#অবনত
Explore tagged Tumblr posts
quransunnahdawah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফ���র এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে ��েশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাকবে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার ক���রণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমান বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফির এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে বেশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাকবে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমান বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
ilyforallahswt · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফির এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে বেশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাকবে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমান বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
myreligionislam · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফির এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে বেশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাকবে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমান বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
allahisourrabb · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফির এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে বেশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাকবে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমান বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
mylordisallah · 4 months ago
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
 
ঈমান কাকে বলে
ইমান আরবি শব্দ। আরবি ‘আমনুন’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটির মূল অর্থ বিশ্বাস করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশ্বস্ততা বা হৃদয়ের স্থিতি। এ ছাড়া আনুগত্য করা, শান্তি, নিরাপত্তা, অবনত হওয়া এবং আস্থা অর্থেও ইমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়। (মুয়জামুল মাকায়িসিল লুগাহ, ১/১৩৩)বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বোঝাতে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে ইমান শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর বিশ্বাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে মুমিন শব্দটি।আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর কেউ ইমান প্রত্যাখ্যান করলে তার কর্ম বিনষ্ট বা নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৫)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে কতক কাফির এবং কতক মুমিন। (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ২)
ঈমান বৃদ্ধির উপায়
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। ...
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। ...
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। ...
ঈমান কমে যাওয়ার কারণ
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ইমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ইমানও ততো কমতে থাকবে। দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ইমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।
যেসব কারণে ঈমান বাড়ে ও কমে
ঈমানের অর্থ হলো- আল্লাহর একত্বের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
যেহেতু উল্লেখিত বিষয়সমূহের সমষ্টির নাম ঈমান, সে হিসেবে ঈমান বাড়বে ও কমবে এটিই স্বাভাবিক। কারণ অন্তরের বিশ্বাসেরও তারতম্য হয়ে থাকে।
সংবাদ শুনে কোনো কিছু বিশ্বাস করা, আর নিজ চোখে দেখে বিশ্বাস করা- এক কথা নয়। অনুরূপভাবে একজনের দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করা আর দু’জনের সংবাদ বিশ্বাস করা এক কথা নয়।  
এ জন্যই  ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখান আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না? হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন, বিশ্বাস তো অবশ্যই করি; কিন্তু আমার অন্তর যাতে পরিতৃপ্ত হয় এ জন্য আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই। ’ -সূরা বাকারা: ২৬০
কাজেই অন্তরের বিশ্বাস এবং তার স্থিরতা ও প্রশান্তির দিক থেকে ঈমান বৃদ্ধি পায়। মানুষ তার অন্তরে এটা সহজে অনুভবও করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মানুষ যখন ইসলামি অনুষ্ঠান বা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা শুনে, তখন তার ঈমান বাড়ে। এসবের আলোচনায় মনে হয়, সে যেন জান্নাত- জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। পরে সে যখন মজলিস থেকে উঠে যায়, তখন গাফলতি চলে আসে এবং এ বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে।  
এমনিভাবে মুখের আমলের অর্থাৎ জিকিরের কারণেও ঈমান বৃদ্ধি পায়। কেননা দশবার আল্লাহর জিকিরকারী একশ’বার জিকিরকারীর সমান না। দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল প্রথম ব্যক্তির আমলের চেয়ে অনেক বেশি।  
এভাবে যে পরিপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন করবে, আর যে ত্রুটিপূর্ণভাবে ইবাদতসম্পন্ন করবে- উভয়ে সমান নয়। আলেমদের মতে, আমলের মাধ্যমেও ঈমান বাড়ে। যে বেশি আমল করে, তার ঈমান কম আমলকারীর চেয়ে বেশি।
কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে এটা বুঝা যায়, মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ঈমান বাড়ার কারণ কি? এ বিষয়ে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন-
প্রথম উপায়: আল্লাহর সমস্ত নাম ও গুণাবলীসহ আল্লাহতায়ালার পরিচয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়ের জ্ঞান যতো বৃদ্ধি পাবে, নিঃসন্দেহে তার ঈমানও ততো বৃদ্ধি পাবে। যে সব আলেম বর্ণিত বিষয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন তারা এ সম্পর্কে জ্ঞানহীন আলেমদের চেয়ে ঈমানের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।
দ্বিতীয় উপায়: আল্লাহর নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং মানব জাতিকে যে জীবন বিধান দিয়েছেন, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টিরাজি নিয়ে যতো চিন্তা করবে, ততোই তার ঈমান বাড়বে।  
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না?’ -সূরা যারিয়াত: ২০
তৃতীয় উপায়: বেশি করে সৎ কাজ সম্পাদন করা। সৎ আমল বেশি বেশি সম্পাদনের কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এমন সৎ আমল মুখের মাধ্যমে হোক, কিংবা কাজের মাধ্যমে হোক।  
ঈমান কমে যাওয়ার কারণসমূহের অন্যতম হলো-
প্রথম কারণ: আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা এ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতো কম থাকবে, ঈমানও ততো কমতে থাকবে।  
দ্বিতীয় কারণ: সৃষ্টি জগৎ, শরিয়ত ও আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।  
তৃতীয় কারণ: গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গোনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের ওপর বিরাট প্রভাব পড়ে।  
চতুর্থ কারণ: সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে ঈমান কমার সঙ্গে সঙ্গে সে শাস্তির সম্মুখিন হবে। অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে- কিন্তু শাস্তির সম্মুখিন হবে না।  
এই জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের যখন মাসিক হয়- তখন তারা নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পুরুষদের তুলনায় তাদের আমল কম হলো- সে হিসেবে তারা পুরুষেরে চেয়ে কম ঈমানের অধিকারী।
জান্নাত পেতে প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল
ঈমান (إِيمَان 'ঈমান', শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমা��� বিভিন্ন উপায়ে মানবিক মূল্যবোধের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ঈমানের মূল অর্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্তা নেই ইবাদতের যোগ্য। ... এই ধর্মে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র পরম মহান আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।
youtube
youtube
ঈমান কি? ঈমানের রোকন কয়টি? ঈমানবৃদ্ধির উপায় কি?
What is faith? How many pillars of faith? What is the way to increase faith?
0 notes
nomanul-ahasan · 6 months ago
Text
Tumblr media
❀๑▬▬▬๑﷽ ๑▬▬▬๑❀
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় ও দয়াময়।
وَالَّذِيۡنَ يَبِيۡتُوۡنَ لِرَبِّهِمۡ سُجَّدًا وَّقِيَامًا
তারা নিজেদের রবের সামনে সিজদায় অবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়ে দেয়।
(সূরা আল ফুরকানঃ ৬৪)
ব্যাখ্যাঃ
অর্থাৎ ওটা ছিল তাদের দিনের জীবন এবং এটা হচ্ছে রাতের জীবন। তাদের রাত আরাম-আয়েশে, নাচ-গানে, খেলা-তামাশায়, গপ-সপে এবং আড্ডাবাজী ও চুরি-চামারিতে অতিবাহিত হয় না। জাহেলীয়াতের এসব পরিচিত বদ কাজগুলোর পরিবর্তে তারা এ সমাজে এমন সব সৎকর্ম সম্পাদনকারী যাদের রাত কেটে যায় আল্লাহর দরবারে দাঁড়িয়ে, বসে শুয়ে দোয়া ও ইবাদাত করার মধ্য দিয়ে। কুরআন মজীদের বিভিন্ন স্থানে তাদের জীবনের এ দিকগুলো সুস্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। যেমন সূরা সাজদায় বলা হয়েছেঃ
تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا
“তাদের পিঠ বিছানা থেকে আলাদা থাকে, নিজেদের রবকে ডাকতে থাকে আশায় ও আশঙ্কায়।” (১৬ আয়াত)
সূরা যারিয়াতে বলা হয়েছেঃ
كَانُوا قَلِيلًا مِنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ O وَبِالْأَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَO “এ সকল জান্নাতবাসী ছিল এমন সব লোক যারা রাতে সামান্যই ঘুমাতো এবং ভোর রাতে মাগফিরাতের দোয়া করতো।” (১৭-১৮ আয়াত)
সূরা যুমা��ে বলা হয়েছেঃ
أَمْ مَنْ هُوَ قَانِتٌ آَنَاءَ اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآَخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ “যে ব্যক্তি হয় আল্লাহর হুকুম পালনকারী, রাতের বেলা সিজদা করে ও দাঁড়িয়ে থাকে, আখেরাতকে ভয় করে এবং নিজের রবের রহমতের প্রত্যাশা করে তার পরিণাম কি মুশরিকের মতো হতে পারে?” (৯ আয়াত)
#SuraAlFurqan64 #QuranMajeed
#DailyQuran
#Quran25ঃ64
#Quran
0 notes
mdrahmatalis-blog · 1 year ago
Text
অব-মত
============
মোঃ রহমত আলী
============
কবিতার প্রেমে বুড়ো হলো নওজোয়ান ,
বুড়োর কলমে কবিতা সব পেরেশান।
মাথার ঘিলু শুকিয়ে মরু-ময়দান ,
প্রেমের পত্র আগে পাঠিয়েছিলাম ,
এখন প্রেমের নাম ধোঁয়ায় সুখটান।
চাঁদের প্রেমে পড়ে ,
সাগর নদীর মাঝে জোয়ার ভাটার টান !
কবিতা লিখিতে হারায়ে গিয়াছে ,
মোর বৃদ্ধ কলমের লাল,নীল,কালো প্রাণ।
তাই প্রথমেই বলে নিচ্ছি,আমি মূর্খ কবি !
তবুও কি এই কবিতা ?
তোমরা আমার সাথে প্রেম করবে !
ভুলেই গিয়েছি আদর্শলিপি ,
মুখ্য যত ব্যবহারিক কার্যবিধি।
একেতো আমার কলমের কালি শূন্য ,
বোঝাতে পারব না,কোনো অক্ষরের মর্ম ,
তবু কেন লিখি জানিনা -না !
শুধু বলতে পারি এতটুকুই ,
এই কবিতা তোকে আমি ভালোবাসি।
আমি নই কোন কবি ,
লিখে তবু ভুল বানানে ,
করি লেখা কাটাকাটি ,
তুমি বন্দী কবিতা !
বাঁধানো বইয়ের পাতায়-পাতায় ,
আমি কিন্তু স্বাধীন বাতাস ,
আমার আছে বিশাল অন্তরে-অন্তর ,
সাদা,মেঘলা,রঙিন-রঙের আকাশ।
আবার আয়না-সাগর চোখে আমার ,
ঝর-ঝর ঝরিয়ে দেই সব ব্যথিত বাহার।
অভ্যস্ত হয়ে গেলে অক্ষরের ভালোবাসায়,
নিন্দার চাহনিতে তবে কি আসে-যায়,
গুণন না হয় – ভাগফল তো হয়,
যোগফল না হয় – বিয়োগ তো রয়।
কান ধরছি বহুবার ,
কবিতার পিছে যাবো নাতো আর !
একই কথা ঘুরেফিরে মাথায় বারবার,
তবে কি আর করি ?
সামাজিক অবমত,মানবিক অবনত
আরো বহু দুর্দশার অনুভব,
তাই তো কবিতা পিছু ছাড়ে না আমায়।
ঘুম নেই রাতে চিন্তায় মানবতার ,
কান পেতে থাকি !
কখন শব্দ পাই আগুন লাগার ,
কবির মন মানেনা !
ছল-চাতুরি ও-সব জানেনা ,
তাই খুঁজে ফিরি পাথর পথে-ঘাটে ,
করে কোনো বাহানা ,
চাপা দিয়ে দেবো লেখা সব কবিতা !!
২৫.০৯.২০২৩
Tumblr media
0 notes
almuminbd · 2 years ago
Text
আবদললহ (র) থক বরণত তন বলন য আমর রসলললহ (সললললহ আলইহ ওয় সললম) সথ একবর বর হলম; তখন আমর যবক ছলম কনত আমদর ববহর সমরথয ছল ন রসলললহ (সললললহ আলইহ ওয় সললম) বললন হ যবক শরণ! তমর ববহ কর ফল কনন ত দষটক অবনত রখ আর লজজসথনর সরকষণ কর আর য বযকত ববহর সমরথয রখ ন স যন সওম (রয) পলন কর কনন সওম (রয) তর কমভব দমন করব সনন আন-নসয় হদসর মন সহহ হদস Al Mu'min #DailyHadith
আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে একবার বের হলাম; তখন আমরা যুবক ছিলাম কিন্তু আমাদের বিবাহের সামর্থ্য ছিল না। রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে যুবক শ্রেণী! তোমরা বিবাহ করে ফেল। কেননা তা দৃষ্টিকে অবনত রাখে আর লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ করে। আর যে ব্যক্তি বিবাহের সামর্থ্য রাখে না সে যেন সাওম (রোযা) পালন করে। কেননা সাওম (রোযা) তার কামভাব দমন করবে। সুনানে আন-নাসায়ী, ২২৩৯ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস Al Mu'min #DailyHadith April 11, 2023 at 08:03AM
0 notes
lifeskillsit · 2 years ago
Text
Tumblr media
অমর একুশে ফ্রেবুয়ারি লাইফ স্কিলস আইটির পক্ষ থেকে সকল ভাষা শহিদের জন্য রইল বিনম্র শ্রদ্ধা, যাদের আত্মত্যাগে আজ আমরা বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে পেয়েছি। একুশ আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। ২১শে ফেব্রুয়ারী কোনো সংখ্যা নয়, একুশ, সকল বাঙালির হৃদয়ে গাঁথা। এই মহান দিবসে শ্রদ্ধায় অবনত হই ভাষা শহীদদের প্রতি যারা আমাদের পরিচয় অক্ষত রেখে গিয়েছে।
1 note · View note
bengali-e24bollywood · 2 years ago
Text
'পাঠান'-এর 'বেশারম রং'-এ অবনীত কৌর-জান্নাত জুবায়েরের নাচ
‘পাঠান’-এর ‘বেশারম রং’-এ অবনীত কৌর-জান্নাত জুবায়েরের নাচ
অবনীত বনাম জান্নাত: শাহরুখ খানের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘পাঠান’-এর সাথে এর প্রথম লঞ্চ মিউজিক ‘বেশরাম রং’ও বড় শিরোনামে থাকতে পারে। এই সঙ্গীতে দীপিকা পাড়ুকোনের জ্বলন্ত মডেল এবং শাহরুখ খানের ড্যাপার লুক অনুগামীদের উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে। একই সময়ে, অবসর জগতের সে��িব্রিটিরাও এই সঙ্গীতে একটি রিল তৈরি করছেন। দুই টিভি সুন্দরী জান্নাত জুবায়ের এবং অবনীত কৌরের নামও সেই তারকাদের সাথে যুক্ত করা হয়েছে,…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
few-favorite-things · 5 years ago
Text
coronavirus: করোনা আক্রান্ত দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবস্থার অবনতি, হবে প্লাজমা থেরাপি - plasma therapy for delhi health minister satyendar jain as his condition worsens
coronavirus: করোনা আক্রান্ত দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবস্থার অবনতি, হবে প্লাজমা থেরাপি – plasma therapy for delhi health minister satyendar jain as his condition worsens
হাইলাইটস
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Delhi Health Minister) সত্যেন্দর জৈনের (Satyendar Jain) অবস্থার অবনতি হয়েছে।
তাঁকে রাজধানীরই অন্য হাসপাতালে সরাতে হয়েছে। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দিতে হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্ট।
সূত্রের খবর তাঁকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হবে।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Delhi Health Minister) সত্যেন্দর জৈনের…
View On WordPress
0 notes
shaheenmiah04 · 2 years ago
Photo
Tumblr media
পুরুষের #পর্দাঃ
আমরা এমন পুরুষ জাতি সারাদিন নারীদের নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমরা ক্লান্ত কিন্তু নিজেদের দিকে একবারও খেয়াল করি না। পুরুষদের পর্দা নিয়ে যেন কোনো মাথা ব্যাথাই নেই!  অথচআল্লাহ তা’আলা কুরআনে পুরুষদের পর্দার কথা বলেছেন আগে তারপর এসেছে নারীদের কথা | আলহামদুলিল্লাহ । 
আল্লাহ বলেছেন পুরুষরা যেনো তাদের চোখ নিচু করে চলে আর লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। অর্থাৎ নিজেদের সংযত করে। তার মানে নজরের হেফাজত করে দৃষ্টি অবনত করে চলা। এটাই পুরুষের বড় পর্দা| আর নাভী থেকে টাখনুর উপরে হাটুর নিচে পর্যন্ত ঢাকা থাকতেই হবে এটা মূল সতর |সাথে মূল বডিটাও ঢাকবেন। প্রিয় ভাই আমার, চোখ আমাদের সকল পরীক্ষার মূল প্রশ্নপত্র। চোখের উত্তরটা ঠিক ঠাক লিখলে ভুরি ভুরি নাম্বার অর্জন করা সম্ভব ইনশাল্লাহ। 
তাই একে সংযত করতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।মনে রাখবেন ভাই চোখ সঙ্গযত তো মস্তিষ্ক সংযত আর মস্তিষ্ক সংযত তো অন্তর সংযত আর অন্তর সংযত তো লজ্জাস্থান সঙ্গযত ফলে জীবন সংযত ইনশাআল্লাহএকটার সাথের আরেকটার সম্পর্ক বেশ গভীর ভাবুন চিন্তা করুন কতইনা সুন্দর ব্যবস্থা সুবহানাল্লহ।
প্রিয় ভাই, নারী যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন তাদের দিকে তাকানো যাবেনা কারন আপনাকে জান্নাতে যেতে হবে। আপনার আল্লাহভীতির উপর নির্ভর করে সেই নারীর কর্ম আপনার ঝুলিতে উঠবেনা|  তাই নিজের দিকে আঙুল তুলতে হবে। ভুলবশত নজর গেলেও বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে সামনে পরে গেলেও নিজেকে সংযত করে চোখ তুলে নিতে হবে,এটাই একবার চোখ পরার বিধান। তখন চোখ অবনত করতে হবে, দৃষ্টিকে স্থানান্তর করতে হবে।কারন এটাই আল্লাহর আদেশ।বিনা তর্কে দ্বীনমেনে নেওয়াই মুমিন বান্দার উত্তম পরিচয়| 
ও ভাই, কোন নারীর পাপের বোঝা আপনি বা আমি বইবো কি? অবশ্যই না, আমাদের নিজের কর্মের ফল নিজেদের ভোগ করতে হবে | বিচারের মাঠে কেউ সাথী হবেনা, আপনি বলতে পারবেন না যে মেয়ে খোলা মেলা ছিলো তাই আমি তাকিয়েছি! কেননা সর্বাবস্থায় আপনাকে দৃষ্টি সংযত করতে হবে ,এটা আল্লাহর আদেশ, ফরজ বিধান। 
প্রিয় ভাই আমাদের এই পরিক্ষায় পাশ করলে হুর ঈন আইন দিবেন আল্লাহ। তাদের বর্ননা কুরআনে সুন্দর করে দেওয়া আছে বিশেষ করে সূরা আর রহমান দেখুন। আমি লিখছি না কারন আমি চাই আপনি নিজেই আল্লাহর তরফ হতে বরাদ্দকৃত রমনীর বিবরন পড়ে নিবেন| আহা! কতই না সুন্দর হবে ভাবলেই হারিয়ে যাই অজানা ভাবনায়! হুর নিয়ে ভাবুন নিজেকে সংযত করুন প্রিয় ভাই।
0 notes
saifali1590 · 2 years ago
Text
আধুনিক ইশ্বর / মুসা আল হাফিজ
আধুনিক ইশ্বর / মুসা আল হাফিজ
এমন ছায়াশরীর দেখিনি আগে। অন্ধকারের নোংরা জিহ্বানীরবতার গায়ে সাপের মতো ছোবল দিলে বুঝলামছায়াশরীর কথা বলছে। করোনার কাশি থেকে বেরিয়ে আসা বাতাসের চেয়েঅস্বস্থিকর নি:শ্বাস ছেড়েসে আমার দিকে এগিয়ে এলো। তার পেছনে অগণিত ছায়াশরীর।তাবড় তাবড় রাষ্ট্র ও রাজনীতি।যেন সে পরাক্রান্ত কেউ, কালের দাজ্জাল! সবাই বলছে প্রণাম করো, অবনত হও! কিন্তু আমার মাথা তখন সেই বৃক্ষের মতোযার তক্তা দিয়ে বানানো হবে নুহের জাহাজ।সে…
View On WordPress
0 notes
dainikcharghat · 3 years ago
Text
কোরআনে বর্ণিত নারীর ১০ বৈশিষ্ট্য
অশ্লীলতা, অনৈতিকতা ও অমার্জিত আচার-আচরণ থেকে বেঁচে থাকা। নারী চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষায় আল্লাহ তাদের সংযত চলাফেরা, দৃষ্টি অবনত রাখা ও লজ্জাস্থান হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন নারীকে বলুন, তারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে
পবিত্র কোরআনের একাধিক জায়গায় নারীদের আলোচনা এসেছে। আল্লাহ নারীবাচক বিভিন্ন শব্দ ও গুণাবলির দ্বারা তাদের উল্লেখ করেছেন। যেমন—কন্যা, স্ত্রী, বোন, মা, নারী, যুবতি, মুমিনা, মুসলিমা ইত্যাদি। এতে যেমন নারীদের সামগ্রিক আলোচনা এসেছে, তেমনি কয়েকজন মহীয়সী নারীর প্রশংসামূলক বর্ণনাও এসেছে। এসেছে পাপী নারী ও তার পরিণতির কথাও। কোরআনে নারী আলোচনা যেভাবেই আসুক না কেন, তা অবশ্যই মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়। নিম্নে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes