#ওমর সা
Explore tagged Tumblr posts
Text
সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত
সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি
youtube
youtube
youtube
কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহর বাণী আল্লাহর গুণাবলির অংশ। সুতরাং আল্লাহর অন্যান্য গুণের মতো তাঁর কালাম ও বাণী চিরন্তন। কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ বা সংশয় নেই। কোরআন আল্লাহর বাণী, তা সৃষ্ট নয়। আল্লাহর বাণী তার চিরন্তন সত্তায় ধারণকৃত গুণগুলোর একটি। ‘আমি অন্তরে বিশ্বাস করি এবং মুখে সাক্ষ্য দিই যে, কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এবং তা মাখলুক নয়।’
কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আল্লাহ বলেন, ‘এই কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো রচনা নয়। পক্ষান্তরে এটার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তার সমর্থন এবং এটা বিধানগুলোর বিশদ ব্যাখ্যা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটা জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৭)
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=CrxA7EaPHUk
https://www.youtube.com/watch?v=Zp7rNZfJwmc
কোরআন তেলাওয়াতের ১০ ফজিলত
কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। কোরআন পাঠ করার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হযরত আবু উমামাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘তোমরা কুরআন মাজিদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারি হিসাবে আগমন করবে।’ (মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২)
মহাগ্ৰন্থ আল কোরআন এক মহান পরশপাথর। এর সংস্পর্শ সবাইকে ধন্য করে। চাই তা অধিক কোরআন তেলাওয়াত, হেফজ বা তাফসির জানার মাধ্যমে হোক। কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। এখানে ১০টি ফজিলত
১. কোরআন তেলাওয়াতকারীদের আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্ৰহ বৃদ্ধি করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাঁরা এমন ব্যবসার আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। -(সূরা ফাত্বির, আয়াত: ২৯-৩০)
২. আল্লাহ তায়ালা কোরআন তেলাওয়াতকারীদের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি করে দেবেন।
হাদিস শরিফে এরশাদ হচ্ছে , আমির ইবনে ওয়াসিলা আবূ তুফায়েল রা. থেকে বর্ণিত যে, নাফে' ইবন 'আবদুল হারিস রা. "উসফান" নামক স্থানে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. এর সঙ্গে মিলিত হন। ওমর রা. তাঁকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
ওমর রা. বললেন, গ্রামবাসী বেদুঈনদের জন্য তুমি কাকে স্থলাভিষিক্ত (খলিফা বানিয়েছ) করেছ? তিনি বলেন, আমি তাদের উপর ইবনে আবযা রা.-কে খলিফা বানিয়েছি।
ওমর রা. বললেন ইবনে আবযা কে? তিনি বললেন, সে আমাদের একজন আযাদকৃত গোলাম। ওমর রা. বললেন, তুমি লোকদের উপর গোলামকে খলিফা বানিয়েছ?
তিনি বললেন সে তো মহান আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াতকারী, ইলমে ফারায়েজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ 'আলিম এবং কাযী। ওমর রা. বললেন তুমি কি জান না যে, তোমাদের নবী সা. বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কিতাবের মাধ্যমে কতক গোত্রকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন আর কতককে এর দ্বারা অবনমিত করবেন? (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৮)
৩. যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তারা।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯)
৪. প্রতি হরফ তিলাওয়াত করলে ১০ নেকি।
হাদিসে এরশাদ হচ্ছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
৫. কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মত।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু মূসা আশআরি রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত (মিষ্টি) কমলার ন্যায়, যার ঘ্রাণও উত্তম স্বাদও উত্তম। যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায়, যার কোন ঘ্রাণ নেই তবে এর স্বাদ আছে। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃটান্ত রায়��ানা (ফুলের) ন্যায় যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানযালা (মাকাল) ফলের ন্যায়, যার সুঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪২৭)
৬. মৃত্যুর পরও কোরআন তেলাওয়াতকারীর লাশের মর্যাদা অনেক বেশি।
হাদিস শরিফে বর্ণ��ত হয়েছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদদের দুই’দুই’ জনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানতো? দু’জনের মধ্যে একজনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হবো। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাযার) নামাজও আদায় করা হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১৩৪৩)
৭. কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিবার ও কাছের মানুষ।
হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিবার-পরিজন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তারা কারা? তিনি বললেন কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তার বিশেষ বান্দা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫)
৮. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) সম্মান করা আল্লাহ তায়ালাকে সম্মান করার সমান।
হাদিসে এসেছে, আবু মূসা আশআরী রা.থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, (৩ব্যক্তি) ক. বয়স্ক মুসলমান, খ. কোরআনের হাফেজ যে এর অর্থের মধ্যে কোন রকম কমবেশী করে না এবং গ. ন্যায়-পরায়ণ বাদশার সম্মান করা, মহান আল্লাহকে সম্মান করার ন্যায়। (আবু দাউদ, হাদীস : ৪৮৪৩)
৯. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) কোরআনের আয়াতের সংখ্যার সমপরিমাণ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ দেওয়া হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন কিয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাক এবং উপরে চড়তে (উঠতে) থাক। তুমি তাকে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) সেখানেই হবে, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে। (আবু দাউদ, হাদীস : ১৪৬৪)
১০. কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে , জুবায়েদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ রা. বলেছেন, কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। এমন বিতর্ককারী যার বিতর্ক (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) গ্ৰহণ করা হবে। অতএব যে কোরআনকে সামনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে ও তদানুযায়ী আমল করবে) কোরআন তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে পিছনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে না ও তদানুযায়ী আমল করবে না ) কোরআন তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। -(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১২৪)
youtube
youtube
youtube
যে সুরে মোনাজাতে মন ভরে যায়
#সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত#সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি#Recitation of a Melodious Voice#সুর#Melody#MelodiusQuran#Youtube
0 notes
Text
সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত
সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি
youtube
youtube
youtube
কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহর বাণী আল্লাহর গুণাবলির অংশ। সুতরাং আল্লাহর অন্যান্য গুণের মতো তাঁর কালাম ও বাণী চিরন্তন। কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ বা সংশয় নেই। কোরআন আল্লাহর বাণী, তা সৃষ্ট নয়। আল্লাহর বাণী তার চিরন্তন সত্তায় ধারণকৃত গুণগুলোর একটি। ‘আমি অন্তরে বিশ্বাস করি এবং মুখে সাক্ষ্য দিই যে, কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এবং তা মাখলুক নয়।’
কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আল্লাহ বলেন, ‘এই কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো রচনা নয়। পক্ষান্তরে এটার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তার সমর্থন এবং এটা বিধানগুলোর বিশদ ব্যাখ্যা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটা জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৭)
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=CrxA7EaPHUk
https://www.youtube.com/watch?v=Zp7rNZfJwmc
কোরআন তেলাওয়াতের ১০ ফজিলত
কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। কোরআন পাঠ করার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হযরত আবু উমামাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘তোমরা কুরআন মাজিদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারি হিসাবে আগমন করবে।’ (মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২)
মহাগ্ৰন্থ আল কোরআন এক মহান পরশপাথর। এর সংস্পর্শ সবাইকে ধন্য করে। চাই তা অধিক কোরআন তেলাওয়াত, হেফজ বা তাফসির জানার মাধ্যমে হোক। কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। এখানে ১০টি ফজিলত
১. কোরআন তেলাওয়াতকারীদের আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্ৰহ বৃদ্ধি করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাঁরা এমন ব্যবসার আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। -(সূরা ফাত্বির, আয়াত: ২৯-৩০)
২. আল্লাহ তায়ালা কোরআন তেলাওয়াতকারীদের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি করে দেবেন।
হাদিস শরিফে এরশাদ হচ্ছে , আমির ইবনে ওয়াসিলা আবূ তুফায়েল রা. থেকে বর্ণিত যে, নাফে' ইবন 'আবদুল হারিস রা. "উসফান" নামক স্থানে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. এর সঙ্গে মিলিত হন। ওমর রা. তাঁকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
ওমর রা. বললেন, গ্রামবাসী বেদুঈনদের জন্য তুমি কাকে স্থলাভিষিক্ত (খলিফা বানিয়েছ) করেছ? তিনি বলেন, আমি তাদের উপর ইবনে আবযা রা.-কে খলিফা বানিয়েছি।
ওমর রা. বললেন ইবনে আবযা কে? তিনি বললেন, সে আমাদের একজন আযাদকৃত গোলাম। ওমর রা. বললেন, তুমি লোকদের উপর গোলামকে খলিফা বানিয়েছ?
তিনি বললেন সে তো মহান আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াতকারী, ইলমে ফারায়েজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ 'আলিম এবং কাযী। ওমর রা. বললেন তুমি কি জান না যে, তোমাদের নবী সা. বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কিতাবের মাধ্যমে কতক গোত্রকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন আর কতককে এর দ্বারা অবনমিত করবেন? (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৮)
৩. যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তারা।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯)
৪. প্রতি হরফ তিলাওয়াত করলে ১০ নেকি।
হাদিসে এরশাদ হচ্ছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
৫. কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মত।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু মূসা আশআরি রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত (মিষ্টি) কমলার ন্যায়, যার ঘ্রাণও উত্তম স্বাদও উত্তম। যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায়, যার কোন ঘ্রাণ নেই তবে এর স্বাদ আছে। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃটান্ত রায়হানা (ফুলের) ন্যায় যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানযালা (মাকাল) ফলের ন্যায়, যার সুঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪২৭)
৬. মৃত্যুর পরও কোরআন তেলাওয়াতকারীর লাশের মর্যাদা অনেক বেশি।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদদের দুই’দুই’ জনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানতো? দু’জনের মধ্যে একজনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হবো। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাযার) নামাজও আদায় করা হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১৩৪৩)
৭. কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিবার ও কাছের মানুষ।
হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিবার-পরিজন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তারা কারা? তিনি বললেন কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তার বিশেষ বান্দা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫)
৮. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) সম্মান করা আল্লাহ তায়ালাকে সম্মান করার সমান।
হাদিসে এসেছে, আবু মূসা আশআরী রা.থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, (৩ব্যক্তি) ক. বয়স্ক মুসলমান, খ. কোরআনের হাফেজ যে এর অর্থের মধ্যে কোন রকম কমবেশী করে না এবং গ. ন্যায়-পরায়ণ বাদশার সম্মান করা, মহান আল্লাহকে সম্মান করার ন্যায়। (আবু দাউদ, হাদীস : ৪৮৪৩)
৯. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) কোরআনের আয়াতের সংখ্যার সমপরিমাণ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ দেওয়া হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন কিয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাক এবং উপরে চড়তে (উঠতে) থাক। তুমি তাকে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ ��সবাসের স্থান (জান্নাত) সেখানেই হবে, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে। (আবু দাউদ, হাদীস : ১৪৬৪)
১০. কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে , জুবায়েদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ রা. বলেছেন, কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। এমন বিতর্ককারী যার বিতর্ক (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) গ্ৰহণ করা হবে। অতএব যে কোরআনকে সামনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে ও তদানুযায়ী আমল করবে) কোরআন তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে পিছনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে না ও তদানুযায়ী আমল করবে না ) কোরআন তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। -(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১২৪)
youtube
youtube
youtube
যে সুরে মোনাজাতে মন ভরে যায়
#asmawassifat#সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত#সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি#Recitation of a Melodious Voice#সুর#Melody#MelodiusQuran#Youtube
0 notes
Text
সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত
সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি
youtube
youtube
youtube
কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহর বাণী আল্লাহর গুণাবলির অংশ। সুতরাং আল্লাহর অন্যান্য গুণের মতো তাঁর কালাম ও বাণী চিরন্তন। কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ বা সংশয় নেই। কোরআন আল্লাহর বাণী, তা সৃষ্ট নয়। আল্লাহর বাণী তার চিরন্তন সত্তায় ধারণকৃত গুণগুলোর একটি। ‘আমি অন্তরে বিশ্বাস করি এবং মুখে সাক্ষ্য দিই যে, কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এবং তা মাখলুক নয়।’
কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আল্লাহ বলেন, ‘এই কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো রচনা নয়। পক্ষান্তরে এটার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তার সমর্থন এবং এটা বিধানগুলোর বিশদ ব্যাখ্যা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটা জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৭)
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=CrxA7EaPHUk
https://www.youtube.com/watch?v=Zp7rNZfJwmc
কোরআন তেলাওয়াতের ১০ ফজিলত
কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। কোরআন পাঠ করার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হযরত আবু উমামাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘তোমরা কুরআন মাজিদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারি হিসাবে আগমন করবে।’ (মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২)
মহাগ্ৰন্থ আল কোরআন এক মহান পরশপাথর। এর সংস্পর্শ সবাইকে ধন্য করে। চাই তা অধিক কোরআন তেলাওয়াত, হেফজ বা তাফসির জানার মাধ্যমে হোক। কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। এখানে ১০টি ফজিলত
১. কোরআন তেলাওয়াতকারীদের আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্ৰহ বৃদ্ধি করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাঁরা এমন ব্যবসার আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। -(সূরা ফাত্বির, আয়াত: ২৯-৩০)
২. আল্লাহ তায়ালা কোরআন তেলাওয়াতকারীদের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি করে দেবেন।
হাদিস শরিফে এরশাদ হচ্ছে , আমির ইবনে ওয়াসিলা আবূ তুফায়েল রা. থেকে বর্ণিত যে, নাফে' ইবন 'আবদুল হারিস রা. "উসফান" নামক স্থানে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. এর সঙ্গে মিলিত হন। ওমর রা. তাঁকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
ওমর রা. বললেন, গ্রামবাসী বেদুঈনদের জন্য তুমি কাকে স্থলাভিষিক্ত (খলিফা বানিয়েছ) করেছ? তিনি বলেন, আমি তাদের উপর ইবনে আবযা রা.-কে খলিফা বানিয়েছি।
ওমর রা. বললেন ইবনে আবযা কে? তিনি বললেন, সে আমাদের একজন আযাদকৃত গোলাম। ওমর রা. বললেন, তুমি লোকদের উপর গোলামকে খলিফা বানিয়েছ?
তিনি বললেন সে তো মহান আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াতকারী, ইলমে ফারায়েজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ 'আলিম এবং কাযী। ওমর রা. বললেন তুমি কি জান না যে, তোমাদের নবী সা. বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কিতাবের মাধ্যমে কতক গোত্রকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন আর কতককে এর দ্বারা অবনমিত করবেন? (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৮)
৩. যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তারা।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯)
৪. প্রতি হরফ তিলাওয়াত করলে ১০ নেকি।
হাদিসে এরশাদ হচ্ছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
৫. কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মত।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু মূসা আশআরি রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত (মিষ্টি) কমলার ন্যায়, যার ঘ্রাণও উত্তম স্বাদও উত্তম। যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায়, যার কোন ঘ্রাণ নেই তবে এর স্বাদ আছে। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃটান্ত রায়হানা (ফুলের) ন্যায় যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানযালা (মাকাল) ফলের ন্যায়, যার সুঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪২৭)
৬. মৃত্যুর পরও কোরআন তেলাওয়াতকারীর লাশের মর্যাদা অনেক বেশি।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদদের দুই’দুই’ জনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানতো? দু’জনের মধ্যে একজনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হবো। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাযার) নামাজও আদায় করা হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১৩৪৩)
৭. কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিবার ও কাছের মানুষ।
হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিবার-পরিজন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তারা কারা? তিনি বললেন কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তার বিশেষ বান্দা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫)
৮. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) সম্মান করা আল্লাহ তায়ালাকে সম্মান করার সমান।
হাদিসে এসেছে, আবু মূসা আশআরী রা.থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, (৩ব্যক্তি) ক. বয়স্ক মুসলমান, খ. কোরআনের হাফেজ যে এর অর্থের মধ্যে কোন রকম কমবেশী করে না এবং গ. ন্যায়-পরায়ণ বাদশার সম্মান করা, মহান আল্লাহকে সম্মান করার ন্যায়। (আবু দাউদ, হাদীস : ৪৮৪৩)
৯. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) কোরআনের আয়াতের সংখ্যার সমপরিমাণ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ দেওয়া হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন কিয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাক এবং উপরে চড়তে (উঠতে) থাক। তুমি তাকে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) সেখানেই হবে, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে। (আবু দাউদ, হাদীস : ১৪৬৪)
১০. কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে , জুবায়েদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ রা. বলেছেন, কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। এমন বিতর্ককারী যার বিতর্ক (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) গ্ৰহণ করা হবে। অতএব যে কোরআনকে সামনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে ও তদানুযায়ী আমল করবে) কোরআন তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে পিছনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে না ও তদানুযায়ী আমল করবে না ) কোরআন তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। -(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১২৪)
youtube
youtube
youtube
যে সুরে মোনাজাতে মন ভরে যায়
#সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত#সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি#Recitation of a Melodious Voice#সুর#Melody#MelodiusQuran#Youtube
0 notes
Text
সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত
সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি
youtube
youtube
youtube
কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহর বাণী আল্লাহর গুণাবলির অংশ। সুতরাং আল্লাহর অন্যান্য গুণের মতো তাঁর কালাম ও বাণী চিরন্তন। কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ বা সংশয় নেই। কোরআন আল্লাহর বাণী, তা সৃষ্ট নয়। আল্লাহর বাণী তার চিরন্তন সত্তায় ধারণকৃত গুণগুলোর একটি। ‘আমি অন্তরে বিশ্বাস করি এবং মুখে সাক্ষ্য দিই যে, কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এবং তা মাখলুক নয়।’
কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আল্লাহ বলেন, ‘এই কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো রচনা নয়। পক্ষান্তরে এটার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তার সমর্থন এবং এটা বিধানগুলোর বিশদ ব্যাখ্যা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটা জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৭)
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=CrxA7EaPHUk
https://www.youtube.com/watch?v=Zp7rNZfJwmc
কোরআন তেলাওয়াতের ১০ ফজিলত
কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। কোরআন পাঠ করার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হযরত আবু উমামাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘তোমরা কুরআন মাজিদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারি হিসাবে আগমন করবে।’ (মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২)
মহাগ্ৰন্থ আল কোরআন এক মহান পরশপাথর। এর সংস্পর্শ সবাইকে ধন্য করে। চাই তা অধিক কোরআন তেলাওয়াত, হেফজ বা তাফসির জানার মাধ্যমে হোক। কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। এখানে ১০টি ফজিলত
১. কোরআন তেলাওয়াতকারীদের আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্ৰহ বৃদ্ধি করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাঁরা এমন ব্যবসার আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। -(সূরা ফাত্বির, আয়াত: ২৯-৩০)
২. আল্লাহ তায়ালা কোরআন তেলাওয়াতকারীদের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি করে দেবেন।
হাদিস শরিফে এরশাদ হচ্ছে , আমির ইবনে ওয়াসিলা আবূ তুফায়েল রা. থেকে বর্ণিত যে, নাফে' ইবন 'আবদুল হারিস রা. "উসফান" নামক স্থানে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. এর সঙ্গে মিলিত হন। ওমর রা. তাঁকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
ওমর রা. বললেন, গ্রামবাসী বেদুঈনদের জন্য তুমি কাকে স্থলাভিষিক্ত (খলিফা বানিয়েছ) করেছ? তিনি বলেন, আমি তাদের উপর ইবনে আবযা রা.-কে খলিফা বানিয়েছি।
ওমর রা. বললেন ইবনে আবযা কে? তিনি বললেন, সে আমাদের একজন আযাদকৃত গোলাম। ওমর রা. বললেন, তুমি লোকদের উপর গোলামকে খলিফা বানিয়েছ?
তিনি বললেন সে তো মহান আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াতকারী, ইলমে ফারায়েজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ 'আলিম এবং কাযী। ওমর রা. বললেন তুমি কি জান না যে, তোমাদের নবী সা. বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কিতাবের মাধ্যমে কতক গোত্রকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন আর কতককে এর দ্বারা অবনমিত করবেন? (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৮)
৩. যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তারা।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯)
৪. প্রতি হরফ তিলাওয়াত করলে ১০ নেকি।
হাদিসে এরশাদ হচ্ছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
৫. কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মত।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু মূসা আশআরি রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত (মিষ্টি) কমলার ন্যায়, যার ঘ্রাণও উত্তম স্বাদও উত্তম। যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায়, যার কোন ঘ্রাণ নেই তবে এর স্বাদ আছে। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃটান্ত রায়হানা (ফুলের) ন্যায় যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানযালা (মাকাল) ফলের ন্যায়, যার সুঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪২৭)
৬. মৃত্যুর পরও কোরআন তেলাওয়াতকারীর লাশের মর্যাদা অনেক বেশি।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদদের দুই’দুই’ জনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানতো? দু’জনের মধ্যে একজনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হবো। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাযার) নামাজও আদায় করা হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১৩৪৩)
৭. কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিবার ও কাছের মানুষ।
হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিবার-পরিজন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তারা কারা? তিনি বললেন কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তার বিশেষ বান্দা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫)
৮. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) সম্মান করা আল্লাহ তায়ালাকে সম্মান করার সমান।
হাদিসে এসেছে, আবু মূসা আশআরী রা.থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, (৩ব্যক্তি) ক. বয়স্ক মুসলমান, খ. কোরআনের হাফেজ যে এর অর্থের মধ্যে কোন রকম কমবেশী করে না এবং গ. ন্যায়-পরায়ণ বাদশার সম্মান করা, মহান আল্লাহকে সম্মান করার ন্যায়। (আবু দাউদ, হাদীস : ৪৮৪৩)
৯. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) কোরআনের আয়াতের সংখ্যার সমপরিমাণ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ দেওয়া হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন কিয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাক এবং উপরে চড়তে (উঠতে) থাক। তুমি তাকে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) সেখানেই হবে, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে। (আবু দাউদ, হাদীস : ১৪৬৪)
১০. কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে , জুবায়েদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ রা. বলেছেন, কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। এমন বিতর্ককারী যার বিতর্ক (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) গ্ৰহণ করা হবে। অতএব যে কোরআনকে সামনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে ও তদানুযায়ী আমল করবে) কোরআন তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে পিছনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে না ও তদানুযায়ী আমল করবে না ) কোরআন তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। -(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১২৪)
youtube
youtube
youtube
যে সুরে মোনাজাতে মন ভরে যায়
#সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত#সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি#Recitation of a Melodious Voice#সুর#Melody#MelodiusQuran#asmawassifat#Youtube
0 notes
Text
সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত
সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি
youtube
youtube
youtube
কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহর বাণী আল্লাহর গুণাবলির অংশ। সুতরাং আল্লাহর অন্যান্য গুণের মতো তাঁর কালাম ও বাণী চিরন্তন। কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ বা সংশয় নেই। কোরআন আল্লাহর বাণী, তা সৃষ্ট নয়। আল্লাহর বাণী তার চিরন্তন সত্তায় ধারণকৃত গুণগুলোর একটি। ‘আমি অন্তরে বিশ্বাস করি এবং মুখে সাক্ষ্য দিই যে, কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এবং তা মাখলুক নয়।’
কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আল্লাহ বলেন, ‘এই কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো রচনা নয়। পক্ষান্তরে এটার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তার সমর্থন এবং এটা বিধানগুলোর বিশদ ব্যাখ্যা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটা জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৭)
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=CrxA7EaPHUk
https://www.youtube.com/watch?v=Zp7rNZfJwmc
কোরআন তেলাওয়াতের ১০ ফজিলত
কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। কোরআন পাঠ করার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হযরত আবু উমামাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘তোমরা কুরআন মাজিদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারি হিসাবে আগমন করবে।’ (মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২)
মহাগ্ৰন্থ আল কোরআন এক মহান পরশপাথর। এর সংস্পর্শ সবাইকে ধন্য করে। চাই তা অধিক কোরআন তেলাওয়াত, হেফজ বা তাফসির জানার মাধ্যমে হোক। কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। এখানে ১০টি ফজিলত
১. কোরআন তেলাওয়াতকারীদের আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্ৰহ বৃদ্ধি করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাঁরা এমন ব্যবসার আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। -(সূরা ফাত্বির, আয়াত: ২৯-৩০)
২. আল্লাহ তায়ালা কোরআন তেলাওয়াতকারীদের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি করে দেবেন।
হাদিস শরিফে এরশাদ হচ্ছে , আমির ইবনে ওয়াসিলা আবূ তুফায়েল রা. থেকে বর্ণিত যে, নাফে' ইবন 'আবদুল হারিস রা. "উসফান" নামক স্থানে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. এর সঙ্গে মিলিত হন। ওমর রা. তাঁকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
ওমর রা. বললেন, গ্রামবাসী বেদুঈনদের জন্য তুমি কাকে স্থলাভিষিক্ত (খলিফা বানিয়েছ) করেছ? তিনি বলেন, আমি তাদের উপর ইবনে আবযা রা.-কে খলিফা বানিয়েছি।
ওমর রা. বললেন ইবনে আবযা কে? তিনি বললেন, সে আমাদের একজন আযাদকৃত গোলাম। ওমর রা. বললেন, তুমি লোকদের উপর গোলামকে খলিফা বানিয়েছ?
তিনি বললেন সে তো মহান আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াতকারী, ইলমে ফারায়েজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ 'আলিম এবং কাযী। ওমর রা. বললেন তুমি কি জান না যে, তোমাদের নবী সা. বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কিতাবের মাধ্যমে কতক গোত্রকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন আর কতককে এর দ্বারা অবনমিত করবেন? (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৮)
৩. যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তারা।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯)
৪. প্রতি হরফ তিলাওয়াত করলে ১০ নেকি।
হাদিসে এরশাদ হচ্ছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
৫. কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মত।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু মূসা আশআরি রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত (মিষ্টি) কমলার ন্যায়, যার ঘ্রাণও উত্তম স্বাদও উত্তম। যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায়, যার কোন ঘ্রাণ নেই তবে এর স্বাদ আছে। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃটান্ত রায়হানা (ফুলের) ন্যায় যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানযালা (মাকাল) ফলের ন্যায়, যার সুঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪২৭)
৬. মৃত্যুর পরও কোরআন তেলাওয়াতকারীর লাশের মর্যাদা অনেক বেশি।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদদের দুই’দুই’ জনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানতো? দু’জনের মধ্যে একজনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হবো। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাযার) নামাজও আদায় করা হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১৩৪৩)
৭. কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিবার ও কাছের মানুষ।
হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিবার-পরিজন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তারা কারা? তিনি বললেন কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তার বিশেষ বান্দা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫)
৮. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) সম্মান করা আল্লাহ তায়ালাকে সম্মান করার সমান।
হাদিসে এসেছে, আবু মূসা আশআরী রা.থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, (৩ব্যক্তি) ক. বয়স্ক মুসলমান, খ. কোরআনের হাফেজ যে এর অর্থের মধ্যে কোন রকম কমবেশী করে না এবং গ. ন্যায়-পরায়ণ বাদশার সম্মান করা, মহান আল্লাহকে সম্মান করার ন্যায়। (আবু দাউদ, হাদীস : ৪৮৪৩)
৯. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) কোরআনের আয়াতের সংখ্যার সমপরিমাণ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ দেওয়া হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন কিয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাক এবং উপরে চড়তে (উঠতে) থাক। তুমি তাকে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) সেখানেই হবে, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে। (আবু দাউদ, হাদীস : ১৪৬৪)
১০. কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে , জুবায়েদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ রা. বলেছেন, কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। এমন বিতর্ককারী যার বিতর্ক (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) গ্ৰহণ করা হবে। অতএব যে কোরআনকে সামনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে ও তদানুযায়ী আমল করবে) কোরআন তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে পিছনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে না ও তদানুযায়ী আমল করবে না ) কোরআন তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। -(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১২৪)
youtube
youtube
youtube
যে সুরে মোনাজাতে মন ভরে যায়
#সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত#সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি#Recitation of a Melodious Voice#সুর#Melody#MelodiusQuran#Youtube
0 notes
Text
সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত
সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি
youtube
youtube
youtube
কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহর বাণী আল্লাহর গুণাবলির অংশ। সুতরাং আল্লাহর অন্যান্য গুণের মতো তাঁর কালাম ও বাণী চিরন্তন। কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ বা সংশয় নেই। কোরআন আল্লাহর বাণী, তা সৃষ্ট নয়। আল্লাহর বাণী তার চিরন্তন সত্তায় ধারণকৃত গুণগুলোর একটি। ‘আমি অন্তরে বিশ্বাস করি এবং মুখে সাক্ষ্য দিই যে, কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এবং তা মাখলুক নয়।’
কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আল্লাহ বলেন, ‘এই কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো রচনা নয়। পক্ষান্তরে এটার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তার সমর্থন এবং এটা বিধানগুলোর বিশদ ব্যাখ্যা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটা জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৭)
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=CrxA7EaPHUk
https://www.youtube.com/watch?v=Zp7rNZfJwmc
কোরআন তেলাওয়াতের ১০ ফজিলত
কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। কোরআন পাঠ করার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হযরত আবু উমামাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘তোমরা কুরআন মাজিদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারি হিসাবে আগমন করবে।’ (মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২)
মহাগ্ৰন্থ আল কোরআন এক মহান পরশপাথর। এর সংস্পর্শ সবাইকে ধন্য করে। চাই তা অধিক কোরআন তেলাওয়াত, হেফজ বা তাফসির জানার মাধ্যমে হোক। কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। এখানে ১০টি ফজিলত
১. কোরআন তেলাওয়াতকারীদের আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্ৰহ বৃদ্ধি করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাঁরা এমন ব্যবসার আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। -(সূরা ফাত্বির, আয়াত: ২৯-৩০)
২. আল্লাহ তায়ালা কোরআন তেলাওয়াতকারীদের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি করে দেবেন।
হাদিস শরিফে এরশাদ হচ্ছে , আমির ইবনে ওয়াসিলা আবূ তুফায়েল রা. থেকে বর্ণিত যে, নাফে' ইবন 'আবদুল হারিস রা. "উসফান" নামক স্থানে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. এর সঙ্গে মিলিত হন। ওমর রা. তাঁকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
ওমর রা. বললেন, গ্রামবাসী বেদুঈনদের জন্য তুমি কাকে স্থলাভিষিক্ত (খলিফা বানিয়েছ) করেছ? তিনি বলেন, আমি তাদের উপর ইবনে আবযা রা.-কে খলিফা বানিয়েছি।
ওমর রা. বললেন ইবনে আবযা কে? তিনি বললেন, সে আমাদের একজন আযাদকৃত গোলাম। ওমর রা. বললেন, তুমি লোকদের উপর গোলামকে খলিফা বানিয়েছ?
তিনি বললেন সে তো মহান আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াতকারী, ইলমে ফারায়েজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ 'আলিম এবং কাযী। ওমর রা. বললেন তুমি কি জান না যে, তোমাদের নবী সা. বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কিতাবের মাধ্যমে কতক গোত্রকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন আর কতককে এর দ্বারা অবনমিত করবেন? (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৮)
৩. যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তারা।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯)
৪. প্রতি হরফ তিলাওয়াত করলে ১০ নেকি।
হাদিসে এরশাদ হচ্ছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
৫. কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মত।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু মূসা আশআরি রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত (মিষ্টি) কমলার ন্যায়, যার ঘ্রাণও উত্তম স্বাদও উত্তম। যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায়, যার কোন ঘ্রাণ নেই তবে এর স্বাদ আছে। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃটান্ত রায়হানা (ফুলের) ন্যায় যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানযালা (মাকাল) ফলের ন্যায়, যার সুঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪২৭)
৬. মৃত্যুর পরও কোরআন তেলাওয়াতকারীর লাশের মর্যাদা অনেক বেশি।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদদের দুই’দুই’ জনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানতো? দু’জনের মধ্যে একজনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হবো। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাযার) নামাজও আদায় করা হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১৩৪৩)
৭. কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিবার ও কাছের মানুষ।
হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিবার-পরিজন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তারা কারা? তিনি বললেন কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তার বিশেষ বান্দা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫)
৮. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) সম্মান করা আল্লাহ তায়ালাকে সম্মান করার সমান।
হাদিসে এসেছে, আবু মূসা আশআরী রা.থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, (৩ব্যক্তি) ক. বয়স্ক মুসলমান, খ. কোরআনের হাফেজ যে এর অর্থের মধ্যে কোন রকম কমবেশী করে না এবং গ. ন্যায়-পরায়ণ বাদশার সম্মান করা, মহান আল্লাহকে সম্মান করার ন্যায়। (আবু দাউদ, হাদীস : ৪৮৪৩)
৯. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) কোরআনের আয়াতের সংখ্যার সমপরিমাণ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ দেওয়া হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন কিয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাক এবং উপরে চড়তে (উঠতে) থাক। তুমি তাকে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) সেখানেই হবে, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে। (আবু দাউদ, হাদীস : ১৪৬৪)
১০. কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে , জুবায়েদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ রা. বলেছেন, কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। এমন বিতর্ককারী যার বিতর্ক (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) গ্ৰহণ করা হবে। অতএব যে কোরআনকে সামনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে ও তদানুযায়ী আমল করবে) কোরআন তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে পিছনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে না ও তদানুযায়ী আমল করবে না ) কোরআন তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। -(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১২৪)
youtube
youtube
youtube
যে সুরে মোনাজাতে মন ভরে যায়
#সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত#সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি#Recitation of a Melodious Voice#সুর#Melody#MelodiusQuran#Youtube
0 notes
Text
ওমর ( রাঃ ) এর স্মৃতি ও দুনিয়ায় চাওয়া পাওয়া । আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সা...
youtube
0 notes
Text
লাখো পাঠকের হৃদয় জয় করেছে বইগুলো। আলোকিত করেছে তাদের বিশ্বাস ও অন্তর। একজন মুসলিমকে প্রোডাক্টিভ করে গড়ে তুলতে অবর্থ হাতিয়ার প্রোডাক্টিভ মুসলিম’। রাসূল সা.-এর স্মার্টনেসের ছাঁচে ঢেলে নিজের শৈশব ও যৌবনকে সাজাতে ‘বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ ﷺ’ গ্রন্থটি বিশ্বময় খ্যাত। ঈমানকে সন্দেহ-অবিশ্বাসের আঁচড় থেকে দূরে রাখতে ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ গল্প ও যুক্তিতে আপনার ঈমানের পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে। ‘দ্যা রিভার্টস’ আপনাকে শোনাবে পৃথবীর বিখ্যাত কিছু নবমুসলিমের ইসলামে ফিরে আসার হৃদয়গ্রাহী গল্পগুলো। সিক্রেটস অব জ*য়োনি*জম আপনাকে জানাবে বিশ্বপ্য্যাপী ই*হু*দি সম্রাজ্য ও তাদের গোয়েন্দা তৎপরতার গো*পন ইতিহাস। ‘রিভাইব ইয়োর হার্ট’ আপনাকে এক নতুন সমাজ ও স্বার্থক জীবনের সন্ধান দেবে। ৬টি বইয়ের মোট মূল্য = ১৪৫০ টাকা (ফিক্সড)। একসাথে বা পৃথকভাবে বইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। অর্ডার করতে আপনার মোবাইল নম্বর আমাদের ইনবক্স করুন। আমাদের টিম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এক নজরে বইগুলো : ১. প্রোডাক্টিভ মুসলিম লেখক : মোহাম্মাদ ফারিস অনুবাদ : মিরাজ রহমান ও হামিদ সিরাজী পৃষ্ঠা : ২৫৬ মূল্য : ২৮০ টাকা (ফিক্সড) ২. বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ ﷺ লেখক : ড. হিশাম আল আওয়াদি অনুবাদ : মাস��দ শরীফ পৃষ্ঠা : ১৪৪ মূল্য : ১৯৫ টাকা (ফিক্সড) ৩. প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ লেখক : আরিফ আজাদ পৃষ্ঠা : ১৬৮ মূল্য : ২২৫ টাকা (ফিক্সড) ৪. দ্যা রিভার্টস : ফিরে আসার গল্প লেখক : সামছুর রহমান ওমর, কানিজ শারমিন সিঁথি পৃষ্ঠা : ২৫৬ মূল্য : ২৬০ টাকা (ফিক্সড) ৫. সিক্রেটস অব জা*য়োনি*জম ট্যাগলাইন : বিশ্বব্যাপী জা*য়ো*নিস্ট ষড়*যন্ত্রের ভেতর-বাহির লেখক : হেনরি ফোর্ড অনুবাদ : ফুয়াদ আল আজাদ পৃষ্ঠ : ২৯৬ মূল্য : ৩০০ টাকা (ফিক্সড) ৬. রিভাইব ইয়োর হার্ট লেখক : উস্তাদ নোমান আলী খান অনুবাদ : মারদিয়া মমতাজ পৃষ্ঠা : ১৪৪ মূল্য : ১৯০ টাকা (ফিক্সড)
#islamicbooks#islam#islamic#islamicbookstore#books#muslim#islamicquotes#islamicbook#quran#bookstagram#reading#islamicart#read#booklover#muslimah#islamicgifts#islamicknowledge#islamicshop#allah#deen#muslimbooks#urdubooks#islamicreminders#islamicpost#muslimkids#sunnah#islamiccenter#bukuislami#islamicbookshop#muslimhomeschool
0 notes
Text
পুরুষের জন্য আংটি বৈধ? আংটি পরা কি জায়েজ?
পুরুষের জন্য আংটি বৈধ: আংটি পরা কি জায়েজ? সামান্য রুপার আংটি ব্যবহার করা জায়েজ। রাসুল (সা.) নিজেও রুপার আংটি ব্যবহার করেছেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-এর রুপার আংটি তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর হাতেই ছিল।
অতঃপর সেটি আবু বকর (রা.)-এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর হাতে। এরপর ওমর (রা.)-এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর হাতে ছিল। অতঃপর ওসমান (রা.)-এর হাতে এলে একদিন তিনি কূপের কাছে অবস্থানকালে হঠাৎ তাঁর হাত থেকে সেটি কূপে পড়ে যায়। পরে তাঁর নির্দেশে কূপের পানি সম্পূর্ণ নিষ্কাশন করা হয়; কিন্তু সেটি আর পাওয়া যায়নি।
আরও জানুন: রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম ও মন্ত্র জানতে ভিডিওটি দেখুন
#jewelry#tajmahalgemsworldrashifal#youtube#gemstonejewelry#astrologicalsciencedainikrashifal#meshrashi#ajkerrashifalbangla2022today#astrologerdelowerchishti#gemstone#gemstones
0 notes
Text
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা কি জায়েজ? মজুদকারীদের পরিণতি এত ভয়ংকর?
youtube
youtube
youtube
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা
খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখা অথবা তা বাজার থেকে তুলে নিয়ে দাম বাড়ানো ইসলামে অবৈধ। হানাফি মাজহাব মতে মাকরূহে তাহরিমি (হারাম সমতুল্য) হলেও অন্যান্য মাজহাব মতে এটি হারাম। এ ধরনের কাজে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়।
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
অবৈধ মজুদদারের ওপর আল্লাহর অভিশাপ
মজুদদারি হলো গুটিকয়েক মজুদদারের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী গচ্ছিত থাকা এবং তাদের ইচ্ছামতো মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি করা। এটি অমানবিক, নৈতিকতাবিবর্জিত নিষিদ্ধ কাজ। ইসলাম মুনাফার উদ্দেশ্যে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করাকে হারাম করেছে। এটি ইসলাম কর্তৃক খাদ্যদ্রব্য সুষম বণ্টনের একটি উজ্জ্বল দিক।
মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রতি খেয়াল রাখা ইসলামের অন্যতম মৌলিক আদেশ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কল্যাণকামিতাই ধর্ম।’ সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, কার জন্য, হে আল্লাহর রাসুল! নবীজি বলেন, ‘আল্লাহ, রাসুল, মুসলিম নেতা এবং সর্বসাধারণের জন্য।’ (আবু দাউদ : ৪৯৪৪)
মজুদদারির বিধান
ইসলামে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা নিষিদ্ধ। বেশি মূল্যে খাদ্য বিক্রির মানসে খাদ্যদ্রব্যের বাজারমূল্য কম থাকা অবস্থায় ক্রয় করে গুদামজাত করা এবং অত্যধিক প্রয়োজনের সময় উচ্চমূল্যে তা বিক্রয় করা—সব ইসলামী আইনজ্ঞের কাছে তা হারাম। (আল-ফিকহুল মুয়াসসার ৬ : ৪৫)
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জনসাধারণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এমন হীন কর্মে যারা যুক্ত তারাই অবৈধ মজুদদারি। এমন মজুদদারি নিষিদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম সাধারণ জনগণকে সার্বিক ক্ষতি থেকে হেফাজত করেছে।
যেসব পণ্য মজুদ করা নিষিদ্ধ
সমাজের বণিক, ধনী, দুস্থ, অসহায় সব শ্রেণির মানুষের খাদ্যসামগ্রীর অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ইসলাম খাদ্যের অবৈধ মজুদ নিষিদ্ধ করেছে। মানুষের দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, খাদ্যসংশ্লিষ্ট গুরুত্বগূর্ণ উপাদান, উপকরণ, খাদ্যশস্য ইত্যাদি চড়াদামে বিক্রির ইচ্ছায় মজুদ করা হারাম। (আল-জামে লি-উলুমি ইমাম আহমাদ ৯ : ১৫৯)
মজুদদাররা আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত
দুনিয়ার কেউই আল্লাহর বিরাগভাজন হতে চায় না। চায় না অভিশপ্ত হতে। কারণ যার প্রতি আল্লাহর অভিশম্পাত তার ধ্বংস অনস্বীকার্য।
তার পরও মানুষ এমন কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে, ধ্বংসই যার সুনিশ্চিত পরিণাম। অবৈধ খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা তেমনি একটি কাজ, যা মানুষকে লানতপ্রাপ্ত বানায়। মজুদদারের প্রতি নবীজি অভিসম্পাত করেছেন। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমদানিকারক রিজিকপ্রাপ্ত আর মজুদদাররা লানতপ্রাপ্ত, অভিশপ্ত।’ (মুসনাদে দারেমি : ২৫৮৬)
মজুদদার ব্যক্তির প্রতি দুনিয়াবি গজব
অধিক লাভের জন্য অসদুপায়ে পণ্য মজুদ রাখা ইসলামে ঘৃণিত ও নিষিদ্ধ কাজ। এর কারণে মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর হয়, বিশেষত গরিব, অসহায় লোকেরা নিগৃহের স্বীকার হয়। নবীজি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলমানদের খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে আল্লাহ তাকে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত করবেন অথবা দেউলিয়া বানাবেন।’ (আল মুন্তাখাবুল আদাবি : ১৭)
যারা মজুদদার তারা নবীজি কর্তৃক চিহ্নিত পাপিষ্ঠ। নবীজি বলেছেন, ‘পাপিষ্ঠ ছাড়া কেউ মজুদদার হতে পারে না।’ (মুসলিম : ১২২৮)
লাভ-ক্ষতির সম্ভাবনায় পণ্য মজুদ রাখার বিধান
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের ছেলে আবুল ফজল সালেহ বলেন, আমি আমার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম। একজন ব্যক্তি বসরা থেকে খেজুর ক্রয় করে বাগদাদ অথবা আমাদের মক্কা-মদিনার কোনো একটি শহরে বিক্রির জন্য এলো। সেখানে এসে দেখল, খেজুরের দামে দরপতন হয়েছে। এ অবস্থায় সে ক্ষতি করে বিক্রি করতে চাচ্ছে না। এখন যদি সে এই খেজুরগুলো গুদামজাত করে তবে কি সে অবৈধ মজুদকারী হিসেবে গণ্য হবে? জবাবে ইমাম আহমাদ (রহ.) বলেন, আশা করি সে অবৈধ মজুদকারী হবে না। (মাসায়েলুল ইমাম আহমাদ ২ : ২৩৭)।
পরিবারের সদস্যদের জন্য মজুদ করা
যে ব্যক্তি নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য এবং গৃহপালিত পশুর জন্য এক কিংবা দুই বছরের খাদ্য মজুদ রাখে তাহলে সে অবৈধ মজুদদার বলে বিবেচিত হবে না। ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, নবীজি তাঁর পরিবারের জন্য এক বছরের খাবার সংরক্ষণ করেছিলেন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=KYYY92ZjR2I
https://www.youtube.com/watch?v=GqMrhbeALaQ
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
মজুতদারের উপর আল্লাহর লানত
Allah's Curse on the Hoarder
#মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ#Allah's Curse on the hoarder#পণ্য মজুদ#পণ্যমজুদ#Stockpiling#মজুতদারেরপ্রতি#আল্লাহরঅভিশাপ#Allah's curse on the hoarder#ইসলামে মজুদদারি ও মুনাফাখোরি নিষিদ্ধ#Hoarding and Profiteering are Prohibited in Islam.#মজুদদারি#Hoarding#Youtube
0 notes
Text
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা কি জায়েজ? মজুদকারীদের পরিণতি এত ভয়ংকর?
youtube
youtube
youtube
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা
খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখা অথবা তা বাজার থেকে তুলে নিয়ে দাম বাড়ানো ইসলামে অবৈধ। হানাফি মাজহাব মতে মাকরূহে তাহরিমি (হারাম সমতুল্য) হলেও অন্যান্য মাজহাব মতে এটি হারাম। এ ধরনের কাজে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়।
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
অবৈধ মজুদদারের ওপর আল্লাহর অভিশাপ
মজুদদারি হলো গুটিকয়েক মজুদদারের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী গচ্ছিত থাকা এবং তাদের ইচ্ছামতো মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি করা। এটি অমানবিক, নৈতিকতাবিবর্জিত নিষিদ্ধ কাজ। ইসলাম মুনাফার উদ্দেশ্যে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করাকে হারাম করেছে। এটি ইসলাম কর্তৃক খাদ্যদ্রব্য সুষম বণ্টনের একটি উজ্জ্বল দিক।
মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রতি খেয়াল রাখা ইসলামের অন্যতম মৌলিক আদেশ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কল্যাণকামিতাই ধর্ম।’ সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, কার জন্য, হে আল্লাহর রাসুল! নবীজি বলেন, ‘আল্লাহ, রাসুল, মুসলিম নেতা এবং সর্বসাধারণের জন্য।’ (আবু দাউদ : ৪৯৪৪)
মজুদদারির বিধান
ইসলামে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা নিষিদ্ধ। বেশি মূল্যে খাদ্য বিক্রির মানসে খাদ্যদ্রব্যের বাজারমূল্য কম থাকা অবস্থায় ক্রয় করে গুদামজাত করা এবং অত্যধিক প্রয়োজনের সময় উচ্চমূল্যে তা বিক্রয় করা—সব ইসলামী আইনজ্ঞের কাছে তা হারাম। (আল-ফিকহুল মুয়াসসার ৬ : ৪৫)
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জনসাধারণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এমন হীন কর্মে যারা যুক্ত তারাই অবৈধ মজুদদারি। এমন মজুদদারি নিষিদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম সাধারণ জনগণকে সার্বিক ক্ষতি থেকে হেফাজত করেছে।
যেসব পণ্য মজুদ করা নিষিদ্ধ
সমাজের বণিক, ধনী, দুস্থ, অসহায় সব শ্রেণির মানুষের খাদ্যসামগ্রীর অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ইসলাম খাদ্যের অবৈধ মজুদ নিষিদ্ধ করেছে। মানুষের দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, খাদ্যসংশ্লিষ্ট গুরুত্বগূর্ণ উপাদান, উপকরণ, খাদ্যশস্য ইত্যাদি চড়াদামে বিক্রির ইচ্ছায় মজুদ করা হারাম। (আল-জামে লি-উলুমি ইমাম আহমাদ ৯ : ১৫৯)
মজুদদাররা আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত
দুনিয়ার কেউই আল্লাহর বিরাগভাজন হতে চায় না। চায় না অভিশপ্ত হতে। কারণ যার প্রতি আল্লাহর অভিশম্পাত তার ধ্বংস অনস্বীকার্য।
তার পরও মানুষ এমন কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে, ধ্বংসই যার সুনিশ্চিত পরিণাম। অবৈধ খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা তেমনি একটি কাজ, যা মানুষকে লানতপ্রাপ্ত বানায়। মজুদদারের প্রতি নবীজি অভিসম্পাত করেছেন। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমদানিকারক রিজিকপ্রাপ্ত আর মজুদদাররা লানতপ্রাপ্ত, অভিশপ্ত।’ (মুসনাদে দারেমি : ২৫৮৬)
মজুদদার ব্যক্তির প্রতি দুনিয়াবি গজব
অধিক লাভের জন্য অসদুপায়ে পণ্য মজুদ রাখা ইসলামে ঘৃণিত ও নিষিদ্ধ কাজ। এর কারণে মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর হয়, বিশেষত গরিব, অসহায় লোকেরা নিগৃহের স্বীকার হয়। নবীজি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলমানদের খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে আল্লাহ তাকে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত করবেন অথবা দেউলিয়া বানাবেন।’ (আল মুন্তাখাবুল আদাবি : ১৭)
যারা মজুদদার তারা নবীজি কর্তৃক চিহ্নিত পাপিষ্ঠ। নবীজি বলেছেন, ‘পাপিষ্ঠ ছাড়া কেউ মজুদদার হতে পারে না।’ (মুসলিম : ১২২৮)
লাভ-ক্ষতির সম্ভাবনায় পণ্য মজুদ রাখার বিধান
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের ছেলে আবুল ফজল সালেহ বলেন, আমি আমার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম। একজন ব্যক্তি বসরা থেকে খেজুর ক্রয় করে বাগদাদ অথবা আমাদের মক্কা-মদিনার কোনো একটি শহরে বিক্রির জন্য এলো। সেখানে এসে দেখল, খেজুরের দামে দরপতন হয়েছে। এ অবস্থায় সে ক্ষতি করে বিক্রি করতে চাচ্ছে না। এখন যদি সে এই খেজুরগুলো গুদামজাত করে তবে কি সে অবৈধ মজুদকারী হিসেবে গণ্য হবে? জবাবে ইমাম আহমাদ (রহ.) বলেন, আশা করি সে অবৈধ মজুদকারী হবে না। (মাসায়েলুল ইমাম আহমাদ ২ : ২৩৭)।
পরিবারের সদস্যদের জন্য মজুদ করা
যে ব্যক্তি নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য এবং গৃহপালিত পশুর জন্য এক কিংবা দুই বছরের খাদ্য মজুদ রাখে তাহলে সে অবৈধ মজুদদার বলে বিবেচিত হবে না। ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, নবীজি তাঁর পরিবারের জন্য এক বছরের খাবার সংরক্ষণ করেছিলেন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=KYYY92ZjR2I
https://www.youtube.com/watch?v=GqMrhbeALaQ
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
মজুতদারের উপর আল্লাহর লানত
Allah's Curse on the Hoarder
#মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ#Allah's Curse on the hoarder#পণ্য মজুদ#পণ্যমজুদ#Stockpiling#মজুতদারেরপ্রতি#আল্লাহরঅভিশাপ#Allah's curse on the hoarder#ইসলামে মজুদদারি ও মুনাফাখোরি নিষিদ্ধ#Hoarding and Profiteering are Prohibited in Islam.#মজুদদারি#Hoarding#Youtube
0 notes
Text
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা কি জায়েজ? মজুদকারীদের পরিণতি এত ভয়ংকর?
youtube
youtube
youtube
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা
খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখা অথবা তা বাজার থেকে তুলে নিয়ে দাম বাড়ানো ইসলামে অবৈধ। হানাফি মাজহাব মতে মাকরূহে তাহরিমি (হারাম সমতুল্য) হলেও অন্যান্য মাজহাব মতে এটি হারাম। এ ধরনের কাজে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়।
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
অবৈধ মজুদদারের ওপর আল্লাহর অভিশাপ
মজুদদারি হলো গুটিকয়েক মজুদদারের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী গচ্ছিত থাকা এবং তাদের ইচ্ছামতো মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি করা। এটি অমানবিক, নৈতিকতাবিবর্জিত নিষিদ্ধ কাজ। ইসলাম মুনাফার উদ্দেশ্যে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করাকে হারাম করেছে। এটি ইসলাম কর্তৃক খাদ্যদ্রব্য সুষম বণ্টনের একটি উজ্জ্বল দিক।
মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রতি খেয়াল রাখা ইসলামের অন্যতম মৌলিক আদেশ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কল্যাণকামিতাই ধর্ম।’ সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, কার জন্য, হে আল্লাহর রাসুল! নবীজি বলেন, ‘আল্লাহ, রাসুল, মুসলিম নেতা এবং সর্বসাধারণের জন্য।’ (আবু দাউদ : ৪৯৪৪)
মজুদদারির বিধান
ইসলামে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা নিষিদ্ধ। বেশি মূল্যে খাদ্য বিক্রির মানসে খাদ্যদ্রব্যের বাজারমূল্য কম থাকা অবস্থায় ক্রয় করে গুদামজাত করা এবং অত্যধিক প্রয়োজনের সময় উচ্চমূল্যে তা বিক্রয় করা—সব ইসলামী আইনজ্ঞের কাছে তা হারাম। (আল-ফিকহুল মুয়াসসার ৬ : ৪৫)
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জনসাধারণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এমন হীন কর্মে যারা যুক্ত তারাই অবৈধ মজুদদারি। এমন মজুদদারি নিষিদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম সাধারণ জনগণকে সার্বিক ক্ষতি থেকে হেফাজত করেছে।
যেসব পণ্য মজুদ করা নিষিদ্ধ
সমাজের বণিক, ধনী, দুস্থ, অসহায় সব শ্রেণির মানুষের খাদ্যসামগ্রীর অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ইসলাম খাদ্যের অবৈধ মজুদ নিষিদ্ধ করেছে। মানুষের দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, খাদ্যসংশ্লিষ্ট গুরুত্বগূর্ণ উপাদান, উপকরণ, খাদ্যশস্য ইত্যাদি চড়াদামে বিক্রির ইচ্ছায় মজুদ করা হারাম। (আল-জামে লি-উলুমি ইমাম আহমাদ ৯ : ১৫৯)
মজুদদাররা আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত
দুনিয়ার কেউই আল্লাহর বিরাগভাজন হতে চায় না। চায় না অভিশপ্ত হতে। কারণ যার প্রতি আল্লাহর অভিশম্পাত তার ধ্বংস অনস্বীকার্য।
তার পরও মানুষ এমন কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে, ধ্বংসই যার সুনিশ্চিত পরিণাম। অবৈধ খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা তেমনি একটি কাজ, যা মানুষকে লানতপ্রাপ্ত বানায়। মজুদদারের প্রতি নবীজি অভিসম্পাত করেছেন। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমদানিকারক রিজিকপ্রাপ্ত আর মজুদদাররা লানতপ্রাপ্ত, অভিশপ্ত।’ (মুসনাদে দারেমি : ২৫৮৬)
মজুদদার ব্যক্তির প্রতি দুনিয়াবি গজব
অধিক লাভের জন্য অসদুপায়ে পণ্য মজুদ রাখা ইসলামে ঘৃণিত ও নিষিদ্ধ কাজ। এর কারণে মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর হয়, বিশেষত গরিব, অসহায় লোকেরা নিগৃহের স্বীকার হয়। নবীজি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলমানদের খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে আল্লাহ তাকে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত করবেন অথবা দেউলিয়া বানাবেন।’ (আল মুন্তাখাবুল আদাবি : ১৭)
যারা মজুদদার তারা নবীজি কর্তৃক চিহ্নিত পাপিষ্ঠ। নবীজি বলেছেন, ‘পাপিষ্ঠ ছাড়া কেউ মজুদদার হতে পারে না।’ (মুসলিম : ১২২৮)
লাভ-ক্ষতির সম্ভাবনায় পণ্য মজুদ রাখার বিধান
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের ছেলে আবুল ফজল সালেহ বলেন, আমি আমার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম। একজন ব্যক্তি বসরা থেকে খেজুর ক্রয় করে বাগদাদ অথবা আমাদের মক্কা-মদিনার কোনো একটি শহরে বিক্রির জন্য এলো। সেখানে এসে দেখল, খেজুরের দামে দরপতন হয়েছে। এ অবস্থায় সে ক্ষতি করে বিক্রি করতে চাচ্ছে না। এখন যদি সে এই খেজুরগুলো গুদামজাত করে তবে কি সে অবৈধ মজুদকারী হিসেবে গণ্য হবে? জবাবে ইমাম আহমাদ (রহ.) বলেন, আশা করি সে অবৈধ মজুদকারী হবে না। (মাসায়েলুল ইমাম আহমাদ ২ : ২৩৭)।
পরিবারের সদস্যদের জন্য মজুদ করা
যে ব্যক্তি নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য এবং গৃহপালিত পশুর জন্য এক কিংবা দুই বছরের খাদ্য মজুদ রাখে তাহলে সে অবৈধ মজুদদার বলে বিবেচিত হবে না। ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, নবীজি তাঁর পরিবারের জন্য এক বছরের খাবার সংরক্ষণ করেছিলেন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=KYYY92ZjR2I
https://www.youtube.com/watch?v=GqMrhbeALaQ
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
মজুতদারের উপর আল্লাহর লানত
Allah's Curse on the Hoarder
#মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ#Allah's Curse on the hoarder#পণ্য মজুদ#পণ্যমজুদ#Stockpiling#মজুতদারেরপ্রতি#আল্লাহরঅভিশাপ#Allah's curse on the hoarder#ইসলামে মজুদদারি ও মুনাফাখোরি নিষিদ্ধ#Hoarding and Profiteering are Prohibited in Islam.#মজুদদারি#Hoarding#Youtube
0 notes
Text
সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত
সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি
youtube
youtube
youtube
কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহর বাণী আল্লাহর গুণাবলির অংশ। সুতরাং আল্লাহর অন্যান্য গুণের মতো তাঁর কালাম ও বাণী চিরন্তন। কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ বা সংশয় নেই। কোরআন আল্লাহর বাণী, তা সৃষ্ট নয়। আল্লাহর বাণী তার চিরন্তন সত্তায় ধারণকৃত গুণগুলোর একটি। ‘আমি অন্তরে বিশ্বাস করি এবং মুখে সাক্ষ্য দিই যে, কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এবং তা মাখলুক নয়।’
কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আল্লাহ বলেন, ‘এই কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো রচনা নয়। পক্ষান্তরে এটার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তার সমর্থন এবং এটা বিধানগুলোর বিশদ ব্যাখ্যা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটা জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৩৭)
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=CrxA7EaPHUk
https://www.youtube.com/watch?v=Zp7rNZfJwmc
কোরআন তেলাওয়াতের ১০ ফজিলত
কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। কোরআন পাঠ করার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। হযরত আবু উমামাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘তোমরা কুরআন মাজিদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারি হিসাবে আগমন করবে।’ (মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২)
মহাগ্ৰন্থ আল কোরআন এক মহান পরশপাথর। এর সংস্পর্শ সবাইকে ধন্য করে। চাই তা অধিক কোরআন তেলাওয়াত, হেফজ বা তাফসির জানার মাধ্যমে হোক। কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। এখানে ১০টি ফজিলত
১. কোরআন তেলাওয়াতকারীদের আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্ৰহ বৃদ্ধি করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাঁরা এমন ব্যবসার আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। -(সূরা ফাত্বির, আয়াত: ২৯-৩০)
২. আল্লাহ তায়ালা কোরআন তেলাওয়াতকারীদের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি করে দেবেন।
হাদিস শরিফে এরশাদ হচ্ছে , আমির ইবনে ওয়াসিলা আবূ তুফায়েল রা. থেকে বর্ণিত যে, নাফে' ইবন 'আবদুল হারিস রা. "উসফান" নামক স্থানে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. এর সঙ্গে মিলিত হন। ওমর রা. তাঁকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
ওমর রা. বললেন, গ্রামবাসী বেদুঈনদের জন্য তুমি কাকে স্থলাভিষিক্ত (খলিফা বানিয়েছ) করেছ? তিনি বলেন, আমি তাদের উপর ইবনে আবযা রা.-কে খলিফা বানিয়েছি।
ওমর রা. বললেন ইবনে আবযা কে? তিনি বললেন, সে আমাদের একজন আযাদকৃত গোলাম। ওমর রা. বললেন, তুমি লোকদের উপর গোলামকে খলিফা বানিয়েছ?
তিনি বললেন সে তো মহান আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াতকারী, ইলমে ফারায়েজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ 'আলিম এবং কাযী। ওমর রা. বললেন তুমি কি জান না যে, তোমাদের নবী সা. বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কিতাবের মাধ্যমে কতক গোত্রকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন আর কতককে এর দ্বারা অবনমিত করবেন? (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৮)
৩. যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তারা।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯)
৪. প্রতি হরফ তিলাওয়াত করলে ১০ নেকি।
হাদিসে এরশাদ হচ্ছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
৫. কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মত।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু মূসা আশআরি রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত (মিষ্টি) কমলার ন্যায়, যার ঘ্রাণও উত্তম স্বাদও উত্তম। যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায়, যার কোন ঘ্রাণ নেই তবে এর স্বাদ আছে। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃটান্ত রায়হানা (ফুলের) ন্যায় যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানযালা (মাকাল) ফলের ন্যায়, যার সুঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪২৭)
৬. মৃত্যুর পরও কোরআন তেলাওয়াতকারীর লাশের মর্যাদা অনেক বেশি।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদদের দুই’দুই’ জনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানতো? দু’জনের মধ্যে একজনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হবো। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাযার) নামাজও আদায় করা হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১৩৪৩)
৭. কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিবার ও কাছের মানুষ।
হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিবার-পরিজন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তারা কারা? তিনি বললেন কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তার বিশেষ বান্দা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫)
৮. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) সম্মান করা আল্লাহ তায়ালাকে সম্মান করার সমান।
হাদিসে এসেছে, আবু মূসা আশআরী রা.থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, (৩ব্যক্তি) ক. বয়স্ক মুসলমান, খ. কোরআনের হাফেজ যে এর অর্থের মধ্যে কোন রকম কমবেশী করে না এবং গ. ন্যায়-পরায়ণ বাদশার সম্মান করা, মহান আল্লাহকে সম্মান করার ন্যায়। (আবু দাউদ, হাদীস : ৪৮৪৩)
৯. কোরআন তেলাওয়াতকারীকে (হাফেজে কোরআনকে) কোরআনের আয়াতের সংখ্যার সমপরিমাণ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ দেওয়া হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন কিয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাক এবং উপরে চড়তে (উঠতে) থাক। তুমি তাকে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) সেখানেই হবে, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে। (আবু দাউদ, হাদীস : ১৪৬৪)
১০. কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে , জুবায়েদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ রা. বলেছেন, কোরআন এমন সুপারিশকারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। এমন বিতর্ককারী যার বিতর্ক (তেলাওয়াতকারীর পক্ষে) গ্ৰহণ করা হবে। অতএব যে কোরআনকে সামনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে ও তদানুযায়ী আমল করবে) কোরআন তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে পিছনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে না ও তদানুযায়ী আমল করবে না ) কোরআন তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। -(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১২৪)
youtube
youtube
youtube
যে সুরে মোনাজাতে মন ভরে যায়
#সুমধুর কন্ঠের তিলাওয়াত#সুরেলা কণ্ঠের আবৃত্তি#Recitation of a Melodious Voice#সুর#Melody#MelodiusQuran#Youtube
0 notes
Text
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা কি জায়েজ? মজুদকারীদের পরিণতি এত ভয়ংকর?
youtube
youtube
youtube
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা
খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখা অথবা তা বাজার থেকে তুলে নিয়ে দাম বাড়ানো ইসলামে অবৈধ। হানাফি মাজহাব মতে মাকরূহে তাহরিমি (হারাম সমতুল্য) হলেও অন্যান্য মাজহাব মতে এটি হারাম। এ ধরনের কাজে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়।
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
অবৈধ মজুদদারের ওপর আল্লাহর অভিশাপ
মজুদদারি হলো গুটিকয়েক মজুদদারের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী গচ্ছিত থাকা এবং তাদের ইচ্ছামতো মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি করা। এটি অমানবিক, নৈতিকতাবিবর্জিত নিষিদ্ধ কাজ। ইসলাম মুনাফার উদ্দেশ্যে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করাকে হারাম করেছে। এটি ইসলাম কর্তৃক খাদ্যদ্রব্য সুষম বণ্টনের একটি উজ্জ্বল দিক।
মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রতি খেয়াল রাখা ইসলামের অন্যতম মৌলিক আদেশ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কল্যাণকামিতাই ধর্ম।’ সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, কার জন্য, হে আল্লাহর রাসুল! নবীজি বলেন, ‘আল্লাহ, রাসুল, মুসলিম নেতা এবং সর্বসাধারণের জন্য।’ (আবু দাউদ : ৪৯৪৪)
মজুদদারির বিধান
ইসলামে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা নিষিদ্ধ। বেশি মূল্যে খাদ্য বিক্রির মানসে খাদ্যদ্রব্যের বাজারমূল্য কম থাকা অবস্থায় ক্রয় করে গুদামজাত করা এবং অত্যধিক প্রয়োজনের সময় উচ্চমূল্যে তা বিক্রয় করা—সব ইসলামী আইনজ্ঞের কাছে তা হারাম। (আল-ফিকহুল মুয়াসসার ৬ : ৪৫)
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জনসাধারণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এমন হীন কর্মে যারা যুক্ত তারাই অবৈধ মজুদদারি। এমন মজুদদারি নিষিদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম সাধারণ জনগণকে সার্বিক ক্ষতি থেকে হেফাজত করেছে।
যেসব পণ্য মজুদ করা নিষিদ্ধ
সমাজের বণিক, ধনী, দুস্থ, অসহায় সব শ্রেণির মানুষের খাদ্যসামগ্রীর অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ইসলাম খাদ্যের অবৈধ মজুদ নিষিদ্ধ করেছে। মানুষের দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, খাদ্যসংশ্লিষ্ট গুরুত্বগূর্ণ উপাদান, উপকরণ, খাদ্যশস্য ইত্যাদি চড়াদামে বিক্রির ইচ্ছায় মজুদ করা হারাম। (আল-জামে লি-উলুমি ইমাম আহমাদ ৯ : ১৫৯)
মজুদদাররা আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত
দুনিয়ার কেউই আল্লাহর বিরাগভাজন হতে চায় না। চায় না অভিশপ্ত হতে। কারণ যার প্রতি আল্লাহর অভিশম্পাত তার ধ্বংস অনস্বীকার্য।
তার পরও মানুষ এমন কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে, ধ্বংসই যার সুনিশ্চিত পরিণাম। অবৈধ খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা তেমনি একটি কাজ, যা মানুষকে লানতপ্রাপ্ত বানায়। মজুদদারের প্রতি নবীজি অভিসম্পাত করেছেন। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমদানিকারক রিজিকপ্রাপ্ত আর মজুদদাররা লানতপ্রাপ্ত, অভিশপ্ত।’ (মুসনাদে দারেমি : ২৫৮৬)
মজুদদার ব্যক্তির প্রতি দুনিয়াবি গজব
অধিক লাভের জন্য অসদুপায়ে পণ্য মজুদ রাখা ইসলামে ঘৃণিত ও নিষিদ্ধ কাজ। এর কারণে মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর হয়, বিশেষত গরিব, অসহায় লোকেরা নিগৃহের স্বীকার হয়। নবীজি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলমানদের খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে আল্লাহ তাকে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত করবেন অথবা দেউলিয়া বানাবেন।’ (আল মুন্তাখাবুল আদাবি : ১৭)
যারা মজুদদার তারা নবীজি কর্তৃক চিহ্নিত পাপিষ্ঠ। নবীজি বলেছেন, ‘পাপিষ্ঠ ছাড়া কেউ মজুদদার হতে পারে না।’ (মুসলিম : ১২২৮)
লাভ-ক্ষতির সম্ভাবনায় পণ্য মজুদ রাখার বিধান
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের ছেলে আবুল ফজল সালেহ বলেন, আমি আমার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম। একজন ব্যক্তি বসরা থেকে খেজুর ক্রয় করে বাগদাদ অথবা আমাদের মক্কা-মদিনার কোনো একটি শহরে বিক্রির জন্য এলো। সেখানে এসে দেখল, খেজুরের দামে দরপতন হয়েছে। এ অবস্থায় সে ক্ষতি করে বিক্রি করতে চাচ্ছে না। এখন যদি সে এই খেজুরগুলো গুদামজাত করে তবে কি সে অবৈধ মজুদকারী হিসেবে গণ্য হবে? জবাবে ইমাম আহমাদ (রহ.) বলেন, আশা করি সে অবৈধ মজুদকারী হবে না। (মাসায়েলুল ইমাম আহমাদ ২ : ২৩৭)।
পরিবারের সদস্যদের জন্য মজুদ করা
যে ব্যক্তি নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য এবং গৃহপালিত পশুর জন্য এক কিংবা দুই বছরের খাদ্য মজুদ রাখে তাহলে সে অবৈধ মজুদদার বলে বিবেচিত হবে না। ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, নবীজি তাঁর পরিবারের জন্য এক বছরের খাবার সংরক্ষণ করেছিলেন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=KYYY92ZjR2I
https://www.youtube.com/watch?v=GqMrhbeALaQ
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
মজুতদারের উপর আল্লাহর লানত
Allah's Curse on the Hoarder
#মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ#Allah's Curse on the hoarder#পণ্য মজুদ#পণ্যমজুদ#Stockpiling#মজুতদারেরপ্রতি#আল্লাহরঅভিশাপ#Allah's curse on the hoarder#ইসলামে মজুদদারি ও মুনাফাখোরি নিষিদ্ধ#Hoarding and Profiteering are Prohibited in Islam.#মজুদদারি#Hoarding#Youtube
0 notes
Text
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা কি জায়েজ? মজুদকারীদের পরিণতি এত ভয়ংকর?
youtube
youtube
youtube
পণ্য মজুদ রেখে ব্যবসা করা
খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখা অথবা তা বাজার থেকে তুলে নিয়ে দাম বাড়ানো ইসলামে অবৈধ। হানাফি মাজহাব মতে মাকরূহে তাহরিমি (হারাম সমতুল্য) হলেও অন্যান্য মাজহাব মতে এটি হারাম। এ ধরনের কাজে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়।
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
অবৈধ মজুদদারের ওপর আল্লাহর অভিশাপ
মজুদদারি হলো গুটিকয়েক মজুদদারের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী গচ্ছিত থাকা এবং তাদের ইচ্ছামতো মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি করা। এটি অমানবিক, নৈতিকতাবিবর্জিত নিষিদ্ধ কাজ। ইসলাম মুনাফার উদ্দেশ্যে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করাকে হারাম করেছে। এটি ইসলাম কর্তৃক খাদ্যদ্রব্য সুষম বণ্টনের একটি উজ্জ্বল দিক।
মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রতি খেয়াল রাখা ইসলামের অন্যতম মৌলিক আদেশ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কল্যাণকামিতাই ধর্ম।’ সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, কার জন্য, হে আল্লাহর রাসুল! নবীজি বলেন, ‘আল্লাহ, রাসুল, মুসলিম নেতা এবং সর্বসাধারণের জন্য।’ (আবু দাউদ : ৪৯৪৪)
মজুদদারির বিধান
ইসলামে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা নিষিদ্ধ। বেশি মূল্যে খাদ্য বিক্রির মানসে খাদ্যদ্রব্যের বাজারমূল্য কম থাকা অবস্থায় ক্রয় করে গুদামজাত করা এবং অত্যধিক প্রয়োজনের সময় উচ্চমূল্যে তা বিক্রয় করা—সব ইসলামী আইনজ্ঞের কাছে তা হারাম। (আল-ফিকহুল মুয়াসসার ৬ : ৪৫)
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জনসাধারণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এমন হীন কর্মে যারা যুক্ত তারাই অবৈধ মজুদদারি। এমন মজুদদারি নিষিদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম সাধারণ জনগণকে সার্বিক ক্ষতি থেকে হেফাজত করেছে।
যেসব পণ্য মজুদ করা নিষিদ্ধ
সমাজের বণিক, ধনী, দুস্থ, অসহায় সব শ্রেণির মানুষের খাদ্যসামগ্রীর অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ইসলাম খাদ্যের অবৈধ মজুদ নিষিদ্ধ করেছে। মানুষের দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, খাদ্যসংশ্লিষ্ট গুরুত্বগূর্ণ উপাদান, উপকরণ, খাদ্যশস্য ইত্যাদি চড়াদামে বিক্রির ইচ্ছায় মজুদ করা হারাম। (আল-জামে লি-উলুমি ইমাম আহমাদ ৯ : ১৫৯)
মজুদদাররা আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত
দুনিয়ার কেউই আল্লাহর বিরাগভাজন হতে চায় না। চায় না অভিশপ্ত হতে। কারণ যার প্রতি আল্লাহর অভিশম্পাত তার ধ্বংস অনস্বীকার্য।
তার পরও মানুষ এমন কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে, ��্বংসই যার সুনিশ্চিত পরিণাম। অবৈধ খাদ্যসামগ্রী মজুদ করা তেমনি একটি কাজ, যা মানুষকে লানতপ্রাপ্ত বানায়। মজুদদারের প্রতি নবীজি অভিসম্পাত করেছেন। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমদানিকারক রিজিকপ্রাপ্ত আর মজুদদাররা লানতপ্রাপ্ত, অভিশপ্ত।’ (মুসনাদে দারেমি : ২৫৮৬)
মজুদদার ব্যক্তির প্রতি দুনিয়াবি গজব
অধিক লাভের জন্য অসদুপায়ে পণ্য মজুদ রাখা ইসলামে ঘৃণিত ও নিষিদ্ধ কাজ। এর কারণে মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর হয়, বিশেষত গরিব, অসহায় লোকেরা নিগৃহের স্বীকার হয়। নবীজি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলমানদের খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে আল্লাহ তাকে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত করবেন অথবা দেউলিয়া বানাবেন।’ (আল মুন্তাখাবুল আদাবি : ১৭)
যারা মজুদদার তারা নবীজি কর্তৃক চিহ্নিত পাপিষ্ঠ। নবীজি বলেছেন, ‘পাপিষ্ঠ ছাড়া কেউ মজুদদার হতে পারে না।’ (মুসলিম : ১২২৮)
লাভ-ক্ষতির সম্ভাবনায় পণ্য মজুদ রাখার বিধান
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের ছেলে আবুল ফজল সালেহ বলেন, আমি আমার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম। একজন ব্যক্তি বসরা থেকে খেজুর ক্রয় করে বাগদাদ অথবা আমাদের মক্কা-মদিনার কোনো একটি শহরে বিক্রির জন্য এলো। সেখানে এসে দেখল, খেজুরের দামে দরপতন হয়েছে। এ অবস্থায় সে ক্ষতি করে বিক্রি করতে চাচ্ছে না। এখন যদি সে এই খেজুরগুলো গুদামজাত করে তবে কি সে অবৈধ মজুদকারী হিসেবে গণ্য হবে? জবাবে ইমাম আহমাদ (রহ.) বলেন, আশা করি সে অবৈধ মজুদকারী হবে না। (মাসায়েলুল ইমাম আহমাদ ২ : ২৩৭)।
পরিবারের সদস্যদের জন্য মজুদ করা
যে ব্যক্তি নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য এবং গৃহপালিত পশুর জন্য এক কিংবা দুই বছরের খাদ্য মজুদ রাখে তাহলে সে অবৈধ মজুদদার বলে বিবেচিত হবে না। ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, নবীজি তাঁর পরিবারের জন্য এক বছরের খাবার সংরক্ষণ করেছিলেন।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=KYYY92ZjR2I
https://www.youtube.com/watch?v=GqMrhbeALaQ
মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ
মজুতদারের উপর আল্লাহর লানত
Allah's Curse on the Hoarder
#মজুতদারের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ#Allah's urse on the hoarder#পণ্য মজুদ#পণ্যমজুদ#Stockpiling#Allah's curse on the hoarder#ইসলামে মজুদদারি ও মুনাফাখোরি নিষিদ্ধ#Hoarding and Profiteering are Prohibited in Islam.#মজুদদারি#মজুতদারেরপ্রতি#আল্লাহরঅভিশাপ#Hoarding#Youtube
0 notes
Text
‘ওয়াও’লিখ�� বিতর্কে ওমর সানী
‘ওয়াও’লিখে বিতর্কে ওমর সানী
টপ নিউজ ডেস্কঃ দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান বেশ সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাঝেমধ্যে নিজের ফটোশুট আপলোড করেন। ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে অভিনয় জীবনের খবরা-খবরও দেন। আর প্রিয় তারকার আপডেট জেনে তার ভক্ত-অনুরাগীরাও কৌতূহল মেটান। তবে সম্প্রতি কয়েকটি বোল্ড ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে বিতর্কের মুখে জয়া। অভিনেত্রীর সেসব ছবি শীতের আমেজে ব্যাপক উষ্ণতা ছড়ায় নেটপাড়ায়। আর সেই ছবিগুলোর…
View On WordPress
0 notes