#আশহাদু
Explore tagged Tumblr posts
Text
Declare Shahadah to enter Islam
. "Ashhadu an la ilaha illallah wa ashhadu anna Muhammadan abduhu wa rasuluh" Is. 1) Allah is One and Unique and none is worthy of worship except Allah. 2) Muhammad PBUH is.Allah''s servant and messenger.
youtube
youtube
youtube
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদা�� ঘোষণা করুন
"আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ"। 1) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং আল্লাহ ছাড়া কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়। 2) মুহাম্মদ সা. আল্লাহর বান্দা ও রসূল।
youtube
youtube
youtube
Shahada from holy Qur'an
"Allah Himself bears witness that there is no God but He; and likewise do the angels and the men possessed of knowledge bear witness in truth and justice that there is no God but He, the All-Mighty, the All-Wise.." Al Qur'an,Surah Ale Imran, Ayat 18
youtube
#কোরআন থেকে শাহাদা
"আল্লাহ নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই; এবং একইভাবে ফেরেশতা ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা সত্য ও ন্যায়ের সাথে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী...।" আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮
youtube
youtube
Declare Shahadah to enter Islam
Shahada from holy Qur'an
কোরআন থেকে শাহাদা
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
#shahada#tawheed#DeclarationOfFaith#বিশ্বাসের_ঘোষণা#Shahada#Faith#Profession#Witness#Testimony#evidence#Iman#belief#Kalema#Islam#KalemaShahadat#Ashhadu#FirstPillar#Belief#Imaan#Quran3:18#SurahAleImranAyat18#TheTestimony#Shahadah#IslamicOath#AleImran18#First#Pillar#কালেমা_শাহাদাত#আশহাদু#প্রথমস্তম্ভ
0 notes
Text
Declare Shahadah to enter Islam
. "Ashhadu an la ilaha illallah wa ashhadu anna Muhammadan abduhu wa rasuluh" Is. 1) Allah is One and Unique and none is worthy of worship except Allah. 2) Muhammad PBUH is.Allah''s servant and messenger.
youtube
youtube
youtube
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
"আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ"। 1) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং আল্লাহ ছাড়া কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়। 2) মুহাম্মদ সা. আল্লাহর বান্দা ও রসূল।
youtube
youtube
youtube
Shahada from holy Qur'an
"Allah Himself bears witness that there is no God but He; and likewise do the angels and the men possessed of knowledge bear witness in truth and justice that there is no God but He, the All-Mighty, the All-Wise.." Al Qur'an,Surah Ale Imran, Ayat 18
youtube
#কোরআন থেকে শাহাদা
"আল্লাহ নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই; এবং একইভাবে ফেরেশতা ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা সত্য ও ন্যায়ের সাথে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী...।" আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮
youtube
youtube
Declare Shahadah to enter Islam
Shahada from holy Qur'an
কোরআন থেকে শাহাদা
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
#shahada#DeclarationOfFaith#বিশ্বাসের_ঘোষণা#Shahada#Faith#Profession#Witness#Testimony#evidence#Iman#belief#Kalema#Islam#KalemaShahadat#Ashhadu#FirstPillar#Belief#Imaan#Quran3:18#SurahAleImranAyat18#TheTestimony#Shahadah#IslamicOath#AleImran18#First#Pillar#কালেমা_শাহাদাত#আশহাদু#প্রথমস্তম্ভ#ইমান
0 notes
Text
Declare Shahadah to enter Islam
. "Ashhadu an la ilaha illallah wa ashhadu anna Muhammadan abduhu wa rasuluh" Is. 1) Allah is One and Unique and none is worthy of worship except Allah. 2) Muhammad PBUH is.Allah''s servant and messenger.
youtube
youtube
youtube
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
"আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ"। 1) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং আল্লাহ ছাড়া কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়। 2) মুহাম্মদ সা. আল্লাহর বান্দা ও রসূল।
youtube
youtube
youtube
Shahada from holy Qur'an
"Allah Himself bears witness that there is no God but He; and likewise do the angels and the men possessed of knowledge bear witness in truth and justice that there is no God but He, the All-Mighty, the All-Wise.." Al Qur'an,Surah Ale Imran, Ayat 18
youtube
#কোরআন থেকে শাহাদা
"আল্লাহ নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই; এবং একইভাবে ফেরেশতা ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা সত্য ও ন্যায়ের সাথে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী...।" আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮
youtube
youtube
Declare Shahadah to enter Islam
Shahada from holy Qur'an
কোরআন থেকে শাহাদা
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
#DeclarationOfFaith#বিশ্বাসের_ঘোষণা#Shahada#Faith#Profession#Witness#Testimony#evidence#Iman#belief#Kalema#Islam#KalemaShahadat#Ashhadu#FirstPillar#Belief#Imaan#Quran3:18#SurahAleImranAyat18#TheTestimony#Shahadah#IslamicOath#AleImran18#First#Pillar#কালেমা_শাহাদাত#আশহাদু#প্রথমস্তম্ভ#ইমান#ইসলাম
0 notes
Text
Declare Shahadah to enter Islam
. "Ashhadu an la ilaha illallah wa ashhadu anna Muhammadan abduhu wa rasuluh" Is. 1) Allah is One and Unique and none is worthy of worship except Allah. 2) Muhammad PBUH is.Allah''s servant and messenger.
youtube
youtube
youtube
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
"আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ"। 1) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং আল্লাহ ছাড়া কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়। 2) মুহাম্মদ সা. আল্লাহর বান্দা ও রসূল।
youtube
youtube
youtube
Shahada from holy Qur'an
"Allah Himself bears witness that there is no God but He; and likewise do the angels and the men possessed of knowledge bear witness in truth and justice that there is no God but He, the All-Mighty, the All-Wise.." Al Qur'an,Surah Ale Imran, Ayat 18
youtube
#কোরআন থেকে শাহাদা
"আল্লাহ নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই; এবং একইভাবে ফেরেশতা ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা সত্য ও ন্যায়ের সাথে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী...।" আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮
youtube
youtube
Declare Shahadah to enter Islam
Shahada from holy Qur'an
কোরআন থেকে শাহাদা
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
#shahada#DeclarationOfFaith#বিশ্বাসের_ঘোষণা#Shahada#Faith#Profession#Witness#Testimony#evidence#Iman#belief#Kalema#Islam#KalemaShahadat#Ashhadu#FirstPillar#Belief#Imaan#Quran3:18#SurahAleImranAyat18#TheTestimony#Shahadah#IslamicOath#AleImran18#First#Pillar#কালেমা_শাহাদাত#আশহাদু#প্রথমস্তম্ভ#ইমান
0 notes
Text
Declare Shahadah to enter Islam
. "Ashhadu an la ilaha illallah wa ashhadu anna Muhammadan abduhu wa rasuluh" Is. 1) Allah is One and Unique and none is worthy of worship except Allah. 2) Muhammad PBUH is.Allah''s servant and messenger.
youtube
youtube
youtube
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
"আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ"। 1) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং আল্লাহ ছাড়া কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়। 2) মুহাম্মদ সা. আল্লাহর বান্দা ও রসূল।
youtube
youtube
youtube
Shahada from holy Qur'an
"Allah Himself bears witness that there is no God but He; and likewise do the angels and the men possessed of knowledge bear witness in truth and justice that there is no God but He, the All-Mighty, the All-Wise.." Al Qur'an,Surah Ale Imran, Ayat 18
youtube
#কোরআন থেকে শাহাদা
"আল্লাহ নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই; এবং একইভাবে ফেরেশতা ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা সত্য ও ন্যায়ের সাথে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী...।" আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮
youtube
youtube
Declare Shahadah to enter Islam
Shahada from holy Qur'an
কোরআন থেকে শাহাদা
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
#DeclarationOfFaith#বিশ্বাসের_ঘোষণা#Shahada#Faith#Profession#Witness#Testimony#evidence#Iman#belief#Kalema#Islam#KalemaShahadat#Ashhadu#FirstPillar#Belief#Imaan#Quran3:18#SurahAleImranAyat18#TheTestimony#Shahadah#IslamicOath#AleImran18#First#Pillar#কালেমা_শাহাদাত#আশহাদু#প্রথমস্তম্ভ#ইমান#ইসলাম
0 notes
Text
Declare Shahadah to enter Islam
. "Ashhadu an la ilaha illallah wa ashhadu anna Muhammadan abduhu wa rasuluh" Is. 1) Allah is One and Unique and none is worthy of worship except Allah. 2) Muhammad PBUH is.Allah''s servant and messenger.
youtube
youtube
youtube
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
"আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ"। 1) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং আল্লাহ ছাড়া কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়। 2) মুহাম্মদ সা. আল্লাহর বান্দা ও রসূল।
youtube
youtube
youtube
Shahada from holy Qur'an
"Allah Himself bears witness that there is no God but He; and likewise do the angels and the men possessed of knowledge bear witness in truth and justice that there is no God but He, the All-Mighty, the All-Wise.." Al Qur'an,Surah Ale Imran, Ayat 18
youtube
#কোরআন থেকে শাহাদা
"আল্লাহ নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই; এবং একইভাবে ফেরেশতা ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা সত্য ও ন্যায়ের সাথে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী...।" আল কুরআন, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮
youtube
youtube
Declare Shahadah to enter Islam
Shahada from holy Qur'an
Shahada from holy Qur'an
কোরআন থেকে শাহাদা
ইসলামে প্রবেশের জন্য শাহাদাহ ঘোষণা করুন
#shahada#DeclarationOfFaith#বিশ্বাসের_ঘোষণা#Shahada#Faith#Profession#Witness#Testimony#evidence#Iman#belief#Kalema#Islam#KalemaShahadat#Ashhadu#FirstPillar#Belief#Imaan#Quran3:18#SurahAleImranAyat18#TheTestimony#Shahadah#IslamicOath#AleImran18#First#Pillar#কালেমা_শাহাদাত#আশহাদু#প্রথমস্তম্ভ#ইমান
0 notes
Text
#তবে তুমুল প্রতিবাদ হোক,
#হোক চরম প্রতিরোধ !
যখন বাক-স্বাধীনতার মোড়কে
তোমরা আমার সমস্ত অবিনাশী অভিজাত্যে পরাতে চাও অপযশ আর মিথ্যাচারের লাঞ্ছনা ।
তখন প্রতিবাদই একমাত্র পথ ।
হৃদয়ের সবচেয়ে ঝলমলে শুদ্ধ অথচ-
স্পর্শকাতর ধমনীতে ছুড়ে দাও আক্রোশ ! তবে জেনো,
আমিও শানিত শেলের স্বরে
গর্জে উঠতে জানি ।
আমারও দুহাত জানে শেকল ভাঙ্গার ক্ষিপ্রতা । জানি প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ !
তুমি জানো আমার কি ত্যাগ ?
কতোটুকু কুরবানী ?
কি দিয়েছিলাম ?
মনে আছে ? কতোখনি দিয়েছিলাম?
আমারও শৌর্যবীর্য এতোটা ঠুনকো নয় যে ক্লেদে ডুবে যাবে সামান্য আঘাতে ।
তবুও পিছুটান লাগে তখন হেরে যাই বারবার তাঁনার অমিয় বানীর আশ্বাসে ।
"এদের জ্ঞান দাও প্রভু এদের ক্ষমা করো"
যেদিন নগ্নপায়ে সমস্ত মহাজগতের ক্লান্তি নিয়ে সমস্ত মহাশুন্যের ভয় আর তৃষ্ণা নিয়ে দাঁড়াবো হাশরের প্রান্তরে ।
জানি কেউ বলবে না আমার কথা
জানি কেউ নেবে না আমার খোঁজ ।
শুধু সেই স্নেহশীল সত্তা শাফায়াত নিয়ে দাঁড়াবে, আমার শাফায়াতে !
শুধু সেই স্নেহশীল সত্তা আমার তৃষ্ণা মেটাতে বাড়িয়ে দেবে পেয়ালা কাওসারের !
ইতিহাস সাক্ষি,
তোমরাই এনেছো বারবার অন্ধকার আর দৃষ্টিহীনতার বারতা
তোমরাই হেনেছ আঘাত কোমল অন্তরে,
বারবার শান্তি সমঝোতার নামে অশুভ সময়ের সংঘাত । কি লজ্জাহীনতা তোমাদের !?
নির্বিবাদের পতাকা উড়িয়ে তোমরাই পুষে রাখো ত্রাসের আগুন !
অতঃপর চেয়ে থাক নির্বিকার ।
এরপরেও চোখ মেলে দেখো,
আমরা হেরে যাইনি একবারও ।
তোমাদের আকাশে যেখানে বিদ্রুপের অট্ট��াসি বেজে ওঠে শহর, হয়তো-
সেই শহরের বাতাসেই কখনো ধ্বনিত হবে আমার নাম ! হয়তো-
সেই শহরের আলোতেই মুখরিত হবে সেই অমিয় আহ্বান !
اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله
আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ...
اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ...
0 notes
Photo
যে আমলকারীর জন্য জান্নাতের ৮ দরজাই খোলা
# ##জান্নাতের৮দরজাখোলা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণায় এমন একটি ছোট আমল রয়েছে। যে আমলটি করলে আল্লাহ তাআলা আমলকারীর জন্য জান্নাতের ৮টি দরজাই সব সময় খোলা রাখবেন। হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করছেন-ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি (ঈমানের সঙ্গে) পূর্ণাঙ্গভাবে ওজু করে এবং তারপর বলে-: ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।তার (ওই ব্যক্তির) জন্য জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেয়া হবে। (সে) যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা, প্রবেশ করতে পারবে। (মুসলিম, তিরমিজি)
https://www.youtube.com/watch?v=LoNFYNnktzQ
#KalemaShahadat#যে আমলকারীর জন্য জান্নাতের ৮ দরজাই খোলা#Shahada#কালেমা শাহাদাত#জান্নাতের সকল দরজা খোলার আমল#আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ#শাহাদা
0 notes
Text
কি অদ্ভুত একটা জাতি। কোথায় আফ্রিকা, কোথায় আমেরিকা, কোথায় ইউরোপ, কোথায় প্রাচ্য, কোথায় পাশ্চাত্য। কোথায় বাংলাদেশের ছোট্ট মফঃস্বলের ছোট্ট একটা গ্রামের ছোট্ট এক জনপদ। কোথায় সোমালিয়ার মরুভূমির মধ্যে হতদরিদ্র কুটীরে এক অশীতিপর বৃদ্ধ। সব কিছু যেন মিলে যায় শুধু একটা শব্দের কাছে - উম্মাহ! সেই উম্মাহ নামক গভীর শিকড়ের বন্ধনে নিউজিল্যান্ডে কোন বোনকে আঘাত করলে এই ভারতে বসে আমার বুকে লাগে, আবার কাশ্মীরে কোন ভাইয়ের উপর অন্যায় অত্যাচার হলে আফ্রিকার যুবকের বুকে আগুন ছুটে যায়। কি অদ্ভুত এই টান, ভেবে ভেবে অবাক হয়ে যেতে হয় কি ভয়ানক গভীর এই ভালোবাসার বন্ধন।
মাসজিদের বাইরে কোন পর্দানসীন বোনকে তার ছোট্ট বাচ্চাকে নিয়ে ভিক্ষা করতে দেখলে বুকটা ফেটে যায় আবার ঋণগ্রস্ত ভাইকে সাহায্য করার জন্য কোথায় না কোথায় ছুটে যাচ্ছেন এক যুবক আলেম। আমাদের একটাই মত, একটাই পথ, একটাই মিল, একটাই সুতো - লা ইলাহা ইল্লালাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। আমাদের সভ্যতা এক, ইতিহাস এক, কালেমা এক, কুরআন এক৷ আমি ইসলামের যে ইতিহাস পড়ে অতীতের গলিতে হারিয়ে গিয়েছি, নবীজির যে ঘটনা পড়ে অশ্রুসিক্ত হয়েছে হৃদয় - আমার আফ্রিকান ভাইও সেই একই ইতিহাসের সাক্ষী। আমাদের বদরের যুদ্ধ এক, আমাদের উহুদের যুদ্ধ এক, আমাদের মক্কা বিজয় এক, আমাদের সাহাবা এক, আমাদের উমর (রাঃ) এক, উসমান (রাঃ) এক, আবু বকর (রাঃ) এক, আমাদের শত্রুরাও এক। তার আর আমার ভাষা, সংস্কৃতি, জাতীয়তা, পতাকা সবকিছু আলাদা হলেও আমরা পরস্পরের ইতিহাস জানি। কারন আমাদের ইতিহাস, ভুগোল, বিজ্ঞান সব তো একটাই - ইসলাম।
ভাবতে কি অবাক লাগে জানেন, একদম অপরিচিত ভাইকেও শুধু দাড়ি আর লেবাস দেখে যখন মুখ থেকে জান্নাতি দু'আ বেরিয়ে যায় - আস সালামু আলাইকুম। সেও এক কদম এগিয়ে বলে - ওলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। এই অনাবিল, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, নিজেদের অনায়াসে একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত করার ক্ষমতা ইসলাম বাদে আর কোন মতবাদ, ধর্ম, ইজম, পার্টি, ফেডেরাল, রাষ্ট্রের আছে?
আর একটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর - রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ১৪০০ বছর আগে ভাতৃত্বের যে বন্ধনে তিনি আবদ্ধ করেছিলেন উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম - তার বাস্তবায়ন এটাই। তার বাস্তবায়ন যে পৃথিবীর প্রতিটা কোণায় কোন না কোন সময়ে একই ভাষায়, একই আবেগে আজানের সময় উচ্চারিত হচ্ছে - আশহাদু আন্না মুহামাদ্দুর রাসূলুল্লাহ...
ভালোবাসার বহু স্তর। বহু রঙ। বহু বৈচিত্র্য। আমাদের ভালোবাসার স্তর, রঙ, বৈচিত্র্য একটাই - ইসলাম। ইসলাম আছে বলে আমরা আছি। ইসলাম ছাড়া আমরা ভেঙে চুরচুর হয়ে যেতাম।
1 note
·
View note
Text
যে দোয়া পড়লে জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হয়
যে দোয়া পড়লে জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হয়
অজু হল ইসলামের বিধান অনুসারে দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। মুসলমানদের নামাজের পূর্বে অজু করে নেয়া বাধ্যতামূলক। কুরআনে আছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।’ (সূরা বাকারা, আয়াত:২২২)। অজু শেষে কালেমা শাহাদাত বলা মুস্তাহাব। অর্থাৎ ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান…
View On WordPress
0 notes
Text
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর দাসত্বেই রয়েছে বান্দার প্রকৃত মযার্দা
আমরা আল্লাহর বান্দা। এটি সবার জানা। কিন্তু বান্দা শব্দটির সম্পর্কে কি আমরা কখনো চিন্তা-ভাবনা করেছি, যে এই শব্দটির মর্মার্থ কি? এর দ্বারা কি বুঝায়? বান্দা ফারসী শব্দ যার আরবী হচ্ছে ‘আব্দ’ অর্থাৎ দাস। তাই আমরা সকলে ইবাদুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা সকল। বান্দা বা দাসের কাজ হচ্ছে তার মালিকের দাসত্ব করা, গোলামী করা। মালিকের নিকট সেই দাসই সর্ব্বোৎকৃষ্ট, যে তার মালিকের সত্যিকারার্থে দাসত্ব করে, গোলামী করে। কিন্তু তাঁর অনেক বান্দা এমনও আছে যারা আল্লাহর দাসত্ব করে না, করতেও চায়না । দাসত্ব করা যে বান্দাদের কর্তব্য তা বিশ্বাস করে না।
অথচ পৃথিবীতে সে লোকটি যখন কোন অর্থশালী মানুষের নিকট কিংবা কোন কম্পানীতে কাজ করে, তখন সে তাকে মালিক মনে করে, তাকে বিশ্বাস করে, তার আদেশ-নিষেধ শোনে ও মানে । এর কারণ স্বরূপ সে বলে বা মনে করে যে, তার এই মলিক তাকে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়, তাই সে তার কাজ করে। মনে রাখা দরকার, এই মালিক তখন বিনিময় দেয় যখন সে তার কাজ করে দেয় কিন্তু মহান আল্লাহ তো তার সকল বান্দাদের অনেক কিছু এমনিই দিয়ে থাকেন। সারা দিন সূর্যের আলো কে দেয়? বাতাস কে দেয়? অক্সিজেন কে দেয়? রুযী কে দেন? এ সবের কি তিনি কোন বিনিময় নেন ? কোন শর্তও কি আরোপ করেন? তা সত্যেও যদি কোন বান্দা মহান আল্লাহর দাসত্ব না করে, তাহলে সে অবশ্যই একজন অহংকারী এবং অত্যাচারী বান্দা।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে আল্লাহর দাস বলাকে মর্যাদার বিষয় মনে করতেন:
জগতের শ্রেষ্ঠ আব্দ বা বান্দা হলেন শেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি আল্লাহর দাসত্ব স্বীকারে কতখানি খাঁটি ছিলেন এবং নিজেকে আল্লাহর দাস বলতে তাঁকে কত পছন্দ করতেন তাঁর স্বীকারোক্তি নিম্নে দেখা যেতে পারে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না যেমন খৃষ্টানেরা মারিয়াম পুত্রের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি তো কেবল তাঁর আব্দ (দাস) তাই তোমরা আমাকে বল: আল্লাহর দাস এবং তাঁর রাসূল।” [ ব���খারী, অধ্যায়, আম্বিয়া, অনুচ্ছেদ নং ৪৮, হাদীস নং ৩৪৪৫]
অনুরূপ অনেক দুয়া’তে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেকে আল্লাহর বান্দা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন অযুর দুয়া’য় উল্লেখ হয়েছে:“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মাবূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল।” [ মুসলিম, অধ্যায়, পবিত্রতা অর্জন, অনুচ্ছেদ, ওযু শেষে মুস্তাহাব যিকর]
প্রতি নামাযের তাশাহহুদেও তাই বলা হয়েছে, “আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আবদুহু ওয়া রাসূলুহু”।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। [বুখারী, নং৮৩১]
আল্লাহর দাসত্বের স্বাদ:
অন্য দিকে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর দাসত্ব তথা বন্দেগী কত নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন এবং তা পালন করতে তাঁকে কত মজা লাগতো, তা নিম্নের হাদীস দ্বারা উপলব্ধি করা যেতে পারে। আয়েশা (রাযি:) হতে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে কিয়াম করতেন (দীর্ঘক্ষণ ধরে নামায পড়তেন) যার কারণে তাঁর দুই পা ফুলে যেত। আয়েশা (রাযিঃ) নবীজীকে বললেন: আল্লাহর রাসূল, আপনি কেন এরূপ কেন করছেন? আল্লাহ তো আপনার আগের ও পরের গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন? নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন: “আমি তাঁর কৃতজ্ঞ প্রকাশকারী বান্দা হতে পছন্দ করবো না কি?” [বুখারী, অধ্যায়, তফসীর, নং ৪৮৩৭]
আল্লাহর ইবাদত বা দাসত্ব করা বিরাট মর্যাদার বিষয়:
মহান আল্লাহ সারা জগতের সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টিকুলের মধ্যে ফেরেশতাগণ তাঁর সম্মানীত সৃষ্টি। তিনি তাদেরকে নূর বা জ্যোতি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের ‘আব্দ’ বা দাস বলেছেন। আল্লাহ বলেন: তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা, তারা আল্লাহর আগে বেড়ে কথা বলে না; তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে। [আম্বিয়া/২৬-২৭]
মহান আল্লাহ যাদের স্বয়ং প্রশংসা করেন, যাদের সম্মানিত বান্দা বলেন, যারা সরাসরি আল্লাহর আদেশ পান, আর তাদের যদি আল্লাহ তাআ’লা বান্দা বলে সম্বোধন করেন, তাহলে মানবকুলের জন্য সেই সম্বোধন বা সেই উপাধি সম্মানের পাত্র নয় কি?
আল্লাহর ‘আব্দ’ আখ্যা পাওয়া যে কত মর্যাদার বিষয় আমরা তা তাঁর শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবীর সেই ঘটনার মাধ্যমে অবগত হতে পারি। যেই ঘটনাটি ছিল নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য বিরাট সম্মানের ঘটনা। যেখানে আ��্লাহ স্বয়ং তাঁর প্রিয় নবীকে নিজের কাছে ডেকে নেন। জান্নাত ও জা��ান্নাম দেখান। পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রদান করেন ইত্যাদি। সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আল্লাহ তাআ’লা তাঁকে আব্দ বা বান্দা বলে সম্বোধন করেন। আল্লাহ তাআ’লা বলেন: “পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে [রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে] রাতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসায়, (বায়তুল মাকদিস) যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্যে; তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” [ ইসরা/১]
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “আল্লাহর নিকট তোমাদের নাম সমূহের মধ্যে অধিকতর পছন্দনীয় নাম হচ্ছে, আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রাহমান”। [মুসলিম ২১৩২]
“আমি জিন ও ইনসানকে কেবল এই উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি যে, তারা সকলে কেবল আমার ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমার আহার্য যোগাবে।” [যারিয়াত/৫৬-৫৭]
আল্লাহর দাসত্ব
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর বান্দা হতে হয় কিভাবে?
#আল্লাহরবান্দা#আল্লাহরদাসত্ব#Allah'sServitude#How To Be a Servant of Allah#Servant of Allah#Slave of Allah#Allah's servant#Allah's servitude
0 notes
Text
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর দাসত্বেই রয়েছে বান্দার প্রকৃত মযার্দা
আমরা আল্লাহর বান্দা। এটি সবার জানা। কিন্তু বান্দা শব্দটির সম্পর্কে কি আমরা কখনো চিন্তা-ভাবনা করেছি, যে এই শব্দটির মর্মার্থ কি? এর দ্বারা কি বুঝায়? বান্দা ফারসী শব্দ যার আরবী হচ্ছে ‘আব্দ’ অর্থাৎ দাস। তাই আমরা সকলে ইবাদুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা সকল। বান্দা বা দাসের কাজ হচ্ছে তার মালিকের দাসত্ব করা, গোলামী করা। মালিকের নিকট সেই দাসই সর্ব্বোৎকৃষ্ট, যে তার মালিকের সত্যিকারার্থে দাসত্ব করে, গোলামী করে। কিন্তু তাঁর অনেক বান্দা এমনও আছে যারা আল্লাহর দাসত্ব করে না, করতেও চায়না । দাসত্ব করা যে বান্দাদের কর্তব্য তা বিশ্বাস করে না।
অথচ পৃথিবীতে সে লোকটি যখন কোন অর্থশালী মানুষের নিকট কিংবা কোন কম্পানীতে কাজ করে, তখন সে তাকে মালিক মনে করে, তাকে বিশ্বাস করে, তার আদেশ-নিষেধ শোনে ও মানে । এর কারণ স্বরূপ সে বলে বা মনে করে যে, তার এই মলিক তাকে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়, তাই সে তার কাজ করে। মনে রাখা দরকার, এই মালিক তখন বিনিময় দেয় যখন সে তার কাজ করে দেয় কিন্তু মহান আল্লাহ তো তার সকল বান্দাদের অনেক কিছু এমনিই দিয়ে থাকেন। সারা দিন সূর্যের আলো কে দেয়? বাতাস কে দেয়? অক্সিজেন কে দেয়? রুযী কে দেন? এ সবের কি তিনি কোন বিনিময় নেন ? কোন শর্তও কি আরোপ করেন? তা সত্যেও যদি কোন বান্দা মহান আল্লাহর দাসত্ব না করে, তাহলে সে অবশ্যই একজন অহংকারী এবং অত্যাচারী বান্দা।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে আল্লাহর দাস বলাকে মর্যাদার বিষয় মনে করতেন:
জগতের শ্রেষ্ঠ আব্দ বা বান্দা হলেন শেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি আল্লাহর দাসত্ব স্বীকারে কতখানি খাঁটি ছিলেন এবং নিজেকে আল্লাহর দাস বলতে তাঁকে কত পছন্দ করতেন তাঁর স্বীকারোক্তি নিম্নে দেখা যেতে পারে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না যেমন খৃষ্টানেরা মারিয়াম পুত্রের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি তো কেবল তাঁর আব্দ (দাস) তাই তোমরা আমাকে বল: আল্লাহর দাস এবং তাঁর রাসূল।” [ বুখারী, অধ্যায়, আম্বিয়া, অনুচ্ছেদ নং ৪৮, হাদীস নং ৩৪৪৫]
অনুরূপ অনেক দুয়া’তে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেকে আল্লাহর বান্দা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন অযুর দুয়া’য় উল্লেখ হয়েছে:“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মাবূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল।” [ মুসলিম, অধ্যায়, পবিত্রতা অর্জন, অনুচ্ছেদ, ওযু শেষে মুস্তাহাব যিকর]
প্রতি নামাযের তাশাহহুদেও তাই বলা হয়েছে, “আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না ���ুহাম্মাদান্ আবদুহু ওয়া রাসূলুহু”।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। [বুখারী, নং৮৩১]
আল্লাহর দাসত্বের স্বাদ:
অন্য দিকে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর দাসত্ব তথা বন্দেগী কত নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন এবং তা পালন করতে তাঁকে কত মজা লাগতো, তা নিম্নের হাদীস দ্বারা উপলব্ধি করা যেতে পারে। আয়েশা (রাযি:) হতে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে কিয়াম করতেন (দীর্ঘক্ষণ ধরে নামায পড়তেন) যার কারণে তাঁর দুই পা ফুলে যেত। আয়েশা (রাযিঃ) নবীজীকে বললেন: আল্লাহর রাসূল, আপনি কেন এরূপ কেন করছেন? আল্লাহ তো আপনার আগের ও পরের গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন? নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন: “আমি তাঁর কৃতজ্ঞ প্রকাশকারী বান্দা হতে পছন্দ করবো না কি?” [বুখারী, অধ্যায়, তফসীর, নং ৪৮৩৭]
আল্লাহর ইবাদত বা দাসত্ব করা বিরাট মর্যাদার বিষয়:
মহান আল্লাহ সারা জগতের সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টিকুলের মধ্যে ফেরেশতাগণ তাঁর সম্মানীত সৃষ্টি। তিনি তাদেরকে নূর বা জ্যোতি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের ‘আব্দ’ বা দাস বলেছেন। আল্লাহ বলেন: তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা, তারা আল্লাহর আগে বেড়ে কথা বলে না; তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে। [আম্বিয়া/২৬-২৭]
মহান আল্লাহ যাদের স্বয়ং প্রশংসা করেন, যাদের সম্মানিত বান্দা বলেন, যারা সরাসরি আল্লাহর আদেশ পান, আর তাদের যদি আল্লাহ তাআ’লা বান্দা বলে সম্বোধন করেন, তাহলে মানবকুলের জন্য সেই সম্বোধন বা সেই উপাধি সম্মানের পাত্র নয় কি?
আল্লাহর ‘আব্দ’ আখ্যা পাওয়া যে কত মর্যাদার বিষয় আমরা তা তাঁর শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবীর সেই ঘটনার মাধ্যমে অবগত হতে পারি। যেই ঘটনাটি ছিল নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য বিরাট সম্মানের ঘটনা। যেখানে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর প্রিয় নবীকে নিজের কাছে ডেকে নেন। জান্নাত ও জাহান্নাম দেখান। পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রদান করেন ইত্যাদি। সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আল্লাহ তাআ’লা তাঁকে আব্দ বা বান্দা বলে সম্বোধন করেন। আল্লাহ তাআ’লা বলেন: “পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে [রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে] রাতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসায়, (বায়তুল মাকদিস) যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্যে; তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” [ ইসরা/১]
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “আল্লাহর নিকট তোমাদের নাম সমূহের মধ্যে অধিকতর পছন্দনীয় নাম হচ্ছে, আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রাহমান”। [মুসলিম ২১৩২]
“আমি জিন ও ইনসানকে কেবল এই উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি যে, তারা সকলে কেবল আমার ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমার আহার্য যোগাবে।” [যারিয়াত/৫৬-৫৭]
আল্লাহর দাসত্ব
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর বান্দা হতে হয় কিভাবে?
#আল্লাহরবান্দা#আল্লাহরদাসত্ব#Allah'sServitude#How To Be a Servant of Allah#Servant of Allah#Slave of Allah#Allah's servant#Allah's servitude
0 notes
Text
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর দাসত্বেই রয়েছে বান্দার প্রকৃত মযার্দা
আমরা আল্লাহর বান্দা। এটি সবার জানা। কিন্তু বান্দা শব্দটির সম্পর্কে কি আমরা কখনো চিন্তা-ভাবনা করেছি, যে এই শব্দটির মর্মার্থ কি? এর দ্বারা কি বুঝায়? বান্দা ফারসী শব্দ যার আরবী হচ্ছে ‘আব্দ’ অর্থাৎ দাস। তাই আমরা সকলে ইবাদুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা সকল। বান্দা বা দাসের কাজ হচ্ছে তার মালিকের দাসত্ব করা, গোলামী করা। মালিকের নিকট সেই দাসই সর্ব্বোৎকৃষ্ট, যে তার মালিকের সত্যিকারার্থে দাসত্ব করে, গোলামী করে। কিন্তু তাঁর অনেক বান্দা এমনও আছে যারা আল্লাহর দাসত্ব করে না, করতেও চায়না । দাসত্ব করা যে বান্দাদের কর্তব্য তা বিশ্বাস করে না।
অথচ পৃথিবীতে সে লোকটি যখন কোন অর্থশালী মানুষের নিকট কিংবা কোন কম্পানীতে কাজ করে, তখন সে তাকে মালিক মনে করে, তাকে বিশ্বাস করে, তার আদেশ-নিষেধ শোনে ও মানে । এর কারণ স্বরূপ সে বলে বা মনে করে যে, তার এই মলিক তাকে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়, তাই সে তার কাজ করে। মনে রাখা দরকার, এই মালিক তখন বিনিময় দেয় যখন সে তার কাজ করে দেয় কিন্তু মহান আল্লাহ তো তার সকল বান্দাদের অনেক কিছু এমনিই দিয়ে থাকেন। সারা দিন সূর্যের আলো কে দেয়? বাতাস কে দেয়? অক্সিজেন কে দেয়? রুযী কে দেন? এ সবের কি তিনি কোন বিনিময় নেন ? কোন শর্তও কি আরোপ করেন? তা সত্যেও যদি কোন বান্দা মহান আল্লাহর দাসত্ব না করে, তাহলে সে অবশ্যই একজন অহংকারী এবং অত্যাচারী বান্দা।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে আল্লাহর দাস বলাকে মর্যাদার বিষয় মনে করতেন:
জগতের শ্রেষ্ঠ আব্দ বা বান্দা হলেন শেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি আল্লাহর দাসত্ব স্বীকারে কতখানি খাঁটি ছিলেন এবং নিজেকে আল্লাহর দাস বলতে তাঁকে কত পছন্দ করতেন তাঁর স্বীকারোক্তি নিম্নে দেখা যেতে পারে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না যেমন খৃষ্টানেরা মারিয়াম পুত্রের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি তো কেবল তাঁর আব্দ (দাস) তাই তোমরা আমাকে বল: আল্লাহর দাস এবং তাঁর রাসূল।” [ বুখারী, অধ্যায়, আম্বিয়া, অনুচ্ছেদ নং ৪৮, হাদীস নং ৩৪৪৫]
অনুরূপ অনেক দুয়া’তে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেকে আল্লাহর বান্দা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন অযুর দুয়া’য় উল্লেখ হয়েছে:“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মাবূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল।” [ মুসলিম, অধ্যায়, পবিত্রতা অর্জন, অনুচ্ছেদ, ওযু শেষে মুস্তাহাব যিকর]
প্রতি নামাযের তাশাহহুদেও তাই বলা হয়েছে, “আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আবদুহু ওয়া রাসূলুহু”।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। [বুখারী, নং৮৩১]
আল্লাহর দাসত্বের স্বাদ:
অন্য দিকে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর দাসত্ব তথা বন্দেগী কত নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন এবং তা পালন করতে তাঁকে কত মজা লাগতো, তা নিম্নের হাদীস দ্বারা উপলব্ধি করা যেতে পারে। আয়েশা (রাযি:) হতে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে কিয়াম করতেন (দীর্ঘক্ষণ ধরে নামায পড়তেন) যার কারণে তাঁর দুই পা ফুলে যেত। আয়েশা (রাযিঃ) নবীজীকে বললেন: আল্লাহর রাসূল, আপনি কেন এরূপ কেন করছেন? আল্লাহ তো আপনার আগের ও পরের গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন? নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন: “আমি তাঁর কৃতজ্ঞ প্রকাশকারী বান্দা হতে পছন্দ করবো না কি?” [বুখারী, অধ্যায়, তফসীর, নং ৪৮৩৭]
আল্লাহর ইবাদত বা দাসত্ব করা বিরাট মর্যাদার বিষয়:
মহান আল্লাহ সারা জগতের সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টিকুলের মধ্যে ফেরেশতাগণ তাঁর সম্মানীত সৃষ্টি। তিনি তাদেরকে নূর বা জ্যোতি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের ‘আব্দ’ বা দাস বলেছেন। আল্লাহ বলেন: তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা, তারা আল্লাহর আগে বেড়ে কথা বলে না; তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে। [আম্বিয়া/২৬-২৭]
মহান আল্লাহ যাদের স্বয়ং প্রশংসা করেন, যাদের সম্মানিত বান্দা বলেন, যারা সরাসরি আল্লাহর আদেশ পান, আর তাদের যদি আল্লাহ তাআ’লা বান্দা বলে সম্বোধন করেন, তাহলে মানবকুলের জন্য সেই সম্বোধন বা সেই উপাধি সম্মানের পাত্র নয় কি?
আল্লাহর ‘আব্দ’ আখ্যা পাওয়া যে কত মর্যাদার বিষয় আমরা তা তাঁর শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবীর সেই ঘটনার মাধ্যমে অবগত হতে পারি। যেই ঘটনাটি ছিল নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য বিরাট সম্মানের ঘটনা। যেখানে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর প্রিয় নবীকে নিজের কাছে ডেকে নেন। জান্নাত ও জাহান্নাম দেখান। পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রদান করেন ইত্যাদি। সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আল্লাহ তাআ’লা তাঁকে আব্দ বা বান্দা বলে সম্বোধন করেন। আল্লাহ তাআ’লা বলেন: “পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে [রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে] রাতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসায়, (বায়তুল মাকদিস) যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্যে; তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” [ ইসরা/১]
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “আল্লাহর নিকট তোমাদের নাম সমূহের মধ্যে অধিকতর পছন্দনীয় নাম হচ্ছে, আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রাহমান”। [মুসলিম ২১৩২]
“আমি জিন ও ইনসানকে কেবল এই উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি যে, তারা সকলে কেবল আমার ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমার আহার্য যোগাবে।” [যারিয়াত/৫৬-৫৭]
আল্লাহর দাসত্ব
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর বান্দা হতে হয় কিভাবে?
#আল্লাহরবান্দা#আল্লাহরদাসত্ব#Allah'sServitude#How To Be a Servant of Allah#Servant of Allah#Slave of Allah#Allah's servant#Allah's servitude
0 notes
Text
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর দাসত্বেই রয়েছে বান্দার প্রকৃত মযার্দা
আমরা আল্লাহর বান্দা। এটি সবার জানা। কিন্তু বান্দা শব্দটির সম্পর্কে কি আমরা কখনো চিন্তা-ভাবনা করেছি, যে এই শব্দটির মর্মার্থ কি? এর দ্বারা কি বুঝায়? বান্দা ফারসী শব্দ যার আরবী হচ্ছে ‘আব্দ’ অর্থাৎ দাস। তাই আমরা সকলে ইবাদুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা সকল। বান্দা বা দাসের কাজ হচ্ছে তার মালিকের দাসত্ব করা, গোলামী করা। মালিকের নিকট সেই দাসই সর্ব্বোৎকৃষ্ট, যে তার মালিকের সত্যিকারার্থে দাসত্ব করে, গোলামী করে। কিন্তু তাঁর অনেক বান্দা এমনও আছে যারা আল্লাহর দাসত্ব করে না, করতেও চায়না । দাসত্ব করা যে বান্দাদের কর্তব্য তা বিশ্বাস করে না।
অথচ পৃথিবীতে সে লোকটি যখন কোন অর্থশালী মানুষের নিকট কিংবা কোন কম্পানীতে কাজ করে, তখন সে তাকে মালিক মনে করে, তাকে বিশ্বাস করে, তার আদেশ-নিষেধ শোনে ও মানে । এর কারণ স্বরূপ সে বলে বা মনে করে যে, তার এই মলিক তাকে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়, তাই সে তার কাজ করে। মনে রাখা দরকার, এই মালিক তখন বিনিময় দেয় যখন সে তার কাজ করে দেয় কিন্তু মহান আল্লাহ তো তার সকল বান্দাদের অনেক কিছু এমনিই দিয়ে থাকেন। সারা দিন সূর্যের আলো কে দেয়? বাতাস কে দেয়? অক্সিজেন কে দেয়? রুযী কে দেন? এ সবের কি তিনি কোন বিনিময় নেন ? কোন শর্তও কি আরোপ করেন? তা সত্যেও যদি কোন বান্দা মহান আল্লাহর দাসত্ব না করে, তাহলে সে অবশ্যই একজন অহংকারী এবং অত্যাচারী বান্দা।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে আল্লাহর দাস বলাকে মর্যাদার বিষয় মনে করতেন:
জগতের শ্রেষ্ঠ আব্দ বা বান্দা হলেন শেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি আল্লাহর দাসত্ব স্বীকারে কতখানি খাঁটি ছিলেন এবং নিজেকে আল্লাহর দাস বলতে তাঁকে কত পছন্দ করতেন তাঁর স্বীকারোক্তি নিম্নে দেখা যেতে পারে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না যেমন খৃষ্টানেরা মারিয়াম পুত্রের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি তো কেবল তাঁর আব্দ (দাস) তাই তোমরা আমাকে বল: আল্লাহর দাস এবং তাঁর রাসূল।” [ বুখারী, অধ্যায়, আম্বিয়া, অনুচ্ছেদ নং ৪৮, হাদীস নং ৩৪৪৫]
অনুরূপ অনেক দুয়া’তে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেকে আল্লাহর বান্দা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন অযুর দুয়া’য় উল্লেখ হয়েছে:“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মাবূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল।” [ মুসলিম, অধ্যায়, পবিত্রতা অর্জন, অনুচ্ছেদ, ওযু শেষে মুস্তাহাব যিকর]
প্রতি নামাযের তাশাহহুদেও তাই বলা হয়েছে, “আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আবদুহু ওয়া রাসূলুহু”।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। [বুখারী, নং৮৩১]
আল্লাহর দাসত্বের স্বাদ:
অন্য দিকে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর দাসত্ব তথা বন্দেগী কত নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন এবং তা পালন করতে তাঁকে কত মজা লাগতো, তা নিম্নের হাদীস দ্বারা উপলব্ধি করা যেতে পারে। আয়েশা (রাযি:) হতে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে কিয়াম করতেন (দীর্ঘক্ষণ ধরে নামায পড়তেন) যার কারণে তাঁর দুই পা ফুলে যেত। আয়েশা (রাযিঃ) নবীজীকে বললেন: আল্লাহর রাসূল, আপনি কেন এরূপ কেন করছেন? আল্লাহ তো আপনার আগের ও পরের গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন? নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন: “আমি তাঁর কৃতজ্ঞ প্রকাশকারী বান্দা হতে পছন্দ করবো না কি?” [বুখারী, অধ্যায়, তফসীর, নং ৪৮৩৭]
আল্লাহর ইবাদত বা দাসত্ব করা বিরাট মর্যাদার বিষয়:
মহান আল্লাহ সারা জগতের সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টিকুলের মধ্যে ফেরেশতাগণ তাঁর সম্মানীত সৃষ্টি। তিনি তাদেরকে নূর বা জ্যোতি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের ‘আব্দ’ বা দাস বলেছেন। আল্লাহ বলেন: তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা, তারা আল্লাহর আগে বেড়ে কথা বলে না; তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে। [আম্বিয়া/২৬-২৭]
মহান আল্লাহ যাদের স্বয়ং প্রশংসা করেন, যাদের সম্মানিত বান্দা বলেন, যারা সরাসরি আল্লাহর আদেশ পান, আর তাদের যদি আল্লাহ তাআ’লা বান্দা বলে সম্বোধন করেন, তাহলে মানবকুলের জন্য সেই সম্বোধন বা সেই উপাধি সম্মানের পাত্র নয় কি?
আল্লাহর ‘আব্দ’ আখ্যা পাওয়া যে কত মর্যাদার বিষয় আমরা তা তাঁর শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবীর সেই ঘটনার মাধ্যমে অবগত হতে পারি। যেই ঘটনাটি ছিল নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য বিরাট সম্মানের ঘটনা। যেখানে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর প্রিয় নবীকে নিজের কাছে ডেকে নেন। জান্নাত ও জাহান্নাম দেখান। পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রদান করেন ইত্যাদি। ��েই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আল্লাহ তাআ’লা তাঁকে আব্দ বা বান্দা বলে সম্বোধন করেন। আল্লাহ তাআ’লা বলেন: “পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে [রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে] রাতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসায়, (বায়তুল মাকদিস) যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্যে; তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” [ ইসরা/১]
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “আল্লাহর নিকট তোমাদের নাম সমূহের মধ্যে অধিকতর পছন্দনীয় নাম হচ্ছে, আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রাহমান”। [মুসলিম ২১৩২]
“আমি জিন ও ইনসানকে কেবল এই উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি যে, তারা সকলে কেবল আমার ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমার আহার্য যোগাবে।” [যারিয়াত/৫৬-৫৭]
আল্লাহর দাসত্ব
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর বান্দা হতে হয় কিভাবে?
#আল্লাহরবান্দা#আল্লাহরদাসত্ব#Allah'sServitude#How To Be a Servant of Allah#Servant of Allah#Slave of Allah#Allah's servant#Allah's servitude
0 notes
Text
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর দাসত্বেই রয়েছে বান্দার প্রকৃত মযার্দা
আমরা আল্লাহর বান্দা। এটি সবার জানা। কিন্তু বান্দা শব্দটির সম্পর্কে কি আমরা কখনো চিন্তা-ভাবনা করেছি, যে এই শব্দটির মর্মার্থ কি? এর দ্বারা কি বুঝায়? বান্দা ফারসী শব্দ যার আরবী হচ্ছে ‘আব্দ’ অর্থাৎ দাস। তাই আমরা সকলে ইবাদুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা সকল। বান্দা বা দাসের কাজ হচ্ছে তার মালিকের দাসত্ব করা, গোলামী করা। মালিকের নিকট সেই দাসই সর্ব্বোৎকৃষ্ট, যে তার মালিকের সত্যিকারার্থে দাসত্ব করে, গোলামী করে। কিন্তু তাঁর অনেক বান্দা এমনও আছে যারা আল্লাহর দাসত্ব করে না, করতেও চায়না । দাসত্ব করা যে বান্দাদের কর্তব্য তা বিশ্বাস করে না।
অথচ পৃথিবীতে সে লোকটি যখন কোন অর্থশালী মানুষের নিকট কিংবা কোন কম্পানীতে কাজ করে, তখন সে তাকে মালিক মনে করে, তাকে বিশ্বাস করে, তার আদেশ-নিষেধ শোনে ও মানে । এর কারণ স্বরূপ সে বলে বা মনে করে যে, তার এই মলিক তাকে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়, তাই সে তার কাজ করে। মনে রাখা দরকার, এই মালিক তখন বিনিময় দেয় যখন সে তার কাজ করে দেয় কিন্তু মহান আল্লাহ তো তার সকল বান্দাদের অনেক কিছু এমনিই দিয়ে থাকেন। সারা দিন সূর্যের আলো কে দেয়? বাতাস কে দেয়? অক্সিজেন কে দেয়? রুযী কে দেন? এ সবের কি তিনি কোন বিনিময় নেন ? কোন শর্তও কি আরোপ করেন? তা সত্যেও যদি কোন বান্দা মহান আল্লাহর দাসত্ব না করে, তাহলে সে অবশ্যই একজন অহংকারী এবং অত্যাচারী বান্দা।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে আল্লাহর দাস বলাকে মর্যাদার বিষয় মনে করতেন:
জগতের শ্রেষ্ঠ আব্দ বা বান্দা হলেন শেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি আল্লাহর দাসত্ব স্বীকারে কতখানি খাঁটি ছিলেন এবং নিজেকে আল্লাহর দাস বলতে তাঁকে কত পছন্দ করতেন তাঁর স্বীকারোক্তি নিম্নে দেখা যেতে পারে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না যেমন খৃষ্টানেরা মারিয়াম পুত্রের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি তো কেবল তাঁর আব্দ (দাস) তাই তোমরা আমাকে বল: আল্লাহর দাস এবং তাঁর রাসূল।” [ বুখারী, অধ্যায়, আম্বিয়া, অনুচ্ছেদ নং ৪৮, হাদীস নং ৩৪৪৫]
অনুরূপ অনেক দুয়া’তে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেকে আল্লাহর বান্দা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন অযুর দুয়া’য় উল্লেখ হয়েছে:“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মাবূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল।” [ মুসলিম, অধ্যায়, পবিত্রতা অর্জন, অনুচ্ছেদ, ওযু শেষে মুস্তাহাব যিকর]
প্রতি নামাযের তাশাহহুদেও তাই বলা হয়েছে, “আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আবদুহু ওয়া রাসূলুহু”।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। [বুখারী, নং৮৩১]
আল্লাহর দাসত্বের স্বাদ:
অন্য দিকে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর দাসত্ব তথা বন্দেগী কত নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন এবং তা পালন করতে তাঁকে কত মজা লাগতো, তা নিম্নের হাদীস দ্বারা উপলব্ধি করা যেতে পারে। আয়েশা (রাযি:) হতে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে কিয়াম করতেন (দীর্ঘক্ষণ ধরে নামায পড়তেন) যার কারণে তাঁর দুই পা ফুলে যেত। আয়েশা (রাযিঃ) নবীজীকে বললেন: আল্লাহর রাসূল, আপনি কেন এরূপ কেন করছেন? আল্লাহ তো আপনার আগের ও পরের গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন? নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন: “আমি তাঁর কৃতজ্ঞ প্রকাশকারী বান্দা হতে পছন্দ করবো না কি?” [বুখারী, অধ্যায়, তফসীর, নং ৪৮৩৭]
আল্লাহর ইবাদত বা দাসত্ব করা বিরাট মর্যাদার বিষয়:
মহান আল্লাহ সারা জগতের সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টিকুলের মধ্যে ফেরেশতাগণ তাঁর সম্মানীত সৃষ্টি। তিনি তাদেরকে নূর বা জ্যোতি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের ‘আব্দ’ বা দাস বলেছেন। আল্লাহ বলেন: তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা, তারা আল্লাহর আগে বেড়ে কথা বলে না; তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে। [আম্বিয়া/২৬-২৭]
মহান আল্লাহ যাদের স্বয়ং প্রশংসা করেন, যাদের সম্মানিত বান্দা বলেন, যারা সরাসরি আল্লাহর আদেশ পান, আর তাদের যদি আল্লাহ তাআ’লা বান্দা বলে সম্বোধন করেন, তাহলে মানবকুলের জন্য সেই সম্বোধন বা সেই উপাধি সম্মানের পাত্র নয় কি?
আল্লাহর ‘আব্দ’ আখ্যা পাওয়া যে কত মর্যাদার বিষয় আমরা তা তাঁর শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবীর সেই ঘটনার মাধ্যমে অবগত হতে পারি। যেই ঘটনাটি ছিল নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য বিরাট সম্মানের ঘটনা। যেখানে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর প্রিয় নবীকে নিজের কাছে ডেকে নেন। জান্নাত ও জাহান্নাম দেখান। পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রদান করেন ইত্যাদি। সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আল্লাহ তাআ’লা তাঁকে আব্দ বা বান্দা বলে সম্বোধন করেন। আল্লাহ তাআ’লা বলেন: “পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে [রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে] রাতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসায়, (বায়তুল মাকদিস) যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্যে; তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” [ ইসরা/১]
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “আল্লাহর নিকট তোমাদের নাম সমূহের মধ্যে অধিকতর পছন্দনীয় নাম হচ্ছে, আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রাহমান”। [মুসলিম ২১৩২]
“আমি জিন ও ইনসানকে কেবল এই উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি যে, তারা সকলে কেবল আমার ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমার আহার্য যোগাবে।” [যারিয়াত/৫৬-৫৭]
আল্লাহর দাসত্ব
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর বান্দা হতে হয় কিভাবে?
Servant of Allah
#Slave of Allah#Allah's servant#Allah's servitude#How To Be a Servant of Allah#Servant of Allah#আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে#আল্লাহর বান্দা হতে হয় কিভাবে?#আল্লাহরবান্দা#আল্লাহরদাসত্ব#Allah'sServitude
0 notes
Text
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর দাসত্বেই রয়েছে বান্দার প্রকৃত মযার্দা
আমরা আল্লাহর বান্দা। এটি সবার জানা। কিন্তু বান্দা শব্দটির সম্পর্কে কি আমরা কখনো চিন্তা-ভাবনা করেছি, যে এই শব্দটির মর্মার্থ কি? এর দ্বারা কি বুঝায়? বান্দা ফারসী শব্দ যার আরবী হচ্ছে ‘আব্দ’ অর্থাৎ দাস। তাই আমরা সকলে ইবাদুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা সকল। বান্দা বা দাসের কাজ হচ্ছে তার মালিকের দাসত্ব করা, গোলামী করা। মালিকের নিকট সেই দাসই সর্ব্বোৎকৃষ্ট, যে তার মালিকের সত্যিকারার্থে দাসত্ব করে, গোলামী করে। কিন্তু তাঁর অনেক বান্দা এমনও আছে যারা আল্লাহর দাসত্ব করে না, করতেও চায়না । দাসত্ব করা যে বান্দাদের কর্তব্য তা বিশ্বাস করে না।
অথচ পৃথিবীতে সে লোকটি যখন কোন অর্থশালী মানুষের নিকট কিংবা কোন কম্পানীতে কাজ করে, তখন সে তাকে মালিক মনে করে, তাকে বিশ্বাস করে, তার আদেশ-নিষেধ শোনে ও মানে । এর কা���ণ স্বরূপ সে বলে বা মনে করে যে, তার এই মলিক তাকে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়, তাই সে তার কাজ করে। মনে রাখা দরকার, এই মালিক তখন বিনিময় দেয় যখন সে তার কাজ করে দেয় কিন্তু মহান আল্লাহ তো তার সকল বান্দাদের অনেক কিছু এমনিই দিয়ে থাকেন। সারা দিন সূর্যের আলো কে দেয়? বাতাস কে দেয়? অক্সিজেন কে দেয়? রুযী কে দেন? এ সবের কি তিনি কোন বিনিময় নেন ? কোন শর্তও কি আরোপ করেন? তা সত্যেও যদি কোন বান্দা মহান আল্লাহর দাসত্ব না করে, তাহলে সে অবশ্যই একজন অহংকারী এবং অত্যাচারী বান্দা।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে আল্লাহর দাস বলাকে মর্যাদার বিষয় মনে করতেন:
জগতের শ্রেষ্ঠ আব্দ বা বান্দা হলেন শেষ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি আল্লাহর দাসত্ব স্বীকারে কতখানি খাঁটি ছিলেন এবং নিজেকে আল্লাহর দাস বলতে তাঁকে কত পছন্দ করতেন তাঁর স্বীকারোক্তি নিম্নে দেখা যেতে পারে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না যেমন খৃষ্টানেরা মারিয়াম পুত্রের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি তো কেবল তাঁর আব্দ (দাস) তাই তোমরা আমাকে বল: আল্লাহর দাস এবং তাঁর রাসূল।” [ বুখারী, অধ্যায়, আম্বিয়া, অনুচ্ছেদ নং ৪৮, হাদীস নং ৩৪৪৫]
অনুরূপ অনেক দুয়া’তে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেকে আল্লাহর বান্দা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন অযুর দুয়া’য় উল্লেখ হয়েছে:“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মাবূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল।” [ মুসলিম, অধ্যায়, পবিত্রতা অর্জন, অনুচ্ছেদ, ওযু শেষে মুস্তাহাব যিকর]
প্রতি নামাযের তাশাহহুদেও তাই বলা হয়েছে, “আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আবদুহু ওয়া রাসূলুহু”।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। [বুখারী, নং৮৩১]
আল্লাহর দাসত্বের স্বাদ:
অন্য দিকে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর দাসত্ব তথা বন্দেগী কত নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন এবং তা পালন করতে তাঁকে কত মজা লাগতো, তা নিম্নের হাদীস দ্বারা উপলব্ধি করা যেতে পারে। আয়েশা (রাযি:) হতে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে কিয়াম করতেন (দীর্ঘক্ষণ ধরে নামায পড়তেন) যার কারণে তাঁর দুই পা ফুলে যেত। আয়েশা (রাযিঃ) নবীজীকে বললেন: আল্লাহর রাসূল, আপনি কেন এরূপ কেন করছেন? আল্লাহ তো আপনার আগের ও পরের গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন? নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন: “আমি তাঁর কৃতজ্ঞ প্রকাশকারী বান্দা হতে পছন্দ করবো না কি?” [বুখারী, অধ্যায়, তফসীর, নং ৪৮৩৭]
আল্লাহর ইবাদত বা দাসত্ব করা বিরাট মর্যাদার বিষয়:
মহান আল্লাহ সারা জগতের সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টিকুলের মধ্যে ফেরেশতাগণ তাঁর সম্মানীত সৃষ্টি। তিনি তাদেরকে নূর বা জ্যোতি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের ‘আব্দ’ বা দাস বলেছেন। আল্লাহ বলেন: তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা, তারা আল্লাহর আগে বেড়ে কথা বলে না; তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে। [আম্বিয়া/২৬-২৭]
মহান আল্লাহ যাদের স্বয়ং প্রশংসা করেন, যাদের সম্মানিত বান্দা বলেন, যারা সরাসরি আল্লাহর আদেশ পান, আর তাদের যদি আল্লাহ তাআ’লা বান্দা বলে সম্বোধন করেন, তাহলে মানবকুলের জন্য সেই সম্বোধন বা সেই উপাধি সম্মানের পাত্র নয় কি?
আল্লাহর ‘আব্দ’ আখ্যা পাওয়া যে কত মর্যাদার বিষয় আমরা তা তাঁর শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবীর সেই ঘটনার মাধ্যমে অবগত হতে পারি। যেই ঘটনাটি ছিল নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য বিরাট সম্মানের ঘটনা। যেখানে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর প্রিয় নবীকে নিজের কাছে ডেকে নেন। জান্নাত ও জাহান্নাম দেখান। পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রদান করেন ইত্যাদি। সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আল্লাহ তাআ’লা তাঁকে আব্দ বা বান্দা বলে সম্বোধন করেন। আল্লাহ তাআ’লা বলেন: “পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে [রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে] রাতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসায়, (বায়তুল মাকদিস) যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্যে; তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।” [ ইসরা/১]
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “আল্লাহর নিকট তোমাদের নাম সমূহের মধ্যে অধিকতর পছন্দনীয় নাম হচ্ছে, আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রাহমান”। [মুসলিম ২১৩২]
“আমি জিন ও ইনসানকে কেবল এই উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি যে, তারা সকলে কেবল আমার ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমার আহার্য যোগাবে।” [যারিয়াত/৫৬-৫৭]
আল্লাহর দাসত্ব
আল্লাহর গোলামী করবেন কিভাবে
আল্লাহর বান্দা হতে হয় কিভাবে?
#আল্লাহরবান্দা
#আল্লাহরদাসত্ব
How To Be a Servant of Allah
#Servant of Allah#Slave of Allah#Allah's servant#Allah's servitude#How To Be a Servant of Allah#Allah'sServitude#howto
0 notes