#আন্তর্জাতিক-স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান
Explore tagged Tumblr posts
Text
চীন যেহেতু শূন্য-কোভিড থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সামনে অন্ধকার দিনের সতর্ক করেছেন | সিএনএন
চীন যেহেতু শূন্য-কোভিড থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সামনে অন্ধকার দিনের সতর্ক করেছেন | সিএনএন
সম্পাদকের মন্তব্য: সম্পাদকের দ্রষ্টব্য: এই গল্পটির একটি সংস্করণ সিএনএন এর এদিকে চীনের নিউজলেটারে প্রকাশিত হয়েছে, একটি সপ্তাহে তিনবার-একটি আপডেট যা দেশের উত্থান সম্পর্কে আপনার কী জানা দরকার এবং এটি কীভাবে বিশ্বকে প্রভাবিত করে তা অন্বেষণ করে। এখানে নিবন্ধন করুন. হংকং সিএনএন – চীনের শূন্য-কোভিড নীতি, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে স্থগিত করেছে এবং নজিরবিহীন একটি তরঙ্গ সৃষ্টি করেছে…
View On WordPress
#iab- রোগ এবং শর্ত#iab-চিকিৎসা স্বাস্থ্য#iab-ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধ#iab-ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প#iab-ফুসফুস এবং শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য#iab-ব্যবসা এবং অর্থ#iab-ভ্যাকসিন#iab-রাজনীতি#iab-শিল্প#iab-সংক্রামক রোগ#iab-স্বাস্থ্যসেবা শিল্প#অর্থনীতি এবং বাণিজ্য#আন্তর্জাতিক সতর্কতা#আন্তর্জাতিক-করোনাভাইরাস#আন্তর্জাতিক-স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান#এশিয়া#ঔষধ শিল্প#করোনাভাইরাস#গার্হস্থ্য সতর্কতা#গার্হস্থ্য-স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান#ঘরোয়া-করোনাভাইরাস#চীন#জনসংখ্যা এবং জনসংখ্যা#জনসংখ্যাগত গোষ্ঠী#জনস্বাস্থ্য#জনস্বাস্থ্য প্রশাসন#জীবন গঠন#জ্যেষ্ঠ নাগরিক#টিকা এবং টিকাদান#দেশীয়-আন্তর্জাতিক খবর
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/125182
শিক্ষানুরাগী মানবদরদী মহিয়সী নারী প্রফেসর ড. জয়নাব বেগম
.
জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট: চট্টগ্রামের প্রথম মুসলিম পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জনকারী ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজের বোটানি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জয়নব বেগম নামের একজন বরেণ্য নারী শিক্ষাব���দ, এই গুণী মানুষটির নাম সর্বত্র শ্রদ্ধার সাথে স্ম���ণ যোগ্য । পুরো জীবনটি তিনি শিক্ষা, গবেষণা ও মানবকল্যাণে অতিবাহিত করেন । এখানে সকলের শ্রদ্ধাভাজন গুণী মানুষটির সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনার অবতারণা করছি । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রাক্তন যুগ্ন সচিব প্রফেসর ড. জয়নাব বেগমের নিজ বাড়ি (দাদার বাড়ি) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার খিলমোগল গ্রামে হলেও এই মহীয়সী নারীর জন্ম হয় ১৯৪৪ সালের ৩ই জানুয়ারী চন্দনাইশ উপজেলার, বরমা ইউনিয়নে তাঁর নানার বাড়িতে । তিনি মরহুম মকবুল আহমদ ও বদিয়া বেগম এর জৈষ্ঠ কন্যা । ৬ বোন, ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় । ভাই বোন পরিবারের সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং স্ব-স্ব স্থানে সুপ্রতিষ্ঠিত । তাঁর মা মরহুমা মিসেস বদিয়া বেগম একজন দক্ষ প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা এবং বাবা একজন সরকারী কর্মচারী কর্মকর্তা ছিলেন । অবসর সময়ে পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের সন্তানদের মৌলিক শিক্ষা দান ছিল তাঁর বাবার অদম্য নেশা । ড. জয়নাব বেগম তাই শিক্ষকতাকেই তাঁর পেশা আর নেশা হিসাবে ধরে নিয়েছেন । অপর্ণা চরণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে মেট্রিক পাশ করে আই এস সি তে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন । ১৯৬৩ ইংরেজী বিএসসি ও ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ হতে এম.এস সি (স্নাতকোত্তর) তে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন । ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম কলেজে প্রাণিবিদ্যা বিভাবগে প্রথম কর্মজীবন-অধ্যাপনা শুরু করেন । অই কলেজে তিনি সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি নিয়ে দীর্ঘ ৩২ বছর শিক্ষকতায় নিবেদিত ছিলেন । সহকারী অধ্যাপক থাকাকালীন সময়ে তিনি ১৯৭৪ সালে ফরাসী সরকারের বৃত্তি নিয়ে গবেষণা ও পিএইচডি ডিগ্রীর জন্য ফ্রান্সে গমন করেন । সেখানে তিনি ফ্রান্সের ারপযু শহরে অবস���থিত বিখ্যাত আধুনিক ভাষা কেন্দ্র ঈঅঠওখঅগ (ঈবহঃৎব অঁফরড় ঠরংঁধষ উব খধহমঁধমব গড়ফবৎহবং) হতে ১ বছর ইন্টেনসিভ কোর্সে ফরাসী ভাষায় শিক্ষা লাভ করেন । পরবর্তীতে ক্ল্যারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয় হতে উঊঅ ডিগ্রী (প্রোটিস্টোলজি) লাভ করেন । ১৯৭৮ সালে তিনি এর উপর গবেষাণা করে কৃত্তিতের সঙ্গে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন । দেশে ফিরে তিনি পুনরায় চট্টগ্রাম কলেজে যোগদান করেন এবং সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান হিসেবে ১৯৯৮ ইং পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৭১ ও ১৯৭২ সনে তিনি চট্টগ্রাম সরকারী বালিকা মহা বিদ্যাল্যেও সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ১৯৯৮ ইং পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ও পুনরায় স্বপদে চট্টগ্রাম কলেজে ফিরে আসেন ও ১৯৯৮ পর্যন্ত প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান এর দায়িত্ব পালন করেন । পরবর্তীতে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত কিছু মহিলা অধ্যাপককে ১৯৯৮ ইং তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে যুগ্ন সচিবের একজন হিসাবে ডেপুটেশনে দায়িত্ব নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন । সেখানে তিনি প্রায় ৩বছর যুগ্ন সচিব উন্নয়ন ও প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করেন । ২০০২ ইংরেজীতে তিনি সরকারী কর্মজীবী থেকে অবসর গ্রহণ করেন । আমি চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যায়নকালে এবং পেশাগত জীবনে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই । তিনি আমার ও আমার স্ত্রী পুত্র সন্তানদের সামনে একটি সমুজুল আদর্শ । তাঁর অপার স্নেহ মমতার ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না । তিনি অবসর পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহা পরিচালক, প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবুল ফয়েজ এর নেতৃত্বে ম্যালেরিয়া রিসার্চ গ্রুপের সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ম্যালেরিয়া বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন । এছাড়া জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের সাথে নারী উন্নয়ন নীতিমালা, জেন্ডার টুল কিট প্রণয়ন বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন । বিশ্ব পারিবারিক ভালবাসা আন্দোলন একটি সেবামূলক সংগঠন এবং অটিজম বিষয়ক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে অটিজম সচেতনতা ও ব্যবস্থাপণা বিষয়ে তদারকী করেন । তিনি চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদ – একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক সংগঠন এর প্রতিষ্ঠালগ্ন ১৯৭০ থেকে এই পর্যন্ত সহসভাপতি, সভাপতি প্রফেসর ড. এখলাস উদ্দীন আহমদের সাথেও সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রখ্যাত বিজ্ঞানী মরহুম প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলামের সাথে কাজ করেছেন । তিনি অ্যালিয়স ফ্রসেজ চট্টগ্রাম এর নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন । তিনি ইউনেস্কো এর উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষা উন্নয়নমূলক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন । এছাড়া শিক্ষা প্রশাসনের উপর আয়োজিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন । মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি সমবায় নীতিমালা, পল্লী উন্নয়ন নীতিমালা পরিমার্জন, পরিবর্ধন সহ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সংক্রান্ত, ক্ষুদ্র ঋণ ও দরিদ্র বিমোচন সংক্রান্ত সার্ক এবং ঈওজউঅচ আয়োজিত বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড সফর করে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন । তিনি ইন্টেগ্রেটেড লোকেল কমিউনিটি ডেভেলাপমেন্ট এর উপর বাংলাদেশে সমীক্ষা শেষ করে জাপানে সিমপোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন । তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের আনোয়ারায় ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন (উবাবষড়ঢ়সবহঃ পধৎব ভড়ঁহফধঃরড়হ)এর সুস্বাস্থ্য ইউনিটের স্বাস্থ্য সচেতনতা সপ্তাহিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত । ব্যক্তিগত পর্যায়ে তিনি শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশে ভ্রমণ করেন । বর্তমানে তিনি ঘাসফুল নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঘাসফুল পরান রহমান স্কুলের সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন । শিক্ষকতা তাঁর পেশার সাথে তাঁর প্রাণমন নিবিড়ভাবে মিশে আছে । তাঁর অগণিত ছাত্র-ছাত্রী দেশে ও বিদেশে আইনজীবী, বিচারক, সামরিক, সরকারী, বেসরকারী ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণা সহ বিভিন্ন পেশায় কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানেও করে যাচ্ছেন । প্রত্যেকেই স্বমহিমায় ভাস্বর । ৪ বৎসর যুগ্ন সচিবের দায়িত্ব পালন শেষে ১ দিনের জন্য আগারগাঁওস্থ সরকারী সংগীত কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে ২০০২ সালে চাকরী থেকে অবসর নেন তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবন (কলেজ ও মন্ত্রণালয়) বেশ সুখকর আনন্দময় পরিবেশে অতিবাহিত হয়েছে । অধিকাংশ সময়ে চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যাপনা ও শেষ পর্যায়ে মন্ত্রণালয়ে ৪ বছর সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে কর্মজীবন অতিবাহিত হয় । সব সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যাপক যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন । শত প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে স্ব-অবস্থান ও পারিপার্শ্বকতা অনুযায়ী তিনি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন । সর্বপরি যে কলেজে তিনি তাঁর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেছিলেন সে কলেজেই কর্মজীবনের উলে¬খযোগ্য সময় অতিবাহিত করেছিলেন । নারী হয়েও প্রতিকূল পরিবেশ পরিস্থিতি সব সময় অনুকূলে আনতে সক্ষম হন, তাঁর শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সহকর্মী হিসেবে তাঁর অধ্যাপনা জীবন শুরু হয় । বিষয়টা ছিল তাঁর জন্য সৌভাগ্যের বিষয়, কেননা খুব কম মানুষের এমন সৌভাগ্য হয়ে থাকে । উপযুক্ত মেধা, প্রজ্ঞা ও যোগ্যতার কারণে অধ্যাপনার শেষের দিকে মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক কর্মজীবনেও তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার সম্মুখীন হননি তিনি । শিক্ষা ক্যাডার থেকে এসেও মন্ত্রণালয়ে সহকর্মীদের সর্বাত্নক সহযোগিতা তাঁকে মুগ্ধ করেছিল । পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি সবসময় ব্যক্তি স্বত্যন্ত্রবোধকে অগ্রধিকার দিয়েছেন । সকলের মতামতকে সবসময় গু��ত্ব দি��েছেন । যাতে কর্মক্ষেত্রে নারী হবার কারণে কোন ব্যাপারে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ না হন । প্রফেসর ড. জয়নাব বেগম অবসর পরবর্তীকালে প্রখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী প্রফেসর ডাঃ আবুল ফয়েজের নেতৃত্বে ম্যালেরিয়া রিসার্চ গ্রুপের সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ম্যলেরিয়া বিষয়ক গবেষণা কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন । তিনি অটিজম বিষয়ক সংগঠন ঝঊঐঊজ এর সাথে রয়েছেন । এছাড়াও ১৯৭০ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন । তিনি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও নর্দান ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মরহুম হামিদুল হকের সহধর্মিণী । তিনি বিশ্বাস করেন অধ্যাপনা জীবনের শুরুতেই পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সহকর্মী হওয়া তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠতম পাওয়া । শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মুখামুখি হয়ে ছাত্রী হিসেবে ক্লাশ করা জয়নাব বেগম অল্প দিনের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাণীবিদ্যা বিষয়ে প্রথম শ্রেণীত প্রথম স্থান অর্জন করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে প্রফেসর জয়নাব বেগম হয়ে শিক্ষক হিসেবে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কলেজে যোগদান করেন । তাঁর মতে এটি তাঁর জীবনের সব চেয়ে বড় স্মৃতি । স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, মজার ঘটনা হচ্ছে মাঝে মধ্যে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা কলেজের করিডোরে তাঁকে ছাত্রী মনে করে বকা দিতেন । বিশেষ করে শ্রদ্ধেয় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোজাফফর আহমদ ও প্রফেসর আবদুস সাত্তার সাহেবের অমৃত উপদেশ তাঁর জীবনে পাখা হয়ে দেখা দিয়েছিল । চট্টগ্রাম কলেজের পুরোটা স্মৃতি সবসময় তাঁর চোখে ভাসতে থাকে, বিশেষ করে তাঁর পিতৃতুল্য শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর আবু সুফিয়ান, সবুর স্যার, হাবিবুল বশর স্যার, রাবেয়া আপা, আব্দুল্লাহ আলমতি, শরফুদ্দিন স্যারকে তিনি সর্বদা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তাদের দেয়া আমৃত উপদেশ প্রফেসর জয়নাব বেগম এর জীবনে পাথেয় হয়ে রয়েছে । যা নিয়ে তিনি প্রতিটা দিন অতিবাহিত করেন । তিনি বার্ধক্যে উপনীত হলেও তিনি থেমে যান নি, শারীরিক রোগব্যাধিকে মোকাবেলা করে প্রতিনিয়ত মানবসেবা ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে জীবন অতিবাহিত করছেন । সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গুণী ছাত্র-ছাত্রী বা তাঁর জীবনের অহংকার । তাঁর স্নেহ মমতা আমাদের প্রানিত করে। সবসময় আমাদের অভিবাবকের মত আমাদের দোয়ার ছায়ায় রাখেন , শিক্ষাদিক্ষায় ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তিনি সবসময় আমাদের প্রেরণা হয়ে থাকবেন । তিনি আমার স্ত্রী, কন্যা-পুত্রদের অত্যন্ত ভালবাসেন সৎ উপদেশ দেন । ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নিঃসন্তান হলেও অসংখ্য আত্নীয়-স্বজন ও ছেলে মেয়েদের তিনি নিজের সন্তান রূপে মানুষ করেন। নিঃসন্তান এই শিক্ষকের চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই । এঁদের মধ্যেই তাঁর চিন্তা চেতনার প্রতিফলন ও বেঁচে থাকা । আমি তাঁর সুসাস্থ্য ও হায়াতে তৈয়্যেবার জন্যে মহান আল্লাহ পাক মালিকের শাহী দরবারে মুনাজাত করি। আমিন।
লে��ক: আইনজীবী,কলামিস্ট, মানবাধিকার ও সুশাসন কর্মী।
0 notes
Text
বাঁচার সম্ভাবনাময় যারা শুধু তাদেরই চিকিৎসা দিচ্ছে ইতালি
আন্তর্জাতিকঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরারে প্রদুর্ভাবকে বিশ্ব-মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে এ ভাইসারে মারা গেছে ২৫০ জন। এতে করে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা এক হাজার ২৬৬ জন। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১১ জনে এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭০১ জন। এই পরিস্থিতিতে ১৩ মার্চ, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছে। যদিওবা প্রথম দিকে এই ভাইরাসকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাননি। এদিকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে রেশনিং সিস্টেম চালু করেছে ইতালি, যাদের বাঁচার সম্ভাবনা বেশি কেবল তাদেরই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি শুভ কামাল তার ফেসবুক পোস্টে এমন তথ্য জানান। শুভ কামালের পোস্টটি তুলে ধরা হলো- ‘আজকের পর থেকে এক মাসের জন্য ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করার জন্য বলেছে অফিস থেকে। কারণ এক মাসের জন্য কানেক্টিকাট স্টেটে স্টেট অফ এমার্জেন্সি জারি করেছে, ডাউনটাউনের সব অফিসকে নোটিশ দিয়েছে যাদের বাসা থেকে কাজ করার সুযোগ আছে তাদের যেন সেটা করতে বলে। আমি ভাই আর এক মাস বাসা থেকে বের হবো না। বাজার-টাজার আছে, আমার এক দেড় মাস যাওয়ার কথা। তবে জানিনা অলরেডি ভাইরাস ধরে ফেলেছে কিনা, কারণ করোনার লক্ষণ নাকি ১৪ দিন পরেও প্রকাশ পায়।’ ‘গত দুই দিন ধরে লোকজন দোকানের সামনে বিশাল লম্বা লাইন দিচ্ছে। আমি ৯৯ ভাগ শিওর ছিলাম এই অবস্থা আসতেছে, তাই যেদিন ইতালিতে লকডাউন করেছে সেদিনই বাজার করে ফেলেছি। আপাতত এক মাস আমার বাইরে যাওয়ার কোনো দরকার নেই।’ ‘গত দুইদিন ধরে বেশ আপসেট ছিলাম। আব্বা-আম্মা দু’জনেই নিউজার্সিতে এয়ারপোর্টে চাকরি করেন, দূর থেকে বেশি অস্থির লাগছিল তাদের জন্য। আজকে খবরে দেখলাম সব এয়ারপোর্ট এম্নিতেই খালি, আন্তর্জাতিক বিমান আসা বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের কাজও কমিয়ে দিয়েছে, ��ালকা লাগছে আপাতত।’ ‘আমার ধারণা বাংলাদেশে বসে এই দুশ্চিন্তার ব্যপ্তি কত হতে পারে তা কেউ উপলদ্ধি করতে পারছেন না। এটা মহামারি, ছোটবেলায় সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে যেসব মহামারির কথা পড়েছি তেমন মহামারি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আগের যুগে মানুষ যেমন মহামারির কাছে অসহায় ছিল, এখনো তাই!’ ‘বিলিভ ইট অর নট, আমেরিকায় করোনা টেস্টের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ থেকে যে টেস্টের যন্ত্র দিচ্ছে সেটা আমেরিকা নেয়নি, তারা নাকি নিজে বানাবে! সেটা এখনো পর্যাপ্ত পরিমানে বানানো সম্ভব হয়নি। আসলে ট্রাম্প করোনা ভাইরাসকে গুরুত্বই দিচ্ছিলো না। আমার এক কলিগ এক সপ্তাহ ধরে করোনার টেস্ট করাতে চাচ্ছে সে এখনো পারেনাই। এই ব্যাপারটাও আপসেট করছিল।’ ‘একসঙ্গে এক এলাকায় তিন হাজার জন অসুস্থ হলে তাদের ট্রিটমেন্ট করা কোন দেশেই সম্ভব না। ইতালিতেও এখন রেশনিং সিস্টেমে চলে গেছে, যাদের বাঁচার সম্ভাবনা বেশি কেবল তাদেরই চিকিৎসা দিচ্ছে। যে মানুষকে স্বাভাবিক সময়ে হয়তো চেষ্টা করলে বাঁচানো যেত, এখন তাদের ভেন্টিলেটর খুলে যার বাঁচার সম্ভাবনা একটু বেশি তাকেই দিয়ে দিচ্ছে, সারভাইভাল ফর দ্য ফিটেস্ট! আমি জানি আমেরিকায়ও হাসপাতাল গুলোতে একই নির্দেশ দেয়া আছে, অবস্থা বেশি খারাপ হলে এখানেও তাই করবে!’ ‘আরেক চিন্তা ছিল ইকোনমি নিয়ে। এমন মহামারি নিশ্চিত ভাবেই রিসেশন (ব্যবসায় মন্দা) ডেকে আনবে। রিসেশনে নরমাল দোকানে যারা জব করে তাদের সমস্যা হয়না, কম ঘন্টা করে কাজ পাওয়া গেলেও তাদের বেশির ভাগেরই চাকরি থাকে ঠিকই। কিন্তু রিসেশন হলে অফিসিয়াল চাকরিজীবীদের ধুপধাপ চাকরি চলে যায়। রিসেশনে পড়ে কোম্পানি লে অফ (বরখাস্ত করা) করে দিলে বাসা ভাড়া দিবো কেম্নে এই চিন্তায় তো দুই দিন ঘুমই হয় নাই।’ ‘যাই হোক, দেরিতে হলেও ট্রাম্প ভাই এখন করোনা নিয়ে সিরিয়াস হয়েছেন। আজকে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সী জারি করেছেন। এখন প্রাইভেট কোম্পানিকেও করোনাভাইরাসের টেস্টিং করার পারমিশন দিচ্ছে আস্তে আস্তে। সব এলাকাই আস্তে আস্তে অঘোষিত লকডাউনের (অবরুদ্ধ) দিকে চলে যাচ্ছে, অবস্থা যত খারাপ দিকে যাচ্ছিল তত খারাপ হবেনা এখন আশা করা যাচ্ছে। ইকোনমিতে (অর্থনীতিতে) প্রশাসন দেড় ট্রিলিয়ন ডলার পুশ করছে, যে রিসেশন আসবে ভাবছিলাম সেটা হয়তো তত তীব্রভাবে আসবে না। সব মিলিয়ে আজকে সামান্য একটু হালকা লাগছে।’ ‘ইকোনমি এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে সরকার সুন্দর কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন নিউইয়র্ক স্টেটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যদি ��্রমাণ দেয় করোনাভাইরাস আসায় তার ব্যবসা আগের মত হচ্ছেনা, তাহলে তাদের সরকার থেকে সাহায্য করবে। সব কোম্পানিগুলোকে সরকার অনুরোধ করছে কর্মচারীদের পেমেন্ট (বেতন) যেন বন্ধ না করে, এজন্য নানাখাতে ট্যাক্স মওকুফ করে সরকার কোম্পানিদের সাহায্য করছে।’ ‘সব মিলিয়ে ব্যাপারটা ভয়ের...’ -কেএম Read the full article
0 notes
Text
করোনা: আপনার স্বাস্থ্য এখন আপনার হাতেই
করোনা: আপনার স্বাস্থ্য এখন আপনার হাতেই
অধ্যাপক ড. আমানুল্লাহ ফেরদৌস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বিশিষ্ট স্বাস্থ্য সমাজ বিজ্ঞানী আমার শিক্ষক অধ্যাপক ড. আমানুল্লাহ ফেরদৌস স্যারের ফেসবুক পেজ থেকে কপিকৃত।
একদিনেই সর্বোচ্চ আক্রান্ত প্রায় ৩০০০? ৫২ হাজার ৪৪৫ ছাড়ালো আমাদের মোট আক্রান্তের সংখ্যা! (বলে রাখা ভালো এটি সঠিক সংখ্যা নয়)।
আজকে ৩টি আন্তর্জাতিক গবেষণা রিপোর্ট পড়লাম Nature, Lancet, এবং NEJM থেকে। সংক্ষেপে বলছি…
View On WordPress
0 notes
Text
১৭ মার্চ মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান টেলিভিশন ও সামাজিক মাধ্যমে
New Post has been published on https://is.gd/nyie4z
১৭ মার্চ মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান টেলিভিশন ও সামাজিক মাধ্যমে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদ্যাপন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে মুজিব বর্ষের আয়োজনে। সেই সুবাদে ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় জনসমাগম এড়াতে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে ১৭ মার্চ টেলিভিশন, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক সম্প্রচার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তিনি জানান, পাশাপাশি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের কর্মসূচি থাকবে। এ ছাড়া মুজিব বর্ষের চূড়ান্ত হওয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হবে। এর বাইরে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিবেচনায় বিভিন্ন দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানরাও উদ্বোধনী দিনে থাকছেন না। সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কার্যালয়ে এক সভা শেষে এসব বলেন কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি বলেন, প্যারেড গ্রাউন্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকলেও করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে সেটি হচ্ছে না। সেই আয়োজনের পরিবর্তে টিভি, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুষ্ঠান প্রচার হবে। এ জন্য সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে প্রধান করে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মুজিব বর্ষে বিভিন্ন স্কুল, কলেজেও সীমিত পর্যায়ে অনুষ্ঠান করা হবে। এ ছাড়া মুজিব বর্ষের বছরব্যাপী অনুষ্ঠানেও পুনর্বিন্যাস করা করা হবে। কোন কোন অনুষ্ঠান হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত করা হবে। কামাল চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। সে কারণে মুজিব বর্ষে শুধু অনুষ্ঠান নয়, বরং মানুষের সেবা ও কল্যাণে কাজ করবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোহিদসহ কোনো বিদেশি অতিথিও আসছেন না মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী আয়োজনে। মুজিব বর্ষে বিদেশি অতিথিদের আগমনের বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। প্যারেড গ্রাউন্ডের পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানসূচি নিয়েও সোমবারের সভায় আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে কামাল চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় কমিটির প্রধান শেখ হাসিনাকে দেখিয়ে এই সূচি চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া যেকোনো অনুষ্ঠানেই জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, চিত্রনায়ক আলমগীর, সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ অনেকে।
0 notes
Text
বাংলাদেশ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জব সার্কুলার | Jobs Alert
বাংলাদেশ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জব সার্কুলার | Jobs Alert
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ মূলত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে-সরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় , বেসরকারি(প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি) এবং আন্তর্জাতিক । প্রায় বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি গবেষণা, সাধারণ বিষয়গুলির উপর গড়ে ওঠে। তাছাড়া কৃষি বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, ভেটেরিনারি মেডিসিন এর ক্ষেত্র প্রসার লাভ করছে। বাংলাদেশ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জব সার্কুলার বা চাকরির নিয়োগ…
View On WordPress
#bd job circular#bd job circular 24#bd job circular army 2019#bd job circular ngo 2019#bd job circular today#health a job circular#job circular 2019#job circular all#job circular army#job circular bank#job circular bd#job circular civil#job circular comilla#job circular dhaka#job circular dhaka 2019#job circular download#job circular education#job circular in chittagong#job circular of bangladesh bank#job circular of rajuk#job circular today#jobs bd
0 notes
Text
বাংলাদেশ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জব সার্কুলার private university job circular
বাংলাদেশ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জব সার্কুলার private university job circular
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ মূলত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে-সরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় , বেসরকারি(প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি) এবং আন্তর্জাতিক । প্রায় বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি গবেষণা, সাধারণ বিষয়গুলির উপর গড়ে ওঠে। তাছাড়া কৃষি বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, ভেটেরিনারি মেডিসিন এর ক্ষেত্র প্রসার লাভ করছে। বাংলাদেশ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জব সার্কুলার বা চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি…
View On WordPress
0 notes
Video
youtube
জানুয়ারী ০২, ২০১৯ অনুষ্ঠানের শুরুতেই রয়েছে আন্তর্জাতিক খবরসহ আমাদের ঢাকা এবং কলকাতা সংবাদদাতাদের রিপোর্ট সম্বলিত বিশ্ব সংবাদ, বুধবারের বিশেষ আয়োজন হ্যালো ওয়াশিংটন। আর আমাদের অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে রয়েছে যথারীতি সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বিশ্ব সংবাদ। ভিওএ বাংলা হচ্ছে বাংলাভাষী মানুষের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম। দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞ বেতার সাংবাদিক ও সম্প্রচারকদের শ্রম ও মেধা��় ভিওএ বাংলা যে কেবল সংবাদ পরিবেশন করছে তাই নয়, বরঞ্চ বেতার, টেলিভিশন ও ইন্টারনেটে, সংবাদ, সংবাদভাষ্য ও বিশ্লেষণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার, শিল্প ও বিনোদন, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান, শিক্ষা ও যুবসংবাদ, খেলাধুলোর খবরাখবরসহ প্রতিদিন নানান ধরণের অনুষ্ঠান উপস্থাপন করছে অগণিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে। ভিওএ রেডিও তে প্রচারিত আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন কল ইন শো হ্যালো ওয়াশিংটনে বিশিষ্ট প্যানেলিস্টরা বিভিন্ন সমসাময়িক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের শ্রোতাদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। এনটিভিতে আমাদের সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান হ্যালো আমেরিকাতে আমরা তুলে ধরছি আমেরিকান জীবনের নানান দিক, বাঙালি আমেরিকানদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রম, তেমনি থাকছে বিশিষ্ট গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার। আমাদের অন্যান্য টেলিভিশন অনুষ্ঠানে রয়েছে, এটিএন বাংলা চ্যানেলে সরাসরি আমেরিকা, দেশ টিভিতে ভিওএ সিক্সটি এবং লেটস প্লে পলিটিক্স। বিশ্বব্যাপী ভিওএ'র সংবাদদতাদের পাঠানো বস্তুনিষ্ঠ সর্বসাম্প্রতিক সংবাদ ও প্রতিবেদন ভারত ও বাংলাদেশে বাঙালি শ্রোতাদের জন্য নির্ভরযোগ্য সংবাদের এক নিশ্চিত উৎস। আর সেই সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে অজস্র তথ্য সরবরাহ। মাল্টি-মিডিয়ার এই যুগে ভিওএ বেতারে, টিভিতে, ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যমেই পালন করছে অগ্রনী ভুমিকা। Voice of America BANGLA থেকে সংবাদ, সমসাময়িক ঘটনা, বিশেষ প্রতিবেদন, খেলা-ধুলা আর সংবাদপত্র পর্যালোচনা দেশ - বিদেশ এর তাজা সব খবর জানতে বিবিসি বাংলার পাশেই থাকুন যদি খবর গুলু আপনাদের ভাল লেগে থাকে তা হলে LIKE + SHARE + SUBSCRIBE + COMMENT করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ সবাইকে Video Courtesy: Voice of America BANGLA Fair Use Disclaimer: This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” as described in The Copyright Act 2000 Law No. 28 of the year 2000 of Bangladesh under Chapter 6, Section 36 and Chapter 13 Section 72. According to that law allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use. Disclaimer: This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” Copyright Disclaimer under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use. by Moskat Sharif
0 notes
Text
আইইএ | বলেছে যে চীনকে শক্তি দেওয়ার জন্য বিশ্ব 5 বছরের মধ্যে পর্যাপ্ত নবায়নযোগ্য শক্তি অর্জন করবে সিএনএন ব্যবসা
আইইএ | বলেছে যে চীনকে শক্তি দেওয়ার জন্য বিশ্ব 5 বছরের মধ্যে পর্যাপ্ত নবায়নযোগ্য শক্তি অর্জন করবে সিএনএন ব্যবসা
লন্ডন সিএনএন ব্যবসা – গ্লোবাল পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষমতা গত দুই দশকে যতটা বেড়েছে আগামী পাঁচ বছরে ততটা বৃদ্ধি পাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে এবং জলবায়ু সংকট সরকারগুলিকে বাধ্য করে খাদ জীবাশ্ম জ্বালানী. ক রিপোর্ট মঙ্গলবার প্রকাশিত, ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি স্থাপনে একটি তীক্ষ্ণ ত্বরণের পূর্বাভাস দিয়েছে। এটি এখন সবুজ শক্তি আশা করে 2025 সালের প্রথম দিকে কয়লাকে ছাড়িয়ে…
View On WordPress
#iab-পরিবেশ#iab-বিজ্ঞান#iab-ব্যবসা এবং অর্থ#iab-শক্তি এবং শক্তি শিল্প#iab-শিল্প#অর্থনীতি এবং বাণিজ্য#আন্তর্জাতিক সতর্কতা#আন্তর্জাতিক-স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান#ইউরোপ#এশিয়া#গার্হস্থ্য সতর্কতা#গার্হস্থ্য-স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান#চীন#তেল এবং গ্যাস শিল্প#দেশীয়-আন্তর্জাতিক খবর#নবায়নযোগ্য শক্তি#পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ#পরিবেশবাদ#পূর্ব ইউরোপ#��ূর্ব এশিয়া#ব্যবসা#ব্যবসা এবং শিল্প খাত#ব্র্যান্ড নিরাপত্তা-এনএসএফ অপরাধ#মহাদেশ এবং অঞ্চল#রাশিয়া#শক্তি এবং উপযোগিতা
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/35910
যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ারে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি
রাজধানীর নামকরা হাসপাতাল বারডেম। এই হাসপাতালের উপর চারটি মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার। কোনো ঝুঁকি বিবেচনা না করেই মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে টাওয়ার স্থাপনের অনুমতি দিচ্ছেন ভবন মালিকরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসব টাওয়ারের রেডিয়েশন স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ব্রেন টিউমার ও ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে এসব টাওয়ার বসানোর জন্য নেওয়া হচ্ছে না কোনো ধরনের অনুমতি। শুধু ভবন মালিকের সঙ্গে চুক্তি করেই টাওয়ারগুলো বসানো হচ্ছে। টাওয়ারের কারণে সংশ্লিষ্ট ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
রেডিওলজিস্ট ও ক্যান্সার হাসপাতালের ক্যান্সার এপিডিমিয়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন ইত্তেফাককে বলেন, যে কোনো ধরনের রেডিয়েশনই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এটি দৃশ্যমান নয়। আজকে যে রেডিয়েশনের শিকার ��চ্ছে, কয়েক বছর পর এর প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, রেডিয়েশনের কারণে ব্রেন টিউমার হচ্ছে। যেটা অবশ্যই আশঙ্কার। বাংলাদেশে বিভিন্ন ভবনের ছাদে ৬টি মোবাইল ফোন অপারেটরের এ ধরনের ৪০ হাজার ৭০০টি টাওয়ার রয়েছে। এসব টাওয়ার থেকে কি পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা ছড়াচ্ছে তার কোনো হিসাব নেই। এসব টাওয়ারের মধ্যে গ্রামীণফোনের ১২ হাজার, বাংলালিংকের ৯ হাজার, রবির সাড়ে ৮ হাজার, এয়ারটেলের ৬ হাজার, টেলিটকের ৩ হাজার ৭০০ এবং সিটিসেলের দেড় হাজার। টাওয়ারগুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন ভবনের ছাদে বসানো।
জানা গেছে, টাওয়ার ব্যবস্থাপনার একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। এই নীতিমালা বিটিআরসি থেকে মন্ত্রণালয়, আর মন্ত্রণালয় থেকে বিটিআরসির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। অথচ তা আলোর মুখ দেখছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাইডলাইনটা চূড়ান্ত হয়ে গেলে টাওয়ার ব্যবস্থাপনা তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে দেওয়া যেত। তখন অনেক অযাচিত টাওয়ার খুলে ফেলাও সম্ভব হতো। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দেশের সব গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য বর্তমানে যত সংখ্যক টাওয়ার আছে এর এক তৃতীয়াংশ টাওয়ার হলেই যথেষ্ট।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে কার্বন ফাইবার টাওয়ার স্থাপন করেছে একটি টাওয়ার কোম্পানি। সেটি পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে তারা দাবি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উন্নত বিশ্বে আবাসিক এলাকা থেকে যথাসম্ভব দূরে মোবাইল ফোনের টাওয়ার স্থাপন করা হয়। এ ধরনের টাওয়ার নবজাতক ও প্রসূতির জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর। শিশুর প্রতি অবহেলা কার্যত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের নির্দেশক। বাংলাদেশে শিশুর প্রতি সহিংসতার বাইরেও শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের বৈশ্বিক পুষ্টি প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২২ শতাংশ নবজাতক কম ওজন নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। দেশের পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি পাঁচ শিশুর দু’টি খর্বাকৃতি। মোবাইল ফোন টাওয়ারের রেডিয়েশনের কারণেই এমনটি হচ্ছে কি-না তা গবেষণার কথা বলেছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকা উত্ত�� সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ইত্তেফাককে বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন ভবনের ছাদে মোবাইল ফোন কোম্পানির যে টাওয়ার বসানো আছে, তার জন্য আমাদের কাছ থেকে তারা কোনো অনুমতি নেয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমরা নতুন করে ভাবছি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ইত্তেফাককে বলেন, ‘ভবনের ছাদে বসানো টাওয়ারে কর দেওয়ার একটা নীতিমালা আছে। অথচ মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার বসাতে আমাদের কাছ থেকে কেউ অনুমতি নেয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি; কিছু একটা করা যায় কি-না।’
শুধু বারডেম হাসপাতাল নয়, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু ওয়ার্ডের ছাদেও বসানো হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি মোবাইল টাওয়ার। অথচ এ সব টাওয়ার থেকে উচ্চমাত্রার রেডিয়েশন হয়। যা নবজাতক ও শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। টাওয়ার পর্যবেক্ষণ ও সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ছাদে যেসব ভারী যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে, তাতে যে কোনো সময় ছাদের ওই অংশ ভেঙে পড়তে পারে। রাজধানীর আজিমপুরে একটি নামকরা স্কুলের ছাদে বসানো ৫টি টাওয়ার খুলে ফেলার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে বারবার অনুরোধ করছে। কিন্তু এ দিকে তারা ভ্রুক্ষেপই করছে না। সবাই মাসিক চার্জ বাড়িয়ে দিতে চায়, কিন্তু খুলে ফেলতে কেউ রাজি নন। ওই স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য ইত্তেফাককে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তারা খুলে না নিলে আমরাই টাওয়ারগুলো খুলে ফেলব।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইলের রেডিয়েশনের ফলে দেশের অগণিত শিশু নানা মানসিক প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত হচ্ছে। সমস্যার আর একটি দিক হলো, আমরা যখন ফোনে কথা বলি না, তখনও ওই বিকিরণ আমাদের ক্ষতি করে চলে। মোবাইল অন থাকলেই তাতে তড়িত্চুম্বকীয় তরঙ্গ আসতে থাকে টাওয়ার থেকে। কানে ফোন নিয়ে কথা বলার সময় সেটি মস্তিষ্কের একেবারে কাছে চলে আসে। বিকিরণ প্রবাহিত হতে থাকে শরীরের মধ্যদিয়ে।
আন্তর্জাতিক ক্যান্সার রিসার্চ সংস্থার মতে, অতিমাত্রায় রেডিয়েশনের কারণে ব্রেইন ক্যান্সার হতে পারে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর মতে, অতিমাত্রায় মোবাইল ব্যবহারে শরীরের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘক্ষণ কথা বলার কারণে কানের সমস্যা, কানে ঝিমঝিম করা, কানের ভিতরে ব্যথা, ব্রেইনের নিউরনের ক্ষতি, ব্রেনের কোষ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। মোবাইল টাওয়ার রেডিয়েশনের কারণে মানুষের টিউমার, আলঝেইমার, ব্রেইন টিউমার, ক্যান্সার, বন্ধ্যাত্ব, নিদ্রাহীনতা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও গর্ভপাতসহ বিভিন্ন রোগ অতিত্রায় বেড়ে গেছে।
সম্প্রতি ভারতে মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকর দিক বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে বিচ্ছুরিত তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণের জন্য চড়ুই, মৌমাছি, ব্যাঙ, বাদুড় চামচিকা, শালিক, টুনটুনি, ময়না, টিয়া প্রভৃতি অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বিজ্ঞানিরা দাবি করেছেন। বিকিরণের জন্য বদলে যাচ্ছে পশু-পাখি-পতঙ্গকুলের আচরণ। সাথে সাথে তাদের প্রজননেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
গেল বছর পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে গবেষকরা মোবাইল ফোন সৃষ্ট রেডিয়েশনের ভয়াবহতা তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়— তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণ লিউকোমিয়া, ব্রেইন ক্যান্সার, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও অন্যান্য মারাত্মক রোগের জন্য বহুলাংশে দায়ী। যারা পেশার তাগিদে শক্তিশালী তড়িত্ চৌম্বকীয় বিকিরণের মধ্যে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তারা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক
0 notes
Text
ঢাবি’র ৬৩ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের তালিকা প্রকাশ
শিক্ষাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে প্রশ্নফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ৬৩ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতিসহ অবৈধ উপায়ে ভর্তি হওয়ার অভিযোগে ওই ৬৩ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট অনুষদ এবং হলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলা অনুষদের ডিন ও খ ইউনিটের ভর্তি কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা পেয়েছি।’ এর আগে গতকাল সোমবার স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত ৬৩ শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় প্রকাশে আল্টিমেটাম দেয় ডাকসু। আজ মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হলো। জালিয়াতি করে ভর্তির কারণে বহিষ্কার করা শিক্ষার্থীরা হলেন- আব্দুল ওয়াহিদ (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৫-১৬), ইছাহাক আলী (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৫-১৬), আনিকা বৃষ্টি (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৬-১৭), ফিওনা মৌমি (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৬-১৭), সালমান এফ রহমান হৃদয় (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-২০১৫-১৬), ইসরাত জাহান ছন্দা (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-২০১৬-১৭), রাকিবুল হাসান (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-২০১৫-১৬), সৌভিক সরকার (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-২০১৫-১৬), মেহেদী হাসান (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৫-১৬), হাসিবুর রশিদ (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৫-১৬), মারুফ হাসান খান (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৫-১৬), সাফায়েত নূর সাইয়ারা রোশিন (আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ২০১৬-১৭), রাফসান কবির (ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউট ২০১৬-১৭), জুনায়েদ সাকিব (পরিসংখ্যান বিভাগ ২০১৪-১৫), মোস্তাফিজ উর রহমান (তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল পূর্বতন বিভাগ, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ই���্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০১৩-২০১৪), শরমিলা আক্তার আশা (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০১৬-১৭), লাভলুর রহমান লাভলু (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০১৫-১৬), জাকিয়া সুলতানা (রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০১৬-১৭), সামিয়া সুলতানা (অর্থনীতি ২০১৬-১৭), সিনথিয়া আহমেদ (অর্থনীতি ২০১৬-১৭), জান্নাত সুলতানা (অর্থনীতি ২০১৬-১৭), আশরাফুল ইসলাম আরিফ (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ২০১৬-১৭), আমরিন ইসলাম জুটি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ২০১৫-১৬), মেহেজাবিন অনন্যা (টেল���ভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ২০১৬-১৭), আফসানা নওরিন ঋতু (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ২০১৬-১৭), ফাতেমা আক্তার তামান্না (ইতিহাস বিভাগ, ২০১৭-১৮), এম ফাইজার নাঈম (বাংলা, ২০১৫-২০১৬), জিয়াউল ইসলাম (বাংলা, ২০১৬-১৭), তাজুল ইসলাম সম্রাট (ইসলামিক স্টাডিজ, ২০১৬-২০১৭), নুরুল্লাহ (ইসলামিক স্টাডিজ, ২০১৬-২০১৭), মো. মাসুদ রানা (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ২০১৫-১৬), ফাতেমা তুজ জোহরা (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ২০১৬-১৭), মো শাবিরুল ইসলাম (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি , ২০১৫-২০১৬), ইফতেখারুল আলম জিসান (ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ২০১৭-১৮), নাফিসা তাসনিম বিন্তী (ফারসি ভাষা ওসাহিত্য বিভাগ, ২০১৬-১৭), শাশ্বত কুমর ঘোষ (বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ, ২০১২-১৩), মো. তৌহিদুল হাসান আকাশ (তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল, ২০১৬-১৭), শেখ জাহিদ বিন হোসেন ইমন (ফিন্যান্স বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো মোহাযামেনুল ইসলাম (ফার্মেসি,২০১২-১৩), মো. সাইদুর রহমান (ফার্মেসি, ২০১৬-১৭), আব্দুর রহমান (ফার্মেসি-বি.ফার্ম, ২০১৭-২০১৮), সুবহা লিয়ানা তালুকদার (আইন, ২০১৬-১৭), আজলান শাহ ফাহাদ (আইন, ২০১৭-১৮), বেলাল হোসেন (মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৩-১৪), মোরশেদা আক্তার (মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৬-১৭), তানজিনা সুলতানা ইভা (মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো. মাসুদ রানা (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৬-১৭), মো. মোহাইমিনুল রায়হান ফারুক (স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট, ২০১৬-১৭), আবুল কালাম আজাদ (পদার্থ বিজ্ঞান, ২০১৪-২০১৫), জেরিন হোসাইন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ২০১৬-১৭), আবির হাসান হৃদয় (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ২০১৬-১৭), নওশীন আফরিন মিথিলা (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ২০১৭-১৮), আল আমিন পৃথক (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো. শাদমান শাহ (টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগ, ২০১৬-১৭), শিহাব হাসান খান (সংস্কৃত বিভাগ, ২০১৫-১৬), সাদিয়া সুলতানা (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ২০১৬-১৭), সাদিয়া সিগমা (বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো. আবু মাসুম (যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ২০১৫-১৬), শাহাৎ আল ফেরদৌস ফাহিম (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো. আশেক মাহমুদ জয় (ফিন্যান্স বিভাগ, ২০১৬-১৭), মাহবুব আলম সিদ্দিকী সম্রাট (মার্কেটিং বিভাগ, ২০১৭-১৮), সালমান হাবীব আকাশ (আইন বিভাগ, ২০১৬-১৭), মো. মশিউর রহমান (মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৩-১৪)। -কেএম Read the full article
0 notes
Photo
শিশুদের ফাস্টফুড থেকে দূরে রাখুন ফাস্টফুডের প্রতি ঝুঁকছে শিশুরা। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ছোট্ট সোনামণিদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি। অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যাচ্ছে অনেক শিশু। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের শারীরিক গঠন। নিয়মিত এসব খাবার খেলে স্থুলতার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কের সমস্যা, হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে শিশুদের। এমনই তথ্য উঠে এসেছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণা থেকে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের থোরাস্ক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারবার ফাস্টফুড খা�� এমন শিশুদের মধ্যে স্থুলতা, বিভিন্ন চর্মরোগ, একজিমা ও অ্যাজমা এবং নাক-কানের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ গবেষণাটি পরিচালনা করা হয় বিশ্বের ৩১টি দেশের ছয় থেকে সাত বছর বয়সী এক লাখ ৮১ হাজার শিশু এবং ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৫১টি দেশের কিশোর-কিশোরীদের ওপর। গবেষণায় দেখা যায়, ফাস্টফুডে অভ্যস্ত শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিভিন্ন অসংক্রমিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। আমাদের দেশে, বিশেষ করে ঢাকা শহরের প্রতিটি স্কুল-কলেজের আশেপাশেই রয়েছে অসংখ্য ফাস্টফুডের দোকান। ফলে এসব মুখরোচক খাবারের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে শিশুরা। কিন্তু এসব ফাস্টফুড খাবারের মোড়কে উল্লেখ করা থাকেনা ক্যালরির পরিমাণ। তাই না বুঝেই অতিরিক্ত ক্যালরি সমৃদ্ধ এসব খাবার গ্রহণের ফলে শিশুদের মধ্যে স্থুলতা বা অল্প বয়সে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে স্থুলতা নিয়ে জরিপ করে আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি)। ‘শিশু-কিশোরদের মধ্যে স্থুলতার প্রকোপ এবং শারীরিক সক্রিয়তার ধরন’ শীর্ষক এ জরিপে দেখা যায়, দেশের শহরাঞ্চলের ১৪ শতাংশ শিশু অতিরিক্ত ওজন ও স্থুলতায় ভুগছে। আর ঢাকায় এ সংখ্যা ২১ শতাংশ। এ গবেষণায় দেশের ৭টি সিটি করপোরেশনের ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৪ হাজার ১০০ শিশুর ওপর জরিপ চালানো হয়। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অংশ নেয়া ৯৮ শতাংশ শিশু সপ্তাহে কমপক্ষে চারবার শর্করা সমৃদ্ধ খাবার ভাত বা রুটি খেয়েছে। কিন্তু প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও আয়োডিন যে পরিমাণে খাওয়া দরকার, তা খাচ্ছে না। এ জরিপে আরো উঠে আসে, শিশুদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ ভাগ ডুবো তেলে ভাজা সিঙ্গারা, সমুচা, চপ ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকে। আর কমপক্ষে ২০ ভাগ শিশু খেয়েছে পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার, চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি। এসব খাবারই শিশুদের স্থুলতা বা মুটিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করা হয় এ গবেষণায়। এ বিষয়ে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া মানবজমিন’কে বলেন, জাঙ্কফুড বা ফাস্টফুড শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। জাঙ্কফুড বলতে সাধারণত সিঙ্গারা, সমুচা, চপ ইত্যাদিকে বোঝানো হয়। এসব খাবার মূলত ডুবো তেলে ভাজা হয়। আর বেশিরভাগ দোকানেই একই তেল বারবার ব্যবহার করতে দেখা যায়। অতিরিক্ত জাল দেয়ার ফলে এ তেল একসময় বিষাক্ত হয়ে পড়ে। আর তখন ওই তেলে ভাজা খাবার খেলে সেখান থেকে তৈরি হয় ট্রান্সফ্যাট। আর এ ট্রান্সফ্যাট থেকেই শিশুদের মধ্যে স্থুলতা বা ওজন বৃদ্ধির ব্যাপারটি আসে। অন্যদিকে রয়েছে পিৎজা, বার্গার, স্যান্��উইচ ইত্যাদি প্রসেসড (প্রক্রিয়াজাত) খাবার। এসব খাবার থেকে যে পরিমাণ ক্যালরি শিশুদের শরীরে জমা হয়, সে পরিমাণ ক্যালরি বার্ন করার মতো পরিশ্রম করার সুযোগ তাদের থাকেনা। ফলে তাদের রক্তে বা লিভারে জমা হয় অতিরিক্ত চর্বি। তবে হোমমেড (বাসায় তৈরিকৃত) খাবারে শিশুদেরকে অভ্যস্ত করা গেলে সেটি একটি সমাধান হতে পারে বলে জানান এ পুষ্টিবিদ। তিনি আরো বলেন, ফাস্টফুড থেকে শিশুদের স্থুলতা বা ওজনবৃদ্ধির ব���ষয়টি শুধুমাত্র শারীরিক সমস্যাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনা। একপর্যায়ে এটি ভুক্তভোগীর মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটি শিশু যখন তার শারীরিক গঠনের কারণে নিজেকে সমাজ থেকে আড়াল করার চেষ্টা করে, তখন তার মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়। এ হতাশা থেকে তৈরি হয় ইনসমনিয়া। আর ইনসমনিয়ার ফলে যখন রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তখন সমস্যা আরো প্রকট হয়। এরকম পরিস্থিতিতে শিশু-কিশোররা মাদকাসক্ত পর্যন্ত হতে পারে। রাজধানীর ধানমন্ডি টিউটোরিয়াল নামক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, সকালে যখন বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে আসি, ঘুম থেকে উঠে সে কিছুই খেতে চায়না। বেশিরভাগ সময় বাসা থেকে নুডলস বা নাগেট বানিয়ে নিয়ে আসি। তবে স্কুল ছুটির পরে বাচ্চা প্রায়ই জেদ ধরে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার। একরকম বাধ্য হয়েই তখন ফাস্টফুড কিনে দিতে হয়। সম্প্রতি কানাডা সরকার সেখানকার স্কুলগুলোতে ফাস্টফুড নিষিদ্ধ করেছে। সিটিভি নিউজে প্রকাশিত ‘ব্যান অন জাঙ্কফুড’ শিরোনামে কানাডিয়ান গবেষকদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড খেলে শিশুদের মধ্যে চঞ্চলতা ও আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়। আর এসব শিশুদের হতাশায় ভোগার মাত্রা অন্যদের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। এসব খাবার মস্তিষ্কের জন্যও ক্ষতিকর। যা শিশুদের পড়াশুনায়ও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাস্টফুড কালচার থেকে শিশুদেরকে বের করে আনতে আরো সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের। অতিমাত্রায় ফাস্টফুড আর প্রযুক্তি নির্ভর না হয়ে, শিশুরা যেন সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে সামাজিক হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সেদিকেই নজর দিতে হবে। শিশুদের খাদ্যাভাসে আনতে হবে পরিবর্তন। কৃত্রিম খাবারকে না বলে, ঝুঁকতে হবে পুষ্টিকর খাবারের দিকে।
0 notes
Photo
অপরাধদিনাজপুর হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে উটপাখি’র খামার! শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে: দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে উটপাখি পালন কার্যক্রম। ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদে বিকল্প প্রাণিজ আমিষের উৎস নিয়ে গবেষণায় এই উটপাখি পালন হচ্ছে। বিকল্প প্রাণিজ আমিষের উৎস নিয়ে ��্রথম পর্যায়ে খরগোশ নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু হয়। পরে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় খরগোশের উৎপাদনসহ অনান্য বিষয়ে ভালো ফল পাওয়ার পর শুরু হয় উটপাখি নিয়ে গবেষণা। সম্প্রতি উড়তে না পারা এই পাখির খামার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার জনপ্রিয় ও দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ছাড়াও বাইরে থেকে অনেক দর্শনার্থী আসছেন উটপাখি দেখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের অডিটোরিয়াম-২ এর পাশে গড়ে তোলা হয়েছে এই খামার। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের জেনেটিক্স অ্যান্ড এ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে উটপাখির গবেষণা করছেন ১ জন পিএইচডির ছাত্র, দু’জন মাস্টার্সের ছাত্র ও দু’জন অনার্সের ছাত্র। আর তাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন দু’জন শিক্ষক। গবেষণারত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় ৮টি উটপাখির বাচ্চা। বর্তমানে আছে ৭টি। তাদের গড় ওজন প্রায় ৭৫-৮৫ কেজি। উটপাখি সাধারণত ২-৪ বছর বয়সে প্রজননক্ষম হয়। তারা আরো জানায়, উটপাখির চামড়া মূল্যবান এব�� এদের মাংস আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত উপাদেয় খাদ্য হিসাবে বিবেচিত। একটি প্রাপ্ত বয়স্ক উটপাখির ওজন ৬০ থেকে ১৫০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া অন্যান্য প্রাণির মাংসের তুলনায় উটপাখির মাংসে চর্বির পরিমাণ ৩ শতাংশের কম ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ বেশি থাকায় স্বাস্থ্য সচেতন লোকজন উটপাখির মাংস গ্রহণে আগ্রহী। এই গবেষণার পিএইডির ছাত্র মো.সজল বলেন, ‘সত্যি এটা অনেক ভালো একটা প্রজেক্ট। তবে আমাদের জায়গা খুব কম হয়ে গেছে। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে এরা বিচরণ করতে পারে না।’ ডিভিএম (ডাক্তার অব ভেটেরিনারি মেডিসিন) শেষ করা ছাত্র ডা. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘উটপাখি নিয়ে পড়াশুনা করেছি, এখন প্রতিদিন সামনে থেকে দেখে ওদের জীবনযাপন লক্ষ করছি। এখানে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে সারাদেশ উঠপাখির খামার হবে ভাবতেই ভালো লাগছে।’ গবেষণারত মাস্টার্সের ছাত্র ডা. মো. সাব্বির হোসেন বলেন, ‘পাখির প্রজননের সঙ্গে খাদ্যের সম্পূরক বিষয়টা নিয়ে আমি গবেষণা করেছি। বেশ ভাল ফল পেয়েছি।’ এগ্রিকালচার অ্যান্ড এগ্রিবিজনেশ বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী রাবেয়া খাতুন রুবী বলেন, ‘ছোট বেলায় চিড়িয়াখানায় কয়েকটি উটপাখি দেখে যে আনন্দ পেতাম আর এখন এতগুলো উটপাখি দেখে সে আনন্দটা কয়েক গুন বেড়ে গেছে। এতো কাছ থেকে তাদের খাওয়া ও চলাফেরা দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।’ এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের চেয়ারম্যান, সাবেক ডিন ও ��ই প্রকল্পের সিও অধ্যাপক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আরও ফান্ডের ব্যবস্থা করলে ব্যাপকভাবে গবেষণার কাজ করা যাবে।’ প্রধান গবেষক ও জেনেটিক্স অ্যান্ড এনিমেল ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল গাফফার মিয়া বলেন, ‘উটপাখি নিয়ে গবেষণায় আমরা আশাবাদী। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় তাদের বৃদ্ধি ঠিকই আছে। বাণিজ্যিকভাবে উটপাখির খামার আমাদের দেশে লাভজনক হবে। এগুলো ডিম দেওয়া শুরু করলে আমরা বাচ্চা উৎপাদনে মনোনিবেশ করতে পারবো।’ হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.মু.আবুল কাশেম বলেন, ‘এই উঠপাখির খামার বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বাড়িয়েছে। সামনে এই প্রকল্পের মেয়াদ আমরা বাড়াতে চেষ্টা করব। এতে আরো লাভবান হবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।’
0 notes
Photo
ইবিতে স্বাস্থ্য ও উন্নয়নে পুষ্টির গুরুত্ব শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)-তে আজ (৬ মে) শনিবার বেলা ১১টায় ‘স্বাস্থ্য ও উন্নয়নে পুষ্টির গুরুত্ব’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে হেকেপ এর সহযোগীতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন। বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুর রউফের সঞ্চালনায় সভাপতি প্রফেসর ড. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শামসুল আলম। কনফারেন্সে প্রধান আলোচক হিসেবে চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির প্রফেসর ড. নূরুল আবছার এবং জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের প্রফেসর মিৎসুরু ওকুওকি। প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের দিকে এ ব্যাপারে আমাদের নজর দেয়া দরকার। কারণ আমাদের শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। পুষ্টি সচেতনতার অভাবে আমাদের শিশুরা যদি অপুষ্টিতে ভোগে সেটি আমাদের জন্য আত্মঘাতী হবে। তিনি আরো বলেন, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মানে অত্যধিক খাবার গ্রহণ নয়। শারীরিক প্রয়োজন অনুসারে খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন কমিটির আহবায়ক এবং ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুস সামাদ। এসময় সেমিনারে বিভাগের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
0 notes
Photo
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি জোরদারে ঢাকা ও দিল্লীর অঙ্গীকার নয়াদিল্লী, ৮ এপ্রিল, ২০১৭ (টিবিটি) : বাংলাদেশ ও ভারত আজ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি জোরদারের পাশাপাশি অপরাধ কার্যক্রম মুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ সীমান্ত গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠককালে তারা এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পাশাপাশি অপরাধ কার্যক্রম মুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ সীমান্ত গড়ে তোলার ব্যাপারে উভয়ই অঙ্গীকারাবদ্ধ। তিনি বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী তিস্তার মতো অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পদ্মা-গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প এবং আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকা ভিত্তিক ব্যবস্থাপনাসহ পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে আলোচনা করেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি দ্রুততার সাথে এসব ইস্যুর সমাধানে আমরা ভারতের সমর্থন পাবো।’ তিনি বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় চমৎকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাদের এই বৈঠককে ফলপ্রসু হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, ‘পারস্পরিক উদ্বেগ ও অগ্রাধিকারের ব্যাপারে আমাদের বোঝাপড়া আরো এগিয়ে নিতে আমাদের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের সকল দিক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ এবং বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অমূল্য অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, এ জন্য ‘আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’ তিনি বলেন, তাঁর বর্তমান দিল্লী সফরকালে ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী শহীদ সদস্যদের সম্মান জানাতে পেরে তিনি আনন্দিত। একাত্তরের গণহত্যার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় নয়াদিল্লী সমর্থন দিতে সম্মত হওয়ায় তিনি এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি একমত হয়েছেন যে, এ দুটি দেশের উন্নয়নে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘কাজেই আমরা খুলনা-কলকাতা রুটে নতুন যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস, পরীক্ষামূলকভাবে খুলনা-কলকাতা দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং মালামাল পরিবহনের জন্য বিরল-রাধিকাপুর রেলপথটি পুনরায় চালু করতে যাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে ভাল পারষ্পরিক সহযোগিতা বিদ্যমান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ উদ্বোধন করেছি এবং নেপাল এবং ভুটান থেকে ক্রসবর্ডার বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, দু’দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে আরো বেশকিছু উদ্যোগ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক ঘাটতি বাড়তে থাকার বিষয়টি মেনে নিয়ে এ বিষয়ে তাঁর সরকারের প্রয়োজন��য় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়েও আশ্বস্থ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা পাট রপ্তাানির ক্ষেত্রে ‘এন্টি ডাম্পিং শুল্ক’ আরোপের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার বিষয়েও আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি।’ দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সমতা আনয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের বিভিন্ন নির্দিষ্ট স্থানে ভারতের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করারও উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য সকল বিষয়ে আলোচনা করেছি।’ দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগই বড় শক্তি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সে কারণেই আমরা আমাদের আগরতলা ভিসা অফিসকে যুগোপযোগী করে সম্প্রতি সহকারী হাইকমিশন এবং গৌহাটিতে আরেকটি নতুন সহকারী হাইকমিশন খুলেছি। ভারতও বাংলাদেশে আরো অনেকগুলো ভারতীয় ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টার (আইভিএসি) খুলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো আমাদের মধ্যকার পারষ্পরিক আত্মবিশ্বাস এবং বিশ্বাসের ভিতকে মজবুত ও সম্প্রসারিত করছে। শেখ হাসিনা বলেন, আজ দুটি দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ফলে বিবিধ জায়গায় সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুুত হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, শান্তিপূর্ণভাবে পারমাণবিক জ্বালানির ব্যবহার, আউটার স্পেস, যোগাযোগ প্রযুক্তি, গণমাধ্যম প্রভৃতি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ইতোমধ্যেই প্রসংশনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করেছে এবং খুব দ্রুতই শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে পাওয়ার হাউজ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও এখন একটি সন্তোষজনক হারে এগুচ্ছে, ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। আমরা সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব এবং উদ্ভাবনী চিন্তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এরফলে যে ভারতই শুধু দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তা নয় বরং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যোগ করছে নতুন মাত্রা। তিনি বলেন, ‘একটি সমন্বিত এবং টেকসই সম্পর্ক সৃষ্টির আমাদের যে লক্ষ্য তা আমাদের যৌথ ঘোষণায় প্রতিফলিত হয়েছে। এখন আমাদের এই ঘোষণাকে কাজে পরিণত করে এর একটি শক্ত ভিত প্রদান করতে হবে।’ আসন্ন বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের জনগণকে ‘শুভ নববর্ষ’ বলে বাংলায় নববর্ষ ১৪২৪-এর আগাম শুভেচ্ছা জানান।
0 notes