সূরাতুল আসর এর শিক্ষা কি?
থিম এবং বিষয়বস্তু। এই সূরাটি শেখায় যে সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, যারা ইমান (ইসলামে বিশ্বাসী), সৎ কাজ করে এবং অন্যদেরকে হক (সত্য, অধিকার, বাস্তবতা) স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্যদেরকে সবর (ধৈর্য) স্মরণ করিয়ে দেয়।
সূরা আসরের গুরুত্ব?
সূরা আল-আসর জীবনের দর্শনকে সংক্ষিপ্ত করে এবং আমাদের শেখায় যে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় যদি না সে বিশ্বাস করে এবং ভাল কাজ করে । এটি ধৈর্য, সততা, নম্রতা এবং ভাল কাজগুলিকে উত্সাহিত করে।
সুরা আসর: ৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা আসর কোরআনের ১০৩তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ৩টি রুকু ১টি। সুরা আসর কুরআনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সুরাগুলোর একটি। তবে এর অর্থ ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা এ সুরায় মাত্র তিনটি আয়াতে মানুষের মুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন। ইমাম শাফেঈ (রহ.) বলেন, আল্লাহ যদি কুরআনের শুধু এই সুরাটিই নাজিল করতেন, তাহলে এটিই মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো।
এ সুরায় আল্লাহ যুগের কসম করে বলেছেন, মানুষের মধ্যে যারা ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখে না, সৎকর্ম ও অপরের কল্যাণ কামনা করে না, সদুপদেশ দেয় না, তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
সুরা আসর
(১) মহাকালের শপথ! (২) মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। (৩) কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে পরস্পরকে উদ্ধুদ্ধ করে।
৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. মানুষ দুনিয়ায় প্রচুর সাফল্য, সম্মান ও অর্থবিত্ত অর্জন করলেও সে ক্ষতিগ্রস্ত যদি সে কুফর ও মন্দ আমলের মধ্যে থাকে।
২. যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারাই সত্যিকার কৃতকার্য ও সফলকাম।
৩. মুমিনদের একটি আবশ্যিক গুণ হলো তারা পরস্পরের কল্যাণকামী হবে; পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেকে, ধৈর্যের উপদেশ দেবে।
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন?
কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অ��াব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’
যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
Bangla Tafseer Surah Asr
সূরা আসর বাংলা তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=Y9jKfde9Nmc
সূরা আসরের সম্পূর্ণ তাফসির
সূরা আসর নিয়ে চমৎকার একটি প্রশ্ন
সুরা আসর তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=iXpqc2d2hbM&t=224s
জান্নাতে যাওয়ার চারটি শর্ত
https://www.youtube.com/watch?v=4VyzWJ-u6x4
এটা কি সত্য যারা মুসলিম তারাই জান্নাতে যাবে আর যারা অমুসলিম তারা জাহান্নামে যাবে?
https://www.youtube.com/watch?v=_wN7BUErcOA&t=1s
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
সুরা আসরের শিক্ষা
সুরা আসর: শিক্ষা ও নির্দেশনা
0 notes
সূরাতুল আসর এর শিক্ষা কি?
থিম এবং বিষয়বস্তু। এই সূরাটি শেখায় যে সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, যারা ইমান (ইসলামে বিশ্বাসী), সৎ কাজ করে এবং অন্যদেরকে হক (সত্য, অধিকার, বাস্তবতা) স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্যদেরকে সবর (ধৈর্য) স্মরণ করিয়ে দেয়।
সূরা আসরের গুরুত্ব?
সূরা আল-আসর জীবনের দর্শনকে সংক্ষিপ্ত করে এবং আমাদের শেখায় যে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় যদি না সে বিশ্বাস করে এবং ভাল কাজ করে । এটি ধৈর্য, সততা, নম্রতা এবং ভাল কাজগুলিকে উত্সাহিত করে।
সুরা আসর: ৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা আসর কোরআনের ১০৩তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ৩টি রুকু ১টি। সুরা আসর কুরআনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সুরাগুলোর একটি। তবে এর অর্থ ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা এ সুরায় মাত্র তিনটি আয়াতে মানুষের মুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন। ইমাম শাফেঈ (রহ.) বলেন, আল্লাহ যদি কুরআনের শুধু এই সুরাটিই নাজিল করতেন, তাহলে এটিই মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো।
এ সুরায় আল্লাহ যুগের কসম করে বলেছেন, মানুষের মধ্যে যারা ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখে না, সৎকর্ম ও অপরের কল্যাণ কামনা করে না, সদুপদেশ দেয় না, তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
সুরা আসর
(১) মহাকালের শপথ! (২) মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। (৩) কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে পরস্পরকে উদ্ধুদ্ধ করে।
৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. মানুষ দুনিয়ায় প্রচুর সাফল্য, সম্মান ও অর্থবিত্ত অর্জন করলেও সে ক্ষতিগ্রস্ত যদি সে কুফর ও মন্দ আমলের মধ্যে থাকে।
২. যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারাই সত্যিকার কৃতকার্য ও সফলকাম।
৩. মুমিনদের একটি আবশ্যিক গুণ হলো তারা পরস্পরের কল্যাণকামী হবে; পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেকে, ধৈর্যের উপদেশ দেবে।
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন?
কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’
যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার স��যোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
Bangla Tafseer Surah Asr
সূরা আসর বাংলা তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=Y9jKfde9Nmc
সূরা আসরের সম্পূর্ণ তাফসির
সূরা আসর নিয়ে চমৎকার একটি প্রশ্ন
সুরা আসর তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=iXpqc2d2hbM&t=224s
জান্নাতে যাওয়ার চারটি শর্ত
https://www.youtube.com/watch?v=4VyzWJ-u6x4
এটা কি সত্য যারা মুসলিম তারাই জান্নাতে যাবে আর যারা অমুসলিম তারা জাহান্নামে যাবে?
https://www.youtube.com/watch?v=_wN7BUErcOA&t=1s
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
সুরা আসরের শিক্ষা
সুরা আসর: শিক্ষা ও নির্দেশনা
0 notes
সূরাতুল আসর এর শিক্ষা কি?
থিম এবং বিষয়বস্তু। এই সূরাটি শেখায় যে সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, যারা ইমান (ইসলামে বিশ্বাসী), সৎ কাজ করে এবং অন্যদেরকে হক (সত্য, অধিকার, বাস্তবতা) স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্যদেরকে সবর (ধৈর্য) স্মরণ করিয়ে দেয়।
সূরা আসরের গুরুত্ব?
সূরা আল-আসর জীবনের দর্শনকে সংক্ষিপ্ত করে এবং আমাদের শে���ায় যে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় যদি না সে বিশ্বাস করে এবং ভাল কাজ করে । এটি ধৈর্য, সততা, নম্রতা এবং ভাল কাজগুলিকে উত্সাহিত করে।
সুরা আসর: ৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা আসর কোরআনের ১০৩তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ৩টি রুকু ১টি। সুরা আসর কুরআনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সুরাগুলোর একটি। তবে এর অর্থ ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা এ সুরায় মাত্র তিনটি আয়াতে মানুষের মুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন। ইমাম শাফেঈ (রহ.) বলেন, আল্লাহ যদি কুরআনের শুধু এই সুরাটিই নাজিল করতেন, তাহলে এটিই মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো।
এ সুরায় আল্লাহ যুগের কসম করে বলেছেন, মানুষের মধ্যে যারা ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখে না, সৎকর্ম ও অপরের কল্যাণ কামনা করে না, সদুপদেশ দেয় না, তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
সুরা আসর
(১) মহাকালের শপথ! (২) মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। (৩) কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে পরস্পরকে উদ্ধুদ্ধ করে।
৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. মানুষ দুনিয়ায় প্রচুর সাফল্য, সম্মান ও অর্থবিত্ত অর্জন করলেও সে ক্ষতিগ্রস্ত যদি সে কুফর ও মন্দ আমলের মধ্যে থাকে।
২. যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারাই সত্যিকার কৃতকার্য ও সফলকাম।
৩. মুমিনদের একটি আবশ্যিক গুণ হলো তারা পরস্পরের কল্যাণকামী হবে; পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেকে, ধৈর্যের উপদেশ দেবে।
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন?
কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’
যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
Bangla Tafseer Surah Asr
সূরা আসর বাংলা তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=Y9jKfde9Nmc
সূরা আসরের সম্পূর্ণ তাফসির
সূরা আসর নিয়ে চমৎকার একটি প্রশ্ন
সুরা আসর তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=iXpqc2d2hbM&t=224s
জান্নাতে যাওয়ার চারটি শর্ত
https://www.youtube.com/watch?v=4VyzWJ-u6x4
এটা কি সত্য যারা মুসলিম তারাই জান্নাতে যাবে আর যারা অমুসলিম তারা জাহান্নামে যাবে?
https://www.youtube.com/watch?v=_wN7BUErcOA&t=1s
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
সুরা আসরের শিক্ষা
সুরা আসর: শিক্ষা ও নির্দেশনা
0 notes
সূরাতুল আসর এর শিক্ষা কি?
থিম এবং বিষয়বস্তু। এই সূরাটি শেখায় যে সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, যারা ইমান (ইসলামে বিশ্বাসী), সৎ কাজ করে এবং অন্যদেরকে হক (সত্য, অধিকার, বাস্তবতা) স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্যদেরকে সবর (ধৈর্য) স্মরণ করিয়ে দেয়।
সূরা আসরের গুরুত্ব?
সূরা আল-আসর জীবনের দর্শনকে সংক্ষিপ্ত করে এবং আমাদের শেখায় যে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় যদি না সে বিশ্বাস করে এবং ভাল কাজ করে । এটি ধৈর্য, সততা, নম্রতা এবং ভাল কাজগুলিকে উত্সাহিত করে।
সুরা আসর: ৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা আসর কোরআনের ১০৩তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ৩টি রুকু ১টি। সুরা আসর কুরআনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সুরাগুলোর একটি। তবে এর অর্থ ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা এ সুরায় মাত্র তিনটি আয়াতে মানুষের মুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন। ইমাম শাফেঈ (রহ.) বলেন, আল্লাহ যদি কুরআনের শুধু এই সুরাটিই নাজিল করতেন, তাহলে এটিই মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো।
এ সুরায় আল্লাহ যুগের কসম করে বলেছেন, মানুষের মধ্যে যারা ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখে না, সৎকর্ম ও অপরের কল্যাণ কামনা করে না, সদুপদেশ দেয় না, তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
সুরা আসর
(১) মহাকালের শপথ! (২) মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। (৩) কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে পরস্পরকে উদ্ধুদ্ধ করে।
৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. মানুষ দুনিয়ায় প্রচুর সাফল্য, সম্মান ও অর্থবিত্ত অর্জন করলেও সে ক্ষতিগ্রস্ত যদি সে কুফর ও মন্দ আমলের মধ্যে থাকে।
২. যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারাই সত্যিকার কৃতকার্য ও সফলকাম।
৩. মুমিনদের একটি আবশ্যিক গুণ হলো তারা পরস্পরের কল্যাণকামী হবে; পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেকে, ধৈর্যের উপদেশ দেবে।
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন?
কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব ���েই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’
যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
Bangla Tafseer Surah Asr
সূরা আসর বাংলা তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=Y9jKfde9Nmc
সূরা আসরের সম্পূর্ণ তাফসির
সূরা আসর নিয়ে চমৎকার একটি প্রশ্ন
সুরা আসর তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=iXpqc2d2hbM&t=224s
জান্নাতে যাওয়ার চারটি শর্ত
https://www.youtube.com/watch?v=4VyzWJ-u6x4
এটা কি সত্য যারা মুসলিম তারাই জান্নাতে যাবে আর যারা অমুসলিম তারা জাহান্নামে যাবে?
https://www.youtube.com/watch?v=_wN7BUErcOA&t=1s
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
সুরা আসরের শিক্ষা
সুরা আসর: শিক্ষা ও নির্দেশনা
0 notes
সূরাতুল আসর এর শিক্ষা কি?
থিম এবং বিষয়বস্তু। এই সূরাটি শেখায় যে সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, যারা ইমান (ইসলামে বিশ্বাসী), সৎ কাজ করে এবং অন্যদেরকে হক (সত্য, অধিকার, বাস্তবতা) স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্যদেরকে সবর (ধৈর্য) স্মরণ করিয়ে দেয়।
সূরা আসরের গুরুত্ব?
সূরা আল-আসর জীবনের দর্শনকে সংক্ষিপ্ত করে এবং আমাদের শেখায় যে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় যদি না সে বিশ্বাস করে এবং ভাল কাজ করে । এটি ধৈর্য, সততা, নম্রতা এবং ভাল কাজগুলিকে উত্সাহিত করে।
সুরা আসর: ৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা আসর কোরআনের ১০৩তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ৩টি রুকু ১টি। সুরা আসর কুরআনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সুরাগুলোর একটি। তবে এর অর্থ ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা এ সুরায় মাত্র তিনটি আয়াতে মানুষের মুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন। ইমাম শাফেঈ (রহ.) বলেন, আল্লাহ যদি কুরআনের শুধু এই সুরাটিই নাজিল করতেন, তাহলে এটিই মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো।
এ সুরায় আল্লাহ যুগের কসম করে বলেছেন, মানুষের মধ্যে যারা ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখে না, সৎকর্ম ও অপরের কল্যাণ কামনা করে না, সদুপদেশ দেয় না, তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
সুরা আসর
(১) মহাকালের শপথ! (২) মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। (৩) কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে পরস্পরকে উদ্ধুদ্ধ করে।
৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. মানুষ দুনিয়ায় প্রচুর সাফল্য, সম্মান ও অর্থবিত্ত অর্জন করলেও সে ক্ষতিগ্রস্ত যদি সে কুফর ও মন্দ আমলের মধ্যে থাকে।
২. যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারাই সত্যিকার কৃতকার্য ও সফলকাম।
৩. মুমিনদের একটি আবশ্যিক গুণ হলো তারা পরস্পরের কল্যাণকামী হবে; পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেকে, ধৈর্যের উপদেশ দেবে।
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন?
কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’
যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
Bangla Tafseer Surah Asr
সূরা আসর বাংলা তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=Y9jKfde9Nmc
সূরা আসরের সম্পূর্ণ তাফসির
সূরা আসর নিয়ে চমৎকার একটি প্রশ্ন
সুরা আসর তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=iXpqc2d2hbM&t=224s
জান্নাতে যাওয়ার চারটি শর্ত
https://www.youtube.com/watch?v=4VyzWJ-u6x4
এটা কি সত্য যারা মুসলিম তারাই জান্নাতে যাবে আর যারা অমুসলিম তারা জাহান্নামে যাবে?
https://www.youtube.com/watch?v=_wN7BUErcOA&t=1s
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
সুরা আসরের শিক্ষা
সুরা আসর: শিক্ষা ও নির্দেশনা
0 notes
সূরাতুল আসর এর শিক্ষা কি?
থিম এবং বিষয়বস্তু। এই সূরাটি শেখায় যে সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, যারা ইমান (ইসলামে বিশ্বাসী), সৎ কাজ করে এবং অন্যদেরকে হক (সত্য, অধিকার, বাস্তবতা) স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্যদেরকে সবর (ধৈর্য) স্মরণ করিয়ে দেয়।
সূরা আসরের গুরুত্ব?
সূরা আল-আসর জীবনের দর্শনকে সংক্ষিপ্ত করে এবং আমাদের শেখায় যে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় যদি না সে বিশ্বাস করে এবং ভাল কাজ করে । এটি ধৈর্য, সততা, নম্রতা এবং ভাল কাজগুলিকে উত্সাহিত করে।
সুরা আসর: ৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
সুরা আসর কোরআনের ১০৩তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ৩টি রুকু ১টি। সুরা আসর কুরআনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সুরাগুলোর একটি। তবে এর অর্থ ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা এ সুরায় মাত্র তিনটি আয়াতে মানুষের মুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন। ইমাম শাফেঈ (রহ.) বলেন, আল্লাহ যদি কুরআনের শুধু এই সুরাটিই নাজিল করতেন, তাহলে এটিই মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো।
এ সুরায় আল্লাহ যুগের কসম করে বলেছেন, মানুষের মধ্যে যারা ঈমান বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখে না, সৎকর্ম ও অপরের কল্যাণ কামনা করে না, সদুপদেশ দেয় না, তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
সুরা আসর
(১) মহাকালের শপথ! (২) মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। (৩) কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে পরস্পরকে উদ্ধুদ্ধ করে।
৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. মানুষ দুনিয়ায় প্রচুর সাফল্য, সম্মান ও অর্থবিত্ত অর্জন করলেও সে ক্ষতিগ্রস্ত যদি সে কুফর ও মন্দ আমলের মধ্যে থাকে।
২. যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারাই সত্যিকার কৃতকার্য ও সফলকাম।
৩. মুমিনদের একটি আবশ্যিক গুণ হলো তারা পরস্পরের কল্যাণকামী হবে; পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেকে, ধৈর্যের উপদেশ দেবে।
সূরা আসর থেকে শিক্ষা
ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল��লাহ বলেন, সুরা আসর ব্যতীত অন্য কোনো সুরা যদি অবতীর্ণ না হতো, তাহলে মানুষের হিদায়াতের জন্য এটিই যথেষ্ঠ হতো।-রুহুল মাআনি
‘যদি কেউ এ সুরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।’ -আদওয়াউল বায়ান ৯: ৫০৭
সময় বা যুগ অত্যন্ত মুল্যবান। যুগের গর্ভেই এক জাতির উত্থান ঘটে, অন্য জাতির আসে পতন। রাত আসে। দিন যায়। পরিবর্তিত হয় পরিবেশ ও মানব সমাজ। কখনো এমন সব পরিবর্তন আসে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কখনো বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে এ সময়ের ব্যবধানেই। তাই এ যুগ বা সময় বড় বিস্ময়কর।
সুরার শুরুতে শপথ করলেন কেন?
কোনো বস্তু বা বিষয়ের শপথ করলে তার গুরুত্ব বেড়ে যায়। সময় এমনই এক বিস্ময়ের আধার, আমরা জানি না অতীতকালে এটা কী কারণে হয়েছে। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নিজেদের জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা বলতে পারি না, আগামী কালের পরিবশে ঠিক আজকের মত থাকবে কি থাকবে না! দেখা যায়, মানুষ একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে; যা আগামীকাল সে বাস্তবায়ন করবে, অর্জন করবে এটা সেটা অনেক কিছু। সে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের। সব উপকরণ থাকে হাতের নাগালে। সব মাধ্যম থাকে নখদর্পনে। অভাব নেই কোনো কিছুর। তবুও এ ‘সময়’ নামক বস্তুটির ব্যবধানে এমন কিছু ঘটে যায়, যা তার সব কিছু তছনছ করে দেয়। সে ভাবতেই পারে না- কেন এমন হল। অনেক বড় বড় হিসাব সে মিলিয়েছে কিন্তু এর হিসাব মেলাতে পারছে না। এটাই হল ‘সময়’। আল্লাহ তাআলা এর প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।
দ্বিতীয় আয়াত : ‘অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’
যদিও এখানে পুরো মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান। মর্যাদাবান ইহকাল ও পরকালে। পরবর্তী আয়াতে এ চারটি গুণের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয় আয়াত : ‘তবে তারা নয়; যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’
চারটি গুণ যাদের মধ্যে থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না- এক. ইমান। দুই. সৎকাজ বা আমালে সালেহ। তিন. অন্যকে সত্যের পথে আহবান। চার. অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান প্রথম দুটো আত্মগুণ, আর অপর দুটো পরোপকার গুণ। প্রথম গুণদুটি দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার সুযোগ পায়।
প্রথম গুণটি হল ইমান। ইমানের পর নেক আমল বা সৎকর্মের স্থান। সৎকর্ম কম বেশি সব মানুষই করে থাকে। তবে ইমান নামক আদর্শ সবাই বহন করে না। ফলে তাদের আমল বা কর্মগুলো দিয়ে লাভবান হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সৎকর্মশীল মানুষ যদি ইমান নামের আদর্শকে গ্রহণ করে; তাহলে এ সৎকর্ম দ্বারা তারা দুনিয়াতে যেমন লাভবান হবে আখেরাতেও তারা অনন্তকাল ধরে এ লাভ ভোগ করবে।
এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথমে ইমানের কথা বলেছেন। যখন মানুষ ইমান স্থাপন করল, তারপর সৎকর্ম করল, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে নিল। নিজেকে লাভ, সফলতা ও কল্যাণের দিকে পরিচালিত করল। কিন্তু ইমানদার হিসাবে তার দায়িত্ব কি শেষ হয়ে গেল? সে কি অন্য মানুষ সম্পর্কে বে-খবর থাকবে? অন্যকে কি সে তার যাপিত কল্যাণকর, সফল জীবনের প্রতি আহবান করবে না? সে তো মুসলিম। তাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন: ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে।’ -আলে ইমরান : ১১০
অতএব নিজেকে ঠিক করার পর তার দায়িত্ব হবে অন্যকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহবান করা। এ আহবান করতে গিয়ে ও আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, অত্যাচার-নির্যাতন আসবে তাতে ধৈর্য ধারণের জন্য একে অন্যকে উপদেশ দেয়া কর্তব্য।
সূরা আসরের ৪ টি আয়াতের ব্যাখ্যা
Bangla Tafseer Surah Asr
সূরা আসর বাংলা তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=Y9jKfde9Nmc
সূরা আসরের সম্পূর্ণ তাফসির
সূরা আসর নিয়ে চমৎকার একটি প্রশ্ন
সুরা আসর তাফসীর
https://www.youtube.com/watch?v=iXpqc2d2hbM&t=224s
জান্নাতে যাওয়ার চারটি শর্ত
https://www.youtube.com/watch?v=4VyzWJ-u6x4
এটা কি সত্য যারা মুসলিম তারাই জান্নাতে যাবে আর যারা অমুসলিম তারা জাহান্নামে যাবে?
https://www.youtube.com/watch?v=_wN7BUErcOA&t=1s
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
মানুষ যখন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, এবং সৎকাজ করে, তখন সে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তিনি নিজেকে লাভ, সাফল্য এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাসী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়না । তিনি অন্যদেরও ডাকবেন একটি সমৃদ্ধ, সফল জীবনের দিকে। মুসলমানদের উত্থান হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য। তাঁর দায়িত্ব হলো নিজের সাথে অন্যকেও সত্যের দিকে ডাকা।
সুরা আসরের শিক্ষা
সূরা আসর এ আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু শিক্ষা ও চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন। মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট এ সূরাটি ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ। ‘আল্লাহ যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।'(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি) যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখবে। (আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
সূরা আসর জান্নাতের পথ দেখায়
সুরা আসরের শিক্ষা
সুরা আসর: শিক্ষা ও নির্দেশনা
0 notes
রিজার্ভ ফের ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
অর্থনৈতিক ডেস্ক: বাজেটের ঋণ সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৫০৭ মিলিয়ন পেয়েছে বাংলাদেশ। এ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। ফলে রিজার্ভ বেড়ে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছে। যেসব সংস্থা থেকে ঋণ সহায়তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, খুব শীঘ্রই এসব সহায়তা পাওয়া গেলে আগামী জুনের মধ্যে দেশের রিজার্ভ আবার ৩২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া রেমিটন্স বাড়াতে কেন্দ্রীয়…
View On WordPress
0 notes
রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল সময়ে আমদানি বাবদ ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর সোমবার রিজার্ভ কমে গিয়েছিল বাংলাদেশের। ফলে সোমবার রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়, যা ছিল গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম।
তবে বিশ্বব্যাংকের ঋণের ৫০৭ মিলিয়ন ডলার পাওয়ায় সেই রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।বুধবার দিনের…
View On WordPress
0 notes
দেশে ফেব্রুয়ারীতে ৫০৭ টি দুর্ঘটনা; নিহত ৫২২, আহত ৭৯৫
সারাদেশে বিদায়ী ফেব্রুয়ারী ২৩ ইং মাসে ৪৪৭ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৭ জন নিহত, ৭৬১ জন আহত হয়েছে। একই সময় রেলপথে ৪৬ টি দুর্ঘটনায় ৩৯ জন নিহত, ০৭ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১৪ টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ২৭ জন আহত এবং ১৫ জন নিখোঁজ হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫০৭ টি দুর্ঘটনায় ৫২২ জন নিহত এবং ৭৯৫ জন আহত হয়েছে। এ মাসে ১৫৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫৯ জন নিহত, ৮২ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির…
View On WordPress
0 notes
করোনা আপডেট, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত সাড়ে আঠারো হাজারেরও বেশি, মৃত্যুর সংখ্যা ৫০৭| Todays coronavirus update ,new cases 18653 and death in 24 hrs 507 | coronavirus-latest-news
রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ
Bangla Editor | News18 Bangla | July 1, 2020, 11:54 AM IST
1/ 5
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ১৮,৬৫৩৷ Photo- Representative
2/ 5
দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ৫,৮৫,৪৯৩৷ Photo- Representative
3/ 5
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৫০৭৷
4/ 5
দেশে করোনায় মোট মৃত ১৭,৪০০৷
5/ 5
View On WordPress
0 notes
অবৈধ ৫০৭ মানি চেঞ্জারের ব্যবসা বন্ধে ব্যবস্থা : বাংলাদেশ ব্যাংক
অনলাইন ডেস্কঃ
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত ২৩৫টি মানি চেঞ্জারকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বর্তমানে বৈধ-অবৈধ মিলে মানি চেঞ্জারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪২টি। এ হিসাবে অবৈধ মানি চেঞ্জার ৫০৭টি। অবৈধদের ব্যবসা বন্ধ করতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রাথমিক অভিযানে যাদের ভুলত্রুটি পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আবার…
View On WordPress
0 notes
বাংলাদেশ ব্যাংক অবৈধ ৫০৭ মানি চেঞ্জারের ব্যবসা বন্ধে ব্যবস্থা
বাংলাদেশ ব্যাংক অবৈধ ৫০৭ মানি চেঞ্জারের ব্যবসা বন্ধে ব্যবস্থা
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত ২৩৫টি মানি চেঞ্জারকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বর্তমানে বৈধ-অবৈধ মিলে মানি চেঞ্জারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪২টি। এ হিসাবে অবৈধ মানি চেঞ্জার ৫০৭টি। অবৈধদের ব্যবসা বন্ধ করতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রাথমিক অভিযানে যাদের ভুলত্রুটি পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আবার প্রয়োজনে সময়…
View On WordPress
0 notes
সিলেটে দ্রুত ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ, আক্রান্ত পৌণে ১০ হাজার
সিলেটে দ্রুত ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ, আক্রান্ত পৌণে ১০ হাজার
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও দ্রুত ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ। জ্বর, ডায়রিয়া, সাপের দংশন ও চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বন্যাকবলিত সিলেটের লোকজন। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৭ জন। এ নিয়ে চলমান বন্যার কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ‘হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও…
View On WordPress
0 notes
রুমায় উপকারভোগীদের গবাদি পশু বিতরণ।
রুমায় উপকারভোগীদের গবাদি পশু বিতরণ।
বান্দরবানে রুমা উপজেলার পার্বত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রকল্প-পলি মৌজা বিডি ৫০৭ এর আয়োজনে ও কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (সিআইবি) অর্থায়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের মাঝে গবাদি পশু পালন প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের আর্থ-সামাজিক আয় বৃদ্ধির লক্ষে গবাদি পশু বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২০জুন) সকালে বান্দরবানে রুমা উপজেলার থানা পাড়ার সংলগ্নে পার্বত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যালয়ে উপকারভোগী মাঝে এই গবাদি পশু…
View On WordPress
0 notes
মৃত্যুহীন করোনার দিনে আরও ২৬ জন আক্রান্ত
নিউজনাউ ডেস্ক:গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৭ জনে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
নতুন করে কেউ মারা না যাওয়ায় মৃত্যু সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায়…
View On WordPress
0 notes
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি আটক
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি আটক
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর সদস্যরা।
শুক্রবার (২০ মে) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং এপিবিএন ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী উনছিপ্রাং ২২ ক্যাম্পের ব্লক-ডি/৪, ঘর-৫০৭, এফসিএন-২৪৪০৫৭’ এর বাসিন্দা মো. রশিদের ছেলে মো. ইছাককে (২১) গ্রেফতার…
View On WordPress
0 notes