#ঈমান ভঙ্গের ১০ কারণ
Explore tagged Tumblr posts
Photo
ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ: ১। শির্ক করাঃ ২। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে মাধ্যম মানা। ৩। কাফের ও মুশরেকদেরকে কাফের মনে না করা। ৪। আল্লাহদ্রোহীদের হুকুমকে নবী (ﷺ)-এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করা। ৫। নবী (ﷺ) এর আনীত শারঈতের কোন কিছুর প্রতি বিদ্বেষ পোষন করা। ৬। দ্বীন ইসলামের কোন কিছুকে বিদ্রুপ করা। ৭। যাদু শেখা, শেখানো ও এতে বিশ্বাস করা এবং পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টির লক্ষে যে সব ভাঁওতাবাজী করা হয়। ৮। কাফের–মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের সাহায্য করা। ৯। বেশী বেশী আমল করার দরুন বা অন্য কোন কারণে কোন কোন লোকের জন্যে মুহাম্মদী শরীয়াত না মানা বৈধ, এ ধরণের বিশ্বাস পোষণ করা কুফরী। ১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া।
https://www.youtube.com/watch?v=1y5zsxT2e98
#reasons for breaking faith#ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ#breaking faith#ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো#ঈমান ভঙ্গের প্রধান কারণ শিরক করা#Breaking Iman#ঈমান ভঙ্গের কারণ#ঈমান ভঙ্গ#breaking eman#ঈমান ভঙ্গের কারণস্মুহ#ঈমান ভঙ্গের ১০ কারণ#শির্ক#শিরক
0 notes
Text
ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ June 30, 20214 ঈমান ভঙ্গের দশটি কারণ- : সাধারণত আমরা জানি ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো , আবার নামায কি কারণে ভঙ্গ হয় তাও আমরা কিন্তু ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ আমাদের অনেকের জানা নেই। এবার ‘ ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ’ জানা যাক, একঃ আস শিরকআল্লাহ তা’য়ালার ইবাদতে শরীক করা। এ ব্যাপারে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ আল্লাহ্ বলেছেন:“নিশ্চয় আল্লাহ্ তাঁর সাথে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না। ইহা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন; এবং যে কেহ আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহা পাপ করে।”(সূরা নিসা ৪: আয়াত ৪৮)”কেহ আল্লাহর সাথে শরীক করলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অবশ্যেই হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।” (সূরা মায়িদা ৫: আয়াত ৭২)কেউ আল্লাহর সাথে যে বিভিন্ন প্রকার শরীক করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে অলিহাহ, আরবাব, আনদাদ ও তাগুত। বর্তমান কালের কয়েকটি বড় বড় শিরক সমূহের মধ্যে রয়েছে মাজার ও কবর পূজা, পীর ও আল্লাহর অলিরা গায়েব জানেন, অসুস্থকে সুস্থ করতে পারেন, বাচ্চা দিতে পারেন, বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেন কিংবা আমাদের খবর জানেন ইত্যা��ি ধারণা পোষণ করা।-আল্লাহ্ একমাত্র আইন ও বিধান দাতা। কুরআন ও সুন্নাহর মাধ্যমে আল্লাহ আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন সমাজ, রাষ্ট্র, শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থা, শাস্তি, অর্থনীতি কিভাবে চালাতে হবে এবং এ সমস্ত ব্যাপারে আল্লাহর দেয়া বিধানই প্রত্যেক মুসলিমের একমাত্র সংবিধান। যদি কেউ আল্লাহর দেয়া সংবিধানের উপর নিজেরা আইন তৈরী করে তবে তারা তাগুত(আল্লাহদ্রোহী, সীমালংঘনকারী)-তে পরিণত হবে। যারা তাগুতের তৈরী সংবিধানকে মানবে, তারা মানার বিষয়ে আল্লাহর সাথে শিরক্ করে মুশরিকে পরিণত হবে। এমনিভাবে আল্লাহর দেয়া শরীয়া আইন বাদ দিয়ে যে সমস্ত বিচারক মানুষের তৈরী করা আইন দিয়ে বিচার ফয়সালা করে তারাও তাগুত।এবং যে সকল লোক তাদের কাছে নিজের ইচ্ছার বিচার ফয়সালা নিয়ে যাবে তারাও শিরকের গুনাহতে লিপ্ত হয়ে ইসলাম থেকে বাদ পড়ে যাবে।-দুই:মধ্যস্থতা ধরাযে ব্যক্তি তার নিজের এবং আল্লাহর মধ্যে মধ্যস্থতা ও যোগাযোগের মাধ্যম বানায় এবং তাদের কাছে তার মনোস্কামনা পূরণের(শাফায়া) জন্য আবেদন নিবেদন করে এবং তাদের উপর নির্ভর করে, সে কাফির (অবিশ্বাসী) হয়ে যায়। ইহাই অতীত ও বর্তমানের আলেমদের ইজমা।“তারা আল্লাহকে ব্যতিত যার ইবাদাত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না,উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, ‘এইগুলি আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী।’ বল, ‘তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিবে যা তিনি জানেন না?তিনি মহান, পবিত্র’ এবং তারা যাকে শরীক করে তা হতে তিনি উর্দ্ধে।”(সূরা ���উনুস ১০: আয়াত ১৮)-“জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরুপে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, ইহারা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।’ তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দিবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।” (সূরা যুমার ৩৯:আয়াত ৩)-এর একটি স্পষ্ট উদাহরণ হবে যদি কোন ব্যক্তি মৃত বা জীবিত পীর(ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব) বা দরবেশের কাছে সন্তান দেয়ার বা মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রার্থনা করে; এছাড়া তাবীজ দিতে বলে আর বিশ্বাস স্থাপন করে পীরবাবার তাবীজে সে সুস্থ হবে অথবা মনের কামনা পূরণ হবে। এসকল কাজ দ্বারা আল্লাহ তা’য়ালা রুবুবিয়াতের সাথে পীরবাবা বা বুজুর্গকে শরীক করা হয়। ইহা সুস্পষ্ট শিরক্ যা কিনা একজন মুসলিমকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়।-তিন: যে ব্যক্তি বহু্ইশ্বরবাদকে প্রত্যখান না করে বা বহুইশ্বরবাদী(মুশরীক) কাফির কিনা এমন সন্দেহ পোষণ করে সে কাফির হয়ে যায়। উদাহরণ স্বরূপ যদি কোন ব্যক্তি বলে যে, সে নিশ্চিত নয় একজন খৃষ্টান কাফির কিনা, তাহলে সে নিজেই কাফির হয়ে যায়। কারণ সে ঈসা(আ)-কে আল্লাহ হিসেবে গ্রহণকারী খৃষ্টানদের প্রত্যাখান করে নি।–চার: যে ব্যক্তি মহানবী(সা) এর পরিপূর্ণতা ও দিক নির্দেশনা বা ফয়সালায় অবিশ্বাস করে সে কাফির। এর কারণ হচ্ছে আল্লাহর রাসূল(সা) ও তার ফয়সালা হচ্ছে সীরাতুল মুসতাক্কিমের উপর। আর যারা তাগুতের কাছে যাওয়া বেশি পছন্দ করে তারা সত্য সঠিক পথ হতে বহু দূরে।
0 notes
Text
ঈমান ভঙ্গের কারণ
#বুক_রিভিউ
বই: ঈমান ভঙ্গের কারণ
লেখক: শাইখ সুলায়মান আল উলওয়ান
অনুবাদক: মাসুদ আলিমী
প্রকাশক: সীরাত পাবলিকেশন
মুদ্রিত মূল্য: ১৬৭ টাকা
আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো ঈমান। এই ঈমানের ওপর আজীবন টিকে থাকার বিষয়ে আমাদের হতে হবে সদাসতর্ক, সচেষ্ট ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ঈমান যদি ঠিক না থাকে তবে কোনো আমলই আমাদের কোনো কাজে আসবে না। আর তাই আমাদের জন্য আবশ্যক হলো ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ জানা। এবং সেসব থেকে বেঁচে থেকে ঈমানের ওপর অবিচল থাকা। এর মাধ্যমে জান্নাত নিশ্চিত করা। এসব দিক বিবেচনায় "ঈমান ভঙ্গের কারণ" বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবার জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ। বইয়ের সারসংক্ষেপ নিচে দেয়া হলো।
❏ মৌলিকভাবে ঈমান ভঙ্গের কারণ ১০টি। যথা—
১. ইবাদতে শিরক করা। প্রধানত— নিয়ত, আল্লাহকে আহবান, আনুগত্য ও ভালোবাসার মাঝে শিরক করা। (সূরা নিসা ৪:৪৮)
২. আল্লাহ ও বান্দার মাঝে কাউকে মাধ্যম মানা। তার ওপর আস্থা রাখা। প্রার্থনা করা। (সূরা সাবা ৩৪:২২-২৩)
৩. শিরককারীদের কাফির মনে না করা। অথবা তাদের কুফরির ব্যাপারে সন্দেহ করা। বা তাদের মতবাদকে সঠিক মনে করা। (সূরা মুমতাহিনা ৬০:৪)
৪. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনীত দ্বীন ব্যতীত অন্যকোনো পথ, মত বা আইনকে উত্তম মনে করা। (সূরা নাজম ৫৩:৪, মাইদাহ ৫:৩, নিসা ৪:৬০-৬১)
৫. দ্বীন ইসলামের কোনো বিষয়ে বিদ্বেষ পোষণ করা। যদিও সে তার ওপর আমল করে। (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৮-৯)
৬. দ্বীনের কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করা। যদিও শুধুমাত্র মজা করা উদ্দেশ্য হয়। (সূরা তাওবাহ ৯:৬৫-৬৬)
৭. যাদু করা। যাদুর ওপর সন্তুষ্ট থাকা। যাদুকে পছন্দ করা। কোনো কিছু থেকে ফিরিয়ে রাখা বা সম্পর্ক তৈরির জন্য যাদু করাও এর অন্তর্ভুক্ত। (সূরা বাকারাহ ২:১০২)
৮. মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সহযোগিতা করা। (সূরা মায়েদাহ ৫:৫১)
৯. কাউকে শরীয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা। (সূরা আনআম ৬:১৫৩)
১০. আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া। ইসলামে টিকে থাকার মৌলিক ইলমটুকু না থাকা এবং ইলমে দ্বীন শিক্ষা থেকেও মুখ ফিরিয়ে নেয়া। (সূরা সাজদাহ ৩২:২২, আরাফ ৭:১৭৯)
❏ দুষ্টামি করে, অথবা বাস্তবেই কিংবা সম্পদ ও সম্মানের ভয়ের কারণেই হোক— যদি কারো থেকে ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহের একটিও প্রকাশিত হয়— তবে সে কাফির হয়ে যাবে।
���ুনশ্চ: কারো কুফরি প্রকাশিত হলে নির্দিষ্ট করে তাকে কাফির বলা হবে না— যতক্ষণ না তার ওপর কাফির ফতোয়া দেয়ার মত কোনো দলিল প্রমাণিত হয় এবং কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে। আর প্রাথমিক অবস্থায় এভাবে বলা হবে, 'যে এমন কথা বলে, সে কাফির'।
0 notes
Photo
ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ:
১। শির্ক করাঃ ২। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে মাধ্যম মানা। ৩। কাফের ও মুশরেকদেরকে কাফের মনে না করা। ৪। আল্লাহদ্রোহীদের হুকুমকে নবী (ﷺ)-এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করা। ৫। নবী (ﷺ) এর আনীত শারঈতের কোন কিছুর প্রতি বিদ্বেষ পোষন করা। ৬। দ্বীন ইসলামের কোন কিছুকে বিদ্রুপ করা। ৭। যাদু শেখা, শেখানো ও এতে বিশ্বাস করা এবং পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টির লক্ষে যে সব ভাঁওতাবাজী করা হয়। ৮। কাফের–মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের সাহায্য করা। ৯। বেশী বেশী আমল করার দরুন বা অন্য কোন কারণে কোন কোন লোকের জন্যে মুহাম্মদী শরীয়াত না মানা বৈধ, এ ধরণের বিশ্বাস পোষণ করা কুফরী। ১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া।
https://www.youtube.com/watch?v=1y5zsxT2e98
১। শির্ক করাঃ মহান আল্লাহর ইবাদতে অন্যকে শরীক করা অর্থাৎ “মহান আল্লাহর পাওনা তার বান্দাকে দেয়া, স্রষ্টা আর সৃষ্টিকে সমান করে দেয়া। আল্লাহ বলেন-
إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ
নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শির্ক করে, তার জন্য আল্লাহ অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার বাসস্থান হল জাহান্নাম আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই। (আল-মায়িদাহ, ৫/৭২)
২। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে মাধ্যম মানা
। অর্থাৎ মহান আল্লাহকে রাজা বাদশাদের সাথে তুলনা করে তাঁকে পাওয়া জন্য পীর-পুরোহীত, গুরু-ঠাকুর অথবা যোগী-সন্নাসী প্রমুখকে ওয়াসীলা বা মাধ্যম ধরা। কুরআনে বাণী-
وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لا يَضُرُّهُمْ وَلا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَؤُلاءِ شُفَعَاؤُنَا عِنْدَ اللَّهِ
আর তারা আল্লাহর ছাড়া এমন কিছুর ইবাদত করে যা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারে না আর উপকারও করতে পারে না, আর তারা বলে, ‘এরা আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী’। (ইউনুস, ১০/১৮)
৩। কাফের ও মুশরেকদেরকে কাফের মনে না করা।
অর্থাৎ তাদের সাথে মিতালী করা অথবা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস বা বৈষয়িক কুসংস্কারকে সমর্থন করা। মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّمَا الْمُشْرِكُوْنَ نَجَسٌ
‘নিশ্চয়ই মুশরিকরা অপবিত্র’ (আত-তওবা. ৯/২৮)। মুশরিক সম্প্রদায় অপবিত্র হওয়ার পর কি করে তাদের মতবাদ গ্রহণীয় হ’তে পারে? তিনি আরও বলেন,
أَنَّ اللهَ بَرِيْءٌ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ وَرَسُوْلُهُ
‘আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ) মুশরিকদের থেকে মুক্ত’ (আত-তওবা, ৯/৩)। অর্থাৎ মুশরিকদের ব্যাপারে আল্লাহর কোন দায়দায়িত্ব নেই।
৪। আল্লাহদ্রোহীদের হুকুমকে নবী (ﷺ)-এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করা।
যেমন- কোন কোন লোক মনে করে, এমনকি বলেও থাকে যে, “আরে বাবা! ওসব আইন এ যুগে চলে না।” অথবা “আরে রাখ তোমার হাদিছ! আমাদের পীর সাহেব কম বুঝেন না।” আল্লাহ বলেন-
فَلا وَرَبِّكَ لا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
তোমার রবের কসম! তারা মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে (রাসূলকে) বিচারক হিসেবে মেনে নেয়; অতঃপর তুমি যা ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে তাদের নিজেদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়। (আন-নিসা, ৪/৬৫)
৫। নবী (ﷺ) এর আনীত শারঈতের কোন কিছুর প্রতি বিদ্বেষ পোষন করা।
আল্লাহ বলেন-
ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَرِهُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ
এটা এ জন্য যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তারা তা অপছন্দ করে। সুতরাং আল্লাহ তাদের কর্ম ব্যর্থ করে দিয়েছেন। (মুহাম্মদ, ৪৭/৯)
৬। দ্বীন ইসলামের কোন কিছুকে বিদ্রুপ করা। যেমন- মুসলমানদের দাড়িকে ছাগলের দাড়ির সাথে তুলনা করা, খুনের বদলে খুন বা চোরের হাত কেটে নেওয়াকে বর্বর আইন বলে অবজ্ঞা করা। আল্লাহ বলেন-
قُلْ أَبِاللَّهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ لا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ
তুমি বল, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর আয়াতসমূহের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে বিদ্রূপ করছিলে? তোমরা ওযর পেশ কর না, তোমরা ঈমান আনার পরও অবশ্যই কুফরী করেছ। (আত্-তাওবাহ, ৯/৬৫-৬৬)
৭। যাদু শেখা, শেখানো ও এতে বিশ্বাস করা
এবং পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টির লক্ষে যে সব ভাঁওতাবাজী করা হয়। আল্লাহ বলেন-
وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ
তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; সুতরাং তোমরা কুফরী কর না। (আল- বাক্বারাহ, ২/১০২)
অত্র আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন,
وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ
‘তারা ভালরূপেই জানে যে, যে কেউ যাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই’। (আল- বাক্বারাহ, ২/১০২)
৮। কাফের–মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের সাহায্য করা। আল্লাহ বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু, আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তবে সে তাদেরই দলভুক্ত হবে, নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না। (আল-মায়িদাহ, ৫/৫১)
৯। বেশী বেশী আমল করার দরুন বা অন্য কোন কারণে কোন কোন লোকের জন্যে মুহাম্মদী শরীয়াত না মানা
বৈধ, এ ধরণের বিশ্বাস পোষণ করা কুফরী। অর্থাৎ বুযুগী হাছেল হয়ে গেলে আর ��ামায, রোযার দরকার নেই মনে করা। বা দিল কাবায় নামায আদায় করার আক্বীদা রাখা ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন-
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الإسْلامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
আর যে কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন তালাশ করে কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না আর আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (আলে ‘ইমরান, ৩/৮৫)
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া। অর্থাৎ দ্বীন ইসলামের হালাল-হারাম, পাক-নাপাক, নামায-রোযা, তালীম-তারবিয়াত কোন কিছুর ধার ধারে না এমন ব্যক্তি মুসলমান থাকতে পারে না। আল্লাহ বলেন-
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِّرَ بِآيَاتِ رَبِّهِ ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْهَا ۚ إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِينَ مُنْتَقِمُونَ
যাকে তার রবের আয়াতসমূহের দ্বারা উপদেশ দেয়া হয় অতঃপর সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে বড় যালিম আর কে? নিশ্চয় আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব। (আস-সাজদাহ, ৩২/২২)
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে আপনার দ্বীনের উপর অটল-অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
#ঈমান ভঙ্গের ১০ কারণ#reasons for breaking faith#iman#faith#eman#belief#ঈমান ভঙ্গের প্রধান কারণ শিরক করা#ঈমান ভঙ্গের কারণ#ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ
0 notes
Text
ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ
১ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা,
২ আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারী বানানো,
৩ মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা,
৪ নবি সাল্লালাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের ফয়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা,
৫ মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা,
৬ দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা
৭ জাদু করা,
৮ মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা,
৯ কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা,
১০ দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়াl
https://www.youtube.com/watch?v=nV7UqhTVdHs
0 notes
Photo
ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণঃ
ওযু করার পর কিছু কাজ করলে যেমন ওযু নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনি ঈমান আনার পর কিছু কথা, কাজ ও বিশ্বাস আছে, যা সম্পাদন করলে বা পোষণ করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো মূলত ৩ প্রকার। বিশ্বাসগত, কর্মগত এবং উক্তিগত। আলিমগণ এ ব্যাপারে অনেক বিশদ আলোচনা করেছেন। ইমামুদ দাওয়াহ শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব (রহ.) সেগুলোকে দশটি পয়েন্টে সাজিয়েছেন।
এক. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা
‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না। তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন; এবং যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে এক মহাপাপ করে।’ [সুরা নিসা ৪ : ৪৮] ‘কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৭২]
দুই. আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারী বানানো
‘তারা আল্লাহকে ব্যতীত যার ইবাদাত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী। বল, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।’ [সুরা ইউনুস, ১০ : ১৮]
‘জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাব���রুপে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, ইহারা আমাদের আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।’ তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দিবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ [সুরা যুমার, ৩৯ : ৩]
তিন. মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা
এমন কাফির, যার কুফরির ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ একমত। সেটা আসলি কাফির হতে পারে—যেমন ইহুদি, খৃস্টান ও হিন্দু সম্প্রদায়—আবার মুরতাদ, যিনদিকও হতে পারে, যেমন প্রকাশ্যে আল্লাহ, রাসুল বা দীনের কোনো অকাট্য ব্যাপার নিয়ে কটূক্তিকারী; যাদের কুফরির ব্যাপারে হকপন্থি আলিমগণ একমত।
চার. নবি (সা.)’র ফয়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা
‘আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা দাবি করে যে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে, আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি। তারা বিচার-ফয়সালা নিয়ে যেতে চায় তাগুতের কাছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদের প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।’ [সুরা নি��া, ৪ : ৬০]
পাঁচ. মুহাম্মাদ (সা.) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
‘অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক বলে মনে না করে। এরপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।’ [সুরা নিসা, ৪ : ৬৫]
ছয়. দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা
“তুমি তাদের প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছিলাম।’ বলো, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে বিদ্রুপ করছিলে?’ তোমরা অযুহাত দেয়ার চেষ্টা করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরি করেছ।” [সুরা তাওবা, ৯ : ৬৫-৬৬]
সাত. জাদু করা
‘সুলাইমান কুফরি করেনি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত…।’ [সুরা বাকারা, ২ : ১০২]
আট. মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
‘হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’ [সুরা তাওবা, ৯ : ২৩]
‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খৃস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৫১]
নয়. কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৩]
দশ: দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া
‘যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলি দ্বারা উপদিষ্ট হয়েও তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার অপেক্ষা অধিক অপরাধী আর কে? আমি অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে থাকি।’ [সুরা সাজদা, ৩২ : ২২]
ঈমান ভঙ্গের ১০ কারণ (সংক্ষেপে): 10 Reasons for Breaking Faith (Shorty)
এক. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা,
দুই. আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারীবানানো,
তিন. মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা
চার. নবি (সা.)’র ফয়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা
পাঁচ. মুহাম্মাদ (সা.) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
ছয়. দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা
সাত. জাদু করা
আট. মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
নয়. কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
দশ: দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া
#10 reasons for breaking faith#ঈমান ভঙ্গের ১০ কারণ#ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ#Reasins to breaking iman#Reasons to breaking eman#Reasons to breaking belief#Ways to increase faith#ঈমান বৃদ্ধির উপায়#How faith increase#ঈমান বৃদ্ধির পায় কিভাবে
0 notes
Link
ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণঃ
ওযু করার পর কিছু কাজ করলে যেমন ওযু নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনি ঈমান আনার পর কিছু কথা, কাজ ও বিশ্বাস আছে, যা সম্পাদন করলে বা পোষণ করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো মূলত ৩ প্রকার। বিশ্বাসগত, কর্মগত এবং উক্তিগত। আলিমগণ এ ব্যাপারে অনেক বিশদ আলোচনা করেছেন। ইমামুদ দাওয়াহ শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব (রহ.) সেগুলোকে দশটি পয়েন্টে সাজিয়েছেন।
এক. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা
‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না। তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন; এবং যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে এক মহাপাপ করে।’ [সুরা নিসা ৪ : ৪৮] ‘কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৭২]
দুই. আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারী বানানো
‘তারা আল্লাহকে ব্যতীত যার ইবাদাত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী। বল, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।’ [সুরা ইউনুস, ১০ : ১৮]
‘জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরুপে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, ইহারা আমাদের আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।’ তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দিবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ [সুরা যুমার, ৩৯ : ৩]
তিন. মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা
এমন কাফির, যার কুফরির ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ একমত। সেটা আসলি কাফির হতে পারে—যেমন ইহুদি, খৃস্টান ও হিন্দু সম্প্রদায়—আবার মুরতাদ, যিনদিকও হতে পারে, যেমন প্রকাশ্যে আল্লাহ, রাসুল বা দীনের কোনো অকাট্য ব্যাপার নিয়ে কটূক্তিকারী; যাদের কুফরির ব্যাপারে হকপন্থি আলিমগণ একমত।
চার. নবি (সা.)’র ফয়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা
‘আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা দাবি করে যে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে, আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি। তারা বিচার-ফয়সালা নিয়ে যেতে চায় তাগুতের কাছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদের প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।’ [সুরা নিসা, ৪ : ৬০]
পাঁচ. মুহাম্মাদ (সা.) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
‘অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক বলে মনে না করে। এরপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।’ [সুরা নিসা, ৪ : ৬৫]
ছয়. দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা
“তুমি তাদের প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছিলাম।’ বলো, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে বিদ্রুপ করছিলে?’ তোমরা অযুহাত দেয়ার চেষ্টা করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরি করেছ।” [সুরা তাওবা, ৯ : ৬৫-৬৬]
সাত. জাদু করা
‘সুলাইমান কুফরি করেনি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত…।’ [সুরা বাকারা, ২ : ১০২]
আট. মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
‘হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’ [সুরা তাওবা, ৯ : ২৩]
‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খৃস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৫১]
নয়. কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৩]
দশ: দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া
‘যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলি দ্বারা উপদিষ্ট হয়েও তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার অপেক্ষা অধিক অপরাধী আর কে? আমি অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে থাকি।’ [সুরা সাজদা, ৩২ : ২২]
ঈমান ভঙ্গের ১০ কারণ (সংক্ষেপে): 10 Reasons for Breaking Faith (Shorty)
এক. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা,
দুই. আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারীবানানো,
তিন. মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা
চার. নবি (সা.)’র ফয়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা
পাঁচ. মুহাম্মাদ (সা.) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
ছয়. দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা
সাত. জাদু করা
আট. মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
নয়. কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
দশ: দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া
#10 Reasons for Breaking Faith (Shorty)#বিশ্বাস ভাঙার 10 কারণ (সংক্ষিপ্ত)#ঈমান ভঙ্গের ১০ কারণ (সংক্ষেপে)#10 Reasons for Breaking Faith (Briefly)#ঈমান ভঙ্গের ১০ কারণ#10 reasons for breaking faith#Breaking Eman#Breaking Faith#Breaking Belief#Breaking Iman
0 notes
Link
ঈমান' কী? ঈমান ভঙ্গের কারণ কী কী?
একজন মুসলিম যদি ঈমান নিয়ে মৃত্যু বরণ করতে না পারে, তাহলে সারা জীবনের আমল কোনোই কাজে আসবে না। আসু��, ঈমান ও ঈমান ভঙ্গের কারণসমুহ জেনে নেই।
ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ
ওযু করার পর কিছু কাজ করলে যেমন ওযু নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনি ঈমান আনার পর কিছু কথা, কাজ ও বিশ্বাস আছে, যা সম্পাদন করলে বা পোষণ করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো মূলত ৩ প্রকার। বিশ্বাসগত, কর্মগত এবং উক্তিগত। আলিমগণ এ ব্যাপারে অনেক বিশদ আলোচনা করেছেন। ইমামুদ দাওয়াহ শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব (রহ.) সেগুলোকে দশটি পয়েন্টে সাজিয়েছেন।
এক. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা
‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না। তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন; এবং যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে এক মহাপাপ করে।’ [সুরা নিসা ৪ : ৪৮] ‘কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৭২]
দুই. আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারী বানানো
‘তারা আল্লাহকে ব্যতীত যার ইবাদাত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী। বল, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।’ [সুরা ইউনুস, ১০ : ১৮]
‘জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরুপে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, ইহারা আমাদের আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।’ তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দিবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ [সুরা যুমার, ৩৯ : ৩]
তিন. মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা
এমন কাফির, যার কুফরির ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ একমত। সেটা আসলি কাফির হতে পারে—যেমন ইহুদি, খৃস্টান ও হিন্দু সম্প্রদায়—আবার মুরতাদ, যিনদিকও হতে পারে, যেমন প্রকাশ্যে আল্লাহ, রাসুল বা দীনের কোনো অকাট্য ব্যাপার নিয়ে কটূক্তিকারী; যাদের কুফরির ব্যাপারে হকপন্থি আলিমগণ একমত।
চার. নবি (সা.)’র ফয়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা
‘আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা দাবি করে যে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে, আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি। তারা বিচার-ফয়সালা নিয়ে যেতে চায় তাগুতের কাছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদের প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।’ [সুরা নিসা, ৪ : ৬০]
পাঁচ. মুহাম্মাদ (সা.) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
‘অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক বলে মনে না করে। এরপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।’ [সুরা নিসা, ৪ : ৬৫]
ছয়. দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা
“তুমি তাদের প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছিলাম।’ বলো, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে বিদ্রুপ করছিলে?’ তোমরা অযুহাত দেয়ার চেষ্টা করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরি করেছ।” [সুরা তাওবা, ৯ : ৬৫-৬৬]
সাত. জাদু করা
‘সুলাইমান কুফরি করেনি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত…।’ [সুরা বাকারা, ২ : ১০২]
আট. মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
‘হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’ [সুরা তাওবা, ৯ : ২৩]
‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খৃস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৫১]
নয়. কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৩]
দশ: দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া
‘যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলি দ্বারা উপদিষ্ট হয়েও তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার অপেক্ষা অধিক অপরাধী আর কে? আমি অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে থাকি।’ [সুরা সাজদা, ৩২ : ২২]
#Iman Vonger 10 Karon#ঈমান#ইমান#ঈমানভঙ্গ#ঈমান ভঙ্গের কারণ#দুর্বল ঈমানের লক্ষণ#Iman#Faith#Faith Breaking#ImanVonger10TiKaron#ImanVongerKaron#ঈমান ভঙ্গের কারণ কী কী#ঈমান ভঙ্গের ১০ কারণ (সংক্ষেপে)
0 notes
Text
ঈমান ভঙ্গের কারণ কী কী?
আপনি কি জানেন কি কি কারণে আপনার ��মান ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে? একজন মুসলমান যদি ঈমান নিয়ে মৃত্যু বরণ করতে না পারে, তাহলে সারা জীবনের আমল কোনোই কাজে আসবে না। আসুন, ঈমান ও ঈমান ভঙ্গের কারণসমুহ জেনে নেই।
ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ
ওযু করার পর কিছু কাজ করলে যেমন ওযু নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনি ঈমান আনার পর কিছু কথা, কাজ ও বিশ্বাস আছে, যা সম্পাদন করলে বা পোষণ করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো মূলত ৩ প্রকার। বিশ্বাসগত, কর্মগত এবং উক্তিগত। আলিমগণ এ ব্যাপারে অনেক বিশদ আলোচনা করেছেন। ইমামুদ দাওয়াহ শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব (রহ.) সেগুলোকে দশটি পয়েন্টে সাজিয়েছেন।
এক. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা
‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না। তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন; এবং যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে এক মহাপাপ করে।’ [সুরা নিসা ৪ : ৪৮] ‘কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৭২]
দুই. আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারী বানানো
‘তারা আল্লাহকে ব্যতীত যার ইবাদাত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী। বল, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।’ [সুরা ইউনুস, ১০ : ১৮]
‘জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর���তে অন্যকে অভিভাবকরুপে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, ইহারা আমাদের আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।’ তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দিবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ [সুরা যুমার, ৩৯ : ৩]
তিন. মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা
এমন কাফির, যার কুফরির ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ একমত। সেটা আসলি কাফির হতে পারে—যেমন ইহুদি, খৃস্টান ও হিন্দু সম্প্রদায়—আবার মুরতাদ, যিনদিকও হতে পারে, যেমন প্রকাশ্যে আল্লাহ, রাসুল বা দীনের কোনো অকাট্য ব্যাপার নিয়ে কটূক্তিকারী; যাদের কুফরির ব্যাপারে হকপন্থি আলিমগণ একমত।
চার. নবি (সা.)’র ফয়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা
‘আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা দাবি করে যে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে, আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি। তারা বিচার-ফয়সালা নিয়ে যেতে চায় তাগুতের কাছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদের প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।’ [সুরা নিসা, ৪ : ৬০]
পাঁচ. মুহাম্মাদ (সা.) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
‘অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক বলে মনে না করে। এরপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।’ [সুরা নিসা, ৪ : ৬৫]
ছয়. দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা
“তুমি তাদের প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছিলাম।’ বলো, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে বিদ্রুপ করছিলে?’ তোমরা অযুহাত দেয়ার চেষ্টা করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরি করেছ।” [সুরা তাওবা, ৯ : ৬৫-৬৬]
সাত. জাদু করা
‘সুলাইমান কুফরি করেনি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত…।’ [সুরা বাকারা, ২ : ১০২]
আট. মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
‘হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’ [সুরা তাওবা, ৯ : ২৩]
‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খৃস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৫১]
নয়. কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৩]
দশ: দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া
‘যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলি দ্বারা উপদিষ্ট হয়েও তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার অপেক্ষা অধিক অপরাধী আর কে? আমি অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে থাকি।’ [সুরা সাজদা, ৩২ : ২২]
#faith#ঈমান'#ইমান#ঈমান ভঙ্গের কারণ#ঈমানভঙ্গ#দুর্বল ঈমান#Iman#reasons for breaking faith#Belief#Emaan#Breaking Iman#faith breaking
0 notes
Photo
ঈমান কাকে বলে? উত্তরঃ ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের উসূল ৩ টি। ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর। উত্তরঃ ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ��বাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ��মান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
0 notes
Photo
ঈমান কাকে বলে?
উত্তরঃ ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ
ঈমানের উসূল ৩ টি।
১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর।
উত্তরঃ ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ��ে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
ঈমান/ ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?
উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্কাম):
9 conditions of faith
1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
#Faith and believer#ঈমান#ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ#Commandments of faith#ঈমানের রুকন#Iman Islam Ihsan#ঈমান ইসলাম ইহসান#Conditions of Faith (Ahkam)#ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ#ঈমান কাকে বলে
0 notes
Link
ঈমান কাকে বলে?
উত্তরঃ
ঈমানের ��াধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ
ঈমানের উসূল ৩ টি।
১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ ���বী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর।
উত্তরঃ
ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি।
১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ
ঈমানের আহকাম ৯ টি।
১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
ঈমান/ ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি? উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্কাম):
9 conditions of faith
1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
#Conditions of Faith#ঈমান বৃদ্ধি হওয়ার উপায়#principles of faith#ঈমানের উসূল#ঈমানের আহ্কাম:#ঈমানের শর্ত#Faith#Usule Salasa#ঈমানের তিনটি মৌলিক নীতিমালা#The three basic principles of faith
0 notes
Photo
ঈমান কাকে বলে? উত্তরঃ ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের উসূল ৩ টি। ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর। উত্তরঃ ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
ঈমান ও ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?
উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্কাম):
9 conditions of faith
1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
0 notes
Photo
ঈমান কাকে বলে? উত্তরঃ ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকা�� বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের উসূল ৩ টি। ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর। উত্তরঃ ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
ঈমান ও ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?
উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্কাম):
9 conditions of faith
1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
0 notes
Link
ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ
ওযু করার পর কিছু কাজ করলে যেমন ওযু নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনি ঈমান আনার পর কিছু কথা, কাজ ও বিশ্বাস আছে, যা সম্পাদন করলে বা পোষণ করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো মূলত ৩ প্রকার। বিশ্বাসগত, কর্মগত এবং উক্তিগত। আলিমগণ এ ব্যাপারে অনেক বিশদ আলোচনা করেছেন। ইমামুদ দাওয়াহ শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব (রহ.) সেগুলোকে দশটি পয়েন্টে সাজিয়েছেন।
এক. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা
‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না। তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন; এবং যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে এক মহাপাপ করে।’ [সুরা নিসা ৪ : ৪৮] ‘কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৭২]
দুই. আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারী বানানো
‘তারা আল্লাহকে ব্যতীত যার ইবাদাত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী। বল, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।’ [সুরা ইউনুস, ১০ : ১৮]
‘জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরুপে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, ইহারা আমাদের আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।’ তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দিবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ [সুরা যুমার, ৩৯ : ৩]
তিন. মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা
এমন কাফির, যার কুফরির ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ একমত। সেটা আসলি কাফির হতে পারে—যেমন ইহুদি, খৃস্টান ও হিন্দু সম্প্রদায়—আবার মুরতাদ, যিনদিকও হতে পারে, যেমন প্রকাশ্যে আল্লাহ, রাসুল বা দীনের কোনো অকাট্য ব্যাপার নিয়ে কটূক্তিকারী; যাদের কুফরির ব্যাপারে হকপন্থি আলিমগণ একমত।
চার. নবি (সা.)’র ফয়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা
‘আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা দাবি করে যে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে, আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি। তারা বিচার-ফয়সালা নিয়ে যেতে চায় তাগুতের কাছে, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদের প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।’ [সুরা নিসা, ৪ : ৬০]
পাঁচ. মুহাম্মাদ (সা.) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা
‘অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক বলে মনে না করে। এরপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।’ [সুরা নিসা, ৪ : ৬৫]
ছয়. দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা
“তুমি তাদের প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছিলাম।’ বলো, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসুলকে বিদ্রুপ করছিলে?’ তোমরা অযুহাত দেয়ার চেষ্টা করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরি করেছ।” [সুরা তাওবা, ৯ : ৬৫-৬৬]
সাত. জাদু করা
‘সুলাইমান কুফরি করেনি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত…।’ [সুরা বাকারা, ২ : ১০২]
আট. মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা
‘হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’ [সুরা তাওবা, ৯ : ২৩]
‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খৃস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৫১]
নয়. কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ [সুরা মায়িদা, ৫ : ৩]
দশ: দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া
‘যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলি দ্বারা উপদিষ্ট হয়েও তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার অপেক্ষা অধিক অপরাধী আর কে? আমি অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে থাকি।’ [সুরা সাজদা, ৩২ : ২২]
#Preservation of faith#ঈমানের সংরক্ষণ#10 reasons for breaking faith#ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ#reasons for breaking faith#ঈমান ভঙ্গের কারণ#ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো#Reason for breaking faith#iman#Faith#Eman#Belief
0 notes
Link
ঈমান কাকে বলে? উত্তরঃ ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
ঈমানের উসূল বা মুলনীতি কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের উসূল বা মুলনীতি ৩ টি। ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে জানা।
ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর। উত্তরঃ ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
ঈমান/ ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?
উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্কাম):
9 conditions of faith
1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
0 notes