#আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’
Explore tagged Tumblr posts
Text
আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
Attributes of Allah
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;
তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;
তাঁর কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্রসকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্রবিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর
কত সুন্দর এই পৃথিবী, কত রঙিন এই আসমান ও জমিন। ফজরের সময় যখন ঘুম থেকে উঠি, স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমাদের মন জুড়িয়ে যায়।
একটু বাদে যখন সূর্য উঁকি মারে, মিহি আলোয় সব রঙিন হয়ে পড়ে। মোরগ ডাকে, মৌমাছি ফুলে ফুলে খুঁজে বেড়ায় মধু, আর মানুষ বেরিয়ে যায় রোজগারের তালাশে। তারপর সূর্যের যখন তেজ বেড়ে যায়, গাছে গাছে ফুঠে ওঠে শ্যামলিমা—পৃথিবীকে মনে হয় এক সবুজ সাগর, আর আমরা যেন মাছ!
এত সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয় একক—তিনি আল্লাহ। বড়ো পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের যতদূরে চোখ যায়, কিংবা রাতের আকাশে যতটা তারা গুণতে পারি—এ���বের বাইরেও আমাদের অদেখা যতকিছু আছে, তার সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তার কুদরতি হাতের ছোঁয়ায় জগৎ পেয়েছে রঙ, মানুষ পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা।
তিনিই আকাশের চোখে লাগিয়েছেন নুরের কাজলকালো সুরমা আর জমিনকে বানিয়েছেন রিজিকের দস্তরখান। এই সৌন্দর্যে যখনই চোখ বুলাই, আপনাআপনিই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে—‘সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনিই কেবল শক্তিমান, আপনি ছাড়া নেই কোনো মাবুদ—উপাসনার উপযোগী।’
তিনি আমাদের রব, তিনিই বিচার দিবসের মালিক। আমরা কেবল তাঁরই এবাদত করি, তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। তার জন্য নামাজ পড়ি, হালাল-হারাম মেনে চলি, আর তাঁরই গুণগান গাই। আসমান-জমিনে এমন অনেক ফেরেশতা আছেন—যারা দিনরাত কেবল আল্লাহর প্রশংসা গায়।
আমরা যদি সব ছেড়েছুড়ে সারাদিন সারারাত শুধু আ��্লাহর প্রশংসা করি, তবু তাঁর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করত পারব না। তিনি রহমানুর রহিম—পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। আমরা সবাই তার নেয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত, তিনিই আমাদের খাবার খাওয়ান, ঘুম পাড়ান।
তার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বে কোনো ঘটনাই ঘটে না, তাঁর অবগতি ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমরা যা কিছুর প্রশংসাই করি না কেন, সকল প্রকার প্রশংসার একমাত্র প্রাপ্য তিনি আল্লাহ।
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কিত বাক্যঃ-
« আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বের অধিপতি ও মালিক। « তিনি এক ও অদ্বিতীয় সত্তা। « তাঁর কোনো শরিক নেই। « তিনি অনন্য ও অতুলনীয়। আল্লাহ শব্দের মধ্যেই তাঁর তুলনাহীন বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ পায়। « আল্লাহ আরবি শব্দ। পৃথিবীর কোনো ভাষায় এ শব্দের কোনো প্রতিশব্দ নেই। « এর কোনো একবচন, বহুবচন নেই। « এ শব্দের কোনো স্ত্রীলিঙ্গ বা পুংলিঙ্গ নেই। « এ শব্দটি একক ও অতুলনীয়। « তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে একক ও অদ্বিতীয়।
আল্লাহ কুরআনে বর্ণনা করেছেনঃ
"তিনিই আল্লাহ, এক ও একমাত্র ঈশ্বর," এর অর্থ হল তিনি "অনন্ত ও পরম" এবং "তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তিনি জন্মগ্রহণ করেননি" এবং "তাঁর সাথে তুলনা করার মতো কেউ নেই।" কিন্তু কুরআন আরো জোর এবং স্পষ্ট করার জন্য সব বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছে।
আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নিজের জন্য এসব আসমাউল হুসনা (সুন্দর গুণবাচক নামসমূহ), সুউচ্চ সিফাতসমূহ ও সেসব সিফাত থেকে উৎসারিত আহকামসমূহ সাব্যস্ত করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি এগুলোর কোন একটি সাব্যস্ত করল; কিন্তু অন্যটি নেতিবাচক করল তাহলে সে কুরআন ও সুন্নাহের বিরোধিতা করল এবং তার কাজটি বিরোধপূর্ণ হলো ও তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
Allah's Identity,Names and Attributes
আল্লাহ্:একমাত্র প্রশংসাযোগ্য, সর্বশক্তিমান উপাস্যের প্রকৃত নাম।
আকাশ ও জমিনের সবই সৃষ্টি স্রস্টা আল্লাহ্ একমাত্র ইলাহ, জগতসমুহের সকল নিদর্শনে সত্য কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'।
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানেমহান আরশের উরধে সমুন্নত, সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণেকোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্রসকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্রবিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
মহান আল্লাহ তাআলা এই মানুষ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, তাঁর কোন শরীক নেই।
মহান আল্লাহ তা’আলা অনন্য এবং অতুলনীয়।, তাঁর আল্লাহ নামটির মাঝেই সেটি প্রকাশ পায়।
তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর ।
তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্ৰাও নয়।
সমগ্র মানবজাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি ভালোবাসে��।
আল্লাহর দয়ালু দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
আল্লাহ দেখতে কিরূপ?
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহ কেমন দেখতে? আল্লাহর রূপ বা আকৃতি মানুষের চিন্তার বা ধারণার বাহিরে। আল্লাহ শারীরিক বৈশিষ্ট্য বা সীমাবদ্ধতা দ্বারা আবদ্ধ নন এবং তিনি মানুষের বোধগম্যতার বাইরে । অতএব, আল্লাহর এমন কোনো শারীরিক রূপ বা অবয়ব নেই যা মানুষের দ্বারা উপলব্ধি করা সম্ভব । ইসলাম শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ একক অসীম, সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান সত্তা যিনি সমস্ত সৃষ্টির উৎস এবং মানবতার চূড়ান্ত বিচারক। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ কুরআন এবং নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উদাহরণের মাধ্যমে মানবজাতির জন্য নির্দেশনা ও প্রজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। যাই হোক, আল্লাহ অবিভাজ্য একক সত্তা। আল্লাহর গুণাবলী মানুষের বোধগম্যতার বাইরে এবং তাঁকে মানুষের মন দ্বারা সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করা যায় না। আল্লাহ্র রূপ অস্তিত্ব রয়েছে বটে কিন্তু এই রক্ত মাংসের চোখে তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। কোন মানুষ, জ্বিন কিংবা ফিরিশতার চক্ষু দ্বারা আল্লাহ্কে দেখা সম্ভব নয় । আর ইহকালে তো মোটেও সম্ভব নয় । তবে আল্লাহ্ তায়ালা ওয়াদা করেছেন, যারা উৎকৃষ্ট জান্নাতের অধিকারী হবেন, একমাত্র তাঁরাই পরকালে আল্লাহ্র দিদার লাভ করার সৌভাগ্য লাভ করবেন । অর্থাৎ আল্লাহ্ কে তারাই দেখতে পাবেন । আল্লাহ্ যেন আমাদের সবাইকেই সেই সুযোগ দান করেন। আমীন ।
আল্লাহ দেখতে কেমন?
What does Allah look like?
মহাবিশ্বের মহান স্রষ্টা আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টিকে পরিবেস্টন করে আছেন। তিনি তাঁর সৃষ্টির কোনটির মতন নন। তাঁকে দুনিয়ার কোন চোখ দেখেনি এবং দেখার ক্ষমতাও রাখেনা। এজন্য মূসা (আলায়হি আস-সালাম) দেখতে চ���য়েও পারেননি। মিরাজে গিয়ে মুহাম্মদ (সল্লা আল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁকে দেখতে পাননি। রসূলুল্লাহ্কে (সঃ) আবূ যর (রাদি'আল্লাহু আনহু) জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি তাঁর রব্বকে দেখেছেন কিনা। রসূলুল্লাহ্ (সঃ) জবাবে বলেছেন, "আমি কিভাবে তাঁকে দেখতে পারি? আমিতো একটি নূর দেখেছি।" (মুসলিম ও বুখারী)। মূলতঃ "কোন দৃষ্টি তাঁকে আয়ত্ত্ব করতে পারেনা। তিনিই বরং সব দৃষ্টিগুলোকে আয়ত্ত্বাধীন রাখেন। বস্তুতঃ তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্মদর্শী ও সব বিষয়ে ওয়াকিবহাল।" [আন'আম, ৬/১০৩]
তিনি আমাদের সব ধারণা-কল্পনার উর্ধ্বে। তিনিই সৃষ্টিকর্তা। "আল্লাহ্ কাউকে তাঁর সন্তান বানাননি আর তাঁর কোনো শরীক নেই। যদি তা-ই হতো তবে এরা প্রত্যেকেই নিজের সৃষ্টি নিয়ে আলাদা হয়ে যেত এবং তারপর একে অন্যের উপর চড়াও হতো।
আল্লাহ্ মানুষের পরিচিত কোনো কিছুর মতো নন। তাঁর সত্ত্বা তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে আলাদা। আমরা তাঁর সত্ত্বা সম্পর্কে কো্নো ধারণা করতে পারিনা। [তিনি] আকাশমন্ডল ও জ়মীন সৃষ্টিকারী; তিনি তোমাদের নিজস্ব প্রজাতির মধ্য থেকে তোমাদের জন্য জুড়ি (স্ত্রী-পুরুষ) বানিয়েছেন এবং জন্তু-জানোয়ারের মাঝেও (তাদেরই নিজস্ব প্রজাতির) জুড়ি বানিয়ে দিয়েছেন; আর এভাবেই তিনি তোমাদের বংশবৃদ্ধি ও বিস্তার ঘটান। বিশ্বলোকের কোন কিছুতেই তাঁর সাযুজ্য নেই; আর তিনি সব কিছু শুনেন এবং দেখেন।" [আস-শূরা, ৪২/১০-১১]
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
Allah's Identity, Names and Attributes
#tawheed#tawhid#asmawassifat#allah'sdefinition#whoisallah#God#Deity#আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য#আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’#আল্লাহরবৈশিষ্ট্য#AttributesofAllah#ALLAH#GOD#DEITY#RABB#LORD#ILAH#CREATOR#99NAMES#ASMAALHUSNA#ASMAWASSIFAT#ALAHAD#ALLAH'SIDENTITY#ALLAH'SNAMES#ALLAH'SQUALITY#ALLAH'SDEFINITION#ALLAH'SATTTRIBUTES#KNOWINGALLAH#AlElah#TrueGod
0 notes
Text
আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
Attributes of Allah
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;
তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;
তাঁর কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্রসকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্রবিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর
কত সুন্দর এই পৃথিবী, কত রঙিন এই আসমান ও জমিন। ফজরের সময় যখন ঘুম থেকে উঠি, স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমাদের মন জুড়িয়ে যায়।
একটু বাদে যখন সূর্য উঁকি মারে, মিহি আলোয় সব রঙিন হয়ে পড়ে। মোরগ ডাকে, মৌমাছি ফুলে ফুলে খুঁজে বেড়ায় মধু, আর মানুষ বেরিয়ে যায় রোজগারের তালাশে। তারপর সূর্যের যখন তেজ বেড়ে যায়, গাছে গাছে ফুঠে ওঠে শ্যামলিমা—পৃথিবীকে মনে হয় এক সবুজ সাগর, আর আমরা যেন মাছ!
এত সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয় একক—তিনি আল্লাহ। বড়ো পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের যতদূরে চোখ যায়, কিংবা রাতের আকাশে যতটা তারা গুণতে পারি—এসবের বাইরেও আমাদের অদেখা যতকিছু আছে, তার সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তার কুদরতি হাতের ছোঁয়ায় জগৎ পেয়েছে রঙ, মানুষ পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা।
তিনিই আকাশের চোখে লাগিয়েছেন নুরের কাজলকালো সুরমা আর জমিনকে বানিয়েছেন রিজিকের দস্তরখান। এই সৌন্দর্যে যখনই চোখ বুলাই, আপনাআপনিই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে—‘সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনিই কেবল শক্তিমান, আপনি ছাড়া নেই কোনো মাবুদ—উপাসনার উপযোগী।’
তিনি আমাদের রব, তিনিই বিচার দিবসের মালিক। আমরা কেবল তাঁরই এবাদত করি, তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। তার জন্য নামাজ পড়ি, হালাল-হারাম মেনে চলি, আর তাঁরই গুণগান গাই। আসমান-জমিনে এমন অনেক ফেরেশতা আছেন—যারা দিনরাত কেবল আল্লাহর প্রশংসা গায়।
আমরা যদি সব ছেড়েছুড়ে সারাদিন সারারাত শুধু আল্লাহর প্রশংসা করি, তবু তাঁর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করত পারব না। তিনি রহমানুর রহিম—পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। আমরা সবাই তার নেয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত, তিনিই আমাদের খাবার খাওয়ান, ঘুম পাড়ান।
তার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বে কোনো ঘটনাই ঘটে না, তাঁর অবগতি ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমরা যা কিছুর প্রশংসাই করি না কেন, সকল প্রকার প্রশংসার একমাত্র প্রাপ্য তিনি আল্লাহ।
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কিত বাক্যঃ-
« আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বের অধিপতি ও মালিক। « তিনি এক ও অদ্বিতীয় সত্তা। « তাঁর কোনো শরিক নেই। « তিনি অনন্য ও অতুলনীয়। আল্লাহ শব্দের মধ্যেই তাঁর তুলনাহীন বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ পায়। « আল্লাহ আরবি শব্দ। পৃথিবীর কোনো ভাষায় এ শব্দের কোনো প্রতিশব্দ নেই। « এর কোনো একবচন, বহুবচন নেই। « এ শব্দের কোনো স্ত্রীলিঙ্গ বা পুংলিঙ্গ নেই। « এ শব্দটি একক ও অতুলনীয়। « তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে একক ও অদ্বিতীয়।
আল্লাহ কুরআনে বর্ণনা করেছেনঃ
"তিনিই আল্লাহ, এক ও একমাত্র ঈশ্বর," এর অর্থ হল তিনি "অনন্ত ও পরম" এবং "তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তিনি জন্মগ্রহণ করেননি" এবং "তাঁর সাথে তুলনা করার মতো কেউ নেই।" কিন্তু কুরআন আরো জোর এবং স্পষ্ট করার জন্য সব বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছে।
আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নিজের জন্য এসব আসমাউল হুসনা (সুন্দর গুণবাচক নামসমূহ), সুউচ্চ সিফাতসমূহ ও সেসব সিফাত থেকে উৎসারিত আহকামসমূহ সাব্যস্ত করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি এগুলোর কোন একটি সাব্যস্ত করল; কিন্তু অন্যটি নেতিবাচক করল তাহলে সে কুরআন ও সুন্নাহের বিরোধিতা করল এবং তার কাজটি বিরোধপূর্ণ হলো ও তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
Allah's Identity,Names and Attributes
আল্লাহ্:একমাত্র প্রশংসাযোগ্য, সর্বশক্তিমান উপাস্যের প্রকৃত নাম।
আকাশ ও জমিনের সবই সৃষ্টি স্রস্টা আল্লাহ্ একমাত্র ইলাহ, জগতসমুহের সকল নিদর্শনে সত্য কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'।
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানেমহান আরশের উরধে সমুন্নত, সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণেকোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্রসকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্রবিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
মহান আল্লাহ তাআলা এই মানুষ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, তাঁর কোন শরীক নেই।
মহান আল্লাহ তা’আলা অনন্য এবং অতুলনীয়।, তাঁর আল্লাহ নামটির মাঝেই সেটি প্রকাশ পায়।
তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর ।
তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্ৰাও নয়।
সমগ্র মানবজাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি ভালোবাসেন।
আল্লাহর দয়ালু দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’।
আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান এবং একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। আল্লাহকে জানুন তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ ও নির্দেশনা। আল্লাহকে জানা সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
আল্লাহ দেখতে কিরূপ?
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহ কেমন দেখতে? আল্লাহর রূপ বা আকৃতি মানুষের চিন্তার বা ধারণার বাহিরে। আল্লাহ শারীরিক বৈশিষ্ট্য বা সীমাবদ্ধতা দ্বারা আবদ্ধ নন এবং তিনি মানুষের বোধগম্যতার বাইরে । অতএব, আল্লাহর এমন কোনো শারীরিক রূপ বা অবয়ব নেই যা মানুষের দ্বারা উপলব্ধি করা সম্ভব । ইসলাম শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ একক অসীম, সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান সত্তা যিনি সমস্ত সৃষ্টির উৎস এবং মানবতার চূড়ান্ত বিচারক। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ কুরআন এবং নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উদাহরণের মাধ্যমে মানবজাতির জন্য নির্দেশনা ও প্রজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। যাই হোক, আল্লাহ অবিভাজ্য একক সত্তা। আল্লাহর গুণাবলী মানুষের বোধগম্যতার বাইরে এবং তাঁকে মানুষের মন দ্বারা সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করা যায় না। আল্লাহ্র রূপ অস্তিত্ব রয়েছে বটে কিন্তু এই রক্ত মাংসের চোখে তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। কোন মানুষ, জ্বিন কিংবা ফিরিশতার চক্ষু দ্বারা আল্লাহ্কে দেখা সম্ভব নয় । আর ইহকালে তো মোটেও সম্ভব নয় । তবে আল্লাহ্ তায়ালা ওয়াদা করেছেন, যারা উৎকৃষ্ট জান্নাতের অধিকারী হবেন, একমাত্র তাঁরাই পরকালে আল্লাহ্র দিদার লাভ করার সৌভাগ্য লাভ করবেন । অর্থাৎ আল্লাহ্ কে তারাই দেখতে পাবেন । আল্লাহ্ যেন আমাদের সবাইকেই সেই সুযোগ দান করেন। আমীন ।
আল্লাহ দেখতে কেমন?
What does Allah look like?
মহাবিশ্বের মহান স্রষ্টা আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টিকে পরিবেস্টন করে আছেন। তিনি তাঁর সৃষ্টির কোনটির মতন নন। তাঁকে দুনিয়ার কোন চোখ দেখেনি এবং দেখার ক্ষমতাও রাখেনা। এজন্য মূসা (আলায়হি আস-সালাম) দেখতে চেয়েও পারেননি। মিরাজে গিয়ে মুহাম্মদ (সল্লা আল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁকে দেখতে পাননি। রসূলুল্লাহ্কে (সঃ) আবূ যর (রাদি'আল্লাহু আনহু) জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি তাঁর রব্বকে দেখেছেন কিনা। রসূলুল্লাহ্ (সঃ) জবাবে বলেছেন, "আমি কিভাবে তাঁকে দেখতে পারি? আমিতো একটি নূর দেখেছি।" (মুসলিম ও বুখারী)। মূলতঃ "কোন দৃষ্টি তাঁকে আয়ত্ত্ব করতে পারেনা। তিনিই বরং সব দৃষ্টিগুলোকে আয়ত্ত্বাধীন রাখেন। বস্তুতঃ তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্মদর্শী ও সব বিষয়ে ওয়াকিবহাল।" [আন'আম, ৬/১০৩]
তিনি আমাদের সব ধারণা-কল্পনার উর্ধ্বে। তিনিই সৃষ্টিকর্তা। "আল্লাহ্ কাউকে তাঁর সন্তান বানাননি আর তাঁর কোনো শরীক নেই। যদি তা-ই হতো তবে এরা প্রত্যেকেই নিজের সৃষ্টি নিয়ে আলাদা হয়ে যেত এবং তারপর একে অন্যের উপর চড়াও হতো।
আল্লাহ্ মানুষের পরিচিত কোনো কিছুর মতো নন। তাঁর সত্ত্বা তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে আলাদা। আমরা তাঁর সত্ত্বা সম্পর্কে কো্নো ধারণা করতে পারিনা। [তিনি] আকাশমন্ডল ও জ়মীন সৃষ্টিকারী; তিনি তোমাদের নিজস্ব প্রজাতির মধ্য থেকে তোমাদের জন্য জুড়ি (স্ত্রী-পুরুষ) বানিয়েছেন এবং জন্তু-জানোয়ারের মাঝেও (তাদেরই নিজস্ব প্রজাতির) জুড়ি বানিয়ে দিয়েছেন; আর এভাবেই তিনি তোমাদের বংশবৃদ্ধি ও বিস্তার ঘটান। বিশ্বলোকের কোন কিছুতেই তাঁর সাযুজ্য নেই; আর তিনি সব কিছু শুনেন এবং দেখেন।" [আস-শূরা, ৪২/১০-১১]
আল্লাহর পরিচয়, নাম ও গুণাবলী
Allah's Identity, Names and Attributes
#tawhid#tawheed#whoisallah#allahswt#trueGod#allah'snames#allah'sdefinition#আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য#আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ’#আল্লাহরবৈশিষ্ট্য#AttributesofAllah#ALLAH#GOD#DEITY#RABB#LORD#ILAH#CREATOR#99NAMES#ASMAALHUSNA#ASMAWASSIFAT#ALAHAD#ALLAH'SIDENTITY#ALLAH'SNAMES#ALLAH'SQUALITY#ALLAH'SDEFINITION#ALLAH'SATTTRIBUTES#KNOWINGALLAH#AlElah#TrueGod
0 notes
Text
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহই একমাত্র সত্য উপাস্য
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ কেমন?
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
Attributes of Allah
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;
তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;
তাঁর কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্রসকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্রবিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর
কত সুন্দর এই পৃথিবী, কত রঙিন এই আসমান ও জমিন। ফজরের সময় যখন ঘুম থেকে উঠি, স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমাদের মন জুড়িয়ে যায়।
একটু বাদে যখন সূর্য উঁকি মারে, মিহি আলোয় সব রঙিন হয়ে পড়ে। মোরগ ডাকে, মৌমাছি ফুলে ফুলে খুঁজে বেড়ায় মধু, আর মানুষ বেরিয়ে যায় রোজগারের তালাশে। তারপর সূর্যের যখন তেজ বেড়ে যায়, গাছে গাছে ফুঠে ওঠে শ্যামলিমা—পৃথিবীকে মনে হয় এক সবুজ সাগর, আর আমরা যেন মাছ!
এত সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয় একক—তিনি আল্লাহ। বড়ো পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের যতদূরে চোখ যায়, কিংবা রাতের আকাশে যতটা তারা গুণতে পারি—এসবের বাইরেও আমাদের অদেখা যতকিছু আছে, তার সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তার কুদরতি হাতের ছোঁয়ায় জগৎ পেয়েছে রঙ, মানুষ পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা।
তিনিই আকাশের চোখে লাগিয়েছেন নুরের কাজলকালো সুরমা আর জমিনকে বানিয়েছেন রিজিকের দস্তরখান। এই সৌন্দর্যে যখনই চোখ বুলাই, আপনাআপনিই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে—‘সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনিই কেবল শক্তিমান, আপনি ছাড়া নেই কোনো মাবুদ—উপাসনার উপযোগী।’
তিনি আমাদের রব, তিনিই বিচার দিবসের মালিক। আমরা কেবল তাঁরই এবাদত করি, তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। তার জন্য নামাজ পড়ি, হালাল-হারাম মেনে চলি, আর তাঁরই গুণগান গাই। আসমান-জমিনে এমন অনেক ফেরেশতা আছেন—যারা দিনরাত কেবল আল্লাহর প্রশংসা গায়।
আমরা যদি সব ছেড়েছুড়ে সারাদিন সারারাত শুধু আল্লাহর প্রশংসা করি, তবু তাঁর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করত পারব না। তিনি রহমানুর রহিম—পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। আমরা সবাই তার নেয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত, তিনিই আমাদের খাবার খাওয়ান, ঘুম পাড়ান।
তার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বে কোনো ঘটনাই ঘটে না, তাঁর অবগতি ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমরা যা কিছুর প্রশংসাই করি না কেন, সকল প্রকার প্রশংসার একমাত্র প্রাপ্য তিনি আল্লাহ।
আল��লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
মহান আল্লাহ তাআলা এই মানুষ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, তাঁর কোন শরীক নেই।
মহান আল্লাহ তা’আলা অনন্য এবং অতুলনীয়।, তাঁর আল্লাহ নামটির মাঝেই সেটি প্রকাশ পায়।
তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর ।
তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্ৰাও নয়।
সমগ্র মানবজাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি ভালোবাসেন।
আল্লাহর দয়ালু দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য
আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
There Is No 'True God'/ 'True Deity' except Allah.
#allahswt#99namesofallah#tawheed#whoisallah#youtube#asmaalhusna#allah'snature#allahmeanings#আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah Is The Only 'True God'/'True Deity'#Allah#God#Deity#Lord#Ilah#Rabb#আল্লাহ#উপাস্য#ইলাহ#রব#মাবুদ#ALLAH#ALLAHSWT#RABB#LORD#ILAH#GOD#DEITY#CREATOR.#আল্লাহকেমন?
0 notes
Text
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহই একমাত্র সত্য উপাস্য
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ কেমন?
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
Attributes of Allah
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;
তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;
তাঁর কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্রসকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্রবিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর
কত সুন্দর এই পৃথিবী, কত রঙিন এই আসমান ও জমিন। ফজরের সময় যখন ঘুম থেকে উঠি, স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমাদের মন জুড়িয়ে যায়।
একটু বাদে যখন সূর্য উঁকি মারে, মিহি আলোয় সব রঙিন হয়ে পড়ে। মোরগ ডাকে, মৌমাছি ফুলে ফুলে খুঁজে বেড়ায় মধু, আর মানুষ বেরিয়ে যায় রোজগারের তালাশে। তারপর সূর্যের যখন তেজ বেড়ে যায়, গাছে গাছে ফুঠে ওঠে শ্যামলিমা—পৃথিবীকে মনে হয় এক সবুজ সাগর, আর আমরা যেন মাছ!
এত সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয় একক—তিনি আল্লাহ। বড়ো পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের যতদূরে চোখ যায়, কিংবা রাতের আকাশে যতটা তারা গুণতে পারি—এসবের বাইরেও আমাদের অদেখা যতকিছু আছে, তার সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তার কুদরতি হাতের ছোঁয়ায় জগৎ পেয়েছে রঙ, মানুষ পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা।
তিনিই আকাশের চোখে লাগিয়েছেন নুরের কাজলকালো সুরমা আর জমিনকে বানিয়েছেন রিজিকের দস্তরখান। এই সৌন্দর্যে যখনই চোখ বুলাই, আপনাআপনিই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে—‘সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনিই কেবল শক্তিমান, আপনি ছাড়া নেই কোনো মাবুদ—উপাসনার উপযোগী।’
তিনি আমাদের রব, তিনিই বিচার দিবসের মালিক। আমরা কেবল তাঁরই এবাদত করি, তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। তার জন্য নামাজ পড়ি, হালাল-হারাম মেনে চলি, আর তাঁরই গুণগান গাই। আসমান-জমিনে এমন অনেক ফেরেশতা আছেন—যারা দিনরাত কেবল আল্লাহর প্রশংসা গায়।
আমরা যদি সব ছেড়েছুড়ে সারাদিন সারারাত শুধু আল্লাহর প্রশংসা করি, তবু তাঁর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করত পারব না। তিনি রহমানুর রহিম—পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। আমরা সবাই তার নেয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত, তিনিই আমাদের খাবার খাওয়ান, ঘুম পাড়ান।
তার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বে কোনো ঘটনাই ঘটে না, তাঁর অবগতি ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমরা যা কিছুর প্রশংসাই করি না কেন, সকল প্রকার প্রশংসার একমাত্র প্রাপ্য তিনি আল্লাহ।
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
মহান আল্লাহ তাআলা এই মানুষ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, তাঁর কোন শরীক নেই।
মহান আল্লাহ তা’আলা অনন্য এবং অতুলনীয়।, তাঁর আল্লাহ নামটির মাঝেই সেটি প্রকাশ পায়।
তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর ।
তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্ৰাও নয়।
সমগ্র মানবজাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি ভালোবাসেন।
আল্লাহর দয়ালু দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য
আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
There Is No 'True God'/ 'True Deity' except Allah.
#asmawassifat#whoisallah#tawheed#allahswt#99namesofallah#allahmeanings#allah'snature#আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah Is The Only 'True God'/'True Deity'#Allah#God#Deity#Lord#Ilah#Rabb#আল্লাহ#উপাস্য#ইলাহ#রব#মাবুদ#ALLAH#ALLAHSWT#RABB#LORD#ILAH#GOD#DEITY#CREATOR.#আল্লাহকেমন?#Youtube
0 notes
Text
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহই একমাত্র সত্য উপাস্য
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ কেমন?
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
Attributes of Allah
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;
তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;
তাঁর কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্রসকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্রবিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব���
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর
কত সুন্দর এই পৃথিবী, কত রঙিন এই আসমান ও জমিন। ফজরের সময় যখন ঘুম থেকে উঠি, স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমাদের মন জুড়িয়ে যায়।
একটু বাদে যখন সূর্য উঁকি মারে, মিহি আলোয় সব রঙিন হয়ে পড়ে। মোরগ ডাকে, মৌমাছি ফুলে ফুলে খুঁজে বেড়ায় মধু, আর মানুষ বেরিয়ে যায় রোজগারের তালাশে। তারপর সূর্যের যখন তেজ বেড়ে যায়, গাছে গাছে ফুঠে ওঠে শ্যামলিমা—পৃথিবীকে মনে হয় এক সবুজ সাগর, আর আমরা যেন মাছ!
এত সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয় একক—তিনি আল্লাহ। বড়ো পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের যতদূরে চোখ যায়, কিংবা রাতের আকাশে যতটা তারা গুণতে পারি—এসবের বাইরেও আমাদের অদেখা যতকিছু আছে, তার সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তার কুদরতি হাতের ছোঁয়ায় জগৎ পেয়েছে রঙ, মানুষ পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা।
তিনিই আকাশের চোখে লাগিয়েছেন নুরের কাজলকালো সুরমা আর জমিনকে বানিয়েছেন রিজিকের দস্তরখান। এই সৌন্দর্যে যখনই চোখ বুলাই, আপনাআপনিই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে—‘সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনিই কেবল শক্তিমান, আপনি ছাড়া নেই কোনো মাবুদ—উপাসনার উপযোগী।’
তিনি আমাদের রব, তিনিই বিচার দিবসের মালিক। আমরা কেবল তাঁরই এবাদত করি, তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। তার জন্য নামাজ পড়ি, হালাল-হারাম মেনে চলি, আর তাঁরই গুণগান গাই। আসমান-জমিনে এমন অনেক ফেরেশতা আছেন—যারা দিনরাত কেবল আল্লাহর প্রশংসা গায়।
আমরা যদি সব ছেড়েছুড়ে সারাদিন সারারাত শুধু আল্লাহর প্রশংসা করি, তবু তাঁর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করত পারব না। তিনি রহমানুর রহিম—পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। আমরা সবাই তার নেয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত, তিনিই আমাদের খাবার খাওয়ান, ঘুম পাড়ান।
তার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বে কোনো ঘটনাই ঘটে না, তাঁর অবগতি ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমরা যা কিছুর প্রশংসাই করি না কেন, সকল প্রকার প্রশংসার একমাত্র প্রাপ্য তিনি আল্লাহ।
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
মহান আল্লাহ তাআলা এই মানুষ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, তাঁর কোন শরীক নেই।
মহান আল্লাহ তা’আলা অনন্য এবং অতুলনীয়।, তাঁর আল্লাহ নামটির মাঝেই সেটি প্রকাশ পায়।
তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর ।
তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্ৰাও নয়।
সমগ্র মানবজাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি ভালোবাসেন।
আল্লাহর দয়ালু দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য
আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
There Is No 'True God'/ 'True Deity' except Allah.
#tawheed#allah'snature#allah'sdefinition#trueGod#whoisallah#Deity#God#আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah Is The Only 'True God'/'True Deity'#Allah#Lord#Ilah#Rabb#আল্লাহ#উপাস্য#ইলাহ#রব#মাবুদ#ALLAH#ALLAHSWT#RABB#LORD#ILAH#GOD#DEITY#CREATOR.#আল্লাহকেমন?#Youtube
0 notes
Text
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহই একমাত্র সত্য উপাস্য
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ কেমন?
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
Attributes of Allah
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;
তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;
তাঁর কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্রসকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্রবিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর
কত সুন্দর এই পৃথিবী, কত রঙিন এই আসমান ও জমিন। ফজরের সময় যখন ঘুম থেকে উঠি, স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমাদের মন জুড়িয়ে যায়।
একটু বাদে যখন সূর্য উঁকি মারে, মিহি আলোয় সব রঙিন হয়ে পড়ে। মোরগ ডাকে, মৌমাছি ফুলে ফুলে খুঁজে বেড়ায় মধু, আর মানুষ বেরিয়ে যায় রোজগারের তালাশে। তারপর সূর্যের যখন তেজ বেড়ে যায়, গাছে গাছে ফুঠে ওঠে শ্যামলিমা—পৃথিবীকে মনে হয় এক সবুজ সাগর, আর আমরা যেন মাছ!
এত সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয় একক—তিনি আল্লাহ। বড়ো পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের যতদূরে চোখ যায়, কিংবা রাতের আকাশে যতটা তারা গুণতে পারি—এসবের বাইরেও আমাদের অদেখা যতকিছু আছে, তার সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তার কুদরতি হাতের ছোঁয়ায় জগৎ পেয়েছে রঙ, মানুষ পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা।
তিনিই আকাশের চোখে লাগিয়েছেন নুরের কাজলকালো সুরমা আর জমিনকে বানিয়েছেন রিজিকের দস্তরখান। এই সৌন্দর্যে যখনই চোখ বুলাই, আপনাআপনিই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে—‘সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনিই কেবল শক্তিমান, আপনি ছাড়া নেই কোনো মাবুদ—উপাসনার উপযোগী।’
তিনি আমাদের রব, তিনিই বিচার দিবসের মালিক। আমরা কেবল তাঁরই এবাদত করি, তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। তার জন্য নামাজ পড়ি, হালাল-হারাম মেনে চলি, আর তাঁরই গুণগান গাই। আসমান-জমিনে এমন অনেক ফেরেশতা আছেন—যারা দিনরাত কেবল আল্লাহর প্রশংসা গায়।
আমরা যদি সব ছেড়েছুড়ে সারাদিন সারারাত শুধু আল্লাহর প্রশংসা করি, তবু তাঁর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করত পারব না। তিনি রহমানুর রহিম—পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। আমরা সবাই তার নেয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত, তিনিই আমাদের খাবার খাওয়ান, ঘুম পাড়ান।
তার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বে কোনো ঘটনাই ঘটে না, তাঁর অবগতি ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমরা যা কিছুর প্রশংসাই করি না কেন, সকল প্রকার প্রশংসার একমাত্র প্রাপ্য তিনি আল্লাহ।
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত ��ছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
মহান আল্লাহ তাআলা এই মানুষ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, তাঁর কোন শরীক নেই।
মহান আল্লাহ তা’আলা অনন্য এবং অতুলনীয়।, তাঁর আল্লাহ নামটির মাঝেই সেটি প্রকাশ পায়।
তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর ।
তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্ৰাও নয়।
সমগ্র মানবজাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি ভালোবাসেন।
আল্লাহর দয়ালু দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য
আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
There Is No 'True God'/ 'True Deity' except Allah.
#allahswt#whoisallah#allah'snature#asmawassifat#allah'sdefinition#allah'snames#আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah Is The Only 'True God'/'True Deity'#Allah#God#Deity#Lord#Ilah#Rabb#আল্লাহ#উপাস্য#ইলাহ#রব#মাবুদ#ALLAH#ALLAHSWT#RABB#LORD#ILAH#GOD#DEITY#CREATOR.#আল্লাহকেমন?#Youtube
0 notes
Link
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
আল্লাহ একমাত্র ‘সত্য মাবুদ’
ঈমানদারের ভালোবাসা ও আকুলতা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা আমাদের প্রতিপালক। আমরা তাঁরই গোলাম। গোলাম হিসেবে আল্লাহর প্রতিটি আদেশ নিষেধ মানতে আমরা বাধ্য। কিন্তু এই আদেশ-নিষেধ ছাড়াও মহান রবের সাথে আমাদের একটা ভালোবাসার সম্পর্ক আছে। এই ভালোবাসা বোধ থেকেই আল্লাহর প্রতি আকুলতা তৈরি হয়, আল্লাহর ইবাদতে আন্তরিকতা আসে। এই কারণেই মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ্র সাক্ষাত করতে এসে বলেছিলেন, "... হে আমার পালনকর্তা, আমি তাড়াতাড়ি তোমার কাছে এলাম, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও।" [সূরা ত্ব- হা, ২০: ৮৪] আল্লাহকে ভালোবাসার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণ করতে হবে। ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার নবী (সা.)-এর অনুসরণ করো; তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ মার্জনা করবেন।’ (আলে ইমরান: ৩১)। ইমানকে ভালোবাসা ও কুফরকে ঘৃণা করতে হবে। (হুজুরাত: ৭)।
#আল্লাহর জন্য ভালোবাসা#LoveforAllah#আল্লাহ#ভালোবাসা#তাওহীদ#আল্লাহ্র একত্ব#তাওহিদ#লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ#ঈমান#মোমিনের ভালোবাসা#ঈমানদারের ভালোবাসা ও আকুলতা আল্লাহর জন্য#আল্লাহ একমাত্র ‘সত্য মাবুদ’
1 note
·
View note
Text
চার ইমামের আকীদাহ
শাইখ সালাহ আল-বুদায়ের এর ভূমিকা: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, য��নি হুকুম করেছেন এবং তা সুদৃঢ় করেছেন। হালাল ও হারাম করেছেন, জানিয়েছেন এবং শিখিয়েছেন। তিনি স্বীয় দীন শিখিয়েছেন ও বুঝিয়েছেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য মাবুদ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। তিনি স্বীয় কিতাব দ্বারা দীনের মূলনীতিগুলো প্রস্তুত করেছেন, যে কিতাব সকল উম্মতের জন্য হিদায়াত। আমি আরো সাক্ষ্য…
View On WordPress
0 notes
Text
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহই একমাত্র সত্য উপাস্য
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ কেমন?
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
Attributes of Allah
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;
তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;
তাঁর কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্রসকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্রবিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর
কত সুন্দর এই পৃথিবী, কত রঙিন এই আসমান ও জমিন। ফজরের সময় যখন ঘুম থেকে উঠি, স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমাদের মন জুড়িয়ে যায়।
একটু বাদে যখন সূর্য উঁকি মারে, মিহি আলোয় সব রঙিন হয়ে পড়ে। মোরগ ডাকে, মৌমাছি ফুলে ফুলে খুঁজে বেড়ায় মধু, আর মানুষ বেরিয়ে যায় রোজগারের তালাশে। তারপর সূর্যের যখন তেজ বেড়ে যায়, গাছে গাছে ফুঠে ওঠে শ্যামলিমা—পৃথিবীকে মনে হয় এক সবুজ সাগর, আর আমরা যেন মাছ!
এত সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয় একক—তিনি আল্লাহ। বড়ো পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের যতদূরে চোখ যায়, কিংবা রাতের আকাশে যতটা তারা গুণতে পারি—এসবের বাইরেও আমাদের অদেখা যতকিছু আছে, তার সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তার কুদরতি হাতের ছোঁয়ায় জগৎ পেয়েছে রঙ, মানুষ পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা।
তিনিই আকাশের চোখে লাগিয়েছেন নুরের কাজলকালো সুরমা আর জমিনকে বানিয়েছেন রিজিকের দস্তরখান। এই সৌন্দর্যে যখনই চোখ বুলাই, আপনাআপনিই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে—‘সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনিই কেবল শক্তিমান, আপনি ছাড়া নেই কোনো মাবুদ—উপাসনার উপযোগী।’
তিনি আমাদের রব, তিনিই বিচার দিবসের মালিক। আমরা কেবল তাঁরই এবাদত করি, তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। তার জন্য নামাজ পড়ি, হালাল-হারাম মেনে চলি, আর তাঁরই গুণগান গাই। আসমান-জমিনে এমন অনেক ফেরেশতা আছেন—যারা দিনরাত কেবল আল্লাহর প্রশংসা গায়।
আমরা যদি সব ছেড়েছুড়ে সারাদিন সারারাত শুধু আল্লাহর প্রশংসা করি, তবু তাঁর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করত পারব না। তিনি রহমানুর রহিম—পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। আমরা সবাই তার নেয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত, তিনিই আমাদের খাবার খাওয়ান, ঘুম পাড়ান।
তার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বে কোনো ঘটনাই ঘটে না, তাঁর অবগতি ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমরা যা কিছুর প্রশংসাই করি না কেন, সকল প্রকার প্রশংসার একমাত্র প্রাপ্য তিনি আল্লাহ।
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
মহান আল্লাহ তাআলা এই মানুষ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, তাঁর কোন শরীক নেই।
মহান আল্লাহ তা’আলা অনন্য এবং অতুলনীয়।, তাঁর আল্লাহ নামটির মাঝেই সেটি প্রকাশ পায়।
তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর ।
তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্ৰাও নয়।
সমগ্র মানবজাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি ভালোবাসেন।
আল্লাহর দয়ালু দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য
আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
There Is No 'True God'/ 'True Deity' except Allah.
#whoisallah#asmawassifat#allah'snature#tawheed#আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah Is The Only 'True God'/'True Deity'#Allah#God#Deity#Lord#Ilah#Rabb#আল্লাহ#উপাস্য#ইলাহ#রব#মাবুদ#ALLAH#ALLAHSWT#RABB#LORD#ILAH#GOD#DEITY#CREATOR.#আল্লাহকেমন?#Youtube
0 notes
Text
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহই একমাত্র সত্য উপাস্য
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ কেমন?
এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা তাওহিদ হলো আল্লাহ্র অবিভাজ্য একত্ব। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে (সকল সৃষ্টির ঊরধে) সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। আল্লাহর নাম ৯৯ এর অধিক। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা। । আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং তাঁর সাথে তুলনীয় কেউ নেই। আমরা কখনই আল্লাহকে বুঝতে পারব না কারণ তাঁর প্রকৃতি আমাদের সীমিত মন জানে না। আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তিনি নিজে সৃষ্ট নন। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
youtube
আল্লাহর বৈশিষ্ট্য
Attributes of Allah
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;
তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;
তাঁর কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্রসকল ক্ষমতা ও সকল রাজত্ব, সুন্দর নাম, পূর্ণ গুণ একমাত্র আল্লাহ্রবিশুদ্ধ ও অবিভাজ্য তাঁরই একত্ব।
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর
কত সুন্দর এই পৃথিবী, কত রঙিন এই আসমান ও জমিন। ফজরের সময় যখন ঘুম থেকে উঠি, স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমাদের মন জুড়িয়ে যায়।
একটু বাদে যখন সূর্য উঁকি মারে, মিহি আলোয় সব রঙিন হয়ে পড়ে। মোরগ ডাকে, মৌমাছি ফুলে ফুলে খুঁজে বেড়ায় মধু, আর মানুষ বেরিয়ে যায় রোজগারের তালাশে। তারপর সূর্যের যখন তেজ বেড়ে যায়, গাছে গাছে ফুঠে ওঠে শ্যামলিমা—পৃথিবীকে মনে হয় এক সবুজ সাগর, আর আমরা যেন মাছ!
এত সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা অদ্বিতীয় একক—তিনি আল্লাহ। বড়ো পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের যতদূরে চোখ যায়, কিংবা রাতের আকাশে যতটা তারা গুণতে পারি—এসবের বাইরেও আমাদের অদেখা যতকিছু আছে, তার সবই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তার কুদরতি হাতের ছোঁয়ায় জগৎ পেয়েছে রঙ, মানুষ পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা।
তিনিই আকাশের চোখে লাগিয়েছেন নুরের কাজলকালো সুরমা আর জমিনকে বানিয়েছেন রিজিকের দস্তরখান। এই সৌন্দর্যে যখনই চোখ বুলাই, আপনাআপনিই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে—‘সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনিই কেবল শক্তিমান, আপনি ছাড়া নেই কোনো মাবুদ—উপাসনার উপযোগী।’
তিনি আমাদের রব, তিনিই বিচার দিবসের মালিক। আমরা কেবল তাঁরই এবাদত করি, তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। তার জন্য নামাজ পড়ি, হালাল-হারাম মেনে চলি, আর তাঁরই গুণগান গাই। আসমান-জমিনে এমন অনেক ফেরেশতা আছেন—যারা দিনরাত কেবল আল্লাহর প্রশংসা গায়।
আমরা যদি সব ছেড়েছুড়ে সারাদিন সারারাত শুধু আল্লাহর প্রশংসা করি, তবু তাঁর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করত পারব না। তিনি রহমানুর রহিম—পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। আমরা সবাই তার নেয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত, তিনিই আমাদের খাবার খাওয়ান, ঘুম পাড়ান।
তার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বে কোনো ঘটনাই ঘটে না, তাঁর অবগতি ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমরা যা কিছুর প্রশংসাই করি না কেন, সকল প্রকার প্রশংসার একমাত্র প্রাপ্য তিনি আল্লাহ।
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই। আল্লাহ তাঁর কর্মে-পরিচালনায়, প্রভুত্ব-কর্তৃত্বে, উপাস্যের যোগ্যতা-অধিকারে এক, অদ্বিতীয় অংশীদারমুক্ত। আল্লাহ তায়ালা আসমানে আরশের ঊরধে সমুন্নত আছেন। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দর নাম 'আসমাউল হুসনা' ও পরিপূর্ণ সিফাত দ্বারা। কোরআন আল্লাহর বাণী। মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত পথ নির্দেশনা।
আল্লাহকে জানা হল সেই স্তম্ভ যেখানে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে আবদ্ধ।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
মহান আল্লাহ তাআলা এই মানুষ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, তাঁর কোন শরীক নেই।
মহান আল্লাহ তা’আলা অনন্য এবং অতুলনীয়।, তাঁর আল্লাহ নামটির মাঝেই সেটি প্রকাশ পায়।
তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর ।
তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্ৰাও নয়।
সমগ্র মানবজাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি ভালোবাসেন।
আল্লাহর দয়ালু দয়ালু এবং ক্ষমাশীল।
মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
আল্লাহ্ কে?
আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য
আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য ইলাহ'/ 'সত্য উপাস্য' নেই।
There Is No 'True God'/ 'True Deity' except Allah.
#allahswt#আল্লাহ একমাত্র সত্য উপাস্য#Allah Is The Only 'True God'/'True Deity'#Allah#God#Deity#Lord#Ilah#Rabb#আল্লাহ#উপাস্য#ইলাহ#রব#মাবুদ#ALLAH#ALLAHSWT#RABB#LORD#ILAH#GOD#DEITY#CREATOR.#আল্লাহকেমন?#Youtube
0 notes
Text
ইসলাম কাকে বলে
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান।
ইসলাম একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা এই: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন 'সত্য মাবুদ' নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫)‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২)‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
ইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইসলাম মূলত কী? এটা কি কোনো ধর্ম, নাকি জীবনবিধান? নাকি কোনো দর্শন বা সংস্কৃতি? ইসলাম আরবি শব্দ। মূল ধাতু ‘সিলমুন’ থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। কোনো কোনো অভিধানকারের মতে, ইসলামের শাব্দিক অর্থ ‘শান্তি’ ও ‘আত্মসমর্পণ’। (হোয়াট ইসলাম ইজ অল অ্যাবাউট, ইয়াসির ক্বাদি, অনুবাদ: আলী আহমদ মাবরুর, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ১১৭) কোনো কোনো অভিধানকার বলেছেন, ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘অনুগত হওয়া’ বা ‘আনুগত্য করা’, ‘মেনে নেওয়া’, ‘বিনম্র হওয়া’, ‘নিরাপত্তা’ এবং ‘সমর্পণ’ ইত্যাদি।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম হলো, ‘তাওহিদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ–তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং একমাত্র তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করা। বিনাদ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসারে জীবন যাপন করা।’
আভিধানিকভাবে ইমানের সম্পর্ক বিশ্বাসের দিকে বা সঙ্গে আর ইসলামের সম্পর্ক কর্মের দিকে বা সঙ্গে। (
আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে আদর্শ ও বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন, তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও অনুসরণ করার নাম ইসলাম
আল্লাহ–পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মরণ জগৎসমূহের মালিকের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম মুসলিম।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
ইসলামের সংজ্ঞা বা পরিচয়
জিব্রাইল (আ.) একবার মানুষের বেশে উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ–তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান মানে রোজা রাখা এবং সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা, এটাই হলো ইসলাম।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তর শুনে জিব্রাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি সত্য বলেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। স্তম্ভগুলো হলো—১. আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ৫. সামর্থ্য হলে হজ পালন করা। (মুসলিম, হাদিস: ১৬)
ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হওয়া একমাত্র মনোনীত ও চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা কবুল বা গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম আল্লাহ–তাআলা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা ধর্ম।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৩)
প্রসিদ্ধ তাফসির–বিশারদ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এই আয়াত পবিত্র কোরআন নাজিলের শেষ দিককার আয়াত। এরপর বিধিবিধান–সম্পর্কিত আর কোনো আয়াত নাজিল হয়নি। আদম (আ.)-এর যুগ থেকে যে সত্য ধর্ম ও আল্লাহর নিয়ামতের অবতরণ ও প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী ��্রত্যেক যুগে প্রত্যেক ভূখণ্ডের অবস্থা অনুযায়ী আদম সন্তানের মধ্যে নিয়ামত বণ্টনের যে ধারা অব্যাহত ছিল, আজ সে নিয়ামত ও ধর্ম পরিপূর্ণ আকারে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর উম্মতকে প্রদান করা হলো।’ (তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফী, অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ৩০৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল হবে না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫)
বস্তুত ইসলাম সব নবী-রাসুলের অভিন্ন ধর্ম। প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সবাই এ ধর্ম বা জীবনবিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোট কথা, আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রচারিত ধর্মে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য ছিল না। তবে প্রত্যেক নবী-রাসুলকে আলাদা বা ভিন্ন শরিয়ত দান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮)
ইব্রাহিম (আ.) সর্বপ্রথম নিজ ধর্মকে ‘ইসলাম’ নামে এবং তাঁর অনুসারীদের ‘উম্মতে মুসলিমা’ নামকরণে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি আগে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
ইসলামই মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। দ্বীনে ফিতরাত বা সহজাত জীবনবিধান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবসুলভ সহজাত প্রকৃতির (ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা আগুনপূজারি বানায়। (বুখারি, হাদিস: ১৩৫৮)
আদম (আ.) থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নবী-রাসুলের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের যে ধারা যুগে যুগে অনুসৃত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে সে ধারার পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনিই সর্বশেষ নবী। আখেরি রাসুল। তারপরে আর কোনো নবী বা রাসুলের আগমন এ ধরাতে ঘটবে না এবং তাঁর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুলের শরিয়ত বা জীবনবিধান রহিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে—কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আনীত দ্বীন তথা জীবনবিধানকে বোঝা হবে।
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
0 notes
Text
ইসলাম কাকে বলে
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান।
ইসলাম একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা এই: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন 'সত্য মাবুদ' নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫)‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২)‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
ইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইসলাম মূলত কী? এটা কি কোনো ধর্ম, নাকি জীবনবিধান? নাকি কোনো দর্শন বা সংস্কৃতি? ইসলাম আরবি শব্দ। মূল ধাতু ‘সিলমুন’ থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। কোনো কোনো অভিধানকারের মতে, ইসলামের শাব্দিক অর্থ ‘শান্তি’ ও ‘আত্মসমর্পণ’। (হোয়াট ইসলাম ইজ অল অ্যাবাউট, ইয়াসির ক্বাদি, অনুবাদ: আলী আহমদ মাবরুর, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ১১৭) কোনো কোনো অভিধানকার বলেছেন, ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘অনুগত হওয়া’ বা ‘আনুগত্য করা’, ‘মেনে নেওয়া’, ‘বিনম্র হওয়া’, ‘নিরাপত্তা’ এবং ‘সমর্পণ’ ইত্যাদি।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম হলো, ‘তাওহিদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ–তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং একমাত্র তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করা। বিনাদ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসারে জীবন যাপন করা।’
আভিধানিকভাবে ইমানের সম্পর্ক বিশ্বাসের দিকে বা সঙ্গে আর ইসলামের সম্পর্ক কর্মের দিকে বা সঙ্গে। (
আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে আদর্শ ও বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন, তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও অনুসরণ করার নাম ইসলাম
আল্লাহ–পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মরণ জগৎসমূহের মালিকের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম মুসলিম।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
ইসলামের সংজ্ঞা বা পরিচয়
জিব্রাইল (আ.) একবার মান���ষের বেশে উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ–তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান মানে রোজা রাখা এবং সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা, এটাই হলো ইসলাম।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তর শুনে জিব্রাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি সত্য বলেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। স্তম্ভগুলো হলো—১. আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ৫. সামর্থ্য হলে হজ পালন করা। (মুসলিম, হাদিস: ১৬)
ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হওয়া একমাত্র মনোনীত ও চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা কবুল বা গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম আল্লাহ–তাআলা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা ধর্ম।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৩)
প্রসিদ্ধ তাফসির–বিশারদ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এই আয়াত পবিত্র কোরআন নাজিলের শেষ দিককার আয়াত। এরপর বিধিবিধান–সম্পর্কিত আর কোনো আয়াত নাজিল হয়নি। আদম (আ.)-এর যুগ থেকে যে সত্য ধর্ম ও আল্লাহর নিয়ামতের অবতরণ ও প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক ভূখণ্ডের অবস্থা অনুযায়ী আদম সন্তানের মধ্যে নিয়ামত বণ্টনের যে ধারা অব্যাহত ছিল, আজ সে নিয়ামত ও ধর্ম পরিপূর্ণ আকারে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর উম্মতকে প্রদান করা হলো।’ (তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফী, অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ৩০৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল হবে না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫)
বস্তুত ইসলাম সব নবী-রাসুলের অভিন্ন ধর্ম। প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সবাই এ ধর্ম বা জীবনবিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোট কথা, আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রচারিত ধর্মে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য ছিল না। তবে প্রত্যেক নবী-রাসুলকে আলাদা বা ভিন্ন শরিয়ত দান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮)
ইব্রাহিম (আ.) সর্বপ্রথম নিজ ধর্মকে ‘ইসলাম’ নামে এবং তাঁর অনুসারীদের ‘উম্মতে মুসলিমা’ নামকরণে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি আগে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
ইসলামই মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। দ্বীনে ফিতরাত বা সহজাত জীবনবিধান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবসুলভ সহজাত প্রকৃতির (ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা আগুনপূজারি বানায়। (বুখারি, হাদিস: ১৩৫৮)
আদম (আ.) থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নবী-রাসুলের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের যে ধারা যুগে যুগে অনুসৃত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে সে ধারার পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনিই সর্বশেষ নবী। আখেরি রাসুল। তারপরে আর কোনো নবী বা রাসুলের আগমন এ ধরাতে ঘটবে না এবং তাঁর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুলের শরিয়ত বা জীবনবিধান রহিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে—কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আনীত দ্বীন তথা জীবনবিধানকে বোঝা হবে।
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
0 notes
Text
ইসলাম কাকে বলে
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান।
ইসলাম একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা এই: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন 'সত্য মাবুদ' নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫)‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২)‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
ইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইসলাম মূলত কী? এটা কি কোনো ধর্ম, নাকি জীবনবিধান? নাকি কোনো দর্শন বা সংস্কৃতি? ইসলাম আরবি শব্দ। মূল ধাতু ‘সিলমুন’ থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। কোনো কোনো অভিধানকারের মতে, ইসলামের শাব্দিক অর্থ ‘শান্তি’ ও ‘আত্মসমর্পণ’। (হোয়াট ইসলাম ইজ অল অ্যাবাউট, ইয়াসির ক্বাদি, অনুবাদ: আলী আহমদ মাবরুর, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ১১৭) কোনো কোনো অভিধানকার বলেছেন, ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘অনুগত হওয়া’ বা ‘আনুগত্য করা’, ‘মেনে নেওয়া’, ‘বিনম্র হওয়া’, ‘নিরাপত্তা’ এবং ‘সমর্পণ’ ইত্যাদি।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম হলো, ‘তাওহিদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ–তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং একমাত্র তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করা। বিনাদ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসারে জীবন যাপন করা।’
আভিধানিকভাবে ইমানের সম্পর্ক বিশ্বাসের দিকে বা সঙ্গে আর ইসলামের সম্পর্ক কর্মের দিকে বা সঙ্গে। (
আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে আদর্শ ও বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন, তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও অনুসরণ করার নাম ইসলাম
আল্লাহ–পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মরণ জগৎসমূহের মালিকের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম মুসলিম।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
ইসলামের সংজ্ঞা বা পরিচয়
জিব্রাইল (আ.) একবার মানুষের বেশে উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ–তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান মানে রোজা রাখা এবং সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা, এটাই হলো ইসলাম।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তর শুনে জিব্রাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি সত্য বলেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। স্তম্ভগুলো হলো—১. আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ৫. সামর্থ্য হলে হজ পালন করা। (মুসলিম, হাদিস: ১৬)
ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হওয়া একমাত্র মনোনীত ও চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা কবুল বা গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম আল্লাহ–তাআলা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা ধর্ম।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৩)
প্রসিদ্ধ তাফসির–বিশারদ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এই আয়াত পবিত্র কোরআন নাজিলের শেষ দিককার আয়াত। এরপর বিধিবিধান–সম্পর্কিত আর কোনো আয়াত নাজিল হয়নি। আদম (আ.)-এর যুগ থেকে যে সত্য ধর্ম ও আল্লাহর নিয়ামতের অবতরণ ও প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক ভূখণ্ডের অবস্থা অনুযায়ী আদম সন্তানের মধ্যে নিয়ামত বণ্টনের যে ধারা অব্যাহত ছিল, আজ সে নিয়ামত ও ধর্ম পরিপূর্ণ আকারে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর উম্মতকে প্রদান করা হলো।’ (তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফী, অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ৩০৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল হবে না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫)
বস্তুত ইসলাম সব নবী-রাসুলের অভিন্ন ধর্ম। প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সবাই এ ধর্ম বা জীবনবিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোট কথা, আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রচারিত ধর্মে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য ছিল না। তবে প্রত্যেক নবী-রাসুলকে আলাদা বা ভিন্ন শরিয়ত দান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮)
ইব্রাহিম (আ.) সর্বপ্রথম নিজ ধর্মকে ‘ইসলাম’ নামে এবং তাঁর অনুসারীদের ‘উম্মতে মুসলিমা’ নামকরণে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি আগে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
ইসলামই মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। দ্বীনে ফিতরাত বা সহজাত জীবনবিধান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবসুলভ সহজাত প্রকৃতির (ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা আগুনপূজারি বানায়। (বুখারি, হাদিস: ১৩৫৮)
আদম (আ.) থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নবী-রাসুলের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের যে ধারা যুগে যুগে অনুসৃত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে সে ধারার পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনিই সর্বশেষ নবী। আখেরি রাসুল। তারপরে আর কোনো নবী বা রাসুলের আগমন এ ধরাতে ঘটবে না এবং তাঁর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুলের শরিয়ত বা জীবনবিধান রহিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে—কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আনীত দ্বীন তথা জীবনবিধানকে বোঝা হবে।
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
0 notes
Text
ইসলাম কাকে বলে
youtube
youtube
youtube
youtube
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান।
ইসলাম একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা এই: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন 'সত্য মাবুদ' নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম হলো তাওহীদ (একত্ববাদ) ও আনুগত্যের সহিত এক আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা এবং শিরক থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?’’ (সূরা নিসাঃ ১২৫)‘‘আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল’’। (সূরা লুকমানঃ ২২)‘‘তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন’’। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
ইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ইসলামের বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইসলাম মূলত কী? এটা কি কোনো ধর্ম, নাকি জীবনবিধান? নাকি কোনো দর্শন বা সংস্কৃতি? ইসলাম আরবি শব্দ। মূল ধাতু ‘সিলমুন’ থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। কোনো কোনো অভিধানকারের মতে, ইসলামের শাব্দিক অর্থ ‘শান্তি’ ও ‘আত্মসমর্পণ’। (হোয়াট ইসলাম ইজ অল অ্যাবাউট, ইয়াসির ক্বাদি, অনুবাদ: আলী আহমদ মাবরুর, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা ১১৭) কোনো কোনো অভিধানকার বলেছেন, ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘অনুগত হওয়া’ বা ‘আনুগত্য করা’, ‘মেনে নেওয়া’, ‘বিনম্র হওয়া’, ‘নিরাপত্তা’ এবং ‘সমর্পণ’ ইত্যাদি।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম হলো, ‘তাওহিদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে আল্লাহ–তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং একমাত্র তাঁর আনুগত্য গ্রহণ করা। বিনাদ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসারে জীবন যাপন করা।’
আভিধানিকভাবে ইমানের সম্পর্ক বিশ্বাসের দিকে বা সঙ্গে আর ইসলামের সম্পর্ক কর্মের দিকে বা সঙ্গে। (
আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে আদর্শ ও বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন, তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও অনুসরণ করার নাম ইসলাম
আল্লাহ–পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মরণ জগৎসমূহের মালিকের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম মুসলিম।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
ইসলামের সংজ্ঞা বা পরিচয়
জিব্রাইল (আ.) একবার মানুষের বেশে উপস্থিত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন! রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ–তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান মানে রোজা রাখা এবং সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা, এটাই হলো ইসলাম।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তর শুনে জিব্রাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি সত্য বলেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। স্তম্ভগুলো হলো—১. আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসে রোজা রাখা এবং ৫. সামর্থ্য হলে হজ পালন করা। (মুসলিম, হাদিস: ১৬)
ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হওয়া একমাত্র মনোনীত ও চূড়ান্ত বা পরিপূর্ণ ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা কবুল বা গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম আল্লাহ–তাআলা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা ধর্ম।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৩)
প্রসিদ্ধ তাফসির–বিশারদ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এই আয়াত পবিত্র কোরআন নাজিলের শেষ দিককার আয়াত। এরপর বিধিবিধান–সম্পর্কিত আর কোনো আয়াত নাজিল হয়নি। আদম (আ.)-এর যুগ থেকে যে সত্য ধর্ম ও আল্লাহর নিয়ামতের অবতরণ ও প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক ভূখণ্ডের অবস্থা অনুযায়ী আদম সন্তানের মধ্যে নিয়ামত বণ্টনের যে ধারা অব্যাহত ছিল, আজ সে নিয়ামত ও ধর্ম পরিপূর্ণ আকারে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর উম্মতকে প্রদান করা হলো।’ (তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফী, অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা ৩০৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল হবে না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫)
বস্তুত ইসলাম সব নবী-রাসুলের অভিন্ন ধর্ম। প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সবাই এ ধর্ম বা জীবনবিধানের দিকে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। মোট কথা, আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রচারিত ধর্মে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য ছিল না। তবে প্রত্যেক নবী-রাসুলকে আলাদা বা ভিন্ন শরিয়ত দান করা হয়ে��িল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ–ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮)
ইব্রাহিম (আ.) সর্বপ্রথম নিজ ধর্মকে ‘ইসলাম’ নামে এবং তাঁর অনুসারীদের ‘উম্মতে মুসলিমা’ নামকরণে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত। তিনি আগে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)
ইসলামই মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। দ্বীনে ফিতরাত বা সহজাত জীবনবিধান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশু স্বভাবসুলভ সহজাত প্রকৃতির (ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা আগুনপূজারি বানায়। (বুখারি, হাদিস: ১৩৫৮)
আদম (আ.) থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নবী-রাসুলের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের যে ধারা যুগে যুগে অনুসৃত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে সে ধারার পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনিই সর্বশেষ নবী। আখেরি রাসুল। তারপরে আর কোনো নবী বা রাসুলের আগমন এ ধরাতে ঘটবে না এবং তাঁর মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নবী-রাসুলের শরিয়ত বা জীবনবিধান রহিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে—কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আনীত দ্বীন তথা জীবনবিধানকে বোঝা হবে।
ইসলাম কাকে বলে
What is Islam?
0 notes
Photo
আল্লাহ একমাত্র ‘সত্য মাবুদ’
আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসাবে অন্তরে, কথায় ও কাজে মেনে নেয়া তাওহীদ। তাওহীদ অর্থ হচ্ছে কোনো কিছুকে একক করা, এক বানানো। সকল ইলাহ বা উপাস্যকে অস্বীকার করে আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসাবে মনেপ্রাণে ও কর্মে মেনে নেয়ার নাম হচ্ছে তাওহীদ। সকল জ্ঞানের মধ্যে সর্বপ্রথম তাওহীদের জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য আবশ্যক। সূরা মুহাম্মাদ-এর ১৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ সবার আগে এ কথা জানতে বলেছেন যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই। তাওহীদের বিশুদ্ধ জ্ঞান ছাড়া কোনো ইবাদাতই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না। https://www.youtube.com/watch?v=XdLa56U7XMU
#Tawheed#তাওহিদ#একেশ্বরবাদ#তাওহীদ#তাওহীদ অর্থ#লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ#আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসাবে অন্তরে কথায় ও কাজে মেনে নেয়া তাওহীদ।#আল্লাহ একমাত্র ‘সত্য মাবুদ’#আল্লাহ#মাবুদ#ইলাহ#উপাস্য
1 note
·
View note
Photo
ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলেন রিভার ক্যাফের বাপ্পীর বিশেষ প্রতিবেদক ॥ নগরীর তরুন ব্যবসায়ী রিভার ক্যাফে চাইনিজ রেস্তোরার মালিক পুলিশ বান্ধব ঠিকাদার বাপ্পী রঞ্জন রায় সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। ঢাকায় নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হলফ নামায় বাপ্পী তার পুরানো নাম পরিবর্তন করে গোলাম মোস্তফা বাপ্পী হিসাবে ঘোষনা করেছেন। হলফ নামায় বাপ্পী উল্লেখ করেন- তার পুরানো নাম বাপ্পী রঞ্জন রায়, পিতা স্বর্গীয় : বিমল কুমার রায়, মাতা: সবিতা রায়, সাং দপ্তর খানা, থানা: বরিশাল সদর, জেলা : বরিশাল। জন্ম তারিখ-০৩-০১-১৯৭৫ ইং। ধর্ম : ইসলাম, পেশা : ব্যবসা, জাতীয়তা: বাংলাদেশী। আমি এই মর্মে হলফ পূর্বক ঘোষনা করছি যে, আমি জন্ম সূত্রে বাংলাদেশের এক জন নাগরিক বটে। আমার জন্ম হয় উপরোক্ত হিন্দু পরিবারে। কিন্ত আমি শিশু কাল থেকেই মুসলিম বন্ধু-বান্ধবের সাথে বড় হওয়া ও মুসলিম পরিবারে যাতায়াতের মাধ্যমে পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করি। আমার মনে প্রানে বিশ^াস জন্মায় পৃথিবীতে ইসলামই হচ্ছে একমাত্র সত্য ধর্ম। সৃষ্ঠি কর্তার প্রদত্ত একমাত্র ধর্ম। তাই আমি পবিত্র ইসলাম ধর্মে মুগ্ধ হইয়া অনেক দিন যাবত ইসলাম ধর্ম গ্রহন করিবার মনস্থির করেছি। কিন্ত পারিবারিক ও আতœীয় স্বজনের চাপে এবং তাদের নির্যাতনের ইসলাম ধর্ম গ্রহন করা সম্ভব হইয়া উঠে নাই। আমি দীর্ঘ দিন পর হলেও পরিবারের সে চাপ ও নির্যাতনের ভয় কে উপেক্ষা করেই ইসলাম ধর্ম গ্রহনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করলাম। সুস্থ্য শরীর ও সুস্থ্য মস্তিকে কারো প্ররোচনা কিংবা ভয় ভীতি ছাড়াই স্বেচ্ছায় বিনা বল প্রয়োগে আমি পবিত্র কালেমা ‘ লা- ই লাহা- ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ ’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ বা প্রভু নাই। তিনিই একমাত্র সৃষ্ঠি কর্তা হযরত মুহম্মদ (সা:) তার প্রেরিত রাসুল। আমি এই পবিত্র কালেমা মুখে পাঠ করিয়া এবং অন্তরে বিশ^াস করিয়া মনে ও হৃদয়ে গ্রোথিত করিয়া সনাতন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করিয়া মা, বাবা, পরিবার ও আতœীয় স্বজন এবং সমাজ ত্যাগ করিয়া আমি মসজিদের একজন ইমাম সাহেবের নিকট উপস্থিত হইয়া ইসলামী শরিয়া মোতাবেক পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহন করিলাম। অদ্য থেকে আমি আমার পুরান নাম বাপ্পী রঞ্জন রায় ত্যাগ করিয়া নতুন মুসলিম নাম মো: গোলাম মোস্তফা বাপ্পী ধারন করিলাম। আমার ইসলাম ধর্ম গ্রহন ও নতুন নাম এ হলফ নামা সম্পাদনের মাধ্যমে প্রচার করিলাম। আজ থেকে আমি একজন মুসলমান। আজ থেকে আমি ইসলাম ধর্মের রীতি নীতি ও বিধান মেনে চলবো। ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে শুরু করলাম। আমার মৃত্যু একজন মুসলমান হিসাবেই হবে।
0 notes