#জ্যেষ্ঠ নাগরিক
Explore tagged Tumblr posts
Text
জাপানি শিশু : বাবার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন
জাপানি শিশু : বাবার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার বাবা বাংলাদেশি নাগরিক ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন শিশু দুটির মা জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো। সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী…
View On WordPress
0 notes
Text
দুই শিশুর বাবার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন জাপানি মায়ের
নিউজনাউ ডেস্ক: জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার বাবা বাংলাদেশি নাগরিক ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন শিশু দুটির মা জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো। সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।…
View On WordPress
0 notes
Text
ইসি বৈঠক করেছে
টপ নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কমিশনের সঙ্গে দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা বৈঠক করেছেন । এর আগে প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন তিন দফা সংলাপ করে । সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে । এদিন বেলা ১১টায় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/142806
নাগরিক ফোরামের সভায় জামায়াতকে এক হাত নিলেন বিএনপি নেতারা
.
‘এই জামায়াত বাংলাদেশকে আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছে’ বলে দলটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শনিবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থী সংগঠন নাগরিক ফোরামের আলোচনায় সভায় জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। তার মুখে শোনা যায়, ‘এসবই জামায়াতের ফাইজলামি।’
প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসন: প্রেক্ষিত ২৮ অক্টোবর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এক বক্তার কথাকে কেন্দ্র করে উপস্থিত বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ কয়েকজন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এবং জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর নেতা হেলাল উদ্দিন। তবে ঘটনার সময় উপস্থিত না থাকলেও পরে আসেন জামায়াতের প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ হয়। তারা জানান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাইফুর রহমান ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পুরানা পল্টনে জামায়াতের সমাবেশে হামলা ও দলটির অনুসারী কয়েকজনের মৃত্যুর জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বক্তব্য দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাইফুর রহমানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই জামায়াত বাংলাদেশকে আজ এই জায়গায় এনেছে। এসবই জামায়াতের ফাইজলামি।’
একই সময় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আরে বসেন আবার কী? তাদের মিটিং করতে দেয় নাই, উনার খুব অপরাধ হয়েছে!’
এরপর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আবারও মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলো? এসব সাজিয়ে ধরে নিয়ে আসছে। কার সামনে কথা বলো। কী বলছো তুমি? তোমার কথার কৈফিয়ত দিতে হবে? জবাব দিতে হবে তোমার মতো লোককে?’
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সংবাদকর্মী জানান, শনিবার দুপুর ১টার দিকে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াতের সঙ্গে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন। নিজের বক্তব্যে সাইফুর রহমান উল্লেখ করেন, ‘২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের জন্য দায় বিএনপিকেই নিতে হবে।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ��ল্যাণ পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব (সমন্বয়কারী) আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিব। তিনি বলেন, ‘অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার থাকার পরও কীভাবে জামায়াতের ওপর হামলা হলো তা উল্লেখ করেন। সাইফুর রহমানের দাবি, জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কেন ওই সময় একসঙ্গে কর্মসূচি করা হয়নি জানতে চেয়েছিলেন তিনি। জোট থাকার পরও কেন বিএনপি আলাদা সমাবেশ কর���ছিল সেই বিষয়টিও তুলেছিলেন। সাইফুর রহমান বলেছেন, ‘এর জবাব বিএনপিকেই দিতে হবে। এরপরই খন্দকার মোশাররফ স্যার ক্ষেপে গেছেন।’
শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাবেক ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিব আরও বলেন, ‘আমি স্যারকে (খন্দকার মোশাররফ হোসেন) শ্রদ্ধা করি। তিনি প্রবীণ রাজনীতিক। আমি বলেছি, স্যার ব্যক্তিগতভাবে নিয়েন না। তাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে থাকা বিএনপি-জোটের শরিক একটি দলের যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ঘটনাস্থলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল উপস্থিত থাকলেও তিনি চুপ ছিলেন। তবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও শামসুজ্জামান দুদু উভয়ে তীব্র ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আমি মোশাররফ স্যার ও দুদু ভাইকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুদু ভাই শান্ত হননি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে শিমুল বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রেসক্লাবে সভার আয়োজক ছিলেন জিয়া পরিষদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদ। নাগরিক ফোরামের ব্যানারে তিনি কয়েকশ’ কর্মসূচি আয়োজন করেছেন। শনিবার সকালের অনুষ্ঠানে হট্টগোলের ব্যাপারে তার দাবি, ‘সাইফুর রহমানকে আমি চিনি না। অনুষ্ঠানের আরেকজন আলোচক তাকে এনেছিলেন। তিনি আইনজীবী বলে শুনেছি। অনুষ্ঠানে কোনও ঝামেলা হয়নি।’
শনিবার সন্ধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমি সেখানে কিছু কথা বলেছি। সেই কথার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা নিয়ে যে হামলা হলো, ওই বিষয়ে কথা বলেছিলাম।’
সাইফুর রহমান বলছিলেন, ‘ওই সময় জোটের শরিক ছিল বিএনপি, কিন্তু জামায়াতের সমাবেশে হামলা হলো, তখন কেন তারা এলো না? অন্য দলগুলো এলো না কেন? ওই সময় যারা জোটের মন্ত্রী ছিলেন তারা কেন ব্যবস্থা নিলেন না? তারা যদি ব্যবস্থা নিতেন তাহলে তো ওই ঘটনা ঘটতো না।’
‘এভাবে কিছু উপলব্ধিমূলক কথা বলেছি আমি’ উল্লেখ করে ছাত্র শিবিরের সাবেক প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান বলেন, “একপর্যায়ে স্যার (খন্দকার মোশাররফ হোসেন) বললেন- ‘এগুলো কেন এখন বলতে হবে?’ আমি বললাম, ‘স্যার এগুলো আমার বক্তব্য, আমি দিয়েছি। আপনারটা আপনি দেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামসুজ্জামান দুদু কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
0 notes
Photo
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আহনাফ২৪ : নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনের আগে বিরোধীদের দমন পীড়ন করা হয়েছে। সংসগঠনটি জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মতপ্রকাশে বাধা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ সময় জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জোরপূর্বক নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজ ও শিক্ষার্থীরা। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ, ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) বৈশ্বিক প্রতিবেদন ২০১৯-এ এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, সারা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদার হচ্ছে। প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে দেশটির কর্তৃপক্ষ প্রধান বিরোধী দলগুলোর জ্যেষ্ঠ সদস্যদের আটক কিংবা গ্রেফতার করেছে। হাজার হাজার বিরোধীদলীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম ও সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচক নাগরিক সমাজের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড লঙ্ঘন করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে, মৃত কিংবা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। গত জুলাইয়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ক্ষমতাসীন দলের সদস্য এবং দলটির ছাত্র শাখার সদস্যরা লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়। ওই ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে উল্টো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করায় ‘সহিংসতায় উস্কানি’ দেয়ার অভিযোগে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে শহিদুল হক ১০৭ দিন কারাভোগ করে মুক্তি পান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম অব্যাহত রয়েছে। তবে রোহিঙ্গা শরণার���থীদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণে মানবিক, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করেছে সরকার। তবে এই জনগোষ্ঠীকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ায় শিবির ও শিক্ষার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এইচআরডব্লিউ জানায়, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের স্বীকৃতি দিয়ে আইন প্রণয়নসহ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তবে লিঙ্গভিত্তিক সংখ্যালঘুরা এখনো চাপ ও হুমকির মধ্যে রয়েছে।
0 notes
Text
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তির দাবিতে ভূঞাপুরে সুজনের মানববন্ধন
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তির দাবিতে ভূঞাপুরে সুজনের মানববন্ধন
আমিনুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : পেশাদারি দায়িত্ব পালনে বাঁধা প্রদান করে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হয়রানি, হেনস্তা, মানসিক,শারীরিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ এবং মুক্তির দাবিতে শনিবার (২২ মে) সকাল ১০ ঘটিকায় ভূঞাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে (সুজন) সুশাসনের জন্য নাগরিক এর আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুজনের ভূঞাপুর উপজেলা…
View On WordPress
0 notes
Text
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
New Post has been published on https://is.gd/i7xJnX
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ ২৬ জুন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। জাহানারা ইমামের (ডাক নাম জুড়ু) জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুরে ত্রিশ ও চল্লিশ দশকের রক্ষণশীল বাঙালি মুসলমান পরিবার বলতে যা বোঝায়, সে রকম একটি পরিবারেই তিনি জন্মেছিলেন। জাহানারা ইমামের বাবা সৈয়দ আবদুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। মা সৈয়দা হামিদা বেগম। জাহানারা ইমাম ছিলেন বাংলাদেশী লেখিকা, তিনি একজন সুসাহিত্যিক ও ছিলেন একজন শহীদ জননী, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী। তার লেখা 'একাত্তরের দিনগুলি' ছাড়াও রয়েছে 'সাতটি তারার ঝিকিমিকি', 'নগরী', 'গজ কচ্ছপ', 'জীবনমৃত্যু', 'বীরশ্রেষ্ঠ', 'বুকের ভিতর আগুন', 'নিঃসঙ্গ পাইন', 'ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস', 'বিদায় দে মা ঘুরে আসি' ইত্যাদি। জাহানারা ইমাম মাট্রিক পাস করেন ১৯৪২ সালে। ১৯৪৪ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ পাস করে ১৯৪৫ সালে ভর্তি হন কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ণ কলেজে। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বিএ পাস করেন ১৯৪৭ সালে। ১৯৬০ সালে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৬৪ সালে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে ১৯৬৫ সালে বাংলায় এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। শিক্ষক হিসাবে তার কর্মময় জীবনের প্রথম কাল কাটে ময়মনসিংহ শহরে। সেখানে বিদ্যাময়ী বালিকা বি��্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে ১৯৪৮ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত তিনি কর��মরত ছিলেন। এরপর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (১৯৫২-১৯৬০), বুলবুল একাডেমি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক (১৯৬২-১৯৬৬) এবং ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রভাষক (১৯৬৬-১৯৬৮) হিসাবে তার কর্মজীবন অতিবাহিত হয়। তিনি কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটেও খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জাহানারা ইমাম তিনি তার সদ্য প্রকৌশলবিদ্যায় স্নাতক হওয়া ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শফি ইমাম রুমী শহীদ হন। এছাড়া ও যুদ্ধের সময় তাঁর প্রকৌশলী স্বামী শরিফ ইমামকে হারান। স্বামী-সন্তানহারা শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে হয়ে ওঠেন মুক্তিযোদ্ধাদের মা। একাত্তরে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শফি ইমাম রুমী দেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা রুমীর মা জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করে নেন৷ রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রেই তিনি 'শহীদ জননী'র মযার্দায় ভূষিত হন৷ মুক্তিযুদ্ধে এক সন্তান হারিয়ে সারা দেশে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান অর্জন করে তিনি। তিনি তার শহীদ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা রুমীর ছায়া দেখতেন সব মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে। তার লেখা 'একাত্তরের দিনগুলি' শুধু দিনলিপি বা স্মৃতিচারণ নয়, তার এই রচনা মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের জীবন্ত ইতিহাস। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান রোধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমকে জামায়াতে ইসলামী তাদের দলের আমির ঘোষণা করলে দেশের জনগণ এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। গড়ে ওঠে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলন। জামায়াতের এ ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ৭০টি রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে ১৯৯২ সালের ২১ জানুয়ারি গড়ে ওঠে '৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি'। পরে আরও বিস্তৃত কলেবরে ১১ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি। সর্বসম্মতিক্রমে এই কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত হন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে ওঠে। ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসে ঐতিহাসিক 'গণআদালত', শহীদ জননীর সভাপতিত্বে লাখ লাখ বিচারপ্রার্থীর উপস্থিতিতে ঘাতক���ের হোতা গোলাম আযমের প্রতীকী বিচার হয়। উত্থাপিত নির্দিষ্ট ১০টি অভিযোগের প্রত্যেকটিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গোলাম আযমের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে গণআদালত। তৎকালীন সরকার গণরায় বাস্তবায়ন না করে শহীদ জননী জাহানারা ইমামসহ ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে অজামিনযোগ্য মামলা দায়ের করে। অন্যদিকে চিহ্নিত পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয় আদালতের মাধ্যমে। ক্যান্সারে আক্রান্ত শহীদ জননী আমৃত্যু এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। আশির দশকের শুরুতে, ১৯৮২ সালে তিনি মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রতি বছর একবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হতো তাঁকে। ১৯৯৪ সালের আজকের এই দিনে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্টয়েট নগরীর সাইনাই হাসপাতালের বেডে ক্যান্সারে আক্রান্ত শহীদ জননী ৬৫ বছর বয়সে জাহানারা ইমাম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তৎকালীন শাসকদের দেওয়া দেশদ্রোহ মামলা মাথায় নিয়ে মৃত্যুবরণ করলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশবাসীর কাছে জাহানারা ইমাম দেশপ্রেম, ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অনন্য প্রেরণার উৎস হিসেবে আজও পরম শ্রদ্ধায় উচ্চারিত এক নাম। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমার পক্ষ থেকে ওনার স্মৃতির প্রতি উদ্দেশ্যে করে আমার অন্তরের গভীর থেকে তীব্র ভালবাসা জ্ঞাপন ও তার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
0 notes
Text
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মোবাইল ফোন বার বার হ্যাকিংয়ের অভিযোগ
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মোবাইল ফোন বার বার হ্যাকিংয়ের অভিযোগ
টপ নিউজ ডেস্ক: মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মোবাইল ফোন বার বার হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছে। ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের সাহায্যে লামা ফকিহ নামের ওই কর্মকর্তার ফোন হ্যাক করা হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মার্কিন লেবানিজ নাগরিক লামা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সংকট এবং সংঘাত বিষয়ক বিভাগের পরিচালক। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে,…
View On WordPress
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/136315
সিআরবিতে হাসপাতাল হতে দেব না: ড. অনুপম সেন
.
সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগের প্রতিবাদে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের আয়োজনে আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, সিআরবিতে কোনোভাবেই হাসপাতাল হতে দেয়া হবে না। সিআরবিতে হাসপাতাল না করার দাবিটি পুরো চট্টগ্রামে। সঠিক বার্তাটি প্রধানমন্ত্রীকে পৌঁছান��� গেলে তিনি আমাদের কথা শুনবেন।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় কর্মসূচি অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল না করার দাবিটি পুরো চট্টগ্রামের। এই শহরের এক সময়ের যে প্রাকৃতিক সুন্দর ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গা ছিল কোনোটিই এখন আর নেই। এমনকি চট্টগ্রামের যে পরীর পাহাড় বা ফেয়ারি হিল বা কোর্ট বিল্ডিং, এক সময় সেখানে উঠলে কর্ণফুলী নদী যে চট্টগ্রাম শহরকে বেষ্টন করে রয়েছে তা দেখা যেত। আজকে কিছুই দেখা যায় না।
.
চট্টগ্রাম গাছ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন জঙ্গলকে রক্ষায় বিশ্বেও অনেক দেশ অর্থ দিয়ে যাচ্ছে কারণ বিশ্বের অক্সিজেনের চাহিদা মেটায় আমাজন। ঠিক সেরকম এই সিআরবিতে অসংখ্য শতবর্ষী গাছ রয়েছে কত চমৎকার। এই পুরো অঞ্চলটাই মহানগরীর শ্বাস কেন্দ্র। এখানে রয়েছে শহীদ আবদুর রবের বাসা। এই শহীদ আবদুর রবের সাথে ১৯৭১ সালের এপ্রিলে কানুনগোড়ায় দেখা হয়েছিল। তখন তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের জিএস। আমি বলেছিলাম রব তুমি সাবধানে চলাফেরা করো। শহরে যাচ্ছ বলছো, সাবধানে যেও। সে আমাকে বলেছিল, স্যার আপনি সাবধানে থাকবেন। দু:খের বিষয় সেই রব শহীদ হয়েছিল। সেই শহীদেও জায়গা এই সিআরবি। এইখানে কখনোই প্রফিটের জন্য পিপিপি একটা আমরা করতে দিতে পারি না। বাংলাদেশের সবাই জানেন এই হাসপাতালটি কী রকম ভাবে মৃত মানুষ গেলেও কেউ অর্থ আদায় করে। এই চমৎকার জায়গায় মহানগরীর প্রকৃতির সবচেয়ে মনোরম কেন্দ্রে অর্থগৃধ হাসপাতাল করতে আমরা কখনোই দেব না। এটিকে ধ্বংস করতে দেব না। তরুণ প্রজন্ম দেবে না। আমরা যদিও বৃদ্ধ হয়েছি, আমরাও দেব না। আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করব। প্রধানমন্ত্রী প্রকৃতি সচেতন এবং তিনি মানুষের কথা সবসময় ভাবেন। তাঁকে ভুল বুঝানো হয়েছে। তাঁকে যথাযথ বার্তাটি দিতে পারলে তিনি নিশ্চয় আমাদের কথা শুনবেন। এই আমলা বা রেলওয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী যারা তাঁকে ভুল বুঝিয়েছেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হব। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি এখানে এই হাসপাতাল হতে দেব না। প্রয়োজনে অনশন থেকে শুরু করে যা কিছু করার সবকিছু আমরা করব।
নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাস আমিন, ডা. এ কিউ এম সিরা��ুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়নজি, পরিবেশবিদ ড. ইদ্রিস আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, পিপলস ভয়েস সভাপতি শরীফ চৌহান, ন্যাপ নেতা মিঠুল দাশগুপ্ত, আবৃত্তি শিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান আকবর, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মনসুর, যুব নেতা নূরুল আজিম রনি। বোধনের সাধারণ সম্পাদক প্রণব চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী।
সন্ধ্যায় আলোক প্রজ্জ্বলনের সময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী চট্টগ্রামের শিল্পীরা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শেষে প্রতিবাদী সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান হয় চট্টগ্রাম যন্ত্র শিল্পী সংস্থার আয়োজনে।
নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শুকলাল দাশ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ঋত্তিক নয়ন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রমেন দাশগুপ্ত, মহররম হোসেন, আমিনুল ইসলাম মুন্না, পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, রাহুল দত্ত, মিনহাজুল ইসলাম, সব্যসাচী টিটু, বিনয় ভৌমিক, সৌরভ দাশ।
0 notes
Text
#স্টিপেন হকিং এর চেয়ে বড় বিজ্ঞানী
#জামাল নজরুল ইসলাম
স্টিভেন হকিংকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন মিডিয়ার লেখালেখি দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে লেখাগুলো অতিরঞ্জন দোষে দুষ্ট ও হীনম্মন্যতাপূর্ণ। কারণ এর চেয়ে বড়ো বিজ্ঞানী আমাদের ছিল কিন্তু তাকে নিয়ে আমরা এমন করিনি। তাই হকিংকে নিয়ে লেখা আমার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়। এই বাড়াবাড়ি দেখে বুঝতে কষ্ট হয় না, আসলে বাঙালির কোনো আত্মমর্যাদা নেই। নেই স্বকীয় ঐতিহ্য তুলে ধরার সামর্থ্য। তারা কেবল নিজেদের অবহেলা করে পরকে মাথায় নিয়ে নাচে। সে কারণে অনেক মেধাবী থাকা সত্তে¡ও আমাদের অবস্থান পাতালের অতলে।
বলছিলাম, হকিংয়ের চেয়ে অনেক মেধাবী এবং বড়ো বিজ্ঞানী বাংলাদেশে ছিল। তিনি জামাল নজরুল ইসলাম। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪ ফেব্রæয়ারি ঝিনাইদহ শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বলা হয়, আধুনিক বিশ্বের সা�� জন শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর না�� নিলেও জামাল নজরুল ইসলামের নাম চলে আসবে। তিনি সারা বিশ্বে জেএন ইসলাম নামে পরিচিত এবং বিজ্ঞানীদের কাছে বাংলাদেশ জেএন ইসলামের দেশ হিসেবে পরিচিত। জেএন ইসলাম ছিলেন ক্যাম্ব্রিজে হকিংয়ের রুমমেট, বন্ধু এবং সহকর্মী। প্রায় অর্ধ ডজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু জেএন ইসলামকে বলা হতো আধুনিক পৃথিবীর অন্যতম মেধাবী মানুষ। কেন এমন বলা হতো, তার দুটি উদাহরণ দিই। ক্যাম্ব্রিজের ট্রিনিটি থেকে গণিতে ট্রাইপস পাস করতে লাগে তিন বছর। জেএন ইসলাম তা দুই বছরে শেষ করে বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিলেন। ২০০১ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর তাবৎ বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সে সময় জামাল নজরুল ইসলাম গণিতের হিসাব কষে পৃথিবীর মানুষকে আস্বস্ত করে বলেছিলেন, সে রকম কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ, প্রাকৃতিক নিয়মে সৌরজগতের সবগুলো গ্রহ একই সরলরেখা বরাবর চলে এলেও তার প্রভাবে পৃথিবী নামক গ্রহের কোনো ক্ষতি হবে না।
চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় এত ভালো করেছিলেন যে, শিক্ষকৃবন্দ তাকে ডাবল প্রমোশন দিয়ে এক শ্রেণি উপরে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের শিক্ষক ফাদার সোরে জেএন ইসলামকে ডাকতেন জীবন্ত কম্পিউটার বলে। অন্যান্য বিজ্ঞানী যেখানে কম্পিউটার ও ক্যালকুলেটর নিয়ে কাজ করতেন সেখানে জেএন ইসলাম এগুলি ছাড়াই বড়ো বড়ো হিসাব মুহূর্তে করে দিতেন। তিনি বলতেন, কম্পিউটার আমার কাছে অপ্রয়োজনীয়। তবে তিনি কম্পিউটারের সাধারণ প্রয়োজনীয়তা কখনো অস্বীকার করেননি।
একাধারে পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিশ্বতত্ত¡বিদ ও অর্থনীতিবিদ জেএন ইসলাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে হকিং বলেছিলেন, ‘জেএন ইসলাম আমার রুমমেট, বন্ধু এবং আমরা ছিলাম পরস্পর পরস্পরের শিক্ষক।’ ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত হকিং যেসব বিজ্ঞানীদের নিয়ে গবেষণা করেছেন, তন্মধ্যে জেএন ইসলাম ছিলেন অন্যতম। যেমন বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম রেডিও আবিষ্কার করলেও কৃতিত্ব চলে গিয়ছিল মার্কনির কাছে। ঠিক তেমনটি ঘটেছে জেএন ইসলামের ক্ষেত্রেও। স্টিফেন হকিং যদি বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী হন, তাহলে জেএন ইসলাম ব্রহ্মান্ড খ্যাত। বাংলাদেশের কোনো পত্রিকায় তাকে নিয়ে এভাবে লেখা হয়নি, যেমনটি লেখা হয়েছে হকিংকে নিয়ে। নিজের ভাই মহাশয়, এই জ্বালা কি প্রাণে সয়? বাঙালিরা এই বোধ থেকে কখন বের হয়ে আসতে পারবে জানি না।
পদার্থবিদ্যার আবিষ্কার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণ করতে হয় কিন্তু হকিংয়ের কোনো বর্ণনা তিনি প্রমাণ করতে পারেননি। এজন্য তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি। তাই অনেকে মনে করেন, হকিং য�� বড়ো না বিজ্ঞানী তার চেয়ে বেশি বিজ্ঞানকল্পকাহিনির লেখক। তিনি মেধাবী ছিলেন নিঃসন্দেহে, তবে বিশ্বব্যাপী যে প্রচার তিনি পেয়েছেন তা শুধু মেধার জন্য নয়, বরং তার অসুস্থতা, অমুসলিম এবং ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার জন্য ঘটেছে। কিন্তু জামাল নজরুল ইসলাম নিজ দেশ থেকেও এমন মূল্যায়ন পাননি। প্রচার ছাড়া প্রসার কীভাবে হয়? বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত জামাল নজরুল ইসলামের লেখা ‘কৃষ্ণবিবর’ গ্রন্থটি হকিংয়ের ব্ল্যাকহোল থিউরির অনেক আগেই প্রাচ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত। কিন্তু আমরা কেউ তা জানি না। জানলেও তা কেউ প্রচার করিনি।
সারা বিশ্বে বিজ্ঞানী মহলে জেএন ইসলাম জিনিয়াস ইসলাম নামেও পরিচিত ছিলেন। জাপানি প্রফেসর মাসাহিতো বলেছেন, ‘ভারতের বিখ্যাত জ্যোতিপদার্থ বিজ্ঞানী জয়ন্ত নারলিকা জেএন ইসলামের সহপাঠী ছিলেন। ফ্রেডরিক হয়েল, নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ব্রায়ান জোসেফসন, স্টিফেন হকিং, প্রফেসর আব্দুস সালাম, রিচার্ড ফাইনমেন, অমর্ত্য সেন প্রমুখ ছিলেন জামাল নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদের মুখে আমি অনেক বার জেএন ইসলামের কথা শুনেছি। জেএন ইসলামের ‘দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স’ লেখা হয়েছে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে কিন্তু হকিংয়ের ‘অ্যা ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম’ লেখা হয়েছে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে। দুটি গ্রন্থ তুলনা করলে নিঃসন্দেহে জেএন ইসলামের বইটি যে কোনো বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ। কিন্তু ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম নিয়ে আমরা যে তোলপাড় করেছি, জেএন ইসলামের আল্টিমেট ফেইট নিয়ে তার এক সহশ্রাংসও করিনি।
হকিং তাঁর মূল্যবান গবেষণা সময়ের অধিকাংশই ব্যয় করতেন বাঙালি প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তাদের সম্পর্ক ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব থেকে পারিবারিক বন্ধুত্বে উন্নীত হয়েছিল। হকিংয়ের জ্যেষ্ঠ ছেলে রবার্ট, কন্যা লুসি এবং কনিষ্ঠ ছেলে থিমোতি জামাল নজরুল ইসলামের সঙ্গ খুব পছন্দ করতেন। জামাল নজরুল ইসলামের দুই মেয়ে সাদাফ যাস সিদ্দিকি ও নার্গিস ইসলাম ছিলেন তাদের খুব আদরের। সাদাফ যাসের আমন্ত্রণে লুসি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে লিট ফিস্টে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ এসেছিলেন। অর্থশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেন ছিলেন জামাল নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে এলে বন্ধু জামাল নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করার জন্য চট্টগ্রাম চলে গিয়েছিলেন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী আবদুস সালাম বাংলাদেশে এলে বিমান বন্দরে নেমে বলেছিলেন, জেএন ইসলামকে খবর দিন। ওই সফরে জেএন ইসলামকে একটা পদকও দিয়েছিলেন প্রফেসর আবদুস সালাম। উল্লেখ্য, বয়সে জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন হকিংয়ের সিনিয়র কিন্তু আবদুস সালাম এবং অমর্ত্য সেনের জুনিয়র।
কেম্ব্রিজের শিক্ষক প্রফেসর সুসানার ভাষায়, ‘বিজ্ঞানময়তা বিবেচনায় হকিংয়ের অ্যা ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম-এর চেয়ে অনেক গুণ কার্যকর এবং বিজ্ঞানানুগ হচ্ছে জেএন ইসলামের দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স।’ বলা হয়, ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম এক কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। বিজ্ঞানগু��ুত্বে যদি এটি হয়ে থাকে, তাহলে জেএন ইসলামের ‘দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স’ একশ কোটি কপি বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু হয়নি।
কেন? কারণ প্রচার হয়নি। আমরা করিনি। জেএন ইসলাম মুসলিম, জেএন ইসলাম তৃতীয় বিশ্বের লোক। তাই পাশ্চাত্যে যথাগুরুত্ব পাননি। জেএন ইসলামের দেশের লোকই তাকে তুলে ধরতে পারেনি, অন্যরা কেন করবে? জেএন ইসলামের লেখা এবং ক্যাম্ব্রিজ থেকে প্রকাশিত ‘রোটেটিং ফিল্ডস ইন জেনারেল রিলেটিভিটি’ বইটাকে বলা হয় আধুনিক বিজ্ঞানের একটি অদ্বিতীয় বই। সেটা নিয়ে অধিকাংশ বাঙালি কিছুই জানে না। নিজের ঘরের মানুষের কৃতিত্বের খবর যদি ঘরের মানুষ না রাখে তাহলে বাইরের লোকে রাখবে কেন? জেএন ইসলামের ‘দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স’ ছাড়া আর কোনো বাঙালির বই হিব্রæ ভাষায় অনূদিত হয়নি। তার তিনটি বই এবং দুটি আর্টিক্যাল ক্যাম্ব্রিজ, অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড, প্রিস্টনসহ পৃথিবীর শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। অথচ বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় কি না আমার জানা নেই। এ হিসেবেও জামাল নজরুল ইসলাম হকিংয়ের চেয়ে অনেক বড়ো বিজ্ঞানী।
জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক। নিজের আয় থেকে অর্থ জমিয়ে দরিদ্র ছাত্রদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ বন্ধের উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। সর্বোপরি, বিদেশে সহস্র পাউন্ডের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দিয়ে জামাল নজরুল ইসলাম বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশে ফেরার আগে জামাল নজরুল ইসলামের পরামর্শ চাইলে তিনি, জাফর ইকবালকে দ্রুত দেশে ফেরার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ পাবেন। দেশে ফিরে নিজের অধ্যয়নভূমি (জন্মস্থান ঝিনাইদহ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৩০০০ টাকার বৃত্তিতে কাজ শুরু করেন। ভেবেছিলেন দেশ তাঁকে মূল্যায়ন করতে পারবে, পারলেও করেনি। আমরা বাঙালিরা তাকে ওই তিন হাজার টাকা ছাড়া আর কিছুই দিতে পরিনি। তিনি যদি দেশে না আসতেন তাহলে পৃথিবী অনেক কিছু পেত। স্বার্থপর জেএন ইসলাম নিজের দেশের জন্য পৃথিবীকে বঞ্চিত করেছেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চ তিনি ইন্তেকাল করেন।
#Copyright
0 notes
Text
ঋত্বিক একটি নদীর নাম
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/birth-day-celebration-of-ritwik-ghatak/
ঋত্বিক একটি নদীর নাম
তন্ময় দাম
এক ব্যক্তি একবার অনেক রাতে কলকাতার ফুটপাতে হাঁটছিলেন। মদের নেশায় মাতাল। হেঁটে বাড়িতে ফেরার অবস্থা ছিল না তাই ট্যাক্সি। ট্যাক্সির চালক তাকে গন্তব্যে নামিয়ে ভাড়া চাইতেই বলেছিলেন, ‘ আমার কাছে টাকা নেই, তুমি এক কাজ করো…সোজা চলে যাও ১/১ বিশপ লেফ্রয় রোডে। সেখানে গিয়ে দেখবে একটা ঢ্যাঙা লোক দরজা খুলবে। ওকে বলবে ঋত্বিক ঘটক ট্যাক্সি করে ফিরেছে, সঙ্গে টাকা নেই। ও টাকা দিয়ে দেবে। ‘ এই ঢ্যাঙ্গা লোকটি আর কেউ নন বাঙলা সিনেমার আরেক প্রবাদ পুরুষ সত্যজিৎ রায়।সেদিন এবং তার পর আরও বহুদিন ঋত্বিক ঘটকের এসব দাবি পূরণ করতেন অম্লান বদনে। ঋত্বিক ঘটকও তার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘ ‘ভারতবর্ষে সবথেকে ঠিকঠাক ক্যামেরা বসাতে জানে ওই ঢ্যাঙ্গা লোকটাই। আর হ্যাঁ, আমি খানিকটা জানি।’
ঠোঁটে পাতার বিড়ি আর হাতে বাংলা মদের বোতল। মাথাভর্তি উদভ্রান্তের মত এলোমেলো চুল, ক্ষুরের স্পর্শাভাবে গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। পরনে ধুলিমলিন পাজামা-পাঞ্জাবীর সাথে কাঁধে একটা শান্তিনিকেতনী ঝোলা। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা, সে চোখে কৌতুক মেশানো ধারালো দৃষ্টি। ‘তিনি কে’ এই প্রশ্ন কেউ করলে কোনরকম হেঁয়ালী না করেই সরাসরি জবাব দিয়ে দেবেন – ‘আমি এক মাতাল। ভাঙ্গা বুদ্ধিজীবী, ব্রোকেন ইন্টেলেকচুয়াল’। এই হল কিংবদন্তী চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের লেন্সের ভেতর দিয়ে নিজেকে দেখার উপলব্ধি।
ঋত্বিক কুমার ঘটক (১৯২৫-১৯৭৬) লেখক , নাট্যকার , চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, অভিনেতা। জন্ম ৪ নভেম্বর ১৯২৫, ঢাকা জেলায়। বাবা সুরেশচন্দ্র ঘটক ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কবি ও নাট্যকার, মা ইন্দুবালা দেবী। তাঁর পরিবারকে বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় কলকাতায় অবস্থান করতে হয়েছে, যেমন: ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ, ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ১৯৪৭ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং আরো অন্যান্য কারনে। তাঁর বড় ভাই মনীশ ঘটক একজন অধ্যাপক, লেখক। তাছাড়া তিনি তেভাগা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মী মহাশ্বেতা দেবী মনীশ ঘটকের মেয়ে।
ঋত্বিক ঘটকের লেখাপড়া শুরু হয় ময়মনসিংহের মিশন স্কুলে। পরে কলকাতার বালিগঞ্জ স্কুলে তিনি ভর্তি হন। ১৯৫৮ সালে তিনি বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কোর্স সম্পন্ন করেন। পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি এম.এ কোর্স সম্পন্ন করেননি, কারন তাঁর মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সার্��িফিকেট অর্জন করার চেয়ে একজন লেখক হওয়া অনেক বেশি গৌরবের। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে তিনি দেশ, শনিবারের চিঠি, অগ্রণী বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখির কাজ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন ।
‘ নাগিনী কন্যার কাহিনী’ উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৫১ সালে ‘বেদিনী’ ছবি নির্মাণ হয় । ছবিটিতে তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। একই বছর তিনি Indian Peoples Theatre Association এ যোগদান করেন। ১৯৫২ সালে তিনি ‘ দলিল ‘ নাটক নির্মাণ করেন; নাটকটি Indian Peoples Theatre Association Exhibition- (���ুম্বাই, ১৯৫৩) এ প্রথম পুরস্কার অর্জন করে। ১৯৫৫ সালে তিনি ‘গ্র��প থিয়েটার’ নামে নাট্যদল গঠন করেন এবং তাঁর ‘ সাঁকো’ নাটকটি মঞ্চস্থ করেন।
সিনেমার ব্যাপারে তিনি আগ্রহী হয়ে ওঠেন নাটকের সমসাময়িক কাল থেকেই। তিনি সিনেমাকে কখনোই কেবলমাত্র বিনোদনের উৎসে পরিণত করতে চাননি। চলচ্চিত্র তাঁর কাছে ছিল প্রতিবাদের হাতিয়ার। ১৯৫২ সালে তার তৈরী প্রথম সিনেমা ‘নাগরিক’। এটিই ছিল খুব সম্ভবত বাংলা আর্ট ফিল্মের প্রথম উদাহরণ। দূর্ভাগ্যবশত এটি রিলিজ হয় দীর্ঘ ২৪ বছর পরে, ঋত্বিকের মৃত্যুর পর।
ঋত্বিক ঘটকের ব্যবসা সফল ছবি ‘অযান্ত্রিক’ (১৯৫৮), ছবিটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিয়ে নির্মিত। তাছাড়া তাঁর সবচেয়ে ব্যবসা সফল হিন্দি ছবি ‘ মধুমতি ‘ (১৯৫৮, বিমল রায় পরিচালিত), এটি ভারতের প্রথম দিকের অন্যতম একটি ছবি। ছবিটি Filmfare কর্তৃক Best Story Award অর্জন করে।
ঋত্বিক ঘটক আটটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো:’মেঘে ঢাকা তারা’ (১৯৬০); ছবিটিতে একটি শরণার্থী পরিবারের সংগ্রামী জীবনকে রূপদান করা হয়েছে। উক্ত ছবিটির কাহিনি- পরিবারের জ্যেষ্ঠ কন্যা দরিদ্রজর্জরিত সংসারের সব দায়িত্ব-কর্তব্য কাঁধে তুলে নেয়।’ বাড়ি থেকে পালিয়ে ‘(১৯৫৮) ছবিটিতে একজন পথিক বালকের দৃষ্টিকোণ থেকে কলকাতা শহরকে বর্ণনা করা হয়েছে। ‘ অযান্ত্রিক’ (১৯৫৮) হল একটি কমেডি-নাট্য চলচ্চিত্র। এই ছবি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী । ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম যুগে যে কয়েকটি চলচ্চিত্রে একটি জড়পদার্থকে গল্পের চরিত্র হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছিল, এই ছবিটি তার মধ্যে অন্যতম। এক্ষেত্রে সেই জড়পদার্থটি হল একটি অটোমোবাইল। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিচ্ছবি ‘কোমলগান্ধার’ (১৯৬১) ছবি। এছাড়াও তাঁর আর একটি বিখ্যাত ছবি ‘ সুবর্ণরেখা ‘ (১৯৬২) । ২০১০ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট কর্তৃক তাঁর ‘তিতাস একটি নদীর নাম'(১৯৭৩) শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে ১০ম স্থান অধিকার করে। তাঁর শেষ ছবি ‘যুক্তি তক্ক আর গল্প'(১৯৭৪), এটি আত্মজীবনীমূলক।
‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় তিনি যক্ষায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই রোগের সঙ্গে যুক্ত হয় মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান। জীবনী শক্তি ফুরিয়ে আসে এই মহান শিল্পীর। ১৯৭৬ সালের ৬ ফ্রেব্রুয়ারী তিনি কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ঋত্বিক ছিলেন সিনেমার বিপ্লবী। সিনেমা বানানো তাঁর কাছে শুধু শিল্প ছিল না, ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এবং দুঃখী মানুষের ��্রতি তাঁর সমর্থন প্রকাশের মাধ্যম। রঙিন কোন অবাস্তব চমক তিনি দেখাতে চাননি, বরং নিজের চোখে যা প্রত্যক্ষ করেছেন সেটাই দর্শককে দেখাতে চেয়েছেন। নিজে ভেবেছেন, আমাদেরও ভাবাতে চেয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে অভাব-অনটন, ঝড়-ঝঞ্ঝা ছিল, কিন্তু তিনি নিজের দর্শনের সাথে আমৃত্যু আপোষ করেননি। কাজের স্বীকৃতি সীমিত হলেও তিনি তাঁর সৃষ্টির তাড়না থেকে বিচ্যুত হননি কখনও। স্ত্রী সুরমা ঘটককে তিনি বলতেন, ‘লক্ষ্মী, টাকাটা তো থাকবে না, কাজটা থাকবে। তুমি দেখে নিও আমি মারা যাওয়ার পর সব্বাই আমাকে বুঝবে’। আজ আমরা জানি, ঋত্বিক ঘটক ভুল বলেননি।
0 notes
Text
মসজিদে নববীর ইমামের ইন্তেকাল, বাংলাদেশ হারালো তার শ্রেষ্ঠতম নাগরীককে
মসজিদে নববীর ইমামের ইন্তেকাল, বাংলাদেশ হারালো তার শ্রেষ্ঠতম নাগরীককে
নিজস্ব প্রতিবেদক: মসজিদে নববীর জ্যেষ্ঠ ইমাম ড. ক্বারী মুহাম্মদ আইয়ূব ইবনে মুহাম্মদ ইউসুফ ইবনে সুলাইমান উমর (রহি.) আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
গত শনিবার বাদ ফজর তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। বাদ জোহর মসজিদে নববীতে ক্বারী মুহাম্মদ আইয়ূবের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে মসজিদে নববীর পাশে বিখ্যাত কবরস্থান জান্নাতুল বাকিতে দাফন করা হয়।
একজন বাংলাদেশী নাগরিক যে…
View On WordPress
0 notes
Text
টাঙ্গাইলে সাংবাদিক রোজিনাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সুজনের মানববন্ধন।
আমিনুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : পেশাদারি দায়িত্ব পালনে বাঁধা প্রদান করে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হয়রানি, হেনস্তা, মানসিক,শারীরিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে এবং মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে (সুজন) সুশাসনের জন্য নাগরিক এর আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুজনের সভাপতি খান মোহাম্মদ…
View On WordPress
0 notes
Text
বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি নির্বাচিত হলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোল্লা জালাল।
শনিবার (২৮ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলমগীর হোসেন এই ফল ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৩ জুলাই এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। সেদিন অন্য সব পদের ফলাফল ঘোষণা করা হলেও ভোটগণনা নিয়ে সভাপতি পদপ্রার্থীদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই পদে ফল ঘোষণা করা হয়নি।
পরে শনিবার ফল ঘোষণা করা হয়। এতে দেখা যায়, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর ফারুককে দুই ভোটে পরাজিত করে জয় পেয়েছেন মোল্লা জালাল। তার মোট ভোট সংখ্যা ৯৭৪। ওমর ফারুক পেয়েছেন ৯৭২ ভোট।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, ম্যানুয়ালি নয় বরং ইভিএম পদ্ধতিতেই ভোট গণনা করা হয়েছে। সেই অনুযায়ীই ফল ঘোষণা করা হলো।
এই নির্বাচনে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সারাবাংলা ডটনেট ও গাজী টিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। মহাসচিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি শাবান মাহমুদ। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নাগরিক টিভির দীপ আজাদ।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএমএন
0 notes
Photo
New Post has been published on https://paathok.news/111261
চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে ফিলিপাইনের নাগরিকের মৃত্যু
.
চিকিৎসার অবহেলায় চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এক বিদেশী নাগরিক। “রুয়েল এসত্রেলে কাতান” (৫১) ��ামে এ ব্যাক্তি ফিলিপাইনের নাগরিক। কয়েকটি বেসককারী হাসপাতালে ভর্তি না করায় পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর গতকাল শুক্রবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিদেশী নাগরিক চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ার টেকের কর্মকর্তা ছিলেন।
চট্টগ্রামস্থ ফিলিপাইন কন্সুলেটের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে কর্মরত প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ার টেক এই বিদেশী নাগরিকের অসুস্থ্যতার বিষয়ে কোন রকমের তদারকি করেনি। এমনকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে অক্সিজেন ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছে তারা তা করেনি।
.
জানাগেছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ৪ জুন থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রুয়েল এসত্রেলে কাতান। চমেক হাসপাতালের ১ নং ওয়ার্ডের ২৮ নং বেডে তাকে রাখা হয়েছিল। তার আগের দিন করোনা টেষ্ট দিলেও তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে চমেক থেকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করা হয়। শুক্রবার হলি ক্রিসেন্ট ছাড়া কোন হাতপাতালেই তার জন্য কেবিনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। হলিক্রিসেন্টে কেবিনের ব্যবস্থা হলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তারা অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবে না। এসময় অক্সিজেন সরবরাহের জন্য তার কর্মস্থল সাইফ পাওয়ার টেকের কাছে সাহায্য চাইলে তারাও কোন সাহায্য করতে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ফিলিপাইন কন্সুলেট জেনারেলের চীফ অফ ষ্টাফ শেখ হাবিবুর রহমান জানান, হলি ক্রিসেন্টে নেবার ব্যবস্থা করা হলেও সেখানে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা যাচ্ছিল না। অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে দেবার জন্য কাতানের কর্মস্থল সাইফ পাওয়ার টেকের কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনকে অনুরোধ করা হলেও তিনি অপারগতা জানিয়েছেন। এ অবস্থায় শুক্রবার (১৯ জুন) রাত ১০টায় চমেক হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়েছে।তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ দিন ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও আমরা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টটা আনতে পারিনি। দুঃখজনকভাবে তিনি পৃথিবী থেকেই বিদায় নিলেন।’
চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.আফতাবুল ইসলাম বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে একজন ফিলিপাইনের নাগরিক গত ১৬ দিন ধরে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনার পরীক্ষার জন্য উনার নমুনা নেওয়া হয়েছিল। নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে রেজাল্ট এখনও আসেনি। রাতে তিনি মারা যান।
সাইফ পাওয়ার টেকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম জানান, জ্বর-শ্বাসকষ্টসহ করোনার লক্ষণ থাকায় গত ৩ জুন সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য কাতানের নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়। পরদিন তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শুক্রবার তিনি মারা যান।
0 notes
Photo
তারেককে ‘বিশ্ব বেয়াদব’ বললেন বিএনপি নেত্রীর মা তারেককে ‘বিশ্ব বেয়াদব- বঙ্গবন্ধুকে নাম ধরে সম্বোধন করায় তারেক রহমানকে ‘বিশ্ব বেয়াদব’ বলেছেন বিএনপি নেতা প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের স্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদের মা শাহেদা ওবায়েদ। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে পরিবারতন্ত্রের সমালোচনাও করেন এই দুটি দল করে আসা ওবায়দুরের স্ত্রী। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোশতা�� আহমেদের মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া ওবায়দুর রহমান বিএনপির মহাসচিব থাকা অবস্থায় বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।পরে আবার বিএনপিতে ফিরে আসেন ওবায়েদ আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে শাহেদা শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ওবায়েদের মৃত্যুর পর তার মেয়ে শামা ওবায়েদ বিএনপিতে সক্রিয় থাকলেও শাহেদা দলটি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ নিউ জেনারেশন পার্টির (বিএনজিপি) আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তারেক রহমানের সমালোচনা করেন শাহেদা। “আমার কাছে খুব খারাপ লাগে যখন উনি ভিডিও বার্তায় বঙ্গবন্ধুকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব বলে। রাজনীতির কথা বাদই দিলাম, আমাদের পারিবারিক শিষ্টাচার কী বলে? সে একটা বিশ্ব বেয়াদব। নানার বয়সী একজন নেতাকে নাম ধরে ডাকে।” লন্ডনে থেকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যানের ভিডিও বার্তা পাঠানোর সমালোচনাও করেন তিনি। “তারেক সাহেব লন্ডনে বসে বসে ভিডিও বার্তায় নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামার নির্দেশ দেন। নেতাকর্মীরা কোনও মায়ের সন্তান নন? তারা রাস্তায় নামবেন, লাশ হবেন, জেলে যাবেন। আর উনি দামি স্যুট পরে ভিডিও বার্তা পাঠাবেন।” “আপনি আসুন, মামলা ফেইস করুন। জেলে যান। তারপর জনগণ জেল থেকে বরণ করে নেবে,” খালেদা জিয়ার ছেলের উদ্দেশে বলেন তিনি। বিএনপির সমালোচনা করে শাহেদা বলেন, “বর্তমান সরকারের অনেক দোষ আছে-সাফল্য আছে। অনেক ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে। সেজন্য একদিন তাদের জবাব দিতে হবে। “কিন্তু বিএনপির আন্দোলন কোথায়? এত বিশাল বিএনপি কোথায় গেল? নির্বাচন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে বিএনপি ব্যর্থ হল। আবার নির্বাচন বর্জন করে জনগণকে বঞ্চিত করল।” বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ‘পরিবারতন্ত্রের’ সমালোচনা করে দুই নেত্রীর পদত্যাগ দাবিতে গত বছর একদিন হরতাল আহ্বানকারী শাহেদা বলেন, “পরিবার তন্ত্রের কারণে ৩৪ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি অন্ধকার যুগে অবস্থান করছে। “তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে। তারা জয়-তারেকদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা করে দিচ্ছে। নিজেরাও যে একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারে, সে ভাবনা তাদের নেই।” এই আলোচনায় উপস্থিত মাহমুদুর রহমান মান্নাও প্রধান দুই দলের সমালোচনা করেন, যিনি আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নাগরিক ঐক্য নামে ভিন্ন সংগঠন তৈরি করেছেন। অনুষ্ঠানে পাশে বসে থাকা গণফোরাম সভাপতিকে দেখিয়ে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর পর ড. কামাল হোসেনের বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসার কথা ছিল। বেগম জোহরা তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি পরিবারতন্ত্রের কারণে।” “সোহরাওয়ার���দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদের মতো একজন প্রবীণ নেতা চেয়ার পাননি। সেখানে অন্য একজন চেয়ার দখল করেছিল। তিনি (তোফায়েল) হয়তো ফিরে গিয়ে নিরবে কেঁদেছিলেন,” বলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক। ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপেরও সমালোচনা করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না। “খালেদা জিয়া সামনে বসা ব্যক্তির নাম তিনবার জিজ্ঞাস করেও মনে রাখতে পারেন না। তিনি ছাত্রদলের মতো বড় একটি ছাত্র সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করেন কিভাবে?” কামাল হোসেনের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়াও সভায় বক্তব্য রাখেন। ‘পরিবারতন্ত্রের বেড়াজালে বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা আয়োজনকারী বিএনজিপির তিন বছর আগে গঠিত হয়। বিএনপির সহযোগী সংগঠন ‘জিয়া ব্রিগেড’ ছেড়ে আসা জাহিদ ইকবাল এই দলটি গড়েন।
0 notes