#controlling anger
Explore tagged Tumblr posts
Text
রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়
youtube
youtube
youtube
রাগ দমনে যেসব আমল খুবই কার্যকরী
আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা
অজু করা
চুপ থাকা
তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। ( মুসনাদে আহমাদ) মাটিতে শুয়ে পড়��
দোয়া করা
রাগ নিয়ন্ত্রণের ৭ উপায়
রাগ যদি খুব বেড়ে যায়, তবে রাগের পাগলা ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কয়েকটি বাস্তবসম্মত পরীক্ষিত পদ্ধতি আছে। এগুলো মেনে চললে ধীরে ধীড়ে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কিন্তু যে সব মানুষ খুব তাড়াতাড়ি রাগ করে অথবা যারা খুব রাগী তারা কিভাবে তার রাগ কমাবেন?
সব রাগ খারাপ নয়। কখনো কখনো রাগ প্রশংসনীয় আর কখনো নিন্দনীয়। যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে রাগ করা হয় এবং অন্যায় ও হারাম কাজ প্রতিরোধে রাগ ব্যবহার করা হয় তাহলে তা প্রশংসনীয়। বরং অন্যায় দেখে মনে রাগ সৃষ্টি হওয়া মজবুত ঈমানের আলামত। পক্ষান্তরে ব্যক্তিগত স্বার্থে বা দুনিয়াবী ছোট-খাটো বিষয়ে রাগ করা নিন্দনীয়। নিন্দনীয় রাগ দমনের কতিপয় উপায়
১. দোয়া করা
আল্লাহই সকল বিষয়ের তাওফিক দাতা, সঠিক পথে পরিচালনাকারী, দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ তাঁর হাতেই। আত্মা বিনষ্টকারী যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য তিনিই একমাত্র উত্তম সাহায্যকারী। তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফের : আয়াত ৬০)
তাই কঠিন রাগের সময় আল্লাহর সাহায্য চাইলে তিনি বান্দাকে সাহায্য করবেন।
২. অধিক হারে আল্লাহর জিকির করা
যেমন কুরআন পাঠ, তাসবীহ, তাহলীল পাঠ, ইস্তিগফার ইত্যাদি করা। কেননা মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, একমাত্র তাঁর জিকিরই অন্তরে প্রশান্তি আনতে পারে। তিনি বলেন, “জেনে রাখ আল্লাহ্র জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে।” [সূরা রা’দঃ ২৮]
৩. শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
আউজুবিল্লাহিমিনাশ শায়ত্বনির রাজীম (اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرّجِيْم) বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, পাঠ করা। হজরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,একদিন দু’জন লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে পরষ্পরকে গালিগালাজ করছিল। তদের একজন রেগে উঠেছিল। তার ক্র���ধ এত অধিক হয়েছিল যে,তার ঘাড়ের রগগুলো ফুলে উঠছিল এবং তার বর্ণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। তার এই অবস্থা দেখে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি এমন একটি বাক্য জানি, লোকটি তা বললে তার রাগ দুর হয়ে যাবে। এক ব্যক্তি তার কাছে এগিয়ে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা তাকে জানালো। বলল, তুমি শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। সে বলল, আমার মধ্যে কি অসুবিধা দেখেছ? আমি কি পাগল নাকি? তুমি যাও এখান থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. অবস্থান পরিবর্তন করা
যদি দাঁড়ানো অবস্থায় থাকে তবে বসে পড়বে বা শুয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রেগে যায় তবে সে যদি দণ্ডায়মান থাকে তাহলে বসে পড়বে। তাতেও যদি রাগ না থামে তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
৫. সঠিকভাবে দেহের হক আদায় করা
প্রয়োজনীয় ঘুম ও বি���্রাম গ্রহণ করা, সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ না করা, অযথা উত্তেজিত না হওয়া। ক্রুদ্ধ ব্যক্তিদের ক্রোধের কারণ খুঁজতে গিয়ে অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যেই এ কারণগুলো পাওয়া গেছে -অধিক পরিশ্রমের কাজ করা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, ক্ষুধা ইত্যাদি।
আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামআব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামনেবে। কারণ-
তোমার উপরে তোমার শরীরের হক রয়েছে,
তোমার চোখের হক রয়েছে,
তোমার উপরে তোমার স্ত্রীর হক রয়েছে,
তোমার জন্য প্রতিমাসে তিন দিন রোযা রাখাই যথেষ্ট। এতে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব রয়েছে। কেননা প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব দশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমি আমার নিজের উপর কঠোরতা আরোপ করলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো একাধারে রোজা রাখতে এবং রাতের বেলা নামাজ পড়তে সক্ষম। আব্দুল্লাহ বিন আমর বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয়ে বললেন, হায় আফসোস! আমি যদি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ মেনে নিতাম, তাহলে কতইনা ভাল হতো। (মুসলিম)
৬. রাগের যাবতীয় কারণ থেকে দূরে থাকা।
৭. রাগের সময় চুপ থাকা
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা শিক্ষা প্রদান কর, মানুষের উপর সহজ কর, কঠোরতা আরোপ করোনা, তোমাদের কেউ রাগন্বিত হয়ে গেলে সে যেন চুপ থাকে।’ (মুসনাদ, জামে)
রাগ নিয়ন্ত্রণকারীর ম���্যাদা অনেক বেশি। তাই যে সকল আয়াত ও হাদিস রাগ সংবরণ করার উৎসাহ দেয় সেগুলো এবং যেগুলো ক্রোধের ভয়বহতা সম্পর্কে সর্কত করে সেগুলো মনে করা এবং ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করা। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বীয় ক্রোধকে সংবরণ করে, অথচ সে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম ছিল, তাকে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের ময়দানে সকল মানুষের সামনে আহবান করবেন। এরপর জান্নাতের আনত নয়না হুর থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে স্বাধীনতা দেবেন এবং তার ইচ্ছানুযায়ী তাদের সাথে তার বিবাহ দিয়ে দেবেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
রাগ নিয়ন্ত্রন করা
Controlling Anger
#রাগ নিয়ন্ত্রন করা#Controlling Anger#রাগনিয়ন্ত্রন করা#ControllingAnger#AngerControlling#Anger#রাগ#Youtube
0 notes
Text
রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়
youtube
youtube
youtube
রাগ দমনে যেসব আমল খুবই কার্যকরী
আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা
অজু করা
চুপ থাকা
তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। ( মুসনাদে আহমাদ) মাটিতে শুয়ে পড়া
দোয়া করা
রাগ নিয়ন্ত্রণের ৭ উপায়
রাগ যদি খুব বেড়ে যায়, তবে রাগের পাগলা ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কয়েকটি বাস্তবসম্মত পরীক্ষিত পদ্ধতি আছে। এগুলো মেনে চললে ধীরে ধীড়ে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কিন্তু যে সব মানুষ খুব তাড়াতাড়ি রাগ করে অথবা যারা খুব রাগী তারা কিভাবে তার রাগ কমাবেন?
সব রাগ খারাপ নয়। কখনো কখনো রাগ প্রশংসনীয় আর কখনো নিন্দনীয়। যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে রাগ করা হয় এবং অন্যায় ও হারাম কাজ প্রতিরোধে রাগ ব্যবহার করা হয় তাহলে তা প্রশংসনীয়। বরং অন্যায় দেখে মনে রাগ সৃষ্টি হওয়া মজবুত ঈমানের আলামত। পক্ষান্তরে ব্যক্তিগত স্বার্থে বা দুনিয়াবী ছোট-খাটো বিষয়ে রাগ করা নিন্দনীয়। নিন্দনীয় রাগ দমনের কতিপয় উপায়
১. দোয়া করা
আল্লাহই সকল বিষয়ের তাওফিক দাতা, সঠিক পথে পরিচালনাকারী, দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ তাঁর হাতেই। আত্মা বিনষ্টকারী যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য তিনিই একমাত্র উত্তম সাহায্যকারী। তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফের : আয়াত ৬০)
তাই কঠিন রাগের সময় আল্লাহর সাহায্য চাইলে তিনি বান্দাকে সাহায্য করবেন।
২. অধিক হারে আল্লাহর জিকির করা
যেমন কুরআন পাঠ, তাসবীহ, তাহলীল পাঠ, ইস্তিগফার ইত্যাদি করা। কেননা মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, একমাত্র তাঁর জিকিরই অন্তরে প্রশান্তি আনতে পারে। তিনি বলেন, “জেনে রাখ আল্লাহ্র জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে।” [সূরা রা’দঃ ২৮]
৩. শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
আউজুবিল্লাহিমিনাশ শায়ত্বনির রাজীম (اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرّجِيْم) বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, পাঠ করা। হজরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,একদিন দু’জন লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে পরষ্পরকে গালিগালাজ করছিল। তদের একজন রেগে উঠেছিল। তার ক্রোধ এত অধিক হয়েছিল যে,তার ঘাড়ের রগগুলো ফুলে উঠছিল এবং তার বর্ণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। তার এই অবস্থা দেখে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি এমন একটি বাক্য জানি, লোকটি তা বললে তার রাগ দুর হয়ে যাবে। এক ব্যক্তি তার কাছে এগিয়ে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা তাকে জানালো। বলল, তুমি শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। সে বলল, আমার মধ্যে কি অসুবিধা দেখেছ? আমি কি পাগল নাকি? তুমি যাও এখান থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. অবস্থান পরিবর্তন করা
যদি দাঁড়ানো অবস্থায় থাকে তবে বসে পড়বে বা শুয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রেগে যায় তবে সে যদি দণ্ডায়মান থাকে তাহলে বসে পড়বে। তাতেও যদি রাগ না থামে তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
৫. সঠিকভাবে দেহের হক আদায় করা
প্রয়োজনীয় ঘুম ও বিশ্রাম গ্রহণ করা, সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ না করা, অযথা উত্তেজিত না হওয়া। ক্রুদ্ধ ব্যক্তিদের ক্রোধের কারণ খুঁজতে গিয়ে অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যেই এ কারণগুলো পাওয়া গেছে -অধিক পরিশ্রমের কাজ করা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, ক্ষুধা ইত্যাদি।
আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামআব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামনেবে। কারণ-
তোমার উপরে তোমার শরীরের হক রয়েছে,
তোমার চোখের হক রয়েছে,
তোমার উপরে তোমার স্ত্রীর হক রয়েছে,
তোমার জন্য প্রতিমাসে তিন দিন রোযা রাখাই যথেষ্ট। এতে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব রয়েছে। কেননা প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব দশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমি আমার নিজের উপর কঠোরতা আরোপ করলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো একাধারে রোজা রাখতে এবং রাতের বেলা নামাজ পড়তে সক্ষম। আব্দুল্লাহ বিন আমর বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয়ে বললেন, হায় আফসোস! আমি যদি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ মেনে নিতাম, তাহলে কতইনা ভাল হতো। (মুসলিম)
৬. রাগের যাবতীয় কারণ থেকে দূরে থাকা।
৭. রাগের সময় চুপ থাকা
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা শিক্ষা প্রদান কর, মানুষের উপর সহজ কর, কঠোরতা আরোপ করোনা, তোমাদের কেউ রাগন্বিত হয়ে গেলে সে যেন চুপ থাকে।’ (মুসনাদ, জামে)
রাগ নিয়ন্ত্রণকারীর মর্যাদা অনেক বেশি। তাই যে সকল আয়াত ও হাদিস রাগ সংবরণ করার উৎসাহ দেয় সেগুলো এবং যেগুলো ক্রোধের ভয়বহতা সম্পর্কে সর্কত করে সেগুলো মনে করা এবং ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করা। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বীয় ক্রোধকে সংবরণ করে, অথচ সে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম ছিল, তাকে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের ময়দানে সকল মানুষের সামনে আহবান করবেন। এরপর জান্নাতের আনত নয়না হুর থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে স্বাধীনতা দেবেন এবং তার ইচ্ছানুযায়ী তাদের সাথে তার বিবাহ দিয়ে দেবেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
রাগ নিয়ন্ত্রন করা
Controlling Anger
#রাগ নিয়ন্ত্রন করা#Controlling Anger#রাগনিয়ন্ত্রন করা#ControllingAnger#AngerControlling#Anger#রাগ#Youtube
0 notes
Text
রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়
youtube
youtube
youtube
রাগ দমনে যেসব আমল খুবই কার্যকরী
আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা
অজু করা
চুপ থাকা
তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। ( মুসনাদে আহমাদ) মাটিতে শুয়ে পড়া
দোয়া করা
রাগ নিয়ন্ত্রণের ৭ উপায়
রাগ যদি খুব বেড়ে যায়, তবে রাগের পাগলা ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কয়েকটি বাস্তবসম্মত পরীক্ষিত পদ্ধতি আছে। এগুলো মেনে চললে ধীরে ধীড়ে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কিন্তু যে সব মানুষ খুব তাড়াতাড়ি রাগ করে অথবা যারা খুব রাগী তারা কিভাবে তার রাগ কমাবেন?
সব রাগ খারাপ নয়। কখনো কখনো রাগ প্রশংসনীয় আর কখনো নিন্দনীয়। যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে রাগ করা হয় এবং অন্যায় ও হারাম কাজ প্রতিরোধে রাগ ব্যবহার করা হয় তাহলে তা প্রশংসনীয়। বরং অন্যায় দেখে মনে রাগ সৃষ্টি হওয়া মজবুত ঈমানের আলামত। পক্ষান্তরে ব্যক্তিগত স্বার্থে বা দুনিয়াবী ছোট-খাটো বিষয়ে রাগ করা নিন্দনীয়। নিন্দনীয় রাগ দমনের কতিপয় উপায়
১. দোয়া করা
আল্লাহই সকল বিষয়ের তাওফিক দাতা, সঠিক পথে পরিচালনাকারী, দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ তাঁর হাতেই। আত্মা বিনষ্টকারী যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য তিনিই একমাত্র উত্তম সাহায্যকারী। তিনি ��লেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফের : আয়াত ৬০)
তাই কঠিন রাগের সময় আল্লাহর সাহায্য চাইলে তিনি বান্দাকে সাহায্য করবেন।
২. অধিক হারে আল্লাহর জিকির করা
যেমন কুরআন পাঠ, তাসবীহ, তাহলীল পাঠ, ইস্তিগফার ইত্যাদি করা। কেননা মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, একমাত্র তাঁর জিকিরই অন্তরে প্রশান্তি আনতে পারে। তিনি বলেন, “জেনে রাখ আল্লাহ্র জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে।” [সূরা রা’দঃ ২৮]
৩. শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
আউজুবিল্লাহিমিনাশ শায়ত্বনির রাজীম (اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرّجِيْم) বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, পাঠ করা। হজরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,একদিন দু’জন লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে পরষ্পরকে গালিগালাজ করছিল। তদের একজন রেগে উঠেছিল। তার ক্রোধ এত অধিক হয়েছিল যে,তার ঘাড়ের রগগুলো ফুলে উঠছিল এবং তার বর্ণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। তার এই অবস্থা দেখে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি এমন একটি বাক্য জানি, লোকটি তা বললে তার রাগ দুর হয়ে যাবে। এক ব্যক্তি তার কাছে এগিয়ে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা তাকে জানালো। বলল, তুমি শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। সে বলল, আমার মধ্যে কি অসুবিধা দেখেছ? আমি কি পাগল নাকি? তুমি যাও এখান থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. অবস্থান পরিবর্তন করা
যদি দাঁড়ানো অবস্থায় থাকে তবে বসে পড়বে বা শুয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রেগে যায় তবে সে যদি দণ্ডায়মান থাকে তাহলে বসে পড়বে। তাতেও যদি রাগ না থামে তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
৫. সঠিকভাবে দেহের হক আদায় করা
প্রয়োজনীয় ঘুম ও বিশ্রাম গ্রহণ করা, সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ না করা, অযথা উত্তেজিত না হওয়া। ক্রুদ্ধ ব্যক্তিদের ক্রোধের কারণ খুঁজতে গিয়ে অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যেই এ কারণগুলো পাওয়া গেছে -অধিক পরিশ্রমের কাজ করা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, ক্ষুধা ইত্যাদি।
আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামআব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামনেবে। কারণ-
তোমার উপরে তোমার শরীরের হক রয়েছে,
তোমার চোখের হক রয়েছে,
তোমার উপরে তোমার স্ত্রীর হক রয়েছে,
তোমার জন্য প্রতিমাসে তিন দিন রোযা রাখাই যথেষ্ট। এতে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব রয়েছে। কেননা প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব দশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমি আমার নিজের উপর কঠোরতা আরোপ করলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো একাধারে রোজা রাখতে এবং রাতের বেলা নামাজ পড়তে সক্ষম। আব্দুল্লাহ বিন আমর বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয়ে বললেন, হায় আফসোস! আমি যদি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ মেনে নিতাম, তাহলে কতইনা ভাল হতো। (মুসলিম)
৬. রাগের যাবতীয় কারণ থেকে দূরে থাকা।
৭. রাগের সময় চুপ থাকা
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা শিক্ষা প্রদান কর, মানুষের উপর সহজ কর, কঠোরতা আরোপ করোনা, তোমাদের কেউ রাগন্বিত হয়ে গেলে সে যেন চুপ থাকে।’ (মুসনাদ, জামে)
রাগ নিয়ন্ত্রণকারীর মর্যাদা অনেক বেশি। তাই যে সকল আয়াত ও হাদিস রাগ সংবরণ করার উৎসাহ দেয় সেগুলো এবং যেগুলো ক্রোধের ভয়বহতা সম্পর্কে সর্কত করে সেগুলো মনে করা এবং ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করা। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বীয় ক্রোধকে সংবরণ করে, অথচ সে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম ছিল, তাকে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের ময়দানে সকল মানুষের সামনে আহবান করবেন। এরপর জান্নাতের আনত নয়না হুর থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে স্বাধীনতা দেবেন এবং তার ইচ্ছানুযায়ী তাদের সাথে তার বিবাহ দিয়ে দেবেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
রাগ নিয়ন্ত্রন করা
Controlling Anger
#রাগ নিয়ন্ত্রন করা#Controlling Anger#রাগনিয়ন্ত্রন করা#ControllingAnger#AngerControlling#Anger#রাগ#Youtube
0 notes
Text
রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়
youtube
youtube
youtube
রাগ দমনে যেসব আমল খুবই কার্যকরী
আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা
অজু করা
চুপ থাকা
তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। ( মুসনাদে আহমাদ) মাটিতে শুয়ে পড়া
দোয়া করা
রাগ নিয়ন্ত্রণের ৭ উপায়
রাগ যদি খুব বেড়ে যায়, তবে রাগের পাগলা ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কয়েকটি বাস্তবসম্মত পরীক্ষিত পদ্ধতি আছে। এগুলো মেনে চললে ধীরে ধীড়ে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কিন্তু যে সব মানুষ খুব তাড়াতাড়ি রাগ করে অথবা যারা খুব রাগী তারা কিভাবে তার রাগ কমাবেন?
সব রাগ খারাপ নয়। কখনো কখনো রাগ প্রশংসনীয় আর কখনো নিন্দনীয়। যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে রাগ করা হয় এবং অন্যায় ও হারাম কাজ প্রতিরোধে রাগ ব্যবহার করা হয় তাহলে তা প্রশংসনীয়। বরং অন্যায় দেখে মনে রাগ সৃষ্টি হওয়া মজবুত ঈমানের আলামত। পক্ষান্তরে ব্যক্তিগত স্বার্থে বা দুনিয়াবী ছোট-খাটো বিষয়ে রাগ করা নিন্দনীয়। নিন্দনীয় রাগ দমনের কতিপয় উপায়
১. দোয়া করা
আল্লাহই সকল বিষয়ের তাওফিক দাতা, সঠিক পথে পরিচালনাকারী, দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ তাঁর হাতেই। আত্মা বিনষ্টকারী যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য তিনিই একমাত্র উত্তম সাহায্যকারী। তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফের : আয়াত ৬০)
তাই কঠিন রাগের সময় আল্লাহর সাহায্য চাইলে তিনি বান্দাকে সাহায্য করবেন।
২. অধিক হারে আল্লাহর জিকির করা
যেমন কুরআন পাঠ, তাসবীহ, তাহলীল পাঠ, ইস্তিগফার ইত্যাদি করা। কেননা মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, একমাত্র তাঁর জিকিরই অন্তরে প্রশান্তি আনতে পারে। তিনি বলেন, “জেনে রাখ আল্লাহ্র জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে।” [সূরা রা’দঃ ২৮]
৩. শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
আউজুবিল্লাহিমিনাশ শায়ত্বনির রাজীম (اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرّجِيْم) বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, পাঠ করা। হজরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,একদিন দু’জন লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে পরষ্পরকে গালিগালাজ করছিল। তদের একজন রেগে উঠেছিল। তার ক্রোধ এত অধিক হয়েছিল যে,তার ঘাড়ের রগগুলো ফুলে উঠছিল এবং তার বর্ণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। তার এই অবস্থা দেখে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি এমন একটি বাক্য জানি, লোকটি তা বললে তার রাগ দুর হয়ে যাবে। এক ব্যক্তি তার কাছে এগিয়ে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা তাকে জানালো। বলল, তুমি শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। সে বলল, আমার মধ্যে কি অসুবিধা দেখেছ? আমি কি পাগল নাকি? তুমি যাও এখান থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. অবস্থান পরিবর্তন করা
যদি দাঁড়ানো অবস্থায় থাকে তবে বসে পড়বে বা শুয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রেগে যায় তবে সে যদি দণ্ডায়মান থাকে তাহলে বসে পড়বে। তাতেও যদি রাগ না থামে তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
৫. সঠিকভাবে দেহের হক আদায় করা
প্রয়োজনীয় ঘুম ও বিশ্রাম গ্রহণ করা, সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ না করা, অযথা উত্তেজিত না হওয়া। ক্রুদ্ধ ব্যক্তিদের ক্রোধের কারণ খুঁজতে গিয়ে অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যেই এ কারণগুলো পাওয়া গেছে -অধিক পরিশ্রমের কাজ করা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, ক্ষুধা ইত্যাদি।
আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামআব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামনেবে। কারণ-
তোমার উপরে তোমার শরীরের হক রয়েছে,
তোমার চোখের হক রয়েছে,
তোমার উপরে তোমার স্ত্রীর হক রয়েছে,
তোমার জন্য প্রতিমাসে তিন দিন রোযা রাখাই যথেষ্ট। এতে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব রয়েছে। কেননা প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব দশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমি আমার নিজের উপর কঠোরতা আরোপ করলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো একাধারে রোজা রাখতে এবং রাতের বেলা নামাজ পড়তে সক্ষম। আব্দুল্লাহ বিন আমর বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয়ে বললেন, হায় আফসোস! আমি যদি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ মেনে নিতাম, তাহলে কতইনা ভাল হতো। (মুসলিম)
৬. রাগের যাবতীয় কারণ থেকে দূরে থাকা।
৭. রাগের সময় চুপ থাকা
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা শিক্ষা প্রদান কর, মানুষের উপর সহজ কর, কঠোরতা আরোপ করোনা, তোমাদের কেউ রাগন্বিত হয়ে গেলে সে যেন চুপ থাকে।’ (মুসনাদ, জামে)
রাগ নিয়ন্ত্রণকারীর মর্যাদা অনেক বেশি। তাই যে সকল আয়াত ও হাদিস রাগ সংবরণ করার উৎসাহ দেয় সেগুলো এবং যেগুলো ক্রোধের ভয়বহতা সম্পর্কে সর্কত করে সেগুলো মনে করা এবং ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করা। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বীয় ক্রোধকে সংবরণ করে, অথচ সে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম ছিল, তাকে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের ময়দানে সকল মানুষের সামনে আহবান করবেন। এরপর জান্নাতের আনত নয়না হুর থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে স্বাধীনতা দেবেন এবং তার ইচ্ছানুযায়ী তাদের সাথে তার বিবাহ দিয়ে দেবেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
রাগ নিয়ন্ত্রন করা
Controlling Anger
#রাগ নিয়ন্ত্রন করা#Controlling Anger#রাগনিয়ন্ত্রন করা#ControllingAnger#AngerControlling#Anger#রাগ#Youtube
0 notes
Text
রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়
youtube
youtube
youtube
রাগ দমনে যেসব আমল খুবই কার্যকরী
আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা
অজু করা
চুপ থাকা
তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। ( মুসনাদে আহমাদ) মাটিতে শুয়ে পড়া
দোয়া করা
রাগ নিয়ন্ত্রণের ৭ উপায়
রাগ যদি খুব বেড়ে যায়, তবে রাগের পাগলা ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কয়েকটি বাস্তবসম্মত পরীক্ষিত পদ্ধতি আছে। এগুলো মেনে চললে ধীরে ধীড়ে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কিন্তু যে সব মানুষ খুব তাড়াতাড়ি রাগ করে অথবা যারা খুব রাগী তারা কিভাবে তার রাগ কমাবেন?
সব রাগ খারাপ নয়। কখনো কখনো রাগ প্রশংসনীয় আর কখনো নিন্দনীয়। যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে রাগ করা হয় এবং অন্যায় ও হারাম কাজ প্রতিরোধে রাগ ব্যবহার করা হয় তাহলে তা প্রশংসনীয়। বরং অন্যায় দেখে মনে রাগ সৃষ্টি হওয়া মজবুত ঈমানের আলামত। পক্ষান্তরে ব্যক্তিগত স্বার্থে বা দুনিয়াবী ছোট-খাটো বিষয়ে রাগ করা নিন্দনীয়। নিন্দনীয় রাগ দমনের কতিপয় উপায়
১. দোয়া করা
আল্লাহই সকল বিষয়ের তাওফিক দাতা, সঠিক পথে পরিচালনাকারী, দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ তাঁর হাতেই। আত্মা বিনষ্টকারী যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য তিনিই একমাত্র উত্তম সাহায্যকারী। তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফের : আয়াত ৬০)
তাই কঠিন রাগের সময় আল্লাহর সাহায্য চাইলে তিনি বান্দাকে সাহায্য করবেন।
২. অধিক হারে আল্লাহর জিকির করা
যেমন কুরআন পাঠ, তাসবীহ, তাহলীল পাঠ, ইস্তিগফার ইত্যাদি করা। কেননা মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, একমাত্র তাঁর জিকিরই অন্তরে প্রশান্তি আনতে পারে। তিনি বলেন, “জেনে রাখ আল্লাহ্র জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে।” [সূরা রা’দঃ ২৮]
৩. শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
আউজুবিল্লাহিমিনাশ শায়ত্বনির রাজীম (اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرّجِيْم) বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, পাঠ করা। হজরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,একদিন দু’জন লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে পরষ্পরকে গালিগালাজ করছিল। তদের একজন রেগে উঠেছিল। তার ক্রোধ এত অধিক হয়েছিল যে,তার ঘাড়ের রগগুলো ফুলে উঠছিল এবং তার বর্ণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। তার এই অবস্থা দেখে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি এমন একটি বাক্য জানি, লোকটি তা বললে তার রাগ দুর হয়ে যাবে। এক ব্যক্তি তার কাছে এগিয়ে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা তাকে জানালো। বলল, তুমি শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। সে বলল, আমার মধ্যে কি অসুবিধা দেখেছ? আমি কি পাগল নাকি? তুমি যাও এখান থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. অবস্থান পরিবর্তন করা
যদি দাঁড়ানো অবস্থায় থাকে তবে বসে পড়বে বা শুয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রেগে যায় তবে সে যদি দণ্ডায়মান থাকে তাহলে বসে পড়বে। তাতেও যদি রাগ না থামে তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
৫. সঠিকভাবে দেহের হক আদায় করা
প্রয়োজনীয় ঘুম ও বিশ্রাম গ্রহণ করা, সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ না করা, অযথা উত্তেজিত না হওয়া। ক্রুদ্ধ ব্যক্তিদের ক্রোধের কারণ খুঁজতে গিয়ে অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যেই এ কারণগুলো পাওয়া গেছে -অধিক পরিশ্রমের কাজ করা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, ক্ষুধা ইত্যাদি।
আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামআব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামনেবে। কারণ-
তোমার উপরে তোমার শরীরের হক রয়েছে,
তোমার চোখের হক রয়েছে,
তোমার উপরে তোমার স্ত্রীর হক রয়েছে,
তোমার জন্য প্রতিমাসে তিন দিন রোযা রাখাই যথেষ্ট। এতে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব রয়েছে। কেননা প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব দশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমি আমার নিজের উপর কঠোরতা আরোপ করলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো একাধারে রোজা রাখতে এবং রাতের বেলা নামাজ পড়তে সক্ষম। আব্দুল্লাহ বিন আমর বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয়ে বললেন, হায় আফসোস! আমি যদি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ মেনে নিতাম, তাহলে কতইনা ভাল হতো। (মুসলিম)
৬. রাগের যাবতীয় কারণ থেকে দূরে থাকা।
৭. রাগের সময় চুপ থাকা
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা শিক্ষা প্রদান কর, মানুষের উপর সহজ কর, কঠোরতা আরোপ করোনা, তোমাদের কেউ রাগন্বিত হয়ে গেলে সে যেন চুপ থাকে।’ (মুসনাদ, জামে)
রাগ নিয়ন্ত্রণকারীর মর্যাদা অনেক বেশি। তাই যে সকল আয়াত ও হাদিস রাগ সংবরণ করার উৎসাহ দেয় সেগুলো এবং যেগুলো ক্রোধের ভয়বহতা সম্পর্কে সর্কত করে সেগুলো মনে করা এবং ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করা। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বীয় ক্রোধকে সংবরণ করে, অথচ সে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম ছিল, তাকে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের ময়দানে সকল মানুষের সামনে আহবান করবেন। এরপর জান্নাতের আনত নয়না হুর থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে স্বাধীনতা দেবেন এবং তার ইচ্ছানুযায়ী তাদের সাথে তার বিবাহ দিয়ে দেবেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
রাগ নিয়ন্ত্রন করা
Controlling Anger
#রাগ নিয়ন্ত্রন করা#Controlling Anger#রাগনিয়ন্ত্রন করা#ControllingAnger#AngerControlling#Anger#রাগ#Youtube
0 notes
Text
রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়
youtube
youtube
youtube
রাগ দমনে যেসব আমল খুবই কার্যকরী
আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা
অজু করা
চুপ থাকা
তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। ( মুসনাদে আহমাদ) মাটিতে শুয়ে পড়া
দোয়া করা
রাগ নিয়ন্ত্রণের ৭ উপায়
রাগ যদি খুব বেড়ে যায়, তবে রাগের পাগলা ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কয়েকটি বাস্তবসম্মত পরীক্ষিত পদ্ধতি আছে। এগুলো মেনে চললে ধীরে ধীড়ে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কিন্তু যে সব মানুষ খুব তাড়াতাড়ি রাগ করে অথবা যারা খুব রাগী তারা কিভাবে তার রাগ কমাবেন?
সব রাগ খারাপ নয়। কখনো কখনো রাগ প্রশংসনীয় আর কখনো নিন্দনীয়। যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে রাগ করা হয় এবং অন্যায় ও হারাম কাজ প্রতিরোধে রাগ ব্যবহার করা হয় তাহলে তা প্রশংসনীয়। বরং অন্যায় দেখে মনে রাগ সৃষ্টি হওয়া মজবুত ঈমানের আলামত। পক্ষান্তরে ব্যক্তিগত স্বার্থে বা দুনিয়াবী ছোট-খাটো বিষয়ে রাগ করা নিন্দনীয়। নিন্দনীয় রাগ দমনের কতিপয় উপায়
১. দোয়া করা
আল্লাহই সকল বিষয়ের তাওফিক দাতা, সঠিক পথে পরিচালনাকারী, দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ তাঁর হাতেই। আত্মা বিনষ্টকারী যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য তিনিই একমাত্র উত্তম সাহায্যকারী। তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফের : আয়াত ৬০)
তাই কঠিন রাগের সময় আল্লাহর সাহায্য চাইলে তিনি বান্দাকে সাহায্য করবেন।
২. অধিক হারে আল্লাহর জিকির করা
যেমন কুরআন পাঠ, তাসবীহ, তাহলীল পাঠ, ইস্তিগফার ইত্যাদি করা। কেননা মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, একমাত্র তাঁর জিকিরই অন্তরে প্রশান্তি আনতে পারে। তিনি বলেন, “জেনে রাখ আল্লাহ্র জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে।” [সূরা রা’দঃ ২৮]
৩. শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
আউজুবিল্লাহিমিনাশ শায়ত্বনির রাজীম (اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرّجِيْم) বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, পাঠ করা। হজরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,একদিন দু’জন লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে পরষ্পরকে গালিগালাজ করছিল। তদের একজন রেগে উঠেছিল। তার ক্রোধ এত অধিক হয়েছিল যে,তার ঘাড়ের রগগুলো ফুলে উঠছিল এবং তার বর্ণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। তার এই অবস্থা দেখে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি এমন একটি বাক্য জানি, লোকটি তা বললে তার রাগ দুর হয়ে যাবে। এক ব্যক্তি তার কাছে এগিয়ে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা তাকে জানালো। বলল, তুমি শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। সে বলল, আমার মধ্যে কি অসুবিধা দেখেছ? আমি কি পাগল নাকি? তুমি যাও এখান থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. অবস্থান পরিবর্তন করা
যদি দাঁড়ানো অবস্থায় থাকে তবে বসে পড়বে বা শুয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রেগে যায় তবে সে যদি দণ্ডায়মান থাকে তাহলে বসে পড়বে। তাতেও যদি রাগ না থামে তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
৫. সঠিকভাবে দেহের হক আদায় করা
প্রয়োজনীয় ঘুম ও বিশ্রাম গ্রহণ করা, সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ না করা, অযথা উত্তেজিত না হওয়া। ক্রুদ্ধ ব্যক্তিদের ক্রোধের কারণ খুঁজতে গিয়ে অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যেই এ কারণগুলো পাওয়া গেছে -অধিক পরিশ্রমের কাজ করা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, ক্ষুধা ইত্যাদি।
আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামআব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি শুনেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোজা রাখ এবং রাতের বেলা নফল নামাজ আদায় কর-এটা কি ঠিক? আমি বললাম, হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এরূপ করো না। বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখবে এবং মাঝে মাঝে রোজা ছাড়বে এবং রাতের কিছু অংশে নামাজ পড়বে এবং কিছু অংশে বিশ্রামনেবে। কারণ-
তোমার উপরে তোমার শরীরের হক রয়েছে,
তোমার চোখের হক রয়েছে,
তোমার উপরে তোমার স্ত্রীর হক রয়েছে,
তোমার জন্য প্রতিমাসে তিন দিন রোযা রাখাই যথেষ্ট। এতে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব রয়েছে। কেননা প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব দশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমি আমার নিজের উপর কঠোরতা আরোপ করলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো একাধারে রোজা রাখতে এবং রাতের বেলা নামাজ পড়তে সক্ষম। আব্দুল্লাহ বিন আমর বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয়ে বললেন, হায় আফসোস! আমি যদি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ মেনে নিতাম, তাহলে কতইনা ভাল হতো। (মুসলিম)
৬. রাগের যাবতীয় কারণ থেকে দূরে থাকা।
৭. রাগের সময় চুপ থাকা
হজরত ইবনে আব্বাস রাদ���য়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা শিক্ষা প্রদান কর, মানুষের উপর সহজ কর, কঠোরতা আরোপ করোনা, তোমাদের কেউ রাগন্বিত হয়ে গেলে সে যেন চুপ থাকে।’ (মুসনাদ, জামে)
রাগ নিয়ন্ত্রণকারীর মর্যাদা অনেক বেশি। তাই যে সকল আয়াত ও হাদিস রাগ সংবরণ করার উৎসাহ দেয় সেগুলো এবং যেগুলো ক্রোধের ভয়বহতা সম্পর্কে সর্কত করে সেগুলো মনে করা এবং ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করা। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বীয় ক্রোধকে সংবরণ করে, অথচ সে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম ছিল, তাকে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের ময়দানে সকল মানুষের সামনে আহবান করবেন। এরপর জান্নাতের আনত নয়না হুর থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে স্বাধীনতা দেবেন এবং তার ইচ্ছানুযায়ী তাদের সাথে তার বিবাহ দিয়ে দেবেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
youtube
রাগ নিয়ন্ত্রন করা
Controlling Anger
#রাগ নিয়ন্ত্রন করা#Controlling Anger#রাগনিয়ন্ত্রন করা#ControllingAnger#AngerControlling#Anger#রাগ#Youtube
0 notes
Text
The Spiritual Impact of Anger in 3 Nephi 12:22
In both the New Testament and the Book of Mormon, Jesus addresses anger with similar intensity.
Understanding Anger: Insights from 3 Nephi 12:22 When it comes to anger, it’s not just about what we do; it’s about what’s simmering inside. In 3 Nephi 12:22, we find a profound exploration of this emotion’s impact on our relationships and our spiritual path. It’s echoed in Matthew 5:22, where a similar invitation calls for introspection on how anger can lead us astray. Anger isn’t just an…
#3 Nephi 12:22#anger and spirituality#anger in the Bible#Anger Management#biblical insights on anger#Book of Mormon teachings#Christian perspectives on anger#controlling anger#emotional control through scripture#LDS Church teachings#LDS scripture study#managing emotions biblically#personal growth through scripture#religious teachings on anger#scriptural insights on emotions#spiritual development and anger#spiritual guidance on anger#understanding anger
0 notes
Text
#anger#anger management#how to control anger#anger management techniques#anger issues#dealing with anger#controlling anger#ways to control anger#anger management tips#anger management issues#help for anger issues#how to deal with anger issues#how to control anger immediately
1 note
·
View note
Text
Posting a sneak-peak of this now because I'm about to be In The Shit school workload-wise, so this'll take me a while to finish.
Doing some character design exploration/expression sheets for Celestia and Luna. Figuring out Celestia's weird ass anatomy while I'm at it.
#mlp#celestia#fanart#my art#wip#the grand galloping 20s#delete later#look at me fucking smart guy signed up for 4 art classes in one quarter#so now i have 4 concurrent art/film/creative writing projects going on at the same fucking time#taking bets on how fast i burn out#anyways the idea behind the faces is the front face is the surface. it displays whatever emotions celestia intends when she's in control.#the two side faces––sadness and anger––are sides of her she has less control over. i drew all 3 faces active for the exploration#but in reality only 1 is active at a time. the others will either close their eyes or go catatonic like a puppet or doll#the final face on the back of the head is the deep subconscious. every ugly and violent and hateful thought and emotion#that lies buried under the surface. celestia has no control over that side of her. if she ever wakes
3K notes
·
View notes
Text
tee hee (*´∇`*)✿
#zu art#comic#studio#zudio#backstage#dream!sans#undertale#undertale au#utmv#I wanted to make it part of the plot but it's too kawaii to be true xd#although he does have problems with self-control and aggression in particular#scientists associate outbursts of anger with deep-seated feelings of guilt and narcissism; as well as comparison with a sibling :')#(it'll be shown later ig <3)#sorry for so much of [Dream] content xp We'll switch to [Cross] soon ;)#OH and thank you guys so much for 17 900+!! (*´꒳`*)
2K notes
·
View notes
Text
Mamas Boy off
#jason todd#red hood#dc#batman#jason todd fanart#robin dc#my art#zuko#atla#atla fanart#prince zuko#atla zuko#they r so similar#in some ways#anger controlling them because they don’t know how to rely on anything else#and when they did it ended in their demise#children born of war#wanting to prove themselves to their fathers#auch#fire#their love and kindness from their mother
2K notes
·
View notes
Text
@rwrbmovie & @rwrbsource's rwrb appreciation month bingo: underrated moment
#*#rwrbedit#rwrbsource#rwrb movie#rwrbmonth#red white and royal blue#rwrb#firstprince#henry x alex#lgbtedit#usergay#adaptationsdaily#filmgifs#moviegifs#fyeahmovies#userninz#chrissiewatts#iuserzoe#usersteen#userthai#tusertha#userclara#userlaro#usermegsb#uservik#userlang#tusermira#swearphil#i already know y'all are gonna say this scene isn't underrated but i do feel this specific part of it is#and i feel like you can see the anger in alex's body for a bit. he just controls it more than in the book bc they're mildy diff circumstanc
960 notes
·
View notes
Text
i don't talk enough about Price's anger and how he probably has genuine, diagnosable issues with rage that absolutely impact almost all of his relationships in major ways. and i should probably change that asap.
#i just think angry characters (but ones with real/recognisable issues with management and control) are so interesting#anger is definitely my favourite emotion to explore and i need to do that more because Price's rage really is so understated#but its a thing of beauty
448 notes
·
View notes
Text
My friends think I like to fight, but it's just not true. Sometimes I lose my temper and blow off a little steam—but I've never enjoyed it. I'm not a violent dog. I don't know why I bite.
RAPH AND ANGER
[in/sp]
huge shoutout to @shalaaex and @amascomet for their incredible art that inspired this! check out their beautiful posts!!
quote is from isle of dogs (2018)
#i thought having krang raph for the last line would be a pretty good gutpunch. cause yknow.. he can't control himself in that scene.#he doesn't know why it's happening. pretty good metaphor for his anger dontcha think#rottmnt#tmnt#tmntedit#rise of the tmnt#animationsdaily#tmntdaily#tmnt 2012#2012 tmnt#tmnt 2003#2003 tmnt#raph tmnt#tmnt raph#mutant mayhem#may makes#rise#2003#mm#2012
2K notes
·
View notes
Note
imagine dominating a yandere soobin
warnings. dubcon/NC, sub soobin
yan!soobin who has you pinned down to his bed his hold unrelenting against your wrists, no doubt creating red marks around them, the intensity of his ramblings increasing and increasing by the second that it scares you shitless, frozen under his looming figure. “you know im doing all of this because i love you right? i love you for fucksakes. i love you.”
you shake your head timidly because this wasnt love, any sane person knows that—no, everyone knows that, even soobin. he knows it isnt love.
when he leans down closer to your face, trying to kiss you, you kick him again, still attempting to struggle out of his hold but that only serves to press against the tent in his pants, soobins breathing hitching—suddenly getting heavier to your horror. “soobin. let…me…go.” you try to keep your breathing in control, not letting your voice break, pleading.
he shakes his head, eyes crazed and desperate. “no, no i wont. i wont. i love you. i cant. ive—ive done… everything for you, i-”
the moment you feel his hold weakening, you yank your hand, immediately going to strike his face—out of pure outrage, the fact that he has even an ounce of audacity to convince you that hes somehow doing you good, that he’s owed anything for his insanity. but then you regret it. so deeply. seeing his bangs fall over his eyes with his head turn to the side and his cheek flushed red, your hand shakes, your whole body trembles at what he might do to you now. he looks even more deranged.
but when he turns to face you again, his expression is totally different from what you expected to be met with. his brows pointed up, eyes clouded, and lips apart, panting.
lust. its lust.
“do anything, do everything. i don’t care.” he picks up your hand up to his cheek again, smiling—smiling. “use me, be angry, slap me, bite me, its okay baby i can take it.”
#ok now imagine riding him out of anger#pinning him down knowing that this is the only way you could feel like you have control#and hed just take it all very obediently#even when you torture edge him for hours#✶ ━━ rana ; answered#🌷. rana thoughts
1K notes
·
View notes
Text
one of the most important things terry pratchett has taught me is that it's okay to be angry. no one has ever said that to me before. he taught me that anger was an engine. that you can use that anger. that it goes hand in hand with love. he taught me to never underestimate my anger, because it's one of my strongest points. he taught me genuine anger was one of the world’s great creative forces. he taught me i shouldn't be fighting my anger, but what caused it. he himself said rage underlines everything he wrote. i never heard anger talked about so openly like that before and it's freeing, i suppose, to realize you are truly, truly not alone in your rage at the world. you never were.
#“Granny Weatherwax was often angry. She considered it one of her strong points. Genuine anger was one of the world’s great creative forces.#But you had to learn how to control it. That didn’t mean you let it trickle away. It meant you dammed it carefully#let it develop a working head let it drown whole valleys of the mind and then - just when the whole structure was about to collapse -#opened a tiny pipeline at the base and let the iron-hard stream of wrath power the turbines of revenge.“#not a moment goes by that im not thinking of that quote#ill stop going on about anger and pterry i promise it's just that im angry all the time and he's the only thing that has helped so far and#you dont get over that sort of thing#gnu terry pratchett#discworld#terry pratchett
1K notes
·
View notes