পাথেয় নিয়ে নাও। বস্তুত পক্ষে উৎকৃষ্ট পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া বা আত্মসংযম। সুতরাং হে জ্ঞানবানগণ! তোমরা আমাকে ভয় করো’ (সূরা বাকারা-১৯৭)।
আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন, ‘জিলহজের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়। প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার মতো আর প্রতি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মতো’ (তিরমিজি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১৫৮)।
জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত দিনে রোজা পালন করা, রাতে বেশি বেশি নফল সালাত, কুরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ তাহলিল, দোয়া-দরূদ, তওবা, ইস্তিগফার ইত্যাদি ইবাদত করা আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল জিলহজের প্রথম ১০ দিনের। ইবন ওমর রা: বর্ণনা করেন, ��াসূল সা: বলেছেন, আল্লাহর কাছে কোনো দিনই প্রিয় নয়, আর না তাতে আমল করা, এ ১০ দিনের তুলনায়। সুতরাং তোমরা তাতে (জিলহজের প্রথম ১০ দিন) বেশি বেশি তাহলিল, তাকবির ও তাহমিদ পাঠ করো’ (তাবারানি)।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা যেন নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর স্মরণ করে’ (সূরা হাজ-২৮)। আয়াতে নির্দিষ্ট দিনসমূহের আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিখ্যাত মুফাসসির ও সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন, ‘(এ নির্দিষ্ট দিনসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য) জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন।’
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের ফজিলত জিহাদের চেয়েও মর্যাদাবান। ইবনে আব্বাস রা: বর্ণনা করেন, রাসূল সা: বলেছেন, এ দিনগুলোর (জিলহজের প্রথম ১০ দিনের) আমলের তুলনায় কোনো আমলই অন্য কোনো সময় উত্তম নয়। তারা বলল : জিহাদও না? তিনি বললেন : জিহাদও না, তবে যে ব্যক্তি নিজের জানের শঙ্কা ও সম্পদ নিয়ে বের হয়েছে, অতঃপর কিছু নিয়েই ফিরে আসেনি’ (সহিহ বুখারি)।
আরাফার দিন, অর্থাৎ ৯ জিলহজ নফল রোজা রাখা বিশেষ সুন্নাত আমল। তবে আরাফায় উপস্থিত হাজী সাহেবদের জন্য এই রোজা প্রযোজ্য নয়। আবু কাতাদা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন, ‘আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আশাবাদী যে আল্লাহ তায়ালা তার (রোজাদারের) বিগত এক বছরের ও সামনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন’ (তিরমিজি শরিফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১৫৭)। এ ছাড়া জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রতি ফরজ নামাজের পর একবার তাকবির বলা ওয়াজিব (ইলাউস সুনান, খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা-১৪৮)। জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ যেকোনো দিন, কোনো ব্যক্তির মালিকানায় নিত্যপ্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের সম্পদ থাকলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। পুরুষ ও নারী সবার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য (ইবনে মাজাহ-২২৬)।
জায়েদ ইবনে আরকাম রা: বর্ণনা করেন, রাসূল সা:- এর কাছে সাহাবাগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল সা:! এ কোরবানি কী?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম আ:-এর সুন্নত।’ তারা পুনরায় বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! তাতে আমাদের জন্য কী সওয়াব রয়েছে?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি সওয়াব রয়েছে।’ তারা আবারো প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল সা:! ভেড়ার লোমের কী হুকুম?’ (এটা তো গণনা করা সম্ভব নয়) তিনি বললেন, ‘ভেড়ার প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি সওয়াব রয়েছে’ (ইবনে মাজাহ-২২৬)। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিতÑ রাসূল সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে’ (ইবনে মাজাহ-২২৬)।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন, ‘আমার প্রতি আজহার দিন (১০ জিলহজ) ঈদ পালন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যা আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদির জন্য নির্ধারণ করেছেন। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:! আপনি বলুন, (যদি আমার কোরবানির পশু কেনার সামর্থ্য না থাকে) কিন্তু আমার কাছে এমন উট বা বকরি থাকে। যার দুধ পান করা বা মাল বহন করার জন্য তা প্রতিপালন করি। আমি কি তা কোরবানি করতে পারি? তিনি বললেন, না। বরং তুমি তোমার মাথার চুল, নখ, গোঁফ কেটে ফেলো এবং নাভির নিচের চুল পরিষ্কার করো। তা আল্লাহর নিকট তোমার কোরবানি’ (আবু দাউদ, নাসায়ি, ত্বহাবি, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৩০৫)। তাই তো সালফে সালেহিনগণ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ইবাদতে একনিষ্ঠভাবে নিজেদের নিয়োজিত করতেন। প্রিয় নবী রাসূল সা: জিলহজ মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে লিপ্ত থাকতেন। ইবন আব্বাস রা: বর্ণনায় এসেছে, ‘যখন জিলহজ মাসের ১০ দিন প্রবেশ করত, তখন তিনি খুব মুজাহাদা করতেন, যেন তার ওপর তিনি শক্তি হারিয়ে ফেলবেন’ (দারেমি)।
অতএব জিলহজ মাসের ১০ দিনের ফজিলতের ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে এ মাসে সালাত, রোজা, সাদকা ও হজ-এর মতো মূল ইবাদতগুলোর সমন্বয় ঘটেছে। যা অন্যান্য সময় যথাযথভাবে আদায় করা হয় না। সুতরাং সব মুমিনের উচিত সালাফরা যেমন করে জিলহজ মাসের ফজিলতপূর্ণ ইবাদতসমূহ আমল করে নিজেদের মর্যাদাবান করেছেন সেভাবে আমাদের ইবাদতসমূহ আমল করা। যাতে করে আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের বেশি বেশি নেককাজ করার তৌফিক দিন। আমীন।
লেখক : ইসলামী গবেষক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
#the first 10 days of the month of Jilhaj#জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন#জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের ইবাদত#জিলহজ মাসের ১০ দিনের ফজিলত#জিলহজ মাসের ফজিলত#জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল#জিলহজ মাসের ফজিলতপূর্ণ ইবাদতসমূহ#MonthOfDhulHijjah#Dhul Hijjah
0 notes
Text
লাখো পাঠকের হৃদয় জয় করেছে এই বইগুলো। আলোকিত করেছে তাদের বিশ্বাস ও অন্তর।
একজন মুসলিমকে প্রোডাক্টিভ করে গড়ে তুলতে অবর্থ হাতিয়ার ‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’। রাসূল সা.-এর স্মার্টনেসের ছাঁচে ঢেলে নিজের শৈশব ও যৌবনকে সাজাতে ‘বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ ﷺ’ গ্রন্থটি বিশ্বময় খ্যাত। ঈমানকে নাস্তি*কতার আঁচড় থেকে দূরে রাখতে ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ গল্প ও যুক্তিতে আপনার ঈমানের পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে। ‘দ্যা রিভার্টস’ আপনাকে শোনাবে পৃথবীর বিখ্যাত কিছু নবমুসলিমের ইসলামে ফিরে আসার হৃদয়গ্রাহী গল্পগুলো। সিক্রেটস অব জা*য়োনি*জম আপনাকে জানাবে বিশ্বপ্য্যাপী ই*হু*দি সম্রাজ্য ও তাদের ষড়*যন্ত্রের গো*পন ইতিহাস। ‘রিভাইব ইয়োর হার্ ‘ আপনাকে এক নতুন সমাজ ও স্বার্থক জীবনের সন্ধান দেবে।
৬টি বইয়ের মোট মূল্য = ১৪৫০ টাকা (ফিক্সড)। একসাথে বা পৃথকভাবে বইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। অর্ডার করতে আপনার মোবাইল নম্বর আমাদের ইনবক্স করুন। আমাদের টিম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
এক নজরে বইগুলো : প্রোডাক্টিভ মুসলিম লেখক : মোহাম্মাদ ফারিস অনুবাদ : মিরাজ রহমান ও হামিদ সিরাজী পৃষ্ঠা : ২৫৬ মূল্য : ২৮০ টাকা (ফিক্সড)
বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ ﷺ লেখক : ড. হিশাম আল আওয়াদি অনুবাদ : মাসুদ শরীফ পৃষ্ঠা : ১৪৪ মূল্য : ১৯৫ টাকা (ফিক্সড)
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ লেখক : আরিফ আজাদ পৃষ্ঠা : ১৬৮ মূল্য : ২২৫ টাকা (ফিক্সড) দ্যা রিভার্টস : ফিরে আসার গল্প লেখক : সামছুর রহমান ওমর, কানিজ শারমিন সিঁথি পৃষ্ঠা : ২৫৬ মূল্য : ২৬০ টাকা (ফিক্সড)
সিক্রেটস অব জা*য়োনি*জম ট্যাগলাইন : বিশ্বব্যাপী জা*য়ো*নিস্ট ষড়*যন্ত্রের ভেতর-বাহির লেখক : হেনরি ফোর্ড অনুবাদ : ফুয়াদ আল আজাদ পৃষ্ঠ : ২৯৬ মূল্য : ৩০০ টাকা (ফিক্সড)
রিভাইব ইয়োর হার্ট লেখক : উস্তাদ নোমান আলী খান অনুবাদ : মারদিয়া মমতাজ পৃষ্ঠ��� : ১৪৪ মূল্য : ১৯০ টাকা (ফিক্সড)
#islamicbooks#islam#islamic#islamicbookstore#books#muslim#islamicquotes#islamicbook#quran#bookstagram#reading#islamicart#read#booklover#muslimah#islamicgifts#islamicknowledge#islamicshop#allah#deen#muslimbooks#urdubooks#islamicreminders#islamicpost#muslimkids#sunnah#islamiccenter#bukuislami#islamicbookshop#muslimhomeschool
1 note
·
View note
Text
পটুয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি সবুর খান, সা. সম্পাদক শাহেদ খান
পটুয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি সবুর খান, সা. সম্পাদক শাহেদ খান
মেভ টাইমস ডেক্সঃ পটুয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। বুধবার রাতে ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটিতে সবুর খানকে সভাপতি ও শাহেদ খানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাসান সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে বুধবার রাতে…
View On WordPress
0 notes
Photo
মহানবী (সা.) কে অবমাননার প্রতিবাদে সিরাজদিখানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা সিকদার মোহাম্মদ শাহ আলম: ফ্রান্সে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে কটাক্ষ ও ব্যাঙ্গ চিত্র করার প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার ছাতিয়ানতলীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন তাওহীদি জনতা। তারা এসময় বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করেন এবং ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়ো্জন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ছাতিয়ানতলী মোহাম্মদীয়া কওমী মাদ্রসার প্রিন্সিপাল জনাব মাওলানা মোঃ হোজায়ফা, সহঃ প্রিন্সিপাল জনাব মাওলানা তাইবুর রহমান, ছাতিয়ানতলী দিঘীরপাড়া জামে মসজিরেদ খতিব জনাব মাওলানা ওমর ফারুক জিহাদ এবং যুবলীগ নেতা জনাব আবুবকর চৌধুরী টিটু। বক্তারা এসময় মহানবী (সাঃ) কে অপমানজনক কার্টুন প্রদর্শনের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহাসিন ঢালী, সাকিল শেখ, রানা সিকদার, সন্ধান বেপারী সহ আরো অনেকে।
0 notes
Photo
তিনদিন হলো হযরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনাতে নেই।কেউ জানেনা নবীজি কোথায়। ওমর ফারুক (রাযিঃ) মুক্ত তরবারি হাতে ঘোষণা দিলেন, “যদি নবীজির কোন কিছু হয় তবে আমি ওমর বলছি মক্কার একটা মুনাফিকও আস্ত শরীরে থাকবে না।“ এদিকে আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, থাম ভাই চল নবীজির তালাস করি। ��ুই জনে মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। মরুভূমি পেরিয়ে পাহাড়ের এলাকাতে আসলেন। একটু দূরে দেখলেন এক রাখাল দাড়িয়ে আছে। আবু বকর (রাযিঃ) ও ওমর ফারুক (রাযিঃ) রাখালকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি মুহাম্মদ (সা.) কে দেখেছ? রাখাল উত্তরে বলল আমি মুহাম্মদ (সা.) কে চিনি না এবং আপনাদেরও চিনি না। তবে ঐ পাহাড়ের উপরে একজন লোক ইয়া উম্মাতি, ইয়াউম্মাতি বলে কাঁদছেন।আবু বকর (রাযিঃ) ও ওমর ফারুক (রাযিঃ)বুঝতে বাকি ছিলনা ঐ লোক আর কেউ না দয়াল নবীজি হযরত মুহাম্মদ (সা.)। রাখাল আবার বলল লোকটির সাথে সাথে আমার সব উঠ, ভেড়াগুলোও কাঁদতেছে আর খাওয়া বন্ধ করে দিছে। আপনারা উনাকে নিয়ে যান তা না হলে আমার সব উঠ, ভেড়াগুলো কাঁদতে কাঁদতে মরে যাবে। আবু বকর (রাযিঃ) ও ওমর ফারুক (রাযিঃ) পাহাড়ে গিয়ে দেখলেন দয়াল নবীজি সেজদা-রত অবস্থায় ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি বলে কাঁদছেন। নবীজির কষ্টে আবু বকর (রাযিঃ) বললেন ইয়া রসুলুল্লাহ আমি আবু বকর ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে যত আমল করেছি সব আপনার উম্মাতকে দিয়ে দিলাম, আপনি দয়া করে মাথা উঠান। নবীজি মাথা উঠায় না। এবার ওমর ফারুক (রাযিঃ) বললেন ইয়া রসুলুল্লাহ আমি ওমর যে আপনার মাথা নিতে গিয়ে নিজের মাথা দিয়ে দিয়েছি সে আপনার উম্মাতের জন্য সব আমল দিয়ে দিলাম। নবীজি মাথা উঠায় না। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন ওমর কাজ হবে না রসুলুল্লাহকে একমাত্র ফাতিমা শান্ত করতে পারবে। তারা দুই জনে মদিনা দিকে ছুটছেন, পথে হযরত আলী (রাযিঃ) এর সাথে দেখা। আবু বকর ও ওমর (রাযিঃ) বললেন সামনে গিয়ে লাভ নেই, রসুলুল্লাহকে শান্ত করতে ফাতিমাকে লাগবে। এবার তিন জনে ফাতিমার বাড়ির সামনে আসলেন আলী (রাযিঃ) ফাতিমাকে ডাক দিলেন,ফাতিমা বাইরে আসে স্বামীর চেহারা দেখে বললেন, আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন, তবে কি মক্কার মুনাফিকরা আমার আব্বাজানকে মেরে ফেলছে?হযরত আলী (রাযিঃ) বললেন তুমি তাড়াতাড়ি চলো নবীজি ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি বলে কাঁদছেন, মাথা উঠাচ্ছেন না। ফাতিমা দৌরে গেলেন। নবীজির কাছে গিয়ে বলছেন আব্বাজান আপনি সফরে যাবার আগে এবং সফর থেকে ফিরে প্রথমে আমাকে দেখতেন, আমার সাথে কথা বলতেন। কিন্তু আজ তিন দিন হল আপনার কোন খোঁজ নেই, আপনি কি আমাকে ভুলে গেছেন? নবীজি তাও মাথা উঠায় না। ফাতিমা (রাযিঃ) বললেন আব্বাজান আমি আপনার ফাতিমার সব নেকী আপনার উম্মাতকে দিয়ে দিলাম। নবীজি মাথা উঠায় না।নবীজির... https://www.instagram.com/p/CAckkeFDhsN/?igshid=agtcq12pxpzw
0 notes
Link
দ্বীন শিক্ষা দিতে এলেন ফেরেশতা জিবরাঈল (আঃ)। দশম হিজরিতে বিদায় হজের কিছুকাল আগে জিবরাইল (আ.) সাহাবায়ে কেরামদের দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। তাঁর মধ্যে সফরের কোনো চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়নি। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন সাহাবায়ে কেরাম দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিলেন। ওমর (রা.) বল���ন, আমাদের কেউ তাঁকে চিনতে পারেনি। লোকটি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সামনে এসে এবং স্বীয় হাঁটুদ্বয় মহানবী (সা.)-এর পবিত্র হাঁটুদ্বয়ের সঙ্গে মিলিয়ে বসে পড়েন। অতঃপর স্বীয় হস্তদ্বয় তাঁর পবিত্র ঊরুদ্বয়ের ওপর রাখেন। সাহাবায়ে কেরাম অবাক হয়ে তাঁর কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। লোকটি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চারটি বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তা হলো, ইসলাম, ঈমান, ইহসান ও কিয়ামতের সময়।
#Angel Gabriel came to teach the religion.#Eman#Iman#Deen#Islam#ইমান ইসলাম ইহসান কী#Ihsan#Qiyamah#দ্বীন শিক্ষা#দ্বীনশিক্ষা#দ্বীন শিক্ষা দিতে এলেন ফেরেশতা জিবরাঈল (আঃ)।#দ্বীন শিক্ষা নিন
0 notes
Text
কাশ্মীর সংকট : হিন্দু কতৃক মুসলমান নিপীড়নের ইতিবৃত্ত , শেষ পর্ব
কাশ্মির সংকট নিয়ে পাক-ভারতের মধ্যে তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়।
এই যুদ্ধ শুধুমাত্র পাক-ভারতের মধ্য সীমাবদ্ধ থাকলনা।
এতে সোভিয়ত ইউনিয়ন(বর্তমান রাশিয়া) ভারত এবং পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেয়। অনিবারর্যভাবে সংঘটিত হ্ওয়া উক্ত যুদ্ধে ভারতের কাছে পাকিস্তান পরাজিত হয়েছিল যেমনটা বাংলাদেশের কাছে ch©দুস্ত হয়েছিল দেশটি। এই সুযোগে ভারত সরকার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির দখলের পরিকল্পনা করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের ফলে ভারতের পরিকল্পনা ব্যার্থ হয়।
.
উক্ত যুদ্ধের পর তৎকালিন ভারতের প্রধামেন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের পক্ষে জুলফিকর আলী ভুট্টু ১৯৭২ সালে “সিমলা” চুক্তি সাক্ষর করেন। উক্ত চুক্তি অনুযায়ী , ভারত ও পাকিস্তান সরকার সংঘর্ষের ঘটনা, যা উভয় দেশের মধ্যে এতকালের সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য , তার অবসান করে স্বদিচ্ছা ,সহযোগিতা , সম্পর্কের উন্নয়ন এবং স্থায়ী শান্তিপূর্ণ দ্বি-পাক্ষিক আপোস আলোচনার পদ্ধতিতে বা উভয় দেশ ঐক্যমত হলে অন্যকোন শান্তিপূর্ণ পন্থায় তাদের মতানৈক্যর অবসানকরবে বলে স্থির হয় । কিন্তু মহাত্ম গান্ধির মত ইন্দিরা গান্ধিকে ও হত্যা হতে হল ভারতের মাটির উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে। পরবর্তীতে ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি সাক্ষরিত হ্ওয়ার সময় থেকে আজ পh©ন্ত ভারত পাকিস্থানের
সম্পর্ক তিক্ততর হয়ে ওঠছে দিনদিন। সেই শান্তিচুক্তি আজও অধরা রয়ে গেল।
.
এরই ধারাবাহিকতায় , গত ৫ আগস্ট ২০১৯ সাল, কাশ্মিরীদের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয় । কেননা এই দিন ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বি.জে.পি সরকার ঐতিহাসিক একটি সিদ্ধান্তের গ্রহণের মাধ্যমে বহুল আলোচিত জম্মু ও কাশ্মিরের ৩৭০ ধারা বিলোপ সাধন করে । এবং ওই ধারার অধীনে থাকা ৩৫ ধারা্ও প্রত্যাহার করা হয়।এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, গত সাত দশ ধরে অর্থাৎ ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে বেলা ১১ টা ,৫ আগস্ট ২০১৯ সাল পর্যন্ত উক্ত ৩৭০ অনুচ্ছেদের সুবাদে এই রাজ্যটি ভারতের অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করত। কিন্তু এখন থেকে জম্মু ও কাশ্মীর দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভিক্ত হবে। একটি লাদাখ ও অন্যটি কাশ্মীর। এর মধ্যে কাশ্মীরে�� আইনসভা থাকলেও লাদাখে থাকবে না।
.
“ ভারতের সংবিধান বিশেষজ্ঞ মিহির এর মতে, এর আগে সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের কল্যানে জম্মু ও কাশ্মিরের স্থায়ী বাসিন্দারাই জমির মালিক হতে পারতেন । এখন যে কেউ ঐ রাজ্যের জমির মালিক হতে পারবেন।
কাশ্মীরের চাকরির জন্য এখন অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা ও আবেদন করতে পারবেন। এতদিন কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান ও একটি আলাদা পতকা স্বাধীনতা দেওয়া ছিল ।ভারতের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। পররাষ্ট্র, অর্থ , প্রতিরক্ষার বিষয়টি আগের মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে। মিহির আরও জানান, আইনশৃলা রক্ষার দায়িত্ব এতিদন ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে । কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় রাজ্যটি কেন্দ্রের সরাসরি শাসনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরারাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যটি পরিচালনা করবেন একজন লেফটেন্যন্ট গভর্নর। এখন থেকে কাশ্মিরীদের দ্বৈত নয়, একক নাগরিকত্ব থাকবে, অর্থনৈতিক ও সাধারণ জরুরি অবস্থা কার্যকর করা যাবে, সংখ্যালুঘুরা সংরক্ষণের আ্ওতায় আসবেন এবং তথ্য অধিকার আইন সংরক্ষণ করা হবে।” (সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক- ৬ আগস্ট ২০১৯)
.
এদিকে মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহ, সাজ্জাদ লেন, ইমরান আনসারীর সহ শতশত কাশ্মিরের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দদের ভারত সরকার গৃহ বন্দি করে না হয় অন্যত্রে তুলে নিয়ে কাশ্মিরিদের নেতৃত্ব শূণ্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে । এবং সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে আন্দোলনের অধিকার হরণ করা হয়েছে এমনকি ইনটারনেট , মোবাইল ,টোলফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কাশ্মিরীদের সমগ্র দেশ কিংবা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অল্প একটু প্রতিবাদ করতে গেলেও কাশ্মিরীদের জেলে হাজতে নিয়ে যা��্ছে কাশ্মিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সরকারি হানাদার বাহিনীরা। সন্দেহবশত গ্রেপ্তার করছে হাজার হাজার কাশ্মিরী মায়ের সন্তান কিংবা স্বামীকে , গ্রেপ্তার তাদের করছে ভাই , বাবা , বন্ধুদের । অন্য প্রদেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এবং পাকিস্তান হতে বাণিজ্যিক পণ্য না আসায় লক্ষ্য লক্ষ্য কাশ্মিরী মৈালিক চাহিদাহিনতায় ভোগছে । এক কথায় কাশ্মিরের জনগণরা এখন সর্বহারা ও নিঃস্ব । তারা মানবতর ও অসহায়ত্বর জীবন যাপন করছে।
.
এই ঘটনার পরবর্তি সময় থেকে কাশ্মীরের আকাশে যেন আমাজান বন কিংবা সাহারা মরুভূমির মত দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে।,কাশ্মিরের মাটিতে যেন বর্বর ইসরাইলিদের হামলায় রক্তাত্ত ফিলিস্তিনের মাটির মত রক্ত ঝরছে। যারা এতদিন স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে আসছিল , উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতের বি,জে.পি সরকারের বিষাক্ত ছুবলে আক্রান্ত হয়ে আজ কাশ্মিরীরা দিশেহারা ।
ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বলা যায় , ইসরাইলিরা যেমন জাতিসংঘের চুক্তি ভঙ্গ করে , ফিলিস্তিনিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ১৯৪৭ সালের ১৪ মে অবৈধ ইসরাইলিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টিত হয়। ঠিক অনুরুপ উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার ও জাতিসংঘের নীতিমালা লঙ্গন করে কাশ্মিরের স্বায়িত্বশাসন বিলুপ্তির মাধ্যমে কাশ্মিরীদের স্বাধীনতার স্বপ্ন ভেঙ্গে ধুলিস্যাৎ করে দেয়।
শুধু পার্থক্যটা হলো , সেই দিন অন্ততপক্ষে ফিলিস্তিনের পাশে এসে দাড়িয়েছিল আরব বিশ্বের দেশ সমূহ যদিও তখনকার উগ্র খ্রিস্টান ধর্মবালম্বী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র ,যুক্তরাজ্য কিংবা সোভিয়ত ইউনিয়ন সমর্থিত হানাদার ইসরাইলিদের সাথে ক্ষমতা হারানো মুসলমানরা পরাজয় বরণ করেছিল। কিন্তু আজ কাশ্মিরের মুসলমানদের পক্ষে কেউ নেই।
.
কাশ্মিরের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান হুঙ্কার ঝঙ্কার ছাড়লে ও তারা যা করছে নিজেদের স্বার্থে । একথা চিরন্তর সত্য যে, অমুসলিম দেশগুলো কখনো মুসলমানদের ভাল চাই নি। তারা যা করে নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে করে।তারা মুখে মানবতার বুলি ছাড়ে, অন্তরালে ষড়যন্ত্র,বিশ্বাসঘাতকতা তাদের রক্তের সাথে মিশে যেন একাাকার। তারা পথ চেয়ে থাকে, কখন পৃথিবীর বুকে এই রকম কোন সংকট আসবে! অস্ত্রের কিংবা যুদ্ধ সরান্জমের রমরমা ব্যবসা না হয় মুখ থুবড়ে পরবে!না হয় একটু ভেবে দেখুন বিশ্বে কোন সংকট আসলে বিশেষ করে , মুসলমানদের ক্ষেত্রে বিশ্বপরাশক্তি গুলো কেনা দ্বি-বিভক্ত হয়ে যায়? রোহিঙ্গা সংকট, ফিলিস্তিন , সিরিয়িা , ইয়ামেন, কিংবা উইঘুর সংকট।
পরিতাপের বিষয় হল , মুসলিম বিশ্বের দেশ সমূহ ও কাশ্মির বিষয়ে প্রায় নিশ্চুপ! প্রকৃতপক্ষে অন্য কোন উপায় আছে বলেও মনে হয় না। কেননা অধিকাংশ মুসলিম দেশের নেতারা নিজ ক্ষমতা পাাকাপুক্ত করার জন্য অমুসলিম দেশের নেতাদের পা ছাটতেও পছন্দ করে। সেক্ষেত্রে মিসরের সিসি সরকার ,সৌদির সালমান অনন্য প্রকৃষ্ট উদহারণ। তাছাড়া মুসলমানদের জাতিসংঘে কোন প্রস্তাবে ভেটু দেওয়ার ক্ষমতা নেই , যে ভেটুর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমস্যার মিমাংস হয় ,সেই ক্ষমতা অমুসলমানেদের দখলে । ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যারা কখনো মুসলমানদের ভাল চাইনি ,অতীতেও চাইবে কিনা সন্দেহ থেকে যায়।
.
তাহলে কাশ্মির সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান কি? আধও কি সম্ভব? বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বিষয়ে বলাটা প্রকৃতপক্ষে কঠিন। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের প্রত্যক্ষ হস্তেক্ষেপের মাধমে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ার বুক ছিড়ে খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রচারণার মাধ্যমে সৃষ্টি হয় খ্রিস্টান রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর । একই ভাবে খ্রিস্টান রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদান। কিন্তু কাশ্মিরের ক্ষেত্রে তা কি কখনো সম্ভব হবে! না কাশ্মিরীদের কপালে ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যরেখা প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠবে ,তা সময় বলে দেবে। এমন হতে পারে হয়ত একদিন কাশ্মিরের আকাশে স্বাধীনতার সূর্য উদয় হবে।
ভারত সরকার যদি কাশ্মীরের মুসলমানদের অধিকার কেড়ে নিয়ে,তাদের চাহিদাকে প্রাধান্য না দিয়ে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের আন্দোলনকে দমন করতে বা তাদের দাবিয়ে রাখতে চাই।
যদি ভরতীয় সেনাবাহিনী কতৃক একজন বিপ্লবী কাশ্মিরী নিহত হয় তাহলে প্রতিদিন জন্ম নিবে শতশত বিপ্লবী। এমন ও হতে পারে ভারত সরকারের অবহেলা ও নির্যাতনের স্বীকার নিরীহ কাশ্মিরীরা নিজেদের মধ্যে
ভারত বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করবে এবং তারা একপ্রকার আশ্রয়হীন ও অসহায় হয়ে পড়বে। আর এই অসহায়ত্ত্বহীনতাকে কাজে লাগাবে লস্করে তৈয়বা,হিজাবুল মুজাহিদিন এবং জৈয়সি মুহাম্মদ নামধারী উগ্র সংঘটনগুলো।
.
বর্তমানেও এই সংঘটনগুলো কাশ্মিরের কিছুকিছু যুবকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।ফলশ্রোতিতে তারা ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে নিজেদের সক্ষমতাকে বহিঃপ্রকাশ করতে চেষ্ঠা চালাচ্ছে।১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে ভারত শাসিত কাশ্মিরের পুল্ওমায় যে হামলা চালানো হয়েছে,সেই আত্মঘাতি হামলাকারী উপরে উল্লেখিত দলভুক্ত। এই হামলা হয়ত আরও বেড়ে যাবে। বর্তমান বিশ্বের একক ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত যেখানে সন্ত্রাসী হামলা হতে রেহাই পাচ্ছে না। সেখানে অধিক জনসংখ্যা আর উগ্রমতবাদে ভারাক্রান্ত ভারত ��তটুকু নিজেদের রক্ষা করতে পারবে তা ভাবার বিষয়। ইতিমধ্যে ভারতে অর্থনৈতিক মন্দাও শুরু হয়েছে।
পরিশেষে,
বর্তমান বিশ্বের বিভীন্ন দেশে আত্মঘাতি হামলা প্রায় ঘটছে।আর কেউ কেউ হামলাকারীর কারণে তার ধর্মটাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। অথচ আমরা কি কখনো ভেবেছি কেন সে এমন আত্মঘাতি জীবন বেচে নিল?
কেন সে ইহুদি কিংবা সি আই এ কতৃক সৃষ্ট আই.এস কিংবা নামধারি কিছু উগ্র মুসলমান কতৃক সৃষ্ট তালেবান , বোকা হারাম ইত্যদি সংঘটনগুলো সাথে জড়িয়ে পড়ছে সুন্দর জীবন ছ���ড়ে ।
যেখানে মহান আল্লাহ স্পষ্ট্ভাবে ঘোষণা করেন ,(১) “তোমরা নিজেরা নিজেকে হত্যা কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপর দয়ালু। তার পরও যে আত্মহত্যা করল সে সীমা লঙ্ঘন ও জুলুম করল, অচিরেই আমি তাকে জাহান্নামের আগুনে পৌঁছে দেবো’ (সূরা নিসা : ৩০)। (
(২) মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন : ‘যে ব্যক্তি বিনা অপরাধে কিংবা ভূপৃষ্ঠে কোনো গোলযোগ সৃষ্টি করা ছাড়াই কাউকে হত্যা করল, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকেই হত্যা করল, আর যে ব্যক্তি কোনো একজন মানুষের প্রাণ রক্ষা করল, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকেই রক্ষা করল’ (সুরা মায়িদা : ৩২
.
ইসলামের শুরুতে মহানবী সা: কে ও অস্ত্র ধারণ করতে হয়েছিল , আত্মরক্ষার ও প্রতিরক্ষার জন্য ।আর তিনি তার জীবদ্দ্যশায় ২৭ টি যুদ্ধ পরিচালনা করলেও কোনটিতে শত্রু পক্ষকে প্রথমে আক্রমণ করেন নি।
মহানবী সা: বিদায় হজ্জ্বের ভাষণের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা দেন ,’’ আমাদের করণীয় : বিদায় হজের দিনই সূরা মায়িদার ৩ নম্বর আয়াতটি নাজিল হয়। যেখানে আমাদের জন্য মহান আল্লাহর দীন, শরিয়ত ও সব নিয়ামতের পরিপূর্ণতার ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য আমার নিয়ামতসমূহ পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে দীন বা জীবনব্যবস্থারূপে মনোনীত করে দিলাম।’ সব মানুষের জন্য অন্য মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্মান পবিত্র। কেউ কারও জীবন, সম্পদ ও সম্মানের ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। যুদ্ধক্ষেত্র এবং বিচারিক রায় ছাড়া কোনো মানুষকে আঘাত করা বা হত্যা করা হারাম।
জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষ সব মানুষ এক আদমের সন্তান হিসেবে এক জাতি এবং সমান মর্যাদা ও নিরাপত্তার অধিকারী। সুতরাং কেউ কারও ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করতে পারবে না। শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তারই যে প্রভুকে ভয় করে। নারীদের অধিকারের প্রতি খেয়াল রাখা এবং দাস-দাসী, অধীন ব্যক্তি, শ্রমিক প্রতিবেশী, অন্য ভাইসহ সবার প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করার শিক্ষা রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ভাষণে।
বর্তমান ��স্থির বিশ্ব এবং নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত পরিবার ও সমাজ যদি বিশ্বনবী (সা.)-এর এসব শিক্ষা গ্রহণ করে তাহলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বস্তি লাভ করতে সক্ষম হবে।
’’ সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৮ সেপ্টেম্বর,২০১৭ )
“কিছু ইতিহাস চাপা পড়ে , আর কিছু করে নীরবে আর্তনাদ, হয়ত এভাবেই ঝড়ে পড়তে থাকবে নিরীহ মানবপ্রাণ”
.
মোহাম্মদ এমরান হোছাইন।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি,চ.বি।
0 notes
Quote
আরাকানের মুসলিম ঐতিহ্যের রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সর্বপ্রথম হজরত আবু ওয়াক্কাস ইবনে ওয়াইব (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবদ্দশায় (৬১৭-৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে) আরাকান অঞ্চলে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে আসেন। ওমর ইবনে আবদুল আজিজের (রহ.) শাসনামলে আরাকানের শাসকদের সঙ্গে আরবীয় মুসলমানদের যোগাযোগের বিষয়টিও প্রমাণিত। তবে দশম ও একাদশ শতাব্দীতে আরব বণিক ও সুফি-সাধকদের ব্যাপক আগমনের ফলে আরাকান অঞ্চলে দ্রুত ইসলামের প্রচার হতে থাকে। তাই বলা যায়, মিয়ানমারে মুসলমানদের ইতিহাস প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো। গত সহস্রাব্দের প্রথমার্ধে আরাকানের বৌদ্ধ রাজা বিদ্রোহীদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হলে তাঁর অনুরোধে গৌড়ের সুলতান কয়েক দফায় সেখানে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
1 note
·
View note