#তেল এবং গ্যাস শিল্প
Explore tagged Tumblr posts
Text
2021 সালে বায়ু মানের জন্য এইগুলি সেরা এবং সবচেয়ে খারাপ জায়গা ছিল, নতুন রিপোর্ট দেখায় | সিএনএন
2021 সালে বায়ু মানের জন্য এইগুলি সেরা এবং সবচেয়ে খারাপ জায়গা ছিল, নতুন রিপোর্ট দেখায় | সিএনএন
সিএনএন – একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, 2021 সালে বিশ্বজুড়ে বায়ু দূষণ অস্বাস্থ্যকর মাত্রায় বেড়েছে। দ্য IQAir দ্বারা রিপোর্টএকটি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী বায়ুর গুণমান ট্র্যাক করে, দেখেছে যে প্রতিটি দেশে গড় বার্ষিক বায়ু দূষণ – এবং শহরগুলির 97% – অতিক্রম করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ু মানের নির্দেশিকাযা জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সরকারকে প্রবিধান তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা…
View On WordPress
#অর্থনীতি এবং বাণিজ্য#অলাভজনক এবং এনজিও সংস্থা#আগুন#আমেরিকা#উত্তর আমেরিকা#কয়লা শিল্প#জনস্বাস্থ্য#জলবায়ু পরিবর্তন#তেল এবং গ্যাস শিল্প#দাবানল#দুর্ঘটনা#দুর্যোগ এবং নিরাপত্তা#দূষণ#পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ#প্রাকৃতিক বিপর্যয়#বস্তুকণা#বায়ু দূষণ#বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা#ব্যবসা#ব্যবসা এবং শিল্প খাত#মহাদেশ এবং অঞ্চল#যুক্তরাষ্ট্র#শক্তি এবং উপযোগিতা#শক্তি এবং পরিবেশ#স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা
0 notes
Text
আফ্রিকায় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কেন্দ্রে তেল-গ্যাস ব্যবসা
আফ্রিকায় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কেন্দ্রে তেল-গ্যাস ব্যবসা
আফ্রিকায় তেল-গ্যাস শিল্প থেকে আয় এবং এ খাতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মহাদেশটিতে শিল্পায়নের পাশাপাশি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এএফসিএফটিএ) বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মূলত এ অঞ্চলে তেল ও গ্যাস শিল্পের উন্নয়নের জন্যই এএফসিএফটিএ বা আফ্রিকান কন্টিনেন্টাল ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট হয়েছে। সম্প্রতি নাইজেরিয়ান কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং বোর্ডের (এনসিডিএমবি) নির্বাহী সেক্রেটারি প্রকৌশলী সিম্বি…
View On WordPress
0 notes
Text
সুন্দরবন রক্ষায় করণীয় দিকসমূহ --- Mushfiq Borat
আজ আমরা সুন্দরবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করবো। সুন্দরবন ধ্বংসে সরকারের চক্রান্ত লক্ষণীয়। বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন সুন্দরবন রক্ষায় নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। আমরা বেনজিন রিং সোসাইটির সদস্যরাও তাই উদ্বুদ্ধ হয়েছি। প্রথমে আমরা সুন্দরবনের নানা পজিটিভ দিক তুলে ধরবো আর শেষে আমাদের পাঁচ দফা দাবি সম্পর্কে জানবো। সিডর আঘাত হানে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর। এটি একটি ঘূর্ণিঝড় যা বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে বয়ে যায়। সিডরের চোখের আয়তন ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বাধার কারণে সিডরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল অনেক কম। সিডরের কারণে খোদ রাজধানী ঢাকাও রক্ষা পেয়েছিল। গাছপালার বাধা পেয়ে ঘূর্ণিঝড় সিডরের গতি ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার কমে গিয়েছিল। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলা’র সামনেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সুন্দরবন এবং আইলা’র গতিও ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার ও জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা চার ফুট কমে গিয়েছিল। এভাবেই এই বনটি আমাদের বাংলাদেশকে বারবার বাঁচিয়ে চলেছে অথচ এই ঘৃণ্য সরকার সেই সুন্দরবনকেই ধ্বংসের অপচেষ্টা চালাচ্ছে! এমন সরকারকে অবিলম্বে দেশের শাসনভার ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় কি? পর্যটকদের ফেলে যাওয়া পানির বোতল ও খাবারের প্যাকেটসহ নানা প্লাস্টিক আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে বনের পরিবেশ। এর নেতিবাচক প্রভাব গিয়ে পড়ছে বনের স্থলজ ও জলজ প্রাণীর জীবনচক্রে। আমাদের বাংলাদেশের পরিচয় ও শৌর্য-বীর্যের প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রিয় আবাসস্থল এটি। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা ছাড়াও ফণী ও বুলবুলেরও মোকাবেলা করেছে এই বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনটি। সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। সুন্দরবনের ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশে ও বাকিটা ভারতে অবস্থিত। এর ৬৯ শতাংশ স্থলভাগ ও ৩১ শতাংশ জলভাগ। সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘ, এক থেকে দেড় লাখ চিত্রা হরিণ, ৪০ হাজার বানর ও ২৫ হাজার বন্য শূকর রয়েছে। এ বনে স্থলজ প্রাণী রয়েছে ২৮৯ প্রজাতির অন্যদিকে রয়েছে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর ও ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী।
এই বনে অসংখ্য সুন্দরী গাছ জন্মে। ঘর তৈরি, ঘরের ছাউনি দেয়ার কাজে এই গাছের বড় পাতা খুবই কাজে দেয়। সুন্দরী গাছের মূলে রয়েছে ডায়াবেটিস প্রতিরোধী ঔষুধ। সুন্দর���নকে জালের মতো জড়িয়ে র��খেছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি হলেও বাঘ মামার কদাচিৎ দেখা পাওয়া যায়। সুন্দরী-গেওয়াসহ নানা বৃক্ষের মজবুত বেষ্টনী ও অসংখ্য নদীনালা যুগের পর যুগ এদেশকে রক্ষা করে আসছে।
রামপাল-ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্পের সকল অপতৎপরতা কেন বন্ধ করা জরুরী তা নিচে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হবে। এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য তিনটি প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম সমস্যাটি হলো - চুক্তিটি অসম ও অস্বচ্ছ। দ্বিতীয় সমস্যা - পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এ কারণে পুরোপুরি হুমকির মুখে। তৃতীয় সমস্যা হলো এরকম- প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম থেকেই অনিয়ম, নিপীড়ন আরম্ভ হয়েছে। সঠিক মূল্য না দিয়েই সাধারণ মানুষের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক গরীব মানুষদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আরেকটি বিষয় জানা জরুরী। ২০০০ সালে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ইউনোক্যাল কর্তৃক বিবিয়ানা গ্যাসকূপটির উৎপাদন সর্বাংশে অতি সুলভ মূল্যে ভারতে রফতানির ষড়যন্ত্র হয়। তবে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃত্বের কারণে এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। এখানে বলে রাখা উচিত যে, বেনজিন রিং সোসাইটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুধুমাত্র নাসা-কে সমর্থন জানায়। বেনজিন রিং সোসাইটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ব্যতিরেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য সকল বহুজাতিক কোম্পানির বিরুদ্ধে।
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে কি কি ক্ষতি তা খতিয়ে দেখা যাক। বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু থাকা অবস্থায় ক্ষতি হলো- ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বছরে ৫২ হাজার টন সালফার ডাই অক্সাইড ও ৩১ হাজার টন নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নির্গমন। তাছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মালামাল ও যন্ত্রপাতি পরিবহনের ফলে বাড়তি নৌযান চলাচল, তেল নিঃসরণ, শব্দ দূষণ, আলো, বর্জ্য নিঃসরণ ইত্যাদি। কঠিন ও তরল বর্জ্য নির্গত হয়ে নদী, খাল দূষণ হবে এবং ড্রেজিং-এর ফলে নদীর পানি ঘোলা হওয়া ও তেল, গ্রীজ ইত্যাদি নিঃসৃত হয়ে নদীর পানির দূষণ। এখানে একটি উদাহরণ দেয়া জরুরী। টেক্সাসের ফায়েত্তি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বছরে ৩০ হাজার টন সালফার ডাই অক্সাইড নির্গত হতো ফলে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হাইওয়ে ২১-এর ৪৮ কিমি এলাকা জুড়ে গাছ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো ��রিয়নের ৬৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও সুন্দরবনের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। দৈনিক ৬৮ টন বা বছরে প্রায় ২৫ হাজার টন সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হবে। এই গ্যাস এসিড বৃষ্টি ঘটায় এবং ফুসফুস ও হৃৎপিন্ডের ক্ষতি করে। তাছাড়া দৈনিক ৪১ টন বা বছরে প্রায় ১৫ হাজার টন নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হবে। এই গ্যাস ফুসফুসের ক্ষতি করে যার ফলে শ্বাসতন্ত্রের রোগ হয়। কয়লা যতই ঢেকে পরিবহন করা হোক কিংবা জাহাজের গতি যতোই নিয়ন্ত্রণ করা হোক, তাতে জাহাজের কয়লাস্তুপ থেকে চুইয়ে পড়া কয়লা-ধোয়া বিষাক্ত পানি (বিলজ ওয়াটার), অ্যাংকরেজ পয়েন্টে কয়লা লোড-আনলোড করার সময় সৃষ্ট দূষণ, কয়লার গুড়া, জাহাজ নিঃসৃত তেল-আবর্জনা, জাহাজ চলাচলের শব্দ, ঢেউ, বনের ভেতরে জাহাজের সার্চলাইটের তীব্র আলো, জাহাজের ইঞ্জিন থেকে নির্গত বিষাক্ত সালফার ও নাইট্রোজেন গ্যাস ইত্যাদির ক্ষতিকর প্রভাব দূর হয়ে যায় না। সুন্দরবন রক্ষায় বেনজিন রিং সোসাইটির ৫ দফা দাবি নিচে ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হলো - (১) সুন্দরবনের চারপাশে ৩২০ শিল্প-কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল কর, করতে হবে। (২) সুন্দরবনের উপর সকল অনিয়ম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও। বনবিভাগের জনবল বৃদ্ধি কর। (৩) রামপাল-ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্���কল্পের নির্মাণ কাজ বাতিল করতে হবে। বনের পাশ ঘেঁষা সকল আবাসন প্লট অবিলম্বে বাতিল কর, করতে হবে। (৪) অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা, বনে আগুন লাগানো, বাঘ, হরিণ, কুমির ধরা বন্ধ কর। (৫) সুন্দরবনের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শিক্ষা-বিজ্ঞান চর্চা নিশ্চিত কর এবং তাদের জীবনধারণের জীবিকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
0 notes
Text
জেনে রাখা ভালো
আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার রুপকল্প বাস্তবায়ন এবং উন্নয়ন গতিশীল করতে বেগম জিয়া সর্বদাই একজন নীরব কারিগর। তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে কতিপয় সাফল্যমণ্ডিত কর্মযজ্ঞঃ
▫জাতীয় সংসদে প্রথম অধিবেশনে তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনী এনে প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থা পাল্টিয়ে ওয়েষ্ট মিনিষ্টার ধাঁচে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশীদের সরকার ব্যবস্থা।
▫ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাশের মাধ্যমে সকল সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
▫ সকল পৌর কর্পোরেশনে প্রত্যক্ষ ভোটে #মেয়র নির্বাচনের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় এবং দেশে প্রথমবারের মত প্রত্যক্ষ ভোটে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
▫ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রত্যেক ভোটারকে #পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য সংসদে বিল পাশ এবং এজন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়।
▫ ১৯৯১-৯৬ সালে ৩৩০টি থানায় পল্লী #বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম শুরু করে ১৫ হাজার গ্রাম বিদ্যুতায়িত করা হয়।
▫৫৮১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন মোট ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
▪ বাঘাবাড়ি (৭১ মে.ও.)
▪ চট্টগ্রাম রাউজান-১(২১০ মে.ও.)
▪ ঘোড়াশাল (২১০ মে.ও.)
▪ সিলেট কম্বাইণ্ড সাইকেল (৯০ মে.ও.)
▫৭৯৯ মে. ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৫টি নতুন কেন্দ্রের কাজ শুরু করা হয়।
▫আরো ১০২০ মে. ও. উৎপাদনের জন্য ৪টি কেন্দ্রের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
▫ BBC, CNN ও স্যাটেলাইট TV অনুষ্ঠান প্রচারের অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়।
▫চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ TV Station এবং ঝিনাইদহে TV রীলে station করা হয়।
▫রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে Radio Station প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়।
▫কৃষকদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত #কৃষিঋণ সুদসহ #মওকুফ করা হয়। এ বাবদ মোট কৃষিঋণ মওকুফের পরিমাণ ছিল প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
▫কৃষকদের ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা #মওকুফ করা হয়। কৃষকদের মাঝে সহজ শর্তে কৃষিঋণ বিতরণ পদ্ধতি চালু করা হয়।
▫নদী ভাঙ্গনের পর ৩০ বছরের মধ্যে লুপ্ত জমি জেগে উঠলে তা জমির মালিককে ফেরত দেয়ার আইন প্রণয়ন করা হয়।
▫ সহজ শর্তে ঋণ ও ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশে হাঁস মুরগী, মৎস্য ও গবাদি পশুর খামার প্রতিষ্ঠার বিপুল সুযোগ করে দিয়ে বেকার নারী পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।
▫দেশে সরকারি সহায়তায় গবাদিপশু পালন উৎসাহিত হওয়ায় বিদেশ থেকে গুঁড়া দুধ আমদানির পরিমাণ টাকার অংকে ছয়শত কোটি থেকে প্রায় একশত কোটিতে নেমে আসে।
▫উন্মুক্ত জলমহাল ইজারা প্রথা বাতিল করে প্রকৃত জেলে ও দরিদ্র গ্রামবাসীদের মৎস আহরণের অবাধ সুবিধা প্রদান করা হয়। #জাল_যার_জলা_তার" নীতি অনুসরণ করে প্রকৃত মৎসজীবি দের জলমহাল ইজারা দেয়া হয়।
▫ গ্রামীণ এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃব্যবস্থা প্রবর্তনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। ফলে এখন শতকরা নব্বই ভাগ গ্রামবাসী বিশুদ্ধ পানি খেতে পারছেন এবং প্রায় সকলেই অল্প খরচে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত #পয়ঃব্যবস্থা ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন।
▫ ১ লা জুলাই, ১৯৯৩ সালে আইন প্রণয়ন করে সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়।
▫মেয়েদের জন্য দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।
▫দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা গ্রহনে আগ্রহী করে তুলতে #শিক্ষার_বিনিময়ে_খাদ্য কর্মসূচি চালু করা হয়।
▫পল্লী অঞ্চলে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা এবং দেশব্যপী মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রীদের জন্য #উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করা হয়।
▫শিক্ষাক্ষেত্রে #নকলমুক্ত পরীক্ষা, মেয়েদের #বিনামূল্য পড়ালেখাসহ দরিদ্র অথচ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য #বৃত্ত্বির ব্যবস্থা করা হয়।
▫নারী শিক্ষার অগ্রদূ�� বেগম রোকেয়ার নামে রোকেয়া দিবস প্রবর্তন করেন। ২১শে পদক চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
▫হাজার হাজার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা নির্মাণ ও #পুননির্মাণ করা হয়।
▫মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা ও নাম্বার প্রদানে অনিয়ম রোধে খাতা দেখা সিষ্টেমে আমূল পরিবর্তন আনা হয়। ফলে কোন ছাত্র'র খাতা কোন শিক্ষক নীরিক্ষা করছেন তা সম্পূর্ণ অজানা থাকত শিক্ষক ও ছাত্র'র কাছে।
▫#জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও #উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়।
▫অভিভাবক-হীন, ছিন্নমূল ও অসহায় শিশুদের লালন-পালন, শিক্ষা, আশ্রয় ও মানসিক উৎকর্য সাধনের লক্ষে দেশের ৬ স্থানে পরীক্ষামূলক ভাবে ৬ টি #সোনামণি_নিবাস' স্থাপন করে ২০০১-২০০৬ মেয়াদের #বিএনপি সরকার।
▫সোনামণি নিবাসের ফরোয়ার্ড সাপোর্ট দিতে ৪৪ উপজেলা ৪৪৪ টি #টেকনিকাল স্কুল স্থাপন করা যায়। যা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে যথাক্রমে অবহেলিত কিশোর ও 'সোনামণি নিবাস' এর শিশুদের ভবিষ্যত গড়ার ভিশনে গ্রহণ করা হয়।
▫দেশে সর্বপ্রথম বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আরও কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়া হয়। শিক���ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে #কম্পিউটার শিক্ষা কোর্স চালু করা হয়।
▫প্রথম বারের মত তথ্য যোগাযোগ মন্ত্রনালয় গঠন করা হয়।
▫আজকের জনপ্রিয় GSM প্রযুক্তি আনয়ন করেন বেগম জিয়া।
▫স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে #সমাবর্তন উৎসব চালু করা হয়।
▫বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে #সেশনজট দূর করা হয়।
▫#গণশিক্ষা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করা হয়।
▫কুয়ালিটি শিক্ষা ব্যবস্থার স্বার্থে মেয়েদের জন্য অতিরিক্ত দুইটি ক্যডেট কলেজ স্থাপন করা হয়।
▫বেসরকারি স্কুল শিক্ষকদের বেতনের অনুদান ৮০ ভাগে বৃদ্ধি ও তাদেরকে #টাইমস্কেল দেয়া হয়। প্রতিবছর শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়।
▫দুস্থ মহিলাদের স্বাবলম্বী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে #দুস্থ_মহিলাদের_ঋণদান কর্মসূচী চালু করা হয়।
▫ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি দের জন্য #পে-কমিশন গঠন ও তার সুপারিশ বাস্তবায়ন করে প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা একসঙ্গে প্রদান, অবসর গ্রহনের সঙ্গে সঙ্গে পেনশন পাওয়া এবং প্রথমবারের মত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারিদের মৃত্যুর পর তাদের #স্ত্রী এবং #প্রতিবন্ধী সন্তানদেরও আজীবন #পেনশন পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
▫সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীতকরণ। তদুপরি অতিরিক্ত ১০% #বেতনবৃদ্ধি মঞ্জুর করা হয়।
▫সরকারি কর্মচারিদের জন্য ৩ হাজার বাসগৃহ নির্মাণ করা হয়।
▫ বিলম্বে শিক্ষাজীবন সমাপ্তির কারণে লক্ষ লক্ষ হতাশাক্রান্ত যুবক ও যুবমহিলার কর্ম সংস্থানের দ্বার উন্মোচিত হয়।
▫পুলিশ, BDR ও আনছার বাহিনী সম্প্রসারণ ও আধুনিক করা হয়।
▫ বেসরকারী খাতে বেশ কিছু সংখ্যক ব্যাঙ্ক ও বীমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ জোরদার করা হয়।
▫ব্যাঙ্কিং খাতের উন্নয়নের জন্য সংস্কার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়, যার ফলে বিদ্যমান বিশৃঙ্খলা বহুলাংশে দূর হয়।
▫আনসার-ভিডিপি ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করে আনসার ভিডিপি সদস্যদের জন্য এ ব্যাঙ্ক থেকে আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্পে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়।
▫দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে #মুক্তবাজার অর্থনীতি বিকাশের সহায়ক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
▫ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী শ্রমিকদের বিশাল অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে #প্রবাসী_কল্যাণ_মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।
▫ দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত এবং নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সকল নতুন শিল্পকে প্রথম ৫ বছরের জন্য #ট্যাক্সহলিডে মঞ্জুর করা হয়।
▫মজুরি কমিশন" গঠন করে শ্রমিকদের জন্য মজুরি ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়।
▫ হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাষ্ট ও খৃষ্টান কল্যাণ ট্রাষ্টে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়।
▫তফসীলি সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তফসীলি বৃত্তি পুনঃপ্রবর্তন করা হয়।
▫দূর্গা পুজাসহ অন্যান্য পুজা, জন্মাষ্টমী, শ্রী শ্রী হিরচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি প্রভৃতি অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্ব সহকারে রেডিও টিভিতে প্রচার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
▫ ঢাকায় স্থায়ী #হাজীক্যাম্প নির্মাণ করা হয়।
▫টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার জন্য ৩০০ একরেরও বেশী জমি তবলীগ জামায়াতকে প্রদান করা হয়।
▫মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় #মাদ্রাসা ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
▫এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে বেসরকারি প্রাইমারী স্কুলের সমপর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা প্রদাণ করা হয়। মসজিদ, ঈদগাঁ ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের কাজে ব্যাপকহারে আর্থিক অনুদান প্রদাণ করা হয়।
▫আলিয়া মাদ্রাসা সরকারীকরন এবং কাউকি সনদ কে স্বীকৃতি দেবার অফিসিয়াল ওয়ার্ক সম্পন্ন করা হয়।
▫ঢাকা শহরকে বিষাক্ত শিশা মুক্ত করতে টু ষ্ট্রোক বেবিট্যাক্সি বন্ধ করে পরিবেশ বান্ধন CNG চালু করা হয়।
▫পলিথিনের দৈনন্দিন ব্যবহার বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষার্থে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়া হয়।
🔴 বীর মুক্তিযোদ্ধাদের "গ্যালান্ট্রি এওয়ার্ড" প্রদান করা হয়।
▫মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় গঠন করা হয়।
▫রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ নিমার্ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
▫ দেশের জলসীমা পাহারা, নৌ ও সমুদ্রপথে জলদস্যুতা দমন ও চোরাচালান রোধের লক্ষ্যে #কোষ্টগার্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়।
▫বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হতে নৌবাহিনী অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কোষ্ট গার্ডের ভূমিকা পালন করত। এতে তার নিজেস্ব কর্মকাণ্ড ব্যাহত হতো এবং কিছু আইনী সমস্যা সৃষ্টি হতো। এই সমস্যা নিরসনের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উদ্যোগে বিএনপি সরকার একটি কোষ্ট গার্ড গঠনের জন্য সংসদে আইন পাশ করে যা #কোষ্টগার্ড আইন-১৯৯৪" নামে পরিচিত।
▫আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড গঠিত হয়।
▫ সমাজের সকল স্তর এবং শ্রেণীর দুর্নীতির প্রসার বন্ধ করার লক্ষ্যে ৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ সালে #দুর্নীতি_দমন_কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং সংবিধান ও আইনের অধীনে কার্যকরভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা ও জনমত সৃষ্টির জন্য নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ, মিডিয়া এবং জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা নেয়া হয়।
▫জনগণের জান মাল ও সম্ভ্রম রক্ষা এবং দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে আইন-বিরোধী কার্যক্রম এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করার লক্ষে ২৬ শে মার্চ, ২০০৪ সালে র্যাপিড অ্যাকশন টিম (RaT) প্রতিষ্ঠা করা হয়।
▫আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, উন্নত সরঞ্জাম, আধুনিক অস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার উপযোগী বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলা হয়।
▫ বড়পুকুরিয়ার কয়লা এবং মধ্যপাড়ার কঠিন শিলা উত্তোলন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।
▫ভোলা ও বঙ্গোগোপসাগরে নতুন গ্যাস ক্ষেত্র ও দিনাজপুরে কয়লা ক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়।
▫তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে প্রতি বছর দু’টি করে অনুসন্ধান কুপ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়।
▫এছাড়াও, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনীতি এবং শিল্প ও বাণিজ্যের অব্যাহত উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য বেসরকারি খাত ও সমবায়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
▫দেশী, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হয়।
▫দেশের সব��েয়ে বেশী শ্রমিক বিশেষ করে বিপুল নারী শ্রমিক নিয়োগকারী এবং সবচেয়ে বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী গার্মেন্টস শিল্পকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ও আরও সম্প্রসারিত হতে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়।
▫দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে পাট, চা, বস্ত্র, চিনি, ঔষধ, সিরামিক ও চামড়া শিল্পের সুর���্ষা ও অব্যাহত উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
▫ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত যুবশক্তি, নারী উদ্যোক্তা ও সমবায়ীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ঋণ-সহায়তা দেয়া হয়।
▫রপ্তানি বাণিজ্যে ভারসাম্য ও অধিকতর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কৃষিভিত্তিক ও রপ্তানিমুখী শিল্পস্থাপন ও প্রসারে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হয়।
▫দুর্যোগ প্রবণ সমুদ্র উপকূলে অজস্র সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হয়। স্বাভাবিক সময়ে সাইক্লোন সেন্টার সমূহকে প্রাইমারি স্কুল হিসাবে অপারেট করা হত৷
0 notes
Photo
সারা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ৫ ধনী দেশের তালিকা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছে। মোট জাতীয় উৎপাদনের ভিত্তিতে তৈরি ওই পরিসংখ্যানে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে দেশগুলোর মানুষের ক্রয়সক্ষমতার বিষয়টিও। আইএমএফের র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনী দেশের কথা জানাচ্ছেন আহমেদ বায়েজীদ চীন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ চীন। দীর্ঘ দিনের একক মার্কিন আধিপত্যকে পেছনে ফেলে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো তালিকার শীর্ষে ওঠে দেশটি। চলতি বছরেও বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দেশটি। বিগত অর্থবছরে চীনের জিডিপির পরিমাণ ১৯ লাখ ৫১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ৭ দশমিক নয় শতাংশ বেশি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক পর্যন্ত রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল চীনে। ১৯১১ সালে জাতীয়তাবাদীরা রাজতন্ত্রের পতন ঘটায়। এরপর দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর ১৯২৮ সালে প্রজাতান্ত্রিক চীন রাষ্ট্র গঠন করে জাতীয়তাবাদীরা। তবে বেশ কিছু বছর যেতে না যেতেই আবার শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে জাতীয়তাবাদীদের পরাজিত করে কমিউনিস্টরা গ প্রজাতন্ত্রী চীন রাষ্ট্র গঠন করে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন। দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটি। বিশাল এই জনসংখ্যাকে সম্পদে পর��ণত করে শিল্পায়ন আর পরিকল্পিত বিনিয়োগই গড়ে দিয়েছে চীনের বিশাল অর্থনীতির ভিত। ১৯৫০ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রায়ত্ত করে। সে সময়ই মূলত শক্ত অর্থনীতির ভিত্তি করে ওঠে। পরে ১৯৭৮ সালে সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বাজারমুখী অর্থনীতিতে চলে আসে চীন। মুক্তবাজার অর্থনীতির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থানকে দিনকে দিন উন্নত করেছে তারা। বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক হারে শিল্পায়ন হয়েছে আয়তনে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এই দেশটিতে। এসময় বিশ্বব্যাপী বাজার দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে রোবটিক্স, মেশিনারিজ থেকে উড়োজাহাজ তৈরি কোনো খাতেই পিছিয়ে নেই তারা। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা আর যথাযথ বাস্তবায়নের সুফল বেশ ভালোভাবেই ভোগ করেছে চীনারা। জনসংখ্যার সুবিধাকে কাজে লাগানোর জন্য চীন কর্মসংস্থানের দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। জনশক্তির দক্ষতা ও যোগ্যতাকে সামনে রেখে স্থাপিত হয়েছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর এক কোটি যুবকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার পরিকল্পনা ছিল চীন সরকারের। ব্যাপক হারে নগরায়নও হয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। ফলে মান বেড়েছে জীবনযাত্রার। একটি সূত্রে জানা গেছে, চলমান নগরায়নের এই ধারায় আগামী দুই দশকে অন্তত ৩১ কোটি চীনা নাগরিক গ্রাম থেকে শহরের বাসিন্দা হবে। পর্যটন খাতেও এখন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ চীন। নতুন পর্যটন স্পট তৈরি ও পুরনো দ��্শনীয় স্থানগুলোতে বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কাজ করেছে সরকার। এক নজরে : নাম : গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, রাজধানী : বেইজিং, ভৌগোলিক অবস্থান : পূর্ব এশিয়া, আয়তন : ৯৬ লাখ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা : ১৩০ কোটি, প্রধান ভাষা : মান্দারিন, মুদ্রা : রেনমিনবি, শাসনব্যবস্থা: একদলীয় (১৯৪৯ সাল থেকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায়), আইনসভা : ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস, প্রদেশ : ২২টি, বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল : হংকং, ম্যাকাও, তাইওয়ান। জাতীয়তা : জনসংখ্যার শতকরা ৯০ শতাংশ চৈনিক হান জাতি, অবিশষ্টদের মধ্যে রয়েছে আরো ৫৫টি সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী, প্রধান ধর্ম : প্রধানত বৌদ্ধ, মুসলমান জনসংখ্যা : দুই কোটি ৩৫ লাখ প্রায়। যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের কাছে স্বপ্নের দেশ হিসেবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এটি। ১৮৭২ সাল থেকে টানা প্রায় দেড় শ’ বছর শীর্ষ ধনী দেশের স্থানটি ছিল তাদের দখলে। ২০১৪ সালে প্রথমবার চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে। ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জাতীয় উৎপাদন ছিল ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে তিন দশমিক ছয় শতাংশ বেশি।৫০টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের সমাজব্যবস্থা। বহু সংস্কৃতির মিশেল রয়েছে এর জনজীবনে। বহু যুদ্ধবিগ্রহ আর প্রাণহানি পাড়ি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজকের সভ্য সমাজের প্রতিনিধিত্ব করছে। ধারণা করা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদিম অধিবাসীরা এশীয় বংশোদ্ভূত। অন্তত চার হাজার বছর আগে তারা এখানে এসেছিল। তবে ধীরে ধীরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উপনিবেশ স্থাপনের ফলে এখানে ইউরোপীয়দের সংখ্যা বেড়ে যায়। উপনিবেশিকদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এই ভূখণ্ডে। ১৭৭৬ সালে ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেশ সম্মিলিতভাবে গ্রেট ব্রিটনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। সে বছর ৪ জুলাই ওই ১৩টি রাজ্য নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এরপর দীর্ঘ দিনের যুদ্ধে এই উপনিবেশগুলো গ্রেট ব্রিটেনকে পরাজিত করে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার লাভ করে। ১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মার্কিন সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৭৮৮ সালের চূড়ান্তভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্ম হয়। মিশ্র অর্থনীতিরি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনীতির সব শাখায় বিশ্বব্যাপী আধিপত্য মার্কিনিদের। তাদের রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ ও তা ব্যবহারের সর্বোচ্চ কাঠামোগত সুবিধা। আর এ কারণেই প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ফলে মার্কিন অর্থনীতি এতটা অগ্রসর। বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনেও সেরা অবস্থানে তারা। বাণিজ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৮টির প্রধান কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। শিল্প উৎপাদনের দিক থেকেও বিশ্বের অন্যতম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রযুক্তিপণ্য, বিমান শিল্প, পর্যটন, মহাকাশ বিজ্ঞান, গবেষণা, স্টিল, টেলিযোগাযোগ, রাসায়নিক পদার্থ, অস্ত্র প্রস্তুত, ইলেকট্রনিকস, গাড়ি নির্মাণসহ উৎপাদনের সব শাখায় দেশটির রয়েছে শক্ত অবস্থান। ২০০৭-০৮ সালের বিশ্বমন্দার সময় মার্কিন অর্থনীতি বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। তবে যথাযথ পরিকল্পনা ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার পথে তারা। এক নজরে নাম : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাজধানী : ওয়াশিংটন ডিসি, ভৌগোলিক অবস্থান : উত্তর আমেরিকা, আয়তন : ৯৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৬ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা ৩০ কোটি ৯ লাখ, রাষ্ট্রভাষা : ইংরেজি, মুদ্রা : মার্কিন ডলার, শাসনব্যবস্থা : প্রজাতান্ত্রিক, আইনসভা : দুই কক্ষবিশিষ্ট (উচ্চকক্ষ-সিনেট ও নিম্নকক্ষ-হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস), ধর্ম : প্রধানত খ্রিষ্টান, মুসলমান জনসংখ্যা : ২৮ লাখ। ভারত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব অনুযায়ী ২০১৫ সালে ভারত ��িশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এ বছর ভারতের মোট জাতীয় উৎপাদনের পরিমাণ ৮ লাখ ২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে শতকরা ৮ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আয়তনে ভারত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ও পৃথিবীর সপ্তম। জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে চীনের পরই ভারতের অবস্থান। অতি প্রাচীনকাল থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ, ব্যবসায় বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ভরপুর ভারতীয় ভূখণ্ড। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও এই দেশটি এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এ কারণেই ষোড়শ শতক থেকেই এখানে ব্রিটিশ, পর্তুগিজ, ডাচ, ফরাসিসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় বণিকেরা আসতে শুরু করে। সে সময় প্রবল পরাক্রমশালী মুঘল সম্রাটরা ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করছিল। তবে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকেরা ধীরে ধীরে এখানে তাদের অবস্থান শক্ত করতে থাকে। দেশীয় শাসকদের কোন্দলের সুযোগ নিয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেশের অনেক এলাকা তাদের দখলে নেয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষ পুরোপুরি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে চলে যায়। প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশ শাসনের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে পুরোপুরি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রবেশ করে ভারত। এর আগে অর্থনীতিরি বিভিন্ন খাতে বিধিনিষেধ থাকলেও এসময় প্রতিষ্ঠিত সংসদীয় গণতন্ত্রের সুবিধা নিয়ে দেশটি উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নেয়। প্রচুর পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ ও দেশীয় উদ্যোক্তা গড়ে উঠেছে এ সময়কালে। স্টিল, গাড়ি, সিমেন্ট, রাসায়নিক, ইলেকট্রিক পণ্য, যন্ত্রশিল্প, বস্ত্রশিল্প ভারতের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। খনিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম, কয়লা, হীরা, চুনাপাথর, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি। এ ছাড়া বেকারত্ব হ্রাস, পর্যটন ও পরিবহন শিল্পের বিকাশ, কৃষির আধুনিকায়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রভৃতি খাতে ব্যাপক উন্নতি করেছে ভারত। ফলশ্রুতিতে বিশ্বঅর্থনীতিরি বাঘা বাঘা শক্তিগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি। এক নজরে : নাম : ভারতীয় প্রজাতন্ত্র, রাজধানী : নয়াদিল্লি, ভৌগোলিক অবস্থান : দক্ষিণ এশিয়া, আয়তন : ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৪ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা : ১২৫ কোটি প্রায়, মুদ্রা : ভারতীয় রুপি, প্রধান ভাষা : হিন্দি, শাসনব্যবস্থা : বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনসভা : দ্বিকক্ষবিশিষ্ট (উচ্চকক্ষ- লোকসভা, নিম্নকক্ষ-বিধান সভা), ধর্ম : প্রধানত হিন্দু, মুসলমান জনসংখ্যা : ১৮ কোটি। জাপান বিশ্বের ধনী দেশের তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। শিল্পসমৃদ্ধ দেশটির এ বছরে মোট জাতীয় উৎপাদন চার লাখ ৮৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরে চেয়ে এক দশমিক ছয় শতাংশ বেশি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র জাপান। চারটি বৃহৎ দ্বীপসহ প্রায় ছয় হাজার ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত জাপান। ��োনশু, হোক্কাইদো, কুশু ও শিকোকু দ্বীপগুলোতেই জাপানের মূল ভুখণ্ড। ১২ শ’ শতাব্দী থেকে উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত শোগুন নামক একক শাসকেরা জাপানকে শাসন করতেন। ১৮৬৮ সালে দীর্ঘ দিনের গৃহযুদ্ধের পর মেইজি সম্রাট ক্ষমতায় এলে জাপান সাম্রাজ্য পনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। দিনে দিনে সামরিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ওঠে জাপান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তারা জয়ী হয় তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দেশটির হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে মার্কিন পারমাণবিক বোমা আঘাত হানার পর পাল্টে যায় জাপানের রাজনৈতিক দৃশ্যপট। ১৯৪৭ সালে সাং��িধানিক রাজতন্ত্র গৃহীত হয় জাপানে। এর পর থেকে সামরিক দিক থেকে নিজেদের মনোযোগ পুরোপুরি সরিয়ে নেয় জাপান। মনোযোগী হয় অর্থনৈতিক উন্নতিতে। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক অবস্থার মাধ্যমে অর্থনীতিতে উত্তোরোত্তর উন্নতি হয় জাপানের অর্থনীতি। সামরিক খাতে ব্যয় কমিয়ে তা অর্থনীতি উন্নয়নে কাজে লাগায় জাপান সরকার। বাজার অর্থনীতি ছিল জাপানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান পথ। এর মাধ্যমে দেশটি বিশ্বব্যাপী নিজেদের পণ্য প্রসার ও নিজ দেশে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়। টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ এশিয়ার সবচেয়ে বড় শেয়ার মার্কেট। এ ছাড়া পরিবহন শিল্পেও বিপ্লব সাধন করেছে জাপান। পাশাপাশি ইলেকট্রনিকস, পরিবহনব্যবস্থা, সড়ক ও সেতু শিল্প, পর্যটন ইত্যাদিতেও বিশ্বের সেরাদের কাতারে জাপান। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাপানের অর্জন বিশ্বের অনেক ক্ষমতাধর দেশের চেয়ে অনেক বেশি। দেশটিতে বেকারত্ব মাত্র তিন শতাংশ। এক নজরে : নাম : জাপান, রাজধানী : টোকিও, ভৌগোলিক অবস্থান : পূর্ব এশিয়া, আয়তন : ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৪ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা : ১২ কোটি ৭০ লাখ, শাসনব্যবস্থা : সাংবিধানিক রাজতন্ত্র, পার্লামেন্ট : দুই কক্ষবিশিষ্ট (উচ্চকক্ষ হাউজ অব কাউন্সিলরস, নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস)। মুদ্রা : ইয়েন, প্রধান ভাষা : জাপানিজ, ভাষা : মুসলিম, জনসংখ্যা : ২ লাখ। জার্মানি সেরা পাঁচ ধনী দেশের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের দেশ জার্মানি। এ বছর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী জার্মানির মোট জাতীয় উৎপাদন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বেশি। জাতি হিসেবে জার্মানির রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস। ঐতিহাসিক রোমান সাম্রাজ্যসহ বেশ কিছু প্রাচীন সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল জার্মানি। তবে সে সময় বিভিন্ন অংশে বিভক্ত ছিল দেশটি। ১৮১৫ সালে প্রথম জার্মানির রাজ্যগুলোকে নিয়ে একটি কনফেডারেশন গঠিত হয়। এরপর দেশটি শিল্প ও সামরিক খাতে ব্যাপক উন্নত হয়। তবে সমগ্র ইউরোপ আধিপত্য বিস্তার শুরু করলে ১৯১৮ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। সেই যুদ্ধে পরাজয়ের পর আবার বিশৃঙ্খলা শুরু হয় দেশটিতে। ৩০-এর দশকে এডলফ হিটলারের নেতৃত্বে উগ্র জাতীয়তাবাদী নাৎসি পার্টি ক্ষমতায় আসে জার্মানিতে। একনায়ক হিটলারের অধীনে আবার শুরু হয় জার্মানির আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা। তবে সে চেষ্টাও সফল হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আবার পরাজিত হয় তার���। এরপর মিত্রশক্তি জার্মানিকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করে নেয়। ব্রিটিশ, ফরাসি, মার্কিন ও সোভিয়েত রাশিয়া একেকটি অঞ্চলের দায়িত্ব পায়। সোভিয়েত রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের বিরোধের জের ধরে চল্লিশের দশকের শেষ দিকে তাদের নিয়ন্ত্রিত অংশটি পূর্ব জার্মানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আর অন্য তিনটি অংশ নিয়ে জন্ম নেয় পশ্চিম জার্মানি নামক দেশ। রাজধানী বার্লিনকে দুই দেশের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। ১৯৮৯ সালে জনগণ বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলে। ’৯০ সালের ৩ অক্টোবর দুই জার্মানি একত্রিত হয়ে গঠিত হয় ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্র। ইউরোপের সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোর একটি জার্মানি। তাদের রয়েছে খনিজ সম্পদ, যন্ত্রপাতি, গাড়ি, রাসায়নিক দ্রব্য, ধাতু, ইলেকট্রনিকস শিল্পের ব্যাপক উৎপাদন ক্ষমতা। মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, ভক্সওয়াগন, সিমেন্স, এডিডাসের মতো বিশ্বসেরা কোম্পানিগুলো জার্মানিতে অবস্থিত। এক নজরে নাম : সংযুক্ত প্রজাতন্ত্রী জার্মানি, রাজধানী : বার্লিন, অবস্থান : পশ্চিম ইউরোপ, আয়তন : ৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার, শাসনব্যবস্থা : প্রজাতান্ত্রিক, পার্লামেন্ট : দুই কক্ষবিশিষ্ট (উচ্চকক্ষ-বুন্দেসরাট, নিম্নকক্ষ-বুন্দেসতাগ), অঙ্গরাজ্য : ১৬টি, মুদ্রা : ইউরো, প্রধান ভাষা : জার্মান, ধর্ম : প্রধানত খ্রিষ্টান, মোট জনসংখ্যা : ৮ কোটি ১০ লাখ, মুসলিম জনসংখ্যা : ৪৪ লাখ প্রায়।
0 notes
Text
আইইএ | বলেছে যে চীনকে শক্তি দেওয়ার জন্য বিশ্ব 5 বছরের মধ্যে পর্যাপ্ত নবায়নযোগ্য শক্তি অর্জন করবে সিএনএন ব্যবসা
আইইএ | বলেছে যে চীনকে শক্তি দেওয়ার জন্য বিশ্ব 5 বছরের মধ্যে পর্যাপ্ত নবায়নযোগ্য শক্তি অর্জন করবে সিএনএন ব্যবসা
লন্ডন সিএনএন ব্যবসা – গ্লোবাল পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষমতা গত দুই দশকে যতটা বেড়েছে আগামী পাঁচ বছরে ততটা বৃদ্ধি পাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে এবং জলবায়ু সংকট সরকারগুলিকে বাধ্য করে খাদ জীবাশ্ম জ্বালানী. ক রিপোর্ট মঙ্গলবার প্রকাশিত, ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি স্থাপনে একটি তীক্ষ্ণ ত্বরণের পূর্বাভাস দিয়েছে। এটি এখন সবুজ শক্তি আশা করে 2025 সালের প্রথম দিকে কয়লাকে ছাড়��য়ে…
View On WordPress
#iab-পরিবেশ#iab-বিজ্ঞান#iab-ব্যবসা এবং অর্থ#iab-শক্তি এবং শক্তি শিল্প#iab-শিল্প#অর্থনীতি এবং বাণিজ্য#আন্তর্জাতিক সতর্কতা#আন্তর্জাতিক-স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান#ইউরোপ#এশিয়া#গার্হস্থ্য সতর্কতা#গার্হস্থ্য-স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান#চীন#তেল এবং গ্যাস শিল্প#দেশীয়-আন্তর্জাতিক খবর#নবায়নযোগ্য শক্তি#পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ#পরিবেশবাদ#পূর্ব ইউরোপ#পূর্ব এশিয়া#ব্যবসা#ব্যবসা এবং শিল্প খাত#ব্র্যান্ড নিরাপত্তা-এনএসএফ অপরাধ#মহাদেশ এবং অঞ্চল#রাশিয়া#শক্তি এবং উপযোগিতা
0 notes
Photo
পায়রা বন্দর নিয়ে গড়ে ওঠা স্বপ্নে ধাক্কা! ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে দেরি হওয়ায় পায়রা বন্দরকে ঘিরে গড়ে ওঠা স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে। পায়রা বন্দরের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কয়লা এবং এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা এখন বিপাকে পড়েছেন। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে ১৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরের জেটিতে ভেড়াতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ পর্যন্ত। বন্দর চ্যানেলের মুখে মাত্র ২৫ নটিক্যাল মাইল অগভীর সাগর ড্রেজিংয়ের জন্য দীর্ঘ নয় বছর অপেক্ষা করাকে বাড়াবাড়িই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পায়রা বন্দর নির্মাণের ঘোষণা দিলে উদ্যোক্তারা আশায় বুক বাঁধেন। এ অঞ্চলের অন্য সমুদ্রবন্দর মংলা কোন সময়েই দৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। বিশেষ করে মংলার প্রধান চ্যানেলে পশুরের দু’তীর ঘেঁষে সুন্দরবন থাকার পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগে পিছিয়ে পড়ায় মংলা দিনের পর দিন বাণিজ্যের আস্থা হারিয়েছে। তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রাকে ঘিরে সে সম্ভাবনা জেগে উঠেছিল। বিশেষ করে সুন্দরবন এলাকায় বিদ্যুত কেন্দ্র বা অন্য শিল্পকারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়তে হয় পরিবেশ অধিদফতরের। ইতোমধ্যে রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প ঘিরে সে সমালোচনা এবং আন্দোলন চলছে। কিন্তু পটুয়াখালীর পায়রাতে সে সঙ্কট নেই। তবে এখানের বড় বাধা হয়ে উঠেছে ২৫ নটিক্যাল মাইলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং। জানতে চাইলে পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ড্রেজিং হলে কী হবে, না হলে কী হবে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আমরা আশা করছি পুরো ড্রেজিং শেষ করতে ২০২৩ পর্যন্ত সময় লাগবে। এতে প্রতি বছর এক মিটার করে ড্রাফট বৃদ্ধি করা হবে। মাত্র ২৫ নটিক্যাল মাইল ড্রেজিংয়ের জন্য এত বছর সময় লাগাটা যৌক্তিক কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা থাকলে মাত্র দুই বছরেই এ কাজ করা যায়। পায়রা বন্দরের মূল চ্যানেলে রক্ষণাবেক্ষণ ডেজিং করতে বেলজিয়ামের কোম্পানি জান ডি নুলের সঙ্গে গত বছরের ২৫ মে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে। কিন্তু এখনও গত আট মাসে চুক্তিই শেষ করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। জানতে চাইলে বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, এমওইউ’র পর ওরা আমাদের আর্থিক এবং কারিগরি প্রস্তাব দিয়েছে, এসব মূল্যায়ন ��লছে। তবে কবে নাগাদ মূল চুক্তি হবে তা তিনি জানাননি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পায়রায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। বিদ্যুত কেন্দ্রটি ২০১৯ সালে উৎপাদন শুরু করবে। এর বাইরেও এখানে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পৃথকভাবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে কোম্পানিগুলোর জমি অধিগ্রহণ ছাড়াও যৌথ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করার চেষ্টা চলছে। বন্দরকে ঘিরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এবং বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন পেট্রোবাংলা এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও কয়েকটি বিদেশী কোম্পানি পায়রা বন্দরের সম্ভবনাকে কাজে লাগিয়ে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু সব থেকে বড় বাধাই হচ্ছে পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং না হওয়া। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ড্রেজিং শেষ করার নিশ্চয়তা চেয়েছি। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ তা দিতে পারছে না। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, তাদের ড্রেজিং করার আশায় আমরা প্রকল্প তৈরি করলাম কিন্তু ড্রেজিং শেষ হলো না। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগ পড়ে থাকবে। এজন্য নির্ধারিত সময়ে ড্রেজিং শেষ না হলে জরিমানা জরিমানা প্রদান করবেন- এমন শর্তেও আগ্রহ দেখাচ্ছে না পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ড্রেজিং না হলে বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোকে কয়লা আনতে হবে লাইটার জাহাজে করে। এতে কয়লা পরিবহনে বাড়তি খরচের জন্য বিদ্যুতের দাম বেশি পড়বে। আবার এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্যও অন্তত ১৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভিড়তে হবে। কয়লার ক্ষেত্রে লাইটার করা গেলেও এলএনজির ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরাসরি টার্মিনালেই জাহাজ আনতে হয়। বিকল্প হচ্ছে সাগরের মধ্যে দিয়ে পাইপলাইন নির্মাণ করা। কিন্তু অত্যধিক ব্যায়ের কারণে সাগরের মধ্য দিয়ে পাইপলাইন নির্মাণ করতে গেলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারাচ্ছে। এক্ষেত্রে সাগরের মধ্যে দিয়ে পাইপলাইন নির্মাণ করতে অন্তত ১০০ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ হবে। আবার নয় বছর পর ড্রেজিং শেষ হলে এ পাইপলাইন পড়ে থাকবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কোন কোন ক্ষেত্রে কয়লার চেয়েও কম দামে এলএনজি পাওয়া যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দশ বছর অন্তত এলএনজির একই দর বজায় থাকবে। এলএনজি সুবিধাজনক এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ায় অনেক দেশই গ্যাসের স্বল্পতায় এলএনজি ব্যবহার করছে। কিন্তু পায়রায় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের বড় বাধা হয়ে উঠেছে ক্যাপিটাল ড্রেজিং। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত এলাকায় একমাত্র ভোলা ছাড়া আর কোন গ্যাসক্ষেত্র নাই। ভোলাও ছোট আকারের গ্যাসক্ষেত্র বিধায় এখান থেকে ব্যাপকভাবে গ্যাস উত্তোলন সম্ভব নয়। এ অঞ্চলের শিল্প এবং বিদ্যুত উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এলএনজি। সরকার চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ দূর করতে মহেশখালী��ে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের চেষ্টা করছে। কিন্তু সেভাবে পায়রা বন্দরকে গুরুত্ব না দেয়ায় বিস্তীর্ণ এ এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পায়রা ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মংলায় এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা যেতে পারে। কিন্তু সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত পশুর চ্যানেলের শেষ প্রান্ত মানকি পয়েন্টে ২০ মিটার ড্রাফট রয়েছে। মংলা বন্দর থেকে ৫২ নটিক্যাল মাইল দূরে মানকি পয়েন্ট থেকে বন্দরের দুই পাশেই সুন্দরবন। স্থলভাগে বনের মধ্য দিয়ে গ্যাস পাইপলাইন করতে গেলেও পরিবেশবাদীরা বাধার প্রাচীর তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দরে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এইচআর ওয়েলিং ফোর্ড বহিঃনোঙ্গর থেকে রাবনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত ৩৫ নটিক্যাল মাইল দীর্ঘ চ্যানেলের ড্রেজিং প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। সে অনুযায়ী ১৬ মিটার ড্রাফটের মাদার ভ্যাসেলে চলাচল উপযোগী চ্যানেলে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যাপিটাল ও সংরক্ষণ ড্রেজিং করা প্রয়োজন বলে মনে করছে তারা। কিন্তু এ ৩৫ নটিক্যাল মাইলের সবখানেই পানির গভীরতা কম নয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানে সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল খনন করতে হবে।
0 notes
Photo
ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থান প্রতিরোধের এক দশক
---------- আনু মুহাম্মদ
আজ ২৬ আগস্ট ঐতিহাসিক ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থানের এক দশক (২০০৬-২০১৬) পূর্তি হচ্ছে। প্রতিরোধের এক দশক পূর্তিতে আমরা সালাম জানাই শহীদ তরিকুল, সালেকিন, আল আমিন; বীর যোদ্ধা বাবলু রায়, প্রদীপ, শ্রীমন বাস্কেসহ অগণিত সংগ্রামী মানুষকে। মানুষের ঐক্য ও অবিরাম প্রতিরোধ দেশকে রক্ষা করেছে, দিয়েছে নতুন দিশা। তাই ‘প্রতিরোধের এক দশক’ আমাদের উদযাপন করতে হবে তার ভেতর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে তা বিস্তৃত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে।এক দশক ধরে বিজয়ের ওপর দাঁড়িয়ে জনগণের প্রতিরোধ জারি থাকার পেছনে অসংখ্য মানুষের ভূমিকা আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছেন ফুলবাড়ী, বিরামপুর, পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জ থানাসহ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। পাশাপাশি এর সপক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন মানুষের সক্রিয়তা, ছোট-বড় অসংখ্য প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ, লেখালেখি, গবেষণা, একের পর এক চক্রান্ত মোকাবে��া, বুদ্ধিবৃত্তিক ও মাঠের অবিরাম লড়াই সবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।এ রকম প্রশ্ন আমরা প্রায়ই শুনি যে, ‘আপনারা কয়লা উত্তোলন করতে দিচ্ছেন না, গ্যাস উত্তোলন করতে দিচ্ছেন না। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের বিরোধিতা করছেন, পারমাণবিক বিদ্যুতের বিরোধিতা করছেন। তাহলে বিদ্যুৎ কীভাবে হবে? উন্নয়ন কীভাবে হবে?’ কেউ কেউ প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করেন, ‘আপনারা আসলে কী চান? আপনারা তো সবকিছুরই বিরোধিতা করেন। আপনারা টিকফার বিরোধিতা করেন, তেল-গ্যাস নিয়ে চুক্তির বিরোধিতা করেন, গ্যাস রফতানির বিরোধিতা করেন, উন্মুক্ত খনির বিরোধিতা করেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করেন, রেন্টাল-কুইক রেন্টালের বিরোধিতা করেন, বিশ্বব্যাংকের বিরোধিতা করেন, ট্রানজিটের বিরোধিতা করেন। বাংলাদেশকে আসলে আপনারা কোথায় নিতে চান?’ আমি এসব ভদ্রলোকের উদ্দেশে বলি, আপনারা প্রশ্নটা আরো সংক্ষেপে এভাবে করতে পারতেন যে, ‘আপনারা কেন জনগণের সম্পদ ডাকাতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা আর জনবিরোধী চুক্তির বিরোধিতা করেন? কেন প্রাণ-প্রকৃতি-দেশকে বিপন্ন করার ��্রকল্পের বিরোধিতা করেন?’হ্যাঁ, আমরা এগুলোর বিরোধিতা করি। আমরা এগুলোতে না বলি, কেননা আমাদের মধ্যে জনগণের পক্ষে এক প্রবল হ্যাঁ-র শক্তি আছে। আমরা চাই, দেশের সব সম্পদ জনগণের, তার মালিকানায় তার স্বার্থে এগুলোর সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই, দেশের সীমিত সম্পদ দেশী-বিদেশী কতিপয় লুটেরার স্বার্থে রফতানির নামে পাচার না হোক। এর শতভাগ দেশের কাজে লাগুক। আমরা চাই, বর্তমানের জন্য ভবিষ্যেক ধ্বংস না হোক। আমরা চাই, দেশের উন্নয়ন নীতির কেন্দ্রে থাকবে মানুষ, কতিপয় গোষ্ঠীর মুনাফা নয়। উন্নয়নের নামাবলি গায়ে দিয়ে এ ভদ্রলোকেরা দেশের প্রধান আশ্রয় সুন্দরবনকেও ধ্বংস করে দখল, লুণ্ঠন ও মুনাফার জন্য উন্মাদ হয়ে ওঠে। আমাদের দায়িত্ব প্রবল ‘না’ দিয়ে সুন্দরবন রক্ষা করা।উন্নয়নের মূলা ঝুলিয়েই তারা বারবার ভয়ঙ্কর প্রকল্প নিয়ে এসেছে। মার্কিন কোম্পানির মালিকানায় দেশের গ্যাসসম্পদ ভারতে রফতানির জন্য একসময় শোরগোল তুলেছিল সরকারের মন্ত্রী, আমলা, কনসালট্যান্ট, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, বিভিন্ন দূতাবাস। এরা সবাই মিলে হই হই করছিল এই বলে যে, দেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে, অতি শিগগির এ গ্যাস রফতানি না করলে দেশের সর্বনাশ হবে। রফতানি করলে দেশ উন্নয়নে ভরে যাবে। তখন দেশের ব্যবসায়ীদের কতিপয় নেতা মার্কিন কোম্পানির কমিশনভোগী হিসেবে এ প্রচারে যোগ দিয়েছিল। এমন প্রচারও হয়েছিল যে, গ্যাস রফতানি না করলে মার্কিন বাজারে গার্মেন্ট প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে, গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে এবং বেকার হয়ে পড়বে লাখ লাখ মানুষ। আমরা তখন এই প্রবল আওয়াজের বিরুদ্ধে না বলেছিলাম, জনগণ আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন এবং গ্যাস রফতানির ভয়াবহ আয়োজন পরাস্ত হয়েছিল। এটা হয়েছিল বলে দেশে এখন��� গ্যাস আছে, বাতি জ্বলে, কারখানা চলে, ব্যবসা চলে, সিএনজির কারণে ঢাকা শহরে এখনো শ্বাস নেয়া যায়। যদি তখন এ গ্যাস রফতানি হতো, তাহলে আজ অর্ধেক বিদ্যুৎও উত্পাদন করা সম্ভব হতো না।যারা তখন গ্যাস রফতানির জন্য লম্ফঝম্ফ করছিল, তারাই কয়েক বছর পর শুরু করল বিদেশী আনাড়ি কোম্পানির মাধ্যমে উন্মুক্ত খনি, কয়লা রফতানির পক্ষে প্রচার। উত্তরবঙ্গে গ্যাস না দিয়ে বিদেশে রফতানি করতে চেয়েছিল যারা, তারাই প্রচার করতে থাকল উন্মুক্ত খনি ছাড়া উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য, বিদ্যুতায়নের জন্য আর কোনো পথ নেই! তাদেরই কেউ কেউ এখন সুন্দরবনধ্বংসী প্রকল্পের পক্ষে ভাড়া খেটে যাচ্ছে।কী ছিল ফুলবাড়ী প্রকল্প, যার বিরুদ্ধে জনগণকে ১০ বছর পরও একটানা প্রতিরোধ জারি রাখতে হয়েছে? এই ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প অনুযায়ী বাংলাদেশের জন্য মাত্র ৬ শতাংশ রয়্যালটি দিয়ে নতুন গঠিত অনভিজ্ঞ একটি বিদেশী কোম্পানি এশিয়া এনার্জি (এখন নাম জিসিএম) পুরো খনির স্বত্ব লাভ করতে চেয়েছিল, ৮০ শতাংশ কয়লা রফতানি করে মুনাফা নিশ্চিত করার আয়োজন করেছিল। সুন্দরবন পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করে সুন্দরবন বিপর্যস্ত করে সেই কয়লা রফতানি হতো, তার মালিকানা পুরোটাই কোম্পানির। আর রেললাইন নির্মাণের খরচ জোগাতে হতো বাংলাদেশের ভাগের সেই ৬ শতাংশ রয়্যালটি থেকে! ফুলবাড়ী, বিরামপুর, পার্বতীপুরসহ ছয় থানা অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম বলে জমি তিন ফসলি এবং বাংলাদেশের শস্যভাণ্ডার বলে এ অঞ্চল পরিচিত। শুধু খাদ্য উত্পাদন নয়, পানিও এ অঞ্চলে এক বিরাট সম্পদ। দেশের আবাদি জমি, পানিসম্পদ ও মানুষের সর্বনাশ করে মাত্র ৬ শতাংশ রয়্যালটি দিয়ে দেশের কয়লা বিদেশে পাচারের এ প্রকল্পকেই ‘উন্নয়ন প্রকল্প’ বলে ঢোল পেটানো হয়েছিল।এ প্রকল্প একটু খেয়াল করলে তাই এটা পরিষ্কার হয় যে, জনগণ খুবই ন্যায্যতার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছে এবং ২০০৫ সাল থেকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভয়ঙ্কর এক বিপদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে জনগণই। এজন্য জীবনও দিয়েছেন অনেকে। জীবন দিয়েছিলেন শুধু দেশের সম্পদ রক্ষার জন্যই নয়, দেশের নিশানা বদলে দেয়ার জন্য। ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থান দেশ ও দেশের সম্পদের ওপর লুটেরাদের থাবা মুচড়ে দিয়েছিল। তাদের বার্তা এখনো ধরে আছে মানুষেরা: এ দেশের সম্পদ এই দেশের মানুষের। দেশী-বিদেশী লুটেরাদের স্বার্থে নয়, দেশ ও জনগণের স্বার্থে তার শতভাগ ব্যবহার করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের মুখে তত্কালীন সরকার বাধ্য হয়েছিল দেশ থেকে এশিয়া এনার্জি বহিষ্কার ও উন্মুক্ত খনি নিষিদ্ধসহ জনগণের দাবিনামা মেনে চুক্তি স্বাক্ষর করতে। কিন্তু সেই চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে এখনো চক্রান্ত চলছে, প্রতিরোধও জারি আছে।কোনো বৈধ অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ফুলবাড়ী কয়লাখনি দেখিয়ে এশিয়া এনার্জি (জিসিএম) লন্ডনে শেয়ার ব্যবসা করছে প্রায় ১২ বছর ধরে। এর মধ্যে চারটি সরকার ক্ষমতায় থেকেছে, কোনো সরকারই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ পর্যন্ত সরকারের উদ্যোগে বেশ কয়টি কমিটি করা হয়েছে— ড. নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটি করা হয়েছিল ২০০৬ সালে, ২০০৭ সালে আবদুল মতিন পাটোয়ারির নেতৃত্বাধীন এবং ২০০৮ সালে সেটির পর্যালোচনা কমিটি, ২০১১ সালের মোশাররফ হোসেন কমিটি। বিভিন্ন ধরনের চাপ ও কূটকৌশল থাকা সত্ত্বেও কোনোটিই এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্পের পক্ষে দাঁড়ানোর যুক্তি পায়নি, বরং কোম্পানি বা উন্মুক্ত খনির বিরুদ্ধেই মত দিয়েছে।এ প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, কয়লাসম্পদ ব্যবহার হবে কীভাবে? আসলে কোন ব্যবহার দরকার, কোন পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য, তা নির্ভর করে কার স্বার্থ সেখানে গুরুত্ব পাচ্ছে তার ওপর। বিদেশী কোম্পানির জন্য খনিজসম্পদ যত তাড়াতাড়ি তুলে দেশী বা বিদেশী বাজারে নেয়া যায় ততই লাভজনক; মানুষ, প্রকৃতি, খাদ্য, বাসস্থান নিয়ে তার কী? আর দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা চাইব এই অনবায়নযোগ্য সম্পদের প্রতিটি বিন্দু আমাদের কাজে লাগবে। যত দিন সম্ভব এর ব্যবহার করব আমরা এবং তা করব এমনভাবে যাতে মাটির নিচের সম্পদ তুলতে গিয়ে মাটি ও তার উপরের সম্পদ নষ্ট না হয়, পুরো অঞ্চল ধ্বংসস্তূপ, বিরান, বিষাক্ত অঞ্চলে পরিণত না হয়। মানুষই যদি না থাকতে পারে তাহলে বিদ্যুৎ কে ভোগ করবে? ওই অঞ্চলে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, পুকুর, নদী-খাল, মাছ, হাঁস-মুরগি, কৃষিজমি, ফল-ফুল, সবজি, পুরাকীর্তি আছে, আছে কয়লা। ব্যবসায়ী কোম্পানির চোখে সবকিছু অদৃশ্য হয়ে বিপুল মুনাফার উত্স কয়লায় গিয়ে চোখ আটকে থাকতেই পারে। স্বাধীন মানুষের তা হবে কেন? মানুষ তো সবকিছু দেখে বুঝেই বিচার-বিবেচনা করবে।তাহলে পথ কী? ভূমি, মাটি, পানি, পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে কয়লাসম্পদ কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তার জন্য অনেক দিন থেকেই গবেষণা হচ্ছে। আরো নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। আর বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকঠাকমতো অগ্রসর হতে গেলে এ দেশেও গবেষণার সুযোগ সম্প্রসারণ করতে হবে। সবকিছু বিবেচনায় যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, নিজেদের কর্তৃত্বে যদি তেল-গ্যাস, কয়লাসম্পদ থাকে এবং নিজেদের জাতীয় সক্ষমতা তৈরির ব্যবস্থা যদি করা যায় তাহলে বাংলাদেশের জন্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের পথ বের করা ঠিকই সম্ভব হবে। আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মও যে এই সম্পদের মালিক, সেটাও মনে রাখতে হবে। জাতীয় কমিটির সাত দফায় বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে যে রূপরেখা দেয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয় যে, সমাধান খুবই সম্ভব। ফুলবাড়ী, রামপাল, রূপপুর, বাঁশখালীর মতো প্রাণ-প্রকৃতি সম্পদ ধ্বংসকারী ঋণনির্ভর প্রকল্প মোটেই সমস্যা সমাধানের পথ নয়, বরং মহাবিপদের আয়োজন। সমাধানের পথ— স্থলভাগ ও বঙ্গোপসাগরের গ্যাসসম্পদ, কয়লা ও বিদ্যুৎ নিয়ে জাতীয় স্বার্থবি��োধী তত্পরতা ও চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ, জাতীয় সক্ষমতার ওপর দাঁড়িয়ে নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য জ্বালানির সমন্বয়ে সমাধানের পথনকশা তৈরি। ঘাড় থেকে দুর্বৃত্ত না সরালে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হবে না।সেজন্য ভুইফোঁড় প্রতারক কোম্পানি বহিষ্কারসহ ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নই সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের পথে একটি সঠিক পদক্ষেপ হতে পারে।ফুলবাড়ীর মানুষ রক্ত দিয়ে এ বার্তাই দিয়ে গেছেন যে, জনগণের সম্পদ জনগণের মালিকানায়, দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে শতভাগ ব্যবহার হতে হবে। ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থান বার্তা দেয়, দুর্বৃত্ত-লুটেরাদের লুট, ধ্বংসযজ্ঞ আর পাচারের কোনো প্রকল্পই মানুষ গ্রহণ করবে না। এ বার্তা ১০ বছর ধরে জারি থাকা এই প্রতিরোধ, জনগণের এই শক্তির প্রকাশ শুধু বাংলাদেশকে নয়, সারা বিশ্বের মানুষকেই অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা রাখে। সুন্দরবনবিনাশী রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ যে প্রতিরোধে শামিল হয়েছেন, তা এ শক্তিকে আরো বিস্তৃত করছে।
0 notes
Photo
এক নজরে দেখে নিন বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনী দেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছে। মোট জাতীয় উৎপাদনের ভিত্তিতে তৈরি ওই পরিসংখ্যানে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে দেশগুলোর মানুষের ক্রয়সক্ষমতার বিষয়টিও। আইএমএফের র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনী দেশের কথা জানাচ্ছেন আহমেদ বায়েজীদ চীন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ চীন। দীর্ঘ দিনের একক মার্কিন আধিপত্যকে পেছনে ফেলে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো তালিকার শীর্ষে ওঠে দেশটি। চলতি বছরেও বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দেশটি। বিগত অর্থবছরে চীনের জিডিপির পরিমাণ ১৯ লাখ ৫১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ৭ দশমিক নয় শতাংশ বেশি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক পর্যন্ত রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল চীনে। ১৯১১ সালে জাতীয়তাবাদীরা রাজতন্ত্রের পতন ঘটায়। এরপর দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর ১৯২৮ সালে প্রজাতান্ত্রিক চীন রাষ্ট্র গঠন করে জাতীয়তাবাদীরা। তবে বেশ কিছু বছর যেতে না যেতেই আবার শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে জাতীয়তাবাদীদের পরাজিত করে কমিউনিস্টরা গ প্রজাতন্ত্রী চীন রাষ্ট্র গঠন করে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন। দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটি। বিশাল এই জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করে শিল্পায়ন আর পরিকল্পিত বিনিয়োগই গড়ে দিয়েছে চীনের বিশাল অর্থনীতির ভিত। ১৯৫০ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রায়ত্ত করে। সে সময়ই মূলত শক্ত অর্থনীতির ভিত্তি করে ওঠে। পরে ১৯৭৮ সালে সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বাজারমুখী অর্থনীতিতে চলে আসে চীন। মুক্তবাজার অর্থনীতির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থানকে দিনকে দিন উন্নত করেছে তারা। বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক হারে শিল্পায়ন হয়েছে আয়তনে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এই দেশটিতে। এসময় বিশ্বব্যাপী বাজার দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে রোবটিক্স, মেশিনারিজ থেকে উড়োজাহাজ তৈরি কোনো খাতেই পিছিয়ে নেই তারা। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা আর যথাযথ বাস্তবায়নের সুফল বেশ ভালোভাবেই ভোগ করেছে চীনারা। জনসংখ্যার সুবিধাকে কাজে লাগানোর জন্য চীন কর্মসংস্থানের দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। জনশক্তির দক্ষতা ও যোগ্যতাকে সামনে রেখে স্থাপিত হয়েছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর এক কোটি যুবকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার পরিকল্পনা ছিল চীন সরকারের। ব্যাপক হারে নগরায়নও হয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। ফলে মান বেড়েছে জীবনযাত্রার। একটি সূত্রে জানা গেছে, চলমান নগরায়নের এই ধারায় আগামী দুই দশকে অন্তত ৩১ কোটি চীনা নাগরিক গ্রাম থেকে শহরের বাসিন্দা হবে। পর্যটন খাতেও এখন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ চীন। নতুন পর্যটন স্পট তৈরি ও পুরনো দর্শনীয় স্থানগুলোতে বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কাজ করেছে সরকার। এক নজরে : নাম : গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, রাজধানী : বেইজিং, ভৌগোলিক অবস্থান : পূর্ব এশিয়া, আয়তন : ৯৬ লাখ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা : ১৩০ কোটি, প্রধান ভাষা : মান্দারিন, মুদ্রা : রেনমিনবি, শাসনব্যবস্থা: একদলীয় (১৯৪৯ সাল থেকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায়), আইনসভা : ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস, প্রদেশ : ২২টি, বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল : হংকং, ম্যাকাও, তাইওয়ান। জাতীয়তা : জনসংখ্যার শতকরা ৯০ শতাংশ চৈনিক হান জাতি, অবিশষ্টদের মধ্যে রয়েছে আরো ৫৫টি সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী, প্রধান ধর্ম : প্রধানত বৌদ্ধ, মুসলমান জনসংখ্যা : দুই কোটি ৩৫ লাখ প্রায়। যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের কাছে স্বপ্নের দেশ হিসেবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এটি। ১৮৭২ সাল থেকে টানা প্রায় দেড় শ’ বছর শীর্ষ ধনী দেশের স্থানটি ছিল তাদের দখলে। ২০১৪ সালে প্রথমবার চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে। ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জাতীয় উৎপাদন ছিল ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে তিন দশমিক ছয় শতাংশ বেশি।৫০টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের স���াজব্যবস্থা। বহু সংস্কৃতির মিশেল রয়েছে এর জনজীবনে। বহু যুদ্ধবিগ্রহ আর প্রাণহানি পাড়ি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজকের সভ্য সমাজের প্রতিনিধিত্ব করছে। ধারণা করা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদিম অধিবাসীরা এশীয় বংশোদ্ভূত। অন্তত চার হাজার বছর আগে তারা এখানে এসেছিল। তবে ধীরে ধীরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উপনিবেশ স্থাপনের ফলে এখানে ইউরোপীয়দের সংখ্যা বেড়ে যায়। উপনিবেশিকদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এই ভূখণ্ডে। ১৭৭৬ সালে ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেশ সম্মিলিতভাবে গ্রেট ব্রিটনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। সে বছর ৪ জুলাই ওই ১৩টি রাজ্য নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এরপর দীর্ঘ দিনের যুদ্ধে এই উপনিবেশগুলো গ্রেট ব্রিটেনকে পরাজিত করে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার লাভ করে। ১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মার্কিন সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৭৮৮ সালের চূড়ান্তভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্ম হয়। মিশ্র অর্থনীতিরি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনীতির সব শাখায় বিশ্বব্যাপী আধিপত্য মার্কিনিদের। তাদের রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ ও তা ব্যবহারের সর্বোচ্চ কাঠামোগত সুবিধা। আর এ কারণেই প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ফলে মার্কিন অর্থনীতি এতটা অগ্রসর। বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনেও সেরা অবস্থানে তারা। বাণিজ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৮টির প্রধান কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। শিল্প উৎপাদনের দিক থেকেও বিশ্বের অন্যতম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রযুক্তিপণ্য, বিমান শিল্প, পর্যটন, মহাকাশ বিজ্ঞান, গবেষণা, স্টিল, টেলিযোগাযোগ, রাসায়নিক পদার্থ, অস্ত্র প্রস্তুত, ইলেকট্রনিকস, গাড়ি নির্মাণসহ উৎপাদনের সব শাখায় দেশটির রয়েছে শক্ত অবস্থান। ২০০৭-০৮ সালের বিশ্বমন্দার সময় মার্কিন অর্থনীতি বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। তবে যথাযথ পরিকল্পনা ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার পথে তারা। এক নজরে নাম : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাজধানী : ওয়াশিংটন ডিসি, ভৌগোলিক অবস্থান : উত্তর আমেরিকা, আয়তন : ৯৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৬ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা ৩০ কোটি ৯ লাখ, রাষ্ট্রভাষা : ইংরেজি, মুদ্রা : মার্কিন ডলার, শাসনব্যবস্থা : প্রজাতান্ত্রিক, আইনসভা : দুই কক্ষবিশিষ্ট (উচ্চকক্ষ-সিনেট ও নিম্নকক্ষ-হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস), ধর্ম : প্রধানত খ্রিষ্টান, মুসলমান জনসংখ্যা : ২৮ লাখ। ভারত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব অনুযায়ী ২০১৫ সালে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এ বছর ভারতের মোট জাতীয় উৎপাদনের পরিমাণ ৮ লাখ ২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে শতকরা ৮ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আয়তনে ভারত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ও পৃথিবীর সপ্তম। জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে চীনের পরই ভারতের অবস্থান। অতি প্রাচীনকাল থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ, ব্যবসায় বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ভরপুর ভারতীয় ভূখণ্ড। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও এই দেশটি এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এ কারণেই ষোড়শ শতক থেকেই এখানে ব্রিটিশ, পর্তুগিজ, ডাচ, ফরাসিসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় বণিকেরা আসতে শুরু করে। সে সময় প্রবল পরাক্রমশালী মুঘল সম্রাটরা ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করছিল। তবে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকেরা ধীরে ধীরে এখানে তাদের অবস্থান শক্ত করতে থাকে। দেশীয় শাসকদের কোন্দলের সুযোগ নিয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেশের অনেক এলাকা তাদের দখলে নেয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষ পুরোপুরি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে চলে যায়। প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশ শাসনের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে পুরোপুরি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রবেশ করে ভারত। এর আগে অর্থনীতিরি বিভিন্ন খাতে বিধিনিষেধ থাকলেও এসময় প্রতিষ্ঠিত সংসদীয় গণতন্ত্রের সুবিধা নিয়ে দেশটি উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নেয়। প্রচুর পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ ও দেশীয় উদ্যোক্তা গড়ে উঠেছে এ সময়কালে। স্টিল, গাড়ি, সিমেন্ট, রাসায়নিক, ইলেকট্রিক পণ্য, যন্ত্রশিল্প, বস্ত্রশিল্প ভারতের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। খনিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম, কয়লা, হীরা, চুনাপাথর, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি। এ ছাড়া বেকারত্ব হ্রাস, পর্যটন ও পরিবহন শিল্পের বিকাশ, কৃষির আধুনিকায়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রভৃতি খাতে ব্যাপক উন্নতি করেছে ভারত। ফলশ্রুতিতে বিশ্বঅর্থনীতিরি বাঘা বাঘা শক্তিগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি। এক নজরে : নাম : ভারতীয় প্রজাতন্ত্র, রাজধানী : নয়াদিল্লি, ভৌগোলিক অবস্থান : দক্ষিণ এশিয়া, আয়তন : ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৪ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা : ১২৫ কোটি প্রায়, মুদ্রা : ভারতীয় রুপি, প্রধান ভাষা : হিন্দি, শাসনব্যবস্থা : বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনসভা : দ্বিকক্ষবিশিষ্ট (উচ্চকক্ষ- লোকসভা, নিম্নকক্ষ-বিধান সভা), ধর্ম : প্রধানত হিন্দু, মুসলমান জনসংখ্যা : ১৮ কোটি। জাপান বিশ্বের ধনী দেশের তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। শিল্পসমৃদ্ধ দেশটির এ বছরে মোট জাতীয় উৎপাদন চার লাখ ৮৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরে চেয়ে এক দশমিক ছয় শতাংশ বেশি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র জাপান। চারটি বৃহৎ দ্বীপসহ প্রায় ছয় হাজার ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত জাপান। হোনশু, হোক্কাইদো, কুশু ও শিকোকু দ্বীপগুলোতেই জাপানের মূল ভুখণ্ড। ১২ শ’ শতাব্দী থেকে উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত শোগুন নামক একক শাসকেরা জাপানকে শাসন করতেন। ১৮৬৮ সালে দীর্ঘ দিনের গৃহযুদ্ধের পর মেইজি সম্রাট ক্ষমতায় এলে জাপান সাম্রাজ্য পনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। দিনে দিনে সামরিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ওঠে জাপান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তারা জয়ী হয় তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দেশটির হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে মার্কিন পারমাণবিক বোমা আঘাত হানার পর পাল্টে যায় জাপানের রাজনৈতিক দৃশ্যপট। ১৯৪৭ সালে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র গৃহীত হয় জাপানে। এর পর থেকে সামরিক দিক থেকে নিজেদের মনোযোগ পুরোপুরি সরিয়ে নেয় জাপান। মনোযোগী হয় অর্থনৈতিক উন্নতিতে। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক অবস্থার মাধ্যমে অর্থনীতিতে উত্তোরোত্তর উন্নতি হয় জাপানের অর্থনীতি। সামরিক খাতে ব্যয় কমিয়ে তা অর্থনীতি উন্নয়নে কাজে লাগায় জাপান সরকার। বাজার অর্থনীতি ছিল জাপানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান পথ। এর মাধ্যমে দেশটি বিশ্বব্যাপী নিজেদের পণ্য প্রসার ও নিজ দেশে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়। টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ এশিয়ার সবচেয়ে বড় শেয়ার মার্কেট। এ ছাড়া পরিবহন শিল্পেও বিপ্লব সাধন করেছে জাপান। পাশাপাশি ইলেকট্রনিকস, পরিবহনব্যবস্থা, সড়ক ও সেতু শিল্প, পর্যটন ইত্যাদিতেও বিশ্বের সেরাদের কাতারে জাপান। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাপানের অর্জন বিশ্বের অনেক ক্ষমতাধর দেশের চেয়ে অনেক বেশি। দেশটিতে বেকারত্ব মাত্র তিন শতাংশ। এক নজরে : নাম : জাপান, রাজধানী : টোকিও, ভৌগোলিক অবস্থান : পূর্ব এশিয়া, আয়তন : ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৪ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা : ১২ কোটি ৭০ লাখ, শাসনব্যবস্থা : সাংবিধানিক রাজতন্ত্র, পার্লামেন্ট : দুই কক্ষবিশিষ্ট (উচ্চকক্ষ হাউজ অব কাউন্সিলরস, নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস)। মুদ্রা : ইয়েন, প্রধান ভাষা : জাপানিজ, ভাষা : মুসলিম, জনসংখ্যা : ২ লাখ। জার্মানি সেরা পাঁচ ধনী দেশের তালিক���য় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের দেশ জার্মানি। এ বছর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী জার্মানির মোট জাতীয় উৎপাদন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বেশি। জাতি হিসেবে জার্মানির রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস। ঐতিহাসিক রোমান সাম্রাজ্যসহ বেশ কিছু প্রাচীন সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল জার্মানি। তবে সে সময় বিভিন্ন অংশে বিভক্ত ছিল দেশটি। ১৮১৫ সালে প্রথম জার্মানির রাজ্যগুলোকে নিয়ে একটি কনফেডারেশন গঠিত হয়। এরপর দেশটি শিল্প ও সামরিক খাতে ব্যাপক উন্নত হয়। তবে সমগ্র ইউরোপ আধিপত্য বিস্তার শুরু করলে ১৯১৮ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। সেই যুদ্ধে পরাজয়ের পর আবার বিশৃঙ্খলা শুরু হয় দেশটিতে। ৩০-এর দশকে এডলফ হিটলারের নেতৃত্বে উগ্র জাতীয়তাবাদী নাৎসি পার্টি ক্ষমতায় আসে জার্মানিতে। একনায়ক হিটলারের অধীনে আবার শুরু হয় জার্মানির আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা। তবে সে চেষ্টাও সফল হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আবার পরাজিত হয় তারা। এরপর মিত্রশক্তি জার্মানিকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করে নেয়। ব্রিটিশ, ফরাসি, মার্কিন ও সোভিয়েত রাশিয়া একেকটি অঞ্চলের দায়িত্ব পায়। সোভিয়েত রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের বিরোধের জের ধরে চল্লিশের দশকের শেষ দিকে তাদের নিয়ন্ত্রিত অংশটি পূর্ব জার্মানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আর অন্য তিনটি অংশ নিয়ে জন্ম নেয় পশ্চিম জার্মানি নামক দেশ। রাজধানী বার্লিনকে দুই দেশের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। ১৯৮৯ সালে জনগণ বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলে। ’৯০ সালের ৩ অক্টোবর দুই জার্মানি একত্রিত হয়ে গঠিত হয় ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্র। ইউরোপের সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোর একটি জার্মানি। তাদের রয়েছে খনিজ সম্পদ, যন্ত্রপাতি, গাড়ি, রাসায়নিক দ্রব্য, ধাতু, ইলেকট্রনিকস শিল্পের ব্যাপক উৎপাদন ক্ষমতা। মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, ভক্সওয়াগন, সিমেন্স, এডিডাসের মতো বিশ্বসেরা কোম্পানিগুলো জার্মানিতে অবস্থিত। এক নজরে নাম : সংযুক্ত প্রজাতন্ত্রী জার্মানি, রাজধানী : বার্লিন, অবস্থান : পশ্চিম ইউরোপ, আয়তন : ৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার, শাসনব্যবস্থা : প্রজাতান্ত্রিক, পার্লামেন্ট : দুই কক্ষবিশিষ্ট (উচ্চকক্ষ-বুন্দেসরাট, নিম্নকক্ষ-বুন্দেসতাগ), অঙ্গরাজ্য : ১৬টি, মুদ্রা : ইউরো, প্রধান ভাষা : জার্মান, ধর্ম : প্রধানত খ্রিষ্টান, মোট জনসংখ্যা : ৮ কোটি ১০ লাখ, মুসলিম জনসংখ্যা : ৪৪ লাখ প্রায়।
0 notes